ঢাকায় নিয়োগ দেবে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘অফিসার / সিনিয়র অফিসার’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

অফিসার / সিনিয়র অফিসার – ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

স্বীকৃত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিষয়ে এমবিএ অথবা এমকম পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সিএ (সিসি) সম্পন্ন প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। প্রার্থীর তিন বছরের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়াও প্রার্থীর মাইক্রোসফট অফিসে অভিজ্ঞতা, বাংলা ও ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।

কর্মস্তল

ঢাকা (মহাখালী)।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীদের সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, জীবনবৃত্তান্ত নিম্নোক্ত ঠিকানায় পাঠাতে হবে। অথবা ই-মেইল করতে পারবেন (info.hr@radiant.com.bd) এই ঠিকানায়। ই-মেইলের সাবজেক্টে পদের নাম ‘অফিসার / সিনিয়র অফিসার – ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস’ উল্লেখ করতে হবে।

ঠিকানা : রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ২২/১ ধানমণ্ডি , রোড ২, ঢাকা-১২০৫।

আবেদনের শেষ তারিখ

২১ জানুয়ারি, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রবিউলের ৭ বছর দাদাগিরি

আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ভুয়া জন্মসনদ দিয়ে লাইসেন্স বানিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে দলিল লেখক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে । সে কুষ্টিয়া জেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।

দীর্ঘদিন যাবৎ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সমিতি ও দাপ্তরিক কর্মচারীদের আর্থিক আতাতের মাধ্যমে দলিল লেখকের কাজ চালিয়ে আসছে। ভুয়া নাগরিক ও জন্মনিবন্ধন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়েছে বলে অনেক দলিল লেখক অভিযোগ করেন।

স্থানীয় দলিল লেখকেরা অভিযোগ করে বলেন , গত ৭/৮ বছর পূর্বে আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের কাজ শুরু করেন রবিউল। সে নিজের বাড়ি কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামে দাবি করে ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করেন।

ভুয়া তথ্য ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা (ডিআরও) অফিসে দলিল লেখকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। তৎসম্পর্কে যাচাই-বাছাই না করে লাইসেন্স প্রদান করে ডিআরও অফিস।

এ নিয়ে বিগত দিন দলিল লেখকেরা প্রতিবাদ করলেও তা অদৃশ্য কারণেই ধামাচাপা পড়ে। এনিয়ে বিগত দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও (ডিআরও) বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করলেও রবিউলের লাইসেন্স পূর্ণবহাল থাকে।

ভুয়া দলিল লেখক রবিউল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে বাড়ি। তবে, দীর্ঘদিন যাবৎ আমি আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের কাজ করি। আমি আসাননগরে বসবাসের কারনে তখনই কাগজপত্র দিয়ে লাইসেন্স করেছি।

তিনি আরো জানান, এখনো ভোটার ও নাগরিক মীরপুর থানার আমবাড়িয়া ইউনিয়ন। দলিল লেখক রবিউলের নিকট লাইসেন্সের নাম্বার জানতে চাইলে সে দেখাতে পারেনি।

এবিষয়ে আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমজেদ হোসেন জানান, কোনো দলিল লেখক ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদে লাইসেন্স পাবে না। যদি কেউ তার তথ্য গোপন রাখে তাহলে দলিল লেখক বরাবর দলিল রেজিস্ট্রি না করার জন্য দরখাস্ত প্রদান করা হবে।

তিনি আরো বলেন, রবিউলের বিষয়ে আমাদের নিকট কোন তথ্য নেই। আমি খোজখবর নিয়ে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পেলে সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে ৮ আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের ২৪ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলায় ৮ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

রবিবার সন্ধা থেকে আজ সোমবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গোভীপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে তাজিবুর রহমান।

আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলায় ৩ জন এরা হলো বামনপাড়া গ্রামের মীর হারুনের ছেলে মীর বাপ্পি (২৬), পৌর কলেজ পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে লালন শেখ, ফৌজদারী পাড়ার শিহাবের ছেলে স্বাধীন।

এছাড়াও  সিআর মামলায় দুইজন মহিলাসহ ৪ জন আসামি এরা হলেন সুবিদপুর শিশির পাড়া মালার স্ত্রী মোছা: শ্যামলী খাতুন,ঝাউবাড়ীয়া স্কুলপাড়ার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী বুলবুলি খাতুন,আমদাহ গ্রামের ছাকু মন্ডলের ছেলে মো: আজাদ, মেহেরপুর র্কোটপাড়ার হয়রত আলীর ছেলে মো: সোহেল কে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম নির্দেশে এসআই সঞ্জিব,এএস আই শাকিলসহ পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে অংশ নেন।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ সোমবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে ।




কুষ্টিয়ায় ভেজাল সার বাজারজাত করায় মালিকের জেল-জরিমানা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ভেজাল ও নিম্নমানের সার বাজারজাত করায় মিলন আহমেদ (৩২) নামে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তাকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন অর রশিদ এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মিলন ২০২০ সালে স্থানীয় থানাপাড়া এলাকায় ম্যারিকো অ্যাগ্রোভেট নামে সার মোড়কজাত করার লাইসেন্স নেন। সেখান থেকে তিনি নিম্নমানের ভেজাল সার বাইরে থেকে সংগ্রহ করে মোড়কজাত করেন। এরপর সেটি বাজারে বিক্রি করে আসছিলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরও জানান, সারের বিষয়ে সন্দেহ হলে সেটি ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষা করে ভেজাল শনাক্ত হয়। ভেজাল সারের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইউএনও জানান, সার ব্যবস্থাপনা আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় অভিযুক্ত মিলন আহমেদকে সাত দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।




ভগ্নদশা মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের

শিক্ষক সঙ্কট, লাইব্রেরিয়ান নেই, হিসাবরক্ষক নেই, কর্মচারীও নেই তিন চতুর্থাংশ। নেই আর নেই এ ভগ্নদশায় চলছে জেলার মহিলা শিক্ষার একমাত্র শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ। কলেজের ৬টি বিভাগে কোনও শিক্ষক নেই, বিজ্ঞান অনুষদের তিনটি বিভাগের একটিতেও নেই কোন প্রদর্শক ( ডেমোনেস্ট্রটর), এছাড়া অফিস সহকারীর ১৪টি পদের মধ্যে আছেন চারজন, সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদ থাকলেও শুন্য রয়েছে, নেই হিসাবরক্ষকও।

এতসব নেইয়ের মাঝে আরো যেটি নেই তা হলো ঠিকমত ক্লাস। ফলে শিক্ষার্থীদের অন্য কলেজের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ে কোনমতে সিলেবাস শেষ করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে উর্দ্ধতন মহলে চিঠি দিলেও শুন্য পদে মিলছে শিক্ষক-কর্মচারী। অতিথি শিক্ষক দিয়ে কোনমতে গণিত ক্লাস করানো হচ্ছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ৬টি বিভাগ যার মধ্যে- ব্যবস্থাপনা, রসায়ন, প্রাণীবিদ্যা, গণিত, ইতিহাস, সমাজকর্ম বিভাগের কোন শিক্ষক নেই। অর্থনীতি বিভাগে অনার্স চালু রয়েছে। কিন্তু চারজন শিক্ষকের স্থলে আছেন ২ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ২ জনের স্থলে আছেন ১ জন, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ও জীব বিজ্ঞান বিভাগে কোন প্রদর্শক নেই, প্রধান অফিস সহকারী নেই, হিসাবরক্ষক নেই, অফিস সহকারী হিসেবে ১৪টি পদের স্থলে আছে মাত্র ৪ জন। ২৯টি শিক্ষকের পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ২০ জন।

উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষের ছাত্রী ফারমিন আক্তার পৃথি জানান, শিক্ষক সঙ্কটের কারণে কোন সপ্তাহে একদিন ক্লাস হয়, কোন সপ্তাহে হয় না। ফলে নিজগ্রাম মুজিবনগরের মোনাখালী থেকে শুধুমাত্র প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে শহরে আসতে হয়।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী পিংকি খাতুন, জুলেখা খাতুন জানান, ঠিকমত ক্লাস না হওয়ায় ছাত্রীরাও কলেজে আসে না।

উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করা মেঘলা খাতুন জানান, বিজ্ঞান বিভাগে পড়লেও দুই বছরে কোন দিন প্রাকটিক্যাল ক্লাস পায়নি ডেমোনেষ্ট্রেটর শিক্ষক না থাকায়। দুই বছর ধওে পৌর কলেজের হান্নান স্যারের কাছে গণিত, সরওয়ার স্যারের কাছে রসায়ন আর সাহিদ স্যারের কাছে বায়োলজি পড়েছি। কারণ আমাদের কলেজে কোন শিক্ষক নেই।

জেলা নারী শিক্ষার বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে ‘মেহেরপুর মহিলা কলেজ’ নামে কলেজটির যাত্রা শুরু হয় প্রায় ৩ একর জমিতে। পরবর্তিতে ১৯৯২ সালে জাতীয়করণের মধ্যে দিয়ে ‘মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ’ নামকরণ হয়। পরবর্তিতে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে

মুজিবনগর আম্রকাননের সমাবেশে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তিতে ২০১৩-২৪ শিক্ষা বর্ষ থেকে বাংলা ও অর্থনীতি দুটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে আরো তিনটি ব্যবস্থাপনা, ইংরেজি ও পৌরনীতি বিষয়ে অনার্স চালুর প্রক্রিয়া চলছে। তবে দিনের পর দিন এভাবে শিক্ষক-কর্মচারী সঙ্কটে ভুগতে থাকলে জেলায় নারী শিক্ষায় ব্যঘাত ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

অন্যান্য শিক্ষকরা এ নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলে কথা হয় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-কর্মচারী শঙ্কটে ভুগছি। কয়েকদফা চাহিদা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে, কোন সদুত্তর মেলেনি। শিক্ষক-কর্মচারীর শুন্য পদ পূরন না হলে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।




কুষ্টিয়ায় অনুমোদনহীন ৬ ইটভাটাকে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় অনুমোদনহীন ৬টি ইটভাটার মালিককে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভাটার দুই লাখ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলাম।

ভাটাগুলোর মধ্যে আদাবাড়িয়া এলাকার আরইউবি ব্রিকসকে ৫ লাখ, দুখীপুরের আরএনবি ব্রিকসকে ৩ লাখ, কিশোরীনগরের এসআরবি ব্রিকসকে ৩ লাখ, ডাংমড়কা এলাকার এমআরএন ব্রিকসকে ৩ লক্ষ টাকা, এনবিএল ব্রিকসকে ৫ লাখ ও প্রাগপুর মাঠপুর এলাকার বিএনবি ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ইট প্রস্তুত আইন-২০১৩ অমান্য করে ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি ব্যবহার, কাঠ পোড়ানো ও লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় ৬ ইটভাটার মালিককে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া জেলায় ১৬৮টি ইট ভাটা আছে। যার মধ্যে মাত্র ২২টি বৈধ। বাকি সব অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। আর দৌলতপুর উপজেলায় ২৯টি ইটভাটা আছে। এর মধ্যে মাত্র একটি ভাটা বৈধ। অবৈধ এসব ইট ভাটায় প্রতি মৌসুমে লাখ লাখ টন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। অবৈধ এসব ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।




ভুল টুইট করে ক্ষমা চাইলেন অমিতাভ বচ্চন

টুইট নিয়ে খুব সিরিয়াস বলিউড ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন। প্রত্যেক টুইটবার্তার শুরুতে নম্বর লিখে টুইট করেন তিনি। এ যেন ব্যতিক্রমী এক টুইট ব্যবহারকারী।

এবার টুইটের সেই নম্বর নিয়েই বাধল বিপত্তি। ভুল নম্বর লিখে টুইট করায় আরেকটি টুইটবার্তায় নম্বর ঠিক করে নিজের ভুলকে ‘ভয়াবহ ভুল’ আখ্যা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।

সাধারণত নম্বর দিয়ে টুইট করেন অমিতাভ। প্রতিটি টুইটে নম্বরের আগে জুড়ে দেন ‘T’। গতকাল রোববার তিনি এক টুইটে লেখেন- ‘T-৪৫১৫-ভয়াবহ ভুল! T-৪৫১৪ এর পর থেকে সব ভুল। যেগুলো T-৫৪২৪, ৫৪২৫, ৫৪২৬…এভাবে গেছে, সেগুলো হবে T-৪৫১৫, ৪৫১৬, ৪৫১৭…এভাবে। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

এ পর্যন্ত অমিতাভের টুইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫১৫। তার পরেই সংখ্যা গুলিয়ে ফেলেন তিনি। ৪৫১৪ নম্বর টুইটের পর ভুল করে এক হাজার বাড়িয়ে লিখে দেন ৫৪২৪।

সূত্র: যুগান্তর




তিন সংস্করণের জন্যই প্রস্তুত জাকির

জাকির হাসান ঘরোয়া ক্রিকেটে উজ্জ্বল এক নক্ষত্র অনেক দিন ধরেই। ২০১৫ সালে অভিষেকের পর প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা হয়েছে ৬৯টি। এরপর সবশেষ ভারতের বিপক্ষে গায়ে জড়াতে পেরেছেন টেস্ট জার্সি। দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা তাকে কতটা শাণিত করে তুলেছে, সেই প্রমাণ দিয়েছেন অভিষেক সিরিজে সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে। তবে সে শুধু ধর্য্য দিয়ে নয়, টি-টোয়েন্টিতেও মারকুটে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী তা বোঝালেন গত শনিবার বিপিএল ম্যাচে।

ক্ষুদ্র ফরম্যাটে যখন বাংলাদেশ ব্যাটার খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত সেসময় বিপিএলে মারকুটে ব্যাটিং দেখিয়ে আলোচনায় চলে আসলেন জাকির হোসেন। আসরের চতুর্থ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন জাকির। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তখনো সিলেটের প্রয়োজন ছিল ৫০ বলে ৯৩ রান। এমন সময় ব্যাটিংয়ে এসে শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন জাকির। আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ১৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংস।

জাকিরের এমন দানবীয় ব্যাটিং মনে ধরেছে সিলেট দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্বে থাকা সাবেক টাইগার পেসার নাজমুল হোসেনের। গতকাল রবিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই পেস বোলিং কোচ জানিয়েছেন, জাকির তিন ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলতে প্রস্তুত।

নাজমুল বলেন, ‘দেখুন কালকে যে ইনিংসটা খেলেছে জাকির…. আমি আমার খেলোয়াড়ী জীবনে বা অনেক দিন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি, এরকম ইনিংস রান তাড়ার ম্যাচে খুবই কম দেখেছি। যেটা ও গতকালকে করেছে। দেখুন, আমাদের খেলার যে মোমেন্টামটা ছিল সেটা কিন্তু ওর ইনিংসটা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি আশা করব, ও যদি এই মোমেন্টামটা ধরে রাখতে পারে তাহলে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য বড় সম্পদ হতে পারে।’

লম্বা সময় ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরম করছেন জাকির। সিলেট বিভাগের হয়ে খেলার কারণে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন নাজমুল। নিজেদের মধ্যে হওয়া কথোপকথনও সামনে এনেছেন তিনি। নিজেকে তিন সংস্করণের জন্যই প্রস্তুত করতে চান বলে নাজমুলকে জানান জাকির। এদিকে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে রান পাওয়ায় জাকিরের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলে মনে করেন সিলেটের বোলিং কোচ।

নাজমুল বলেন, ‘দেখুন, অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আমি জাকিরকে সবশেষ দুই-তিন বছর ধরে দেখছি, যেহেতু ও সিলেট বিভাগের হয়ে খেলছে। ও কিন্তু ওর ব্যাটিং নিয়ে খুবই চিন্তা করে এবং ও নিজেকে সেভাবেই তৈরি করছে, যাতে তিন সংস্করণেই খেলতে পারে। আমি ওর সঙ্গে অনেক দিন কথা বলেছি, যে আসলে তোমার পরিকল্পনা কি? ও যেটা বলেছে তা হলো, আমি যেহেতু ক্রিকেট খেলব তিন সংস্করণেই খেলতে চাই।’

সূত্র: ইত্তেফাক




হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলায় শোন এ্যারেস্ট সাংবাদিক জনি

ক্যামেরা ছিনতাই, প্রতারণা মামলার আসামি এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মিজানুর রহমান জনিকে হোটেল আটলান্টিকার ঘটনায় মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার মঞ্জুর করেছে আদালত।

গতকাল রবিবার দুপুরে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তারিক হাসানের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আশরাফ আলী গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানালে বিজ্ঞ বিচারক মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আশরাফ আলী জানান, হোটেল আটলাণ্টিকা কাণ্ডে মিজানুর রহমান জনির সমপক্ততা তুলে ধরে আদালতে শোন এ্যারেস্টের আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত শুনানী পর্যবেক্ষন শেষে তার শোন এ্যারেষ্ট মঞ্জুর করেছেন।

হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডে ব্লাকমেইলার চার সাংবাদিকের অন্যতম মিজানুর রহমান জনি। এ নিয়ে আসামি প্রিয়া খাতুন ও ছন্দা পৃথক পৃথক ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জনিকে অভিযুক্ত করেন। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে জনি আত্নগোপনে ছিলেন।

অপরদিকে, সাংবাদিক মোঃ মিজানুর রহমান জনি-কে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা গত ১৮ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে গ্রেফতার করে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটা টিম তাকে এনটিভি মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধির ক্যামেরা ছিনতাই ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করে।

গত ২২ এ নভেম্বর মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজে বাদি হয়ে একটা মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক রেজ আন উলবাসার তাপস। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানা পুলিশকে এফআরআই এর নির্দেশ দেন।




কালীগঞ্জের মাঠ থেকে  স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ^রবা এলাকার একটি মাঠ থেকে তাপস বিষ্ণু (৫৫) নামে স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার সকাল ১১ টার দিকে কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের ঈশ^রবা এলাকার জামতলা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। চাঁচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস বিষ্ণু উপজেলার গোপালপুর এলাকার সুনীল বিষ্ণুর ছেলে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, শনিবার রাত থেকে তাপস বিষ্ণু ঈশ^রবা জামতলা এলাকার দোকানে চা-নাস্তা খেয়েছেন। রাত ৯ টার পর থেকে তাকে আর এলাকায় দেখা যায়নি। সকালে কৃষকরা জমিতে পানি দিতে গিয়ে কাঁদার মধ্যে তাকে পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে।

তাপস বিষ্ণুর ভাই বিদ্যুৎ বিষ্ণু জানান, শনিবার দুপুর থেকে তার ভাই নিখোঁজ ছিলেন। অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে ভাইকে খুঁজতে তিনি কালীগঞ্জ শহরে আসেন। এরপর খবর পান ঈশ^রবা গ্রামের মাঠে একজনের লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ শনাক্ত করেন। তার ভাই দীর্ঘদিন মানসিক রোগে ভুগছিলেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।