গাংনীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৪

মেহেরপুরের গাংনীতে পুলিশের ২৪ ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত গাংনী থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাংনী উপজেলার হিজলবাড়ীয়ার আহম্মদ আলীর ছেলে মোঃ সোহাগ হোসেন (৩১), গাড়াডোব পোড়াপাড়ার হাজিম উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল জাহান শিশির (৩২), ২ং ওয়ার্ড শিশির পাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মোঃ আল-ইমরান (২০), খাসমহলের মোঃ জিল্লুর রহমানের মোঃ রাসেল হোসেন (২৩)।

গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




গাংনীতে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ পাচারকারী আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল করে ফেনসিডিল পাচারকালে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ লিপন হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলার গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান ব্রিক ফিল্ড বাজারের তিন রাস্তার মোড় থেকে মাদক পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ।

আটক ৩৭ বছর বয়সী লিপন হোসেন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তেকালা পশ্চিমপাড়ার ফরজ আলীর ছেলে।

গাংনী থানা পুলিশের এসআই শিমুল বিশ্বাস এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ছাতিয়ান ব্রিক ফিল্ড বাজার দিয়ে এক মাদক কারবারি ফেনসিডিল পাচার করছে। আমরা এমন সংবাদ পেয়ে সিভিল ড্রেসে আগে থেকেই অবস্থান করি। পরে ওই সড়ক দিয়ে একটি টিভিএস মেট্রো মোটরসাইকেল (গাড়ি নম্বর কুষ্টিয়া হ-১৩২৭৬০) যাওয়ার সময় ব্যারিকেড দিয়ে আটকাই এবং তল্লাশি চালিয়ে মোটরসাইকেলের সিট কভারের নিচে থরে থরে সাজানো ৪৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করি।

পাচারের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে আসামিকে গাংনী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আটকের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।




মুজিবনগরে বিএডিসি সার ডিলারের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চাষীদের কাছে সার বিক্রি না করে গুদাম থেকে অবৈধভাবে সার বাইরে লুকিয়ে রাখার অপরাধে মুজিবনগরের বিএডিসি সার ডিলার ওয়াহেদ ট্রেডার্সের মালিক উমাইয়া কুলসুমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের বিএডিসি সার ডিলার ওয়াহেদ ট্রেডার্সে অভিযান পরিচালনা করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল।

এ সময় বেশি দামে বিক্রয়ের জন্য বাইরে থেকে আনা মজুতকৃত ৫ বস্তা সার জব্দ করে সরকারি মূল্যে চাষীদের কাছে বিক্রয় করে দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল জানান, বিএডিসির ডিলার ওয়াহেদ ট্রেডার্সের মালিক চাষীদের কাছে সার বিক্রি না করে বাইরে অবৈধভাবে সরিয়ে রেখেছে এমন সংবাদ দারিয়াপুর গ্রামের চাষীদের ফোনকলের মাধ্যমে জানতে পারি।

চাষীদের এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওয়াহেদ ট্রেডার্সে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টে ডিলারের মালিক উমাইয়া কুলসুম সত্যতা স্বীকার করলে ভোক্তা অধিকার আইনে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মজুতকৃত ৫ বস্তা সার জব্দ করে সরকারি মূল্যে চাষীদের কাছে বিক্রয় করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে মুজিবনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।




হরিণাকুণ্ডুতে গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

বর্ণাঢ্য আয়োজন স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশ গ্রহনে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ৫২ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি এম তারিক-উজ-জামান এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাঃ আব্দুল বারী’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঈষিতা আক্তার, হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসার প্রধাান শিক্ষক, সুপার, ক্রীড়া শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ, উপজেলার আট ইউনিয়নের ৮টি ভ্যানু ও পৌরসভা থেকে বিজয়ী দল খেলোয়াড়রা উপজেলা পর্যায়ের এই খেলায় অংশগ্রহন করবেন। এর আগে ৭দিন ব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় ফুটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি, দাবা ও সাঁতারসহ বিভিন্ন ইভেন্টে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করছে।




ঝিনাইদহে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক প্রেমের উপাখ্যানখ্যাত শাহ গাজীকালু-চম্পাবতীর মাজার কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বারবাজারের বাদুরগাছা গ্রামের মাজার প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেণ মাজার কমিটি। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাজারের সভাপতি মোঃ মাহাবুবুর রহমান।

সেসময় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, একটি মহল সম্প্রতি মাজারের কমিটির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। যার কোন ভিত্তি বা প্রমাণ নেয়।

কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিবছর মাজারে দুটি বড় মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। একটি ফাল্গুন মাসে, অন্যটি ভাদ্র মাসে। সর্বশেষ আয়োজিত মাহফিলে বিভিন্ন খাত থেকে আয় হয়েছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২০ টাকা। অবশিষ্ট ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ টাকা বর্তমানে বারবাজার সোনালী ব্যাংকে জমা আছে। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়-এখানে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসলো কীভাবে?

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দাবি করেন, বিগত ১৭ বছর ধরে যারা মাজার কমিটি পরিচালনা করেছেন, তারা কখনোই আর্থিক হিসাব দেননি, এমনকি কোনো ব্যাংক হিসাবও খোলা হয়নি। অথচ বর্তমান কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।




আলমডাঙ্গায় অ্যালকোহলের বড় চালানসহ আটক-১

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পুলিশের অভিযানে বড় ধরনের হোমিওপ্যাথিক অ্যালকোহলের চালান জব্দ হয়েছে।

গতকাল রোববার গভীর রাতে উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের নিমতলা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাটারিচালিত একটি পাখিভ্যান থেকে ২১৬ বোতল কর্কযুক্ত অ্যালকোহল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয় ফেলু মন্ডল (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে।

আটক ফেলু মন্ডল কুটিপাইকপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াছ উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ জানায়, রাতে বিশেষ তল্লাশির সময় সন্দেহজনকভাবে চলাচলকারী একটি পাখিভ্যান থামানো হয়। তল্লাশি চালিয়ে ভ্যানের ভেতর কার্টুনে রাখা শতাধিক বোতল অ্যালকোহল উদ্ধার করা হয়। তবে আরও তিন সহযোগী পালিয়ে যায়।

অভিযান পরিচালনা করেন, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুর রহমান পিপিএম-এর নেতৃত্বে তিয়রবিলা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই (নিঃ) মানিক কুমার শিকদার ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে তৎপরতা চলছে।




মেহেরপুরে মাদক মামলায় এক আসামির জেল-জরিমানা

মেহেরপুরে মাদক রাখার অপরাধে মোঃ ফিরোজ রেজা ওরফে সুমনকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ সাজা প্রদান করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের এক অভিযানে গাংনী থানার এসআই মোঃ আব্দুল হক ফোর্সসহ সাহারবাটি বাজার এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাটপাড়া ইকোপার্ক গেটের সামনে থেকে ফিরোজ রেজা ওরফে সুমনকে আটক করেন। তার খাকি রঙের প্যান্টের পকেট থেকে ৭ পিস গোলাপি রঙের ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। নথি ও সাক্ষ্য পর্যালোচনা শেষে আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




ঝিনাইদহের পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সংকটে সিজার বন্ধ

ঝিনাইদহের পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সিজারিয়ান অপারেশন। জেলার মহেশপুর, হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুরে দীর্ঘদিন ধরে এ সেবা বন্ধ থাকায় প্রসূতিদের বাধ্য হয়ে ছুটতে হচ্ছে দূরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে।

এতে একদিকে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়, অন্যদিকে মা ও নবজাতক পড়ছেন চরম ঝুঁকিতে। এছাড়া এই সুযোগে বাড়ছে বেসরকারি ক্লিনিক ব্যবসা।

জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় এক বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ। একই পরিস্থিতি অন্য চার উপজেলাতেও। এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ও গাইনি চিকিৎসকের অভাবেই এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। অথচ সরকারি এই হাসপাতালগুলোতে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইন স্ট্যান্ডসহ সব সরঞ্জাম ব্যবহার উপযোগী অবস্থায় আছে।

প্রসূতি শিরিন আক্তার বলেন, “সরকারি হাসপাতালে গেলে খরচ কম হতো। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে দূরের ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। তাতেও চিকিৎসক সবসময় থাকেন না।”

কালীগঞ্জের কৃষক রহমত আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি হাসপাতালেই যদি চিকিৎসা না পাই, তাহলে আমরা যাব কোথায়? ডাক্তার না দিলে গরিব মানুষ আরও বিপদে পড়বে।”

হরিণাকুন্ডুর গৃহবধূ ফারজানা খাতুন জানান, “ক্লিনিকে গেলে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। গরিব মানুষ কীভাবে এই টাকা জোগাড় করবে? তারপরও বাধ্য হয়ে ক্লিনিকেই যেতে হচ্ছে।”

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, “সব উপজেলাতেই অপারেশনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক সংকট বড় সমস্যা। দ্রুত পদায়ন হলে আবারও সিজারিয়ান অপারেশন চালু করা সম্ভব হবে।”

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চিকিৎসক থাকলে শুধু এই পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই প্রতি মাসে অন্তত ২০০ প্রসূতি মাতা সরকারি সেবা পেতেন। দীর্ঘদিন ধরে সিজারি করা বন্ধ থাকায় গরিব পরিবারগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।




আলমডাঙ্গায় ট্যাপেন্ডাডলসহ গ্রেফতার-৩

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে পনেরো পিচ ট্যাপেন্ডাডলসহ গ্রেফতার হয়েছে ৩ জন।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মুহাঃ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ ফিরোজ আলী এবং আসমানখালী পুলিশ ক্যাম্পের সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ ক্যাম্প এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানাধীন ভোগালাই বগাদী গ্রামস্থ জনৈক আনসার আলী এর বাড়ীর সামনে ইটের ছলিং রাস্তার উপর হতে আসামী মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোঃ আসাদ সর্দার(২৩), আনছার আলির ছেলে মোঃ সেন্টু আলী(৩৫), ফজলু হকের ছেলে মিলন(২৫) গ্রেফতার করা হয়।

গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার সময় তাদের কাছে সর্বমোট ১৫ পিচ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেট উদ্ধারকৃত আলামত জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ মামলা রুজু করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় ১০ লক্ষাধিক টাকার গাছ ১ লাখে বিক্রি

আলমডাঙ্গায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ৭ টি মূল্যবান গাছ মাত্র ১ লক্ষ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আলমডাঙ্গা-সরোজগঞ্জ সড়কের সাতকপাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বেলগাছি অভিমুখে নামমাত্র দরপত্রের মাধ্যমে গাছ কাটার অভিযোগ ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ৭টি মূল্যবান গাছ মাত্র ১ লাখ টাকায় দরপত্রের মাধ্যমে কেটে ফেলা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ গাছগুলো অকারণে কেটে ফেলা হয়েছে, যা পরিবেশ ও জনস্বার্থবিরোধী।এই গাছ কাটার জন্য প্রতিবাদে ফেটে পড়ছে আলমডাঙ্গাবাসী। গাছ কাটার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার দুপুরে স্থানীয়দের উদ্যোগে “সম্মিলিত আলমডাঙ্গাবাসী” ব্যানারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, “চুয়াডাঙ্গা একটি দুর্যোগপ্রবণ জেলা। এখানে গরমে প্রচণ্ড গরম আর শীতে প্রচণ্ড ঠান্ডা দেখা দেয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। অথচ চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের টেন্ডারের মাধ্যমে অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিকভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী চার ইঞ্চি রেখে গাছ কাটার কথা থাকলেও বাস্তবে ৫-৬ ফুট গভীর করে কেটে ফেলা হয়েছে, যা সড়কের ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি করেছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, টেন্ডারে ৭টি গাছ কাটার অনুমতি থাকলেও এর মধ্যে সুস্থ ও ব্যবহারযোগ্য গাছও কেটে ফেলা হয়েছে। টেন্ডারে গাছের মূল্য নির্ধারণ করা হয় মাত্র ১ লাখ ৭ হাজার টাকা, অথচ বাজারমূল্যে এর মূল্য ছয় থেকে সাত গুণ বেশি। এতে স্পষ্ট অনিয়ম ও স্বার্থসংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত মেলে।

অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান দাবি জানান— কাটা গাছের গর্ত দ্রুত ভরাট করা, সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের লাইসেন্স বাতিল করা এবং টেন্ডার থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে আলমডাঙ্গায় নতুন করে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “প্রশাসন উদ্যোগ না নিলে আমরা নিজেরাই নির্বাচিত স্থানে গাছ লাগাব।”

অনুষ্ঠান শেষে প্রতীকীভাবে মেহগনি ও আম গাছ রোপণ করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষ বড় বড় গাছ বিনা কারণে কেটে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান।