এক বছরে দেশে ঠেলে দেওয়া হলো ৩৭২ বাংলাদেশিকে

এক বছরে মেহেরপুরের গাংনী ও মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে ৩৭২ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর ও পুশ ইন করেছে বিএসএফ। এক বছরে মেহেরপুরের গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মোট ৩৭২ জন বাংলাদেশিকে হস্তান্তর ও পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

কাজের সন্ধানে এসব বাংলাদেশি অবৈধভাবে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। তাদের মধ্যে কেউ ১৫ বছর আগে, কেউ ১০ বছর আগে, আবার কেউ চার-পাঁচ বছর আগে ভারতে যান। সেখানে তারা বিভিন্ন ইটভাটা ও কলকারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।

গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের আটক করে হাজতে পাঠায়। হাজত থেকে মুক্তির পর রাতের আঁধারে অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা পুশ ইন নামে পরিচিত।

সূত্র জানায়, এর মধ্যে ২০৫ জন বাংলাদেশিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে বিএসএফ হস্তান্তর করে। অপরদিকে, ১৬৭ জনকে মেহেরপুরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ অবৈধভাবে পুশ ইন করেছে।

মেহেরপুরের গাংনী সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে নারী, শিশু ও পুরুষসহ ৩০ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

৩ ডিসেম্বর, মেহেরপুরের গাংনী সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে ভারতে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের হাতে আটক হওয়া নারী, শিশু ও পুরুষসহ ৩০ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

পুশ ইন হওয়া সবাই ভারতের কলকাতাসহ বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে এবং বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেন। আটকদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ২ জন শিশু ও ১২ জন নারী রয়েছেন। তারা সবাই খুলনা, লালমনিরহাট ও আশপাশের জেলার বাসিন্দা।
আটকদের একজন জানান, কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছিলেন।

নভেম্বর ১৯, গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ২৪ জন বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কাছে হস্তান্তর করেছে।

পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে কাথুলী কোম্পানির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. কামরুজ্জামান এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের নদীয়া জেলার তেহট্টার ৫৬ ব্যাটালিয়নের তেইরপুর কোম্পানি কমান্ডার এসি আনচ কুমার উপস্থিত ছিলেন।

অক্টোবর ২৬, মুজিবনগর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের পর ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২৯ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। হস্তান্তরিতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী ও ১ জন শিশু রয়েছেন।

অক্টোবর ২৫, মেহেরপুরের গাংনীর দুই সীমান্ত দিয়ে ভারতে আটক ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যসহ ৬০ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ও কাথুলী সীমান্ত দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়। সকাল ১০টার দিকে কাজিপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১৪৭ মেইন পিলারের নিকট শহীদ স্মরণী অংশে প্রথম দফায় ৩০ জনকে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এরপর বেলা ১২টার দিকে একই উপজেলার কাথুলী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৩৩/৩ এসের নিকটে দ্বিতীয় দফায় আরও ৩০ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করা হয়।

ভারতের তেইমপুর বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অনোজ কুমার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের কাথুলী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মিজানুর রহমানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।

১৮ অক্টোবর, গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৪ জনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২০, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দিনে দুই দফায় মোট ২২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

সেপ্টেম্বর ১৯, মুজিবনগর সীমান্তের স্বাধীনতা সড়কে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১০৫ নম্বর পিলারের কাছে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এক শিশুসহ চার বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

সেপ্টেম্বর ৬, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর সীমান্ত দিয়ে মা ও দুই মেয়েকে পুশ ইন করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার সকালে বিজিবির সদস্যরা ওই তিনজনকে আটক করে মুজিবনগর থানায় সোপর্দ করেছেন।

আগস্ট ১৯, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নারী ও শিশুসহ ৩৯ জনকে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার সময় কাজিপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৪৭ এর নিকট বিজিবির কাছে তাদের হস্তান্তর করে বিএসএফ।

১৪ আগস্ট, মুজিবনগর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে মেইন পিলার ১০৫-এর নিকটে শূন্য লাইনে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ফরিদপুর ভাঙ্গা থানার ওদুদ শেখের ছেলে আবু সাইদ (৪৫), তার স্ত্রী বিউটি বেগম (৪০), ছেলে সম্রাট (৭) ও মেয়ে শিমলা আক্তার (১১), ফরিদপুর নগরকান্দা থানার বদিরুজ্জামান (৩৯), তার স্ত্রী ডলি (৩৫), মেয়ে লামিয়া আক্তার (৬), ছেলে আলী আকবার (৪) ও মেয়ে ছাদিয়া আক্তার (১.৫)।

আগস্ট ১৩, মেহেরপুরের মুজিবনগরে ১ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলাসহ মোট ৪ জনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পুশইন করেছে। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাদের আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

আগস্ট ১, মুজিবনগর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্য পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার শিশু, পাঁচ নারীসহ ১৭ বাংলাদেশীকে ফেরৎ পাঠিয়েছে বিএসএফ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ৬ বিজিবি এবং ১৬১ বি এস এফ এর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসব বাংলাদেশীকে ফেরৎ দেন তারা।

২৯ জুলাই, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৭ জন নারীসহ ১৮ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

২৬ জুন, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রংমহল সীমান্ত দিয়ে ৮ জন বাংলাদেশি নারী, পুরুষ ও শিশুকে পুশ-ইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

২৬ জুন, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রংমহল সীমান্ত দিয়ে ৮ জন বাংলাদেশি নারী, পুরুষ ও শিশুকে পুশ-ইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

১০ জুন, ভোরে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত দিয়ে ১২ জনকে, ৪ মে ভবেরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে, ২৫ মে সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে এবং ২৭ মে সোনাপুর সীমান্ত পিলার ১০১ কাগমারী মাঠ দিয়ে আরও ৩০ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করা হয়।

২৬ ফেব্রুয়ারি সোনাপুর মাঝপাড়া সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।পুশ ইন হওয়া বাংলাদেশিদের অধিকাংশের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। এর পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, লালমনিরহাট, কক্সবাজার, ফরিদপুর, পিরোজপুরের নাগরিক রয়েছেন।

ভারত থেকে আসা কয়েকজন জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই বাংলাদেশি। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানকার পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাঁদের সীমান্তে এনে কাঁটাতারের গেট খুলে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।

কক্সবাজারের রিয়াজ আলী বলেন, প্রায় চার বছর হলো জীবিকার আশায় চোরাইপথে ভারতে গিয়েছিলাম। নয়ডা জেলার একটি লোহার কারখানায় চাকরি করতাম। ২ মে পুলিশ এসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা আমাকে নদীয়া জেলার কারাগারে পাঠায়। সেখান থেকে একটি ট্রাকে সীমান্তে এনে ফেলে দেয়।

কুড়িগ্রাম জেলার জাহাঙ্গীর আলম ও বাবুল হোসেন বলেন, তারা দুজনই পরিবার নিয়ে প্রায় এক যুগ আগে ভারতে গিয়েছিলেন। গত বছরের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বহরমপুর বাজারে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলাম। ভারতে বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি। গত মাসে পরিবার নিয়ে দেশে ফেরত আসার সময় বিএসএফ আটক করে তাদের জেলে পাঠায়।

জেল থেকে হৃদয়পুর সীমান্ত এলাকায় ট্রাকে করে এনে তাঁদের জড়ো করে এবং কাঁটাতারের মাঝখানে যে দরজা আছে, সেটা খুলে আমাদের বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে দেয়।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের বিজিবি থানায় হস্তান্তর করলে আমরা আইনানুগভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

কোনো ব্যক্তি যাতে বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। পাশাপাশি, যেসব ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশ ইন-এর চেষ্টা হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিতভাবে বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর‌্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।




আলমডাঙ্গা মাধবপুর মডেল হাইস্কুল পরিদর্শনে রাজবাড়ী জেলা দায়রা জজ 

আলমডাঙ্গা ডাউকি ইউনিয়নের “মাধবপুর মডেল হাই স্কুল” পরিদর্শন করেন লন্ডন প্রবাশী ব্যারিষ্টার জিল্লুর রহমান ও রাজবাড়ী জেলা দায়রা জর্জ মো:তহিদুল  ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সভাপতি মো: ছরোয়ার হোসেন।

অতিথিদের সামনে প্রধান শিক্ষক আশরাফ জাহান, আবেদ আলী স্কুলের কাগজ পত্র সহ বিভিন্ন সময়ের উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে তুলে ধরেন। মাধবপুর গ্রামের কৃতি সন্তান রাজবাড়ী জেলা দায়রা জর্জ তহিদুল ইসলাম বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের সাথে আমার পিতামহ জড়িত ছিলেন, তিনি জমি দান করে স্কুল নির্মাণ করেছিলেন, আমরা তার সন্তান হিসেবে তার হাতে গড়া বিদ্যালয়টিকে ডিজিটালাইজ্ড মডেল হাইস্কুলে রুপান্তরিত করার জন্য সর্ব প্রকার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

তিনি আরো বলেন, আমার বড় ভাই এখানে শিক্ষকতা করেন, তার কাছ থেকে সব সময় স্কুলের খোজ খবর রাখি। আপনারা সকলে মিলে স্কুলটির উন্নয়ন কল্পে এগিয়ে আসলে আমরা সবাই মিলে গ্রামের স্কুলটির উন্নয়ন করবো ইনশাল্লাহ। এছাড়া তিনি দীর্ঘ  আলোচনা, মূল্যবান দিক নির্দেশনা ও গুরুত্বপূর্ণ  পরামর্শ প্রদান করেন।

ব্যারিষ্টার জিল্লুর রহমান বলেন, আপনারা সকলে মিলে এই স্কুলের জন্যে যেভাবে কাজ করছেন, তাতে আমি আশাবাদি স্কুলটি অত্র এলাকার মধ্যে সেরা স্কুলে রুপান্তরিত হবে। আমি যেখানেই থাকি আপনারা আমাকে স্বরণ করলে আমি সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো। এর আগে স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ তাদের দুজনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।




গাংনীর ভাটপাড়ায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মিদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৬

মেহেরপুরে গাংনীর ভাটপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে  জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে  হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বিএনপি সমর্থক জিয়ারুল চৌধুরী ও জামায়াতের ৪ কর্মি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত জামায়াত কর্মীরা হলেন, সোহরাব হোসেন, তার ছেলে শিশির, রবিউল ইসলাম রুবেল, আলাউদ্দিন বাবলু। আহতদের গাংনী উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ভাটপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে গাংনী উপজেলা জামায়াত। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মো: রবিউল ইসলাম।

এসময় জামায়াত মনোনীত প্রার্থী নাজমুল হুদা, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, পৌর জামায়াতের আমীর আহসানুল হক, পৌর জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি জিল্লুর রহমান, গাংনী উপজেলা জামায়াতের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব শফিকুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা যুববিভাগের সভাপতি আবু সায়েম ও পৌর জামায়াতের আইন সম্পাদক আলমগীর হোসেন।

উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, রবিবার সকালে বিএনপি কর্মী জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে হামলা চালায়। এতে জামায়াতের চার স্থানীয় কর্মী আহত হন। আহতরা হলেন, সোহরাব হোসেন, তার ছেলে শিশির, রবিউল ইসলাম রুবেল, আলাউদ্দিন বাবলু। আহতদের গাংনী উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের বিচারের দাবী জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, রবিবার সকাল ৯ টার দিকে জামায়াতের ইউনিট বায়তুল মাল বিষয়ক সম্পাদক সোহরাব হোসেনের মুদি দোকানে কয়েকজন মহিলা জামায়াত কর্মী ইয়ানতের টাকা দেয়ার জন্য যায়। এসময় জান্নাত কেনা বেচা নিয়ে কথা হয়। পরে স্থানীয় বিএনপি কর্মি জামাল হোসেনের সাথে সোহরাব হোসেন ও শিশিরের কথা কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কি হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে।

পরে বিষয়টি নিয়ে আবার ভাটপাড়া বাজারে রবিউল ইসলামের ওষুধের দোকানে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি ও জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।




কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ নাগরিককে হস্তান্তর

অবশেষে ভারতের উড়িষ্যার ১৪ নাগরীককে কুষ্টিয়া  সীমান্ত দিয়ে ভারতের বিএসএফের কাছে তুলে দিলেন বিজিবি। গতকাল দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া মিরপুর ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীর মাধ্যমে তাদেরকে ভারতে প্রেরণ করে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি জানান, সীমান্ত আইন ও আন্তর্জাতিক রীতি লঙ্ঘন করে বিএসএফ দ্বারা ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে (দর্শনা সীমান্ত দিয়ে) ঠেলে পাঠানোর ঘটনায় বিজিবি কঠোর প্রতিবাদ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট শ্রী প্রেমপাল সিংয়ের উপস্থিতিতে রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাদের ভারতের অভ্যন্তরে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি আরো জানান, বিজিবির মোহাম্মদপুর কোম্পানি কমান্ডার ও বিএসএফের জলংগী কোম্পানি কমান্ডারের মাধ্যমে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১৪ জনকে পুশব্যাক করা হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ভারতের নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিএসএফ দর্শনা সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে। পুশইন ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, ছয়জন নারী ও দু’জন শিশু ছিল বলে বিজিবি ও পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে।

পুশইনের পর দর্শনা হল্ট স্টেশনের কাছে একটি গাছতলায় তারা প্রচণ্ড শীত ও খাবারের অভাবে অসহায় অবস্থায় পড়ে থাকলে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ ও দর্শনা বিজিবির একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে এবং পরিচয় ও ঠিকানা সংগ্রহ করে।

পুলিশ ও বিজিবি জানায়, তারা ভারতের ওড়িষ্যা প্রদেশের জগশ্বরপুর জেলার বাসিন্দা। উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন- গুলসান বিবি (৯০), জব্বার আলি (৭০), আলকুম বিবি (৬৫), উকিল শেখ (৪৩), সাবেরা বিবি (৩৪), হাকিম আলি (৪৫), সামসেরা বিবি (৪২), শেখরাজ (৩২), মেহেরুন বিবি (২৫), রহিদ আলি (৩৪), শেখ বান্টি (২৮), শাকিলা খাতুন (১০), নাছরিন নেছা (১২) ও মো: তৌহিদ আলি (১৪)।

উড়িষ্যার বাসিন্দা বৃদ্ধ জব্বার আলি সাংবাদিকদের জানান, আমরা ভারতের নাগরিক। আমাদের কাছে নাগরিক কার্ড ও আধার কার্ড ছিল, সব কেড়ে নেয়া হয়েছে। শুধু মুসলিম পরিচয়ের কারণে আমাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এ দেশে আমাদের কেউ নেই, আমরা কোথায় যাবো?

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান জানান, রাতেই ১৪ জনের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) মো: আনোয়ারুল কবির রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

দর্শনা বিজিবি সূত্র জানায়, উদ্ধার ১৪ জনকে শনিবার রাতেই কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা সবাই হিন্দি ভাষাভাষী এবং বাংলাদেশে তাদের কোনো আত্মীয়স্বজন বা পরিচিত কেউ নেই বলে জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও পুশইন ইস্যুতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।




আলমডাঙ্গায় শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ চরমে, শীতবস্ত্র বিতরণ

৯ ডিগ্রির হিমশীতে জমে গেছে আলমডাঙ্গা। জরুরি সরকারি সহায়তা না পেলে বাড়বে মানবিক বিপর্যয়। সেই সাথে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।

ঘন কুয়াশা আর কনকনে হাওয়ায় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে আলমডাঙ্গার জনজীবন। গ্তকাল রবিবার সারাদিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের। ভোর হলেই সাদা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পুরো জনপদ। রাস্তা-ঘাট, গাছপালা, খোলা মাঠ—সবই মিলিয়ে যায় হিমেল ধোঁয়াশায়। সারাদিন সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ঘর থেকে বের হলেই কাঁপছে শরীর, জমে যাচ্ছে নিঃশ্বাস। অনেকেই আবার মজার ছলে বলে উঠছে, বিনা পাসপোর্ট ভিসায় ইউরোপের আবহাওয়া অনুভব করতে হলে চলে আসতে হবে এই আলমডাঙ্গায়।

গতকাল রবিবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা নেমে আসে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি শীত মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন। ফলে শীত এখন শুধু অস্বস্তির নয়, অনেকের জন্য তা জীবনযুদ্ধের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া মানুষ। কৃষক, দিনমজুর, ভ্যানচালক ও শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে ঘর ছাড়ছেন। তবে কনকনে হাওয়ায় কাজের গতি থেমে যাচ্ছে, অনেকেই কাজ হারাচ্ছেন। খোলা আকাশের নিচে কাজ করা মানুষদের চোখেমুখে অসহায়ত্ব আর নিরব আর্তনাদ স্পষ্ট।

শীতের কাঁপুনিতে থরথর জনপদ—হিমেল বাতাসে স্থবির জীবন, আগুন ঘিরে উষ্ণতার খোঁজ, নীরব চোখে বাঁচার আবেদন।

শিশু, বৃদ্ধ, অসহায়—সকলেই আজ একই সারিতে। আগুন পোহাতে নবীন প্রবীন একই সারিতে। গ্রামাঞ্চলের চিত্র আরও ভয়াবহ। ভোরে মাঠে নামা কৃষকদের জন্য কাজ শুরু করাই হয়ে উঠছে প্রায় অসম্ভব। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ শীতজনিত রোগ বাড়ছে। দরিদ্র পরিবারগুলোতে চিকিৎসা ব্যয় মেটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এদিকে গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী গ্রামে শীতার্ত মানুষের পাশে আজিজুল হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র হিসেবে অর্ধহাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম, লিয়াকত আলী, সলোক মিয়া, ব্যবসায়ী সুদ্দুর রহমান, ইসলাম মালিথা, মানিক এবং সম্রাটসহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।




মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ রবিবার বিকেলে বারাদী ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে শতাধিক দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা কেরু চিনিকলে ট্রাক্টরের টায়ার বিস্ফোরণ, দুই শ্রমিক আহত

দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের গ্যারেজে ট্রাক্টরের টায়ার ফেটে দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে কেরু হাওয়া ঘরে টলি ট্রাক্টরের টায়ার খোলার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পরপরই আহত দুই শ্রমিককে কেরু চিনিকলের একটি পিকআপে করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু (এনআইটিওআর) হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

আহত শ্রমিকরা হলেন দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের রোঘুনাথপুর গ্রামের নাসীর উদ্দিন (৩৫) এবং শ্যামপুর গ্রামের সাকা বিশ্বাসের ছেলে শাহাবুদ্দিন ওরফে বশির উদ্দিন (৫০)।

কেরু গ্যারেজের ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে কেরুর একটি পিকআপে করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠান।

ঘটনার খবর পেয়ে কেরু চিনিকলের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান আহত দুই শ্রমিকের খোঁজখবর নেন এবং তাদের চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

কোম্পানির পক্ষ থেকে চিকিৎসা ব্যয় বহনের সিদ্ধান্তে শ্রমিক-কর্মচারীরা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।




হাদী হত্যার বিচারের দাবিতে মেহেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ

হাদী হত্যার দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মেহেরপুরে সচেতন ছাত্রসমাজের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আজ রবিবার বিকেল ৩টায় মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা হাদী হত্যার ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তারা বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে। এ ধরনের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা কামনা করেন বক্তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জুলাই যোদ্ধা খন্দকার মুইজ উদ্দিন, ইব্রাহিম হোসেন, শেখ শাপলা খাতুন, জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ খান ও আসিক রাব্বি, সদস্য (লিয়াজু/সংগঠন) মো. হাসনাত জামান সৈকত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মারুফ হাসানসহ ছাত্রজনতার প্রতিনিধিরা।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানের মাধ্যমে হাদী হত্যার বিচার এবং নিরাপদ সমাজ গঠনের দাবি জানান। শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি শেষে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ সমাপ্ত হয়।




ঝিনাইদহে অংকুর নাট্য একাডেমির মাসব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্বোধন

ঝিনাইদহে অংকুর নাট্য একাডেমির মাসব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় শীতার্ত মানুষের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অংকুর নাট্য একাডেমীর সভাপতি আহসান হাবিব রনক, দাতা সদস্য সিও’র নির্বাহী পরিচালক সামসুল আলম, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন , অংকুর নাট্য একাডেমির আজীবন সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অংকুর নাট্য একাডেমির নাট্য সম্পাদক মীর আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন অংকুর নাট্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রথম দিনে ৫০ জন শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র প্রদান করা হয়।




ঝিনাইদহে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিকে সেচ খালের গাছ চুরি করে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার কুলচারা গ্রামের জিকে সেচ খালে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া ডিএম কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিক্ষক আমিরুল ইসলাম শনিবার বিকেলে কুলচারা গ্রামের জিকে সেচ খালের ১ টি রেইনট্রি ও ২ টি ইপিল ইপিল গাছ স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। দুপুরের পর কাঠ ব্যবসায়ীরা শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটা শুরু করলে স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন সটকে পড়ে ওই কলেজ শিক্ষক ও শ্রমিকরা।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা কাজী মহসিন বলেন, এর আগেই এই কলেজ শিক্ষক আমিরুল ইসলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কেটেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিয়েছিলাম। এবারও তিনি একই কাজ করছে। আমরা আবারো তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করব।

অভিযোগের ব্যাপারে কলেজ শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, সমিতির মাধ্যমে গাছ লাগানো ছিলো। সেই গাছ কাটতে চেয়েছিলাম। পরে আর কাটা হয়নি। ওখানেই আছে গাছগুলো।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি হুমায়ন কবির মোল্লা বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অভিযোগ আসেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।