মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাব নির্বাচনে সকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন-২০২৫ এর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ১১টি পদের বিপরীতে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় সব পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিটি পদের জন্য একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করায় নির্বাচন কমিশন বিধি অনুযায়ী সবাইকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জেলা প্রেস ক্লাবের নতুন নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পথ সুগম হলো।

চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তোজাম্মেল আয়ম (যুগান্তর)। সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন নাসের চৌধুরী (নিউজ টাইমস)। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহাবুর চান্দু (মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনার সম্পাদক ও ডি নিউজ, জেলা প্রতিনিধি)। যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন এ সিদ্দিকী শাহীন (দিনেক খবর, জবাবদিহি) এবং অর্থ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দিলরুবা খাতুন (বাসস/প্রতিদিনের সংবাদ)।

এছাড়া কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ তোফায়েল হোসেন (দৈনিক ইনকিলাব ও ঢাকা মেইল, জেলা প্রতিনিধি)। দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন মাসুদ রানা (এশিয়ান এজ/আমাদের অর্থনীতি)।

নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ড. আমানুর আমান (ডেইলি সান ও বণিক বার্তা, আঞ্চলিক প্রতিনিধি), মূর্তজা রফিক রুপক (ভোরের কাগজ, জেলা প্রতিনিধি), সিরাজুদ্দোজা পাভেল (দৈনিক আমার সংবাদ, জেলা প্রতিনিধি) এবং খান মাহমুদ আল রাফি (দৈনিক কালবেলা, জেলা প্রতিনিধি)।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আনোয়ারুল হক কালু এবং সদস্য ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তফসিল অনুযায়ী সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে আইনগত প্রক্রিয়ায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা আশা প্রকাশ করেছেন, নবনির্বাচিত কমিটি মেহেরপুরে সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার রক্ষা, নৈতিক সাংবাদিকতা চর্চা এবং সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।




মেহেরপুরে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুরের গাংনীতে অভিযান চালিয়ে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গাংনী উপজেলা শহরের বড় বাজারের কসমেটিক্স পন্য, মিষ্টান্ন ভান্ডার ও ওষুধের ফার্মেসিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান।

তিনি জানান, কসমেটিক্স পন্যে উৎপাদনকারী কোম্পানির নাম না থাকায় মেসার্স আকমল স্টোরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ এর ৩৭ ও ৫১ ধারায় এক লাখ টাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মিষ্টান্ন জাতীয় পণ্য উৎপাদনের অপরাধে আমিন মিষ্টান্ন ভান্ডারকে একই আইনের ৪৩ ধারা অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে এস এস ফার্মেসিকে ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত মালামালগুলো জনসম্মুখে বিনষ্ট করা হয়।

অভিযানে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাংনী ইউনিটের একটি টিম এবং জেলা পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেন।




আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শাহিদা বানুর বিদায় সংবর্ধনা

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শাহিদা বানুর অবসর গ্রহণ উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অতিথিদের উপস্থিতিতে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক আফরোজা পারভীন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান।

এসময় বক্তব্য রাখেন, সহকারী শিক্ষক ফারহা হোসেন লিটন, রকিবুল ইসলাম, তুষার আহমেদ, ইব্রাহিম খলিল, রাফিউল ইসলাম, বশির আহমেদ, আবুল হাসান, শাহাজান খাতুন ও নার্গিস চৌধুরীসহ শিক্ষার্থী ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, শাহিদা বানু একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন নিষ্ঠা, সততা ও মমতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোকিত করেছেন। তার অবদান বিদ্যালয়ের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধান অতিথি সহিদুল ইসলাম বলেন, একজন শিক্ষক অবসরে গেলেও তার শিক্ষা ও মূল্যবোধ সমাজে চিরদিন বেঁচে থাকে। শাহিদা বানু সেই উদাহরণ।

সংবর্ধনার একপর্যায়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহিদা বানুকে ফুল ও উপহার দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্যোগে ফুলের গাড়িতে করে তাকে তার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

বিদায় মুহূর্তে শাহিদা বানু আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, এই বিদ্যালয় ও সহকর্মীদের ভালোবাসা আজীবন মনে থাকবে। শিক্ষার্থীদের সাফল্যই ছিল আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।




গাংনীতে তিনদিন ব্যাপি বিজয় মেলার উদ্বোধন

মেহেরপুরে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপি বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্তরে বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

এসময় গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনাসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

মহান বিজয় দিবসের চেতনা ও দেশীয় কারু পণ্যের উন্নয়ন তুলে ধরা হয় মেলায়। এছাড়াও বাঙ্গালির ব্যাবহার্য বিলুপ্ত পণ্য ও পিঠাপুলি নিয়ে মেলা পঞ্চাশটি স্টল বসেছে।




গাংনীতে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের জনসচেতনতামূলক বিশেষ ক্যাম্পেইন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ ক্যাম্পেইন করেছে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং গাংনী উপজেলা শাখা। আজ সকাল ৯ টায় গাংনী উপজেলা ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা কার্যালয় থেকে একটি মোটরসাইকেল র‌্যালি বের হয়।

র‌্যালির নেতৃত্বে দেন, এজেন্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক ডিভিশনের প্রধান মোহাম্মদ তারেক সালাউদ্দীন।

র‌্যালিটি গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে শতভাগ নিরাপদ ব্যাংকিং বিষয়ে মাইকিং ও শতর্কতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন, ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক ডিভিশনের প্রধান মোহাম্মদ তারেক সালাউদ্দীন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মোট ১৩ টি এজেন্ট শাখায় গিয়ে জনসচেতনতা তৈরী করেন, ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের এজেন্টগণ। নিরাপদ লেনদেন সম্পর্কে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে ধারণা দেয়া হয়।

এসময় গাংনী উপজেলার মাস্টার এজেন্ট খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন এজেন্টগণ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ জুলাই যোদ্ধা তামিমের পিতা কামরুল ইসলাম

মেহেরপুরে এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য তামিম ইসলামের পিতা কামরুল ইসলাম।

এ ঘটনায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত রয়েছেন। নিখোঁজ কামরুল ইসলাম ফিলিং স্টেশন ব্যবসায়ী এবং মেহেরপুর জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি সরকারি কলেজ পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে। এ বিষয়ে তামিম ইসলাম মেহেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জিডি নম্বর:৪৯২, তারিখ ১০/১২/২০২৫ ইং।

তামিম ইসলাম জানান, গত ৮ ডিসেম্বর তার বাবা হিরো হোণ্ডা ব্র্যাণ্ডের হাংক মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। সে সময় তিনি কালো রঙের প্যান্ট, লাল গেঞ্জি এবং নীল রঙের ব্লেজার পরিহিত ছিলেন।

তামিম আরও জানান, ঘটনার দিন থেকে আত্মীয়, স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল যায়গায় খোঁজ নিয়েছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও কোন সদুত্তর জানাতে পারেননি। ফলে আমরা খুব দুঃশ্চিন্তা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা তাঁর সন্ধানে বিভিন্নভাবে খোজঁ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে অপহরণ হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কোনো লক্ষণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত সন্ধান পেতে পারি।




মেহেরপুরে প্রচারসামগ্রী অপসারণ হয়নি অনেক এলাকায়

এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের প্রচারসামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়।

গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সেই সময়সীমা শেষ হলেও মেহেরপুরের অনেক এলাকায় এখনো প্রচারসামগ্রী অপসারণ করা হয়নি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার আমীর ও মনোনীত প্রার্থী তাজউদ্দিন খান মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে তাঁর প্রচারসামগ্রী সরিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালেও সব এলাকায় নির্দেশনা পুরোপুরি মানা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সময়সীমা পার হয়ে গেলেও শহরের কাথুলী রোড, শামসুজ্জোহা পার্ক, হোটেল বাজার ও বড় বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এখনও পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলে আছে। শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতেও প্রচারসামগ্রী চোখে পড়ছে। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।

প্রচারসামগ্রী অপসারণের বিষয়ে প্রার্থীদের মধ্যে দায়সারা মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে কর্মীদের নিজ উদ্যোগে পোস্টার সরানোর নির্দেশ দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছেন প্রার্থীরা।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, মেহেরপুরের কমিউনিটি সেন্টার, শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কের গেট, পৌর কবরস্থানের সামনে, বড় বাজার, হোটেল বাজার, খামারবাড়ির সামনে, কাথুলী রোড ও ফৌজদারি পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার আমীর তাজউদ্দিন খানের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ঝুলতে দেখা গেছে।

এদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদ অরুনের অন্য কোনো এলাকায় কোনো ধরনের ব্যানার বা ফেস্টুন চোখে পড়েনি। তবে শহরের কাথুলী রোডের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর প্রচারণার স্টিকার দেখা গেছে।

এবিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম জানান, সব জায়গাতেই নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা। এখনো যদি কোথাও প্রচারসামগ্রী থেকে থাকে, আমাদের আচরণবিধি ম্যাজিস্ট্রেট আছেন তাঁকে বিষয়টি জানানো হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।




১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী সাবিত্রি, হিমসাগর আম ও মেহেরসাগর কলা 

দেখতে অনেকটা চমচমের মতো, আকার লম্বা ও চ্যাপটা। খেতেও সুস্বাদু। নাম তার সাবিত্রি। সম্প্রতি মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আবেদনে ভৈগলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে মেহেরপুরের ১৫০ বছরের এতিহ্য এই সাবিত্রি মিষ্টি। অন্যান্য মিষ্টি চিনতে সমস্যা হলেও এক দেখাতে ‘সাবিত্রি’ চেনা যায়। এর গায়ে ‘সাবিত্রি’ লেখা থাকে। এটাই এ মিষ্টির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ঠ্য।

জেলার দেড়শ বছরের ঐতিহ্য সাবিত্রি মিষ্টি শুরু থেকেই ধরে রেখেছে স্বাদ ও মান। এর পেছনে জড়িয়ে আছে ব্যবসায়ী ও কারিগরদের মমতা ও পেশাদারিত্ব। তিন পুরুষ ধরে মেহেরপুর শহরে এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি তৈরি করে বাজারজাত করছেন বাসুদেব সাহার উত্তরসূরিরা।  মিষ্ট্রির জনপ্রিয়তা দেখে এখন অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও সাবিত্রি মিষ্টি তৈরি করেন তবে তাদের মত মান ও স্বাদ করতে পারেন না।

সাবিত্রি মিষ্টির সুনাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও জায়গা করে নিয়েছে অনেক আগেই। এ অঞ্চলে বিয়ে বাড়ি কিংবা অতিথি আপ্যায়ন যেন এই মিষ্টি ছাড়া বেমানান। শুরু থেকে আজও পর্যন্ত ‘সাবিত্রী’ মিষ্টি তৈরির কারিগররা বংশ পরম্পরায় ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছেন।

১৮৬১ সালে মেহেরপুর শহরের কাসারিবাজার এলাকার বাসুদেব সাহা নিজ বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি শুরু করেন। বাসুদবে সাহাও পৈতৃক পেশা হিসেবে তিনি মিষ্টির ব্যবসায় আসেন। দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এ মিষ্টি। স্থানীয় জমিদার ও ইংরেজদের কাছেও এ মিষ্টি প্রিয়তা লাভ করে।

সাবিত্রী মিষ্টির প্রথম কারিগর ছিলেন বাসুদেব সাহা। পরে মিষ্টি তৈরির এ বিদ্যাটি রপ্ত করেন তার ছেলে রবীন্দ্রনাথ সাহা। রবীন্দ্রনাথ সাহা গত হওয়ার পর থেকে এ মিষ্টির হাল ধরেছেন তার দুই ছেলে বিকাশ সাহা ও অনন্ত সাহা। এখনও সইে বাড়রি ছোট একটি দোকানে বাসুদবে সাহা নামরে একটি ব্যবসা প্রতষ্ঠিানে বক্রিি করনে সাবত্রিি ও রসকদম । বাইরের কারিগর দিয়ে মিষ্টি তৈরির কাজ না করায় সাবিত্রীর গুণগত মান এবং স্বাদ আজও একই রকম। কদরও বাড়ছে দিন দিন। বাজারের অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় এর দাম কম। সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় সবাই এটি কিনে খেতে পারে।

জানা যায়, মিষ্টি বিক্রির টাকা দিয়েই চলত বাসুদেবের সংসার। পৈরাণিক সাবিত্রি দেবীর নাম অনুসারে বাসুদেব সাহা মিষ্টির নামকরণ করেন ‘সাবিত্রী’। সে সময় ভোজনরসিক জমিদারদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে এ মিষ্টি। কালক্রমে স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়ে দেশজুড়ে পরিচিতি লাভ করে। ধীরে ধীরে মেহেরপুরের ‘সাবিত্রী’ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পরিচিতি পায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাড়িতে বিশেষ কোনো অতিথি আসলে তাদের নাস্তায় ‘সাবিত্রী’ মিষ্টি রাখাটা এ এলাকার রীতি। এ ছাড়াও আত্মীয়বাড়ি, ঘনিষ্ঠজনদের উপহার, বিয়ের অনুষ্ঠান ও নানারকম আয়োজনে এ মিষ্টি থাকবেই। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অনুষ্ঠানগুলোতেও ‘সাবিত্রী’ মিষ্টি পরিবেশন যেন একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।

তবে, বাজারে মিষ্টির কদর ও চাহিদা বাড়লেও পর্যাপ্ত দুধ ও জনবলের অভাবে এখন ৩০ থেকে ৪০ কেজির বেশি মিষ্টি তৈরি করা সম্ভব হয় না বলে জানান, সাবিত্রী মিষ্টির কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।

বাসুদেব গ্র্যান্ড সন্সের বর্তমান মালিকদের দুই ভাই এক ভাই অনন্ত সাহা বলেন, ‘সাবিত্রী’ মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত দুধ কিংবা মিষ্টি ফ্রিজে রাখা হয় না। ফ্রিজে রাখলে স্বাদ আর মান ঠিক থাকে না। প্রতিদিন সংগ্রহ করা দুধ ভারী কাঠ দিয়ে চুলায় জ্বাল করানো হয়। দিনের পুরো সময় ধরে দুধ জ্বাল দিতে হয়। সন্ধ্যার দিকে জ্বাল দেওয়া শেষ হলে তা ঠান্ডা করার জন্য রেখে দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে ‘সাবিত্রী’ বানিয়ে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন মিষ্টির যে পরিমাণ অর্ডার পাই, সে অনুযায়ী দুধের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘দুধ-চিনি আর কাঠের দাম বেড়ে যাওয়া এবং সময়মতো দুধের জোগান না পাওয়ায় মাঝে মাঝে সংকট তৈরি হয়। বাপ-দাদার হাতের মিষ্টি তৈরির স্বত্ব অন্য কাউকে দিতে চাই না। যদি কেউ ভেজাল করে, তাহলে দেড়শ বছরের সুনাম ক্ষুন্ন হবে। বিষয়টি মাথায় রেখেই বহিরাগত কাউকে কাজে নেওয়া হয় না।’

অনন্ত সাহা বলেন, আমরা ‘সাবিত্রী’ ও ‘রসকদম’ মিষ্টি তৈরি করে থাকি। দুটোই মেহেরপুরের ঐতিহ্য বহন করে। প্রতিকেজি ‘সাবিত্রী’ ও ‘রস কদম’ ৫৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।

সাবিত্রী মিষ্টির নিয়মিত ক্রেতা ইয়াসির রহমান বলেন, শুধু আত্মীয়-স্বজনদের জন্য না, বাড়িতে প্রতিনিয়ত খাওয়ার জন্যও এ মিষ্টি কিনে থাকি। এর মত স্বাদ আর অন্য কোন মিষ্টিতে পাই না।

মেহেরপুরের সিনিয়র সাংবাদিক ও জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু বলেন, মেহেরপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে গেলে ‘সাবিত্রী’ মিষ্টির নাম চলে আসে। আমরা ছোট থেকেই এই মিষ্টির সাথে পরিচিত। ব্যবসায়ী ও কারিগরের হাত বদল হলেও জৌলুস আর সুনাম এখনো ধরে রেখেছেন কারিগররা। বাসুদেব সাহা এ মিষ্টির আবিস্কারক হলেও তার দেখাদেখি এখন অনেকেই এ মিষ্টি তৈরি করে, তবে বাসুদেবের মত স্বাদ ও মান অন্যরা করতে পারে না।

জিআই সনদ প্রাপ্তি নিয়ে মাহাবুব চান্দু বলেন, সাবিত্রি, আম বা কলাই নয় মেহেরপুরের আর ও কিছু ঐতিহ্যবাহী পণ্য রয়েছে যেগুলোও জিআই সনদ পাওয়ার উপযুক্ত।

সাক্ষাৎকার বাসুদবে সাহার নাতি অনন্ত সাহা

১৮৬১ সালে স্থাপিত হয় বাসুদেব সাহা প্রতিষ্ঠাতা তিন পুরুষ মিলে দোকান চালাচ্ছেন,  প্রথমে বাসুদেব সাহা, তারপর রাবিন্দ্রনাথ সাহা, এখন বিকাশ সাহা ও  অনন্ত সাহা।  শুক্রবার সকালে পাওয়া যায় অনন্তসাহাকে । তিনি ক্রেতাদের কাছে মিষ্টি বিক্রি করছিলেন। মিষ্ট্রির বিক্রি ফাঁকে ফাঁকে কথা হয় অনন্ত সাহার সাথে।

মেহেরপুর প্রতিদিন: দিনে কত কেজি মিষ্টি তৈরি করেন? কত কেজি দুধ ও ছানা প্রয়োজন হয়?

অনন্ত সাহা: প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ কেজি মিষ্টি তৈরি করি। এর মধ্যে সাবিত্রি ও রসকদম৷ এই মিষ্টি তৈরি করতে ১৮০ কেজি থেকে ২০০ কেচি দুধ প্রয়োজন হয়।

মেহেরপুর প্রতিদিন: অনেকে এই মিষ্টি তৈরি করার চেষ্টা করে কিন্তু আপনাদের মতো টেষ্ট হয় না। এবিষয়ে আপনাদের কোন অভিযোগ আছে কি-না?

অনন্ত সাহা: কারো কাছে কোন অভিযোগ নেই , যে যেভাবে কাজ করছে করুক। অনেকেই চেষ্টা করছে কিন্তু আমাদের মত পারেনি ।

মেহেরপুর প্রতিদিন: চাহিদা থাকা সত্বেও বেশি তৈরি করেন না কোনো.?

অনন্ত সাহা: কাঁচামালের সমস্যা, দক্ষ লোকজনের সমস্যা। এর থেকে বড় সমস্যা হলো বেশি করে তৈরি করতে গেলে মান ভালো থাকে না।

মেহেরপুর প্রতিদিন: সাবিত্রি মেহেরপুরের মিষ্টি হিসেবে জি আই সনদ পেয়েছে, আপনাদের কেমন লাগছে?

অনন্ত সাহা:  অবশ্যই ভালো লাগছে, এটা শুধু আমাদের জন্য না মেহেরপুরবাসীর জন্য গর্বের বিষয় । মিষ্টি নিয়ে সারা দেশে আমাদের সুনাম রয়েছে, এবার সুনামের সাথে সরকারি স্বীকৃতও মিলল।

হিমসাগর আম

সাবিত্রি মিষ্টির সাথে মেহেরপুরের দুটি কৃষি পণ্য হিসেবে হিমসাগর আম ও মেহেরসাগর কলাও পেয়েছে জিআই সনদ। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আবদনে এ দুটি কৃষিপণ্যকে জিআইসনদ দেওয়া হয়েছে। স্বাদে গন্ধে মেহেরপুরের হিমসাগর আম সারাদেশে আমপ্রেমিদের মন জয় করেছে অনেক আগে। একটি স্বাভাবিক আমের ওজন ২৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম হয়ে থাকে যার ৭৭ শতাংশই হল রসালো অংশ, বাকি ২৩ শতাংশ আঁটি। আঁশবিহীন আম হিসেবেও এর কদর অনেক। বাগানে বাগানে হিমসাগর আম গাছের ছড়াছড়ি। গত কয়েকবছর ধরে মেহেরপুরের হিমসাগর আম মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। রপ্তানিযোগ্য করে উৎপাদন করতে পারলে হিমসাগর আম রপ্তানিতে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারবে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবীদ সনজীব মৃধা কালের কণ্ঠকে বলেন, মেহেরপুর জেলা ২৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। এসকল আমচাষ থেকে ফলন হয় ৪০ হাজার  মেট্রিক টন। টাকার মূল্যে ১২০ কোট টাকার আম উৎপাদন হয় প্রতিবছর।

তিনি আরও বলেন, মেহেরপুরের হিমসাগর আম অন্যরকম বৈশিষ্ঠ হলো এটিতে কোন আঁশ নেই এবং খুবই সুস্বাদু। যা অন্যান্য জেলার হিমসাগর আম থেকে আলাদা করে চেনা যাবে। চলতি বছর থেকে যাতে আমাদের হিমসাগর আম রপ্তানিতে ভালো বাজার পেতে পারে সে ব্যাপারে চাষীদের সাথে আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।

মেহেরপুরের সব থেকে বড় হিমসাগর আম চাষী শহরের মহিলা কলেজ পাড়ার সাইদুর রহমান শাহিন সদর উপজেলার সুবিধপুরে তাঁর ৩০ বিঘা জমিতে ১৭৭টি হিমসাগর আমের বাগান রয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমি হিমসাগর আম রপ্তানি করার লক্ষ্যে কৃষি অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সাথে কাজ করছি। ২০১৭ সালে আপনি কালের কণ্ঠ পত্রিকায় আমাদের হিমসাগর আম নিয়ে বড় প্রতিবেদন করেছিলেন।  এছাড়াও বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন হয়। এসকল প্রতিবেদন গুলো সাবেক কৃষি সম্প্রসারণ উপপরিচালক বিজয় কষ্ণ হালদার অফিসিয়াল খরবে জিআই সনদের জন্য আবেদন করেছিলেন। অবশেষে আমরা সেই জিআই সনদ পেলাম। এটা আমাদের জন্য অত্যান্ত আনন্দের। আমরা এই হিমসাগর নিয়ে আরও কাজ করতে পারবো।

মেহেরসাগর কলা

মেহেরপুর সবজির পাশাপাশি চাষীরা ব্যাপকভাবে বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করে থাকেন। তার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী কলা হচ্ছে মেহেরপুর সাগর। জেলা প্রতিবছর গড়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে অধিকাংশ কলা মেহের সাগার জাতের। সুস্বাদু জাতরে কলা যার গাছ মজবুত, ফলন ভালাে হয় এবং রোগবালাই কম হওয়ায় মহেরেপুর সাগর কলা চাষীদরে কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।ে এবং এটি লাভজনক ফসলে পরণিত হয়ছে।

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের কলাচাষী সানোয়ার হোসেন বলেন, মেহের সাগর কলা সুস্বাদু এবং এটি লাভজনক ফসল। এ ফসল চাষের পাশাপাশি সাথি ফসল চাষ করা হয়। তিনি বলেন, আমি ৭ বিঘা জমিতে মেহেরসাগর কলা চাষ করেছি। শুরু থেকে ফসল হার্ভেস্টিং পর্যন্ত এক বছর সময় লাগে। এর মধ্যে ৬ মাসের একটি সাথী ফসল চাষ করা যায়। সব মিলিয়ে যে খরচ হয় তা সাথী ফসলে উঠে আসে। আশা করছি ৭ বিঘা জমি থেকে বছর শেষে আনুমানিক ১০ লাখ টাকা লাভ হবে।

সানোয়ার হোসেন বলেন, মেহেরপুরের কলা উৎপাদন দেখে আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের কাছে থেকে চারা নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকবছর ধরে। কিন্তু আমাদের মত তারা ফলন পাচ্ছে না। যে কারণেই মেহেরপুরের জন্য মেহের সাগর বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। নতুন করে জিআই সনদ পাওয়ায় এর কি সুফল আমরা পাবো সেবিষয় এখনো পরিস্কার হতে পারিনি । তবে আশা করছি চাষীরাও উপকৃত হবে।

মেহের সাগর কলা নিয়ে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবীদ সনজীব মৃধা বলেন, মেহেরপুরে কলা চাষের একটি বড় বাজার রয়েছে। বছরের ১৫০ কোটি টাকা কলা বাজার জাত হয়েছে। ৩০০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয় যা থেকে উৎপাদন হয়  ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন কলা।

সনজীব মৃধা বলেন, যেহেতু আমরা কলা নিয়ে জিআই সনদ পেয়েছি। এখন এটা নিয়ে যাতে কৃষকরা ভালো বাজার পান সে বিষয়ে কাজ করা হবে।




চুয়াডাঙ্গায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আলোচনা সভা

“তোমাদের যা বলার ছিল, বলছে কি তা বাংলাদেশ?” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের একত্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে শহীদ আলাউল ইসলাম অ্যাসোসিয়েশন হলে এই সভা হয়।

এ আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ, অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন, সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চুয়াডাঙ্গা, জেলা শিল্পী কল্যাণ পরিষদ চুয়াডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা আবৃত্তি পর্ষদ, প্রগতি লেখক সংঘ চুয়াডাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র- চর্চায়ন।

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ইকবাল আতাহার তাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিরন-উর-রশিদ শান্ত ও চুয়াডাঙ্গা আবৃত্তি পরিষদের পরিচালক মনোয়ারা খুশি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও দর্শনা সরকারি কলেজ সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মুন্সী আবু সাইফ, সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি নজির আহমেদ, অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, প্রগতি লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদক কাজল মাহমুদ, চুয়াডাঙ্গা সাহিত্যচর্চা কেন্দ্র-চর্চায়নের কার্যকরী পরিচালক পিন্টু রহমান, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি হাবিবি জহির রায়হান প্রমুখ।




মেহেরপুরে উদীচীর উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মোমবাতি প্রজ্বালন

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বীর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় উদীচী মেহেরপুর জেলা সংসদের উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে শহীদ ড. শামসুজ্জোহা পার্কের শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উদীচী মেহেরপুর জেলা সংসদের সভাপতি সুশীল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম কানন, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, রমা ব্যানার্জী, রাজন, রাজিয়া সুলতানা, আরাত্রিকা চক্রবর্তী, মাহফুজসহ উদীচীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।