চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় নায়েক ও কনস্টেবলদের দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স এর ১৪তম ব্যাচের শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম।

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম সার্বিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যদের নিয়ে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় ১৪তম ব্যাচের সপ্তাহ ব্যাপি পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্য পোষাকের মর্যাদা, সৌজন্যতা ও মার্জিত আচরণ, সহকর্মী ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে পেশাগত আচরণ ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান , আরআই পুলিশ লাইন্স চুয়াডাঙ্গা মোঃ আমিনুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিনিধিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।




হিথ্রো ও চাঙ্গি এয়ারপোর্টের সুবিধা থাকছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে

বদলে গেছে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেহারা। নান্দনিক রূপে তৈরি হওয়া বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টর্মিনাল হবে বিশ্বের অন্যতম হাব। যেখানে পর্যায়ক্রমে অন্তত অর্ধশত দেশের বিমান উঠানামা করবে, ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করবে।

সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে তৈরি তৃতীয় টার্মিনালে মিলবে লন্ডনের হিথ্রো, তুরস্কের ইস্তাম্বুল, জার্মানির ফ্রাস্কফ্রোর্ট কিংবা বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক বিমানবন্দরের সকল সুযোগ সুবিধা। যাত্রী সেবা ও ব্যবস্থাপনায় থাকবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কোনরকম হয়রানি ছাড়াই স্বল্প সময়ে যাত্রীরা সর্বোচ্চ সেবা পাবেন তৃতীয় টার্মিনাল থেকে। আশা করা হচ্ছে, তৃতীয় টার্মিনালের কারণে বছরে দুই কোটি ২০ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করবেন।

যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকবে
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালের চেয়ে বহুগুণ বেশি সুযোগ সুবিধা থাকছে। স্থান সংকুলান থেকে শুরু করে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে নতুন টার্মিনালে। প্রথমত তৃতীয় টার্মিনালের আয়তন বর্তমান দুই টার্মিনালের মোট আয়তনের প্রায় আড়াইগুণ। এটির আয়তন হচ্ছে দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গফুট। ৩৫০ একর জমির ওপর নির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল ভবন দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের আলোয় আলোকিত থাকবে। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে কম। বিশাল আয়তনের তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের চারপাশ কাচ দিয়ে ঘেরা। দেয়ালে থাকছে বাংলাদেশের ষড়ঋতুর বৈচিত্রময় ছয়টি রঙের ছটা।

এখানে একসঙ্গে থাকছে ৪০টি কেবিন এক্সরে মেশিন, ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি কনভেয়ার বেল্ট, ১১টি বডি স্ক্যানার ও টানেল। থাকবে ৫৪ হাজার বর্গমিটারের বহুতলবিশিষ্ট কার পার্কিং, নতুন ইমপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স ও ৬৩ হাজার বর্গমিটারের এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স। এ ছাড়া থাকছে রেসকিউ ও ফায়ার ফাইটিং স্টেশন এবং ৪ হাজার বর্গমিটার ইকুইপমেন্ট স্টেশন। উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য তৈরি হচ্ছে ২৪ হাজার বর্গমিটার কানেক্টিং ট্যাক্সিওয়ে (উত্তর), ৪২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার কানেক্টিং ট্যাক্সিওয়ে (অন্যান্য) এবং ২২ হাজার বর্গমিটার র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে (উত্তর) ১৯ হাজার ৫০০ বর্গমিটার র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে (দক্ষিণ), ৯৬ হাজার ৫০০ বর্গমিটার সোল্ডার, জিএসই রোড ৮৩ হাজার ৮০০ বর্গমিটার, সার্ভিস রোড ৩৩ হাজার বর্গমিটার ও ড্রেনেজ ওয়ার্কস (বক্স কালভার্ট ও প্রোটেক্টিভ ওয়ার্কস)।

টার্মিনালের চারদিকে থাকছে নিশ্ছিদ্র বাউন্ডারি ওয়াল, সিকিউরিটি গেট, গার্ড রুম ও ওয়াচ টাওয়ার। এর বাইরে ল্যান্ড সাইড, সার্ভিস রোডসহ এলিভেটেড রোড, ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম, সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ইনটেক পাওয়ার প্ল্যান্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, কার্গো কমপ্লেক্সের জন্য সিকিউরিটি ও টার্মিনাল ইকুইপমেন্ট, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম, হাইড্রেন্ট ফুয়েল সিস্টেমসহ আনুষঙ্গিক সব সুবিধা থাকছে। এছাড়া অন্যতম আকর্ষণ হিসাবে ফানেল টানেল রাখা হয়েছে।

বেবিচকের তথ্যানুযায়ী, থার্ড টার্মিনালের ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের মধ্যে প্রথম ধাপে চালু করা হচ্ছে ১২টি। থাকছে উড়োজাহাজ রাখার জন্য ৩৬টি পার্কিং বে। ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এপ্রোনে একসঙ্গে রাখা যাবে ৩৭টি উড়োজাহাজ। বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেকইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেকইন কাউন্টার থাকছে। এছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ থাকবে ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার।
আগমনের ক্ষেত্রে থাকছে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেকইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট ও ১৯টি চেকইন অ্যারাইভাল কাউন্টার। থাকছে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে এক সঙ্গে থাকবে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিমানবন্দরের সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে থার্ড টার্মিনালে। এছাড়া চিরাচরিত হাতে করে যাচ্ছে তাই ভাবে লাগেজ ছুড়ে ফেলার বদলে এবার পুরো লাগেজ হ্যান্ডিলিং হচ্ছে স্বয়ংক্রিয়। লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। কোনো যাত্রী লাগেজ রিসিভ না করলে, সেটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলে যাবে লাগেজের জন্য পৃথক রুমে।

এ আই সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীকে বিমান বন্দরে নির্দিষ্ট কাউন্টার ও লাইনে দাঁড়াতে সিগনাল দেয়া ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরে থাকবে নবজাতক সন্তানদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার। কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষারতদের বিনোদনের ব্যবস্থা। বড় আয়তনের বিশ্বমানের ব্র্যান্ড এর সমন্বয়ে ডিউটি ফ্রী শপিং জোন।

যেভাবে গড়ে উঠেছে তৃতীয় টার্মিনাল
২০১৯ এর ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। আর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তৃতীয় টার্মিনালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে এই বিমানবন্দর। চার বছরে নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই টার্মিনাল ভবনসহ তৃতীয় টার্মিনালের ৮৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়। স্বল্প সময়ে এবং বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে এতে। দিনেরাতে কাজ করেছেন কয়েক হাজার নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে প্রকৌশলীসহ সবাই।

বাহারিনের নকশা
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনালটি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে গড়া। এর মুল নকশা করেছেন বিশ্বখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের তৃতীয় টার্মিনাল সহ পৃথিবীর অনেকগুলো দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নকশা এই স্থপতির হাত দিয়েই তৈরি। তার তৈরি নকশায় চীনের উহান এয়ারপোর্ট, গুয়াংজু এয়ারপোর্ট, ভারতের আহমেদাবাদ এয়ারপোর্ট, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ এয়ারপোর্ট, ফুকুওকা এয়ারপোর্ট। এছাড়াও মরিশাস, ফিজি, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, ব্রুনেই, কম্বোডিয়ার বিভিন্ন এয়ারপোর্ট এর নকশা করেছেন রোহানি।

আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর সাথে চুক্তি
তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহার ও বাংলাদেশে নতুন করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ব্রুনাই, মরিশাস, সুইজারল্যান্ড এর বিমান সংস্থাগুলো চুক্তি সম্পন্ন করেছে। ৫৪ টি দেশের বিমান সংস্থা এই টার্মিনাল ব্যবহার করার জন্য ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আশা করছে, তৃতীয় টার্মিনাল বহিবিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরবে নতুন আঙ্গিকে এবং নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এর সূত্র ধরেই শাহজালাল হবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমান সংস্থার অন্যতম হাব।

যোগাযোগ ব্যবস্থা
মেট্রোরেল এবং এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে সরাসরি যাতে এই টার্মিনালে মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে নির্মাণাধীন পাতাল রেল। থাকছে টানেল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তৃতীয় টার্মিনাল থেকে যাতায়াত সুবিধা থাকবে অত্যাধুনিক ও নিরাপদ।

নান্দনিকতায় রূপ পাওয়া তৃতীয় টার্মিনারের নির্মাতা যারা

শাহজালাল বিমান বন্দরের এই তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং কোম্পানি। এই নির্মাণ প্রতিষ্ঠনগুলোর বুর্জ খলিফার মতো বিশ্বখ্যাত টাওয়ারের নির্মাণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও মালয়েশিয়ার পেট্রনাস টুইন-টাওয়ার, সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জের তাদাওয়াল টাওয়ার, কোরিয়ার ইচন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, আবুধাবীতে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ লাক্সারি হসপিটাল ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’ নির্মান করেছে স্যামস্যাং এর মতো বিশ্ববিখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।




দর্শনা পুলিশের অভিযানে ইয়াবা ও ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ১

দর্শনা থানা পুলিশ ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১জনকে গ্রেফতার করেছে।

আজ শনিবার দুপুর ২ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে দর্শনা থানার এসআই(নিঃ) মোঃ ফজলুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ দর্শনা পৌর এলাকার পাঠানপাড়ার রেল কলোনীর সামনে এক অভিযান চালায়।

এসময় দামুড়হুদার জয়রামপুর কলোনী পাড়ার আঃ কুদ্দুসের ছেলে রিপন হোসেন(২২)কে আটক করে।পরে তার দেহ তল্লাসী করে ৬০ পিস ইয়াবাট্যাবলেট উদ্ধার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।




দর্শনা সীমান্তে ২০ লক্ষ টাকার রুপার গহনাসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে প্রায় ২০ লাখ ৭০ হাজার  টাকার ১২ কেজি  ভারতীয় রুপার গহনাসহ জুবায়ের ওরফে টিপু (২১)নামের এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ।
সে দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর  পশ্চিম পাড়ার লিটন মন্ডলের ছেলে।
জানাগেছে আজ শনিবার ৭ অক্টোবর দুপুর ৩ টার দিকে দামুড়হুদা সার্কেল  সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানার তত্ত্বাবধানে,দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার শাহার নেতৃত্বে, দর্শনা থানার এস আই খান আব্দুর রহমান, এ এস আই মারুফ, এ এস আই বশির আহম্মেদ, এ এস আই সানোয়ার হোসেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ  অভিযান চালায় নাস্তিপুর গয়েরভাঙ্গা মাঠের পিচ রাস্তার উপর।
এ সময় পুলিশ তার ব্যবহৃত এ্যাপাছি আর টি আর  মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। পরে তার বাজারের প্লাষ্টিকের ব্যাগ তল্লাশী করে  স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো  ১০টি প্যাকেট থেকে  ১২ কেজি ৮০ গ্রাম (১০৩৫ ভরি) ভারতীয় তৈরীকৃত রুপার গহনা উদ্ধার করে। যার আনুমানিক বাজার মৃল্য ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।এ ঘটনায় এস আই টিপু সুলতান বাদি হয়ে  গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।



বড় পর্দায় টেলর সুইফট, ১০ কোটি ডলারের বেশি টিকিট বিক্রি

কণ্ঠের জাদুতে গোটা বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছেন পপতারকা টেলর সুইফট। এবার অভিনয় দিয়েও দর্শক মাতাতে আসছেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহে আসছে টেলর অভিনীত সিনেমা ‘টেলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর’। ভক্তরাও তার অভিনয় দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সংগ্রহ করছেন অগ্রীম টিকিট। এরই মধ্যে এই সিনেমার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি ডলারের বেশি। খবর ভ্যারাইটির।

এই মুহূর্তে নিজের বিখ্যাত মিউজিক্যাল সফর ‘ইরাস ট্যুর’ দিয়ে বিশ্ব মাতাচ্ছেন এই পপতারকা। গায়িকার এই ট্যুর বিশ্বে এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে, এ ট্যুর গানের একটি ‘ঐতিহাসিক ট্যুর’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। এই খ্যাতির পরিধি আরও বাড়িয়ে তুলতে কনসার্টের সেরা মুহূর্তগুলো নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি সিনেমা। ইতিমধ্যে নির্মাণ হয়ে গেছে সিনেমাটি। সিনেমায় এবারের সফরের কনসার্টগুলোকে চিত্রায়িত করা হয়েছে।

২ ঘন্টা এবং ৪৫ মিনিটের ফিল্মটি ১৩ অক্টোবর বড় পর্দায় আসবে। সিনেমা বোদ্ধারা বলছেন, কনসার্ট মাতানোর পাশাপাশি বক্স অফিসেও রাজত্ব করবেন গায়িকা। মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটির প্রতিবেদন, ১০০টি দেশের প্রায় ৮৫০০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

১৩ সংখ্যাটি গায়িকার জন্য ভাগ্যবান সংখ্যা বলেই ধরা হয়। তাই ১৩ তারিখেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে সিনেমাটি। এর আগে গত ৩১ আগস্ট প্রকাশ করা হয়েছে এই সিনেমার ট্রেলার। কনসার্ট সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন স্যাম রেঞ্চ।




কৃষি নীতি: খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার একটি নীলনকশা

আঠারো শতকের বাংলা ছিল একটি সমৃদ্ধি ও সুখের দেশ। সেই স্বর্ণযুগের বাংলাদেশ ছিল কৃষি প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ। দেশটি তখন কৃষি উৎপাদনের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত ছিল। মসলিন কাপড়, রেশম, তুলা, মশলা ইত্যাদি রপ্তানি করত বলে আমাদের এদেশ তখন অনেক বিদেশী ব্যবসায়ীকে আকর্ষণ করেছিল। অষ্টাদশ শতকে বাংলা ছিল তৎকালীন সময়ের একটি লোভনীয় বানিজ্য কেন্দ্র। সেসময়ের বাংলাকে জীবনমানের দিক থেকে গ্রেট ব্রিটেনের সাথে তুলনা করা হতো।

পরাধীনতার যাতাকলে বাংলার জৌলশ যখন অস্তমিত, সমৃদ্ধির দেশ যখন খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে নিমজ্জিত, দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্রতা যখন জেঁকে বসেছিল বাংলায়, এ মাটিতে তখন আবির্ভাব হয় এক কালজয়ী নেতার- তিনি হলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু। বাংলার গৌরবময় অতীতকে পুনরুদ্ধার করার চিন্তায় সর্বদা বিভোর থাকতেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করতেন টেকসই কৃষি উৎপাদন অর্জনের মাধ্যমে বাংলার স্বর্ণযুগের গৌরবকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর অর্থনৈতিক সংকট ছিল প্রকট। সকল ধরনের মৌলিক চাহিদা বিশেষকরে খাদ্য ঘাটতি ছিল প্রচুর। সারে সাত কোটি মানুষের দেশটিতে তখন খাদ্য ঘাটতি ছিল ২৫-৩০ লক্ষ মেট্রিক টন। স্বাধীন দেশের দায়িত্ব গ্রহণের পরই বঙ্গবন্ধু কৃষিখাতে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল খাদ্যে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। নয় মাসের যুদ্ধ বিধবস্ত দেশটিতে কৃষকরা মাঠে ফসল ফলাতে সমস্যায় পড়েন। যুদ্ধের সময় অনেক কৃষককে বাড়ি ছেড়ে যেতে হয়েছিল, ফলে অনেকেই জমি চাষ করতে পারেনি। এছাড়া ফসল ফলানোর জন্য কোন বীজ, সার ও কীটনাশক ছিল না। সেচ সুবিধার ঘাটতিও ছিল প্রকট। বঙ্গবন্ধু ভাল করেই জানতেন দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। তাই তিনি কৃষিক্ষেত্রের উন্নতির জন্য ১৯৭২ সালে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন এবং বালার জনগণকে বেশি বেশি ফসল ফলানোর তাগিদ দেন।

বঙ্গবন্ধু ১৩ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে মন্ত্রিপরিষদের প্রথম বৈঠকেই কৃষকদের জন্য একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্বাধীন দেশের প্রথম আর্থিক বাজেটে, মোট ৫০০ কোটি টাকা উন্নয়ন বাজেটের মধ্যে ১০১ কোটি টাকাই তিনি বরাদ্দ প্রদান করেন কৃষি খাতে। তাঁর সরকার স্লোগানটিকে কেবল স্লোগান হিসেবেই ব্যবহার করেনি; বরং ২২ লাখের বেশি গৃহহীন কৃষক পরিবারকে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে দক্ষতার সহিত পুনর্বাসন করেছিল। তিনি দেশের ভূমিহীন কৃষকদেরকে খাস জমি বিতরণের ব্যবস্থাও করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকরী সমীক্ষা সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন একটি পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা ছাড়া কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন সফল হবে না। যথাযথ পরিকল্পনার জন্য এটি অপরিহার্য ছিল। এ জরিপের ভিত্তিতে তিনি কৃষিক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নের মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন।

শিক্ষিত জনগণকে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টা ছিল প্রবল। বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ সম্মন্ধে যথেষ্ঠ জ্ঞান না থাকায় তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের কৃষি শিক্ষা গ্রহণের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেলেন যাতে করে তারা বাংলার কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের জন্য প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের সমাবর্তনে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেদিন তিনি তাঁর বক্তৃতায় কৃষি গ্রাজ্যুয়েটদের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন-”কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য শুধু বই পড়াই যথেষ্ঠ নয়। প্রত্যেক কৃষিবিদকে গ্রামে যেতে হবে এবং কৃষকদের সাথে থেকে কাজ করতে হবে এবং বাংলার কৃষকদেরকে কৃষি বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

১৯৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছরে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি কোন সরকারই মেটাতে সক্ষম হয়নি। এবপর বাংলার ভাগ্যাকাশে আবারও একটি গৌরবময় অধ্যায় লিখিত হয় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে, যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরপরই পিতার অংকিত পরিকল্পনাকে হৃদয়ে ধারণ করে তাঁরই দেখানো পথ ধরে বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লবের পূণর্জাগরণ করেন। মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।

সেই প্রথম মেয়াদে শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গৌরবময় সাফল্য অর্জন করেছিল। মাত্র পাঁচ বছরে মোট বিদ্যুত উৎপাদন ১৯৯৫ সালের বেগম খালেদা জিয়া সরকারের ২,৯০৮ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০১ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ৪,৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছিল, যা সরাসরি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। ১৯৯৬-২০০১ সালে অওয়মী লীগ সরকারের আমলে দেশটি অভূতপূর্ব কৃষি প্রবৃদ্ধি দেখেছিল। ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি শাসনামলে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকেনি। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার জনগনের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয় এবং সার, বীজ, ডিজেল প্রভৃতি কৃষি উপকরণ সংগ্রহ ও বিতরণে মারাত্মক অব্যবস্থাপনা করে। বিদ্যুৎ উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে আসে। এসব নেতিবাচক কর্মকা-ের কারণে খাদ্যে স্বনির্ভর একটি দেশ আবারও খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়।

এ অবস্থায় শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি খাদ্যের মূল্য গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং ২০১২ সালের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার অঙ্গীকার নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণ করে। ২০০৭-০৮ এর খাদ্য সংকটের ধাক্কা এবং ২০০৯ সালের ঘুর্ণিঝড় আইলার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিকে কাটিয়ে উঠে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে শেখ হাসিনার সরকার নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করে। তাঁর সরকার সার, মানসম্মত বীজ, ডিজেলসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের উপর ভর্তুকি বৃদ্ধি করাসহ সহজ শর্তে কৃষকদের মাঝে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করে। এভাবে, ২০০৯ সালের শেষ নাগাদ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ৩.৫% থেকে ৪.৫% এ ফিরে আসে।

২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার ক্রমাগত সরকার কৃষি খাতে একটি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে যা একটি উল্লেখযোগ্য স্তরে দারিদ্র বিমোচন করেছে এবং বাংলাদেশ থেকে মঙ্গা দূরীভূত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের ১০০% জনসংখ্যাকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে এসেছে। যার ফলে কৃষিক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থাপনার অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যার ফলে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ৩২.৯০ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭.৭৭ টনে পেীঁছেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের কৃষি বান্ধব নীতির ফলস্বরূপ বাংলাদেশ এখন পাট রপ্তানিতে প্রথম, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, হেক্টর প্রতি ফলের ফলন বৃদ্ধিতে প্রথম, শস্যের জাত উন্নয়নে প্রথম, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চাল ও চা উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা ও আলু উৎপাদনে চতুর্থ এবং স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ। ২০২১ সালের তথ্যসম্বলিত ঋঅঙ কর্তৃক প্রকাশিত ২০২৩ সালের মার্চ মাসের রিপোর্ট ইঙ্গিত করে যে, ভূমির আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ ৯৪তম হলেও প্রাথমিক কৃষিপণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ বর্তমানে চাল, মসুর, আলু, পেঁয়াজ, চা এবং বিভিন্ন ফলসহ ২২ টি কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে ১০ টি শীর্ষ দেশের মধ্যে রয়েছে। বর্তমান সরকারের কার্যকর কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশের ৪০০০ বিলিয়ন টাকা মূল্যের ৯ কোটি ৩৩ লাখ টন উল্লেখযোগ্য কৃষি উৎপাদন বৈশ্বিক কৃষি বাজারে দেশের কৃষি দক্ষতা ও গুরুত্বকে তুলে ধরে।
লেখক: চেয়ারম্যান, সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। পরিচালক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা




৯৬ সালের আগের অবস্থা মনে করে দেখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, `২৯ বছর যারা ক্ষতমায় ছিল তারা দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারেনি। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, যদি পারেন তাহলে ৯৬ সালে পূর্ব পর্যন্ত কী উন্নয়ন ছিল সেটা একটু দেখবেন।‘

শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, `১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকারে আসি তখন আমাদের বিমানবন্দরের কোনও বোডিং ছিল না, পার্কিং লোড ছিল না, কিছুই ছিল না। আমরা সরকারে এসেই বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম এবং সিলেট এই দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করি।‘

বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, `আরও পর্যাপ্ত আধুনিক, সুযোগ-সুবিধা যাতে সৃষ্টি হয়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ, আমাদের দেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা বসবাস করে। তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে। আমাদের রেমিট্যান্স পাঠায়। তারাও যাতায়াত করে।‘

মানুষের যোগাযোগ ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতি উন্নতির জন্য মানুষের যোগাযোগ অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধুনিক যুগের নৌপথ সড়ক পথ রেলপথের সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পথ সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহন করে। বিশেষ করে, এদের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ সেই যোগাযোগের মূল বাহন হচ্ছে বিমান।

বিভিন্ন সময়ে আকাশপথে যোগাযোগের রুট পরিবর্তন হয় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, একসময় আন্তর্জাতিক হাব ছিল হংকং। এরপর হলো সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, এখন দুবাই। আমি বিশ্বাস করি, একসময় আমাদের কক্সবাজার বা হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর হবে আন্তর্জাতিক হাব। রিফুয়েলিংয়ের জন্য অনেকেই এখানে আসবে, থামবে; বাংলাদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করবে। আর কক্সবাজারে নামলে তো আমাদের সবচেয়ে দীর্ঘ বালুকাময় সি বিচ সেটাও সবাই উপভোগ করতে পারবে। সেভাবেই আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমানসহ বেবিচক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।




মেহেরপুরে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

মেহেরপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কৃতী সংবর্ধনা প্রদান করেছে শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথম আলোর উদ্যোগে। আজ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলার ৩শ ৮৮ জন শিক্ষার্থীকে এ সংবর্ধণা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লা আল আমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখে প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি আবু সাঈদ। বিশিষ্টজন হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল ইসলাম সর্দার, মেহেরপুর সরকারী মহীলা কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলার প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান।

স্বাগত বক্তব্য প্রথম আলোর প্রতিনিধি আবু সাঈদ বলেন, একটি উন্নত রাষ্ট্র ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, বৈশম্যহীন পরিবেশ তৈরিতে আমরা এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে অঙ্গিকারবদ্ধ হবো। আগামী বাংলাদেশ আমাদের তৈরি করতে হবে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষে মানুষে বিভেদ ভুলে মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। কৃতী শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের অনুরোধ নিজের পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সু সম্পর্ক রাখতে হবে। নিজেেদেরকে উন্নত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ সফিউল ইসলাম সর্দার বলেন, এখনি সময় নিজেদের তৈরি করার। এসএসসি পাশ করার পরে শিক্ষার্থীদের আরো মনোযোগ দিতে হবে পড়াশোনায়। প্রথম আলো প্রতি বছরে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়ার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করে চলেছে তা অবশ্যায় সমাজে গুরুত্ব রাখছে। কৃতীদের আগামী পথচলাতে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকুক আমাদের দাবি রইলো।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান বলেন, বর্তমান সময় মাদকের ভয়াবহতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃতী শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ আবেদন রইবে অবশ্যায় মাদককে না বলতে হবে। একটি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে পারলে সমাজ থেকে সন্ত্রাস, হানাহানি, খুন খারাবি অনেকাংশে কমে আসবে। বাসযোগ্য একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মাদক প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিষয়ে আমাদের সকলকে নিজের অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

প্রথম আলোর মেহেরপুর সভাপতি ও সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থী হলো এক একটি আলোকবর্তিকা। সমাজে অন্ধকার দুর করতে কৃতী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান থেকে আলো ছড়াবো। উন্নত, মাননিক, সৎ., ন্যায় নির্ভিক মানুষ হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। তবেই আমরা একটি সুন্দর দেশ তৈরি করতে পারবো। আজকের অনুষ্ঠানের প্রানই হচ্ছে কৃতী শিক্ষার্থীরা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাদককে না বলার শপথবাক্য পাঠ করা হয়। সংবর্ধনা পেয়ে খুশি কৃতী শিক্ষার্থীরা। পরে নৃত্য পরিবেশন করে বন্ধুসভার উপদেষ্টা সাব্বির হোসেন সোহাগের দল। সঙ্গীত পরিবশেন করে রেইনফল নামের একটি ব্যান্ড দল। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিলো এটিএন বাংলা। সহযোগীতায় রয়েছে ফ্রেশ ও প্রথমআলো বন্ধুসভা।




প্রাথমিক সার্চ ইঞ্জিন বদলের চিন্তা অ্যাপলের

সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে গুগলের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। তাই প্রায় সব স্মার্টফোন ও কম্পিউটার গ্যাজেট কোম্পানি তাদের ডিভাইসে গুগলকে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করে। আর স্মার্টফোন মানেই গুগল ক্রোম নামানো। স্মার্টফোনের জন্য ক্রোমের চেয়ে উপাদেয় ব্রাউজার আর নেই। সেই গুগলকে বদলের কথা ভাবছে অ্যাপল।

নিজস্ব ডিভাইসে থার্ড পার্টি প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে অ্যাপল বরাবরই অনাগ্রহী। পারতপক্ষে ডিভাইসে গুগলের পরিবর্তে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে কাজও করছে অ্যাপল।

ব্লুমবার্গের মার্ক গুরম্যানের মতে, কয়েক বছর ধরে সার্চ প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছে প্রযুক্তি জায়ান্টটি। তবে এক্ষেত্রে সফল হতে হলে কোম্পানিটিকে আরো সময় ব্যয় করতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রযুক্তি-বিশারদদের মতে, অ্যাপল যদি কোনোভাবে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন চালু করতে পারে তাহলে গুগলের তুলনায় আরো ভালো সমাধান দিতে সমর্থ হবে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগল অবশ্য অ্যাপলের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হওয়ার অ্যাপলকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে আসছে। তাই অ্যাপলের এই সিদ্ধান্ত গুগলের জন্য উদ্বেগের কারণ হওয়াটা স্বাভাবিক।

সূত্র: টেকরাডার




দাপুটে জয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

বিশ্বকাপ শুরুর আগে মাঠের বাইরের খবরে উত্তপ্ত ছিল দেশের ক্রিকেট অঙ্গন। সেই প্রভাব বিশ্বকাপ দলেও পড়বে বলে ধারণা করেছিল অনেকে। তবে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তা কিছুই চোখে পড়েনি। দাপুটে জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। বল হাতে নিয়েছে মূল্যবান তিনটি উইকেট। শনিবার (৭ অক্টোবর) ধর্মশালায় জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।

ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করলেও টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে মাত্র ১৫৭ রানে অলআউট হয় আফগানরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। সাকিব ও মিরাজ নেন ৩টি করে উইকেট।

১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। তবে দলীয় ১৯ রানে ১৩ বলে ৫ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তামিম।

এরপর দলীয় ২৭ রানে ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। তার বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ মিলে হাল ধরেন। দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।

সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। ৯৭ রানের জুটি গড়েন মিরাজ-শান্ত। এরপর দলীয় ১২৪ রানে ৭৩ বলে ৫৮ রান করে আউট হন মিরাজ।

এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১৯ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৯২ বলে হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন শান্ত। মুশফিক ৩ বলে ২ ও শান্ত ৮৩ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

সূত্র: ইত্তেফাক