মুজিবনগরের আমন মৌসুমের শেষে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। ইতিমধ্যে মাঠের অধিকাংশ ধান ঘরে উঠলেও বাকি ধান ঘরে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করছে কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ে চাষিরা পাকা ধান কেটে জমির মাঝখানে উঁচু জায়গায় পালা দিয়ে রেখেছে, কেউ কেউ আবার যন্ত্রচালিত ট্রলিতে করে ধান বাড়িতে নিয়ে আসছে। আবার কোন কোন কৃষক জমিতে ধান মাড়াই করে ঘরে নিয়ে আসছে।
মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবারের আমন মৌসুমে ৮ প্রজাতির উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ করেছে উপজেলার কৃষকরা। কৃষি অফিস আরো জানান শেষ হওয়া আমন মৌসুমে উপজেলার ৩০৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল হেক্টরপ্রতি ৪.২ মেট্রিক টন করে ধান। শেষ হওয়া আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে।
আমন মৌসুমে ধানের উৎপাদন সম্পর্কে, উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান জানান, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে খাদ্য ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা, উচ্চ ফলনশীল ধান সহ বিভিন্ন ফসল চাষের উপরে প্রশিক্ষণ সহ বিনামূল্যে বীজ সার প্রদান করছেন। তারই ফলশ্রুতিতে মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিস ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের আমন মৌসুমে আমরা লক্ষ্য মাত্রা ছাড়া বেশি ধান উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন কি ভাবে আরো বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস।