শীতের আমেজে জমজমাট মেহেরপুরের ফুটপাতে পিঠার দোকান

শীতের আমেজ অনুভূত হতেই মেহেরপুর শহরজুড়ে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। শহরের বিভিন্ন মোড়, বাজার ও জনসমাগমস্থলে বসেছে পিঠাপুলির অস্থায়ী দোকান। স্বাদে অনন্য এসব পিঠা খেতে প্রতিদিন ভিড় করছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ঋতুচক্র অনুযায়ী পৌষ-মাঘ শীতকাল হলেও মেহেরপুরে শীতের অনুভূতি চলে আসে কার্তিকের শেষ দিক থেকেই। ঠান্ডা হাওয়া বইতেই শহরের পথে পথে শীতের পিঠার ঘ্রাণ জানান দিচ্ছে মৌসুমের আগমন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেহেরপুর শহরের গড়পুকুর, কলেজ মোড়, পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে, নতুনপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে বসেছে পিঠার দোকান। দুপুর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্রেতারা দোকান সাজিয়ে ফেলেন। সন্ধ্যার পর এসব দোকানে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। ক্ষুধার্তদের পাশাপাশি শখ করেও অনেককে দেখা যায় পিঠার স্বাদ নিতে।

পাটিসাপটা, ধুপি, চিতই সবচেয়ে বেশি চাহিদা এসবের। চালের গুঁড়া, খেজুরের গুড় ও নারিকেল দিয়ে তৈরি ধুপি গরম গরম চুলা থেকে নামিয়ে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন দোকানিরা। চিতই পিঠার সঙ্গে পরিবেশন করা হচ্ছে, ঝাল ভর্তা, সরিষা বাটা, শুঁটকি ভর্তা ও বিভিন্ন উপকরণ।

গড়পুকুর এলাকার ধুপি বিক্রেতা সম্রাট ইসলাম বলেন, সারা বছর চপ পেঁয়াজি বিক্রি করি। তবে শীত এলেই পিঠার চাহিদা বেড়ে যায়। চাকরিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী সকলেই পিঠা খেতে আসেন। অনেকে আবার বাসায় নিয়েও যান।

তিনি জানান, বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ধুপি বিক্রি করে দিনে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা লাভ থাকে, যা দিয়ে এখন তার সংসার চলে।

পিঠা বিক্রেতা জামাল উদ্দিন বাবু বলেন, আগেরবার বাইরে আয়োজন করে দারুণ ব্যবসা হয়েছিল। এবার গড়ে আয়োজন করছি বলে তুলনামূলক কম হচ্ছে, তবে পায়েশ, সুজি ডিমের পিঠা, সরু পিঠা আর পাটিসাপটার স্বাদ ও মান আগের মতোই চমৎকার। ধীরে ধীরে মানুষ জানলে এবং স্বাদ পেলে আবার আগের মতোই ভালো ব্যবসা হবে।

ক্রেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, একসময় শীতে বাড়ি বাড়ি পিঠা তৈরির ধুম ছিল। ভাপা, চিতই, রসের পিঠা নানা রকম পিঠা বানানো হতো। সময়ের সাথে সেই প্রচলন অনেকটাই কমে গেলেও এখন ফুটপাথের পিঠা আবার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই সন্ধ্যা নামলেই পিঠার দোকানে ভিড় লেগে থাকে।

ক্রেতা মিলন হোসেন বলেন, ছেলে-মেয়েদের জন্য পিঠা নিয়ে যাচ্ছি। শীতের এসব পিঠা তারা খুব পছন্দ করে। তাই পিঠা নিয়ে যাচ্ছি ওরাও খাবে, আমরাও খাবো।

শীতের আগমনে মেহেরপুরের পথঘাটে পিঠার ঘ্রাণ ও ভিড় যেন শহরবাসীর মৌসুমী আনন্দকে আরও রঙিন করে তুলেছে।




মেহেরপুরে ২৬ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা রকেটের ডিএসআর

মেহেরপুরে ২৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে লাপাত্তা হয়েছেন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের ডিএসআর আইয়ুব আলী (২৫)। এ ঘটনায় মেহেরপুর রকেট ডিস্ট্রিবিউটরের হাউজ ম্যানেজার আব্দুল হাবিব বাদি হয়ে মেহেরপুর সদর থানায়িএকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আইয়ুব আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।

তবে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন রকেট ডিস্ট্রিবিউটর আশাদুজ্জামান সেলিম। তবে পুলিশ বলছে, আমরা সাইবার টিমের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছি।

অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, আইয়ুব আলী প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৪ নভেম্বর সোমবার সকালে মেহেরপুরে রকেট ডিস্ট্রিবিউটের স্টেডিয়ামাপাড়াস্থ অফিসে হাজিরা দেন। অফিসের কাজ শেষ করে তিনি ফিল্ডে যান। বিকাল ৫টার পর অফিসে ফিরে হিসেব দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আর অফিসে ফিরে যাননি। অফিসে ফিরে না আসায় তার মোবাইল ফোনে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার বাড়িতে যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে বিভিন্ন রিটেইলার ও এসআরদের নিকট থেকে সারাদিনে ২৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছেন।

অভিযোগকারী আরও জানান, ওই টাকা আত্মসাতের লক্ষ্যেই ডিএসআর আইয়ুব আলী নিজেকে আত্মগোপন করেছেন।

রকেটে ডিস্ট্রিবিউটর মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক আশাদুজ্জামান সেলিম বলেন, এ ঘটনায় আমরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি। তবে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেছবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর সাইবার টিমের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি আগামীকাল (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে স্পস্ট ধারণা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।




আলমডাঙ্গার ইটভাটা মালিকদের আতঙ্ক, অধিকাংশ ইটভাটার নেই বৈধ অনুমোদন

আলমডাঙ্গা ইটভাটা মালিকেরা উচ্ছেদ অভিযান ও আর্থিক ক্ষতির ভয়ে আতঙ্কে দিন যাপন করছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চারটি ইটভাটা উচ্ছেদ হওয়ার দৃশ্য দেখার পর আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাটা মালিক ও দিন মজুর শ্রমিকরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। অধিকাংশ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন বৈধ অনুমোদন না থাকায় এই আতঙ্কের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৮৩টি ইটভাটা রয়েছে, যার মধ্যে আলমডাঙ্গা বৃহত্তর উপজেলায় ২০টি ইটভাটা অবস্থিত। প্রতিটি ইটভাটায় গড়ে ৩০০ শ্রমিক, গাড়ি চালকসহ লেবার ও ব্যবসায়ীদের সাথে মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত।

ইটভাটার প্রস্তুতি, অবকাঠামো, কাঁচামাল সংগ্রহ এবং জ্বালানি ব্যবহারের বিষয়গুলো ২০১৩ সালের আইন ও ২০১৯ সালের সংস্কার অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত। ২০২২ সালে সংযোজন করা হয়েছে, যদি কোনো ইটভাটা ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে থাকে, তবে তার অনুমোদন বাতিল করা হবে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর ইট পোড়াতে গাছের খড়ির পরিবর্তে কয়লা ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

আলমডাঙ্গার ২০ জন ইটভাটা মালিক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। আলমডাঙ্গা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আসিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই মরসুমে ইটভাটায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছি। যদি ইটভাটা বন্ধ বা উচ্ছেদ করা হয়, তাহলে আমি ও আমার শ্রমিকরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ব।




জীবননগরে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জীবননগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: আল-আমীনের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বাড়ির কাছে গ্রাম আদালত, কেন হাঁটিব দূরের পথ। তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ গ্রাম আদালতে আবেদন করে কোনো উকিল নিয়োগ বা ঝামেলা ছাড়াই আইনের সেবা পেতে পারে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি হলে নতুন বিরোধ সৃষ্টি হয় না। আইনের সেবা প্রদানে চেয়ারম্যানদের আরও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ থাকতে হবে এবং উচ্চ আদালতের মামলা জট কমাতে নিয়মিত গ্রাম আদালত পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া তিনি ইউপি চেয়ারম্যানদের পরামর্শ দেন, গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত মামলা দ্রুত এবং সচেতনভাবে নিস্পত্তি করতে।

প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী শিশির চৌকিদারের সঞ্চলনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব ও সমাজসেবা কর্মকর্তা জাকির উদ্দিন মোড়ল, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) আতিয়ার রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো: তাজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান/প্রশাসক, গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।




দামুড়হুদায় দুই মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

দামুড়হুদার সুবলপুর গ্রামের মাঠে ফসলি জমি ধ্বংস করে মাটি বিক্রির অপরাধে দুই মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কৃষি জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার অপরাধে মাটি ব্যবসায়ী গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মফিজুল হকের ছেলে রিপন ও সুবলপুর গ্রামের আবু বক্করের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুর গ্রামের কেসমতপুর মাঠে অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুইজনকে আটক করা হয়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে অভিযুক্ত দুই মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পরবর্তীতে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজের সময় সহায়তা করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার একটি পুলিশ দল।




বসুন্ধরা শুভসংঘের ঝিনাইদহ জেলা কমিটি গঠন

শুভ কাজে সবার পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ’র ঝিনাইদহ জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।  গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে সমাজকর্মী রেজাউল ইসলামকে সভাপতি ও কেয়া রানী প্রামাণিককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি সাহানুর আলম, কেএম সালেহ, সরস্বতী সাহা, তাপস কুমার কুণ্ডু; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, সাগর আহমেদ ও শোভন সাহা সবুজ; সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান রুবেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আল-নাহিয়ান, নারী বিষয়ক সম্পাদক ডা. রুমানা খাতুন, ইভেন্ট সম্পাদক জাহান লিমন, কর্ম ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মো. রানা আহমেদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক বৃষ্টি শর্মা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আসমাউল হুসাইন চঞ্চল, ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুজ্জামান তাজু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাহিদ বিশ্বাস এবং কার্যকরী সদস্য অনুপম কুমার, খালিদ হাসান ও এখলাস হোসেন।

সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক অরিত্র কুণ্ডু, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. লিমন পারভেজ, কাঞ্চননগর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, ফজর আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জয়া রানী চন্দ, জেলা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি আব্দুল মতিন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিউটন বাইন।

উল্লেখ্য, বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের একটি সামাজিক সংগঠন। এটি শীতবস্ত্র বিতরণ, দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার ও খাবার বিতরণ, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বিনামূল্যে গাছ বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী, পথ শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থাসহ নানা সামাজিক ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।




রাজশাহী থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১ আহত ৩

রাজশাহী মেডিকেলে রক্ত দিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ান রোগীকে রক্তদান শেষে ফেরার পথে নাটোরের বনপাড়া হাইওয়ে থানার অদূরে একটি গাছের সঙ্গে মাইক্রোবাসটি ধাক্কা খায়। ঘটনাস্থলেই খন্দকার আজাদ হোসেন (৫০) মৃত্যুবরণ করেন।

নিহত খন্দকার আজাদ হোসেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের ঘোষবিলা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। তিনি পেশায় একজন চায়ের দোকানদার ছিলেন।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন ঘোষবিলা গ্রামের মৃত আসমান আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম এবং গাড়িচালক শীলন ইসলাম, তিনি আব্দুল খালেকের ছেলে।

খন্দকার আজাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঘোষবিলা গ্রামের কবরস্থানে নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।




মেহেরপুরে ধানের শীষের পক্ষে মিছিল ও লিফলেট বিতরণ

মেহেরপুরে পৌর যুবদলের উদ্যোগে ধানের শীষের পক্ষে মিছিল ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মোড় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাঁথুলী রোডে গিয়ে শেষ হয়।

কর্মসূচিতে যুবদলের নেতাকর্মীরা ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দেন এবং আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। মিছিল শেষে সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট বিতরণ করে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ও দলীয় অবস্থান সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সমিউল ইসলাম লিজন ও সদস্য সচিব নওশেল আহমেদ রনির নেতৃত্বে মিছিলে জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, শিমুল বিশ্বাস, সুরুজ বাবু, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ হাসান সুমন, সদস্য মফিজুল, লালন, জুয়েল রানা, সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তামীম এবং জেলা জাতীয়তাবাদী সাইবার দলের সভাপতি মিলন আলীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় ৪টি ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো পরিবেশ অধিদপ্তর

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে চাঁরটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্বাবধানে খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মমতাজ বেগম অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার রাইসা ব্রিকস ইটভাটা, বর্ষা ব্রিকস ইটভাটা, চিৎলার হিরো ব্রিকস ইটভাটা ও দেশ ব্রিকস ইটভাটা এ অভিযান চালায় চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদপ্তর। এসব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র সহ কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় এসব ইটভাটার ইটের গাধুনির ফিক্সর্ড চিমনি ভেঙ্গে দেওয়া হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাইম হোসেন।পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মমতাজ বেগম।

চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ভাটার মালিকগন ভাটার বৈধ কেন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) অনুযায়ী ৪টি ইটভাটা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযান অব্যহত থাকবে বলে ও তিনি জানান।

অভিযানে সহযোগিতা করেন, সেনাবাহিনীর টিম, র‍্যাব-১২ মেহেরপুর-গাংনী ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল ওয়াহিদ, চুয়াডাঙ্গা পুলিশের একটি দল, আনসার ও চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।




মেহেরপুরে তেল ফসলের আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল বিষয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ

মেহেরপুর সদর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের উদ্যোগে তেল ফসলের আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মেহেরপুর কার্যালয়ে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (আইন) আবু হেনা মোঃ মুস্তাফা কামাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সনজীব মৃধা।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন মেহেরপুর সদরে বারি’র কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মতিয়ার রহমান।

প্রশিক্ষণে তেল ফসলের আধুনিক চাষাবাদ, ফলন বৃদ্ধির প্রযুক্তি, কীটব্যবস্থাপনা এবং কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কৃষকদের অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং তারা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানটি অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন করেছে মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।