দর্শনায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দর্শনার কেরু’জ মন্দির পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার পূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন।

এসময় তিনি বলেন, “আমরা চাই সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে গতবারের মতো এবারও দুর্গোৎসব সম্পন্ন হোক। আমাদের আনসার বাহিনী, পুলিশ বাহিনীসহ প্রশাসনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”

তিনি পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়দের দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার পাশাপাশি সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

এসময় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, কেরু’জ মন্দিরের সভাপতি এবং অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে অস্বচ্ছল মানুষদের বস্ত্র ও অর্থ সহায়তা প্রদান

ঝিনাইদহে অস্বচ্ছল ও পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে বস্ত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্থানীয় গোল্ডেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে হয়েছে।

গোল্ডেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক চন্দন বসু মুক্ত’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা রাখেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুল কাদের।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মমিনুর রহমান, শহর সমাজ সেবা অফিসার আফাজ উদ্দীন, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সমাজ সেবা অফিসার (রে:জি) হাসানুজ্জামান, জার্নালিস্ট ময়না খাতুন, শুশিল সমাজের প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন, মো: সাবু, গোল্ডেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়কারী উজ্জ্বল কুমার চাকী, অফিস সেক্রেটারী নুসরাত জাহান মেঘলা, এপিও আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুল কাদের সহ অতিথিগণ উপকারভোগীদের মাঝে ৫০টি শাড়ি ও ৫০ টি লুংগি এবং ১০ জন অস্বচ্ছল ও পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে বস্ত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।




ঝিনাইদহে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক আলোচনা সভা

ঝিনাইদহের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের কৃষ্ণনগর পাড়ার ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই)’ সন্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা মানবাধিকার নেটওয়ার্কের সহসভাপতি এন এম শাহজালালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো.টিপু সুলতান, কনসালটেন্ট সৈয়দ রোকন উদ্দীন, ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঝিনাইদহ বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক সেলিনা রহমান, পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই) এর নির্বাহী পরিচালক শরিফা খাতুন, কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক জাফর উদ্দীন রাজুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সভায় বিগত তিন মাসের জেলার অপরাধের পরিসংখ্যান চিত্র তুলে ধরা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করে ৬টি উপজেলার সদস্যরা নিজ নিজ এলাকার অপরাধের বিষয়গুলি তুলে ধরেন।

উপস্থিত অতিথিবৃন্দ জেলার মানবাধিকার লংঘনের বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং তা উত্তরণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার সুরক্ষায় নিজেদের সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।




পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। কলম্বোয় পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। দলের হয়ে গোল দুটি করেছেন নাজমুল হুদা ফয়সাল ও অপু রহমান। সেমিফাইনাল খেলতে নেমে তৃতীয় মিনিটে উচ্ছ্বাসে মাতে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশকে প্রথম লিড এনে দেন অধিনায়ক নাজমুল। তবে নাজমুলের গোলের পেছনে বড় অবদান পাকিস্তানের গোলরক্ষকের। সামার রাজ্জাকের ভুলে বল পান অপু। সেই বল পেয়েই নাজমুলকে পাস বাড়ান তিনি।

ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করলেও নাজমুলকে গোলকে বঞ্চিত করতে পারেননি পাকিস্তানের গোলরক্ষক।
ফিরতি মিনিটে এবার বাংলাদেশের জয়ের দ্বিতীয় গোল এনে দেন অপু। একক নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বলকে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ম্যাচের ১৩ মিনিটে আরেকটি গোল পেতে পারত বাংলাদেশ।

তবে জালের দেখা পাওয়া নাজমুলের গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। একই কারণে বাতিল হয়ে যায় আব্দুল্লাহর গোলও।
পরে আর কোনো গোল না হলে ২-০ ব্যবধানে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তবে দুই দলই বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল। ফরোয়ার্ডদের শট অল্পের জন্য কখনো জালের দেখা পায়নি কিংবা গোলরক্ষক সেভ করেছেন কর্নারের বিনিময়ে।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষকে তা আজই জানা যাবে। নেপাল-ভারতের মধ্যে যারাই জিতবে তারাই ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে।

ফুটবলের মতোই আজ ক্রিকেটের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ চারের মুখোমুখি দেখায় যে দল জিতবে তারা আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




ঝিনাইদহে জীববৈচিত্র সংরক্ষণের গুরুত্ব বিষয়ক জনসেচতনামুলক সভা

ঝিনাইদহে মাটি, পানি, বায়ু, শব্দদুষণ, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণের গুরুত্ব বিষয়ক জনসেচতনা মুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: মুন্তাছির রহমাননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস’র আনন্দ কুমার শীল, হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান, সধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর ইকবাল, জামান জুট মিলসের প্রতিনিধি আব্দুল বাশের পলাশ, মেসার্স ফিউচার ভিশনের মনোয়ার হোসেন সারফ এগ্রো ইন্ডাট্রিজ’র লিগ্যাল এ্যাডভাইজার এম মনিরসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় মাটি, পানি ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শব্দদূষণ ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। একই সঙ্গে বনজ, ভেষজ ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। তারা আরও উল্লেখ করেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে।

সভায় পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়।




মেহেরপুরের আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ

মেহেরপুরের আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ হাফিজুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান, মোঃ বসির আহাম্মেদ, মোঃ রফিউল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ রাকিবুল ইসলাম, মোঃ গাজিউল ইসলাম, মোঃ রিপন, মোঃ ইব্রাহিম খলিল এবং সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ নারগিস চৌধুরী, মোসাঃ সাহিদা বানু ও মোসাঃ শাহানাজ খাতুন।

সভাপতির বক্তব্যে হাসিবুজ্জামান স্বপন বলেন, আগামী ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার পাশাপাশি দেশের মুখ উজ্জ্বল করার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সহকারী শিক্ষক বি.এসসি হাবিবুর রহমান।




মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের চার দিন পর প্রাণ গেল শ্রমিকের

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চার দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মেহেরপুরের নির্মাণ শ্রমিক তারিক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তারিক সদর উপজেলার গোভীপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত খোকনের ছেলে। গত রবিবার দুপুরে শহরের জার্মান বাংলা এলাকায় সেলিম নামের এক ব্যক্তির পাঁচতলা নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ভবনের রড বাঁধার কাজ করছিলেন তারিক। এ সময় অসাবধানতাবশত রড বিদ্যুতের মেইন লাইনের তারে স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে সহকর্মী শ্রমিক ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করেন।




দর্শনা সরকারি কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍“এসো তরুণ এসো নবীন তোমার হাতে সম্ভাবনার আগামী দিন” শ্লোগানকে সামনে রেখে দর্শনা সরকারি কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় দর্শনা সরকারি কলেজের আয়োজনে নবীন বরণ উদযাপন কমিটির আহবায়ক লিহাজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে ১ম বর্ষে ভর্তি ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে লাল গোলাপ তুলে দিয়ে বরণ নেওয়া হয়।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরান থেকে তেলোয়াত করেন, হাবিবা খাতুন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার মোঃ শফিকুল ইসলাম দুইজন ছাত্র ও ছাত্রীর হাতে লাল গোলাপ দিয়ে বরণ করে নেয়। এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, তোমরা মাধ্যমিক শিক্ষার গন্ডি পেরিয়ে আজ মহা বিদ্যালয়ে পদার্পণ করেছে। এখন থেকে লেখাপড়ার পাশাপশি নীতি নৈতিকা সাথে আগামী ২টি বছর এ মহা বিদ্যালয় থেকে ভাল ফলাফল করে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য বিশ্ব বিদ্যালয়ে যাবা। সেই ক্ষেত্রে আমাদের এ কলেজের সুনাম অখুন্ন রাখার পাশপাশি এখন থেকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে লেখাপাড়ার প্রতি মনোযোগি হতে হবে। এছাড়া খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে উচ্চ পর্যায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে সামনের দিনে আলোর পথে চলতে হবে এটাই আমাদের প্রত্যশা।

প্রধান অতিথি নবীনদের বরণ করার সাথে সাথে রোভার, বিএনসিসির সদস্যরা মঞ্চের সামনে বসা ১ম বর্ষে ভর্তি ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে লাল গোলাপ তুলে দিয়ে বরণ করে নেয়। এরপর নবীনদের উদ্যেশ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি দর্শনা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মফিজুল আলম ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাফুল আলম। নবীন ছাত্র/ছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সাহিদুল ইসলাম ও সুমি খাতুন। ছাত্র নেতাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি ছাত্রদলের মোরশেদ লিংকন, জাকির হোসেন, পলাশ আহম্মেদ, আসিব হাসান, মুসফিকুর রহমান (সাইফ)সাইফুর রহমান অনিক ও অমিন। ছাত্র শিবিরের পক্ষে ফজলুর রহমান, শহিদ আহম্মেদ খান, হামজা ফারাজী ও সাব্বির হোসেন।

এসময় ছাত্র নেতারা দর্শনা সরকারি কলেজে একটি মসজিদ, ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য একটি ক্যান্টিন ও ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষকদের জন্য পৃথক পৃথক হোষ্টেল নিমার্ন করার দাবী জানান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জাকির হুসাইন ও মুকুল হোসেন।




আলমডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলো যুবক

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের পারলক্ষ্মীপুর ঘোষপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন এক যুবক। তবে চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত হয়ে সুস্থ জীবনে ফিরেছেন।

ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঞ্জুরুল ইসলাম (২৮) নামের ওই যুবক এলাকায় ডিস লাইনের কাজ করার সময় অসতর্কভাবে বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনি খুঁটির সাথে ঝুলে পড়েন। মুহূর্তেই এলাকাবাসীর চিৎকারে সহকর্মীরা তাকে নিচে নামিয়ে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, “মঞ্জুরুলকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার ফলে তার জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।” বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত। সুস্থ হওয়ার পর মঞ্জুরুল সাংবাদিকদের বলেন, “আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি বেঁচে গেছি। ভবিষ্যতে আর কখনো ঝুঁকি নিয়ে কাজ করব না।”

এই ঘটনায় এলাকাবাসীও শিক্ষাগ্রহণ করেছে। তারা জানান, বিদ্যুৎ ও ডিস লাইনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।




আলমডাঙ্গার দুর্গাপূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করলেন এসপি 

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আলমডাঙ্গা থানার বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপ আকস্মিক পরিদর্শন করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা।

পুলিশ সুপার মণ্ডপগুলোতে উপস্থিত পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য, ভক্ত ও স্থানীয় সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, “শারদীয় দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি বাংলাদেশের সর্বজনীন উৎসব। এখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণ আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চিত্র তুলে ধরে। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে কেউ যাতে না পারে, সেদিকে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে।”

তিনি আরও জানান, আলমডাঙ্গা থানার প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন থাকবে, পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে আনসার ও গ্রাম পুলিশদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা, মেটাল ডিটেক্টর এবং টহল টিম। জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে প্রতিটি মণ্ডপকে সংযুক্ত রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দকে উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানান এবং দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “সকলের সহযোগিতায় দুর্গাপূজা আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।” এই আকস্মিক পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ মাসুদুর রহমান, পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) বিকাশ চন্দ্র সরকার, বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধীজন।

জানা গেছে, এ বছর আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ৩৫ টি দুর্গাপূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১২টি মণ্ডপকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে নির্দিষ্ট সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

স্থানীয়রা জানান, পুলিশ সুপারের আকস্মিক এ পরিদর্শনে পূজা উদ্যাপন কমিটি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা মনে করছেন, প্রশাসনের এ ধরণের তৎপরতা দুর্গোৎসবকে আরও নিরাপদ ও আনন্দঘন পরিবেশে পরিণত করবে।