মেহেরপুরে বৃত্তিতে এগিয়ে সন্ধানী ও জিনিয়াস

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় জিপিএ ফলাফলের ভিত্তিতে উত্তীর্ণদের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখার নিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তির তালিকা প্রকাশ করেছ। মেহেরপুর জেলায় মোট ১১৪ জন ছাত্র ছাত্রী বৃত্তির আওতায় এসেছে। এদের মধ্যে মেধাবৃত্তি পেয়েছেন পাঁচজন, উপজেলা কোটাতে পেয়েছেন ছয় জন এবং সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছেন মোট ৯৩ জন ছাত্রছাত্রী।

গত ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ভিত্তিতে মোট ১৭৮১ জনের মেধা ও সাধারণ বৃত্তি প্রদানের তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৩৮৭ জন মেধা বৃত্তি ও ১৩৯৪ জন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন।

মেহেরপুর জেলাতে মেধাতালিকায় জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ এবং সংখ্যা বিবেচনায় গাংনীর সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ জেলার সেরা হয়েছে।

জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের ৩ শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি, উপজেলা কোটায় ১ শিক্ষার্থী ও সাধারণ কোটায় ৭ শিক্ষার্থী নিয়ে মোট ১১ জন এ তালিকায় রয়েছেন।

অপরদিকে গাংনীর সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের ১ জন শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি, উপজেলা কোটায় ২ জন ও সাধারণ কোটায় ১৮ জন শিক্ষার্থী বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছে।

২০২৩ সালের এসএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত তালিকায় মেহেরপুর জেলার সকল শিক্ষার্থীর নাম নিম্নরুপ।

মেধাতালিকায় বৃত্তি পেয়েছেন জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের মুশফিকুর রহমান, মীর রাফসান বাসার, নুসরাত জাহান, সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের তালহা জুবায়ের অমি এবং মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ফাতেমা তাহসিন শরীফ।

উপজেলা কোটাতে জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের আহনাফ শাহরিয়ার জারিফ,সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আবরার জারিফ,সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের এ এইচ এম এহতেশাম মাহমুদ ও মোঃ সায়েম আল হাসান, জয়পুর তারানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মো: রহমত উল্লাহ এবং বাগোয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সুলতান আহামেদ।

সাধারণ কোটাতে জেলাব্যপী ৯৩ জন বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় রয়েছেন, মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আবরার রাফিদ,হামিম আল ওয়াহিদ অয়ন, সুপ্রিয় রায়, মুনতাসির আল সাবিক, মো: মশিউর রহমান, ওয়াকিফ মাহমুদ, মোঃ তানজিম রহমান অর্পণ, মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ মুহতাসিম ফুয়াদ, আরাফাত আমান রায়ান, মোঃ শফি সিদ্দিকী ও মাহাফুজ।

জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের মোঃ জাকির হোসেন, শেখ শামসুল আরেফিন, ইশরাত জাহান, সাদিয়া রহমান, রাফিয়া তাসনিয়া, রশিদা আনজুম স্নেহা ও সালমা খাতুন।

মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতি, আনিসা শর্মিলা, মোছাঃ আয়েশা আক্তার, লীলা খাতুন, আয়েশা খান, মিস বর্ষা আক্তার বিজলী ও তাপসী সাহা।

জাদুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের মোছাঃ নিষাত জামান ও মোছাঃ সিমলা খাতুন। মোমিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মোছাঃ নওশীন জাহান। সুবিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ আজাদ আলী। আর আর উচ্চ বিদ্যালয় সৈয়দ জুবায়ের হাসান সাবিত ও মোঃ সোহান আহমেদ।

শ্যামপুর শালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সানজিদা আক্তার এবং হাতিভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস।

গাংনী উপজেলা তালিকায় রয়েছে, সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের মোঃ সিয়াম ইসলাম সাম্য, হাসিন রায়হান, মোঃ নাফিস ফুয়াদ, মোঃ আরাফাত হোসাইন, মোঃ মাশরাফি আল শামস উৎস,আহনাফ ইসলাম বর্ণিল, আফিফ আহমেদ, মোঃ তারেক রহমান, তাসনিয়া তাহসিন, আফরিন আঞ্জুম মিফতা,মোছাঃ নাজবিন জাহান নেহা, উম্মে মুশফিকা সুধা, মুমতারিন ইসলাম তমা, মুমতাহিন ইসলাম প্রিয়া, অনিকা তাবাসসুম, শাহরিয়ার আহমেদ, মোঃ বাইজিদ বোস্তামী ও ইয়াসমিন আরাবী।

কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের জান্নাতুন নাহার চাঁদনী।বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের হোসাইন আদ্রিতা ইমরোজ, সাদিয়া তুত তাইয়েবা, মোছাঃ সাদিয়া আফরোজ ও লাবিব মাহমুদ।ভাটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজয় কুমার শর্মা ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।গাংনী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের মোঃ জুবায়ের আহমেদ,মোছাঃ শামিহা নূর তানজিম, মোঃ সামিউল হোসেন, সেলিম রেজা, ফইরুজ ফারিহা ও মোছাঃ কানিজ ফাতিমা হুরাইয়া।জোড়পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের রেয়ান আহমেদ, মোঃ রাশিদুল ইসলাম ও মোঃ ফাহাদ আলী।হোগলবাড়িয়া মোহাম্মদপুর হাজী ভরষউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের শাহজাদা আলম ও মো: সোহান আলী।বামুন্দি নিশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ফাতেমা আজমী।এম এইচ এ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মোছাঃ সীমা খাতুন, মোছাঃ সোহানা খাতুন ও মোছাঃ রত্না খাতুন।কুমারীডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোছাঃ তিশা খাতুন। জে টি এস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোছাঃ ফাতেমা আক্তার হাসি। কে এন এস এইচ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সানজিদা সিদ্দিকা ফাতিমা।বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোছাঃ বুশরা খাতুন ও মোঃ নূর হোসাইন। এন পি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের মোছাঃ মাহী। লুৎফুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয় মোঃ রাজা মিয়া এবং মোহাম্মদপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ সাইফ হাসান ফাহিম।

মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর তারানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মোছাঃ ইসরাত জাহান, আফসানা মিমি শান্তা, মোছাঃ সাবিকুন্নাহার তিশা, মোঃ আব্দুল মালেক। বল্লভপুর মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রিয়ন কারিগর, সানিয়া মন্ডল, মনিষা মন্ডল ও তামিম ইকবাল। দারিয়াপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মোছাঃ সুরাইয়া খাতুন। দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোঃ শাহরিয়ার নাফিস। আনন্দবাস মিয়া মনসুর একাডেমির মো: আবু সাইদ এবং মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাহফুজ আলাম সিনহা।




চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্দেশ্যে প্রেজ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় আগামী দশ দিনের ভিতরে জেলা ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত করতে হবে।

এ সময় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে ও সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের আগামী ১০ দিনের ভিতরে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।




চুয়াডাঙ্গায় নৌকার পক্ষে যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গায় নৌকার পক্ষে যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের আয়োজনে উঠান বৈঠক ও নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজা পারভীন।

এ সময় তিনি গণসংযোগের সময় সরকারের উন্নয়ন কাজের চিত্র তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করেন এবং তিনি বলেন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে নাকি জঙ্গিবাদ তালেবানদের হাতে যাবে সেটি নির্ধারণ হবে এ নির্বাচনে। এ সময় তিনি আরও বলেন, যদি মাটি ও পতাকাকে ভালোবাসেন তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ , মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন,শাওন, সিফাত,জিরান,সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভীতি ব্রিকস সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী চীনা বলয়

গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতির প্রিয় কৌশল হলো ‘নিষেধাজ্ঞা দেওয়া’। যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৯ হাজার ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং কিছু খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ওই বছরই বাইডেন প্রশাসন বিশ্বব্যাপী আরও ৭৬৫টি নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়। বিভিন্ন সময়ে কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যে দেশগুলো পড়েছে, বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক ইনডেক্সে দেখা যায়, বৈশ্বিক উৎপাদনে তাদের অবদান প্রায় এক–পঞ্চমাংশ। এই উৎপাদনের ৮০ ভাগের দাবিদার আবার চীন।

সাধারণত দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশগুলো নিজেদের বড়ো ধরনের ক্ষতি ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করে। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মস্কোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা এই সূত্র মানছে না। দীর্ঘ সময় ধরে রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত সস্তা জ্বালানি দিয়ে ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিকল্প হিসেবে এখন তারা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু করেছে, যার মূল্য পাইপলাইন গ্যাসের তুলনায় অনেক বেশি।

ফলে ইউরোপের আর্থিক বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে এবং নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ হুমকির মুখে পড়েছে। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের প্ররোচনায় নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো নতুন করে ভাববে। যুক্তরাষ্ট্র যে সকল দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করছে, ধীরে ধীরে সে সব দেশ চীন বলয়ে আসতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত দেশগুলোকে চীন বাণিজ্যিক সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা দিয়ে নিজেদের কাছে টেনে নিচ্ছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রীক বলয়ের প্রভাব যেমন কমছে, পাশাপাশি চিনা বলয় শক্তিশালী হচ্ছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র কেন বারবার এই ভিসানীতির ভয় দেখায়। এর মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে বিভিন্ন দেশ আলাদা বলয় শক্তিশালী করছে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ৪০টি দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশগুলোও রয়েছে।

এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, ‘২০১৫ সালে ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) গঠন করা হয়, যার উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানের বাইরে গিয়ে উন্নয়ন অর্থায়নের উপর বিকল্পভাবে নিয়ন্ত্রণ আনা। জোটটি ‘ব্রিকস পে’ তৈরিতে কাজ করছে, যার মাধ্যমে নিজস্ব মুদ্রা ডলারে রূপান্তর না করেই ব্রিকসের মধ্যে অর্থ লেনদেন করা যাবে। লেনদেনে ব্রিকস ডলারের বিকল্প হিসেবে নিজস্ব মুদ্রাব্যবস্থা চালু করলে একদিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ধস নামিয়ে দেবে।’

সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ জানান, ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নামে পরিচিত। এ অঞ্চলটি বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৬০ ভাগের অংশীদার। বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে দুই তৃতীয়াংশ অবদান এই অঞ্চলের। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে; রয়েছে জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও বাংলাদেশের মতো ডজনখানেক দেশ। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর পাশাপাশি রয়েছে অনেক উঠতি অর্থনৈতিক পরাশক্তির দেশ। একের পর এক নিষাধাজ্ঞার কবলে পরে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের অনেক দেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে; ফলে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে দিন দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমে যাচ্ছে।




চুয়াডাঙ্গায় স্কুল বালিকাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ কর্মশালা

চুয়াডাঙ্গায় স্কুল বালিকাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১ টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডের ভিতরে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা সভাটি সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা নারী কল্যাণ সমিতি(পুনাক) কোষাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন। এসএসমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)।

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এস.এম.সি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের হেড অব হায়জিন প্রডাক্টের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। কর্মশালা সভাটি সঞ্চয়লনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার ( দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা। কর্মশালা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, এস.এম.সি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কুষ্টিয়া শাখার সেলস ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন।

কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন জেলার চারটি বিদ্যালয়ের মধ্যে মোট ১৮০ জন বালিকা শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা এম.এ.বারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ জন বালিকা শিক্ষার্থী, রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমি থেকে ৪০ জন, ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যাপিঠ থেকে ৪০ জনা, আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৪০ জন বালিকা শিক্ষার্থীরা।

কর্মশালায় সভায় মেয়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয় মেয়েদের উদ্দেশ্য কথা বলেন দৈনিক আকাশ খবরের সম্পাদক ও দীপ্ত টিভির চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি জান্নাতুল আওলিয়া নিশি। এরপর কর্মশালায় অংশগ্রহণকারিদের সাথে উন্মুক্ত ভাবে লাইফস্টাইল নিয়ে আলোচনা করা হয়। এরপর জয়া স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সুরক্ষার বিষয়ে তাদের একটা ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়।

মেয়েদের মাসিক পিরিয়ড হলে কি কি লক্ষণ দেখা দিবে এবং এর থেকে সচেতনতা উপায় ও জয়া স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের নিয়ম নীতি নিয়ে কথা বলেন কর্মশালার বিশেষ বক্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হুমায়রা আক্তার।

এসময় কর্মশালায় প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি(পুনাক) এর সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, নারীদের বয়সের সাথে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। সামাজিক মানসিক ভাবে নারীদের সুস্থ থাকতে হবে। প্রতিদিন বেড়ে ওঠা কে মেয়েদের অনেক কিছু শেখায়। স্বাস্থ্য সচেতনতা আরো বেড়ে উঠুক নারীরা এটাই আমরা আশা করি সবসময়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০ টি বিশেষ শাখার মধ্যে নারীদের বিশেষ ভুমিকা ক্ষমতায়ন রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারের বিশেষ নজরদারি করে আসছে। নারীদের সব রকম অধিকার অংশিদার করছে। আজকের নারীরা আগামি স্মার্ট বাংলাদেশে বির্নিমাণে কাজ করে আসছে। আগামিতেও করবে বলে মনে করি। আজকের এই কর্মশালার মধ্যে নারীরা আরো নতুন ভাবে জাগ্রত হবে।

এরপর কর্মশালা অংশগ্রহণকারি বালিকা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য সচেতনতা ও উদ্দীপনামুলক কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

কর্মশালার শেষ পর্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে কর্মশালা সভার অংশগ্রহণকারি সকল বালিকা শিক্ষার্থীরা মাদক ও বাল্যবিবাহকে লাল কার্ড দেখানো হয়।




আলমডাঙ্গার মোল্লা গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী সহিদুল হক মোল্লাকে সংবর্ধনা

দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই নির্বাচনে পরিচালক পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী আলমডাঙ্গার বন্ডবিল গ্রামের কৃতি সন্তান দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোল্লা গ্রুপের চেয়ারম্যান সহিদুল হক মোল্লা শিপলেনকে বন্ডবিল গ্রামের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে বন্ডবিল গ্রামে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এর পূর্বে সহিদুল হক মোল্লাকে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে সংবর্ধনা সভায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় শিক্ত করেন গ্রামবাসী।

সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বত্তব্যে শহিদুল হক মোল্লা বলেন, এফবিসিসিআই সংগঠনটি বাংলাদেশের সবচেয়ে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন।এ সংগঠনের একজন পরিচালক হিসেবে বিজয় অত্যন্ত কঠিন একটা কাজ। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী সংগঠনের ভোটের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করতে হয়। এফবিসিসিআই এর ভোট ইন্টার ন্যাশনাল ভোট, সংসদে যেমন ৩০০ আসনে ভোট হয়, এফবিসিসি আই এর সভাপতিসহ ৮০ জন। ৩৩ জন এসোসিয়েশন,২৩ জন চেম্বার আর ডিরেক্ট কিছু আসে। যাহোক আপনাদের সকলের দোয়ায় আমি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছি। এই বিজয়, আলমডাঙ্গার মানুষের বিজয়,এটা বন্ডবিল গ্রামের মানুষের গর্বের বিষয়।

তিনি বলেন,মন্ত্রী এমপিদের মততো আমাদের সুযোগ নেই,তবে আমরা দেশের জন্য কাজ করবো। দেশের বাইরে থেকে আমরা বিনিয়োগ নিয়ে আসবো। ইতপূর্বে আমরা দেশের জন্য সাড়ে ৯:হাজার কোটি টাকার হালাল খাদ্য নিয়ে এসেছিলাম।

তিনি আরও বলেন,আমরা মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলায় কয়েকটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি,আমাদের বন্ডবিল গ্রামে যদি কারো ঘর না থাকে আমার মেজো ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা করে দিবো। এছাড়াও গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় আমাদের হাত প্রসারিত থাকবে।

সালাউদ্দিন পিনটুল মোল্লার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিপলেন মোল্লার মেজো ভাই লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ছোট ভাই আমিনুল হক অপু মোল্লা, ভাতিজা টিংকু মোল্লা, স্বজল মোল্লা, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম। সাবেক কাউন্সিলর মামুন আর রশিদ হাসানের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল শিক্ষক বাবু, শফি উদ্দিন মোল্লা, পারভেজ হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক শাফায়েতুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আলী, মসজিদের খতিব হাজি হানেফ আলী।

এদিকে, আলমডাঙ্গায় ৮৯ ব্যাচ বন্ধু সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র পরিচালক পদে বিজয়ী আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান সহিদুল হক মোল্লাকে সংবর্ধনা প্রদান করেন।




উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনার বিকল্প নাই- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন আগামী নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। নৌকায় মানুষ ভোট দিয়েছিলো বলে একসময় দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আবার নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে এখন দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের এক রোল মডেল। এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনেও আপনাদেরকে নৌকায় ভোট দিতে হবে।

সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মেহেরপুরের আমদহ ইউনিয়নে আয়োজিত গণসংযোগ ও পথসভায়ায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন একথা বলেন। এসময় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদাহ ইউনিয়নের ইসলামপুর, সাহেবপুর, ভবনন্দপুর ও টেংরামরি গ্রামে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন তিনি।

এর আগে প্রতিমন্ত্রীর ফরাদ হোসেন এমপির আমদহ ইউনিয়নে আগমন উপলক্ষে এর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রওশন আলী টোকনের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এক বিশাল মোটরসাইকেল র‍্যালির মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীকে বরণ করে নেন। এবং স্থানীয় জনগণ তাকে শুভেচ্ছাসহ বরন করে নেন।




যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে লড়েছে মার্কিন গণমাধ্যম

সাবেক স্টেট সেক্রেটারি ও ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার নির্বাচনে মার্কিন গণমাধ্যম বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করেছিল। অনেকেরই ধারনা ছিল ট্রাম্প জয়লাভ করবেন না, জনপ্রিয়তার দিক থেকে হিলারি ছিলেন এগিয়ে। বলা হয়, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া বিতর্কিত ভুমিকা পালন করেছে। অতীতে কখনই মিডিয়ার এমন অবস্থান কেউ দেখেননি। কারণ অনেক মার্কিন পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল প্রকাশ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান নেয়। আর হিলারিকে একজন ত্রুটিপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে, যা মার্কিন গণমাধ্যমের সুষ্ঠু নির্বাচনকেন্দ্রিক নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিন্ধ করে।

শুধু তাই নয়, একদিকে ট্রাম্পের প্রশংসা এবং অন্যদিকে হিলারি ক্লিনটনের ত্রুটি ধরে তুলতে ব্যস্ত ছিল মার্কিন গণমাধ্যম। এই অবস্থানই মার্কিন জনগণের কাছে বিতর্ক তৈরি করে নির্বাচন নিয়ে। মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর অনেকেই সেদেশের গণমাধ্যমকে ট্রাম্পের উত্থানের জন্য দায়ী করেছিলেন।

বলা হয়ে থাকে ‘ঐতিহ্যগত’ ভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে গণমাধ্যম প্রভাব বিস্তার করে। ১৯৬০ সালের নির্বাচন থেকে এই প্রথা প্রচলিত। কারণ প্রার্থীর খবর যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ গণমাধ্যম থেকেই বেশি পেয়ে থাকে। একজন প্রার্থীর বিষয়ে কীভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, কতটুকু করা হচ্ছে এবং কী উপায়ে করা হচ্ছে তার প্রতি নাগরিকদের আলাদা দৃষ্টি থাকে। আর সেই দৃষ্টি থেকেই মার্কিন গণমাধ্যমের এই বিতর্কিত অবস্থান সবার নজরে আসে।

অন্যদিকে হিলারির পক্ষে যে গণমাধ্যমের অবস্থান ছিল না এমনটিও নয়। যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের ১৩৪ বছর বয়সী পুরনো পত্রিকা ‘দ্য অ্যারিজোনা রিপাবলিক’ দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙ্গে অবস্থান নিয়েছিল হিলারির পক্ষে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রিপাবলিকানদের পক্ষে কাজ করা এই পত্রিকা একদিন ছাপিয়ে ফেলল – ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন’ । আর তাতেই বোঝা গেল পত্রিকাটি কাজ করছে হিলারির পক্ষ নিয়ে। এরপর আরেক নজির স্থাপন করে ইউএসএ টুডে। মার্কিন নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করা পত্রিকাটি লিখে – ট্রাম্প যোগ্য নন।

রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্প অনেক সম্পদের মালিক। সেই অনুযায়ী তিনি মার্কিন বিলিয়নিয়ারদের পক্ষে কথা বলে আসছেন। তার কাছে প্রায়োরিটি ছিল ব্যবসায়ীরা। তাই ওয়ালস্ট্রিটকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা তার পক্ষে অবস্থান নেন এবং তার প্রভাব দেখা যায় গণমাধ্যমে। তাই মার্কিন বিশ্লেষকরা কেউ কেউ মনে করেন, রাজনীতি থেকে দূরে থাকা ট্রাম্পের উত্থানের পেছনে মিডিয়ার ভুমিকা অপরিসীম। নারী বিদ্বেষী, অভিবাসী এবং মুসলিম সমাজ নিয়ে নানা কট্টর মন্তব্যের মধ্যেও তাকে বড় করে দেখানো হয়েছে। এছাড়া মার্কিন গণমাধ্যম হিলারির ইমেইল কেলেংকারি নিয়ে যতটা সরব ছিল অতটা সরব ট্রাম্পের কর ফাঁকির ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। অবস্থা দেখে একজন বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, ‘মার্কিন টেলিভিশনগুলো যেন ট্রাম্পের হাতে তাদের মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিল’।

এছাড়া নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা প্রতিবেদন, সম্পাদকীয়, বিশ্লেষকদের মতামত দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা নেই। আবার এই কারণে ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন- তার পেছনে লেগেছে গণমাধ্যম! কারণ তিনি প্রকাশ্যেই তার ক্যাম্পেইনের সময় গণমাধ্যমের দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তার পক্ষে অনেক গণমাধ্যম থাকলেও রাজনৈতিক স্টান্টের কারণে বলেছিলেন, গণমাধ্যমকে নরকে যাওয়ার কথা।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছরে যখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করছে, তখন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা প্রায় বিপরীত দুটি সংবাদ মাধ্যমে আস্থা রাখছে।

তাদের গবেষণায় দেখানো হয়, মিডিয়া উৎসগুলোর ব্যবহার এবং বিশ্বাসে পক্ষপাতমূলক মেরুকরণ গত পাঁচ বছরে বিস্তৃত হয়েছে। রিপাবলিকানদের একটি বড় অংশ ৩০টি উৎসের মধ্যে ২০টির আস্থা প্রকাশের চেয়ে অবিশ্বাস প্রকাশ করে। মাত্র সাতটি আউটলেট রিপাবলিকানদের মধ্যে অবিশ্বাসের চেয়ে বেশি আস্থা তৈরি করে, এর মধ্যে আছে ফক্স নিউজ এবং হোস্ট শন হ্যানিটি এবং রাশ লিম্বোগের টক রেডিও প্রোগ্রাম।

ডেমোক্র্যাটদের জন্য, সংখ্যাটি প্রায় বিপরীত। ৩০টি উৎসের মধ্যে ২২টিতে অবিশ্বাস প্রকাশের চেয়ে ডেমোক্র্যাটদের বড় অংশ আস্থা প্রকাশ করে। ফক্স নিউজ, শন হ্যানিটি এবং রাশ লিমবাগসহ মাত্র আটটি অবিশ্বাস সৃষ্টি করে।

২০২০ সালে বাইডেন জয়লাভের পর প্রিন্স অব লিচেনস্টাইন মাইকেল এক নিবন্ধে বলেছেন, নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গণমাধ্যম, যারা পেশাদার রিপোর্টিং এবং সম্পাদনার চেয়ে তাদের মতামত এবং স্ব-সংজ্ঞায়িত ‘নৈতিকতা’ প্রচার করতে বেশি আগ্রহী ছিল। নির্বাচনের পরেও সাংবাদিকতার মানদণ্ডের এই বিশ্বাসঘাতকতা বন্ধ হবে না এবং এটি আরও প্রতিফলিত হবে।

তার মতে, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া স্পষ্টতই পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। সোশ্যাল মিডিয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পোস্টের দৃশ্যমানতা সীমিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি, সিবিএস, সিএনবিসি এবং এমএসএনবিসি ট্রাম্পের ভাষণে বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, যিনি প্রায় অর্ধেক ভোট পেয়েছিলেন, তাকেও বাঁধা দেওয়া হয়েছিল এবং সম্প্রচারটি তার বক্তব্যকে মিথ্যা বলে ঘোষণা দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। সিএনবিসির মডারেটর বলেন, ‘আমরা এতে বাধা দিচ্ছি, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যা বলছেন তা অনেকটাই অসত্য’।

তিনি মনে করেন, এটি করার মাধ্যমে, মিডিয়া আমেরিকান জনগণকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানের দেওয়া ভাষণ থেকে বঞ্চিত করেছিল। কেউ ট্রাম্পের সাথে একমত হোক বা না হোক, মার্কিন নাগরিকদের তাদের রাষ্ট্রপতি কী বলেছেন তা শোনার অধিকার রয়েছে। মিডিয়ার বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালে শেক্সপিয়ারের হ্যামলেটের কথা মনে পড়ে- ‘ডেনমার্ক রাজ্যে কিছু পচে গেছে’।




দামুড়হুদায় বিভাগীয় রোড মার্চ সফল করতে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে খুলনায় বিভাগীয় রোড মার্চ সফল করতে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি’র অংশ হিসাবে অবৈধ ,ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ ও তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী প্রতিষ্ঠার লক্ষে খুলনা বিভাগীয় রোড মার্চকে সফল করতে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সর্বসাধারণের মধ্যে মাঝে লিফলেট বিতরণের করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক মো: রফিকুল হাসান তনু’র নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও জেলা বিএনপির সদস্য ছালমা জাহান পারুল,উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাসেম।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম,বিএনপির অন্যতম নেতা জহিরুল ইসলাম রিপন,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ,উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক আফজালুল রহমান সবুজ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




দর্শনায় বেগমপুরে ৫০লিটার মদসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা ও হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের যৌথ অভিযানে ৫০ লিটার চোলাই মদ, পাখি ভ্যানসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নিরব হোসেনের নেতৃত্বে হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই(নিঃ) শেখ রকিবুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা থানার বেগমপুর ডিহি ফার্মের পাশে রাস্তার উপর হতে বলদিয়া গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার নিমাই মন্ডলের ছেলে মোঃ দায়েম (৬০)কে ৫০ লিটার চোলাই মদ ও মাদক বহনকারী একটি পাখি ভ্যানসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।

বলদিয়া গ্রামবাসি জানায়, পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে ডিহি ফার্মের পিছনের বাগানে একটি চক্র নিয়মিত জুয়া ও মদের আড্ডা বসে।আর সেখানেই এই মদ বেচাকেনা হয় বলে এলাকাবাসি জানায়। আজ তাকে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।