চুৃয়াডাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন

চুৃয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে  আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।

র‍্যালি পরবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একের অধিক জন্ম নিবন্ধন আইনগতভাবে অবৈধ। এজন্য ব্যাপক জন সচেতনতা তৈরি করতে হবে। একটি রাষ্ট্রের সঠিক পরিকল্পনা এবং বাজেট প্রণয়নের বিষয়ে জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন যদি হালনাগাদ না থাকে তাহলে ওই পরিকল্পনায় ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। যদি একজনের একাধিক জন্ম নিবন্ধন। তাহলে জনসংখ্যা বেশি দেখাবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জন্ম ও নিবন্ধন করা।

তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচনায় সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন সার্ভারের সমস্যার কথা। এটি খুব সহসায় কেটে যাবে। আমরা জেনেছি নতুন সার্ভারের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। হয়ত সেন্ট্রাল সার্ভারে সঠিকভাবেই কাজ করছে, ফিল্ডে এটি সঠিকভাবে সংক্ষরণ এবং এর যে কানেক্টিভিটি, কারিগরি কারণে অনেক ক্ষত্রে হয়ত স্লো হতে পারে। বিষয়গুলো আমরা উব্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে পত্রাকারে জানিয়েছি।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুৃয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গির আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম ভূঁইয়া।

চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও স্থারীয় সরকারের সহকারী পরিচালক শাহিদুল আলমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন, শংকরচন্দ্র ইউপি সচিব মাসুদুর রহমান, বেগমপুর ইউপি সদস্য আহমেদ কায়েস, গ্রাম পুলিশের দফাদার বিপুল দাস। আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেন কালেক্টরেট মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী কবির আহমেদ ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন বাবু সুনিল মল্লিক




জীবননগরের দত্তনগরে এসএসসি ৯৩ ব্যাচের রি-ইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার দত্তনগর বিএডিসি ফার্মের হলরুমে জীবননগর উপজেলার এসএসসি ১৯৯৩ ব্যাচের আয়োজনে এসএসসি -৯৩ রি-ইউনিয়ন ২০২৩ নামে ব্যচটির মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

রি-ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে শুক্রবার এসএসসি ব্যাচ ১৯৯৩ জীবননগর এর আয়োজনে দত্তনগর বিএডিসি ফার্মে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে ৯৩ ব্যাচের কয়েকশ বন্ধু উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণ, আড্ডা, শোক প্রকাশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে গান করেন ৯৩ এসএসসি ব্যাচের সদস্য শাহিন, শুমিত ও হাবিব। সবশেষে র‍্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মিলনমেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।




উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে – নঈম জোয়ার্দ্দার

আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ নানা উদ্যোগ জনগণের সামনে তুলে ধরতে আজ শুক্রবার বিকেলে জেহালা ফুটবল মাঠে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নঈম জোয়ার্দ্দার বলেন,বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে গিয়েছে। আজকে যদি আলমডাঙ্গার কথায় বলি,এই আলমডাঙ্গার রাস্তাঘাট কেমন ছিল? এখন প্রতিটি রাস্তার উন্নয়ন হয়েছে,ব্রীজ হয়েছে,আজকে পদ্মাসেতু দিয়ে যারা ঢাকায় যান,তারা দেখেছেন একটি নয়নাভিরাম সেতু, আল্প সময়েই ঢাকায় যাওয়া যায়। আজকে মেট্রো রেল,বঙ্গবন্ধু টানেল,সহ বড় প্রজেক্টের কাজ হচ্ছে,এ সব কে করেছে? তিনি আমাদের নেত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল রাস্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য বলতে হয়, উন্নয়নের সরকার,বারবার দরকার,জনগণের সরকার, বারবার দরকার।

দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকার,বারবার দরকার। এজন্য শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন,একটি দল প্রতিবারই সন্ত্রাস করে। যারা সামরিক শাসকের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। সেই দল অগ্নি সন্ত্রাস করে,মানুষ হত্যা করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসতে চাই। তারা জনগণের উপর আস্তা রাখেনা,আস্তা রাখে কার উপর, বিদেশী প্রভূদের উপর। বিদেশী প্রভূরা যখন বলে আন্দোলন যাও, তারা তখন আন্দোলনে যায়। আজকে যদি চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াত অগ্নি সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার চেষ্টা করে তাহলে যুবলীগ তা প্রতিহত করবে।

জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান শিলনের সভাপতিত্বে জনসভায়
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক সামসুজ্জোহা হাসু, জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আনোয়ার হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সোনাহার মন্ডল, যুগ্নআহবায়ক তাফসির আহম্মেদ মল্লিক লাল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আসাদুল হক ডিটু, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি খালিদ হোসেন, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, ছাত্রলীগ নেতা সৈকত, মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম প্রমূখ।
জন-সভায় সঞ্চালনা করেন জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল হোসেন।




আলমডাঙ্গার গড়গড়িতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গার মুন্সীগঞ্জ গড়গড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে এই ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

গড়গড়ী যুব সংঘের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় অঘোরনাথ একাদশ বনাম গোয়ালবাড়ী একাদশ অংশগ্রহণ করে। খেলায় নির্ধারিত সময়ে, কোন দল গোল না করতে পারায় টাইব্রেকারে গড়াই। টাইব্রেকারে ৫-৪গোলের ব্যবধানে গোয়ালবাড়ী একাদশ বিজয়ী হয়।

খেলায় জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগেরর সভাপতি হাসানুজ্জামান হান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফাইনালের পুরস্কার বিতরণ করেন।

টুর্নামেন্টের জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ: হান্নান মাষ্টারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহান আলী, আবু তাহের, মোস্তফা, ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সানজিদা মেম্বার ওযার্ড সেক্রেটারি হাসেম মাহমুদ মেম্বার, সভাপতি ছিদ্দিক আলী, সেক্রেটারি মিঠুন আলী, লিপন মেম্বার, জসিম মেম্বার, পারভেজ রিপন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রতন উজ্জ জামান প্রমুখ।




ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা দেবে গুগল

২০২০ সালে আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করে গুগল। এই নতুন সিস্টেমে যদি আপনার আশপাশে ভূমিকম্প হয় তাহলে একটি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সতর্ক করে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম চালু হলেও এখন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা চালু রয়েছে। আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম মূলত ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠায়। ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি নিরাপদ থাকার পরামর্শও দিয়ে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম কাজে লাগিয়ে চাইলে ভূমিকম্পের বিস্তারিত তথ্যও জানা সম্ভব।

কিন্তু কিভাবে এই নোটিফিকেশন পাবেন তা কি জানা রয়েছে? অনেকেই পদ্ধতিটি ভালোভাবে জানেন না। জানেন না বলেই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া জরুরি। কারণ ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা সামান্য বিষয় হলেও অনেক সময় ইতিবাচক অনেক কিছুই করা সম্ভব এভাবে।

যেভাবে চালু করবেন আর্থকোয়েক এলার্ট সিস্টেম

প্রথম ধাপ: প্রথমে স্মার্টফোনের সেটিংসে প্রবেশ করে ‘সেফটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি’অপশনে যাবেন। সেখান থেকে ‘আর্থকোয়েক অ্যালার্টস’ নির্বাচন করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: পরবর্তী পৃষ্ঠা থেকে আর্থকোয়েক অ্যালার্টস টগলটি চালু করতে হবে।

তৃতীয় ধাপ: নিচে স্ক্রল করে ‘সি আ ডেমোতে ট্যাপ করে পরীক্ষামূলক সতর্কবার্তা দেখে নেওয়া যাবে।

চতুর্থ ধাপ: ‘লার্ন আর্থকোয়েক সেফটি টিপস’ অপশনে ট্যাপ করে চাইলে ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ থাকার পরামর্শও পাওয়া যাবে। দেখে নেওয়া যাবে।

গুগল কিভাবে সতর্কবার্তা দিয়ে থাকে?

গুগল মূলত ব্যবহারকারীদের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে থাকা অ্যাক্সিলারোমিটার সেন্সর সুবিধা ব্যবহার করে থাকে। অ্যাক্সিলারোমিটার ভূমিকম্প উৎপন্ন হওয়ায় প্রাথমিক ‘পি’ তরঙ্গ বা ভূপৃষ্ঠের কম্পন শনাক্ত করতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু থাকলে ভূপৃষ্ঠের কম্পন শনাক্ত হলেই গুগলের সার্ভারে তথ্য পাঠাতে থাকে স্মার্টফোন।

বিভিন্ন স্মার্টফোন থেকে পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণের পর ভূমিকম্পের মাত্রা বুঝে ব্যবহারকারীদের ‘বি অ্যাওয়ার’ও ‘টেক অ্যাকশন’ নামে সতর্কবার্তা পাঠায়। সাধারণত ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ‘বি অ্যাওয়ার’ বার্তা পাবেন। এ সময় ভূমিকম্পের সম্ভাব্য উৎপত্তিস্থলের তথ্য জানানোর পাশাপাশি নিরাপদে থাকারও বিভিন্ন পরামর্শ দেয় গুগল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৪ দশমিক ৫–এর বেশি হলে পাঠানো হয় ‘টেক অ্যাকশন’ নোটিফিকেশন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ফোনে অ্যালার্ম বাজতে শুরু করবে। আপনাকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য তাড়া প্রথমে গুগল দেবে। প্রযুক্তির সহায়তায় অন্তত আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। গুগল আপনাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গণমাধ্যমে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা- চালুনি চোখ রাঙায় সুঁইরে

বাংলার ঘরে চালুনি আর সুঁই কে না চেনেন। কথায় আছে শতছিদ্রওয়ালা চালুনি ঠাট্টা করে সুঁইয়ের একটা ছিদ্র নিয়ে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি আরোপ নিয়ে রাস্ট্রদূত পিটার হাসের যে কড়া আলাপ, তা সেই প্রবাদ বাক্য মনে করিয়ে দেয়।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। এরপর বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক নেতা, সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়। সম্পাদকদের সংগঠন এডিটর্স গিল্ড বাংলাদেশ পিটার হাসকে এক চিঠি পাঠিয়ে গভীর উদ্বেগও জানায় ।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ‘এডিটর্স গিল্ড বাংলাদেশ’ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে তার বক্তব্যের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি পাঠায়। ৩ অক্টোবর পিটার হাস সেই চিঠির উত্তর দেন। তার চিঠির বাংলা অনুবাদ করলে যা দাঁড়ায় তাহলো, এডিটর্স গিল্ড থেকে চিঠি দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সম্প্রতি চ্যানেল ২৪-এ এক সাক্ষাৎকারে আমার দেওয়া বক্তব্যকে আরও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার সুযোগের প্রশংসা করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের অধিকার এবং বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেকোনও সরকারের সমালোচনামূলক মতামত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন ২৪ মে ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি নিয়ে বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবার দায়িত্ব রয়েছে—ভোটার, রাজনৈতিক দলগুলো, সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমসহ সবার। সমানভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে এসব প্রতিষ্ঠান যেন গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে।

সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন নীতিটি সম্পর্কে যোগ করে বলেছেন, এটি যেকোনও বাংলাদেশি ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা হবে।
এর মধ্যে যে কেউ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, যারা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেয় এবং যদি সেই পদক্ষেপগুলো গণতান্ত্রিক নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সরকার যখন তাদের রিসোর্স এবং সংস্থাকে ব্যবহার করে সেন্সরশিপ, ইন্টারনেট সংযোগকে সীমাবদ্ধ ও সাংবাদিকদের হয়রানি করবে, তখন আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকবো।

‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধেও আমরা কথা বলবো এবং আমাদের ভিসানীতি প্রয়োগ করবো।’

পিটার হাসের চিঠির কথা জানিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডিটর্স গিল্ড জানায়, ‘বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এবং তাদের রাষ্ট্রদূতের অবস্থানের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চায়। কারণ, তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হিসেবে সুপরিচিত।’

মিডিয়ায় যারা কাজ করেন তাদের উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। প্রশ্ন করা জরুরি, গণমাধ্যম কী কী ভাবে ভোটকে প্রভাবিত করবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। এর মাপকাঠি তারা কিসের ভিত্তিতে তৈরী করেছে? সেই জায়গা থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাখ্যা চাওয়ার অধিকার আছে।

যে আমেরিকা বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে চোখ রাঙায় তার নিজের দেশে সে কীভাবে মিডিয়াকে ব্যবহার করে- তার বহু নজির তারা সারা বিশ্ব রাজনীতিতে ছড়িয়ে রয়েছে।
মনে নেই কি কারো, সাবেক স্টেট সেক্রেটারি ও ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার নির্বাচনে মার্কিন গণমাধ্যম বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করেছিল। অনেকেরই ধারনা ছিল ট্রাম্প জয়লাভ করবেন না, জনপ্রিয়তার দিক থেকে হিলারি ছিলেন এগিয়ে। বলা হয়, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া বিতর্কিত ভুমিকা পালন করেছে।

বলা হয়ে থাকে ‘ঐতিহ্যগত’ ভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে গণমাধ্যম প্রভাব বিস্তার করে। ১৯৬০ সালের নির্বাচন থেকে এই প্রথা প্রচলিত। কারণ প্রার্থীর খবর যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ গণমাধ্যম থেকেই বেশি পেয়ে থাকে। একজন প্রার্থীর বিষয়ে কীভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, কতটুকু করা হচ্ছে তার প্রতি নাগরিকদের আলাদা দৃষ্টি থাকে। আর সেই দৃষ্টি থেকেই মার্কিন গণমাধ্যমের এই খোলামেলা অবস্থান সবার নজরে আসে।

কিংবা ধরুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বুশের প্রথম পর্বের সামরিক মন্ত্রী কলিন পাওয়েল যখন জাতিসংঘের মতো একটি সংস্থায় সবিস্তারে বর্ণনা করেন যে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের জিম্মায় এমন সব মারাত্মক অস্ত্র আছে যা দিয়ে পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেয়া সম্ভব, সাদ্দাম হোসেনের পতন না ঘটালে সারা দুনিয়া এক ভয়াবহ পরিনতি ভোগ করবে। সমগ্র বিশ্ব এই প্রচারনায় মেতে উঠলো যে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের কাছে “ওয়েপন অফ ম্যাস ডেসট্রাকশন” নামের এক মারাত্মক অস্ত্র আছে এবং এই অস্ত্রের একমাত্র টারগেট পশ্চিমা বিশ্ব। জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শক দল ইরাকে এমন কোনো অস্ত্রের সন্ধান পাননি, কিন্তু তাঁর পরেও আমেরিকা ও ইংল্যান্ড মিলে ইরাক আক্রমন করলো যার ভয়াবহ পরিনতির কথা আজ আমরা সকলেই জানি। সম্পূর্ণ ভুল ও বানোয়াট তথ্যের উপরে ভিত্তি করে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম আধুনিক জনপদ ইরাককে ধ্বংস করে দেয়া হয়। প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু ও কয়েক কোটি মানুষের উদ্বাস্তু হওয়ার কথা আমরা সকলেই জানি।

নোম চমস্কি তাঁর লেখায় তথ্য উপাত্ত সহ ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নিজেদের বানানো বয়ান কে বাস্তবতা বলে প্রচার করে এবং এই সকল বয়ানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সমগ্র পৃথিবীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দখল নেয়া। সমগ্র পৃথিবীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দখল নেয়াটা কখনও ঘটেছে সরাসরি যুদ্ধের মাধ্যমে, কখনও ঘটেছে কোনো দেশে গৃহ যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেয়ার মাধ্যমে, কখনও কোনো দেশে বা অঞ্চলে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে। আর এসবের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে গণমাধ্যমকে। চমস্কি দেখিয়েছেন কীভাবে প্রোপাগান্ডা মডেল বা রাষ্ট্র কিভাবে প্রোপাগান্ডা মেশিন গড়ে তোলে ও তাকে ব্যবহার করে জনগনের মাঝে এর বয়ানের স্বপক্ষে সম্মতি উৎপাদন করার জন্যে।

সেই আমেরিকা যখন বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে চোখ রাঙিয়ে বলে আভ্যন্তরীণ নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটালে পড়তে হবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় তখন বিস্ময় জাগে- আসলে কী নির্বাচনের জন্য তারা এসব বলছে? নাকি পিছনে বড় লুকায়িত কোনো স্বার্থ আছে, যা তারা ভয় দেখিয়ে অর্জন করতে চায়।

আরেকটা অতি প্রচলিত গল্প দিয়ে শেষ করি, একদিন এক বৃদ্ধার সন্তান মহানবী (সাঃ) কে বললেন তার মায়ের বহুমূত্র রোগ আছে। তাকে মিস্টি খেতে যেনো নবীজী নিষেধ করে দেন। মহানবী চুপ করে থাকলেন কিছুক্ষণ, তারপর সে সন্তানকে কিছুদিন পরে আসতে বললেন। সেই নির্ধারিত দিনে ছেলে তার মাকে নিয়ে গেলে নবীজি মাকে বুঝিয়ে বলেন কেনো তার মিস্টি খাওয়া ঠিক না। ছেলেটি তখন বললো- হে নবী, আপনি সেইদিনই কোনো কাজটি করলেন না। উত্তরে তিনি বলেছিলেন- সেসময় আমি নিজে মিস্টি খেতাম। সেদিনের পরে আমি নিজে মিস্টি খাওয়া ছেড়েছি। তারপর আমি মাকে ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমেরিকা নিজে যা করে তার একভাগও করেনি এমন দেশকে চোখ রাঙায় কেবল মোড়লি জিইয়ে রাখতে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




মেহেরপুরে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপিত

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করি, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি” প্রতিপাদ্যে সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরে র‍্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম হোসেনের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে যেয়ে শেষ হয়। র‍্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল কাদির, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাপতালের তত্বাবধায়র ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুর সাত্তার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আল মামুন, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস সহ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারীরা আলোচনা সভায় অংশ নেন।




কার্পাসডাঙ্গায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের অভিযানে বিশেষ ক্ষমতা আইনে (সাজাপ্রাপ্ত) আসামী গ্রেফতার।

জানা গেছে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা আরামডাঙ্গা চুরি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিনারুল (৩৮) পিতা আ: করিম’কে নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে রাত ৩ টার সময় গ্রেফতার করেন পুলিশ।

এই অভিযানে অংশ নেন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই ইমরান হোসেন ও এ এস আই মোসলেম উদ্দিন সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামিকে নিজ বাড়িতে থেকে গ্রেফতার করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত আসামিকে গতকাল দামুড়হুদা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান। একের পর এক অভিযানে সফল হওয়ায় কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের সকল সদস্যদের’কে সাধুবাদ জানিয়েছে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নবাসী।




মেহেরপুরে সিপিবির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মেহেরপুর জেলা শাখার কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় মেহেরপুর পৌর এলাকার পুরাতন বাসষ্ট‍্যান্ড পাড়ায় এই কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস‍্য কমরেড ডাঃ সাজেদুল হক রুবেল নির্দলীয় নিরেপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচি চালিয়ে জণগণকে সাথে নিয়ে বিকল্প বাম শক্তি গড়ে তুলে আন্দোলন-সংগ্রাম জোরদার করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এবং সেই সাথে শোষকদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায় করার লক্ষে শ্রমিক-কৃষকদের সচেতন থাকতে বলেন।

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতির অনুপস্থিতিতে কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন কমরেড শহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস‍্য কমরেড ডাঃ সাজেদুল হক রুবেল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড ইদ্রিস আলী।

এসময় সিপিবি’র মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড শহিদুল ইসলাম কাননের সঞ্চালনায় কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন কমরেড অ‍্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, কমরেড মুসা করিম, কমরেড মাহমুদুল হক, কমরেড রফিকুল ইসলাম, কমরেড আহসান হাবীব, কমরেড আব্দুল হাকিম, কমরেড গোলাম মোস্তফা, উষা, রাজনসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।




কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের অভিযান গ্রেফতার ১

কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালন করে বুপ্রেনরফেইন ইনজেকশনসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে।

দামুড়হুদা মডেল থানা মোঃ আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে কার্পাসডাঙ্গা ক্যাম্পের এসআই (নিঃ) ইমরান হোসেন, এএসআই (নি:) মোঃ মসলেম উদ্দিন, সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য (০৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার সময় দামুড়হুদা মডেল থানাধীন কার্পাসডাঙ্গা গ্রামস্থ জনৈক আব্দুল আলিম এর পরিত্যাক্ত মুদি দোকানের সামনে কার্পাসডাঙ্গা হইতে সুবলপুর গামী পাকা রাস্তার উপর হতে ধৃত আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম(৪২) পিতা- মৃত রমজান আলী, সাং- (ঝিনাইদহ বাসস্টান্ড পাড়া) থানা-সদর, বুপ্রেনরফেইন ইনজেকশন বহন করার সময় একটি FREEFOM মোটরসাইকেল এবং ৪০০(চারশত) পিচ বুপ্রেনরফেইন ইনজেকশন সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।