গাংনীতে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনীতে সাপের কামড়ে মাইশা আক্তার (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর মন্ডলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

মাইশা আক্তার কল্যাণপুর গ্রামের এনামুল হকের মেয়ে।

স্বজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, মাইশা আক্তার নিজ বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে খেলাধুলা করার সময় একটি সাপ তাকে কামড় দেয়। এ সময় মাইশা আক্তার কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশীরা সাপে কামড়ের বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত গাংনী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাংনী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক এম কে রেজা জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে শিশু মাইশা আক্তারকে বিষধর সাপে কামড় দিয়েছে। এ কারণে তার শরীরে দ্রুত বিষ ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়।




দেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিএনপি সরকার দরকার

আলমডাঙ্গায় বিভিন্ন স্থানে পথসভা ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, শামসুজ্জামান দুদু। বিএনপি এখনো কাউকে নমিনেশন দেয়নি। তবে ধানের শীষের পক্ষে মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, “বিএনপি সরকার গঠন করলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

গতকাল বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভালাইপুর, আসমানখালী, হারদি ইউনিয়ন বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত পৃথক এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং গ্রামীণ জনতার ব্যাপক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা অঞ্চলে এখনো অনেক সমস্যা বিরাজ করছে। আমি বিগত দুইবার এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। জনগণের উন্নয়নে কাজ করেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থেকে শুধু দুর্নীতি আর লুটপাট করেছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সেই টাকা ফেরত আনা এবং দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে হলে বিএনপি’র সরকার গঠন করা ছাড়া বিকল্প নেই।”

আওয়ামী লীগকে তীব্র সমালোচনা করে বিএনপি’র এই নেতা আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ কত বড় চোরের দল, তা শেখ হাসিনা গত ১৬-১৭ বছর ক্ষমতায় থেকে প্রমাণ করেছে। দেশের মানুষ আজ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। তাই মানুষের মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।”

সমাবেশের শেষে শামসুজ্জামান দুদু নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যদি স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, তবে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড: ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, শহিদুল ইসলাম রতন, এ্যাড: শামিম রেজা ডালিম, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, জেহালা ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম, বুরহান উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, সহ-সভাপতি মাগরিবুর রহমান প্রমুখ।




মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক-১

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নিয়মিত অভিযান হিসেবে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার শেখ পাড়ায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত শাকিল গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য আলবাপ আলিফ খানকে আটক করে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল।

সে পৌরসভার শেখ পাড়ার আলিফ আরাফাত খান এর ছেলে।

আটকের সময় তার কাছ থেকে ০১ টি চাইনিজ কুড়াল, ০১ ইলেকট্রিক টেজার, ০১ টি ফ্লোল্ডিং স্টিক এবং মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আটককৃত আসামীকে উদ্ধারকৃত আলামতসহ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানাই মেহেরপুর সেনা ক্যাম্প।




মেহেরপুর সরকারি কলেজে বার্ষিক ম্যাগাজিন উন্মোচন

মেহেরপুর সরকারি কলেজের টিএসসিআর কক্ষে অনুষ্ঠিত হলো কলেজের বার্ষিক ম্যাগাজিন ২০২৫ উন্মোচন অনুষ্ঠান। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. আবদুল ছালাম।

সভাপতির বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ.কে.এম. নজরুল কবীর বলেন, বার্ষিক ম্যাগাজিন একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম, যা শিক্ষার মানোন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মো. খেজমত আলী মালিথা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ম্যাগাজিন সম্পাদনা পরিষদের সদস্য মঈনুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক এস. এম. আশরাফুল হাবিব।

উন্মোচন অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বার্ষিকী ম্যাগাজিন ২০২৫ এর বেশ কিছু স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হয়।




মুজিবনগরে গণিত মাস্টার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের মুজিবনগরে গণিত মাস্টার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মুজিবনগর গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির আয়োজনে বল্লভপুর অফিস প্রাঙ্গণে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির প্রোগ্রাম অফিসার এন. টন ফলুয়ারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন গুডনেইবারস মেহেরপুর সিডিপির ম্যানেজার বিপুল রেমা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এবং দারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ আওলিয়া খাতুন।

অঙ্ক প্রতিযোগিতায় উপজেলার ১০টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, মাঝপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরাকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনন্দবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগোয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ভবেরপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

গণিত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আফিয়া জয়নব সহি, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাদিয়া তাসনিম এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন ভবেরপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিমন চৌধুরী।




ডা. লিমন পারভেজের ডি-কার্ড (কার্ডিওলজি) ডিগ্রি অর্জণ

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ডি-কার্ড (কার্ডিওলজি) চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ডা. মো. লিমন পারভেজ। মঙ্গলবার ঘোষিত ফলাফলে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নতুন স্বীকৃতি অর্জন করেন।

ডা. লিমন পারভেজ পাবনা মেডিকেল কলেজের ২ ব্যাচ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ৩৯ তম বিসিএসএ’র মাধ্যমে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। এরপর ঝিনাইদহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কার্ডিওলজিতে উচ্চতর জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে দুই বছর মেয়াদী কোর্স সম্পন্ন করেন। সর্বশেষ ঘোষিত পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি এফসিপিএস (কার্ডিওলজি)তে পার্ট-১ পাশ করেন ২০২৩ সালে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের এই কৃতি সন্তান নিজের মেধা ও পরিশ্রমে শুধু পরিবার নয়, পুরো এলাকার গর্ব হয়ে উঠেছেন।

সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা তার এই অর্জনকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন। অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে তিনি হৃদরোগ চিকিৎসায় বিশেষ অবদান রাখবেন।




১৫০ শত বছর বয়সী গাছ কাটতে তোড়জোড় প্রশাসনের

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর বাজারে একটি ১৫০ বছর বয়সী কড়ই গাছ কাটা ঠেকাতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন এবং পরে এলাকার ৬১ জন মানুষের ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গিকার নামা জমা দেওয়ার পরেও অনড় প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন নিলামের সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করেছে। তবে গাছ কাটার ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার আগে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসী।

বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসনে আরার কার্যালয়ে অঙ্গিকারে স্বাক্ষর করা ব্যক্তিদের ডেকে হ্যাঁ-না ভোট করা হয়। তবে সেখানেও গাছ না কাটার পক্ষের জয় হয়েছে।

সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের মধুপুর বাজারটির আনুমানিক বয়স দেড়শত বছর। এই বাজারের পেরিফেরির জায়গায় রয়েছে সার্ধশত বছর বয়সী রেইন্ট্রি কড়ই গাছটি। ওই বাজারের ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি একলাচুর রহমান জানান, তার বর্তমান বয়স ৭২ বছর। ধারণা করা যায় বাজারটি গড়ে ওঠার সময় বাজারের দক্ষিণ পাশে এই গাছের চারা রোপণ করা হয়। যা কালক্রমে অনেক বড় হয়েছে। বর্তমানে বাজারটিতে ২৫০ টির অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার একপাশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান এই গাছের ছায়া ভোগ করছে। গাছটি বাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত গাছের ডাল পড়ে তাদের বা কোনো ব্যবসায়ীর কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি জানান, গত জুলাই মাসের শেষ দিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে মাছ বাজারের পাশে একটি ছোট বট গাছ চাঁদনীর ওপর হেলে পড়ে। তারা চান এই গাছটি অপসারণ করা হোক। এ জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে সেই সময় অবহিত করা হয়। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা সরেজমিনে দেখতে আসেন। পরে উপজেলা ্রশাসনের পক্ষ থেকে হেলেপড়া গাছটি কাটার উদ্যোগ নিয়ে ওই বট গাছের সঙ্গে তরতাজা সবুজ কড়াই গাছটি নিলাম আহবান করা হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর এই নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেদিন আবেদন ও অঙ্গিকার নামার কারণে সাময়িক স্থগিত করা হলেও পরবর্তীতে আবার নিলাম আয়োজন করা হয়েছে। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছেন যবদল নেতা মনিরুল ইসলাম।

বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম জানান, তারা হঠাৎ করে জানতে পারেন বাজারের হেলেপড়া বট গাছটি কাটতে গিয়ে সঙ্গে বড় কড়াই গাছটিও নিলাম ডাকা হয়েছে। এই খবর পেয়ে তারা প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে যান। তিনি সঠিক উত্তর দিতে না পারলে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন নিয়ে যান। সেখান থেকে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যান। সেখানে গিয়ে তাদের অভিযোগ জানান ও গাছটি না কাটার দাবি জানালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের দাবি প্রথমে রাখতে রাজি হন। এই দাবি রাখতে তিনি একটি অঙ্গীকার দেওয়ার কথা বলেন। যেখানে গাছের ডাল পড়ে অথবা গাছ উপড়ে কোনো জানমালের ক্ষতি হলে বা আর্থিক ক্ষতি হলে তাদের দায়ি থাকতে হবে। গাছ রক্ষায় এলাকার ৬১জন মানুষ ৩০০ শত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে অঙ্গীকার দিয়েছেন। এভাবে তারা গাছটি রক্ষা করেছেন, কিন্তু গাছ রক্ষা করতে গিয়ে তাদের কাঁধের ওপর একটি বোঝা চাপিয়ে দেওয়ায় তারা হতাশ হয়েছেন। তারা প্রয়োজনে মানববন্ধন করবেন বলেও জানান।

স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, তিনি অল্পদিন এখানে যোগদান করার পর বট গাছটি হেলেপড়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাছটি দেখতে আসেন। তিনি সরোজমিনে দেখে গাছ নিলাম আহবান করেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি ওই একটি গাছ অপসারণের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। ঝড় বাদলে কড়াইগাছটি ভেঙে পড়ে মানুষের ক্ষতি হতে পারে ভেবে। তবে এখন তিনিও সবুজ গাছটি বেঁচে থাক এটাই চান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা জানান, গাছ নিলামের অনুমতি দিয়েছেন ডিসি স্যার। তিনি পরবর্তীতে কেন নিলাম হলোনা সেই কৈফিয়ত চান। ডিসি স্যার তাদের অঙ্গিকারনামা আমলে নেননি। তাছাড়া সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ভূমি সহকারী কমিশনার হিসেবে নিলাম কমিটির সেক্রেটারি। আমি শুধু নির্দেশ পালন করছি।




১০ জনের রিয়ালকে হারের হাত থেকে বাঁচাল এমবাপ্পের জোড়া পেনাল্টি

কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া পেনাল্টিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার রাতে ১৫ বারের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা ২-১ গোলে ঘুরে দাঁড়িয়ে হারিয়েছে অলিম্পিক মার্শেইকে।

ম্যাচের শুরুটা ভালো ছিল অতিথি মার্শেইয়ের জন্য। মেসন গ্রিনউড বল কাড়েন আর্দা গুলারের কাছ থেকে এবং টিমোথি উইয়াহকে পাস দেন। তিনি ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক থিবো কোরতোয়ার পাশ দিয়ে বল পাঠান জালে। মার্শেইয়ের জার্সিতে এটাই ছিল তার প্রথম গোল।

এরপরই ম্যাচে উত্তেজনা তৈরি হয়। একের পর এক আক্রমণ চালালেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। অবশেষে রদ্রিগো গোয়েসকে জিওফ্রে কন্দগবিয়া ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মাদ্রিদ। সেখান থেকে নির্ভুল শটে গোল করেন এমবাপ্পে।

দ্বিতীয়ার্ধে মার্শেইও চেষ্টা চালিয়ে যায়। পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াংয়ের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। পরে কোরতোয়া তাঁকে আরও একবার গোল বঞ্চিত করেন।

এ সময় ম্যাচের রঙ পাল্টে যায় দানি কারভাহালের কারণে। মার্শেইয়ের গোলরক্ষক জেরোনিমো রুইয়ির সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মাথা ঠেকিয়ে দেওয়ায় লাল কার্ড দেখেন কারভাহাল। ফলে ১০ জন নিয়ে মাঠে নামতে হয় মাদ্রিদকে।

তবু নাটক বাকি ছিল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে থামাতে গিয়েছিলেন মার্শেইয়ের ডিফেন্ডার ফাকুন্ডো মেদিনা। রেফারির মনে হয় বল লেগেছে হাতে, পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি। সেখান থেকে আবারও গোল করে রিয়ালকে জয়সূচক লিড এনে দেন এমবাপ্পে।

রিয়ালের কোচ জাবি আলোনসোর জন্য এটি ছিল ইউরোপীয় আসরে প্রথম ম্যাচ। সে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয়ে নতুন মৌসুমে ইউরোপীয় অভিযানে শুভ সূচনা হলো তাদের।




ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মামাকে পিটিয়ে হত্যা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আপন মামাকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভাগিনা ও ভগ্নিপতি। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভার ২নং ওয়াড নওপাড়া গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত আফসার শেখ ওই গ্রামের মৃত্যু এদেন মাতুব্বরের ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত স্ত্রী বাদী হয়ে মামলার প্রস্ততি নিচ্ছে।

পুলিশ ও নিহতের ছেলে মেহেদি হাসান জানান, গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহত আফসার শেখের দুই নাতি সুমন ফকির ও আবির কাজী বাড়ির পূর্ব পাশের বিলে গোসল করতে গিয়ে হাতাহাতি ও মারামারি করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন বাড়িতে এসে সুমন ফকিরকে আবারও মারপিট করে।

মারপিটের বিষয়টি মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ভাগিনা ও ভগ্নিপতির কাছে জানতে চান আফসার শেখ। এ সময় ভাগিনা ও ভগ্নিপতিসহ তাদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যা করে আফসারকে। সংবাদ পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর মর্গে পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: যুগান্তর ।




ঝিনাইদহে জমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজে নিয়োজিত জমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জমির মালিকরা।

অধিগ্রহণের টাকা চেয়ে আবেদনকারী কয়েকজন জমির মালিককে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার অফিসে ঢুকতে নিষেধ করেছেন।

এ ঘটনায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিকরা। লিখিত অভিযোগে দাবী করা হয়, ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। জারি করা হয়েছে ৮ ধারার প্রজ্ঞাপন। ৮ ধারা নোটিশ জারির পর অধিগ্রহণের তালিকাভুক্ত জমির মালিকরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অধিগ্রহণ শাখায় টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদন শুরু করেন।

অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের কাছে টাকা প্রাপ্তির আবেদন করেন। আবেদন জমা দিয়ে ভুক্তভোগীরা ওই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি জমির মালিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগে দাবী করেছেন, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাত জমির মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন-’টাকা কি চাইলেই পাওয়া যায়, দেশটা কি মগের মুল্লুক?’ এ কথা বলে ওই কর্মকর্তা জমির মালিকদের তার অফিস থেকে বের করে দেন।

পরে ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়ালের সঙ্গে দেখা করে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। ওই সময় জেলা প্রশাসক জমির মালিকদের আবারও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের অফিসে যেতে বলেন। জেলা প্রশাসকের কথা মতো ভুক্তভোগীরা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার অফিসে গেলে কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাত জমির মালিকদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় খারাপ ব্যাবহার করেন করেন। প্রতিকার না পেয়ে জমির মালিকরা খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আহম্মেদ সাদাতের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অসদাচরণের লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগপত্রে কালীগঞ্জ উপজেলার মৃত রফিউদ্দিনের ছেলে ফরিদউদ্দীন, সাজিদুল ইসলাম, সদর উপজেলার খয়েরতলা গ্রামের আক্কাস আলী ও মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে লুৎফর রহমান সাক্ষর করেন। এদিকে ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে ধীরগতিতে চলছে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ।

গত মাসে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা কিছুটা নিরসন হলেও অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের টাকা প্রাপ্তির আবেদনকে ঘিরে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের আপত্তিকর আচরণ ও হুমকি ধামকির ঘটনায় নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে। অভিযোগকারী মোঃ ফরিদ উদ্দীন জানান, তারা খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতকে অপসারণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি তার ড্রাইভারের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণের জন্য নানা ভাবে জমির মালিকদের চাপে রাখার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাত জানান, অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কোন জমির মালিকের সঙ্গে তিনি কোন খারাপ আচরণ করেননি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল বলেন, এমন অভিযোগ আমার কাছে দেওয়া হয়নি। যখন শুনলাম তখন তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তিনি বলেন বিভাগীয় কমিশনারের কাছে যেহেতু লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে কি নির্দেশনা আসে সেটা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।