
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন। মেহেরপুরে এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৭ জন শিশু-কিশোরকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে বলে একটি প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. আবু সাইদ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে মেহেরপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ প্রেস কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
সিভিল সার্জন বলেন, ২০২১ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ওই বছরে ৪ লাখ ৭৮ হাজার জন টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিলো।
যার মধ্যে মারা গিয়েছিলো ৮ হাজার জন। যার ৬৮ শতাংশ ছিলো শিশু। যে কারণে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের শিশুকে আমরা এ টিকার আওয়তা নিয়ে টাইফয়েড প্রতিরোধে কাজ করতে যাচ্ছি। এ টিকা দেওয়ার ফলে প্রতিটি শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। এ রোগে মৃত্যুহার কমে যাবে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, টাইফয়েড ব্যকটেরিয়া জনিত সংক্রামক রোগ। এ জ্বরে আক্রান্ত হলে আর্থিক ক্ষতি, দীর্ঘমেয়াদী শারিরীক জটিলতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
প্রেস কনফারেন্সে অন্যদের মথ্যে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোযাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি ও মেহেরপুর প্রতিদিন-এর সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, চ্যানেল ২৪-এর জেলা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি বেন ইয়ামিন মুক্ত এবং বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন প্রমুখ। প্রেস কনফারেন্সে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইনজামাম-উল-হক।
তিনি বলেন, আমরা জেলায় ১লাখ ৬৮ হাজার ২৯৭ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদান করার লক্ষ্যেমাত্রা নির্ধারণ করেছি। যার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৯ এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ৫২ হাজার ৪১৮ জন । আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৩৬ শতাংশ রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। আপনারাসহ সমাজের অংশীজনদের সহায়তায় শতভাগ রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা প্রদান সম্পন্ন করতে চাই। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক-শিক্ষকসহ সমাজের সকল স্তরের মানুসের সহযোগীতার আহবান করেন তিনি।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এ ভ্যকসিন দিতে অনলাইনে শিশুর জন্ম সনদ দিয়ে রেজিষ্ট্রশন করতে হবে।