দর্শনা সীমান্তে ১৪ ভারতীয় নাগরিকের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ

একই পরিবারের নারী-পুরুষ, বৃদ্ধা ও শিশুসহ মোট ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ জোরপূর্বক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করিয়েছে বলে অভিযোগ করছে ভুক্তভোগীরা। গতকাল শুক্রবার সকালের দিকে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে তারা।

জানা গেছে, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের উরিষ্যা প্রদেশের জগেশ্বরপুরের বাসিন্দা। তারা মুসলিম পরিবারের হওয়ার কারণে তাদেরকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভারতীয় এই নাগরিরা।

তবে শুক্রবার সকালে বাংলাদেশর চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা সীমান্তে প্রবেশের পর আশে পাশে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে পরে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিলে স্হানীয়রা তাদের কথা শুনে সাময়িক ভাবে খোলা স্থানে তাবু করে থাকার ব্যবস্থা করেন এবং খাবার ও শীতের বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেন। পরে বিষয়টি সন্ধ্যার পর জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে তথ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ, বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অনুপ্রবেশকারী ১৪ জন ভারতীয় নাগরিকের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা জন্মসূত্রে ভারতের উরিষ্যা প্রদেশের জগশ্বরপুরের বাসিন্দা। কিন্তু আমার বাবা ছোট বেলায় আমার দাদার সাথে ভারতে চলে আসে। এরপর তিনি ভারতেই বড় হয়েছেন এবং আমাদের জন্মস্থান ভারতেই, আমরা ভারতীয় নাগরিক, আমাদের আধার কার্ড, রেশন কার্ড আছে কিন্তু ভারতীয় পুলিশ জোরপূর্বক সেগুলো কেড়ে নিয়েছে। আমরা সকলেই মুসলিম মোট ১৪ জন সদস্য একই পরিবারের পুরুষ ৫ জন, মহিলা ৫ জন, বাচ্চা ৪ জন।

ভারতীয় ১৪ জন নাগরিক হলো, ভারতের উরিষ্যা প্রদেশের জগশ্বরপুরের একই পরিবারের বাসিন্দা মৃত খাদিম খা’র মেয়ে গুলশান বিবি (৯০), মৃত শেখ হারুনের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), মৃত শেখ হোসেনের মেয়ে আলকুম বিবি (৬৫), শেখ জব্বারের ছেলে শেখ উকিল (৪০), মৃত শফিক খানের মেয়ে সাবেরা বিবি (৩৫), শেখ উকিলের মেয়ে শাকিলা খাতুন (১১), শেখ জব্বারের ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), মৃত শেখ ইসরাফিলের মেয়ে সামসেরি বিবি (৪০), শেখ জব্বারের ছেলে শেখ রাজা (৩০), মৃত শেখ আলিমের মেয়ে মেহেরুন বিবি (২৫), শেখ রাজার মেয়ে নাসরিন পারভিন (১২) এবং দুই ছেলে শেখ তৌহিদ (১১) ও শেখ রহিদ (০২) এবং শেখ জব্বারের ছেলে শেখ বান্টি (২৮)।




আলমডাঙ্গায় টেন্ডার ছাড়াই ওয়াপদার গাছ কেটে সাবার -এলাকাবাসীর ক্ষোভ

আলমডাঙ্গায় বিনা টেন্ডারে ওয়াপদার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষের নজর নেই। এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের নওলামারী গ্রামে বিনা টেন্ডারে ওয়াপদা বিভাগের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় মাটির রাস্তা পাকা করার অজুহাতে রাস্তার ধারে থাকা সরকারি গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, রাস্তা উন্নয়নের কাজের কথা বলে কিছু জমির মালিক ও দুর্বৃত্তচক্র রাস্তার পাশে থাকা মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ এসব গাছ কাটার বিষয়ে কোনো ধরনের টেন্ডার প্রক্রিয়া বা সরকারি অনুমোদনের কথা জানা যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে ওয়াপদা বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, গাছ কাটার বিষয়ে তারা তেমন কিছু জানেন না। বিষয়টি তাদের নজরে নেই বলেও দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ওয়াপদার কয়েকজন অসৎ কর্মকর্তা, কর্মচারী জড়িত আছে বলে সংবাদ চাউর হয়েছে।

এদিকে, এভাবে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ায় পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। পাশাপাশি সরকারি সম্পদ লুটপাটের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও সরকারি সম্পদ এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।




বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আলমডাঙ্গা শাখার মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (BHRC) আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার উদ্যোগে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্তকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় আলমডাঙ্গা শাখা কার্যালয়ে এই সভা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিগত সময়ে শাখার পক্ষ থেকে সফলভাবে পরিচালিত কম্বল বিতরণ কর্মসূচি, শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি আসন্ন দিনগুলোতে উপজেলা ব্যাপী অসহায় ও দুস্থ মানুষের তালিকা প্রণয়ন এবং মানবাধিকার কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে একটি বার্ষিক পঞ্জিকা তৈরির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আলমডাঙ্গা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরাফত রাসেলের মাতার রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, শাখার সভাপতি আল আমিন হোসেন, সহ-সভাপতি মানোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরাফত রাসেল, শিক্ষা সম্পাদক আহসান কবির বকুল, দপ্তর সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হাসান, সদস্য আলী আব্বাস ডন ও ইমরানসহ শাখার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।




আলমডাঙ্গায় আফিয়া নূর ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গায় আফিয়া নূর ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের পরীক্ষায় আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ৬৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীর ৯৩১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে বলে কতৃপক্ষ জানান।

আফিয়া নূর ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শেখ নূর মোহাম্মদ টিপু র তত্বাবধানে পরীক্ষার সার্বিক ব্যাবস্হাপনায় ছিলেন, ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ডাঃ মো আব্দুল্লাহ আল মামুন। কেন্দ্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, সহকারী অধ্যাপক ডঃ আব্দুর রহমান। পরীক্ষায় স্হানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এর প্রতিনিধি সহ স্হানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

স্হানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী বিজ্ঞানী মো মাসুদ পারভেজ, আলমডাঙ্গা, প্রবীণ সাংবাদিক শাহ আলম মন্টু, সিনিয়র সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম আজম, সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের প্রধান শিক্ষকগণ

আরো উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রহমান মুকুল, আলমডাঙ্গা বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো আব্দুল্লাহ আল মামুন, আলমডাঙ্গা নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো সিরাজুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো নাহিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক এন এইচ শাওন, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি বশিরুল আলম, বাংলাদেশ মানবিকার কমিশন এর সভাপতি মো আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো খাইরুল ইসলাম।

রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গার সহকারী সেক্রেটারি এ্যাড মাসুদ পারভেজ রাসেল,জেলা আইন সম্পাদক দারুস সালাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার আমির মো শফিউল ইসলাম বকুল, সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন, পৌর জামায়াতের আমির মাহের আলী।




ঝিনাইদহ-৪ আসনে রাশেদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে, কাফনের কাপড় পরে বিএনপির বিক্ষোভ

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি।

আজ শুক্রবার বিকালে বিএনপি’র হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কাফনের কাপড় পরে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় তারা রাশেদের চামড়া তুলে নেব আমরা, ঝিনাইদহে-২ ছিলি ২এ যা, নইলে চামড়া থাকবে না ও বহিরাগতদের আস্থানা এই আসনে হবে না বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।

এতে নেতৃত্ব দেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান বেল্টুর সহধর্মীনি জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুর্শিদা জামান বেল্টু। তারা দুইজনই এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তাদের বঞ্চিত করে এ আসনে বিএনপি শরীক দল গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে মনোনয়ন দেন বিএনপি। গত বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। এরপর থেকে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

তাদের দাবি এ আসন থেকে রাশেদ খানকে প্রত্যাহার করতে হবে। এখানে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ অথবা মুর্শিদা জামানের মধ্যে একজনকে দলীয় মনোনয়ন দিতে হবে। যারা এ আসনে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দলের সাংগঠনিক কাজ করেছেন তাদের মূল্যয়ন করতে হবে। তা না হলে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদকে এখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দেন। এসময় অনেক বিএনপি কর্মীকে কাফনের কাপড় পরে অংশ নিতে দেখা যায়।

জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুর্শিদা জামান বেল্টু বলেন, আমরা কোন বহিরাগতকে এখানে চাই না। আমরা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের দু:শাসন উপেক্ষা করে দল করেছি, রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছি। এখন অন্য কাউকে এখানে মনোনয়ন দিলে আমরা মানতে পারি না। আমরা চাই এখানে দলীয় নেতার হাতে ধানের শীষ তুলে দেওয়া হোক।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, গণ অধিকারের ও রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২ আসনে নির্বাচন করবেন বলে দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমরা ধরে নিয়েছিলাম আমাদের নেতা, বাংলাদেশের নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান দেশে এসে ঝিনাইদহ-৪ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করবেন কিন্তু সেই সময়ে এই বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ষড়যন্ত্র করে অর্থের বিনিময়ে একজন বহিরাগতকে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রিয় কালীগঞ্জবাসি আপনারা ভোটের মালিক। আপনারা যদি বলেন আমি রাজনীতি করবো না। আপনারা যদি বলেন আমি নির্বাচন করবো। এসময় উপস্থিত জনতা সাইফুল ইসলাম ফিরোজকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনের জন্য আহবান জানান।

রাশেদকে মনোনয়ন দেওয়ার সংবাদে কানে ধরে বিএনপি’র রাজনীতি করবেন না বলে ঘোষণা দেন ফরহাদ হোসেন ও শাকিল আহম্মেদ নামের দুই যুবক। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারা দুইজনই উপজেলা যুবদলের কর্মী বলে জানা গেছে।
এ আসন থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, উপজেলা

বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ ও জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান বেল্টুর সহধর্মীনি মুর্শিদা জামান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তারা সবাই স্থানীয় রাজনীতিতে আলাদা আলাদা গ্রুপ নিয়ে কর্মসূচী পালন করতেন।




“স্বাধীন নারী, আলোকিত সমাজ”

আজকের পৃথিবীতে “নারীর স্বাধীনতা” কেবল একটি শব্দ নয়—এটি একটি সমাজকে বদলে দেওয়ার শক্তি। স্বাধীনতা মানে শুধু বাইরে কাজ করার সুযোগ নয়; স্বাধীনতা মানে নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা এখনো এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে মেয়েদের ইচ্ছা–অধিকার–স্বপ্নকে অনেক সময়ই তুচ্ছ করে দেখা হয়। অথচ সমাজ যত আধুনিকই হোক, নারীর স্বাধীনতা ছাড়া কোনো উন্নয়নই সম্পূর্ণ হতে পারে না।

একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবী সামনে এগোয়, প্রযুক্তি বদলায়, সভ্যতা উন্নত হয়—কিন্তু নারীর স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্নগুলো এখনো একই জায়গায় ঘুরপাক খায়। নারী স্বাধীনতা আসলে কী? “নারীর স্বাধীনতা” আজও একটি আলোচিত, বিতর্কিত এবং একই সঙ্গে জরুরি বিষয়। শব্দটি যতটা সহজ, বাস্তবে তার প্রয়োগ ততটা কঠিন। কারণ স্বাধীনতা মানে শুধু বাইরে কাজ করার অনুমতি নয়; স্বাধীনতা মানে নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার। আর এই অধিকার অর্জনের পথেই সবচেয়ে বড় বাধা—সমাজের চোখে আজও নারীর প্রতি অদৃশ্য বৈষম্য।

শিক্ষার অধিকার, কাজের সুযোগ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা—এসব ক্ষেত্রে অগ্রগতি থাকলেও বাস্তবতার চিত্র পুরোপুরি উজ্জ্বল নয়। শহরের নারী হয়তো কিছুটা এগোতে পেরেছে, কিন্তু গ্রাম থেকে শহরতলি—এখনও অসংখ্য নারী বাল্যবিয়ে, যৌতুক, সহিংসতা, কর্মসংস্থানের অভাব আর সামাজিক নজরদারির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের স্বাধীনতা এখনও “সমাজ কি বলবে”—এই চার শব্দের কাছে বন্দি।

একজন নারীর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীর দৃষ্টিতে চিন্তা করলে পরিষ্কারভাবে ওঠে আসবে নারীর জীবন কতটা ভয়াবহ। এই ভয়াবহতার পেছনে যে কেবল পুরুষ সমাজ দায়ী তা নয়, বরং নারী ও পুরুষ সমানভাবে দায়ী।আমরা কথায় কথায় পুরুষের দোষ খুঁজে বেড়াই, কিন্তু নিজেদের দুর্বলতাগুলো নিয়ে কখনোই মুখ খুলি না। নারীবাদী হতে গিয়ে, আমরা অনেকটাই পুরুষ বিদ্বেষী হয়ে উঠেছি, যা আসলে আমাদের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করতে শেখায়। কিন্তু নারীরা যদি নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে শেখে, নিজের জায়গাটা নিজে চিনে নিতে শেখে, পুরুষের সাধ্য নেই নারীকে আটকানোর।

নারীর স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় বাধা হলো সমাজের সেই অদৃশ্য দেয়াল, যা চোখে দেখা যায় না—কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপে তাকে আটকে ধরে। স্কুলে পড়াশোনা করতে গেলে “মেয়ে হয়ে এত দূর যাবে?”, চাকরি করতে চাইলে “বাড়ির কাজ আগে শেখো, সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে “এইসব বিষয়ে মেয়েদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই—এই সব কথাই যেন তার চারপাশে অদৃশ্য শৃঙ্খল হয়ে থাকে।এক শ্রেণির জনগোষ্ঠী আছে যারা উগ্রতার দোহাই দিয়ে নারী স্বাধীনতাকে কৌশলে ধ্বংস করার চেষ্টায় মত্ত। আরেক ধরনের জনগোষ্ঠী নারী স্বাধীনতার আড়ালে উগ্রতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যস্ত। নারী স্বাধীনতা মানে উগ্রতা নয়। তাই নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হোন, উগ্রতায় নয়।স্বাধীনতার আসল অর্থ হলো—নিজের সিদ্ধান্ত নিজের হাতে থাকা, নিজের জীবনের দিশা নিজে বেছে নেওয়া, এবং নিজের সম্ভাবনাকে পূর্ণতা দিতে পারা।

নারী যদি নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তাহলে সে শুধু ব্যক্তিগতভাবে পিছিয়ে পড়ে না; পুরো সমাজই পিছিয়ে যায়। কারণ পরিবার, অর্থনীতি, সংস্কৃতি—সব ক্ষেত্রেই নারীর অবদান অপরিসীম। একজন নারী যখন শিক্ষিত হয়, কর্মক্ষম হয়, নিজের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হয়—তখন শুধু সে নয়, তার পরিবার থেকেও শুরু হয় বদল। একজন শিক্ষিত মা পুরো প্রজন্মকে বদলে দিতে পারে। তাই নারীর স্বাধীনতা মানে ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করা।

আমাদের সমাজে এখনো অনেক মেয়ে নিজের স্বপ্ন চাপা রেখে বাঁচে। কারও পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় বিয়ের চাপে; কারও চাকরির স্বপ্ন অন্ধকারে হারিয়ে যায় পরিবার–সমাজের ভুল ধারণায়। অথচ অধিকার চাওয়াটা কোনো অপরাধ নয়—এটা মানুষের জন্মগত অধিকার। নারীকে সম্মান দেওয়া মানে সমাজকে সম্মান দেওয়া। কারণ সমাজ চলে নারী–পুরুষ—দুজনের সমান অবদানে।

নারীর স্বাধীনতা রুখে দেওয়া মানে শুধু পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নয়—অনেক সময় নারীরাই নারীর পথ আটকে দেয়। “মানুষ কি বলবে”—এই ভয়ের বাঁধন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে যাচ্ছে।পরিবর্তন শুরু করতে হবে ঘর থেকে। মেয়ে-ছেলে উভয়কে শৈশব থেকেই শেখাতে হবে—সমতা মানে প্রতিযোগিতা নয়, সম্মান।

আজ দরকার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। নারীকে বন্ধন নয়—সমর্থন দিতে হবে; সন্দেহ নয়—বিশ্বাস দিতে হবে। মেয়েরা যখন নিজের মতো করে বাঁচতে পারবে, তখন তারা শুধু নিজের জীবনই আলোকিত করে না; পুরো সমাজকে আলোকিত নারীর স্বাধীনতা তাই কোনো দাবি নয়—এটা প্রয়োজন, এটা ভবিষ্যতের ভিত্তি।

সময় এসেছে—নারীকে তার প্রাপ্য স্বাধীনতাকে সত্যিকারের সম্মান দেওয়ার।নারীর স্বাধীনতা কোনো উপকার নয়, কোনো দয়া নয়—এটি তার জন্মগত অধিকার।যেদিন সমাজ এই সত্যকে স্বীকার করবে, সেদিনই আমরা সত্যিকারের অর্থে আধুনিক হব।




মুজিবনগরে ঐতিহ্যবাহি খ্রিস্টীয় আনন্দ মেলার উদ্বোধন 

মেহেরপুরের মুজিবনগরে খ্রিস্টান সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দঘন পরিবেশে তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উদযাপন করেছে।

বড়দিন উপলক্ষে গত বুধবার বল্লভপুর ইমানুয়েল চার্চ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সপ্তাহ ব্যাপি ঐতিহ্যবাহী খ্রিস্টীয় আনন্দমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

আনন্দমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বল্লভপুর ডিনারের দিন রেভা: দীপক উজ্জ্বল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চার্চ অফ বাংলাদেশ কুষ্টিয়া ডায়াসিসের বিশপ রেভা: হেমেন হালদার।

আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মশাল প্রজ্জ্বলন মাধ্যমে দিনব্যাপী খ্রিস্টীয় আনন্দমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

সন্ধ্যায় মুজিবনগরের বল্লভপুর ইমানুয়েল চার্চ প্রাঙ্গনে শিশুদের সঙ্গে কেক কেটে বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধন এবং যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উদযাপন করেন, জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবীর ও জেলা পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।

‘শুভ বড়দিন’ উপলক্ষে পুরো বল্লভপুর এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। গির্জা ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বসতবাড়িগুলো আলোকসজ্জায় ঝলমল করতে দেখা যায়। নানা রঙের সাজ, আল্পনা ও নান্দনিক সাজসজ্জায় গির্জা প্রাঙ্গণ ও বাড়ির আঙিনা হয়ে ওঠে বর্ণিল।

বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মজীবী স্বজনরা নাড়ির টানে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। অতিথিদের আপ্যায়নে বাড়ির গৃহিণীরা পিঠাপুলি ও বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন করেন।

২৫ সে ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে ১ শত বছরের ঐতিহ্য খ্রিস্টীয় আনন্দমেলা জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মশাল প্রজ্জ্বলন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে শিশুদের সঙ্গে কেক কেটে বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করা হয়।

অনুষ্ঠানে বল্লভপুর ডিনারীর ডীন রেভা. দীপক উজ্জ্বল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাইট রেভা. হেমেন হালদার, বিশপ, কুষ্টিয়া ডায়োসিস।

এ সময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবীর, পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইফুল হুদা, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তি, সৌহার্দ্য ও ঐক্যের মাধ্যমে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।




আলমডাঙ্গায় বিভিন্ন মামলায় ৬ আসামি গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চুরি মামলাসহ বিভিন্ন মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা ৬ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত চুরি মামলার আসামী হলো- আলমডাঙ্গার ক্যানেলপাড়ার অশোক ঘোষের ছেলে অন্তিম ঘোষ (২৫),

এছাড়াও অন্য মামলার আসামীরা হলো- উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে সাগর ওরফে হ্যাবল (২১), দুর্গাপুর গ্রামের মৃত নবাব মন্ডলের ছেলে মো. হানিফ (৩৭), পূর্ব কমলাপুর মাধবী তলার নুরুল ইসলামের ছেলে

মো. আল মামুন (৪০), নওদাপাড়ার মৃত সিরাজ মালিতার ছেলে মো. খলিল মালিতা (৬০), প্রাগপুর গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনর ছেলে মো. স্বপন (২৬) ফরিদপুর গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী মোছা. সিপালী বেগম।

পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা সবাই বিভিন্ন মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি।

আলমডাঙ্গা থানার কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতারকৃত সাতজনকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।




দর্শনার জয়নগর মাঠ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

দর্শনা ৬ বিজিবি অভিযান চালিয়ে জয়নগর মাঠ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে দর্শনা জয়নগর  আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার এনামুল কবিরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় জয়নগর মাঠে। এ সময় বিজিবি কয়েকজন লোক মাঠে ঘাস বোঝায় করে নিয়ে যাচ্ছে।এতে করে বিজিবির সন্দেহ হলে তাদেরকে দাঁড়াতে বলে তারা ঘাসের বস্তা ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে বিজিবি ঘাসের বস্তা খুলে ৫৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তারা কোনো চোরাচালানীকে আটক করতে পারেনী।




দামুড়হুদায় ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ

দামুড়হুদায় ১ যুগ পদার্পণ উপলক্ষে ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া স্কুল কতৃপক্ষের আয়োজনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উবায়দুর রহমান সাহেল। এসময় তিনি বলেন, আমরা যারা অভিভাবক আছি বাচ্চাদেরকে প্লে থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত গাইড করে থাকি, তার পর আমরা সন্তানের তেমন খোজ খবর রাখি না, এটা ঠিক নয় আপনার সন্তান প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের এই গাইড ধরে রাখতে হবে। যেন কোনোভাবেই আমার সন্তান যেন বিপথে না যায়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আমরা সবাই মর্ডনাইজ হয়ে যাচ্ছি এরকম তাল মিলাতে গিয়ে আমরা আমাদের পারিবারিক শিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলছি। এখন কেউ আর বড়দের সেইভাবে শ্রদ্ধা ও ছোটদের স্নেহ করছে না। আমরা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছি। একসময় ভোরবেলা ফজরের নামাজ পড়ে মক্তব্যে আমরা হুজুরের কাছ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতাম, সন্ধ্যা হলে অভিভাবকদের ভয়ে পড়ার টেবিলে বসতাম ও বড়দের দেখলে ভয়ে পাশ কাটিয়ে যেতাম এই বিষয় গুলো তেমন দেখা যায় না। এই শূন্যতা পূরণ করতে হলে আমাদের পারিবারিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অভিভাবক ডাঃ আতাউর রহমান রতন, স্টার নিউজ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব সহ- সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক জহির রায়হান, দৈনিক সমকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ও দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সহ- সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, কৃর্তি শিক্ষার্থী অভিভাবক নাছিমা খাতুন, অভিভাবক আশরাফুল ইসলামসহ শিক্ষক- শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও আমন্ত্রণিত অভিভাবকবৃন্দ।

স্কুলের ১ যুগ পদার্পণ উপলক্ষে কেক কেটে উদযাপন করা হয় এবং আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থী ও প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ডায়মন্ড ও প্লাটিনাম গ্রুফের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থায় ছিলেন, ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ।