
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কুঞ্জনগর গ্রামের রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা বারবার গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীকে অবহিত করেও কোনো লাভ হয়নি। বরং অভিযোগকারীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান।
গাংনী উপজেলার হুদাপাড়া কুঞ্জনগর বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে মিনাপাড়া হাই স্কুলের মোড় পর্যন্ত ৬৬০ মিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য ৩৫ লক্ষ ৩ হাজার ৬৭ টাকা বরাদ্দকৃত অর্থে কাজ করছেন মেসার্স মোকলেস ট্রেডার্স এন্টারপ্রাইজ। বর্তমান কাজ বাস্তবায়ন করছে বামুন্দি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সোহাগ ট্রেডার্স।
সরকারিভাবে ১ নম্বর ইটের খোয়া ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও সেখানে ইটভাটার পরিত্যক্ত ৩ নম্বর ইটের রাবিশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।
গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান গাংনীতে যোগদানের পর থেকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এছাড়াও গাংনী উপসহকারী প্রকৌশলী ইমরান হাসানের ওপর রাস্তাটি দেখভালের দায়িত্ব থাকলেও তিনি রাস্তার সাইটে দায়িত্ব পালন করেননি। ঠিকাদার ইচ্ছামতো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাটি নির্মাণে সবই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয়রা এমন অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সোহাগ জানান, সব ঠিকঠাক আছে। আমরা কাজ করছি, কারও কিছু করার থাকলে করুক।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান জানান, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী অপসারণ করা হবে এবং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, রাস্তাটি দেখভালের জন্য উপসহকারী প্রকৌশলী ইমরান হাসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি রাস্তার সাইটে যাননি বলে জানান।


