আলমডাঙ্গা বন কর্মকর্তার উদাসীনতা অন্তিম পর্যায়ে; কর্তব্যের গাফিলতি

আলমডাঙ্গা বন কর্মকর্তার উদাসীনতা অন্তিম পর্যায়ে।পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেও কর্তব্যের গাফিলতি। নওলামারী গ্রামে তদন্তের স্বার্থে একনজর দেখার সময় নেই। এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।সরেজমিনে সাংবাদিকরা গেলে তাদের ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের নওলামারি গ্রামে জিকে খালের সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন এক প্রবাস ফেরত ব্যক্তি ও স্থানীয় দুই বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার দিনভর খালের ওপর থাকা মূল্যবান মেহগনি, বাবলা ও সেগুনগাছ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্বানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা হলেন নওলামারি গ্রামের আব্দুল মল্লিকের ছেলে হাজি মতিয়ার, দারুল বিশ্বাসের ছেলে প্রবাস ফেরত লালন এবং বিশারত বিশ্বাসের ছেলে ফরিদুল মাস্টার।

স্থানীয়রা জানান, কাটা গাছের একটি অংশ বাড়ির আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে এবং কিছু গাছ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। হাজি মতিয়ার গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গাছের ছায়ার কারণে জমিতে চাষের শস্যের ফলন কমে যাচ্ছিল। তাই গাছ কেটে বিক্রি করেছি।

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য ভিন্ন। তাঁরা জানান, কয়েক মাস আগে বিদেশ থেকে ফিরে লালন অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে জিকে খালের সরকারি গাছ কেটে ফেলেন। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক ফরিদুল মাস্টার। তাঁরা দুজনই প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের কর্মকর্তা এ কে এস আতাএলাহী বলেন, বিষয়টি আলমডাঙ্গা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে শিক্ষক কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকার

দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে দারুল উলুম ফুরকানিয়া কওমী মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গণধোলাই পর পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আরাফাত হোসেন শিশির (২৫) দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মল্লিক পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে। গতকাল শনিবার বেলা আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে মাদরাসা প্রাঙ্গনে এই গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেন।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর দারুল উলুম ফুরকানিয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলা আরাফাত হোসেন শিশির একই মাদরাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র (১২)কে ফুঁসলিয়ে বিভিন্ন সময়ে বলাৎকার করে আসছিল। ঐ মাদ্রাসা ছাত্র বাড়িতে ছুটিতে গিয়ে আর মাদ্রাসায় ফিরে আসতে না চাইলে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে সে পরিবারের লোকজন কে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত খুলে বলেন।

গতকাল শনিবার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন মাদরাসায় গিয়ে ওই শিক্ষককে উত্তম মাধ্যম গণধোলাইয়ের পর একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত কে হেফাজতে নেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানাগেছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ৯৯৯ লাইনে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আইনগত প্রক্রীয়াধীন।




দর্শনা মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে স্যানিটেশন উন্নয়ন কর্মসূচির উঠান বৈঠক

দর্শনা মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে স্যানিটেশন উন্নয়ন কর্মসূচির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সকাল ১১টায় কালিদাসপুর আদীবাসী পাড়ায় পূজা মন্ডপের সামনে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে নিবার্চিত ১৭ জন নারী ও পুরুষ অংশ নেয়। এছাড়া আজ শনিবার থেকে প্রথম ধাপে ১০ এবং দ্বিতীয় ধাপে ৭জনকে আরো বিনামূল্যে সেমি পাকা ল্যাট্রিন নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে নিবার্হী পরিচালক জানান।

স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন বিষয় আলোচনা করেন, সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান পান্না ও মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংস্থার ম্যানেজার মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জিল্লুর রহমান।




দামুড়হুদা বাজারে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ 

আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

আজ শনিবার দামুড়হুদা বাজার এলাকায় উপজেলা বিএনপির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনুর নেতৃত্বে এ প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পথচারীদের মাঝে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে বিজয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

প্রচারণাকালে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আবুল হাশেম, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আশরাফ আলী, বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান তোতাম, শামসুল ইসলাম, আব্দুস সালামসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নেতৃবৃন্দ এ সময় বলেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ধানের শীষের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। প্রচারণাকালে সকল স্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।




কোমরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হাজী মো: আমানউল্লাহ আর নেই

কোমরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হাজী মো: আমানউল্লাহ বেলু ইন্তাকাল করেছেন।

মরহুমের জানাযার নামাজ আগামীকাল রবিবার সকাল ৯:০০ ঘটিকায় কোমরপুর বাইতুল আমিনা মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ। উক্ত জানাযায় সকলে উপস্থিত হয়ে দো-জাহানের অশেষ নেকি হাসিল করুন।




মহেশপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চায়ের দোকানে প্রাইভেট কার, নিহত ১ আহত ৩

ঝিনাইদহের মহেশপুরে প্রাইভেট কারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ায় এবং কারের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও ৩ জন।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম হোসেন উপজেলার রাখালভোগা গ্রামের মৃত আলিম মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, দর্শনা থেকে ছেড়ে আসা সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার মহেশপুরের দিকে যাচ্ছিল। শিশুতলা বাজার এলাকায় পৌঁছালে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা একটি চায়ের দোকানে ধাক্কা দেয়। এতে দোকানটি ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলেই ইব্রাহিম হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় রাখালভোগা গ্রামের বাবলু মন্ডল, ফতেপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম খুদে ও কদমতলা গ্রামের নাসির উদ্দিন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কোটচাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




ঝিনাইদহে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

শীতার্ত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ সমাজসেবা অফিস প্রাঙ্গণ, পৌরসভার সামনে, পৌর গোরস্থান এলাকা ও রেড ক্রিসেন্টসহ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে এ কম্বল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অসহায় ও দুস্থ মানুষকে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়।

সেসময় জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, স্থানীয়র সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর কুমার দাশ, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল মাখন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান, রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবিরসহ সমাজসেবা অধিদপ্তর, পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন কোনো মানুষ কষ্ট না পায় এ লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

উপকারভোগীরা জেলা প্রশাসনের এই মানবিক উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার দাবি জানান।




জয়রামপুর স্টেশনের সংস্কার ও সাগরদাঁড়ী-কপোতাক্ষ ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেলস্টেশনের সংস্কার, সাগরদাঁড়ী ও কপোতাক্ষ ট্রেনের স্টপেজ চালু, স্টেশন মাস্টার ও গেটম্যানসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেন চলাচল পুনর্বহালের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ৯টায় জয়রামপুর রেলস্টেশন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে জয়রামপুরসহ আশপাশের এলাকার সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় চলাকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আপ কপোতাক্ষ ট্রেনটি মানববন্ধনকারীরা জয়রামপুর স্টেশনে সাময়িকভাবে থামিয়ে দেন। এ সময় ট্রেনের পরিচালক কর্মসূচিকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দাবিসমূহ সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

পরবর্তীতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হলে কর্মসূচি স্থগিত করেন। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিকভাবে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হয়। এ ঘটনায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।

বক্তারা বলেন, জয়রামপুর রেলস্টেশনটি এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্টেশন হলেও দীর্ঘদিন ধরে চরম অবহেলার শিকার। স্টেশনে নিয়মিত ট্রেন না থামায় শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, কৃষক ও সাধারণ যাত্রীদের প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, সাগরদাঁড়ী ও কপোতাক্ষ ট্রেনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের স্টপেজ চালু হলে এ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে।

বক্তারা অভিযোগ করেন, স্টেশনে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় নিরাপত্তা ও যাত্রীসেবায় মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। দ্রুত সংস্কার ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধনের আয়োজন করে দামুড়হুদাবাসীর পক্ষে জয়রামপুর ট্রেন সুবিধা সংরক্ষণ কমিটি।




মেহেরপুরের মোখলেছুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলার এসএসসি ও এইচএসসিতে শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাংনীর সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেহেরপুর ক্যাম্পাসে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য দ্বিতীয় থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য এক ঘণ্টা এবং চতুর্থ থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
জেলায় মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত ও শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২৬ সাল থেকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের চাঁদবিল প্রধান সড়কের পাশে সন্ধানী সংস্থার প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোখলেছুর রহমানের নামে মোখলেছুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালেই একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে সন্ধানী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আবু জাফর বলেন, আজ আমাদের জন্য অন্যরকম অনুভূতির দিন। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন মেহেরপুরে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার এই প্রচেষ্টা। সকলের সহযোগিতায় জেলায় মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ভর্তি পরীক্ষার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৬১ জন ফরম উত্তোলন করে ৪৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
তৃতীয় শ্রেণিতে ৮০ জন ফরম উত্তোলনের মধ্যে ৭৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পঞ্চম শ্রেণিতে ৫১ জন ফরম উত্তোলন করে ৪৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১১৮ জন ফরম উত্তোলনের মধ্যে ১০৬ জন এবং সপ্তম শ্রেণিতে ৬০ জন ফরম উত্তোলনের মধ্যে ৫৭ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
সব মিলিয়ে এ বছর ৪২৩ জন শিক্ষার্থী ফরম উত্তোলন করে ৩৯০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, যার গড় উপস্থিতির হার ৯১.১২ শতাংশ।
প্রথমবারের মতো এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।




নির্বাচনে যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির বলেছেন, অতীতের নির্বাচনের ধারণাগুলো ভুলে যান। আমরা এখানে কাউকে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করতে কাউকে এলাও করবো না, সে যেই হোক না কেন। কোনো ধরনের পেশি শক্তি যদি কেউ প্রদর্শন করে, তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো, সে যেই হোক না কেন এবং মানুষকে কালো টাকা, বেশি শক্তি, ভয়-ভীতি, প্রেসার ক্রিয়েট করে মানুষকে ভোট দেওয়াতে বাধ্য করবে এই ধরনের যত ফোর্স আছে, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে নির্দ্বিধায় বলছি, আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

গণভট ২০২৬ উপলক্ষ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে গণবোধ প্রচার প্রচারণা বিষয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সকল কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে, এটা আসলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে অসুবিধা করবে এবং নির্দ্বিধায় যদি আমাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে না পারে, এই জাতি এগোতে আর পারবে না।

আমরা আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি দিনের ভোট রাতে, রাতের ভোট দিনে; একজনের ভোট আরেকজন এসে দিয়ে দিচ্ছে; নির্বাচন জেতার জন্য ব্যাপক কালো টাকা মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দের পর যে প্রার্থীরা প্রচারণায় নামবেন, আমি তাদের প্রতি অনুরোধ করবো এখন থেকে আপনারা এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন। আমাদের নলেজে আসলে আমরা আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হব।

মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ খাইরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল হুদা, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুকুমার মিত্র, জেলা আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ কামরুজজামান প্রমুখ।

এছাড়াও এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।