খুনের ঘটনা চাপা দিতেই রেললাইনে লাশ, দু’ মাসে ২৫ মরদেহ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক
Currently 1.00/512345
গড় রেটিং: 1.0/5 (1 টি ভোট গৃহিত হয়েছে)

খুনের ঘটনা চাপা দিতেই রেললাইনে লাশ, দু’ মাসে ২৫ মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

গত দু’ মাসে শুধু পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে মিলেছে ২৫টি মরদেহ। রেললাইন ও এর আশপাশে মিলছে এসব লাশ। আবার বেশিরভাগ লাশই রেলের কাটার কারণে ক্ষত-বিক্ষত।

পথচারীদের অসচেতনতার কারণেই রেলে কাটার ঘটনা বাড়ছে বলে শীর্ষ কর্মকর্তারা দাবি করলেও ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন ভিন্ন কথা।

করোনা সংক্রমণের অচলাবস্থা কাটিয়ে সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে শুরু হয় রেল চলাচল। তাতেই উঠে আসছে রেললাইন কেন্দ্রিক মরদেহ পাওয়ার ভয়াবহ তথ্য। ওই মাসেই বিভিন্ন রুটে ৯টি মরদেহ পাওয়া গেলেও তার পরের মাস অর্থাৎ অক্টোবরে পাওয়া গেছে ১৬টি মরদেহ।
পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আমরা যে তথ্যগুলো পাচ্ছি সেটা সম্পূর্ণ তদন্ততাধীন, আমাদের জিআরপি পুলিশ তারা তদন্ত করেন। তো এখানে যদি অন্য কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তারা তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।’

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের গার্ড আবদুল্লাহ আল আমিন শামীম বলেন, ‘রেললাইনে কাটা পড়লে হয়তো তদন্তের বাইরে থাকবে সে বা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবে সে। এ কারণে বাইরে থেকে এনে রেললাইনেও ফেলে রাখতে পারে।’

পথচারীদের অসচেতনতার পাশাপাশি রেললাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে মোবাইলে কথা বলার কারণে রেলের নিচে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘মোবাইল নিয়ে রেললাইনে হাঁটতে থাকে তখন আর ওইদিকে খেয়াল থাকে না এ কারণেই কিন্তু রেললাইনে কাটা পড়ার সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের পুলিশ সুপার নওরোজ হাসান তালুকদার, ‘মাঠে-প্রান্তরে যে জায়গাগুলো সেখানে কে কখন রেললাইন পার হচ্ছে এই ব্যাপারগুলো তো আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।’

একমাত্র রেললাইনে নিচে কাটা পড়ে মারা যাওয়া ঘটনার তেমন অনুসন্ধান হয় না। ফলে রেললাইনে লাশ ফেলে দিয়ে রেলে কাটা পড়া বলে চালিয়ে দেওয়ার হার বাড়ছে বলে মনে করছেন রেল পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্টরা।

রেলওয়ের গার্ড শহীদুল ইসলাম রাশু বলেন, ‘বাইরে কোন ঘটনা ঘটছে হয়তো সেই লাশগুলো রেললাইনের পাশে এসে ফেললে সেটা সন্দেহের বাইরে থাকতে পারে। সে কারণে হয়তো এখানে এনে ফেলে রাখতে পারে।’

রেলওয়ের গার্ড ইমরুল কায়েস বলেন, ‘রেললাইনে যারা মাদক গ্রহণ করে তাদের মধ্যে অনেক সময় ঝগড়া হয়ে থাকলে সেটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অনেক সময় খুন করে রেললাইনে ফেলে রেখে যায়।’

গত দু’ মাসে রেল লাইনে পাওয়া লাশগুলোর মধ্যে তরুণের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। ৬ জন রয়েছেন ষাটোর্ধ বৃদ্ধ।

সূত্র- বিডি প্রতিদিন