
মেহেরপুরের গাংনীর কাথুলি ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন। গতকাল সোমবার বিকেলে নওয়াপাড়া গ্রামে এ গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমার ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে। কিন্তু আমার কোনো ভুলভ্রান্তি মনে রেখে ধানের শীষকে ভুলে গেলে চলবে না। ধানের শীষ প্রতীক মেহনতী মানুষের প্রতীক। ধানের শীষ মানে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। এই ধানের শীষের প্রতীককে রক্ষা করতে গিয়ে আপনারা গত ১৬ বছর বিভিন্ন সময়ে জেল জুলুম হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধানের শীষকে বিজয়ী করলেই মানুষের মুক্তি মিলবে, দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। তাই সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীককে ভোট দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান মাস্টার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, আমজাদ হোসেন একজন সৎ ও যোগ্য নেতা। ২০০৮ সালে এমপি থাকাকালীন সময়ে তাকে নানা নির্যাতন, জেল, জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। এসব বিবেচনায় কেন্দ্র তাকে এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। যেকোনো মূল্যে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এই আসনটি উপহার দিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান, কাথুলি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, গাংনী পৌর জাসাসের সদস্য সচিব সুলেরী আলভি, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুর রহমান বুলবুল, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মফিজুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি রেজওয়ান হক ইমন, গাংনী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সহ সভাপতি সোহেল রানা, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক সেবকদলের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল হাসান শাওন, কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হুসাইন সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এই গণসংযোগে স্থানীয়দের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে প্রার্থী ভোটারদের কাছে তার মনোনয়ন ও নির্বাচনী পরিকল্পনা তুলে ধরেন।


