আলমডাঙ্গার সামসুল আবেদীন খোকনের পক্ষে গণসংযোগ-পথসভা

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেন নৌকার প্রত্যাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ সামসুল আবেদীন খোকনের পক্ষে তার কর্মি সমর্থকরা আলমডাঙ্গার বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন।

গতকাল বুধবার নেতাকর্মিরা এক মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে উপজেলার হাউসপুর, বেলগাছি, খেজুরতলা, জাহাপুর মোড়, খাসকররা বাজার হয়ে সরোজগঞ্জ বাজারে লিফলেট বিতরণ, গণ সংযোগ ও পথ সভা করেন।

পথ সভায় বক্তারা বলেন,আমরা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেত প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সামসুল আবেদীন খোকনের পক্ষে আমরা মাঠে নেমেছি। আর কয়েক মাস পরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমরা নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে এসেছি। বাংলাদেশের সফল রাস্ট্রনায়ক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হানিনা দেশের যে উন্নয়ন করেছেন,তা দৃশ্যমান। আপনার এলাকার প্রতিটি রাস্তাঘাট,স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও আওয়ামী লীগের নৌকায় ভোট চাই। আপনাদের সন্তান,আলমডাঙ্গার সন্তান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন মিয়া আসন্ন নির্বাচনে তিনি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি। আপনারা সকলেই তার জন্য দোয়া করবেন,তিনি যেনো আসন্ন নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হয়ে এলাকার উন্নয়নের ধারা আব্যাহত রাখতে পারে।

গণ সংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবেক ছাত্রনেতা আশরাফুল হক বাবু,হারদী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শেখ শাহানুর টিপু আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান রুবেল, জামজামি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক লাল,হারদি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শেখ রবেল,, রবিন,,তানভীর চুয়াডাঙ্গা,, জেলা ছাত্রলীগ নেতা শেখ ইমতিয়াজ নিপন, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা, শাহরিয়ার তপু, সাব্বিরুজ্জামান সাব্বির,সাকিব, সজিব, তুষার, শিশির, তামিম,ইমন,,হারদি ছাত্রলীগ নেতা লিখন প্রমুখ।




দর্শনার আকন্দবাড়িয়ায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার বিষয়ক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

দর্শনা শেখ রাসেল স্মৃতি স্কুল এ্যান্ড কলেজের উদ্দ্যোগে ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার বিষয়ক সচেতনতা মূলক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকাল ৮ টা হতে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত এ সচেতনতা মূলক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সচেতনতা মূলক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের দর্শনা আকন্দবাড়িয়া গ্রামের ফার্মপাড়া ও তামালতলা পাড়ায়।

এ সচেতনাতামূলক উঠান বৈঠকে অংশ নেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার সূধিসমাজের নের্তৃবৃন্দরা।
উক্ত অনুষ্ঠানে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন, শেখ রাসেল স্মৃতি স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আল মামুন, বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম, শেখ রাসেল স্মৃতি স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক বিদ্যুৎ হোসেন, এনামুল হক, আকন্দবাড়িয়া যুব মানবিক কল্যান সংস্থার সদস্য মুকুল হোসেন, তুষার, ফরহাদ হোসেন, প্রমুখ।

বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ডেঙ্গুজ্বর একটি মারাত্বক প্রাণঘাতি জ্বর। ডেঙ্গুজ্বর থেকে রক্ষা পাবার একমাত্র উপায় হলো সচেতনতা। মহল্লা বাসীকে বলেন, বাড়ির আশ-পাশের আবর্জনা, আগাছা ও জমে থাকা পানি পিরিস্কার রাখতে। ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে জমে থাকা পানি পরিস্কার ও আগাছা পরিস্কার করতে হবে। মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবস্যই মশারি টাঙাতে হবে।

সামন্য সচেতনতায় পারে অনেক প্রিয়জনের জীবন। ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে জমে থাকা পানি পরিস্কার ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। আয়োজিত কর্মসূচিটি গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করবে বলে আয়োজকদের বিশ্বাস।




দর্শনা জয়নগর সীমান্তে ৬ টি সোনার বারসহ আটক ১

দর্শনা জয়নগর সীমান্তে ৬৪ লক্ষ টাকা মৃল্যের ৬ টি সোনার বারসহ এক পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করেছে ৬ বিজিবি।

জানাগেছে গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে দর্শনা জয়নগর আইসিপি চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতে স্বর্ন পাচারকালে পাসপোর্টধারী যাত্রী (পাসপোর্ট নম্বর-ই০০৫২৫০৩২) সোহাগ (২৩) কে আটক করে।

সে শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার মেহেরআলী মাতবর কান্দী গ্রামের গোলাম মাওলা মাতবরের ছেলে।

বিজিবি জানায় গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ন পাচার হবে এ সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসির নেতৃত্বে, দর্শনা আইসিপি চেকপোষ্ট কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল সঙ্গীয় ফোর্সসহ সীমান্ত মেইন পিলার ৭৬ হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত তার নজরদারী বৃদ্ধিসহ গমনাগমনকারী যাত্রীদের বহনীয় লাগেজ ও অন্যান্য মালামাল গভীরভাবে তল্লাশী কার্যক্রম শুরু করে। বিজিবি তার লাগেজ তল্লাশী করে কিছুই পায়নি। পরে তার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে তার শরীর এক্সরে করানো হলে শরীরের মলদ্বারে ধাতব জাতীয় বস্তু দেখতে পাওয়া যায়। মলদ্বারের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকায়িত ৭শ গ্রাম ওজনের ০৬টি স্বর্ণের বার দেখতে পায়। তার মলদ্বারের ভিতর থেকে ৬ টি স্বর্নের বার উদ্ধার করে। তার ব্যাগে থাকা ০১টি আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স মোবাইল এবং তার কাছে থাকা ৮২৪ ভারতীয় রুপি ও বাংলাদেশী নগদ ৪ হাজার ৮শ টাকা জব্দ করে। ৬টি স্বর্নের বাজার মৃল্য ৬৪ লক্ষ টাকা।

এ ঘটনায় দর্শনা আইসিপি কমান্ডার আব্দুল জলিল বাদি হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেছেন। গতকালই স্বর্নের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




কোটচাঁদপুর মডেল থানার আয়োজনে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা সভা

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর মডেল থানার আয়োজনে সামাজিক অবক্ষয় রোধে শিক্ষার্থীদের সাথে জনসচেতনতা মূলোক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে শিক্ষার্থীদের সাথে এ জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সে সময় বাল্যবিবাহ,আত্মহত্যা, যৌতুক, ইভটিজিং,মাদক,জঙ্গি, সন্ত্রাস ও কিশোর কিশোরীদের মাঝে সাইবার অপরাধ রোধে করোনিয় বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন প্রধান অতিথি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর মডেল অফিসার ইনর্চাজ সৈয়দ আল-মামুন, মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শারমিন প্রমুখ।

এ সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় জমি বিক্রির টাকা চাওয়ার অপরাধে অবরুদ্ধ ২ পরিবার

আলমডাঙ্গার নাগদাহ গ্রামে জমি বিক্রয়ের টাকা চাওয়ার অপরাধে দুই পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত দেড় মাস যাবৎ ওই পরিবারগুলো অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে।

জানা যায়, উপজেলার নাগদাহ গ্রামের মৃত মোজাহার বিশ্বাসের ছেলে বিপুল বিশ্বাস পৈত্রিক জমির ১০ শতাংশ মাঠের জমি বিক্রয় করেন। ওই জমি ২ লাখ টাকায় ক্রয় করেন একই ইউনিয়নের ভোলারদাইড় গ্রামের মৃত হাসিবুলের ছেলে মজিবুল ইসলাম। গত ২ মাস পূর্বে বিপুল ওই জমি ক্রেতা মজিবুলের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।

ইতিপূর্বে মাঠের ওই জমি দীর্ঘদিন যাবৎ মজিবুলের মা মুনজিরা বেগম ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে চাষাবাদ করছিলেন। তার ছেলে মজিবুল ওই জমি কেনায় লিজের ৪০ হাজার ও নগত ৬০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন মুনজিরা বেগম। এর আগে বিপুলের ভাই মন্টু বিশ্বাস মুনজিরার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। একপর্যায়ে জমি রেজিস্ট্রির সময়, মুনজিরা বেগম নগত ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ১০ হাজার টাকা মন্টু বিশ্বাস পরিশোধ করবে এমন মর্মে।

জমি রেজিস্ট্রির ১০ দিনপার হলেও পাওনা ১০ হাজার টাকা চায় দেয় না মন্টু বিশ্বাস। একাধিকবার পাওনা টাকা চাওয়ায় মন্টু বিশ্বাস ক্ষিপ্ত হয়ে বিপুল বিশ্বাস ও আসলাম বিশ্বাস কালুর সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরই একপর্যায়ে মন্টু বিশ্বাস বাড়ি ফিরে অন্যত্র তার ছোট ভাই সাহাবুল তার পরিবারের লোকজন নিয়ে আসলাম বিশ্বাস কালুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এসময় জোরপূর্বক তার বাড়ি থেকে নগত ২ লাখ টাকা ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন কালু।

এঘটনার পর মন্টু তার ভাই আসলাম মিলে আসলাম বিশ্বাস কালু ও আব্দুল বিশ্বাসের যাতায়াতের পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেয়। এতে গত দেড় মাস দুই পরিবারের লোকজন অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সারোয়ার হোসেন জানান, পথ ঘেরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষকে ডাকা হয়। তবে, একজন আসলেও আরেকজন আসে না। ওই বিষয়ে কোন সমাধান হয়নি।




আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে চোরাই মালামালসহ তিন যুবক আটক

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশের অভিযানে চোরাই শ্যালোমেশিনের ইঞ্জিন ও একটি ব্যাটারি চালিত পাখি ভ্যান উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় চুরির ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জের স্টেশনপাড়া সংলগ্ন থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় তাদের বিরুদ্ধে চুরি সম্পৃক্ততায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

আটকৃত যুবকেরা হলেন- উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের মঙ্গল হোসেনের ছেলে সজিব (২০), মিনা ইসলামের ছেলে ইমরান (১৯) ও জেহালা ইউনিয়নের স্টেশনপাড়ার মৃত খলিল হোসেনের ছেলে মানিক হোসেন (২৪)। তারা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন সময় নানান চুরির অভিযোগ ওঠে। এতে পুলিশ অভিযান চালালেও তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে।

আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশের নিকট চোরাই মালামাল বিক্রয়ের গোপন সংবাদ পায় পুলিশ। এরই সূত্রে মুন্সিগঞ্জ স্টেশনপাড়া এলাকা থেকে তিন যুবককে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চোরাইকৃত শ্যালোমেশিনের ইঞ্জিন ও বহনকৃত ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান জব্দ করে। বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশের আইসি ইউসুব আলী বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় চুরির মামলা করেন।




মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জরিমানা

মেহেরপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক অভিযানে সদর উপজেলার কাথুলি রোড এলাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১১ অক্টোবর) জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ এবং মেহেরপুর পুলিশ লাইনের একটি টিমের সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এই অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে মুদি দোকান ও মশলা, চাউলের আড়তসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। মেসার্স আল মামুন স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে মশলাসহ অন্যান্য পণ্যের ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা ও পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৫ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মেসার্স বেল্টু চাউল ভান্ডারে পুর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রকার চাউলের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করা ও ক্রয়- বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে ৩৮ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় সবাইকে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।

এসময় উপস্থিত ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে এবিষয়ে সতর্ক করা হয় ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।




মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামুল্যে চক্ষু রোগীদের চিকিৎসা সেবা

আমেনা বেগম। বয়স ৬০ পেরিয়েছে। মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের গৌড়দহ গ্রামের ক্যানেলপাড়ার বাসিন্দা। বয়সের ভারে ঠিকমতো চোখে দেখতে পান না। মাঝে মাঝে দুচোখ চুলকায় এবং পানি পড়ে। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ৫ টাকার টিকিট কেটে ডাক্তার দেখান। তবে চোখের জন্য সেখানকার প্রশিক্ষিত নার্সরা তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মেশিনের সাহায্যে সংশ্লিষ্ট ভিডিও কনসালটেশনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসাসেবা দেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং চশমা বিনামূল্যে তাকে প্রদান করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

শুধু আমেনা বেগমই নয়, তার মতো আরও অনেক চক্ষু রোগী এই সেবা নিয়েছে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ বছরের আগষ্ট মাসে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন আই কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, কমিউনিটি আই সেন্টার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ধারিত একটি কক্ষে অবস্থিত চক্ষু বিষয়ক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জিত। যেখানে দেশে ও বিদেশে চক্ষু বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সরা চক্ষু সেবায় সহায়ক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।

চক্ষু বিষয়ে প্রশিক্ষিত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের সহায়তায় ইন্টারনেট ও অত্যাধুনিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিকটবর্তী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত বেইজ সেন্টারে অবস্থানরত (পাবনা) চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অনলাইনে ভিডিও কনসালটেশনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমন্বিত উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা কমিউনিটি আই সেন্টারের উদ্দেশ্য।

বেইজ হাসপাতালের টেলিকনসালটেশন রুমে একাধিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থেকে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে কর্মরত চক্ষু বিষয়ে সুপ্রশিক্ষিত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের পাঠানো মেডিকেল রেকর্ড পর্যালোচনা এবং নার্স ও রোগীর সঙ্গে বেইজ হাসপাতাল থেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ই-সাইন যুক্ত ব্যবস্থাপত্র কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে অনলাইনে পাঠাবেন। বেইজ হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থাপত্রের প্রিন্টকপি অনুযায়ী সিনিয়র স্টাফ নার্স রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ ও পাওয়ার চশমা দেবেন।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুইজন সিনিয়র নার্স নীলা ও ঝুমা খাতুন চোখের রোগ নির্ণয়, চোখের চশমার পাওয়ার নির্ধারণসহ অত্যন্ত জটিল রোগীরা এই হাসপাতাল হতে অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন।

মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: পিযুষ কুমার সাহা বলেন, হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চালুকৃত এ সেন্টারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনবলের দ্বারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে চক্ষু চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। অন্ধজনের চোখে আলো দেওয়াই এই প্রকল্পের কাজ। আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্য চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি এই সেবাও আমরা দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষ আছেন, যারা চোখে দেখতে পেতেন না। তারা কোথায় যাবেন, কোথায় চিকিৎসা নেবেন তাও জানতেন না, কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই, এখন মানুষ যথেষ্ট সচেতন। ফলে অনেক মানুষ অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট একটি পাওয়া। এটি কেবল সম্ভব হয়েছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে।

মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন বলেন, সরকারের অন্যতম প্রশংসনীয় উদ্যোগ এটি। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী খুব সহজেই চক্ষু চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে।




অস্থির কুষ্টিয়ার সবজি বাজার: ত্যক্ত-বিরক্ত ক্রেতারা

হঠাৎ সবজি বাজারে দামের তাপে পুড়ছেন ক্রেতা। কয়েকটি সবজির দাম হয়ে গেছে দ্বিগুণ। অনেক কাঁচা তরকারির কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। এর মধ্যে বড় গোল বেগুন কেনাবেচা হচ্ছে অস্বাভাবিক দামে; এক কেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। সবজির পাশাপাশি আবারও চড়েছে ডিমের বাজার। দুই দিনের ব্যবধানে ডজন উঠেছে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায়। হঠাৎ সবজি ও ডিমের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষক সবজি তুলতে পারেননি। ফলে ক্ষেতে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক সবজি। এ কারণে মাঠ পর্যায় থেকে শহরে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। তাতে চাহিদার চেয়ে সবজির জোগানে দেখা দিয়েছে ঘাটতি। এতে তেতে উঠেছে সবজির দাম। আবার কিছু ব্যবসায়ী বৃষ্টির সুযোগও নিচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের এসব যুক্তিতে ত্যক্ত-বিরক্ত ক্রেতারা। তারা বলছেন, একেকবার একেক ছুতায় জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই বলে ব্যবসায়ীরা যে যার মতো করে দাম নিচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তারা। গতকাল মঙ্গলবার কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজারে ১০০ টাকা দরে বেগুন কেনার পর বেসরকারি চাকরিজীবী আবুল হোসেন বলেন, ‘বাসার পাশে মঙ্গলবাড়ীয়া থেকে না কিনে পৌর বাজারে এলাম। এখানেও সেই একই দর। দুই দিনের বৃষ্টিতে দাম আকাশচুম্বী হবে কেন? সবজি তো আমদানি করতে হয় না।’

মজমপুরে রাতের কাঁচাবাজারে সবজি কেনার পর জামেনা বেগম বলেন, ‘সবকিছুর দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এতে কম আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়ছে।’

আজ শহরের মিউনিসিপ্যালিটি বাজার, রাজারহাট, মঙ্গলবাড়ীয়া, চৌড়হাস কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে শুধু পেঁপে আর আলু ছাড়া ৬০ টাকার কমে কোনো সবজি পাওয়া যায়নি। তিন-চার দিন আগে কুষ্টিয়ায় ঢ্যাঁড়সের কেজি ৪০ ও গোল বেগুনের কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দ্বিগুণ দাম বেড়ে বাজারে এখন সবজি দুটি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৬০ থেকে ৭০ ও ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এ ছাড়াও শসা ৫০ টাকা কেজি, কচু ৮০-১০০ টাকা কেজি, ওল ৭০ টাকা কেজি, পেয়াজ ৮০-১০০ টাকা কেচি, রসুন ২০০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

গত শুক্রবার বরবটির কেজি ছিল ৪০ টাকা। কেজিতে তা বেড়ে এখন ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পটোল ও চিচিঙ্গা কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। তিন দিন আগে করলা, ধুন্দুল ও ঝিঙ্গের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় কেনা গেছে। এখন গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। নতুন সবজি হিসেবে শিমের দাম এমনিতেই বেশি; কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। ছোট একটা ফুলকপি কিনতে গেলেও ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতিকেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা এবং বাধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, গাজর ১৫০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, করলা ৮০ টাকা কেজি, লাউ ৪০-৬০ টাকা পিস এবং মিষ্টি কুমড়া কেজিপ্রতি ৪০ -৫০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুলার চাহিদা কম থাকে, সেটির কেজিও এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কম দামের সবজি বলতে এখন শুধু পেঁপে মিলছে কেজি ২৫-৩০ টাকা কেজি। কলমি শাক ১০ টাকা আটি, লাল শাক ২০ টাকা আটি এবং পুইশাক ৩০ টাকা আটিতে বিক্রি হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আলুর দর নিয়ে হয়েছে বেশ হইচই। দামও বেঁধে দেয় সরকার। তাতেও সুফল মেলেনি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দর ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।

মজমপুরের কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. মতিয়ার বলেন, ‘পৌরবাজারে পাইকারদের কাছে বেগুনের দাম শুনেই অবাক হলাম। দুই দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ দাম নিয়েছে। সকালে পৌর বাজারে গেলে সবজির দরকষাকষির সুযোগ থাকে না। কারণ কাঁচামাল কম আসে বাজারে।’
একই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. কারিবুল বলেন, বৃষ্টির ছুতায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। এ কারণে শুধু ক্রেতা নয়, খুচরা বিক্রেতারাও পড়েছে বিপদে।

তবে বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্যাপারীরা বাজারে সবজি কম আনছে বলে দাবি করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

পৌর বাজারের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী সুদেব বলেন, বৃষ্টিতে সবজি তোলা সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষেতে পঁচে গেছে অনেক সবজি। কৃষক পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে ব্যাপারীরা সবজি কম আনছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে




ঘরের সাজে বাহারি দোলনা

মানুষ এখন অনেক সৌখিন। সে হোক নিজের জন্য কিংবা কাছের মানুষের জন্য কিংবা ভালোবাসার অন্দরের জন্য। অন্দর হচ্ছে সবচেয়ে স্বস্তির জায়গা। একটা মানুষের জীবনে। তাই সবাই চায় অন্দরকে নতুনভাবে নতুন রূপে নতুন কিছু দিয়ে কোনো না কোনোভাবে সাজিয়ে তুলতে। অন্দরের প্রতিটা জায়গাকে আমরা চেষ্টা করি নিজেদের সাধ্যমতো সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে।

বর্তমানে অন্দরসজ্জায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ও চলমান বস্তু হচ্ছে দোলনা। দোলনা একটা শখের জিনিস। ছোট থেকে বড় সবাই দোলনা দেখে আকর্ষিত হয়। দোলনা যেমন মনে আনন্দ দেয়, তেমনি ঘরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তোলে। বাঙালিয়ানা প্রকাশের জন্য দোলনা একটি অতি সুপরিচিত সজ্জা সামগ্রী, ঘরের সবচেয়ে আকর্ষণী স্থান হয়ে ওঠে, যখন একটি দোলনা রাখা হয়।

দোলনা রাখার স্থান
আপনি যেখানে চান দোলনা রাখতে পারেন! তবে ব্যাপারটা অতটা আকর্ষণীয় হবে না। দোলনা রাখার সবচেয়ে ভালো জায়গা বারান্দা, লিভিং রুম, ওপেন স্পেস অথবা ঘরের কোনো খালি কর্নার। দোলনা দেখতে যেন রঙিন হয়, সেই বিষয় মাথায় রাখতে হবে। রঙিন দোলনা ঘরকে আরও সুসজ্জিত ও আকর্ষণীয় করে তোলে।

দোলনার ধরন-ধারণ
দোলনা সাধারণত অনেক ধরনের হয়ে থাকে। তবে আপনি কেমন দোলনা রাখবেন, তা নির্ভর করবে আপনার ঘরের জায়গা কিংবা আপনার রুচি অথবা আপনার পছন্দের ওপর। সব জায়গায় সব ধরনের দোলনা রাখা যাবে না। তাই দোলনার কয়েকটি ধরন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

বাঁশ ও বেতের দোলনা
বাঁশ ও বেতের দোলনাই সবসময় বেশ জনপ্রিয়। ঘরের মধ্যে বাঙালিয়ানা সাজ আনতে এ দোলনার জুড়ি নেই। এসব দোলনার সুবিধা হলো, এটি বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। চারকোনা ছাড়াও চাইলে গোলাকৃতির, ছোট, বড় কিংবা মাঝারি—যেকোনো ধরনের দোলনাই বেছে নেওয়া যায়। বাঁশ ও বেতের তৈরি বেশির ভাগ দোলনাতেই স্ট্যান্ড থাকে। এছাড়া ওই ধরনের দোলনার মধ্যে রঙিন কভার ও কিছু রঙিন কুশন রাখলে বসেও বেশ আরাম লাগে। চাইলে স্ট্যান্ড ছাড়াও দোলনা কিনতে পারেন। এগুলো মূলত একজনের বসার জন্য উপযোগী।

লোহার দোলনা
এই দোলনা একইসঙ্গে দেখতে সুন্দর ও সাশ্রয়ী। পুরোটাই লোহা দিয়ে তৈরি হলেও, আরামদায়ক। কারণ, এ দোলনায় বসার জায়গাটিতে ফোম দেওয়া হয়। লোহার দোলনা ঘরের থেকে ছাদেই বেশি শোভা পায়। কারুকাজটাও হয় একেবারে চিকন রড দিয়ে খুব হালকার ওপরে। লোহার দোলনায় দুই তিন জন আরাম করে বসেই দোল খাওয়া যায়।

পাটের দড়ি
পাটের দড়ি দিয়ে বানানো চারকোনা কিংবা গোলাকৃতির দোলনার চাহিদা বর্তমানের সবচেয়ে বেশি। এ ধরনের দোলনা মূলত দুই ধরনের হয়—স্ট্যান্ডসহ ও স্ট্যান্ড ছাড়া। স্ট্যান্ডবিহীন দোলনা চাইলে যেকোনো জায়গায় আপনি বহন করতে পারেন। পাটের তৈরি বলে খুব টেকসইও হয়ে থাকে। যারা ঘরে বাঙালিয়ানা আনতে চান, তাদের কাছে এ ধরনের দোলনাই বেশি প্রিয়। পাটের দোলনার আরেকটি সুবিধা হলো: বিভিন্ন রঙে পাটের দড়িগুলো রাঙিয়ে ঘরে বৈচিত্র্য আনা যায়। পাঁচের দোলনা খুবই সহজলভ্য আর বর্তমান সময়কার মানুষ এই দোলনাকে বেশি প্রাধান্য দিন।

কাঠের দোলনা
নানা রকম দোলনার মধ্যে কাঠের দোলনাও বেশ জনপ্রিয়। কাঠের দোলনা এক ধরনের আভিজাত্য বহন করে। পুরনো দিনের বাড়িগুলোতে কাঠের দোলনা দেখা যেতো বেশি। এছাড়া, বাসা বাড়ি থেকে রিসোর্টে কাঠের দোলনার ব্যবহার বেশি। সাধারণত চারকোণা আকৃতির হয় কাঠের দোলনা। তবে আপনি চাইলে আপনার ঘরে অবশ্যই কাঠের দোলনা ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের দোলনার প্রধান আকর্ষণের জায়গাটি হলো এর সূক্ষ্ম কারুকাজ কিংবা বিভিন্ন ধরনের নকশা। নকশার মধ্যে ফুল, পাতার মোটিফটাই বেশি প্রাধান্য পায়। কাঠের দোলনায় আপনি চাইলে নিজ ইচ্ছামত একটু সুসজ্জিত করে নিতে পারেন।

সাধারণত পাটের দোলনা, বেতের দোলনা ও লোহার দোলনা খুব সহজেই যে-কোনো জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া, বিভিন্ন অনলাইন শপ দোলনা নিয়ে কাজ করছে। কাঠের দোলনার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে নিজের মন মতো ডিজাইন দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। দোলনা মূলত ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়। এরপর দাম বৃদ্ধি পায় নকশার গুণগত মান ও কাঁচামালের ওপর ভিত্তি করে।