ঝিনাইদহে রেলপথ সংযোগ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহের সাথে দ্রুত রেলপথ সংযোগ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকাল ৩টায় ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। সমন্বয় কমিটির সহসভাপতি এম এ কবীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক আলাউদ্দীন আজাদ, সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশার, মোশারফ হোসেন, তাজনুর রহমান, জিয়াউল ইসলাম খান, আব্দুস সবুর, আনোয়ার হোসেন, ফখরুদ্দিন মুন্না, ফারুক হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আলমিরাজ, লিয়াকত হোসেন প্রমূখ।

বক্তাগণ বলেন, ঝিনাইদহের ২২ লক্ষ মানুষের একমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা হলো সড়ক পথ অথচ অন্যান্য অনেক জেলা রেলপথ, সড়কপথ, আকাশপথ এমনকি নৌপথ দ্বারা সংযুক্ত। বক্তাগণ বলেন, মাগুরা, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলায় রেল যোগাযোগ থাকলেও ঝিনাইদহ জেলা এখনও রেল নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন। বক্তাগণ বলেন, অবিলম্বে ঝিনাইদহের সাথে রেল সংযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। তারা আরও বলেন, রেলপথ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।




দর্শনা সীমান্তে স্বর্ণসহ নারী চোরাকারবারি আটক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৬ বিজিবি’র চোরাচালান বিরোধী অভিযানে তিনটি স্বর্ণের বারসহ এক নারী চোরাকারবারি আটক হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া বাড়াদী গ্রামের ওয়াসীমের স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫) কে আটক করা হয়।
বিজিবি জানায়, ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসানের নির্দেশে বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কামারপাড়া পাকা রাস্তায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কামারপাড়া বাড়াদী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ এনামুল হকের নেতৃত্বে টহল দল সীমান্ত পিলার ৮০/১০-আর হতে প্রায় ৮০০ গজ ভেতরে অভিযান চালিয়ে আসমা বেগমকে আটক করে।

পরে তার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশি করে তিনটি স্বর্ণের বার, একটি বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য ৫৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

ঘটনায় নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ এনামুল হক বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত আসামিকে থানায় হস্তান্তর এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণ চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।




ঝিনাইদহের সাথে দ্রুত রেলপথ সংযোগ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহের সাথে দ্রুত রেলপথ সংযোগ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। সমন্বয় কমিটির সহসভাপতি এম এ কবীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক আলাউদ্দীন আজাদ, সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশার, মোশারফ হোসেন, তাজনুর রহমান, জিয়াউল ইসলাম খান, আব্দুস সবুর, আনোয়ার হোসেন, ফখরুদ্দিন মুন্না, ফারুক হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আলমিরাজ, লিয়াকত হোসেন প্রমূখ।

বক্তাগণ বলেন, ঝিনাইদহের ২২ লক্ষ মানুষের একমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা হলো সড়ক পথ অথচ অন্যান্য অনেক জেলা রেলপথ, সড়কপথ, আকাশপথ এমনকি নৌপথ দ্বারা সংযুক্ত। বক্তাগণ বলেন, মাগুরা, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলায় রেল যোগাযোগ থাকলেও ঝিনাইদহ জেলা এখনও রেল নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন। বক্তাগণ বলেন, অবিলম্বে ঝিনাইদহের সাথে রেল সংযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। তারা আরও বলেন, রেলপথ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।




দর্শনা সীমান্তে স্বর্ণসহ নারী চোরাকারবারি আটক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৬ বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযানে তিনটি স্বর্ণের বারসহ এক নারী চোরাকারবারি আটক হয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া বাড়াদী গ্রামের ওয়াসীমের স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫) কে আটক করা হয়।

বিজিবি জানায়, ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসানের নির্দেশে বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কামারপাড়া পাকা রাস্তায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কামারপাড়া বাড়াদী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ এনামুল হকের নেতৃত্বে টহল দল সীমান্ত পিলার ৮০/১০ আর হতে প্রায় ৮০০ গজ ভেতরে অভিযান চালিয়ে আসমা বেগমকে আটক করে।

পরে তার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশি করে তিনটি স্বর্ণের বার, একটি বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য ৫৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

ঘটনায় নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ এনামুল হক বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত আসামিকে থানায় হস্তান্তর এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণ চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।




মেহেরপুরে ফৌজদারি মামলায় দুই আসামির জেল-জরিমানা

মেহেরপুরে ফৌজদারি মামলায় মোঃ সাবেদ আলীকে ২ বছর এবং মোছাঃ জরিনাকে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

আজ সোমবার দুপুরে মেহেরপুর চীৃফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ সকাল ৯টার দিকে বাদীর বসতবাড়িতে প্রবেশ করে বাদীর শ্বশুর মহিরুদ্দিন ও স্ত্রী রঙ্গিলা খাতুনকে গালাগালি করা হয়। প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাদের এলোপাথাড়ি মারপিট করে। একপর্যায়ে ১নং আসামি ধারালো রামদা দিয়ে বাদীর শ্বশুরের মাথায় কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। ২নং আসামি হাসুয়া দিয়ে মাথায় কোপ মারতে গেলে শ্বশুর তা বাম হাতে ঠেকান এবং তার হাতে রক্তাক্ত জখম হয়।

বাদীর স্ত্রী রঙ্গিলা খাতুন পিতাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে ৩নং আসামি ধারালো হাসুয়া দিয়ে পেটে কোপ মারতে গেলে তা তার বাম পায়ের উরুতে লাগে এবং রক্তাক্ত জখম হয়। এরপর ৫নং আসামি লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করতে গেলে স্ত্রী হাত দিয়ে ঠেকালে তার হাতে জখম হয়। পাশাপাশি ৪নং আসামি বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে ফোলা-কালশিটে জখম করে।

আসামি সাবেদ আলী ও তার স্ত্রী জরিনা খাতুনের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় এফআইআর নং ১৪, তাং ১৭/১০/২০১০, ধারা ৩২৬/৩০৭/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোডে মামলা চলমান রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। নথি ও সাক্ষ্য পর্যালোচনা শেষে আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




সামাজিক বিভাজন ও অপতথ্যের দায়

অপতথ্য বা ভুল তথ্য (মিসইনফরমেশন/ ডিসইনফরমেশন) শুধু ভুল ধারণা ছড়ায় না, বর্তমানে বাংলাদেশে এটি সমাজে বিভাজন ও মতপার্থক্য গড়ে তুলছে আগের চেয়েও অনেক বেশি পরিমাণে। মানুষ, গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দল, ধর্ম বা সম্প্রদায়ভিত্তিক বিভিন্ন মতবিরোধ, পারস্পরিক আস্থা ও সম্প্রীতি কমে যাওয়ার খবর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। অপতথ্যের উৎস হিসেবে মোটা দাগে কয়েকটি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে খবর সংগ্রহের প্রবণতা। কোনটা তথ্য আর কোনটা অপতথ্য তা যাচাইয়ের দক্ষতা না থাকা ও এ সংক্রান্ত বিভ্রান্তি তো আছেই। একটু বিস্তারিত আলাপ করা যাক।

এশিয়া ফাউন্ডেশনের এক গবেষণাপত্র ‘মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ডিসইনফরমেশন – ডেভেলপমেন্ট লেটারস’ অনুসারে ২০২৩ সালের শুরুতে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম বেশি প্রায় ৩৮.৯ শতাংশ । কিশোর-তরুণদের মাঝে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বেশি, ১৮-২৫ বছর বয়সি যারা অনলাইনে খবর ও তথ্য দ্রুত গ্রহণ করে। একই গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যবহারকারী বিভ্রান্ত হয় যে তারা সত্য-মিথ্যা তথ্য পার্থক্য করতে পারছেন না। নেচার এর অনলাইন জার্নালে প্রকাশিত ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ার ডাটা অ্যানালাইসিস অন দ্যা ইউজ অব সোশ্যাল মিডিয়া ইন গ্লোবাল সাউথ কনটেক্সট ফোকাসিং অন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটায়, তাদের মাঝে ভুল তথ্য দ্রুত শেয়ার করার প্রবণতা বেশি। যে উৎস থেকে তথ্যটি পাওয়া গেছে তার ওপর নির্ভরতা ও বিশ্বাস, দ্রুত শেয়ার করার তাড়া, ব্যক্তিগত সম্পর্ক (যেমন বন্ধুবান্ধব/পরিবার) এসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না হয় অপতথ্য ছড়াল, মূলধারার গণমাধ্যমে কেনো আগের চেয়েও অপতথ্যের প্রকাশ বা প্রচার বেড়েছে? ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা ‘রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ’ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে প্রতিষ্ঠানটি মোট ৭৮টি মিথ্যা তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের ঘটনা শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ৭৮টি ঘটনার প্রায় ৫২ ভাগ হচ্ছে পুরোপুরি মিথ্যা এবং প্রায় ৪৫-৫০ ভাগ মিসলিডিং বক্তব্য, ছবি বা ভিডিওকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশেষ উদ্দেশ্যে পরিবর্তিত করে প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমগুলোর ভুল তথ্য বা অপতথ্যসংবলিত প্রতিবেদন ভালোভাবে যাচাই করার ব্যাপারটি যদি উপেক্ষিত হয়, তবে অনেক পাঠকই শুধু তাদের রাজনৈতিক বা সম্প্রদায়ভিত্তিক বিশ্বাসকে অনুসরণ করে সংবাদ গ্রহণ করতে শুরু করে যা ‘ফিলটার বাবলস’ ও ‘ইকো চেম্বারস ‘সৃষ্টি করে।

অপতথ্য জনমতের দৃষ্টিভঙ্গিকে টুইস্ট করছে এবং জনউদ্বেগ তৈরি করছে। এই সামাজিক ব্যাধি ইতোমধ্যে মহামারির রূপ নিতে শুরু করেছে, তা কি আমরা বুঝতে পারছি? তরুণদের নিয়ে ইউনিসেফ এর একটি জরিপে বাংলাদেশে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ বলেছেন যে সামাজিক মিডিয়ায় “অত্যধিক মিথ্যা সংবাদ ও অপতথ্য” এর কারণে তারা অনেক বেশি মানসিক চাপে ভুগছেন। এই জরিপে শতকরা ৭৯ জন তরুণ বলেছেন, সামাজিক মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা বা নিয়ম কমিয়ে দেওয়া হলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, শিশু ও নারীর মতো সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ অংশটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ২০১২ সালে রামুতে একটি ফেইক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্মীয় স্পর্শকাতর একটি ছবি প্রকাশের পরে একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু হয়েছিল। পরে প্রমাণ হয় ছবিটি সত্য নয়, তবে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যায়।

আমাদের সমাজে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের ধারা কুৎসিত আকার ধারণ করেছে। শিশু অপহরণের গুজবে গণপিটুনিতে নিরীহ গৃহবধূর মৃত্যু সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এরকম ঘটনার সময় কেন কেউ এগিয়ে আসে না, সে চিন্তা আমাদের ব্যথিত করেছে। এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ব্রাক ইনস্টিটিউট অব গভার্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর এক জরিপে দেখা গেছে, জনগণের একটি বড়ো অংশের মানসিকতা এরকম দলে ভারি গ্রুপ, গোষ্ঠী বা দলের সাথে থাকতে হবে, নইলে টিকে থাকা মুশকিল। এর ফলে রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দল হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্যভাবে ক্ষমতাশালী। এ ধরনের একপক্ষীয় প্রভাব থাকা সমাজ রাজনীতির জন্য নেতিবাচক বলেছেন অনেকেই। উল্লেখ করার মতো বিষয় হচ্ছে, ২০১৯-এ নেতিবাচক বলা মানুষের সংখ্যা ২০২২-এ এসে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবও চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি আমরা। অথচ এর কারণ যে অপতথ্য, তা নিয়ে ভাবছি না। সজ্ঞানে-অজ্ঞানে অপতথ্যের বিস্তার ঘটাতে কাজ করছি আমরাই। প্রচারিত অপতথ্য শুধু ভুল ধারণার উৎস নয়, এটি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সম্প্রদায়ভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রকটভাবে বিভাজন ইতোমধ্যে তৈরি করে ফেলেছে। কারণ, মানুষ তথ্যের উৎসের ওপর বিশ্বাসের ভিত্তিতে অন্যদের থেকে আলাদা মনোভাব গড়ে তোলে। তরুণরা আজ সহজেই বিক্ষুব্ধ হয়। তরুণদের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সেটি শুধু তথ্যের ভুলভাবে উপস্থাপন নিয়ে নয়, বরং গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আচরণ সবসময় ন্যায়সংগত হচ্ছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং এর উত্তর তারা পাচ্ছে না। এটি বিভাজনকে বাড়িয়ে দেয়। রাজনীতি-সংক্রান্ত কিংবা সাম্প্রদায়িক- যে বিভাজন বেশি হোক, এতে অপতথ্য গুজব সৃষ্টি করে অনেক সময় দ্রুত আগুনে ঘি দেওয়ার মতো কাজ করে। ঘটনাবলি সত্য বা ভুল প্রমাণিত হতে সময় লাগে। কিন্তু প্রাণ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি, সমাজে পারস্পরিক আস্থা কমে যাওয়া ইত্যাদির জন্য সময় লাগে না।

এটি জানতে কিছু গবেষণামূলক কাজ করা খুব জরুরি। জরিপভিত্তিক গবেষণা ও মনিটরিং বাড়ানো দরকার। সময় সময় দেশব্যাপী জরিপ করে জানা উচিত মানুষের তথ্য গ্রহণের অভ্যাস, বিশ্বাস, ভয় ও বিভ্রান্তির উৎস কি। জরিপের তথ্য পরিকল্পিত নীতি গ্রহণে সাহায্য করে। তথ্য যাচাই ও ফ্যাক্ট-চেক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কাজকে উৎসাহ দেওয়া ও জনসচেতনতায় তাদের রিপোর্টগুলো প্রচারণা বাড়ানো যেতে পারে। জনগণ বিশেষ করে তরুণ সমাজের মাঝে শিক্ষা ও মিডিয়া সাক্ষরতা উন্নয়নে দরকার টেকসই পরিকল্পনা। শিক্ষার্থীদের, তরুণদের শেখানো উচিত “কোনো খবর কি যাচাই করা হয়েছে?”, “উৎস কি

বিশ্বাসযোগ্য?”, “ছবি-ভিডিও পুরাতন কি নতুন?” ইত্যাদি বিষয় যত্নসহকারে দেখা। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে যারা শিক্ষাগতভাবে উন্নত, তারা ভুল তথ্য কম শেয়ার করে। সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর উচিত ফেক অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে অকার্যকর বা বাতিল করার ব্যবস্থা নেওয়া, গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্যাটার্ন মনিটর করা। রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় যেখানে সম্ভব, মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে বিভাজন কমানোর নির্দিষ্ট দায়িত্ব আরোপ করা যেতে পারে, যাতে সহনশীলতা ও সংলাপ উৎসাহিত হয়। বিভিন্ন সম্প্রদায়, রাজনৈতিক মতের মানুষদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনার ব্যবস্থা করা উচিত, যেখানে ভুল ধারণার কারণে হওয়া বিভাজন মোকাবিলা করা যায়। মনে রাখতে হবে, দিনশেষে আমরা আমাদেরই মানুষ।




ঝিনাইদহে ইলেকট্রনিক্স বিজনেস এসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ

বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্স বিজনেস এসোসিয়েশন ঝিনাইদহ জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে শহরের আহার রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে এই সংগঠনটির জেলা শাখার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আবুল কাশেম খোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক পাটোয়ারী, কার্যনির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ জেলা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভা শেষে ঝিনাইদহ জেলায় শাহাজান হোসেনকে সভাপতি ও সোহেল রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট ত্রি-বার্ষিক জেলা কমিটি গঠন করা হয়।




কৃষকদের সম্পদ সাশ্রয়ী ও জৈব ব্যবস্থাপনার চাষাবাদ শেখাচ্ছে আরআরএফ

কৃষকদের সম্পদ সাশ্রয়ী ও জৈব ব্যবস্থাপনার চাষাবাদ শেখাচ্ছে আরআরএফ এতে লাভবান হচ্ছে কৃষকএবং পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে অনেকটা।

ঝিনাইদহ ও যশোর জেলার ঝিনাইদহ সদর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও মহেশপুর এবং ঝিকরগাছা উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং ১২০০ ফুলচাষিদেরনিয়ে কাজ করছে আরআরএফ। ফুলচাষিদের সম্পদ সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ সম্মত চাষাবাদ করানোএই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। আরআরএফ ফুলচাষিদের ঋণদেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অনুদান প্রদান করছে।

যার মাধ্যমে চাষিরা চাষের সহায়ক হিসেবে বিভিন্নকার্যক্রম করছে। প্রকল্পের আওতায় ফুলচাষিদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ, বিনা মূল্যে দুইবার মাটিপরীক্ষা, পরিবেশ ক্লাব মিটিং, মৌখিক প্রশিক্ষণ, সর্বক্ষণিক কৃষিপরামর্শ প্রদান করার পাশাপাশিঅনুদান প্রদান করা হচ্ছে।

প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ও মহারাজপুর ইউনিয়নেঅনুদানের মাধ্যমে চারটি সোলার অপারেটর এবং দুইটি মিনিপাওয়ার ট্রিলার প্রদান করা হয়েছে।এছাড়াও সাধারণ সহায়তার আওতায় প্রত্যেকটি ফুল চাষি জৈব ব্যবস্থাপনা, পানি ও শক্তি সাশ্রয়ীপ্রযুক্তি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনামূলক কাজ করছে।

আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যামোকাবিলায় এবং ফুলচাষিদের জৈব ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদ করাতে আরআরএফ স্মার্ট প্রকল্প করছে।ফুলচাষি মোঃ নজরুল ইসলামবলেন, আমি দীর্ঘদিন গাঁদা, গোলাপ ও জারবেরাসহ বিভিন্ন ফুলচাষ করি, আরআরএফ স্মার্টপ্রকল্প থেকে একটি মিনিপাওয়ার ট্রিলার পেয়েছি যার মাধ্যমে জমিচাষে আমার শ্রমিক খরচ কমেগেছে, অল্পসময়ে অধিক চাষাবাদ করতে পারছি এবং লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরেক ফুলচাষি সুব্রত বিশ্বাসবলেন, স্মার্ট প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মিনি পাওয়ার ট্রিলার ও কেচো কম্পোস্ট সারকরছি। যার মাধ্যমে চাষবাদে খরচ কমেছে এবং আমি লাভবান হচ্ছি। সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী শামীমহোসেন বলেন, স্মার্ট প্রকল্প থেকে আমি একটি সোলার প্রযুক্তি পেয়েছি যার মাধ্যমে আমার বিদ্যুৎকরচ খুবই কম হচ্ছে, আমার একটি বৃহৎ খরচ সাশ্রয় হচ্ছে।

র্স্মাট প্রকল্পের এনভায়রনমেন্টএন্ড আরইসিপি অফিসার বাপ্পী অধিকারী বলেন, ফুলচাষিদের নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেতাঁর সামগ্রিক চাষাবাদের খরচ কমিয়ে লাভবান করা ও পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিগত চাষাবাদকরানো প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। আরআরএফ’র জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও প্রকল্পের ফোকালপার্রসনকৃষিবিদ ড. অসিত বরণ মন্ডল বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ও পিকেএসএফ সহায়তায় আরআরএফ ধারাবাহিক ভাবেফুলচাষিদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প ও টিস্যু কালচার ল্যাবের মাধ্যমে বিভিন্ন সহায়তা করছে,যা আগামীতে অব্যাহত থাকবে।




ঝিনাইদহে ৪৫১টি মন্ডপে চলছে শারদীয় দূর্গোৎসব

সনাতনি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজা। ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষে গতকাল রবিবারে ষষ্ঠি বোধনের মধ্য দিয়ে পূজা আর্চনার কাজ শুরু হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার মহা বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে উৎসব শেষ হবে।

ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় এবার ৪৫১টি মন্ডপের মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায় শারদীয় দূর্গোৎসব পালন করছে। পূজা উপলক্ষ্যে জেলা পুলিশ ও জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট এর পক্ষ থেকে ব্যপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এ বছর ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১০৪টি, শৈলকুপায় ১২১টি, কালীগঞ্জে ৯৭টি, কোটচাঁদপুরে ৫১টি, মহেশপুরে ৪৬টি এবং হরিণাকুন্ডুতে ৩২টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শৃংখলার সাথে এ অনুষ্ঠান পালন করতে বলা হয়েছে।

জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবার পূজা মন্ডপে নারী-পুরুষ আলাদা প্রবেশদ্বার, মাদকমুক্ত পরিবেশ, মসজিদের পাশে মন্ডপ হলে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে আজান ও নামাজের সময় গান-বাজনা বন্ধ রাখতে হবে এবং পূজা মন্ডপ কেন্দ্রিক কোন মেলার মাঠ বসবে না। এবছর মন্ডপগুলোতে স্থায়ী নিরাপত্তার জন্য পূজা উদযাপন কমিটি কর্তৃক গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবে। অন্যবারের মত আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক মন্ডপে থেকে দায়িত্বপালন করবে। তবে পুলিশ গাড়িতে করে প্রতি নিয়ত টহল দিবে মন্ডপে।

ঝিনাইদহ জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের উপপরিচালক (জেলা কমান্ড্যান্ট) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এবার আনসার সদস্যরা টহল টিম হিসাবে (স্বসস্ত্র) কাজ করবে। আমরা দুইটা ভাগে টহল টিমকে ভাগ করেছি। একটি সাধারণ টহল টিম ও অন্যটি কুইক রেসপন্স টিম। এবছর পুজার নিরাপত্তার জন্য জেলার ৬টি উপজেলায় মোট ১হাজার ২০০ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ৭৯২জন আনসার সদস্য কাজ করছেন। পুলিশও এবার টহল ভিত্তিক কাজ করবে। তবে এবার পূজা উযদাপনে সরকারি বাড়তি নীতি আরোপের কারণে বিগত বছরের তুলনায় বেশি সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ এমনটিই জানানো হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।

পুলিশ সুপার মনজুর মোর্শেদ জানিয়েছেন মন্ডপ ভিত্তিক পরিদর্শন করবে পুলিশের কর্মকর্তারা। তাদের গঠিত স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং মন্ডপের নিরাপত্তায় সুরক্ষায় ডাইরেক্টরি এ্যাপস চালু করা হয়েছে। পুজি উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির কোন সুযোগ নেই।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এবার মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া মন্ডপে ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মন্ডপের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দেখভাল করছেন। আশাকরি পুজা সুষ্ঠু এবং উৎসবমূখর পরিবেশে সমাপ্ত হবে।




প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় মেহেরপুরে স্থগিত জেমসের কনসার্ট

মেহেরপুরে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় সূর্য ক্লাব মেহেরপুরের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জেমসের কনসার্টের টিকিট সেলসহ সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কনসার্টের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ক্লাব কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

সূর্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ স্ট্যাটাসে জানিয়েছে, মাত্র তিন দিন টিকিট বিক্রির সুযোগ হয়েছিল। ওই সময় সীমিত সংখ্যক টিকিট বিক্রি হয়। ইতোমধ্যে টিকিট ক্রেতাদের নাম ও ফোন নম্বর এন্ট্রি আকারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। টিকিট রিফান্ডের সিদ্ধান্ত যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

ক্লাবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কনসার্টের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্তমানে কোনো টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। কোনো প্রতারক চক্রের মাধ্যমে টিকিট কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত হয়ে প্রতারণার শিকার না হওয়ার।