হলিউডে এই প্রথম বাংলাদেশি গোয়েন্দা

কাজী আনোয়ার হোসেনের কালজয়ী স্পাই থ্রিলার মাসুদ রানা ‘ধ্বংসপাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ , সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) পৃক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা আসিফ আকবরের বহুল আলোচিত সিনেমা ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’। হলিউড ধাঁচে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীতে একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল টিম এমআর-৯।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হলিউড, চাইনিজ ও বাংলাদেশী তারকারা। জানা যায়, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেটের সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ, বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি সহ বেশ কয়েকটি ভাষায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

এসময় পরিচালক আসিফ আকবর বলেন, “বাংলাদেশের সব দর্শকের মাঝে মাসুদ রানা সিরিজ একটা আবেগের জায়গা। সেখান থেকে এটা নিয়ে সিনেমা বানাতে চেয়েছিলাম। বলা চলে- অনেকটা দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই প্রায় ৬ বছর ধরে ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ বানিয়েছি। স্ক্রিপ্টের পেছনে আমরা তিন বছরের বেশি সময় দিয়েছি। ২৬টি ড্রাপ্টের পরে আমরা শুটিং স্ক্রিপ্ট ফাইনাল করেছি। এটার জন্য অনেক রিসার্চ করেছি। শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিনি। আমরা বিশ্বের সব দেশের দর্শকদের নিয়ে রিসার্চ করেছি। সুতরাং সিনেমাটি নির্মাণে আমরা চেষ্টার কোনো ঘাটতি রাখিনি।”

তিনি আরও বলেন, “আজ থেকে ৬০ বছর আগে বাংলাদেশের পাঠক ‘মাসুদ রানা’ বইগুলো গ্রহণ করেছিল। শুধু তাই নয়, এই বইয়ের মাধ্যমে উঠে এসেছিল পুরো দুনিয়ার বেশকিছু ঘটনা। আমি মনে করি এই সিনেমাটি পুরো বিশ্বের দর্শকের কাছে যেতে পারবে। ‘মাসুদ রানা’ সহ আরও যে চরিত্রগুলো ছিল সেগুলোও আমরা দারুণভাবে তুলে ধরতে পেরেছি। এই সিনেমায় ধংস পাহাড়সহ বিদেশের কিছু চরিত্র আমরা যোগ করেছি। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ, চীনের এমএসএস এজেন্সি, ভারতের র এজেন্ট এই সিনেমায় বিদ্যমান। এগুলোর সঙ্গে তো বাংলাদেশের মূল জায়গাটি আছেই।”

এই সিনেমার সফলতা পেলে হলিউড অভিনেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিনেতাদের নিয়ে আরও কাজ করতে চান বলে নির্মাতা জানান। তার কথায়, ‘হলিউডে প্রথমবারের মত বাংলাদেশি কোন গোয়েন্দা হিরো পরিচয় করাতে পারছি। এটা দুই দেশের জন্য ঐতিহাসিক বিষয় হতে যাচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে- দর্শকরা যদি এটা গ্রহণ করেন হলিউডের সঙ্গে আমরা কাজ চলমান রাখব।’

এদিকে ‘এমআর-৯’ সিনেমা মিউজিকে অস্কার পাবে বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেতা শহীদুল আলম সাচ্চু।

‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ সিনেমায় এবিএম সুমনের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ভারতের অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান। এছাড়া ঢাকা থেকে আরও আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম ও টাইগার রবি। এছাড়া মার্কিন অভিনয়শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন মাইকেল জেই হোয়াইট, নিকো ফাস্টার, ম্যাট পাসমোর, ওলেগ প্রাডিউস, কেলি গ্রেসন প্রমুখ।

সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন পরিচালক আসিফ আকবর, আব্দুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। প্রযোজনায় জাজ মাল্টিমিডিয়া ও আল ব্রাভো ফিল্মস (যুক্তরাষ্ট্র)।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরের আমঝুপিতে “ওয়াচ গ্রুপের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত”

‘‘সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা, ও শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে সামাজিক প্লাটফরম কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে মউক এর হলরুমে গনসাক্ষরতা অভিযান এর সহায়তায় মানক উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) আয়োজিত কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের এই ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক সাইদুর রহমান এর সভাপতিত্বে ওয়াচ গ্রুপের বর্তমান ও আগামী পরিকল্পনা নিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমদহ ইউনিয়নের ওয়াচ গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া, মেহেরপুর পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রহিম, ওয়াচ সদস্য রেশমা খাতুন, সমাজসেবক আব্দুর রকিব ও মীর ফারুক হোসেন।

সভায় সকল শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি, শিক্ষায় বৈষম্য দূর সহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠির শিশুদের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা।




সমস্যায় জর্জরিত গাংনী উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী

নানা সমস্যায় জর্জরিত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী। লাইব্রেরীয়ানের ১৫ বছর বেতন বকেয়া, অবকাঠামো সংস্কার, আসবাবপত্র ও বই সংকটের কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে লাইব্রেরীটির কার্যক্রম। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এর কোন অভিভাবক নেই। তবে, উপজেলা চেয়ারম্যান বলছেন লাইব্রেরী চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।

১৯৮৪ সালে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্ত¦রের একটি কক্ষে গাংনী উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। লাইব্রেরীটি পরিচালনার জন্য ১৯৮৭ সালে গোলাম রহমান নামের একজন চুক্তিভিত্তিক লাইব্রেরীয়ান নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠার সময়ে পাঠকদের পদভারে মুখর থাকলেও বই সংকট সহ নানা সমস্যায় দিনদিন পাঠক সংখ্যা কমতে থাকে।

এদিকে গত ১৪ বছর বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন লাইব্রেরীয়ান গোলাম রহমান।

লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ নতুন বই সংযোজন করা হয় না। রয়েছে চেয়ার, টেবিল ও আলমারীর সংকট। গত কয়েক বছর লাইব্রেরী বন্ধ থাকায় মূল্যেবান বই সহ আসবাবপত্র এখন অনেকটাই নষ্ট হয়ে পড়েছে।

স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বড়রাও অবসর সময়ে বই ও পত্রিকা পড়ার জন্য লাইব্রেরীতে আসলেও বছরের পর বছর বন্ধ থাকে একারনে জ্ঞান চার্চা থেকে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। অবকাঠামো সংস্কার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেনীর ছাত্র সজল আহমেদ বলেন লাইব্রেরীটি সব সময় তালাবদ্ধ থাকে। যে কারনে বই পুস্তক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানে অনেক শিক্ষার্থীরা বই পড়তে এসে ফিরে যায়।

পাঠক আলাউদ্দীন আহম্মেদ, রজব আলী বলেন, যখনই লাইব্রেরীতে আসি তখনই বন্ধ পাওয়া যায়। লাইব্রেরীটা খোলা হলে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারতাম। লাইব্রেরীর অবস্থা দেখে মনে হয় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রকিব বলেন, পাবলিক লাইব্রেরী মানুষের জ্ঞানার্জনের জন্য একটি উৎকৃষ্ট যায়গা। এখানে তরুন বয়সে বই, পত্রিকা পড়তে আসবে। তবেই তো আমাদের ছেলে মেয়েরা মেধাবী হয়ে গড়ে উঠবে। উপজেলার মত একটা যায়গায় লাইব্রেরী রয়েছে। অথচ, দীর্ঘদিন যাবৎ এটি বন্ধ থাকে। আমাদের ছেলে মেয়েরা জ্ঞানার্জনের জন্য যাবে কোথায়। এজন্য আমরা আমাদের মেধাবী ছেলে মেয়েদের হারাচ্ছি। বই পড়ার সুযোগ না পেয়ে তারা মাদকে ঝুঁকছে। আমি নিজেও বই পত্রিকা পড়ার জন্য আসতাম। কিন্তু বছরের পর বছর লাইব্রেরীটা বন্ধ থাকায় সেই সুযোগ থেকে বঞ্জিত হচ্ছি। লাইব্রেরীটা দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। অবসর সময়ে বই পড়তাম। বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা

গাংনী উপজেলা নুরুল ইসলাম রিন্টু বলেন, আমি এক সময় গাংনী উপজেলা পরিষদের এই লাইব্রেরীর নিয়মিত পাঠক ছিলাম। লাইব্রেরীটি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। লাইব্রেরীটি চালু হওয়া উচিৎ।

লাইব্রেরীয়ান গোলাম রহমান বলেন, ১৪ বছর বিনা বেতন দায়ীত্ব পালন করেছি। এখানে দায়ীত্ব পালন করতে গিয়ে সংসার পরিজন নিয়ে অনেক দেনায় পড়ে রয়েছি। লাইব্রেরীতে এক সময় জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা দিয়ে ৪/৫ টি পত্রিকা আসতো। পর্যাপ্ত পরিমান বই রয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পাঠক আসতো এখানে। অথচ, সেই জমজমাট লাইব্রেরীটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। আমার ও লাইব্রেরীর খোঁজ খবর রাখার মত কেউ নেই।

গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, করোনার কারনে প্রায় তিন বছর বন্ধ ছিলো। নতুন উদ্যোমে লাইব্রেরীটি চালু করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বসে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




এখন স্বপ্ন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ: সাকিব

ক্লান্তি যেন ছুঁতে পারে না বিশ্বসেরা টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। গেল মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেই উড়াল দিয়েছিলেন কানাডার উদ্দেশে। সেখানে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে সরাসরি যান লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে সেটা শেষ করে আবার পাড়ি জমান দু্বাইয়ে এক স্বর্ণের দোকার উদ্বোধনের উদ্দেশ্যে। সব শেষ করে গত পরশু দেশে ফিরেছেন টাইগার এই অধিনায়ক। তবে দেশে ফিরেও থেমে নেই। বলা যায় বিশ্রামে থাকতেই পারেন না সাকিব। তবে তা তার কাছে নতুন নয়। জাতীয় দলের খেলা না থাকলে এইটা তার নিত্য রুটিন।

মঙ্গলবার সকালে চলে যান সাকিব চলে যান বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সুন্দরদী গ্রামের একটি হাসপাতালের চিকিত্সা কার্যক্রমে অংশ নেন সাকিব। সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে সেখানে পৌঁছান তিনি। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় হেলিকপ্টারযোগে ফের ঢাকা ফিরে আসেন তিনি। এখানে এসেও যোগ দিয়েছেন একটি মুঠোফোন কোম্পানির শুটিং। সোমবার ঢাকায় ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি না হলেও এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাকিব। বরিশালে তিনি তার বর্তমান চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানান, ‘এখন স্বপ্ন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ (জয়)। বাকিটা পরে দেখা যাবে।’

এছাড়া মঙ্গলবার বিকালে ঢাকায় গণমাধ্যমে সাকিব জানান এ ব্যস্ত সূচি তিনি উপভোগ করছেন। বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের এগুলো ম্যানেজ করেই চলতে হয়। যেহেতু সময় এত বেশি নেই। এই অল্প সময়ে সবকিছু ম্যানেজ করার একটা ওয়ে তো বের করাই লাগে। একটু ব্যস্ততা থাকে। কিন্তু ভালোই লাগে ব্যস্ততা।’ এদিকে গত বিশ্বকাপে টাইগারদের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ৬০৬ রানের সঙ্গে বল হাতে নেন ১০ উইকেট। এবারের বিশ্বকাপে এমন কিছু পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওরকম কোনো কিক নেই। শুধু চেষ্টা করতেছি যতটা ফিট থাকা যায়। যেহেতু সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট বা সিরিজ আছে। প্রচুর খেলা আছে, ইনজুরি হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি।’

এর আগে এদিন বরিশালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। এরকম তো আসলে মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয় না। একটা মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজের খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছে। একই সঙ্গে যেহেতু বরিশালে খুব একটা আসা হয় না, ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেহেতু হয় না। স্বাভাবিকভাবে আসার সম্ভাবনাটা খুবই কম থাকে। এভাবে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আশা করি শুধু বরিশাল না, পুরো বাংলাদেশের সবাই আমাদের সবসময় সমর্থন দেয়। বরিশালবাসীও অনেক বেশি সাপোর্ট করবে। সামনে যে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ আছে ওখানে আমরা ভালো করব।’

জানা গেছে, আজ বিশ্রামে কাটিয়ে আগামীকাল থেকেই যোগ দিবে মিরপুরে চলমান এশিয়া কাপ স্কোয়াডের অনুশীলন ক্যাম্পে। দল দেশ ছাড়ার আগে এই ক্যাম্প চলবে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত, তাই বলা যায় দলের সঙ্গে অধিনায়ক অনুশীলন করবে মাত্র দুই দিন। পরে ২৬ আগস্ট দল উড়াল দেবে শ্রীলঙ্কায়।

সূত্র: ইত্তেফাক




সংবাদ পরিবেশনের ধরন পাল্টাচ্ছে ‘এক্স’

সম্প্রতি সংবাদের লিংক পোস্ট করার পর হেডলাইন লুকিয়ে ফেলার ডিজাইন করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতির্ষ্ঠানটি। অর্থাৎ কোনো সংবাদের লিংক দেওয়া হলে তার শিরোনাম দেখা যাবে না। নতুন এই পরিবর্তনের ফলে এক্সের লে আউট আরও আকর্ষণীয় হবে বলে জানিয়েছে মাস্ক।

এখন কোনো নিউজ লিংক দেওয়া হলে সংবাদের শিরোনাম, বর্ণনামূলক অংশ ও একটি ছবি দেখা যায়। কিন্তু এখন কোনো লিংক দেওয়া হলে শুধু ছবি আর লিংকটি দেখা যাবে। একটি সূত্র জানাচ্ছে, এভাবে পোস্টের আকার ছোট করা হচ্ছে ও স্ক্রিনে একসঙ্গে অনেকগুলো পোস্ট এটে দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই ব্যবহারকারীরা এখন ওই লিংকে সরাসরি প্রবেশ করেই সংবাদটি দেখতে পারবে।

কদিন আগে ইলন মাস্ক নিজেও বলেছেন, সংবাদপত্র যেন স্বাভাবিকভাবে বেশি ভিজিটর পায় ও তাদের আয় বাড়ে সেজন্য তারা নতুন লে আউটের চিন্তা করছে। সম্প্রতি এক্স নতুন বেশকিছু নিয়মও চালু করছে। তারমধ্যে ব্লক ফিচার বন্ধ করা একটি।

সূত্র: ইত্তেফার্ক




গাংনীতে চুরি ও মারামারি মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার

পৃথক দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে মারামারি ও চুরির মামলায় ৩ জন আসামিকে আটক গাংনী থানা পুলিশ।

এরা হলেন, গাংনী মহিলা কলেজপাড়া এলাকার আবু জাহিদ (৫০) ও তার ছেলে জুনাইদ হোসেন (২০)। এছাড়া একটি চুরির মামলায় মানিক মিয়া (৪০) কে আটক করেছে। মানিক মিয়া কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার ধলসা গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।

মজনু মিয়াকে গত রাতে এবং পিতা পত্রকে আজ সকালে আটক করেছে পুলিশ।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হলে মহিবুল ইসলাম ওহিদ পিতা পুত্রকে আসামি করে একটি মারামারি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ২৬, তারিখ ২৩/০৮/২৩ ইং। ওই মামলায় অভিযান চালিয়ে পিতা পুত্রকে আটক করে পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাংনী বাজারে মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন মানিক মিয়া। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে তুলে দেন জনতা। এই মানিক মিয়াকে একটি চুরি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে আটককৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় দিনব্যাপি ব্যস্ত সময় কাটালেন জেলা প্রশাসক

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা আলমডাঙ্গা উপজেলায় পরিচিতি ও মতবিনিময় গতকাল মঙ্গলবার তিনি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করেন। এর আগে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন,আজকের এই মতবিনিময় সভায় আলমডাঙ্গার সার্বিক চিত্র দেখতে পেলাম এখন। সমস্যা সমাধানে সবাই যে এটি নিয়ে ভাবেন। আলমডাঙ্গার মাটি এবং মানুষ নিয়ে যে আপনাদের চিন্তা ভাবনা, এটি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এজন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। অনেক বিষয় আছে যেগুলো হয়তো রাস্ট্রীয় ভাবে উদ্যোগ নেওয়া জরুরী। কিন্তু কিছু বিষয আছে যেগুলো আমরা স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে পারি। যেমন অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মাদক। আমার বিশ্বাস মাদকের বিরুদ্ধে আপনারা সবাই সোচ্চার। আপনারা বলেছেন সিমান্তের ওপার থেকে মাদকের আগমন হতে পারে। আমার বিশ্বাস সিমান্তে বড়ারগার্ড বিজিবি অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে। আমি তাদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। তবে লোকালই যদি মাদকের চাহিদা কমাতে না পারি তাহলে তরুন সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সে জন্য মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে ত্লুতে হবে। যারা জনপ্রতিনিধি আছেন,তাদের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা। এবং মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স শুরু করা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্রিগ্ধা দাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ৃব হোসেন, আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সালমুন আহম্মেদ ডন, সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ, কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভীন, উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদ্দৌলা, কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশাদুল হক মিকা, হারদী ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামান ওল্টু, জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলন, নাগদাহ ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল জোয়ার্দ্দার, বাড়াদি ইউপি চেয়ারম্যান তবারক হোসেন, চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এছাড়াও জেলা প্রশাসক আলমডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা থানা, কালিদাসপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, আলমডাঙ্গা পৌরসভা পরিদর্শন করেন ও হাটবোয়ালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি উপকারভোগীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।




চুয়াডাঙ্গায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনন্দ মিছিল

সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা বিল- ২০২৩ জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বর থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে শহীদ হাসান চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করে সংগঠনটি।

কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহম্মেদ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি।

কর্মসূচীতে আরও বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, আবু তাহের, আতিউর রহমান বিপ্লব, মামুনুল হাসান, আব্দুস সামাদ, আসাদুজ্জামান সবুজ, আব্দুল আলিম, জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গা পৌর কৃষকলীগের আহ্বায়ক রাকিবুর রহমান রাকু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান আহম্মেদ, সাবেক সদস্য আল ইমরান বিপ্লব, কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রানা, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ওয়াসিম আলী, সাধারণ সম্পাদক মামুন, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি ফারুক, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি নাজমুল, সাধারণ সম্পাদক টোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিসান, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক রবিন, ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি উজ্জল, ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সজিব, সাধারণ সম্পাদক কাশেম, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি ইমদাদ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি খান ফয়সালসহ চুয়াডাঙ্গার প্রতিটা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।

আনন্দ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নত দেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেন। আজকে দেশের জনগণও উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখেন।আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন জানাই।

বক্তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গরিব-দুঃখী সর্বসাধারণের কথা চিন্তা করে এমন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ধনী গরিবের যে বৈষম্য রয়েছে সেটা দূর হবে। মানুষ যাতে ভালো থাকে সেজন্য এই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান আটক-১

চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান ১ জনকে আটক করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুঁইয়া ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান ও উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন ও আকবর হোসেন এর নেতৃত্বে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় চুয়াডাঙ্গা, সদর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করে আসামি মো:ইকবাল (৪৪), পিতা :মো: ফজলু মাষ্টার গ্রাম: সাদেক আলী মল্লিক পাড়া, থানা ও জেলা চুয়াডাঙ্গা কে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন সাদেক আলী মল্লিক পাড়াস্থ নিজ দখলীয় বসতঘর হইতে ৩ কেজি গাঁজা সহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ নির্বাহী উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১ বছর ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।




দর্শনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়

দর্শনা থানার নবাগত ওসি বিপ্লব কুমার শাহার সঙ্গে দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব মামুনের সঞ্চালনায় মতবিনিয় সভায় বক্তব্যে রাখেন দর্শনা থানার নবাগত ওসি বিপ্লব কুমার শাহা বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ । পুলিশ ও সাংবাদিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, চাঁদাবাজিসহ সব ধরণের অপরাধ কমে যাবে।

এ সময় তিনি থানার সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড দমন করতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার খান আব্দুর রহমান, দর্শনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক হানিফ মন্ডল, এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আওয়াল হোসেন, মনিরুজ্জামান ধীরু, এফ এ আলমগীর, নজরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান সুমন, চঞ্চল মেহমুদ, হাসমত আলী, আব্দুল আলিম, ওয়াসিম রয়েল, আব্দুল হান্নান, মাহমুদ হাসান রনি, আব্দুর রহমান, মাসুদ বিল্লা, আব্দুল হান্নান, রিফাত, সুকমল চন্দ্রদাস বাঁধন প্রমুখ।