ছেলে ও পুত্রবধুর অত্যাচারে বৃদ্ধ মা, মোটরসাইকেল না পেয়ে কিশোর ও পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই গৃবধু বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন।
গাংনী উপজেলার পৃথক ৪ গ্রামে বুধবার (৩১ আগষ্ট) সকাল থেকে রাত আটটার মধ্যে বিষপানের এঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে বৃদ্ধা রমেছা খাতুন (৬৫) এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কৃুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকী তিনজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গাংনী উপেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি কারিগর পাড়া এলাকার নবী ছদ্দিনের স্ত্রী রমেছা খাতুন তার একমাত্র ছেলে বাকিরুল ও তার স্ত্রী সালমা খাতুনের হাতে শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে বিষপান করেন।
রমেছা খাতুনের ভাই আরজ আলী ও রমেছার প্রতিবেশীরা জানান, রমেছার ছেলে বাকিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন তুচ্ছ ঘটনায় মাঝে মধ্যেই মাতা রমেছা খাতুনকে মারধর করে। বুধবার দিবাগত রাতে সামান্য ঝগড়া ফ্যাসাদকে কেন্দ্র করে ছেলে ও পুত্রবধু রমেছাকে বেদম মারধর করে। পুত্রবধু ও ছেলের মারধর সহ্য করতে না পেরে নিজ ঘরে বিষপান করেন। এদিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে এউপজেলার আড়পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী পিঞ্জিরা খাতুন (২৮) রবিবার বিকাল পৌণে পাঁচটার দিকে বিষপান করেন। তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।এছড়া একই উপজেলার বাওট গ্রামের রাসেদুল ইসলামের স্ত্রী রেখা খাতুন (২৫) বিষপান করেন। স্বামী স্ত্রীর মধ্যেকার ঝগড়ার কারনে রেখা বিষপান করে বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে।
এদিকে, মোটরসাইকেল পছন্দ না হওয়ায় সুজুকি মোটরসাইকেল দাবি করে বাবার কাছে। তার দাবি পুরুণ না হওয়ায় জুলফিকার আলী ভূট্ট (১৭) নামের কিশোর বিষপান করেন। গাংনী উপজেলার বাথানপাড়া এলাকায় এ বিষপানের ঘটনা ঘটে।