গাংনীর বাসির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের স্বপ্ন পুরুণে মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন জাতীয় সংসদে বার বার দাবী জানিয়ে আসছিলেন। এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের দাবীর প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের দিকে যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয় গাংনী উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম অনুমোদন দিয়ে তিন একর খাস জমি নির্ধারণের নির্দেশ দেন।তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণু পদ পাল গাংনী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তি কাজীপুর ফুটবল মাঠটি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম করার লক্ষে স্থান নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন।
সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত সময়ে ডিসি সম্মেলনে মেহেরপুরের উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্যে সঠিকভাবে যায়গা নির্ধারণের জন্য তাগিদ দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এর আগে জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য সাহারবাপি ফুটবল মাঠকে নির্ধারণ করে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারী)দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি টীম গাংনী উপজেলা শহর থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দুরে সাহারবাটি ফুটবল মাঠকে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামকে প্রস্তাবনা রেখে পরিদর্শন করেছেন।সাহারবাটি ফুটবল মাঠটিকে স্টেডিয়ামের জন্য চুড়ান্তভাবে মনোনীত করে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে জানান গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম।
এদিকে সরকার ঘোষিত গাংনী উপজেলায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলা টিটিসি কেন্দ্র তৈরীর জন্যও জমি বাছাই কার্যক্রমের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণের জন্য পৌর শহরের বাঁশবাড়িয়া পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির সামনে যায়গা অধিগ্রহণের জন্য যাছাই করা হয়।
এছাড়া গাংনী উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় তৃতীয় পর্যায়ের মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধান মন্ত্রীর উপহার ৩১ ঘরের মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীণ ১৭ টি ঘরের নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারী)মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি টীম এসব প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)লিঙ্কন বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম, গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল আলমসহ আরো অনেকে।