আধাঘন্টার কালবৈশাখী তাণ্ডবে তছনছ মেহেরপুরের আম-লিচু, উঠতি ফসলি জমি ও গাছপালা। রাত থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল পুরো জেলা। ঝরে পড়েছে আম-লিচু, কাঁঠাল। মাটির সাথে নুয়ে পড়েছে কলা ও ধানক্ষেত। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা চাষিদের।
শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে চলে ঝড়ের তাণ্ডব। আধাঘণ্টা পর ঝড়ের গতি কিছুটা কমলেও এর প্রভাব ছিল রাত ৯টা পর্যন্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের একটি দুই বিঘার কলাক্ষেত ঝড়ে মাটির সাথে নুয়ে পড়েছে। আর কয়েকদিন পরই কৃষক ফসল ঘরে তুলতেন। দুই বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় উঠতি ফসল ধান ও পেঁপের ক্ষতি হয়েছে। ১৫ মে থেকে আম-লিচু সংগ্রহ শুরু করেছেন বাগানিরা। গতকালের ঝড়ে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ আম-লিচু ঝরে পড়েছে বলে দাবি তাঁদের। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাঁদের।
এদিকে ঝড়ের তাণ্ডবে সন্ধ্যা থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মেহেরপুর শহরসহ পুরো জেলা। সকাল থেকে শহর এবং পর্যায়ক্রমে পল্লি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। জেলার কয়েক জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে সড়কের উপর। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মাঠপর্যায়ে জরিপ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ঝড়ে কৃষকদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। আজ বিকাল অথবা কালকের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে।