দামুড়হুদায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

দামুড়হুদায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩ টার সময় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি তদন্ত শেখ মাহাবুব, দর্শনা থানার ওসি অপারেশন শফিউল আলম, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রসিদ, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রসিদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, উপজেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা রাফেজা বেগম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কমান্ডার, বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার বৃন্দ, উপজেলার ২২ টি পূজা মণ্ডপের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিটা পূজা মন্ডপে যেন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। আগত দর্শনার্থী মেয়েদের যেন কোনোভাবেই কেউ ইভটিজিং না করে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।

উপজেলায় এবার ২২ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে অবশ্যই উন্নত মানের তার ব্যবহার করতে হবে। কোনভাবে যেন শর্ট সার্কিট না হয়। প্রতিটি পূজা মন্ডপে অগ্নি নিরপনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পূজা চলাকালীন অবস্থায় কোনো নেশা বা অতিরিক্ত মদ্যপান করা যাবে না। সবাই মনে রাখবেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।

এসময় উপজেলার ২২ টি পূজা মন্ডপে খরচের জন্য কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস ২২ হাজার টাকা প্রদান করেন।




দামুড়হুদায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই টার সময় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি তদন্ত শেখ মাহাবুব, দর্শনা থানার ওসি অপারেশন শফিউল আলম, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রসিদ, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রসিদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, উপজেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা রাফেজা বেগম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কমান্ডার, বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার বৃন্দ সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আওয়ামীলীগ নেতা ও টিভি উপস্থাপক আসলাম শিহির ক্যান্সারে আক্রান্ত

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আসলাম শিহির দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকার বেশি প্রয়োজন। তিনি একাধারে আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যাভিনেতা, টিভি ও রেডিওর উপস্থাপক আসলাম শিহির

থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার কারণে আসলাম শিহির তীব্র ব্যাথা অনুভব করছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন। সেখানে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে চিকিৎসকরা তার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। দুর্ভাগ্যবশত অস্ত্রোপচার সফল হয়নি!
এরপর বায়োপসিসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎকরা জানান, তার থাইরয়েড ক্যান্সার হয়েছে। যার চিকিৎসা খরচ অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং দেশে সম্ভব না। চিকিৎসকরা ধারনা দিয়েছেন, এ জন্য ৫০ লাখ টাকার ওপরে খরচ হতে পারে।

কোন রকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন মানুষের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব না।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক উপ কমিটির সদস্য মেহেরপুরের আসলাম হোসেন শিহির। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুবার সাংস্কৃতিক সম্পাদক হন। এর আগে আসলাম হোসেন শিহির মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যক্তি জীবনে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে-মেয়ে দুজনেই স্কুল পড়ুয়া।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল এবং অবিচল এ সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাঁচতে চায়। আর এজন্য তিনি সবার দোয়া সহযোগিতা কামনা করেছেন।




মেহেরপুর ডিবির অভিযানে মুজিবনগরে ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মুজিবনগরে অভিযান চালিয়ে ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর তারানগর এলাকা থেকে মাজেদুল ইসলাম (৩০) ও বিপ্লব আলী(১৯) কে ২০ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করে ডিবি পুলিশ। আটক মাজেদুল ইসলাম জয়পুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ও বিপ্লব আলী একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে গোপন খবরের ভিত্তিতে এসআই উত্তম সহ ডিবি পুলিশের একটি টিম মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তারানগর জয়পুর সড়কে অভিযান চালিয়ে মাজেদুল ও বিপ্লবকে ২০ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করে।

ওসি ডিবি সাইফুল আলম জানান, আটককৃতদের মুজিবনগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছ। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।




ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নিয়ে ইইউ পার্লামেন্টে রেজুলেশন: জার্মান এমপি

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে ‘অধিকার’ ইস্যুতে রেজুলেশন সম্পর্কে জার্মান এমপি ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ বলেছেন, ‘আমি এর বিরুদ্ধে ছিলাম, কারণ সাধারণভাবে আমি এই প্রস্তাবগুলোর বিরুদ্ধে সত্যিই সন্দিহান। কারণ- প্রথমত এগুলো খুব তড়িঘড়ি করে এনজিওগুলো থেকে উত্থাপন করা হয়। যুক্তরাজ্যের ইউটুডে- কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানান তিনি।

ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ বলেন, ‘তারা (এনজিওগুলো) সাধারণত পুনরায় নিরীক্ষা না করা তথ্যকে গুরুত্ব দেয়। এজন্য আমি নিজে পুনরায় নিরীক্ষা করি। এরপর দুতাবাসগুলোকে তাদের যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ দেই এবং এটি সব দিক থেকে গুগলে সার্চ করি। সাধারণত আমি মনে করি না যে, এই ঘটনাগুলো বিশ্বাসযোগ্য। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ঘটনাটি বিশ্বাসযোগ্য ছিল না কারণ একজন এনজিও কর্মী পুলিশের সহিংসতা সম্পর্কে একটি ভুল বিবৃতি দিয়েছিলেন এবং এটি সত্যিকারের উত্থান বা দাঙ্গার কারণ হতে পারে এমন ঝুঁকি ছিল। এ ধরনের ভুল তথ্য ইউরোপেও শাস্তিযোগ্য।

তার মতে, ভুয়া এনজিও, যারা প্রায়শই মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে, প্রায়শই আইনপ্রণয়ন প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার জন্য ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সম্প্রতি ‘কাতারগেট কেলেঙ্কারির’ মতো তারা কখনও কখনও সংগঠিত অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়। তবে প্রায়শই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতিকে প্রভাবিত করার জন্য বিদেশি কুশীলবদের নিয়ে কমিশন করা হয়। এই ধরনের ঘটনাগুলো ইইউ প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে সমাধান করতে চাইছে।

বিষয়টি কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সে সম্পর্কে তার নিজস্ব সুপারিশ জিজ্ঞাসা জানতে চাইলে ক্রাহ বলেন, ‘অবশ্যই ভুল তথ্যের ক্ষেত্রে প্রথম বিষয়টি হচ্ছে- আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করা, তবে সাধারণভাবে আপনাকে এই এনজিও শক্তির পুরো কাঠামোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

তার মতে, একটি বিশাল মানবাধিকার শিল্প রয়েছে যা বিশ্বজুড়ে পশ্চিমা বৈদেশিক নীতির স্বার্থপ্রচারের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এর অর্থ হচ্ছে- আপনাকে সচেতন হতে হবে যে মানবাধিকার ইস্যুগুলো সংবেদনশীল বিষয় এবং এর জন্য নিবেদিত চমৎকার এনজিওগ্রুপ রয়েছে। তবে আপনাকে এটিও সচেতন হতে হবে যে, এটি এখন সমগ্র বিশ্বে তার বৈদেশিক নীতির এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পশ্চিমের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই প্রস্তাব বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইইউ এখন বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। বাণিজ্যিক সম্পর্ককে পরবর্তী উচ্চপর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমি বিষয়টিকে এতটাই স্পষ্ট মনে করি যে, শেষ পর্যন্ত এই রেজুলেশন, যার কোনো আইনগত ক্ষমতা নেই, এমন কোনও হুমকি হবে না যা আমরা অতিক্রম করতে পারবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুবই অর্থবহ ছিল। অবশ্যই, সংসদ সদস্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি গল্প শোনার পরে ভাল ব্যাখ্যা বোঝাতে চেয়েছিলেন। আমি পুরোপুরি বুঝতে পারি যে তারা সংবেদনশীল ছিল, তবে তারা পুরো চিত্র সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত ছিল না।’

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন অক্সফোর্ড ম্যাট্রিক্সের লিগ্যাল কনসালটেন্ট ড. রায়হান রশিদ । ড. রশিদ প্রস্তাবটিকে সমানভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং এটিকে “মূলত ভুল তথ্য” হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।

এটা কীভাবে ঘটতে পারে জানতে চাইলে ড. রশিদ বলেন, ‘পুরো মামলাটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলাটি শুরু হয়।

তিনি বলেন, ‘দেশ তখন তালেবানবাদী জঙ্গি অভ্যুত্থানের দ্বারপ্রান্তে ছিল এবং হেফাজতে ইসলাম ছিল তাদের দল, যার অর্থ তারা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে। অতএব, এটির উপর একটি ক্র্যাকডাউন ছিল, তবে এটি উন্মুক্ত ছিল এবং বিবিসিসহ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল সেখানে। গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে এ ধরনের ইসলামি জঙ্গিদের ছত্রভঙ্গ করতে চেয়েছিল পুলিশি অভিযান।’

তিনি জানান, পরের দিন ‘অধিকার’ (বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে ৬৩ জনকে হত্যার কথা বলা হয়। হেফাজত (মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের একটি কট্টর ডানপন্থী ইসলামী এক্টিভিস্ট গ্রুপ) এমনকি ২০ হাজার লোকের মতো বড় জনবল নিয়ে ঢাকায় এসেছিল। হেফাজতের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে অধিকার বলেছে, অভিযানের কারণে ৬৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

ড রশিদ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন মানবাধিকার কর্মী। সবাই উদ্বিগ্ন ছিল এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিল এবং কয়েক দিন পরে, আমরা দেখলাম যে, যাদের নিখোঁজ বলে দাবি করা হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে তারা সামনে এসেছিল। সুতরাং, বিষয়গুলোর শুরুতেই আমি এটি বুঝতে পারি। গণমাধ্যম বা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে স্কুপ আছে, কিন্তু সব সংশোধনের পরও তারা তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেনি।’

ইউ টুডে ড. রশিদের জাছে জানতে চায়- অধিকার কি সরকারের কাছে বিশেষ কোনো দাবি করেছে?

তিনি তখন জানান, যখন তারা এই স্কুপটি নিয়ে এসেছিল, তখন তারা তদন্তের দাবি করেছিল। কারণ একটি দেশে, এমনকি একটি ইসলামী অভ্যুত্থান বা বিদ্রোহের প্রচেষ্টার পরেও ৬৩ জনের নিখোঁজ হওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। এটাই ছিল পরিস্থিতি। আমিসহ সবাই তদন্তের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু পরে তা বাতিল হয়ে যায়। অধিকারের সমস্যা ছিল যে তারা তাদের গল্পটি সংশোধন করেনি যা তারা আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ মানবাধিকার সংস্থার কাছে বারবার পুনরাবৃত্তি করেছিল। আর সেসব প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে কোনো অফিস নেই, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের কোনো সক্রিয় তদন্ত ব্যবস্থা নেই, তাদেরকে অধিকারের ভাষ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবেই অধিকারের গল্প বার বার রিসাইকেল করা হয়েছে।

অধিকারকে তালেবানের সাথে যুক্ত করার কোনও প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে ডঃ রশিদ বলেন, ‘না, অধিকারের ক্ষেত্রে আমি এটা বলবো না। আমি মনে করি এটা অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের ব্যাপারে বেশি ছিল। তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী ছিলেন, কিন্তু বিএনপি শাসনামলে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলও ছিলেন। আমি জানি না তার মনে বা সংগঠনের মধ্যে কী চলছে বা কোনও রাজনৈতিক প্রেরণা ছিল কিনা।’




আলমডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে মহড়া

আলমডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ‘অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ স্লোগানে দিবসটি পালিত হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতা মূলক মহড়া প্রদর্শন করে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

সচেতনতা মহড়া প্রদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার ( ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, শিক্ষা অফিসার সামসুজ্জোহা, কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভির, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আরিফুদ্দৌলা, মহিলা তথ্য আপা স্নিগ্ধা দাস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিদ আহমেদ।

ভূমিকম্প প্রতিরোধ ও অগ্নি নির্বাপক মহড়ার নেতৃত্ব দেন আলমডাঙ্গা ফায়ার স্টেশনের আল মামুন ।




আলমডাঙ্গায় ইউপি মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন

আলমডাঙ্গা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় থানাপাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লাবলুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মজনুর রহমান জান্টু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামীম রেজা, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রনি আহমেদ। আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লিটন মোল্লার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাদল রশিদ, জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনারুল ইসলাম, জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাসেম আলী, খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহাবুল ইসলাম, জামজামী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুবুল হক, বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহাদাত হোসেন, জামজামী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাশেদুজ্জামান রাজিব।

সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে জেলা পরিষদের সদস্য মজনুর রহমান জান্টুকে আহবায়ক ও ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লাভলুর রহমান ও বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামীম রেজাকে যুগ্ন আহবায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আলমডাঙ্গা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন করা হয়। অবশিষ্ট কমিটির নাম পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।




চুয়াডাঙ্গার কোটালী গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকে তালা কেটে মটর চুরি

চুয়াডাঙ্গার কােটালী স্কুল পাড়ায় অবস্তিত কমিউনিটি ক্লিনিকের তালাকেটে মটর পাম্প চুরির ঘটনা ঘটছে। কােটালী গ্রামের একের পর চুরির ঘটনায় ভাবিয়ে তুলছে গ্রামবাসিকে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের কােটালী স্কুল পাড়ায় অবস্তিত কমিউনিটি ক্লিনিকের তালাকেটে রুমের মধ্যে চাের ঢুকে মটর পাম্প চুরি করে নিয়েগেছে চাের।

এদিকে গত এক সপ্তাহর ব্যাবধানে কােটালী গ্রাম থেকে মাটরসাইকল চুরি, পাখি ভ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছ। কােটালী গ্রামের একের পর চুরির ঘটনায় ভাবিয়ে তুলছে গ্রামবাসিকে।




মেহেরপুরে নারী উদ্যোক্তার জুয়েলারী শোরুম উদ্বোধন

মেহেরপুরে নারী উদ্যোক্তা সাবিনা ইয়াসমিন (স্বপ্না)র জুয়েলারী সামগ্রীর শো-রুম স্বপ্না গোল্ড প্লেট জুয়েলারী হাউজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে মেহেরপুর কাঁসারী বাজারের অবস্থিত স্বপ্না গোল্ড প্লেট জুয়েলারী হাউজ শো-রুমের উদ্বোধন করেন মেহেরপুর হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল শিমন।

এসময় সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি কিশোর পাত্র, সাধারণ সম্পাদক শেখ মমিনুল ইসলাম মমিন, গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মন্টু,
আব্দুল মজিদ, মনা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর মনা, মোস্তাফিজুর রহমান তপন সহ কাঁসারী বাজারের ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।

স্বপ্না গোল্ড প্লেট জুয়েলারী হাউজের স্বত্তাধিকারী সাবিনা ইয়াসমিন (স্বপ্না) জানিয়েছেন, সকল প্রকার মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে সুলভ মূল্যে আধুনিক ডিজাইনের গোল্ড প্লেটড জুয়েলারী সামগ্রী পাওয়া যাবে স্বপ্না গোল্ড প্লেট জুয়েলারী হাউজ শো-রুমে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্বপ্না গোল্ড প্লেট জুয়েলারী হাউজের সাফল্য ও উন্নতির কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ।




বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রপচার বন্ধে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সভা

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিকৃত তথ্য উপস্থাপন ও অপপ্রচার বন্ধে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  গতকাল বুধবার (১১ অক্টোবর) ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাংলাদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টাডি সার্কেলের যৌথ পরিচালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ এবং বক্তা হিসেবে ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস ব্যাক বার্ন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস র্ল্যাকবার্ন আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ রশিদ রায়হান বিন এবং স্টাডি সার্কেল লন্ডনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল আলী।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলোচনা সভায় বিভিন্ন পেশার মানুষ একত্রিত হন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে তথ্যের অপপ্রচার চলছে তা কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

ড. ক্রাহ সংবাদ উপস্থাপনে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এনজিও মানে বেসরকারি সংস্থা কিন্তু প্রায় সব এনজিওরই একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।কিছু সংস্থা হয়ত নিজস্ব স্বার্থে তথ্য বিকৃত করে প্রচার করে, যার ফলাফল হয় আরো ভয়াবহ।’

বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি ও উন্নয়নের চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন মোজাম্মেল আলী। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এতো কাজ বর্তমান সরকার ছাড়া আর কেউই করেনি।

বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রসঙ্গে রাশিদ বিন রায়হান বলেন, আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পর্যবেক্ষকদের উচিত বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে প্রচারিত সংবাদগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখা যেন কেউ কোনও বিকৃত সংবাদের ফাঁদে না পড়ে।