কানাডার পুলিশ কর্মকর্তা হলেন বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার মেহেরাব ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। তিনি বাংলাদেশ দলের জার্সিতে খেলেছেন তিন সংস্করণেই। তবে তিনি এইবার যোগ দিয়েছেন কানাডার পুলিশ বিভাগে।

বাঁহাতি এই ব্যাটার কানাডার রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) বাহিনীতে কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তিনি নিজেই গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন এই খবর।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে অভিষেক হয় মেহরাবের। অভিষেকের পর ২০০৯ পর্যন্ত ১৮ ওয়ানডে খেলে মাত্র ১৭.২৬ গড়ে তিনি করেন ২৭৬ রান। বেশ ধীরগতিতে ব্যাটিং করতেন তিনি। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ৪২.৯৯।

ধীরগতির খেলার কারণে টেস্টে তার সম্ভাবনা দেখা হচ্ছিল। তবে ৭ টেস্ট খেলে ২০.২৫ গড়ে করতে পারেন ২৪২ রান। টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে আছে তার দুইটা ফিফটি। দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছেন মেহরাব। সেখানেও সুবিধা করতে পারেননি।

খেলা ছাড়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসাবে কিছুদিন দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে তিনি চলে যান কানাডায়। আর সেই দেশেই থেকে যান মূল স্রোতে। তবে এবার দেশটির পুলিশ বিভাগেও দেখা গেল সাবেক এই ক্রিকেটারকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




শেষ পৃষ্ঠা




তৃতীয় পৃষ্ঠা




দ্বিতীয় পৃষ্ঠা




প্রথম পৃষ্ঠা




মেহেরপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আলোচনা সভা ও সমাবেশের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় মেহেরপুর জেলা মহিলা দলের আয়োজনে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাইয়্যেদাতুন নেসা নয়ন এর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা লায়লা আরজুবান বানু, সিনিয়র সহ-সভাপতি পলি খাতুন বেদানা, সহ-সভাপতি সাবিয়া আক্তার সহ জেলা মহিলা দলের নেতৃবৃন্দরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুণ বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়। গায়েবী মামলা, হামলা করে আমাদের দমানো যাবে না।’




৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মেহেরপুরে গণ অনশন ও মানববন্ধন

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের দাবিতে মেহেরপুরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে গণ অনশন, গণ অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের গেটের বাইরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মেহেরপুর জেলা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

‘ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়, ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে গণ অবস্থান সমাবেশে সমাবেশে বক্তারা জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো– জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, সমতলের অধিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশনের যথাযথ কার্যকরী করণ, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মেহেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মাধব চন্দ্র ভাস্কর, সদস্য সচিব সুব্রত সাহা বাপ্পা, পুজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সঞ্জিত পাল বাপ্পি, সদস্য সচিব অশোক চন্দ্র বিশ্বাস, মহিলা ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সাথী বিশ্বাস, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল বিশ্বাস, আহবায়ক কমিটির সদস্য চণ্ডীচরণ হালদার, চন্দনা পাল বাপ্পি, সাহিত্য বিসয়ক সম্পাদক বাঁশরী মোহন দাস, পলাশ পোদ্দার, পবন বিশ্বাস দুলাল কর্মকার প্রমুখ।




মেহেরপুরে সরকারি শিক্ষক আওয়ামী লীগের কমিটিতে

মেহেরপুরের গাংনীর চৌগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রকিব শিক্ষকতার পাশাপাশি করেন রাজনীতি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে, সরকারী চাকুরী করলেও পাশাপাশি তিনি বর্তমান সরকার দলীয় সংগঠন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ২৬ নম্বর সদস্য।

নবগঠিত মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের পুর্নাঙ্গ কমিটির প্রথম পরিচিতি সভাসহ জেলা কমিটির সভা সমাবেশ গুলিতে তার রয়েছে সরব উপস্থিতি। তবে তিনি বলছেন, তিনি নিজে জেলা কমিটির সদস্য নন। একই নামে অন্য এক আব্দুর রকিব জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তবে জেলা আওয়ামী লীগ কমিটির পরিচিতি সভা ও অন্যান্য সভা সমাবেশে তার সরব উপস্থিতির কারনের কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেন নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেছেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না। অথচ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ভঙ্গ করে ওই শিক্ষক আওয়ামী লীগের সদস্য পদ পেয়েছেন।

এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে গাংনীর চৌগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রকিব বলেন, ‘এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? কথাটা সত্য নয়। আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির পরিচিতি সভায় আমি শুভাকাঙ্খী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক খালেক ভাইয়ের সাথে গেছিলাম। ঐদিন অনেকেই গেছিল। কমিটির সদস্য গাংনীর থানা পাড়ার রকিব। আমাদের দুইজনের নামের মিল আছে বলেই আপনারা এমন ভাবছেন।‘

এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভুপেশ রঞ্জন রায় বলেন ,আব্দুর রকিব যে রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট এবং জেলা আওয়ামী লীগের পদে আছে এটা আমার জানা নেই। তবে সরকারি চাকুরী করে কেউ কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন না, এইটা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার পরিপন্থী। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযোগ সত্য হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী বলেন,’রকিব সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের ঘনিষ্ঠ, খালেকই তাকে জেলা কমিটিতে ঢুকিয়েছে। রকিব চাকুরি করে কিনা এবং ঠিক কি প্রক্রিয়াতে দলের কমিটিতে ঢুকল সেটা আমি জানি না।‘

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক আব্দুর রকিবের ব্যপারে কোন মন্তব্য না করে শুধু বলেন, ‘আব্দুর রাকিব স্কুল শিক্ষক, আমি তাকে চিনি।‘




মেহেরপুরে এম এ এস ইমনের পক্ষে লিফলেট বিতরণ

মেহেরপুর-১ আসনের আওয়মী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এম এ এস ইমনের পক্ষে সদর উপজেলার চকশ্যামনগর, মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি বাজার, দারিয়াপুর, পুরন্দরপুর, গৌরিনগর, কেদারগঞ্জবাজার, আনন্দবাস, বাগোয়ান, শিবপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করা হয়।

শুক্রবার বিকালে মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য ফারুক মোল্লা, মোনাখালী ইউপি সদস্য ও সেচ্ছাসেবক লীগের মেহেরপুর জেলা শাখার নেতা রবিউল ইসলাম, , সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১ নং ওয়ার্ড, মেহেরপুর শহর শাখা ছাত্রলীগ ও মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রনেতা ইব্রাহীম (ইবু) , আওয়ামী লীগ কর্মী সাজিবুর রহমান সানা, মনিরুজ্জামান ফাহিম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মাসুদ রানাসহ অনেক আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




ড. ইউনূসের পক্ষে দেয়া বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি নোবিপ্রবির ২৫৬ শিক্ষকের

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমআইনে বিচারাধীন মামলা স্থগিত চেয়ে ১৬০ ব্যক্তির বিবৃতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের ২৫৬ জন শিক্ষক।

নোবিপ্রবি নীলদলের সভাপতি ড. এমডি মাসুদ রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ২৫৬ জন সদস্যের সকলেই স্বাক্ষর করেন।

প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তার সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বাংলাদেশে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং আইন সবার জন্য সমান হওয়ায় এখানে দেশীয় বা বহিরাষ্ট্রীয় কারো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলার বিষয়ে অযাচিত এবং অপ্রয়োজনীয় বিবৃতি বা চিঠি প্রদান করা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ এবং ড. ইউনূসের ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিবৃতি অত্যন্ত অমানবিক বলে মনে করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৬ জন শিক্ষক।

পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়, উদ্বেগের সাথে লক্ষণীয় যে উক্ত বিবৃতিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, রাজনীতি ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিরূপ মন্তব্যও করা হয়েছে। যা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ এই ধরনের অযাচিত, অবমাননাকর ও বেআইনি হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টাকে নিন্দাভরে প্রত্যাখ্যান করে।

এ ছাড়াও আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুনাম ও সমৃদ্ধি যখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তখন একথা স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে উক্ত বিবৃতি দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক দূরভিসন্ধিমূলক।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল এই ১৬০ কর্তাব্যক্তির বিবৃতির প্রতিবাদ ও প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমআইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে কিছু নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ ১৬০ জন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি দেয়।