গাংনীতে যুবলীগ নেতার হামলায় বিএনপি নেতা ও তার ছেলে আহত

গাংনী উপজেলার ধানখােলা ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামে ইউনিয়ন যুবলীগ হাফিজুর রহমান হাফিজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে গ্রাম বিএনপির নেতা আব্দুর রহিম (৬৫) ও তার ছেলে ফিরোজ হোসেন (২৭) গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল রবিবার (২৬ জানুয়ারী) দিবাগত রাত ৯টার দিকে গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের দক্ষিণ তেঁতুলবাড়ীয়া পাড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত আব্দুর রহিম ও তার ছেলে ফিরোজ হোসেন প্রথম গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আজকে রাতে স্থানীয় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে কথা চলছিল। এসময় যুবলীগ নেতা হাফিজ ও বিএনপির স্থানীয় নেতা আব্দুর রহিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে হাফিজ তার লোকজন ধারালো কুড়াল দিয়ে বিএনপি নেতা আব্দুর রহিমকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় তার ছেলে ফিরোজ হোসেন তার বাবাকে বাঁচাতে এলে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তাদের অ্বস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

তারা আরও অভিযোগ করেন, যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ দীর্ঘদিন যাবৎ তার নিজ ফেসবুকে বিএনপি ও প্রধান উপদেস্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসসহ বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও উস্কানিমুলক পোষ্ট দিয়ে থাকেন।

এদিকে এই হামলার পরপরই গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কে আহতদের দেখতে যান এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। তিনি হামলাকারী যুবলীগ নেতা হাফিজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজনকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান।

এদিকে, এই হামলার পরপরই যুবলীগ নেতা হাফিজুলের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে ফেসবুকে এসে লাইভ করে অভিযোগ করেছেন তিনি।

হাফিজ ফেসবুক লাইভে বলেছেন, আব্দুর রহিম ও তার লোকজন প্রথমে আমার বাড়িতে হামলা করেছে। আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর ভাঙচুর করেছে। তবে, লাইভ করার পরপরই পালিয়ে গেছেন হামলাকারী যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ ও তার লোকজন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে, এলাকায় কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেনো না ঘটে সেব্যাপারে পুলিশ টহল দিচ্ছে।

আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।




যুব সমাজের উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল

মেহেরপুরে আশরাফপুর যুব সমাজের উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার সন্ধ্যা আটটার দিকে আশরাফপুর যুব সমাজের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজনে মেহেরপুর সদর উপজেলা আমদহ ইউনিয়নে আশরাফপুর ফুটবল খেলার মাঠ প্রাঙ্গনে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আয়োজন করা হয়।

আশরাফপুর যুব সমাজের উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠানে আশরাফপুর বায়তুন নূর জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ নাজাত আলী সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী আলোচক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় কেরাত প্রতিযোগিতা পুরস্কারপ্রাপ্ত হযরত মাওলানা ক্বারী এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, (ঢাকা)

দ্বিতীয় বক্তা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবীদ মুফাসসিরে হাফেজ মাওলানা ফিরাতুল ইসলাম নাঈম, বিশেষ বক্তা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবীদ হযরত মাওলানা মোঃ ইসমাইল হোসেইন, আশরাফপুর যুব সমাজের উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠানের সহযোগিতা আশরাফপুর গ্রামবাসী।




জেলা পর্যায়ের বাস্কেট বল টুর্নামেন্টে গাংনী উপজেলা চ্যাম্পিয়ন

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে মেহেরপুরে জেলা পর্যায়ের বাস্কেট বল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় বাস্কেট বল গ্রাউন্ডে মেহেরপুর সদর ও গাংনী উপজেলা পর্যায়ের অংশগ্রহণে এই ফাইনাল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এবং ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

ফাইনালে গাংনী উপজেলা বাস্কেটবল দল ৬২-১৬ পয়েন্টের বিশাল ব্যবধানে মেহেরপুর সদর উপজেলা বাস্কেট বল দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলায় টূর্ণামেন্টের শ্রেষ্ট খেলোয়ার নির্বাচিত হয়েছেন বিজয়ী দলের খেলোয়ার জাহেদুল ইসলাম জনি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রনি আলম নুর।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোত্তালেব আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক, উপজেলা বিআরডিবি অফিসার
অনুষ্ঠানের সাবির্ক দায়িত্ব পালন করেন জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নুরানী, গাংনী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় ভলিবল দলের সাবেক কোচ আতর আলী।

সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শাহাদতবরণকারী শহিদদের রূহের মাগফেরাত এবং আহত ছাত্র-জনতার রোগমুক্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়।

পুরস্কার বিতরন শেষে বিজয়ী দল ও খেলোয়াড়দের আন্তরিক অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি আয়োজন সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

এসময় বক্তরা বলেন, পড়ালেখা ছাত্রদের প্রধান কাজ হলেও খেলাধুলা আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য দুটো গঠনে ভুমিকা রাখে। জাতীয় পর্যায়ে এই আয়োজন তরুন সমাজের দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে এবং আমাদের ক্রীড়ামোদী একটা সমাজ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।




ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস পালিত

ঝিনাইদহে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে।

রবিবার সকাল ১০ টায় আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জীবাশ্ব  জ্বালানিকে না বলুন এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রুপান্তর সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টিআইবির (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি) অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ঝিনাইদহ কর্তৃক ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সেখানে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি), ইয়েস এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) গ্রুপের সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি স্থানীয় অংশীজন হিসেবে ৬ টি বেসরকারী সংস্থা ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।

সনাকের জেলা কমিটির সভাপতি এম সাইফুল মাবুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাকের সহ সভাপতি আহমেদ হোসেন।

দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিতসহ জ্বালানি রুপান্তরে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনের বিবেচনার জন্য ১২ টি সুপারিশ সম্বলিত টিআইবির ধারণাপত্র পাঠ করেন জনাব মাজহারুল ইসলাম, ইয়েস দলনেতা, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ঝিনাইদহ।

এছাড়া এই ধারণাপত্রের আলোকে জীবাশ্ব জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্বের ওপর বক্তব্য রাখেন ডেভেলপমেন্ট একটিভিটিজ অব সোসাইটি (ডাস) এর পরিচালক মো: আলাউদ্দীন, পদ্মা সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি (অব:) অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু ও সনাকের সদস্য (অব:) উপাধ্যক্ষ এন.এম. শাহজালাল প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন টিআবি’র এরিয়া কোঅডিনেটর হুমায়ুন কবির।




ঝিনাইদহে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ, পদত্যাগে বাধ্য করলেন শিক্ষার্থীরা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শোয়াইব নগর কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদাকে তার অফিস কক্ষে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রেখে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।

জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার মাদরাসার কম্পিটার ল্যাবটি ভাড়া দেওয়া হয়। ওই সময় ল্যাবে ভাড়া নেওয়া প্রশিক্ষনার্থীরা নাচ-গান করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মাদরাসায় নাচ-গানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে।

পরে রবিবার সকালে মাদরাসা খোলা হলে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে ভেতর থেকে দরজা আটকিয়ে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তখন কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে অফিস কক্ষের দরজা খোলার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। পরে বাধ্য হয়ে দুপুর ২টার দিকে জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করার পর নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, একজন অধ্যক্ষকে এভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে নেওয়া কাম্য নয়। আমি শিক্ষার্থীসহ ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরতদেও আমার কার্যালয়ে ডেকেছি। আশা করি এর একটা সুরহা করতে পারবো।




যে ৪ ভুলে নিষিদ্ধ হতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপে

এখন অনেকটা এমন হয়ে গেছে— সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে হোয়াটসঅ্যাপ চেক করা চাইই চাই। মাঝের সময়েও মেসেজিং অ্যাপটাতে থাকে বাড়তি নজর। ছবি, ভিডিও বা কোনো ডকুমেন্টস পাঠাতে অ্যাপটি অন্যতম ভরসার। তবে কিছু কিছু ভুল আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে নিষিদ্ধ করেও দিতে পারে। হারাতে পারেন মূল্যবান অ্যাকাউন্টটিও।

হোয়াটসঅ্যাপ হেল্প সেন্টার জানিয়েছে, কোনো হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট তখনই বন্ধ করা হয় যখন তিনি নীতিবিরুদ্ধ কিছু করেন। বেশিরভাগ সময় ব্যবহারকারী জেনে বা না জেনে ভুলগুলো করে। তবে সতর্ক থাকতে হবে কিছু ভুল থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে—

থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার

অনেক ব্যবহারকারী অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার পরিবর্তে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করেন। এই পরিস্থিতিতে হোয়াটসঅ্যাপ ডেল্টা, জিবিওয়াটসঅ্যাপ এবং হোয়াটসঅ্যাপ প্লাসের মতো নাম সহ অনেক অ্যাপ পাওয়া যায়। কিন্তু কোম্পানি এই অ্যাপস ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। আপনি যদি এই তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলো ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

কাউকে হুমকি দিলে

যদি কাউকে হয়রানি বা হুমকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে মেসেজ পাঠান, তবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও ঘৃণ্য বা আপত্তিকর বার্তা পাঠানোর জন্যও আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। অ্যাপটির এক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু গাইডলাইন আছে।

অন্য কারও নামে ব্যবহার করলে

যদি অন্য কারো নাম, প্রোফাইল ফটো এবং পরিচয় দিয়ে মেসেজ করেন তবে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি হোয়াটসঅ্যাপের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি কোনো সেলিব্রিটি, ব্র্যান্ড বা সংস্থার ছদ্মবেশে অ্যাপ চালান, তবে আপনার অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ হতে পারে।

রিপোর্ট করলে

অনেক ব্যবহারকারী একসঙ্গে যদি আপনার অ্যাকাউন্টে রিপোর্ট করেন, তাহলে কোম্পানি ব্যবস্থা নিতে পারে। কোম্পানি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারে। আপনাকে রিপোর্ট করা ব্যক্তিটি আপনার পরিচিতি তালিকার অংশ কি না তা খতিয়েও দেখবে না অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া আপনি যদি অযাচিতভাবে কাউকে একের পর এক মেসেজ করতে থাকেন সেক্ষেত্রেও ব্যান হতে পারেন। অ্যাপটি যদি মেসেজগুলোকে স্প্যাম হিসেবে বিবেচনা করে তবে অ্যাকাউন্টটি হারাতে হবে।

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ায় এডুকেয়ারের ‘মানব-পুতুল’ নাচ

সত্যিকারের পুতুলনাচ যখন বিলুপ্তির পথে, তখন কুষ্টিয়ায় একটি স্কুলের একঝাঁক শিশু শিক্ষার্থী ‘মানব-পুতুল’ সেজে নাচ পরিবেশন করে বেশ তাক লাগিয়ে দেয়।

গতকাল শনিবার শহরের হাউজিং এফ ব্লকে এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লেতে অংশ নেয় তারা।

এসময় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ‘মানব-পুতুল’ সেজে ‘এই যে দুনিয়া কিসেরও লাগিয়া এত যত্মে গড়াইয়াছে সাঁই’ গানের সঙ্গে নাচ প্রদর্শন করে।

এর আগে, সকালে বধূ সাজে মাঠে নামে একদল মানব-পুতুল। সংখ্যায় তারা ২৭ জন। জানা যায়, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে পুতুল সেজে নাচবে তারা। তাদের নাচ দেখতে আগে থেকেই হাজারো দর্শকের উপস্থিতি ছিল।

ডিসপ্লে চলাকালে দর্শকদের মধ্যেও ছিল বেশ উচ্ছ্বাস। মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে মানব-পুতুলদের স্বাগত জানান তারা। পুতুল নাচের ব্যতিক্রমী এই ডিসপ্লে জেলাজুড়ে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।

এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক রাসেল জানান, এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে মোট ২৮ টি ক্লাব আছে। এই ক্লাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় বাস্তবিক জ্ঞান প্রদান করা হয়। আজকের আয়োজনে আমাদের আড়াই হাজার শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ১০৬ টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে মানব পুতুল নাচের আয়োজনে উপস্থিত অতিথি, দর্শক, অভিভাবক শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মুগ্ধ। এই নাচের নেপথ্য কারিগর হলেন আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কালচারাল ক্লাবের প্রশিক্ষক মিস জান্নাতুল ফেরদৌস শিমুল।

কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মো: নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলার লোকায়ত সংস্কৃতি পুতুলনাচকে নবরূপ দিয়ে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের চেষ্টা ছিলো। যেটি দারুণ আাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

মিস জান্নাতুল ফেরদৌস শিমুল বলেন, আজকের মানব-পুতুলের কোরিওগ্রাফি করতে অনুপ্রাণিত করেছে আমাদের এই কুষ্টিয়ার এক সময়ের ঐতিহ্য পুতুল নাচ। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই নিজের কর্মস্থল এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের একদল শিক্ষার্থীকে তালিম দিয়ে পারদর্শী করে তুলেন তিনি। সুতা দিয়ে সত্যিকারের পুতুলকে মঞ্চে যেভাবে নাচানো হতো, এর আদলেই মানব-পুতুল শিশুদের হাতে সুতা বেঁধে নাচ প্রদর্শন করান তিনি।

নাচে নেতৃত্ব দেওয়া দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাতের ভাষ্য, ‘ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচ আমি কখনো দেখিনি। স্যার আমাদের তৈরি করেছেন। এই নাচে অংশ নিতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।’




যে কারণে বাড়ল ৪৭তম বিসিএসে আবেদনের সময়

৪৭তম বিসিএসে পরীক্ষায় অংশ নিতে অনলাইনে আবেদনের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৩০ জানুয়ারি এ বিসিএসের আবেদন জমার শেষ দিন থাকলেও আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে কমিশন।

আবেদনের সময় কেন বৃদ্ধি করা হয়েছে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

পিএসসির একজন কর্মকর্তা দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিককে বলেছেন, ‘জুলাইয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে অনেকের পরীক্ষা পিছিয়েছে। আবার অনেকের ফল আটকে গেছে। এই চাকরিপ্রার্থীদের কথা চিন্তা করে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন সময় বাড়ানো হয়েছে। তারা যেন আবেদন করতে পারেন ও ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য আমরা এই সময় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তবে আর সময় বাড়বে না। এটাই আবেদনের শেষ সুযোগ।’

এরআগে পিএসসি জানায়, ৪৭ বিসিএসে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ইউজার আইডিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা ওই তারিখের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ২ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।

এতে আরও বলা হয়, যদি কোনো প্রার্থী এমন কোনো পরীক্ষা দিয়েছেন, যে পরীক্ষায় পাস করলে তিনি ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। যদি তার ওই পরীক্ষার ফল ৪৭ বিসিএসের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রকাশ না হয় তাহলেও তিনি প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন, তবে তা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে।

শুধু সেই প্রার্থীকেই বিবেচনা করা হবে যার স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব লিখিত পরীক্ষা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ তারিখের মধ্যে অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরোপুরি শেষ হবে।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহ পৌরসভার আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলী

ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ আট কর্মকর্তা কর্মচারীকে একযোগে বদলী করা হয়েছে।

এক সঙ্গে এতো কর্মকর্তা কর্মচারীকে গণবদলী করার ঘটনায় নাগরিকদের মাঝে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।

অনেকে বলছেন পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছরের ইতিহাসে এটা একটা নজীবরিহীন ঘটনা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের পৌর-১ শাখার আদেশ সুত্রে, রোববার এই বদলীর খবর জানা গেছে।

সূত্রমতে, ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদকে পাবনার চাটমোহর, নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীনকে সাঁথিয়া, সহকারী প্রকৌশলী মুন্সি মোঃ আবু জাফরকে গোপালগঞ্জ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চাঁনকে পাবনার আটঘরিয়া, নক্সাকার সবুজ মিয়াকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, সার্ভেয়ার আসাদুজ্জামানকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, কার্য সহকারী হাবিবুর রহমান হাবিবকে মহেশপুর ও সহকারী কর নির্ধারক আব্দুর রহমানকে শৈলকুপা পৌরসভায় বদলী করা হয়েছে।

আগামী ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবারের মধ্যে বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান করা না হলে ২৯ জানুয়ারি তাদের সবাইকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হবে বলে মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বদলীকৃত অনেকের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, ফান্ড তছরুপ, কাজে অবহেলা, রাজনীতিকরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাদের বদলী করা হয়। এরমধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চাঁন ও কার্য সহকারী হাবিব দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে থাকায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে পৌর নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল।

এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ৫ আগষ্টের পর একাধিকবার ঝিনাইদহ পৌরসভায় গিয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আল্টেমেটাম দেয়।

সুত্রমতে, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে বিষয়টি মন্ত্রনালয়কে অবহিত করলে একযোগে ৮ কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে বদলীর আদেশ দেয়।

বদলীর বিষয়টি স্বীকার করে ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায় জানান, রোববারই আদেশটি তিনি হাতে পেয়েছেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের পৌর-১ শাখা থেকে তাদের বদলী করা হয়েছে। তবে বদলী হওয়া কর্মকর্তা কর্মচারিরা এ নিয়ে কেউ মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।




কাঁচা হলুদের চা, এক টোটকায় বহু সমাধান

হলুদের সঙ্গে একটি প্রবাদ খুব মানায়, সর্ব ঘাটের কাঁঠালি কলা। পা কেটে গেছে, লাগাতে পারেন কাঁচা হলুদ বাটার পেস্ট। রান্না ঘরে হলুদ ছাড়া চলেই না। বিয়ে থেকে ত্বকের যত্ন হয়ে চিকিৎসা সবকিছুতেই দারুণ কার্যকর হলুদ।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা শরীরে নানা ভাবে উপকারে লাগে। প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে হলুদে। এক কাজে শরীরের এত উপকার করতে হলে আপনাকে কাঁচা হলুদ খেতে হবে। চিবিয়ে নয়, চাইলে এটি পেস্ট করে খেতে পারেন। যদি সেটি সম্ভব না হয়, গন্ধ লাগে তবে আলাদা উপায়ও আছে।

বিশেষজ্ঞরা গুণ বিচারে কাঁচা হলুদ চা বা কফিতে দিয়ে খেতে বলেছেন। তাদের ভাষ্য, সকালে ঘুম থেকে উঠে বেশির ভাগ মানুষই চা কিংবা কফি খান। এই ধরনের পানীয়তে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তাতে কাঁচা হলুদের গন্ধ অনেকটা কমলেও গুণ একই থাকে।

যেভাবে তৈরি করবেন কাঁচা হলুদের চা

প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটতে শুরু করলে তাতে আদা, দারচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জয়ফল, কাঁচা হলুদ দিয়ে দিন। ভাল করে ফুটিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন এবং কফি বা চা মিশিয়ে নিন। এরপর বেশকিছু সময় ওভাবেই রেখে দিন। ঠান্ডা হলে পানি ছেঁকে কাপে ঢেলে নিলেই কাজ শেষ। হালকা গরম থাকতে থাকতে সাবাড় করে নিন। মিস্টি করতে চাইলে চিনি ছাড়াও মেশাতে পারেন মধু কিংবা গুড়। তাতে পুষ্টিগুণ এতটুকুও কমবে না।

সূত্র: যুগান্তর