দর্শনায় বড় মসজিদের ওয়াস রুম থেকেপরিত্যাক্ত হ্যান্ডকাপ ও নষ্ট স্মার্টফোন উদ্ধার

দর্শনা রেলবাজার বড় মসজিদের ওয়াস রুমের ভিতর থেকে একটি পরিত্যাক্ত হ্যান্ডকাপ ও একটি নষ্ট টাসফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটের সময় হ্যান্ডকাপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন দর্শনা থানার এস আই আশিকুল হক।

পুলিশ জানায়, প্রায় ১০/১২ বছর আগের পুরাতন জংধরা হ্যান্ডকাপ ও একটি নষ্ট মোবাইল ফোন ওয়াস রুমের ভিতরে ছিল। এতে করে করে ওয়াস রুমটি ব্যাহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এসময় একজন হরিজনকে দিয়ে ওয়াস রুমটি পরিস্কার করতে গিয়ে দেখায় একটি পুরাতন হ্যান্ডকাট ও একটি নষ্ট মোবাইল ফোন আটকে ছিল।

এসময় হরিজন মোবাইল ও হ্যান্ডকাপ পেয়ে মসজিদ কমিটিকে জানালে মসজিদ কমিটির লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে দর্শনা থানার এস আই আশিকুল হক মোবাইল ফোন ও হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী হয়েছে বলে জানান দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর।




চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে শরীফুজ্জামানের গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা, গণসংযোগ ও পথসভায় করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। তার উপস্থিতিতে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। অনেকে তাকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন, মাথায় হাত রেখে দোয়া করেন যেন তিনি জেলার উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার আদায়ে কাজ করে যেতে পারেন।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় তিনি গণসংযোগ ও পথসভা করেন তিনি। এর মধ্যে ছিল পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভেমরুল্লাহ মাঠপাড়া, ভেমরুল্লাহ প্রাথমিক স্কুলপাড়া, হাটকালুগঞ্জ, এলজিডি রোড, পুলিশ লাইন, সি অ্যান্ড বি মোড়। আছোড়ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিলার মোড়, ঠিকানা মোড়, ডাঙাপাড়া, সুমিরদিয়া ক্লাব মোড় ও সুমিরদিয়া রেলপাড়া এলাকায় প্রচারণা চালান তিনি। এসব স্থানে শরীফুজ্জামান স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

প্রচারণায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি কেবল একটি রাজনৈতিক ইশতেহার নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি ও ন্যায়ের রূপরেখা। এই ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার রাস্তাটি। আমরা যারা বিএনপির কর্মী, তাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব এই বার্তাটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীক মানে জনগণের ভোটাধিকার, মানুষের মুখে হাসি, তরুণদের কর্মসংস্থান ও কৃষকের ন্যায্য মূল্য। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে এই মাটির মানুষই পরিবর্তনের স্রোত তৈরি করবে। তারেক রহমান হচ্ছেন সেই নেতৃত্ব, যিনি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করছেন। জনগণের ভোটে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব না পাওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো, মানুষের পাশে থাকবো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, চুয়াডাঙ্গার মানুষ অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না। এই শহরের প্রতিটি গলিতে, প্রতিটি ঘরে ধানের শীষের ভীত গড়ে উঠছে। তরুণ প্রজন্ম আজ জেগে উঠেছে, তারা চায় পরিবর্তন, তারা চায় ন্যায়বিচার। বিএনপি সেই পরিবর্তনের বাহক। তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের মুক্তি আসবেই। আমরা সবাই মিলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি সুন্দর, শান্তি ও গণতন্ত্রভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।’

শরীফুজ্জামান শরীফ তরুণ ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই দেশ তোমাদের, ভবিষ্যতও তোমাদের হাতে। ভালো কাজের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াও এবং নিজের এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করো। একসঙ্গে কাজ করলে কোনো শক্তিই আমাদের রুখতে পারবে না।’

গণসংযোগ চলাকালে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছিল বিপুল উৎসাহ ও প্রত্যাশা। তারা বলেন, ‘শরীফুজ্জামান শরীফ আমাদের সন্তান, আমাদের নেতা। তার নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা এগিয়ে যাবে।’

প্রচারণায় জেলা বিএনপির এই নেতার সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আরশেদ আলী কালু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মনি, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিম, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকের আলী, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ টনিক, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি ইনতাজ আলী, যুগ্ম সম্পাদক আশাবুল হক ও আব্দুল কুদ্দুস, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান হ্যাপি, সদস্য রুবেল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক সাইমুম আহমেদ মিশা, যুগ্ম সম্পাদক নাইম আহমদ, জেলা ক্রীড়া সম্পাদক বিক্রম সাদিক মিলন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. আজিজুর রহমান আজিজুল, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হাসান, পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহারু আহমেদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যাযের নেতাকর্মীরা।




মুজিবনগরে জামায়াত এমপি প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দিন খানের গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন সোনাপুর  গ্রামে গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে সোনাপুর গ্রামের প্রধান সড়ক ও দোকানপাটে এ গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। গণসংযোগের নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আমীর মাও. খানজাহান আলী, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা ফিরাতুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারি মোঃ খাইরুল বাসার, সহকারী সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি ফজলুল হক গাজী, উপজেলা সমাজ কল্যাণ সেক্রেটারি আমিনুল হক এবং বাগোয়ান ইউনিয়ন আমীর মাও. ফারুক হোসেন।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে আসন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।




মেহেরপুরের শ্যামপুর ও গোপালপুরে অ্যাড. কামরুলের গণসংযোগ ও পথসভা

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গোপালপুর বাজারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র উদ্যোগে পথসভা ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান ছাতু, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর হক লাভলু, মোশাররফ হোসেন তপু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলিফ আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, শ্যামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান (বাবু), আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস বিশ্বাস এবং পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিন্টু হোসেন। এছাড়াও পৌর বিএনপি নেতা নাহিদ আহমেদসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গণসংযোগ শেষে বিবিসিকে দেওয়া বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে প্রদর্শন করা হয়, যা উপস্থিতদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা যোগায়।




আলমডাঙ্গায় যৌথ অভিযানে মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র ও  জালনোটসহ গ্রেফতার ১

আলমডাঙ্গায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র, জাল নোট ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে, আরেকজন পলাতক রয়েছে।

জানা যায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে “অপারেশন ৩৬ এডি” শীর্ষক অভিযানে সেনাবাহিনীর ৫৫ এফ আই ইউনিটের এফএস এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বিএ-১০৯৪৯ ক্যাপ্টেন সৌমিক আহমেদ অয়ন, ৩৬ এডি রেজিমেন্ট।

অভিযানে আলমডাঙ্গা মিয়াপাড়ার মো. ইসরাফিল আলম সনির (৩৩) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৬৫০ গ্রাম গাঁজা, ১৭০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, এক বোতল বিদেশি মদ, চারটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, একটি ৫০০ টাকার জাল নোট, নগদ দুই লাখ ৪৭ হাজার ৮৩০ টাকা এবং দুটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন উদ্ধার করা হয়।

এসময় বাড়ির মালিক ইসরাফিল আলম সানিকে আটক করা হয়। তাঁর সহযোগী পিয়াল মাহমুদ সাদ্দাম (পিতা মৃত মজিদ মিয়া, একই এলাকার বাসিন্দা) পলাতক রয়েছেন। অভিযানে উদ্ধার করা মালামাল ও আসামিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল আল ইমরান (৩৬ এডি রেজিমেন্ট)।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, “উদ্ধারকৃত মাদক ও অস্ত্রের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযানে সেনাবাহিনীর সহায়তায় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পেরেছি।” পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ইসরাফিল ও তাঁর সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনে জড়িত ছিল।




আলমডাঙ্গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ৩টি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই

আলমডাঙ্গা পৌরসভার আনন্দধাম মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমে আগুন লাগে রথতলা এলাকার মৃত নরেন বিশ্বাসের ছেলে মন্টুর লন্ডি দোকানে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরও দুটি দোকানে। দোকান দুটি হল হান্নান ডেকোরেশনের এবং অন্যটি রবি ফার্মেসি।

লন্ডি দোকান মালিক মন্টু জানান, “বেলা বারোটার দিকে দোকান বন্ধ করে কিস্তি দিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। একটু পরে দোকানে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় আমার কাছে মোবাইলে খবর আসে আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ছুটে এসে দেখি সব পুড়ে ছারখার। প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি পথে বসে গেলাম। একটাও জিনিস অবশিষ্ট নেই।

পাশের দোকানদার হান্নান ডেকোরেশন মালিক হান্নান বলেন, “আমি দুপুরে খাবার খেতে বাড়ি গিয়েছিলাম। দোকানে তালা দিইনি। শুধু সাটার লাগানো ছিল। ফোনে জানতে পারি আগুন লেগেছে। এসে দেখি পাশের দোকানের আগুন আমার দোকানেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ২৫ হাজার টাকার ডেকোরেশনের কাপড় ও সিলিং পুড়ে গেছে।

পাশের ওষুধের দোকান মালিক রবি জানান, “আমি তখন বাড়িতে ছিলাম। স্থানীয়রা ফোনে জানায় দোকানে আগুন লেগেছে। দৌড়ে এসে দেখি পাশের লন্ডি দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। আমার দোকানের সিলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু ওষুধও হয়তো নষ্ট হয়েছে। আনুমানিক ২০-২৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে দোকানগুলোর বেশিরভাগ মালামাল পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে। জীবনের সকল সঞ্চয় হারিয়ে মন্টু এখন দিশেহারা। ক্ষতিগ্রস্ত তিন ব্যবসায়ীই প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।




মুজিবনগরে মনোনয়ন প্রত্যাশী আমিরুল ইসলামের গণসংযোগ অব্যাহত

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অব্যাহত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন মেহেরপুর-১ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম।

মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের রতনপুর ও ঢোলমাড়ি গ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নসহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার বিকেলে কয়েক শত মোটরসাইকেল ও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে গণসংযোগের উদ্দেশ্যে রতনপুর ও ঢোলমাড়ি গ্রামে পৌঁছালে দুই গ্রামের নারী-পুরুষ, শিশু এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।

তিনি বাগোয়ান ইউনিয়নের রতনপুর ও ঢোলমাড়ি গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ, পথসভা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ধানের শীষের পক্ষে ভোট দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) ক্ষমতায় নিয়ে এসে দেশ ও জাতির উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করতে হবে।

গণসংযোগ চলাকালে দুই গ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। আমিরুল ইসলাম বাড়ি বাড়ি গিয়ে মা-বোনদের কাছে ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।

গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মশিউর রহমান, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী, মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রায়হান কবীর, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান টুটুল, দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল হক কালু, সাধারণ সম্পাদক সোনা গাইন, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফাহিম আহনাফ লিংকনসহ বাগোয়ান ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম বিএনপি নেতাকর্মী, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীবৃন্দ।




মেহেরপুরের ৬ নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের গণসংযোগ

ধানের শীষের সমর্থনে মেহেরপুর পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

মঙ্গলবার বিকেলে শহরের এশিয়া নেট এলাকা থেকে তিনি গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন। পরে ৬ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতবিনিময় করেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, আমরা একটি বৈষম্যহীন ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সুন্দর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জাতীয় নির্বাচন সন্নিকটে, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, গত ১৬ বছর যারা রাজপথে ছিলেন, পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন, পালিয়ে থেকেও আন্দোলন চালিয়ে গেছেন আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীক তাঁদেরই দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, মেহেরপুরে মাসুম অরুণের নেতৃত্বে আমরা ১৬ বছর শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে রাজপথে ছিলাম। আজ কিছু লোক ধানের শীষের কান্ডারী সাজছে আমরা তাদের চিনি, তাদের আমলনামা আমাদের জানা।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে পৃথক মামলায় ৩ আসামির জেল-জরিমানা

মেহেরপুরে পৃথক তিন মামলায় মোঃ লিটনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, মোঃ মোতালেবকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং মোছাঃ ময়না খাতুনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরও ৩০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

প্রথম মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামীদের সঙ্গে বাদীদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন বাদী ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ওজু করতে ঘরের বাইরে বের হলে আসামিরা ওত পেতে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বাদীর ডাকচিৎকারে তার স্বামী বাইরে এলে আসামিরা ধারালো ও ভোতা অস্ত্র নিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। ১নং আসামী আধলা ইট দিয়ে বাদীর স্বামীর মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে, ৩নং আসামী লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং ২নং আসামী গলা টিপে হত্যার চেষ্টা চালায়। বাদী ও তার মাতা ঠেকাতে গেলে তাদেরও মারধর করে আহত করা হয়।

দ্বিতীয় মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোঃ আকবর আলী মোটরসাইকেলে করে দারিয়াপুর বাজার এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা তার গতিরোধ করে। আসামী লিটন লোহার হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাথার হাড় ভেঙে যায় ও গুরুতর জখম হয়। পরে অন্যান্য আসামিরা লাঠি ও রড দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

তৃতীয় মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে আসামীগণ বাদীর ওপর আক্রমণ চালায়। কিল-ঘুষি, বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বাদীকে গুরুতর আহত করে। বাদীর চিৎকারে তার দাদা এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার নথি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত রায় দেন। রায় ঘোষনার পরে আসামীদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।




স্কুল মাঠে চরে হাঁস, গোসল করানো হয় গরু

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ১০৬ নম্বর কাছারী তোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি এবছরের জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এখনো পর্যন্ত জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠের পানিতে চরে বেড়াচ্ছে হাঁস আবার কেউবা গরুর গোসল করাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকের দাবি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানিয়েও মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন ব্যবস্থা করতে পারেননি।

১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে ১৯৯৬ সালে একটি ভবন নির্মিত হয়। এই ভবনে একটি অফিস কক্ষ ও ৩টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। ৩৩ শতক জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৮৭জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ৬ জন তার মধ্যে নারী ৪জন। গতবছর বিদ্যালয়ে একটি ওয়াশ ব্লকের কাজ শুরু হলেও অর্ধেক করে ফেলে রেখে গাঢাকা দিয়েছে ঠিকাদার। বিদ্যালয়টিতে কোন সীমানা প্রাচীর নেই। তবে বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সংকট জলাবদ্ধতা। বর্ষার শুরু থেকেই বিদ্যালয়ের মাঠটি জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। আগস্টের শুরুর দিকে বিদ্যালয়ের ভবনের বারান্দা পর্যন্ত পানির নিচে চলে যায়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নুসরাত জাহান বলেন, আগস্ট মাসের শুরুর দিকে আমরা হাটু পানি ডিঙিয়ে বিদ্যালয়ে এসেছি। এখনতো পানি কমে গেছে। শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়েরা কোলে করে স্কুলে দিয়ে গেছে ও নিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সরোজমিনে বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে রাজহাস চরে বেড়াচ্ছে। মাঠের জমে থাকা পানিতে গরু গোসল করাচ্ছেন স্কুলের পাশে বসবাস করা এক বৃদ্ধ। বিদ্যালয় ভবনের বারান্দার গেটটি তালাবদ্ধ করে ভিতরে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা থেকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই উপজেলার মধ্যে এই বিদ্যালয়টি সবচেয়ে অবহেলিত। উপজেলা শিক্ষা অফিসের গত মাসিক মিটিংয়েও বিদ্যালয়ের মাঠে পানি বেধে থাকার বিষয়টি অবহিত করেছি। সরোজমিনে শিক্ষা অফিসারেরা দেখে গেছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা হয়নি। প্রতিষ্ঠার পরে ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়ে একটি বিল্ডিং পেয়েছি। পর্যাপ্ত রুম না থাকায় তিনটি ক্লাসরুমেই কষ্ট করে ক্লাস নিতে হয়। গতবছর একটি ওয়াশব্লকের কাজ শুরু করলেও অর্ধেক করে ফেলে রেখে চলে গেছে ঠিকাদার। বর্ষার শুরু থেকেই আমরা খুব শংসয়ের মধ্যে রয়েছি। কখন কোন বাচ্চা পানিতে ডুবে যায়। আগে ১৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে ৮৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জায়গা নেই সবসময় শ্রেণি কক্ষে আটকিয়ে রাখতে হয়। তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত মাঠ ভরাট ও প্রাচীর নির্মাণের দাবি জানানতারা।

বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জীবন। সে জানায় গত মাসে স্কুলে আসার সময় বই-খাতা নিয়ে সে একদিন পানির মধ্যে পড়েগেছিল। অন্যান্য শিক্ষার্থীর মাধ্যমে শিক্ষকরা খবর পেয়ে তাকে পানি থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তার বই-খাতা পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।

বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে অবস্থিত ছাত্তার স্টোরের মালিক রায়হান মাহমুদ জানান, বর্ষার শুরু থেকেই বিদ্যালয়ের মাঠে পানি বেধে রয়েছে। এখনতো আস্তে আস্তে কমছে। মাঠটি ভরাট করা হলে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে স্কুলে এসে ঘুরে বেড়াতে পারবে। অন্যান্য স্কুল দুইতলা হয়ে গেলেও কেন এই স্কুলের কোন উন্নয়ন হলোনা তা বুঝতে পারিনা।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস. এম. আব্দুর রহমানের ফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহা বলেন এই বিষয়ে তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে খোজ-খবর নিয়েছেন স্কুলের সামনে একটি ডোবারমত সেখানে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম তারিক-উজ-জামান বলেন, এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে খোজ খবর নিয়েছি, এটা সাময়িক জলাবদ্ধতা নয়, এটা একটি স্থায়ী সমস্যা কারণ স্কুলের সামনে একটি বড় গর্ত যা ভরাট করতে আলাদা বরাদ্দের প্রয়োজন, সেই বরাদ্দের চেষ্টা কর হচ্ছে যদি পাওয়া যায় তাহলে সমাধান করা সম্ভব হবে। তাছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।