গত ১৭ বছর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ছিল রাজনৈতিক আশ্রয়কেন্দ্র

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য নয়, মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হবে। আর এই দায়িত্ব নিয়েছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। সকলের কাছে আমরা স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেব ইনশাআল্লাহ। প্রতিটি মানুষের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা আমরা করব।

ইতিমধ্যেই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হয়েছে। আশা করছি যে কোনো স্বাস্থ্যসেবা আপনারা সেখানে গেলে পাবেন। বিএনপির ৩১ দফার আলোকে ২৬ নম্বর পয়েন্টে যে কথা বলা রয়েছে সবার জন্যই স্বাস্থ্য এবং মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হবে।

আজ শুক্রবার সকালে মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসকল কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো যেগুলো স্থাপন করেছিলেন জিয়াউর রহমান, পরবর্তীতে পুনরায় সেগুলো স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এই ১৭ বছরে সেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সমস্ত ক্লিনিকগুলো হয়ে গিয়েছিল পলিটিকাল আশ্রয়কেন্দ্র। সেগুলো কোনো স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে পড়ে না।

এই নির্বাচনের আগে আমরা ২০ থেকে ৩০টা মেডিকেল ক্যাম্প করব। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমাদের জেলা বিএনপির সকল সদস্য আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আনছারুল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, আবু সালেহ নাসিম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুমানা আহম্মেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা প্রমুখ।

জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান আরো জানান, আজ দিনব্যাপী মেহেরপুরের অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে, পাশাপাশি তাদেরকে বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রতি মাসে এই মেডিক্যাল ক্যাম্প আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিরা জানান চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে খুশি তারা।




রাতের আঁধারে গাংনীর মোহাম্মদপুর মাঠ থেকে দুটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি

রাতের আঁধারে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের ঘাট পাড়ার মাঠ থেকে দুটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার (কেভি) চুরি করেছে চোরের দল। ওই মাঠে এখন ধান, কলাই সহ বিভিন্ন সবজি ফসলের চাষাবাদের মৌসুম চলছে। ফসল চাষে কৃষকদের একমাত্র ভরসা বৈদ্যুতিক মোটর।

রাতের আঁধারে মোটরের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় চিন্তিত কৃষকেরা। আজ শুক্রবার রাতের কোন এক সময় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরির এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঘাটপাড়ার এই মাটিতে প্রায় ৩০০ বিঘা জমির চাষাবাদ হয় বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে। মোটরের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার রাতের আঁধারে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষকরা।

ওই মাঠের কৃষক সোহেল রানা বলেন, আমার পাতাকপি, ধানসহ ১০ বিঘা জমিতে আবাদ রয়েছে এই মাঠে। এভাবে রাতের আঁধারে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ছোট ভাবে না দেখে এটির গভীর তদন্ত দরকার। একটি ট্রান্সফরমার পল্লী বিদ্যুৎ থেকে নিয়ে আসতে হলে পায়ের জুতা ক্ষয় হয় তারপর পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বামন্দী সাবজোনাল অফিসের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।




তোপের মুখে অফিস ছেড়ে পালালেন তহশিলদার!

জমির খাজনা ও নামজারিসহ ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা নিতে আসা ভূমি মালিকদের দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে। কাজ করে নিতে হাতে পায়ে ধরতে হচ্ছে তহশিলদারের। অনিয়মিত অফিসে আসা-যাওয়া ও সরকারের নির্ধারিত সময়ে অফিস না করা তহশিলদারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগ নিত্যদিনের। স্থানীয় এসিল্যান্ড ও ইউএনওকে বলেও কোন সুরাহা না পাওয়া ভুক্তভোগীরা ফুঁসে উঠলে অফিস ছেড়ে পালালেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তহশিলদার। গোপনে মাইক্রোবাস ডেকে লাফিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আতিকুর রহমানের। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় এলাকায় চরম চাঞ্চল্য ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনার পর থেকে অফিস করছেন না এই কর্মকর্তা।

আতিকুরকে সরিয়ে দক্ষ একজন তহশিলদারকে এ অফিসে যোগদান করানোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার জাকির হোসেনের মৃত্যুর পর অফিসের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। ১৫ দিন পরে চুয়াডাঙ্গার আতিকুর রহমান নামের একজন যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই শুরু হয় ভূমি মালিকদের হয়রানি ও দুর্ভোগ। জেলার সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন খ্যাত সাহারবাটীতে এসে ভূমি সেবা দিতে হিমশিম খেয়ে ওঠেন আতিকুর রহমান।

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে ভূমি সংক্রান্ত কাজে নানা অজুহাতে হয়রানি করে আসছিলেন। ভূমি উন্নয়ন করের অনুমোদন কিংবা নামজারি কেসের রিপোর্ট দিতে গড়িমসি করতেন তিনি।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর একাধিক ভূমি মালিক জমি-জমা সংক্রান্ত কাজে অফিসে গেলে তিনি নামজারি কেসের রিপোর্টসহ অন্যান্য সেবা দিতে ব্যর্থ হন। এ সময় সাধারণ মানুষ তার কাছে কাজ সম্পন্ন না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

এ সময় উপস্থিতরা তাকে প্রশ্ন করেন এটা সরকারি অফিস, আমরা যদি না আসি তাহলে আপনারা অফিস খুলে বসে আছেন কেন? আপনারা তো আছেন জনগণের সেবার জন্য। জবাবে আতিকুর রহমান ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, না, আমি জনগণের সেবার জন্য নই, আমি আছি সরকারি অফিস রক্ষা করার জন্য।

এমন পরিস্থিতির পর কাজের চাপে ও জনগণের তোপের মুখে তিনি হঠাৎ অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এখনো অফিসে আসেননি।

ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন, ইয়ারুল ইসলাম, আলী হোসেন, লিয়াকত, আব্দুল হামিদ, আনিসুর রহমান, শহিদুল, মুকুল মহরী, নজরুল মাস্টার, আনিস মাস্টার, তোফাজ্জেল, সাইফুল ইসলাম, শামসুল ইসলাম ও এনায়েত আলীসহ অসংখ্য সেবাপ্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান যোগদানের পর থেকেই ভূমি মালিকরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জমির হোল্ডিং খোলা, নামজারি কেসের রিপোর্ট প্রদান, খাজনা পরিশোধসহ প্রতিটি কাজে ইউনিয়নবাসীকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে দক্ষ একজন তহশিলদারকে এ অফিসে যোগদান করানোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিদ হোসেন বলেন, অফিসে একটু ঝামেলা হয়েছিল এমন কথা শুনেছি। তিনি মৌখিকভাবে অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। যদি তিনি আর সেখানে যোগদান না করেন, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি কেন অফিসে আসছেন না, সে বিষয়ে আমি জানি না। তবে বিষয়টি আমাদের কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছি।




এক আইনজীবীসহ চার জনের বিরুদ্ধে সাবেক মেয়রের মামলা

এক আইনজীবীসহ চারজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী ও মানহানির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ মোতাছিম বিল্লাহ মতু।

গতকাল বৃহস্পতিবার মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক সদর থানাকে এফআইআর এর নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামীরা হলেনে আইনজীবী অ্যাড. মিজানুর রহমান, কসারীপাড়ার মৃত আছাব আলীর ছেলে মোঃ মহব্বত, বন্দর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে মোঃ ঝন্টু ও পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়ার মৃত তমাল খাঁর ছেলে মোঃ মিঠন

মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, গত ২৫ বছর ধরে মেয়রসহ বিভিন্ন পদে জন প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে রাজনৈতিকভাবে নানা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে দায়িত্ব পালন করেছি।

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে এক শ্রেণির লোক তাকে নানা উপায়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

গত ২ জুন সকাল ১১টার দিকে জেলা জজ আদালত থেকে ফেরার পথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পৌছালে স্টেডিয়াম পাড়ার মোঃ শাহাবুদ্দীনের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩৮), কসারীপাড়ার মৃত আছাব আলীর ছেলে মোঃ মহব্বত, বন্দর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে মোঃ ঝন্টু ও পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়ার মৃত তমাল খাঁর ছেলে মোঃ মিঠন পথরোধ করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদদাতা ও জামাত নেতা তারিক হত্যা মামলায় আসামি বানিয়ে মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।

পরে গত ৬ জুলাই সকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর বিকৃত ছবি ব্যবহার করে অপমানজনক পোস্টার সাঁটানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সিসি ফুটেজে কয়েকজনকে পোস্টার সাঁটাতে দেখা যায় এবং তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে ১নং আসামি মিজানুর রহমান মিজানের নির্দেশে কাজ করেছে।




মেহেরপুরে দুর্গোৎসবের ঢেউ: অতীতের আলো, বর্তমানের আশ্বাস 

পঁচাত্তর বছরেরও আগে, মেহেরপুরের গ্রামের মাঠে, কলার খুঁটির ছায়ায় গড়া হত দুর্গামণ্ডপ। প্রতিমা তখন মাটির নয়নজুড়ে সীমাবদ্ধ থাকলেও, বিশ্বাসের দীপ্তি ছিল অপার। ধানের খেত থেকে ফিরে আসা কৃষকেরা যেমন হাতে মাটির ঢেলা নিয়ে দেবীর সামনে দাঁড়াতেন, তেমনি সন্ধ্যার আলোয় গ্রামের শিশুরা আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকত রঙিন কাগজের ঝালর আর মাটির প্রদীপে।

কালের পরিক্রমায়, সেই মণ্ডপে এখন উঠে এসেছে থার্মোকল-তুলির বাহার, বৈদ্যুতিক আলো আর ডিজিটাল ঢাকের শব্দ। তবে, রয়ে গেছে একটি অদৃশ্য সুতো যা ধর্মকে ছাপিয়ে মানুষে মানুষে মিলনের উৎসবে পরিণত করেছে দুর্গাপূজাকে।

চলতি বছর, মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলায় (সদর, গাংনী ও মুজিবনগর) মিলিয়ে ৪৩টি দুর্গাপূজার মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। মণ্ডপগুলোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে কোথাও রঙতুলির শেষ আঁচড়, কোথাও লাইটিংয়ের পরীক্ষামূলক চালনা।

শহর থেকে গ্রাম সবখানেই যেন দেবী পূজাকে ঘিরে ছুটে চলেছে উৎসবের বাতাস। হালদারপাড়া,  ভবেরপাড়া, আনন্দবাস, দারিয়াপুর, ভবানীপুর প্রতিটি জায়গাতেই আলাদা আবহ, আলাদা আয়োজন। তবে এক জায়গায় সবার মিল, ভক্তি আর সম্প্রীতির মেলবন্ধন।

পূজাকে ঘিরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে জোরদার পদক্ষেপ। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভা, যাতে অংশ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তারা, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সভায় নিশ্চিত করা হয় প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা দিতে থাকবে আনসার সদস্য, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিজিবির সহায়তা। যা ইতোমধ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

স্থানীয় রাজনীতিকদের মধ্যে বেশ ক’জন ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। মণ্ডপ উদ্বোধন, দান বা শুভেচ্ছা জানানোর ঘটনা একাধিক। যদিও সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অর্থায়নের তথ্য মেলেনি, তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহানুভূতি ও উপস্থিতি সমাজে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এবারই প্রথম পূজোর একটি উল্লেখযোগ্য দিক রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে একযোগে অংশগ্রহণ।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অশোক চন্দ্র বিশ্বাস  বলেন, দলের চেয়ে বড় উৎসব, ধর্মের চেয়ে বড় মিলন। এখানে আসলে সবাই এক, আমরা শুধু দেবী দুর্গার আশীর্বাদ চাই সব মানুষের মঙ্গল হোক। তবে, আশার পাশে ছিলো কিছু চ্যালেঞ্জও। শহর এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও অতিরিক্ত ভিড় সামলানো এক সমস্যা, আবার গ্রামাঞ্চলে রয়েছে প্রতিমা পরিবহন ও বাজেট সংকট। যা প্রশাসন ও  রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সব ধরণের সহায়তা করছে।

মেহেরপুর জেলা কালি মন্দিরের পুরোহিত তপন বন্দোপাধ্যায় বলেন পূজা মানে শুধু ধর্ম নয়, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর সামাজিক বন্ধন। যত দিন যাচ্ছে, ততই অর্থসঙ্কটে পূজার মহিমা   হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। যদিও এবার সে সমস্যা নাই।   প্রতিমার চোখে এখনো দেখা যায় এক ধরনের শান্ত বিশ্বাস যেন সব কিছুর পরেও, মানবতা ও শুভবোধের জয় হবেই। ঢাকের তালে তালে, সিঁদুরের উজ্জ্বলতায়, সন্ধ্যার আরতিতে, আজও জেগে থাকে সেই চিরচেনা মেহেরপুর যেখানে উৎসব মানেই একসঙ্গে থাকা, ভেদাভেদের দেয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়া।

গৃহবধূ পল্লবী সাহা বলছেন, পুজো মানেই নতুন শাড়ি, সিঁদুর, মিষ্টি, আর নতুন আলপনার ছোঁয়া। সন্তানদের খুশি করতেই এখন একটু হিসেব করে চলতে হয়। তবুও উৎসব থেমে থাকে না। কারণ পুজো তো শুধু কেনাকাটা নয়, এ এক আবেগ, এক ঐতিহ্য।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক। ট্রাফিক ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও মণ্ডপে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যানজট নিরসনে কাজ করছে অতিরিক্ত ফোর্স।

জেলা প্রশাসক মো. আবদুল সালাম বলেন, উৎসব যেন নির্বিঘ্নে, শান্তিপূর্ণভাবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়, সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। দেবীর দশভুজায় যেন স্থান পায় অসাম্প্রদায়িক চেতনা, যেন তাঁর অস্ত্র শুধু মহিষাসুর নয় বিভেদের কালো ছায়াকেও নির্মূল করে এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।




আলমডাঙ্গা নাগদাহতে বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গা উপজেলা নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপি’র উদ্যোগে কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপি ও সমর্থক গোষ্ঠীদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জনাব আব্দুর রশিদ হেবা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, আনিসুর, রহমান আনিচ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন, আলমডাঙ্গা উপজেলা, যুবদলের, যুগ্ম আহ্বায়ক, মোঃ মাগরিব হোসেন।

উক্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপি সমর্থক গোষ্ঠী, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।




আলমডাঙ্গা জামায়াতে ইসলামী ডাউকি শাখার নির্বাচনী সভা

আলমডাঙ্গা জামায়াতে ইসলামী ডাউকি ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে নির্বাচনী সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছত্রপাড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় মাগরিবের নামাজের পর সাধারণ মানুষের সুখে দুঃখে তাদের পাশে থাকার জন্য প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা এ্যাডঃ মাসুদ পারভেজ রাসেল। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরুলেও এদেশে সাধারণ মানুষের ভাগ্যে কোন পরিবর্তন ঘটেনি। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে দাড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে কোরআনের আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আইন আদালত বিষয় সম্পাদক দারুসসালাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি তরিকুল ইসলাম, উপজেলা মসজিদ মিশনের সভাপতি আব্দুল মান্নান, ডাউকি ইউনিয়ন শাখার আমির সজিবুর রহমান, সেক্রেটারী ডাঃ আব্দুস সালাম সহকারী সেক্রেটারি মোঃ শরিফুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন যুব বিভাগের সেক্রেটারি নওশাদ আলী, মুন্সি আব্দুস সালাম, শিলু আবুছদ্দিন,এনামুল,আলম, কলমসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি সাইদুর রহমান এবং সঞ্চালন করেন, ওয়ার্ড সেক্রেটারি মেহেদী হাসান সলোক।




আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়াতে ওপেন হাউজ ডে মতবিনিময় সভা 

আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়াতে ওপেন হাউজ ডে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার সময় আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়াতে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আলমডাঙ্গা থানা কর্তৃক আয়োজিত ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসময় আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুর রহমানের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। তিনি বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশাজীবী ও বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে। সুদীর্ঘ সময় ধরে পুলিশ জনগণের সাথে মিলেমিশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশকে জনবান্ধন করতে এবং পুলিশের মধ্যে বিদ্যমান অসঙ্গতি দূর করতে ও স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে কাজ করছে পুলিশ সংস্কার কমিশন।

জুলাই-আগস্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনগণের মধ্যে যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে উত্তম পুলিশি সেবা দিয়ে দূর করতে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে। জনগণের সাথে মিলেমিশে আমরা একটি সুন্দর সুশৃঙ্খল ও ন্যায় ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নে এই প্রথম এসে আমি জানতে  পেরেছি ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন এলাকায় মাদকের রমরামা ব্যবসা চলে।ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন এমন একটি জায়গা যেখান থেকে

আমার কাছে প্রতিনিয়ত সংবাদ আসে মাদক, বাল্য বিয়ে মানব পাচার ও চাঁদাবাজি, দখলদারির মতো সকল অপকর্ম। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা মাদকমুক্ত বাল্য বিয়ে ও চাঁদাবাজি দখলদারি মুক্ত  করতে পারব।

অনুষ্ঠানে আরও  উপস্থিত ছিলেন, ভাংবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি কাইয়ুম উদ্দিন হীরক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ,ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন লাড্ডু,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু সুলতান,সহ-সভাপতি মজিরুল ইসলাম বিজু, সাধারণ সম্পাদক আতাউল হুদা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মাবুদ, ইউনিয়ন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক সাইফুল হুদা সোহেল, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক ও মাথাভাঙ্গা পত্রিকার ভ্রাম্যমাণ সাংবাদিক মুর্শিদ কলিন,দৈনিক সময়ের সমীকরন পত্রিকার সাংবাদিক সেলিম রেজা,সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাসেল হুদা ছাত্রদল সভাপতি ইমন আলী, উপজেলা যুবদলের সদস্য সেলিম রেজা,সাইফুল ইসলাম বদর,আবুল কালাম, মহিদুল ইসলাম,ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম জুরাল কসাই, ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন আমীর খন্দকার মাসুদুর রহমান, জমির উদ্দিন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপ’র সভাপতি মতিয়ার রহমান,সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ। সাবেক যুবদল সভাপতি ঝন্টু মিয়া বিএনপি নেতা রশিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শুভ আব্দুল হাকিম, আলিহিম মেব্বার, বিএনপি নেতা লিমন মিয়া, হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্প আইসি হাফিজুর রহমান হাফিজ, এএসআই সোহেল রানা, এএসআই নাসিরুদ্দিন, কনস্টেবল সাইদুর রহমান উজ্জল হোসেন প্রমুখ।




দামুড়হুদায় আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

দ্বাদশ শ্রেনীর ক্লাসে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও উপস্থিতির হার বৃদ্ধি করণ উপলক্ষ্যে দামুড়হুদার আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজের আয়োজনে কলেজ মিলায়তনে এই অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আশাবুল হক, মন্জুরুল কাদির, হাবীবুর রহমান, এস এম ওয়াজেদুল হাসান টুটুল শাহ, জাহাঙ্গীর আলম।

প্রভাষক মিল্টন কুমার সাহার সঞ্চালায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, মরিয়ম খাতুন, আসাফ- উদ- দৌলা, আনিসুজ্জামান মল্লিক,শরিফুল ইসলাম, নূর কুতুব আলী, আব্দুল আলীম, মাহফুজা খাতুন, প্রভাষক নাসরীন নাহারসহ কলেজে অধ্যায়ণরত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ।

অভিভাবক সমাবেশে বক্তারা কলেজে ছাত্র – ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও নিয়মিত উপস্থিতির হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বক্তব্যে বলেন আমাদের ক্ষেত খামার, চাকরি, ব্যবসাসহ জীবন ধারণের জন্য আমরা নিয়মিত যে সময় ও মূলধন ব্যয় করি ঠিক তেমন ভাবে নিয়ম করে প্রতিদিন আমরা যারা ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক আছি আমাদেরকে নিয়মিত, আমার সন্তানের শিক্ষার মান ও সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সময় ও মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে। কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। আমার সন্তান কোথায় যায়, কী করে, কাদের সঙ্গে মেলামেশা করে নিয়মিত খোজ খবর নিতে হবে। ছাত্র ছাত্রীদের মুঠোফোন ব্যবহারের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। নিয়মিত কলেজে  যাচ্ছে কিনা, লেখা পড়া করেছে কীনা কলেজের শিক্ষকদের সাথে অভিভাবক হিসাবে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। ডিজিটাল যুগে আমাদের উঠতি বয়সী সন্তানের হাতে আমরা হর হামেশাই  দামী মোবাইল ফোন ও দামী মটর বাইক তুলে দিচ্ছি যা আমাদের সন্তানকে আমরা বিপথগামী ও মৃত্যুর মূখে ঠেলে দিচ্ছি। এই অবস্থা থেকে বের হবার পথ খুজতে হবে এবং সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মতিতে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল নিয়ে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।




মেহেরপুরের মন্দির পরিদর্শন করলেন ইউএনও খায়রুল ইসলাম

শারদীয় দুর্গা উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গা মন্দির পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি পিরোজপুর, বারাদী ও আমঝুপি ইউনিয়নের বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শনকালে তিনি মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদারে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সার্বিক বিষয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। নির্বাহী অফিসার বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।