গাংনীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে দুই সন্তানের জননী টলি খাতুন (৩৭) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত টলি খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সবেদ আলীর মেয়ে। প্রায় ২ যুগ আগে তার বিয়ে হয় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সর্দারপাড়ার তাজুল ইসলামের সঙ্গে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, টলি খাতুনকে স্বামী তাজুল ইসলাম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। পরে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। নিহতের ফুফু মুর্শিদা খাতুন বলেন, টলির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। গলায় দড়ির দাগ, পেটে মারধরের দাগ রয়েছে। তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি তাজুলের ফাঁসি চাই।

অন্যদিকে নিহতের স্বামীর চাচা এনামুল হক দাবি করেন, তাজুল তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসত। বছর খানেক আগে সে তার মায়ের নামে থাকা জমি টলির নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। ঘটনার আগের দিন টলি শাশুড়িকে ভাত খেতে দেয়নি, এ নিয়েই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর টলি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল।

গাংনী থানা পুলিশের ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুল করিম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে টলি খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।




মরণব্যাধি ক্যান্সার কেড়ে নিল সহকারী শিক্ষিকা সুমির প্রাণ

দীর্ঘ এক যুগ মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে অবশেষে জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজনীন নাহার সুমি (৪৭)।

সুমি মেহেরপুর সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট রফিক উল আলম এর বড় মেয়ে। নাননীজ নাহার সুমি ১৯৯৯ সালে মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করে অদ্যবধি তিনি সেখানে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী আব্দুস সালাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স ঝিনাইদহ দপ্তরের উপ-পরিচালক ও চুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে তিনি প্রথম ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। রোগ শনাক্তের পর থেকে তিনি ইন্ডিয়াতে চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ক্যান্সারের জীবাণু আবারও মারাত্মক আকার ধারণ করে। তারপর থেকে তিনি এই দীর্ঘ সময় ঢাকা বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। সর্বশেষ গত আগষ্ট মাসের ২৯ তারিখে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ীতে আনা হয়। পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার (১৬/০৯/২৫) সন্ধ্যায় তাকে মেহেরপুরের তাহের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করে। মৃত্যুকালে তিনি দুই মেয়ে, স্বামী, বাবা-মা, ভাই সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আজ বুধবার সকাল ৮ টায় মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে জানাযা শেষে চুয়াডাঙ্গার জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে শ্বশুরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।




বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শ্রী সুধাংশু কুমার ব্যানার্জীকে আহ্বায়ক এবং শ্রী দিলিপ কুমার চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ২৬ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক স্বপন কুমার চক্রবর্তী এবং সদস্য সচিব চির কুমার সাহা আগামী ৯০ দিনের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেন। আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিজেষ কুমার রামেকা, সদস্য শ্রী অশোক কুমার দত্ত, কৃষ্ণ বিশ্বাস, শিপরা বিশ্বাস, তন্ময় পাল, অমিত ব্যানার্জী, কন্দনা দত্ত, বুদ্ধ দেব সিংহ রায়, শংকর বিশ্বাস, দয়াল পাত্র, শুশিল পাত্র, অলোক দত্ত, শুম্ভু ধর, অয়ন ধর, তন্ময় ধর, শংকর ধর, রাজন দাস, কৃষ্ণ কুমার দাস, প্রবীর কুমার সাহা, সৌমেন কর্মকার, তপন কুমার সাহা, পরিতোষ সাহা, ছিদাম পাল, শ্রী বিধান চন্দ্র বেত আগামী ৯০ দিনের জন্য এ কমিটির অনুমোদন করেন এবং ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূনাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশ প্রদান করেন।




আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র মতবিনিময় সভায় শরিফুজ্জামান শরিফ

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরীফ। তিনি বলেন, বিএনপি সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র উদ্যোগে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আকতার হোসেন জোয়ার্দ্দার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জননেতা শরিফুজ্জামান শরীফ।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মামলা-হামলা করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিএনপি জনগণের দল বলে আজ আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে বিএনপি আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে। সেই ধারাবাহিকতা রেখে বিএনপি’র প্রতিটা কর্মীকে ধানের শীষের বার্তা এলাকার প্রতিটা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন। উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপি ও ১৫ টি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




দামুড়হুদায় দীর্ঘদিনের জমিজমা বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি 

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগী কলোনিপাড়ায় দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ অবশেষে শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের সক্রিয় উদ্যোগে উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছে সুষ্ঠু সমাধান মেনে নেন। এতে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব মিটে গিয়ে এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে।

জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ডুগডুগি কলোনী পাড়ার বাসিন্দা মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতীবেশী মোহাম্মদ নূর হোসেন নুরুসহ আরও দুজনের নামে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে তিনি বিবাদীদের মধ্যে জমি আছে দাবি করে জমির সঠিক মাপজোখ করে সীমানা নির্ধারণের দাবি জানান।

অভিযোগের পর হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন এবং উভয় পক্ষকে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে তাদের উপস্থিতিতে দুজনের বক্তব্য শোনেন এবং নিরপেক্ষভাবে হাওলী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জমি মাফ যোগ হবে বলে জানানো হয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ দুইজন জমি মাপককে পাঠানো হয়। জমি মাপার সময় শহিদুল ইসলামের ঘরের ছাদ নুরুর সীমানার ভেতরে চলে আসায় সমস্যার জটিলতা তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত পরিষদের তত্ত্বাবধানে উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছান।

মাপজোখ শেষে শহিদুল ইসলামর বেধে যাওয়া ঘরের ছাদের অংশ স্বেচ্ছায় ১২ পয়েন্ট জমি ছেড়ে দেন নুরু, বিনিময়ে শহিদুলও একইভাবে ১২ পয়েন্ট জমি ছাড়েন। ফলে উভয় পক্ষের জমির সীমানা নতুন করে নির্ধারণ করা হয় এবং বিরোধের অবসান ঘটে। এ সময় হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ও ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা উপস্থিত থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনে কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। স্থানীয়রা এ সমাধানকে স্বাগত জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাদী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি শুরু থেকেই জমির সঠিক মাপজোখ চেয়েছিলাম। পরিষদের উদ্যোগে আজ বিষয়টি সুন্দরভাবে মীমাংসা হলো। আমি ফলাফলে সন্তুষ্ট এবং নুরু ভাই এর সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই।”মোহাম্মদ নূর হোসেন নুরু বলেন, অনেকদিন ধরে ঝামেলায় ছিলাম। এই জমিতে এর আগেও মাপ যোক হয়েছে। তার ঘরের ছাদ আমার সীমানায় এসেছে কিন্তু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমি ঘরের সাদ না ভেঙে আমার অতি কষ্টের মহামূল্যবান জমি ১২ পয়েন্ট তাকে ছেড়ে দিয়েছি। অন্যদিকে শহিদুল ভাইও আমাকে ১২ পয়েন্ট ছেড়ে দিয়েছে। আমরা সমন্বয় করে নিয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আজকের সমাধান আমাদের জন্য শান্তির। আমি এই সমাধানে খুশি এবং ভবিষ্যতে আর কোনো দ্বন্দ্ব চাই না।”

হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জমি মাপক আমিন জিল্লু বলেন, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা দুইজন জমি মাপক আমিন উপস্থিত থেকে আমরা নিরপেক্ষভাবে জমি মেপে উভয় পক্ষকে ফলাফল দেখাই। সবাই ফলাফল মেনে নিয়েছেন, এটা আমাদের জন্যও স্বস্তির। দীর্ঘদিনের বিরোধ শান্তি পূর্ণ ভাবে সমাধান হয়েছে। ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান পটু বলেন, আজকের এই সমঝোতা এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রাখবে। উভয় পক্ষ যে দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিনের বিরোধ আজ সমঝোতার মাধ্যমে শেষ হওয়ায় এলাকার মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগকে সবাই ইতিবাচকভাবে দেখছে। হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা সবসময়ই চাই বিরোধ যেন মিটে যায় আলোচনার মাধ্যমে। আজকে উভয় পক্ষকে নিয়ে যে সমাধান হয়েছে তা ভবিষ্যতে অন্যদের জন্যও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।




মেহেরপুরে ডিলাক্স কাউন্টারের সামনে তল্লাশির নামে হয়রানি

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স কাউন্টারের সামনে অযথা হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ পরিচয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকা দৈনিক জবাবদিহির সম্পাদক তার বাড়ীর কেয়ারটেকার মো: রাজিব। ভুক্তভোগী তার মেহেরপুরের বাড়ী থেকে কর্মস্থল ঢাকায় ফেরার পথে গত সোমবার রাতে ৯:৪০ এর সময়ে এ ঘটনা ঘটে।

সম্পাদকের ব্যাগ গাড়িতে তোলার সময় পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তি রাজিবের কলার চেপে ধরে ব্যাগ চেক করার নাম করে গাড়ী থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করেন।

এসময় রাজিব বলেন আমার কলার ছাড়েন ব্যাগ চেক করেন। এসময় ধ্বস্তাধ্বস্তির একপর্যায়ে অনেক লোক জড়ো হয় এসময় সম্পাদক টিকেট নিয়ে গাড়ীর কাছে এসে ধ্বস্তাধ্বস্তি করতে দেখলে বলেন, আপনি আমার ব্যাগ চেক করলে এখানে করেন আড়ালে কেন নিবেন।

একথা বললে ঔ ব্যক্তি বলেন আপনি কে? অতঃপর সম্পাদক তার পরিচয় দেন এবং ঐ ব্যক্তির পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি প্রথমে বাসার কথা বললেও পরে বলেন আপনি এসপি সাহেবের সাথে কথা বলেন। তার আচরণে উপস্থিত যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আসলে তিনি আদৌ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোক বা পুলিশের সদস্য কিনা তা আর জানা যায়নি। এসময় ইউনিফর্মধারী এক পুলিশও তার পরিচয় জানতে চান।

তাকেও তখন ওই ব্যক্তি জানান তার পরিচয়পত্র বাসায় রেখে আসছেন। তখন গাড়ীতে ওঠার সময় ছবি তোলার সময় শুনতে পায় ঐ ব্যক্তি রাজিবকে শাসিয়ে বলেন, “তুই কি করে মেহেরপুরে থাকিস দেখে নেব। এক মাঘে শীত যায়না।”

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তল্লাশি করা ঐ ব্যক্তি মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারী।
তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,

রাজিব চিহ্নিত মাদক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। ব্যাগ নিয়ে তার সন্দেহ জনক আচরণের কারণে তার ব্যাগ সার্চ করতে যায়। পরে জানতে পারি ওটা সম্পাদক সাহেবের ব্যাগ। জানার পরে আমি ছেড়ে দিই।

এছাড়া তিনি যে অভিযোগ করেছেন সেটা জাস্ট ভুল বুঝাবুঝি।




মেহেরপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানের গণসংযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডে বিএনপির ৩১ দফা দাবি প্রচারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বারাকপুর ও রাধাকান্তপুর গ্রামে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

এ সময় তিনি এলাকাবাসীর হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট তুলে দেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল লতিফ,সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হক মিন্টু,জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি নাসির উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন,৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ও ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, বিএনপি নেতা নাহিদ, আয়নাল হক,মাসুদ রানা সহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




হরিণাকুণ্ডুতে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও ট্রাই সাইকেল বিতরণ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ১৩ জন প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও ট্রাই সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মোট ১৩ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে ১২ টি হুইল চেয়ার ও ১টি ট্রাই সাইকেল বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হরিণাকু-ু উপজেলার নির্বাহী অফিসার বি.এম.তারিক-উজ-জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হরিণাকু-ু উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শিউলি রাণী ও ঝিনাইদহ জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা ও উপজেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা ও উপকারভোগী ও তাদের অভিভাবকরা। হুইল চেয়ার পেয়ে প্রতিবন্ধীরা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেণ।




মেহেরপুরের মোমিনপুরে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর সদরের মোমিনপুরে যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মোমিনপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবসে গ্রীষ্মকালীন সিম উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ, অতিরিক্ত জৈব সার ব্যবহার থেকে বিরত থেকে অজৈব সার ব্যবহারের গুরুত্ব, বিঘা প্রতি উৎপাদন ব্যয় ও লভ্যাংশ ইত্যাদি বিষয়ে উপস্থিত কৃষকদের মাঝে আলোচনা করা হয়।

ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান মুকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সঞ্জীব মৃধা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস. এম. কুতুব উদ্দিন। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সাংবাদিক এস. আই. বাবু।




মেহেরপুরে মঞ্চ মাতাতে আসছেন নগর বাউল জেমস

মীরা বাঈ, পাগলা হাওয়ার তোড়ে’র মতো সাড়া জাগানো গান গেয়ে মেহেরপুরের শ্রোতা-দর্শকদের মাতাবেন ব্যান্ডশিল্পী জেমস।

আগামী ১০ অক্টোবর মেহেরপুর শহরের স্টেডিয়াম মাঠে সূর্য ক্লাব আয়োজন করছে এক বিশেষ কনসার্টের।

নগর বাউল খ্যাত এ গায়ক সেখানে একের পর এক গাইবেন তাঁর জনপ্রিয় গান কবিতা, তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না, দিওয়ানা দিওয়ানা তোমার প্রেমের দিওয়ানা, গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়া, দশ মাস দশ দিন ধরে গর্ভে ধারণ, আসবার কালে আসলাম একা, দুষ্ট ছেলের দল, বিজলী চলে যেওনা, মীরা বাঈ, পাগলা হাওয়ার তোড়ে, না জানি কোহি’সহ আরো অনেক হিট গান।

অনুষ্ঠানে শুধু জেমসই নন, মেহেরপুরের স্থানীয় শিল্পীরাও পারফর্ম করবেন। বিকেল থেকে শুরু হয়ে অনুষ্ঠানটি চলবে গভীর রাত পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানকে ঘিরে মেহেরপুরের তরুণদের মধ্যে ইতোমধ্যেই ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তপু বলেন, জেমসের গান লাইভে শুনতে পারব ভাবতেই শিহরণ জাগছে।

তানজিম বলেন, মঞ্চে জেমস মানেই অন্যরকম উন্মাদনা, এটা আমরা মিস করতে চাই না।

তরুণ রিয়াদ বলেন, অনুষ্ঠানের দিনটির অপেক্ষায় আছি। শহরে উৎসবের আমেজ বইছে।

সূর্য ক্লাব মেহেরপুর এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসিম রানা বাঁধন বলেন, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছি। ইতোমধ্যে টিকিটও চলে এসেছে। নিরাপত্তার বিষয়টি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দেখভাল করার আশ্বাস দিয়েছেন এসপি মহোদয়।