দলের সব পদ থেকে রুমিন ফারহানাকে বহিষ্কার

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোটেক রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সূত্র : কালের কন্ঠ।




মেহেরপুরে জমে উঠেছে ফুটপাতের গরম কাপড়ের হাট

মেহেরপুরে জমে উঠেছে ফুটপাতের। শীতের তীব্রতা যতই বাড়ছে, গরম কাপড়ের হাটে ততই ভিড় জমছে। আর দেখে মনে হচ্ছে, ভেদাভেদ ভুলে ধনী-গরিব সবাই যেন মিলিত হয়েছে এই গরম কাপড়ের হাটে।

ফুটপাতে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের শীতের পোশাক। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগ্রহীরা তাদের চাহিদামতো পোশাক কিনতে আসছে। এই গরম কাপড়ের হাটটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দীতে অবস্থিত। বামন্দীর এই বাজারটি বসে শুক্রবার ও সোমবার। এছাড়াও গাংনী শহরেও ফুটপাতে বসেছে গরম কাপড়ের বাজার।

বামন্দী বাজারের ব্যবসায়ী বাবলু হোসেন বলেন, শীতের শুরুতে তেমন বেচাকেনা ছিল না। শীত পড়ার কারণে বেচাকেনা বেড়েছে।

বেচাকেনা ভালো হলে মনেও আনন্দ থাকে। শীতের তীব্রতা বেড়েছে, এতে মানুষ ছুটে আসছে গরম কাপড় কিনতে। আমরা বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তুলেছি। এখানে সব ধরনের মানুষ পোশাক কিনতে আসে। পুরাতন পোশাকের মধ্যেও অনেক ভালো পোশাক পাওয়া যায়।

নাজমুল হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, সারা বছর তেমন বেচাকেনা না হলেও শীত মৌসুমে খুব ভালো বেচাকেনা হয়। ভালো মানের পোশাক আনার চেষ্টা করি। ব্যবসা ভালো হচ্ছে, লাভেও পুষিয়ে যাচ্ছে।

পোশাক ক্রয় করতে আসা আবুল হোসেন বলেন, শীত যেন হাড়ে ঠেকছে। এখানে কম দামে পুরাতন পোশাক পাওয়া যায়, তাই কিনতে এসেছি। পরিবারের সবার জন্য নেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া গার্মেন্টস থেকে এত দামের পোশাক সবার জন্য কেনা সম্ভব না। গার্মেন্টসের একটি পোশাকের দামে এখানে সবার পোশাক হয়ে যাবে।




বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মেহেরপুরে বিএনপির শোক

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মেহেরপুরে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ছয়টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর খবরে মেহেরপুরজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া।

খবর শোনামাত্রই শোকাহত বিএনপি নেতাকর্মীরা দলে দলে ছুটে যান মেহেরপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের কাছে। এ সময় অনেক নেতাকর্মী কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাসুদ অরুন সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শোকের কালো ব্যাজ পরিয়ে দেন।

পরে মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে শোকাহত নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাসুদ অরুন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশ একজন অভিভাবকতুল্য নেত্রীকে হারাল। তার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, আনসারুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।




ঝিনাইদহে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মিয়াকুন্ডু গ্রামের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। মাঠ জুড়ে যেন বিছানো রয়েছে হলুদ গালিচা। রঙের পাশাপাশি সরিষার হলুদ ফুলের গন্ধ মাতিয়ে তুলেছে পুরো এলাকা। রঙ আর সুবাসে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সৌন্দর্যের নান্দনিক রূপে।

মিয়াকুন্ডু গ্রামের মতই ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে এবার কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষা ফুলে ফুলে ভরে গেছে বিভিন্ন উপজেলার মাঠ। সেই সাথে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।

কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে,এ বছর ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ১৩ হাজার ২’শ ২৯ হেক্টর জমিতে ১৯ হাজার ২’শ ৩৫ মেট্টিকটন সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকা আর কৃষি বিভাগের প্রণোদনা দেওয়ায় এবার আবাদ বেশি হয়েছে।

সেই সাথে পরিমিত পরিচর্যার কারণে ফলনও ভালো আশা করছেন তারা।

সদর উপজেলার মিয়াকুন্ডু গ্রামের কৃষক আনু মন্ডল বলেন,‘এবার ঝড় বৃষ্টি হয়নি। যে কারণে সরিষার কোনো ক্ষতি হয়নি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ফলন ভালো হবে বলে আমরা আশা করছি।’

একই গ্রামের কৃষক মশিয়ার রহমান বলেন,সামনে কোনো প্রাকৃতি দুর্যোগ না হলে ৪৬ শতকের বিঘায় আমরা ১০ থেকে ১১ মন ফলন পাব বলে আশা করছি।’

কৃষক বসির মিয়া বলেন,‘এবার সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সরিষার বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। যে কারণে এবার সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। তেলের যে দাম কিনে খাওয়ার মতো নেই। এবার সরিষার ফলন হলে সয়াবিন তেলের উপর আমরা আর নির্ভর করব না।

আমরা এবার নিজেদের জমির উৎপাদিত সরিষার তেল দিয়েই সারা বছর চলবে। সরিষা আবাদে আমাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছি।’

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: নুর-এ-নবী বলেন,‘ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমানো,শস্য নিবিড়তা ও জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছর কৃষকদের পর্যাপ্ত সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। ফলন ভালো পেতে আমরা নিয়মিত কৃষক ভাইদের পরামর্শ দিচ্ছি। সেই সাথে সরিষা ক্ষেতের পাশে মধু চাষ করাচ্ছি। এতে যেমন সরিষার ফলন বাড়ছে তেমন মধু উৎপাদন হচ্ছে। আমরা এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষা পাব বলে আশা করছি।’




কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়েছে ঝিনাইদহ; জেঁকে বসেছে শীত

কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়েছে পুরো ঝিনাইদহ জেলা। পশ্চিমা বাতাশে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

সারা দিন সুর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী, বৃদ্ধ এবং কোলের ছোট্ট শিশুসহ সাধারণ পথচারিরা। দুরপাল্লার গাড়িতে বাড়ি ফেরার পথে অনেককেই পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে।

শীত নিবারণের জন্য কেউ কেউ রাস্তার পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবহাওয়ার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

এ অবস্থায় বৃদ্ধ ও শিশুরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতাল গুলোতে শিশুদের উপচে পড়া ভিড়। পরিস্থিতি এভাবে অব্যাহত থাকলে জনস্বাস্থ্যে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন , বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি এবং স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের উদ্যোগে শহরে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও গ্রাম এলাকায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।




তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, বুধবার সাধারণ ছুটি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামী তিনদিন রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর এবং ১ ও ২ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। এছাড়া আগামীকাল (৩১ ডিসেম্বর) সরকারি ছুটি এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা হবে। সংসদ ভবন প্লাজায় তার জানাজা হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার রহমানের মাজারের (জিয়া উদ্যানে) ওখানেই তাকে দাফন করা হবে।’

জানাজা কখন হবে- জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ বলেন, ‘সেই সিদ্ধান্তটা একটু পর হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটা মিটিং আছে সাড়ে ১২টায় সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। তবে সম্ভাব্য সময় বলতে পারি আগামীকালকে জোহরের পর।

তিনি বলেন, তার লাশ এখন এভারকেয়ারে থাকবে। সেখানে যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ হওয়া দরকার সেগুলো হবে। এরপর কালকে সকালে সেখান থেকে রওনা দিয়ে জাতীয় সংসদে নেওয়া হবে। মূল রাস্তা দিয়েই সেখানে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে। সেজন্য হয়তো সময় একটু বেশি লাগবে।

এর আগে, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। এভারকেয়ার হাসপাতালে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে শায়িত করা হবে।

সূত্র: যুগান্তর




খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এসময় তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সবার কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক পরম মহিমান্বিত ব্যক্তিত্ব। গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার অসামান্য ভূমিকা ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার আপসহীন নেতৃত্ব বারবার জাতিকে গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছে এবং মুক্তির প্রেরণা যুগিয়েছে। দেশ ও জাতির প্রতি তার সমুজ্জ্বল অবদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

তিনি আরো বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং আগামীকাল তার নামাজে জানাজার দিনে এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছি। নামাজে জানাজাসহ সব ধরনের শোক পালনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমি সবার প্রতি বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।’

সূত্র: কালের ক্ন্ঠ




বুধবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বুধবার বাদ জোহর সদ্যপ্রয়াত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, জানাজার পর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে তার স্বামী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ সকাল ৬টায়, ফজরের নামাজের ঠিক পরে ইন্তেকাল করেছেন। আমরা তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং সবার কাছে দোয়া চাইছি।’

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। এ সময় হাসপাতালে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহের ৪টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৭ জন প্রার্থী

ঝিনাইদহ জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। গ্তকাল সোমবার মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষদিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ২৭ জন প্রার্থী। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় গুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে এই মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন সোমবারে এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এএসএম মতিউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী  মো. আলম বিশ্বাস, জাতীয় পাটির মনিকা আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, মার্কসবাদী দলের মো. সহিদুল এনাম পল্লব মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মো. আসাদুজ্জামান ও এবি পাটির মো. মতিয়ার রহমান।

ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুণ্ডু) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মো. আব্দুল মজিদ, জামায়াতে ইসলামীর আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশের এইচএম মোমতাজুল ইসলাম, জাতীয় পাটির সাওগাতুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির মো. আবু তোয়াব , বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাসদের আসাদুল ইসলাম আসাদ।

ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসন দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির মোহাম্মদ মেহেদী হাসান রনি, জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের  মাও. সারোয়ার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদ, জিওপির মো. সুমন কবির ও আমার বাংলাদেশ পার্টির মুজাহিদুল ইসলাম।

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ-সদর আংশিক) এই আসনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মনোনিত রাশেদ খাঁন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আহমদ আব্দুল জলিল, জামায়াতে ইসলামীর মো. আবু তালিব, জাতীয় পাটির এমদাদুল ইসলাম বাচ্চু ও গণফোরামের খনিয়া খানম। এছাড়া এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ওবায়দুল হক রাসেল, মীর আমিনুল ইসলাম ও বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও বিএনপির সাবেক সাংসদ শহিদুজ্জামান বেল্টুর স্ত্রী ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুর্শিদা খাতুন।

সোমবার দিনের বিকাল ৫টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলাস্থ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্ত মো. আবুল হোসেন বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ জেলার সংসদীয় চারটি আসনে মোট ৩২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন এর মধ্যে ২৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করবেন।




মুজিবনগরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকালে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস গ্রামের ক্লাব প্রাঙ্গনে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে গ্রামের তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এবং অসহায় দরিদ্র মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে এই বিশেষ স্বাস্থ্য ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

উক্ত স্বাস্থ্য ক্যাম্পে শিশু বিশেষজ্ঞ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা বিনামূল্যে ১৭০জন রোগীকে বিনা মূল্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।