কোটচাঁদপুরের বলুহর বাওড় পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল

কোটচাঁদপুরের বলুহর বাওড় পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল স্থানীয় শাখার নেতৃবৃন্দ। আজ শনিবার সকালে দলটি বলুহর হ্যাচারি কমপ্লেক্স ঘাট থেকে চলা শুরু করে শেষ করেন বর্জাপুর পারঘাটায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সমাজ সেবক কামরুজ্জামান খান রতন, সাধারণ সম্পাদক সাবেক স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান শান্তি, দপ্তর সম্পাদক রিপন।

নির্বাহী সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর পৌর মহিলা কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খোন্দকার শরিফুজ্জামান তুহিন, প্রগতি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, শিক্ষক শরিফুজ্জামান আগা খান, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর নজরুল ইসলাম, প্রভাষক গোলাম মোর্শেদ, শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র, ওয়াহিদুজ্জামান মুকুল আমিনুর রহমান, কামরুনাহার কাজল, নুরুন্নাহার খাতুন, রিয়াজ হোসেন, কবি সুমন শিকদার, সাংবাদিক মঈন উদ্দিন খান, সাবেক সরকারি কর্মচারি আলমগীর হোসেন,  ব্যবসায়ি জয়নাল আবেদীন, বাবু ও ছাত্রী অনিমিখা প্রজ্ঞা।

দলটি আজ শনিবার সকালে কোটচাঁদপুর বলুহর হ্যাচারি কমপ্লেক্স ঘাট থেকে চলা শুরু করেন আর শেষ করেন বর্জাপুর পারঘাটায় গিয়ে। এর আগে দলটি স্থানীয় মাছ বাজারের শেখ ও হালদার সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং কপোতাক্ষ নদী পরিদর্শন করেন।




ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিয়ম বহির্ভুত কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অনুমোদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা দল। আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ঝিনাইদহ শহীদ জিয়াউর রহমান ল কলেজের অধ্যক্ষ বীরমুক্তিযোদ্ধা এস এম মশিয়ুর রহমান। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল আলীম, গোলাম মোস্তফা লোটন, মোঃ রেজাউল ইসলাম, মোঃ ইসরাইল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান ও লিয়াকত আলীসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধারা উপিস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, দেশের সরকার পরিবর্তন হলেও “দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবন বাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।”

অভিযোগ করা হয়, গত ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভায় স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয়, জেলা কমান্ড গঠন করতে হবে উচ্চতর ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে। যেখানে একাধিক কমিটি থাকবে, সেখানে সমঝোতা অথবা কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের কথা বর হয়। এছাড়া বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কিংবা অবৈধ সুবিধাভোগীদের বাদ দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঝিনাইদহ জেলা কমান্ড গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

অভিযোগে দাবী করা হয়, অনুমোদিত কমিটির ১ নং আহ্বায়ক, ২ নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এই তিনজনের কেউই উচ্চতর ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নন। বরং তাঁরা বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং অবৈধ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন।

এছাড়া জেলার পক্ষ থেকে চারটি কমিটি জমা দেওয়া হলেও প্রাণিত তিন কমিটির কাউকে না জানিয়ে গোপনে একটি প্যানেল থেকে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ঘোষিত কমিটির আহ্বায়কের ছেলে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়ান্বিত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব ছিলেন। উপরন্তু ঘোষিত কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে ছয়জনই পদত্যাগ করেছেন, ফলে গঠিত এই কমিটির কোনো বৈমতাই নেই।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “বর্তমান জেলা কমার অবৈধ। অনিত্বে এ কমিটি বাতিল করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। নইলে যে কোনো পরিস্থিতির দায় কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকেই বহন করতে হবে।




গাংনীতে সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ বলেছেন, অনিতিবিলম্বে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সকল ধরণের অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলতে হবে। ২০২৩ সালের মার্চে সরকার মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের দু পাশে অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু কোনো বিশেষ ব্যক্তির কলকাঠি নাড়ানোর কারনে কয়েকটি দোকান ভাঙ্গার পর উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। গাংনী থেকে কুষ্টিয়াগামী রাস্তার বাম পাশের একটি বড় সংখ্যক অবৈধ স্থাপনা এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোন কারনে সেগুলো এখনো অপসারণ করা হয়নি প্রশাসনের কাছে সে প্রশ্ন করেন তিনি।

প্রশাসনকে তিনদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা শহরে রাস্তা নির্মাণ সম্পূর্ণ করার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি।

আজ শনিবার বিকালে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা শহরের বড়বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম বোরহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক ও সহকারী এ্যাট্রনি জেনারেল আ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, গাংনী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা রুহুল আমিন, এনসিপির জেলা সংগঠক মোজাহিদুল ইসলাম, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা সরোয়ার হোসেন, জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাকিল আহমাদ আরও বলেন, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা শহরের অবৈধ স্থাপনা না ভাঙ্গার জন্য কারা কারা কত টাকা লেনদেন করেছেন সে বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। অবৈধ স্থাপনা কেনো ভাঙ্গা হয়নি জনগণের কাছে তার জবাবদিহিতা করতে হবে। জবাবদিহিতা না করলে কার কাছে কত টাকা খেয়েছেন কারা কারা খেয়েছেন সেটাও প্রকাশ করা হবে। সেদিন পালাতে হবে।

রাস্তার দুপাশে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ না করা প্রসঙ্গে সাকিল আহামদ বলেন, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে বিভিন্ন সরকারি আমলা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা অবৈধ স্থাপন উচ্ছেদ অভিযানন বন্ধের সাথে জড়িত।

সাকিল আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের যতগুলো বড় রাস্তা বাস্তবায়ন হচ্ছে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ তার মধ্যে একটি। রাস্তাটির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেলেও গাংনী উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় এক শ মিটার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। যার কারণে, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ রাস্তাটিতে চলতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, রাস্তা নির্মাণের কাজ আটকে থাকলে এই ঠিকাদার কাজটি করতে পারবেনা। পরে ২/৪ বছর এই রাস্তার কাজ করা সম্ভব হবেনা। ফলে এলাকার মানুষের দূর্ভোগ আরও বাড়বে।

তিনি সড়ক বিভাগকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আগামীকাল থেকে এই রাস্তার কাজ শুরু হয়ে শেষ হতে হবে। এই রাস্তা নির্মাণের মুল সমস্যা তৈরী হয়েছে ইন্টারসেকশন নিয়ে। এই ইন্টারসেকশনের সমাধানও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হতে হবে।

তিনি জেলা প্রশাসক ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুরোধ করেন ঠিকাদারকে তাগাদা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য। রাস্তা নির্মাণ কাজ কেউ বাঁধা দিলে জনগনকে সাথে নিয়ে লাঠি নিয়ে দাাঁড়িয়ে থাকা হবে।

তিনি বলেন, কেউ অর্থনৈতিক বা অন্যকোনো সুবিধা নেওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণ বাঁধাগ্রস্থ করতে চাই তাদের আমরা হুশিয়ারী করতে চাই, আপনারা জনগণের বিপক্ষে দাঁড়াবেননা।

তিনি বলেন, যে জণগন ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভয় পাইনি, সেই জণগন আপনার চোখ রাঙানি কিম্বা হুমকি ভয় পাইনা।

গাংনী পৌর সভার ড্রেন নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে সাকিল আহমাদ বলেন, পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণে আকাঁ বাঁকা সাপের মত করা হচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন “ বাড়ির সামনে ভাঙবোনা দাও টাকা, বাড়ির সামনে ড্রেন নির্মাণ না করে ড্রেন অন্যদিকে চাপিয়ে দেবো দাও টাকা। যারা এসব কাজের সাথে জড়িত তাদের ফিরে আসার অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, আপনারা জণগনের ও এলাকার উন্নয়নের বিপক্ষে দাঁড়াবেননা। আপনারা গাংনীর জণগন ও উন্নয়নের বিপক্ষে দাঁড়ালে প্রতিহত করবে।

তিনি তিনটি দাবী জানিয়ে বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রকাশ করুন রাস্তার পাশে আপনাদের যে জমিতে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে কেনো ভাঙ্গা হয়নি? যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে অনতিবিলম্বে তা অপসারণ করতে হবে। আগামীকাল থেকে মুল রাস্তার কাজ শুরু হতে হবে। মুল রাস্তার কাজ শুরু হলে ইন্টারসেকশনের কাজ শেষ করতে হবে। এখানকার ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে আনতে হবে। কোনো প্রকার অনৈতিক সুবিধা না দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সব ধরণের অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। সেখানে কেউ বাঁধা দিলে জণগনের সাথে তাঁদের লড়াই বাঁধবে। কেউ ভয় পাবেননা। ভয় পাওয়ার দিন শেষ। এখন পরিবর্তনশীল বাংলাদেশে পরিবর্তণ চাই। কোনো লেজুড়বৃত্তি ও চাঁদাবাজদের ভয় পাবেননা।

উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে ৬ শ কোটি টাকা ব্যায়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও গাংনী উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় এক শ মিটার রাস্তা নির্মাণ বন্ধ রয়েছে। ফলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।




মেহেরপুরের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে এনসিপির ১৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা

মেহেরপুরের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে ‘কেমন মেহেরপুর চাই’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা করেছে ন্যাশনাল নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকালে মেহেরপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভায় জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ১৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মেহেরপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ।

সেগুলো হলো- মানসম্মত শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ক্লাসরুম ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন, কারিগরি ও ক্যারিয়ারমুখী শিক্ষায় জোর দেওয়া এবং মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং ইন্সটিটিউট চালুর উদ্যোগ। আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও ওষুধ নিশ্চিতকরণ এবং মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ উদ্যোগ। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য ও কৃষকের অধিকার রক্ষায় কৃষকদের ফসলের সঠিক দাম নিশ্চিত, সহজলভ্য কৃষিঋণ, কৃষি বীমা চালু এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান। যুব সমাজের কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা তৈরিতে স্থানীয় শিল্প ও ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তা (SME) প্রতিষ্ঠা, স্টার্টআপ ফান্ড চালু ও তরুণদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা। নারীর উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য নারীদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা। রেল যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে মেহেরপুরে রেল যোগাযোগ চালু, আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কের উন্নয়ন, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ ও গ্রামীণ রাস্তার আধুনিকীকরণ। শিল্প ও ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনে আম, পাট ও কৃষিপণ্যভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা। মাদক নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক নিরাপত্তায় মাদক নির্মূলে কঠোর আইন প্রয়োগ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং তরুণ সমাজকে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। পর্যটন ও সংস্কৃতি বিকাশে মেহেরপুরের পর্যটনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, স্থানীয় লোকসংগীত ও ঐতিহ্য বিশ্বে তুলে ধরা। দুর্নীতি দমন ও সুশাসনে প্রশাসনে স্বচ্ছতা, জনগণের অধিকার সংরক্ষণ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ। পরিবেশ সংরক্ষণ ও সবুজায়নের লক্ষ্যে নদী-খাল খনন ও পুনরুদ্ধার, গাছ লাগানো-সবুজায়ন কর্মসূচি এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার। ক্রীড়া ও যুব উন্নয়নে প্রত্যেক ইউনিয়নে খেলার মাঠ সংরক্ষণ, ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং তরুণদের মাদকমুক্ত রাখতে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা।

মেহেরপুর পার্লামেন্ট গঠনের লক্ষ্যে জেলার স্বার্থরক্ষা ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনগণের মতামত নিশ্চিত করতে সব দল-মতের প্রতিনিধিদের নিয়ে “মেহেরপুর পার্লামেন্ট” গঠন করা হবে। এতে জেলার বাজেট, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সমস্যা-সমাধান নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হবে।

এসময় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মো: মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আসিক রাব্বি, সদস্য মোঃ তামিম ইসলাম, হাসনাত জামান সৈকত, মাহাবুব-ই-তৌহিদ রবিন, আমির হামজা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচী ঘোষণা শেষে শাকিল আহমাদ বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া এবং একটি শিক্ষিত, স্বাস্থ্যবান, কর্মমুখী ও মাদকমুক্ত মেহেরপুর গড়ে তোলাই এনসিপির লক্ষ্য।

মতবিনিময় সভায় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মো: মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আসিক রাব্বি, সদস্য মোঃ তামিম ইসলাম, হাসনাত জামান সৈকত, মাহাবুব-ই-তৌহিদ রবিন, আমির হামজাসহ জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় সেনা-পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ যুবক আটক

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার ও এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোররাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে কেশবপুর পূর্বপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাত ২টা ১৫ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চলেছে। সেনাবাহিনীর বিএ-১০৯৪৯ ক্যাপ্টেন সৌমিক আহমেদ অয়নের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে নিহত জসিমের ছেলে সোয়াদের বাড়ি ঘেরাও করা হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে উদ্ধার করা হয় একটি শটগান, পাঁচ রাউন্ড গুলি, নয়টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র এবং একটি ঢাল।

গ্রেপ্তার সোয়াদ কেশবপুর পূর্বপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অবৈধ অস্ত্র মজুদের কথা স্বীকার করেছে বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে। পরে তাকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।




বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

আড়ম্বর পরিবেশে গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির নবনির্বাচিত নির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১ টার সময় বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এই পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি রাশিদুল ইসলাম সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক, মুনজুর হোসেন টকি।

বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মহিবুল ইসলাম পলাশ, গাংনী উপজেলা বিএনপির উপজেলা বিএনপির সহ কোষাধ্যক্ষ আজগর আলী, রেজানুর রহমান রাজন, বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি রেজাউল হক, বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আনিসুল হক, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, উপজেলা বিএনপির নেতা আব্দুল হান্নান, আব্দুল্লাহ শাওন,মেহেদী হাসান সম্রাট প্রমুখ।

এসময় নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করেন রাশিদুল ইসলাম সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আলী।




গাংনীর ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্ক অশালীন কর্মকাণ্ড ও মাদক সেবনের আখড়া!

ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় অবস্থিত ঐতিহাসিক নীলকুঠি। ১৮৫৯ সালে নির্মিত হয় ব্রিটিশদের হাত ধরে। কাজলা নদীর তীরে অবস্থিত ব্রিটিশদের নির্যাতনের সাক্ষী এই ভাটপাড়া নীলকুঠি।

প্রায় ২৭ একর জমির ওপর ২০১৭ সালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডিসি ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরুতে এই পার্কটি বিনোদনের জন্য নির্মিত হলেও ধীরে ধীরে এখন এই পার্ক অপরাধকারীদের কাছে অপকর্মের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। পার্কে নেই বিনোদনমূলক কোনো কিছুই। তবে এখন চলছে অসামাজিক এবং অশ্লীল কার্যকলাপ। পার্কের দায়িত্বে থাকা কয়েকজনের হাত ধরেই এই অশ্লীলতা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ শুরু হয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।

সরেজমিনে জানা যায়, পার্কের মধ্যে দিনের বেলায় চলছে দেহব্যবসা এবং রাতের বেলায় চলছে মাদকসেবন। পার্কের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কে এখন কোনো পর্যটকের পদচারণা নেই। দিন দিন অপরাধকারীদের আস্তানায় পরিণত হচ্ছে পার্কটি।

পার্কে প্রবেশের পর দেখা যায়, ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্ককে জঙ্গলে ঘিরে রাখা হয়েছে। পার্কের মধ্যে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে অশ্লীল ও অসামাজিক কাজের সুযোগ। স্থানভেদে সেখান থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। পার্কের মধ্যে দেহব্যবসা হচ্ছে ফুলবাগানের মধ্যে থাকা ভূতের ঘরে, ‘আইসল্যান্ড’ নামক আরেকটি ঘর এবং মেইন সড়কের সাথে বাউন্ডারির পাশে ঘেঁষে থাকা জঙ্গলের মধ্যে ৮ থেকে ১০টি বেঞ্চ পাতানো হয়েছে সেখানে। যেখানে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ এবং স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কেউ অসামাজিক অশ্লীল কার্যক্রমের সুযোগ করে দিচ্ছে পার্কের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। বিনিময়ে নিচ্ছে টাকা। ইকোপার্কে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় মাদকের রমরমা কারবার। ফুলবাগানের মধ্যে রাতভর চলে মাদকসেবনের আখড়া।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, পার্কের আইসল্যান্ডের দায়িত্বে থাকা জামাল হোসেন এবং ফুলবাগানের দায়িত্বে থাকা সুমন হোসেন টাকার বিনিময়ে এ-সমস্ত অপকর্মের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে পার্কের মধ্যে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইসল্যান্ডের দায়িত্বে থাকা জামাল হোসেন বলেন, গাংনী ইকোপার্কের সাথে ডিসি ও ইউএনওর মানসম্মান জড়িত, তাই এ ব্যাপারে সবাই মাথা ঘামায় না। পার্কের মধ্যে অনেক কিছুই হচ্ছে কিন্তু কোনো কিছু লেখার কিংবা করার আগে আমাদের সাথে দেখা করেন।

ফুলবাগানের দায়িত্বে থাকা সুমন হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

ইকোপার্কের গেটের দায়িত্বে থাকা আসমাউল হুসনা বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই পার্কের পরিবেশ ঠিক হোক। এ সমস্ত অশ্লীল অসামাজিক কাজ ফুলবাগানের দায়িত্বে থাকা সুমনের হাত ধরেই পার্কে শুরু হয়। সুমনের দেখাদেখি জামাল বিষয়টি শিখেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই পার্কে কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। আমরা চাই পার্কে সংস্কার কাজ হোক এবং বিনোদনের পরিবেশ ফিরে আসুক, তখন এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।

সচেতন মহলের দাবি, গাংনীর ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কে বিনোদনের পরিবেশ ফিরে আসুক এবং যারা এই সমস্ত অশ্লীল অসামাজিক কার্যকলাপ করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।

সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমাতারা বলেন, পার্কটি ডিসি ও ইউএনও স্যারকে বিষয়টি অবগত করবো।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




সবজি-মাছের দাম স্থিতিশীল, ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচ

মেহেরপুরে কাঁচাবাজারে কয়েকদিন স্বস্তির পর আবারও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। গত এক-দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু সবজি ও নিত্যপণ্যের দামে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কম বেশি দেখা গেছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর বড়বাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে প্রত্যেকটা সবজি, মাছ, মাংস ও মুরগি বাজারে দাম ওঠানামা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

কারন হিসেবে জানা যায়, শারদীয় দুর্গাৎসবের জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে কোন ধরনের কাঁচামাল দেশে আসেনি। আমদানি কম হওয়ায় বেড়েছে সবজির দাম।

তবে গত বৃহস্পতিবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজো। গতকাল শুক্রবার থেকে আবার নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে মেহেরপুরে কাচামালের দাম৷

মেহেরপুর পাইকারি ও খুচরা বাজারে ঠিক মতো সরবরাহ না থাকায় বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে গতকাল শুক্রবার থেকে আবার কিছু সবজির দাম ওঠানামা দেখা গিয়েছে।

পাইকারি বাজারে আলু ১৭ থেকে নেমে ১৫ টাকা, পেয়াজ ৬৫ থেকে নেমে ৬০ টাকায়, রসুন ১০৫ থেকে নেমে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবো কাঁচামরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী গত সপ্তাহে যেখানে ছিলো ২১০ টাকা এ সাপ্তাহে ২৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

ঢেঁড়স, বেগুন, পটল অপরিবর্তিত থেকে ৪০, ৭০, ৫০ টাকা। শশা, মূলা ৪৫, ৪২ থেকে নেমে ২৫,২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শাক ২০ থেকে বেড়ে কেজিপ্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।পেঁপে ২০ টাকা থেকে নেমে ১৫, ঝিঞা ৪০ টাকা থেকে নেমে ৩৫, ধুন্দল ২৫ থেকে নেমে ১৫ টাকা।

গজর ও টমেটো তে বেড়েছে দাম। গাজরে ২০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছ ১৪০ টাকা, টমেটো তে ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা।

খুচরা বাজারে আলু, পেয়াজ ২০, ৭০ টাকায় অপরিবর্তিত , রসুন ১২০ থেকে নেমে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবো কাঁচামরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী গত সপ্তাহে যখানে ছিলো ২৪০ টাকা এ সাপ্তাহে ৩০০ টাকা।

ঢেঁড়স অপরিবর্তিত থেকে ৫০ টাকা। বেগুনে ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা, শশা ও মূলায় ১০ টাকা করে কমে ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

শাকে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।পেঁপে ২৫ টাকা থেকে নেমে ২০ টাকা, ঝিঞা ধন্দলের দাম ৫০,৩০ টাকা স্থিতিশীল।

গজর ও টমেটো তে বেড়েছে দাম। গাজরে ২০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছ ১৬০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকায় অপরিবর্তিত।

মুরগি খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগী ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০, সোনালী মুরগীতে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ২৮০ এবং লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত থেকে ৩১০ টাকা।

মুরগী বিক্রেতা জহির আলী বলেন, গত সপ্তাহের থেকে এসপ্তাহে মুরগীর দাম সামান্য পরিমান বেশি। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী মুরগী না আসায় বেশি দামে মরগী কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মাছের বাজারে রুই ২৫০, তেলাপিয়া ১৮০,পাঙাস ১৬০, সিলভার ১৫০, চিংড়ি ১২০০, জিওল ৩০০,পাকাল ৭০০ এবং ইলিশ ৫০০-২৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।

সবজি বিক্রেতা মো: হাফিজুর রহমান জানান, কিছু দিন বাজারে সব কিছুর দাম কম ছিল। আগের সপ্তাহের দিকে দাম একটু বেশি ছিলো এ সপ্তাহে আবার কমতে শুরু করেছ।

সবজি বিক্রেতা ফিরোজ জানান, এ সাপ্তাহে কয়েকটি সবজিতে দাম কমেছে আবার কয়েকটিতে বেরেছে। কাঁচা মরিচে আগের সাপ্তাহে বিক্রি করলাম ২৪০ এ সপ্তাহে বিক্রি করছি ৩০০। শশা শাকে দাম বেড়েছে শুনে ক্রেতারা কিনছেন না।

ক্রেতাদের বক্তব্য, একবার এই সমস্যা আরেকবার ওই সমস্যা দেখিয়ে প্রতি সপ্তাহে সবজি মাছ মাংসের দাম ওঠানামা করছে।

সবজি ক্রেতা সোহেল জানান, কয়দিন আগে কাঁচা মরিচ কিনলাম ২৪০ টাকা এখন কিনতে হচ্ছে ৩০০ টাকায়। সবজির মধ্যে অনেক সবজির দাম কমেছে বেগুন ১০০ টাকা থেকে নেমে ৮০ টাকায় এসেছে।

সবজি ক্রেতা নাহিদুল জানান, সব ধরনের সবজিতেই দাম কমেছে কাঁচা মরিচ আর শাকে বেড়েছে শাক ২০ থেকে ৪০ টাকা হয়েছে আর কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা। রান্না করতে কাঁচা মরিচ তো লাগবেই বেশি দাম হলেও ও কিনতে হচ্ছে। বাকি যেসকল সবজি আছে সেগুলো তুলনা মূলক দাম কম।

মেহেরপুর তহ বাজার সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান হাফি বলেন, আমি নিজেও বাজার পরিদর্শন করে দেখেছি সব ধরনের সবজিতে দাম কমেছে। যেগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় সেগুলোর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। দুই একটা সবজি এবং পেয়াজ রসুনে বেড়েছে। বস্তা প্রতি ২০০-৩০০ টাকা বেশিতে কিনতে হচ্ছে ব্যাবসায়ীদের। তারা বাধ্য হয়ে বেশিতে বিক্রি করছে।

তিনি আরও বলেন, কাঁচা মরিচ এর ব্যাপার টা পুরোটাই আলাদা। আমাদের মেহেরপুর যে পরিমান কাঁচা মরিচ হয় ওতে আমাদের চাহিদা পূরন হয় না। ইন্ডিয়া থেকে আমদানি না হওয়া পর্যন্ত কাঁচা মরিচের দাম স্বাভাবিক হবে না বলে তিনি ধারণা করেন।




দর্শনায় ট্রেনে ধাক্কা লেগে ভ্যানচালকের মৃত্যু

দর্শনায় বেনাপোল এক্সপ্রেস টেনে ধাক্কা লেগে ভ্যান চালক সবদদুলের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ৩ অক্টোবর ভোর ৫ টার দিকে দর্শনা হল্ট স্টেশনের পাশে নিজ বাড়ি সংলগ্ন স্থানে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সবদুল (৪৬) কুষ্টিয়া জেলার সাঁওতা গ্রামের মৃত, আজিজের ছেলে। সে দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের হার্ট ডিসিশন বাজার পাড়ার আবু সামার জামাতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ভ্যানচালক সব্দুল বিবাহ সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রাম হল্ট স্টেশন পাড়ায় জমি কিনে নিজ বসত বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। স্টেশন সংলগ্ন বাড়ি হওয়ায় ভ্যান চালানো সহ ট্রেনের কাঁচামাল একস্থান থেকে অন্য স্থানে বহন কাজে নিয়োজিত ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাত আড়াইটার দিকে গোয়ালন্দ (নকশি কাঁথা) ট্রেনের মালামাল বহন করে বাড়িতে ঘুমাতে যায়। শুক্রবার সাড়ে পাঁচটার দিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া মারার জন্য চোখে ঘুম নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রেল লাইনের ধার দিয়ে পায়ে হেটে স্টেশনের উদ্দেশ্যে আসছিলো ।

এ সময় দুর্ঘটনাবশত ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল গামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ভোর পেরিয়ে সকাল হলে স্থানীয় লোকজন সবদুলের মৃত দেহ দেখতে পায়। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা স্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে দর্শনা জিআরপি পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা খবর শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে আমরা পৌঁছায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে নিহাতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকাই লাশ দাফন কার্যের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে নিহত পরিবারের সদস্যরা জানায়, গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মার শেষে দক্ষিণ চাঁদপুর জামে মসজিদে জানাজা নামাজের পর নতুন গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মৃত্যুকালে নিহত ভ্যানচালক সবদুলের একটা ছেলে সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।




দর্শনায় সাংবাদিক চঞ্চল মেহেমুদকে শারিরীক নির্যাতন করায় প্রতিবাদ সভা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। দৈনিক পশ্চিমঅঞ্চল এর সংবাদকর্মী ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি চঞ্চল মেহেমুদকে কৌশলে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও অপমান করা হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে।

সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ডায়াপ্যাথ কোম্পানির সাবেক প্রধান নির্বাহী মো. বজলুর রহমানের কাছে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মো. মহিদ জোয়ার্দারের ইন্ধনে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। সেখানে সাংবাদিক চঞ্চল মেহেমুদকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়।

এ মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাবে এক জরুরি সভা বসে। প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ইকরামুল হক পিপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও ধিক্কার জানানো হয়। সর্বসম্মতিক্রমে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমনে,র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান ধীরু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান আলী, জাহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, রাজিব মল্লিক ওয়াসিম রয়েল, সুকমল চন্দ্র দাস বাঁধন, আব্দুল হান্নান, ইমতিয়াজ রয়েল, সাব্বির আলীম, ফরহাদ হোসেনসহ অনেকেই।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন সাংবাদিকরা জাতির দর্পণ। সমাজের অসঙ্গতি, দুর্নীতি ও অন্যায়কে তুলে ধরতে গিয়ে বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তারা। কিন্তু কলমের শক্তিকে রুখে দেওয়া যায় না। চঞ্চল মেহেমুদের ওপর হামলা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ নয়, বরং গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের নোংরা প্রয়াস।

সভায় বক্তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্র বা হামলায় তারা দমে যাবে না। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।