আলমডাঙ্গায় ধানকাটাকে কেন্দ্র করে জামাই-শশুর সংঘর্ষ

আলমডাঙ্গায় ধান কাটাকে কেন্দ্র করে শ্বশুর–জামাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় তিন প্রতিবেশী। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হলেও ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে নিরীহ প্রতিবেশীদের আসামি করে মামলা করায় এলাকায় ক্ষোভ ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জাহাপুর গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাগদাহ ইউনিয়নের ভেদামারি গ্রামের হবি মোল্লার ছেলে তালেবের সঙ্গে জাহাপুর গ্রামের হারেজ আলীর মেয়ে কাকলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলতে থাকে। একাধিকবার তালাক–পুনর্বিবাহ হলেও শেষ পর্যন্ত তালেব এক মাস আগে কাকলীকে ডিভোর্স দেন। এ ঘটনার পর থেকেই শ্বশুর হারেজ আলী ও জামাই তালেবের মধ্যে বিরোধ তীব্র হয়।

চলতি আমন মৌসুমে হারেজ দেড় বিঘা জমিতে ধান চাষের সুযোগ দেন জামাই তালেবকে। গত মঙ্গলবার দুপুরে তালেব ওই জমির ধান কাটতে গেলে স্ত্রী কাকলী ও তার বোন শ্যামলী বাঁধা দেন। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে হারেজ ধান কাটা মেশিন নিয়ে জমিতে গেলে খবর পেয়ে তালেব লোকজন নিয়ে সেখানে পৌঁছান। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অন্যদিকে, জমি নিয়ে হারেজ আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল হান্নান, দেলোয়ার ও মোশারেফসহ কয়েকজনের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। ১৯৯৫ সালে এক একর ৫৭ শতক জমি নিয়ে মামলা হলেও ২০০১ সালে আদালত তা নিষ্পত্তি করে। এরপর ২০১৫ সালে হারেজ পুনরায় একই জমি নিয়ে মামলা করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবারের শ্বশুর–জামাই সংঘর্ষ ছিল সম্পূর্ণ পারিবারিক বিষয়। অথচ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জমি বিরোধের সুযোগে প্রতিবেশী হান্নান, দেলোয়ার ও মোশারেফকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, হারেজ আলী ও তার পরিবার দুধর্ষ স্বভাবের। তারা অতীতেও বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করেছেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে সমালোচনা চলছে।




মেহেরপুর বড়বাজারে ট্রাকের ধাক্কায় ট্রলি চালক আহত, সৌখিন গার্মেন্টস ক্ষতিগ্রস্ত 

মেহেরপুর বড় বাজারে ট্রাকের ধাক্কায় একটি ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের সৌখিন গার্মেস্টসে ঢুকে পড়ে। এতে ট্রলি চালক গুরুতর আহত হন।

গতকাল বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ৩ টাই এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাথুলী বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করে বাজারে আসে ট্রলিটি, একই দিক থেকে দ্রুতগামী একটি ট্রাক ট্রলিটিকে ধাক্কা দিলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং ট্রলিটি সোজা গিয়ে সৌখিন গার্মেস্টসে উঠে যায়।

ট্রলির একজন কর্মী বলেন, আমরা কাথুলী বাসস্ট্যান্ডের দিক থেকে আসছিলাম। ট্রাক হর্ন দেয়, আমরা সাইড দিই তারপরও ট্রাক আমাদের ট্রলি অতিক্রম করার সময় পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। তারপর ট্রলি চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্মেন্টসের ভেতরে ঢুকে যায়। আহত ট্রলি চালককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সৌখিন গার্মেন্টসের মালিক বলেন, আমি দোকানের ভিতরে বসে আছি তারপর দেখি ট্রাকটি ট্রলিকে ধাক্কা দেয়, ট্রলিটি আমার দোকানের ভিতরে ঢুকে যাই আমি ভয়ে ভেতরের দিকে লাফ দিই। এতে আমার দোকানের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

দুর্ঘটনার কারণে বড়বাজার এলাকায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়।




মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড এই চেতনায় ইয়ুথ ফোরাম ও কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের উদ্যোগে ঝরে পড়া রোধ এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ও আমঝুপি ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু দরিদ্র কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও স্কুল ইউনিফর্ম বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে হোম ভিজিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্কুল ব্যাগ, খাতা ও স্কুল ইউনিফর্ম। আয়োজকরা জানান আর্থিক অসুবিধা যেন কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষার পথে অন্তরায় না হয়, সেটিই তাদের এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের সদস্যবৃন্দ, ইয়ুথ ফোরামের তরুণ সমাজসেবীরা, ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিগণ। তাঁরা সবাই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন এটি শুধু শিক্ষার্থীদের উপকৃত করবে না, বরং অভিভাবক ও সমাজকেও শিক্ষা সম্পর্কে আরও সচেতন করবে।

উপকরণ পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে জানায়, তারা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হবে এবং একদিন সমাজ ও দেশের জন্য বড় কিছু করতে চায়। অভিভাবকরা আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বক্তারা বলেন শিক্ষার আলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যদি সমাজের প্রতিটি মানুষ সামান্য করে এগিয়ে আসে, তবে কোনো শিশুই শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না।

এই মহৎ আয়োজনকে সফল করতে সকলে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং ওয়াচ গ্রুপ, ইয়ুথ ফোরাম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান তাদের এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। কারণ—শিক্ষিত প্রজন্মই পারে সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে, আর প্রতিটি শিশুর হাতে কলম তুলে দেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।

গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগিতায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।




গাংনীতে সাপে কেটে শিশুর মৃত্যু

সাপের কামড়ে ফারিয়া খাতুন (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফারিয়া খাতুন গাংনী উপজেলার ওলিনগর গ্রামের হায়দার আলী ওরফে বাবলুর মেয়ে ও স্থানীয় তেরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগষ্ট) সকালের দিকে মারা যায় শিশুটি। গতরাতে ৩টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সাপে কাটে তাকে। স্থানীয়ভাবে তাকে ওঝা দিয়ে ঝাঁড়ফুঁক দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে শিশুটি মারা যায়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।




ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিভাজন বিএনপিতে, একক প্রার্থী জামায়াতে

ছয়টি উপজেলা ও ৬ টি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ জেলায় চারটি সংসদীয় আসন গঠিত। এর আসন গুলো হলো- ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা), ঝিনাইদহ-২ (সদর- হরিণাকুণ্ডু), ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) ও ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ- সদর আংশিক)।

জেলা নির্বাচন অফিসের প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী ঝিনাইদহের ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৭৮জন। ভোট কক্ষ-৩হাজার ৫২৪টি ও ভোট কেন্দ্র-৫৯৮টি। আজ তুলে ধরবো ঝিনাইদহ-৪।
ঝিনাইদহ -৪ (সদরের আংশিক ও কালীগঞ্জ)
কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি এবং ঝিনাইদহ সদরের ফুরসন্ধি, নলডাঙ্গা, ঘোড়শাল ও মহারাজপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ-৪। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ০৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৩২৯ জন। এ আসনে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন। ভোট কেন্দ্র ১২১টি।
জেলার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আসন কালীগঞ্জ। এই আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের জন্য যোগায়োগ ও তদবীর শুরু করেছেন। দলীয় কর্মসূচির পালনেও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটের মাঠের হিসেবনিকেশ কষছেন। নিজ নিজ প্রভাব ও অবস্থান জানান দিতে চলছে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের শোডাউন। এমনকি সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থকরা একাধিকবার সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন।

এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এ আসনে বিএনপির তৃণমূলে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন তিনি। পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। তবে এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম। তিনিও ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জোরেসোরে। স্থানীয় একটি গ্রুপের মাঝে তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা, বিগত সরকারের আমলে তিনি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই আসনে অপর সম্ভাব্য প্রর্থী ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব এডভোকেট আকিদুল ইসলাম। তিনি এলাকায় ক্লিন ইমেজের লোক বলে পরিচিত। এই আসনে বিএনপির আরও একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী রয়েছেন তিনি হলেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মরহুম এম শহীদুজ্জামান বেল্টুর স্ত্রী মুরশিদা জামান।এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে চলছে চতুর মুখী লড়াই। এখন দেখা যাক কার হাতে তুলে দেয় ধানের শীষ প্রতিক।
নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার নায়েবে আমীর, প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাওলানা আবু তালিব। জামায়াতে ইসলাম তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। ইতো পূর্বে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী ছিলেন। তিনি নিয়মিত নির্বাচনী মতবিনিময় সভা, কর্মী সমাবেশ ও কৌশলগত পরামর্শে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এছাড়াও এই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একক প্রার্থী মুফতী আহম্মেদ আব্দুল জলিল ভোটারদের দৃষ্টি আর্কষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এ আসনে জাতীয় পার্টি (ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ) সমর্থিত জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি হারুন অর রশীদ পার্থী হতে পারেন।

এই আসনে ভোটের মাঠে লড়বেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ায় জেলার তরুণ প্রজন্মের পরিচিত মুখ। তিনি তরুণ ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ভোটারদের ভাবনা:
উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি সর্বসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ,জুলাই বিপ্লব পরবর্তি নতুন প্রেক্ষাপটে ঝিনাইদহের চারটি সংসদীয় আসনের ভোটারদের মধ্যে মানসিক ব্যাপক পরিবর্তন দেখা গেছে। সাধারণ ভোটারদের কথা, বিগত দুই যুগে দেশে বারবার ভোট হয়েছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও মানবিক সমাজের তেমন উন্নতি ঘটেনি। ভোটারদের ভাবনা, এবার ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে দেশকে নতুন করে সাজানোর সুযোগ এসেছে। পেশীশক্তির ব্যবহার রোধ, দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি প্রতিরোধ, সামাজিক বিশৃঙ্খলা নিরসনে আসন্ন নির্বাচনে নিরব ভোট বিপ্লবের ইঙ্গিত সাধারণ ভোটারদের। তারা বলছেন, সামাজিক কারণে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সামনে চুপচাপ থাকলেও ভোটের দিন নিরবে পছন্দের যোগ্য, মেধাবী, সৎ ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকেই তারা বেছে নিবেন।
ভোটাররা আগামী নির্বাচনে দল-মতের উর্ধ্বে উঠে ক্লিন ইমেজের সৎ, যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীদের ভোট দিতে চান। তারা বলছেন, পেশিশক্তি প্রদর্শনকারী, ভয়ভীতি দেখানো, টেন্ডারবাজ, দুর্নীতিবাজ ও অসৎ প্রভাবশালী প্রার্থীদের তারা ভোটের মাধ্যমেই জবাব দিবেন। বিগত সময়ে এই আসনটি বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিযোগীতা হয়ে আসছে। এবার যেহেতু আওয়ামী লীগ মাঠে নাই সেকারণে বিএনপি জনসর্মথনে একটু এগিয়ে থাকলেও দলীয় কোন্দলে নিজেরা বিপর্যস্ত। এই অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনে জামায়াত বা বিকল্প কোন প্রার্থীর ভাল করার সম্ভাবনা থাকবে।




মেহেরপুর সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ অনুষ্ঠান

মেহেরপুর সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ করলো ইসলামী ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কলেজ কনফারেন্স রুমে জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি কামরুল ইসলাম নাহিদ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কে এম নজরুল কবীর।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক আল আমিন ইসলাম বকুল, সাবেক ছাত্রশিবির নেতা সোহেল রানা ডলার, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুস সালাম ও সেক্রেটারি সাইদুর ইসলাম। কোরআন তেলাওয়াত করেন আবু হুসাইন।

এ সময় বক্তারা নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।




মেহেরপুরে দিনব্যাপী আউটরিচ ক্যাম্পেইন

অ্যাসেট প্রকল্পের আওতায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে আউটরিচ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কলেজ মোড় ও আমঝুপি নীলকুঠি ও বাজার এলাকায় গান ও প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে কারিগরি শিক্ষার তাৎপর্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়।

আউটরিচ ক্যাম্পেইন ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ মিয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিফ ইন্সট্রাক্টর (ফার্ম) প্রকৌশলী শফি উদ্দিন, চিফ ইন্সট্রাক্টর (ওয়েল্ডিং) মোক্তার হোসেন মীর, ইন্সট্রাক্টর (অ্যাপারেল) মিনারুল ইসলামসহ সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আউটরিচ ক্যাম্পেইনের সমাপ্তি ঘটে।




দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও উপস্থিতির হার বৃদ্ধি করণ উপলক্ষে দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রিকাত মালিথা, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য আজাদুল ইসলাম আজাদ খাঁনসহ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ, বিদ্যালয়ে অধ্যায়ণরত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ।

অভিভাবক সমাবেশে বক্তারা স্কুলে ছাত্র – ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও নিয়মিত উপস্থিতির হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বক্তব্যে বলেন আমাদের ক্ষেত খামার, চাকরি, ব্যবসাসহ জীবন ধারণের জন্য আমরা নিয়মিত যে সময় ও মূলধন ব্যয় করি ঠিক তেমন ভাবে নিয়ম করে প্রতিদিন আমরা যারা ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক আছি আমাদেরকে নিয়মিত আমার সন্তানের শিক্ষার মান ও সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সময় ও মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে। কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। আমার সন্তান কোথায় যায়, কী করে, কাদের সঙ্গে মেলামেশা করে নিয়মিত খোজ খবর নিতে হবে। নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাচ্ছে কিনা, লেখা পড়া করেছে কীনা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে অভিভাবক হিসাবে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। ডিজিটাল যুগে আমাদের উঠতি বয়সী সন্তানের হাতে আমরা হর হামেশাই দামী মোবাইল ফোন ও দামী মটর বাইক তুলে দিচ্ছি যা আমাদের সন্তানকে আমরা বিপথগামী ও মৃত্যুর মূখে ঠেলে দিচ্ছি। এই অবস্থা থেকে বের হবার পথ খুজতে হবে এবং সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।




“মেহেরপুর জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

গাংনীতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “মেহেরপুর জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় গাংনী উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আনোয়ার হোসেন। সেমিনারে নগর উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন গঠনমূলক বক্তব্য দেন গাংনী উপজেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ।

এসময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আহম্মেদ আকতারুজ্জামান, ব্যাবস্তাপক, মো সাইফুর রহমান, ইয়ারুন নেছা ও পরামর্শক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীর রামকৃষ্ণপুর সীমান্তে সাড়ে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ৮৯ হাজার ২৫০ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিজিবি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোর ৫টার দিকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর রামকৃষ্ণপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। সীমান্ত পিলার ১৫৭ এর মেইন পিলার থেকে প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে মদনের ঘাট নামক স্থানে হাবিলদার মো. আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা ২৫ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা।

উদ্ধারকৃত গাঁজার সিজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯ হাজার ২৫০ টাকা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিজিবি জানায়, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।