গাংনীতে প্রেমের সম্পর্ক ধরে বিয়ের দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বাড়িতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার অনশন

মেহেরপুরের গাংনীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে চার বছরের প্রেমের অভিযোগ এনে বিয়ের দাবিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা দুই দিন ধরে অনশন পালন করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ শুক্রবার বিকাল ৪ টা পর্যন্ত তার বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

এদিকে বিয়ের দাবিতে স্কুল শিক্ষিকা সালমা খাতুন বাড়িতে আসার সাথে সাথে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আমিরুল ইসলাম সুফল বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে গেছেন। আমিরুল ইসলাম গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের আনারুদ্দীনের ছেলে ও চেংগাড়া সরকারির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। সালমা খাতুন একই উপজেলার গোপালনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (বাংলা)।

সালমা খাতুন অভিযোগ করেন, বিগত চার বছর যাবৎ আমার সাথে প্রেম করছে সে। প্রেমের সম্পর্কের কারণে সে বিভিন্ন স্থানে আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। সব ধরণের সম্পর্কও তৈরী হয়েছে। আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। আমি চাকুরি পেলে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। আমি এখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে চাকুরি পেয়েছি। কিন্তু সুফল আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেনা। এমনকি আমার ফোনটুকুও ধরেনা। আমি তার বাড়িতে চলে এসেছি। বিয়ে না করলে এই বাড়ি থেকে আমার লাশ বের হবে।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আমিরুল ইসলাম অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, তার সাথে আমার কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই। বিয়ের জন্য সে আমাকে ব্লাকমেইল করছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের খালাত ভাই বাবু জানান, দুজনেই স্কুল শিক্ষক। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে কিনা আমরা কেউ জানিনা। অনশনকারী সালমা খাতুন প্রেমের সম্পর্ক আছে দাবি করলেও আমিরুল ইসলাম সুফল সেটা মিথ্যা দাবি করছে। এই মূহূর্তে আমরা মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তার পরিবারের লোকজনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাইনি। বিষয়টি গাংনী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারাও এসে রিপোর্ট নিয়ে চলে গেছে। মেয়েটি আজ বিকাল পর্যন্ত এখানেই বসে আছে।

এদিকে আমিরুল ইসলাম সুফল মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, ওই শিক্ষিকার সাথে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তার সাথে বিয়ের কথা হয়েছিল এক সময়। তারপর থেকেই সে আমাকে জালাচ্ছে। আমি তাকে বিয়ে করবো না। বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেন কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরণের একটা পরিস্থিতিতে না পালিয়ে উপায় ছিলনা।

এব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ঘটনাটি শোনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।




শরীফ ওসমান হাদী হত্যার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাইযোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদীকে হত্যার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার জুমার নামাজের পর চুয়াডাঙ্গা চৌরাস্তার মোড়ে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

এসময় বিক্ষোভকারীরা তুমি কে, আমি কে, হাদি হাদি; ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান; গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী; হাদি ভাইয়ের কারণে, ভয় করি না মরণে; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; ভারতের আগ্রাসন ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও; ইনকিলাব জিন্দাবাদ” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান সজিব, জেলা সেক্রেটারি তুষার ইমরান সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গার মুখ্য সংগঠক সজিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা সদস্য সচিব ফাহিম উদ্দিন মভিন, ওয়ারিয়র্স অব জুলাই চুয়াডাঙ্গা জেলার আহ্বায়ক মাহফুজ হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির চুয়াডাঙ্গা জেলার সভাপতি সাগর আহাম্মেদ, আপ বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গার সভাপতি স্বপন এবং চুয়াডাঙ্গা ল্র সন্তান এবং ডাকসু হল সংসদের পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসির আল মাস্তুর।

বক্তারা বলেন, শরিফ ওসমান হাদী হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বক্তারা আরও বলেন, ভারতীয় আধিপত্য কায়েমের নীলনকশার অংশ হিসেবেই শরীফ ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে। খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন। কর্মসূচির আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গাবাসী ও ছাত্রজনতা।

বিক্ষোভ মিছিলের শেষে নিহত হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।




ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ, ভাংচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর পরই ঝিনাইদহে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নীসংযোগ চালিয়েছে।

আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর হোসেন শহীদ সোহরায়ার্দী সড়কের জেলা যুবলীগের আহবায়ক আশফাক মাহমুদ জনের ভাড়া দেওয়া প্রতিষ্ঠান বন্ড শোরুম ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ চালায়। এসময় শহরের পায়রা চত্বরে বেশ কয়েকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায় ও মালিককে মারধর করে বিক্ষুদ্ধরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন্ড শোরুমের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা শহরের হামদহ এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কাান্তি দাসের বাড়ি, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাসুমের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিানে ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। এছাড়া কনক কান্তি দাসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটায়।

কনক কান্তি দাসের ভাই গোপাল কৃষ্ণ দাস জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে বিক্ষুব্ধ শতাধিক লোকজন। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় তারা আসবাবপত্র বের করে বাড়ির সামনে অগ্নিসংযোগ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে গোপাল কৃষ্ণ দাস পেছনের দরজা দিয়ে বাড়ি থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর কিছুক্ষণ পরেই জেলা শহরের নতুন হাটখোলা সড়কের পাশে ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা।




ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জুলাই ঐক্য।

আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর জেলা মডেল মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড়ের জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় তারা ‘হাদি ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’ ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ স্লোগান দেয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির তাজউদ্দিন খান, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সূরা কমিটির সদস্য ও সেক্রেটারি মো. ইকবাল হুসাইন, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি রুহুল আমিন, সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, পৌর আমির সোহেল রানা ডলার, সদর উপজেলা সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির তাজউদ্দিন খান বলেন, আমাদের শহীদ ভাইকে যারা হত্যা করেছে তারা ভারতে লুকিয়ে আছে। তাহলে কি আমরা এটা বুঝে নেব বাংলাদেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করার জন্য, এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার জন্য ভারত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের ওপর এই খুন-গুম চালিয়েছে ও চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসন আমাদের দৃষ্টিতে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের সঙ্গে যারা সম্পর্ক রাখছে তাদের বিনা মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, অথচ যারা পরিকল্পিতভাবে মেহেরপুরকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ বলেন, আমরা প্রথম থেকেই ভারতের হেজিমনির বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছি। আমরা বলেছি, বাংলাদেশে ভারতের আর কোনো স্ট্যাবলিশমেন্ট থাকতে পারবে না। বাংলাদেশে তারা এই মুজিব ও হাসিনাকে রেখে গিয়েছিল মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য। সেরকম কোনো প্রসেস বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না।

প্রথম থেকেই তারা আমাদের ওপর বিভিন্ন আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে। সর্বশেষ আমাদের সহযোদ্ধা ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, গুলি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা অবস্থায় শরীফ ওসমান হাদিকে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় এবং সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।




দামুড়হুদার এসিল্যান্ড এইচ তাসফিকুর রহমানকে ওরা বন্ধু সংঘের বিদায় সংবর্ধনা

দামুড়হুদায় দুর্নীতিমুক্ত ভূমি অফিস গড়ে তোলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ড) এইচ তাসফিকুর রহমানকে “ওরা বন্ধু সংঘ” দামুড়হুদার পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে তাকে এ বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

“প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ, একজন সরকারি কর্মচারী তার সেবক মাত্র” সংবিধানের এই কথাটি হৃদয়ে ধারণ করে ভূমি সেবা গ্রহীতাদের মাঝে হয়রানিমুক্ত ভূমি সেবা প্রদান করে অনন্য দৃষ্টান্ত গড়েছেন বিদায়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান। ফলে তার কর্মদক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার জন্য সম্পূর্ণ অলাভজনক, অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ওরা বন্ধু সংঘ” তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে।

সৎ, যোগ্য ও চৌকস এ ভূমি কর্মকর্তা মাত্র ১ বছর ৫ মাসের সংক্ষিপ্ত কর্মকালেই তার কর্মদক্ষতার মাধ্যমে ভূমি কার্যালয়কে হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে মানসম্মত ভূমি সেবা প্রদান, সেবাগ্রহীতাদের আস্থা অর্জন এবং ভূমি সেবায় উন্নত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ভূমি সেবা উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। তার সকল অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ ও সম্মান জানিয়ে “ওরা বন্ধু সংঘ” এ সংবর্ধনা প্রদান করেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুরশেদ বীন ফয়সাল তানজিরের নেতৃত্বে, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী আব্দুল কাদির, হাফিজুর রহমান কাজল, সদস্য শেখ হাতেম, তিতুয়ার, রবিউল আওয়াল রুবেল, খালিদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা এসিল্যান্ড এইচ তাসফিকুর রহমানের কর্মজীবনের প্রশংসা করে বলেন, সরকারের জনবান্ধব কর্মকর্তা কাকে বলে এবং একজন জনবান্ধব কর্মকর্তা কীভাবে জনগণের সেবা প্রদান করেন তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি প্রমাণ করেছেন। তিনি অত্র কার্যালয়ে যোগদানের পর নিজের সরকারি দপ্তরকে গড়ে তুলেছেন একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে। যেখানে ভূমি অফিসের ভোগান্তি, সাধারণ মানুষের হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, সেখানে ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণের মাঝে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এইচ তাসফিকুর রহমান। সর্বোপরি, এমন একজন কর্মকর্তাকে হারাতে চলেছি, যিনি ছিলেন ভূমি সেবা ও উন্নয়নে উপজেলা বাসীর জন্য আশীর্বাদ। এমন একজন কর্মকর্তা চলে যাওয়ার যে শূন্যতা, তা সহজে পূরণ হবার নয়। আমরা তার সার্বিক মঙ্গল ও উন্নতি কামনা করি।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুরশেদ বীন ফয়সাল (তানজির) বলেন, কে এইচ তাসফিকুর রহমান মহোদয় অত্র কার্যালয়ে যোগদানের পরবর্তী সময় থেকে ভূমি কার্যালয় দুর্নীতিমুক্ত হয়েছে। সর্বস্তরের সেবাগ্রহীতারা কোনো রকম হয়রানি ও দুর্নীতি ছাড়া শতভাগ সেবা পেয়েছেন। একজন কর্মকর্তা কতটা আন্তরিকভাবে সরকারের সেবা নিশ্চিত করতে পারেন, তা এই কর্মকর্তাকে না দেখলে বুঝতাম না। তার সততা, নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন, যা একটি কর্মকর্তার জন্য চরম প্রাপ্তি বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। তার চলে যাওয়া হয়রানিমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত ভূমি সেবা প্রত্যাশীদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তার কর্মগুণের কারণে দামুড়হুদা উপজেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে সম্মানের সাথে মনে রাখবেন।

বিদায়ী এসিল্যান্ড উপজেলা বাসীর মঙ্গল কামনা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার সকল ভূমি সেবাগ্রহীতার প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কর্মক্ষেত্রে কাজের কোনো গাফিলতি করিনি। ভূমি সেবায় মানুষের ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা করেছি এবং কার্যালয়কে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত রেখেছি। ফলে মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে সাংবাদিক সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। এমন ভালোবাসার প্রতিদান আমি কখনো দিতে পারবো না। এখানকার সকলের ভালোবাসা আমাকে আজীবন ঋণী করে রাখবে। তবুও একজন মানুষ হিসেবে এসিল্যান্ড ও পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সর্বোপরি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ওরা বন্ধু সংঘ” এর সফলতা ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।




দর্শনা হৈবতপুরে স্কুলগামী মেয়েদের ওপর ইভটিজিং, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা 

দর্শনা থানার হৈবতপুর গ্রামের স্কুলগামী মেয়েরা মদনা গ্রামে আসার পথে ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলাচলের মাঝামাঝি স্থানে বকুলতলা ও বটগাছের নিচে কয়েকজন যুবক মোবাইল ফোন দিয়ে মেয়েদের ভিডিও করছে এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি তারা আপত্তিকর কথা বলছে ও পথরোধ করে নানা মন্তব্য করছে।

হৈবতপুর গ্রামের অভিভাবক এবং স্কুলগামী মেয়েরা জানান, এভাবে প্রতিদিন স্কুলে আসার পথে তারা ইভটিজিংয়ের স্বীকার হচ্ছেন। এতে প্রাথমিকভাবে প্রভাব পড়ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৪ জন, নবম শ্রেণির ২ জন, অষ্টম শ্রেণির ১ জন ও পঞ্চম শ্রেণির ১ জনসহ মোট ৯-১০ জন ছাত্রীর ওপর।

মদনা গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন (১৫), জাফর মিয়া (১৫) ও লিটনের ছেলেসহ ৭-৮ জন যুবককে বিষয়টি জানানো হলেও, স্থানীয় অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুলতান মাহমুদকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি জানান, বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে।




গণভোটে ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে উঠান বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দিলেন তথ্য সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি গণভোটে ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আগামীকাল থেকেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা। তিনি বলেন, তরুণ ভোটার বিশেষ করে প্রথমবারের মতো যারা ভোট দেবেন, তাদের অনুপ্রাণিত করতে ‘ভোটালাপ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর আওতায় জেলা তথ্য অফিসগুলোর উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণভোটে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

তথ্য সচিব গতকাল বৃহস্পতিবার ঝুম প্ল্যাটফর্মে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে জেলা তথ্য অফিসসমূহের প্রচার কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন।

গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় মাঠ পর্যায়ের ৬৮ তথ্য অফিসের প্রধানগণ অংশ নেন।

তথ্য সচিব বলেন, এবারের গণভোটকে ইউনিক করতে সকল ভোটারের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। ভোটারদের উজ্জীবিত করার গুরুদায়িত্ব তথ্য অফিসসমূহকে পালন করতে হবে। জনগণকে ভোটদানের উপকারিতা জানাতে হবে। ন্যায় ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে গণভোটে অংশ নিতে হবে।

গণভোটের প্রচারে আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃতিনির্ভর কনটেন্ট এবং বক্তব্য তুলে ধরতে হবে। এর মাধ্যমে জনগণ গণভোটের গুরুত্ব অনুধাবন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি, গণভোট সম্পর্কে প্রাক্টিক্যাল ডেমোনস্ট্রেশন, তরুণ ভোটারদের উৎসাহ ও নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা নিরলস কাজ করছে। ইতোমধ্যেই গণভোট সংক্রান্ত ১০টি সংগীত রচনা করা হয়েছে। এগুলোর সুর তুলে রেকর্ডিংয়ের কাজ চলছে। শিগগিরই এসব সংগীত মাঠ পর্যায়ে পরিবেশন করে গণভোটে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত কনটেন্ট মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক হারে প্রচার করা হচ্ছে।

তথ্য সচিব তাঁর বক্তব্যে গণভোট ও নির্বাচনি আচরণবিধি সম্পর্কে ভোটার সচেতনতা বাড়াতে ‘টেন মিনিট ব্রিফ’ কর্মসূচি গ্রহণের তাগিদ দেন। এ কর্মসূচির আওতায় তিনি গ্রামের ছোট ছোট বাজারে দাঁড়িয়ে ১০ মিনিট নির্বাচন সংক্রান্ত করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়ে জেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের বক্তৃতা এবং প্রচারপত্র বিতরণের নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (কারিগরি) মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন, বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক ওমর ফারুক দেওয়ান, রংপুর জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক ড. মোফাখখারুল ইকবাল, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) সৈয়দ এ মু’মেন ও পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়) ডালিয়া ইয়াসমিন সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।




বেলগাছিতে প্রথমবার মেডিক্যালে পড়ার কৃতিত্ব অর্জন করলো মিম

আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের অসচ্ছল পরিবারের সন্তান আফরিন সুলতানা মিম প্রথমবারের মতো মেডিক্যালে পড়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তিনি বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।

আফরিন সুলতানা মিম আলমডাঙ্গা বেলগাছি গ্রামের মালিথা পাড়ার গর্বিত কন্যা এবং আলম হোসেনের কন্যা। তার পিতা আলম হোসেন বর্তমানে এক বেসরকারি কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন, খুবই স্বল্প বেতনে।

মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্যের জন্য বেলগাছির সর্বস্তরের মানুষ আফরিনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, “এই কৃতিত্ব কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি শুধু তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বেলগাছি মালিথা পাড়া ও সমগ্র এলাকার জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।”

বেলগাছি ছাত্র কল্যাণ সংস্থা আফরিন সুলতানা মিমকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আফরিনের পিতা আলম হোসেন বলেন, “তার আগামীর পথচলা আরও সাফল্যমণ্ডিত হোক। ভবিষ্যতে সে একজন দক্ষ, মানবিক ও দেশপ্রেমিক চিকিৎসক হিসেবে সমাজ ও দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে এজন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।”




আলমডাঙ্গায় বিজয় মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের বিজয়মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলায় হস্তশিল্প, দেশীয় পোশাক, খাবারসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজানো হয়। নতুন প্রজন্মের কাছে দেশীয় ঐতিহ্য তুলে ধরা এবং নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করাই ছিল এই মেলার মূল লক্ষ্য।

মেলার সমাপনী দিনে ২৫ জন নারী উদ্যোক্তা ও অন্যান্য উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলা পরিষদ মঞ্চে পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পান্না আক্তার। সহকারী অধ্যাপক একেএম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলমডাঙ্গা বৈচিত্র্য সংরক্ষণ যুব সংস্থার সভাপতি সাঈদ এম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত রহমান, নারী উদ্যোক্তা হেলেন আক্তার কামনা ও নারী উদ্যোক্তা সালমা পারভীন।

মেলায় উদ্যোক্তা সদস্যরা ২৫টি স্টলে তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। স্টলগুলোতে নারীদের হাতের তৈরি শাড়ি, থ্রি-পিস, বুটিকের কাজ, পিঠা-পুলি, ব্যাগ, পাপোশ, বিভিন্ন ধরনের মেয়েদের পোশাক, নানা প্রকার আচার এবং উন্নতমানের হাতের তৈরি খাবার প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পান্না আক্তার বলেন, নারীরা অবহেলিত নয়; তারা ঘরে বসেই বিভিন্ন প্রসাধনী ও খাবার তৈরি করে তা নানা উপায়ে বিক্রি করছেন। এর মাধ্যমে নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মেলায় নারীদের উপস্থিতি ও সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যসামগ্রী নিয়ে এই বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছে মূলত তাদের উৎসাহিত করার জন্য। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করার ইচ্ছা রয়েছে বলেও জানান তিনি।




নতুন সাইকেল দিয়ে তুষারের মুখের হাসি ফেরালেন ইউএনও

বিজয় দিবসে কান্না থেকে হাসি, তুষারের মুখে ফিরল বিজয়ের আলো। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তুষারের কান্নারত ছবি দেখে বিজয়ের আনন্দ ম্লান হয়ে গিয়েছিল নতুন সাইকেল হারিয়ে। মহান বিজয় দিবসে আনন্দ দেখতে এসে যার চোখে নেমে এসেছিল অশ্রু ছোট্ট তুষারের। হারিয়ে যাওয়া একমাত্র সাইকেলটি যেন তার শৈশবের হাসিটাকেই কেড়ে নিয়েছিল। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে বলতে ছিলো আগামীকাল আমি কিভাবে স্কুলে যাব। চোখের পানি আর বুকভরা কষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছিল তুষার। তার সেই নিঃশব্দ কান্নার গল্প বিভিন্ন   পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিষয়টি নাড়া দেয় অনেকের হৃদয়।

মানবাধিকার কর্মীদের প্রচেষ্টাই  মানবিকতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পান্না আক্তার। অশ্রু ভেজা চোখ দেখে সন্তান সমতুল্য  তুষারের পাশে অভিভাবকের ন্যায় দাঁড়ান।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয় দিবসের শুভক্ষণে উপহার হিসেবে আলমডাঙ্গা উপজেলা মঞ্চে বিজয় মেলায়  তুষারের হাতে তুলে দেন একটি নতুন সাইকেল। মুহূর্তেই কান্নাভেজা চোখে ফুটে ওঠে আনন্দের ঝিলিক হারানো হাসি ফিরে পায় তুষার।

সাইকেল পেয়ে বিজয়ের আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে ওঠে তার মুখে। ইউএনওর হাত থেকে সাইকেল নিয়ে শিশুসুলভ উচ্ছ্বাসে নিজেই চালিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয় তুষার। সেই দৃশ্য যেন বলে দেয় বিজয় শুধু যুদ্ধের নয়, মানবিকতারও।

একটি সাইকেল বদলে দিল একটি শিশুর দিন, বদলে দিল তার মনে জমে থাকা বিষণ্নতা। বিজয় দিবসে তুষারের মুখের সেই হাসি হয়ে রইল আলমডাঙ্গার জন্য মানবতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।