দর্শনা সীমান্তে ১৪ ভারতীয় নাগরিকের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ
একই পরিবারের নারী-পুরুষ, বৃদ্ধা ও শিশুসহ মোট ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ জোরপূর্বক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করিয়েছে বলে অভিযোগ করছে ভুক্তভোগীরা। গতকাল শুক্রবার সকালের দিকে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে তারা।
জানা গেছে, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের উরিষ্যা প্রদেশের জগেশ্বরপুরের বাসিন্দা। তারা মুসলিম পরিবারের হওয়ার কারণে তাদেরকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভারতীয় এই নাগরিরা।
তবে শুক্রবার সকালে বাংলাদেশর চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা সীমান্তে প্রবেশের পর আশে পাশে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে পরে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিলে স্হানীয়রা তাদের কথা শুনে সাময়িক ভাবে খোলা স্থানে তাবু করে থাকার ব্যবস্থা করেন এবং খাবার ও শীতের বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেন। পরে বিষয়টি সন্ধ্যার পর জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে তথ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ, বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অনুপ্রবেশকারী ১৪ জন ভারতীয় নাগরিকের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা জন্মসূত্রে ভারতের উরিষ্যা প্রদেশের জগশ্বরপুরের বাসিন্দা। কিন্তু আমার বাবা ছোট বেলায় আমার দাদার সাথে ভারতে চলে আসে। এরপর তিনি ভারতেই বড় হয়েছেন এবং আমাদের জন্মস্থান ভারতেই, আমরা ভারতীয় নাগরিক, আমাদের আধার কার্ড, রেশন কার্ড আছে কিন্তু ভারতীয় পুলিশ জোরপূর্বক সেগুলো কেড়ে নিয়েছে। আমরা সকলেই মুসলিম মোট ১৪ জন সদস্য একই পরিবারের পুরুষ ৫ জন, মহিলা ৫ জন, বাচ্চা ৪ জন।
ভারতীয় ১৪ জন নাগরিক হলো, ভারতের উরিষ্যা প্রদেশের জগশ্বরপুরের একই পরিবারের বাসিন্দা মৃত খাদিম খা’র মেয়ে গুলশান বিবি (৯০), মৃত শেখ হারুনের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), মৃত শেখ হোসেনের মেয়ে আলকুম বিবি (৬৫), শেখ জব্বারের ছেলে শেখ উকিল (৪০), মৃত শফিক খানের মেয়ে সাবেরা বিবি (৩৫), শেখ উকিলের মেয়ে শাকিলা খাতুন (১১), শেখ জব্বারের ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), মৃত শেখ ইসরাফিলের মেয়ে সামসেরি বিবি (৪০), শেখ জব্বারের ছেলে শেখ রাজা (৩০), মৃত শেখ আলিমের মেয়ে মেহেরুন বিবি (২৫), শেখ রাজার মেয়ে নাসরিন পারভিন (১২) এবং দুই ছেলে শেখ তৌহিদ (১১) ও শেখ রহিদ (০২) এবং শেখ জব্বারের ছেলে শেখ বান্টি (২৮)।