চুয়াডাঙ্গায় নামাজরত অবস্থায় ছেলের হাতে পিতা খুন

চুয়াডাঙ্গা সদরে ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পিতার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। অভিযুক্ত পুত্রকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়ায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দোদুল হোসেন (৫৩) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার মৃত কাজী আফাজ উদ্দিনের ছেলে ও ইতালি প্রবাসী ছিলেন ।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদুজ্জামান খালেদুর রহমান জানান, দোদুল হোসেন তার পুত্রকে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে নিষেধ করেন। ছেলে রিফাত এর কাছ থেকে পিতা তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়।

এতে রিফাত ক্ষিপ্ত হয়ে পিতা নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় পিছন দিক থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত ছেলে রিফাতকে পুলিশ আটক করেছে। এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তারেক জুনায়েত বলেন, আহত ব্যক্তির শরীরে চিহ্ন ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।




কোটচাঁদপুরে ৫ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলো বিএনপি

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে গত ১৯ শে মার্চ পৌর শহরে ২ নম্বর ওয়ার্ডে চুলার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া ৫ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

আজ শনিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। নগদ অর্থ প্রদান করেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল।

সে সময় উপস্হিত ছিল, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, পৌর বিএনপির সভাপতি এস.কে.এম সালাহ উদ্দীন বুলবুল সিডল, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা জুলফিকার আলী রাজা, উপজেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ভাুইয়া, পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা টিপু,

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আশারাফুজ্জামান খান মুকুল, সদস্য সচিব মাহফুজ আলম মামুন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সিদ্দিক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ তুফান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শান্ত, পৌর ছাত্র দলের সদস্য সচিব ফজলে রাব্বি প্রমূখ।

এসময় বিএনপি সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরা হলো না প্রবাস ফেরৎ যুবকের

বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত আলগামনের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাগর মিয়া (২৪) নামের এক সৌদি প্রবাস ফেরত এক যুবক হয়েছেন।

আজ শনিবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী-কাথুলি সড়কের চৌগাছা এতিম খানার সামনে এই সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত সাগর মিয়া গাংনী উপজেলার (কুঠি) ভাটপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত সাগর মিয়া গাংনী বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে ভাটপাড়াতে ফিরছিলেন। চৌগাছা এতিমখানার অদুরে নাবিল ফার্নিচারের কাছে একটি পাখিভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা আলগামনের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে সাগর মিয়া রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে মারাত্বক আহত হন। তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাগর মিয়া বিয়ে করার উদ্যেশ্যে গত ৪ দিন আগে ২ মাসের ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। ঈদের পরের দিন গাংনী উপজেলার রাজনগর গ্রামে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আজ বিকালে তিনি গাংনী বাজারে নিজের বিয়ের কিছু বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।




দর্শনায় নির্মমভাবে মেছো বিড়াল হত্যা, একজন গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামে নির্মমভাবে মেছো বিড়াল হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তবে বাকি দুইজন এখনো পলাতক রয়েছে।

তিন যুবক মিলে ট্যাটা (ফালা) দিয়ে আঘাত করে বন্যপ্রাণীটি হত্যা করে, যা মোবাইলে ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টার সময় কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামে মানিকদোয়া রাস্তার পাশে মোঃ আলমগীর হোসেন (৩০) (পিতা: শহিদুল ইসলাম), মিন্টু (পিতা: হারুন কাল্টা) এবং মোঃ সাইফুল ইসলাম (পিতা: ইমান আলী) মিলে একটি মেছো বিড়ালকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তারা ট্যাটা (ফালা) দিয়ে আঘাত করে বন্যপ্রাণীটিকে হত্যা করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে।

পরবর্তীতে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নির্মম ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। তারা আশা করছেন, দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যেন আর না ঘটে, সে জন্য প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ০৪নং কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ০৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ ফরহাদ হোসেন ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা বন কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।

এরপর শনিবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), উপজেলা বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলের পাশে মেছো বিড়ালটি দাফন করা হয়।

একই সময়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মোঃ আলমগীর হোসেন (৩০) কে গ্রেপ্তার করে। তবে বাকি দুই আসামি মিন্টু ও সাইফুল ইসলাম এখনো পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিথি মিত্র বলেন, “বন্যপ্রাণী হত্যা একটি গুরুতর অপরাধ। এই ধরনের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এখনো পলাতক রয়েছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।”

উল্লেখ্য, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, কোনো বন্যপ্রাণী হত্যা বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

পুলিশ ইতোমধ্যে একটি মামলা দায়ের করেছে এবং পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। এদিকে, পরিবেশবাদী ও প্রাণীপ্রেমীরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।




মেহেরপুরে প্রস্তাবিত হজ্ব যাত্রীদের ইফতার ও দোয়া মাহফিল

মেহেরপুরে তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলার উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে প্রস্তাবিত হজ্ব যাত্রীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে শহরের মল্লিকপাড়া আঞ্চলিক অফিসে এ প্রস্তাবিত হজ্ব যাত্রীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

তাতাসা হজ্ব ও মরাহ কাফেলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমঝুপি ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ মাহবুবু উল আলম।

ভেড়ামারা ল্যাব এইড সেন্টারে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিক শাহজামালের সঞ্চালনায় বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলার  উপদেষ্টা ও চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ ও তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলার উপদেষ্টা এবং নওদাপাড়া জামে মসজিদ খতিব হাফেজ মাওলানা আবুল হাশেম।




ঝিনাইদহে রুসাজের আয়োজনে ইফতার মাহফিল

ঝিনাইদস্থ রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এক্স-স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (রুসাজ)’র আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের জেএফসি রেস্টুরেন্টে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রুসাজের ইফতার কমিটির আহ্বায়ক এ.এস.এম সোহেল মাহমুদ সাজুর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুসাজের আহ্বায়ক মোঃ আমজাদ হোসেন, সদস্য সচিব মোঃ কামরুজ্জামান লিটন, কেসি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বি.এম. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইফতার কমিটির সদস্য সচিব জাফর উদ্দীন রাজু।

এসময় রুসাজের ইফতার মাহফিলে অন্যান্য সদস্যের মধ্যে মোঃ সেলিম রেজা, মোঃ শাহানুর আলম, সুরভী আফরোজ, সাইফুন নাহার ইরা, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ নজরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক কে এম সালেহ, অধ্যক্ষ সাইদুল আলম, অধ্যক্ষ জে এম রবিউল ইসলাম , জাহিদ হোসেন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটিতে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেএফসি রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী ও রুসাজের নির্বাহী সদস্য রফিক আহমাদ ওয়াইজ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান তেলওয়াত করা হয়। কোরান তেলওয়াত করেন মোঃ ফখরুল ইসলাম। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির কল্যানে দোয়া পরিচালনা করেন রাবিয়ান আমিরুজ্জামান রবি। ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ শেষে কফি আড্ড অনুষ্ঠিত হয়। কফি-চক্র অনুষ্ঠানে প্রানবন্ত আলোচনা হয়।

আলোচনা শেষে রুসাজ কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সাবেক রাবিয়ান দের সাথে যোগাযোগ, খেলাধুলা, ঈদপুণর্মিলনীসহ বিবিধ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

রুসাজের আহবায়ক আমজাদ হোসেন উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ্জ্ঞাপন করে আগামীতে সকল প্রোগ্রামে আরও বেশী উপস্থিতি কামনা করেন।




ফিল্মফেয়ারের রেড কার্পেটে ‘ভুল’ ইংরেজি শ্রাবন্তীর

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফিল্মফেয়ার অনুষ্ঠান। সেখানে হাজির ছিলেন টালিউডের জনপ্রিয় উজ্জ্বল তারকা। গ্ল্যামারাস লুকে রেড কার্পেটে ধরা দেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও। কিন্তু সেখানে তার দেওয়া ছোট্ট সাক্ষাৎকারটাই এখন ভাইরাল। নেটিজেনদের মতে, অভিনেত্রীর ইংরেজি নাকি দুর্বল। চলছে কটাক্ষের বন্যা।

এদিন সামাজিক মাধ্যমে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিক শ্রাবন্তীকে ইংরেজিতেই বলছেন— ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় স্বাগত আপনাকে। আপনাকে খুব মিষ্টি লাগছে। কোন মুহূর্তের জন্য আপনি মুখিয়ে রয়েছেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রাবন্তী বলেন, মাই ফ্রেন্ডস আর পারফর্মিং সুপার এক্সাইটেড। অর্থাৎ আমার বন্ধুরা আজ পারফর্ম করবে, তাই আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। এরপর যখন তার থেকে জানতে চাওয়া হয় যে, তিনি কোনো নির্দিষ্ট একটা পারফরম্যান্সের জন্য অপেক্ষা করছেন কী? পর্দার হবু দেবী চৌধুরানী জানিয়ে দেন তিনি শুভশ্রীর পারফরম্যান্সের জন্য মুখিয়ে আছেন।

এরপরই শ্রাবন্তীকে জিজ্ঞেস করা হয়, কোনো একজন নির্দিষ্ট অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে যদি সমর্থন করতে হয়, তাহলে সেটি কে হবেন? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, সবাই আমার খুব ভালো বন্ধু। তো আমি চাই ওরা সবাই যেন ওই ব্ল্যাক লেডিকে নিয়ে যেতে পারে। দেখা যাক।

বর্তমানে এই ভিডিও ভাইরাল। নেটিজেনরা মশকরা করছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন— বাংলায় জিজ্ঞেস করলেই তো হতো, এত ভয় পেত না। আরেকজন লিখেছেন— বাংলায় বলার সময় ইংলিশে বলার মতো স্টাইল মেরে বলে আর ইংলিশে বলার সময় এলে বাংলায় বিড়বিড় করে। তৃতীয়জনের মতে, ইংলিশে কথা বলতে হবে ভেবেই হয়তো এত নার্ভাস। চতুর্থজনের মতে, রুটিং ফর কথাটার অর্থ বোঝেনি। পঞ্চম ব্যক্তি লিখেছেন এত খারাপ ইংরেজি কে বলে?

যদিও অনেকে আবার শ্রাবন্তীকে সমর্থন করেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন— ‘ইংরেজিকে কবে থেকে আমরা কেবল একটি বিদেশি ভাষা হিসেবে ধরব, কোনো বোদ্ধা হওয়ার স্ট্যান্ডার্ড নয়। দ্বিতীয়জন লিখেছেন—ইংরেজি না জানা বা তাতে দুর্বল হওয়া কোনো অপরাধ নয়। তৃতীয়জন লিখেছেন—ভুলটা কী বলল, সেটিই তো খুঁজে পাচ্ছি না।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবী ও ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

মেহেরপুরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, সদস্য সচিব মো: মুজাহিদুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক কমিটির মেহেরপুরের প্রতিনিধি মো: হাসনাত জামান সৈকত, খন্দকার মুইজ উদ্দিন, গাংনীর প্রতিনিধি আমির হামজা।

এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আইপিএলের ৩ ফ্র্যাঞ্চাইজির অপেক্ষায় সাকিব

কদিন আগে সাকিব আল হাসান পেয়েছেন শাপমুক্তি। আইসিসি থেকে সুখবর মিলতেই মরিয়া হয়েও উঠেছেন। প্রত্যাবর্তন হিসেবে আইপিএলকে বেছে নিতে চাচ্ছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন সাকিব।

সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি জানায়, স্পিন বিভাগে দুর্বল তিনটি দলের হয়ে খেলতে চেয়ে যোগাযোগ করেছেন সাকিব। তারা সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে আশ্বাস দিয়েছেন। যেহেতু নিলামে দল পাননি সাকিব, তাই তাকে অপেক্ষায় থাকতে হবে। যদি কোনো দলে ইনজুরি বা কারও বদলি প্রয়োজন হয়, তবেই ডাক পাবেন সাকিব।

দেশের বাইরে থাকা সাকিব টেস্ট থেকে নিয়েছেন অবসর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার খেলার কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে সেটি হয়নি। আপাতত বাংলাদেশ জাতীয় দলেও তার ফেরা অনেকটা কঠিন হয়ে আছে। এরমাঝে আইসিসি নিষিদ্ধ করেছিল সাকিবের বোলিং।

বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটি সারতে দুবার পরীক্ষা দিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন সাকিব। পরে অবশ্য পাশ করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইপিএল দিয়ে ফিরবেন। দেশের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা টাইগার এই অলরাউন্ডারের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের পথ খোলা আছে। বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ায় এখন আবারও অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিব খেলতে পারবেন। তাই ‍সুযোগ নিতে চাচ্ছেন আইপিএলে।

সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, আইপিএলের তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আলোচনা সেরেছেন সাকিব। দলগুলো হলো—রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে সাকিব জানিয়েছেন, খেলার জন্য পুরোপুরি তৈরি তিনি।

তবে এই তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সাকিবের ঢোকা আপাতত কঠিন। যদি কেউ চোটে পড়েন এবং বদলি হিসেবে দলটি সাকিবকে উপযুক্ত মনে করেন, তবেই আইপিএলে দেখা যেতে পারে সাকিবকে!

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩

মেহেরপুরে পুলিশের ২৪ ঘন্টার অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে ২ জন ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে ১ জন রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে আজ শনিবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করা হয়।

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃত হলো, ঝাউবাড়িয়া গ্রামের মোঃ আয়োব আলীর মেয়ে মোছাঃ রঙ্গিলা খাতুন এবং গাংনী উপজেলার গ্রেফতারকৃতরা হলেন বামন্দী নিশিপুরের মৃত আসলামের ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম সোহাগ (২২) ও সাহেবনগরের মোঃ লাল্টু এর স্ত্রী মোছাঃ রেখা (৩৫)।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দিন ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

গ্রেফতারকৃতদের শনিবার আদালতে নেয়া হয়েছে।