ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪’র সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪’র জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সদস্য সাদ্দাম হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদ ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, রিপোটার্স ইউনিটি, প্রেস ইউনিটি, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ গ্রহন করে।

সেসময় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান,সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু, সিনিয়র সাংবাদিক বিমল সাহা, নিজাম জোয়াদ্দার বাবলু, সাইফুল মাবুদ, দেলোয়ার কবির, আসিফ ইকবাল কাজল।

টেলিভিশন সংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান, মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি মিঠু মালিথা, রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবির, প্রেস ইউনিটির সভাপতি শাহিদুল এনাম পল্লব, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন মাহমুদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনের উপর হামলাকারী প্রধান আসামী ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে বাকী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনের উপর হামলার চালিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে স্থানীয় বখাটে বিপ্লব, ফিরোজসহ অন্যান্যরা। এ ঘটনায় বিপ্লবকে আটক করা হলেও বাকী আসামীরা এখনও আটক হয়নি। মানববন্ধনে প্রেসক্লাবের সভাপাতি এম রায়হান বলেন, সাংবাদিক সাদ্দামের উপর যারা হামলা করেছে তারা যত শক্তিশালীই হোক না কে তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশের তৎপরতায় প্রধান আসামী বিপ্লবকে গ্রেফতার করায় তিনি পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বাকী আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান।




ঝিনাইদহে শিক্ষক কর্মচারীর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির ১২তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ কাল্ব এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি আরিফ মিয়া।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাল্বের ট্রেজারার নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, গ অঞ্চলের ডিরেক্টর আরিফ হাসান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, কাল্বের জেলা ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, সদর উপজেলা ক্রেডিট ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃপাসিন্ধু বিশ্বাস। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাল্বের সদর উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক ফরহাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন ক্রেডিট ইউনিয়নের সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কে এম সালেহ।
অনুষ্ঠান শেষে পুরষ্কার বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার দুই শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী অংশ গ্রহন করেন।




মেহেরপুরের জমি দখলের অপচেষ্টাকারীর বিরুদ্ধে মামলা

মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের আইনউদ্দীন ওয়াকফ এস্টেট এর জমি দখলের অপচেষ্টাকারী ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার মোকাম বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন আইনউদ্দীন ওয়াকফ এস্টেট এর মোতুয়াল্লিল কাজী হাবিবুল বাশার (বাবলু)।

মামলার আসামিরা হলেন, আশরাফপুর গ্রামের মৃত নাজির শেখের ছেলে শওকত হোসেন (৫৫), আনারুল ইসলাম চেয়ারম্যানের ছেলে বারিকুল ইসলাম লিজন (৩৮), সিরাজুল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (৩৫), সাইদুল হক (৩২), তারিকুল ইসলাম (২৫), মো: আবুল হোসেনের ছেলে ফিরোজ হোসেন (৩৫), মিজানুর রহমান (২১) ও শওকত হোসেনের ছেলে হাসান আলী (২২)।

মামলার বিবরনে জানা গেছে, আইনউদ্দীন ওয়াকফ এস্টেট এর খতিয়ান নং সিএস ৬৩২, এসএ ৭৪৪, আরএস ৯০১ এবং দাগ নং সাবেক ১১৪৭, হাল ১৭৯৫ এর আশরাফপুর মৌজার ১.০৯ একর জমির মধ্যে ০.০৫০৪ একর জমি ওই গ্রামের আব্দুর রশিদ (ডাক পিয়ন) এর নিকট ১৪২৯ ও ১৪৩০ সালের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত লিজ দেওয়া রয়েছে। তপসিল বর্নিত জমিতে ২ টি আম গাছ ও একটি সেচ পাম্পের পাইপ বসানো রয়েছে। বিবাদীরা ওই জমি দখল নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। ইতোমধ্যে গত ১৫/০৯/২৩ তারিখে তারা জমিতে খুটি পুতে রাখে ও আম গাছ দুইটি কাটার চেষ্টা করে। এসময় প্রথম পক্ষ এবং লিজ গ্রহিতা আব্দুর রশিদ ও তাদের লোকজন বাধা দেন। পরে তারা গাছ কাটতে না পেরে ১৫ দিনের মধ্যে জমি দখল নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। প্রথম পক্ষ তাদের সাথে ক্ষমতায় পারবেনা বলে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

আদালত সদর থানায় মামলাটির নোটিশ জারির নির্দেশ দিলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সনোয়ার হোসেন আসামিদের নোটিশ জারি করেন।

এসআই সনোয়ার হোসেন বলেন, বিরোধীয় তফশিলভূক্ত সম্পত্তিতে শান্তিক শৃংখলা বজায় রাখতে নোটিশ জারি করা হয়েছে।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৪

মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৪ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

এদের মধ্যে সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলার ১ ও সিআর মামলার ১ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করে পুলিশ।

এছাড়া মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলার ২ আসামি গ্রেফতার হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট থানা সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় নৌকার পক্ষে যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গায় নৌকার পক্ষে যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন ও বিকাল পাঁচটার সময় আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদি ইউনিয়নে উঠান বৈঠক ও নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজা পারভীন।

এ সময় তিনি গণসংযোগের সময় সরকারের উন্নয়ন কাজের চিত্র তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করেন এবং তিনি বলেন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে নাকি জঙ্গিবাদ তালেবানদের হাতে যাবে সেটি নির্ধারণ হবে এ নির্বাচনে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, যদি মাটি ও পতাকাকে ভালোবাসেন তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ , মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন,শাওন, সিফাত,জিরান,সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




দর্শনায় পৌর আওয়ামীলীগের কর্মী সভায় এমপি টগর

দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের ৯টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে এক কর্মীসভা অনুষ্টিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সভায় চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে দৃর্বার গতিতে।শেখ হাসিনার সাফল্য ও উন্নয়ন মানুষের সামনে তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাইতে হবে।দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের মধ্যে ক্ষোভ অভিমান ভুলে যেতে হবে।শেখ হাসিনার সরকারকে আবারও ক্ষমতায় বসাতে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে নৌকার পক্ষে।নৌকা মার্কা বিজয়ী হলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। জাতির জনকের সোনার বাংলাদেশ গড়তে এ সরকার কাজ নিরলস ভাবে।

দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবুর উপস্থাপনায়, বিশেষ অতিথীর বক্তব্য দেন দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক গোলাম ফারুক আরিফ,সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, দামুড়হুদা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, আলীগ নেতা আঃ জলিল, মোজাহারুল ইসলাম, আব্দুর রফিক কাবি, হাবিবুর রহমান হবি, কামাল উদ্দিন আহম্মেদ সান্টু, মুকুল মিয়াজী, সোলায়মান কবির, জয়নাল আবেদীন নফর, দাউদ হোসেন, নেফাউর রহমান মন্টু, আব্দুল হাকিম, হুমায়ন কবির, ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ পারভেজ প্রমুখ। এ কর্মী সভায় ৯ টি ওয়ার্ডের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গার জগন্নাথপুর ট্রাক-ভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

আলমডাঙ্গায় চাল ভর্তি ট্রাকের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে কালা চাঁদ (৬২) নামে ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের জগন্নাথপুর জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, চাষের জন্য সার কিনে আলমডাঙ্গা থেকে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন কালা চাঁদ। এসময় জগন্নাথপুর জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি চাল ভর্তি (চুয়াডাঙ্গা ট-১১-০৯৩০) ট্রাকের সঙ্গে ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ভ্যানচালক কালা চাঁদ। ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ধান চাষের জন্য সার কিনতে আলমডাঙ্গা শহরে যায়। ঘণ্টাখানেক পর শুনতে পাই আমার স্বামী ট্রাক চাপায় মারা গেছে।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




টাকা পাচার বন্ধ করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুন, যুব ইউনিয়ন সভাপতি মাসুম

‘কর্মসংস্থান ও ভোটাধিকারের সংগ্রামে জেগে ওঠো তারুণ্য ‘ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কুষ্টিয়া জোনের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি যুবনেতা আবু তোয়াব অপু’র সভাপতিত্বে ও বায়েজিদ চাষার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য চৌধুরী হোসেন, খুলনা বিভাগীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য নিত্যানন্দ ঢালী, কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজাহিদুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির ঝিনাইদহ জেলার আহবায়ক স্বপন বাগচী।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী, চুয়াডাঙ্গা জেলার আহবায়ক জিয়াউর রহমান, মেহেরপুর জেলার আহবায়ক এ্যাড. মিজানুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক সোহেল খোন্দকার, চুয়াডাঙ্গা জেলার যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সদস্য ও জাতীয় পরিষদ সদস্য সুজন বিপ্লব, ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের ৯ দফা দাবী উপস্থাপন করেন এবং বেকারদের কর্মসংস্থানের দাবী জানান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য যুবনেতা মাসুম বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে যে বিপুল পরিমান টাকা পাচার হচ্ছে এই টাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে এই দেশের কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো। তিনি সরকারি চাকুরির শুন্য পদে দ্রুত নিয়োগের দাবী জানিয়ে বলেন করোনার কারনে দেশে কোটি যুবক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের বেশির ভাগ নতুন করে আর শ্রমবাজারে যেতে পারেনি, সরকার তাদের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয় নি। অথচ রাষ্ট্রের টাকায় ধনিক শিল্পপতিদের প্রণোদনার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে এতে যুব সমাজের কোনো কাজে লাগে নাই । করোনাকালীন কর্মহীন হয়ে পড়া ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ক্ষতিগ্রস্ত যুবদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।

করোনাকালীন প্রবাস ফেরত যুবদের প্রবাসে কর্মে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।কর্মহীন যুবদের জন্য বেকার ভাতা চালু করতে হবে। কর্ম প্রত্যাশীদের জন্য অনলাইন নিবন্ধন কেন্দ্র চালু করে নিবন্ধিত যুবদের এক বছরের মধ্যেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুষ ছাড়া চাকরি চাই, নিয়োগ ও বদলিতে বানিজ্য বন্ধ করতে হবে।




আলমডাঙ্গায় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক -১

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ নাঈম ইসলাম (২৫) নামের এক যুবকে আটক করেছে।

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার বাড়াদি পূূর্বপাড়ার স্কুলের সামনে থেকে তাকে আটক ও ট্যাপেন্টা উদ্ধার করে পুলিশ।

আটক নাঈম ইসলাম বাড়াদি ব্রীজপাড়ার সালাউদ্দিন আহমেদের ছেলে।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,আলমডাঙ্গার বাড়াদি পূর্বপাড়ার স্কুলের সামনে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে সংবাদ আসে। সংবাদের ভিত্তিতে থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের নির্দেশে এসআই (নিঃ) আশিকুল হক, এএসআই (নিঃ) রওশন আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানবালে নাঈম ইসলামকে আটক করে পুলিশ।

এ সময় তার কাছ থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৫০ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।




ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন হাব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল

বছর পাঁচেক আগেও দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষজন ভাবতে পারেননি তাদের জীবনযাত্রার মান আমূল পাল্টে যাবে। গ্রামের পরিবেশ হয়ে উঠবে আধুনিক। আনাচে-কানাচে গড়ে উঠবে ছোটবড় শিল্প কারখানা। দক্ষিণের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা হয়ে উঠবে পর্যটকদের তীর্থ স্থান। কিংবা দক্ষিণবঙ্গের জনপদ জুড়ে গড়ে উঠবে অত্যাধুনিক যোগাযোগ অবকাঠামো। জলযান লঞ্চের আট-দশ ঘণ্টার ভ্রমণকে ইতি জানিয়ে সহজেই মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় তারা পৌঁছে যাবেন রাজধানী ঢাকায়। দিনের কাজ শেষে রাজধানী ছেড়ে আবারও চলে যাবেন গ্রামে।

এক জাদুতেই এতো সব অসম্ভব মুহূর্তেই সম্ভবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে রাতারাতি। এক সময় যে সেতু ছিল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে মুধুই স্বপ্ন, সেটি এখন শুধু তাদের ভাগ্যের চাকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের গতিপথকেই পাল্টে দিয়েছে পদ্মা সেতু। শুধু যে পদ্মা সেতু তা নয়, এই সেতুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে করে এক্সপ্রেসওয়ে। একইসঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগযোগ ব্যবস্থারও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।

স্বাধীনতার পর বরাবরই অবহেলিত ছিলো ধান-নদী-খালের জনপদ বৃহত্তর বরিশাল। শুধু বরিশাল অঞ্চলই নয়, এর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আরো অনেকগুলো জেলা যোগাযোগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল যোজন যোজন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে এসবস জেলার কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট ও আক্ষেপ দূর হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে উন্নয়নের পালে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করেছে বরিশাল বিভাগের বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার চিত্র। এই ছয় জেলার প্রাণকেন্দ্র বরিশাল শহর হয়ে উঠছে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর বৃহত্তর বরিশালসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের পথের ক্লান্তি দূর হয়েছে। নৌপথের ৮-১০ ঘণ্টার জার্নি নেমে এসছে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায়।

দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, পদ্মা সেতুর কারণে এবং যোগাযোগ অবকাঠামোর অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটছে বরিশাল অঞ্চলে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে পায়রা বন্দর। এই দুই বড় অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে বরিশাল অঞ্চল দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে গড়ে উঠবে। এখন দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন বলা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েকে। অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হাইওয়েও হয়ে উঠবে দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন।

পদ্মা সেতু আর পায়রা বন্দরের কারণেই বরিশাল অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার ঘটছে দিনে দিনে। আগামী কয়েক বছরে এই অঞ্চলে ব্যাপক হারে গড়ে উঠবে শিল্পকারখানা। দেশের অর্থনীতিতে গতি আনবে এই অঞ্চল। ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে এবং কম সময়ে বরিশাল অঞ্চল থেকে রাজধানীঢাকাসহ সারাদেশে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন। একই সঙ্গে পায়রা বন্দরকে ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে ও কম খরচে ও আমদানি-রফতানি করতে পারবেন। ইতিমধ্যে এই বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি উৎসাহিত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এটা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে এবং অর্থনীতির গতিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। বিনিয়োগকারিরাও এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ঝুঁকছেন।

এদিকে শুধু পায়রা বন্দর নয়, মোংলা বন্দরও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে। যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটায় এখন মোংলাবন্দর ব্যবহার করা আগের চেয়ে সহজ হবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন,পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বরিশাল বিভাগ অর্থনীতিতে সরাসরি দুই ধরনের সুবিধা পাচ্ছে। প্রথমত, বরিশাল বিভাগসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তার লাভ করছে। বিনিয়োগ বাড়ছে। দ্বিতীয়ত, কৃষক সরাসরি উপকৃত হচ্ছে। তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সরাসরি ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে স্বল্প সময়ের পাঠাতে পারছে। এতে পণ্যের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।

গড়ে উঠছে শিল্প কারখানা, পদ্মা সেতু আর পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ঘটবে শিল্প বিল্পব। ইতোমধ্যে শিল্পায়নের কাজও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শিল্প গ্রুপ দ্রুততার সঙ্গে বরিশাল অঞ্চলে শিল্প কারখানা স্তাপনের জন্য জমি ক্রয় শুরু করেছে। কেউ কেউ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজও শুরু করেছেন। পায়রা সেতু থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের আশপাশে দেশের ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান মালিকরা জমি ক্রয় করেছেন। পায়রা বন্দর এলাকার আশপাশে জমি ক্রয় করেছে মদিনা গ্রুপ ও এমএম বিল্ডার্স নামের প্রতিষ্ঠান।

দক্ষিণের প্রধান সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে শতাধিক হোটেল- মোটেল। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার খাজুরা, গঙ্গামতী, কাউয়ার চর, ভোলা ও পটুয়াখালীর চরাঞ্চল এবং বরিশাল ও এর আশপাশে জমি ক্রয় করেছে সিকদার গ্রুপ, ইউএস বাংলা, সেঞ্চুরি, বসুধা, ওয়েস্টার্নসহ কমপক্ষে ১৫টি বড় বড় শিল্পমালিক। তারা ওই অঞ্চলে নির্মাণ করবে বিভিন্ন ধরনের ভারি শিল্প-কলকারখানা ও বহুতল ভবন। কুয়াকাটায় ১৭ তলা বিশিষ্ট ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের অপেক্ষায়। বরিশালের বিসিক শিল্পনগরীতে প্রথমবারের মতো পোশাক তৈরির কারখানা, বোতলজাত পানি পরিশোধনাগার ও কমফোর্টারের কারখানা গড়ে উঠেছে।

শুধু বরিশাল অঞ্চল নয়, ভাঙ্গা মোড় থেকে বরিশাল পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে এখন আর কোনো প্লট খালি নেই। সবগুলোই দেশের কোনো না কোনো শিল্প গ্রুপ বা বড় শিল্প উদ্যোক্তারা কিনে নিয়েছেন। গড়ে তুরছেন শিল্প প্রতিষ্ঠান। যে হারে এই অঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করেছে তাতে আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলে বেকারত্বের হার কমে আসবে ১০ থেকে ৩০ ভাগে।

বরিশালকে বলা হয় ‘ধান-নদী-খাল’ এর দেশ। পদ্মা সেতুর কারণে সেই নামের ফল পেতে শুরু করেছেন ওই অঞ্চলের কৃষকরা। বরিশালে ধান, শাকসবজি, নারকেল, সুপারি, পেয়ারা, আমড়া, তরমুজের পাশাপাশি তেজপাতারও চাষ হয়। এতো এতো উৎপাদন হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে এতোদিন এসব পণ্য তারা বাজারজাত করতে পারতেন না। পদ্মা সেতু ঘিরে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের কারণে এখন এসব পণ্যের বাজারজাত সহজ হয়েছে। এখন অন্যান্য কৃষিপণ্যের পাশাপাশি এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতা চাষের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে দিন দিন বাড়ছে নারকেল ও সুপারির বাগানও।

চাঁদপুরকে ইলিশের রাজধানী বলা হলেও মূলত বরিশাল অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি ইলিশের উৎপাদন হয়। সারাদেশে যে ইলিশ বাজারজাত হয় তার সবচেয়ে বড় অংশই হয় বরিশাল অঞ্চল থেকে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নযনের কারণে দিনের মাছ দিনেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। এমনকি কলকাতায়ও।
এতোদিন অবহেলিত থাকলেও পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনাময় ছোট-বড় নদীর জনপদ বরিশাল বিভাগজুড়ে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভবনা তৈরি করেছে পদ্মা সেতু। পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ কুয়াকাটাকে একটা মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় নিয়ে সরকার সেটিকে আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলছে। বরিশালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্টেডিয়ামসহ বহু স্থাপনা নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

কুয়াকাটা ছাড়াও বরিশালের দূর্গাসাগার, লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি, দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের বাড়ি, রায়পাশা কড়াপুরের মিয়া বাড়ি মসজিদ, গুঠিয়া মসজিদ, গৈলা মনসা মন্দির, বার্থি তারা মায়ের মন্দির, ভোলার জ্যাকব টাওয়ার, চর কুকরি মুকরি, নেছারাবাদের আটঘর কুড়িয়ানায় ভাসমান পেয়ারা বাজার ও নৌকার হাট, পটুয়াখালীর চর মন্তাজে দিনে দিনে বাড়েছে পর্যটকের সংখ্যা।

বরিশালের গ্রাম পর্যায়ে কাজ করার চিন্তা করছেন জানিয়ে রূপা ফ্যাব্রিক্স অ্যান্ড রূপা নিটওয়ারের কর্ণধার শামসুল আলম চুন্নু বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে রাজধানীর সঙ্গে বরিশালের দূরত্ব এখন মাত্র ৪ ঘণ্টার। তাই বরিশালের গ্রাম পর্যায়ে কাজ করার চিন্তা করছি। ইউজোম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মর্তুজা খান বলেন, অবশ্যই আমরা বরিশালে বিনিয়োগ করব। বরিশালের উন্নয়ন ঘটবে অভূতপূর্ব। পোশাক শিল্পকে আমরাই তো বরিশালে নিয়ে আসছি। শিগগিরই আমরা কার্যক্রম শুরু করব। বরিশাল চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে এ অঞ্চলে শিল্প কারখানা ও বিনিয়োগ। সুযোগ সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। এরই মধ্যে বিভিন্ন শিল্প কারখানার মালিকরা জমি ক্রয় করেছেন।

বরিশাল বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ও ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পণ্যবাহী ট্রাকগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আনা-নেয়ার সময় বিভিন্ন ফেরিঘাটে অনেক সময় দিনের পর দিন আটকে থাকত। যার জন্য আমাদের অনেক শিপমেন্ট বাতিল হতো। পদ্মা সেতু আমাদের সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিয়েছে।’