ঝিনাইদহে মোবাইল চুরি সন্দেহে গণপিটুনির দুইদিন পরে যুবকের মৃত্যু

ঝিনাইদহে মোবাইল চুরি সন্দেহে গণপিটুনিতে সুজন (৩৫) নামে এক যুবকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সুজন শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে এবং বর্তমানে ঝিনাইদহ পৌরসভার পাওয়ার হাউজ পাড়ায় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছিল।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: ফারহানা শারমিন বলেন, এই রোগীকে অজ্ঞাত নামে গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফিজিক্যাল অ্যাসাল্ট হওয়ার কারণে। তার চিকিৎসা চলছিল। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সে মারা যায়।

জানা গেছে, গত বুধবার ভোরে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ৭ম তলায় রোগীর স্বজনদের মোবাইল চুরির অভিযোগে সুজনকে গণপিটুনি দেয় রোগীর স্বজনরা। তাকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত বুধবার সকালে তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন শুক্রবার হাসপাতাল থেকে বলেন সেদিনই তার স্ত্রীর জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে চুরির বিষয়ে বা তাকে মারা বিষয়ে কোন পক্ষই কোন অভিযোগ দেয়নি।

ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে একজন রোগী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের সিড়ির মধ্যে শুয়ে আছে জানতে পেরে তাকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দিই। তার চিকিৎসা চলছিল। আমি আজ ছুটিতে আছি। দুপুর পৌণে দুইটার দিকে আমার স্টাফরা আমাকে জানান রোগীটি মারা গেছে। তবে গত বুধবার ভোরে মোবাইল চুরি নিয়ে গণপিটুনির বিষয়ে আমার কিছুই জানানেই।

এদিকে, আজ শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে লাশ ঘরে নিহতের মরদেহ রাখা হয়। তবে সেখানে তার কোন আত্মীয় স্বজনকে পাওয়া যায়নি। ঝিনাইদহ পাওয়ার হাউজ পাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতেও যেয়েও তার স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। মরদেহের সুরতহাল তদন্ত করেন সদর থানার এই আই তাইফুল।

এই ঘটনায় আইনী প্রক্রিয়া কি হবে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না।




মুজিবনগরে পতাকা বৈঠকে শিশু-সহ ৪ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তের স্বাধীনতা সড়কে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১০৫ নম্বর পিলারের কাছে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এক শিশুসহ চার বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

আজ শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে অনুষ্ঠিত কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তারা হলেন- চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার শহিদুল্লাহর ছেলে রতন হোসেন (৩৭), রতনের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার (৩৪), মেয়ে হাবিবা খাতুন ও ছেলে ইমাম হোসেন।

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) পরিচাললক অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: নাজমুল হাসান জানান, বিজিবির মুজিবনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল বাসার মিয়া এবং বিএসএফের কৃশানগর কোম্পানি কমান্ডার ধর্মবীর সিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের অংশ হিসেবে এ ধরনের পতাকা বৈঠক দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করছে।




আলমডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার-৫

আলমডাঙ্গায় ২০১ বোতল বাংলা মদ সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের খুদিয়াখালী স্কুল পাড়ার আলোচিত মাদক কারবারী আরতী দাসের বাড়িতে সেনাবাহিনী ও মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার খুদিয়াখালি গ্রামের মাদক করবারী আরতি দাস (৩০) ও তার স্বামী চয়ন দাস (৩৩) এবং একই এলাকার মাধব দাসের দুই ছেলে সঞ্জয় দাস (২৫) ও জয় দাস (২০) ও মৃত অধির দেবনাথের ছেলে অখিল দেবনাথ (৩৫)।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে হারদী সেনাবাহিনী ও মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের একটি দল পশুহাট সংলগ্ন খুদিয়াখালী স্কুলপাড়ার মাদক কারবারী আরতি দাসের বাড়িতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে চিহ্নিত মাদক কারবারী আরতি দাস, তার স্বামী চয়ন দাস, সঞ্জয় দাস, জয় দাস ও অখিল কুমার দেবনাথকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আরতী দাসের বাড়ি থেকে ২শ’ ১ বোতল বাংলা মদ উদ্বার করে যৌথবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।




নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে – ড. বদিউল আলম মজুমদার

জাতীয় ঐক্যমতের কমিশনার ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‌‌নিম্মকক্ষ হবে আসন ভিত্তিক আর উচ্চ কক্ষ হবে পিআর পদ্ধতিতে। আমরা মনে করি দুটি পদ্ধতিতেই নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে। নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। তার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তোরণের পথ প্রসস্ত হবে। পিআর পদ্ধতি এবং আসন ভিত্তিক পদ্ধতি দুটোতেই কিছু ত্রুটি এবং ইতিবাচক দিক রয়েছে। তারপরেও দুটো পদ্ধতি দরকার। নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সংস্কারের প্রস্তাব করেছি ।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত মতবিনিময় সভাশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ঐক্যমতে পৌছাতে পারবো। একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। তার মাধ্যমে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব ঐক্যমত সাংবাদিক মনির হায়দার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সুজনের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন, সুজনের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ জাকির হোসেন, গাংনী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এএসএম সায়েম পল্টু, গাংনী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ স্বপন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভট্ট, বিএনপি নেতা আব্দাল হক।

এসময় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, সুজন, পিএফজি, নারী নেটওয়ার্ক, ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গা স্ট্যন্ডার্ড ব্যাংকের উদ্যোগে তারুণ্যের উৎসব উৎযাপন

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের আলমডাঙ্গা শাখার উদ্যোগে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে গ্রাহক সেবা পক্ষ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সকাল দশটার দিকে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন,  ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মোনয়েম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহিতুর রহমান।

শিক্ষক পরিষদের সহ সম্পাদক ডঃ মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পিএলসি আলমডাঙ্গা শাখার বিনিয়োগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের মূল লক্ষ্য ছিল যুব সমাজকে ব্যাংকিং সেবা ও তরুণ উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের প্রতি উৎসাহিত করা ও ডিজিটাল লেনদেন সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করা। তারুণ্যের উৎসবের আলোচনা সভায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা ডি.এস ফাজেল (ডিগ্রী) মাদরাসার সবক প্রদান ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান 

দর্শনা দারুস সুন্নাত সিদ্দীকিয়া ফাজেল (ডিগ্রী) মাদরাসার গভর্নি বডির সভাপতি ও জেলা জামায়াতের আমীর জননেতা মোঃ রুহুল আমিন বলেছেন- একজন মাদরাসার শিক্ষার্থীদের হবে কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী বাবা-মায়ের চক্ষু শীতলকারী ও গড়ে উঠবে মুত্তাকিদের ইমাম হিসেবে। কারণ একজন মুসলমানের তাহজীব তামাদ্দুন অনুযায়ী সে মুসলমান হিসেবে নিজের পরিচয় দেবার সাথে সমাজের মানুষ তার সর্ম্পকে একটা ভালো ধারনা যেন পায়। সমাজ যেন জানে মুসলমান মানে সে একজন ভালো নামাজি, সে সত্য কথা বলে, সুদ খায়না, ঘুষ খায়না, ব্যাভিচার করেনা, চাঁদাবাজী করেনা বরং সর্বদা মানুষের উপকার করার চেষ্টা করে। এরকম একটা পরিচয় যদি বহন করতে পারি তবেই আমি মুসলমান।

তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দর্শনা দারুস সুন্নাত সিদ্দীকিয়া ফাজেল (ডিগ্রী) মাদরাসার মিলনায়তনে ২০২৫ সালের আলিম ১ম বর্ষ ও ফাজেল ১ম বর্ষের সবক প্রদান ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

তিনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি মুত্তাকি অর্থাৎ আল্লাহভীতি অর্জন করার পরামর্শ দেন। কারন যার হৃদয়ে আল্লাহভীতি থাকে, তার হৃদয়ে পৃথিবীর কোন ভয় জায়গা পায়না। একজন ছাত্রকে উত্তম আলেম হতে হলে উত্তম বেশভুষা, উত্তম জ্ঞান, উত্তম আচরনের অধিকারী হতে তবেই তোমাদেরকে দেখে সমাজের মানুষ উদ্বুদ্ধ হবে।

মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা শফি উদ্দীন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মাদরাসার গভর্নি বডির সহসভাপতি ও সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাদের, গভর্নি বডির সদস্য ও সাংবাদিক এফ, এ আলমগীর, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ আবুল হোসেন, গভর্নিং বডির সদস্য মাওলানা শাহ আলম, মোঃ মনির হোসেন, দর্শনা সাংবাদিক সমিতির সেক্রেটারী মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মোঃ আবু সাঈদ প্রমুখ। পরে সবক প্রদান ও দোয়া পরিচালনা করেন প্রবীণ আলেম ও দর্শনা পৌর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলাম।




২য় বারের মতো মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন আজ

২য় বারের মত মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন আজ।

আজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: মোখলেস উর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি সচিব মোঃ কামাল উদ্দিন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ ফিরোজ সরকার, ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ আবু জাফর, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত (স্বাস্থ্য) পরিচালক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও  মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. আবু সাঈদ এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহরিয়া শায়লা জাহান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য মনির হায়দার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

এর আগে ২০২৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভবনের কাজ সম্পন্ন না হলেও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ভবনটির উদ্বোধন করেছিলেন। উদ্বোধন হলেও তখন থেকে এ ভবনে কোন কার‌্যক্রম হয়নি। তবে এবার স্বাস্থ্য কাযর্ক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।




দর্শনায় বিএনপি নেতা মশিউর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র উপ-কোষাধ্যক্ষ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির কান্ডারী মাহমুদ হাসান খান বাবু’র পক্ষে ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে দর্শনা রেলবাজারের শহীদ শাহরিয়ার শুভ মুক্ত মঞ্চ থেকে এ কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন দর্শনা পৌর বিএনপির অন্যতম সমন্বয়ক আলহাজ্ব মোঃ মশিউর রহমান। শুরুতেই সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে মশিউর রহমান বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের শাসনামলে চুয়াডাঙ্গা-২ আসেন কোন উন্নয়ন হয়নি। তবে উন্নয়ন হয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোষরদের। লুটপাট দখলদারিত্ব করে তারা নিজেদের পকেট ভারী করেছে।

মানুষের প্রতি জুলুম অত্যাচার করে আখের গুছানো মানুষগুলো আজ এ শহর থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে । আমি বিশ্বাস ও আস্থার সাথে বলছি। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জনদরদি জননেতা মাহমুদ হাসান খান বাবু ভাই কে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত করলে স্বাধীনতার পরবর্তি অবহেলিত এ অঞ্চলে সামনের বাংলাদেশ গড়ে তুলে এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার উঠবে । আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে এ দেশে সৃস্টি হবে উন্নয়নের নবদিগন্ত। তাই সবাই আসুন বিএনপির পতাকা তলে। একটি কথা মনে রাখবেন, যারা জান্নাত পকেটে ঘুরছে, সাধারণ মানুষকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে জান্নাতি বানাচ্ছে তারা প্রতারক। তাদের ফাদে পা দেবেননা। সতর্ক থাকবেন তথাকথিত ওই সকল ধর্ম ব্যবসায়ী থেকে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য মাহবুব উল ইসলাম খোকন, মোঃ রেজাউল ইসলাম, বিএনপি নেতা হাজী ফজলুর রহমান, মোখলেসুর রহমান, হাবিবুল্লাহ বিশ্বাস, দর্শনা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন, সাবেক যুবদল নেতা সেলিম মেহবুব লিটন, জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল, জিয়াউল হক শাহীন, সাবেক ছাত্রদলনেতা সেলিম মেহফুজ মিল্টন, আকাশ খান, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্নআহ্বায়ক মোর্শেদুর রহমান লিংকন, মোস্তাফিজুর রহমান লিংকন, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, যুগ্মআহ্বায়ক সাইদুর রহমান, আল মুকিত, সাব্বির রহমান, দর্শনা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ, যুগ্মআহ্বায়ক মোফাজ্জেল হোসেন মোফা, রাজু আহমেদ, সাইফ, আব্দুল হাই, আলআমিন, আরাফ খান মামুন, ফয়সাল, আরিফ হোসেন, দর্শনা ডিএস মাদরাসা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার শাহাব উদ্দিন প্রমুখ। পরে দর্শনা রেলবাজার এলাকায় পথে প্রান্তরে ব্যবসায়ীদের নিকট বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল বিভিন্ন ভাগে লিফলেট বিতরণ সহ বাবু খানের পক্ষে ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা করেছে।




আলমডাঙ্গায় ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ার মদিনা চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে আলমডাঙ্গায় দিনব্যাপী ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলমডাঙ্গা তা’লীমুল কুরআন নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে  দিনব্যাপী ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সকাল ১০ টা থেকে  এ চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সকালে মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথি হিসাবে এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসা কমিটির অন্যতম সদস্য আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রুনু খন্দকার, কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ, হারুন অর রশিদ,রাসেল রেজা আহমেদ লাভলু, আমিন উদ্দিন।

ক্যাম্পে হাসপাতালের ডিপ্লোমা চক্ষু বিশেষজ্ঞ  ডাঃ নাফিজ ইকবাল। তিনি শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ দেন। এ সময় ৪ জন ছানি পড়া রোগীকে বাছাই করে বিনামূল্যে অপারেশনের জন্য কুষ্টিয়া মদিনা চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।




আলমডাঙ্গার গিরিধারী লাল মোদী আর নেই , শনিবার শেষকৃত্য 

আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান দেশের অন্যতম শিল্পপতি দানবীর গিরিধারী লাল মোদি আর নেই। আলমডাঙ্গা মহাশ্মশানে আগামী শনিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে পারে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।

আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান আলমডাঙ্গা পৌর এলাকাররথতলা নিবাসী প্রখ্যাত শিল্পপতি, সমাজসেবক ও দানবীর উত্তরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক গিরিধারী লাল মোদি (৭৮) আর নেই।

গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

গিরিধারী লাল মোদি ছিলেন আলমডাঙ্গা পাইলট হাইস্কুলেরপ্রাক্তন ছাত্র ও ব্যবসায়ী স্বর্গীয় দোয়ারকা প্রাসাদ মোদির জ্যেষ্ঠপুত্র। শিল্পপতির পাশাপাশি তিনি একজন সমাজহিতৈষী ও জনদরদী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সারাদেশে পরিচিত ছিলেন।

আলমডাঙ্গা কালীমন্দির নির্মাণ, শ্রী শ্রী সত্য নারায়ণ মন্দির পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকায়নসহ বহু ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ছিল তাঁর অসামান্য অবদান। এলাকার নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত চাঁদা প্রদান ও আয়োজন তদারকিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকতেন। অর্থ, বস্ত্রদানসহ বিভিন্ন দান-খয়রাতের মাধ্যমে তাঁর উদার মানসিকতার পরিচয় সর্বত্র মিলেছে।

শিক্ষাক্ষেত্রেও গিরিধারী লাল মোদির অবদান অনস্বীকার্য। কন্যার বিবাহে আগত বরযাত্রীদের রাত্রিযাপনের জন্য নির্মিত অবকাঠামো পরবর্তীতে আলমডাঙ্গা পাইলট গার্লস হাইস্কুলের জন্য দোতলা হলরুমে রূপান্তর করে দেন। এছাড়া আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ পশুহাট জুনিয়র হাইস্কুল, চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনস স্কুল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য করেন তিনি। আলমডাঙ্গা উপজেলা মহাশ্মশান দালান নির্মাণেও তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।

তাঁর কাকা সত্য নারায়ণ মোদী ছিলেন আলমডাঙ্গার একজন সামাজিক ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবী, ক্রীড়ামোদী ও ক্রীড়া সংগঠক, যিনি আলমডাঙ্গা পাইলট গার্লস হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন।

ব্যক্তিজীবনে গিরিধারী লাল মোদি ছিলেন ১ পুত্র ও ২ কন্যার জনক।

এলাকার বিশিষ্ট শিল্পপতি ও কিংবদন্তি এই ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বত্র। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী সংগঠন তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।