ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণের সমাপনী

‘নারীদের আত্মরক্ষার্থে কারাতে হোক অন্যতম হাতিয়ার’ এ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সোতোকান কারাতে দো ঝিনাইদহ’র উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে আজ শুক্রবার বিকালে বেল্ট প্রদানের মধ্যদিয়ে প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘোষণা কর হয়।

সোতোকান কারাতে দো’র পরিচালক কাজী আলী আহম্মেদ লিকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, ক্রীড়া সংগঠক জয়নাল আবেদীন, সোতোকান কারাতে দো’র পরিচালক মাহফুজুর রহমান বিপ্লব। ২ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে আত্মরক্ষার নানা কৌশল শেখান জাতীয় কারাতে প্রশিক্ষক জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় প্রশিক্ষকবৃন্দ।

প্রশিক্ষণ শেষে শুক্রবার বিকালে পরীক্ষার মাধ্যমে ৩৫ জন প্রশিক্ষনার্থীকে বিভিন্ন প্রকার বেল্ট প্রদান করা হয়। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের রক্ষার পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলে আশা করেন অতিথি ও আয়োজকরা।




কোটচাঁদপুরের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য নেওয়াজ মতবিনিময়

কোটচাঁদপুরের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন,ঝিনাইদহ -৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যঃ নবী নেওয়াজ। আজ শুক্রবার (২৯-০৯-২৩) দুপুরে স্থানীয় পাঠাগারে এ সভা করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,গনমাধ্যমকর্মী অশোক দে,কাজী মৃদুল,নজরুল ইসলাম, কামাল হাওলাদার, সুব্রত কুমার,আব্দুল্লাহ বাশার,মঈন উদ্দিন, রেজাউল ইসলাম।

মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য তুলে ধরেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের কিছু চিত্র। যার মধ্যে ছিল,দুই উপজেলায় এলজিইডির অধীনে ১৫২ কিমি হেরিং ভাঙ্গা ও কাঁচা নতুন রাস্তা পিচ করন,১৪৮ কিলোমিটার রাস্তার রক্ষণা-বেক্ষনের কাজ,জেলা পরিষদের মাধ্যমে মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ ও কবরস্থান সহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে দেয়া হয়েছিল ৫,২০,০০,০০০/- টাকা অনুদান, আশি কোটি টাকা ব্যয়ে করা হয়েছিল খালিশপুর হতে মহেশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর-সামন্তা- বাঁশবাড়িয়া, যাদবপুর পর্যন্ত পাকা রাস্তা উন্নয়নের কাজ,স্থাপন করা করেছিলেন ৭৫ টি ব্রীজ ও কালভার্টের কাজ,হয়েছিল,২২ কিলোমিটার এইচ,বি,বি রাস্তা, টিআর ও কাবিখার কাজ করা হয়েছিল ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকার, ১৮৫০টি ঘর,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অফিস- দোকান পাঠ ও রাস্তায় স্ট্রিট লাইটের দেয়া হয়েছিল,পাঁচ বছরে,হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে টিন বিতরন করা হয়েছিল ৪৮০ বানন্ডিল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করেছিলেন ২২টি, ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন তরুন নির্মান ও মেরামত করা হয়, ১৩ কোটি একুশ লক্ষ একষট্টি হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা ৬টি নতুন কলেজ ভবন,নির্মাণ করা হয়,কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন,মুক্তিযোদ্গাদের জন্য ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন,আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আপনাদের কাছে আসতে পারলে দুই উপজেলায়,দুটি মিনি স্টেডিয়াম,মহেশপুরের আজমপুর দো-বিলে মিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রস্থাপন,মহেশপুর-কোটচাঁদপুরের মাঝে একটা বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলা,কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা মত কাজ গুলো অগ্রধিকারের ভিত্তিতে করে যাবো।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন,কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম, কোটচাঁদপুর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন, বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন,উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মীর মনিরুল আলম,যুগ্ন আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম খোকন।




স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

এইতো এক যুগেরও আগের কথা, উন্নয়নের তলানিতে ডুবে ছিলো এই দেশ। লুটতরাজ ও দুর্নীতিবাজরা দেশে দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশকে পিছিয়ে নিতে তৎপর ছিলো। চেয়েছিলো অবৈধ পথে ক্ষমতায় বসতে কিন্তু ২০০৯ সালে জনগনের ভোটের রায়ে অশুভ শক্তির সকল অপচেষ্টা বিফলে যায়। সফল রাষ্ট্রনায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২য় মেয়াদে এই দেশের মানুষ অভিভাবকের আসনে বসান। সেই থেকে রচিত হতে থাকে উন্নয়নের মহাকাব্য।

সুপরিকল্পিতভাবে দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে থাকেন তিনি। গ্রাম থেকে শহর বাংলাদেশের সকল স্থানে উন্নয়নের ছোয়া লাগা শুরু হয়। দেশের মানুষকে এখন আর আদিম যুগের মতো পরনির্ভরশীল থাকতে হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা করেছে, প্রযুক্তি হয়েছে সহজলভ্য।

সকল উন্নয়ন ও প্রযুক্তির বিস্তারের পর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের। ইতিমধ্যে এর সফল বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সরকারের সদিচ্ছার ন্যায় দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ আমাদের সবার। দেশ স্মার্ট হলে এ জাতি স্মার্ট হবে। তাই সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করতে হবে সকলের।

স্মার্ট বাংলাদেশ হবে আমাদের সকলের একটি প্রতিশ্রুতি ও শ্লোগান যা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা। স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার চারটি ভিত্তি রয়েছে। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে এ চারটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে অগ্রসর হলে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের কোনো অবশিষ্ট থাকবে না। স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট সরকার এর মাধ্যমে সব সেবা এবং মাধ্যম ডিজিটালে রূপান্তরিত হবে। আর স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। এককথায় সব কাজই হবে স্মার্ট। যেমন স্মার্ট শহর ও স্মার্ট গ্রাম বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট পরিবহন, স্মার্ট ইউটিলিটিজ, নগর প্রশাসন, জননিরাপত্তা, কৃষি, ইন্টারনেট সংযোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। অনলাইনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এক শিক্ষার্থী, এক ল্যাপটপ, এক স্বপ্নের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আওতায় সব ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নাম পরিবর্তন করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ এর নয়টি কার্যপরিধিও সুস্পষ্ট করেছে সরকার যথা- ১. অগ্রসরমান তথ্যপ্রযুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান; ২। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তরের সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে দিক নির্দেশনা প্রদান; ৩. স্মার্ট ও সর্বত্র বিরাজমান সরকার গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, বাণিজ্যিক ও বৈজ্ঞানিক পরিমন্ডলে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিধি-বিধান প্রণয়নে দিক নির্দেশনা প্রদান; ৪. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান; ৫. এজেন্সি ফর নলেজ অন এরানোটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন (আকাশ) প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান; ৬. ব্লেন্ডেড এডুকেশন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং ফাইভজি সেবা চালু পরবর্তী সময়ে ব্যান্ডউইথের চাহিদা বিবেচনায় চতুর্থ সাবমেরিন ক্যাবলে সংযোগের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান; ৭. রপ্তানি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মেড ইন বাংলাদেশ পলিসি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সময়াবদ্ধ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে দিক নির্দেশনা প্রদান; ৮. আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান এবং ৯. স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট গর্ভমেন্ট) বাস্তবায়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে দিক নির্দেশনা প্রদান।

স্মার্ট বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তর করবে আওয়ামী লীগ সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং এর উন্নয়নে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। সরকারি বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হবে। সুতারং সরকার আগামী ২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আদর্শগত এমন রূপান্তর ঘটাবে যেখানে সকল সেবার ভিড়ে না হারিয়ে নাগরিকগণ নিজের প্রয়োজনীয় সেবা সহজে খুঁজে পাবেন; সেবা গ্রহিতার দায় নয় সেবা প্রদানকারীর দায়কে শক্তভাবে দেখা হবে; সরবরাহ কেন্দ্রিক থেকে চাহিদা কেন্দ্রিক সার্ভিসের যোগান হবে; নাগরিকগণকে এখন ডিজিটাল মাধ্যমেও নানান চ্যানেলে (অ্যাপ, ওয়েব, কল সেন্টার ইত্যাদি নানা প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হয়) সেবা গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশে একটি মাত্র প্লাটফর্ম থেকে নাগরিকগণ সকল চাহিত সেবা পাবেন। নানান পরিচয় নম্বরের (যেমন এনআইডি, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইত্যাদি) পরিবর্তে একটি পরিচয় নম্বর (ইউনিক আইডি) দিয়ে সকল কার্যক্রম সম্পাদন এবং সরকারি সেবা প্রদানকে দেখা হবে সেবা গ্রহিতার চোখে, সেবা দাতার চোখে নয়।

এক সময় টাকা নগদ তুলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে জমা করতে হতো। কারণ, এক ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংক গ্রহণ করত না। পরে চেক গ্রহণ করলেও সেই টাকা জমা হতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যেত। আবার এক ব্যাংক থেকে বস্তা ভর্তি টাকা তুলে অন্য ব্যাংকে জমা করতেও দেখা যেত। অন্য কারও হিসাবে বা কাউকে টাকা পাঠাতে ব্যাংকে লাইন পড়ে যেত। আবার টাকা পাঠানোর জন্য কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসাও ছিল জমজমাট। কেনাকাটা ও লেনদেনের পুরোটাই হতো নগদ টাকায়। পরিসেবা বিল পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোতে লাইন লেগে থাকত। মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতেও প্রতিটি বাজার ও মহল্লায় ছিল একাধিক দোকান। নতুন প্রজন্মের কাছে এসব সাজানো গল্প মনে হতে পারে। তবে বাস্তবতা হলো আর্থিক লেনদেনে প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে এসব এখন অনেক কিছুই ইতিহাসের অংশ।

ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা, মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অ্যাপসে লেনদেন, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্টসহ এমন নানামুখী ডিজিটাল লেনদেন জীবনে এনে দিয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য। নগদ টাকা বহনের ঝামেলা কমিয়ে দিয়েছে। জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। আর প্রতিটি লেনদেনে থাকছে ডিজিটাল রেকর্ড। যা প্রয়োজনমতো ব্যবহার করা যাচ্ছে। এখন কার্ডের পরিবর্তে অ্যাপস,কিউআর কোড ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। মুঠোফোনই হয়ে উঠছে লেনদেনের বড় মাধ্যম। ব্যাংকগুলোর ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়,মাই ক্যাশ,ট্যাপের মতো এমএফএসের কারণে সাধারণ মানুষ ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।

স্মার্ট ইকোনমির অংশ হিসেবে বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রবাস যাত্রা সহজ করতে এবং প্রবাসে যাওয়ার প্রস্তুতিমূলক কাগজপত্র ও সেবাসমূহ একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস পয়েন্ট থেকে প্রদানের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে প্রবাসী হেল্প ডেস্ক চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা ও আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে এটুআই চালু করেছে ‘সাথী’ নামক একটি নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সহযোগিতায় এটুআই প্রাথমিক পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তা নিয়ে এই নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু করেছে। দেশের সকল পরিষেবা বিল, শিক্ষা সংক্রান্ত ফি ও অন্যান্য সকল ধরনের সরকারি সেবার বিল প্রদানের পদ্ধতি সহজ ও সমন্বিতকরণে চালু হওয়া সমন্বিত পেমেন্ট প্ল্যাটফরম ‘একপে’-তে বিভিন্ন ধরনের করতে নতুন ৮টি আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নতুন পেমেন্ট চ্যানেল যুক্তকরণ।

সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

লেখক:কোষাধ্যক্ষ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়




খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি পেতে আদালতে যাওয়ার সরকারি পরামর্শকে শুরুতে আমলেই নেয়নি বিএনপি। দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে যেভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেভাবেই তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে সরকার। ফলে তারা আদালতে আবেদন নিয়ে যাবেন না। তবে খালেদার চিকিৎসার জন্য বিএনপি আবেদন না জানালেও ঠিকই তার পরিবার এগিয়ে এসেছে।

খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠাতে সরকারের কাছে আবারও চিঠি দিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তাদের একবার আবেদন দেওয়া আরেকবার না দিতে চাওয়া উদ্দেশ্যমূলক উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কেউ যদি তার স্বজনের আসলেই ভালো চান, তাহলে যেকোন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না। আদালতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিএনপি আসলে তাদের নেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে সরকারের কাছে আবারও চিঠি দিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তিনি বলেন, ‘বাইরে পাঠানোর জন্য দুই-তিন দিন আগে শামীম ইস্কান্দার সাহেব এসেছিলেন। ওইদিনই বলে দিয়েছি। আমার কাছে চিঠি দিয়েছেন। আইনি জটিলতার কারণে চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। উনি (আইনমন্ত্রী) এখন ব্যাখ্যা দেবেন।’

এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছিলেন তার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২০২০ সালের এপ্রিলে এ ঘটনাটিকে সামনে এনে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন সেলিমা ইসলাম, বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম দেখা করে মুক্তির আবেদন করেন। তখনও বিএনপি নেতারা দলটির পক্ষ থেকে চেয়ারপারসেন চিকিৎসার জন্য আইনগত কোনো পদক্ষেপও নেয়নি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে মানবিক আবেদন করতে হলে প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হবে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে মতামত চাইতে পারে। খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও তিনি আজকে মুক্ত ও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন। সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে পাচ্ছেন। তারপরও তারা আবেদন করলে দেখা যাবে।’

তখন বিএনপি থেকে জানানো হয়, বেগম জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার আবেদন করেছিলেন। ফলে তাদের আর নতুন করে আবেদনের দরকার নেই। এরপরই ২৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১)-এর ধারার ক্ষমতাবলে শর্তযুক্তভাবে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায়।’




মেহেরপুরের ঘাটপাড়ায় ঈদ ই মিলাদুন্নবী উদযাপন

মেহেরপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড ঘাটপাড়ায় ঈদ ই মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এলাকাবাসীর মাঝে তবারক বিতরণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবছরের ন্যায়  ঘাটপাড়া এলাকাবাসী ঈদ ই মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এ কর্মসূচী পালন করে।

মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এলাকাবাসীর মাঝে তবারক বিতরণ করেন।

এসময় আছাদুজ্জাজামান, শিবলু,  সাংবাদিক ডিএম  মুকিদ,  তুহিন বিশ্বাস, রুমি ,আশরাফুল হক আশাসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সেখানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।




মেহেরপুরে এ্যাড. মিয়াজানের লিফলেট বিতরণ

মেহেরপুরে সরকার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাড. মিয়াজান আলী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কোর্ট মোড় থেকে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় এবং প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. মিয়াজান আলী বলেন আজকের দিনটা আমাদের অত্যন্ত পবিত্রের দিন আজ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম দিন এবং আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার ও জন্মদিন এই জন্মদিনে শেখ হাসিনার উন্নয়ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের লিফলেট বিতরণ করছি ।

এ সময় অন্যদের মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য টনিক বিশ্বাস, আমদহ ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুস্তাকিম আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল, মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, বুড়িপোতা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোমেল মোল্লা, আবুল হায়াত, আক্কাস আলী সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৩ সুষ্ঠু-সুন্দর ভাবে উদযাপন এবং সার্বিক নিরাপত্তার পরিকল্পনা নিয়ে মেহেরপুর জেলা পুলিশের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় মেহেরপুর জেলা পুলিশের আয়োজনেপুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় পুলিশ সুপার আসন্ন শারদীয় দূর্গাপুজা কিভাবে সুষ্ঠু, সুন্দর এবং উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে সে বিষয়ে পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং জেলা পুলিশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে পুলিশ ও পূজা উদযাপন কমিটিকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার মেহেরপুর মোঃ রাফিউল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আবদুল করিম, সদর, গাংনী ও মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জগণ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মেহেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক সনজিত পাল বাপ্পি, সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাস, পৌর কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ সাহা, সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি সুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মহাদেব চন্দ্র দাস, মুজিবনগর উপজেলা সভাপতি ধীরেন হালদার, প্রমুখ।




চুয়াডাঙ্গায় যুব মহিলা লীগের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঈদে মিলাদুন্নবী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের কার্যালয়ে এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদে মিলাদুন্নবী ও শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজা পারভীন।

এ সময় দোয়া মাহফিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ পরিবারের সকল নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয় পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘায়ু কামনা সহ দেশ ও জাতি এবং বিশ্ব শান্তি কামনা করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে সাধারণ জনগণের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আফরোজা পারভীন এর নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও আলমডাঙ্গায় গণসংযোগ করা হয়। এ সময় তিনি শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ , মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন,শাওন, সিফাত,জিরান,সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ সহ নেতাকর্মী বৃন্দ।




চুয়াডাঙ্গায় শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে জেলা যুবলীগের মিলাদ ও দোয়া

জাতীয় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কার্যালয়ে এই মিলাদ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের দলীয় কার্যালয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, হাফিজুর রহমান হাপু, আজাদ আলী, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা।

এসময় উপস্থিত আরও ছিলেন যুবলীগ নেতা পিরু মিয়া, শেখ শাহী, হাসানুল ইসলাম পলেন,কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসেন সৈকত, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য শেখ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য খালিদ মন্ডল ও দিপু বিশ্বাস।

আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আসাদুর জ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব, শংকর চন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সেলিম,সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ, পদ্মবিল্লা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বনফুল ,সাধারণ সম্পাদক জান্টু, সহ-সভাপতি বিপ্লব হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মেম্বার, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ফিরোজ,জাকির, আলোকদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হীরা, মুন্না,বক্কর, আরো উপস্থিত ছিলেন, তানভীর রেজার টুটুল,লোকমান, টিপু,তানজিল,রুবেল, সঞ্জু, সুশান্ত, জুয়েল, সুমন, শ্যামল, ইমরান, মিন্টু, সাহেব, শাকিল, রকি, সিকদার, ইব্রাহিম, রজব, ইসাহাক, লিখন, তুষার, জিনারুল, জনি, রতন, বাচ্চু, লিপ্ছাটন, ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসিম, বিপুল, আহমেদ তূর্য, সাব্বির, জিতু, শাহরুখ, মেহেদী পলাশ রসূল, মহাদেব, কবির, তুষার, চঞ্চল, পজিন, জাহিদ, নয়ন মন্ডল, অন্তর, নাঈম, সোহেল,  আলী প্রমুখ।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে মানবিক সাহায্য সংস্থা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস)। প্রতিষ্ঠানটিতে লোন অ্যান্ড সেভিংস অফিসার (এলএসও) নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

লোন অ্যান্ড সেভিংস অফিসার (এলএসও)

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর/সমমান পাস হতে হবে। বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পুরুষ এবং নারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে ক্ষুদ্র উদ্যোগ/ মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ঋণ কার্যক্রমে মাঠকর্মী পদে নূন্যতম তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ ঋণ কার্যক্রমে কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

অধিকতর দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স সীমা শিথিলযোগ্য। শিক্ষানবিশকাল ছয় মাস। তবে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষানবিশকাল হ্রাস/বৃদ্ধি হতে পারে। সংস্থার যেকোনো কর্মএলাকায় কাজ করতে আগ্রহী হতে হবে। মটর সাইকেল চালানো এবং বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। কম্পিউটারে ওয়ার্ড, এক্সেল, বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং এবং ইন্টারনেট ব্যবহার জানা বাধ্যতামূলক।

যোগদানের সময় মা/বাবা/আপন ভাই/বোন/স্বামী/স্ত্রী/নিকটতম আত্মীয় দ্বারা (দুইজন) জামিনদার হিসাবে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

চাকুরীতে যোগদানের সময় সংস্থার নিয়মানুযায়ী ১৫,০০০/- টাকা জামানত হিসাবে প্রদান করতে হবে যা নির্দিষ্ট সময়ান্তে সংস্থা ত্যাগকালে সংস্থায় প্রচলিত নিয়মানুযায়ী লভ্যাংশসহ ফেরৎ প্রদান করা হবে। আবেদনপত্রে অবশ্যই সচল মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

বেতন

স্থায়ীকরণের পর মাসিক বেতন ২৫,০০০- ২৯,৩৩০ টাকা। অধিকতর দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বেতন আলোচনা সাপেক্ষে। শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন প্রার্থীর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। মোবাইল ভাতা, মোটরসাইকেল জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা ইত্যাদি মাসিক বেতনের অন্তর্ভূক্ত নয়।

কোম্পানির সুযোগ সুবিধাদি

চাকুরি স্থায়ীকরণের পর সংস্থার নিয়মানুযায়ী উৎসব ভাতা, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচ্যুইটি, কর্মী নিরাপত্তা তহবিল, মোটর সাইকেল জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা, মোবাইল ফোন ভাতা, চিকিৎসা অনুদান, মৃত্যু/দুর্ঘটনা জনিত (বীমা সুবিধার ন্যায়) আর্থিক সহায়তা ও সন্তানদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি, বাই-সাইকেল/মোটর সাইকেল ক্রয় বাবদ সুদবিহীন ঋণ সুবিধাসহ সংস্থার বিধি মোতাবেক অন্যান্য সুবিধা প্রযোজ্য হবে।

আবেদনে প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীকে ২৫/১০/২০২৩ইং তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্তসহ সকল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয় পত্রের/ জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি, বর্তমান/ সর্বশেষ কর্মরত প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙ্গীন ছবিসহ “নির্বাহী পরিচালক, মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস), SEL সেন্টার (৪র্থ তলা), ২৯, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫” বরাবর আবেদন করতে হবে যা সরাসরি হাতে হাতে/ ডাক/ কুরিয়ার যোগে পাঠাতে হবে। আবেদনপত্র এবং খামের উপর অবশ্যই পদের নাম উল্লেখ্য করতে হবে।

এমএসএস নিজস্ব অফিস ব্যতীত অন্যকোন মাধ্যমে (বিকাশ, রকেট ও নগদ ইত্যাদি) আর্থিক লেনদেন করেনা। নিয়োগ প্রত্যাশী প্রার্থী থেকে কোন প্রতারক চক্র অন্যকোন মাধ্যমে টাকা দাবী করলে না দেওয়ার জন্য সংস্থা কর্তৃক অনুরোধ করা হলো। শুধুমাত্র বাছাইকৃত প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচনী পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান SMS/মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানানো হবে। চাকুরীর জন্য কোন প্রকার তদবির প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসাবে গণ্য হবে। এমএসএস কর্তৃপক্ষ এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংশোধন/সংযোজনসহ নিয়োগ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে। নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোন প্রকার টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না।

আবেদনের শেষ তারিখ

২৫ অক্টোবর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস।