চালের বাজারে সিন্ডিকেট, শুল্ক কমানোর পর দাম বেড়েছে ভারতে

চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। চালের মজুতে রেকর্ড গড়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারেও চালের দাম নিম্নমুখী। এ ছাড়া বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমোদন, নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণসহ সরকারের নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও চালের বাজার ফের উত্তপ্ত। দাম বৃদ্ধির পেছনে ‘দেশের করপোরেট সিন্ডিকেটকেই’ দুষছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি বন্যাকেও অজুহাত হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

তবে এটিকে অস্বাভাবিক বলছেন বাজার বিশ্লেষক ও ক্রেতা-বিক্রেতারা। সবমিলে অনেকগুলো পণ্যের দাম একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। রাজধানীর কয়েকটি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে, টানা তিন মাস কমার পর ফের বেড়েছে মূল্যস্ফীতি।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন স্বল্প আয়ের মানুষ। সম্প্রতি বোরোর নতুন চাল বাজারে ওঠার পর যে সরু চালের দাম কমে ৭৫ টাকা হয়েছিল, এখন তা বেড়ে ৮০ থেকে ৮২ টাকায় পৌঁছেছে। এটি অস্বাভাবিক। মাঝারি ও মোটা চালের বাজারেও একই চিত্র। এই বাড়তি দামের পেছনে রয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তারা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছেন।

বাজারে চালের দামে ঊর্ধ্বমুখী:
মাস দেড়েক ধরে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল। মোটা চালের দামই এখন ৬০ টাকার বেশি। মাঝারি মানের মিনিকেট ও নাজিরশাইল ৬৫-৭০ টাকায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাকি সব চাল সাধারণত ৭৫-৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর খুব ভালো মানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চালের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকার কাছাকাছি। তারা জানান, গরিবের কাবাব মোটা চালের দাম ঢাকায় স্থানভেদে গত ১৫ দিনে খুচরায় কেজিতে দাম বেড়েছে ৪-৬ টাকা। পাশাপাশি অন্য সবধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫-৬ টাকা। শুল্কমুক্ত আমদানি হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাসে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে অন্তত ৪০০ টাকা। যার দাম গত বছরে ছিল মাত্র ২৯০০ থেকে ৩১০০ টাকা।

দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কৃষকের কাছ থেকে বেশি দামে ধান কিনেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী ও করপোরেট কোম্পানির প্রতিনিধিরা। চাল উৎপাদনকারী মিলার ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের হাতে ধান-চাল নেই বললেই চলে।
কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী খালেদ বলেন, চালের সরবরাহ ঠিক আছে, তবুও ঈদের পর থেকে দাম বাড়তে শুরু করেছে। একই মার্কেটের মেসার্স নূর রাইস এজেন্সির চাল ব্যবসায়ী বলেন, মোটা চাল এখন কম পাওয়া যায়। তবুও প্রতি কেজি ৫৮ টাকা। ৫০ কেজির বস্তা, চিকন- সব ধরনের চালের দামই এখন প্রায় ৩৯০০ টাকা। বস্তায় দাম বেড়েছে অন্তত ২০০ টাকা। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।

বিশ্ববাজারে কম, দেশে বাড়ছে:
ট্রেডিং ইকোনমিকস বলছে, বিশ্ববাজারে চালের দাম এক মাসে কমেছে ৩.৮ শতাংশ। চলতি বছরের সাত মাসে কমেছে ৯.১৬ শতাংশ। আর এক বছরে একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১৪.১৬ শতাংশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ীও চলতি বছরে সবধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। সংস্থাটির মতে, সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ ভারতের রেকর্ড উৎপাদন ও রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ধাপে ধাপে তুলে নেয়ায় বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে চালের দাম। এর পাশাপাশি উৎপাদন বেড়েছে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশগুলোতেও। বিশ্ববাজারে ক্রমেই নিম্নমুখী হলেও বাংলাদেশের বাজারে চালের দাম বেশি। রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বাজার দরের তথ্য অনুযায়ী, গত একমাসে নতুন করে চালের দাম না বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সরু জাতের নাজিরশাইল ও মিনিকেট ১৫.৯৪ শতাংশ, মাঝারি জাতের পাইজাম ও আটাশ ১৬.৭ শতাংশ এবং মোটা জাতের স্বর্ণা ও চায়না ইরি চালের দাম ১০.৫৮ শতাংশ বেড়েছে। টিসিবি’র ঢাকা মহানগরীর দৈনিক খুচরা বাজারদরের তথ্য অনুযায়ী, সরু চাল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং মোটা চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাড়ছে মূল্যস্ফীতি:
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন বলছে, টানা তিন মাস কমার পর ফের বাড়লো মূল্যস্ফীতি। গত জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮.৫৫ শতাংশ। এর আগে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছিল। জুলাই মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই মূল্যস্ফীতি খানিকটা বেড়েছে। সামান্য বেড়েছে গ্রাম ও শহর দুই জায়গাতেই।

চাল আমদানি করবে সরকার:
দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখা ও মূল্যস্ফীতি থেকে ভোক্তাদের স্বস্তি দেয়ার লক্ষ্যে ৪ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত বুধবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থনীতিসংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এদিকে, ভারতের ইকোনমিক টাইমস বলছে, বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত ৫ লাখ টন চাল আমদানির ঘোষণায় ভারতে গত দুই দিনে চালের দাম ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

পর্যাপ্ত মজুত:
চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারের কাছেও চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। দেশে বছরে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৩ কোটি ৮০ লাখ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে রেকর্ড ২ কোটি ১৪ লাখ টন ধান উৎপাদন হয়েছে। একই সঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত ২১ লাখ ৪৩ হাজার ১৮৭ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৪ টন চাল ও ১ লাখ ১ হাজার ৫৩০ টন ধান মজুত রয়েছে। সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, উৎপাদন ও মজুতের দিক থেকে চালের তেমন ঘাটতি নেই। তার পরও তিন মাস ধরে অর্থাৎ বোরোর ভরা মৌসুমেই চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক জানিয়েছেন, সরকারি হিসাবেই ধানের উৎপাদন খরচ ১২ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে, বোরো ধানের ভরা মৌসুমের আড়াই মাস পার না হতেই চালের বাজারে এমন অস্থিরতার জন্য মিল মালিক ও করপোরেট সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে মিল মালিকদের দাবি চালের দাম বাড়ার জন্য করপোরেট গ্রুপগুলো একমাত্র দায়ী। বাজারে সুষ্ঠু তদারকি নেই বলেও অভিযোগ রয়েছে।

রাজধানীর বড় পাইকারি বাজার বাবুবাজারের ইসলাম রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আমজাদ হোসেন বলেন, চালের বাজার করপোরেট হাউজগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এ কোম্পানিগুলো চালের ভরা মৌসুমেও চালের দাম বাড়ালে সরকার অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, করপোরেট হাউজগুলোর রহস্যময় ভূমিকা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সরকার যতই উদ্যোগ গ্রহণ করুক না কেন, বাজার স্থিতিশীল হবে না।

কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, পর্যাপ্ত আমদানি থাকার পরও পরিস্থিতি কারা অস্বাভাবিক করলো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ফলে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের অসাধু সিন্ডিকেট আগের মতোই দাম বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বাজারে কেন মনিটরিং নেই। ‘সরকারের সঠিক মনিটরিং না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা করছে।

তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ করপোরেট কোম্পানিগুলোর মালিকরা। তাদের মতে, চাল উৎপাদনে দেশ এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। ফলে সময়মতো আমদানির অনুমতি না দেয়ায় চাহিদা বেড়ে চালের বাজারে আলাদা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য না থাকলে সংকট তৈরি হবেই। যেখানে আরও দুই মাস আগে ব্যবসায়ীদের চাল আমদানির অনুমতি দেয়া উচিত ছিল, তা দেয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ বিভাগ) মনিরুজ্জামান বলেন, রেকর্ড পরিমাণ বোরো সংগ্রহ এবং মজুতও ভালো। বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। সরকারিভাবেও চাল আমদানি করা হচ্ছে। ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এতে আশা করা যায়, চালের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।

বাংলাদেশ অটো রাইস-মিলমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর দেশে উৎপাদিত ফলনের প্রায় অর্ধেক ধানই করপোরেট ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত হয়েছে। তারা মূলত ছোট ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ধানের হাট থেকে অধিক দরে ধান সংগ্রহ করে মজুত করে। এতে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মহানগরে ১০টি এবং প্রতি জেলায় একটি করে টিম কাজ করছে। সারা দেশের চালের আড়তে অভিযান চালাচ্ছি। কেউ যদি বলে মনিটরিং নেই তাহলে সেটি সঠিক নয়।

সূত্র: মানবজমিন ।




মেহেরপুরে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠান

মেহেরপুরে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৫ দিনব্যাপী টেক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে সমাজসেবা কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আশাদুল ইসলাম।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তাই সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকেও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জনে এগিয়ে আসতে হবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা কর্মসংস্থানের নতুন পথ খুঁজে পাবে। ফ্রিল্যান্সিং এবং কম্পিউটার দক্ষতা এখন যে কোনো ক্যারিয়ারের জন্য অপরিহার্য। আমরা আশা করি, এই প্রশিক্ষণ তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। সমাজসেবা অধিদপ্তর সব সময় পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অফিসার (রেজিঃ) কাজী মো. আবুল মনসুর, প্রশাসনিক যুক্ত জুনিয়র হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. এ. কে. ছায়েদুজ্জামান, সমাজসেবা শহর কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সোহেল মাহমুদ, প্রশিক্ষক এস. এম. রাসেল প্রমুখ।

শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও অনুদানের টাকা বিতরণ করা হয়।




বঙ্গোপসাগরে ফের লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

আগামী সোমবারের (১৮ আগস্ট) মধ্যে আবারও উত্তরপশ্চিম এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ১৩ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সংস্থাটি জানায়, এই সময়ের মধ্যে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সূত্র: কালের কন্ঠ ।




জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসল

প্রায় দুই মাসের টানা বর্ষণে ডুবে গেছে মেহেরপুরের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি। জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হাজার হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধান, কলা, মরিচ ও শীতকালীন সবজির ক্ষেত। ভেসে গেছে মাছের ঘেরও। এতে যেমন দেখা দিতে পারে খাদ্য সংকট, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে বড় ধাক্কা খেতে হচ্ছে কৃষকদের।

কৃষকরা বলছেন, মাঠের পানি দ্রত না নামলে শুধু এবারের নয়, আগামী মৌসুমের ফসলও বুনতে পারবেনা কৃষকরা। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তারা। সেই সাথে দেখা দিতে পারে জেলার খাদ্য ঘাটতি।”দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখন সরকারি সহায়তার অপেক্ষায়।

মেহেরপুর জেলার সর্ব বৃহৎ ধলার মাঠ। যতদুর দৃষ্টি যায় শুধু ফসল আর ফসল। সেই মাঠে এখন শুধুই পানি। পাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসল এখন পানওে নিচে। দুই মাসের অধিক সময় ধরে অবিরাম বর্ষণ হয়েছে।

এতে জেলার বিভিন্ন স্থানের মতো গাংনী উপজেলার ধলার মাঠটিতে কোথাও হাটু পানি, কোমর পানি, আবার অনেক জায়গায় বুক পানি। এই পানি না গেলে কৃষক ফসলও তুলতে পরবেননা, আগামি মৌসুমেও ফসল বুনতেও না পারার আশংকা করছেন তারা।

মেহেরপুর জেলার সর্ববৃহত ধলার মাঠে গিয়ে স্বরেজমিনে দেখা গেছে-সবজিক্ষেতের অধিকাংশ গাছ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাকা ধান পানির নিচে ডুবে থাকায় আগাম কেটে ফেলতে হচ্ছে কৃষকদের। আর কলাক্ষেতে পানি আরও কিছুদিন থাকলে সেটিও মারা যাবে বলে আশঙ্কা। পানি জমে থাকায় ফসল তোলা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। যেখানে আগে গরু বা মহিষের গাড়িতে ফসল আনা যেত, সেখানে এখন ডিঙি নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে কৃষকদের।

সময়মতো পানি না কমলে এ অঞ্চলে তীব্র খাদ্য সংকটের শঙ্কা করছেন তারা। খাল খনন ও কাজলা নদীতে পানি প্রবাহের জন্য কালভার্ট নির্মানের মাধ্যমে পানি নিস্কাশন করে কৃষিতে সহায়তা করা এখন সময়ের দাবী।

আমন ধান চাষি ধলাগ্রামের ইয়াকুব আলী জানান, এবার তিনি ৪ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। এখন ধান কাটা মাড়াইয়ের সময়। এমন মুহুর্তে পানিতে আমার জমির সব ধান ডুবে গেছে। বেশিদিন পানির নিচে থাকলে ওই ধান আর ঘওে তোলা যাবেনা। মাইলমারি গ্রামের কৃষক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, দ্রত পানি না সরলে এবার যেমন ফসল ঘওে তুলতে পারছিনা,তেমনি আগামী ফসলও লাগাতে পারবোনা । ফলে পরিবারে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে। নওপাড়ার কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ধালার মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খনন করা হয়েছেছিল। কিন্তু কালভার্ট না দেয়ায় মাঠের এক দিকের পানি নিস্কাশন হয়,অন্যদিকে পানি নিস্কাশন হতে পারেনা। এছাড়া খালে পাট জাগ দেয়ার কারনে পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় দির্ঘদিন জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকে পুরো মাঠ। যা অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের আবাদ নস্ট হচ্ছে।

” তবে, কৃষি বিভাগের দাবি “ বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন কৃষি বিভাগ। কৃষকদের অভিযোগ হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল পানির নিচে থাকলেও এমন দুর্যোগে পাশে নেই কৃষি বিভাগ।

জেলার এবছর ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ও ২৬ হাজার জমতে আমনের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি আউশ ও আমানের আবাদ হয়ে থঅকে এই ধলার মাঠে। ফসল তলিয়ে যাওয়ায় জেলায় খাদ্য সংকটের আশঙকা করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন কৃষি বিভাগ। সেই সাথে পানি নিস্কাশনের জন্য খাল খনন কিংবা কালভার্ট নিমানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপন অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র জনসভা

আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এনে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র উদ্যোগে বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় আলমডাঙ্গা উপজেলা মঞ্চে বিশাল জনসভায় বক্তব্যকালে এ কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতনের পর দেশ ত্যাগের ঘটনায় সারাদেশে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর ও নৈরাজ্য বন্ধে কঠোর হুশিয়ারী দেয় নেতাকর্মীদের।

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরীফ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, ধ্বংস প্রতিহিংসা নই, সকলকে ঔক্যবদ্ধ ভাবে শান্তির সমাজ গড়তে হবে। তরুণরা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে জ্ঞান ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণে চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা রুখতে হবে। ধর্ম, বর্ণ পরিচয়ে কেউ যেনো নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন।

তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, তাঁরা এদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। ছাত্র জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী শৈরাচার সরকারকে উৎখাত করেছে। আপনারা সকলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে দলকে সুসংগঠিত করুন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে ধানের শীষে ভোট দিতে অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র অন্যতম সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম পিটু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওফুন নাহার রিনা, জেলা জাসাসের সভাপতি হাবিবুল ইসলাম সেলিম, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলি আজগর সাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল মাস্টার, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন সম্পাদক হাজী মকবুল হোসেন। উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মীর উজ্জল, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন আলম কনক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের।

এছাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আতিক হাসান রিঙ্কু, সদস্য সচিব মাহমুদুল হক তন্ময়, উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা গোলাম, পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হাসান লিমন।

উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হিমেল, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক জাকারিয়া শান্ত, ডাউকি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আবদার আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, বেলগাছী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজেদ হোসেন, সম্পাদক কামাল হোসেন, জামজামি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আলম শাহ, সম্পাদক পলাশ উদ্দীন, কালিদাসপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আইনাল হক, সম্পাদক লালন, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দীক, হারদি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মনির হোসেন, সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি টিপু সুলতান, গাংনী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল রহমান রেজু, খাদেমপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শেরেকুল ইসলাম, জেহালা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শহিদুজ্জো মিল্টুন, সম্পাদক আলাউদ্দিন, খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রশিদ, সম্পাদক রাজাবুল ইসলাম, বাড়াদি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আশাদুজ্জামান বকুল, চিৎলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রাজিব ফেরদৌস পাপন, নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি বোরহান উদ্দীন, সম্পাদক শাহিনুজ্জামান।

আরও উপস্থিত ছিলেন, পৌর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রহিদুল হক, হাফিজুর রহমান চমক, আব্দুল জব্বার, মাসুদ সালেহিন লিপু, আব্দুর রশিদ মালিতা, আব্দুর রাজ্জাক, বরকত উল্লাহ, আলিমুদ্দীন, আনজান আলী প্রমূখ।




দামুড়হুদায় ওর্য়াড বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত 

দামুড়হুদার গোবিন্দহুদায় ওর্য়াড বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওর্য়াড গোবিন্দহুদা গ্রাম বিএনপি’র আয়োজনে গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সহ-সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেমের সঞ্চলায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাবেক প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবলু, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাষ্টার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কবীর, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বকুল হোসেন, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য ও থানা যুবদল নেতা তারিকুল ইসলাম লিটন, উপজেলা কৃষকদল নেতা শামসুল আলম, ৫ নং ওয়ার্ড গোবিন্দহুদা গ্রাম বিএনপি’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ হাসান মন্টু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ডালিম হোসেন, সাইদুর রহমান ডলার, ৫নং ওর্য়াড বিএনপি নেতা উসমান আলী উথান, যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেন, খোকন আলীসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।




দর্শনায় আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন

দর্শনায় আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন। গতকাল শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে দর্শনা বাস স্ট্যান্ড চত্বর থেকে এই আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শুভ জন্মাষ্টমী সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন এবং ধর্ম রক্ষার্থে মহাবতার রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।

সেই উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে পালন করা হয় জন্মাষ্টমী। এরই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আয়োজনে দর্শনা পুরাতন বাজার দূর্গা মন্দিরের সভাপতি উত্তম কুমার রন্জনের নেতৃত্বে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায় আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করেছে।

প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন। অত্যাচারী ও অসুরদের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধুজনের রক্ষার লক্ষ্যে তিনি মথুরার কংসের কারাগারে জন্মগ্রহণ করেন। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে তিনি ব্রতী ছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ তাই ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত। অবতার হয়ে শ্রীকৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন মাতা দেবকীর গর্ভে।

দর্শনা পুরাতন বাজার শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির থেকে জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মন্দিরে এসে শেষ হয়।

র‌্যালিতে দর্শনার বিভিন্ন মন্দির ও এলাকা থেকে ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে প্রসাদ বিতরণ ও ধর্মীয় আলোচনা ছিল। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিজয় হালদার জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিক দেবোতোষ বিশ্বাস দর্শনা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত সানতারা, পুরাতন বাজার মন্দির কমিটির উপদেষ্টা ডাক্তার দুলাল চন্দ্র দে, অবনি মোহন সান্তারা, শৈলেন শান্তারা, কাজল সাহা, পরিমল, আশুতোষ, নকুল, প্রণয় শোভন দাস, অরুণ হালদার,অসিম, সুজন হালদার, স্বপন, নিরঞ্জন, মিঠুনসহ আরো অনেক কৃষ্ণ ভক্তবৃন্দ।




মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব কামরুল হাসানের গণসংযোগ

মেহেরপুর পৌর এলাকার ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে বিএনপি’র ৩১ দফা দাবির প্রচারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

গণসংযোগকালে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, “ইনশাআল্লাহ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনে আমরা তারেক রহমানকে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাবো। গত ১৭ বছর আমরা সংবিধানের সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম। আমরা চাই সংবিধানে মানুষের যেসব নৈতিক অধিকার জীবনযাপনের অধিকার, ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার তা যেন প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইনশাআল্লাহ, যদি তারেক রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে পারি, তবে এ দেশের সাধারণ মানুষ সংবিধানের সব অধিকার ভোগ করবে। সংবিধানের আওতায় যেসব বিচারের কথা বলা আছে, সে সব বিচার এ সরকার করবে। আর আমরা চাই এই ফ্যাসিস্টদের দ্রুত ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলতে।

এসময় তিনি পৌর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হাতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট তুলে দেন এবং মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, জেলা বিএনপি’র সদস্য আলমগীর খান ছাতু, হাফিজুর রহমান হাফি, ওমর ফারুক লিটন, সাবেক পিপি আবু সালেহ নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুর রহমান ফিরোজ, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকা বিল্লাহ, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন তপু, সাবেক সদর থানা যুবদল সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।




মেহেরপুরে ৪০ প্রহরব্যাপী অখণ্ড শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান শুরু

মেহেরপুর শহরের মহিলা কলেজ রোডস্থ শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দির প্রাঙ্গণে দেশ মাতৃকা ও বিশ্বজননীর সকল সন্তানের মঙ্গল কামনায় ৪০ প্রহরব্যাপী অখণ্ড শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান শুরু হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত দশটার দিকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, বাবাজী রাধারমন গোস্বামী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: খায়রুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দির কমিটির সভাপতি বিকাশ সাহা, সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার দাস, সম্পাদক কিশোর পাত্র, সহ-সম্পাদক মদন কর্মকারসহ মন্দির কমিটির উপদেষ্টা দ্বিজেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও গোবিন্দ হালদার।

ধর্মীয় এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো মন্দির প্রাঙ্গণে।




মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সংবর্ধনা

মেহেরপুর সদর উপজেলা পিরোজপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে সদর উপজেলা বিএনপি’র নব-নির্বাচিত সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত ৭টার দিকে পিরোজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আতিয়ার রহমান, দপ্তর সম্পাদক পাতারুল ইসলাম, শ্যামপুর বিএনপি নেতা আবুল হাশেম এবং সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজির আহমেদসহ স্থানীয় নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে নব-নির্বাচিত সভাপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আয়োজনে সদর উপজেলা বিএনপি’র নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে শ্যামপুর ইউনিয়নের দীঘিরপাড়ায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ২নং ওয়ার্ড সভাপতি জাকির হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপি’র নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন ও হামিদ খান গাজু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস হোসেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোশারেফ হোসেন তপু, সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, পৌর যুবদল নেতা রিপন, মিঠনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।