মুজিবনগরে তিন দিনব্যাপী ফল মেলা উদ্বোধন

“দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিবনগরে তিন দিনব্যাপী ফল মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত চলবে এই ফল মেলা। মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসি ওমর ফারুক প্রিন্স এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান।

ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধনের পর ইউএনও পলাশ মন্ডল অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

মেলায় ৪টি স্টলে আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, ড্রাগন, লেবু, তাল, কামরাঙ্গা, খেজুর, জামরুল, পেঁপে, গাব, আঁশফল, মালটা ও পেয়ারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ফল প্রদর্শিত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করা এবং জনগণের মধ্যে দেশি ফলের গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।




ঝিনাইদহে ৩ দিন ব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন

‘দেশী ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে ৩ দিন ব্যাপী জাতীয় ফল মেলা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মঞ্জুর মোর্শেদ, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: এ এস এম আতিকুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ নবী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সেলিম রেজা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ মেলায় ৫ টি স্টল প্রদর্শণ করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশত প্রকার দেশীয় ফল ও ফল আবাদের উন্নত প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে মেলায়।

আগামী ২১ জুন শেষ হবে এ মেলা। দেশীয় ফলের উৎপাদন ও ভোক্তা সচেতনতা বাড়াতে এ ধরণের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।




মেহেরপুরে ৩ দিনব্যাপী ফল মেলা উদ্বোধন

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ফল মেলা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ি প্রাঙ্গণে এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সামছুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাঃ আবদুল্লাহ আল আমীন, বিএডিসির উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলাম এবং সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল রহিম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শায়খুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান।

“দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই” প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এস এম আশরাফুল হাবিব, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাধন চন্দ্র সরকার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকারিয়া পারভেজ এবং আম চাষি সাইদুর রহমান শাহীন প্রমুখ। মেলার স্টল পরিচালনা করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা চায়না পারভীন

ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় ৬টি স্টলে আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, ড্রাগন, লেবু, তাল, কামরাঙ্গা, খেজুর, জামরুল, পেঁপে, গাব, আঁশফল, মালটা ও পেয়ারাসহ নানা জাতের দেশি ফল প্রদর্শিত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করতে এবং জনগণের মাঝে দেশি ফলের গুরুত্ব তুলে ধরতেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।




ঘুষের টাকা বদহজম অফিস সহকারী সাদ্দামের !

ঘুষের টাকা গ্রহণ করে বদহজম হওয়ায় ফেরৎ দিয়েছেন মুজিবনগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের অফিস সহকারী সাদ্দাম হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার মুজিবনগর সমাজসেবা অফিসে।

আসাদুল শেখ অভিযোগ করে জানান, মুজিবনগর উপজেলার ভবের পাড়া গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আসাদুল শেখ প্রতিবন্ধী কার্ড করার উদ্দেশ্যে যান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এখানে তার সাথে কথা হয় অফিস সহকারী সাদ্দাম হোসেনের । সবকিছু দেখে শুনে সাদ্দাম হোসেন আসাদুল শেখকে বলেন আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত। কিন্তু শর্ত দেন ভাতা পেলে তাকে ৫০শতাংশ দিতে হবে। অসহায় হিসেবে সেই শর্তে রাজি হয়ে তিনি ফিরে যান বাড়িতে। বিষয়টি অবগত করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ খানকে।

সবশেষ গত ৩০ মে তারিখে ১০ হাজার ২৭১ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং পান আসাদুল শেখ। টাকা পাওয়ার পর থেকে সাদ্দাম হোসেন আসাদুল শেখকে বারবার ফোন দেন তার ৫০ পার্সেন্ট টাকা বুঝে নেওয়ার জন্য। আজ বুধবার দুপুরে দাবিকৃত ঘুষের ৫০% টাকা বুঝিয়ে দিতে যান আসাদুল শেখ । চারটি এক হাজার টাকার মোট চার হাজার টাকা দিয়ে অফিস সহায়ককে তার ঘুষের টাকা বুঝিয়ে দেন।

পরবর্তীতে সাথে সাথেই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এর কাছে। মাহমুদুল হাসানের কঠোর পদক্ষেপে অভিযোগ স্বীকার করে পকেটে থাকা চার হাজার টাকা বের করে দিতে বাধ্য হন সাদ্দাম হোসেন।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আরিফ খান বলেন, সমাজ সেবা অফিসের অফিস সহকারী সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে এরকম ঘুষের টাকা দাবি করার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের।

ঘুষের অভিযোগের বিষয়ে অফিস সহকারী সাদ্দাম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি। পরে তিনি ফোন করে জানান, ভুল-ত্রুটি হয়ে গেছে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে। তবে ঘুষ গ্রহণের অডিও কথোপকথন রয়েছে মেহেরপুর প্রতিদিনের হাতে।

মুজিবনগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করবেন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সাদ্দাম হোসেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসে চাকরি করছেন ২৩ আগস্ট ২০২৩ সাল থেকে।




মুজিবনগরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা অফিস সহায়কের পকেটে

মুজিবনগরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা অফিস সহায়কের পকেটে। জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির হস্তক্ষেপে উদ্ধার।
বিস্তারিত আসছে….




মেহেরপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সক্রিয়করণে সমন্বয় সভা

মেহেরপুরে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত কার্যক্রম সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বিচারিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেহেরপুরের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মো: তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার আছাদুজ্জামান গ্রাম আদালত কার্যক্রম নিয়ে মেহেরপুরের তিন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের অগ্রগতির চিত্র তুলে উপস্থাপনের মাধ্যমে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের বিচারিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অংশীজনদের ভূমিকার গুরত্ব তুলে ধরেন।

এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আশাদুল ইসলাম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, পলাশীপাড়া সমাজকল্যান সমিতির নির্বাহী পরিচালক মোশাররফ হোসেন ।
বক্তারা বলেন, গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো তথ্য পৌছায়নি। বিভিন্ন সেমিনার, মিটিং, লিফলেট এবং মাইকিংয়ের মাধ্যমে জহনসাধারণের মাছে প্রচারনা চালানোর আহবান জানান।

জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, প্রতিনিয়ত ছোট ছোট সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে আসেন। অথচ সেগুলো অনায়াসেই গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত কার্যক্রমকে গতিশীল করতে আপনারা যারা অংশীজন রয়েছেন তাদের বিষয়টিতে মনিটরিং করতে হবে।




প্রতারণার মাধ্যমে ভাইয়ের নাম পরিবর্তন করে বোনের নাম

ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের মহাফেজখানা থেকে দলিল বের করে কাটাছেড়া করে ভাইয়ের নামের জায়গায় বসানো হয়েছে বোনের নাম। এতেই বেহাত হয়েছে বড়ভাই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাদাদ কামালের নামে বাবার দেওয়া অর্ধশতকোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি।

শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর বাজারে অবস্থিত এই জমির বাজার মূল্য ৫০ কোটির টাকার ঊর্ধে¦ এমন দাবি প্রতারণার শিকার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাদাদ কামালের।

ঝিনাইদহ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবিশ বাবুল আক্তার ও দলিল লেখক মোঃ আল মামুন (লাইসেন্স নং-১৭৮) বিপুল অংকের টাকার মাধ্যমে ছোটভাই প্রতারক ওয়াসিফ কামালকে এই জমি আত্মসাতে সহযোগিতা করেছেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ জুন ঝিনাইদহ সদর সাব রেজিস্ট্রার ও মহাফেজখানার দায়িতপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক হোসেন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সংশ্লিষ্ট ২ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

আর এতেই সামনে এসেছে একটি বিরাট প্রতারণা ও দুর্নীতির ফিরিস্তি। তথ্য ফাঁস হলে রেকর্ডরুমে সংরক্ষিত দলিল নিয়ে শঙ্কা করছেন জেলার সচেতন মহল। তাদের দাবি ঘষামাজা করে আরও জমির মালিকানা পরিবর্তন করে থাকতে পারেন রেকর্ড রুম সংশ্লিষ্টরা। এদিকে এই দুর্নীতি ফাঁস হলে নড়ে চড়ে বসেছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত দুইজনকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে এবং জেলার মহেশপুর সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানাগেছে, ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর শৈলকুপার হাটফাজিলপুর বাজারের বাসিন্দা এ্যাড: আহমেদ মাসুদ কামাল তার দুই ছেলে সাদাদ কামাল ও ওয়াসিফ কামালের নামে বাজারে অবস্থিত ৮৫ শতক জমি লিখে দেন। যার দলিল নং-৫৪৪৫। এই জমির ওপর রয়েছে বিপণীবিতান। বিপণীবিতান থেকে বর্তমানে প্রতিমাসে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা ভাড়া আসছে। ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন এ্যাড: মাসুদ কামাল। বাবার মৃত্যুর পরে বড়ভাই সাদাদ কামালের নামের অংশ আত্মসাৎ করতে ছক কষতে থাকেন ছোটভাই ওয়াসিফ কামাল। ওয়াসিফ কামাল পেশায় আইনজীবী। তিনি ঝিনাইদহ জেলা জজকোর্টে আইনজীবী হিসাবে কর্মরত।

ওয়াসিফ কামাল ঝিনাইদহ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবিশ বাবুল আক্তার ও দলিল লেখক মোঃ আল মামুনকে টাকা দিয়ে রেকর্ড রুম থেকে দলিল ও বালাম বই বের করে ভাই সাদাদ কামালের নাম মুছে দিয়ে সেখানে বোন দিশা কামালের নাম লেখেন। ইনডেক্সেও নাম পরিবর্তন করে ফেলেন। বালাম বইয়ে ঘষামাজা অন্য কর্মকর্তার নজরে আসলে ধরা পড়েন নকল নবিশ বাবুল আক্তার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে টাকার বিনিময়ে তাদের দুর্নীতির তথ্য। প্রবাসী সাদাদ কামাল ঘটনার সঠিক তদন্ত চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে মহাফেজ খানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাব রেজিস্ট্রার মোস্তাক হোসেন নকল নবিশ বাবুল আক্তার ও দলিল লেখক মোঃ আল মামুনের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা জানতে চেয়ে নোটিশ দিয়েছেন।

সাবরেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানাগেছে, টেম্পারিং করে নাম পরিবর্তনের পর একটি নকলও নিয়েছেন ওয়াসিফ কামাল গং। যেটা প্রস্তুত করে দিয়েছেন নকল নবিশ বাবুল আক্তার।

প্রতরণার শিকার প্রবাসী সাদাদ কামাল বলেন, বাবা প্রয়াত আইনজীবী এ্যাড: আহমেদ মাসুদ কামাল ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর আমাদের দুই ভাইয়ের নামে হাটফাজিলপুর বাজারে থাকা ৮৫ শতক জমি লিখে দেন। এই জমির উপরে মার্কেট রয়েছে। যেখান থেকে প্রতিমাসে দুই লাখ ১৬ হাজার টাকা ভাড়া ওঠে। বাবা মারা যাওয়ার পরে ছোটভাই ওয়াসিফ কামাল আমার নামের জমি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে দলিল ও বালাম বই টেম্পারিং করে আমার নামের জায়াগায় বোনের নাম বসিয়েছে।

আমাদের অন্য জমি ভাগাভাগি করতে গেলে ছোটভাই ওয়াসিফ কামাল বলে এই জমি বাবা বোন ও ওয়াসিফ কামালের নামে লিখে দিয়ে গেছে। তখন আমি বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের প্রতারণার কথা জানতে পারি। আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এর সঠিক বিচার চাই। তিনি বলেন, আমার বোনের নামে এই জমি পুরোপুরিভাবে করে ফেলতে পারলে পরে আবার বোনের কাছ থেকে তার নামে করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ছোটভাই ওয়াসিফ কামাল। তিনি বলেন, এসমস্ত প্রতারণা নিয়ে ছোটভাইয়ের স্ত্রী প্রতিবাদ করলে তাকেও ডিভোর্স দিয়েছে ওয়াসিফ কামাল।

এ বিষয়ে দিশা কামাল বলেন, তিনি এই সব বিষয়ে কিছুই জানেন না। বড় ভাই অভিযোগ করার পর বিষয়টি বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে জানতে পেরেছেন। দলিল ঘষামাজা হয়েছে কি না, এটা তাঁর জানা নেই।

এ্যাড: ওয়াসিফ কামালকে ফোন করলে তিনি বলেন, তার জমি নিয়ে কোন সমস্যা নেই। ঘষামাজা করে বোনের নাম বসানোর বিষয়ে তিনি অস্বীকার করেন।

এদিকে নকল নবিশ বাবুল আক্তারের একটি ভিডিও রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে যেখানে তার স্বীকারোক্তি রয়েছে। ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি এই কাজ করেছেন। দলিল লেখক আল মামুন তাকে এই কাজ করতে বলেছেন।

সদর মহাফেজখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাবরেজিস্ট্রার মোস্তাক হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় এই কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দলিল লেখক মো. আল মামুন ও নকলনবিশ মো. বাবুল আক্তারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

তাদেরকে সাসপেন্ট করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য মহেশপুর সাবরেজিস্ট্রারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী হলে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও তিনি যোগ করেন। তিনি বলেন, রেকর্ড রুম থেকে দলিল বের করে টেম্পারিং করে নাম পরিবর্তন করা আমাদের জন্য ব্যাপক মানহানিকর। আমানতের খিয়ানত করা। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। এটা কোনভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।




গাংনীতে আলগামন উল্টে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত, আহত ২

মেহেরপুরের গাংনীতে চলন্ত আলগামন (ইঞ্জিনচালিত ভ্যান) উল্টে নাহিদ হোসেন (১৮) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বুধবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গাংনী-কাথুলী সড়কের চৌগাছা মাঠ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাহিদ গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে। চলতি বছর সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলগামনটিতে চালকসহ মোট তিনজন ছিলেন। তারা কাথুলী থেকে গাংনীর দিকে ফিরছিলেন। পথে চৌগাছা মাঠ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলগামনটি উল্টে যায়। এতে গুরুতর আহত হয় নাহিদসহ তিনজন।

স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দুইজন হলেন—আলগামন চালক সামিউল ইসলাম ও নিহত নাহিদের বন্ধু আজমান হোসেন। তারা বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় এলাঙ্গী গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।




মেহেরপুরে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অফিস উদ্বোধন

বুধবার (১৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ফিতা কেটে অফিসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

প্রধান কার্যালয়ের বিএম মো. ফিরোজ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) গোলাম মোস্তফা।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স দেশের একটি বিশ্বস্ত এবং গ্রাহকবান্ধব জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান। আমরা সবসময়ই গ্রাহকের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা প্রদান করে থাকি। মেহেরপুরে নতুন অফিস উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা এখানকার মানুষদের আরও কাছাকাছি থেকে জীবন বীমা সেবা পৌঁছে দিতে পারব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান কার্যালয়ের এজিএম মো. মনিরুজ্জামান খান এবং দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন।

তারা বলেন, সোনালী লাইফ শুধু একটি বীমা কোম্পানি নয়, এটি মানুষের ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি অংশীদার। আমরা চাই দেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে বীমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাক এবং প্রত্যেকেই একটি নিরাপদ জীবন গঠনে বীমা গ্রহণ করুক।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফএ শামীম, হাসান, মাহাবুল, মো. মশিউর রহমানসহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।




গাংনীতে দুইজনের করোনা শনাক্ত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় নতুন করে দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা দু’জনই বর্তমানে নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুন (মঙ্গলবার) করোনা পরীক্ষায় চৌগাছা ডিগ্রি কলেজপাড়ার মরহুম অ্যাড. রমজান আলীর স্ত্রী মোছাঃ রুনা লায়লা (৪৫), ও ১৮ জুন (বুধবার) বামুন্দী চেরাগীপাড়ার জিয়াউল হকের ছেলে মোঃ কালাম হোসেন (৪৭), এর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংশ্লিষ্টরা জানান, আক্রান্ত দুজনের মধ্যে কেউই হাসপাতালে ভর্তি হননি। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল এবং তারা নিজ নিজ বাড়িতে থেকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট মজুদ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।