মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী মনোরমা মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান চালিয়েছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট গতকাল রবিবার বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২৭টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়। পরিবেশ অনূযায়ী বেশ কিছু বন্যপ্রাণী এখান থেকে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়। বাকিগুলো সাথে নিয়ে যায় অভিযানকারী দলটি।
উদ্ধারকৃত প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে, ২ টি হনুমান ২টি বানর, ৮টি কালেম, সজারু একটি, একটি অজগর, একটি হরিয়াল ৪ টি মুনিয়া, টিয়া একটি, একটি কচ্ছপ ও ৪ টি বালি হাঁস।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণি পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাদিক জানান, সারা দেশের চিড়িয়াখানা, রিসোর্ট ও মিনি পার্কে ধারবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। যেখানেই বণ্য প্রাণি পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় মুজিবনগরের মনোরমা মিনি চিড়য়াখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে ২৭ টি বণ্য প্রাণি উদ্ধার করা হয়।
সেগুলোর মধ্যে মেহেরপুরের পরিবেশ উপযোগী বানর, হুনুমান, কচ্ছপ, সাজারু, টিয়া, হরিয়াল, বালি হাঁস ও মুনিয়া পাখি অবমুক্ত করে দেওয়া হয়। বাকি অজগর ও কালিম পাখি সাথে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবেশ উপযোগী বাসস্থানে তাদেরকে অবমুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি, স্বপ্নপুরিসহ দেশের ৮ টি মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেখান থেকে ৭৬ টি বন্যপ্রাণি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বন্যপ্রাণির পাচারের সাথে কারা জড়িত তাদেরকেউ চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারা যতোবড়ই শক্তিশালী হোক আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি হুশিয়ারী দেন।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণি পরিদর্শক অসিম মল্লীকসহ ঢাকা ইউনিটের সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেয়।
তবে মনোরমা মিনি চিড়িয়াখানার মালিক তাহাজ উদ্দীন জানান, দেড় বছর আগে এ বণ্যপ্রাণি ও চিড়িয়াখানাটি অন্য মালিকের সাথে কিনেছিলেন। এখন এর লাইসেন্স সম্পর্কে কিছুই জানেনা। যে কাগজপত্রগুলো তারা দিয়েছেন সেগুলো যত্ন করে রেখে দিয়েছেন। সেগুলো দেখিয়েছি কিন্তু কেনা কাজ হয়নি।