কাবাডি ও হ্যান্ডবলে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন আমঝুপি বালিকা বিদ্যালয়

৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মেয়েদের কাবাডি ও হ্যান্ডবল উভয় খেলায় উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলা জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে গোভীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মেয়েদের কাবাডির ফাইনালে আমঝুপি বিদ্যালয় ১৬-১৫ পয়েন্টে মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়কে পরাজিত করে উপজেলা শিরোপা জিতে নেয় এবং জেলা পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।

আজ রবিবার দুপুরে মেয়েদের হ্যান্ডবলের ফাইনালে আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়কে হারিয়ে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়।




মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিক আহত

মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারিক নামের এক নির্মাণশ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

রোববার দুপুরে শহরের জার্মান বাংলা এলাকায় সেলিম নামের এক ব্যক্তির পাঁচতলা নির্মাণাধীন ভবনে রড বাঁধাইয়ের কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।

আহত তারিক সদর উপজেলার গোভীপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত খোকনের ছেলে।

জানা গেছে, ভবনের রড বাঁধাইয়ের কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রড বিদ্যুতের মেইন লাইনের সংস্পর্শে এলে তারিক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে অন্যান্য শ্রমিক ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে রেফার করেন।




মেহেরপুরের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ কমরেড জালাল উদ্দিন আর নেই

মেহেরপুরে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ কমরেড জালাল উদ্দিন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ইপিছিপি, পরে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি এবং সর্বশেষ কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ (সিপিবি)সহ বিভিন্ন দলের জেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি তিন দফা সিপিবি মেহেরপুর জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

তাঁর মৃত্যুতে সিপিবি মেহেরপুর জেলা কমিটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং একে সংগঠনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করেছে।




সারা দেশে হতে পারে বজ্রবৃষ্টি, ২ বিভাগে ভারি বর্ষণের শঙ্কা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দুই বিভাগে ভারি বর্ষণ হওয়ার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।

আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এসময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২৪ সেপ্টেম্বরের দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




সাকিবকে ছুঁয়ে ফেললেন মুস্তাফিজ, টপকে গেলেন লিটন

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য টাইগাররা ১ বল হাতে রেখে টপকে যায়। দলের জয়ে নেতৃত্ব দেন দুই ফিফটি করা ব্যাটসম্যান, সাইফ হাসান ও তাওহিদ হৃদয়।

তবে এই জয়ের আগে বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখান মুস্তাফিজুর রহমান।

মাত্র ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন এই পেসার।
তিন উইকেট নেওয়ার মাধ্যমে মুস্তাফিজ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সমান হন। এখন দুজনেরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেট সংখ্যা ১৪৯। তবে মুস্তাফিজ এই উইকেট পেয়েছেন ১১৭ ম্যাচে, যেখানে সাকিব খেলেছেন ১২৯ ম্যাচ।

মুস্তাফিজ তার উইকেটের খাতা খুলেন ১৪তম ওভারে কুশাল পেরেরাকে আউট করে। পরে ১৯তম ওভারে আরো দুটি উইকেট নেন তিনি। চতুর্থ বলে কামিন্দু মেন্ডিসকে লিটনের হাতে ক্যাচ বানান। নিজের শেষ বলে হাসারাঙ্গাকে আউট করে তিন উইকেটের কোটা পূর্ণ করেন।

রান তাড়া করার পথে ১৬ বলে ২৩ রান করেন লিটন দাস। এই রান করার মাধ্যমে তিনি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক হন। বর্তমানে তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি রানের সংখ্যা ২৫৫৬, যা পেছনে ফেলে দিয়েছে সাকিব আল হাসানকে (২৫৫১ রান)।

 

সূত্র: কালের কন্ঠ




আলমডাঙ্গায় স্বনামধন্য শিল্পপতি গিরিধারী লাল মোদীর অন্ত্যোষ্টিকার্য সম্পন্ন

আলমডাঙ্গার কৃতিসন্তান শিল্পপতি দানবীর বাবু গিরিধারী লাল মোদির অন্তেষ্টিক্রিয়া গতকাল বেলা ২টার সময় সম্পন্ন হয়েছে। তার সৎকাজ করান নেপাল থেকে আগত ঠাকুর পবন কুমার সানহাই। গতকাল আলমডাঙ্গা মহাশ্মশানে তার মরদেহ দাহ করা হয়।

তার আত্মীয় দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভারত থেকে আগত তার বড় ভাই বাবু ওংকার লাল মোদি, জামাই আনন্দ বাবু, লক্ষন শর্ম, কিষন শর্ম, লক্ষন মোদি, গনেশ লাল মোদি, ছোট ভাই বিজয় লাল মোদি। এর আগে উত্তরা ট্রেডার্সের ভিতরে তার মরদেহ রাখা হলে তাকে একনজর দেখতে আসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, সাবেক এমপি মকবুল হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জামাতের প্রার্থী এ্যাড, রাসেল, পৌর জামাতের আমির, উপজেলা জামাতের আমির শফিউল আলম বকুল, জামাতের নেতা সাবেক চেয়ারম্যান দারুস সালাম, বিএনপি অপর অংশের নেতা শেখ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযুদ্ধা ডাক্তার শাহাবুদ্দিন, জাসদ নেতা সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, কাজী রবিউল হক।

বনিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম, খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরি, বাবু প্রশান্ত অধিকারী, লিপন বিশ্বাস, ডাক্তার গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

এছাড়াও তার দাহ কাজে অংশ নিতে নেপাল, ভারত সহ ঢাকা থেকে বহু শিল্পপতি অংশ নিয়েছিল। এছাড়াও খুলনা, নোয়াপাড়া, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, চিলাহাটি, বগুড়া, সন্তাহার সহ উত্তরবঙ্গের বহু ব্যাবসায়িগণ তাকে একনজর দেখার জন্য এসেছিলেন। এছাড়াও ভারত থেকে তার আত্মীয় স্বজন এসেছিলেন বলে জানা গেছে। তার অবদানের কথা তুলে ধরেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ।

আলমডাঙ্গা কালীমন্দির নির্মাণ, শ্রী শ্রী সত্য নারায়ণ মন্দির পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকায়ন আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বীতল ভবন নির্মাণসহ বহু ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ছিল তাঁর অসামান্য অবদান। এলাকার নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত চাঁদা প্রদান ও আয়োজন তদারকিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকতেন। অর্থ, বস্ত্রদানসহ বিভিন্ন দান-খয়রাতের মাধ্যমে তাঁর উদার মানসিকতার পরিচয় সর্বত্র মিলেছে।

শিক্ষাক্ষেত্রেও গিরিধারী লাল মোদির অবদান অনস্বীকার্য। কন্যার বিবাহে আগত বরযাত্রীদের রাত্রিযাপনের জন্য নির্মিত অবকাঠামো পরবর্তীতে আলমডাঙ্গা পাইলট গার্লস হাইস্কুলের জন্য দোতলা হলরুমে রূপান্তর করে দেন। এছাড়া আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ পশুহাট জুনিয়র হাইস্কুল, চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনস স্কুল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য করেন তিনি। আলমডাঙ্গা উপজেলা মহাশ্মশান দালান নির্মাণেও তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। তিনি নওয়াপাড়া স্বশান ঘাট সহ আধুনিক শ্বসনা নির্মাণ করেছেন।

তাঁর কাকা সত্য নারায়ণ মোদী ছিলেন আলমডাঙ্গার একজন সামাজিক ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবী, ক্রীড়ামোদী ও ক্রীড়া সংগঠক, যিনি আলমডাঙ্গা পাইলট গার্লস হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন।




আলমডাঙ্গা শহীদ মিনার মাঠের পুনঃ মাপজোক – অবৈধ দখলদার প্রমাণিত জাকারিয়া হিরো

আলমডাঙ্গা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে শহীদ মিনার মাঠের পুনঃমাপজোক শেষে আবারও প্রমাণ মিলেছে ব্রাইট মডেল স্কুলের মালিক ও প্রভাবশালী ভূমিদস্যু জাকারিয়া হিরো প্রায় পৌনে দুই শতক শহীদ মিনারের জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। এর আগে আদালতের অ্যাডভোকেট কমিশন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাপজোক রিপোর্টের বিরুদ্ধেও তিনি না-রাজি জানান। পরে আদালতের নির্দেশে পুনরায় মাপজোক হলে একই সত্য উদঘাটিত হয়।

শহীদ মিনারের দখলকৃত পবিত্র স্থানে জাকারিয়া হিরো আরও ভয়াবহ অপকর্ম করেছেন। অভিযোগ উঠেছে— তিনি সেখানে ১২টি পায়খানার ট্যাংক নির্মাণ করেছেন। শহীদ মিনারের ভেতরে এ ধরনের নোংরা স্থাপনা নির্মাণ কেবল ভূমি দখল নয়, বরং শহীদদের স্মৃতির মর্যাদা ও পবিত্রতার চরম অবমাননা বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন শহরবাসী।

দীর্ঘদিন ধরে শহীদ মিনার মাঠকে দখল করে ভোগ করে আসছিলেন জাকারিয়া হিরো। প্রভাবশালী ফ্যাসিস্ট নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি বহুতল ভবনের রাস্তা ও অবকাঠামো শহীদ মিনারের জমিতে দাঁড় করান। এমনকি অভিযোগ রয়েছে— আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী নেতাকে দিয়ে ব্রাইট মডেল স্কুলের নেতৃত্বে বসিয়ে তিনি দখল কার্যক্রমকে বৈধতার মোড়ক দেন।

তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ ও শহীদ মিনারের জমি রক্ষায় নতুন উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে হিরোর সন্ত্রাসী বাহিনী বাধা দেয়। তিনি সেনাবাহিনী ডেকে এনে কাজও বন্ধ করান। কিন্তু সেনাবাহিনী মাঠ পরিদর্শন শেষে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী প্রাচীর নির্মাণ করতে নির্দেশ দেয়।

এদিকে শহীদ মিনার ও ব্যায়ামাগারের জমি উদ্ধারের দাবিতে এলাকাবাসী একাধিকবার আন্দোলনে নামে এবং বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করে। হিরো পাল্টা আদালতে মামলা করে বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ব্যায়ামাগার উদ্ধার কমিটির আহ্বায়কসহ কয়েকজনকে আসামি করেন। পরে আদালতের নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশন জমি মাপজোক করে স্পষ্টভাবে জানান— ব্রাইট মডেল স্কুলের যাতায়াতের রাস্তা ও ব্যবহৃত জায়গা আসলে শহীদ মিনারের জমি।

শহরজুড়ে জাকারিয়া হিরোর বিরুদ্ধে এখন তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, শহীদ মিনারের মর্যাদা হরণ করে সেখানে ১২টি ট্যাংক বসানো দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার প্রতি চরম অবমাননা। শহরবাসীর দাবি করেছেন, অবিলম্বে শহীদ মিনারের জমি দখলমুক্ত করে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।




বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ

আজ ২১ সেপ্টেম্বর ভয়াল সেই দিন। ২০০০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার দিকে দর্শনায় হঠাৎ ভারতীয় পানি ঢুকে পড়ে জন-জীবন তচনচ করে দেয়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

২১ সেপ্টেম্বর সেই ভয়াল দিনে দর্শনা শ্যাম্পুর পাইপ ঘাটের নিকট শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে দর্শনা শহরে পানি ঢুকে পড়ে। এই এলাকার মানুষ বন্যার পানি থেকে রক্ষা পেতে একটু উচু স্থানের দিকে ছুটে চলে। হাতের কাছে যা পাই, সেই টুকু সম্বল নিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে। তাতে কোন কাজ হয়নি। ফলে দর্শনা শহরের মানুষের, থালা-বাসন, গরু-ছাগল, ধান, চাল, গম, ছোলা, মশুরীসহ সম্পদ হরিয়ে নিঃস্ব হয়ে বাঁচানোর তাগিদে একটু উচু স্থান খুজে বেড়িয়েছে। ঘরে তোলা রবি ভেসে চলে যায়। বিশেষ করে দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন প্রায় ১৫/১৬ ফিট পানির নীচে তলিয়ে যায়।

এছাড়া দর্শনা শ্যাম্পুর, আজিমপুর, ঈশ্বরচন্দ্রপুর, পরানপুর গ্রামের মানুষ দর্শনা রেল ষ্টেশন ও রেল লাইনের উপর অবস্থান নেয়। রান্না করার মত কোন কিছুই সাথে করে আনতে পারেনি। ফলে তৎকালিন মেয়র মতিয়ার রহমান, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনয়নের চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম ও হাউলি ইউনয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ ও এনজিও সংস্থাগুলো বানভাষী মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসে।

পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনয়নের বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার কাজের পাশাপশি এসব সংগঠন ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক নৌকা নিয়ে পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনয়নের লোকজনকে উদ্ধার করে দর্শনা রেল ষ্টেশনে নিয়ে উদ্ধার কাজ অব্যহত রাখে। প্রশাসন এর পক্ষ থেকে স্প্রিড বোর্ড নিয়ে এসে গাছের ডালে, পাকা ঘরের ছাদ থেকে নারী-পুরুষ ও শিশুদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে দর্শনা রেল ষ্টেশনে।

এরপর দর্শনা ষ্টেশনে চলে বানভাসী মানুষের রান্না করা খাবার বিতরণ কর্যক্রম। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বানভাসী মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ কাজ চলে। এ সময় যে যা পারে তাই নিয়ে দর্শনাবাসী ছুটে আসে এবং বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এ বিষয়ে বানভাসী মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসা চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম বানবাসী মানুষের দুভোর্গের সম্পর্কে জানান।




মুজিবনগরের বল্লভপুর হাসপাতাল ও পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর হাসপাতাল ও বল্লভপুর পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টাই মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের বল্লভপুর হাসপাতাল এবং বল্লভপুর পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ মোহাম্মদ আবদুল ছালাম।

তিনি বল্লভপুর হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় হাসপাতালের বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বৃদ্ধদের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং পরামর্শ দেন।

হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বল্লভপুর দাসপাড়া মন্দিরে যান এবং আগামী শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব, শিক্ষা ও আইসিটি এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) তাজওয়ার আকরাম সাকাফি ইবনে সাজ্জাদ ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল।




মেহেরপুর জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভা

বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশন মেহেরপুর জেলা শাখার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা শাখার সভাপতি ডা. আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক জনাব খালিদ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি বিধান চন্দ্র নাথ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. জেপি আগরওয়ালা, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আবু আক্তার করণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, অর্থ সম্পাদক শিমুল বিশ্বাস, সহ-সেক্রেটারি শাহিনুর রহমান, নির্বাহী সদস্য মুকুল বাসার, জামরুল হুদা, ফারুক হোসেন, সাগর আহমেদ, রায়হানুল কবির ও রাশেদ হাসান।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়— দালালমুক্ত হাসপাতাল গড়ে তোলা এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি পরীক্ষার মান বজায় রাখা ও রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য সদস্যদের পরামর্শ দেওয়া হয়।