আলমডাঙ্গার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গার অতিপরিচিত মুখ অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০ টার সময় বড় বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রগতি তরুণ সংঘের উদ্যোগে এই স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুতে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, কবি-সাহিত্যিক, বাউল সাধু, এলাকার গুনীজনদের নিয়ে এই স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার গত ১২ তারিখে ঢাকা নিউরো সায়েন্স হসপিটালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। গত সোমবার বাদ আসর জানাজা শেষে দাফনকাজ সম্পন্ন হয়।

অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের ভাই কোরবান আলির সার্বিক তত্ত্বাবধানে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সামসুর রহমান বাবলু। প্রধান অতিথি ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিস উদ্দিন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাইসার আহম্মেদ বাবলু, হাটবোয়ালিয়া গার্লস স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক গালস ফজলুর হক জোয়ার্দার, গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের  সাবেক প্রাধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মতিউল হুদা, হাটবোয়ালিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুজ্জামান লাকী, হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক কবি আসিফ জাহান, সমাজ সেবক জিনারুল ইসলাম, কবি সিদ্দিকুর রহমান  প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

আলমডাঙ্গার উপজেলা মঞ্চ চত্ত্বরে উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার সময় শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ মেহেদী ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা জীবনে আপনাদের মুসিপদে ফেলে চলে যাব না। সব সময় আমরা আপনাদের পাশে থাকবো, সৎ পথে থেকে আপনারা যেমন উপার্জন করেন তেমনি আমরা আমাদের বুকে টেনে নেব – এই গ্যারান্টি দিতে পারি।

আমরা যখন রাতের বেলায় বিপদে পড়ি, হাসপাতালে হোক, রেল স্টেশনে হোক‌ বা কোনো জরুরি কাজে হোক আপনাদের সব সময় পাশে পাই, তাই আপনারা আমাদের কাছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের শাসন আমল দেখেছি, সেই শাসন আমলে আপনাদেরকে ভোটের কাজে ব্যাবহার করে ভোট শেষে আর কখনও খোজ নেয়নি, আমরা কথা দিলাম, আজকে যেভাবে আপনাদেরকে কাছে ডেকে নিয়েছি ভবিষ্যতে এই ভাবেই আপনারা থাকবেন। তবে কথা দেন আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন না, আমরা আপনাদের সাথে অন্তত বেইমানি করবো না।

সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা আমির রুহুল আমিন। এসময় তিনি বলেন, আপনারা যারা দিনরাত গায়ের রক্তঘাম ঝরিয়ে সৎ উপার্জন করেন, তারা সত্যিকার সৎ মানুষ, যাদের কোন বড় চাহিদা নেই, আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা কোন অসৎ অর্থ উপার্জন করবো না। আমি বলতে চাই,”সৎলোকের শাসন কায়েম হয়েছে এই জমিনে এই দৃশ্য দেখে মৃত্যুবরণ করার তৌফিক আল্লাহ আমাদের দান করে দিও। আজকে আপনারা যারা জামায়াতের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক ফেডারেশনের সাথে যুক্ত হয়েছেন, তাদের আমরা আমাদের সহোদর ভাইয়ের মত আপন হিসেবে আমাদের বুকে টেনে নিলাম। আমরা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে রাজনৈতিক ভাবে জড়িত থাকলে দুনিয়াতে কতটুকু শক্তি অর্জন করতে পারবেন জানি না, তবে আপনি  মানসিক প্রশান্তি পাবেন এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কাইয়ুম উদ্দিন হিরক, জেলা সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ হুসাইন টিপু, জেলা আইন ও আদালত বিষয়ক সম্পাদক মোঃ দারুস সালাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা আমীর প্রভাষক শফিউল আলম বকুল, পৌর আমির মাহের আলী, জেলা শ্রমিক কল্যান সম্পাদক মহসিন আলী, উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, পৌর জামায়াতের সম্পাদক মসলেম উদ্দিন, উপজেলা নায়েবে আমির ইউসুফ আলী মাষ্টার, সহকারি সেক্রেটারি তরিকুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি বেলাল হোসেন প্রমুখ।




স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি’র বিকল্প নাই

আলমডাঙ্গায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার অংশ হিসেবে পথসভায় উপস্তিত হলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

আলমডাঙ্গা পৌরসভার হাজী মোড় ঘুরে চারতলার মোড় হয়ে আল তায়েবা মোড় থেকে আলিফ উদ্দিন রোড় শেষে নেতাকর্মী ও জনগণের উদ্দেশ্য বক্তব্য দেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি সরকারের কোন বিকল্প নেই। জনগণের পাশে থেকে নির্বাচন করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া দল বিএনপি’র পতাকা তলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে ভোটে বিজয় ছিনিয়ে এনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাত কে শক্তিশালী করতে হবে।

নির্বাচনী প্রচারণা ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সহিদুল কাওনাইন টিলু মিঞা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম, সাবেক কৃষক দলের সভাপতি বোরহান উদ্দিন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাগরিবুর রহমান, হারদী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মইনূল ইসলাম, নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল ওহাব মাষ্টার, বারাদী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বিল্লাল হোসেন, জাইদুল ইসলাম, আশাদুল মেম্বার, তৈয়ব মেম্বার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কালিদাশপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা মইনোদ্দিন, বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা শরিফ উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, ছাঁদ আলি, কামাল হোসেন, আব্দুল ওয়াহেদ, পান্না চৌধুরী, রফি মেম্বার, মালেক, হুমায়ুন, আলা উদ্দিন, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সন্টু মিঞা, আজিমুদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম, ডালিম, রিমন, রাজা, খাদেমপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ডাউকি ইউনিয়ন বিএনপি’র ইউনোচ আলি, চিনিরোদ্দিন, হান্নান, বিল্লাল মাষ্টার, সেকেন্দার, যুবদল নেতা, সফিকুল আজম ডালিম, জাহাঙ্গীর, লিটন, সোহাগ, সেলিম, সালাম, আশরাফুল, রানা, রাসেল, আরিফ, দুদুল, শরিফুল মেম্বার, আতিয়ার, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সদস্য কাওনাইন রুবেল, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশিকুর রহমান, সুমন আলি, নাজমুল হাসান, রিপন আলি সামিউল হাসান সানি, লিটন হাসান, সবুজ, সেজান, বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদের চপল, রাজু আহম্মেদ, হিমেল প্রমুখ।




মেহেরপুরের আমঝুপিতে অ্যাড. কামরুল হাসানের গনসংযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এক পথসভা ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৫ টার সময় আমঝুপি বাজারে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভা শেষে বিশাল লোকসমাগম নিয়ে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনগণের হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সাবেক সদর থানা যুবদল সভাপতি হাসিবুল ইসলাম স্বপন এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, সদস্য আবু সালেহ নাসিম ও খাইরুল বাশার, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, রোমানা আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকা বিল্লাহ, জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলিফ আরাফাত খান, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন তপু, সদর উপজেলা আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মিন্টু হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, বিএনপি নেতা নাহিদসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পথসভা ও গণসংযোগকে কেন্দ্র করে আমঝুপি এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয়দের অংশগ্রহণে এ কর্মসূচি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।




কোটচাঁদপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন ব্যারিস্টার কাজল

কোটচাঁদপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

শনিবার সকাল ১১টায় কোটচাঁদপুর উপজেলার পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের সাথে এই সভায় অংশগ্রহণ করেন।

মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, “আমি আপনাদেরই সন্তান। ১৯৮৬ সালে মহেশপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৮৮ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করি। আমি একজন কূটনীতিক। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।

২০২০ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পরপর তিনবার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। ফ্যাসিবাদী আমলে ডিবি অফিসে চারদিন রিমান্ডসহ কারাভোগ করেছি। আমি মহেশপুর উপজেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম এবং ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

বর্তমানে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি যদি দলের মনোনয়ন পাই, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। দলের বাইরে কোনো নির্বাচন করার মনোভাব নেই।

তিনি আরও বলেন, “যদি ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হই, তাহলে অবহেলিত ঝিনাইদহ-৩ আসনের কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করবো। খাদ্য, বসবাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেব। কোনো দূর্নীতি, চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

আমার পিতা একজন পৌরসভার সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমি আদর্শ পিতার সন্তান। আমার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে, একজনের ব্যারিস্টারি পড়া শেষ পর্যায়ে। আমি দলের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করেছি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে। আমার সন্তানও পিতার আদর্শে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দলের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করবে, ইনশাআল্লাহ। এখানে অনেকেই দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন। আমি যদি দলের মনোনয়ন না পাই, তাহলে যিনি পাবেন, তার পক্ষে কাজ করবো।”




মেহেরপুরে অ্যাড. কামরুল হাসানের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের হরিরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণের আয়োজন করা হয়।

গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় সময় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের মৌলিক অধিকার ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। তারেক রহমানের নির্দেশেই আমরা সব কার্যক্রম পরিচালনা করছি।”

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রায় দুই হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন এবং বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ পান। নেতৃবৃন্দ জানান, জনগণের পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য, তাই এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান ছাতু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকা বিল্লাহ,

জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলিফ আরাফাত খান, বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, নাহিদ হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনার ঈশ্বরচন্দ্রপুরে বাড়ির বারান্দা থেকে মোটরসাইকেল চুরি

দর্শনা পৌরসভার ঈশ্বরচন্দ্রপুর বড় মসজিদপাড়া থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) ভোরে বাড়ির বারান্দার গেটের তালা ভেঙে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে ইমরান জোয়াদ্দার তার ব্যবহৃত প্রায় ৪/৫ মাস আগে কেনা লাল-কালো রঙের এসপি হোন্ডা ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলটি নিজ ঘরের বারান্দায় রাখেন।

রাত ২টার দিকেও তিনি মোটরসাইকেলটি বারান্দায় দেখতে পান। তবে ভোর ৫টার দিকে উঠে দেখেন, মোটরসাইকেলটি আর সেখানে নেই।

পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মোটরসাইকেলটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে ইমরান জোয়াদ্দার দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।




গাংনীতে শিক্ষক কর্মচারী ক্রেডিট ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা

“সমবায় শক্তি, সমবায় মুক্তি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে গাংনীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গাংনী উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৫। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজে এ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের সভাপতি ও গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ ও গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক নাসিরুদ্দিন এবং পলাশিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বকুল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালবের (CALB) আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যক্ষ শেখ সহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোকাদ্দেছুর রহমান।

সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কালব এর পরিচালক ছানোয়ার হোসেন, করমদি ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক আবু সায়েম পল্টু, গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ রবি, কালব-এর জেলা ম্যানেজার সুজয় কুমার বসু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও হিজলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, সংগঠনের সহ-সভাপতি ও গাংনী পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান বকুল।

সভায় সংগঠনের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে লটারি আয়োজন করা হয় এবং সদস্যদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুরে তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলার ট্রেনিং প্রোগ্রাম

মেহেরপুরে তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলার আয়োজনে একটি ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে হজ ও ওমরার নিয়মকানুন, জরুরি অবস্থা মোকাবেলা, এবং আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

আজ শনিবার সকাল ১০টায় তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলার মেহেরপুর আঞ্চলিক অফিসে এ ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণে হজ ও ওমরাহের ৭টি ধাপ ইহরাম বাঁধা, মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় অবস্থান, তাওয়াফ, সায়ী, এবং পশু কোরবানি করার সঠিক পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য ও শারীরিক প্রস্তুতির গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

ট্রেনিং প্রোগ্রামের সভাপতিত্ব করেন তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমঝুপি ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহাবুব উল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর অগ্রণী ব্যাংক পিএসসি এর এজিএম রমজান আলী, তাতাসা হজ ও ওমরাহ কাফেলার উপদেষ্টা আবুল হাশেম, এবং পৌর আমির সোহেল রানা ডলার। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ভেড়ামারা ল্যাব এইচ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাংবাদিক শাহ জামাল।

প্রশিক্ষণে বক্তারা বলেন, হজ ও ওমরাহ মুসলমানদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যথাযথ নিয়ম মেনে, শুদ্ধ নিয়তে এবং ইসলামী বিধান অনুসারে পালন করতে হবে এ ইবাদত। এজন্য আগেভাগে প্রশিক্ষণ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি, যাতে আরবি ভাষা, রীতিনীতি, কাফেলার শৃঙ্খলা ও হজের বিধান সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা অর্জন করা যায়।

বক্তারা আরও বলেন, তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলা দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হজ ও ওমরাহ পালনে সহায়তা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি সবসময় হজযাত্রীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।




গাংনীর কাথুলী সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৪ বাংলাদেশিকে পুশব্যাক

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৪ জনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাথুলী বিওপির সীমান্ত এলাকার আনুমানিক ১০০ গজ ভেতরে সীমানারেখার ১৩৩/৩ এস পিলারের অভ্যন্তর দিয়ে ১৪ জনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করেছিল। আটক পূর্বে আসাম রাজ্যের তেইমপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অনোজ কুমার তাদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেন। এদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে।

বিজিবির কাছে হস্তান্তরকৃত বাংলাদেশিরা হলেন ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার জেলেল বস্তির গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে হানিফুর রহমান (৩৮), তার স্ত্রী লুৎফা খাতুন (২৮), মেয়ে হাবিবা খাতুন (১২), আলিয়া খাতুন (১.৫), ছেলে হাবিবুল্লাহ (০৫); একই এলাকার খাদেমগঞ্জ গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে বাবুল (৫০), তার স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৪৩), মেয়ে লাভলী খাতুন (২৫), শবনম খাতুন (১৯), ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪); বেউরঝাকী গ্রামের আজগর আলীর ছেলে তারিকুল ইসলাম (২৮); রত্নাই গ্রামের ধুনিবুলা মোহাম্মদের ছেলে আজিজুল হক (৪৫) এবং লক্ষহাট গ্রামের আব্দুল লতিবের ছেলে হাতেম (৫২)।

হানিফুর রহমান জানান, তিন বছর আগে জীবিকার তাগিদে পানিপথ দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়েছিলাম। আসাম রাজ্যের হরিয়ানাতে পাপোস তৈরির কারখানায় কাজ করতাম। গত মাসের ২১ তারিখে ভারতের পুলিশ আমাদের আটক করে। এরপর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ আমাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি ইসরাইল জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।