
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স কাউন্টারের সামনে অযথা হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ পরিচয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকা দৈনিক জবাবদিহির সম্পাদক তার বাড়ীর কেয়ারটেকার মো: রাজিব। ভুক্তভোগী তার মেহেরপুরের বাড়ী থেকে কর্মস্থল ঢাকায় ফেরার পথে গত সোমবার রাতে ৯:৪০ এর সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
সম্পাদকের ব্যাগ গাড়িতে তোলার সময় পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তি রাজিবের কলার চেপে ধরে ব্যাগ চেক করার নাম করে গাড়ী থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করেন।
এসময় রাজিব বলেন আমার কলার ছাড়েন ব্যাগ চেক করেন। এসময় ধ্বস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে অনেক লোক জড়ো হয় এসময় সম্পাদক টিকেট নিয়ে গাড়ীর কাছে এসে ধ্বস্তাধ্বস্তি করতে দেখলে বলেন, আপনি আমার ব্যাগ চেক করলে এখানে করেন আড়ালে কেন নিবেন।
একথা বললে ঔ ব্যক্তি বলেন আপনি কে? অতঃপর সম্পাদক তার পরিচয় দেন এবং ঐ ব্যক্তির পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি প্রথমে বাসার কথা বললেও পরে বলেন আপনি এসপি সাহেবের সাথে কথা বলেন। তার আচরণে উপস্থিত যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আসলে তিনি আদৌ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোক বা পুলিশের সদস্য কিনা তা আর জানা যায়নি। এসময় ইউনিফর্মধারী এক পুলিশও তার পরিচয় জানতে চান।
তাকেও তখন ওই ব্যক্তি জানান তার পরিচয়পত্র বাসায় রেখে আসছেন। তখন গাড়ীতে ওঠার সময় ছবি তোলার সময় শুনতে পায় ঐ ব্যক্তি রাজিবকে শাসিয়ে বলেন, “তুই কি করে মেহেরপুরে থাকিস দেখে নেব। এক মাঘে শীত যায়না।”
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তল্লাশি করা ঐ ব্যক্তি মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারী।
তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
রাজিব চিহ্নিত মাদক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। ব্যাগ নিয়ে তার সন্দেহ জনক আচরণের কারণে তার ব্যাগ সার্চ করতে যায়। পরে জানতে পারি ওটা সম্পাদক সাহেবের ব্যাগ। জানার পরে আমি ছেড়ে দিই।
এছাড়া তিনি যে অভিযোগ করেছেন সেটা জাস্ট ভুল বুঝাবুঝি।