চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আফরোজা পারভীনের গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজ পারভিন এর নেতৃত্ব চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন করা হয়।

এ সময় গণসংযোগ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজ পারভিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তুলে ধরেন ও লিফলেট বিতরণ করেন এবং আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনা সরকার ও নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট চান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন , সহ-সভাপতি- পূর্ণিমা হালদার,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, আওয়ামী লীগ কর্মী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সহ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




এসডিজি অর্জনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইবেন শেখ হাসিনা

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনের মূল পর্ব শুরু হয়েছে। টানা পনেরো বারের মতো এই সম্মেলনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত আগেই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস পুনর্গঠন এবং বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে এবারের অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। বৈশ্বিক শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন সংক্রান্ত আলোচনা এবারের অধিবেশনে বিশেষ প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, আগের যেকোনো বারের সফরের চেয়ে এ সফর অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ।

মুহিত আরও বলেন, বৈশ্বিক শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন সংক্রান্ত আলোচনা এবারের অধিবেশনে বিশেষ প্রাধান্য পাবে। এছাড়া বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যখাতে সাফল্য ইত্যাদি বিষয় নিয়েও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়গুলোও উঠে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের বিষয়টি জানাবেন বিশেষভাবে। পাশাপাশি এসব অর্জনের ধারবাহিকতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করবেন। সারা বিশ্বের টেকসই উন্নয়নের জন্যে জাতিসংঘের উদ্যোগ ‘এসডিএসএন’ বাংলাদেশ অংশের গবেষণা অুনযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ, গুণগত শিক্ষাসহ ১৭টি লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চলছে। এবার এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে: ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার : সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্ব ত্বরান্বিত করায় ২০৩০ এজেন্ডা এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ’।

এসডিএসএন’ এর গবেষণা বলছে, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভালো করেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে ১৬৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম। যেটি গতবছর ১৬৩টি দেশের মধ্যে ছিল ১০৪তম অবস্থানে। ২০১৭ সালে ১৫৭টি দেশের মধ্যে অবস্থান ছিল ১২০তম। ২০২০ সালে বৈশ্বিক র্যাংকিং ছিল ১৬৬টি দেশের মধ্যে ১০৯তম। এসডিজিতে বাংলাদেশের কান্ট্রি স্কোর ৬৫.৯।

‘এসডিএসএন’- এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুণগত শিক্ষা এবং পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জনে সঠিক পথে আছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্য বিলোপের ক্ষেত্রে পরিমিত রূপে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ক্ষুধা মুক্তির ক্ষেত্রে অপুষ্টি হ্রাসে ২০২০ সাল পর্যন্ত অগ্রগতির হার ১১.৪, যা এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের পথেই রয়েছে। প্রতি হেক্টরে খাদ্যশস্য উৎপাদনে ২০২১ সাল পর্যন্ত অগ্রগতির হার ৫.০, এটিও এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছে।

সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ শিরোনামে লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মায়ের মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ খুবই ভালো করেছে। নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাস এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের ক্ষেত্রেও ২০২১ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন বেশ সন্তোষজনক। এইডস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেও বাংলাদেশ সফল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশে টিকাপ্রাপ্ত শিশুদের সুস্থ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৯৭, যা এসডিআর রিপোর্ট অনুযায়ী সন্তোষজনক। নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সংক্রান্ত লক্ষ্যে সুপেয় পানি পান ও ব্যবহার নিশ্চিতে ২০২০ সালের তথ্যমতে বাংলাদেশ এসডিজি লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং এই সাফল্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

সপ্তম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন অর্থাৎ সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানিতে ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের বড় সাফল্য জনগণের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানো। জ্বালানি থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন সন্তোষজনক ।

শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামোর লক্ষ্য অর্জনে সামগ্রিকভাবে পরিমিত রূপে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারে ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী এসডিজি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাণিজ্যিক এবং যোগাযোগব্যবস্থা সম্পর্কিত অবকাঠামো নির্মাণেও ২০১৮ সালের তথ্যমতে বাংলাদেশ একইরকম সাফল্য দেখাতে পেরেছে।

মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন এক নম্বর প্রায়োরিটি ইস্যু। এই বক্তব্য আবারও বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে একটি সাইড ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি ১১টি উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থার প্রধানরা দ্বিপাক্ষিক সভা করবেন। সবখানেই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যে সবার সহায়তা চাইবেন।

এবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ১৫০ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে মূল বিতর্ক পর্ব শুরু হয়েছে । অধিবেশন চলবে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিবছরের মতো এবারও মূল অধিবেশনে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা বাংলায় ভাষণ দেবেন।




কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে সেবা ও উন্নতির দক্ষ রুপকার উন্নয়নের উদ্ভাবনের স্থানীয় সরকার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন স্থানীয় সরকার ২০২৩ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল করিম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হাসানুজ্জামান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজীর আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল সহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ।

এসময় চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উদ্যোগে বাংলাদেশে এই প্রথম স্থানীয় সরকার দিবস পালন করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সাধারণ জনগণকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি বিশাল র‌্যালী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ হইতে বাজার প্রদক্ষিণ করে।




কার্পাসডাঙ্গায় ফার্মেসী মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

দামুডহুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা অভিযান চালিয়ে মেসার্স উষধ বিতান ফার্মেসীর মালিক ইমদাদুল হককে ৫০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানাগেছে মেয়াদউত্তীর্ন উষধ, বিক্রয় নিষিদ্ধ ফিসিসিয়ান সেম্পুল ও প্যাকেটে ডেট আছে উষুধের ডেট নেই এসব রদবদল করায় ভোক্তা সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৪৫ও ৫১ধারায় ৫০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

 আজ মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তা সংরক্ষন অভিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন ও মেয়াদউত্তীর্ন উষধ গুলো আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর রাসেল সহ অন্যন্যা সদস্যবৃন্দ। আইন শৃংখলার দ্বায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকশ দল।




গাংনীতে মৎস্য সেবা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) কর্তৃক সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত মৎস্যখাত এর আওতায় মৎস্য সেবা ও পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত পরামর্শ সভা পিএসকেএস খামার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মৎস্য প্রশিক্ষক মোঃ মতিউর রহমান।

এ সময় চাষীদের পুকুরে প্রাথমিক খাদ্য পরীক্ষা, মাছের সাধারন রোগ-প্রতিকার, মাছ চাষের সাধারণ সমস্যাবলী ও সমাধানসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। এছাড়াও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় বিবেচ্য বিষয়সমূহ ও পানি পরীক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

উক্ত কার্যক্রমে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।




কেন ইইউ এর রেজুলেশন পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে?

২০২৪ সালে অবাধ ও সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ সরকার যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই সম্পর্কিত একটি প্রস্তাবের উপর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে (ইইউ) আলোচনা হয়েছে যা বিভিন্ন মহলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একই সাথে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারকে মানবাধিকার সংস্থা-অধিকারের বিরুদ্ধে সমস্ত আইনি মামলা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশেষ করে এই সংগঠনের প্রধানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক দণ্ডের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই ধরণের আলোচনা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সীমানা পেরিয়ে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্নের উদ্রেগ করেছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য প্রশংসনীয় প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তবে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য এই ধরনের একটি রেজোলিউশন সেই সমস্যা সমাধানের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় কিনা তা মূল্যায়ন করা অপরিহার্য।
এটা স্বীকার করা অপরিহার্য যে কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলি তাদের কাজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই সংস্থাগুলি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নজরদারি করতে পারে। যাইহোক, বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্থা-অধিকার এর মামলাটি ২০১৩ সালের হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগকে ঘিরে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলিসহ যে কোনও সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা তাদের দেওয়া তথ্যের নির্ভুলতার উপর নির্ভর করে। যদি এটি প্রমাণিত হয় যে অধিকার মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছে, তাহলে এটি নৈতিক ও আইনগত উদ্বেগ বাড়ায়।
অনেক মিডিয়া হাউস সেই সময় অধিকারের দাবির বিষয়ে স্বাধীন অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের প্রকাশিত তালিকায় অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছিল। মৃত হিসাবে তালিকাভুক্ত অসংখ্য ব্যক্তিকে জীবিত পাওয়া গেছে তাদের অনুসন্ধানে। ফলে এই ধরণের কার্যক্রম মানবাধিকার সংস্থাগুলির দ্বারা প্রচারিত তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। পাশাপাশি যে কোনও সম্ভাব্য অসদাচরণ মোকাবিলার জন্য একটি ন্যায্য এবং স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। সেই সময়ে অধিকারের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্যের বিস্তার শুধু সরকারের সুনামই নষ্ট করেনি বরং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অসন্তোষের অনুভূতির জন্ম দিয়েছিল।
তাই, অধিকারের বিরুদ্ধে আইনি মামলা প্রত্যাহারের জন্য ইইউ পার্লামেন্টের আবেদনকে বাংলাদেশের আইনের শাসনকে সম্মান করার প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা এবং আইনি ব্যবস্থার পদ্ধতি এবং সিদ্ধান্তকে সম্মান করার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অপরিহার্য। যদি অধিকারের পদক্ষেপগুলি বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘন বলে মনে করা হয়, তাহলে সরকারের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে। ইইউ পার্লামেন্ট ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের নীতিগুলিকে সমুন্নত রেখে স্বচ্ছ ও ন্যায্যভাবে আইনি কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করতেই পারে। তবে, আইনি অভিযোগ খারিজ করার অনুরোধ করা যুক্তিযুক্ত নয়।
অধিকারের মামলাটির মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সংস্থার জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসনের মধ্যে জটিল সমীকরণের বিষয়টিকে তুলে ধরেছে। ফলে, তারা যেমন প্রত্যাশা করতে পারে যে একটি আইনি পদক্ষেপ ন্যায্যতা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলবে, ঠিক তেমনি ভাবে ইইউ পার্লামেন্টের বাংলাদেশ সম্পর্কিত যে কোন ধরণের রেজুলেশন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং এর আইনি ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানানোর মাধ্যমে নেওয়া উচিত। তাই, একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানিয়ে ইইউকে কেন আরও গঠনমূলক পন্থা অবলম্বন করা উচিত সেই বিষয়টি এই নিবন্ধে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র যার নিজস্ব সরকার, সংবিধান এবং আইনি কাঠামো রয়েছে। একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপকে তার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ইইউ-এর জন্য আন্তর্জাতিক আইনের নীতি এবং জাতির সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা এই উদ্বেগগুলি মোকাবিলায় আরও উপযুক্ত উপায় হতে পারে।
সংঘাতপূর্ণ হিসাবে দেখা যেতে পারে এমন রেজুলেশন জারি করার পরিবর্তে, ইইউকে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সংলাপ এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। দ্বিপাক্ষিক আলোচনাকে উৎসাহিত করা মানবাধিকার সমস্যা সমাধানের জন্য আরও ইতিবাচক ও সহযোগিতামূলক পদ্ধতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের সংলাপ ইইউকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের জটিলতাকে আরও ভালোভাবে বোঝার সুযোগ করে দিতে পারে।
ইইউ বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সংগঠনগুলিকে তাদের সমর্থন চালিয়ে যেতে পারে। মানবাধিকার রক্ষার জন্য এই সংস্থাগুলির প্রচেষ্টা দেশের মানবাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, সুশীল সমাজকে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পদ, প্রশিক্ষণ এবং প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে। তবে, তারা যদি কোন ভুল কাজ করে তবে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ঠিক নয়।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অনুঘটক। ইইউ-এর যে কোনো একতরফা পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই অঞ্চলের সকল রাষ্ট্রের সাথে ভাল কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা এবং আঞ্চলিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করা ইইউ এর দায়িত্ব।
সুতরাং, ইইউ উচিৎ তাদের পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে আরো গঠনমূলক এবং কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে মানবাধিকার বিষয়ক কোন সমস্যা থাকলে তার সমাধানের বিষয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করা। অন্যথায়, এ ধরনের উদ্যোগকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অযাচিত অনুপ্রবেশ হিসেবে দেখা হতে পারে। ইইউ এর উচিত কূটনৈতিক চ্যানেলে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্মানজনক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সমাধানগুলি খুঁজে বের করা। একতরফা সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে এবং দেশের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
মানবাধিকারের পক্ষে ওকালতি করা এবং একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের মধ্যে পার্থক্যে বিষয়টি সম্পর্কে সকল পক্ষকে সচেতন থাকতে হবে। তাছাড়া, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা চ্যালেঞ্জিং হবে। যাইহোক, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির উচিত তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে সতর্ক হওয়া। তাদের উচিত কোন দেশের মৌলিক মানবাধিকারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার সময় সেই দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা।
লেখক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর।



বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ দেবে পল্লী বিকাশ কেন্দ্র

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পল্লী বিকাশ কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটিতে শাখা ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

শাখা ব্যবস্থাপক (ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম)

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে অবশ্যই কমপক্ষে দুইটি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ সহ স্নাতক/স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর।

শাখা ব্যবস্থাপক পদে জাতীয় পর্যায়ের এন.জি.ও তে কমপক্ষে তিন বছর কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল

কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ

বেতন

ছয় মাস প্রবেশনকালে বেতন সর্বসাকুল্যে ৩২,০০০ টাকা। স্থায়ীকরণ এর পর বেতন হবে ৩৪,০০০/- টাকা।

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা জীবনবৃত্তান্ত যেখানে পাঠাবেন pbkhrd0007@gmail.com

আবেদনের শেষ তারিখ

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




আদিলুরের রায় নিয়ে ‘অপতৎপরতায়’ ১৫৫ জন বিশিষ্ট নাগরিকের উদ্বেগ

অসত্য তথ্য প্রচারের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় বেসরকারি সংগঠন ‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এস এম নাসির উদ্দিনের দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্নমহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ১৫৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদ।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক আলভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে মতিঝিল, শাপলা চত্বর, পল্টন ও তার আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। এসব ধ্বংসযজ্ঞ চলাকালে পুলিশের সাথে হেফাজতে ইসলামের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ ২০১৩ সালের ১০ মে ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সমাবেশ ও মানবাধিকার’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। উক্ত প্রতিবেদনে একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার লেখা, জীবিত ব্যক্তিকে মৃত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা, অন্য ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের নাম এই তালিকায় সন্নিবেশ করাসহ কাল্পনিক ব্যক্তিদের নাম তালিকাভুক্ত করে ওয়েবসাইটে অতিরঞ্জিত ও অসত্য তথ্য প্রকাশ করে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের বিরুদ্ধে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টির মানসে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে অসত্য ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে একই বছর সংস্থাটির বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনকে দুই বছর কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে আদালত রায় প্রদান করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রায়ে কোনও পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও একটি মহল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। আমরা মত প্রকাশের অধিকারকে সমুন্নত রাখা যেমন অপরিহার্য বলে মনে করি, তেমনি মত প্রকাশের অধিকারের অজুহাতে যেন মানবতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও তাদের সাম্রাজ্যবাদী দোসররা নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার সুযোগ না পায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করি।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই রায় প্রকাশের পর বিতর্কিত, উগ্রবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সুরে দেশি-বিদেশি কিছু সম্মানিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিবাদ করার বিষয়টি বিস্ময়কর। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, এসব ব্যক্তি ও সংগঠন বাংলাদেশের উগ্র-সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর জন্য উদ্বিগ্ন হলেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট

সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা, ৩ নভেম্বর জেলহত্যাকান্ড, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা ও বিচারক হত্যার মাধ্যমে সারাদেশে জেএমবি কর্তৃক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম এবং নিরীহ মানুষ হত্যার বিষয়ে নিশ্চুপ থাকেন। এ থেকে বোঝা যায়, এসকল দেশি-বিদেশি মহল বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ও উগ্রজঙ্গিবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক।

সময়ে সময়ে তাদের তথাকথিত বিবেক জাগ্রত হয়। আমরা এ সকল গোষ্ঠীর অপতৎপরতা সম্পর্কে দেশের
বিবেকবান নাগরিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক অনুপম সেন, শিল্পী হাশেম খান, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক বুলবন ওসমান, শিল্পী রফিকুন নবী, বিশ্ব শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন , পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি ডাঃ কামরুল হাসান খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আহমেদ, বিএসএমএমইউ অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য , সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তা, কবি তারিক সুজাত, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ড. মোঃ আমজাদ আলী, অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম (রফিক শাহরিয়ার), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামূল হক ভূঁইয়া , সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুস ছামাদ, অধ্যাপক ড. সীমা জামান অধ্যপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন, অধ্যাপক ড. মো: জিয়া রহমান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ অহিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া , অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ড. মো. আবদুর রহিম, ড. সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ, অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ড. মোঃ রহমত উল্লাহ, ড. মোঃ আকরাম হোসেন, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

বিবৃতিতে আরও স্বাক্ষর করেছেন- কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আফজাল হোসেন, ড. ফিরোজ আহমেদ , অধ্যাপক ড. আবু সারা শামসুর রউফ , ড. মোহাম্মদ শওকত আলী, অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোঃ শামছুদ্দিন, ড. শাহ মোঃ মাসুম , অধ্যাপক শেখ আফজাল হোসেন, ড. মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী, ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী , ড. মোঃ ফজলুর রহমান, ড. মো: বায়তুল্লাহ কাদেরী, ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আফতাব আলী শেখ, অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দীন চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, চিকিৎসক নেতা ডা. এম ইকবাল আর্সলান, ডা. মামুন আল মাহতাব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শহীদ ইকবাল, ড. হাসিবুল আলম প্রধান, ড. বিশ্বনাথ সিকদার, ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, ড. মীর ইবনে ওয়াহেদ, ড. দুলাল চন্দ্র রায়, ড. এম. আরিফুর রহমান, ড. শুভ্রা রানী চন্দ, ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে, ড. শাতীল সিরাজ, ড. ফায়েকুজ্জামান, ড. বিপ্লব মল্লিক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ড. মাহবুবুর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান মন্ডল, শের ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আসলাম, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর , সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহ আলমগীর, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদ উদ্দিন মাহফুজ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আৰু সালেহ, সাধারন সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াদ হাসান, সাধারন সম্পাদক মিসেস জান্নাতুল ফেরদৌস, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম মঞ্জুর মুর্শেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিক, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল হক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস. এম. ফিরোজ, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. লক্ষর এরশাদ আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শফিকুন্নবী সামাদী, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. বোরাক আলী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদের রহমান, রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল আওয়াল, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হাকিম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সৈয়দ মো. গালীব, সাধারন সম্পাদক, অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ জেড এম রুহুল মোমেন, অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া, ড. মো. আশরাফ-উল-আলম, ড. পরিমল বালা, ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, ড. মো. আনোয়ার হোসেন, ড. মো. মমিন উদ্দীন, ড. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. রাশেদুন নবী, ড. নাছিম হাসান, ড. জ্ঞান রত্ন মহাথেরো, ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, ড. আনোয়ার সাঈদ, ড. মোঃ খায়রুল ইসলাম, ড. নাজনিন নাহার ইসলাম, ড. জামাল উদ্দীন,ড. রাহমান নাসির উদ্দীন, ড. হেলাল উদ্দিন, ড. এস. এম. মনিরুল হাসান, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হক, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মুহিবুল আজীজ, ড. এস. এম. রফিকুল আলম, ড. মো. দানেশ মিয়া, ড. এফ এম এনায়েত হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, অধ্যাপক মো. জসীম উদ্দিন, অধ্যাপক মনজুর আলম, অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান, ড. নেয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, ড. মো. আনিসুজ্জামান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন, ড. মো. আতিকুর রহমান ভূইয়া, ড. সুকল্যাণ কুমার কুণ্ডু, ড. আলমগীর কবির, ড. এমরান জাহান, ড. মো. আমিনুল ইসলাম, ড. মো. খবির উদ্দিন, ড. হোসেন মো. সায়েম, শিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক আলভী, এবং অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দীন।




গাংনীতে মৎস্য চাষীদের মধ্যে উপকরণ বিতরণ

মেহেরপুর গাংনীর বেসরকারি সংস্থা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) কর্তৃক সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত মৎস্যখাত এর আওতায় মৎস্য চাষীদের মধ্যে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সংস্থার প্রশিক্ষণ খামারে মৎস্য চাষীদের মধ্যে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্থাটি।
উত্তম ব্যবস্থাপনায় অফ-ফ্লেভার মুক্ত পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ চাষ প্রদর্শনীর জন্য তেরাইল, জোড়পুকুরিয়া ও কাষ্টাদহ গ্রামের ২৫ জন উপকারভোগীর মাঝে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের পোনাসহ মাছ চাষ সহায়ক ঝাঁকি জাল, রাসায়নিক সার, জিও লাইট, সবজি বীজ, পেঁপে, বেগুণ, ঝালের চারা ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এ সময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মৎস্য প্রশিক্ষক মোঃ মতিউর রহমান ও সংস্থার কর্মকর্তাসহ চাষীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপকারভোগীদের উত্তম ব্যবস্থাপনায় মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ের অনাবাদি জমিতে সবজি চাষের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়। উক্ত কার্যক্রমে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।




দূরদর্শী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও স্মার্ট বাংলাদেশ

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল দেশে পৌঁছে দিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই লক্ষ্য পূরণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়ন এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রোডম্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে। এর চারটি স্তম্ভ রয়েছে: স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট গভর্নেন্স।

বাংলাদেশ একটি দেশ তার স্থিতিস্থাপকতা এবং দ্রুত উন্নয়নের জন্য পরিচিত, এখন তার পরবর্তী মিশন শুরু করছে: একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়া। প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, এই মিশনের লক্ষ্য জাতিকে একটি ডিজিটালভাবে উন্নত, সংযুক্ত এবং টেকসই সমাজে রূপান্তর রাখতে সক্ষম।

স্মার্ট বাংলাদেশ মিশনের একটি মৌলিক স্তম্ভ হল ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন। এর মধ্যে রয়েছে সারা দেশে উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারণ, যাতে প্রত্যেক নাগরিকের ডিজিটাল বিশ্বে অ্যাক্সেস রয়েছে তা নিশ্চিত করা। ডিজিটাল বিভাজন দূর করার মাধ্যমে, সরকার ব্যক্তি, ব্যবসা এবং সম্প্রদায়কে ডিজিটাল অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করতে এবং প্রচুর তথ্য ও পরিষেবা অ্যাক্সেস করার জন্য ক্ষমতায়নের লক্ষ্য রাখে।

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মিশনটি ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়াসহ শিক্ষায় প্রযুক্তির একীকরণের উপর জোর দেয়। তরুণ প্রজন্মকে প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতায় সজ্জিত করার মাধ্যমে, বাংলাদেশ একটি প্রযুক্তি-বুদ্ধিমান কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে পারে যারা উদ্ভাবন চালাতে এবং বৈশ্বিক ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে অবদান রাখতে সক্ষম।

স্বাস্থ্যসেবা খাতে, স্মার্ট বাংলাদেশ মিশনের লক্ষ্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার অ্যাক্সেস উন্নত করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা। টেলিমেডিসিন, রিমোট ডায়াগনস্টিকস, এবং ডিজিটাল হেলথ রেকর্ডস হল কিছু উদ্যোগ যা বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান বাড়ানোর জন্য বাস্তবায়িত হচ্ছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডাক্তারদের সাথে রোগীদের সংযুক্ত করার মাধ্যমে, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলি এমনকি দেশের সবচেয়ে প্রত্যন্ত কোণে পৌঁছাতে পারে, জীবন বাঁচাতে পারে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ফলাফলের উন্নতি করতে পারে।

১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য-৪ অর্জন এবং মাতৃমৃত্যু, টিকাদান কভারেজ এবং ম্যালেরিয়া থেকে বেঁচে থাকার হারের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলিকে উন্নত করে, জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চিত্তাকর্ষক সাফল্য অর্জন করেছে। গত চার দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেশ কয়েকটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে গেছে এবং সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই একটি বিস্তৃত স্বাস্থ্য পরিষেবা অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। বেসরকারি-খাতের পরিষেবাগুলি অনেকের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য পকেটের বাইরে ব্যয় বেশি। এই চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে বিপ্লবীকরণ এবং বিদ্যমান বাধাগুলিকে মোকাবেলা করার, যার ফলে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা ইকোসিস্টেমের পথ প্রশস্ত করা।

মিশনটি শহরগুলিকে স্মার্ট শহরে রূপান্তরিত করার দিকেও জোর দেয়। এতে বুদ্ধিমান পরিবহন ব্যবস্থা, দক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্মার্ট এনার্জি গ্রিড সহ স্মার্ট পরিকাঠামো বাস্তবায়ন জড়িত। ডেটা এবং সংযোগের সুবিধার মাধ্যমে, শহরগুলি বাসযোগ্যতা, স্থায়িত্ব এবং দক্ষতা বাড়াতে পারে, শেষ পর্যন্ত নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে। সরকারি অফিসে ইলেকট্রনিক ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ই-নোথি) কাগজবিহীন অফিস ইকোসিস্টেমের দিকে একটি প্রাথমিক অগ্রগতি চিহ্নিত করে। এই ব্যবস্থাটি কেবল আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলিকে সুবিন্যস্ত করেনি বরং কাগজপত্রকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে, যার ফলে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমাগত বিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে, সরকার ডিজিটাল নোথি সিস্টেম (ডি-নোথি) চালু করেছে, ডিজিটাল রূপান্তরকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাচ্ছে।

একটি কাগজবিহীন অফিস এবং জনসেবা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্যকে একটি স্মার্ট নেশন হওয়ার দিকে দেশের যাত্রার চূড়ান্ত পরিণতি হিসাবে দেখা যেতে পারে। সরকারের দূরদর্শিতা, প্রযুক্তিগত গ্রহণের প্রতিশ্রুতির সাথে, দেশকে ডিজিটাল রূপান্তরের আলোকবর্তিকা হিসেবে স্থান দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে, তখন স্মার্ট বাংলাদেশ এমন একটি ভবিষ্যৎ কল্পনা করে যেখানে দক্ষতা, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থায়িত্বের অভূতপূর্ব উচ্চতা অর্জনের জন্য সমস্ত সেক্টরে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়।

ই-গভর্নেন্স স্মার্ট বাংলাদেশ মিশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সরকারি পরিষেবা এবং প্রক্রিয়াগুলিকে ডিজিটালাইজ করার মাধ্যমে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে, দুর্নীতি হ্রাস করা যেতে পারে এবং নাগরিক-সরকার মিথস্ক্রিয়াকে সুবিন্যস্ত করা যেতে পারে। নাগরিক পরিষেবা, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম এবং স্বচ্ছ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়াগুলির জন্য অনলাইন পোর্টালগুলি আরও নাগরিক-কেন্দ্রিক এবং জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের জন্য নেওয়া কিছু উদ্যোগ।

স্মার্ট বাংলাদেশ মিশনও উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। একটি প্রাণবন্ত স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য স্টার্ট-আপ ইনকিউবেশন সেন্টার, প্রযুক্তি পার্ক এবং বিনিয়োগ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে, বাংলাদেশ প্রযুক্তি-চালিত ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে তার সম্ভাবনাকে উন্মোচিত করতে পারে, বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে এবং নাগরিকদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারে।

যাই হোক, স্মার্ট বাংলাদেশ মিশনের সাফল্য নির্ভর করে সরকার, বেসরকারি খাত, শিক্ষাবিদ এবং নাগরিকদের মধ্যে সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের উপর। এটি একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করার জন্য একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন যা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে, প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করে এবং পরিবর্তনশীল ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপের সাথে খাপ খায়।

একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মিশন ভবিষ্যতের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে। প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে, বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করার, উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার এবং একটি ডিজিটালি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। ডিজিটাল অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট শহর, ই-গভর্ন্যান্স এবং উদ্যোক্তাদের উপর ফোকাস দিয়ে, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি উন্নত, স্মার্ট ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা কাজ করবো।

লেখক: প্রভাষক, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।