মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পাঠানোর অভিযোগে একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তদন্ত কমিটি গঠণ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সে প্রতিবেদন আজ শনিবার জমা দেওয়া হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। গত ২৯ জুন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুপ্রভা রাণী মেহেরপুর সিভিল সার্জনের নির্দেশে এ কমিটি কমিটি গঠণ করেন।
হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) হাবিবুর রহমানকে সভাপতি করে ৩ সদস্যর কমিটি গঠণ করা হয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- জুনিয়র কনসালটেন্ট খোকন রেজা ও মেডিকেল অফিসার তাসমেরি খাইরুন নাহার। কমিটিকে চার কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, তদন্ত শেষ হয়েছে। আগামীকাল (আজ) শনিবার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদারকির অভাবে সরকারের বিনিয়োগের অপচয় হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, রোগীদের প্রায় ৯৮ ভাগ পরীক্ষায় এখানে না করে চিকিৎসকের পছন্দের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানো হয়। এসব কেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন পান বলে অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাসুদুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা. ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন চিকিৎসক নিয়মিত রোগীদের নিজেদের পছন্দের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান।
এমনকি একজন চিকিৎসকের দাবি, কিছু চিকিৎসক এমন সব পরীক্ষা লিখে দেন যেগুলোর প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র কমিশনের জন্য।ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট কিনুন সরেজমিনে দেখা গেছে, ডা. ফারুক হোসেন নিয়মিত রোগীদের ‘মোল্লা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ পাঠাচ্ছেন।
ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মীরা হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে রোগীদের সেখানে নেওয়ার কাজ করছেন। জানা যায়, ডা. ফারুক হোসেন অবসরে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত চেম্বার করেন।