
দুস্থ ও অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে গ্রামে গ্রামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামে দিনব্যাপী মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধণ করেন তিনি। এর আগে গত কয়েক সপ্তাহে তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী, রাইপুর, শ্যামপুরসহ কয়েকটি গ্রামের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের মাধ্যমে দুস্থ মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রাথমিক প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন।
কুষ্টিয়া ল্যাব কেয়ারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ক্যাম্পে ১০ থেকৈ ১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিটি মেডিক্যাল ক্যাম্পে প্রায় ২ শতাধিকের বেশি সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেন। একই সঙ্গে প্রাথমিক ও প্রয়োজনীয় ওষুধও বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
চিকিৎসা নিতে আসা শোলমারীর গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ পারভিনা খাতুন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, কিন্তু আর্থিক কষ্টের কারণে ডাক্তারের কাছে যেতে পারিনি। আজ এখানে এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছি, ওষুধও দিয়েছে। এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাই।
চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল গফুর জানান, সারাদিন রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই, ডাক্তার দেখানোর মত টাকা গোছাতে পরিনি। যেকারণে ডাক্তার দেখানোর সুযোগ হয় না। আজ বিনা পয়সায় ডাক্তার দেখাতে পারছি, খুব ভালো লাগছে।
মোছাঃ তাহমিনা নামের এক কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন, এমন ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প হলে গরিব মানুষদের অনেক উপকার হয়। ডাক্তাররা মনোযোগ দিয়ে দেখছেন, প্রয়োজনীয় ওষুধও দিচ্ছেন।
মেডিকেল ক্যাম্পের প্রধান সমন্বয়ক ও ল্যাব কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সজিবুল হক জানান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানের উদ্যোগে এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি নিয়মিতভাবে শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অসহায় মানুষের জন্য এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবির অন্যতম লক্ষ্য হলো জনগণের মৌলিক অধিকার ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যেই আমরা নিয়মিত সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে জেলা বিএনপি কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় শোলমারী গ্রামের দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আনছারুল হক, সাবেক সহসভাপতি আলমগীর খান সাতু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুমানা আহমেদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।