মুজিবনগরে চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেনের একযুগ পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের তিন মেয়াদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনের দায়িত্ব পালনের একযুগ পূর্তি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইউনিয়নবাসী।

আজ বৃহস্পপতিবার বিকেলে ইউনিয়ন ব্যাপী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, পুষ্পমাল্য অর্পণ, কেককাটা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি স্মরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইউনিয়নব্যাপী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে মুজিবননগর স্মৃতিসৌধ পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপরে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন।

বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন, মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোমেন মিলু, উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি তকলিমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক তহমিনা খাতুন, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান মধু বিশ্বাস, সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রশাস্ত মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের পরিষদের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতায স্থানীয় ও অন্য জেলা থেকে আগত শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষে আতশ বাজি ফাটিয়ে আকাশ রাঙানো হয়।

১২ বছরের দীর্ঘ মেয়াদে পরিষদ পরিচালনা ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রদানের অভিজ্ঞতার আলোকে চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন বলেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভুল ভ্রান্তি ভুলে সকলকে এক ঐক্যের মাধ্যমে শক্তিশালী সংগঠনিক অবস্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে পুনর্বার বাংলাদেশে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব এনে দিতে হবে।




কৃষকদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিএনপির শোক র‌্যালি

বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় লক্ষিপুরে কৃষক দল নেতা সজীব হত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে শোক র‌্যালি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকালে মেহেরপুর কাথুলী বাসস্ট্যান্ড এই প্রতিবাদ সভা ও শোক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

শোক র‌্যালিটি কাথুলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

শোক র‌্যালিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, সাংগাঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভূট্টোসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




কুষ্টিয়ায় ‘আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করনীয় শীর্ষক’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় কুষ্টিয়া এই কর্মশালার আয়োজন করে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসি’র সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো: আব্দুল লতিফ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হোসেন।

এই কর্মশালায় আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের এর উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ও সিএসও ড. খোন্দকার মো: ইফতেখারুদ্দৌলা এবং কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবীদ হায়াত মাহমুদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রধান ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুষ্টিয়ার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান দেওয়ান।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এ বছর বোরো উৎপাদনের পর আউশ এবং আমনের উপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। দেশে যেন দুর্ভিক্ষের মতো কোনো অবস্থা সৃষ্টি না হয়, মানুষ যেন খাদ্য কষ্টে না ভোগে, সেজন্যই এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্বেও প্রতিবছর আমনের উৎপাদন বাড়ছে এবং গত বছর আমনের উৎপাদন ১.৫ কোটি টনের বেশি পৌঁছায়। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নতুন নতুন উদ্ভাবিত জাত, আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও সরকারের সঠিক নীতি কৌশল। আমন মৌসুমে স্বল্প মেয়াদী জাত সময়মতো চাষ করলে বোরো ধান লাগানোর পূর্বেই মূল্যবান সরিষা চাষ করা সম্ভব বলেও জানান তারা।

কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া ও পার্শ্ববর্তী জেলা/উপজেলার কর্মকর্তা, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বীজ ও সার ডিলার, মিলার ও কৃষক প্রতিনিধিসহ প্রায় ৩’শ জন অংশগ্রহণ করেন।




ঢাকায় নিয়োগ দেবে মেরী স্টোপস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মেরী স্টোপস বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটিতে ফাইন্যান্স আ্যন্ড আ্যডমিন অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে সহজে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ফাইন্যান্স আ্যন্ড আ্যডমিন অফিসার, ক্লিনিক (পুরুষ)।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। এমবিএ ডিগ্রিধারী/সিএ সিসি/ সিএমএ পার্ট -২ পাস প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

কর্মস্থল

ঢাকা (মিরপুর)।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

৩০ জুলাই , ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




প্রয়াত লাকী আখন্দের গান নিয়ে কোক স্টুডিও বাংলা নতুন পরিবেশন

কিংবদন্তী গায়ক ও সুরকার লাকি আখন্দের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে তার গান নিয়ে নতুন গান পরিবেশনের ঘোষণা দিয়েছে কোক স্টুডিও বাংলা। এর মাধ্যমে লাকি আখন্দের প্রাণবন্ত অবিশ্বাস্য সৃষ্টিকর্ম এবং বাংলাদেশি সঙ্গীত শিল্পে তার অপরিসীম অবদানের জন্য গভীর শ্রদ্ধা জানানো হবে।

ফেসবুক স্টুডিওর এই ঘোষণায় ভক্তদের প্রত্যাশায় পূর্ণ হবে এবং এর মিউজিক্যাল কোলাবোরেশনের জন্য তারাও উদগ্রীব হয়ে আছে।

কোক স্টুডিও বাংলা তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, যার বিস্ময়কর সব সৃষ্টিতে বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি পেয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা, সেই সুরের ম্যাজিশিয়ান লাকী আখন্দকে কোক স্টুডিও বাংলায় নতুন ভাবে তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত।

১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে লাকী আখান্দের প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকী আখান্দ’ প্রকাশ পায়। তিনি ব্যান্ড দল হ্যাপি টাচ-এর সদস্য ছিলেন। ওই সময়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে ছিল ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া, ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’, ‘কী করে বললে তুমি’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’, ‘ভালোবেসে চলে যেয়ো না’ প্রভৃতি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে মউকের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ ও মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউকের যৌথ আয়োজনে ঝরে পড়ারোধ ও সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে এক ওঠান বৈঠক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল দশটার দিকে সদর উপজেলার বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গণসাক্ষরতা অভিযানের সহায়তায় এই উঠান বৈঠকের আয়োজন করে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক)।

উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু লায়েছ লাভলু।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা, বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতি মো: জহুরুল ইসলাম, এসএমসির সদস্য রাজু আহমেদ, এডুকেশন ওয়াস গ্রুপের সদস্য মোখলেছুর রহমান ও আশিক বিল্লাহ। অনুষ্ঠান টি পরিচালনা করেন মউকের সংগঠক সুমাইয়া আখতার।




মেহেরপুরে ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারর্স বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটিরি সুপারিশের আলোকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবিদের সমস্যার সমাধান এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ এর বিতর্কিত ধারা উপধারা সংশোধন ও ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ এর গেজেট সংশোধিত আকারে প্রকাশসহ চার দফা দাবিতে মেহেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরের দিকে মেহেরপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সামনে ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারর্স অব বাংলাদেশ (আইডিইবি) মেহেরপুর জেলা শাখা এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারর্স অব বাংলাদেশ (আইডিইবি) মেহেরপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আইডিইবির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারি প্রকৌশলী মারুফ হোসেন, আইডিইবির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বোরহান, গণপূর্তের উপসহকারি প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, সোহেল রানা, মো: নুরুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় মেহেরপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক ও প্রশিক্ষনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আইডিইবি’র চার দফার মধ্যে রয়েছে, ১. প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সরকারের আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশের আলোকে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গা নির্ধারণসহ বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ ও ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ এর জনস্বার্থ বিরোধী সঙ্গা ও ধারা উপধারা সংশোধনপূর্বক গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

২. প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাথমিক নিযুক্তিতে অন্যান্য পেশাজীবীদের ন্যায় একটি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদান এবং ডিজাইন ও প্লানিং সংস্থার ক সহকারী প্রকৌশলীদের সহকারী প্রকৌশলীদের ন্যায় ৩টি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট, পদোন্নতির কোটা ৫০% , বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন কোম্পানিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভিস রুল অনুযায়ী নেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ইস্টার্ন রিফাইনারি, যমুনা, মেঘনা ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ারিং টীম কনসেন্ট অনুযায়ী অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন এবং প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যূনতম বেতন ও পদবী নির্ধারণ করা, বিজেএমসি’র বন্ধ পাটকলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরিতে বহাল রাখা, মেরিন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের যোগ্যতা অনুযায়ী সিডিসি সনদ প্রদান, টিটিসির শিক্ষকদের এক বেতন ছেলে ৩ পদ প্রথা বাতিল করে পদোন্নতির জন্য উচ্চতর ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণ করে অমানবিক পদোন্নতির প্রথা বাতিল করা, এসএসসি ভোেকশনাল শিক্ষকদের কমন সিনিয়রিটির ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান, সহকারী প্রধান শিক্ষক (কারিগরি) পদ সৃষ্টি ও ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য ল্যাব ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা সুষ্ঠু বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে দক্ষ ও আধুনিক আননির্ভর টিভিইটি গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টিএসসিতে তীব্র শিক্ষক সংকট দুরীকরণ, শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব, ওয়ার্কসপ সংকটসহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টিএসসির শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রদান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নিয়োগবিধি সংশোধন করে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদসমূহ একীভূত করে বিদ্যমান নন-ক্যাডার পদসমূহ জনবলসহ ক্যাডারে আত্মীকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন, ঝঞঊচ প্রকল্পের শিক্ষকদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী নিয়মিতকরণ ও ৩৪ মাসের বকেয়া বেতন প্রদান, সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশের আলোকে ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ভাতা বৃদ্ধি এবং ২৯টি ইমার্জিং টেকনোলজির বেকার ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় পদ সৃষ্টি সহ নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সরকার অনুমোদিত চলমান ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকোর্সকে ৪বছরেই রাখার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক এ সংক্রান্ত ইতিপূর্বে গঠিত কমিটি অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করতে হবে।




বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কণ্ঠস্বর বদলায়; কেন বদলায় জেনে নিন

ভোকাল কর্ডের মাধ্যমে শব্দ উৎপন্ন হয় একথা সবার জানা। ভোকাল কর্ড থাকে ল্যারিংস তথা স্বরযন্ত্রে এটাও নতুন তথ্য নয়। এটি শ্বসনতন্ত্রের এমন একটি অংশ যা গলা থেকে ফুসফুসে বাতাস যেতে দেয়। বাতাস যখন ফুসফুস থেকে স্বরযন্ত্রের মধ্য দিয়ে নির্গত হয়, তখন এটি ভোকাল কর্ডগুলোকে কম্পিত করে। আর এতেই শব্দ তৈরি হয়।

ভোকাল কর্ড তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত: ভোকালিস পেশি, ভোকাল লিগামেন্ট ও এগুলোকে আবৃত করে রাখা একটি শ্লেষ্মা ঝিল্লি (মিউকাস মেমব্রেন্স)। এটি পৃষ্ঠকে আর্দ্র রাখে ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। তবে আমাদের আলোচনা মূলত ভোকাল কর্ডের স্বাস্থ্য নিয়ে নয়। একবার ভেবে দেখুন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার কণ্ঠেরও পরিবর্তন ঘটে। বিষয়টি তো খুব স্বাভাবিক তাই না? কিন্তু এর কারণটি জানার কি ইচ্ছে হয়নি? চলুন জেনে নেই:

বয়ঃসন্ধিকালের আগে নারী ও পুরুষের কণ্ঠস্বরে পার্থক্য খুব বেশি দেখা যায় না। তাই শিশুদের কণ্ঠ শুনে নারী ও পুরুষ আলাদা করা অনেক সময় কঠিন। সেটা কলকাকলি ও কলতান হিসেবেই আমরা কানে শুনে মনে ধারণ করি। মূল পরিবর্তন চোখে পড়ে বয়ঃসন্ধির সময় (মেয়েদের ক্ষেত্রে ৮–১৩ বছর, ছেলেদের ৯–১৪) যখন হরমোন তাদের প্রভাব প্রয়োগ করতে শুরু করে। এতে স্বরযন্ত্রের গঠনে পরিবর্তন আসে। এ সময় পুরুষের অ্যাডামস অ্যাপল আরও বেশি প্রত্যক্ষ হয় এবং ভোকাল কর্ডের দৈর্ঘ্য বাড়ে। বয়ঃসন্ধির পরে পুরুষের ভোকাল কর্ডের দৈর্ঘ্য হয় সাধারণত ১৬ মিলিমিটার আর নারীর হয় ১০ মিলিমিটার। বয়ঃসন্ধির পর নারীর ভোকাল কর্ড ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সরু হয়। এই ছোট ও সরু ভোকাল কর্ডই পুরুষের তুলনায় নারীর স্বর সাধারণভাবে উচ্চ হওয়ার কারণ।

বয়ঃসন্ধির পরও হরমোন কণ্ঠস্বরকে প্রভাবিত করতে পারে। অর্থাৎ এখানেই সবকিছু শেষ নয়। একজন নারীর কণ্ঠস্বর তার ঋতুচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। অভিউলেটরি তথা ডিম্বাস্ফীতির পর্যায়ে কণ্ঠস্বর সবচেয়ে সুন্দর শোনায়। কারণ এই পর্বে গ্রন্থিগুলো সর্বাধিক শ্লেষ্মা (মিউকাস) তৈরি করে, যা ভোকাল কর্ডগুলোকে তাদের সর্বোত্তম কার্যকরী ক্ষমতা প্রদান করে। একটি নির্ভরযোগ্য গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণকারী নারীদের কণ্ঠে কম বৈচিত্র্য পাওয়া যায়। কারণ পিলটি ডিম্বস্ফোটন বন্ধ করে দেয়।

পিরিয়ডের আগে হরমোনের পরিবর্তন কণ্ঠনালীকে বাধাগ্রস্ত করে, তাদের শক্ত করে তোলে। অপেরা শিল্পীদের দিয়েই এর উদাহরণ দেওয়া যায়। ১৯৬০-এর দশকে পিরিয়ডের আগে নারীদের ‘গ্রেস ডে’ দেওয়া হতো, যাতে তাদের ভোকাল কর্ড অক্ষত থাকে। এবং যেহেতু নারীদের ভোকাল কর্ড সরু, তাই অতিরিক্ত ব্যবহারে তাদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও বেশি হতে পারে।

শরীরের প্রায় প্রতিটি অংশের মতো, ভোকাল কর্ডেরও বয়স বাড়ে। এটি একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়সের প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বরযন্ত্রটি তরুণাস্থির (কাটিলিজ) চেয়ে শক্ত, অনেকটা হাড়ের মতো হয়ে যায়। পুরুষের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন ৩০ বছরের পর ঘটতে শুরু করে। এটি ভোকাল কর্ডগুলোকে কম নমনীয় করে তোলে। এও মনে রাখতে হবে যে পেশিসমূহ ভোকাল কর্ড নড়াচড়া করতে দেয়, সেগুলোও আমাদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয় হতে শুরু করে। ভোকাল কর্ডগুলোকে সচল রাখা লিগামেন্ট এবং টিস্যুগুলোও কম নমনীয় হয়ে ওঠে। কণ্ঠও ভারী হয়ে যায়। এছাড়াও ফুসফুসের পেশির কার্যকারিতা হ্রাস পায় — শব্দ তৈরি করতে ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাসের শক্তি কমায়। স্বরযন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হ্রাসের পাশাপাশি প্রতিরক্ষামূলক শ্লেষ্মা উৎপাদনকারী গ্রন্থিগুলোর সংখ্যাও কমে যায়। যদিও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোকাল কর্ডের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। তবে জীবনধারণের ধরনের কারণেও ভোকাল কর্ডের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

এতে ব্যক্তির কণ্ঠস্বরও পরিবর্তন হতে পারে। যেমনটা গায়কদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাদের জীবনের একটি ধরন আছে। এই ধরন অনুসারে তারা রেওয়াজ করে এবং নিজের কণ্ঠের যত্ন নেয়। আবার অনেক সময় ব্যক্তির নিজের গাফিলতিতে কণ্ঠের বারোটা বেজে যায়। এমন উদাহরণ গায়কদের জীবন থেকেই নেয়া যাবে। যেমন ধূমপান শ্লেষ্মা উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তবে এর আরেকটা ঝুঁকি হলো ধূমপান মিউকোসাল পৃষ্ঠগুলোকে শুকিয়েও দিতে পারে। মদ্যপানের ফলেও অনুরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই কারণগুলো ভোকাল কর্ডের ক্ষতি করতে পারে এবং কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন আনতে পারে।

ধরুন আপনি ধূমপানের মতো বাজে অভ্যাসে নেই। কিন্তু আপনার রোগ হয়েছে। তখন চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা কিছু ওষুধও কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করাতে পারে। যেমন ল্যারিঞ্জাইটিসের জন্য ব্যবহৃত করা স্টেরয়েড ইনহেলার। ‘ব্লাড থিনার’ ও ভোকাল কর্ডের ক্ষতি করতে পারে। এতে কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে। আবার ‘মাসল রিলেক্সেন্ট’ পেটের অ্যাসিডকে স্বরযন্ত্রে ফিরিয়ে দেয়। এতেও ভোকাল কর্ডের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু ব্যবহার করা ছেড়ে দিলে সাধারণত ওষুধ থেকে হওয়া ক্ষতিগুলো চলে যায়। অর্থাৎ এই সমস্যা সাময়িক। বলা যাইয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

ভোকাল কর্ডের ক্ষতির আরও একটি কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ব্যবহার। সাধারণত গায়ক কিংবা এমন অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি ক্ষতি দেখা যায় — যারা কাজের সময় তাদের কণ্ঠস্বর অনেক বেশি ব্যবহার করেন। এ তালিকায় আরও আছেন শিক্ষক কিংবা ফিটনেস প্রশিক্ষক। তবে নিয়মিত গলার ব্যায়াম, গলাকে বিশ্রাম দেয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। স্পিচ থেরাপিও অনেক সময় কাজে আসে। আপনার ভোকাল কর্ডের যত্ন আপনাকেই নিতে হবে। বয়সের বিষয়টি তো আছেই। কিন্তু বয়স বাড়লেও অনেক সময় কণ্ঠস্বরে স্বাভাবিকতা ধরে রাখা যায় তার প্রমাণও গায়করাই দেন। একটি সুষ্ঠ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। শুধু ফিটনেস নয়, সার্বিক সুস্থতার ক্ষেত্রে এ বিষয়টিও ফেলনা নয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




লঙ্কাদের হারিয়ে, গল টেস্টে জয় পাকিস্তানের

গেল বছরের এই দিনে গলে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিলো পাকিস্তান। এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছয় টেস্ট খেলে কোন জয় পায়নি পাকিস্তান। অবশেষে এক বছর পর সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই একই ভেন্যুতেই জয়ের দেখা পেল সফরকারী পাকিস্তান। জয়ের ব্যবধানটাও সেই একই, ৪ উইকেটে। এবারের শ্রীলংকা সফরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ১৩১ রানের জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ৪৮ রান করেছিলো পাকিস্তান। গল টেস্ট জিততে পঞ্চম ও শেষ দিন ৮৩ রান দরকার ছিলো পাকিস্তানের। শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৭ ছিলো উইকেট। ওপেনার ইমাম উল হক ২৫ ও অধিনায়ক বাবর আজম ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।

শেষ দিনের ষষ্ঠ ওভারে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আগের দিন ২ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়া। ২৪ রানে বাবরকে থামান তিনি।

দলীয় ৭৯ রানে বাবর ফেরার পর উইকেটে ইমামের সঙ্গী হন প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ২০৮ রান করা সৌদ শাকিল। শ্রীলঙ্কার বোলারদের শক্ত হাতে সামলে পঞ্চম উইকেটে ৫৫ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান তারা।

শাকিলকে ৩০ রানে আউট করে জুটি ভাঙ্গেন লঙ্কান অফ-স্পিনার রমেশ মেন্ডিস। শাকিল যখন ফিরেন তখন জয় থেকে ৯ রান দূরে পাকিস্তান। এরপর উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদকেও ১ রানে জয়সুরিয়া শিকার করলে লড়াই অব্যাহত রাখে শ্রীলঙ্কা। ঐ সময় পাকিস্তানের দরকার ছিলো ৪ রান। ঐ ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে ছক্কা মেরে শ্রীলঙ্কার আশাকে ভেস্তে দিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন আগা সালমান।

টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন ইমাম। ৮৪ বল খেলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। ৬ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান। শ্রীলঙ্কার জয়সুরিয়া ৫৬ রানে ৪ উইকেট নেন।

এই নিয়ে গলে তৃতীয় জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান। এ ভেন্যুতে সফরকারী দল হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়লো পাকিস্তান। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ষষ্ঠ জয় পাকিস্তানের। শ্রীলঙ্কার মাটিতে সর্বোচ্চ টেস্ট জয়ে ইংল্যান্ডের রেকর্ড স্পর্শ করলো পাকিস্তান।

প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ২০৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রান করে ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানের শাকিল। আগামী ২৪ জুলাই থেকে কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে দুই দল।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ঠ সংঘর্ষে ২ জন আহত

পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজমিস্ত্রিদের মধ্যে সৃষ্ঠ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২ রাজমিস্ত্রি আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা চৌধুরীপাড়ার আবু তালেবের ছেলে সৌরভ হোসেন (২৫) ও গাংনী উপজেলার থানাপাড়া এলাকার আফুরদ্দিনের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০)।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে চৌগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, খাইরুল ইসলাম সৌরভ হোসেনের কাছে কিছু টাকা পাবেন। গতকাল বুধবার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বচসা হয়। আজকে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আবারও টাকা চাইতে যায়। টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। পরে সৃষ্ঠ সংঘর্ষে দুজনেই আহত হন।