আলমডাঙ্গার ডম্বলপুরে গ্রাম্য চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আলমডাঙ্গা ডম্বলপুর গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম (৪০)’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার সকালে গ্রামবাসী ডম্বলপুর ব্রীজের রেলিংয়ে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগনো অবস্থায় পানির মধ্যে ঝুলে থাকতে দেখেন তাকে। ব্রীজের পাশেই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল,স্যান্ডেল ও টুপি পড়ে ছিল। ঘাসের উপর ধ্স্তাধস্তির চিহ্ন দেখতে পান এলাকাবাসী ।

থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পল্লি চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম ডম্বলপুর গ্রামের মকবুল মন্ডলের ছেলে। সে এলাকায় পল্লি চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ও কালিদাসপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

স্থানীয়রা জানান,পল্লি চিকিৎসক তোহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে ডম্বলপুর মোড়ের একটি দোকানে চা পান করেন। পরে দোকান থেকে উঠে চলে যান। তিনি রাতে আর বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তাকে মোবাইল ফোনেও না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা। এরই এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে ডম্বলপুর-মাধবপুর সড়কে নেংটা ব্রীজ নামক স্থানে রেইল বারের সাথে তার ঝুলন্ত মৃত দেহ দেখতে পায় এলাকাবাসি। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ব্রীজের নীচে পানির মধ্যে ঝুলে ছিল তার লাশ। ব্রীজের অদূরে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মাথার টুপি এবং স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসী। ঘাসের উপর ধস্তাধস্তির চিহ্ন ছিল বলে গ্রামবাসী জানান।

এটা কি হত্যা? নাকি আত্মহত্যা, এমন প্রশ্ন গ্রামবাসীর।

কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (নুরু) বলেন, শুক্রবার সকালে ভাতিজা মোবাইলে জানায়, গ্রাম্য চিকিৎসক তহিদুলের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে । আমি তাৎক্ষণিকভাবে আলমডাঙ্গা থানার ওসিকে মোবাইলের মাধ্যমে জানায়। পরে ঘটনাস্থলে এসে দেখি নেংটা ব্রিজের রেইল বারে তার লাশ দড়ি দিয়ে ঝুলানো। ব্রিজের পাশেই পড়ে ছিলো তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মাথার টুপি, স্যান্ডেল।
তিনি আরো জানান, নিহত তৌহিদুল এলাকার ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। পূর্বশত্রুতার জের ধরে হয়তো হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত এই ঘটনার রহস্য উন্মোচন হোক এটা দাবি জানাই।

এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে ওই এলাকায় লাশ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় নামে।স্থানীয় জানান, চিকিৎসক তৌহিদুলকে আমরা অনেক দিন ধরেই চিনি। তিনি অত্যন্ত নিরিবিলি মানুষ ছিলেন। আমরা তার লাশ দেখে ধারণা করছি এটা কী পরিকল্পিত হত্যা নাকি আত্মহত্যা, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রশাসন দ্রুত প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তারা মনে করেন।

সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান,থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাম,ওসি তদন্ত একরামুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পুলিশ লাশের সুরতহাল রির্পোট সম্পন্ন করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান জানান, ব্রিজের রেইল বারের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পল্লি চিকিৎসক তৌহিদুলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । ব্রিজের পাশেই তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল,স্যান্ডেল ও মাথার টুপি পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটা হত্যাকান্ড বলে মনে হচ্ছে, তবে আমরা তদন্ত করে বিস্তারিত জানাতে পারবো।




মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির আনন্দ শোভাযাত্রা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আনন্দ শোভা যাত্রার  আয়োজন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলাএকাডেমি থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি নুরুল আহমেদ, মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী সদস্য হাসানুজ্জামান মালেক, মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী সদস্য পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত দিপু, মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নাট্য বিভাগের প্রশিক্ষক শ্বাশত নিপ্পন, কামদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিনারুল ইসলাম সহ মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর বিভিন্ন কর্মকর্তা ও মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের দ্বিতল আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের দ্বিতল আধুনিক ভবন কার পার্কিং, প্লাটফর্ম ও শেড নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন চত্বরে এ উদ্বোধন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক ছেলুন (এমপি)।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিছুদিন আগে ওভারপাস নির্মাণ চুয়াডাঙ্গা উন্নয়নের বড় অর্জন। এর পরপরই আবার চুয়াডাঙ্গা বাসীর সুবিধা করার জন্য আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন বড় একটা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হবে এটির মাধ্যমে। এ সময় তিনি আরও বলেন শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের সরকার। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকা মার্কা ভোট দিতে হবে।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( অর্থ ও প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার, রেলওয়ে পশ্চিমের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান মনজু, ঠিকাদার আরেফিন আলম রঞ্জু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জানা যায়, ১০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ধরা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন দ্বিতল আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজের। কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৫৪০ দিন।




দর্শনায় দোকান মালিক সমিতির ত্রি- বার্ষিক সাধারণ সভা

দর্শনায় দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্টিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধায় দর্শনা রেল বাজার কাঁচা বাজার চত্বরে এ সাধারন সভা অনুষ্টিত হয়।

দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারন সভায় সভাপতিত্ব করেন,দোকান মালিক সমিতির সভাপতি টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে, অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,সাবেক সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন,বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী আকমত আলী,আশাবুল হক উলুম,আব্দুস সালাম,দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল,বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজ উদ্দীন, হারুন অর রশিদ, বিশিষ্ট হোটেল ব্যাবসায়ী জহির উদ্দীন, অনুষ্টানটি উপস্থাপনা করেন,দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক, সাবির হোসেন মিকা।এ সাধারন সভায় নির্বাচন কমিশনের নাম ঘোষনা করা হয়েছে।

এ কমিটিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার চুয়াডাঙ্গা মহিলা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে। হাজী আকমত আলী, আশরাফুল হক উলুম, গোলাম ফারুক আরিফ, হানিফ মন্ডল, শফি উদ্দীন, হাফিজকে সদস্য করা হয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্টিত হবে।




দামুড়হুদায় প্রধানমন্ত্রীর ৭৭তম জন্মদিন পালিত

দামুড়হুদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু। শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন যুবলীগ নেতা ফজলুর রহমান ফজু।

সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লল্টু, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. হামিদুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের মহাসচিব মানবাধিকার কর্মী নুর হাকিম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি হাজি সহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. রফিকুল আলম রান্টু, নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন মাস্টার, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব, নাটুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাফি উদ্দীন টুটুল, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি হাজি আব্দুল কাদির, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. ইউনুস আলী।

দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক চুয়াডাঙ্গা জেলা জজকোর্টের এপিপি অ্যাড. আবু তালেবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল মালেক ভূইয়া, সরোয়ার সিদ্দিক মামুন, হাফিজুর রহমান, প্রজন্মলীগ নেতা হাসান আল বাখার ডলার, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক শাহীন মোল্লা। দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক বুলবুল আহমেদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটানা ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এই ১৫ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যার একমাত্র দাবীদার বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। কোন এমপি নয়। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, উড়াল সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর আজ দৃশ্যমান। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রমে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। সেই প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বিতর্কিত কাউকে এবার মনোনয়ন দেয়া হবেনা। নেত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে বক্তারা আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে এবার খাজিনদার পাল্টাতে হবে। নেত্রীর প্রতি আমাদের একটাই অনুরোধ কোন রাজাকার পরিবারের কাউকে যেন নমিনেশন দেয়া না হয়। একজন পরিচ্ছন্ন, ত্যাগী ও আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ক্লিন ইমেজের ব্যাক্তিকে নমিনেশন দিবেন। ইনশাআল্লাহ, আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সক্ষম হব।




মাথার ওপর একখণ্ড নিশ্চিত নিরাপত্তার নাম শেখ হাসিনা

বীর নিবাসের চাবি পেয়ে কাঁদছিলেন নড়াইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর। লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ী গ্রামের বসিন্দা তিনি। এখন তাঁর বয়স ৭৫এর বেশি। এই কান্না ছিল আনন্দের। তিনি বলছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর জীবনের ঘানি টানতে গিয়ে ছেলেমেয়েদের জন্যে মাথার নিরাপদ আশ্রয় বানিয়ে দিতে পারেননি। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ তাঁর অসামপ্ত কাজটি করে দিলেন। শেষ জীবনে এমন নিরাপত্তা পেয়ে তিনি তাঁর পরিবার অভিভূত।
ওই দিনের অনুষ্ঠানেই শেখ হাসিনা সারাদেশে প্রায় পাঁচশ’ বীর নিবাসের চাবি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এরইমধ্যে পাঁচ জেলায় পাঁচ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে চাবি হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কাজ চলছে আরও ২৫ হাজার বীর নিবাস তৈরির। সারাদেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এরকম ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস তৈরি করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এটা মূলত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্যে শেখ হাসিনার বিশেষ আবাসন প্রকল্প।

এই প্রকল্পের প্রতিটি বাড়ির আয়তন ৭৩২ বর্গফুট। একতলা বাড়িতে দুটি শেবার ঘর একটি বসার ঘর , একটি খাওয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি প্রশস্ত বারান্দা ও দুটি শৌচাগার থাকছে। প্রতিটি বাড়িতে থাকছে একটি উঠান, একটি নলকূপ, গবাদি পশু-হাঁস-মুরগি পালনের আলাদা ব্যবস্থা। প্রতিটি বাড়ি তৈরি করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।

মুক্তিযোদ্ধাদের এই নিরাপদ আবাসনের মত সারাদেশের গ্রাম গঞ্জ শহরে নগরে চলছে মানুষ নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার কর্মযজ্ঞ। এখানে প্রান্তীক ভূমিহীন মানুষ রয়েছেন, রয়েছেন ভিভিন্ন শ্রেণি পেশার কম আয়ের মানুষ। যার যেমন আয় তার জন্যে তেমন করে ভাবা হয়েছে এই প্রকল্পে। বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় এসেছেন দেশের একজন মানুষও নিরাশ্রয় থাকবে না।

আশ্রয়হীন মানুষের মাথার ওপর নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার এই চিন্তা শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে প্রথম ভূমিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের আশ্রয়ণ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর আবার পরিকল্পিতভাবে মানুষের আবাসনের কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর বঙ্গবন্ধুর জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের আলোকে তাঁর ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মডেল’ সামনে আনেন। পিছিয়ে পড়া ছিন্নমূল মানুষকে মূলধারায় একে এক যুক্ত করতে থাকেন। ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। একই বছর তিনি সারা দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষের পুনর্বাসনের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন “আশ্রয়ণ প্রকল্প”।

১৯৯৭ সালে “আশ্রয়ণ প্রকল্প” নেয়ার আগেই ১৯৯৬ সালে বস্তিবাসী,হরিজন ও দলিত শ্রেনির মানুষের জন্য ভাসানটেকে ফ্ল্যাট নির্মাণ শুরু করেন। পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অব্যবস্থাপনায় হারিয়ে যায় সেই প্রকল্প। ২০০৯ সালে সরকারে এসে শেখ হাসিনা আবার নতুন ভাবে সেই কাজ শুরু করেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২১১টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গভাবে গৃহহীন-ভূমিহীন হয়েছে নয়টি জেলা ।

গ্রাম শুধু নয় নগরে বাস করা প্রান্তিক মানুষের আবাসনের কথা ভেবেছেন শেখ হাসিনা। শহরের বস্তিবাসীদের থাকার সুবিধার জন্যে ২০২১ সালে মিরপুরে ৩০০টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট উদ্বোধন ও হস্তান্তর করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়ায় অত্যাধুনিক এসব ফ্ল্যাট বরাদ্দ পান বস্তিবাসী। এ প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ঢাকায় ১০০১ টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ চলছে।

অনগ্রসর দলিত-হরিজন-বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে চলছে আবাসন কর্মসূচি। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে পাইলট কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, নওগাঁ, যশোর ,বগুড়া এবং হবিগঞ্জে। পরে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে নতুন ১৪ জেলাসহ মোট ২১টি জেলায় এ কর্মসূচির বাস্তবায়ন শুরু হয়। এরই মধ্যে সব জেলায় ধারাবাহিকভাবে শুরু হয় এ কর্মসূচি।

আবাসনের আ্ওতায় আনা হয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদেরও। যাদের ভূমির কোন অধিকার কিংবা মাথা গোঁজার ঠাঁই কখনও হয়নি। তাদের কথ্ওা ভাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সমতলের বাসিন্দা সাড়ে তিন হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারকে দেয়া হয় আধাপাকা ঘর।

সব শেষ সাধারণ পেশাজীবীদের জন্যে ভাবতে শুরু করেছেন শেখ হাসিনা। শুরুতেই বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের আবাসনের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন সাংবাদিকরা চাইলে সহজ কিস্তিতে সরকারি ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সাংবাদিকতায় সরকারি চাকরির মত অবসর ভাতার ব্যবস্থা নেই। যে কারণে চাকরি জীবনের শেষে তাদের আবাসন নিশ্চিত করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ।

এই আবাসন প্রকল্পগুলোতে মানুষকে শুধু আশ্রয় দিয়ে সরকার দায়িত্ব শেষ করেছে এমন নয়। কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থাপনা এই কাজের সঙ্গে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। যমেন নারীর ক্ষমতায়ন। আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়কেই জমির মালিকানার গ্যারান্টি দেয় হয়। যা কেবল একজন পুরুষ এবং তার পরিবারকে মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার সুযোগই দেয় না বরং নারীর ক্ষমতায়নের একটি বিরল উদাহরণও সৃষ্টি করে।

আশ্রয়ণের আওতায় এসে মানুষের জীবন যাপন হয়েছে পরিকল্পিত। কারণ সেখানে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষকে প্রশিক্ষণ ও ঋণ দিয়ে জীবিকা নির্বাহের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের দারিদ্র্য দূর করার চেষ্টা চলছে। গৃহহীন মানুষের আর্থ-সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে। তারা সমাজে একীভূত হতে পারছে। তাদের সম্মানজনক জীবনযাত্রা এবং সামাজিক অবস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বোপরি বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে গৃহায়ন কার্যক্রম। শুধু গৃহ নির্মাণের ফলে মানুষের জীবনের টেকসই উন্নয়নের নানামুখী লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। কারণ গৃহায়নের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য,নিরাপত্তা, ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার প্রাপ্তি সম্পৃক্ত। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ইতিবাচক বদল এরইমধ্যে সবার চোখে পড়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের এই আবাসনের উদ্যোগের তথ্য বিশ্বের অনেক দেশের কাছে একটি একটি অনন্য উদ্যোগ। কারণ পড়া মানুষের সাহায্যে নানা দেশে নানা উদ্যোগ থাকলেও সরকারিভাবে বাড়ি নির্মাণ করে ঠিকানাহীন মানুষকে ঠিকানা দেয়ার এমন নজির সাধারণত দেখা যায়নি।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

করোনা ভাইরাস সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারিতে প্রতিটি দেশের অর্থনীতি ও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সাথে সৃষ্টি হয়েছিল ভয়, সংক্রমণ ও মৃত্যুর সুদীর্ঘ তালিকা। দুই বছরের মত মানুষ ছিল ঘরের মধ্যে বন্দি। ঘরের মধ্যে বন্দি থেকে আরও ভয়াবহ ও দীর্ঘ হয়েছিল প্রতিটি দিন প্রতিটি ক্ষণ।

যখন বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ উন্নত বিশ্বে আবিস্কৃত প্রতিষেধক তাদের নিজেদেরকে সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য কিনতে ও ব্যবহার করতে পারছে না। তখন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বলিষ্ট ভূমিকা রেখে (আবিস্কৃত টিকার মেধাস্বত্ববিহীন করার প্রস্তাব দিয়ে অনুমোদন করিয়ে) সেই বৈশ্বিক মহামারি থেকে বাংলাদেশের মানুষদেরকে বাঁচানোর জন্য সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন দেশের আটটি ভ্যাক্সিন।

যেখানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, কয়েক লক্ষ মানুষ মারা যেতে পারে বাংলাদেশে। সেই টিকা কিনে বিনা মূল্যে প্রয়োগ করে নিরাপদ স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করেছিলেন এবং বাঁচিয়েছিলেন লক্ষ মানুষকে প্রাণ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতিকে করেছিলেন সচল। তিনি স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় পরামর্শ কমিটি গঠন করেছিলেন এবং সেইসাথে অধিদপ্তর ভিত্তিক কিছু কমিটিও গঠিত হয়, যেখানে বিশেষজ্ঞ সদস্যরা সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে নিশ্চিত করেছিলেন মানুষের জীবনের সুরক্ষা। বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে সৃষ্টি করেছিল জনসচেতনতা।

তাঁর নির্দেশে তৈরি জাতীয় পরামর্শ কমিটি ও অধিদপ্তর ভিত্তিক কমিটিগুলো মহামারির শুরুতেই কোভিড রোগী সনাক্তকরণে ব্যবহৃত কিট, পিপিই, অক্সিজেন ও মেশিনপত্র আমদানিতে শুক্ল মওকুফ করে মানুষের ব্যবহারের সুবিধা করে দিয়েছিল। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনে আমদানি অনুমোদন, তৈরি, সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করেছে সেই সময়ের জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় ওষুধসমূহের। যার ফলে স্বল্প ব্যয়ে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সকল কোভিড রোগী সনাক্ত করা, আইসোলেশনে রাখা ও চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছিল।

প্রয়োজন অনুযায়ী কোভিড-১৯ রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করতে নতুন নতুন বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ প্রক্রিয়ায় নতুন চিৎিসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন। জটিল রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করেছিলেন। কোভিড রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবেশী দেশ থেকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন আমদানিও করেছিলেন।

শুধু তাই নয়, হাসপাতালে করোনা রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা যাতে ব্যঘাত না ঘটে সেজন্য চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছিলেন। এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখতে তাদেরকে হোটেলে রেখে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রেখেছিলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বলিষ্ট নেতৃত্বে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে যে অবদান রেখেছিলেন তার সুফল পেয়েছিল বাংলাদেশ। অর্থনীতিকে রাখতে পেরেছিলেন সচল। তাঁর শক্তিশালী নেতৃত্ব ও সর্বক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি পূর্ণ মনোভাব সাধারণ মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন আস্থার ও ভরষার আশ্রয়স্থল।

লেখক: ডিন, ফার্মেসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।




চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ১৫০৬তম পদধ্বনি অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর পদধ্বনি -১৫০৬ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ শুক্রবার বিকাল পাঁচটার সময় শহীদ আলাউল হলে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাপ্তাহিক পদধ্বনি অনুষ্ঠিত হয় ।

১৫০৬ তম এই আসরে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হেলাল। স্বরচিত লেখা পাঠ করেন গোলাম কবীর মুকুল, আবু নাসিফ খলিল, হুমায়ুন কবীর, বনলতা, সুমন ইকবাল,নাইমুর রহমান,জিল্লুর রহমান রুবেল,আনছার আলী,শহিদুল ইসলাম,সুমন মালিক,সজীব হোসেন,ডা.তোফাজ্জল হোসেন,কবি নজমুল হেলাল প্রমুখ। স্বরচিত লেখার উপর বিশদভাবে আলোচনা করেন গোলাম কবীর মুকুল, আনছার আলী, আবু নাসিফ খলিল এবং হুমায়ুন কবীর। চিরায়ত সাহিত্য থেকে কবিতা পাঠ এবং গান পরিবেশন করেন চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ইনস্ট্রাক্টর তপন কুমার পাল ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক সুমন ইকবাল।অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে সভাপতি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণের সমাপনী

‘নারীদের আত্মরক্ষার্থে কারাতে হোক অন্যতম হাতিয়ার’ এ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সোতোকান কারাতে দো ঝিনাইদহ’র উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে আজ শুক্রবার বিকালে বেল্ট প্রদানের মধ্যদিয়ে প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘোষণা কর হয়।

সোতোকান কারাতে দো’র পরিচালক কাজী আলী আহম্মেদ লিকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, ক্রীড়া সংগঠক জয়নাল আবেদীন, সোতোকান কারাতে দো’র পরিচালক মাহফুজুর রহমান বিপ্লব। ২ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে আত্মরক্ষার নানা কৌশল শেখান জাতীয় কারাতে প্রশিক্ষক জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় প্রশিক্ষকবৃন্দ।

প্রশিক্ষণ শেষে শুক্রবার বিকালে পরীক্ষার মাধ্যমে ৩৫ জন প্রশিক্ষনার্থীকে বিভিন্ন প্রকার বেল্ট প্রদান করা হয়। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের রক্ষার পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলে আশা করেন অতিথি ও আয়োজকরা।




কোটচাঁদপুরের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য নেওয়াজ মতবিনিময়

কোটচাঁদপুরের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন,ঝিনাইদহ -৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যঃ নবী নেওয়াজ। আজ শুক্রবার (২৯-০৯-২৩) দুপুরে স্থানীয় পাঠাগারে এ সভা করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,গনমাধ্যমকর্মী অশোক দে,কাজী মৃদুল,নজরুল ইসলাম, কামাল হাওলাদার, সুব্রত কুমার,আব্দুল্লাহ বাশার,মঈন উদ্দিন, রেজাউল ইসলাম।

মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য তুলে ধরেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের কিছু চিত্র। যার মধ্যে ছিল,দুই উপজেলায় এলজিইডির অধীনে ১৫২ কিমি হেরিং ভাঙ্গা ও কাঁচা নতুন রাস্তা পিচ করন,১৪৮ কিলোমিটার রাস্তার রক্ষণা-বেক্ষনের কাজ,জেলা পরিষদের মাধ্যমে মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ ও কবরস্থান সহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে দেয়া হয়েছিল ৫,২০,০০,০০০/- টাকা অনুদান, আশি কোটি টাকা ব্যয়ে করা হয়েছিল খালিশপুর হতে মহেশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর-সামন্তা- বাঁশবাড়িয়া, যাদবপুর পর্যন্ত পাকা রাস্তা উন্নয়নের কাজ,স্থাপন করা করেছিলেন ৭৫ টি ব্রীজ ও কালভার্টের কাজ,হয়েছিল,২২ কিলোমিটার এইচ,বি,বি রাস্তা, টিআর ও কাবিখার কাজ করা হয়েছিল ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকার, ১৮৫০টি ঘর,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অফিস- দোকান পাঠ ও রাস্তায় স্ট্রিট লাইটের দেয়া হয়েছিল,পাঁচ বছরে,হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে টিন বিতরন করা হয়েছিল ৪৮০ বানন্ডিল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করেছিলেন ২২টি, ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন তরুন নির্মান ও মেরামত করা হয়, ১৩ কোটি একুশ লক্ষ একষট্টি হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা ৬টি নতুন কলেজ ভবন,নির্মাণ করা হয়,কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন,মুক্তিযোদ্গাদের জন্য ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন,আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আপনাদের কাছে আসতে পারলে দুই উপজেলায়,দুটি মিনি স্টেডিয়াম,মহেশপুরের আজমপুর দো-বিলে মিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রস্থাপন,মহেশপুর-কোটচাঁদপুরের মাঝে একটা বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলা,কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা মত কাজ গুলো অগ্রধিকারের ভিত্তিতে করে যাবো।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন,কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম, কোটচাঁদপুর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন, বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন,উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মীর মনিরুল আলম,যুগ্ন আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম খোকন।