মেহেরপুরে চেক ডিজঅনার মামলায় ২ ব্যক্তির কারাদণ্ড ও জরিমানা

মেহেরপুরে চেক ডিজঅনার মামলায় দুই সহোদরকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কবির হোসেন হুজাইফা ডিক্লেয়ারের নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টে দায়ের করা একটি মামলার রায়ে এই আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার খোদাবকস্ মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান চঞ্চল ও মনিরুজ্জামান নামের দুই সহোদর। আসামিদের বিরুদ্ধে একই দিনে সোজা পরোয়ান ইস্যু করেছেন বিচারক।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি কামরুজ্জামান চঞ্চল ও মনিরুজ্জামানের সাথে বাদী হুজাইফা ডিক্লিয়ারের পারিবারিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকায় ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আসামিদ্বয় ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিষদের শর্তে বাদীর কাছ থেকে ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা ধার নেয়। অতঃপর ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল আসামিদের মালিকানাধীন ফ্রিয়াস ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড নামীয় সিটি ব্যাংকের একাউন্ট থেকে একটি পেয়েবল চেক প্রদান করে।

চেকটি নগদায়নের জন্য বাদী ঐ দিনেই বাদী সিটি ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখাতে জমা দিলে, চেকটি ডিজঅনার হয়। এরপর আবার ২০২১ সালের ২৪ মে জনতা ব্যাংক লিমিটেড মেহেরপুর শাখায় চেক নগদায়ন করতে গেলে ব্যাংক চেক ডিজঅনার সার্টিফিকেট প্রদান করে। অতঃপর ২০২১ সালের ২৫ মে বাদী আসামিদ্বয়কে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলেও তারা কোন সারা প্রদান না করাতে বাদী ২০২১ সালের ১৫ জুলাই আাদালতে ১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টের ১৩৮ ধারাতে আদালতে মামলা দায়ের করে।

মামলার রায়ে বাদী হুজাইফা ডিক্লেয়ার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মামলাটিতে বাদী পক্ষের উকিল ছিলেন অ্যাড. মোখলেসুর রহমান স্বপন ও অ্যাড. রফিকুল ইসলাম(১) এবং আসামী পক্ষের উকিল ছিলেন অ্যড. কামরুল হাসান।




করোনায় মোকাবেলায় সরকারের চেষ্টা ছিল সর্বাত্মক

করোনাকালের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। বেশিদিন আগের কথা নয়। ২০২০ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ মহামারী লেগেছিল। ইউরোপের দেশে দেশে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। ইউরোপ ছাড়িয়ে সেই মড়ক লেগে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক দেশে। ২০১৯ সালে চীনের উহান প্রদেশ থেকে যে করোনার সূত্রপাত সেটি উহান ছাড়িয়ে চীনের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় দাবানলের মত। তারপর সুপারসনিক গতিতে বিশ্বকে শাসন করতে শুরু করে। মাত্র কয়েক মাসে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

সেই মহামারী বাংলাদেশেও আঘাত হানে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। পরিস্তিতি জটিল আকার ধারণ করতে শুরু করে। পুরো বিশ্ব যেখানে কোভিড-১৯ নিয়ে চরম অস্থিরতার মধ্যে তখন বাংলাদেশের সামনে কোভিডের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না। কিন্তু বাঙালি যে দমবার পাত্র নয়।

বিশ্বজুড়ে কোভিডের টিকা আবিস্কারের প্রতিযোগিতা শুরু হলো। বিশেষ করে উন্নত বিশ্ব দ্রুত সেই টিকা আবিস্কারে মনোযোগ দিলো। বছর খানের মাথায় যখনই টিকা আবিস্কার একটা পর্যায়ে, তখন শুরু হলো কার আগে বা কোন দেশ কার আগে করোনার টিকা পাবে। যতো টাকার বিনিময়েই হোক।

কিন্তু টাকা থাকলেও তো টিকা পাওয়া কঠিন। এটা সবাই জানে। কারণ পৃথিবী ব্যাপী যে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে তা সামাল দিতে যে পরিমাণ টিকার উৎপাদন হওয়া দরকার ওই সময়ে সেটা হচ্ছিল না। এই অবস্থায় বিশ্বজুড়ে রীতিমত টিকার জন্য হাহাকার শুরু হলো।

বাংলাদেশ সেই দৌড়ে এগিয়ে গেলো, বলতে গেলে সবার আগে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পুরো কোভিড পরিস্থিতি নিজেই মনিটরিং করছিলেন। বাংলার একজন মানুষও যাতে বঞ্চিত না হয় সে জন্য তিনি সব ধরণের উদ্যোগ নেন। ইংল্যান্ড, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ টিকা উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হলো। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশ জয়ী হলো অবিশ্বাস্যভাবে। যে কয়টি উন্নয়নশীল দেশ প্রথম ধাপে টিকা পায় তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচাতে শেখ হাসিনার সরকার চড়া মূল্যে টিকা কিনে বিনামূল্যে সেটি মানুষের মধ্যে সরবরাহ করে। যদিও পরবর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টা আর কূট্নৈতিক দক্ষতায় বাংলাদেশ করোনা টিকা ক্রয়ের পাশাপাশি বিনামূল্যেও টিকা পায়।

তবে শুরুর দিকে বাংলাদেশে যখন কোভিড ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখন দেশের মানুষকে এই অতীমারির হাত থেকে বাঁচাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও লকডাউন ঘোষণা করা হয়। টানা ৬৫ দিন চলে লকডাউন। কিন্তু কোভিডকে তো আর লকডাউন দিয়ে আটকানো যায়নি। রাজধানীর গণ্ডি পেরিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ে ৬৪ জেলায়, গ্রামে গঞ্জে। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দেয় চিকিৎসা ব্যবস্থায়। চিকিৎসক, নার্সরা সেবা দিতেও ভয় পাচ্ছিলেন। তার উপর এই চিকিৎসার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতাও ছিলো না দেশের চিকিৎসকদের। এটি মোকাবেলা সরকারেরও কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো না। যার ফলে পরিস্তিতি সামাল দিতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হয় সরকারকে।

প্রতিদিনই শহরের প্রধান প্রদান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দে মানুষের ঘুম যেমন ভাঙ্গত। তেমনি গভীর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই সাইরেনের শব্দই কানে বাজতে থাকে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর ঠাঁই হচ্ছিল না। আইসিইউ আর ভেন্টিলেশন সংকটে রোগীদেরকে নিয়ে তাদের স্বজনরা এই হাসপাতাল, ওই হাসপাতাল করতে করতে এক সময় সেই প্রিয় মুখটি হারিয়ে গেছে চিরদিনের জন্য। এই যখন অবস্থা তখন মানুষ বাঁচাতে সরকারের তরফে নানামুখি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

প্রথম ধাপে সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। একই সঙ্গে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্টো লিভার হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে কোভিডের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড করে দেওয়া হয়।

দেশের সকল জেলা পর্যায়ে ১০০ বেড, উপজেলা পর্যায়ে ৪০ থেকে ৬০টি বেড, মেডিকেল কলেজগুলোতে ৩০০ বেড এবং রাজধানীর কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে ৫০০ থেকে ১০০০ বেড করোনা ভাইরাস আইসোলেটেড করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করা হয়। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। একাধিক হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা করা হয়। আইসিই ‘র সংখ্যা বাড়ানো হয়।

দেশে মহামারী নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনার সরকারের সব পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের প্রতি তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় কোভিড সরবরাহের মাধ্যমে। এভাবেই কোভিড-১৯ থেকে ধীরে ধীরে পরিত্রাণ পায় বাংলাদেশের মানুষ।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের বিশেষ উদ্যোগে তড়িৎ দুই হাজার চিকিৎসক এবং পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে দেশে কোভিড মোকাবেলায় চার হাজার চিকিৎসক, ১৪ হাজার, ২১ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রায় ৪০ হাজার জনবল কাজ করে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা চালু করা হয়।

ভ্যাকেসিনের দিক থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলো মধ্যে সেবার আগে যেমন কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে, তেমনি সারাদেশের সব বয়সী মানুষের মধ্যে চার ধাপে মোট সর্বমোট ৩৬ কোটি ৬৭ লাখ ২১ হাজার ২৪৬ ডোজ টিকা দেয়। এসব টিকার মধ্যে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে টিকার একটার বড় অংশ ক্রয় করে। বাকি টিকা বিনামূল্যে পেয়েছে। প্রথম ধাপে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে প্রথম ধাপের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়। এখন চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম চলমান।

বিশ্বব্যাপী যখন করোনায় লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে তখন বাংলাদেশে সেই হার খুবই কম। শেখ হাসিনার সরকারের সর্বাত্মক চেষ্টায় মহামারীর মৃত্যুর হাত থেকে মানুষকে বাঁচানো চেষ্টা করা হয়েছে এবং তাতে সফলতাও এসেছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসিত হয়েছেন।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




গাংনীর ধলাতে ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন

গাংনীর ধলা গ্রামে ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেছেন। আজ বুধবার বিকাল ৫ টার সময় এ খেলা শুরু হয়।

কাথুলী ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক ও ১ নং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মনিরুজ্জামান মনি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ।রাহিবুল ইসলাম পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, রেজাউর রহমান রেজা সভাপতি কাথুলী ইউনিয়ন কৃষক লীগ, সাহিদুজ্জামান শিপু সাবেক সহ সভাপতি মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ, শাহিন আলম সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ, পলাশ আহম্মেদ সহ সভাপতি গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগ সহ ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন,২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জিনারুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ফারুক হোসেন, কাবু মিয়া, খুশি, বাশারুল ইসলাম,মালেক,সহ খেলা পরিচালনা কমিটি।

সর্বশেষ এমপি  যুবকদের খেলাধুলায় মনযোগী হওয়ার আহব্বান জানান যাতে সমাজে মাদকের ভয়াল থাবায় ছেয়ে যেতে না পারে, বর্তমান তরুন সমাজ কে এগিয়ে নিতে খেলা ধুলার কোন বিকল্প নেই।খেলা ধুলা শরীর মন কে সতেজ ও সুস্থ রাখে, শরীর মন সুস্থ থাকলে সমাজ ও সুস্থ থাকবে কারন সমাজের মেরুদন্ড হচ্ছে যুবকরা। তাই খেলা ধুলা করেন নিজে ভালো থাকুন সমাজ কে ভালো রাখুন।




গাংনীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ২২ হাজার টাকা জরিমানা

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মুল্য বিহীন পন্য বিক্রয়ের অপরাধে দুটি দোকানে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পরিচালিত ভ্রাম্যমান অভিযান।

অভিযান পরিচালনা করেন মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

এসময় জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান এবং গাংনী র‌্যাব-১২ এর একটি টিম উপস্থিত ছিলো।

আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে গাংনী উপজেলা শহরের সবজি বাজার ও থানার মোড় এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মেহেরপুর জেলা কার্যালয় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে মেসার্স বন্ধু সবজি ভান্ডারে মুল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মুল্য বিহীন পন্য বিক্রয়ের অপরাধে গাংনী থানার মোড় এলাকার মেসার্স ভাই ভাই স্টোরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৫১ ধারায় প্রতিষ্ঠানটির মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া দোকান থেকে প্রচুর পরিমান মেয়াদ উত্তীর্ণ চকলেট, শিশুখাদ্য ও অন্যান্য পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য জনসম্মুখে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।

এসময় উপস্থিত ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে এবিষয়ে সতর্ক করা হয় ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এছাড়া গাংনী কাঁচামালের আড়তে অভিযান পরিচালিত হয় এবং আলু পেয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের মুল্যতালিকা ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয়। অভিযানে আলু, পেয়াজ, মুদিখানাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।




কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল তৈরির জন্য জাতিসংঘ স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত প্রশংসাপত্রে বলা হয়েছে, “জাতিসংঘ কর্তৃক ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’-এর সাম্প্রতিক স্বীকৃতির জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।” এতে আরও বলা হয়, “কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার একটি সফল মডেল: প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততা উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিধির জন্য একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।”

ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুলের মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন ডা. মুকেশ কে. জৈন এখানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর অবস্থানস্থল দি লোটে নিউইয়র্ক হোটেলে প্রশংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূরেএলাহি মিনা এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “ব্রাউনের ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীকে তার স্বীকৃতির জন্য বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময়, ড. জৈন জনস্বাস্থ্য ও গবেষণার ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি সম্ভাব্য প্লাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ-ব্রাউন বায়োমেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এর প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে চিকিৎসা ও ক্লিনিক্যাল গবেষণার উন্নয়নের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, “আমরা সবসময় গবেষণাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে। ”ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের পরীক্ষা করছে। ড. জৈন আরও বলেন, তারা ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারী রোগীদের রেকর্ড রাখার জন্য বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিককে ইলেকট্রনিক ডেটা ম্যানেজমেন্ট চালু করতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে। ব্রাউন ইউনিভার্সিটি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে একটি অংশীদারিত্ব গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।




গাংনীতে পাট বীজ চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

‘পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান’ এবং ‘ সোনালী আঁশে সোনার দেশ, পরিবেশ বান্ধব বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাংনীতে দিনব্যাপি পাট বীজ চাষী প্রশিক্ষণ-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এই পাট বীজ চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার বেলা ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে গাংনী উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে পাট চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী উপজেলা নিবার্হী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাট বীজ চাষী প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন।

এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্যে পাট অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কর্মকর্তা এ কে হারুন অর রশীদ পাট চাষ ও পাট চাষ সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন।

পরে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ট্রেইনার হিসেবে পাট চাষ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি পাটের জাত নিবার্চন, জমি প্রস্তুত করণ, জৈব সার ও রাসায়নিক সারের প্রয়োজনীয়তা ও পরিমান এবং কার্যকারিতা, পাটের রোগ নির্ণয় ও প্রতিকার, ক্ষতিকর পোকা চিহ্নিতকরণ, বালাইনাশক বা কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন।

প্রশিক্ষণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ৪০ জন চাষী অংশগ্রহন করেন।




ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারী এই দপ্তরটি নিজের এনজিওতে পরিণত করেছেন। সৃজনী এনজিওর প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন ও হিসাব রক্ষক অর্জুন কুমারকে জেলা পরিষদের অফিসে আলাদা রুমে বসিয়ে ভুয়া ও কল্পিত প্রকল্প বানিয়ে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করছেন।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা পরিষদের ৭ জন নির্বাচিত সদস্য যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে ধরেন এবং তার প্রতি অনাস্থা প্রদর্শণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোরাদিম মোস্তাকিম মনির।

এ সময় পরিষেদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সদস্য আলাউদ্দীন, কালীগঞ্জের জসিম উদ্দীন সেলিম, মহেশপুরের লিটন মিয়া, কোটচাঁদপুরের রাজিবুল কবীর, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আনোয়ারা খাতুন ও অনিতা বিশ^াস উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন গ্রহণ ছাড়াই একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে টাকা লোপাট করছেন হারুন অর রশিদ। শহরের হামদহ মনুমেন্টের পাশে একক সিদ্ধান্তে অবৈধভাবে রাস্তার পাশে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে মার্কেট নির্মাণ করে অবৈধ ভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। ধোপাঘাটা ব্রীজের পূর্বপাশে মার্কেট নির্মাণ ও মাটি ভরাটের কথা বলে জেলা পরিষদের ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এডিপি এবং রাজস্ব থেকে দুস্থ্য মহিলাদের সেলাই মেশিন দেয়ার কথা বলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ও গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের বাইসাইকেল কেনার নামে প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জেলা পরিষদের নামাজ ঘর, অফিস, ডাকবাংলো, ছাদ বাগান ও অফিস পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা দেখিয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চেয়ারম্যান তার নিজ প্রতিষ্ঠান সৃজনি প্রিন্টার্স ও তাজ ফিলিং স্টেশন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মালামাল ক্রয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদ অফিস চত্বরে ০৮/১০ লাখ টাকার কাঠ নাম মাত্র মূল্য দেখিয়ে রাতের আঁধারে পাঁচার করেছে। গত জানুয়ারী মাসে দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ৬ হাজার পিচ কম্বল কেনা দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন। এ ভাবে তিনি বিভিন্ন খাত থেকে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে বিগত পরিষদের সময়কার টেন্ডারকৃত গাছের ঠিকাদারদের জিম্মি করে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন হারুন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে খাল ও পুকুর একক সিদ্ধান্তে ইজারা দিয়ে সরকারী আইন ভঙ্গ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কোন সদস্য’র মতামত নেন না। বরং সদস্যদের সাদা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে নিজের ইচ্ছা মত রেজুলেশন তৈরী করে রাজ্স্ব তহবিল থেকে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ এবং একই প্রকল্প বার বার দেখিযে টাকা উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। এদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের এই দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিচার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলার চার জন সংসদ সদস্য যৌথ সাক্ষরে গত ৯ মে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করেন। মন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে সচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

সংসদ সদস্যরা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ নিজের খেয়াল খুশি মতো প্রকল্প গ্রহন করেন, উপদেষ্টা হিসেবে এমপিদের মতামত গ্রহন করেন না। আগের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দেয়া নিয়োগকৃত কর্মচারীদের চাকরীচ্যুত করছেন, যা অমানবিক। ঝিনাইদহ যশোর সড়কের কড়াই ও মেহগনি গাছ নামে বেনামে টেন্ডার করে নিজের নামে নিচ্ছেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই অনিয়ম, দুর্নীতি এবং চরম স্বেচ্ছাচারিতা অবসান এবং এই দুর্নীতিবাজ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অপসারণ করে জনবান্ধব জেলা পরিষদ গঠনের দাবি জানান সদস্যরা।




স্বর্বনাশা ডেঙ্গু ভেঙ্গে দিল দিন মজুর পিতা মাতার স্বপ্ন

ডেঙ্গুর কাছে পরাজিত এক অদম্য মেধাবী যমুনা খাতুন অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলো না ফেরার দেশে। আর সেই সাথে ভেঙ্গে চুরমার করে দিল দিন মজুর দরিদ্র পিতা মাতার সব স্বপ্ন।

গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের দিন মজুর আমিরুল ইসলামের মেয়ে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বি, এস, সি নার্সিং এঁর ছাত্রী যমুনা খাতুন সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েও ওঠেন। ডেঙ্গু পরবর্তি সময়ে তার শরীরে দেখা দেয় নানা উপসর্গ। এক পর্যায়ে আবারও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর এক পর্যায়ে সব চিকিৎসা উপক্ষো করে গতকাল মঙ্গলবার সকালে চলে যান না ফেরার দেশে।

যমুনা খাতুনের মা সুখি খাতুন বলেন, দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে আমার সংসার চলে। চরম অভাব বলতে যেটা বোঝায় আমার সংসারে আছে। অভাবের মধ্যে দিয়েই চলে দিনাতিপাত। এত কিছুর মধ্য দিয়েই মেয়ে যমুনার অদম্য ইচ্ছায় এস এস সি, এবং এইচ এস সি তে কৃতিক্তের সাথে জি, পি, এ ফাইভ পেযে উত্তীর্ন হয়। ২০২২ সালে মেধা তালিকায় ১৩তম স্থান পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বি, এস, সি নার্সিং এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। তখন থেকেই যমুনাকে নিয়ে আমাদের স্বপ্ন বেড়ে যায়।

প্রতিবেশী এনামুল হক এনাম বলেন, আমার প্রতিবেশী হওয়ায় তাদের পরিবারের আর্থিক দৈন্যতার কথা আমার সাথে সবিই শেয়ার করতেন তার বাবা মা। আমিও তাদের সাহষ যোগাতাম। যমুনা খাতুন তার বাবা মাকে বলতেন তোমরা আর কয়েকটি বছর ধৈর্য ধরো। আমি নার্সিং বিএসসিতেও ভাল রেজাল্ট করবো। তোমাদের দু:খ কষ্ট সব শেষ হয়ে যাবে। পিতা মাতাও আশায় বুক বেধে ছিল। কিন্তু স্বর্বনাশা ডেঙ্গু তাদের সব আশা ভেঙ্গে চুরমার করে দিল।

ঢাকা থেকে আসা যমুনা খাতুনের বান্ধবী সাহারা খাতুন বলেন, যমুনা আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিল। তাকে সবাই খুব ভাল বাসতো। তার এই অকালে চলে যাওয়া আমাদের ক্লাসের সবাই শোকার্ত হয়ে পড়েছে।

এদিকে যমুনার লাশ এলাকায় এসে পৌছালে প্রতিবেশীদের মাঝে নেমে আসে শোকের ছাঁয়া। গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত ১১ টার দিকে হিজলবাড়িয়া গ্রামের কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।




৪০ জনকে নিয়োগ দেবে মীনা বাজার

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মীনা বাজার। প্রতিষ্ঠানটিতে সেলসম্যান/ ক্যাশিয়ার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

সেলসম্যান/ ক্যাশিয়ার (ময়মনসিংহ)।

পদসংখ্যা

এই পদে সর্বমোট ৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে এসএসসি পাস হতে হবে। বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছর। পুরুষ এবং নারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ক্যাশিয়ার পদে আগ্রহী প্রার্থীদের ক্যাশ কাউন্টার পরিচালনা জ্ঞান থাকতে হবে।শিফ্ট/রোস্টার অনুযায়ী ডিউটি করতে হবে।

কর্মস্থল

ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ (ময়মনসিংহ সদর)

বেতন

৮,০০০ – ১০,০০০/- (মাসিক )

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




গাংনীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গাংনীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১২টায় গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুনতাজ আলী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক অতিরিক্ত সচিব আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ড.আশরাফুল ইসলাম।

মুক্তিযোদ্ধারা বলেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ উন্নত কারণে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নৌকার পক্ষ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের সঞ্চালনায় এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, আব্দুল জলিল ও ইদ্রিস আলী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ উপস্থিত।