কোটচাঁদপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে কোটচাঁদপুর পৌর পাঠাগারের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কোটচাঁদপুর বাজারের পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশের শূরা সদস্য, বিভিন্ন ভাষার গবেষক এবং ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রফেসর মতিয়ার রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আমীর মাওলানা তাজুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারি শাহাবুদ্দিন খান, পৌর আমীর মুহাদ্দিস আব্দুল কাইয়ুম, পৌর সেক্রেটারি মাহফুজুল হক মিন্টু প্রমুখ। এছাড়া সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুয়াবিয়া হুসাইন, সাবেক আমীর মাস্টার আজিজুর রহমান, মাস্টার মশিয়ার রহমান, মাস্টার রেজাউল ইসলাম, সাফদারপুর ইউনিয়ন আমীর মাওলানা নুরুন্নবী, দোড়া ইউনিয়ন আমীর ও সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, কুশনা ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আতিকুল ইসলাম, বলুহর ইউনিয়ন আমীর ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম, এলাঙ্গী ইউনিয়ন আমীর জাহিদুল ইসলাম আওয়াল সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মতিয়ার রহমান বলেন, জামায়াতের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন ছাড়া দেশে শান্তি ফিরবে না। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় এ দাবি জনগণের দাবি।” তিনি জামায়াতের ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন।

সমাবেশ শেষে প্রফেসর মতিয়ার রহমান নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।




মেহেরপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

৫ দফা দাবির মধ্যে ছিল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত করা, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, গণহত্যার বিচারসহ অন্যান্য দাবি।বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের কোর্ট মোড় থেকে শুরু হয়ে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক মোঃ খাদিমুল ইসলাম।

এছাড়াও এসময় জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সদর থানা সভাপতি মাওলানা সালাউদ্দিন, মুজিবনগর থানা সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা আশরাফ শাহাজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে জেমসের কনসার্টের অনুমোদন না দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী গুরু জেমসের কনসার্টের প্রশাসনিক অনুমোদন না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে সূর্য ক্লাব মেহেরপুর। আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ক্লাবের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে সূর্য ক্লাবের সভাপতি নাহিদ মাহমুদ সানি জানান, ক্লাবের গ্র্যান্ড ওপেনিং সেরিমনি উপলক্ষে আগামী ১০ অক্টোবর শহরের উপকণ্ঠে গোভিপুর স্কুল মাঠে “গুরু জেমস লাইভ ইন মেহেরপুর কনসার্ট ২০২৫” আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়। ইতিমধ্যে নগর বাউল ব্যান্ডের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা গত ১০ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করি। জেলা প্রশাসক আবেদনটি পুলিশ সুপারের কাছে প্রেরণ করেন। তবে এখনো পর্যন্ত অনুমোদন মেলেনি। এরই মধ্যে কনসার্টের প্রচার-প্রচারণা ও টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক সহযোগিতা না পাওয়ায় আমরা হতাশ। মেহেরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এই কনসার্টকে ঘিরে।

অনুষ্ঠানস্থল ও শিল্পীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, আনসার সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, বিএনসিসি, রেডক্রিসেন্ট, স্কাউটসহ বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পানির বোতল, লাইট, ধাতব জিনিস, মাদকদ্রব্য, সিগারেট ও পুরুষ দর্শকদের ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ থাকবে।

ক্লাব কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের প্রতি কনসার্টের অনুমোদন এবং জেমসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে। এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসিম রানা বাঁধনসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা কেরু চিনিকল স্মরণকালের রেকর্ড ভেঙ্গে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন

চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরুজ চিনিকল। এবার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের স্মরণকালের রেকর্ড ভেঙ্গে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে।

বিগত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সরকারকে ১৪০ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েও ১৩০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে স্বরণকালের রেকর্ড ভেঙ্গেছে চিনিকলটি।কেরু এ্যাড কোম্পনীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এফসিএমএ রাব্বিক হাসান জানান, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর যোগদানের পর থেকেই আমি শ্রমিক কর্মচারী ও কৃষকদের পাশে থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে কেরুকে লাভজনক অবস্থায় আনতে সক্ষম হয়েছি। আখচাষিদের সাথে সভা-সমাবেশ ও প্রশিক্ষণ কার্ অব্যাহত রেখে চলেছি। কৃষকদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করণের পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি আগামীতেও ৯টি চিনিকলের মধ্যে দর্শনা কেরু চিনিকল লাভজনক অবস্থায় আনতে সক্ষম হবো।কেরু অন্যান্য বিভাগে লাভজনক আনতে সক্ষম হয়েছি তেমনি চিনিকলকেও লাভজনক অবস্থায় আনতে সক্ষম হবো বলে আশাবাদী। এ দিকে বাংলাদেশ সরকার কৃষকদের কথা বিবেচনা করেই বারবার আখের মূল বৃদ্ধি করেছে।

চিনি কারখানার দশা যা হোক না কেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ শিল্প করপোরেশন থেকে প্রতি বছরের আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা বেধে দিতে কমতি করেন না কর্তাবাবুরা। দেশের সবগুলো চিনিকল যখন লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে গভীর জলে হাবুডুবু খাচ্ছে, তখন সরকারকে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব দিয়েও মুনাফা অর্জন করছে কেরুজ কমপ্লেক্স। কেরুজ কমপ্লেক্সে প্রতিষ্ঠাকালের সকল রেকর্ড ভেঙে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেও মুনাফা অর্জন হয়েছে সর্বচ্ছ। সরকারের রাজস্ব খাতে ১৪০ কোটি ও চিনি কারখানার প্রায় সাড়ে ৬২ কোটি লোকসান পুষিয়েও মুনাফা অর্জন হয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। যা চিনিকল প্রতিষ্ঠার ৮৮ বছরের সকল রেকর্ড ভেঙ্গেছে। কেরুজ কমপ্লেক্স আরও লাভজনক করতে গ্রহণ করা হয়েছে নানামুখি পদক্ষেপ। আধুনিক প্রযুক্তিতে আখ চাষ করায় আগামী মাড়াই মৌসুমে চিনি কারখানায় লোকসানের বোঝা কমতে পারে অনেকাংশে। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কেরুজ কমপ্লেক্সের বয়স পেরিয়েছে ৮৮ বছর।

জোড়াতালি দিয়েই বারবার আখ মাড়াই মরসুমের কার্যক্রম চালু করা হয়ে থাকে। খানেকটা খুড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোনোভাবে শেষ করা হয় আখ মাড়াই কার্যক্রম। লাগাতার যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ে নাজেহালে হতে হয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। ভিন্নতায় ডিস্টিলারী কারখানা। ডিস্টিলারি বিভাগে ফরেণ লিকার উৎপাদনে অটোমেশিন স্থাপন করা হয়েছে গত বছরে। পূর্ণতা পাবে দেশীয় মদ বোতলজাতকরণে আধুনিক মেশিন স্থাপন করা হলে। এ ছাড়া মিলের প্রতিটি বিভাগেই উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। চিনি কারখানা বিএমআরই করণ প্রায় শেষের দিকে। তাছাড়া কয়েকটি বিভাগে উন্নয়নের কাজ হয়েছে সম্প্রতিকালে। চিনি কারখানা আধুনিকায়নের কাজ শেষ হলেও কমতে পারে লোকসান।এর পাশপাশি কৃষকরা আখ চাষ বাড়াতে হয়তো লোকসানের রেকর্ড ভেঙ্গে লাভের মুখও দেখতে পারে চিনিকল কারখানা। গত আখ মাঁড়াই মৌসুমে ৫ হাজার ১শ একর জমিতে আখচাষ ছিলো।

যাঁর মধ্যে কৃষকের জমির পরিমান ৩ হাজার ৪৫৫ ও কেরুজ নিজস্ব জমিতে ছিলো এক হাজার ৬৪৫ একর আখ। ৬৫ মাড়াই দিবসে ৭০ হাজার মেট্রিকটন আখা মাড়াইয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারিত ছিলো। আখ মাড়াইয়ের গড় হার ছিলো এক হাজার ১৫০ মেট্রিকটন। চিনি আহরণের ‘গড় হার নির্ধারণ করা ছিলো ৬ দশমিক শূন্য শতাংশ। চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ৪ হাজার ২শ মেট্রিকটন। চিনি কারখানা বড় ধরণের তেমন কোন যান্ত্রিক ত্রুটির কবলেও পড়তে হয়নি। গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ৫২ মাড়াই দিবসে আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। সে সময় পর্যন্ত কেরুজ নিজস্ব সহ কৃষকদের প্রায় এক হাজার ৪শ একর জমিতে আখ ছিলো। ওই আখ ২৫ ফেব্রুয়ারিতে বিএমআরই (আধুনিকায়ন) চিনি কারখানায় মাড়াইয়ের মাধ্যমে উদ্বোধন’ করার প্রস্তুতি মূলক রাখা হয়। অবশেষে সে গুড়ে বালি পড়ে। ২৫ ফেব্রুয়ারি আধুনিকায়নকৃত কারখানার পাউয়ার টার্বাইন সমস্যা জনিত কারণে তা সম্ভব হয়নি।

চিনিকল কর্তৃপক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যনুযায়ি গত মৌসুমে আখ মাড়াই করা হয়েছিলো প্রায় ৭২ হাজার মেট্রিকটন। চিনি উৎপাদন হয় ৩ হাজার ৬৮৪ মেট্রিক টন উৎপাদিত চিনির মধ্যে বিক্রি হয় ২ হাজার ৩৮২ দশমিক ৭৫ মেট্রিকটন। ফলে চিনি কারখানায়। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কর্তৃপক্ষের লোকশান হয়েছে ৬২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ দিকে ওই অর্থ বছরে কেরুজ ডিস্টিলারী বিভাগে ফরেণ লিকার উৎপাদন হয়েছে ২’ লাখ ৫ হাজার ২২০ কেচ। উৎপাদিত ফরেণ লিকারের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৬৯৮ কেচ। সিএস (দেশীয় মদ) উৎপাদন হয়েছে ২৪ লাখ ৮৯ হাজার প্রুফি লিটার। বিক্রি হয়েছে ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩৬০ প্রুফ লিটার। ভিনেগার উৎপাদিত হয়েছে ২১ হাজার লিটার। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ফরেণ লিকার ও দেশীয় মদ উৎপাদন বিক্রির পরিমান অনেক গুনে বেশী হলেও গত অর্থ বছরে মুনাফা অর্জনের পরিমান বেশী। নেপথ্যে রয়েছে গত অর্থ বছরের শুরুর দিকেই ফরেণ লিকার ও দেশীয় মদের মূল্য বৃদ্ধি। এ ছাড়া দেশীয় মদ বোতলজাত করণের কারণেও অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন হয়েছে। অনিরিক্ষিত তথ্যনুসারে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কেরুজ ৬টি বিভাগের মধ্যে ৫টিতেঁই মুনাফা অর্জন হয়েছে। চিনি কারখানায় ৬২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লোকসান হলেও ডিস্টিলারী কমপ্লেক্স বিভাগে মুনাফা অর্জন হয়েছে ১৯০ কোটি ২৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। বানিজ্যিক খামারগুলো থেকে মুনাফা অর্জন হয়েছে ৩৬ লাখ ৯ হাজার টাকা। আকন্দবাড়িয়া পরিক্ষামূলক খামার থেকে মুনাফা অর্জন হয়েছে ৩৩ লাখ ২ হাজার টাকা ও আকন্দবাড়িয়া জৈব সার কারখানায় ৭৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা মুনাফা অর্জন হয়েছে।




মেহেরপুরে ভৈরবে গোসলে নেমে ১৭ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

মেহেরপুরের ভৈরব নদে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর মোহাইমিনুল ইসলাম (১৫) নামের এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল।

আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মোহাইমিনুল সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শুভরাজপুর গ্রামের শিমুল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪ বন্ধু ভৈরব নদে গোসল করতে যায়। তাদের মধ্যে মোহাইমিনুল সাঁতার জানত না। সে নদীর কূলে বসে থাকলেও এক পর্যায়ে পানিতে পড়ে যায়। তার বন্ধুরা সাথে সাথে স্থানীয়দের খবর দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টা করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালালেও ব্যর্থ হয়ে খবর দেন খুলনার ডুবুরি দলকে।

আজ সকালে খুলনা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ রেসকিউ (ডুবুরি) টিম নদীতে তল্লাশি চালিয়ে ভাসমান অবস্থায় মোহাইমিনুলের মরদেহ উদ্ধার করে।

মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে।




পিআরসহ ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে ঝিনাইদহে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবীতে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পোস্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল আওয়ালের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল আলিম, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা তাজুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি কাজী সগির আহমদ, শহর শাখা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন।

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে বক্তারা জুলাই সদন বাস্তবায়ন করে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ কেন্দ্রীয় ঘোষিত ৫ দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।




গাংনীতে ভারতীয় ওয়ান শুটার গান ও গুলিসহ যুবক আটক

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি ভারতীয় ওয়ান শুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলিসহ সুমন আহম্মেদ সৌমিক (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১২ ক্যাম্পের সদস্যরা। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আটককৃত সুমন আহম্মেদ সৌমিক কাজিপুর গ্রামের বাদিয়াপাড়ার তাইজেল ইসলামের ছেলে।

মেহেরপুর সিপিসি-৩ র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার ওয়াহিদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, সৌমিক নিজ বাড়িতে অস্ত্র রেখে অবস্থান করছে। পরে র‍্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর ভিত্তিতে একটি ভারতীয় ওয়ান শুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।




শৈলকুপায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক দুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলা শহরের কবিরপুর রামকৃষ্ণ মন্দিরের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কাঁসা-পিতলের থালা-বাসন লুট করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক প্রতাপ কুমার সরকার জানান, রাত ১টার দিকে ক্রিকেট খেলা দেখা শেষ করে ঘরের মধ্যে খাবার খাচ্ছিলেন তারা। সে সময় একদল ডাকাত বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রতাপ কুমারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৭০ হাজার টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার ও কাঁসা-পিতলের থালা-বাসন লুট করে নিয়ে যায়।

প্রতাপ কুমার বলেন, ডাকাতদের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হবে। আমি চাই দ্রুত এই অপরাধীদের যেন গ্রেফতার হয়।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ঘটনার পর রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুতই এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব।




গত ১৭ বছর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ছিল রাজনৈতিক আশ্রয়কেন্দ্র

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য নয়, মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হবে। আর এই দায়িত্ব নিয়েছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। সকলের কাছে আমরা স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেব ইনশাআল্লাহ। প্রতিটি মানুষের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা আমরা করব।

ইতিমধ্যেই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হয়েছে। আশা করছি যে কোনো স্বাস্থ্যসেবা আপনারা সেখানে গেলে পাবেন। বিএনপির ৩১ দফার আলোকে ২৬ নম্বর পয়েন্টে যে কথা বলা রয়েছে সবার জন্যই স্বাস্থ্য এবং মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হবে।

আজ শুক্রবার সকালে মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসকল কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো যেগুলো স্থাপন করেছিলেন জিয়াউর রহমান, পরবর্তীতে পুনরায় সেগুলো স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এই ১৭ বছরে সেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সমস্ত ক্লিনিকগুলো হয়ে গিয়েছিল পলিটিকাল আশ্রয়কেন্দ্র। সেগুলো কোনো স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে পড়ে না।

এই নির্বাচনের আগে আমরা ২০ থেকে ৩০টা মেডিকেল ক্যাম্প করব। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমাদের জেলা বিএনপির সকল সদস্য আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আনছারুল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, আবু সালেহ নাসিম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুমানা আহম্মেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা প্রমুখ।

জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান আরো জানান, আজ দিনব্যাপী মেহেরপুরের অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে, পাশাপাশি তাদেরকে বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রতি মাসে এই মেডিক্যাল ক্যাম্প আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিরা জানান চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে খুশি তারা।




রাতের আঁধারে গাংনীর মোহাম্মদপুর মাঠ থেকে দুটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি

রাতের আঁধারে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের ঘাট পাড়ার মাঠ থেকে দুটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার (কেভি) চুরি করেছে চোরের দল। ওই মাঠে এখন ধান, কলাই সহ বিভিন্ন সবজি ফসলের চাষাবাদের মৌসুম চলছে। ফসল চাষে কৃষকদের একমাত্র ভরসা বৈদ্যুতিক মোটর।

রাতের আঁধারে মোটরের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় চিন্তিত কৃষকেরা। আজ শুক্রবার রাতের কোন এক সময় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরির এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঘাটপাড়ার এই মাটিতে প্রায় ৩০০ বিঘা জমির চাষাবাদ হয় বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে। মোটরের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার রাতের আঁধারে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষকরা।

ওই মাঠের কৃষক সোহেল রানা বলেন, আমার পাতাকপি, ধানসহ ১০ বিঘা জমিতে আবাদ রয়েছে এই মাঠে। এভাবে রাতের আঁধারে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ছোট ভাবে না দেখে এটির গভীর তদন্ত দরকার। একটি ট্রান্সফরমার পল্লী বিদ্যুৎ থেকে নিয়ে আসতে হলে পায়ের জুতা ক্ষয় হয় তারপর পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বামন্দী সাবজোনাল অফিসের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।