চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১২টার সময় চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারে মুরগি, তরমুজ, ফলমুল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের অপরাধে ০৭ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয় কর্তৃক সদর উপজেলার বড়বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারে অবস্থিত মুরগির বাজারে তদারকিকালে মেসার্স নিউ ব্রয়লার হাউস নামক প্রতিষ্ঠানে মুরগির ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা, অধিক মুনাফায় মুরগি বিক্রয় ও মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: সাইফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ১,০০০/- টাকা, মেসার্স হাসান ব্রয়লার কর্নার এর মালিক মোঃ মজনু মিয়াকে একই অপরাধে ও ধারায় ১,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মুদি দোকান মেসার্স কাউছার স্টোর এর মালিক মো: কাউছার আলীকে দোকানে তেল চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২,০০০/- টাকা এবং মেসার্স কৃষি বাণিজ্যালয় এর মালিক মো: শহিদুল হককে মুল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৪৫ ধারায় ৫০০/- টাকা, মেসার্স রাজধানী ভান্ডার এর মালিক মো: রবিউল হককে একই অপরাধ ও ধারায় ১,০০০/- টাকা, মেসার্স অর্জুন স্টোরের মালিক শ্রী অর্জুন সাহাকে পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ১,০০০/- টাকা, চৌরাস্তা মোড়ে মেসার্স হামিদ ফল ভান্ডারের মালিক মো: আব্দুল হামিদকে তরমুজের ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করে অধিক মুনাফায় তরমুজ বিক্রয় ও ফলের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয় এবং সবাইকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে নির্দেশনা দেয়া হয়। অভিযানে ০৭টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮,৫০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।
জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।