
কৃষকদের সম্পদ সাশ্রয়ী ও জৈব ব্যবস্থাপনার চাষাবাদ শেখাচ্ছে আরআরএফ এতে লাভবান হচ্ছে কৃষকএবং পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে অনেকটা।
ঝিনাইদহ ও যশোর জেলার ঝিনাইদহ সদর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও মহেশপুর এবং ঝিকরগাছা উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং ১২০০ ফুলচাষিদেরনিয়ে কাজ করছে আরআরএফ। ফুলচাষিদের সম্পদ সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ সম্মত চাষাবাদ করানোএই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। আরআরএফ ফুলচাষিদের ঋণদেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অনুদান প্রদান করছে।
যার মাধ্যমে চাষিরা চাষের সহায়ক হিসেবে বিভিন্নকার্যক্রম করছে। প্রকল্পের আওতায় ফুলচাষিদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ, বিনা মূল্যে দুইবার মাটিপরীক্ষা, পরিবেশ ক্লাব মিটিং, মৌখিক প্রশিক্ষণ, সর্বক্ষণিক কৃষিপরামর্শ প্রদান করার পাশাপাশিঅনুদান প্রদান করা হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ও মহারাজপুর ইউনিয়নেঅনুদানের মাধ্যমে চারটি সোলার অপারেটর এবং দুইটি মিনিপাওয়ার ট্রিলার প্রদান করা হয়েছে।এছাড়াও সাধারণ সহায়তার আওতায় প্রত্যেকটি ফুল চাষি জৈব ব্যবস্থাপনা, পানি ও শক্তি সাশ্রয়ীপ্রযুক্তি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনামূলক কাজ করছে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যামোকাবিলায় এবং ফুলচাষিদের জৈব ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদ করাতে আরআরএফ স্মার্ট প্রকল্প করছে।ফুলচাষি মোঃ নজরুল ইসলামবলেন, আমি দীর্ঘদিন গাঁদা, গোলাপ ও জারবেরাসহ বিভিন্ন ফুলচাষ করি, আরআরএফ স্মার্টপ্রকল্প থেকে একটি মিনিপাওয়ার ট্রিলার পেয়েছি যার মাধ্যমে জমিচাষে আমার শ্রমিক খরচ কমেগেছে, অল্পসময়ে অধিক চাষাবাদ করতে পারছি এবং লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরেক ফুলচাষি সুব্রত বিশ্বাসবলেন, স্মার্ট প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মিনি পাওয়ার ট্রিলার ও কেচো কম্পোস্ট সারকরছি। যার মাধ্যমে চাষবাদে খরচ কমেছে এবং আমি লাভবান হচ্ছি। সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী শামীমহোসেন বলেন, স্মার্ট প্রকল্প থেকে আমি একটি সোলার প্রযুক্তি পেয়েছি যার মাধ্যমে আমার বিদ্যুৎকরচ খুবই কম হচ্ছে, আমার একটি বৃহৎ খরচ সাশ্রয় হচ্ছে।
র্স্মাট প্রকল্পের এনভায়রনমেন্টএন্ড আরইসিপি অফিসার বাপ্পী অধিকারী বলেন, ফুলচাষিদের নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেতাঁর সামগ্রিক চাষাবাদের খরচ কমিয়ে লাভবান করা ও পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিগত চাষাবাদকরানো প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। আরআরএফ’র জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও প্রকল্পের ফোকালপার্রসনকৃষিবিদ ড. অসিত বরণ মন্ডল বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ও পিকেএসএফ সহায়তায় আরআরএফ ধারাবাহিক ভাবেফুলচাষিদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প ও টিস্যু কালচার ল্যাবের মাধ্যমে বিভিন্ন সহায়তা করছে,যা আগামীতে অব্যাহত থাকবে।