দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ও র্যাব এর যৌথ অভিযানে ঢাকা আশুলিয়া থেকে ধর্ষণ মামলার পালাতক আসামি দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক সাজিদ হাসান কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোড় ৪ টার দিকে ঢাকা র্যাব-৪ এর সহযোগীতায় আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার শেষে তাকে দুপুরেই দামুড়হুদা মডেল থানায় আসামিকে হস্তান্তর করা হয়। মোঃ সাজিদ হাসান (৪০) দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত মদনা গ্রামের মোঃ ওহিদুজ্জামান এর ছেলে, বর্তমানে দামুড়হুদা গুলশানপাড়া (আত্মবিশ্বাস এনজিও’র বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া) এবং দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক। এঘটনায় ইতিপূর্বেই উক্ত শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
থানা সুত্রে জানাগেছে, বিগত ২০২০ খ্রিঃ সালে বাদী মোছাঃ সাবরিনা আক্তার শান্তনা দামুড়হুদা থানাধীন ‘দামুড়হুদা পাইলট গালস স্কুল এন্ড কলেজ’এ ৯ম শ্রেণীতে লেখা-পড়াকালীন সময় থেকে উক্ত আসামীর নিকট প্রাইভেট পড়ে আসছিল। বাদী ৯ম শ্রেণীতে লেখা-পড়াকালীন সময়ে উক্ত আসামী বাদীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় কিন্ত সে বাদীর শিক্ষক হওয়ায় এবং বাদীর থেকে বয়সে অনেক বড় হওয়ায় বাদী আসামীর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়না। পরবর্তীতে আসামী বিভিন্ন কৌশলে বাদীকে তার প্রেমের জালে ফাসাঁয় এবং বাদীকে বিয়ের প্রলোভন সহ বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাইয়া বাদীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
আসামী প্রায় তার প্রাইভেট পড়ানোর রুমে বাদীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতো। বিগত ২০২০ খ্রিঃ হতে অদ্যাবদি উল্লেখিত আসামী বাদীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাইয়া বহুবার ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ ঘটনার দিন গত ০১/০৩/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ বিকাল অনুমান সাড় ৪ টার দিকে দামুড়হুদা থানাধীন দামুড়হুদা গুলশানপাড়া গ্রামস্থ জনৈক কুতুব মাস্টারের বাড়ীর নিচতলা আসামীর ভাড়া নেওয়া প্রাইভেট পড়ানোর রুমের মধ্যে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করে মর্মে বাদী তাহার এজাহারে উল্লেখ করেন। সার্বিক তদন্তে ও ধৃত আসামী’কে জিজ্ঞাসাবাদে উল্লেখিত আসামী অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আছে মর্মে প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে।
এছাড়া তদন্তকালে আরও জানাযায় যে, ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রী এবং অভিভাবক যৌন নিপীড়ন এর লিখিত অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেছিলেন, যাহার একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধৃত আসামীকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় অর্থদন্ড প্রদান করেন এবং অন্যান্য অভিযোগ গুলি লিখিত ও মৌখিকভাবে সতর্ক করে। উক্ত আসামীকে নিয়ে শিক্ষক, ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে। দামুড়হুদা মডেল থানার মামলা নং—১৮, তাং—২৫/০৪/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা— ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)।
এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ঢাকা আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালই আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।