বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মেহেরপুর জেলা শাখার সম্মেলন

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মেহেরপুর জেলা কমিটির ৭ম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার বেলা ১২ টার দিকে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড জালাল উদ্দীন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক কমরেড লুনা নূর এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক কমরেড ইদ্রিস আলী।

জেলার সকল কমরেডদের উপস্থিতিতে পার্টির আসন্ন জাতীয় কংগ্রেসের জন্য তিনজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। তারা হলেন কমরেড মো: শহিদুল ইসলাম কানন, অ্যাডভোকেট মোহা: মিজানুর রহমান ও মো: সিদ্দিকুর রহমান।

একই সঙ্গে ১১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি হয়েছেন মো: মোশারফ হোসেন (মুসা করিম), সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম কানন, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহা: মিজানুর রহমান।
সদস্যরা হলেন সিদ্দিকুর রহমান, মহামুদুল হক, রফিক উদ্দীন, মুখলেছুর রহমান, হাবিবুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, জালাল উদ্দীন এবং মহাদেব সাহা।




কালীগঞ্জে জমির ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমি ও ভবনের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিতের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জমি ও ভবন মালিকরা।

শনিবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টার সময় কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম। এসময় কালীগঞ্জ উপজেলার অধিগ্রহনকৃত জমির শতাধিক মালিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২০ সালে ৬ লেন প্রকল্প পাশ হওয়ার পর ২০২২ সালে জমি ও ভবন অধিগ্রহনের কাজ শুরু করে। অধিগ্রহনে যে জমি বর্তমান মুল্য ৫ লাখ টাকা শতক সেই জমির মূল্য দেওয়া হচ্ছে ১হাজার ৮শ টাকা। অনেক স্থানে জমি বাণিজ্যিক হলেও তা ধরা হয়েছে ডোবা বা ধানী শ্রেণির। ৭ধারায় আবেদন করলেও প্রশাসন জমি মালিকদের না ডেকে ৮ ধারার নোটিশ দেওয়া হয়েছে এই নোটিশ অনুযায়ি সড়কের উভয় পাশের জমি শ্রেণি অনুযায়ি এক শতক জমির বর্তমান বাজার মূল্য ৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা। সেখানে এসব জমির মূল্য কোথাও কোথাও ২ থেকে ৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। যা কিনা অর্ধশত বছর পূর্বের মৌজা রেট। এমন হটকারী মূল্যে জমি অধিগ্রহনের ফলে পথে বসতে চলেছে কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত ১৯টি মৌজার প্রায় ৪ হাজার জমির মালিক। তিনি আরো বলেন, সড়কের দুই পাশে যেসব জমি নিয়ে আমরা ব্যবসা ও বসবাস করছি, তা আমাদের বাপ দাদার সম্পত্তি। বংশানুক্রমে আমরা এসব ভূমি ব্যবহার করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। তাই অধিগ্রহণকৃত জমির ৮ ধারা প্রত্যাহার ও জমি ও ভবনের যে মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে তা বন্ধ করে পুনরায় সার্ভে করে স্থাপনা ও জমির বর্তমান মুল্য নির্ধারনের দাবী জানান। তাদের দাবি মানা না হলে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে আমরা আইনি হস্তক্ষেপ, হরতাল ও অবরোধের মত কঠোর আন্দোলনের পথ বেছে নেব। বিষয়টি শুরাহার জন্য জমির মালিকরা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।




মাইলস্টোন ট্রাজেডি: নিভে গেল তাসনিয়ার প্রাণপ্রদীপ

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ তাসনিয়া নামে আরও এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল আনুমানিক ১৫ বছর।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত (জুলাই) মাসের ২১ তারিখে তাসনিয়াকে শরীরে ৩৭ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আজ সকাল ৮টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

নিহত তাসনিয়ার বাবা মো. নাজমুল কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী এলাকায়। বর্তমানে পরিবার নিয়ে উত্তরার খালপাড় এলাকায় ভাড়া থাকি। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তাসনিয়া ছিল বড়। প্রায় ৩২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে আজ সকালে আমার মেয়ে না ফেরার দেশে চলে গেল।’

মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসা কার্যক্রমের সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে ২০ জন মারা গেছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৩ জন। এছাড়া ১৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতদের অধিকাংশই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির তিন শিক্ষকও প্রাণ হারিয়েছেন।

সূত্র: যুগান্তর ।




অকৃত্রিম ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার প্রয়াত আব্দুর রশিদ ও আবুল কাশেম স্যার

ফেসবুকের নীল পর্দা স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল। নিউজফিডে ভেসে উঠলো দুটি পরিচিত মুখ—আমাদের প্রিয়, শ্রদ্ধেয়, এখন আর না-ফেরা মানুষ—প্রয়াত আব্দুর রশিদ স্যার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম স্যার। যেন সময় এক মুহূর্তের জন্য থেমে গেল। ছবিগুলোর দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে স্মৃতির কুয়াশা ভেদ করে ফিরে এল বহু বছরের জমে থাকা মধুর সময়গুলো।

এই দুই গুণী মানুষের সাথে আমার সম্পর্ক শুধু পরিচয়ের গণ্ডিতে আটকে ছিল না—ছিল একসাথে হাসি, গল্প, আড্ডা আর অসংখ্য অমূল্য মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়ার সৌভাগ্য। আজ সেই অমলিন স্মৃতির কিছু খণ্ডচিত্র তুলে ধরতে বসেছি।

**স্মৃতির পথে পথে**
গাংনী উপজেলায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে “কমিউনিটি ফিলানথ্রপি” কর্মসূচি ছিল আমাদের মিলনমেলা। দুই মাস অন্তর আমরা যেতাম যশোর আরআরএফ ট্রেনিং সেন্টারে—কখনো ট্রেনে, কখনো বাসে, কখনো মাইক্রোতে। পথে ক্লান্তি বলে কিছু ছিল না।

মাইক্রোবাস ভর্তি প্রাণবন্ত মুখগুলো লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন স্যার, করমদি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবু সাদাদ মোহাম্মদ সায়েম পল্টু, মানিকদিয়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা ও কবি মোজাম্মেল হক, রাজনীতিক লাইলা আরজুমান বানু আপা, মনিরুজ্জামান আতু ভাই, আর দুই প্রিয় সঙ্গী—আবদুর রশিদ স্যার ও আবুল কাশেম স্যার।

যাত্রাপথ মানেই ছিল হাসি, ঠাট্টা আর গল্পে ভরা এক উৎসব। পল্টু স্যারের রসিকতা, জাকির স্যারের মজার উপমা, কাশেম স্যারের তীক্ষ্ণ জবাব—সব মিলিয়ে সময় যেন উড়ে যেত। আর এইসব প্রাণোচ্ছ্বল মুহূর্তের মাঝেই আব্দুর রশিদ স্যার থাকতেন নীরব শ্রোতা। মাঝেমধ্যে হাসির গল্পের পুনরাবৃত্তি চাইতেন, আর বাকিদের উল্লাস দেখে মৃদু হেসে চুপচাপ থাকতেন। তার নীরবতাতেও ছিল এক ধরনের উষ্ণতা।

**আব্দুর রশিদ স্যার ছিলেন—হিসেবী, প্রতিবাদী, সৎ, অনুসন্ধিৎসু, সময়ানুবর্তী ও অত্যন্ত সৎ মানুষ। দেনাপাওনার হিসাব সঙ্গে সঙ্গে মিটিয়ে ফেলতেন। তার পোশাক-পরিচ্ছদে ছিল নিজস্ব আভিজাত্য—পাঞ্জাবি-পাজামা, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন—তার স্টাইলেও ছিল সেই ছাপ।

ফেসবুকে তার পোস্টগুলো কখনো কবিতার মতো কোমল, কখনো রাজনৈতিক প্রবন্ধের মতো তীক্ষè। অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্ভীক কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি। এজন্য সমালোচনা, এমনকি হুমকিও সহ্য করতে হয়েছে, কিন্তু সত্য বলার সাহস কখনো হারাননি।

তিনি প্রযুক্তির সাথেও ছিল ভীষণ সখ্য। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সাহিত্যকর্ম লিখতেন, নতুন কোনো অপশন বা যুক্তাক্ষর লিখতে না পারলে ফোন দিতেন—“ভাই, এটা কিভাবে করবো?”
ঢাকার দেয়াল বনাম গ্রামের মুক্ত বাতাস :
ঢাকায় থাকার সময় ফোন করে বলতেন—
“ছোট ভাই, এই চার দেয়ালের মধ্যে ভালো লাগে না।”
আমি মজা করে বলতাম—
“স্যার, আপনি শহরের কোলাহল ছেড়ে চলে আসেন গ্রামীণ মুক্ত বাতাসে। যেখানে ধানের শীষ দোলে, পাখি গান গায়, খালের পানি ছুটে চলেৃ”
তিনি মুচকি হেসে বলতেন—
“আমার তাপুর মেয়েটার জন্য থাকতে হচ্ছে। ওকে দেখবে কে?”আমার লেখার পাঠক :
আমি যখন কোনো গান বা কবিতা ফেসবুকে দিতাম, তিনি সবার আগে পড়তেন এবং প্রশংসা করতেন—হয়তো উৎসাহ দেওয়ার জন্যই। একদিন বলেছিলাম—
“স্যার, আপনার লেখা বই আকারে বের করুন।”
তিনি রাজি হয়েছিলেন। পরে অগ্নি যুগের অগ্নি সেনা প্রকাশ করলেন । দুর্ভাগ্যবশত, সেই প্রকাশনা উৎসবে আমার থাকা হয়নি—সেই আফসোস আজও রয়ে গেছে।
শেষ কথা
আজ শুধু আব্দুর রশিদ স্যার নয়, আবুল কাশেম স্যার, সিরাজুল ইসলাম স্যার, মোজাম্মেল হক আঙ্কেল, জাকির স্যার, পল্টু স্যার—সবাই আমার জীবনে কখনো বাবার মতো, কখনো বন্ধুর মতো, কখনো অভিভাবকের মতো ভালোবাসা দিয়ে গেছেন।
যারা বেঁচে আছেন—তাদের জন্য সুস্থতা ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি। আর যারা চলে গেছেন তাদের জন্য দোয়া করছি, আমিন।
(অসমাপ্ত স্মৃতিচারণ)




তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন সেই শিক্ষক মিন্টু

এ সপ্তাহে তদন্তের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন আলোচিত শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মিন্টু। “নারী সহকর্মীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ডেপুটেশনে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার খায়েশ মিন্টুর শিরোনামে মেহেরপুর প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশ হলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠণ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এক সদস্য  বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহা. হাফিজুর রহমানকে।

জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের এস এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মিন্টুর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। শফিকুল ইসলাম মিন্টু বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মেহেরপুর সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি এবং প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম মিন্টু নিয়মিত স্কুল না উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে বেশি সময় কাটান এবং বিভিন্ন বিষয়ে দালালি করেন। তিনি একটি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী। বেলতলা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশন নিয়ে জোর করে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও সরকারি বিধি অনুযায়ী ডেপুটেশনপ্রাপ্ত শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ার বিধান নেই।

কিন্তু তিনি শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সুপারিশ নিয়ে ডেপুটেশন নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্ব না পেয়ে তিনি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একজন নারী হয়েও তাঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন যা চাকরিবিধি ও শিষ্টাচারবহির্ভুত। এবং তিনি সরাসরি একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারি বলে নিজেকে বিভিন্ন স্থানে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ ধরণের একজন শিক্ষকের কাছে থেকে শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষা গ্রহণ করবেন সে নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং শিক্ষক সমাজকে অন্যভাবে দেখানোর চেষ্টা করাচ্ছেন ওই শিক্ষক।

তদন্ত কমিটির প্রধান মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহা. হাফিজুর রহমান বলেন, এ সপ্তাহেই নতুন করে করে তদন্তের জন্য চিঠি ইস্যূ করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, এ সপ্তাহের রবিবারেই আমি তদন্তকর্মকর্তাকে তাগাদা দেবো যাতে দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেন।




কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ-গাংনী ঝোরপাড়া গ্রাম

“কাঁদা মাড়িয়ে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের ঝোরপাড়া গ্রামের সহাস্রাধিক মানুষকে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাসের বাণী মিলেছে বহুবার, কিন্তু মেলেনি একটি পাকা রাস্তা।” জানা গেছে, “দীর্ঘদিন ধরে মাত্র চার কিলোমিটার সড়কটি পাকাকরণের দাবিতে জনপ্রতিনিধি ও গাংনী উপজেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসি।

কিন্তু আশ্বাসেই আটকে আছে ঝোরপাড়া গ্রামের রাস্তা উন্নয়নের সেই প্রতিশ্রুতি। ঝোড়পাড়া গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ রাস্তার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ”কাঁদার কারণে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না এই গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থী। ফসল ঘরে তুলতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের। এলাকাবাসির জানান, রাস্তাঘাটের এই দুরবস্থার কারণে অসুস্থ মানুষকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।”

দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে ঘুরে কোনো কাজ হয়নি তাদের। একারণে “আজ শুক্রবার বিকেলে একটি পাকাপাকা রাস্তার দাবিতে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। এসময় প্রতিবাদ জানাতে সড়কের ওপরেই ধান রোপণ করেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, আমরা বারবার বলছি, ধর্ণা দিচ্ছি, কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি এই রাস্তায় হাঁটাচলা করা আমাদের জন্য একেবারেই কষ্টকর।” ঝোড়পাড়া গ্রামের সায়েম হোসেন বলেন, “আমরা বারবার ধর্ণা ধরেছি কোনো কাজ হয়নি। রাস্তা না হওয়ার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি পাকা করণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে জরিপ করে একটি আইডি (যার নং ২৫৭৪৭৫২২৬) অথচ, রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তৎকালিন সময়ে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের এমপি ও স্থানীয় কয়েকজন নেতা রাস্তার বরাদ্দ কেটে নিয়ে অন্য স্থানে রাস্তা নির্মাণ করেছে।

অথচ, এই রাস্তাটি দিয়ে এলাকার ৪/৫ টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। তাদের ফসল তোলা থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল কাজ করে থাকেন। স্কুল ছাত্রী আসমানি খাতুন ও ইরানী জানান, “রাস্তায় কাদার কারণে আমাদের স্কুলে যাওয়া হয় না, কাঁদা মাড়িয়ে যেতে পারি না। আমাদের পোশাক ও বই খাতা ভিজে যায়।রাস্তাটি পাকা করে আমাদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি।

আহমেদ আলী ও রবগুল হোসেন নামের দুই ব্যক্তি জানান “বয়স ৯০ বছর হয়ে গেছে, ৮ জন এমপি পার করেছি। কেউ আমাদের দেখেনি। এই রাস্তাটি নিয়ে বেচাকেনা হয়েছে শুধু। আমরা বার বার তাদের কাছে আবেদন করেছি। আমাদের আবেদন তাঁদের কাছে তুচ্ছই থেকেছে। এবার ভোট চাইতে আসলে তাদের সেই জবাব দেওয়া হবে।”

রমেলা খাতুন ও জাহানারা ভানু নামের দুজন নারী জানান, “রাস্তার কারণে রোগী হলে নিয়ে যেতে পারিনি। ভ্যান গাড়িও আসেনা। মাঠের আবাদ পানি তুলতে পারিনি। ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানো যায়না। আমরা বৃদ্ধদের নিয়ে বড় সমস্যায় আছি। এই গ্রামের মেয়েদের শুধু রাস্তার কারণে বিয়ে পর্যন্ত হতে চাইনা।”

গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের ঝোরপাড়া গ্রামে কেবলমমাত্র একটি রাস্তা না থাকায় প্রায় সহস্রাধিক মানুষ বছরের পর বছর ধরে এমন দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। কবে মিলবে আশ্বাসের বাইরে বাস্তব উন্নয়ন সেই প্রশ্নই এখন স্থানীয়দের।”




মেহেরপুরে সবজি-মুরগির দামে ওঠানামা, মাছের দাম স্থিতিশীল

মেহেরপুরের পাইকারি ও খুচরা বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় সবজি, মুরগি ও মাছের দামে নানা রকম ওঠানামা দেখা গেছে। বর্ষার কারণে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম বেড়ে কেজি ২০ টাকায় উঠেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬ টাকা। পেঁয়াজ ও রসুনের দাম অপরিবর্তিত থেকে যথাক্রমে ৭০ ও ৮০ টাকায় রয়েছে। বেগুনও ৭০ টাকা কেজিতে অপরিবর্তিত রয়েছে। আদার দাম স্থিতিশীল থেকে কেজি ১৬০ টাকা। তবে শশার দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকায় উঠেছে।

মুরগির মধ্যে ব্রয়লার মুরগির পাইকারি দাম বেড়ে ১৭০ টাকায় উঠেছে, সোনালী মুরগির দাম কমে ২৭৫ টাকায় নেমেছে এবং লেয়ার মুরগি কেজি ২৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

খুচরা বাজারে আলুর দাম কমে ২০ টাকায় নেমেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৩ টাকা। পেঁয়াজ ৮০ টাকা থেকে কমে ৭০ টাকায়, রসুন ৮০ থেকে ৭০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ২৪০ থেকে ১৮০ টাকায় নেমেছে। তবে শশার দাম ৬০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় উঠেছে।

পটল ৫০ থেকে বেড়ে ৬০, ঢেঁড়স ৫০ থেকে কমে ৪০, কলা ৭০ থেকে কমে ৬০ এবং পেঁপে ২০ থেকে বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আদার দাম ২০০ থেকে বেড়ে ২২০ টাকায় উঠেছে।

মুরগির খুচরা বাজারে ব্রয়লার বেড়ে ১৯০ টাকায় উঠেছে, সোনালী মুরগির দাম কমে ৩০০ টাকায় এবং লেয়ার মুরগির দাম সামান্য কমে ৩১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মাছের বাজারে রুই ২৫০, তেলাপিয়া ২২০, বাটা ২০০, পাঙাশ ১৫০, সিলভার ২০০, জিওল ৩৫০, চিংড়ি ৭০০, টেংরা ৮০০ এবং ইলিশ ৬০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ছাগল শুক্রবারে কেজি ১১০০ টাকা, অন্যদিনে ১০০০ টাকা এবং গরু সর্বদা ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি দোকানদার মহির বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সবজির দাম এত বেশি যে ক্রেতারা আগের মতো আর বেশি কিনছেন না। আগে এক ক্রেতা যেখানে ৫০০ টাকার সবজি কিনতেন, এখন ৩০০ টাকার বেশি কিনছেন না। এতে আমাদের বিক্রিও কমে গেছে।

সবজি দোকানদার ফিরোজের বলেন, বর্ষার কারণে সবজি পচে যাচ্ছে, বাজারে মাল আসছে কম। চাহিদা বেশি কিন্তু সরবরাহ কম, তাই দামও বেড়েছে। আগে যেখানে এক ট্রাকে ৫০ বস্তা শাক-সবজি আসতো, এখন ২০-২৫ বস্তার বেশি আসে না।

সবজি দোকানদার মো: অনিক বলেন, বৃষ্টি এবং জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় আশানুরূপ বেচা কেনা হচ্ছে না। অনেক সময় বৃষ্টি হওয়ায় গ্রাম থেকে ট্রলি করে সবজি আনা যায় না, যার ফলে বাজারে পণ্যের সংকট দেখা দেয়।

মুরগি বিক্রেতা জরিহ বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে, কিন্তু সোনালী মুরগির দাম কমেছে। লেয়ার মুরগির দাম মোটামুটি ঠিকই আছে। তবে দাম বাড়লে আমাদেরও সমস্যায় পড়তে হয়, কারণ ক্রেতারা কম কিনতে শুরু করেন।

ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, সব পণ্যের দাম একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ায় সংসারের খরচ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

ক্রেতা সোহেল বলেন, আগে ৫০০ টাকায় বাজার করলে ৩-৪ দিন চলে যেতো। এখন ৫০০ টাকায় একদিনেরও বাজার হয় না। সবকিছুর দামই বেড়েছে। বাচ্চাদের জন্য ফল কিনতে গেলে পকেট খালি হয়ে যায়।

ক্রেতা নজমুল বলেন, সবকিছুর দাম এত বেড়েছে যে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। গতকাল যে পেঁয়াজ ৮০ টাকায় কিনলাম, আজ সেটা ৭০ টাকা। এই ওঠানামা আমাদের জন্য খুব কষ্টের।

তহ বাজারের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান হাফি বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় আমদানি কমেছে। তবে আজ থেকেই দাম কমতে শুরু করেছে। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

তিনি আরও জানান, আজ লালশাক পাইকারিতে ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, খুচরায় ৫০ টাকায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই একই লালশাক ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।




গাংনীতে নির্বাচনী হাওয়া: একাধিক প্রার্থী বিএনপিতে, জামায়াতের একক

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মেহেরপুরের দুটি আসনে নির্বাচনের প্রচার—প্রচারণা শুরু হয়েছে। গণসংযোগ, প্রচার—প্রচারণা, মিছিল, সমাবেশসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। মেহেরপুরের দুটি আসনে বিএনপির দুই হালি প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। দুটি আসনেই বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকায় দলটি মনোনয়ন কাকে দেয় এ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাকমীর্ ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা হিসেবে নিকেষ।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামি দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষনা করেছে অনেক আগেই। ফলে নির্ভার হয়ে জামায়াতের প্রার্থীরা তাদের ভোট প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন। মেহেরপুরের—১ আসনে এনসিপি কোন প্রার্থী ঘোষণা না দিলেও প্রাথমিকভাবে মেহেরপুর—২ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করেছেন। তিনিও এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। ইসলামী অন্যান্য দলগুলোর তেমন তৎপরতা এখনো লক্ষ করা যায়নি। তবে ইসলামি শাষনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে দুটি আসনেই। মেহেরপুরের দুটি আসনে মূলত বিএনপি ও আওয়ামী লীগ থেকেই এমপি নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। তবে জামায়াত চেষ্টা করছে বিজয়ী হতে।

মেহেরপুর—২ (গাংনী): গাংনী উপজেলা নিয়ে গঠিত মেহেরপুর—২ আসন। জাতীয় সংসদের ৭৪ নম্বর আসন এটি। এ আসনে হালনাগাদ ভোটার ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৯ জন। এ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক জাবেদ মাসুদ মিল্টন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। গ্রামে গ্রামে গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিলি, ৩১ দফার লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তারা পৃথক পৃথক ভাবে পরিচালনা করছেন।

জামায়াতে ইসলামী জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: নাজমুল হুদাকে এ আসনে প্রার্থী ঘোষনা করা হয়েছে। তিনিও পুরোদমে ভোটের প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগ প্রচুর সময় ব্যয় করছেন। নেতাকমীর্দের সঙ্গে নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সমন্বয়ক অ্যাড. শাকিল আহমেদকে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। তিনি ৫ আগষ্ট এর পর থেকে তাঁকে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। ইসলামী শাষনতন্ত্র আন্দোলন থেকে মোস্তাফিজুর রহমান সেন্টু, এনডিএম এর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান সেন্টুকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির আহবায়ক জাবেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। জনগণের ম্যাণ্ডেটের উপর আস্থাশীল। সেই ম্যাণ্ডেট নিয়ে বিএনপি সরকারও পরিচালনা করেছে। একটি বড় দলের অসংখ্য নেতাকমীর্র নিবার্চনে আগ্রহ থাকাই যৌক্তিক। দল যাকে জনগণের নেতা হিসেবে বিবেচনা করবে সেই মনোনয়ন পাবে। আমি ২০১৮ সালে মনোনয়ন পেয়েছিলাম। আমি এবার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদি। তারপরও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন তার হয়েই আমরা নির্বাচনে মাঠে নামবো।

সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, বিএনপি অনেক বড় দল। এই দল থেকে অনেকেই প্রার্থীতা চাইবে এটাই স্বাভাবিক। আমিও মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি ২০০৮ সালে বিএনপির মনোনিত খুলনা বিভাগে বিএনপির বিজয়ী ২টি সিটের মধ্যে গাংনীতে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম। গাংনীর মানুষ আমার প্রতি আস্থা রেখে আমাকে এমপি নির্বাচিত করেছিল। তারপর দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গাংনীর মানুষকে সাথে নিয়েই আছি। আমাকে মনোনয়ন দিলে আমার বিশ্বাস মানুষ আবারও সে আস্থায় আমাকে নির্বাচিত করবেন।




মেহেরপুর-ঢাকা নতুন বিআরটিসি বাস সার্ভিস উদ্বোধন

মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী হয়ে সরাসরি ঢাকা-গাবতলী পর্যন্ত নতুন বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তাজওয়ার আকরাম শাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এবং মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: খায়রুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেহেরপুর বিআরটিএ কাউন্টারের ম্যানেজার রাশিদুজ্জামান খাঁন প্রদীপসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিদিন সকাল ৯টা ও রাত ৯টায় মেহেরপুর থেকে দুটি এসি বাস ঢাকার গাবতলীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। জনপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই মেহেরপুর থেকে সরাসরি ঢাকাগামী যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল। এ নতুন বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীদের ভ্রমণ এখন আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।




আলমডাঙ্গা পৌরসভায় নির্বাচনী গ্রাম কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা সভা

আলমডাঙ্গা পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম কমিটির লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টায় ২নম্বর ওয়ার্ডে গ্রাম কমিটি গঠনের লক্ষে নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও জেলা যুব জামায়াতের সভাপতি জনাব শেখ নুর মোহাম্মদ হুসাইন টিপু। তিনি বলেন, দূর্নীতিমুক্ত সমাজ ও দেশ বিনির্মানে একমাত্র জামায়েত ইসলামের ন্যায় ও সততার দ্বারা সম্ভব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সংগ্রামী আমির ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জননেতা শফিউল আলম বকুল। তিনি বলেন, আল্লাহর ইবাদত মনে করে জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থীদের জন্য ভোটের মাঠে মেধা শ্রম আর সততা আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাবেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আমির মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক বাবলু, পৌর শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি জনাব সাহিন শাহিদ,উপজেলা মানবাধিকার সম্পাদক জনাব শফিউজ্জামান মিঠু, ইউনিয়ন সেক্রেটারি জনাব আলতাফ হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি জনাব আনারুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল হালিম। ওয়ার্ড সহ সভাপতি লাহাউদ্দীনে সঞ্চালনায় প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।