উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গণমাধ্যমের ভুমিকা গুরত্বপূর্ণ

মেহেরপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির জেলার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বলেন, উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গণমাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যতদিন এই জেলার জনগণ মনে করবে এই জেলা প্রশাসক জেলার মানুষের উন্নয়নের জন্য, তাদের জীবনযাত্রার মান, তাদের নিরাপত্তা ও একটি সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার কাজ করবে ততদিন পর্যন্ত আমরা কাজ করবো। জেলার মানুষ যদি মনে করে আমরা সেটি করতে ব্যর্থ হচ্ছি, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা নেবে।

সকল কাজের নিয়ম-কানুন অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এনসিওর করতে হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, মেহেরপুরের সবচেয়ে বড় সমস্যা যেগুলি,‌ শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। ডেফিনেটলি এটা খুবই আশঙ্কার বিষয়। আমরা এই বিষয়ে স্পেশালি কাজ শুরু করব ইনশাল্লাহ। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে ভিজিট আমরা করি সেটা বাড়িয়ে দেব এবং শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের সঙ্গে আমরা বসে স্পেশাল কোন উদ্যোগ নেওয়া যায় কিনা সেটা আমরা দেখব। তবে এক্ষেত্রে আপনারা সমস্যা দেখিয়েছেন, সেই সঙ্গে সমাধানের যে সঠিক পথ, সেটা বের করতে আমরা আপনাদের হেল্প চাইবো।

আমি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত একটি দিক মনে করি। এখানে অনেকেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সঙ্গে রয়েছেন। আপনারা এটা চালিয়ে যাবেন। আমার যদি কোন কাজে আপনারা মনে করেন ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে, আপনারা নিউজ ছাপিয়ে দেবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভাপতির বক্তব্যে এসকল কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ২৪ এর যে গণঅভ্যুত্থান, তার অন্যতম কারণ সাংবাদিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি। সাংবাদিকতা খোশামতির পেশা না এখানে ভালো-মন্দ দুইটাই আসবে। ভালো যদি করে থাকি ছাপাবেন, আর খারাপ যদি করে থাকি অবশ্যই ছাপাবেন। ভালোটা না ছাপালেও অসুবিধা নেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটটা ধারণ করেই আমাদের কাজগুলো মার্চিহ্ন করব।

সারের ক্রাইসিসটা এটা ম্যানমেড কোনো ক্রিয়েশন কিনা সেটাও দেখার বিষয়। আমাদের সারের সরবরাহ আছে, কিন্তু আমাদের কৃষি উপদেষ্টা যেটা বলেছেন কিছু মানুষের যোগসাজশ থাকতে পারে। আমরা এগুলো ইনভেস্টিগেশন করব, এই বিষয়টা যাতে সমাধান করা যায় সেটা আমরা চেষ্টা করব।

জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম শীল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম।

এসময় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোযাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, তুহিন আরন্য, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, আমাদের সূযোদয়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুবুল হক পোলেন, সংবাদ প্রতিনিধি রফিকুল আলম, ইত্তেফাক প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান,  বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান ও এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি মোজাহিদ মুন্না, সাংবাদিক মেহের আমজাদ , শামিম হোসেন, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যম কর্মীরা অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি, জেলার অনলাইন জুয়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সড়কে বিশৃংখলাসহ নানা সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন।




মেহেরপুরের “আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ” এর সাজেক যাত্রা

মেহেরপুরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পাড়ার এম এস কম্পিউটার্সের স্বত্বাধিকারী প্রোঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান পরিচালিত ভ্রমণ সংগঠন “আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ” তিন দিনের সাজেক ভ্রমণে যাত্রা শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গ্রুপটি।

ভ্রমণে যাওয়া সদস্যদের মধ্যে নিশাত নামের এক তরুণী বলেন, আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ থেকে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে সুস্থভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে ও ফিরে আসতে পারি। আমরা চাই এই গ্রুপের মাধ্যমে প্রতি বছর এভাবে ভ্রমণ আয়োজন হোক।

অন্য সদস্য সজল জানান, আমরা ছয় বন্ধু মিলে মেঘের রাজ্য সাজেক দেখতে যাচ্ছি। শুনেছি এই গ্রুপটি খুব ভালো সার্ভিস দেয়। তাই সবাই মিলে সাজেকের মেঘ উপভোগ করতে এবং আনন্দ করতে যাচ্ছি।

দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে ভ্রমণে যেতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অন্যান্য সদস্যরাও। তারা বলেন, এই সফর তাদের জন্য হবে রোমাঞ্চকর ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। সাজেকের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য-সবুজ পাহাড়, মেঘের ভেলা আর নৈসর্গিক পরিবেশই এই ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ।

ভ্রমণ গ্রুপের পরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ নিয়মিতভাবেই দেশজুড়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের আয়োজন করে থাকে। এবার সাজেকের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন কাছ থেকে দেখাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

তিন দিনের এই সফরে রুইলুই পাড়া, কংলাক পাড়া, হেলিপ্যাড এলাকা, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তসহ সাজেক ভ্যালির প্রধান সব আকর্ষণ উপভোগ করবেন ভ্রমণকারীরা।

আগামীদিনে আরও বড় পরিসরে ভ্রমণ আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও জানান পরিচালক মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, এইবার সিট পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় অনেককে নেওয়া সম্ভব হয়নি। সামনে কক্সবাজার, সিলেট, সেন্ট মার্টিনসহ আরও কয়েকটি জায়গায় ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে। আগ্রহীরা আগেই আমাদের দোকানে যোগাযোগ করলে সুবিধা হবে।




মেহেরপুরের একমাত্র নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’ -তথ্য অফিসার

মেহেরপুরের নবাগত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলার সাংবাদিকদের এক মতবিনিময় সভায় জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মেহেরপুরের একমাত্র সরকার নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকা হলো “মেহেরপুর প্রতিদিন”।

দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন ছাড়া মেহেরপুরে আর কোনো সরকার-নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেই। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি যেসব পত্রিকা বা অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন নেই তাদের সবাইকে দ্রুত নিবন্ধনের আওতায় আসারও আহ্বান জানান।




মেহেরপুরে অটো-রিকশা চালকদের সাথে জামায়াতের সম্মেলন 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর পৌর শাখার উদ্যোগে অটো ও রিকশা চালকদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ সম্মেলনে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শতাধিক অটো ও রিকশা চালক অংশ নেন।

মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমীর সোহেল রানা ডলারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী তাজউদ্দীন খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হুসাইন, জেলা নায়েবে আমীর মহাবুব উল আলম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা সভাপতি আল আমিন বকুল, জেলা ব্যবসায়ী বিভাগের সভাপতি খালিদ সাইফুল ইসলাম, পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি সোহেল রানা এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা।

সম্মেলনে বক্তারা অটো ও রিকশা চালকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা, নিরাপদ সড়ক পরিবেশ সৃষ্টি, পুলিশ ও প্রশাসনের হয়রানি বন্ধ এবং সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। তারা চালকদের সংগঠিত হয়ে আইনসম্মত ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের অধিকার আদায়ের আহ্বান জানান।

দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।




দর্শনায় নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনে বৈষম্য নিরসনপূর্বক পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের দর্শনাতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

জানা গেছে, নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে ‘প্রহসন’ চলছে অভিযোগ করে এবং ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে বৈষম্য দূর করে পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।

দাবিসমূহ হলো, নবম পে-স্কেল ২০২৫ দ্রুত বাস্তবায়ন ও গেজেট আকারে প্রকাশ করা, গ্রেডভিত্তিক বৈষম্য দূর করা ও কর্মচারীদের ন্যায্য বেতন প্রদান, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক ও রেলওয়ের নিয়োগবিধি-২০২০ দ্রুত সংশোধন করে পদোন্নতি বঞ্চিতদের পদোন্নতি প্রদান এবং সব শূন্য পদে অতিসত্ত্বর নিয়োগ দেওয়া।

মোঃ মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও নূর হোসেন বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা তাদের দাবি তুলে ধরেন এবং দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সঙ্গে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্য দূর না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

এ সময় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টার। এছাড়া উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মোঃ রাশেদ ইকবাল, মোঃ আশিকুর রহমান, আলমাস আলী আরিফ, তারুণ হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন, টিপু সুলতান, শাহীন আলমসহ আরও অনেকে।




মুজিবনগরে গুডনেইবারস বাংলাদেশের বিশেষ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের মুজিবনগরে গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির উদ্যোগে মেহেরপুর সিডিপি বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গণে বিশেষ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানের সিডিপি ম্যানেজার বিপুল রেমার সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাইনাকোলজিস্ট ডা: সিনথিয়া আফরিন সিমি এবং খাদ্য ও পুষ্টিবিদ ফজলে রাব্বি।

হেলথ অফিসার আহসানুল হক সঞ্চালনায় ক্যাম্পেইনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিডিপির সিনিয়র এডমিন অফিসার উত্তম কুমার রায় এবং মেডিকেল অফিসার মেহেদী হাসান (সুইট)।

ক্যাম্পেইনের মূল কার্যক্রম মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা, পুষ্টিকর খাবারের উপকারিতা ও সুষম খাদ্যাভ্যাস বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।

ক্যাম্পেইনে স্বল্পমূল্যে গাইনি রোগী দেখা এবং অপুষ্ট শিশুদের জন্য ডায়েট চার্ট প্রদান করা হয়ে।

এছাড়াও কমিউনিটির জন্য ৩০% ছাড়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পুষ্টি প্যাকেজ সরবরাহ করা হয়ে।

গুডনেইবারস বাংলাদেশ জানায়, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কমিউনিটির মধ্যে সুলভ সেবা, স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পুষ্টি জ্ঞান সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় বিরল প্রজাতির তিনটা তক্ষকসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিলুপ্তপ্রায় ৩টি তক্ষকসহ ১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩, মেহেরপুরের একটি বিশেষ আভিযানিক দল।

গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুরের সরিষাডাঙা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুল আজিজ (৬৭)।

র‌্যাব-১২ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আজিজ স্বীকার করেছে যে তিনি অবৈধ বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত। উদ্ধার করা তক্ষকগুলো বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীর তালিকাভুক্ত।

র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩, মেহেরপুর জানায়, ঘটনার বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে অনন্য রেকর্ড মুশফিকের

দিনের চতুর্থ বলে ম্যাথিউ হামফ্রেস পরাস্ত করলেন মুশফিকুর রহিমকে, বল লাগল প্যাডে। জোরালো আবেদনের পর আম্পায়ার সাড়া দেননি। তবে ওই সেকেন্ডের ভগ্নাংশ যে বিরাট কাঁপুনি দিয়ে গিয়েছিল সমর্থকদের বুকে, তা একরকম নিশ্চিত। পরের বলও ব্যাটের কানা এড়িয়ে গিয়ে জমা পড়ল কিপারের হাতে। ওভার শেষ হামফ্রেসের, মুশফিকের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হলো আরও একটু।

তবে সে অপেক্ষাটা শেষ হয়ে গেল পরের ওভারেই। জর্ডান নেইলের ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিতেই ইতিহাস এসে লুটিয়ে পড়ল মুশফিকুর রহিমের। ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম। যদিও মুশফিক একটা জায়গায় এখন অনন্য। এই তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি যে তিনি।

এই সেঞ্চুরিতে আরও একটা রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন মুশফিক। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩টি সেঞ্চুরি এখন তার। এই রেকর্ডে তার সঙ্গী হিসেবে আছেন মুমিনুল হক।

মুশফিক ইতিহাস গড়ার এই ইনিংসে নেমেছিলেন প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই। ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন কিছুটা ব্যাকফুটেই ছিল। তবে তিনি সে চাপটা সামাল দেন ভালোভাবে। প্রথমে মুমিনুলের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি, তার বিদায়ের পর গড়ে লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বাধেন মুশফিক। তাদের জুটিও সেঞ্চুরির পথে।

তার আগেই নিজের সেঞ্চুরিটা তুলে নেন মুশফিক। ১৯৫ বলে ৫ চার মেরে এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।




একদিকে ধানের শীষে ভোট প্রার্থণা অপরদিকে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি  

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মেহেরপুর-২ (গাংনী ) আসনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলমান রয়েছে। একদিকে মনোনয়ন প্রাপ্ত আমজাদ হোসেন ও তার অনুসারীরা ধানের শীষের ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। অপরদিকে, মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অনুসারীরা মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে অন্দোলন কর্মসূচি চলমান রেখেছেন।  এতে গাংনীর রাজনৈতি অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্যে মেহেরপুর -২ (গাংনী) আসনের সাহারবাটি ইউনিয়নের ধর্মচাকি গ্রামে ও গাংনী বাজারে ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেন।

গতকাল বুধবার বিকালে গাংনী উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্পটে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

তারেক রহমানের বার্তা সবার আগে বাংলাদেশ, শ্লোগান নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন গণসংযোগ করে ভোট প্রার্থনা করেন।

এসময় গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান গাড্ডু, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি উপাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন, গাংনী উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাজেদুর রহমান বুলবুল, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আতাউল হক আন্টু, গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্র নেতা ও তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, গাংনী পৌর জাসানের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, স্থানীয় বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামসহ গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু,জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন, যুবদলের সদস্য ফারুক হোসেন, যুবদল নেতা মাহফুজ আলম রহিদুল।

বক্তারা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

ধর্মচাকি গ্রামে উঠান বৈঠক শেষে আমজাদ হোসেন বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি বিএনপির ঘোষণা করা ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করেন এবং আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে পুরো এলাকায় নির্বাচনী আমেজ আরও জোরদার হয়ে ওঠে।

লিফলেট বিতরণকালে রাস্তার দুধারে শতশত নারী ভোটার ধানের শীষের এমপি  প্রার্থী আমজাদ হোসেনকে হাত তুলে অভিবাদন জানান।

অপরদিকে, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।

গতকাল বুধবার বিকালে গাংনী উপজেলা শহরে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা ও সম্পাদক সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে হাসপাতাল বাজার এলাকা ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডাম সুমন, বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাশিদুল ইসলাম সোহাগ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, মহিলা দলের সভাপতি ফরিদা পারভীনসহ বিএনপির নারীনেত্রী এবং বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করেছে সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনকে। এ আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।




গাংনীর বিএনপিতে অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্ব জনস্বার্থকে ছাপিয়ে যায়

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি একটি গভীর সংকটের প্রতিচ্ছবি ।

দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই গাংনীর রাজনৈতিক অঙ্গনে যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলমান, তা কেবল স্থানীয় উত্তেজনা বাড়াচ্ছে না, বরং বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথেও বড় বাধা সৃষ্টি করছে। একদিকে মনোনীত প্রার্থীর ধানের শীষের জন্য ভোট প্রার্থনা, অন্যদিকে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ—এই দুই বিপরীতমুখী স্রোত বিএনপির দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এবং সংহতির ওপর একটি কঠিন প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলিতে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ নতুন নয়। তবে গাংনীর ঘটনা কেবল সাধারণ ক্ষোভের প্রকাশ নয়; এটি একটি সুসংগঠিত বিদ্রোহ। দলীয় হাইকমান্ড সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনকে মনোনীত করার পরও, জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অনুসারীরা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তাঁদের বিক্ষোভ মিছিল এবং মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি স্পষ্ট করে যে স্থানীয় নেতৃত্বে আস্থার ঘাটতি রয়েছে, যা দলের তৃণমূলের ভিত্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের ঠিক আগে এই ধরনের বিভেদ জনমনে ভুল বার্তা দিচ্ছে এবং দলের মূল আদর্শ থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয়।

দেখা যাচ্ছে, আমজাদ হোসেন তার নির্বাচনী প্রচারে দলের ঘোষিত ‘৩১ দফা কর্মসূচি’ এবং তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে ভোটারদের দুয়ারে যাচ্ছেন। এটি নিঃসন্দেহে দলের একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু যখন একই সময়ে দলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করে, তখন সেই ইতিবাচক প্রচেষ্টা ম্লান হয়ে যায়।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মতো একটি মহৎ উদ্দেশ্য সফল করতে হলে প্রয়োজন ইস্পাত-কঠিন সংহতি। একটি শক্তিশালী জনমত গড়ে তোলার কথা ছিল, কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দল সেই মূল্যবান সময় এবং সুযোগের অপচয় করছে। সাধারণ ভোটারদের মনে এই প্রশ্ন জাগাচ্ছে যে, যে দল নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে পারে না, তারা কীভাবে দেশের শাসনভার গ্রহণ করবে?

বিএনপি হাইকমান্ডের উচিত এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে হালকাভাবে না নিয়ে দ্রুত এর সমাধান করা। হয় মনোনীত প্রার্থীকে সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে, অথবা বিচক্ষণতার সঙ্গে এমন একটি সমাধান খুঁজতে হবে যা উভয় পক্ষের নেতৃত্বকে সন্তুষ্ট করে এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী মাঠে নামতে সাহায্য করে। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে স্মরণ রাখতে হবে যে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, এবং দলের চেয়ে দেশের বৃহত্তর স্বার্থ সবার আগে।

গাংনীর চলমান পরিস্থিতি মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির নির্বাচনী সম্ভাবনাকে ঝুঁকিতে ফেলছে। ধানের শীষের পক্ষে যে গণজোয়ারের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, তা কেবল তখনই সম্ভব যখন দল তার ভেতরের বিভেদ মিটিয়ে একটি একক ও শক্তিশালী ফ্রন্ট হিসেবে কাজ করবে। যদি এই দোটানা অব্যাহত থাকে, তবে তা শুধু একটি আসনের পরাজয় নয়, বরং বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথেও একটি গভীর ক্ষত তৈরি করবে। সংহতি ফিরিয়ে আনাই এখন গাংনী বিএনপির জন্য একমাত্র অগ্নিপরীক্ষা।