আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা ও সার জব্দ

আলমডাঙ্গা উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়াই সার মজুত ও পাচারের অভিযোগে এক সার ব্যবসায়ীর গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে বিপুল পরিমাণ সার মজুতের প্রমাণ মিলেছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের সার ব্যবসায়ী মিনারুল ইসলাম রাতের আঁধারে চোরাই পথে সার সংগ্রহ করে নিজের গোডাউনে মজুত করতেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি বস্তা ডিএপি সারের দাম ১,০৫০ টাকা হলেও তিনি তা ১,৫০০ টাকায় মেহেরপুরের গাংনী ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় পাচার করতেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাংনী-হাটবোয়ালিয়া সড়কের একটি স-মিলের সামনে সন্দেহজনকভাবে চলাচলকারী একটি লাটাহাম্বা গাড়ি স্থানীয় লোকজন থামিয়ে দেন। গাড়িটিতে থাকা ৫০ বস্তা ডিএপি সার উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, এসব সার মিনারুল ইসলামের গোডাউন থেকে পাচারের জন্য নেওয়া হচ্ছিল।

পরদিন বুধবার দুপুরে খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিষ কুমার বসু ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ পলাশ ওই গোডাউনে অভিযান চালান। কর্মকর্তারা জানান, সেখানে বিএডিসি বা বিসিআইসির কোনো বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই প্রায় এক হাজার বস্তা ডিএপি, টিএসপি, ইউরিয়া ও অন্যান্য সার মজুত পাওয়া যায়।

অভিযানের সময় স্থানীয় সার সিন্ডিকেটের কয়েকজন লোক ঘটনাস্থলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। তাঁরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিনারুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং উদ্ধার হওয়া ৫০ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করেন। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বৈধ লাইসেন্স ছাড়া সার ব্যবসা এবং সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ পলাশ বলেন, মিনারুল ইসলামের নামে কোনো লাইসেন্স নেই। তিনি অবৈধভাবে সার ব্যবসা করছেন। কৃষক সাজিয়ে তাঁর লোকজন আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণও করেছে। সিন্ডিকেটে যারা জড়িত থাকুক, প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় কৃষকেরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সার পাচার বন্ধ না হলে ন্যায্যমূল্যে সার পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। প্রশাসনের এ অভিযান তাঁদের কাছে আশার বার্তা হয়ে এসেছে।




নবাগত চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের আলমডাঙ্গা থানা পরিদর্শন

আলমডাঙ্গা থানা পরিদর্শন করলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

চুয়াডাঙ্গা জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বুধবার বেলা ১টার সময় আলমডাঙ্গা থানা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তিনি থানায় কর্মরত অফিসার ও ফোর্সের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং থানার সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

পুলিশ সুপার মহোদয় থানা ভবন, অফিস কক্ষ, ব্যারাক ও মেস পরিদর্শন করেন। তিনি জনবান্ধব পুলিশিং, মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং এলাকার সার্বিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সকল পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

এ সময় তিনি থানার মেসে উন্নতমানের খাবার নিশ্চিতকরণ, দাপ্তরিক সকল কাজ সুসম্পন্ন করা, ব্যারাক সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ফোর্সের যৌক্তিক ছুটি মঞ্জুরের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গার নবাগত থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ বানী ইসরাইল এবং থানার সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স সদস্যবৃন্দ।




মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য অধিকার আদায় করবে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আমরা কৃষকদেরকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় আমরা ক্ষমতায় আসলে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর সংগ্রাম করে টিকে আছি। আমাদের বিএনপির ৭শ নেতাকর্মী গুম খুনের স্বীকার হয়েছেন। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। আমরা দিনের ভোট রাতে করবো না। জনগণ যদি আমাদের চায় আমরা ক্ষমতায় আসবো।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় উপজেলার লোকনাথপুর হেলিপ্যাড ফুটবল মাঠে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বিএনপির নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

তিনি আরো বলেন, ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যকর্মী পৌঁছে দিয়ে স্বাস্থ্য সচেতন জাতী আমরা তৈরি করতে চাই। ইতিবাচক রাজনীতির সংস্কৃতি তৈরি করতে চাই। বিএনপির ৩১ দফায় দেশের সকল শ্রেণীর জনগণের স্বার্থ, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত হবে। আপনারা সৌভাগ্যবান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী, সৎজন প্রার্থীদের মধ্যে সামনের কাতারে রয়েছে আপনারা প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই অঞ্চলের মা-বোনেরা, সন্তানেরা, ছোট ভাইদের ভোটটি ধানের শীষ প্রতীকে দিয়ে ব্যালট বাক্সটি পরিপূর্ণ করে দেবেন, ইনশাআল্লাহ। আমরা বিপ্লব করেছি গত ১৬ বছর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের লড়াই, মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াই। এই সংগ্রামে চুয়াডাঙ্গার মানুষ বারবার তাদের শক্ত অবস্থান দেখিয়েছে।

তিনি উপস্থিত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, চুয়াডাঙ্গা হবে পরিবর্তনের সূতিকাগার, মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য অধিকার আদায় করবে।

দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার বিএনপি আয়োজিত সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র নওয়াব আলী, দর্শনা পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিদুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান মিয়া, দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী শওকত খন্দকার, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান খোকন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাজাহান কবীর, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহান আলী, দর্শনা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলী, জীবননগর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান টুনু, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী ও সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী।

এছাড়া সমাবেশে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে শহরের পাবলিক লাইব্রেরির পদ্মা ট্রেনিং সেন্টারে বেসরকারি সংস্থা সারভিস এন্ড ভিশন ফর এডিফাই (সেইভ) এ সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম রায়হান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল, আহমেদ নাসিম আনসারী, পদ্মার নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সার্ভিস এন্ড ভিশন ফর এডিফাই (সেইভ) এর নির্বাহী পরিচালক আয়শা সিদ্দিকা।

সভায় বক্তারা বলেন, “বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক সমস্যা হলেও এর মূল ভিত্তি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। একজন কিশোরী যখন নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তখন থেকেই তার অধিকার ক্ষুণ্ন হয়। গার্ল পাওয়ার প্রজেক্ট কিশোরীদের আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই কাজ করছে।

তারা আরও বলেন, কিশোরীদের ওপর সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। কিশোরীদের অধিকার সম্পর্কে পরিবার, সমাজ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অবগত হতে হবে। সমাজে কিশোরীদের শিক্ষার সুযোগ ও স্বপ্নের কথা কেউ গুরুত্ব দিতে চায় না। কিন্তু সচেতন নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধ হলে কিশোরীদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।

এ ছাড়া সরকারি বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে মানবাধিকার ও কিশোরীদের অধিকার নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।




ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় জেলা শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্ত্বর হতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় ওয়েল ফেয়ার এফোর্স, গোল্ডেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, শেল্টার সমাজ কল্যাণ সংস্থা, শোভা, ডাস সংস্থা সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের অংশ নেন।

মানবাধিকার কর্মী বাবলু কুণ্ডুর সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন জে এফ কর্মী আসমা সুলতানা, ইমাম আব্দুল্লা আল হাবিব, উপজেলা জে এফ সভাপতি জার্নালিস্ট ময়না খাতুন, সালেহা খাতুন, ওয়েল ফেয়ার এফোর্টস প্রতিনিধি সাবদার হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধি শিপন ঘোষ, গোল্ডেন ওয়েল ফেয়ারের নির্বাহী পিরচালক চন্দন বসু মুক্ত, শেল্টার সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রোমেনা বেগম, উপ-পরিচালক রেজা-উন, কামরুজামান পিন্টু, জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি এম এ কবীর,ডাস এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক খুলনা মেডিকেল কলেজের পরিচলক ডা: মুন্সী রেজা সেকেন্দার, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান ও উপজেলা শাখার সভাপতি আহম্মেদ হোসেন প্রমুখ।




মেহেরপুরের আমঝুপিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

মেহেরপুরের আমঝুপিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মউকের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের (মউক) আয়োজনে এবং এএলআরডি’র সহযোগিতায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মউকের নির্বাহী প্রধান আসাদুজ্জামান সেলিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও ছড়াকার আহাদ আলী মোল্লা, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ও দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মোঃ ইয়াদুল মোমিন এবং দৈনিক আমাদের সূর্যদয় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুবুল হক পোলেন।

অতিথিরা তাদেরব ক্তব্যে বলেন, সবার জন্য অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সচেতন হলে মানবাধিকার লঙ্ঘন কমে যাবে। পুলিশ সব সময় আইনের প্রতি সম্মান রেখে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশার ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভার আগে একটি র‌্যালি আমঝুপির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মানবাধিকার কর্মী সাদ আহাম্মদ।




মেহেরপুরে এনসিপির মনোনয়ন পেলেন সোহেল রানা ও শাকিল আহম্মেদ

মেহেরপুর-১ আসন (মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর) এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা এবং মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট শাকিল আহম্মেদ।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর বাংলামোটরে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন তাদের নাম ঘোষণা করেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের প্রথম ধাপের মনোনীত প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে।

জানা গেছে, ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আসন বণ্টন করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। চলতি মাসেই সব আসনে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করতে চায় দল।




আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গুজব

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন।

গত ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সদ্য পদায়ন পাওয়া দেশের সব জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এই নির্বাচন আমাদের নতুন বাংলাদেশের দরজা খুলে দেবে। কাজেই নতুন বাংলাদেশের যে জন্ম হবে, এখানে যারা (এসপি) উপস্থিত আছি তাদের ভূমিকা হলো ধাত্রীর ভূমিকা। আমরা যেন সুন্দর, সুষ্ঠুভাবে সেই জন্মটা দিতে পারি।

নির্বাচনকালীন দায়িত্বপালন ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসপিদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিলো।

এ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেছিলেন নির্বাচন পরিদর্শন করতে বাইরের যারা পর্যবেক্ষক দল আসবে, তারা আমাদের খুঁত ধরার চেষ্টা করবে। আমাদের এটা হয়নি, ওইটা হলে ভালো হতো- বলবে। এবারের নির্বাচন হলো এমন নির্বাচন, তারা (পর্যবেক্ষক) স্মরণ করবে, বাংলাদেশের নির্বাচন আমরা দেখেছিলাম, এটা এমন। তারা নানা দেশে এটা বলবে। তারা একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে নিয়ে যাবে তাদের মাথায়।

তারা বারেবারে বলবে, এই নির্বাচনের মতো নির্বাচন আমরা কখনো দেখিনি। এখানে যে নির্বাচন আমরা দেখে গেলাম, এটা আমাদের একটি স্মরণীয় নির্বাচন। সেই ধরনের একটি নির্বাচন আমরা করে রেখে যেতে চাই। এটা সাধারণ নির্বাচন নয়। যে পাঁচ বছর পর পর একটি নির্বাচন হয়, দেশের সরকার পরিবর্তন হয়। এটা রুটিন একটা কাজ। এবারের নির্বাচনে যেটা বারবার আন্ডারলাইন করা দরকার, এটা গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। গণঅভ্যুত্থানে যারা শরিক হয়েছিল, আমরা যারা যুক্ত আছি, তাদের আদর্শ, স্বপ্ন বাস্তবায়ন আমরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে করে যাবো। যে স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে তোমরা আত্মত্যাগ করেছ, সেই স্বপ্নকে আমরা স্থায়ী রূপদান করতে যাচ্ছি।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুরোদমে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করে বাস্তবায়ন শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। মোট কথা সমগ্র দেশ এখন নির্বাচনমুখী। এসব প্রস্তুতিসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বারবার দ্যার্থহীন ভাষায় বলার পরও কিছু কিছু মহল থেকে নির্বাচনের বিষয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি জরিপ পরিচালনাকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ডিজিটালি রাইট’ বলছে, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের সময় শারীরিক হুমকির পাশাপাশি ডিজিটাল হয়রানি বাড়ারও আশঙ্কা করছেন জরিপে অংশ নেয়া সাংবাদিকেরা। জার্নালিস্ট সেফটি ইন ২০২৬ ইলেকশন’ শিরোনামের এ গবেষণা ১৯টি জেলার ২০১ জন সাংবাদিকের ওপর জরিপ চালানো হয়েছিলো এবং ১০টি ‘ইনডেপথ’ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিলো। এ জরিপে ৭৫ শতাংশ সাংবাদিক বলেছেন, তাদের বা তাদের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপতথ‍্য বা ‘ডিসইনফরমেশন’ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। উত্তরদাতাদের অর্ধেকেরও বেশি মনে করেন তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে মানহানিকর প্রচারণাও চালানো হতে পারে। গবেষণায় উঠে এসেছে, বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমেরই এই ঝুঁকি মোকাবিলার জন‍্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নেই।

নির্বাচনী মৌসুম সবসময় গুজব ও প্রোপাগান্ডার জন্য উর্বর ভূমি। অতীতে প্রার্থীদের নিয়ে ভুয়া খবর বা মনগড়া কেলেঙ্কারি ছড়ানো হয়েছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এধরনের অপতথ্য ছড়ানোর হচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই অনলাইন গুজব সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি হলো আস্থার অবক্ষয়। যখন নাগরিকরা সত্য মিথ্যা আলাদা করতে পারে না, তখন তারা সত্য বা বৈধ সংবাদকেও সন্দেহের চোখে দেখে। ফলে শুরু হয় বিভ্রান্তি। ওইসব বিভ্রান্তি থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, নাগরিক মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের দেশে ডিজিটাল লিটারেসি অনেক কম; তাই এআই সৃষ্ট কনটেন্টগুলো মানুষ সহজে বিশ্বাস করে। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ পোস্টই এআই রিকমেন্ডশনে তৈরি।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও গুজবের হিড়িক পড়ে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেউ কেউ সেসব মিথ্যা খণ্ডনের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মিথ্যা যে গতিতে ছড়ায়, সেই গতিতে সত্যকে ছড়ানো সত্যিই কঠিন। ‘ফ্যাক্টচেক’ করা প্রতিষ্ঠানগুলোও জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় তথ্য যাচাই করে। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষের কোনো তথ্য যাচাইয়ের দরকার হলে সেটি যাচাইয়ের সহজ কোনো উপায় অতীতে না থাকলেও বর্তমানে আছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়ানো অপতথ্য বা গুজব নির্ণয়ের জন্য প্রযুক্তির সাহায্যের বিকল্প নেই। তার আগে জানা দরকার নির্বাচন সংক্রান্ত গুজব কেন ছড়ানো হচ্ছে? আর কেনই বা ছড়াচ্ছে? একটি অসাধু চক্র পরিকল্পিতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নিতে বাধাগ্রস্ত করতে গুজব ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন রকম ফটোকার্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। সে সব ফটোকার্ডে নির্বচন নিয়ে নানারকম অনিশ্চয়তার কথা বলা হচ্ছে। কিছু কিছু মিডিয়ার নামে ভুয়া ফটোকার্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এআই এর এই রেভুলেশনের পিরিয়ডে এমন জেনারেটেড ছবি নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে করা কাজ হরহামেশাই ঘটছে। তাই এআই জেনারেটেড ছবি কীভাবে শনাক্ত করা যায় তার কৌশলের নির্ভরযোগ্য উপায় হচ্ছে মেটা ডেটা বিশ্লেষণ। প্রতিটি ছবির সাধারণত কিছু প্রযুক্তিগত তথ্য থাকে। যাকে বলা হয় মেটা ডাটা। যেমন কবে, কখন, কোথায় কোন ডিভাইস দিয়ে ছবিটি তোলা হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য এখানে পাওয়া যায়। যে কোনো ছবির মেটা ডেটা বিশ্লেষণ করলেই অনেকটা ক্লিয়ার হওয়া যায়। এআই জেনারেটেড ছবিতে এমন তথ্য থাকে না। অনেক সময় কোন সফ্‌টওয়্যার দিয়ে ছবিটি তোলা হয়েছে তাও চলে আসে। wasit ai image detector, sightengine ai image detector, Photo-Me ও metadata2go -এর মতো ওয়েব সাইডগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই ছবির মেটা ডেটা বিশ্লেষণ করা সম্ভব। এছাড়াও মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও মেটা ডেটা বিশ্লেষণ করা সম্ভব। এনড্রয়েড ফোনের জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে Photo Exit Editor Metadata -APPS টি ডাউনলোড করে এর মাধ্যমে ছবির বিস্তারিত জানা সম্ভব। আবার আইফোনের ক্ষেত্রে এক্সিট ভিউয়ের মাধ্যমে ছবি যাচাই করা সম্ভব। ছবি যাচাইয়ের আর একটি পদ্ধতি হলো রিভার সার্চ। এজন্য যে ছবিটির সত্যতা যাচাই করা হবে সেটি আবারও গুগল সার্চ করতে হবে। এআই জেনারেটেড ছবি হলে পালটা সার্চে সে ছবি কম দেখা যাবে। আবার নাও দেখা যেতে পারে। আবার আসল ছবি হলে অন্যান্য অথিন্টিক সোর্স বা ওয়েব সাইড পাওয়া যাবে। এর বাইরে এআই সনাক্ত করার কিছু টুলস রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করে ছবি আসল না নকল সহজেই বের করা যায়। এসব এর বাইরে নিজের চোখ ও বিবেচনা বোধকে কাজে লাগাতে হবে। কোনো ছবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু সময় নিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে। ছবির হাতের আঙুলগুলো স্বাভাবিক আছে কি না? স্ক্রিন অতিরিক্ত নিখুঁত কি না? ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অতিরিক্ত ঘোলা কি না? এসব বিশ্লেষণ করে ছবির সত্যতা অনেকাংশে নিরূপণ করা সম্ভব।

আমাদের দেশে ফ্যাক্টচেকিংয়র কাজ অনেকেই করে থাকে। এআইভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট ‘খোঁজ’ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিজেই যে-কোনো তথ্য যাচাই করে নিতে পারবেন। কোনো মানুষের সাহায্য লাগবে না। তথ্য যাচাইয়ের সম্পূর্ণ কাজটিই করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। খোঁজ-এ কোনো কিছু যাচাই করতে দেওয়া হলে প্রথমে এটি ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, নিউজ আর্কাইভ এবং মাল্টিমিডিয়া উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর উৎসগুলোর নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করে। প্রাসঙ্গিকতা ও ভাষাগত মিল পরীক্ষা করে টেক্সট এবং ছবি বিশ্লেষণ করে ফলাফল দেয়। নির্ভরযোগ্য উৎস উল্লেখ করে খোঁজ জানায় দাবিটি সত্য, বিভ্রান্তিকর, নাকি সম্পূর্ণ ভুল। ফলাফলের সঙ্গে একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ দেয় খোঁজ, সেখানে উল্লেখ থাকে কোন কোন উৎস থেকে তথ্য যাচাই করা হয়েছে। ব্যবহারকারী চাইলে নিজেও উৎসগুলোতে গিয়ে তথ্যটি ফের যাচাই করতে পারবেন। কোনো তথ্য যাচাই করতে না পারলেও খোঁজ সেটি জানিয়ে দেয়, কিন্তু ভুল তথ্য দেখায় না। খোঁজ বর্তমানে ওয়েবসাইটভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম। এটিকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) হিসেবে আনার কাজ চলছে।

ভুল তথ্য চিহ্নিত করার জন্য যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ে থাকে তার একটি হলো SIFT। এখানে S মানে হলো স্টপ; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনও খবর দেখামাত্র তাৎক্ষণিকভাবে তা শেয়ার করা যাবে না। এমনকি সেখানে কোনও মন্তব্যও করা যাবে না। I দিয়ে বুঝানো হয়েছে- ইনভেস্টিগেট দ্য সোর্স (উৎস যাচাই); একটি তথ্যের উৎস কী, এ প্রশ্ন নিজেকে প্রতিনিয়ত করতে হবে। ‘F দিয়ে বুঝানো হচ্ছে ফাইন্ড বেটার কাভারেজ; উপরের ধাপের মাধ্যমে বিশ্লেষণের পর যদি সোর্সের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে আরেকটু ভাবতে হবে। T মানে ট্রেস দ্য ক্লেইম টু ইটস অরিজিনাল কনটেক্সট। উপরের তিনটি ধাপ-ই অনুসরণ করার অর্থ হলো, আরও ভালো এবং নিখুঁত সংবাদের খোঁজ করতে হবে।

তথ্যপ্রযুক্তির এই দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ে সত্য আর বিভ্রান্তির সীমারেখা আগের চেয়ে অনেক বেশি ঝাপসা হয়ে গেছে। তাই দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রতিটি তথ্য, ছবি ও দাবির পেছনে একবার হলেও প্রশ্ন তোলা জরুরি। যাচাই ছাড়া শেয়ার নয় এই সচেতন অভ্যাসই পারে গুজবের বিস্তার রুখে দিতে। প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার, এআইভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং টুলের সহায়তা এবং ব্যক্তিগত বিবেচনাবোধ একসঙ্গে কাজে লাগাতে পারলেই তথ্যের জগতে সত্যকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।

লেখক: জনসংযোগ কর্মকর্তা, খাদ্য মন্ত্রণালয়




মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, মেহেরপুর শাখার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন (বিআইএইচআরএফ) মেহেরপুর শাখা বুধবার সকালে র‌্যালি ও সেমিনারের আয়োজন করে।

মেহেরপুর বিআইএইচআরএফের সভাপতি রফিকুল আলমের নেতৃত্বে শহরের কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের সামনে থেকে র‌্যালি বের করা হয় এবং র‌্যালি শেষে নজরুল স্কুলে একটি প্রাণবন্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

২০২৫ সালের এই দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “মানবাধিকার, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য বিষয়।” এর মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে মানবাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং মানবাধিকার কীভাবে আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে তা প্রদর্শনই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

বিআইএইচআরএফ মেহেরপুরের সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পরিচালক এম. এ. মুহিত মানবাধিকার বিষয়ে জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য প্রদান করেন এবং মানবাধিকার কী তা ব্যাখ্যা করেন। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সানজিদা ইসলাম, প্রধান শিক্ষক নজরুল হাই স্কুল।

মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কয়েকজন গরিব ছাত্রীকে শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

পরিশেষে আলোচনা সভার সভাপতি বলেন, প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।

তিনি আরও বলেন, এ বছরের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী, যার লক্ষ্য মানবাধিকারের মূল্যবোধ পুনরুজ্জীবিত করা এবং মানুষকে মানবাধিকারকে জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করতে উৎসাহিত করা। তিনি দৈনন্দিন জীবনে মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার আহ্বানও জানান।




মেহেরপুরের সাবিত্রী, হিমসাগর আম ও কলাসহ ৭ পণ্যকে জিআই সনদ

মেহেরপুরের সাবিত্রী, হিমসাগর আম ও কলাসহ ৭ পণ্যকে জিআই সনদভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেল দেশের আরও সাতটি পণ্য। নতুনভাবে স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যগুলো হলো- মেহেরপুরের সাবিত্রী মিষ্টি, হিমসাগর, কলা, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি, কালীগঞ্জের তোয়ালে ও ফরিদপুরের পাট। এ নিয়ে বাংলাদেশে জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই মেলাকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের হাতে জিআই সনদ তুলে দেন শিল্পসচিব মো. ওবায়দুর রহমান। একই অনুষ্ঠানে জিআই পণ্য ব্যবহারে ‘জিআই ট্যাগ’ লোগোও উন্মোচন করা হয়। এখন থেকে জিআই স্বীকৃত পণ্যের ওপর এ লোগো ব্যবহার করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করছেন। মেলাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় ‘এসএমই শিল্প বিকাশে মেধাসম্পদের গুরুত্ব ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদা নূর।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে শিল্পসচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘এসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে হলে মেধাসম্পদ সৃষ্টির পাশাপাশি এর সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। উদ্যোক্তাদের মেধাসম্পদের বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে, তা না হলে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে না।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।