চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশ পুলিশের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় নায়েক ও কনস্টেবলদের ‘দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স’-এর ১২তম ব্যাচের শুভ উদ্বোধন করেন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন।

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম সার্বিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যদের নিয়ে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় চুয়াডাঙ্গায় ১২তম ব্যাচের সপ্তাহ ব্যাপি পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্য পোষাকের মর্যাদা, সৌজন্যতা ও মার্জিত আচরণ, সহকর্মী ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে পেশাগত আচরণ ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

উক্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), আনিসুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সের আরআই আমিনুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিনিধিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।




আগে কী হয়েছে তা ভাবছি না, বর্তমান নিয়ে আছি: সাকিব

আগামী ৩০ আগস্ট পর্দা উঠবে এবারের এশিয়া কাপের। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য রোববার (২৭ আগস্ট) শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। এর আগে আজ (শনিবার) সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

আগে কি হয়েছে তা নিয়ে না ভেবে বর্তমান নিয়ে চিন্তা করতে চান সাকিব। এশিয়া কাপে ম্যাচ বাই ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করতে চান তিনি। সাকিব বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে আমাদের লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ জয়। আমরা প্রতিটি ম্যাচ আলাদা আলাদা করে টার্গেট করবো। ওয়ান বাই ওয়ান জয়ের পরিকল্পনা।’

প্রস্তুতি ভালো হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমি যদিও ছিলাম না, কোচদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, দলের প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। আমরা সবদিক থেকে প্রস্তুত আছি। এশিয়া কাপে আমরা আগে ভালো খেলেছি। এবারও ভালো খেলতে চাই। এজন্য আমাদেরকে আগে সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করতে হবে। প্রথম দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই। সুযোগ থাকলে প্রতিটি ম্যাচ জেতার চেষ্টা করবো।’

সূত্র: ইত্তেফাক




বিয়ে করলেন ‘হাবু ভাই’

বিয়ে করেছেন চাষি ইসলাম ওরফে ‘হাবু ভাই’। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের এই অভিনেতা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ‘হাবু ভাই’ নামেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন তিনি। এর আগে বৃহস্পতিবার পারিবারিকভাবে তার গায়েহলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

কোনো রাখঢাক না রেখেই হাবু ভাইয়ের স্ত্রীর পরিচয় জানানো হয়েছে। এই পরিচয় তিনি নিজেই জানিয়েছেন। স্ত্রীর নাম তুলতুল। হাবু ভাই জানান, তার স্ত্রী ঢাকার বাসিন্দা এবং রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে অধ্যয়নরত।

কাজল আরিফিন অমি পরিচালিত বহুল আলোচিত টিভি ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সিরিয়ালটির প্রথম সিজনের সম্প্রচার শুরু হয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনে। পাশাপাশি এটি মুক্তি পায় ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেলে। এতে ‘হাবু ভাই’ চরিত্রে অভিনয় করে কাড়েন চাষী।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে শত বছরের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির

মেহেরপুর শহরের বড় বাজারে অবস্থিত সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দির। মন্দিরটিকে স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলীরা জেলার কেন্দ্রীয় মন্দির হিসেবে গণ্য করে। জেলার সর্ব প্রাচীন মন্দির বলে এই মন্দিরটি স্বীকৃত হলেও এর স্থাপনকালের সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি।

তবে ধারণা করা হয় রাজা গোয়ালা চৌধুরী কিংবা তার পরবর্তী বংশধরেরা এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু মন্দিরের দেওয়ালে লেখা আছে বাংলা ১৩৩২ সালে নিত্য গোপাল সাহার স্ত্রী পাচু বালা দাসী মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরের ভিতরে স্থাপন করা হয়েছে বালা দাসীর মূর্তি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থানী হানাদার ও তাদের দোসররা এই মন্দিরে আক্রমণ করে এবং বালা দাসীর মূর্তিটি ধ্বংস করে দেয়।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলীরা পুনরায় মূর্তি স্থাপন করে নিয়মিত পূজা অর্চনা চালু করে। প্রতি বছর এখানে কালীপূজা, দূর্গাপূজা ও সরস্বতীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। বৈশাখ মাসের শেষ সংক্রান্তিতে এই মন্দিরকে ঘিরে বৈশাখ সংক্রান্তির মেলা বসে। বৈশাখ সংক্রান্তি মেলার আগের জৌলুস এখন আর নেই। তবে নিজ ও সমাজের মঙ্গল কামনাতে প্রতিবছর এই মন্দির প্রাঙ্গনে চলে পাঠা বলিদান।

বড়বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রী শঙ্কর বিশ্বাস বলেন,থব্রিটিশ আমল থেকেই এই মন্দিরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের হিন্দু ধর্মাবলীরা পুজা অর্চনার জন্য আসত।এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল সহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকেও পুজা করতে মানুষ আসে এই মন্দিরে পুজা দিতে।’

মেহেরপুরের সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দিরের সেবাইত পুরোহিত শ্রী তপন বন্দোপাদ্ধায় ১৯৮৯ সাল থেকে পুরোহিতের দায়িত্ব পালন কীছেন। তিনি বলেন,থ অবিভক্ত ভারতের একটি প্রসিদ্ধ মন্দির এই সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির। ভারত ভাগের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তেহট্টের বেতায় নামক স্থানে মেহেরপুরের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের একটি শাখা চালু করে ওখানকার ধর্মপ্রাণ হিন্দু ধর্মাবলীরা। বেতায়ের সেই মন্দিরের সকল কার্যক্রম মেহেরপুর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের সাথে সমন্বয় করে একই সময়ে একই রীতিতে করা হয়।

‘তিনি আরোও বলেন, ১৯৭১ সালে বালা দাসীর মূর্তিটি ভেঙে গেলেও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলীরা পুনরায় মন্দিরের ভিতর বালা দাসীর ভাঙ্গা বিগ্রহ স্থাপন করে। ২০০৪ সালে মন্দির কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে বালা দেবীর বিগ্রহ ভৈরবে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।’




আলমডাঙ্গার হাটখোলা পাঁচলিয়ায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

আলমডাঙ্গার হাটখোলা পাঁচলিয়ায় সাপের কামড়ে ১০ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত টানা ৭ ঘন্টা কবিরাজের অপচিকিৎসা (ঝাড়ফুঁকে)র কারণেই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, দাবি এলাকাবাসীর। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের হাটখোলা পাঁচলিয়া গ্রামে ঘটেছে। স্কুলছাত্রী ওই গ্রামের টাইলস মিস্ত্রী শরিফুল ইসলামের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল স্কুলছাত্রী ঐশী খাতুন (১৫)। ঘুমন্ত অবস্থায় প্রায় রাত ১১ টায় একটি বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। এরপর ঐশী ছটফট করতে থাকে। পরিবারের লোকজন জানতে পেরে স্থানীয় কবিরাজকে খবর দেয়। ওই স্কুলছাত্রীর মামা আজব আলিসহ কয়েকজন কবিরাজ কয়েক ঘন্টাব্যাপী ঝাড়ফুঁক ও হাত চালানের মাধ্যমে বিষ অপসরণের চেষ্টা চালায়। আজ শুক্রবার শেষ রাতে ওই স্কুলছাত্রীর শরীর থেকে বিষ বের করতে সক্ষম হয় বলে দাবি করেন কবিরাজেরা। দীর্ঘ সময় পার হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির বিপরীতে অবনতি হয়। ততক্ষণে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে পরিবারের লোকজন ওই স্কুলছাত্রীকে ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, স্কুলছাত্রী ঐশি আর বেঁচে নেই।

জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং (ইউপি) সদস্য মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, মেয়েটির বাড়ি আমার ওয়ার্ডে। সাপের কামড়ে মেয়েটি মারা গেছে। ঘটনার পর থেকেই ঝাড়ফুঁক করা হয়। গ্রামের মানুষ সচেতন নয়। রাতেই মেয়েটিকে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। নেওয়া উচিত ছিল।




আলমডাঙ্গার রুইথনপুরে স্বজনদের আহাজারিতে দাফন সম্পন্ন

মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত আলমডাঙ্গা উপজেলার সেই যুবক লাল চাঁনের লাশ অবশেষে দেশে ফিরিয়ে এনে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামে নিহত যুবকের লাশ বাড়িতে পৌছাই। লাশ আসার খবরে পাশ্ববর্তী কয়েক গ্রামের মানুষ শেষবারের মত নিহত যুবক লাল চাঁনকে দেখতে ভিড় জমায়। বাড়ির উঠানে কফিন বক্স থাকলেও এলাকার মানুষের ঢল থামাতে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়। এদিন দুপুরে তার বাড়ির পাশের কবরস্থানে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ আগস্ট শনিবার দুপুরে মালয়েশিয়ায় নিজ কর্মস্থলে ট্রাক থেকে কন্টেইনার নামাতে গিয়ে ক্রেন ছিড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত ৬ মাস পূর্বে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে মালয়েশিয়া পাড়ি জমায় যুবক লাল চাঁন (২২)। সে ওই দেশের একটি (চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশনস) কোম্পানিতে কাজ করত। গত ১২ আগস্ট শনিবার ক্রেন ছিঁড়ে কন্টেইনার তার উপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

মালয়েশিয়া থেকে টানা ১২দিন পর শুক্রবার মধ্য রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশ এসে পৌছায়। তারা দুই ভাই-বোনের মধ্যে লাল চাঁন ছিল ছোট। তাই তার এমন মৃত্যুর পর থেকে পুরো পরিবার শোকে পাথর হয়ে যায়। লাশ এসে বাড়িতে পৌছানোর পর পরিবারের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।

চিৎলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহাজালাল বলেন, জীবিকার তাগিদে গত ৬ মাস আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। আজ শুক্রবার মধ্যরাতে বিমান যোগে দেশে আসে তার লাশ । জুম্মার নামাজ পর লাল চানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়ায় পারিবারিক কলহে বিষপানে আত্নহনন

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার বড়শলুয়া গ্রামে স্বামী – স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপান করেছে ইসরাইল (৪০)সে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার বড়শলুয়া গ্রামের মেছের আলীর ছেলে।

জানাযায় গত ( ২৪আগষ্ট) বৃহস্পতিবার পারিবারিক কলহের জের ধরে সবার অজান্তে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিষপান করে।পরিবারের লোকজন টের পেলে দ্রত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার নিলে কর্তব্য ডাক্টার তার ওয়াশ করার দুইদিন পর চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে তার মৃত্য হয়।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার শাহা বলেন, গত ২৪ আগষ্ট রাতে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।রাতেই স্বামী ইসরাইল বিষপান করে।বিষপানের একদিনের মথায় শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে চিকিৎধীন অবস্থায় সদর হাসপাতালে তার মৃত্য হয়।এ ঘটনায় তার লাশ ময়না তদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।




ঝিনাইদহে হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে নবজাতক উদ্ধার

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে এক নবজাতক কন্যা ‍শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে ওই কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে শিশুটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স কারমিলা মুরমু বলেন, শুক্রবার সকালে সদর হাসপাতালের পশ্চিম পাশের ডাস্টবিনে আবর্জনা সরাতে গিয়ে পৌরসভার ২ পরিচ্ছন্ন কর্মী পলিথিনে মোড়ানো শিশুটি দেখতে পায়। প্রথমে পৌরসভায় জানাতে চাইলেও পরে এক সেবিকার মাধ্যমে শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসা দেয়ার পর ভর্তি করা হয় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। আমরা শিশুটিকে স্যালাইন, ঔষধসহ যা যা প্রয়োজন দিয়েছি। এখন বাচ্চাটি সুস্থ আছে।

নাজমা খাতুন নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, এতো সুন্দর মিষ্টি মেয়ে। দেখলে মায়া লাগে। সুন্দর ফর্সা একটা মেয়ে শিশু। খুব সুন্দর। যে বাচ্চাটা ফেলে রেখে গেছে সে কাজটা ভালো করেনি। মেয়েটির জন্য দোয়া করি। সে যেন সুস্থ থাকে, ভালো থাকে।

সুলতানা খাতুন নামে এক স্বজন বলেন, ফুটফুটে একটা মেয়ে শিশুকে ফেলে রেখে গেছে। যাই হোক আল্লাহর রহমতে ভালো আছে শিশুটি। শিশুটিকে নেয়ার জন্য অনেকে আবেদন করেছে। আমার একটা ছেলে আছে। মেয়েটি আমাকে দিলে আমি নিবো। আমার মতো অনেকেই বাচ্চাটি নিতে আবেদন করেছে।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আফিয়া সুলতানা বলেন, সকাল ৯ টার দিকে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে আনার পর সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শিশুটি যখন এসেছিলো তখন একটু অসুস্থ ছিল। এখন মোটামুটি ভালো আছে। শিশুটি এখন আমাদের তত্বাবধানে আছে। আইন অনুযায়ী দত্তক দেয়া হবে।




জীবননগরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামি গ্রেফতার

জীবননগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লাভলী খাতুনকে গ্রেফতার করেছে।

মোছাঃ লাভলী খাতুন, জীবননগর থানার বঁকা গ্রামের মাসুদ রানার স্ত্রী।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম. জাবীদ হাসানের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই নিঃ) মোঃ মাহবুবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ গতকাল (২৪ আগস্ট) ঢাকার ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করেন।

তার বিরুদ্ধে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত জিআর সাজা-২ টি আদালতের জিআর-১টিসহ ৩ টি মামলায় পরোয়ানাভূক্ত সে।

লাভলী খাতুন দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




উইনরারে হ্যাকারদের উৎপাত

উইনরার একটি জনপ্রিয় আর্কাইভিং সফটওয়ার। কোনো জিপ ফাইলকে আনলক করার জন্য এই ফ্রি অ্যাপটি ব্যবহার করা হয়। আপাত নিরীহ এই অ্যাপটিকে সম্প্রতি হ্যাকাররা অনৈতিকভাবে ফান্ড ও অর্থ চুরির কাজে ব্যবহার করছে। সাইবারসিকিউরিটি কোম্পানি গ্রুপ আইবি অন্তত তেমনটিই জানিয়েছে।

মূলত জিপ ফাইল আর্কাইভ করার সময় হ্যাকাররা অর্থ চুরি করে নিয়ে যায়। নতুন এই সমস্যাটিকে জিরো ডে ফ্ল বলা হচ্ছে। কারণ ভেন্ডরের পক্ষে সমস্যা সমাধানের জন্য একদিনও সময় পাওয়া যায়নি। হ্যাকাররা অ্যাপের স্ক্রিপ্টের মধ্যে ডাটা চুরি করে এমন স্ক্রিপ্ট লুকিয়ে রেখেছিল। এই স্ক্রিপ্টগুলো জেপিজি কিংবা টিএক্সটি ফাইল আকারে থাকে। ফলে অনেকে এগুলোকে নিরীহ ফাইল হিসেবেই নেয়।

গ্রুপ আইবি জানিয়েছে, এপ্রিল থেকেই হ্যাকাররা জিপ আর্কাইভের মাধ্যমে এই অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রুপ আইবি মূলত একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই খবর পায়। প্রতিষ্ঠানটি সর্বপ্রথম ম্যালিসিয়াস স্ক্রিপ্টের অস্তিত্ব টের পায় এবং ফোরাম থেকে তাদের ব্লক করে দেয়।

গ্রুপ আইবি সমীক্ষা চালিয়ে জানায়, অন্তত ১৩০ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ডিভাইসে হ্যাকাররা তথ্য চুরির জন্য এই পন্থা অবলম্বন করেছে। অনেক ক্ষেত্রে হ্যাকাররা ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে তারা ডাটা চুরি করে প্রতিষ্ঠানের কাছে উৎকোচের দাবি জানিয়েছে। উইনরার জিরো ডে এর ম্যালফাংশনের পেছনে কারা বা কে দায়ি তা এখনও জানা যায়নি। তবে গ্রুপ আইবি দেখিয়েছে ডার্কমি বা ভিজুয়াল ট্রোজানের মাধ্যমে এই হ্যাকিং পদ্ধতি ছড়িয়েছে। এটি ইভিলনাম থ্রেট গ্রুপের সঙ্গে জড়িত।

সূত্র: ইত্তেফাক