মেহেরপুরে পর্নোগ্রাফি মামলায় এক আসামির ৩ বছরের কারাদণ্ড

মেহেরপুরে পর্নোগ্রাফি মামলায় মোঃ লাবলু নামের এক ব্যক্তিকে ৩ বছর কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, আসামি বাদীর সাবেক স্বামী। সংসারিক সমস্যার কারণে বাদী তাকে ২৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখে তালাক দেন। বিবাহিত জীবনে আসামি বাদীর অজান্তে তার মোবাইলে কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। ডিভোর্সের পর ওই ভিডিও দেখিয়ে বাদীর নিকট থেকে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। এছাড়া ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এবং পরিচিতজনদের দেখান।

বাদী বিষয়টি তার পরিবারকে অবহিত করে র‍্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-১২, সিপিসি মেহেরপুর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাংনী বাজারস্থ সামাদ হোটেলের সামনে থেকে আসামিকে আটক করে। সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ভিডিও ভাইরাল করার হুমকির কথা স্বীকার করেন। পরে তার পরিহিত প্যান্টের ভেতরের পকেট থেকে একটি রেডমি নাইন সি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, দুইটি বাংলালিংক সিম এবং ৮ জিবি মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়। ব্যবহৃত মোবাইল থেকে ধারণ করা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিওর ছয় পাতার প্রিন্ট কপি আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। নথি ও সাক্ষ্য পর্যালোচনা শেষে আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




দর্শনায় এতিম শিশুর পাখিভ্যান চুরি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেল বাজারের দর্শনা জনতা ব্যাংকের সামনে থেকে যাত্রী সেজে এক এতিম শিশুর পাখিভ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছে। উপার্জনের একমাত্র সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ৪ সদস্যের ভুক্তভোগী পরিবার।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দর্শনা রেল বাজারের দর্শনা জনতা ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, দর্শনা থানার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের সদাবরি গ্রামের মৃত আরাফাত মোল্লার ছেলে আকাশ (১৩) সদাবরি গ্রাম থেকে একজন যাত্রী নিয়ে দর্শনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে মধ্যে দর্শনা পুরাতন বাজার থেকে আরেক যাত্রী পাখিভ্যানে ওঠে। ওই দুই যাত্রী দর্শনা রেল বাজারের দর্শনা জনতা ব্যাংকের সামনে নেমে যায়।

পরে এতিম শিশু আকাশকে বলে, আমি একটা জিনিস কিনে দেব, তুমি নিয়ে আসবে। আকাশ সহজ-সরল মনে জনতা ব্যাংকের সামনে পাখিভ্যান রেখে রেল বাজার বটতলায় যায়। কিছুক্ষণ পরে আকাশ এসে দেখে, পাখিভ্যান নেই। একমাত্র উপার্জনের পাখিভ্যান হারিয়ে কিছুতেই কান্না থামছে না আকাশের। এ পাখিভ্যান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আকাশ।

এতিম শিশু আকাশ কোনো উপায় না পেয়ে দর্শনা পুলিশকে খবর দেয়। দর্শনা থানা পুলিশ সাথে সাথে এতিম শিশু আকাশকে নিয়ে পুলিশের গাড়িতে করে খুঁজতে থাকে। তবে পুলিশ সিসি ক্যামেরা দেখে চোরটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস ধরে বাড়িতে বাড়িতে তালা ভেঙে, দরজার গ্রিল ও টিন কেটে চুরি এবং দোকানেও একই ধরনের চুরির ঘটনা ঘটছে। এছাড়া বাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাখিভ্যান, ইজিবাইক, সাইকেল ও মোটরসাইকেলসহ নানা ধরনের মালামাল চুরি হচ্ছে, যা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, চুরির ঘটনা শুনেছি, তখন আমি মিটিংয়ে ছিলাম। তবে আমি সাথে সাথে আমার অফিসার ও ফোর্স পাঠিয়ে বিষয়টি দেখতে বলেছি।




ক্যাম্পাসে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থীদের স্মাার্টফোন নিষিদ্ধ

ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যাম্পাসে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে শেরপুর সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ইন্টারমিডিয়েটের কোনো শিক্ষার্থী কলেজে স্মার্টফোন নিয়ে প্রবেশও করতে পারবে না।

আজ মঙ্গলবার থেকে এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে শেরপুর সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিন কলেজের মূল ফটকে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ ও ফোন চেকিং করে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

ক্লাসের প্রথম দিন কয়েকজন শিক্ষার্থী স্মার্টফোন নিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও সেসব ফোন গেটেই জমা রাখা হয় এবং তাদের কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

গতকাল সোমবার শেরপুর সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুর রউফ ঘোষণা দিয়েছেন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কলেজে স্মার্টফোন বহন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা সাধারণ বাটন ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ কলেজ গেটে শিক্ষার্থীদের ফোন চেকিং করা হয়।

কলেজ প্রশাসন জানিয়েছে, স্মার্টফোন বহন বা ব্যবহার নিয়মিত হলে তা জব্দ করা হবে। কিন্তু জরুরি যোগাযোগের জন্য বাটন ফোন ব্যবহার অনুমোদিত। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও মনোযোগী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে নেওয়া একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

মোস্তাফিজুর রহমান নামে শহরের চকবাজার এলাকায় বসবাসকারী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, কলেজে স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি খুবই যৌক্তিক হয়েছে। এজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানাই।

রাজু মিয়া নামে সজবরখিলা এলাকার বাসিন্দা আরেক অভিভাবক জানান, কলেজে অবস্থানকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোনের কোনো প্রয়োজন নেই। বাসায় কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগে জন্য বাট ফোনই যথেষ্ট। বরং কলেজে স্মার্টফোন নিয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অলস আড্ডা হবে, এতে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হবে।

কলেজের স্যারেররা এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী হবে এবং শিক্ষার মান আরো উন্নত হবে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করে তাদের একাডেমিক দক্ষতা বৃদ্ধি করুক। শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই কলেজ ক্যাম্পাসে ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

সূত্র: কালের কন্ঠ




আলমডাঙ্গায় কনা নার্সিং হোমে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার দায়ে আলমডাঙ্গার কনা নার্সিং হোমকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আলমডাঙ্গা বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, ওষুধের দোকানে এই অভিযান পরিচালিতি হয়। দুপুর ১টায় পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, ভোক্তা অধিকারের অভিযান অব্যাহত ছিল।

দেখা গেছে, আলমডাঙ্গা কনা নার্সিং হোমে মেয়াদোত্তীর্ণ ডেঙ্গু টেস্টের কিট, চিকিৎসা সামগ্রী ও কিছু ইনজেকটেবল এম্পল মিলেছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ বৈধ নথিপত্র দেখাতে সক্ষম হয়নি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা শাখার সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান এই অভিযান পরিচালনা করেন। সঙ্গে র‍্যাবের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রফিকুল ইসলাম ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম।

জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানিয়েছেন।




ট্রেনের ৬ বগি লাইনচ্যুত, রংপুর অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ

রংপুরের পীরগাছায় সান্তাহার থেকে লালমনিরহাটগামী পদ্মরাগ কমিউটার ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সারা দেশের সাঙ্গে রংপুর অঞ্চলের তিন জেলার আন্তঃনগর, লোকাল ও মেইল ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া আরও চার জেলার আংশিক রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

জানা যায়, ঢাকাগামী লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের সঙ্গে ক্রসিং শেষ করে পদ্মরাগ ট্রেনটি লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় লাইন পরিবর্তনের একটি পয়েন্ট ভেঙে যায়। এতে ইঞ্জিনের পেছনের তৃতীয় বগি থেকে শুরু করে ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর হাজারো মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। অনেক যাত্রী মালামাল খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করেছেন। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটিতে প্রায় দুই হাজার যাত্রী ছিলেন।

নুরবানু নামে এক যাত্রী জানান, তিনি বাথরুমে গেলে পাশের সিটে রাখা ব্যাগসহ যাত্রীটি আর দেখা যায়নি। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পীরগাছা রেলস্টেশনের মাস্টার জেনারুল ইসলাম বলেন, আউটার সিগনাল এলাকায় লাইন সেপারেটরের প্লেট ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী ট্রেন লালমনিরহাট থেকে রওনা দিয়েছে। উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসসহ দোলনচাঁপা, করতোয়া, রামসাগর ও পদ্মরাগ ট্রেনসহ নাইনটিন আপ-ডাউন রুটের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।

এতে রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সম্পূর্ণ এবং নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার আংশিক যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সূত্র: যুগান্তর




দারিদ্র্য দূরীকরণে সম্পদের সুষম বণ্টন

দারিদ্র্য এক নির্মম অভিশাপ। এ অভিশাপ মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। সমাজ-সভ্যতাকে এগিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে পিছিয়ে দেয়। এটা মানবতাকে পশুত্বের পর্যায়ে নামিয়ে দিতে পারে। দারিদ্র্যের কষাঘাতে, ক্ষুধার নির্মম যাতনায় ও অভাবের অনলে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ন্যায়-অন্যায় বিস্মৃত মানবকুল পাপ-পঙ্কিলে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে নিজের অজান্তেই আত্মবিধ্বংসী পথে অগ্রসর হয়। দারিদ্র্যের এ নির্মম জ্বালায় মানবতাবোধ লোপ পায়, হিংস্রতার প্রসার ঘটে, অন্যায়-অবিচার বিস্তৃত হয়। নারী তার পরম যত্নে লালিত সতীত্বকে বিলিয়ে দিতে পারে, মানুষ তার প্রিয় সন্তানকে বিক্রি করে দিতে পারে, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করতেও দ্বিধা করে না। অন্যভাবে বললে, দারিদ্র্য হলো রক্তশূন্যতার সদৃশ। রক্তশূন্যতা দেখা দিলে মানুষের দেহ নানা দুরারোগ্য ব্যাধির আবাসে পরিণত হয়। অনুরূপভাবে সম্পদের স্বল্পতা থাকলে মানুষের জীবনও অচল হয়ে পড়ে।

দারিদ্র্য দূরীকরণে সম্পদের সুষম বণ্টন অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করে এবং দেশের সম্পদকে কিছু মানুষের হাতে কেন্দ্রীভূত হওয়া থেকে বিরত রাখে। সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে সমাজের সকল স্তরের মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায় এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত জীবন লাভ করে। আবার, যখন সম্পদ অসমভাবে বণ্টিত হয়, তখন সমাজে ধনী ও গরিবের মধ্যে বড়ো ব্যবধান গড়ে ওঠে। এ বৈষম্য কমলে সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, সকলের জন্য ন্যূনতম সুযোগের সমতা তৈরি হয় এবং কেউ বঞ্চিত হয় না। আবার, মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হলে তা অপচয়ের আশঙ্কা থাকে। অল্প কিছু মানুষের হাতে যেন সম্পদ পুঞ্জীভূত হতে না পারে সে ব্যাপারে রাষ্ট্র কম-বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এমন নীতি গ্রহণ করতে পারে, যাতে সম্পদের অসম বণ্টন রোধ করা যায় এবং সবাই যেন তাদের মৌলিক চাহিদাটুকু মেটাতে পারে। দরিদ্র মানুষের হাতে পর্যাপ্ত সম্পদ না থাকলে তারা দারিদ্র্যের মধ্যেই ঘুরপাক খায়। সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

‘দারিদ্র্য’ ও ‘বাংলাদেশ’ শব্দদ্বয় একত্রে বিসদৃশ লাগে। কারণ বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। সম্পদে ভরপুর দেশটির স্বীকৃতি দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সময়ে ছুটে আসা পর্যটক, বিশেষজ্ঞ, জ্ঞানী-গুণী ও ভূ-তত্ত্ববিদরা। অথচ বর্তমানে আমাদের দেশে মোট দরিদ্র মানুষের সংখ্যা চার কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৭২ জন, যা শতকরা বিচারে ৩১ দশমিক পাঁচ ভাগ; এবং অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দুই কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ১৭১ জন, যা শতকরা ১৭ দশমিক ছয় ভাগ।

দারিদ্র্যের অর্থ হচ্ছে দরিদ্র অবস্থা, অভাব ও দীনতা। দারিদ্র্য বলতে এমন ব্যক্তি বা দেশকে বোঝায়, যার সামান্য সম্পদ ও অল্প আয় রয়েছে, যা দ্বারা ন্যূনতম মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ। ডেলটুসিং বলেন, “মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় সম্পদের অপ্রতুলতাই হলো দারিদ্র্য।” থিওডরসনের মতে, “দারিদ্র্য হলো প্রাকৃতিক, সামাজিক ও মানসিক উপোস।”

কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে দারিদ্র্য কমাতে কৃষি ও শিল্পকারখানার চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো দরকার। প্রতিবছর হাজার হাজার তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত হয়ে বের হচ্ছে। একই সাথে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থার অভাবে দেশে বেকারত্ব বাড়ছে। এমনকি বাংলাদেশে শ্রমিকদের মজুরি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। শুধু কৃষি নয়, শিল্প ও অন্যান্য খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করা প্রয়োজন, যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পায়। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করে দারিদ্র্য নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারেন। দারিদ্র্য কমাতে সবার আগে খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দেওয়া প্রয়োজন। আবাদি জমি বাড়াতে সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি পরিচালনা, কৃষি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন, শিল্পনগরীগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন, উপজেলা পর্যায়ে বিশেষায়িত কোল্ড স্টোরেজ প্রতিষ্ঠা, উপজেলা কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের জবাবদিহি ও কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করা গেলে দারিদ্র্য হ্রাস পাবে।

যদি ইসলামী সমাজব্যবস্থার কথা ভাবি, তাহলে যাকাত প্রদানের মাধ্যমে ধনীরা তাদের সম্পদের কিছু অংশ গরিবদের দান করে, যা সম্পদের সুষম বণ্টনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইসলাম কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আর্থিক সাহায্যের বিধান রেখেছে। একটি সুখী, সুন্দর ও উন্নত সামাজিক পরিবেশ গঠনে ধনাঢ্য মুসলমানদের অবশ্যই তাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদের একটি নির্ধারিত অংশ দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের দুর্দশা মোচনের জন্য ব্যয় করতে হবে। ফলে কেবল অসহায় ও দুস্থ মানবতার কল্যাণই হবে না; বরং সমাজে আয়বণ্টনের ক্ষেত্রেও বৈষম্য হ্রাস পাবে। পবিত্র কোরআনে সূরা আল-হাশরের সাত নম্বর আয়াতে ধনসম্পদ বণ্টনের মূলনীতি সম্পর্কে ঘোষণা হয়েছে “যাতে তোমাদের মধ্যে যারা বিত্তবান, কেবল তাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে।”

নৈতিকতাহীন নেতৃত্বের ফলে সমাজে সম্পদের সুষম বণ্টন বাধাগ্রস্ত হয়। এই বাস্তবতার পটভূমিতে যাকাতকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কার্যকর মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসলামী সামাজিক অর্থায়নের ধারণা শুধু দারিদ্র্য দূরীকরণেই নয়, বরং বৈষম্য কমিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক অর্থনীতি গড়তেও ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্বজুড়ে যাকাতের নীতিমালা সম্পদ পুনর্বণ্টনের একটি স্বীকৃত ও টেকসই উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যাকাত সম্পদের সুষম বণ্টনের অপরিহার্যতা ও মানবিক দায়িত্ববোধকে একসঙ্গে তুলে ধরে।

আধুনিক সমাজে সাফল্যের মানদণ্ড হয়ে উঠেছে ভোগের ক্ষমতা; ফলে সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রায়শই উপেক্ষিত হয়ে থাকে। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে অতীতে বহু আন্দোলন ও ত্যাগ স্বীকারের পরও অসাম্য আজও টিকে আছে। এর মূল কারণ ন্যায্য সম্পদ বণ্টনের ঘাটতি। তাই বৈষম্য দূর করে সামাজিক সাম্য ও মানবিক মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে যাকাতভিত্তিক ন্যায়সংগত অর্থনৈতিক কাঠামো বিনির্মাণ মনোযোগের দাবিদার।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বেশ আলোচিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ অচিরেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে। অর্থনীতির আকার বড়ো হচ্ছে, অগ্রগতির পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা যদি বেড়ে যায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী যদি বঞ্চিত থেকে যায়, তাহলে ওই অগ্রগতি আদৌ অগ্রগতি নয়। আবার, কেবল শহরকেন্দ্রিক উন্নয়ন হলে তা সুষম উন্নয়ন হবে না। পল্লী উন্নয়ন মূলত উৎপাদন বৃদ্ধি, সম্পদের সুষম বণ্টন ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনমান উন্নয়নের জন্য এক পরিকল্পিত পরিবর্তন। বাংলাদেশে পল্লী উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো দারিদ্র্য দূরীকরণ ও গ্রামীণ দরিদ্রদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, আয় ও সম্পদের সুষম বণ্টন, ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। অনেক উন্নয়নশীল দেশ পল্লী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে বেশ সক্রিয়।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের জিনি সহগ ছিল মাত্র দশমিক ৩৬। জিনি সহগ মূলত আয়-বৈষম্য পরিমাপের একটি পদ্ধতি। তখন বাংলাদেশ দারিদ্র্যকবলিত দেশ হলেও আয়-বৈষম্য ছিল তুলনামূলকভাবে সহনীয়। সেই জিনি সহগ সর্বশেষ ২০১৬ সালে বেড়ে হয়েছে দশমিক ৪৮৩। অর্থাৎ আয়বৈষম্য অনেক বেড়েছে। এখন আমরা ভাবছি, আমাদের চেয়ে বেশি আয়বৈষম্য কোথায়। সারাবিশ্বে অতিধনী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে আমাদের দেশেও। মাথাপিছু আয় ক্রমেই বাড়ছে। করোনাকালে এর মান ছিল আরও ভয়াবহ। সরকারি খানা জরিপের তথ্যমতে, দেশের মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশের মালিক ওপরের দিকে থাকা এক-তৃতীয়াংশ মানুষ। দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নের জন্য এই আকাশচুম্বী ব্যবধান কমাতে হবে।

আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধি তখনই অর্থবহ হয়, যখন এর সুফল ভোগ করে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের বেশিরভাগ মানুষ। যে প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে ভূমিকা রাখে না, যার সুফল কেবল সমাজের উঁচু স্তরের নাগরিকরা ভোগ করে ওই প্রবৃদ্ধি নিছক সংখ্যা। এ ধরনের প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্য দূর করা না হলে প্রবৃদ্ধি টেকসই হবে না। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি না হলে বৈষম্য বাড়বে; ধনী হবে আরও ধনী, গরিব হবে আরও গরিব। এমনটি হলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ প্রবাহ বৃদ্ধি করে দারিদ্র্য ও অসমতা দূর করতে হবে। কেবল সম্পদশালীদের প্রণোদনা-সুবিধা দিয়ে অর্থনীতিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করা সম্ভব নয়। আর্থিক খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা গেলে প্রবৃদ্ধির সুফল পাবে সবাই।

লেখক: সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর, ঢাকা




দর্শনায় হাতুড়ি পিটা করার অভিযুক্ত আসামী রিমন হোসেন গ্রেফতার 

দর্শনায় হাতুড়ি পিটা করার অভিযুক্ত আসামী রিমন আলী গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আসামীর নিজ বাড়ি থেকে কালিদাসপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে রিমন হোসেন (৩৮) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ০৯/০৯/২০২৫ তারিখ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজার বন্ধু জুয়েলার্সর মালিক সঞ্জয় কুমার শান্তারাকে হাতুড়ি দিয়ে মারপিট করে রিমন হোসেন ঢাকায় পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ৪দিন পর রিমন হোসেন বাড়িতে ফিরে এলে গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ঘটনার বিবরণে রিমন আলী বলেন, গত ৩ তারিখে আমার চাচীর কাছে মধুমালা নাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। গত ৪ তারিখ ওনাকে ব্যাক করার কথা। তো ৪ তারিখ ব্যাক করতে পারিনি। পরবর্তী ৭ তারিখে আমার নিজের ব্যবহার করা স্বর্ণ চাচীরে দিলাম। আপনি এ স্বর্ণগুলো কোথাও রেখে টাকাটা নিয়ে নেন। সঞ্জয়ের কাছে রেখেছে। বলেছে যে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ৬ হাজার টাকা লাভ দিতে হবে, ১ ঘন্টার জন্য যা ২ঘন্টার বা তিনদিন বা ১৫ দিনের জন্য ৬ হাজার টাকা লাভ দিতে হবে। ১৫ দিনের তার্গেটে ৬ হাজার টাকা নেয়। ৭ তারিখে এ ঘটনা এর ২দিন পর ০৯/০৯/২০২৫ তারিখ বলেছি ৬ হাজার টাকার কিছু কম নিতে হবে। সে এত রাজি হয় না। আমিও এ ঘটনায় টেনশনে ছিলাম। তাকে বার বার অনুরোধ করি ২ হাজার কম দিতে চাই। সে রাজি না হলে আমি রাগ করে তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় মেরে দিয়েছি।

এ বিষয় দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর জানান, গত ০৯/০৯/২০২৫ তারিখ দর্শনা পুরাতন বাজার বন্ধু জুয়েলার্সর মালিক সঞ্জয় কুমার শান্তারাকে হাতুড়ি দিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ৪দিন পর রিমন হোসেন বাড়িতে ফিরে এলে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দর্শনা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দুপুর দেড়টার দিকে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ

আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের উদ্যোগে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের আয়োজন করা হয়। গতকাল সকাল ১০ টায় আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: মফিজুর রহমান। শিক্ষক পরিষদের সহ:সম্পাদক ড. মো: মহবুব আলম। সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সহকারি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মোনয়েম, খন্দকার  ইকবাল হাসান,  রাহাত আরা, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ মহিতুর রহমান।

এছাড়াও বক্তব্য দেন, প্রভাষক জেসমিন আরা খানম, মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ বাছের আলী, মোঃ তাপস রশীদ, মোঃ মাকসুদুর রহমান, মোঃ আনোয়ারুজ্জামান, মোঃ আব্দুল হাই  মোঃ আব্দুল মালেক, ছাত্রদলের  সরকারি কলেজ শাখার আহবায়ক শাওন, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, অপর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রতিনিধি মোঃ সাদী হাসান। এসময় তিনি বলেন, “শিক্ষা সাম্য ও অধিকারভিত্তিক ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের পক্ষ থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ছাত্রপক্ষ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাবে।

এ-সময় তিনি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন আপনারা রাজনীতি করুন বা না করুন রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে গড়ে উঠবেন এই প্রত্যাশা করি। এখানে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাসসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনও রয়েছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের দলের সাথে কাজ করুন এবং নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করুন। সকলে মিলে আমরা আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে একসাথে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।”

এ-সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সম্পাদক রাকিব মাহমুদসহ কলেজ নেত্রীবৃন্দ।




দামুড়হুদায় সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি, প্রেসক্লাবে জরুরি সভায় নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তির দাবী 

দামুড়হুদার ডুগডুগি গ্রামের জুয়ার আসরের বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশের পর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজকে মোবাইলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জরুরি সভায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে অপরাধীর শাস্তির দাবী করেছে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ সহ সকল সদস্যবৃন্দ।

জানা গেছে, গত রোববার দৈনিক মাথাভাঙ্গা সহ কয়েকটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় দামুড়হুদার ডুগডুগির জমজমাট জুয়ার আসরের বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর জুয়া চক্রের অন্যতম হোতা আসাদুজ্জামান আসাদ মোবাইলে সাংবাদিক মিরাজকে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দেয়। বিষয়টা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ কে অবগত করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সীদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর রাতে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার একটি জিডি করা হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবে জরুরি সভার আহ্বান করা হয়। দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ এর সভাপতিত্বে জরুরি সভায় সাংবাদিক মিরাজকে প্রাণ নাশের হুমকি দাতা জুয়া চক্রের হোতা আসাদুজ্জামান আসাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে সকল সদস্যবৃন্দ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুরশেদ বীন ফয়সাল তানজির, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, নির্বাহী সদস্য তাছির আহমেদ, হাবিবুর রহমান,দামুড়হুদা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান কাজল, সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল শিশির, সাধারণ সম্পাদক শাহাজালাল বাবু, প্রেসক্লাবের সদস্য হেলাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম মিলন, শেখ হাতেম আলী, আল সাফায়েত হোসেন প্রমুখ। জরুরি সভা শেষে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব/সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ দামুড়হুদা মডেল থানার (ওসি) মো হুমায়ুন কবির এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন।




দর্শনা ও মেহেরপুরের দুই ছাত্র রোবট নিয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে মালেশিয়ায়

দর্শনার একজন ও মেহেরপুরের একজন ছাত্র রোবট নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে আগামী ২১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্ববর-২০২৫ তারিখ মালেশিয়া যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সাইন্স এন্ড রোবোটিক্স ক্লাবের পক্ষ থেকে আগামী ২০/০৯/২০২৫ তারিখ বিমানযোগে রোবট প্রতিযোগিতায় মালোশিয়ার উদ্যোশ্যে রওনা দেবেন। এরা হলেন, দর্শনা সরকারী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র জাহিদ হাসান জিহাদ ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্র তোহা বিন আসাদ (দ্বীপ)।

জাহিদ হাসান জিহাদের নেত্রীত্বে রোবটটি নির্মাণ করা হয়। এ রোবটটি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কমপিটিশন এন্ড একজিবিশন (ডবিউলিআইসিই) এ মালোশিয়ায় তারা দুইজন অংশ নেবে। রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে হ্যাজার্ড। বোম্ব ডিফিউজ/হ্যাজার্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য রোবাটটি কাজ করবে। পুতে রাখা বোমা অনুসন্ধান ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কাজ করতে সক্ষম।

এছাড়া হিংস্র পশু-পাখী বা মানুষের ক্ষতি সাধনকারী যেকোন বিষয়ে সর্তক করতে সক্ষম হবে। জ্যামিং সিস্টেম এ হ্যার্জাড রোবোটটির বৈশিষ্ট্য বহুমুখী সেন্সর দিয়ে ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ এবং লাইভ ভিডিও ট্রান্সমিশন। এছাড়া অগ্নি শনাক্তকরণ ও নিবার্পণ করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক রোবোটটি বিপদজনক কাজগুলো মানুষের বদলে করতে সক্ষম হবে বলে জাহিদ হাসান জিহাদ জানান।