শেখ হাসিনায় আস্থা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যু। বলা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকারের প্রশ্নে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ রক্ষা করেনি। পাশাপাশি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদও দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে কেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে হৈ চৈ? গেল ১৫ বছরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা কিছুই কী নিশ্চিত হয়নি? সনাতন ধর্মালম্বীরা কী সত্যিই ভালো নেই? ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৮ সালের মতো দলে দলে দেশান্তরি হচ্ছে? সংসদে কী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পর্যাপ্ত প্রতিনিধি নেই?

দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকারের প্রশ্নে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ রক্ষা করেনি—এমন অভিযোগ তুলেছেন সংখ্যালঘু নেতারা। অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতিও ছিল আওয়ামী লীগের ইশতেহারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। এপ্রসঙ্গে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের বক্তব্যে বলা হয়েছে, অবজ্ঞা, অবহেলা ও সংখ্যালঘুদের নাগরিক হিসেবে গণ্য না করার মানসিকতা থেকে এসব দাবি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল- একটি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করে সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা। এছাড়া প্রতিশ্রুতি ছিল – অর্পিত সম্পত্তি সংশোধনী আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত স্বত্বাধিকারীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা; বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন এবং সমতলের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন। এসব দাবি বহু দিন থেকে করে আসছিল বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা।

বর্তমান সরকারের শেষ সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য করা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ছেন অনেকে। এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনও করছে কয়েকটি সংগঠন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আড়াই লাখ মানুষের স্বাক্ষরসংবলিত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছে। এছাড়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১২ এপ্রিল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ১৯ ফেব্রুয়ারি এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ারের সঙ্গে ১৭ জুলাই বৈঠক করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও তার নেতৃত্বে সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্যমোর্চার নেতারা। পাশাপাশি সরকারকে চাপ দিতে আগামী ৪ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

আওয়ামী লীগ সরকার কী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কী কিছুই বাস্তবায়ন করেনি? আসুন পরিসংখ্যান দেখা যাক, বর্তমান সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কী করেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য দীর্ঘ ৬০ বছরের পুরানো সমস্যা মিটিয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরকে দেড় বিঘা জমি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তির উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তি মালিকানা দেওয়ার ক্ষেত্রে হেবা আইনের নিয়মমাফিক নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে সম্পত্তি হস্তান্তর করার সমান সুযোগ দেওয়া হয়েছে। হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রি আইন; শত্রু সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন করা হয়েছে। মন্দির সংস্কার, মন্দিরভিত্তিক শিক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করছে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং সালের বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট একই ভাবে কাজ করছে।

আগে সংসদে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন মাত্র দুজন। এখন সংসদে সদস্য ২৩ জন। বিগত সরকারের সময়ে শুধু নামের কারণে অনেক যোগ্য ব্যক্তিকেও চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, নিয়োগ হলেও পদোন্নতি হয়নি। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে অংশীদারত্ব ও প্রতিনিধিত্ব গত ১৪ বছরে এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আগের চেয়ে প্রশাসনে সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য কেউ ছিলেন না, এখন হচ্ছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে প্রধান বিচারপতি হয়েছেন।

মূলত অর্পিত সম্পত্তি সংশোধনী আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত স্বত্বাধিকারীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, সেটিই শুধু বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও অনুন্নত সম্প্রদায়ের জন্য আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বেশিরভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। যেমন- তিন পার্বত্যজেলার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্য রাখা; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জমি, জলাধার ও বন এলাকায় অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত ও চা-বাগান শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা; ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও অন্য সম্প্রদায়ের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনধারার স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণ করা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এখন প্রধান দাবি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। যদিও এবিষয়ে মতামত জানতে সংগঠনটির নেতাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন। তখন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, অত্যন্ত হৃদ্যতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ঐক্য পরিষদের পক্ষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বিগত ১৪ বছরে দেশের যে প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে তার প্রশংসা করার পাশাপাশি ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যাসমূহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্রিক জটিলতা থাকে। আর তার দুর্নাম বইতে হয় সরকারি দলকে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে প্রতিশ্রুতি আছে, তার প্রতিটি বিষয় নিয়ে কাজ চলছে। যেমন আইনগুলো প্রণয়ন করা, কোনোটা সংসদে আছে, কোনোটা আইন মন্ত্রণালয়ে আছে, কোনোটা বিল আকারে পেশ হয়েছে, কোনোটা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পেন্ডিং (ঝুলে) আছে।

জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন না হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কিছুই করেনি তা বলা ঠিক হবে না। কারণ জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন কীভাবে গঠন করা হবে, এর পরিধি বা কাজ কী হবে নানান বিষয় জড়িয়ে আছে। সবাই দাবি জানিয়েছে কিন্তু কেউ এর রূপরেখা দেয়নি যে কেমন হতে পারে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন। তাই সরকারকে নানা উপায় ও পথ দেখতে হচ্ছে।

ভারতে ১৯৯২ সালে ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটিস (এনসিএম) গঠন করা হয়। এই কমিশন সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে। সংবিধানে প্রদত্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার কর্তৃক সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কার্যকর সুপারিশ করে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে কোনো বৈষম্যের কারণে তৈরি হওয়া সমস্যা নিয়ে গবেষণা করে এই কমিশন। এছাড়া সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাগত উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যয়ন, গবেষণা ও বিশ্লেষণ পরিচালনা করে। এছাড়া ভারতে রয়েছে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যার অধীনে রয়েছে, সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশন, জাতীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও অর্থ অধিদপ্তর, হজ কমিটি, মৌলানা আজাদ শিক্ষা ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ওয়াকফ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লি., দর্গা খাজা সাহেব আজমীর, কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল, ভাষাগত সংখ্যালঘুদের কমিশনার।

পাকিস্তানেও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের জন্য আলাদা কমিশন আছে। ২০১৪ সালে পেশোয়ার গির্জায় বোমা হামলার মামলার পর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সংখ্যালঘুদের জন্য একটি জাতীয় কাউন্সিল গঠন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। পরে ২০২০ সালে গঠন করা হয় পাকিস্তান ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটিজ। তিন বছর মেয়াদের এই কমিশনে চেয়ারম্যানসহ ছয়জন সরকারি এবং ১২ জন বে-সরকারি সদস্য রয়েছে। বেসরকারি ১২ জনের মধ্যে রয়েছে ২ জন মুসলমান, ৩ জন হিন্দু, ৩ জন খ্রিস্টান, ২ জন শিখ, ১ জন পার্সি এবং ১ জন কালশা সম্প্রদায়ের। যদিও এই কমিশনের খুব বেশি ক্ষমতা নেই। কারণ এটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন। এছাড়া সংখ্যালঘু কমিশনে দু’জন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান সদস্য করায় সমালোচনাও হয়েছে।

আমাদের দেশে কীভাবে গঠন করা হবে সংখ্যালঘু কমিশন, তার ক্ষমতাই বা কী হবে, পাকিস্তানের মতো নখ-দন্তহীন সংখ্যালঘু কমিশন নাকি ভারতের মতো হবে এনিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে। সংখ্যালঘু কমিশনের ক্ষমতা-কর্মপরিধি ইত্যাদি বিষয়ে একটি রূপরেখা তুলে ধরা দরকার। এই কাজটি করতে পারে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ যে কোনো সংগঠন। পাশাপাশি তৈরি করতে হবে জনমত। এজন্য এগিয়ে আসতে হবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সব সংগঠনকে। পাশাপাশি সংসদে যারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদেরও অনেক দায়িত্ব আছে। এছাড়া যারা দেশের মানুষের মধ্যে সাম্য চান, যারা বাংলাদেশের সম্প্রীতি চান তাদেরও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। শুধু সরকারের গুণগান করলেই হিতৈষী হওয়া যায় না। সরকারের অঙ্গিকারগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়া এবং সেগুলো বাস্তবায়ন না হলে জনগণের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করে দেওয়া হিতৈষীদের অন্যতম কর্তব্য।

সংখ্যালঘুদের জন্য কেউ যদি আন্তরিকতার সাথে কিছু করে থাকে যেটি আওয়ামী লীগ করেছে। এজন্য এখনো দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে নিজের যতটা অধিকার, ঠিক ততটাই অধিকার দেশের প্রতিটি ধর্মের মানুষের। তাই নিজেদের সংখ্যালঘু না ভেবে দেশের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার নিয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




ফরহাদ হোসেনকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবী

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপিকে আগামী সংসদ নির্বাচন েেদলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার দাবীতে একাট্টা ঘোষণা করেছেন নেতারা।

মঙ্গলবার বিকালে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তিকে দূর্বলকারী, দল ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী চক্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক , আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভীতি প্রদর্শণ ও ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের কুশিলব ,দুর্নীতি , স্বজনপ্রীতি ও পারিবারিক করণের একমাত্র দলবিরোধী সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবী জানান নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে মিয়াজান আলী বলেন, মেহেরপুরে আওয়ামী লীগকে এক ব্যক্তি ঘরবন্দী করে রেখেছেন। তবে সময় এসেছে আওয়ামী লীগকে আবার রাজপথে সক্রিয় করার। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের হাতে নেতৃত্ব চলে যাওয়ায় দলের ত্যাগী নেতা–কর্মীরা ছিটকে পড়েছেন। এর সুযোগ নিয়েছে বিএনপি–জামায়াত। আগামী সংসদ নির্বাচনে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। ফরহাদ হোসেনকে আবার মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁর পক্ষে কাজ করবেন না।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, নৌকার মাঝি পছন্দ না হলে আমি ননৌকায় ভোট দেব না, আর যদি পছন্দ হয় তাহলে স্বর্বস্ব দিয়ে নৌকার বিজয় ঘরে তুলবো।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল বলেন, ‘সারা জীবন আওয়ামী লীগের জন্য জেল–জুলুম, বোমা হামলার শিকার হয়েছি। এরপরও আমি নাকি আওয়ামী লীগের কেউ না। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজের পছন্দমতো লোকদের নিয়ে দল চালান। সেখানে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতারা ঠাঁই পান না। যখন নির্বাচন আসে তখন তিনি দল গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরে কাউকে মনে রাখেন না। প্রধানমন্ত্রীর কছে আকুল আবেদন, এমন নেতাকে যেন মনোনয়ন না দেওয়া হয়। তাঁকে বাদ দিয়ে যে কাউকে মনোনয়ন দিলে তাঁর পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা এক হয়ে কাজ করবেন।’

সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক এম এ এস ইমন বলেন, যারা মেহেরপুরে আওয়ামী লীগকে দুর্দিনে ধরে রেখেছে তারা আপনার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছে। স্বসম্মানে আপনার সরে যাওয়া উচিৎ। মুজিবনগরকে শেখ হাসিনা উন্নয়নের জন্য ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আপনি নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সারাদেশে যে উন্নয়ন তারই রুটিন উন্নয়ন হয়েছে মেহেরপুরে।পৌর কলেজের ফান্ড থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন সরকারি হয়নি। নিজের বাপের নামে কলেজের নামকরণ করেছেন।
আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী আমাদের মেহেরপুরকে দেখে যান , আপনার প্রাণের সংগঠনের কি অবস্থা করে রেখেছে দেখে যান।

মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, দুসময়ে যারা আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়েছিলো তারাই আজ এই মঞ্চে দাড়িয়েছে। মেহেরপুর পৌরসভা, সদর উপজেলা, মুজিবনগর উপচেলায় আওয়ামী ,লীগের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। নেতাকর্মীরা এই সকল জনপ্রতিনিধিদের সাথ্কেথা বললে তার মানরচলে যায়। বিএডিসির লেবারকে কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে।
মেহেরপুর পৌরসভার দুর্দশাব শেষ নেই। মেহেরপুর পৌরসভার উন্নয়নে এখনো পর্যন্ত বাধা দিয়ে যাচ্ছেন।

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা লাভলি ইয়সমিন বলেন, আপনারা স্বামী স্ত্রী ২০১৪ সালের আগে কোথায় ছিলেন। আমরা ভোট চেয়ে আপনাকে নির্বাচিত করেছি। আপনার মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের দুর দুর করে তাড়িয়ে দেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, ফরহাদ হোসেনের ভাই মৃদুল আমাদের সংখ্যালঘু যুবলীগ সদস্যর ১ কোটি ৮০ লাখ টাবি আত্মসাৎ করে তাকে পথের ভিখারি বানিয়েছেন।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য জেমস স্বপন মল্লিক বলেন, নারী জারেণের অগৃদুত সেজেছেন । আপনি তো মেহেরপুরের ক্যাসিনো রানি। ৬৩ জেলার ছেলেদের চাকরি হয়, মেহেরপুর জেলার ছেলেদের চাকরি হয় না।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল মামুন, , সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম সাজু প্রমুখ। বিশেষ মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন
এদিকে ফরহাদ হোসেনের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ফরহাদ হোসেন ভগ্নিপতি বাবলু বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরহাদ হোসেনের বড় ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় পূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময়

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে থানার ওসির আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় আলমডাঙ্গা থানা চত্বরে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা হয়। সেইসঙ্গে পূজা উদযাপন কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়।

আলোচনা সভায় আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও নিজ নিজ ধর্ম সুষ্ঠুভাবে পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ সবসময় সর্তক রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজামণ্ডপ এলাকায় সর্বোচ্চ আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি ৩ টি বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে পালনের নির্দেশ দিয়ে বলেন, পূজা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আলোকসজ্জা বৃদ্ধির পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা আওতাভুক্ত আনার পরামর্শ দেন ওসি। তবে পূজা মণ্ডপের সন্নিকটে নিকট কোন দোকান কিংবা ফাস্টফুডের দোকান না বসানোর জন্য নির্দেশ দেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিন্দ্র নাথ দ্ত্ত, উপজেলা পূজা উতযাপন পরিষদের সভাপতি ডা: অমল কুমার বিশ্বাস, বাহ্মন পুরহিত ঐক্য পরিষদের সভাপতি দেবেন্দ্র নাথ দোবে বাবুলাল,উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ- সাধারণ সম্পাদক সুধাংশ কুমার ব্যানর্জী, পৌর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিমল কুমার ঘোষ,হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের পৌর সম্পাদক পলাশ কুমার আচার্য্য,পূজা উদযাপন পরিষদের পৌর সাধারণ সম্পাদক জয় কুমার বিশ্বাস।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আশোক সাহা,লিপন বিশ্বাস,সুশিল কুমার ভৌতিকা,কৃষ্ণ বিশ্বাস,বিশ্বজিৎ সাধুখা, বিজয় কুমার দাস,শিপন কুমার দাসসহ ৩৯টি মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদক বৃন্দ।




জীবননগরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় সভা

জীবননগর থানা পুলিশের সাথে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দেরে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে থানা ক্যাম্পাসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন,জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,জীবননগর-দামুড়হুদা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবু সাইদ, জীবননগর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি যাদব প্রমানিক, সাধারন সম্পাদক নারায়ন ভৌমিক, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রমেন বিশ্বাস,সাধারন সম্পাদক সাগর বিশ্বাস। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, প্রশান্ত দাস, সরজিত কর্মকার, বিপ্লব কুমার পাল, জীবন সেন, নিত্য কর্মকার।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা বলেন,পূজা চলাকালীন সময়
এবং দুর্গা বিসর্জনের সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেয়া যাবে না। অপরাধীদের ব্যাপারে পুলিশের তৎপরতাও থাকবে। সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপুর্ণ ভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করবে এবং পুলিশ সে ব্যাপারে সকল ধরনের সহযোগীতা দিবে।




আলমডাঙ্গার বাঁশবাড়িয়াতে যুবতীর আত্নহনন

আলমডাঙ্গার বাঁশবাড়িয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে শিমলা খাতুন (১৯) নামের এক যুবতী আত্নহত্যা করেছে।  আজ মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় তার নিজ শোবার, বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবার।

ঘটনাটি উপজেলা ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে ঘটেছে। নিহত যুবতী শিমলা খাতুন ওই গ্রামের দিনমজুর শুকুর আলীর মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সংসারের কাজকর্ম নিয়ে তার মা মিনা খাতুনের সাথে ঝগড়া হয় শিমলা খাতুনের। রাতে শিমলার পিতা শুকুর আলী বাড়িতে ফিরে মা-মেয়ে বিবেদ মিমাংসা করে দেয়। তবুও ক্ষোভ থামেনি শিমলার। মায়ের উপর অভিমান করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। এদিন সকালে শিমলার মা তাকে ঘুম থেকে ডাকতে থাকে। তার কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তার মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ ওই যুবতীর লাশের সুরতহাল সংগ্রহ করে পোষ্ট মর্টেমের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠাই।

এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুবতী শিমলার লাশ পৌছাই বাড়িতে। মায়ের উপর অভিমানে আত্নহত্যার ঘটনায় তার মা বারবার মুর্ছা যায়। আজ রাতেই স্থানীয় কবরস্থানে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।




চুয়াডাঙ্গায় আফরোজা পারভীনের নির্বাচনী কর্মী সমাবেশ ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি ইউনিয়নে যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজ পারভিন এর নেতৃত্বে নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করে যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভিন বলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মোট সাড়ে পাঁচ লক্ষ ভোটার এর ভিতরে নারী ভোটার প্রায় তিন লক্ষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদর্শনায় ও চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃত্ব আমরা সকল নারীকে ঘরের বাইরে এনে নারী জাগরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তুলে ধরেন ও লিফলেট বিতরণ করেন এবং আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনা সরকার ও নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট চান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন , সহ-সভাপতি- পূর্ণিমা হালদার,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, আওয়ামী লীগ কর্মী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সহ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলার প্রধান আসামির ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামে স্ত্রী নয়ন তারাকে রড দিয়ে হত্যা ও কন্যা শিশুকে আহত করার প্রতিবাদে তার স্বামী আনোয়ার ও অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে পিরোজপুর এলাকাবাসী।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সামনে মানববন্ধন করে পিরোজপুর এলাকাবাসী ও স্বজনেরা।

উল্লেখ যে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটার সময় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামে স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা ওরফে নয়নতারাকে(৩৫) লোহার রড দিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।মামলায় স্বামী আনোয়ার হোসেন সহ তার ভাই ভাবিকে আসামি করা হয়।

গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের মা মাছুরা খাতুন। তবে এই মামলার প্রধান আসামি স্বামী আনোয়ার হোসেন কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্কে সন্দেহ স্বামী-স্ত্রী দাম্পত্য কহল চলে আসছিলো। এরই জের ধরে সোমবার রাত আটটার সময় তাদের ভিতরে কথাকাটির এক প্রেক্ষিতে লোহার রড দিয়ে স্বামী আনোয়ার হোসেন তার স্ত্রী নয়ন তারাকে লোহার রড দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে এতে ঘটনাস্থলে মারা যান স্ত্রী নয়ন তারা। মাকে ঠেকাতে গিয়ে মাথায় রডের আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস টুনি। আনোয়ার-নয়নতার দম্পত্তির এক ছেলে এক মেয়ে।

এ সময় মানববন্ধন কারী পিরোজপুর এলাকাবাসী ও স্বজনেরা নয়নতারার খুনি স্বামী আনোয়ারের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান।




কৃতি সাতারুরা কুষ্টিয়ার মান উজ্জল করেছে -এমপি হানিফ

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কুষ্টিয়া ৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, কৃতি সাতারুরা কুষ্টিয়ার মান উজ্জল করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের এখনো বেশির ভাগ সাঁতারু জোগান দিয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা। তাঁদের পরে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সবুরা খাতুন, মেরিনা, জুয়েল রানা ও রুবেল রানার মতো সাঁতারুরা। যাঁদের প্রায় সবাই উঠে এসেছেন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা থেকে। এই আমলা এলাকার কৃতি সাতারুরা দেশের মান উজ্জল করেছে। আমিও চাই সকল খেলাধুলায়ও তারা নৈপুন্যতা দেখাক।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের এমপির বাসভবনে আন্ত:স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় কুষ্টিয়ার মিরপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলে মেয়েরা মোট ২২টি ইভেন্টের মধ্যে ১৬ ইভেন্টে প্রথম হয়ে জাতীয় পর্যায়ে সাতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করায় শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সাঁতারুদের এই সাফল্যের কারণে কুষ্টিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কুষ্টিয়ায় একটি আধুনিক মানের সুইমিং পুল নির্মাণের। আর এই দাবির প্রতি সম্মান রেখে বর্তমান সরকার কুষ্টিয়ায় একটি আধুনিক সুইমিং পুল নির্মাণ করে, যেখানে চমৎকার আবাসন সুবিধা রয়েছে, যা একটি পূর্ণাঙ্গ সাঁতার একাডেমিসহ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক সাঁতারুদের নিয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা সম্ভব।

পরে সাঁতারু, কোচ ও প্রশিক্ষক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কুষ্টিয়া ৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ এমপির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এসময় মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামারুল আরেফীন, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপির সাঁতার দলের কোচ আমিরুল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা খাতুনসহ সংশ্লিষ্টরা উপন্থিত ছিলেন।

মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন বলেন, কুষ্টিয়ার আমলা ক্রীড়াঙ্গনে দারুণ পরিচিতি পেয়েছে সাঁতারের কারণে। কুষ্টিয়ার এই গ্রাম থেকে অনেক নামকরা সাঁতারু উঠে এসেছেন এবং এখনো সেই পাইপলাইনটা সচল আছে। নানা সমস্যার সম্মুখিন হয়েও আমলার সাঁতারুরা সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় আমার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২২টি ইভেন্টের মধ্যে ১৬ ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে জেনে আমি ভীষণ আনন্দিত। আগামীতে এই উপজেলা থেকে আরও ভালো কিছু করুক সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপির সাঁতার দলের কোচ আমিরুল ইসলাম বলেন, একেবারে নিজের চেষ্টা, আগ্রহে তিনি কোচ হয়েছেন। আন্তস্কুল, আন্তজেলা হয়ে জাতীয় পর্যায়েও সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন; কিন্তু সাফল্য পায়নি। আবার মায়াও কাটাতে পারিনি এই অঙ্গনের, সে কারণেই কোচ হয়ে থেকে যাওয়া। ‘খেলোয়াড়ি জীবনে সাফল্য না পেলেও কোচ হয়ে যদি পারি এ ভাবনাটাও মনের মধ্যে ছিলো বলেও আজও সাঁতার সাঁতার বলে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি।




মেহেরপুরে গোপন বৈঠক চলাকালে জামায়াতের ৩ রোকন আটক

মেহেরপুর সদর উপজেলার রায়পুর খন্দকারপাড়া থেকে গোপন বৈঠক চলাকালে জামায়াতের রোকনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের মৃত তিলক শেখের ছেলে আব্দুল জাব্বার, রাধাকান্তপুরের মৃত শিহাব উদ্দিনের ছেলে আব্দুল রউফ ও পৌর শহরের মন্ডলপাড়ার মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে ইকবাল হোসেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ তাদের আটক করে।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গোপন বৈঠক হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম সদর উপজেলার রায়পুর খন্দকারপাড়ার রুহুলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির মালিক ও জামায়াতের রোকন রুহুল পালিয়ে যায়। আটককৃতদের আদালতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ‘




দামুড়হুদায় গ্রাম ডাক্তার (কল্যাণ) সমিতির আলোচনা সভা ও কমিটি গঠন

বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার (কল্যাণ) সমিতির দামুড়হুদা থানা শাখা’র আলোচনা সভা ও কমিটি গঠন করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় দামুড়হুদায় অন্তর মেডিকেলের হলরুমে এ আলোচনা সভা ও কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার (কল্যাণ) সমিতির দামুড়হুদা শাখার আয়োজনে গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জেলা সহ-সভাপতি গ্রাম ডা. মোঃ হায়দার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সহকারি পরিচালক ঔষধ প্রশাসন মোঃ কে, এম, মুহসীনিন মাহবুব। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি আহবায়ক গ্রাম ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব গ্রাম ডা.মোঃ আজমল হক জেলা গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি গ্রাম ডা. মোঃ আব্দুল ওহাব।

আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার (কল্যাণ) সমিতির দামুড়হুদা থানা শাখার ৫১সদস্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রেজাউল হক, সহ-সভাপতি আ: মমিন, সহ-সভাপতি মুসা করিম, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,যুগ্ন সম্পাদক মতিরুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক হামিদুর রহমান, যুগ্ন সম্পাদক আক্তারুল রহমান,গাংঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ, কোষাধক্ষ্য সাইদুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক হোসাইন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন পলাশ, প্রচার সম্পাদক সাইদুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেরিনা পারভিন শম্পাসহ বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার (কল্যাণ) সমিতির দামুড়হুদা থানা শাখা’র সকল সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির দামুড়হুদা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ।