মেহেরপুরে তুচ্ছ ঘটনায় দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে যুবক নিহত

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হৃদয় হোসেন (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। পুড়ে গেছে একটি মোটরসাইকেল ওয়ার্কসপ। সেখানে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভষ্মিভুত হয়েছে। এঘটনায় পুলিশের অবেহলাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।

আজ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় হোসেন একই উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের সাহাদত আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রামনগর গ্রামের মিরা ইসলাম একটি নতুন ট্রাক্টর কিনেছেন। তার ছেলে ট্রাকটর নিয়ে চরগোয়াল গ্রামে যায়। এসময় ট্রাক্টরের ধাক্কায় চরগোয়াল গ্রামের একটি ঈদগাহের গেট ভেঙ্গে যায়। ঈদগাহের গেট ভেঙে যাওয়ায় ওই গ্রামের লোকজন ট্রাক্টরের চাবি নিয়ে নেয়। এসময় রামনগর গ্রামের জান্নাত মোটররসাইকেল ওয়ার্কসপে বসে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পযার্য়ে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে হৃদয় হোসেন মাথায় লাঠির আঘাত লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে বামন্দিতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, হৃদয় হোসেনের মৃত্যুর খবর চরগোয়াল গ্রামে পৌছালে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী রামনগরের গিয়ে জান্নাতের মোটরসাইকেল ওয়ার্কসপে ভাংচুর, লটুপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ পুরো দো্কান পুড়ে ভষ্মিভুত হয়।

তবে চরগোয়াল গ্রামের জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, জান্নাতের ওয়ার্কসপে বসে মিমাংসার কথাবার্তা হচ্ছিল। এসময় জান্নাত বলে আমার দোকানে কি বলে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। তার হাতুড়ির আঘাতে হৃদয়ের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার শুরুতে খায়রুল নামের এক দারোগাকে ফোন করি। তিনি আসছি আসছি বলে না আসায় এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি আসলে হয়তো বড় ধরণের ঘটনা ঘটতো না।

খবর পেয়ে মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইল বলেন, ঘটনাস্থলে আছি। তদন্ত চলছে।




গুগল মেসেজে পাঠানো যাবে উচ্চ রেজুল্যুশনের ছবি

গুগল মেসেজ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় প্রতিনিয়তই নতুন নতুন আপডেট নিয়ে আসছে গুগল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এই প্ল্যাটফর্মটিতে উচ্চ রেজুল্যুশনের ছবি পাঠাতে নতুন একটি ফিচার যোগ হতে যাচ্ছে। এটি ব্যবহারকারীদের রিচ কমিউনিকেশন সিস্টেমের (আরসিএস) মাধ্যমে উচ্চ রেজুল্যুশনের ছবি বিনিময়ের সুযোগ করে দেবে। এই ফিচার বর্তমানে কিছু বেটা ব্যবহারকারীর মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। গ্যাজেটস থিসিক্সটির তথ্যমতে, এ ফিচার শিগগিরিই সবার জন্য উন্মুক্ত হবে।

এই আপডেটের একটি বড় সংযোজন হলো নতুন কোয়ালিটি সিলেক্টর, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ছবি পাঠানোর সময় তা সর্বোচ্চ রেজল্যুশনে পাঠাতে পারবেন। গ্যালারি খুলে একটি ছবি নির্বাচন করার পর স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে ক্যামেরা আইকনের পাশের এইচডিপ্লাস আইকনে ট্যাপ করলে এই অপশন দেখা যাবে। এখানে দুটি অপশন থাকবে। এক অপশনের মাধ্যমে ছবি কম্প্রেস করে আরসিএস মেসেজের অপটিমাইজড ফরম্যাটে পাঠানো হবে। আরেকটি অপশনের মাধ্যমে ছবিটি তার আসল রেজুল্যুশনে পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে সর্বোচ্চ গুণমান বজায় থাকে।

আরেকটি বড় আপডেট হলো গুগল মেসেজেসে ইন্টিগ্রেটেড ক্যামেরার নতুন ইন্টারফেস। নতুন এই ইন্টারফেসে ক্যামেরার লাইভ ভিউ স্ক্রিনের ওপরের অংশে দেখা যাবে, যা স্ক্রিনের অর্ধেকেরও বেশি স্থান দখল করবে। এর নিচে ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনের গ্যালারির ছয়টি সর্বশেষ ছবি দেখতে পারবেন। এ ছাড়া ছবি ও ভিডিও দ্রুত দেখার জন্য একটি অ্যাকসেস ট্যাব থাকবে। গ্যালারির প্রিভিউ সরাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই নিচে স্ক্রল করতে পারবেন। আবার ওপরের দিকে স্ক্রল করলে পূর্ণ গ্যালারি দেখা যাবে। এ ছাড়া, একাধিক ছবি একসঙ্গে নির্বাচন করা যাবে, যার মধ্যে নতুন তোলা ছবি এবং পূর্বে সংরক্ষিত ছবিও থাকতে পারে।

আরেকটি ছোট কিন্তু কার্যকরী ফিচার হলো একটি টেক্সট ইনপুট বক্সের সংযোজন, যা নির্বাচিত ছবির নিচে থাকবে। এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ছবি পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তার পাশে একটি বার্তা টাইপ করতে পারবেন, যাতে ছবি এবং বার্তা একসঙ্গে পাঠানো যায়।

৯ টু ৫ গুগলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নতুন ফিচারগুলো গুগল মেসেজেসের বেটা সংস্করণ ‘২০২৫০২১৮ _ ০১ _আরসি ০০’ এবং তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে ইতিমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এই আপডেটগুলোর মাধ্যমে মেসেজিং অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করার পথে এগিয়ে যাচ্ছে গুগল। আরসিএসভিত্তিক যোগাযোগ আরও সহজ এবং উন্নত হচ্ছে।

সূত্র: যুগান্তর




মুজিবনগর সীমান্তে এক রোহিঙ্গাসহ ১৫ জন পুশব্যাক

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর মাঝপাড়া সীমান্ত দিয়ে এক রোহিঙ্গহাসহ ১৫ জনকে পুশ ব্যাক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বুধবার ভোরে তাদের মুজিবনগর সীমান্ত এলাকা থেকে পুশব্যাক করা হয়।

জানা যায়, তারা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এ সময় ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে আটক করে। অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় তাদের। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর কারাগারে জেল খাটার পর বুধবার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার পার করে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয়।

পার হয়ে আসা ব্যক্তিরা হল পাবনা জেলার চাটমোহর থানার বিশ্বনাথপুর গ্রামের জগতবন্ধু হালদার এর ছেলে শিবাস হালদার (৫০) এবং ছেলে হরিদাস হালদার (২৪), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার হরিশপুর গ্রামের শাহলাল ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নরেন্দ্রপুর থানার আব্দুর রউফ এর ছেলে আক্কাস আলী (২৮), রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার সারেংপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে শাহিন আলী (২৭), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার নরেন্দ্রপুর গ্রামের সাইদুর আলীর ছেলে কাজীব আলী (২৩), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার হরিশপুর গ্রামের বদর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২৭), পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানার বালিয়াপাড়া গ্রামের ইসাহাক সিপাই এর ছেলে আজিল সিপাই (৪৫), মায়ানমারের বুতিডং জেলার থাং বাজার থানার মাঝিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ১৬ নং ক্যাম্পের এইস ৩ ব্লকের বাসিন্দা আবুল পয়াস এর ছেলে রিয়াজ (২৪)সহ ১৫ জন।

পুশব্যাক হওয়া ব্যক্তিরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে বিএসএফ তাদের ১৫ জনকে কাঁটাতার পার করে দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। তাদের কথাবার্তার মাধ্যমে জানা যায় তাদেরকে ভারতের হৃদয়পুর এবং বাংলাদেশের মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত বর্ডার দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কাঁটা তার পার করে তাদেরকে বাংলাদেশের দিকে পাঠিয়ে দেয়।

সীমান্ত পার হয়ে এসে তারা মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। পরে সকালে তারা বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলে যায়।




৩৭ বছরের দাম্পত্যে ভাঙনের সুর, যা বললেন গোবিন্দ

বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ-সুনীতা দাম্পত্যে কলহ। দীর্ঘ ৩৭ বছরের দাম্পত্যে নাকি পাকাপাকি যতিচিহ্ন পড়তে চলেছে তাদের জীবনে। বলিপাড়ায় গুঞ্জন বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন এ দম্পতি।

জানা গেছে, পরকীয়ায় জড়িয়েছেন ৬০ বছরের ‘যুবক’ অভিনেতা গোবিন্দা! প্রায় অর্ধেক বয়সি মারাঠি অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। আর সেই কারণে নাকি গোবিন্দা-সুনীতার বিয়ে ভাঙতে চলেছে। যদিও এর আগে এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা বলেছিলেন— হাতে কাজ না থাকা স্বামীকে নিয়ে চিন্তিত তিনি। এখন তো বসেই থাকে, তাই ভয় হয়, কিছু করে না বসে!

সেই সঙ্গে সুনীতার দাবি— আগে দাম্পত্য নিয়ে সুরক্ষিত বোধ করতেন। এখন আর করেন না। তার এহেন মন্তব্যের পর জট আরও বেশি করে তৈরি হতে থাকে, যা এখন জোরালো গতি পেয়েছে। প্রায় চার দশকের দাম্পত্যে কি সত্যিই ফাটল ধরেছে?

গত বছর অক্টোবর মাসে নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হন গোবিন্দ। যে খবরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল বলিপাড়ায়। ওই ঘটনার পর শিল্পা শেঠির মতো কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন— স্ত্রী সুনীতাই কি গুলি করেছিলেন গোবিন্দাকে? তখনই জানা যায়, তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক বেশ কিছু দিন হলো খাদের কিনারে পৌঁছেছে। এখন আর গোবিন্দার সঙ্গে থাকেন না স্ত্রী সুনীতা, যা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ডিভোর্সের জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে।

এই গুঞ্জনের মাঝেই এবার মুখ খুললেন গোবিন্দা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে বলিউড তারকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিনেতা বলেন, কেবল ব্যবসা নিয়েই আলোচনা বর্তমানে চলছে। আমি আমার নতুন সিনেমা তৈরি করার প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত রয়েছি।

এদিকে গোবিন্দার ম্যানেজার শশী সিনহা বলেছেন, পরিবারের কয়েকজন সদস্যের বিবৃতির কারণে এই দম্পতির মধ্যে সমস্যা দেখা গেছে বটে। কিন্তু এর বেশি কিছু নয়। গোবিন্দ তার নতুন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত। আর সে কারণে আমাদের অফিসে শিল্পীরা আসা-যাওয়া করছেন। আমরা বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।

তবে এই বিষয়ে এখনো মুখ খুলতে নারাজ গোবিন্দপত্নী সুনীতা আহুজা। এমনকি দম্পতির কন্যা টিনাও সংবাদমাধ্যমের সামনে এ নিয়ে কোনো কথা বলতে নারাজ।

সূত্র: যুগান্তর




হাটবোয়ালিয়া আঞ্চলিক কমিউনিটি ফোরামের নতুন কমিটি

বৃহত্তর হাটবোয়ালিয়া অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয়ে ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করে “হাটবোয়ালিয়া আঞ্চলিক কমিউনিটি ফোরাম” নামের এই সংগঠনটি।

পরবর্তীতে পরপর দুটি সফল মিলনমেলা করতে সক্ষম হয় এই কমিউনিটি ফোরামের সংশ্লিষ্ট আয়োজকরা। তবে, কিছুটা জটিলতা এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খারাপ হলে সংগঠনটির যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটে। অবশেষে সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে আবারও প্রাণ ফিরে পায় এই সংগঠনটি।

আবারও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একুশে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে সংগঠনটির নতুন কমিটির ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত নতুন এ কমিটিতে নাজমুল হুদা নুর সভাপতি এবং মিজানুর রহমান হেলাল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।

কমিটিতে অন্যান্যরা হলোঃ হালিম নজরুল – সহ-সভাপতি, মোস্তাফিজুর রহমান রেকর্ড – সাংগঠনিক সম্পাদক, আবুইখতিয়ার হাশেমি (রতন) – দপ্তর সম্পাদক, নেছার উদ্দিন – অর্থ সম্পাদক, খাদেমুল হক রাজু – প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, রজত হুদা – সাংস্কৃতিক সম্পাদক, শাহীন মাহমুদ – আইন বিষয়ক সম্পাদক।

কার‌্যনির্বাহী পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেনঃ ফখরুল ইসলাম সেলিম,মোঃ মোজাম্মেল হক,কাবেদুল ইসলাম রান্নাফ, তরিকুল ইসলাম, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ তহিদুল তুহিন, রাশেদুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ, দীপক পাল, জয়নব খাতুন।
সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই কমিটির মেয়াদকাল আগামী দুই বছর।

একুশে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ঢাকার পার্শ্ববর্তী অংকন রিসোর্টে সংগঠনটির বাৎসরিক মিলনমেলায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা মন্ডলির পক্ষ থেকে কার‌্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি ঘোষণা করেন ফোরামের উপদেষ্টা কমিটির সমন্বয়কারী মঞ্জুরুল হুদা । “মিলন মেলা- ২০২৫” খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রিসোর্টের নান্দনিক সৌন্দরে‌্য সবাই অত্যন্ত আনন্দিত এবং সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে দিনটি উদযাপন করেন।

নবনির্বাচিত সভাপতি নাজমুল হুদা নুর বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই কমিউনিটি ফোরামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে অনেক দূর। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপে ভূমিকা রাখবে এই কমিউনিটি ফোরাম।

সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হেলাল বলেন, আগামী দিনে তরুণরাই এই কমিউনিটি ফোরামের হাল ধরবে। আমাদের উদ্দেশ্য হতে হবে এই কমিউনিটি ফোরাম যেন এলাকার সকল মানুষের পাশে সব সময় থাকতে পারে। এলাকার সকলকে মিলিত করার একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে এই আঞ্চলিক কমিউনিটি ফোরাম।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে কমিউনিটি ফোরামের উপদেষ্টা জনাব মনজুরুল হুদা সকলকে একনিষ্ঠভাবে এই সংগঠনকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানান।পাশাপাশি তিনি এই কমিউনিটি ফোরামকে গতিশীল করতে ফান্ড বৃদ্ধিতে জোরালো ভূমিকা রাখেন।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধেয় সাবেক ডিআইজি ফজলুর রহমান, মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন স্বপন, প্রকৌশলী আবুহেনা মোস্তফা কামাল, মোঃ আব্দুস সোবহান, মোঃ শরিফুল হুদা, সুলতান বিশ্বাস প্রমূখ।




সমালোচকের নামে এবার মামলা ঠুকলেন হরভজন

বিতর্ক আর হরভজন সিং যেন এক রেখায় চলে। হাতে বুম আসলে কিছুতেই তাকে আটকানো যায় না। ভাজ্জির কথার বাণে বিদ্ধ হয় খেলোয়াড় থেকে কোচ অথবা কখনও পুরো দল। সমালোচিতও হন। থামেননি। এবারও তেমন বিতর্কে জড়িয়েছেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দারস্ত হতে হয়েছে। মামলাও ঠুকে দিয়েছেন।

ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে কি এমন ঘটেছে যে মামলা পর্যন্ত করতে হয়েছে? ঘটনা দিনতিনেক আগের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানকে হারানোর পর হরভজন এক্সে একটি পোস্ট করেছিলেন। ব্রডকাস্টার নিখিল নাজ এবং বিক্রান্ত গুপ্তের সঙ্গে দেওয়া ওই ছবির নিচে কয়েকটি আক্রমণাত্মক কমেন্ট আসে।

ভাজ্জি একে একে সবাইকে দেন মোক্ষম জবাব। একজন মন্তব্য করেন, ‘এই সুন্দর গ্রহের সবচেয়ে খারাপ বস্তু স্টার স্পোর্টসের হিন্দি কমেন্ট্রি।’ বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি হিন্দিতে কমেন্ট্রি করা হরভজনের। জবাবে তিনি একটু বেশিই কটাক্ষ করেন, ‘ওহ, ইংরেজের বাচ্চা! লজ্জা লাগা দরকার, নিজের ভাষা বলে এবং শুনে তো গর্ব হওয়া উচিত।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই জবাবের পরই চটেছেন নেটিজেনরা। সবাই তাকে আক্রমণ করে বসে। এরমাঝে ‘র‌্যান্ডমসেনা’ নামের এক ইউজার বাড়াবাড়ি করে বসেছেন। তার ওপর বেশি খেপেছিলেন ভাজ্জিও। কমেন্টের একটি জবাবে ‘র‌্যান্ডমসেনা’ ইউজারকে অনুপ্রবেশকারীও বলেছেন, ‘তোমার এই নোংরা ভাষা থেকেই বোঝা যায় তুমি অনুপ্রবেশকারী। নিজেকে বিখ্যাত করার জন্য আমাকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছ, সেগুলো সব রেকর্ড হয়েছে।’

এক্স হ্যান্ডেলের ওই পোস্টেই হরভজন নিশ্চিত করেন, র‍্যান্ডমসেনা নামে ওই ইউজারের বিরুদ্ধে তিনি এফআইআর দায়ের করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। র‌্যান্ডমসেনা নামের ইউজারকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।

সূত্র: যুগান্তর




দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে ছিটকে পড়বেন

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খুলনা বিভাগের সমন্বয়ক, ডাকসুর ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেন, সামনে নির্বাচন। দলে নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকবে। কিন্তু কেউ দলের বিরুদ্ধে কাজ করবেন না। দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে ছিটকে পড়বেন। ঐক্যর কোনো বিকল্প নেই। তাই ঐক্য এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যখনই কোন সঙ্কট এসেছে তখনই জিয়া পরিবার সামনে এসেছে। ১৯৭১ সালে মানুষ যখন দ্বিকবিদিক ছোটাছুটি করছে ঠিক তখন কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনতা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর সরকারি কলেজ ফুটবল মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি দ্রত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন এই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাকসুর এই নেতা আরও বলেন, শেখ মুজিব মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকী সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছেন।

সেসময় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সব সংবাদপত্র খুলে দিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেন।

খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সংসদে বীল পাশ করে সংসদীয় গণতন্ত্র এনেছেন। তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছেন। তিন তিনটা ভোট সেই তত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় হয়েছে।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। পুলিশ প্রশাসন দিয়ে দিনের ভোট রাতে কেটেছেন।

খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছেন আর তারেক রহমান দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে স্বেরাচার হাসিনাকে বিদায় করেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতা ইলিয়াছ, চৌধুরী আলম, সুমনকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার বিএনপি ছাত্র দল, যুবদলের নেতাকর্মীকে হত্যা ও সর্বশেষ জুলাই আগষ্টের ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেলাম। আগামীতে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করবে।

তিনি বলেন বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ স্বনির্ভর হয়। শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়া এদেশকে স্বনির্ভর করেছেন। আগামীতে তারেক রহমান দেশকে স্বনির্ভর করবেন।

নেতাকর্মীদের হুশিয়ারি দিয়ে আমান বলেন, দলে নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকবে। কিন্তু কেউ দলের বিরুদ্ধে কাজ করবেন না। দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে ছিটকে যাবেন। ঐক্যর কোনো বিকল্প নেই। তাই ঐক্য এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার বিগত দিনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সাজা দিয়ে ৬ বছর কারাগারে রেখেছিল। তাকে স্লো পয়জন দিয়ে অসুস্থ করে রেখেছিল। ডাক্তার বারবার বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা বললেও সেটা করা হয়নি। অথচ, আওয়ামী লীগের সান্ডা, পান্ডা, চেয়ারম্যান মেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন।

বলেছিলো শেখ মুজিবের বেটি পালায় না, তার একদিন পরে গোষ্টীসহ পালিয়ে গেল। বেগম খালেদা জিয়া ৯ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে গণতন্ত্র পুনুরদ্ধার করেছিলো। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ স্বর্নিভর হয়।

নেতৃত্বে বিরোধ থাকবে দলের বিরুদ্ধে কাজ করা যাবে না, দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে ছিটকে পড়বেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যব্দ হয়ে কাজ করতে হবে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড.কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় অতিথির বক্তব্য রাখনে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন ও আমজাদ হোসেন।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছিলেন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, ফয়েজ মোহাম্মদ, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য ইলিয়াছ হোসেন, আনসারুল হক, হাফিজুর রহমান হাফি, আলমগীর খান ছাতু, ওমর ফারুক লিটন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দাল হক, সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী।

এর আগে দুপুর থেকেই জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফ্যাস্টুন হাতে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠের এই জনসভায় জড়ো হতে থাকেন।

জনসভার শুরুতেই পিলখানায় হত্যাকান্ডে নিহত সেনা সদস্যদের স্বরণে ২৫ ফেব্রুয়ারী জাতীয় সেনাশোক দিবস উপলক্ষে সভাস্থলে দোওয়া ও মোনাজাত করা হয়।




মেহেরপুরের রাইপুর সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ

সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন, বিদ্যালয়ে অনিয়মিত ও ঝরেপড়া রোধে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের রাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আসাদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পিটিএ কমিটির সভাপতি হাসানুজ্জামান। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াচ গ্রুপের সদস্য মোঃ আয়ুব আলী ও কাবুল আলী।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা। তিনি বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা একটি শিশুর সুদীর্ঘ পথ-পরিক্রমার প্রারম্ভিক ধাপ। শিশুর নতুন শিখনজগতে প্রবেশের এই পথচলাকে সহজ ও কার্যকর করতে মায়ের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলা হয়, “নেপোলিয়ন বলেছেন, ‘আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলব।’ তাই সন্তানের ভবিষ্যৎ গঠনে মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অতিথি ও অভিভাবকগণ নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

গণসাক্ষরতা অভিযানের সহায়তায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এই মা সমাবেশের আয়োজন করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ওয়াচ গ্রুপ ও পিটিএ কমিটির সদস্য এবং মউকের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন মা এই সমাবেশে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা, এবং আয়োজনে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন প্রোগ্রাম অফিসার আশিক বিল্লাহ।




দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

এর মধ্যে সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য র‍্যালির মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। র‍্যালিটি ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পরে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার গুরুত্ব, জনসেবায় ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় তিনি স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তব্য দেন।

এছাড়া, ইউপি সদস্য, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সলেমান মল্লিক, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম টিক্কা, রিকাত আলী সহ ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্য বৃন্দ।

সভা শেষে ইউনিয়ন পরিষদের সেবাগুলো সহজে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও অন্যান্য সেবা প্রদান করা হয়। এই আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আয়োজকরা মনে করেন।




আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষাথীরা আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।

 

অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুজ্জামান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহকারী শিক্ষক আবুল হাসান, বশির আহমেদ, হাবিবুর রহমান, রকিবুল ইসলাম, রাফিউল ইসলাম, রুবেল আহমেদ, নারগিস চৌধুরী, সাহিদা বানু, শাহনাজ পারভীন, গাজীউর রহমান ও রোকুনজ্জামান রোকন সহ ফারাহ হোসেন লিটন।