দর্শনায় বিএনপি নেতা মশিউর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র উপ-কোষাধ্যক্ষ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির কান্ডারী মাহমুদ হাসান খান বাবু’র পক্ষে ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে দর্শনা রেলবাজারের শহীদ শাহরিয়ার শুভ মুক্ত মঞ্চ থেকে এ কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন দর্শনা পৌর বিএনপির অন্যতম সমন্বয়ক আলহাজ্ব মোঃ মশিউর রহমান। শুরুতেই সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে মশিউর রহমান বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের শাসনামলে চুয়াডাঙ্গা-২ আসেন কোন উন্নয়ন হয়নি। তবে উন্নয়ন হয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোষরদের। লুটপাট দখলদারিত্ব করে তারা নিজেদের পকেট ভারী করেছে।

মানুষের প্রতি জুলুম অত্যাচার করে আখের গুছানো মানুষগুলো আজ এ শহর থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে । আমি বিশ্বাস ও আস্থার সাথে বলছি। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জনদরদি জননেতা মাহমুদ হাসান খান বাবু ভাই কে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত করলে স্বাধীনতার পরবর্তি অবহেলিত এ অঞ্চলে সামনের বাংলাদেশ গড়ে তুলে এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার উঠবে । আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে এ দেশে সৃস্টি হবে উন্নয়নের নবদিগন্ত। তাই সবাই আসুন বিএনপির পতাকা তলে। একটি কথা মনে রাখবেন, যারা জান্নাত পকেটে ঘুরছে, সাধারণ মানুষকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে জান্নাতি বানাচ্ছে তারা প্রতারক। তাদের ফাদে পা দেবেননা। সতর্ক থাকবেন তথাকথিত ওই সকল ধর্ম ব্যবসায়ী থেকে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য মাহবুব উল ইসলাম খোকন, মোঃ রেজাউল ইসলাম, বিএনপি নেতা হাজী ফজলুর রহমান, মোখলেসুর রহমান, হাবিবুল্লাহ বিশ্বাস, দর্শনা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন, সাবেক যুবদল নেতা সেলিম মেহবুব লিটন, জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল, জিয়াউল হক শাহীন, সাবেক ছাত্রদলনেতা সেলিম মেহফুজ মিল্টন, আকাশ খান, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্নআহ্বায়ক মোর্শেদুর রহমান লিংকন, মোস্তাফিজুর রহমান লিংকন, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, যুগ্মআহ্বায়ক সাইদুর রহমান, আল মুকিত, সাব্বির রহমান, দর্শনা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ, যুগ্মআহ্বায়ক মোফাজ্জেল হোসেন মোফা, রাজু আহমেদ, সাইফ, আব্দুল হাই, আলআমিন, আরাফ খান মামুন, ফয়সাল, আরিফ হোসেন, দর্শনা ডিএস মাদরাসা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার শাহাব উদ্দিন প্রমুখ। পরে দর্শনা রেলবাজার এলাকায় পথে প্রান্তরে ব্যবসায়ীদের নিকট বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল বিভিন্ন ভাগে লিফলেট বিতরণ সহ বাবু খানের পক্ষে ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা করেছে।




আলমডাঙ্গায় ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ার মদিনা চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে আলমডাঙ্গায় দিনব্যাপী ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলমডাঙ্গা তা’লীমুল কুরআন নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে  দিনব্যাপী ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সকাল ১০ টা থেকে  এ চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সকালে মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথি হিসাবে এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসা কমিটির অন্যতম সদস্য আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রুনু খন্দকার, কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ, হারুন অর রশিদ,রাসেল রেজা আহমেদ লাভলু, আমিন উদ্দিন।

ক্যাম্পে হাসপাতালের ডিপ্লোমা চক্ষু বিশেষজ্ঞ  ডাঃ নাফিজ ইকবাল। তিনি শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ দেন। এ সময় ৪ জন ছানি পড়া রোগীকে বাছাই করে বিনামূল্যে অপারেশনের জন্য কুষ্টিয়া মদিনা চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।




আলমডাঙ্গার গিরিধারী লাল মোদী আর নেই , শনিবার শেষকৃত্য 

আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান দেশের অন্যতম শিল্পপতি দানবীর গিরিধারী লাল মোদি আর নেই। আলমডাঙ্গা মহাশ্মশানে আগামী শনিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে পারে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।

আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান আলমডাঙ্গা পৌর এলাকাররথতলা নিবাসী প্রখ্যাত শিল্পপতি, সমাজসেবক ও দানবীর উত্তরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক গিরিধারী লাল মোদি (৭৮) আর নেই।

গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

গিরিধারী লাল মোদি ছিলেন আলমডাঙ্গা পাইলট হাইস্কুলেরপ্রাক্তন ছাত্র ও ব্যবসায়ী স্বর্গীয় দোয়ারকা প্রাসাদ মোদির জ্যেষ্ঠপুত্র। শিল্পপতির পাশাপাশি তিনি একজন সমাজহিতৈষী ও জনদরদী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সারাদেশে পরিচিত ছিলেন।

আলমডাঙ্গা কালীমন্দির নির্মাণ, শ্রী শ্রী সত্য নারায়ণ মন্দির পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকায়নসহ বহু ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ছিল তাঁর অসামান্য অবদান। এলাকার নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত চাঁদা প্রদান ও আয়োজন তদারকিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকতেন। অর্থ, বস্ত্রদানসহ বিভিন্ন দান-খয়রাতের মাধ্যমে তাঁর উদার মানসিকতার পরিচয় সর্বত্র মিলেছে।

শিক্ষাক্ষেত্রেও গিরিধারী লাল মোদির অবদান অনস্বীকার্য। কন্যার বিবাহে আগত বরযাত্রীদের রাত্রিযাপনের জন্য নির্মিত অবকাঠামো পরবর্তীতে আলমডাঙ্গা পাইলট গার্লস হাইস্কুলের জন্য দোতলা হলরুমে রূপান্তর করে দেন। এছাড়া আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ পশুহাট জুনিয়র হাইস্কুল, চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনস স্কুল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য করেন তিনি। আলমডাঙ্গা উপজেলা মহাশ্মশান দালান নির্মাণেও তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।

তাঁর কাকা সত্য নারায়ণ মোদী ছিলেন আলমডাঙ্গার একজন সামাজিক ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবী, ক্রীড়ামোদী ও ক্রীড়া সংগঠক, যিনি আলমডাঙ্গা পাইলট গার্লস হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন।

ব্যক্তিজীবনে গিরিধারী লাল মোদি ছিলেন ১ পুত্র ও ২ কন্যার জনক।

এলাকার বিশিষ্ট শিল্পপতি ও কিংবদন্তি এই ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বত্র। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী সংগঠন তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।




মুজিবনগরে ধানের শীষে ভোট চেয়ে  মাসুদ অরুনের গণসংযোগ

মুজিবনগর ধানের শীষের পক্ষে ভোট দিতে জনগনকে উৎসাহিত করতে গনসংযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন।

বৃহস্পতিবার বিকালে দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে এ গনসংযোগ করেন তিনি।

গণসংযোগ এর উদ্দেশ্যে মাসুদ তরুণ দারিয়াপুর ইউনিয়নের পৌঁছালে দারিয়াপুর ইউনিয়নবাসী  ও বিএনপি’র নেতাকর্মীবৃন্দ তাকে বরণ করে নেন এ সময় মাসুদ আরুনকে একনজর দেখার জন্য রাস্তার দুই ধারে নারী পুরুষ শিশু সহ অসংখ্য লোকের ভিড় জমে যায়। এ সময় তারা হাততালি দিয়ে মাসুদ আরুনকে শুভেচ্ছা জানান।

র‍্যালীর মধ্যে দিয়ে রাস্তায় চলমান সাধারন জনগনের সাথে কুশল বিনিময় করেন মাসুদ অরুন।

এ সময় সাধারন জনগনকে ধানের শীষে ভোট দিতে আহব্বান জানান তিনি।

গনসংযোগ শেষে নেতাকর্মী ও জনগণের উদ্দেশ্যে মাসুদ অরুন বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সেই গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা ছিলাম। গত এক বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের দল-বিএনপি সহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তি তাদেরকে সহযোগিতা করেছে। বিএনপি কথা দিয়েছে  সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের স্বার্থে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই এই নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে দল এদেশের গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রগামী ছিল।সেই দল আগামী দিন ধানের শীষে যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তাকে বিজয়ী করব ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন এই মুহূর্তে প্রতিটা ভোটারের কাছে এবং বাড়িতে বাড়িতে যেতে হবে আমাদের মা বোনদের কাছে। প্রচার-প্রচারণা মিছিল মিটিং গনসংযোগ সব কিছুর মধ্য দিয়ে জনগণের সেই আস্থা অর্জন করতে চাই যে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে তারেক রহমানের ঘোষিত বিএনপি ঘোষিত ৩১দফা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ  গঠন হবে।

নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে অনেক ষড়যন্ত্র হবে নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা চলবে আমরা পরিষ্কার বলছি ১৫ বছর হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি ১৫ বছর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি অনেক রক্ত এবং জীবনের বিনিময়ে আজ এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এই সরকারের নির্ধারিত সময়ে যে নির্বাচন জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ এই সুযোগ যারা ছিনতাই করতে চায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করব। আমরা রাজপথে আসি রাজপথে থাকবো।

গনসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজির, মেহেরপুর জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ সভাপতি  আজিমদ্দীন গাজী, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবুল হাসান, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরমান আলী সহ বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও ছাত্রদলের  বিপুল সংখ্যাক নেতা কর্মী।




দামুড়হুদার ডুগডুগি গ্রামে বিষধর সাপ নিয়ে ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলা

বিষধর সাপ দেখে মানুষ ভয় পায়, অথচ সেই সাপ নিয়েই আবার খেলা দেখিয়ে মানুষকে আনন্দ দিতে পারেন কেউ কেউ। এরকমই একটি খেলা হচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলা। দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি গ্রামে হয়ে গেল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বিষধর সাপ নিয়ে ঝাপান খেলা।

বৃহস্পতিবার ডুগডুগি গ্রামের মৃত আজির মণ্ডলের স্ত্রী রোকেয়া বেগমের আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে দিনভর উপজেলার তারিনীপুর গ্রামের নজু সাপুড়ের দল এবং মেহেরপুর থেকে আগত এক সাপুড়িয়ার দল খেলা দেখায়। এই দুই সাপুড়ে দলের অর্ধশতাধিক সাপের মধ্যে নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে প্রতিটি সাপ প্রদর্শন করে আকর্ষণীয় কলাকৌশলে। আর এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। মানুষকে আনন্দ দেওয়াটাই যেন সাপুড়েদের মূল উদ্দেশ্য।

দুপুরের পর থেকেই ঝাপান খেলা দেখতে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি গ্রামে ভিড় জমায় শত শত মানুষ। বাদ্যের তালে তালে সাপুড়ে নিজে নাচেন, আর সঙ্গে ফণা তুলে সাপও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। সাপুড়ের ইশারায় সাপের এই অঙ্গভঙ্গি মানুষকে দেয় অনাবিল আনন্দ। তাই এই দুর্লভ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা।

হাউলী থেকে আসা শাপলা খাতুন নামের এক গৃহবধূ বলেন, আমি জীবনের প্রথম ঝাপান খেলা এখানে এসে দেখছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি চাই এ ধরনের আয়োজন যেন প্রতি বছর করা হয়। সালেহা বেগম নামের অপর এক গৃহবধূ বলেন, আমি শহরে থাকি। ঝাপান খেলার কথা শুনে আমার বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। আমিও দেখছি, আমার বাচ্চারাও দারুণ উপভোগ করছে। সাপ সম্পর্কে ওদের ধারণা হচ্ছে।

হাউলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের জন্য টিকিয়ে রাখতে পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী দর্শকরা তা উপভোগ করেছে নীরবতায়। ঝাপান খেলা বা সাপ খেলা একটি গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ, যা একসময় গ্রামবাংলায় বিভিন্ন দিবস বা ঘরোয়া আয়োজনে দেখানো হতো। কিন্তু প্রযুক্তি আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন এসব খেলা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন এমন আয়োজন।

দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের তারিনীপুর গ্রাম থেকে আসা নজরুল ইসলাম ওরফে নজু সাপুড়ে বলেন, মূলত আমাদের পেশা এটা নয়। আমরা মানুষকে আনন্দ দিই, আর খেলা করে নিজেরাও আনন্দ পাই। এ জন্যই দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ঝাপান খেলা করি।

জয়রামপুর গ্রামের নুর নবী বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে বয়োবৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, শিশুরা উপস্থিত থেকে নিবিড় দৃষ্টিতে সাপের খেলা উপভোগ করেন। এই খেলাকে ঘিরে এখানে সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য যে এত মনোমুগ্ধকর, ঝাপান খেলা না দেখলে বোঝা যাবে না।

আয়োজকের ছেলে হামিদুল ইসলাম বলেন, চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই খেলা দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং এলাকার মানুষকে আনন্দ দিতেই এ আয়োজন।

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বিষধর সাপ নিয়ে ঝাপান খেলাটির আয়োজন করেন হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি গ্রামের মৃত আজির মণ্ডলের স্ত্রী রোকেয়া বেগম।




পৃথিবীর পাশ দিয়ে আজ ছুটে যাবে বিশাল গ্রহাণু

গতিশীল মহাবিশ্বে হাজার হাজার মাইলের গতিতে ছুটে চলা গ্রহাণুর মধ্যে মাঝে মাঝে আমাদের পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করে কিছু গ্রহাণু। আজ বৃহস্পতিবার ‘২০২৫ এফএ২২’ নামের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে ছুটে যাবে।

নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, গ্রহাণুটি পৃথিবীর থেকে ৪৬ লাখ মাইল দূরে নিরাপদভাবে অতিক্রম করবে।

নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির তথ্যমতে, ৪৯২ ফুটেরও বড় বিশাল এই গ্রহাণু ঘণ্টায় ২৪ হাজার মাইলের বেশি বেগে পৃথিবীর পাশ দিয়ে ছুটে যাবে। প্রাথমিকভাবে আকারের কারণে গ্রহাণুটি সম্ভাব্য বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে দূরত্বের কারণে পরে তা ঝুঁকির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

গ্রহাণুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪২৭ থেকে ৯৫১ ফুট। গত মার্চে হাওয়াইয়ের একটি বিশেষ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এটি শনাক্ত করা হয়। গ্রহাণুর গতিপথ চাঁদের কক্ষপথের অনেক বাইরে এবং এটি খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণুর আকার ও গতির ওপরই তার বিপজ্জনক হওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে। ছোট গ্রহাণু বায়ুমণ্ডলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়, কিছু উল্কাপাত সৃষ্টি করে। বড় গ্রহাণু কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ৪৬০ ফুটের বেশি আকারের গ্রহাণু যদি পৃথিবীর ৭৪ লাখ কিলোমিটারের মধ্যে আসে, সেগুলোকে বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ গ্রহাণু পরবর্তী ২০৮৯ ও ২১৭৩ সালে আবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরো ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৭

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে এ সময়ে ৬৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন নারী ও একজন পুরুষ।

গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪১ জন। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ১০৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৮ জন, খুলনা বিভাগে ৩৭ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৮৬ জন পুরুষ ও ৮১ জন নারী। এর আগে, গতকাল বুধবার ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছে ৫৭৫ জন।

সূত্র: কালের কন্ঠ




লি‌বিয়া থেকে দেশে ফিরছেন আরও ১৭৬ বাংলাদে‌শি

অবৈধভাবে লিবিয়া গিয়ে আটক, নির্যাতন ও অপহরণের শিকার ১৭৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী, লিবিয়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় দেশে ফিরছেন এসব বাংলাদেশি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ১৭৬ জনের মধ্যে ১৭২ জন ত্রিপোলীর তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। চারজন আইওএম’র আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলেন।

প্রত্যবসিত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচণা ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন বলে জানা গেছে। তাদের অধিকাংশই লিবিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

দেশে ফেরত আসার পর এই ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়ায় না যায় এ বিষয়ে তাদেরকে সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সবাইকে আহ্বান জানান।

আইওএম’র পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ছয় হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী, মেডিক্যাল চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ত্রিপোলীর বাংলা‌দেশ দূতাবাস জা‌নিয়েছে, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আইওএম-এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুর বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ

২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপি ও ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের অর্থায়নে মেহেরপুরের বুড়িপোতা ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে ফুটবল, ক্রিকেট সেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে স্প্রে মেশিন, প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার এবং দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার সময় বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সানোয়ার হোসেন সানুসহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সুবিধাভোগী  ও শিক্ষার্থীরা।

বক্তব্যকালে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম বলেন, আজকের যুব সমাজকে খেলাধুলার মাধ্যমে সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত করতে পারলেই আমরা মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারবো। শুধু উন্নয়ন কাজ করলেই হবে না, আমাদের মানবিক উন্নয়নেও মনোযোগ দিতে হবে। খেলা শুধু বিনোদন নয়, এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্ব তৈরির অন্যতম উপায়।

তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করা এবং নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন প্রদান সরকারের জনবান্ধব উন্নয়ননীতিরই অংশ। আমরা চাই সবাই উন্নয়নের সুফল ভোগ করুক।




মেহেরপুরের নতুন দরবেশপুর স্কুল মাঠে পানি জমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী ইউনিয়নের নতুন দরবেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বৃষ্টির পানি জমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এলাকাবাসীর একমাত্র খেলার মাঠটি এই বিদ্যালয়ের মাঠ হওয়ায় স্কুল শেষে গ্রামের শিশুরা এখানেই খেলাধুলা করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রতিদিন সকালে বাচ্চাদের ক্লাসে নেওয়া ও ছুটির সময় বের হওয়া দুটোই এখন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠজুড়ে পানি জমে থাকায় পায়ে কাদা লেগে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছে। এতে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং রোগজীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ছে।

এলাকার অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, নতুন দরবেশপুরে খেলার জন্য এ মাঠটি ছাড়া আর কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। বাচ্চারা খেলতে না পারায় তারা হতাশ হয়ে পড়ছে।

স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী খন্দকার ওভি (১০) বলেন, সকালে আমরা স্কুলে আসি আর বিকেল ৪টায় ছুটি হয়। এর মাঝে টিফিন থাকে। খেলার মাঠ ভালো থাকলে তোমরা খেলা করতে পারতাম, কিন্তু এখন আর পারছি না। যাতায়াতের সময়ও পানির ভেতর দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। এর ফলে আমার অনেক সহপাঠী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তারা ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছে না। আমাদের এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছা: খাইরুন নেছা বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে নতুন দরবেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি। প্রতি বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠ ও প্রাঙ্গণে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাই চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

আমরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সমস্যার সমাধানে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করে আসছি। উপরমহল থেকেও আমাদের জানানো হয়েছে যে খুব শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে। তবুও আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি জোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দ্রুত মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও মেরামত করা জরুরি। সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে মাঠটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগে মাঠের পানি নিষ্কাশন ও সংস্কারকাজ দ্রুত শুরু করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকার শিশু-কিশোরদের বড় একটি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।