আলমডাঙ্গা বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আলমডাঙ্গা বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শরৎকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় আলমডাঙ্গার স্টেশনরোডে বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশনের অফিসে পুরস্কার বিতরণী পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, আলাউদ্দিন বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম। তিনি বলেন, আপনারা যারা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত তারা সবসময় নিজেদেরকে সঠিক পথে চলার চেষ্টা করেন। আমি আশা করবো আলমডাঙ্গা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আপনাদের উপস্থিতি সকলকে বিকশিত করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, একরামুদৌল্লা ঝিন্টু। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন পলাশ আহমেদ, ইয়ামিন আলী, শফিকুর রহমান জীবন, পলাশ আহমেদ, কবি সিদ্দিকুর রহমান, জয়ন্ত বিশ্বাস, রাজিব, ইসমাইল হোসেন, ইয়ামিন আলী, রফি উদ্দিন, বাবলু, প্রমুখ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। প্রধান অতিথি সকল শিল্পীদের বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত করেন।




দামুড়হুদায় শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন ও প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন

দামুড়হুদা উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা শেষে শান্তিপূর্ণভাবে সবগুলো প্রতিমা বিসর্জন সম্পূর্ণ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুর্গা পূজার শেষের দিন উৎসবমুখর পরিবেশে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়। এ বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও দর্শনা পৌরসভা মিলিয়ে মোট ২১টি পূজা মন্ডপে এই ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পূজার শুরু থেকেই প্রতিটি মন্ডপকে সাজানো হয়েছিল বর্ণিল আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল ও ভাস্কর্য শিল্পের মাধ্যমে। প্রতিটি মন্ডপে ভক্তরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসছিলেন‌ এবং আরাধনা, মন্ত্রপাঠ ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণ করছিলেন। বিশেষ করে দেবী দুর্গার মমতা ও কল্যাণময় শক্তিকে স্মরণ করে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় আচরণ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রশাসনের নজরদারিতেও এবছর পূজা উদযাপন শান্তিপূর্ণ ও সুসংগঠিত ছিল। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতিটি মন্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও সহায়তা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। স্থানীয় নদী ও পুকুরে দেবী দুর্গার প্রতিমা সম্মানজনকভাবে বিসর্জন করা হয়।

ভক্তরা আনন্দ ও উচ্ছ্বাসে ভাসমান প্রতিমার দিকে প্রণাম করেন, যা এই উৎসবকে আরও ধর্মীয় ও আনন্দময় করে তুলেছে। স্থানীয়দের মতে, এবছরও দুর্গাপূজা উদযাপন সকলের জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দঘনভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সামাজিক ও ধর্মীয় দায়িত্ববোধ বজায় রেখে ভক্তরা উৎসব উদযাপনে অংশগ্রহণ করেছেন। এ বছর প্রতিটি মন্ডপে প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকায় কোনো বিশৃঙ্খলা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থেকে পূজার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন এবং সবাই মিলিতভাবে শারদীয় দুর্গার পুণ্য ও কল্যাণ কামনা করেছেন। উৎসবের আনন্দে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষরা অংশ নিয়েছে, যা স্থানীয় ঐক্য, বিশ্বাস ও ধর্মীয় চেতনার পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। দামুড়হুদার প্রতিটি মন্ডপের ভক্তরা এবছরের পূজাকে স্মরণীয় ও সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেছেন।

হাউলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলি বলেন, সনাতন ধর্মীবলম্বী মানুষগুলি এবার সুষ্ঠু সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন করেছে। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা বিসর্জন দিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষগুলি। হাউলি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে পূজা উদযাপন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষগুলী। আমার জানামতে কোথাও কোনো অপৃতিকর ঘটনা ঘটেনি।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিমা তৈরীর পর থেকেই আমরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম যাতে কোথাও কোনো আপত্তিকর ঘটনা না ঘটে। সেই লক্ষ্যে আজ শান্তি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মের মানুষগুলো তাদের প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে। কোনো আপত্তিকর ঘটনা ছাড়াই দামুড়হুদায় খুব সুন্দর ভাবে ১৩ টি প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন।




আলমডাঙ্গায় বিদায়ী সুরে ঢাকের সাথে উলুধ্বনিতে দূর্গার বিসর্জন

আলমডাঙ্গায় মেঘলা আকাশে মাঝারি বৃষ্টিতে মা দূর্গার বিদায়ী সুরে ঢাক আর উলুধ্বনিতে বিসর্জন দিয়েছে মা দূর্গার মৃন্ময়ী প্রতিমা।

বিজয়া দশমী সিঁড়ির খেলার শেষে বিদায়ী করুন সুরে মা দূর্গার প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে আলমডাঙ্গা সহ সারাদেশে। শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন বিজয়া দশমী। মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তরা আজ দেবী দুর্গাকে সিঁদুর দিয়েছেন। খেলেছেন সিঁদুর খেলা।আজ দুপুরের পর আরতি, শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

আজ সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, পূজার প্রস্তুতি নিয়ে ভক্তরা দলে দলে মণ্ডপে জড়ো হচ্ছেন। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে শুরু হয় বিজয়া দশমী বিহিত পূজা। পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর দর্পণ বিসর্জন করেন। শাস্ত্রমতে দেবীর দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে। মা বিদায় নিয়েছেন। তারপর ভক্তরা অঞ্জলি দিয়েছেন। ভক্তরা মাকে সিঁদুর দিয়েছেন ও সকল বিবাহিত নারী ও নারীদের স্বামীর মঙ্গল কামনায়,দীর্ঘায়ু জীবনের আশায় সিঁদুর দিয়েছেন, যাকে আমরা বলি সিঁদুর খেলা। মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে বিদায় জানিয়েছেন।
পূজার পর অঞ্জলি দেওয়া শুরু হয় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এ সময় ভক্তদের জন্য হাতে হাতে অঞ্জলির ফুল দেওয়া হয়। ফুল হাতে পুরোহিতের সঙ্গে সঙ্গে ভক্তরা মন্ত্র বলেন। মন্ত্র পাঠ শেষে ভক্তরা অঞ্জলির ফুল তুলে দেন। তখন উলুধ্বনি বাজিয়ে মা দুর্গাকে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়।

স্ত্রীকে সাথে নিয়ে পূজা মন্ডপে এসেছেন অমল কুমার বিশ্বাস। তিনি মেহেরপুর প্রতিদিন কে বলেন ‘মায়ের আশীর্বাদে সবার জীবনে বয়ে আনুক শান্তি, সুখ আর সমৃদ্ধি। অন্যায়ের অন্ধকার দূর হোক, সত্য ও ন্যায়ের আলো ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে। মায়ের কাছে এই প্রার্থনাই করেছি।’

স্ত্রী কন্যাকে সাথে নিয়ে বিজয়ার অন্তিম দিনে পূজা মন্ডপে এসেছেন এসিআই ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি সুজিত কুমার শীল।তিনি বলেন বলেন, ‘ধর্ম, বর্ণ–নির্বিশেষে সবার জন্য মা দুর্গার কাছে আশীর্বাদ চেয়েছি। যাতে সবার মঙ্গল হয়। এ বছর পূজা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ৩৫ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা স্থান পেয়েছে।কালীদাসপুর পূজা মন্ডপে এক অনান্য নজীর সৃষ্টি করেছে।সাম্প্রতিক সম্প্রতির এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মন্ডপের পাশেই রয়েছে মসজিদ। শুধুমাত্র একটি পাঁচ ইঞ্চির প্রাচীর আলাদা করেছে দুই ধর্মের মানুষকে।কিন্তু পূজার সকল কর্ম,যেমন মন্ডপ তৈরি,আলোকসজ্জা,নিরাপত্তা ব্যাবস্থা সকল কাজই করে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ।

এছাড়াও রথতলা,হরিতলা,আনন্দধাম,স্টেশন পাড়ায় খুব ধূমধাম করে প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসবের পালন করা হয়।আলমডাঙ্গায় কোল ভীল,ব্যাদ সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ বসবাস করে।এই শারদীয় দুর্গোৎসবে তাদের ভক্তি সাধনার অজ্ঞলি আর নৃত্য গানে ভরে উঠে আকাশ বাতাস।




প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে শেষ হয়েছে দুর্গাপূজা

ঢাকের বাদ্য আর আবীর খেলার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে বিসর্জন হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মহালয়ার মধ্য দিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে এই পূজার উৎসব শুরু হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে বিজয়া দশমীতে বিহিত পূজা ও দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি হলো দুর্গাপূজার। বিকেল থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা বা দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা ছিল মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর শহরের শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, নায়েববাড়ি মন্দির, হরিসভা মন্দির, বকুলতলা পূজা মন্দির, হরিজন বালক পূজা মন্দির, সদর উপজেলার গোভীপুর বায়পাড়া দুর্গা মণ্ডপ, গোভীপুর দাসপাড়া দুর্গা পূজা, বামনপাড়া সর্বজনীন কালী মন্দির, পিরোজপুর দুর্গা মন্দির, পিরোজপুর কালীমাতা দাসপাড়া মন্দির, মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বাবুপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, কোমরপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, মোনাখালী পূজা মণ্ডপ, রতনপুর দাসপাড়া পূজা মণ্ডপ, বল্লভপুর পূজা মণ্ডপ, এবং দারিয়াপুর পূজা মণ্ডপ মেহেরপুর ভৈরব নদে বিসর্জন দেওয়া হয়। এছাড়াও গাংনীতে কাজলা নদে বিভিন্ন মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় মোট ৩৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১৪টি, গাংনীতে ১৮টি এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৭টি মণ্ডপ ছিল।

কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হওয়ায় মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে জেলা বাসী ও জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে।




শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে স্পিনের ইন্দ্রজাল

এশিয়া কাপের ধুলোমাখা স্মৃতি পেছনে ফেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ্‌র মরুর বুকে আজ এক নতুন লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শারজাহ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দু’দল।

এশিয়া কাপে ফাইনালের খুব কাছে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের, অন্যদিকে আফগানিস্তান সুপার ফোরেই উঠতে পারেনি। তাই এই সিরিজটি উভয় দলের জন্যই ঘুরে দাঁড়ানোর এবং নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের এক দারুণ সুযোগ।

আর এই লড়াইয়ের ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে শারজার ধীরগতির ঘূর্ণি সহায়ক উইকেট। তবে সিরিজ শুরুর আগেই বাংলাদেশ শিবিরে বড় দুঃসংবাদ।

দলের নিয়মিত অধিনায়ক এবং ব্যাটিং ভরসা লিটন কুমার দাস এশিয়া কাপে পাওয়া পিঠের চোটের কারণে পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন। তার অনুপস্থিতিতে এশিয়া কাপের শেষ দুই ম্যাচের মতো এই সিরিজেও দলকে নেতৃত্ব দেবেন তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জাকের আলী অনিক।

লিটনের বদলি হিসেবে দলে ডাক পাওয়া সৌম্য সরকার এখনো সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা না পাওয়ায় প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে পারছেন না। আফগান স্পিনারদের বিপক্ষে লিটনের যে অভিজ্ঞতা তার অভাব বাংলাদেশ কীভাবে পূরণ করে, সেদিকেই থাকবে সবার দৃষ্টি। শারজার পিচের চরিত্র অনুযায়ী, এই ম্যাচে স্পিনাররাই ছড়ি ঘোরাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যে দল স্পিন সবচেয়ে ভালোভাবে সামলে পাওয়ারপ্লের ওভারগুলোকে কাজে লাগাতে পারবে, তারাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেবে। ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য এবং আগ্রাসনের এক দারুণ মিশ্রণ ঘটাতে হবে। সঠিক সময়ে আক্রমণ করার পাশাপাশি মাঝের ওভারগুলোর জন্য উইকেট বাঁচিয়ে রাখাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে বোলারদের জন্য, বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য, নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে রান আটকে রাখার কৌশলই হবে সাফল্যের চাবিকাঠি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের লড়াই বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ।

এখন পর্যন্ত দুই দল ১৩টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে আফগানিস্তানের ৭ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ৬টিতে। পরিসংখ্যানই বলে দেয়, লড়াইটা কতটা সমানে সমান। তাদের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল এশিয়া কাপের মঞ্চে, যেখানে বাংলাদেশ ৮ রানের এক রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়েছিল। সেই ম্যাচটিই প্রমাণ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশনে দুই দল কতটা কাছাকাছি মানের। যদিও সামগ্রিক জয়ের হিসাবে আফগানিস্তান কিছুটা এগিয়ে, তবে বেশিরভাগ ম্যাচই ছিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অল্প ব্যবধানে নিষ্পত্তি হয়েছে।

শারজার ধীরগতির পিচ এবং রাতের ম্যাচে শিশিরের প্রভাব অনেক সময় দলগুলোর শক্তির পার্থক্য কমিয়ে দেয়, যা ম্যাচের ফলাফলকে আরও অপ্রত্যাশিত করে তোলে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায়, বাংলাদেশের সাইফ হাসান (৭ ম্যাচে ২২৬ রান) এবং তানজিদ হাসান (৮ ম্যাচে ১৫০ রান) ব্যাটিংয়ে কাড়তে পারেন। বোলিংয়ে তাসকিন আহমেদ (৭ ম্যাচে ১৭ উইকেট) এবং মোস্তাফিজুর রহমানের (৮ ম্যাচে ১২ উইকেট) দিকে তাকিয়ে থাকবে দল। সব মিলিয়ে, ক্রিকেটপ্রেমীরা আরও একটি স্পিন-নির্ভর রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের অপেক্ষায়।

সূত্র: মানবজমিন।




বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সৃষ্টি, আঘাত হানতে পারে যেসব এলাকায়

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তিতে’ পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপের অবস্থান বাংলাদেশ থেকে দূরে হলেও এর প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া ডটকমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।

পোস্টে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার সময় প্রচারিত বার্তায় জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের উপকূলের পূর্ব দিকে ও কোলকাতা শহর থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করতেছে ঘূর্ণিঝড় শক্তির কেন্দ্রে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় প্রায় ৮৩ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় শক্তি আজ রাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে ও ওড়িশা রাজ্যের মধ্যবর্তী স্থানের উপকূলের ওপর দিয়ে স্থল ভাগে প্রবেশ করার আশংকা করা যাচ্ছে। যদিও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনো এটিকে গভীর নিম্নচাপ হিসাবে গণ্য করতেছে।

ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম না করলেও এর প্রভাবে বাংলাদেশ, ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় রাজ্যের উপরে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

এদিকে দেশের তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পাশাপাশি সাত জেলায় বন্যার আশঙ্কা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, ফেনী, লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ এবং পরে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে এবং ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম প্রদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত এ ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

সূত্র: যুগান্তর ।




খেলা হচ্ছে না সৌম্যর, দলে ঢুকলেন সাকিব

এবারের দুর্গাপূজার আনন্দটা দ্বিগুণ হয়ে গেছে সৌম্য সরকারের, বাংলাদেশ জাতীয় দলে ফিরেছেন তিনি, সেটা নিজেই ফেসবুকে জানিয়েছিলেন।

যার ফলে অবশ্য একটা শূন্যস্থান তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার হয়ে খেলছিলেন তিনি। চলতি আসরে আর খুলনার হয়ে খেলা হচ্ছে না তার।

তার জায়গায় অবশ্য ইতোমধ্যেই খেলোয়াড় দলে টেনে ফেলেছে খুলনা। ডাক পেয়েছেন তরুণ ব্যাটার শাহরিয়ার সাকিব।

সাকিব অবশ্য আগে থেকেই খুলনার স্ট্যান্ডবাই ছিলেন। বাংলাদেশ অ-১৯ দলের হয়েও একাধিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

বয়সভিত্তিক পর্যায়ে নিয়মিত পারফর্ম করা সাকিব সবশেষ ঘরোয়া ক্রিকেট মৌসুমেও খেলেছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তিনি শাইনপুকুরের হয়ে খেলেছেন, একটি ফিফটির সঙ্গে দুটো চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস আছে সেখানে।

ওদিকে সৌম্য সরকার অবশ্য ব্যস্ত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজের ব্যস্ততা আছে দলের। সেই দলেও থাকছেন তিনি।

সৌম্য সরকারের এই সিরিজে যাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ভিসা মিলছিল না তার। অবশেষে সিরিজ শুরুর ঠিক আগে তিনি যাচ্ছেন আমিরাতে। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে দলে দেখা যেতে পারে তাকে।

সূত্র: যুগান্তর ।




ভারত থেকে যেভাবে দেশে ঢুকছে জাল নোট

দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে দুই লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল নোট দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পতিত আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা।

তাদের এই অপকর্মে মদদ দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষভাবে দেশটির নিজস্ব মুদ্রা ছাপানোর ব্যবস্থায় নকল মুদ্রা তৈরি করে দিচ্ছে তারা।

এছাড়া বাংলাদেশের টাঁকশালে ব্যবহৃত মেশিন ও যন্ত্রাংশ ওই দেশেই তৈরি। সেই মেশিনও এ কাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে জাল মুদ্রায় ব্যবহৃত কাগজ এবং বাংলাদেশের নোটের কাগজ একই হওয়ায় সন্দেহ আরও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের টাঁকশালে ছাপা নোটের আদলে নিখুঁতভাবে তৈরি কাগজের জাল মুদ্রাগুলো পার্শ্ববর্তী দেশে তৈরির পর গোয়েন্দারা চোরাপথে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এরপর বিভিন্ন হাত ঘুরে এগুলো চলে যাচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। জাল নোট তৈরি এবং দেশে পাঠানো চক্রে গোয়েন্দাদের সঙ্গে ভারতে পলাতক আওয়ামী লীগের কিছু নেতা সরাসরি জড়িত।

দুপক্ষের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা চক্রটি নতুন একটি চেইন তৈরি করেছে। সেখানে ডিলার থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত সবাই তাদের আদর্শের লোক।

জানা গেছে, বিশাল অঙ্কের জাল নোট তৈরিতে সন্দেহভাজনদের মধ্যে আছেন টাঁকশালে টাকা তৈরির সাবেক ডিজাইনারসহ আওয়ামী কারিগররা। এরা গোয়েন্দাদের তত্ত্বাবধানে লম্বা সময় নিয়ে জাল টাকা ছাপিয়েছে। এ ধরনের নোট নিজস্ব গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার কাতারভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান তার ফেসবুক আইডিতে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন। এটি ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসে। তারা এই অপতৎপরতা রুখতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে যুগান্তরকে জানান।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বুধবার বিকালে যুগান্তরকে জানান, প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার জাল নোট দেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগ সত্য হলে এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তবে এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুব বেশি কিছু করার নেই। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। আর সাধারণ মানুষকেও অনেক সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে পুরোনো টাকা বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। বাজারে শুধু নতুন টাকা দেওয়া হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজটি করে থাকলে এটা ঠেকানো কারও পক্ষে সম্ভব ছিল না। কারণ, বিগত ১৫ বছরে টাঁকশালে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীই ছিলেন আওয়ামী আদর্শের অনুসারী। অনেক মেশিনারিজও নেওয়া হয়েছে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ থেকে। তিনি বলেন, টাকা ডিজাইনের কারিগর, যারা গত এক-দেড় বছরে অবসরে গেছেন; তাদের নজরদারির আওতায় আনা যেতে পারে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জাল নোট চক্রের সদস্যরা ফেসবুক, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে জাল নোট বেচাকেনার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। চটকদার অফার দিয়ে ক্রেতা আকৃষ্ট করছে সংঘবদ্ধ চক্রটি। বিভিন্ন ‘সিক্রেট গ্রুপ’ তৈরি করে সেখানে ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছে। এমন কিছু বিজ্ঞাপন দেখা গেছে, যেখানে ১ লাখ টাকার জাল নোট মাত্র ১০ থেকে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রির অফার দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তারা ক্রেতাদের আস্থা অর্জনের জন্য ‘মানি ব্যাক গ্যারান্টি’ বা ‘মানের নিশ্চয়তা’র মতো মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে। জালিয়াত চক্র তাদের পোস্টে এমন কিছু সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে, যাতে সাধারণের চোখে তা সহজে ধরা না পড়ে। যেমন, ‘নতুন মডেলের রঙিন প্রিন্ট’, ‘পুজোর বাজারের জন্য স্পেশাল অফার’, ‘ঈদ অফারের মতো দারুণ সুযোগ’, ‘উচ্চমানের রেপ্লিকা’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে জাল টাকাকে বৈধ পণ্য হিসাবে প্রচার করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

‘জাল টাকা বানানোর প্রসিকিউটর’ (জাল টাকা বানানো শেখানো হয়) নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে জাল নোটের ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। ভিডিওর শিরোনাম জাল টাকা নিতে চান। ফোন নাম্বার ০১৩২৬০…। এই নাম্বারে ফোন করা হলে অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট দেওয়া যাবে। এক লাখের দাম ১৮ হাজার টাকা। নিজের নাম জানাতে নারাজ ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি টাঙ্গাইলে অবস্থান করছেন। মাঝেমধ্যে গাজীপুরে ভাড়া বাসায় থাকেন। দরদাম করলে তিনি বলেন, তার কাছে সব নিখুঁত, ‘এ’ গ্রেডের নোট রয়েছে। এজন্য দাম একটু বেশি। নিতে হলে আগে কিছু টাকা অগ্রিম পাঠাতে হবে। নগদে কিংবা বিকাশে টাকা পাঠালেই যথাসময়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে চাহিদা অনুযায়ী জাল টাকা।

আরেক জাল টাকার ব্যবসায়ী জানান, নতুন কারও বিশ্বাস অর্জনের জন্য কিছু টাকা অগ্রিম নিয়ে টাকার স্যাম্পলও পাঠানো হয়। গ্রুপের নাম ‘জাল টাকা বিক্রি করি’। এ গ্রুপে-ইমরোজ কালেক্ট নামে একটি আইডি থেকে জাল টাকা বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, এ গ্রেডের মাল। ওয়াটারপ্রুফ জলছাপ সুতা তৈরি। মেশিন ছাড়া কারও বাপেরও ধরার ক্ষমতা নেই।
সূত্র: যুগান্তর।




আজ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব

আজ বিজয়া দশমী। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে ৫ দিনের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের। তাই, মণ্ডপে মণ্ডপে এখন বাজছে বিদায়ের ঘণ্টা। আজ সকালে হবে দশমীর বিহিত পূজা। পূজা শেষে হবে দর্পণ ও বিসর্জন। এদিন দেবী মর্ত্য ছেড়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের অসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের তথ্যমতে, এ বছর সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজামণ্ডপ হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে মণ্ডপ হয়েছে ২৫৯টি। বিজয়া দশমীতে সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর থেকে শুরু হবে দেশব্যাপী প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। প্রত্যেকে নিজ নিজ জেলায় দেবী বিসর্জন করবেন। রাজধানীর অধিকাংশ মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে বুড়িগঙ্গায়।

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাসুদেব ধর বলেন, দুর্গা মায়ের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। কৈলাশে ফিরে যাবেন মা দুর্গা। আবার আমাদের অপেক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের পূজার জন্য। এবারের পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদে পূজা উদ্‌যাপন করতে পেরেছেন। এজন্য আমরা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বিজয়া দশমীতে বিসর্জন শোভাযাত্রা যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় সেজন্য পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা সুন্দরভাবে শেষ হবে। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এদিকে গতকাল ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবিও দুর্গাপূজার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। বিজিবি সীমান্তবর্তী ২ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাজধানীসহ সারা দেশের অন্যান্য বড় বড় পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় দায়িত্বও পালন করছে। তিনি জানান, যার যার ধর্মীয় উৎসব সবাই যাতে নির্বিঘ্নে উদ্‌যাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। আর একটা দিন বাকি আছে, বাকি সময়টুকুতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের দুর্গাপূজা সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিজিবি মহাপরিচালক। বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, গত ২৪শে সেপ্টেম্বর থেকে বিজিবি’র ৪৩০ প্লাটুন সদস্য রাজধানীসহ সারা দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ২৪টি বেজ ক্যাম্প স্থাপন করে মোট ২ হাজার ৮৭০টি পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি নিয়ন্ত্রণাধীন ২ হাজার ৮৭০টি পূজামণ্ডপের মধ্যে সীমান্তবর্তী (সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে ও পার্বত্য অঞ্চলের ১৫টি পূজামণ্ডপসহ) রয়েছে ১ হাজার ৪১৭টি এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাইরে রয়েছে ১ হাজার ৪৫৩টি মণ্ডপ।




গাংনীতে বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক আর নেই

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামের বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। গেল রাত আড়াইটার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আরশাদ আলী জানান, ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুটির নাড়ি কাটা হয়নি। বাগানে ফেলে রাখায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গেল দুদিন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইনকিউবেটারে ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় কিছুটা সুস্থ হওয়ায় শিশুটিকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। তবে রাতে হঠাৎ প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে মটমুড়া গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে সদ্য ভুমিষ্ঠ হওয়া কন্যা শিশুটিকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। গাংনী উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সহায়তায় তার চিকিৎসা চলছিল। পরিচয়বিহীন কন্যা শিশুটিকে দত্তক নিতে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত শিশুটির পিতামাতার পরিচয় মেলেনি।

শিশুটির দাফনের বিষয়ে গাংনী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আরশাদ আলী জানান, শিশু কল্যাণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।