ফয়েজ মোহাম্মদকে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি করার দাবীতে বিক্ষোভ

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদকে সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি’র সদর উপজেলার নেতাকর্মীরা।

গতকাল শনিবার বিকালে সদর উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিলটি আয়োজন করেন।মিছিলটি মেহেরপুর শহরের কাথুলী রোড এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শেষ হয়।

বক্তারা বলেন, “ফয়েজ মোহাম্মদ একজন ত্যাগী, যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতা। তাকে সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।” নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, বিএনপি’র ভেতরে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে ত্যাগী নেতাদের দূরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, দলের ভেতরে অনৈক্য সৃষ্টি করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

সমাবেশে আরও বলা হয়, বিগত ১৭ বছরে বিএনপি’র যেসব নেতাকর্মীরা জেল জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করেছে তাদেরকেই দলে মূল্যায়ন করতে হবে। ত্যাগ-তিতিক্ষার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচিত না হলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” তাই ফয়েজ মোহাম্মদের মতো ত্যাগী নেতাকে আমরা সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই, তা না হলে আগামী দিনে আরো বড় কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার হুশিয়ারি করেন নেতাকর্মীরা।

জেলা জিয়ামঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি এর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সদস্য ডা: খায়রুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহমুদ সানি, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা শিমুল, মজনুসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা




গাংনীতে পিএসকেএস এর উদ্যোগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

হাড়ি ভাঙ্গা, দড়িটানা, লাঠি খেলা, গান, কবিতা, নৃত্য, দৌড়, সাইকেল রেচ এমন অনেক বর্ণাঢ্য বিভিন্ন আয়েজনের মধ্য দিয়ে নবীণ, প্রবীণদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যাতিক্রমী এক অনুষ্ঠান।

গতকাল শনিবার দিনব্যাপী গাংনী উপজেলার পীরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এমন এক ব্যাতিক্রমি আয়েজন করে। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায়, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির (পিএসকেএস) এর বাস্তবায়িত সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় পালিত হয় উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়ন মেলা বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক সম্মাননা প্রদান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২৫।

আনন্দঘন, উৎসব মুখর পরিবেশে- বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্রীড়ার মধ্যে ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের দৌড়, কিশোরীদের সাইকেল র‍্যালী, দৌড়। যুবদের ম্যারাথন দৌড়, ১০০ মিটার দৌড়, প্রবীণদের ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, সুরের তালে বালিশ বদল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল ছড়া, গান, কবিতা ইত্যাদি।

এছাড়া প্রবীণ সম্মাননা, সন্তান সম্মাননা, যুব সম্মাননা, কৈশোর-মেন্টর সম্মাননা, সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান এর জন্য সম্মাননা, ক্রীড়া সম্মাননা, সাংবাদিক সম্মাননা, উপজেলায় আয়োজিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান সহ ছিল বিভিন্ন বিষয়ক স্টল প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ আনজুমান ইসলাম।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, পিএসকেএস এর উপ-পরিচালক মোঃ কামরুল আলম, উপজেলা কর্মসূচী সমন্বয়কারী মোঃ জামিদুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা কর্মসূচী সমন্বয়কারী মোঃ রাকিবুল ইসলাম, সাংবাদিক আকতারুজ্জামান ও জুলফিকার আলী কানন।

অনুষ্ঠান দেখতে এলাকার শতশত নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেন।




মেহেরপুরের সমাজকর্মী দিলারা জাহান পেলেন হিউম্যান অ্যাওয়ার্ড

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল শনিবার ঢাকার কাকরাইলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ পুনর্মিলনী ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান।

এ অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের সমাজকর্মী দিলারা জাহানকে সম্মানিত করা হয় ‌‍‍‍“হিউম্যান অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” প্রদান করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিল্পী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক যুবরাজ খান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের (এফবিজেও) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মজুমদার, স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কবি অশোক, বার্তা প্রবাহ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ মনির হোসেন কাজী, আসক ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মোঃ কামরুজ্জামান আসাদ, পরিচালক হাজী মোসলেম হোসেন সরদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আসক ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ শামছুল আলম।

দিলারা জাহান পেশায় একজন পুষ্টিবিদ ও ফিজিওথেরাপিস্ট। পাশাপাশি তিনি একজন মানবিক সমাজকর্মী হিসেবেও সুপরিচিত। তিনি মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে। সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বহু ঘাত-প্রতিঘাত ও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তিনি সমাজের অবহেলিত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই মানবিক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবেই তাঁকে “হিউম্যান অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, দিলারা জাহান এর আগেও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদানের জন্য উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।




অনুমোদনের বছর পার, শুরু হয়নি পার্কের নির্মাণকাজ

গাংনীবাসির বিনোদনের জন্য পৌরপার্ক নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদনের এক বছরেও দেখেনি আলোর মুখ। কতিপয় স্বার্থনেস্বী মহলের তোলা খোড়া অযুহাতে বন্ধ হয়ে আছে পার্ক নির্মাণ কাজ। ফলে, শিশু কিশোরসহ সব মানুষের বিনোদন এখন ঘরবন্দী। দ্রত সময়ে পার্ক নির্মাণের দাবী গাংনীবাসীর।

গাংনী পৌরসভা দেয়া তথ্যে জানা গেছে, ইমপ্রুভিং আর ওয়ান গভার্নেন্স এ্যন্ড ইনফ্রাস্টাকচার প্রজেক্ট (আই ইউ জি আইপি) প্রকল্পের আওয়াতায় গাংনী পৌরসভার অভন্তরে একটি বিনোদন পার্ক নির্মানের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০২৪ সালে এপ্রিল মাসে। পার্ক নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১৪ কোটি ২৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৭২২ টাকা।

পার্কটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয় বিগত ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে। পার্ক নির্মাণ কাজ পান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাকাউল এ্যন্ড ব্রাদার্স। টেন্ডার মোতাবেক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরুর জন্য চুক্তিবদ্ধ হন বিগত ২৬ মে ২০২৪ ইং তারিখে। চুক্তি সম্পন্ন করার ৩৬৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। ফলে গাংনী পৌরবাসীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা শংসয়।

বিউটি ফিকেশন এ্যান্ড ল্যান্ড স্কেপিং ওয়াকস, দোহা খাল এ্যন্ড গাংনী পৌরসভা নামীয় পার্কটি বাস্তবায়ন করবে গাংনী পৌরসভা। গাংনী পৌরসভার পুর্ব মালশাদাহ এলাকায় পার্ক স্থাপনের স্থান নির্বাচন করা হয় পার্ক অনুমোদনের আগেই। অতচ অর্থ বরাদ্দ, ডিজাইনসহ সকল প্রস্তু¯িত সম্পন্ন হওয়ার পরেও এক বছরেও কাজ শুরু হয়নি। পার্ক নির্মান না হলে দ্রতসময়ের মধ্যে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যাবে এমন নিয়ম থাকলেও পার্কের স্থান নির্বাচনের জটিলতায় পার্কটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।

গাংনী পৌরসভার বাসিন্দারা জানান, গাংনী একটি জনবহুল ও ঘনবসতি পৌরসভা। এ পৌরসভায় বিনোদনের কোন জায়গা না থাকায় পার্ক নির্মানের উদ্যোগ নেয় তৎকালিন সাবেক সাংসদ ও পৌর কর্তৃপক্ষ। সে মোতাবেক গাংনীর গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাংনী পৌরশহর থেকে কয়েক কিলোমিটার পুর্ব মালশাদাহ এলাকায় স্থান নির্বাচন করা হয়। কিন্তু সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার মাঝে বাঁধ সাধে কিছু স্বাথর্ন্বেষী মহল। পুর্বমালশাদাহ এলাকার কিছু ব্যাক্তি পার্ক নির্মানের কিছু প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন,যা শূধুমাত্র কয়েকজনের স্বার্থ উদ্ধার ব্যাতীত আর কিছুই না বলে মনে করেন গাংনী পৌরবাসী। কোনো অজুহাতে পার্ক নিমাণ যেনো বন্ধ না হয়,এবং দ্রত সময়ের মধ্যে পার্ক নির্মাণ কাজ শুরুর দাবী জানান পৌরবাসী।

গাংনীপৌসভার বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম অল্ডাম বলেন,গাংনীতে কোনো বিনোদনের জায়গা না থাকায় শিশু,কিশোরসক মানুষের বিনোদন কিংবা বসার জায়গা নেই। পৌরসভায় পার্ক নির্মান অতিব জরুরী।

গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, গাংনী পৌরসভার পার্ক নির্মাণ হবে এটি গাংনীর উন্নয়নের একটি ধাপ। এক কতিপয় লোকজন খোড়া অজুহাত দেখিয়ে পার্ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে রেখেছে। এতে বলা যায় গাংনীর মানুষের চাওয়া পাওয়াকে তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পার্ক নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে। তবে দ্রত সময়ের মধ্যে পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু করা না হলে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরতের আশংকা রয়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবী জানান তিনি। পার্কটি নির্মাণ করা হলে জনবহুল এ পৌসভায় অনেক শিশু কিশোর ও বয়োবৃদ্ধরা বিনোদনের একটু জায়গা পাবেন।

গাংনী পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানার বাইরে। তবে পার্ক নির্মানের বিষয়ৈ বিস্তারিক জেনে দ্রত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




গাংনীতে জুলাই অভ্যুত্থান প্রমিলা ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনীতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই অভ্যুত্থান প্রমিলা ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকালে গাংনী উপজেলার সাহারবাটি মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে ঢাকা বিভাগ প্রমিলা ফুটবল একাশদকে ১-০ গোলে হারিয়ে উদ্বোধনী ম্যাচ জয়লাভ করে রংপুর বিভাগ প্রমিলা ফুটবল একাদশ।

মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

এসময় গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। খেলায় ধারাভাষ্যকার ছিলেন বিএনপি নেতা সুলেরী আলভী।

টুর্নামেন্টে ঢাকা, রংপুর, কুষ্টিয়া মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ১৬ টি প্রমিলা টিম অংশ নিচ্ছে।

দীর্ঘদিন পর ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন হওয়ায় এলাকার প্রায় অর্ধলক্ষ নারী পুরুষ উপভোগ করেন। মিনি স্টেডিয়ামে কানায় কানায় দর্শক উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভিন্ন বয়সী নারীরা খেলাটি উপভোগ করেন।




যারা বাঁচতে চেয়েও বাঁচেন না

ভোরের আলো ফুটে ওঠে মেহেরপুরের আকাশে। দূরে মাঠঘেরা গ্রামে কেউ দিন শুরু করে হালচাষে, কেউ হাঁস-মুরগির ডাক শুনে ঘুম ভাঙায়। কিন্তু এই জেলাতেই, একই আলোয় প্রতিদিন কেউ একজন চিরতরে আলোকে বিদায় জানাতে চায়। কেউ গলায় ফাঁস দেয়, কেউ আগাছানাশক বা বিষ খায়। কেউ ঘুমের ওষুধে ঘুমিয়ে যেতে চায় এমনভাবে যেন আর কখনো না জাগে।

২০২৫ সালের মাত্র ছয় মাসে, মেহেরপুরের তিনটি সরকারি হাসপাতালে ৩৬১ জন মানুষ পাকস্থলী পরিষ্কারের জন্য ভর্তি হয়েছেন।

আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে তারা কেউ কীটনাশক খেয়েছেন, কেউ আগাছানাশক বা কীটনাশক ওষুধ। অনেকে বেঁচে গেছেন, অনেকে আর ফেরেননি। যারা ফেরেনি, তারা এখন আর কোনো জরিপের অংশ নয়। আর যারা বেঁচে গেছেন, তারা হয়তো প্রতিদিন একটু একটু করে মরে যাচ্ছেন কিডনি নষ্ট হয়ে, শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে, বা মনটা একেবারে ফুরিয়ে গিয়ে।

এই সংখ্যা শোনার মতো নয়, বোঝার মতো। মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় গত ৫ জুলাই “গড়ে প্রতি ১২ ঘণ্টায় একজন মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করছে” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। ওই সংবাদ প্রকাশের পর কী কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের থেকে। এমন প্রশ্ন করা কী অহেতুক হবে? এটা আমার প্রশ্ন।

যারা এই পথ বেছে নিচ্ছেন তারা কারা? তারা কেউ হয়তো এক মা, সংসারের বোঝা টানতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন। কেউ স্কুলপড়ুয়া মেয়ে, প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়েছে বলে নয়তো মায়ের বকুনিতে মনে করেছে, তার আর কোনো দাম নেই। কেউ একজন দিনমজুর, মাসের শেষে সন্তানকে দুধ কিনে দিতে না পারার যন্ত্রণায় গলায় দড়ি দিয়েছেন। কেউ অভাব মেটাতে এনজিও ঋণে জর্জরিত। তাদের আমরা দেখি না। দেখতে চাইও না। অথচ তাদের কান্না প্রতিদিন আমাদের পাশের ঘরেই শোনা যায়, যদি আমরা কান খুলি।

আইনের চোখে অপরাধ, জীবনের চোখে কান্না

বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারা বলে, আত্মহত্যার চেষ্টা করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। সাজা এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা। কিন্তু একটা মানুষ যখন নিজেই নিজের জীবন শেষ করতে চায়, তখন কি শাস্তির ভয় দেখালে সে ফিরে আসে?
এই মানুষগুলো চিকিৎসা চায়, কাউকে বুকের ভেতরের যন্ত্রণাটা খুলে বলতে চায়। কিন্তু আমরা তাদের থানায় নিয়ে যাই, চিকিৎসার বদলে জেরা করি।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সাউদ কবির মালিকের বয়ানে “প্রতিদিন কেউ না কেউ আসে বিষ খেয়ে। কেউ বাঁচে, কেউ না। যারা বাঁচে, তারা কখনো কিডনি হারায়, কখনো হাড়ের ভেতর থেকে ভেঙে যায়।”
এই মানুষগুলো আমাদের চোখের সামনে দিয়ে হেঁটে যায় কেউ স্ট্রেচারে, কেউ হুইলচেয়ারে। তারা ফিরে যায়, কিন্তু আর ফিরতে পারে না জীবনের কাছে।

জেলা তথ্য অফিস বলছে, তারা ৩২টি সচেতনতামূলক সভা, ১৬টি নারী সমাবেশ করেছে। কিন্তু সভা হলে কি বুকের ভেতরের গর্তটা ভরে? বক্তৃতায় কি বিষ কম কাজ করে?

আমাদের সচেতনতার পর্দার পেছনে রয়ে গেছে এক নিঃশব্দ আর্তনাদ। সেই আর্তনাদ চায় একটি স্পর্শ, একটি মনোযোগ, একটি শুনে নেওয়া কান।

বাঁচার অধিকার কেড়ে নেবেন না। এই মানুষগুলো শাস্তির নয়, সহানুভূতির দাবিদার। আমরা যদি চাই, তারা যেন আর আত্মহত্যার পথে না যায়, তবে দরকার: হিংসা পরায়ন রাজনীতি, স্কুলে, কলেজে কাউন্সেলিং, উপজেলা পর্যায়ে মনোরোগ চিকিৎসক, পরিবারে বোঝাপড়ার ভাষা, ভালোবাসার চর্চা। তাহলেই হয়তো সব আত্মহত্যা যে থামানো যাবে না, তা সত্যি। কিন্তু সব আত্মহত্যা যে অপরিহার্য এটা মিথ্যা। মেহেরপুরের এই ছাপ ফেলেছে গোটা বাংলাদেশের বুকজুড়ে। এখন আমাদের দরকার চোখ মেলানো, মন মেলানো। কারণ যারা বাঁচতে চেয়েও বাঁচে না, তাদের ব্যর্থতা নয় তা আমাদের সমাজের ব্যর্থতা।

প্রতিটি বিষপান, প্রতিটি গলায় ফাঁস কোনো সংখ্যার গল্প নয়, তারা একেকটি হাহাকার। এই হাহাকার বন্ধে আমাদের সকলকে উদ্যোগি হতে হবে। তবেই হবে প্রতিটি সুন্দর সকাল।




শৈলকুপায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল এইচএসসি পরীক্ষার্থীর

সাপের কামড়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় অপু বিশ্বাস (১৯) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের সেকেন্দার বিশ্বাসের ছেলে এবং শৈলকুপা সিটি কলেজ থেকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

জানাগেছে, গত শুক্রবার রাতে বাবার সাথেই ঘুমিয়ে ছিল অপু বিশ্বাস। রাত তিনটার দিকে বুঝতে পারে তার আঙ্গুলে জ্বালাপোড়া করছে। বাবাকে ডেকে ঘটনাটি বললে তিনি দেখতে পান আঙ্গুল দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। সাথে সাথে গ্রামের ওঝা ফারুক হোসেন ফরুর বাড়িতে শুরু হয় ঝাড়ফুঁকের। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে ভোরে অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চলছিল চিকিৎসার প্রস্তুতি। কিন্তু পরিবার চিকিৎসকের ওপর ভরসা না পেয়ে সেখান থেকে পুনরায় ওঝার বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় সাপে দংশিত অপু বিশ্বাস।

সাপে দংশনের পর দীর্ঘ সময় পার হলেও বাবার ভুল সিদ্ধান্তে এমন মৃত্যুতে অপুর সহপাঠি ও এলাকাবাসীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

অপুর পিতা সেকেন্দার জোয়ার্দ্দার বলেন, রাতে একমাত্র ছেলে অপুর সাথে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। রাত তিনটার দিকে অপু ঘুম থেকে উঠে তাকে জানায়, তার আঙ্গুলে কিসে কামড় দিয়েছে। সাথে সাথে তাকে গ্রামের ওঝা ফারুকের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে ওঝার দেয়া গাছে ছেলে সুস্থতা বোধ করলে তারা বাড়িতে আসেন। ছেলে অপু ঘুমিয়ে পড়লে এইচএসসি পরীক্ষার্থী বিধায় ভোরে ছেলেকে পড়ার জন্য জাগানো হয়। ঘুম থেকে উঠে অপু পুনরায় অসুস্থতা বোধ করলে তাকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা তার চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকলে পুনরায় তাকে পৌর এলাকার ঋষিপাড়ায় ওঝার বাড়িতে নিলে তার অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। ওঝা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সকাল সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান অপুর বাবা সেকেন্দার বিশ্বাস।

অপুর সহপাঠি রবিন হোসেন বলেন, তারা স্কুলে থেকেই এক সাথে পড়ালেখা করে আসছে। অপু খুবই মেধাবী ছিল ও চঞ্চল প্রকৃতির। সাপের দংশনের পর পরিবারের ভুল চিকিৎসায় তার এমন মৃত্যু তারা মেনে নিতে পারছে না বলে জানান।

অপুর প্রাথমিক ঝাড়ফুঁকের ওঝা ফারুক হোসেন ফরু বলেন, তিনি দীর্ঘ ২০ বছর সাপের কামড়ের চিকিৎসা করে আসছেন। অপুর পিতা সেকেন্দার তার ছেলেকে নিয়ে আসেন গতকাল শনিবার ফজরের আযানের আগে। তিনি তাকে গাছের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার পর সে সুস্থ হলে বাড়ি চলে যান। এরপর সকাল ৯টার দিকে তিনি জানতে পারেন সাপে দংশিত অপু কুষ্টিয়াতে মারা গেছে। তবে তার চিকিৎসায় কোনো ভুল নেই বলে ওঝা ফরু দাবি করেন।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গতকাল শনিবার ভোরে ব্রহ্মপুর গ্রামের এইচএসসি পরীক্ষার্থী অপুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তার লক্ষণ দেখে বোঝা যায় সে সাপে দংশিত। তার চিকিৎসার প্রস্ততি চলাকালে রোগীর স্বজনরা তাকে জোরপূর্বক পূনরায় ওঝা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে তারা অপুকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এরপর তার মৃত্যু হয়েছে বলে তারা জানতে পারেন। তার পরামর্শ সাপে দংশন করলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে না বলে জানান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান ।




গাংনীতে কারিগরি শিক্ষক পরিষদের আলোচনা সভা 

পেশাজীবী সংগঠনের দাওয়াতি গণসংযোগ সপ্তাহ উপলক্ষে মেহেরপুরের গাংনীতে কারিগরি শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে গাংনী সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার হলরুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাংনী উপজেলা কারিগরি শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল হাশেম।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের মেহেরপুর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আল-আমিন ইসলাম বকুল।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাংনী উপজেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি) মেহেরপুর জেলা সভাপতি মোঃ মাসুদ পারভেজ, হাসানুজ্জামান খান, খাইরুল কবির মুকুল, ইঞ্জিনিয়ার মেহেদি হাসান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে নৈতিকভাবে সৎচরিত্র ও যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিদাওয়ার আদায়ে কাজ অব্যাহত রয়েছে। আগামীতে মেহেরপুর জেলায় আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনকে আরও শক্তিশালী করে কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষকদের সকল বৈষম্য ও সমস্যার সমাধান করা হবে।




মেহেরপুরে ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তি

ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকেলে মেহেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম. আনোয়ার হোসেন।
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ডাঃ এম. এ. বাশার, নূরুল আহমেদ, রফিকুল আলম এবং উপদেষ্টা মীর রওশান আলী মনা।

আলোচনায় অংশ নেন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের অন্যতম সদস্য নিলুফার বানু, কবি বাশরী মোহন দাস, আবু লায়েছ লাবলু, মোমিনুল হক প্রমুখ।
বক্তারা ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সাহিত্যচর্চা ও সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনার আশা ব্যক্ত করেন।

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় কবিতা আবৃত্তি পর্ব। ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সাধারণ সম্পাদক মেহের আমজাদের সঞ্চালনায় কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন কবি নূর আলম, এস.এম.এ. মান্নান, শাহানা ফেরদৌস লিপি, শফিকুর রহমান সেন্টু, মোমিনুল হক, শহিদুল ইসলাম কানন ও বদরুদ্দোজা বিশ্বাস প্রমুখ।




মিডফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুরে মানববন্ধন

রাজধানীর মিডফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে মেহেরপুরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, শিক্ষার্থী এবং সচেতন নাগরিকরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মেহেরপুর জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আশিক রাব্বি, সদস্য হাসনাত জামান সৈকত, জুলাই আহত হাসনাত, লাল চাঁদ, রবিন, শাহেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের হাতে একজন সাধারণ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটি শুধু একটি পরিবারের জন্য শোকের ঘটনা নয়, বরং দেশের প্রতিটি ব্যবসায়ীর জন্য এক ধরনের হুমকি। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

বক্তারা আরও বলেন, সোহাগ হত্যার মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্র এবং বিচারব্যবস্থাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। এ ঘটনা নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রশ্ন।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করেন।