নতুন কুঁড়ির দেশসেরা শিশুশিল্পী টাঙ্গাইলের প্রিয়সী চক্রবর্তী

একটি প্রতিভা, একটি কণ্ঠ ও একটি মঞ্চ—এই তিনের অপূর্ব মেলবন্ধনে প্রিয়সী চক্রবর্তী এখন নতুন কুঁড়ির দেশসেরা শিশুশিল্পী। গান যেন তার সঙ্গী, আর মঞ্চ যেন তার নিজের ঘর। সেই আলোকিত ঘরে দাঁড়িয়ে আট বছর বয়সি এই শিশুশিল্পী প্রমাণ করেছে—মন থেকে সংগীতচর্চা করলে বয়স কখনো বাধা হতে পারে না। নতুন কুঁড়ির রঙিন মঞ্চে তার গান লক্ষ শ্রোতার হৃদয় স্পর্শ করেছে।

প্রিয়সী চক্রবর্তী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শাহিন ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রিয়সী ২০২৫ সালের নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতার ‘ক’ শাখার সেরা পুরস্কার বিজয়ী শিশুশিল্পী। সে আধুনিক গান ও রবীন্দ্রসংগীত— উভয় বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এবারের নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় কোনো প্রতিযোগী দুটি বিভাগে প্রথম হতে পারেনি। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা।

একদিন প্রিয়সীর বাবা টাঙ্গাইল শিল্পকলা একাডেমির ওয়ালে নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। বিজ্ঞাপন দেখে মেয়েকে নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর শুরু হয় প্রিয়সীর নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতার যাত্রা। আঞ্চলিক বাছাই অনুষ্ঠিত হয় ময়মনসিংহে। নতুন কুঁড়ির মঞ্চে প্রিয়সীর প্রথম গান ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে চুপি চুপি বলে যায়…’। আঞ্চলিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রিয়সীকে নিয়ে পরিবারের স্বপ্ন বড় হতে থাকে।

প্রিয়সীর জন্ম ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আকুর টাকুর পাড়ায়। তার পিতা সঞ্জয় চক্রবর্তী সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। আর মা রাখী চক্রবর্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। দুই বোনের মধ্যে প্রিয়সী ছোট। বড় বোন শ্রেয়সীর কাছ থেকে সে সংগীতের প্রথম পাঠ গ্রহণ করে। শ্রেয়সী এখন দিল্লীতে সংগীত নিয়ে পড়াশোনা করছেন। পরিবারের স্বপ্ন শ্রেয়সী ও প্রিয়সী দুজনই একদিন গুণী শিল্পী হবে। পরিবারের এই স্বপ্ন প্রিয়সীর মানসিক দৃঢ়তাকে আরও শক্তিশালী করছে।

দেশসেরা প্রিয়সীকে গানের শিক্ষা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. অসীত রায়। প্রিয়সীর সফলতার পিছনে গুণী এই শিক্ষকের অনেক অবদান রয়েছে। প্রিয়সী সম্পর্কে ড. অসীত রায় বলেন, ওর সংগীত প্রতিভা অসাধারণ। এই বয়সের কোনো শিশুশিল্পীর মধ্যে সংগীতের যে বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবে থাকা উচিত, ওর মধ্যে তার থেকে একটু বেশিই আছে। নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় সে প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছে। ড. অসীত রায় আশাপ্রকাশ করে বলেন, প্রিয়সী একদিন বাংলাদেশের গর্ব করার মতো একজন গুণী শিল্পী হবে।

নতুন কুঁড়ির প্রতিটি ধাপেই প্রিয়সী তার নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও সংগীতের প্রতি গভীর ভালোবাসার পরিচয় দিয়েছে। নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় প্রিয়সীর পরিবেশিত গানের মধ্যে রয়েছে—‘ওই ঝিনুক ফোটা সাগর বেলা…’, ‘তুমি মিষ্টি করে দুষ্টু বলো…’, ‘মন তো ছোঁয়া যাবে না…’, ‘আমি কি তোমার মতো এত ভালোবাসতে পারি…’ প্রভৃতি। তার কণ্ঠ, সুর ও গায়কি দর্শক-শ্রোতার মন ছুঁয়েছে। প্রতিযোগিতার বিচারকগণও তার অনবদ্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছেন। প্রিয়সীর গান শুনে নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে থাকা কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা বলেন, ‘‘প্রিয়সীর অনবদ্য একটা কণ্ঠ রয়েছে। ওর গান শুনলে যেন ওর গানের ওপর ঘুমাতে ইচ্ছা করে। ওর গানে কোনো ভুলভাল নেই।’’ প্রিয়সীর গানের প্রশংসা করে প্রতিযোগিতার বিচারক কণ্ঠশিল্পী খুরশিদ আলম বলেন, ‘‘সে অনেক সুন্দরভাবে সংগীত পরিবেশন করেছে। তার গানের সুর ও উচ্চারণ—দুটিই ভালো।’’ বিচারক ময়নুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘আমি প্রিয়সীর সংগীত পরিবেশনায় অনেক বেশি সন্তুষ্ট হয়েছি। বয়স অনুযায়ী সে যথেষ্ট ভালো করেছে।’’ বিচারক মকসুদ জামিল মিন্টু বলেন, প্রিয়সী প্রতিটি গান সুন্দরভাবে গেয়েছে। ওর সুর ও এক্সপ্রেশন ভালো ছিল। গানের ভুবনে সে একদিন আলো ছড়াবে।’’ প্রিয়সীর গান শুনে বিচারক সাজ্জাদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘‘অসাধারণ, অসাধারণ এবং অসাধারণ। ওর গায়কি, উচ্চারণ—সবকিছু ভালো লেগেছে।’’ নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালনকারী কণ্ঠশিল্পী আগুন ও ন্যান্সিও প্রিয়সীর গানের প্রশংসা করেছেন।

গত ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকার চেক ও ট্রফি গ্রহণ করেন নতুন কুঁড়ির ‘ক’ শাখার দেশসেরা শিশুশিল্পী প্রিয়সী চক্রবর্তী। পুরস্কার গ্রহণের পর প্রিয়সী বলেন, ‘‘সরকারপ্রধানের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। এই পুরস্কার আমার সংগীতজীবনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। … আমি বড় হয়ে একজন গুণী শিল্পী হতে চাই।’’

নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটি বিশেষ সংযোজন। নতুন কুঁড়ির মঞ্চ শিশুদের শৈল্পিক বিকাশের পাশাপাশি তাদের দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে তোলে। ১৯৭৬ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা উপমহাদেশের বৃহত্তম রিয়েলিটি শো। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ২০ বছর পর নতুন উদ্যমে শুরু হয় নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এ বছর ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় প্রায় ৩৯ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়। ৬৪ জেলাকে ১৯টি অঞ্চলে ভাগ করে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক পর্ব থেকে ‘ক’ ও ‘খ’ শাখা মিলিয়ে সকল ক্যাটাগরিতে প্রায় ১৪ হাজার প্রতিযোগী বিভাগীয় পর্যায়ে উন্নীত হয়। দেশের আট বিভাগে একযোগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার মোট বিষয় ছিল ১২টি। এগুলো হলো : অভিনয়, আধুনিক গান, আবৃত্তি, উচ্চাঙ্গ নৃত্য, কৌতুক, গল্পবলা, দেশাত্মবোধক গান, নজরুলসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, লোকসংগীত, সাধারণ নৃত্য ও হামদ-নাত। বিভাগীয় পর্যায় শেষে শুরু হয় চূড়ান্ত পর্ব। আট বিভাগ থেকে ১ হাজার ৪০ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ২৭৯ জন প্রতিযোগী সেরা ১০ পর্বে অংশগ্রহণ করে। এই পর্ব থেকে সেরা ৫ জন বাছাই করা হয়। এরপর ফাইনালে ‘ক’ বিভাগ থেকে ৩৬ জন এবং ‘খ’ বিভাগ থেকে ৩৭ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। দীর্ঘ এই প্রক্রিয়ায় ‘ক’ বিভাগে সেরাদের সেরা অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন হয় প্রিয়সী চক্রবর্তী।

এ বছর স্বচ্ছ ও ন্যায্য প্রক্রিয়ায় সারা দেশ থেকে নতুন কুঁড়িদের বাছাই করা হয়েছে। ২৯৩ জন বিজ্ঞ বিচারক এই বাছাই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত ছিলেন। নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে এবারে ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সকল শ্রেণির শিশু-কিশোর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। বিটিভিতে প্রচারিত নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতার প্রতিটি পর্ব বিটিভির ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলেও প্রচার করা হয়েছে। এর ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই প্রতিযোগিতার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতিটি শিশুর কোনো না কোনো বিশেষ প্রতিভা থাকে। শিশুদের বিশেষ প্রতিভা খুঁজে বের করাই নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য। নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতা প্রিয়সীর মতো অসংখ্য প্রতিভা আবিষ্কার করেছে, যা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছে। ‘নতুন কুঁড়ি’ শিশু-কিশোরদের কাছে শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং শিল্পজীবনের প্রথম পাঠশালা। অল্প বয়সে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গানের সুর তোলা, কবিতার ছন্দে ভেসে যাওয়া কিংবা নাটকের সংলাপ উচ্চারণ করার অভিজ্ঞতা শিশু-কিশোরদের সারাজীবনের আত্মবিশ্বাস গড়ে দেয়।

প্রিয়সীর সেরা হওয়া শুধু তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতার অর্জন। প্রিয়সীর সাফল্য প্রমাণ করেছে—শিশুপ্রতিভা যথাযথ সুযোগ ও উৎসাহ পেলে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে পারে। তার এই সাফল্য অন্য শিশু-কিশোরদেরও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করবে। প্রিয়সীর মতো অসংখ্য প্রতিভাবান শিশু আগামী দিনের নতুন কুঁড়ির মঞ্চে প্রতিভার আলো ছড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা।

লেখক : বিসিএস তথ্য ক্যাডারের সদস্য এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা পদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে কর্মরত




ঝিনাইদহে প্রবাসী মাহাবুব হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

ঝিনাইদহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রবাসী মাহাবুব হত্যা মামলার প্রধান আসামী রবিউল ইসলাম ওরফে রবিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

রবিবার রাতে শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রবি সদর উপজেলার কালা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী জানান, প্রবাসী মাহাবুব হত্যা মামলার প্রধান আসামী শহরের আদর্শপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার সকালে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।

শনিবার সকালে সদর উপজেলার কালা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় কম্বোডিয়া প্রবাসী মাহাবুবকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় রোববার রাতে নিহতের ভাই রুবেল হোসেন বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আগামী করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।




হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডের চাঁদাবাজি মামলায় সকল আসামি খালাস

মেহেরপুরের বহুল আলোচিত হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডের চাঁদাবাজি মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা জজ-১ম আদালতের বিচারক মো: ইমদাদুল হক  এ রায় ঘোষণা করেন।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নাজনিন খান প্রিয়া, মতিয়ার রহমান, মামুন শাহজাহান, নেহাল , জয়, ছন্দা খাতুন, আবু আক্তার করণ, তুহিন অরন্য, রেক্সনা খাতুন, নিলুফার ইয়াসমিন রুপা, বর্ষা খাতুন, নুসরাত, সুমন রহমান বিমান ও বিপাশা খাতুন। অপর ২ আসামি মিজানুর রহমান জনি ও আব্দুস সালাম মামলা চলাকালীন মারা গেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর  মোখলেসুর রহমান স্বপন বলেন, মামলার  তদন্তকারী কর্মকর্তাদের  ভুলে  আসামিরা খালাস পেয়েছেন। রায়ের কপি হাতে পেলে বোঝা যাবে তদন্তে গাফিলতি আছে কি না।

মামলার পটভূমি গত বছরের ২২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের এনজিও কর্মী মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩২)। মামলায় মূল আসামি ছিলেন নাজনীন খান ওরফে প্রিয়া খান।

তদন্তে বেরিয়ে আসে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইল চক্রের তথ্য। প্রিয়া খান ব্যবসায়ী ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে হোটেল আটলান্টিকায় নিয়ে যেতেন। সেখানে গোপনে অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে পরে তা প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করা হতো।

পুলিশি অভিযানে হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুনসহ একাধিকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত শেষে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর মধ্যে আসামি মিজানুর রহমান জনি ও আব্দুস সালাম মামলা চলাকালীন সময়ে মারা যান।

উল্লেখ্য, এর আগে একই কাল্ডের পর্ণগ্রাফি মামলায়  নাজনিন খান প্রিয়া, হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুন ও সহযোগী শাহজাহানকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। অপর আসামি নেহাল ও জয়কে ৬ বছরের কারাদণ্ড ও সমপরিমাণ জরিমানা করা হয়। তবে জয় এখনো পলাতক রয়েছে , বাকিরা উচ্চ আদালত আপিল করে জামিনে রয়েছেন।




শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। একই অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। অপর আসামী ও পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণা শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। বেলা সোয়া একটার দিকে গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন জনের সঙ্গে শেখ হাসিনার টেলিফোনে কথোপকথনগুলো পড়ে শোনানো হয়। এছাড়া গণহত্যার সংজ্ঞা এবং এই মামলায় বিভিন্ন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়ে শোনানো হয়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা প্রথম অভিযোগে তার মৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে আনা দ্বিতীয় অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলার রায়। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক। দুজনই এখন ভারতে অবস্থান করছেন।এই মামলায় একমাত্র আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে তাকে বিমর্ষ মুখে চুপচাপ রায় শুনতে দেখা গেছে। এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তায় সকালে কারাগার থেকে তাকে আদালতে আনা হয়। মাথা নিচু করে তিনি প্রিজন ভ্যান থেকে আদালতে প্রবেশ করেন।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মেহেরপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় বিষয়ক সমন্বয় সভা

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং করণীয় বিষয়ক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ তরিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম। সভার সভাপতিত্ব করেন পার্থ প্রতিম শীল। এতে মেহেরপুর জেলার সকল ইউনিয়নের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজন করে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এবং বাস্তবায়নে ছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গ্রাম আদালতের জেলা ম্যানেজার জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান। সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ আলমগীর কবির, বাবুল আক্তার, মোঃ শাকিলুজ্জামান এবং পিএফএ মোঃ শাহাজুল।
সভায় বক্তারা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম, পরিচালনা পদ্ধতি এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথি বলেন, আপনারা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি গ্রাম আদালতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গ্রামের ছোটখাটো ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিরোধ যাতে উচ্চ আদালতে না যায় সেজন্যই ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত গঠন করা হয়েছে। আপনারা পেশকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেও আপনাদেরই তাঁদের প্রশিক্ষিত করে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। যে মামলাগুলো গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত সেগুলো এখানে নিষ্পত্তি হবে, আর এখতিয়ারবহির্ভূত মামলা উচ্চ আদালতে প্রেরণ করতে হবে। যে ইউনিয়নগুলো মামলা গ্রহণে পিছিয়ে আছে তারা প্রচারণা বাড়িয়ে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এই সমন্বয় সভার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং সাধারণ মানুষকে আরও সহজে গ্রাম আদালতের সেবা প্রদান করতে পারবে। প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে হবে, ব্যানার ও সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে এবং মাসিক ভিত্তিতে মামলার তথ্য হালনাগাদ রাখতে হবে।

সভাপতি বলেন, সরকার গ্রাম আদালতকে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করেছে। এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে গ্রামীণ বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব। গ্রাম আদালতে মানুষ হয়রানির শিকার হয় না, বরং এখান থেকে সুসম্পর্ক ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে ওঠে।

সভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।




মেহেরপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন আজ

মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্যাপক প্রস্তুতির পর চরম উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যেই চলছে ভোটগ্রহণ।

ত্রিবার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটারদের মধ্যেও দেখা গেছে সরগরম পরিবেশ।

গত বছরের তুলনায় এবার নির্বাচন আরও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ ভোটাররা। তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। যারা আগামীতে শ্রমিকের ভোটে নির্বাচিত হবেন, তারা নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করবেন।

মনোনয়নপত্র ক্রয় করা প্রার্থীদের মধ্যে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আহসান হাবীব সোনা, শাহিন আলম ও বকুল হোসেন। কার্যকরী সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়েছেন সাজেদুর রহমান, সৈয়দ রাকেশ হাসান ও উজ্জল হোসেন।

সহ-সভাপতি পদে আলমগীর হোসেন ও শাহিন আলম টুটুল, সাধারণ সম্পাদক পদে মতিয়ার রহমান ও শাখাওয়াত হোসেন সবুজ, যুগ্ম সম্পাদক পদে নাসিম ইসলাম, এরশাদ আলী ও রেজাউল হক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেন্টু শেখ ও ফরহাদ হাসান তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রমেজ উদ্দিন ও আফজারুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চঞ্চল শেখ ও চাঁদ আলী।

কোষাধ্যক্ষ পদে আজিজুল হক, মাহবুব, মোফাজ্জেল ও সোহেল; সড়ক সম্পাদক পদে সোহেল রানা সজীব, মুরসালিন ও আনারুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক পদে মাহবুব রিপন ও খাইরুল ইসলাম; প্রচার সম্পাদক পদে সুমন ও ইয়ারুল ইসলাম মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন।

এছাড়া সদস্য পদে শরিফুল ইসলাম, আন্নাচ আলী, লাল মিয়া, জিয়ারুল, শাহিন শেখ, আব্দুল জব্বার, খবিরুল, রশিদুল ইসলাম ও বাচ্চু মনোনয়নপত্র তুলেছেন।




দর্শনায় ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে প্রচার বোর্ড স্থাপন

দর্শনা পৌরসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু আগামী ত্রিদেশীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী বিজয় করার লক্ষ্যে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রচার বোর্ড স্থাপন করেছেন। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় দর্শনা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এই প্রচার বোর্ড স্থাপন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোঃ মহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মশিউর রহমান, সমন্বয় কমিটির অন্যান্য সদস্য বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম খোকন, মোঃ মহিদুল ইসলাম, মোঃ রেজাউল ইসলাম, দর্শনা রেলবাজার কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, দর্শনা পৌর বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ শহিদুল মোল্লা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, প্রবীণ বিএনপি নেতা মোঃ ইসমাইল আমিন, আব্দুল হামিদ, আলাউদ্দিন, যুবদল নেতা সোহাগ জামাদার, ছাত্রদল আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, আব্দুল মুকতি, সাইদুর রহমান, ওয়াসিম, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিম মুন্না, সোভন, পলাশ, ফরাদ, লিজন, আকাশ খান প্রমুখ।

বিএনপি নেতারা জানান, ভোটারদের কাছে প্রার্থী ও ধানের শীষ মার্কার পরিচিতি বাড়ানো এবং নির্বাচনী প্রচারণা জোরদার করাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।




দামুড়হুদায় অধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দীনের বিদায় সংবর্ধনা ও স্মৃতিচারণ

দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দীনের বিদায় সংবর্ধনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার বেলা ১১টায় কলেজের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদায়ী সংবর্ধনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছা. রেহেনা কুল। প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. রফিকুল হাসান তনু।

প্রধান অতিথি মো. রফিকুল হাসান তনু বলেন, ১৯৯৪ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করতে আমরা কয়েকজন যুবক বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাঁশ সংগ্রহ করেছি। আজ কলেজটির অগ্রগতি দেখে মনে হয় আমাদের সেই পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। কলেজকে প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রেখেছেন আমাদের বিদায়ী অধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দীন। তিনি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করেছিলেন। আমরা তার অবসর জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করি।

প্রভাষক মিল্টন কুমার সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ জিন্নাত আলী, কার্পাসডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হামিদুর ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহিদুল হাসান, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, দামুড়হুদা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ফাহমিদা রহমান, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এসএম. ওয়াজেদুল হাসান এবং গভর্নিং বডির সদস্য আশাবুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিদায়ী অতিথি ও তার পরিবারকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা বিদায়ী অতিথিকে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট এবং পুরস্কার প্রদান করেন।




আলমডাঙ্গায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির শুরুতে একটি সচেতনতামূলক র‍্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সমিতির সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রহমান মুকুল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান (পিপিএম), আলমডাঙ্গা নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগারের সভাপতি ইকবাল হোসেন মিয়া এবং সিনিয়র সাংবাদিক হামিদুল আজম, ডা. সামিনা আক্তার।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ফিরোজ ইফতেখার, প্রশান্ত বিশ্বাস, এন এইচ শাওন, আতিক বিশ্বাস, শরিফুল ইসলাম রোকন, সোহেল হুদা, মুর্শিদ কলিন, আল আমিন পরশ, শাহরিয়ার শরিফ, শিক্ষক আফরোজ খুশি প্রমুখ।

প্রধান অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু বলেন, ডায়াবেটিস এখন শুধু একটি রোগ নয়; এটি জীবনযাপনের একটি সতর্ক সংকেত। আমরা কী খাই, কীভাবে চলি এসব ছোট অভ্যাসই আমাদের ভবিষ্যৎ ঠিক করে। তাই সচেতনতা বাড়ানো এবং নিয়মিত পরীক্ষা করা ছাড়া বিকল্প নেই। আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির এমন উদ্যোগ মানুষকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করবে।

বিশেষ অতিথি ওসি মাসুদুর রহমান (পিপিএম) বলেন,

ডায়াবেটিস নীরব ঘাতক। অনেক মানুষ জানেই না যে তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অনিয়মিত খাবার, কম চলাফেরা ও মানসিক চাপেই রোগটি বাড়ে। তাই একটি সুস্থ সমাজ গড়তে স্বাস্থ্যসচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। পুলিশ শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, জনগণের স্বাস্থ্যসচেতনতায়ও পাশে থাকতে চায়।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন,

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যায়াম, পরিমিত খাবার গ্রহণ এবং মানসিক চাপ কমানো ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।




নাগরিক টিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি হলেন সাংবাদিক পলাশ

জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজ ও বাংলাদেশ গার্ডিয়ান এর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি এবং দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল নাগরিক টিভির চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

এর আগে সাংবাদিক শামসুজ্জোহা পলাশ দৈনিক যুগান্তরের দামুড়হুদা প্রতিনিধি, দৈনিক সমকাল ও মাই টিভিসহ একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।

সাংবাদিক শামসুজ্জোহা পলাশ নাগরিক টিভিতে নিয়োগ পাওয়ায় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সদস্যরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাংবাদিক পলাশ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।