ভিসানীতি: বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হচ্ছে

লেখাটি শুরু করি ২০১৪-২০১৫ সাল থেকে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশময় তাণ্ডব করেছিল। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে পরের সেই তাণ্ডবে মারা গিয়েছিল ২৩১ জন নিরীহ মানুষ। এদের মধ্যে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ১৬৫জনকে। ওই সময় আহত হয়েছিল ১ হাজার ১৮০ জন। যাদের অনেকে আজও শরীরে ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন। সেসময় ২ হাজার ৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি ট্রেন ও ৮টি লঞ্চে আগুন দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট।

কারণ কী ছিল সেই সহিংসতার? সরকার বলছিল নির্বাচন হবে পৃথিবীর আর ১০টা গণতান্ত্রিক দেশের মত। আর বিএনপি জোটের দাবি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। এখনও সরকারে আছে আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন নিয়ে তাদের দর্শন থেকে সরে আসেনি। তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসেনি বিএনপি-জামায়াত। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না ঘোষণা দিয়ে সব নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে তারা।

ঠিক এই মুহূর্তে রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশি কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত জারি করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের বরাত দিয়ে তিনি বললেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধা দেয়ায় বাংলাদেশি কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারও নাম না উল্লেখ করে তিনি বললেন, যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তারা বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচারবিভাগের সদস্য এবং নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।

যাদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে সেসব ব্যক্তি তা তাদের পরিবারের সদস্যরা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। ভবিষ্যতে আরও কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করা বা এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলে তারাও এই নীতির আওতায় আসবেন। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সমর্থক।

এর আগে চলতি বছরের ২৫শে মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। তখন বলা হয়েছিলো যে, এই নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি যদি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে চিহ্নিত হন। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।

এই বিধিনিষেধ ঘোষণার পর থেকে নানামুখি প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে নানা মতের মানুষ। এই মুহূর্তে আমেরিকা সফররত খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভিসা নীতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আওয়ামী লীগেরও চাওয়া। তবে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে এ দেশের জনগণ ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতিও নিষেধাজ্ঞা দেবে। তিনি বলেন, ‘মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণায় বিরোধীদের কথাও বলা হয়েছে। এবার বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করতে পারবে না। এতে জনগণের জীবন বাঁচবে।’

ভিসানীতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ শুরু হয়েছে মাত্র। বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়নি। এই সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, নিজেরা নিজেদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন। এবার ২০২৪ সালে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তারা একইভাবে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। সরকারের লক্ষ্য বিরোধীদলকে বাদ দিয়ে আবারও একটি নির্বাচন করা। বর্তমান সরকার যদি ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দেয়, সেই নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু হতে পারে না এবং সেটা কখনোই দেশের মানুষ মেনে নেবে না।”

যুক্তরাষ্টের নতুন ভিসা নীতির নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কিছু বিরোধী দলের নেতার নাম আছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৮ বছর ধরে বিরোধী দলের তো কোন ভূমিকা নেই, তারা এমন কোন কাজ করেনি, যে কাজের জন্য একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে। যেহেতু বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন সরকার গণতন্ত্রকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন। তারা বারবার বলছেন বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কী হলে গণতন্ত্র সুষ্ঠু হয়? আজকের নিষেধাজ্ঞাদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতি কী? তারা কী তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানেন? এখানে আরেক দফায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণায় আসতে হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণাটি তিনি দিয়েছিলেন, গত মে মাসের ৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকারকে এই ভিসা নীতি আরোপ করার সিদ্ধান্ত জাননোর পর।

আরেকটু সরল করে যদি জিজ্ঞেস করি কেন ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন কেন অংশগ্রহণমূলক হলো না? এর দায় কী শুধু সরকারের? নির্বাচন করা তো সাংবিধানিক দায়িত্ব। সরকার সেই দায়িত্ব পালন করেছে। ২০০৮ সালে জনগণ আওয়ামী লীগকে সংবিধান রক্ষার ম্যান্ডেট দিয়েছিল। ভাঙার দায়িত্ব তো দেয়নি। সেই সময় থেকে বিএনপি-জামায়াত গো ধরেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। তত্ত্বাবধায়ক সরকারতো কোন স্বীকৃত নির্বাচন ব্যবস্থা নয়। পৃথিবীর কোথাও তো এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়নি।

নির্বাচনে বাধা দেয়ার প্রশ্ন যদি ওঠে, সেই কাজটি করেছে বিএনপি-জামায়াত। তারা নির্বাচনে আসেনি। দেশময় জ্বালাও পোড়াও করে মানুষের মধ্যে নির্বাচন ভীতি সৃষ্টি করেছে। যে ভীতি আজও কাজ করে মানুষের মধ্যে। সেসব নিয়ে আজকাল কথা বার্তা কম হয়। কিন্তু প্রশ্ন আসা উচিত ছিল, কেন বন্ধকী গণতন্ত্র জিইয়ে রাখতে চেয়েছিল বিএনপি-জামায়াত? কেন তারা সুষ্ঠু গণতেন্ত্রে ফিরতে চায় না? কেন তারা ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টে শেখ হাসিনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে চেয়েছিল? চক্রটি চেনার পরেও শেখ হাসিনা কী বার বার তাঁকে হত্যার অস্ত্র হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেবে?

যাই হোক, আগামী নির্বাচন এবং নতুন ভিসা নীতির কাছে ফিরে আসি। বিএনপি-জামায়াতের প্রিয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা কোথাও বলেননি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বার বার বলেছেন, একটি অংশগ্রনমূলক নির্বাচনের কথা। বিএনপি নির্বাচনে আসলেই তো নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়। সেটা সুষ্ঠু করার দায়তো সরকারের। সেই প্রতিশ্রুতিতো সরকার বার বার দিচ্ছে। নির্বাচনে কী হবে? সুষ্ঠু হবে কী না সেটা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তো মন্তব্য করা যাবে না। কারো বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের উপরতো একটি সংবিধান বা রাষ্ট্র ভর করতে পারে না। যত শক্তিধরই হোক যুক্তরাষ্ট্রতো বাংলাদেশকে সংবিধান ভাঙার পরামর্শ দিতে পারে না নৈতিকভাবে।

ভিসানীতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন কেমন হচ্ছে তা দেখার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে। এখন বিএনপির ভয় পাওয়ার কিছু দেখছি না। আসলে ভিসানীতি দিয়ে নির্বাচনের বল বিএনপির কোটে ঠেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন নির্বাচেনে আসা তাদের দায়িত্ব। এর পরেও যদি তারা না আসে তাহলে ব্লিংকেনের ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া দুর্বল’ করার অপরাধে পড়বে বিএনপি। ফখরুল সাহেবরা নিশ্চয়ই আর সেই অপরাধ করবেন না।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




মেহেরপুরে মাদক মামলায় দুই ব্যক্তির দণ্ড

মেহেরপুর পৃথক দুটি মাদক মামলায় অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড প্রদান করেছে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ’র আদালত। একই সাথে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।

দণ্ডিতরা হলেন, মেহেরপুর পৌরসভার চক্রপাড়া আঃ জলিলের ছেলে মোঃ রাজু ও নতুন পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার মৃত ইউনুসের ছেলে মোঃ জনি।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ’র আদালত এই রায় দেন।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, জি,আর ৪০০/২১ নম্বর মামলার আসামি মো. রাজুকে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায় আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর একটি জি,আর ১৬/১৮ মামলার আসামী মো. জনি কে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।




স্বামী প্রধান শিক্ষক হওয়ায় স্কুলে যাননা সহকারী শিক্ষক

স্বামী প্রধান শিক্ষক তাই দিনের পর দিন স্কুলে অনিয়মিত সহকারী শিক্ষক আনোয়ারা খাতুন। স্কুলে তার দেখা মিলে শুধুমাত্র অনুষ্ঠানে। অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক স্বামীর সাহায্যে বাড়িতে বসে নিয়মিত শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেন। বাড়িতে বসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে এভাবেই বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন তুলে নিচ্ছেন তিনি।

ঘটনাটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার এইচ এস কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনোয়ারা খাতুনের। তাঁর স্বামী ওই একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান। স্বামী প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এমন অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন আনোয়ারা খাতুন। স্কুলের ক্লাস রুটিনে সপ্তাহে মাত্র দুটি ক্লাসে তার নাম থাকলেও সেসব ক্লাস নিচ্ছে ওই স্কুলের অন্য শিক্ষকরা। এ নিয়ে অন্য শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও আনোয়ারা খাতুনের স্বামী আসাদুজ্জামান প্রধান শিক্ষক হওয়ায় তাদের দাপটে মুখ খুলতে ভয় পায় শিক্ষকরা।

আর শিক্ষার্থীরা আনোয়ারা খাতুন নামের একজন শিক্ষকের কথা জানলেও তাকে শেষ কবে দেখেছে তা সঠিক ভাবে মনে করতে পারেনা। অষ্টম শ্রেণির একজন ছাত্রী জানান, আনোয়ারা ম্যাডাম ক্লাস সিক্সে আমাদের ক্লাস নিয়েছে কয়েকদিন তারপর তাকে স্কুলে আমরা সেভাবে দেখিনি।

নবম শ্রেণির একজন ছাত্র জানান, আনোয়ারা ম্যাডাম শুধুমাত্র অনুষ্ঠানে আসেন। তিনি আমাদের কোন ক্লাসও নেয়না।

দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তিনি মাঝেমধ্যে স্কুলে আসেন কোন প্রয়োজন হলে। আনোয়ারা ম্যাডাম নিয়মিত স্কুলে আসেনা কেন এরকম কথা হলে হেডস্যার বলেন অসুস্থার জন্য ছুটিতে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার অনিয়মিত স্কুলে আসা নিয়ে কোন ছাত্রছাত্রী মুখ খুললেই তার জন্য কঠিন শাস্তি হবে এরকম ভয়ে প্রকাশ্য আমরা কেউ বলতেও পারিনা।

স্কুলে না আসার বিষয়ে জানতে আনোয়ারা খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোনে দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন অফিস থেকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ও আনোয়ারা খাতুনের স্বামী আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে টিফিন পিরিয়ডে ক্লাসে থাকার অজুহাতে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন অফিস থেকে তাকেও একাধিকবার ফোন ও পরিচয় দিয়ে বিষয়টি জানতে চেয়ে এসএমএস পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি এবং অভিযোগ শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। সরকারের বেতন নিবে সে কিন্তু স্কুলে যাবেনা এটা কোন কথার মধ্যে পড়ে না। আমিও জেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি বলবো।

মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আব্বাস উদ্দিন বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে আমি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।




ঝিনাইদহে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি বিভিন্ন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলিনায়তনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তাদের দাবি আদায় না হলে আগামী ২ অক্টোবর সারা দেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করবেন। এরপরও তাদের দাবি মানা না হলে ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এ কর্মসুচিতে সারাদেশে সকল সরকারি কলেজ, মাদ্রাসাসহ সকল দপ্তর ও অধিদপ্তরে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডাররা অংশগ্রহণ করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি ঝিনাইদহ জেলা ইউনিটের সভাপতি সরকারী কেশব চন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অশোক কুমার মৌলিক, সহ-সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মাসুদ ইসলাম, সহযোগি অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক আবু তাহের, কেন্দ্রীয় নেতা সহকারী অধ্যাপক ইমরান আলী। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় ৭০-৮০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।




প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর অপরাধে ঝিনাইদহে এক নারীর কারাদন্ড

স্বামী ও সন্তান ফেলে রেখে চাচাতো ভাইয়ের ভাইয়ের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে, সুমি খাতুন নামে এক নারীর এক বছর কারাদন্ড নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঝিনাইদহের একটি বিচারিক আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক রুমানা আফরোজ এই রায় দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড.শহিদুল ইসলাম জানান, ৯ বছর আগে ঝিনাইদহের দক্ষিণ কাস্টসাগরা গ্রামের সুমি খাতুনের সঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলার পারখিদ্দা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বিয়ে হয়।

সংসার করা অবস্থায় সুমি খাতুন চাচাতো ভাই সজিবের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টম্বর তার হাত ধরে পালিয়ে যায়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সুমি ও তার পরকীয়া প্রেমিক সজিবের বিরুদ্ধে ৪৯৪ ধারায় মামলা করেন আব্দুর রাজ্জাক।

বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সুমি খাতুনকে এক বছর কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। সুমির প্রেমিক সজিবকে আদালত বেকসুর খালাস দেন।




জীননগরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহনন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ট্রেনে কাটা পড়ে সুচায়ন(২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা-চুয়াডাঙ্গা রেলপথের উথলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি উপজেলার উথলী গ্রামের ঘোড়া মারা রেলগেট পাড়ার মো. রেজাউল হক ডাবলু বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুচায়ন (২৫) চাকরির সুবাদে দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম এলাকায় থাকতেন। গত এক মাস ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজ বাড়িতে ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবেন। চিকিৎসা খরচ ও পারিবারিক কলহের জেরে অভিমানে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০ মিনিটের দিকে পার্বত্যপুরগামী রকেট এক্সপ্রেস ট্রেন উথলী স্টেশন অতিক্রম করে ঘোড়ামারা রেলগেট এলাকা পার করার সময় সুচায়ন ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন।

এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

দর্শনা হল্ট স্টেশনের উপ-পরিদর্শক আতাউল রহমান জানান,দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাম হাত,পা শরীর থেকে বিচ্ছিন ও মাথায় মারাত্মক ভাবে আঘাতের কারণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




জীবননগর ইবনেসিনা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভুল অস্ত্রপাচারের অভিযোগ

জীবননগরে ইবনেসিনা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ভুল অস্ত্রপাচারের নওয়াজেস হোসেন (৪৮) নামের এক রোগী মৃত্যুর দোয়ারে।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নওয়াজেস হোসেনের ভাই মো. মোস্তফা। বর্তমানে নওয়াজেসের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর জীবননগর উপজেলার কাশিপুর দক্ষিণপাড়ার নওয়াজেস হোসেন (৪৮) জীবননগর হাসপাতালের অদূরে ইবনেসিনা ক্লিনিকে হার্নিয়া রোগ নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। সেই দিন রাত ৮টার দিকে নওয়াজেস হোসেনের ভুল অস্ত্রপচার করা হয়। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে গত ২১ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর জানায় তার ভুল অস্ত্রপচার করা হয়েছিল। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে রাখতে হচ্ছে। প্লাস্টিকের নাড়ীর মাধ্যমে তিনি বাথরুপ করছেন।

ইবনেসিনা ক্লিনিকের মালিক আব্দুল জব্বারের সাথে কথা বললে তিনি কলেন, আমাদের ক্লিনিকে কোনো ভুল অস্ত্রপচার করা হয়নি। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হাসানুজ্জামান নুপুর নওয়াজেস হোসেনের হার্নিয়ার অস্ত্রপচার করেছেন। রোগীর অবস্থা ভালোই ছিল। তবে তারা চিকিৎসকের নির্দেশনা মানেনি। শুধু এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরছে।

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হাসানুজ্জামান নুপুর বলেন, কোনো ভুল অস্ত্রপচার করা হয়নি। সঠিক অস্ত্রপচার করা হয়েছে। অস্ত্রপচারের পর রোগীর কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ সাঈদ হোসেন বলেন,জীবননগর ইবনেসিনা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে একটা লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




জীবননগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

জীবননগরে আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান,চালিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

এ ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন জীবননগর সহকারী কমিশনার (ভুমি) তিথি মিত্র। এ সময় তিনি বলেন,ফ্রি রোগী দেখার নাম করে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন করে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা বিভিন্ন সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে তিনি এই কাজ করেন।

কিন্তু রাশেদ চেম্বার করার কথা থাকলেও অভিযানের কৌশলে তিনি সটকে পড়েন। কনসালটেন্সি সেন্টারের নাম করে নিবন্ধন নিলেও প্রতিদিন বসেনা কোন কনসাল্টেন্ট। কনসালটেন্ট সেজে দিনের পর দিন সাদা কাগজের প্রেসক্রিপশন।কনসালটেন্টের চেয়ারে বসে রাশেদ নিজেই। কিন্তু আজ অভিযান পরিচালনার সময় পাওয়া যায়নি ডি এম এফ ডাক্টার রাশেদ। এটাও এক প্রকার প্রতারণার শামিল বলে ধরনা করছে সাধারন রোগিরা।

এ অভিযানে সহযোগীতা করেন জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও মুস্তাফিজুর রহমান সুজন, সেনেটারী ইনস্পেকটর আনিসুর রহমান, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সহ জীবননগর থানা পুলিশের একটি টিম।




দামুড়হুদা-জীবননগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র সহ নিহত ২,আহত ১

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলজ ছাত্র সহ ২ জনের মত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজলার খলিশাগাড়ি গ্রামর মজিদ আলির ছেল সালমান আলি (৪২) আলমসাধু চালিয়ে বাজার থেকে বাড়ি আসছিল।

এ সময় স্থানীয় মোড় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে নিজগাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই সে মারাযায়। অপরদিকে দর্শনা-জীবননগর সড়কের উথলী মোল্লাবাড়ি পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল চালক কলেজ ছাত্র দর্শনা রামনগরের মেহফুজের মর্মান্তিক মৃত্য হয়েছে। গুরুতর অহত হয়েছে একই গ্রামের মোটরসাইকেল আরোহী নয়ন।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে দর্শনা পৌরসভার রামনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসি হাসিবুলের ছেলে একই গ্রামের তার সহপাটি জিন্নার ছেলে নয়ন জীবননগর থেকে ফেরার পথে উথলী মোল্লাবাড়ি নামকস্থানে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরতর জখম হয় মেহফুজ ও নয়ন। তাদেরকে স্থানীয়রা দ্রত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার উন্নতি না হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকে রাজশাহী রেফার্ড করেন।

রাজশাহী নেওয়ার পথে পথিমধ্যে মারা যায় মেহফুজ (১৮)। মেহফুজের লাশ গ্রামে আনা হলে স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে বাতাস গ্রামে নেমে আসে শোকের মাতম। কোন অভিযোগ না থাকায় জনাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে এক বেদনা বিধুর পরিবেশে দাফন সম্পর্ন করা হয়েছে।

এদিকে দৃর্ঘটনার পরপরই জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পিকাপভ্যান ও মোটরসাইকেল জব্দ করেছে জীবননগর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান জানান, দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছে ট্রাকের চালক ও সহকারি হেলফার। জব্দ করা হয়েছে ট্রাকটি।ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




দামুড়হুদায় পিকআপ ভ্যানের সাথে ধাক্কা; আলম সাধু চালকের মৃত্যু

দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের খলিসাগাড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সালমান হোসেন (১৭) নামের এক যুবক আলমসাধু চালক গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকাপের সাথে ধাক্কা লেগে গাড়ি থেকে ছিটকে খাদে পড়ে মর্মান্তিক ভাবে নিহত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের একটি মাঠ থেকে সালমান কলা ভর্তি আলমসাধু ফরিদপুর কাচা বাজারে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যায়। কলা বিক্রয় শেষে বাড়ি আসার পথেই মধুখালী করিমপুরে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

সালমানের বাবা মজিদ জানান,আমার ছেলে কোন দিন এত দুর দুরান্তে গাড়ির ভাড়ায় যায়নি।কিন্তু গত সোমবার গাড়ির ভাড়া একটু বেশি পাওয়ার আশায় আলমসাধুতে কলা ভর্তি করে ফরিদপুরে যায়। সেখানে পৌঁছে কলা নামিয়ে আসার পথে পিকাপের ধাক্কায় সালমান নিহত হয়। স্থানীয় লাল্টু জানান, সালমান যখন আলমসাধু নিয়ে বাহির হয় তখন বলেছিলাম ওই রাস্তায় অনেক গতিরোধক(বিট) রয়েছে দেখে শুনে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তারপরও আলমসাধুর গতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা পিকাপের ধাক্কায় ছিটকে খাদে পড়ে নিহত হয়। আরও বলেন আনুমানিক ৩০/৪০ মিনিট পর সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সালমানের মৃত লাশ উদ্ধার করেন। সালমানের পকেটে থাকা মোবাইল ফোনে ডাইল নাম্বারে যোগাযোগ করেন তার আত্মীয়স্বজনের নিকট।

পুলিশ সংবাদ দিলে সালমানের মরদেহের সন্ধান পাই পরিবারের লোকজন। তবে তার নিহতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।