মাদ্রিদ ডার্বিতে বিধ্বস্ত রিয়াল

লা লিগায় ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। টান পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর ষষ্ঠ ম্যাচে এসে হোঁচট খেলো কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। মাদ্রিদ ডার্বিতে এসে হারের স্বাদ পেলো রিয়াল।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদকে চাপে রেখেছিল আলভারো মোরাতা-অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানরা। তাতে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় অ্যাথলেটিকো। সামুয়েল লিনোর ক্রসে হেড করে দলকে এগিয়ে নেন মোরাতা।

১১ মিনিটে গ্রিজমানের কর্নার থেকে হিমেনেজ গোল করার দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করেন। এর সাত মিনিট পর নিজেই গোল করেন ফ্রেঞ্চ তারকা। লেফট উইং দিয়ে আক্রমণে উঠে বক্সে ক্রস দেন সাউল। তার ক্রসে হেড করে গোল করেন গ্রিজম্যান। তবে ৩৫ মিনিটে ক্রুস গোল করে একটি গোল পরিশোধ করেন। প্রথমার্ধে ২-১ গোলের পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লস ব্লাঙ্কোস।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার রিয়ালের জালে বল পাঠায় অ্যাথলেটিকো। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে সাউলের ক্রস থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মোরাতা। এরপর একাধিক আক্রমণ করেও গোল পেতে ব্যর্থ হয় রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারে নিয়ে মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোরা।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা

শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে এখনও ২৫ দিন বাকী থাকলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দরজায় কড়া নাড়ছে দেবী-দুর্গার আগমনী বার্তা। ইতোমধ্যেই দামুড়হুদা উপজেলায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
বিশেষ করে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে। মণ্ডপের সাজসজ্জাসহ সার্বিক প্রস্তুতি দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন আয়োজক ও পূজা উদযাপন কমিটি।

আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। দামুড়হুদা উপজেলায় এবছরে ২২টি মণ্ডপে দুর্গা প্রতিমা বসবে। তারই সাজসজ্জায় ব্যস্ত আয়োজকরা। শারদীয় উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূজা উদযাপন সম্মেলন কমিটির নেতারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কারিগররা কাদা-মাটি, খড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এই কার্যক্রম।এখন শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এ উৎসবকে ঘিরে উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্ম ব্যস্ততা। দিন রাত কাজ করে শিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। যেন দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। তবে রং, তুলির ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়া ও প্রতিমা বানানোর মজুরি কম পাওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে।

প্রতিমা শিল্পী শ্রী কৃষ্ণ গৌস্বামী বলেন,আমি ২৬ বছর যাবত প্রতিমা বানায়। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও সকল ধরনের প্রতিমা বানিয়ে থাকি এইবার আমি পাঁচ টা প্রতিমার কাজ করতেছি। ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় কন্টাক্টে, আমার সাথে তিন জন হেলপার আছে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা পূজা উদযাপন সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক উত্তম রঞ্জন দেবনাথ বলেন, এবার অনেক বড় করে পূজা করা হচ্ছে। মহাভারতের কিছু দৃশ্য রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দামুড়হুদা উপজেলায় মোট ২২টি প্রতিমা গড়া হচ্ছে।
দামুড়হুদা উপজেলা পূজা উদযাপন সম্মেলন কমিটির সদস্য সচিব সঞ্জয় হালদার জানান, এ বছর অনেক সাড়ম্বরে পূজা উদযাপন করা হবে। মূর্তি গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কিছুদিন পর থেকেই রংয়ের কাজ শুরু হবে। দশভূজা দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোড়ায় চড়ে। আর ফিরে যাবেন নৌকায়। পূজাকে কেন্দ্র করে তাই সর্বত্রই চলছে সাজ সাজ রব।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে, পুজায় আগত দর্শনার্থীদের ভিড় এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, পুলিশের টহল জোরদার করা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অনুরোধ, সহ ইভটিজিং ও নারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা বলেন, প্রতিমা তৈরির স্থানসমুহ এবং পূজা মন্ডপ গুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে সুষ্ঠুভাবে যেন পূজা উদযাপিত হয় সে লক্ষে জনপ্রতিনিধি সহ সর্বসাধারণের সহযোগিতা কামনা করছি।




হোয়াটসঅ্যাপের নতুন রূপ ও ফিচার

কিছুদিন আগেই হোয়াটসঅ্যাপ উন্মুক্ত করেছে চ্যানেল ফিচার। এবার আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ একটি নতুন ভার্সন এনেছে। যেখানে অ্যাপটি আরও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

টেকরাডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইফোন ব্যবহারকারীরা অনেকদিন থেকেই চ্যাট ডিজাইন পরিবর্তন করার প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছিল। তাই হোয়াটসঅ্যাপ নতুন রূপে নিয়ে এসেছে চ্যাটের সেটআপ। যেখানে আগের নীল রঙের বদলে এখন চ্যাট হবে সবুজ রঙের। তাছাড়া এডিট অপশনের বদলে থাকছে তিনটে ড্যাশ আইকন। এছাড়া অফিস, পরিবার ইত্যাদিকে আলাদা করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে আসছে ফিল্টার অপশন।

হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ইন্টারফেসে এখনও কিছু পরিবর্তন করা হয়নি। শুধু বাটনের ধরণ পরিবর্তন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আরও কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসবে হোয়াটসঅ্যাপ।চ তবে হোয়াটসঅ্যাপের এই আপডেট এখনই সবাই উপভোগ করতে পারবেন না। প্রাথমিক ভাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সকল আইফোন ব্যবহারকারী এবং বিটা ভার্সন ব্যবহারকরীরা এই নতুন বৈশিষ্ট্যগুলো উপভোগ করতে পারবেন। পরবর্তীতে সকল ব্যবহারকারী এই ফিচার উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গুরুত্বপূর্ণ আপডেট খুব সহজেই জানতে পারছেন। এই ফিচার অনেকটা ইনস্টাগ্রামের মত। এখানে চ্যাট এর জায়গা থাকছে ফলোয়ার্স বাটন। ফলে ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের ব্যক্তি, স্পোর্টস, সিনেমা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারছেন।




দামুড়হুদায় সরকারি জমির মাটি কেটে বিল্ডিংয়ের খোল ভরাট

দামুড়হুদা-জীবননগর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সওজের জায়গার মাটি কেটে নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের খোল ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে সরকারি হাই স্কুলের শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

সওজের ওই জায়গাতে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের ১১হাজার ভোল্টের সংযোগের খুটি। আর ওই খুটির নিচ থেকে ভেকু মেশিন যোগে মাটি-বালু কেটে নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের খোল ভরার করছেন ওই শিক্ষক। বিদ্যুতিক ওই খুটির নিচের মাটি কেটে নেওয়ার ফলে যে কোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সরকারি স্কুলের শিক্ষক হয়েও তিনি কিভাবে সরকারি জায়গার মাটি-বালু কেটে ব্যক্তিগত নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের খোল ভরাট করছেন তা নিয়ে রয়েছে নানা রকম প্রশ্ন।

জানাগেছে, দামুড়হুদা-জীবননগর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সেরা ব্রিক্স সংলগ্ন সওজের জায়গার মাটি-বালু কেটে ব্যক্তিগত নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের খোল ভরার করার অভিযোগ উঠেছে দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

তিনি গত কয়েকদিন যাবত ইঞ্জিন চালিত ভেকু মেশিন দিয়ে বেশ তোড়জোড় করে সরকারি সম্পত্তির মাটি-বালু উত্তোলন করে আসছেন। আর সেই মাটি বালু দিয়ে নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের খোল ভরার করছে। আঞ্চলিক ওই মহাসড়কের পাশ দিয়ে দামুড়হুদার অভিমুখ থেকে বয়ে চল জয়রামপুর মুখি বিদ্যুৎ বিভাগের ১১হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সংযোগের তার টানা খুটি রয়েছে। আর ওই বিদ্যুতিক খুটির নিচ থেকে এমন ভাবে মাটি-বালু উত্তোলন করা হয়েছে, তা যেকোনো সময় হেলে পড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় সহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। এছাড়াও, ওই শিক্ষক তার ব্যক্তিগত নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ইট, বালু ও ইটের খোয়া রেখেছে আঞ্চলিক মহাসড়কের কোল ঘেষে। যার ফলেও ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। এদিকে, সরকারি হাইস্কুলের ওই শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক পথচলা সহ স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো আমিনুল ইসলামের সাথে তার ব্যবহৃিত মোবাইল ০১৭১২৪৭৭২২৯নাম্বারে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে দামুড়হুদা পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের লাইনম্যান মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি আমাদের জানানেই। যদি কেউ পল্লী বিদ্যুতের পোল/খুটির নিচ থেকে মাটি কেটে বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন ও ক্ষতি করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা বলেন, বিষয়টি আমার জানানেই। তবে আইন সবার জন্য সমান। যদি তিনি অপরাধ করে থাকেন তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




চুয়াডাঙ্গায় আফরোজা পারভীনের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজ পারভিন এর নেতৃত্ব এই উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নৌকায় মনোনয়ন প্রত্যাশি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভিন এর নেতৃত্ব এই উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করা হয়। এ সময় তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চান এবং তিনি নৌকার মনোনয়ন পেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাসীর উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন ও শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্যও কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, আওয়ামী লীগ কর্মী সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




দর্শনার মদনায় প্রবীন সামাজিক কেন্দ্র সমৃদ্ধি কর্মসূচির উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসা প্রদান

দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের প্রবীন সামাজিক কেন্দ্রে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উদ্যোগে চর্ম ও যৌন রোগের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় এ মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন মোঃ সাজ্জাদ হাসান। বাংলাদেশ স্পালাইজড হাসপাতাল ঢাকা থেকে আগত ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ১৫২ জন চর্ম ও যৌন রোগিকে চিকিৎসা প্রদান করেন।

এ মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্ ডাঃ হেলেনা আক্তার নীপা, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন প্রবীন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিমুদ্দিন, সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনতাজ আলী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, লোকমোর্চার সচিব কানিজ সুলতানা। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন,তরিকুল ইসলাম, লাল্টু রহমান, সাইফুল ইসলাম, মিলি ও জগৎনাথ।




জঙ্গিবাদ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ করে দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা

নব্বইয়ের দশকের পর থেকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে শুরু করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সশস্ত্র জঙ্গিবাদের উত্থানের সর্ববৃহৎ আলামত দৃশ্যমান হয় ২০০৫ সালে জেএমবির ৬১টি জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে। এরপর সারা দেশে ছোট-বড় আরও অনেক সশস্ত্র জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ১ জুলাইয়ে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয়। সেখানে ৫ জঙ্গিসহ ২৯ জনের প্রাণহানি ঘটে।

দুই দশকে এসব হামলার শিকার হয়েছেন খোদ বর্তমানের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশকে জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত থেকে রক্ষা করতে তিনি ঘোষনা দেন জিরো টলারেন্সের। এটা যে কোন মুখের কথা ছিলো না তা বাংলাদেশ বুঝতে শুরু করেছে। একের পর এক জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান, একের পর এক নৃশংস হামলার পেরিয়ে বাংলাদেশ এখন জঙ্গিমুক্ত দেশে পরিণত হতে চলেছে।

নানা চড়াই উৎরাইয়ের পর বিশ্বে জঙ্গিবাদ দমনে যে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ তার ক্যাপ্টেন বর্তমানের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেশব্যাপী জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এই সাফল্য অর্জন করেছে। বৈশ্বিক ইনডেক্সে হাই রিস্কের (উচ্চ ঝুঁকি) দেশ থেকে লো রিস্কের (নিম্ন ঝুঁকি) দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তত্ত্বাবধানে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করলেও তা যৌথ বাহিনীর ব্যাপক অভিযানের মুখে অনেকটা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে।

গোবাল টেররিজম ইনডেক্স (জিটিআই)-২০২৩ প্রতিবেদন অনুযায়ী এর সূচকে বাংলাদেশ তিন ধাপ উন্নতি করেছে। অর্থাৎ দেশে সন্ত্রাসবাদ আরও কমেছে, দেশ নিরাপদ হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো করা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও ভারতের চেয়েও জঙ্গি দমনে ভালো করেছে বাংলাদেশ। জঙ্গিবাদ পুরাপুরি নির্মূল না হলেও জঙ্গি সংগঠনগুলোর মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এখনও অনলাইনে সক্রিয় রয়েছে বেশকিছু জঙ্গি সংগঠন।

পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে ২০২৩ সাল গত ২২ বছরে সারাদেশে জঙ্গিবাদ বিষয়ক প্রায় ২ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯ হাজারেরও বেশি জঙ্গি। এসব জঙ্গিরা হচ্ছে জেএমবি, নব্য জেএমবি, আনসার আল ইসলাম, হরকত-উল-জিহাদ হুজি, হিযবুত তাহরির, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে যার মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রণয়ন এবং প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০০৯-২০১৩ সালে, ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ পুরোহিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী, ভিন্নমতের ইসলামী মতাদর্শের অনুসারী, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা এবং বিদেশীদের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ দেশে জঙ্গিবাদ বিরোধী কার্যক্রমকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছিল। তবে এখনো পুরনো জঙ্গি সংগঠন জএমবি, আনসার-আল ইসলাম ও হুজিবি সংগঠিত হওয়ার সময়ে অনেক জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে। নব্য জেএমবির সর্বশেষ আমির মেহেদি হাসান জন তুরস্কে বসে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলো কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।

বাংলা ভাইয়ের সন্ত্রাস, হরকাতুল জেহাদের হুমকি ধামকির বিপরীতে বিশুদ্ধ বাংলাদেশ ও জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির কারণে। দেশে এখনো পর্যন্ত জেএমবি, শাহাদাত-ই-আল-হিকমা, জেএমজেবি, হিজবুত তাহরির, হুজি-বি, এবিটি, আনসার আল ইসলাম এবং আল্লাহ দল নামে আটটি জঙ্গি সংগঠনকে বাংলাদেশ সরকার নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের কঠোর ভূমিকার কারণে দেশের জঙ্গিবাদ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে।

বলতে দ্বিধা নেই, জঙ্গিবাদ দমনে ২০১৬ সালে গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনার আগে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশের তেমন দক্ষতা ছিল না। এরপর গঠন করা হয় পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট, ডিএমপির কাউন্টার-টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, সাইবার ক্রাইম, ইনভেস্টিগেশন সেন্টার এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ইন্টারসেপশন ইউনিট জঙ্গিবাদ দমনে সরাসরি কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা ঠেকাতেও সতর্ক রয়েছে এসব বাহিনী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।’ এ দেশের মানুষ ধর্মীয় উগ্রবাদিতা ও তাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। শিশুদের জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে রেখে একটি আধুনিক ও জ্ঞানভিত্তিক উন্নত জাতি গঠনে অবদান রাখতে হজযাত্রী এবং আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের (হজযাত্রীদের) এবং আলেম-ওলামাদের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি যাতে আমাদের শিশুরা এটি থেকে দূরে থাকতে পারে এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রস্তুত হতে পারে। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, যারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টি করছে তারা সব ধর্মেই আছে। ‘যদি কেউ মনে করে যে তারা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে বেহেশতে যাবে, তা কখনোই হবে না। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা বলেননি এবং আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তা বলেননি।

তিনি এই কথাগুলো বিশ্বাস করেন বলেনই তার সরকারের প্রথম মেয়াদে (২০০৯-২০১৩) জঙ্গিবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেন। অপরাধ দমন, অপরাধী শনাক্তকরণ, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, মাদকদ্রব্য চোরাচালান রোধ, মানবপাচার রোধ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।




হরিণাকুণ্ডুতে জুয়ার সরঞ্জামসহ ছয় জোয়ারী আটক

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চটকাবাড়িয়া এলাকা থেকে ছয় জুয়াড়িকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহীন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আটককৃতরা হলেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দরিবিন্নি গ্রামের মৃত ইউসুফ হোসেন মণ্ডলের ছেলে পারভেজ হোসেন, হরিশপুর গ্রামের মহিউদ্দিন সরকারের ছেলে আজিজুল হক, পার্বতীপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে এরশাদ আলী, জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মৃত তোয়াজ আলী মণ্ডলের ছেলে সামছুল মণ্ডল, সদর উপজেলার পবহাটি গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে গোলাম আযম ও কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে সানোয়ার হোসেন।

ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার বিকালে আমাদের একটি আভিযানিক দল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চটকাবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে জুয়া খেলা অবস্থায় ৬ জন জুয়াড়িকে আটক করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ বিশ হাজার ৪৩০ টাকাসহ জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।




আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কর্মি সভা

আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেহালা ফুটবল মাঠে এ কর্মি সভার আয়োজন করা হয়। কর্মি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছেলুন জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন,আওয়ামীলীগের সরকার ক্ষমতায় আসলে উন্নয়ন হয়,আর বিএনপি,জামাত ক্ষমতায় আসলে সন্ত্রাস বাড়ে,তারা যদি আবারও ক্ষমতায় আসে তাহলে আজ ১৫ বছর ধরে আপনারা শান্তিতে ঘুমাচ্ছিলেন সেই ঘুম হারাম হয়ে যাবে,সন্তাস বাড়বে,চান্দা দিতে দিতে জান ক্ষারাপ হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা বলেছিল প্রত্যেকটি গ্রামকে শহর করব,করেছে,যদি রাস্তাঘাটের উন্নয়ন এবং ইলেট্রিসিটি থাকে তাহলে তাকে কি শহর বলবেন না।আজকে জেহালা ইউনিয়নের এমন কোন রাস্তা নেই যে রাস্তায় কাজ হয়নি,মনে করে দেখেন তো আজ থেকে ১৫ বছর আগে ঐ গড়গড়ি থেকে অন্য কোন গ্রামে যেতে গেলে কি অবস্থা হতো,এখন সেই রাস্তাগুলো দেখেন,সব পিচকরন রাস্তা হয়ে গেছে,।

এক সময় এখানকার সব রাস্তায় কাঁচা ছিল আজ সবই পাকা হয়েছে।আমি তো বল্লাম আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষের উন্নয়ন হয়, রাস্তা পাকা হয়।পাশে যে স্কুল দেখছেন স্কুলের বিল্ডিং করে দেওয়া হয়েছে,বালিকা বিদ্যালয়ে বিল্ডিং করে দেওয়া সহ ইউনিয়নের স্কুল গুলোতে বিল্ডিং হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের সময় সন্ত্রাস ছিল, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাস দমন করা হয়েছে। মানুষ আজ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে,রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারে। মনে রাখবেন তৃনমুলের নেতা কর্মিরাই দলের প্রান,তাই তৃনমুলের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে,আপনাদের শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। সামনে ভোট, এখন অনেক নেতা আসবে ভোট চাবে,টাকা খরচ করবে,আপনারা চিন্তা করবেন না,অবৈধ পথে উপার্জন করা টাকা জনগনের মাঝে বিলাচ্ছে বিলাতে দেন,কারন ঐ টাকায় আপনাদের হক আছে।

আমরা আজ ৬০ বছর ধরে নেতা কর্মিদের পাশে আছি,তাই আজও অনেক গ্রামের নেতাকর্মিদের ঠিকমত নাম মুখস্ত করে রাখতে পারি নি,আর তুমি মিয়াতো বসন্তের কোকিল,দুদিন পর আর তেমাকে খুজে পাওয়া যাবেন। একটা গল্প মনে পড়ে গেল,একজন গরিব মানুষ ভোটের সময় ঐরকম বসন্তের কোকিলের বাড়ি গিয়েছে,পানি খাতি চায়েছে,তো তারা একটা বোতল নিয়ে মুখ খোলার পর ফস করে উঠেছে,ঐলোকতো একটু চমকিয়ে গেছে,যাহোক ঠান্ডা পানি খেয়ে সে চলে গিয়েছে,ভোটের পর একদিন আবার ঐলোক তার বাড়ী গিয়েছে,পানি খাতি চাইলে ওরা কলের পানি নিয়ে আসে দিয়েছে,লোকটা বলছে হাগো বাবারা এবার তো ফস করলো না,তো ওরা বলছে সবসময়কি ফসকরে বাবা। তে এরা হটাৎকরে আসে ফস করাবে, যতপারেন ফস করান,কারন ভোটের পর ওদের আর খুজে পাবেন না,আমি সেলুন আজিবন আপনাদের পাশে ছিলাম ভবিস্যতেও থাকব।

আপনারা যারা দলের কর্মি আছেন আপনারা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চান। ভোট চাওয়ার মত অনেক অর্জন রয়েছে আমাদের। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারা আবারও ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধুর অপরাধ তিনি সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন,তাই বঙ্গবন্ধুকে ঘাতকরা হত্যা করে,যারা মুক্তিযুদ্ধ চাই নি তারা স্বড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল,সেদিন মানবাধিকার কোথায় ছিল। আজকে মানবাধিকারের কথা বলেন। আমেরিকা আমাদের উপর ভিসা নিতি করে ভিসা বন্ধ করতে চাই,বঙ্গবন্ধু কন্যা আমেরিকায় বসে বলেছেন,তোমরা আমাদের উপর ভিসা নিতি প্রয়োগ করে ভিসা বন্ধ করলে তোমাদেরও বাংলাদেশে আসা বন্ধ করে দেব।এর নাম বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বনেন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমেরিকা আপনারা বড় দেশ, আপনাদের মত থাকেন, আমাদের উপর লাঠি ঘোরানোর চেষ্টা করেন না। এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,তৃণমূলের নেতা কর্মিদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ৭১ সালে আমরা তরুনরা যেভাবে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম, আজকে ছাত্রলীগ যুবলীগকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান হান্নানের সভাপতিত্বে কর্মি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি খুস্তার জামিল, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস,সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, শওকত মিয়া, জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু,চুয়াডাঙ্গা সদর পৌর আওয়ামীলীগের ,সম্পাদক, আব্দুল কাদের, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা,হামিদুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু,উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান সালমুন আহমেদ ডন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হোসেন,আতিয়ার রহমান, মাসুদ রানা তুহিন, জেলা পরিষদের সদস্য মাসুম,মজনুর রহমান,ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম,বীর মুক্তিযোদ্ধা উম্বাদ আলী,রেফাউল ইসলাম।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মাষ্টারের উপস্থাপনায় আরোও উপস্থিত ছিলেন নাগদাহ ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার, নাগদাহ ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম সোনা জোযার্দার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল, বীর মুক্নুতিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লাল্টু, ছাত্রলীগ নেতা গোলাম ছরোয়ার শামিম, বাদসা,রকি প্রমুখ।




আদালতের স্বপ্রণোদিত মামলায় মীর কামরুজ্জামান কারাগারে

মেহেরপুরে আদালতের স্বপ্রনোদিত মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মীর কামরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: তরিকুল ইসলাম।

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে মীর কামরুজ্জামান সিনিৃয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আদালতের স্বপ্রনদিত মামলার শুনানিতে হাজির না হওয়ার কারনে ১৩ জুলাই মীর কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলো আদলত। এর পর থেকেই মীর কামরুজ্জামান হাইকোর্টের জামিনে ছিলেন। হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে ৩০ আগষ্ট তিনি মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন বৃদ্ধির আবেদন করেন। মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শহীদুল্লাহ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত তার জামিন বৃদ্ধি করেন এবং জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রদান করে।

উল্লেখ্য, এর আগে মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় মীর কামরুজ্জামানের প্রতারণার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে মেহেরপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ স্বপ্রণোদিত হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং পিবিআই কে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।