মেহেরপুরের শ্যামপুরে বিএনপির উদ্যোগে দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের মৌলিক অধিকার ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। তারেক রহমানের নির্দেশেই আমরা সব কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

এ সময় স্থানীয় শতাধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা নেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে সংগ্রহ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু,সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম,  জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান গাজু  ও সাংগঠনিক সম্পাদক  সৌরভ উদ্দিন

শ্যামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মাস্টার বিএনপি নেতা সুইট জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহসহ দলীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির মূল লক্ষ্য। ক্ষমতা নয়, মানুষের কল্যাণই আমাদের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য। তাই এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”




গাংনীতে উদ্ধার হওয়া নবজাতকের পাশে ইউএনও খায়রুল ইসলাম

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামের বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক শিশুটির খোঁজখবর নেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: খায়রুল ইসলাম।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তিনি নবজাতকের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

উদ্ধারকৃত নবজাতকটি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।




নামের সুবিচার করেননি ওসি এলএসডি দেবদূত!

নাম তাঁর দেবদূত রায়। ঈশ্বরের বার্তাবাহক বা স্বর্গীয় দূত হিসেবে সম্মান মর্যাদার কথা বিবেচনায় নিয়েই বাবা-মা ছেলের নাম রেখেছিলেন দেবদূত। কিন্তু মেহেরপুরের সদর এলএসডি (ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা) দেবদূত রায় নিজের নামের সাথে সুবিচার না করে জড়িয়েছেন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে।

মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে দেবদূতের নানা অনিয়ম ও দুনীতির চিত্র।

দু’বছর আগে মেহেরপুর সদর এলএসডি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন দেবদূত রায়।

জেলার খাদ্য গোডাউনগুলো নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়াবাড়ি। মেহেরপুর জেলার খাদ্য গোডাউনগুলোতে দীর্ঘদিন থেকে এই অনিয়ম দুর্নীতি চলে আসলেও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তাব্যক্তিরা কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।

মেহেরপুর পৌরসভার মধ্যে দুটি স্থানে বড়বাজার এবং কলেজ রোডে ৬টি, আমঝুপিতে ২টি এবং গাংনীতে ৩টি সর্বমোট জেলায় ১১টি খাদ্য গোডাউন আছে।

সদর এলএসডি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদূত রায় পৌরসভার মধ্যে ৬টি গোডাউনের দায়িত্বে ছিলেন ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে ডেপুটেশনে রয়েছেন। চাল মিলারদের সাথে যোগসাজশে ব্যবসায় যুক্ত থাকা, আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিম্নমানের চাল গোডাউনে উত্তোলন, গোডাউনের নিরাপত্তা প্রহরীদের কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়া সহ নানা অভিযোগ দেবদূতের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ৬০০ মে. টন চাল প্রোগ্রামের মাধ্যমে মেহেরপুর এলএসডি’তে আসে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া এলএসডি থেকে ৩০০ মে. টন এবং জগতি এলএসডি থেকে ৩০০ মে. টন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে ৬০০ মে. টন চালের মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ ভালো চাল, বাকিটা নিম্নমানের লাল চাল গ্রহণ করেছে দেবদূত। কুষ্টিয়া মিলারদের সাথে মেহেরপুর এলএসডি’র নিরাপত্তা প্রহরী আমানুজ্জামান লাভলুর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনও করে থাকেন তিনি।

গোডাউনের ভিতরে বাজে চালের সাথে ভালো চাল মিশিয়ে নতুন বস্তা প্রস্তুত করানো দেবদূত রায়ের নিত্যকার কাজকর্মের একটি।

২০২৫ সালের মে মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত বোরো চাল ক্রয় করা হয়। এই চালগুলো সবই নতুন চাল হওয়ার কথা, কিন্তু অধিকাংশই পুরাতন চাল। মিলের ইস্টেন্সিল নেই, WQSC নাম্বার নেই। লটের চারদিকে নতুন ভালো চাল রেখে ভিতরে পুরাতন খারাপ চাল রাখা হয়েছে। যার মধ্যে এফএস-১ চা/২৭/ ৪০০ বস্তায় চাল আছে ১২০ মে. টন। এফএস-১ চা/৩৫/ ২০৬৯ বস্তায় চাল আছে ৬২ মে. টন। এফএস-৪ চা/৩৪/ ২৯২৭ বস্তায় চাল আছে ১৪৬ মে. টন। এগুলো অধিকাংশই পুরাতন চাল।

প্রত্যেক এলএসডি একটি সংরক্ষিত এলাকা। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এএসআই, নিরাপত্তা প্রহরী সকলের জন্যই আলাদা আলাদা কোয়ার্টার আছে। এলএসডির ভিতরে যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী। মেহেরপুর এলএসডি’র কোয়ার্টারে থাকছেন অথচ ভাড়া দিচ্ছেন না। তাদের মধ্যে এএসআই মামুনুর রশিদ, পোস্টিং গাংনী, ১৫ জুলাই ২০১৫ সাল থেকে মেহেরপুরের কোয়ার্টারে বসবাস করছেন ভাড়া বিহীন।

নিরাপত্তা প্রহরী আলামিন শেখ ২৭ আগস্ট ২০২৩ থেকে কোয়ার্টারে আছেন ভাড়া বিহীন। গোডাউনের বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে ফুটপাতে খাবারের ব্যবসা করেন, সেই বিদ্যুৎ লাইন থেকে টাকার বিনিময়ে অন্যদের সংযোগ দেন।

নিরাপত্তা প্রহরী কুদ্দুস ৩০ আগস্ট ২০২৩ থেকে কোয়ার্টারে বসবাস করছেন ভাড়া বিহীন। গোডাউনের বাইরে ফুটপাতে ব্যবসা করেন।
ঝাড়ুদার হাফিজুর ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে এএসআই কোয়ার্টারে ভাড়া বিহীন বসবাস করছেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদূত রায়ের ঘনিষ্ঠজন। খুলনা থেকে তাকে এখানে মাস্টার রোলে চাকরি দিয়েছেন।

নিরাপত্তা প্রহরী আমানুজ্জামান ২১ মে ২০২৩ থেকে বসবাস করছেন এএসআই কোয়ার্টারে। ভাড়া দেন না। একটা কোয়ার্টার খালি আছে, সেটাতে মুরগি, কবুতর, ছাগল পোষা হয়। নিরাপত্তা প্রহরী আমানুজ্জামান ও আলামিন এই কাজটি করে থাকেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে এলএসডি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদূত রায়ের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এরশাদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) আসমা উল হোসনা এইসব অনিয়মের কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি তাই সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখবো। একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করবো এবং কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

(আগামী পর্বে পড়ুন গাংনী ও আমঝুপি এলএসডিদের নিয়ে সংবাদ। )




মেহেরপুরে এনসিপি’র পিরোজপুর ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটি গঠন

মেহেরপুর সদর উপজেলার ৫নং পিরোজপুর ইউনিয়নে আগামী তিন মাসের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টি মেহেরপুর সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী হাসমত উল্লাহ ও যুগ্ম সমন্বয়কারী সালাউদ্দিন রনির স্বাক্ষরিত এক পত্রে কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন, মোঃ টিটন এবং সদস্য সচিব হিসেবে আনারুল ইসলাম। যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন মোঃ পাইন আলী, মুফতি মোঃ মফিজুর রহমান ও মোঃ মনিরুল ইসলাম। যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে আছেন মোঃ উল্লাস, মোঃ রবিউল ইসলাম ও শ্রী ছমির দাস। মুখ্য সংগঠক হিসেবে রয়েছেন আব্দুল হালিম।

এছাড়াও আব্দুস সালাম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ রাজন, মোঃ বিপ্লব, মোঃ নাসিম রেজা, মোঃ আজিজুল, মোঃ শামীম, মোঃ রবিউল ইসলাম, সুন্নত আলী, মোঃ মহিদুল ইসলাম ও অধ্যাপক মোহাঃ দারুস সালাম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।




কুরআন-হাদীসই হলো আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রদর্শিত পথের একমাত্র মাধ্যম

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দর্শনা কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিটের উদ্যোগে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বাদ মাগরিব দর্শনা কেরুজ জামে মসজিদে মোঃ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সীরাত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের আমীর মোঃ রুহুল আমিন। বক্তা ছিলেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মোঃ আজিজুর রহমান, মাজলিসুল মুফাসছিরিনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবু জার গিফারী, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মোঃ আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জেলা সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আব্দুল কাদের, দর্শনা থানা আমীর মাওলানা রেজাউল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, দর্শনা পৌর আমীর মোঃ সাহিকুল আলম

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা আমীর রুহুল আমিন বলেন, মানুষের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসুল (সাঃ) এর মাধ্যমে কুরআন নাজিল করেছেন, আর রাসুল (সাঃ) তার ২৩ বছর নবুয়তের জিন্দেগীতে আমাদের জন্য এই জীবন বিধানকে হাতেকলমে শিখিয়ে গেছেন। সুতরাং এই কুরআন-হাদীসই হলো আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রদর্শিত একমাত্র পথ। এর বাইরে কোন মতপথের অনুসারী হওয়া কোন মুসলমানের সুযোগ নেই। তাই জামায়াতে ইসলামী মানবতার কল্যাণ, দেশ পরিচালনার জন্য যোগ্য মানুষ তৈরী ও আল্লাহর সন্তÍুষ্টি অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ ভিশন বাস্তবায়নের জন্য আমরা আপনাদের সহযোগীতা চাই। প্রসঙ্গিক আলোচনায় তিনি কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর শ্রমিকদের জেলার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প কমপ্লেক্সকে রক্ষায় আরো আন্তরিক হবার আহবান জানান। তিনি বলেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই কেরুর মাধ্যমে সারাদেশে এই জেলাকে সন্মানের আসনে সমাসীন করে গেছেন। আমাদের এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে যে কোন মূল্যে এক রক্ষা করতে হবে।

বাদ এশা তিনি দর্শনার হরিজন সম্প্রদায়ের সাথে দেখা করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। এ সময় তাদের উদ্দ্যেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন- আমাদের ধর্মীয় পরিচয় আলাদা হলেও আমরা সকলেই বাংলাদেশী। সুতরাং এই দেশে বসবাসকারী সবার সাথে আমরা মিলেমিশে দেশকে গড়তে চাই। ইসলাম সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থানকে নিশ্চিত করেছে। আপনারা আপনাদের ধর্ম পালন করবেন কেউ বাধা দেবেনা। আমরা আপনাদের যে কোন সমস্যায় সর্বদা পাশে আছি।




আলমডাঙ্গা বেলগাছিতে জামায়াতের পথসভা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের পূর্বপাড়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের উদ্যোগে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার এই সভা অনুষ্টিত হয়েছে। উক্ত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন, বেলগাছি গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি আনিসুর রহমান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এবং মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল। তিনি বলেন, “ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের জন্য আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে দোয়া চাই।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নির্বাচন পরিচালক ও জেলা যুব বিভাগের সভাপতি শেখ নূর মোহাম্মদ হোসাইন টিপু, জেলা আইন হলুদ বিষয়ক সম্পাদক ও  উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দারুস সালাম, উপজেলা আমীর ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রভাষক শফিউল আলম বকুল, উপজেলা সেক্রেটারি মামুন রেজা, শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আলহাজ মেহেদী হাসান, শফিউজ্জামান মিঠু, ইউনিয়ন সভাপতি আমান উদ্দিন, সহ-সভাপতি মাওলানা শহিদুল হক, ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা শওকত আলী, ইউনিয়ন নির্বাচন বিভাগের পরিচালক জহিরুল ইসলাম মজনু, ইউনিয়ন সরকারি সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, ফরিদপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আহসান হাবিব, কাশিপুরে সভাপতি আতিয়ার রহমান, কেদারনগরের সভাপতি লুৎফার রহমান, বেলগাছি গ্রামের ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি রওশন শেখ, ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি আলাইহিম, যুব বিভাগের সভপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, সেক্রেটারি সাব্বির আহমেদ, শ্রমিক কল্যাণের ইউনিয়ন সভাপতি বেলগাছি আশরাফুল আলম, গ্রাম কমিটির সভাপতি  খোকন মাসুদ, ডামোশ গ্রাম কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ফরিদপুরের সহ-সভাপতি মানোয়ার হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, ১নং ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মনি,২নং ওয়ার্ড সভাপতি আহসান হাবীব, শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি বাবলুর রহমান প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় তক্কেল সাধুর ১৫ তম তিরোধান দিবস পালিত

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি_ এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে আলমডাঙ্গায় তক্কেল সাধুর ওফাত দিবস উৎযাপন উপলক্ষে ২ দিন ব্যাপি শুভ সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়েছে । আলমডাঙ্গায় প্রয়াত বাউল সাধক তক্কেল ফকিরের ১৫ তম ওফাত দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল দিনব্যাপী জামজামি তার নিজ আখড়াবাড়িতে সাধু সঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা চরপাড়া গ্রামের লালন ঘরোনার বাউল সাধক ইনতাজ শাহের ভক্ত ছিলেন এই তক্কেল সাধু। এই সাধু সঙ্গ অনুষ্ঠানে এলাকায় বহু সনামধন্য গুনী শিল্পী সাধকেরা সংগীত পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাত্তার শাহ, আশকার শাহ, জফের শাহ, আমিরুল শাহ, রহমান শাহ, দয়াল শাহ সহ আরো অনেক বাউল সাধু গুরু উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য তিনি ২০১৩ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর পরপারে পাড়ি জমান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮০ বছর।




ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দর্শনা ইমিগ্রেশনে গ্রেফতার

ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মুনির দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে।

তার নামে গোপালগঞ্জ থানায় একটি নাশকতা মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এস আই তুহিন বলেন, সন্ধ্যার আগ দিয়ে দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে পৌছায়। আমারা তার পাসপোর্ট চেকিং করে দেখি তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা রাত সাড়ে ৭ টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে দর্শনা থানায় নিয়ে এসেছি। গতকালই তাকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হবে।




মেহেরপুরে খামারিদের মাঝে ঘাস ও খড় কাটার মেশিন বিতরণ

মেহেরপুরে ডেইরি খামারিদের মাঝে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘাস ও খড় কাটার মেশিন বিতরণ করেছে উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান ওয়েভ ফাউন্ডেশন।

আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), ড্যানিডার অর্থায়নে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় বাস্তবায়িত রুরাল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি)-এর আওতায় “নিরাপদ মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন” শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আরএমটিপি প্রকল্পের ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর মোঃ আশরাফুল হক। তিনি বলেন, খামার যান্ত্রিকীকরণের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, সময় ও শ্রম সাশ্রয় হবে, অল্প সময়ে বেশি কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হবে এবং খামার ব্যবস্থাপনা উন্নত হবে। এছাড়া যান্ত্রিকীকরণের ফলে রোগবালাই কমে আসবে ও খামারগুলো আরও আধুনিকায়ন হবে।

এ সময় মেহেরপুর অফিসের ইউনিট ম্যানেজার মোঃ আনোয়ার হোসেন আরএমটিপি প্রকল্পের মাধ্যমে সদর উপজেলায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম এবং খামারিদের ঋণ সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় খামারি, উদ্যোক্তা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন সহকারী ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর মোছাঃ সহিবা খাতুন।




আন্তর্জাতিক মঞ্চে রোবোটিক্স স্বর্ণপদক জয় মেহেরপুরের তোহা বিন আছাদ দ্বীপের

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামের সন্তান মো: তোহা বিন আছাদ দ্বীপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছেন। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত World Innovation Competition & Exhibition (WICE) 2025-এ তিনি ও তার দল স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন।

এই আসরে বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ১৫০০-এর বেশি প্রতিযোগী ও প্রকল্প অংশ নেয়। তোহার দল তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প “HEXAGUARD ROVER” নিয়ে IT & Robotics Category-তে প্রতিযোগিতা করে এবং স্বর্ণপদক জিতে নেয়।

বর্তমানে তোহা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত। তবে তার সবচেয়ে বড় পরিচয়—তিনি মেহেরপুর জেলার গর্বিত প্রতিনিধি, যিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন।

তোহা জানান, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আর্থিক সংকট। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো সহায়তা না পাওয়া এবং পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন থেকেও আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়া তাদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল। তবুও পরিবারের অকৃত্রিম সমর্থন, টিমমেট জাহিদ হাসান জিহাদের নিরলস পরিশ্রম এবং সংগঠন Green Peoples Bangladesh ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মানসিক অনুপ্রেরণায় তারা সফল হয়েছেন।

তোহা আরও বলেন, “বাংলাদেশের পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে যখন ঘোষণা করা হলো আমরা স্বর্ণপদক পেয়েছি, তখন মনে হয়েছিল এটাই জীবনের সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত। এ অর্জন শুধু একটি পদক নয়; বরং মেহেরপুর জেলার মেধাবী তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তার বিশ্বাস, এ সাফল্য আগামী দিনে বাংলাদেশের তরুণদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।

তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে তোহা বলেন—“স্বপ্ন দেখো, কঠোর পরিশ্রম করো এবং কখনো হাল ছেড়ো না। সুযোগ সবসময় সহজে আসে না, তবে দৃঢ় মনোবল আর অবিরাম চেষ্টা একদিন অবশ্যই সাফল্য এনে দেয়। আর সবকিছুর ওপরে মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখো।”
তার পরিবার এ সাফল্যে আনন্দে আপ্লুত হয়। বাবা মো: আসাদুজ্জামান (বিদ্যুৎ) জানান, “আমার ছেলে শুধু আমাদের পরিবারের নয়, মেহেরপুর জেলার গর্ব।”

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা যেন ভবিষ্যতে তার উদ্ভাবনী কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য পাশে দাঁড়ান এ আশা করেনে তোহা ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের বিশ্বাস, সবার সম্মিলিত সহযোগিতা পেলে তোহা আরও বড় অর্জন এনে মেহেরপুর তথা বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারবেন।

HEXAGUARD ROVER কী?

প্রকল্পটি মূলত একটি উদ্ভাবনী রোবোটিক সিস্টেম, যা দুর্যোগকালীন উদ্ধার কাজ, নজরদারি ও দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা কার্যক্রমে সহায়তা করতে সক্ষম। এর উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবন রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।