
মেহেরপুরের মুজিবনগর ুউপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদে সদস্যদের নিয়ে মিটিং চলাকালে পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) ওমর ফারুকের ঘুষিতে ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) আব্দুর রকিব রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
মেম্বার ওমর ফারুকের আঘাতে আব্দুর রকিবের নাকের হাড় ভেঙে যায় এবং কিছুদিন আগে বাম চোখে লাগানোর লেন্স ভেঙে বাম চোখ রক্তাক্ত যখন হয়।
রবিবার বেলা ১২ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের রুমে মিটিং চলা কালিন এ ঘটনা ঘটে।
রক্তাত্ব অবস্থায় আব্দুর রকিব কে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সহকর্মী সহ তার আত্মীয়-স্বজনরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
উপস্থিত অন্যান্য ইউপি সদস্যরা জানান, আকস্মিক ঘুষি দিয়েই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত মেম্বর ওমর ফারুক।
জানা গেছে, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা (ওয়ার্ড মেম্বর) পরিষদের বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা বন্টন নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় ০৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রিপন হোসেনের সাথে বন্টন নিয়ে কথা বলার সময় হঠাৎ ভাগ বন্টন নিয়ে তোর এত মাথাব্যথা কেন বলে অযাচিত ভাবে সবার সামনে ০৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ওমর আলী অতর্কিত আঘাত করে। এতে আব্দুর রকিব মেম্বরের নাক ফেটে রক্ত বের হতে তাকে। দ্রুত তাকে নেওয়া হয় মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে। খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চোখ ও নাকে আঘাত গুরুতর হওয়ায় মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাকে রেফার করে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুর রকিবের সাথে কথা বলে জানা গেছে ওমর মেম্বারের এর সাথে কোনরূপ কোন তর্ক বা বিতর্ক হয়নি হঠাৎ এসে এই আক্রমণ করেছে তার ওপর। হাতে থাকা মোবাইল ফোন ও প্যান্টের পকেটে থাকা প্রায় ৮ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।
বিরোধের বিষয়ে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, সবার সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে যা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন সরকারি মিটিং চলাকালীন সময়ে এই ঘটনায় ওমর মেম্বার এর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, ঘটনাটি শোনার পরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।