দামুড়হুদার নতিপোতায় সার ব্যবসায়ীর ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের নতিপোতা মোড়ে অবস্থিত আলিম ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল আলিমকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ২৫ মিনিটের দিকে পরিচালিত এ অভিযানে ভাউচার সংরক্ষণ না করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান। ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম নতিপোতা গ্রামের মোকিম মণ্ডলের ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে সার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

জানা গেছে, সার ক্রয়-বিক্রয়ের কোনো ভাউচার সংরক্ষণ না রাখা এবং কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে ক্রয়-বিক্রয়ের সঠিক তথ্য প্রদানে ব্যর্থতার কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৫৩ ধারা মোতাবেক তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানকালে প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার। ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় প্রদান করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, সার বিক্রয়ে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম।




আলমডাঙ্গায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

আলমডাঙ্গায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বসু।

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আক্তার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উদয় রহমান, আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) আজগর আলী, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার ইমরুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুব আলম, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, আসাদুল হক মিকা, মিনাজ উদ্দিন, এমদাদুল হক, বিপুল জোয়ার্দ্দার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাব হোসেন, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ওমর আলী মাস্টার, কলা কেন্দ্রের সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেবা সাহা, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি আশরাফুল হক, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, নারী উদ্যোক্তা হেলেন আক্তার কামনাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।

সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় উপস্থিত অংশীজনরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে দিবসের কর্মসূচিগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।




দামুড়হুদায় স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ প্রদর্শনী সমাপনী

দামুড়হুদায় উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও প্রদর্শনী সমাপনী এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এর বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বি. এম. তারিক-উজ-জামান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, আইসিটি অফিসার আরিফুল ইসলাম, সমবায় অফিসার হারুন অর রশীদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা।

এবারের প্রদর্শনীতে ১৪টি স্টল ও একটি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অংশ নেয়। প্রদর্শনীতে প্রথম স্থান অধিকার করে দর্শনা সরকারি কলেজ।




মুজিবনগরে প্রাথমিকে বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন

যেখানে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা এক বছরের অনুশীলনের পর বসেছে বার্ষিক পরীক্ষায়, সেখানে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলাকালীন মুজিবনগর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা উচ্চমান গ্রেডের দাবিতে আন্দোলন করছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পরিচালনা করছেন প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের দপ্তরী। যেখানে সহকারী শিক্ষক দিয়ে পরীক্ষা পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে, সেখানে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে পরীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে।

১০ম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে কর্মবিরতি করছেন।

এদিকে বার্ষিক পরীক্ষা চললেও শিক্ষকদের এ কর্মসূচির কারণে পরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীর ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। শিক্ষা কার্যক্রমে বিরতি পড়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।

সকালে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, একাধিক শ্রেণীকক্ষে পরীক্ষা চলছে। প্রধান শিক্ষকরা একা সামলাতে না পেরে কিছু ক্লাসে দপ্তরী বসিয়ে রাখছেন, কিছু ক্লাসে অভিভাবকদের বসিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করছেন।

মুজিবনগর উপজেলার কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, দাবি-দাওয়ার নামে শিক্ষকদের হঠাৎ কর্মবিরতি পুরোপুরি শিক্ষার্থীদের ‘জিম্মি’ করে ফেলেছে। পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষকরা না থাকায় শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে।

আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের পূর্ব ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে কঠোর কর্মসূচি নিয়েছেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে দশম গ্রেডে বেতন প্রদান পদোন্নতি কাঠামো পুনর্বিন্যাস, সহকারী শিক্ষকদের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত দায়িত্ব কমানো, বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকরা সবচেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন।

ভবরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুক বলেন, সহকারী শিক্ষকরা না থাকায় নিজেকেই পরীক্ষা পরিচালনা করতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে সমস্যা হলে কিছু ক্লাসে দপ্তরী এবং কিছু ক্লাসে অভিভাবক বসিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছি। যত কষ্টই হোক, পরীক্ষা শেষ করাতে হবে।

মুজিবনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, মুজিবনগর উপজেলায় ৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছে। সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলন করায় প্রধান শিক্ষকদের একলার পক্ষে পরীক্ষা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও শিক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষা দিতে সমস্যা না হয়, সেই বিষয়ে আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রতিনিয়ত স্কুলগুলোতে খেয়াল রাখছি।




ভেড়ামারায় পুকুরে মিলল বৃদ্ধার গলা ও হাত-পা বাঁধা লাশ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পুকুর থেকে একই ওড়না দিয়ে গলা ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খায়রুন নেছা (৭৫) নামের এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বানুতলা এলাকার একটি পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে কিনারায় নিয়ে আসেন স্থানীয়রা।

পরে থানায় জানালে পুলিশ এসে খায়রুন নেছার লাশ উদ্ধার করে। তিনি ওই একই এলাকার মৃত জব্বার শেখের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খায়রুন নেছার গলা ও দুই পা একই ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল। এ ছাড়া তাঁর এক চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। পায়ের স্যান্ডেল ও ভর দিয়ে চলাফেরা করা লাঠি পুকুরের পাড়ে পড়েছিল।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বৃদ্ধার তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। খায়রুন নেছা তাঁর মেজো ও ছোট ছেলের কাছে থাকতেন। ছেলের বউদের সঙ্গে ঝামেলা হলে মাঝেমধ্যেই অন্যত্র গিয়ে থাকতেন।

বৃদ্ধার মেয়ে মোছা. ফুলজান খাতুন বলেন, ‘আমার মায়ের লাশ একই ওড়না দিয়ে হাত-পা ও গলা বাঁধা ছিল। তাঁর লাশ পুকুরের মাঝখানে ভাসছিল। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।’

ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘পুকুর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’




জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে মিরপুরের ইউএনও’র উদ্যোগ

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও শতভাগ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

আজ বৃহস্পতিবার তিনি নিয়মিত ইউনিয়ন পর্যায়ের সভা, স্কুল, মসজিদ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে জনগণকে সচেতন করছেন।

উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় আয়েশা ও মায়েশা এর জন্মের ০৭ দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করেন তাদের পিতা মাতা।

সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য, আয়েশা ও মায়েশা’র মায়ের হতে তুলে দেওয়া হয় জন্ম নিবন্ধন সনদ, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা পত্র, খেলনা সামগ্রী এবং মিষ্টির বাক্স।

তিনি বলেন, “প্রতিটি শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যেন তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে, মৃত্যু নিবন্ধন করাও বাধ্যতামূলক। এই দুটি নিবন্ধন না হলে ভবিষ্যতে নাগরিক সেবা গ্রহণে নানা জটিলতা তৈরি হয়।”

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, আয়েশা ও মায়েশা এর পিতামাতার মতো সকল পিতামাতাই শিশু জন্মের সাথে সাথেই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক।

এছাড়া, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জনগণের তথ্য সংরক্ষণ এবং দ্রুত নিবন্ধনের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মিরপুর উপজেলার ইউএনও’র এই প্রচেষ্টা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শতভাগ বাস্তবায়নের দিকে এক সাহসী পদক্ষেপ। সম্প্রতি খুলনা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউএনওর সম্মাননা লাভ করেন তিনি।




ঝিনাইদহে সাবা হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহ শহরতলীর পবহাটি এলাকায় শিশু সাইমা আক্তার সাবা হত্যার বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পবহাটি ঈদগাহ এলাকায় অবরোধ করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।

দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তারা।

এদিকে, সড়ক অবরোধের কারণে দুই পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি পড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সড়কে চলাচলকারীরা।

গতকাল বুধবার সকালে ঝিনাইদহ শহরতলীর পবহাটি এলাকার ভ্যানচালক সাইদুল ইসলামের চার বছরের কন্যা সাইমা আক্তার সাবা নিখোঁজ হয়। পরে রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী সান্তনা খাতুনের ঘর থেকে শিশুটির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।




দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব হলরুমে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু এবং যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম।

দোয়া অনুষ্ঠান শুরুর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বর্ণাঢ্য জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তানজির ফয়সালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, নির্বাহী সদস্য তাছির আহম্মেদ, হাবিবুর রহমান হবি, আরিফুল ইসলাম মিলন, সদস্য শেখ হাতেম, জহুরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান কাজল, সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবু এবং সহসভাপতি মোজাম্মেল শিশির প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় যে অবদান রেখেছেন, তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তারা তাঁর দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

আলোচনা শেষে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আশরাফুল হক।




হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে মেহেরপুর

মেহেরপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ।বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় মেহেরপুর অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। আগামী কয়েকদিন রাত ও ভোরের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। চলতি শীত মৌসুমে এটাই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যদিও এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয়।

এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। সকাল ৯টার পর ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও শীতের প্রভাব কাটছে না। হিমেল বাতাস বইতে থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীত বৃদ্ধির কারণে মেহেরপুর ও গাংনী উপজেলা শহরে সকাল থেকে মানুষের চলাচল কম ছিল। সকালে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হয়নি। সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজন। সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন-আয়ের মানুষ বিশেষ করে শ্রমিক, ভ্যানচালক ও রিকশাচালকরা।

এদিকে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে হাঁপানি, টাইফয়েড, সর্দি, জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন রোগবালাই বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড়ে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবীর জানান, চলতি শীত মৌসুমে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৩৮০০, গাংনী উপজেলায় ১৮০০ এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৮৭৫টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর কিছু ইতোমধ্যে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির পর মানববন্ধন

তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘস্থায়ী অগ্রগতি না পাওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকেরা শাটডাউন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে মানববন্ধন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদের শিল্পকলা একাডেমির সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক সহকারি শিক্ষক অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান বকুল। এ সময় সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামানসহ শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘস্থায়ী অগ্রগতি না পাওয়ায় এবং তিন শিক্ষক নেতাকে শোকজ নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে মেহেরপুরের ৩০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। গতকাল বুধবার সহকারি শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার কাউকে পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনের মতো বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। সরেজমিনে বিদ্যালয়গুলোতে দেখা গেছে, প্রধান শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে থাকলেও সহকারি শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষগুলোতে তালা মেরে চলে গেছেন। শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকরা বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন।

মেহেরপুর জেলায় ৩০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে সহকারি শিক্ষক রয়েছেন ২০০০ জন।