যথাযোগ্য মর্যাদায় দর্শনায় মহান বিজয় দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় দর্শনায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে দর্শনার বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে র‍্যালি, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে সকাল সাড়ে ৮টায় এসব সংগঠন র‍্যালি করে দর্শনা কেরু আনন্দ বাজার বিজয় স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির উদ্যোগে দর্শনা কেরু হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন কেরু ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

দর্শনা পৌরসভা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ, দর্শনা অনিবার্ণ থিয়েটার, দর্শনা বালিকা বিদ্যালয়, বাংলাদেশ জাসদ, বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, দর্শনা প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), কেরু মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতি, দর্শনা কাস্টমস, দর্শনা মৌচাক সামাজিক সংস্থা, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, দর্শনা আঁচল ব্যান্ড সংগীত গোষ্ঠী, লিটল অ্যাঞ্জেলস স্কুল, দর্শনা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দর্শনা উইমেন্স ক্লাব, পূর্ব রামনগর সরকারি বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান র‍্যালিতে অংশ নেয়।

র‍্যালি শেষে এসব প্রতিষ্ঠানে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা কেরু চিনিকলের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সকাল ৮টায় শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, ফাইন্যান্স ও অর্থ বিভাগের আব্দুছ ছাত্তার, জিএম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, এডিএম মির্জা গালিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে রাব্বিক হাসানের সহযোগিতায় কেরু হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

এদিন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে নানা কর্মসূচি পালন করে।




নানা আয়োজনে কোটচাঁদপুরে মহান বিজয় দিবস পালিত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি।

মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্থানীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সকাল ৮টায় কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিনের মূল কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এনামুল হাসান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুউজ্জামান এবং উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এরপর পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, স্কাউটস, গার্লস গাইড এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এনামুল হাসান।

দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরে নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা। সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে কোটচাঁদপুর শহরকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি করেছে।




মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে জামায়াতের বিজয় র‍্যালি

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার যুব বিভাগের উদ্যোগে বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ৩টার দিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী তাজউদ্দিন খানের নেতৃত্বে র‍্যালিটি অনুষ্ঠিত হয়।

র‍্যালিটি জেলা মডেল মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাথুলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সূরা কমিটির সদস্য ও সেক্রেটারি মো. ইকবাল হুসাইন, জেলা নায়েবে আমির মাহবুব উল আলম, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমির খান জাহান আলী, পৌর আমির সোহেল রানা ডলার, সদর উপজেলা সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আব্দুস সালাম ও জেলা সেক্রেটারি সাইদুর রহমান।




দামুড়হুদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

দামুড়হুদায় মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

মঙ্গলবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চত্বর, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল ৮টায় উপজেলার নাটুদাহ আটকবর স্মৃতিসৌধে প্রতিবারের মতো এবারও গভীর শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৯টায় উপজেলার মিনি স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় সংগীতের তালে তালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্ত করা হয়। এরপর পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, বিএনসিসি, গার্লস গাইড, স্কাউটস এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবের অংশগ্রহণে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বিজয়ের তাৎপর্য এবং স্বাধীনতার চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

দুপুর ১টায় মিনি স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাদ জোহর নামাজের পর বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ দোয়া মাহফিল, প্রার্থনা ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ৩টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে তিনদিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলার (চারু কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পপণ্য) উদ্বোধন করা হয়। এদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করা হয়। সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তর, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

দিনব্যাপী এসব কর্মসূচিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উবাইদুর রহমান সাহেলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মেসবাহ উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, সাধারণ সম্পাদক তানজির ফয়সাল, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুলসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সর্বস্তরের জনগণ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে দামুড়হুদা উপজেলায় প্রতি বছরই বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে।




গাংনীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন

গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। গাংনী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম কুমার দাস। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে ফুল দিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানান উপজেলা প্রশাসন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গাংনী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নাবিদ হোসেন, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরশাদ আলী, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোত্তালিব আলী এবং গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, যাঁদের জীবনের বিনিময়ে এবং বুলেটের মুখে জীবন বাজি রেখে জাতিকে এনে দিয়েছেন একটি লাল-সবুজ পতাকা ও একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, তাঁরা যুগে যুগে চিরঅমর হয়ে থাকবেন। তাঁদের আত্মত্যাগ জাতি কখনোই ভুলবে না। এভাবেই তাঁরা চিরকাল সম্মানিত হবেন।




আলমডাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন

আলমডাঙ্গায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা মঞ্চে এই বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পান্না আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিষ কুমার বসু, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, নারী উদ্যোক্তা হেলেনা আক্তার কামনাসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তা তাদের স্টলে খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয় করছেন। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্ট গ্যালাক্সি, সিস্টার কর্নার, ন্যাচারাল ফুড সার্ভিস, তাজবীদ মাটি, প্রয়োজন ডটকম, পিয়াঙ্কা শপ, পাখির বাসা, মাহেরা হোম ডেকর, লেডিস পয়েন্ট, বিভা ট্রেলার্স, ভেলপুরি অ্যান্ড ফুচকা হাউজ, লামিয়া থ্রি-পিস হাউজ, মি. কেক অ্যান্ড জেরিন কেক কর্নার, ফ্যামিলি মেলা, মাছওয়ালী তালহা, নাজনীন পিঠা-পুলি, শাম্মি নকশী নীড়, প্রান্তি আউটফিট, সুবর্ণলতা ঘরের খাবার, ফ্যাশন পার্ক, প্রিয়ার্স কিচেন, জান্নাতুল কুশিঘর, স্বপ্নবাড়ি, ড্রিম কেক হাউজ, রাহান ট্র্যাডিশনাল কিচেন এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ যুব সংস্থা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পান্না আক্তার বলেন, মহান বিজয় দিবসের এই আনন্দঘন বিজয় মেলা তিনদিনব্যাপী চলবে। মেলার আয়োজনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আনন্দ ও বিনোদনের মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ ঘটবে।




হরিণাকুণ্ডুতে বিজয় দিবস পালিত

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে হরিণাকুণ্ডু থানা চত্ত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনি এবং সকল সরকারী, আধাসরকারী,স্বায়ত্তশাসিত, বে-সরকারী ভবন সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনের শুভ সূচনা করা হয়।

এরপর সকাল ৮টায় উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামের শহীদ বেদীতে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা বিএনপি, হরিণাকুণ্ডু পৌরসভা, হরিণাকুণ্ডু থানা, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন পৃথক ভাবে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এছাড়া সকাল ৯টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সভাপতিত্ব উপজেলার প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের সমাবেশ, কুজকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।

একই দিনে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ঈশিতা আক্তার, হরিণাকুণ্ডু বীর মুক্তিযোদ্ধার কমান্ড আহবায়ক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার, হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টি,এইচ,ও) ডাঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ উজ্জ্বল কুমার কুণ্ডুু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান মাষ্টার, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শাখার সেক্রেটারী মোঃ ইদ্রিস আলী মাস্টার, গণআধিকার পরিষদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শাখার আহবায়ক আমর বিন মারুফ (জিতু), শিশু কলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ামত আলী, আন্দুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসদুল হক (টিটু), বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।




মেহেরপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জয়া ধর মুমুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ এ কে এম আবু সাইদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা এবং সম্মানিয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধাগন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়েই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় এবং সম্মানী ও উপহার সামগ্রী প্রদান করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।




কোটচাঁদপুর-তালসার সড়কে ৭৩ হাজার টাকা ছিনতাই

কোটচাঁদপুর-তালসার সড়কের পারলাট ব্রিজের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে ৭৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কলেজছাত্র লাবিব পাল্লাট গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে।

কলেজছাত্র লাবিব জানান, তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি তিনি অনলাইনে কাজ করেন।

কিছুদিন আগে শখের মোবাইল ফোন বিক্রি করে ওই টাকা ব্যাংকে জমা রাখেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্যাংক বুথ থেকে টাকা তুলে বাইসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এ সময় কোটচাঁদপুর–তালসার সড়কের পারলাট ব্রিজের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে দুটি মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে।

তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা তার কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করে পাশের আখক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ৭৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

লাবিবের বাবা আব্দুর রব বলেন, সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ২৬ মিনিটে তিনি ছেলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেন, তবে সে সময় ছেলে ফোন ধরেনি। কিছুক্ষণ পর ছেলে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। এরপর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা বাড়ি ফিরে আসেন। ছেলে অসুস্থ থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে থানায় বিষয়টি জানানো হয়নি।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।




মেহেরপুরের আমঝুপিতে মহান বিজয় দিবস পালন

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের আয়োজনে ৫৪তম মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৭টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর জামান। সকাল ৯টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিজয় র‍্যালি বের হয়ে আমঝুপি ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

র‍্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান, মাহাবুব হাসান, বসির আহমেদ, রাফিউল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম, ফারাহ হোসেন, লিটন, তুষার আহমেদ, গাজিউর রহমান, রকিবুল ইসলাম রিপন, ইব্রাহিম খলিল, নারগিস চৌধুরী, শাহানাজ খাতুন, রুবেল আহমেদ এবং কম্পিউটার শিক্ষক হাবিব।

এছাড়াও সকাল ৭টায় আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ আলী। এ সময় সহকারী শিক্ষক ফয়জুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, আমঝুপি মডেল হাফিজিয়া মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সুমন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সেক্রেটারি ফারুক হোসেন ও সভাপতি তানসিন আহমেদ।