ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস পালিত

‘পরিবেশের তথ্য ডিজিটাল যুগে হোক সুনিশ্চিত’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস পালন করা হয়েছে।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও টিআইবি’র আয়োজনে রোববার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে বেলুন উড়িয়ে দিবসটি উদ্বোধন করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পোস্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন কর্মসূচীতে। এতে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান, সনাকের সভাপতি এম সাইফুল মাবুদ, সদস্য এনএম শাহজালাল, নাসরিন ইসলামসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা, অবিলম্বে স্বাধীন তথ্য কমিশন গঠন, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ আইন সম্পর্কে সচেতন ও কার্যকর ব্যবহারে উদ্যোগ গ্রহণসহ বেশ কয়েকটি দাবী তুলে ধরেন।




শহর-গ্রামের আর্থ-সামাজিক বৈষম্য কমলে দেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে

শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে আয়-বৈষম্য একটি চিরাচরিত বিষয় । তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এ বৈষম্য দেশের সুষম ও সামগ্রিক উন্নয়নের বিবেচনায় সুখকর কিছু নয়। বাংলাদেশে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ব্যবধান কমছে, তবে খুব ধীর গতিতে।

শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের আয় যেমন কম, তেমনি সুযোগ-সুবিধা আরও কম। মানসম্মত চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য গ্রামের মানুষকে ছুটতে হয় শহরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গ্রামের কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। অথচ গ্রামে খাদ্য উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও এখাতে মূল্যস্ফীতির হার গ্রামেই বেশি। অর্থনীতির ধারায় গ্রাম থেকে টাকা এনে ঋণের জোগান বাড়ানো হয়। অথচ গ্রামে ঋণপ্রবাহ কমে। গ্রামে কর্মোপযোগী মানুষ বেশি থাকলেও স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সে অর্থে নেই বললেই চলে। সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়ে ভাবছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতবছর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এমনিতেই গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এসব অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে হবে। দ্রুত নতুন প্রকল্প শুরু করতে হবে, না হলে বিদ্যমান প্রকল্পগুলো সংশোধন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশের মোট আয়তন এক লাখ ৪৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকা এক লাখ ৩৩ হাজার বর্গকিলোমিটার এবং শহুরে এলাকা ১৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার। শহরের আয়তনের চেয়ে গ্রামের আয়তন এক লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার বেশি। অর্থাৎ প্রায় নয় গুণ বেশি। শহরের চেয়ে গ্রামে জনসংখ্যাও বেশি। এ হিসেবে উন্নয়নের সুবিধা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে হলে গ্রামীণ উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

বিবিএস’র ২০২২ সালের হিসেবে শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের আয় কম। গ্রামে পরিবার প্রতি আয় মাসে গড়ে ২৬ হাজার ১৬৩ টাকা। অথচ প্রতি মাসে খরচ করে ২৬ হাজার ৮৪২ টাকা। অর্থাৎ আয়ের চেয়ে খরচ বেশি। আবার মূল্যস্ফীতিজনিত টাকা ক্ষয়ের দিক থেকে গ্রামই এগিয়ে। একদিকে পণ্যের দাম বেশি, অন্যদিকে আয় কম। গ্রামে চাল-ডাল, শাক-সবজি, মাছ-মাংস, দুধ-ডিম, ফল ও শিল্পোজাত পণ্যের কাঁচামাল উৎপাদন হচ্ছে। অর্থনীতির নিয়মে পণ্য যেখানে উৎপাদন হয় সেখানে সরবরাহ বেশি থাকে। এ কারণে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার কম থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে মিলছে উলটো চিত্র। কৃষক পর্যায় ছাড়া গ্রামে পণ্যের দাম বেশি। ফলে শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হারও বেশি। গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, শহরে এ হার ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আবার, ২০২২ সালের হিসেবে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং শহরে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ চিত্র খানিকটা বদলেছে, তবে আরও বদলের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

আবার, বিবিএস’র সেই প্রতিবেদনে শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষের নানা ধরনের জটিল রোগে বেশি আক্রান্ত হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন গ্রামের ১২ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ, শহরে এ হার ৮ শতাংশ। উচ্চরক্তচাপে ভোগেন গ্রামের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ, শহরে এ হার ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ক্যানসারের মতো মরণব্যাধিগুলোও গ্রামে বেশি হচ্ছে। এর মধ্যে লিভার ক্যানসার ও ব্লাড ক্যানসার শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। গ্রামের ৪ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। শহরে এ হার ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ব্লাড ক্যানসারে ভোগেন গ্রামের ৩ শতাংশ মানুষ। শহরে এ হার ২ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার, বিদ্যুৎ ব্যবহারেও শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ পিছিয়ে। গ্রামের ৯৯ দশমিক ১০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। শহরের বিদ্যুৎ ব্যবহারের হার ৯৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। আগের চেয়ে শহরে ও গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবহারের হার বেড়েছে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামে লোডশেংডিং বেশি করা হয়।

ব্যাংকে আমানত জোগানের মধ্যে ৭৯ শতাংশ শহরের, ২১ শতাংশ গ্রামের। এর বিপরীতে মোট ঋণের ৮৮ শতাংশ দেওয়া হয় শহরে, গ্রামে ১২ শতাংশ। আগে গ্রামে ঋণের হার আরও কম, আমানতের হার বেশি ছিল। গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রণোদনার জোগান বাড়াতে সরকার নানামুখী তহবিল গঠন করেছে। সেগুলো থেকে গ্রামে কম সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এতে গ্রামে ঋণের প্রবাহ কিছুটা হলেও বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গ্রামে ব্যাংকিং সেবার পরিধি বাড়ছে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রসার বেশি ঘটছে গ্রামে। মোট এজেন্টের মধ্যে ১৪ শতাংশ শহরে, ৮৬ শতাংশ গ্রামে। এধারা ব্যাংকিং এর হিসাবধারীদের মধ্যে ১৪ শতাংশ শহরে ও গ্রামে ৮৬ শতাংশ।

বিবিএস’র প্রতিবেদন হতে জানা যায়, দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪০ দশমিক ৬ শতাংশই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। কৃষির প্রায় পুরোটাই গ্রামে। পাশাপাশি, সেবা ও শিল্পখাতের একটি অংশও গ্রামে রয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্য উৎপাদন করেও কৃষক পণ্যের সঠিক দাম পান না। উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে তা বিক্রি করে আগের ধারদেনা শোধ করেন। এ কারণে কৃষক পাইকারি বাজারে পণ্য নিয়ে প্রত্যাশিত দাম থেকে বঞ্চিত হন। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় খামারিরা দুধের ভালো দাম না পেয়ে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করেছেন এমন নজিরও আছে। তাই নাগরিক সুবিধাগুলো তো বটেই, উপরন্তু বিপণন ব্যাবস্থাকে অর্থনীতির চালিকাশক্তি, তথা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া দরকার হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ পরিসখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর হিসেব অনুযায়ী ২০২২ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮.৭ শতাংশ এবং অতি দরিদ্রের হার ছিল ৫.৬ শতাংশ। পিপিআরসির গবেষণায় দেখা গেছে, অতি দারিদ্র্যও তিন বছর পর বেড়ে ৯.৩৫ শতাংশ হয়েছে। দারিদ্র্য বেড়ে হয়েছে ২৭.৯৩ শতাংশ। পিপিআরসি বলছে, এখনো দেশের ১৮ শতাংশ পরিবার যে-কোনো সময় গরিব হয়ে যেতে পারে।

গ্রামের জীবন এক সময় কিছুটা স্থবির ছিল। গ্রামের মধ্যেই মানুষের যাবতীয় চাহিদার অনুসঙ্গের উপর তারা পরিতৃপ্ত ছিল। জীবন-জীবিকা-শিক্ষা-চিকিৎসা-ভ্রমণ কোনো প্রয়োজনেই তারা গ্রামের বাইরে যেত না। কৃষি মৌসুমবিহীন সময়ে অলস বেকার বসে থাকার দরুন সঞ্চিত অর্থ ও ফসল খরচ করতে হতো, যার কারণে দারিদ্র্যতা তাদের নিত্য সঙ্গী ছিল। তাদের সামগ্রিক জীবন ব্যবস্থা ছিল গতিহীন ও স্থির। বর্তমানে পরিপার্শ্বিক কারণে তাদের জীবনে গতিশীলতা এসেছে। গ্রামের অনেকেই মধ্যপ্রাচ্য-সহ ইউরোপ-আমেরিকা প্রবাসী হওয়ার সুবাদে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হরহামেশাইে এখন বিদেশ গমন করে থাকে। প্রবাসীদের অধিকাংশই গ্রামের অধিবাসী, যাদের পাঠানো রেমিটেন্সের কল্যাণে গ্রামীণ জীবনধারায় ব্যাপক সচ্ছলতা এসেছে ও গ্রামের মানুষের চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন ঘটেছে। যার কারণে গ্রামের মানুষের মাঝে আধুনিক সুবিধার স্বাচ্ছন্দ্যময় শহরে জীবন ব্যবস্থার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। ফলে তারা সবাই শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। বিশ্বের অনেক দেশেই নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় শহর আর গ্রামের মধ্যে উন্নয়ন-বৈষম্য পরিলক্ষিত হয় না। সেখানে নাগরিক সেবারমান সবখানে সমান ভাবে প্রযোজ্য। সেসব দেশে আধুনিক শিক্ষা-চিকিৎসার সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরগুলো শহর থেকে দূরে স্থাপন করা হয়, যাতে ঐ এলাকা সমৃদ্ধি লাভ করে। এভাবে অখ্যাত পল্লীর প্রত্যন্ত অঞ্চলও নাগরিক সুবিধার আওতায় আসে আবার মূল শহরগুলো বহুলাংশে চাপমুক্ত থাকে।

গ্রামের উন্নয়নে বাস্তবমূখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন না হলে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থেকেই যাবে। মনে রাখা দরকার, শহরের মানুষের খাদ্যের জোগান আসে গ্রাম থেকে। খাদ্যের জোগানদাতা হিসাবে গ্রামের মানুষদেরই বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে এমনটা সবসময় হচ্ছে না। ফলে কোনো পরিবার একটু আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করলেই শহরমুখী হতে চাইছে। নগরমুখী এ প্রবণতা রোধ করতে গ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বেকারত্ব হ্রাস, কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, ব্যবসাবাণিজ্য সম্প্রসারণ, গ্রামে শিল্পাঞ্চল স্থাপনসহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করা দরকার। একই সাথে গ্রামের যোগাযোগ, শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসা, সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নত জীবনযাপনের জন্য দরকারি সকল সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

লেখক: সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর, ঢাকা




গাংনীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১১টায় গাংনী ঈদগাহ ময়দানে এ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আওয়ালের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজউদ্দীন কালুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান, রোমানা আহমেদ, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দীন মনা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান সাতু, ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনা, গাংনী পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করেন এবং তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।




শুরু হলো শারদীয় দুর্গোৎসব আজ ষষ্ঠী

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা আজ রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে। গতকাল শনিবার মণ্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় বোধনের মাধ্যমেই দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনাপূজা করা হয়। আজ রবিবার মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে। ভক্তের ভক্তি, নিষ্ঠা ও পূজার আনুষ্ঠানিকতায় মাতৃরূপে দেবী দুর্গা অধিষ্ঠিত হবেন মণ্ডপে মণ্ডপে।

দেবী দুর্গার আগমনে উচ্ছ্বসিত ভক্তকুল। সারা দেশে চলছে উৎসবের আমেজ। এরই মধ্যে সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন।

বসন্তকালে তিনি এই পূজা আয়োজন করেছিলেন বলে এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাজা রাবনের হাত থেকে স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারের জন্য রাজা দশরথের পুত্র রামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন। তাই শরৎকালের এই পূজাকে অকালবোধনও বলা হয়। বোধন দুর্গাপূজার অন্যতম আচার।
বোধন শব্দের অর্থ জাগরণ বা চৈতন্যপ্রাপ্ত। পূজা শুরুর আগে সন্ধ্যায় বেলশাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজার একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। শরৎকালের দুর্গাপূজায় এই বোধন করার বিধান রয়েছে। বাঙালির হৃদয়ে শরৎকালের দুর্গার অধিষ্ঠান কন্যারূপে। প্রতিবছর বিভিন্ন বাহনে সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে দেবী মর্ত্যলোকে আসেন বাপের বাড়ি বেড়াতে।
তাই দেবীকে বরণে আয়োজনের কমতি থাকে না।
সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় পূজার মাধ্যমে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবীতে) আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবার মা দুর্গা গজে (হাতি) চড়ে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন (আগমন); যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে। দেবী স্বর্গালোকে বিদায় (গমন) নেবেন দোলায় (পালকি) চড়ে; যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। এরই মধ্যে পাঁচ দিনব্যাপী পূজার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর কালের কণ্ঠকে জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। ঢাকা মহানগরে এবার ২৫৯টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ঢাকা মহানগরে ২৫২টি পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। সে হিসাবে মহানগরে সাতটি পূজা বেড়েছে। সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ৩১ হাজার ৪৬১টি পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সেনাপ্রধান। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর মন্দিরে মন্দিরে এখন চলছে দেবী প্রতিমার রং করার কাজ। কাদামাটির প্রলেপের ওপর রংতুলির আঁচড়ে দশভুজা দেবী ষষ্ঠীর দিন পাবেন জীবন্ত রূপ। দেবী সেজে উঠবেন অপরূপ সাজে। শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মঙ্গলসংগীতে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নেবে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা। শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলো সাজাতে চলছে তোড়জোড়। রং-বেরঙের ফেস্টুন, ব্যানার আর বর্ণিল তোরণ নির্মাণে পূজা কমিটির সদস্যদের ব্যস্ততারও কমতি নেই। আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে নানা আয়োজন সম্পন্নের কাজ চলছে। পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপরই তৈরি করা হচ্ছে মণ্ডপ।

আগামীকাল সোমবার মহাসপ্তমী, মঙ্গলবার মহাষ্টমী, বুধবার মহানবমী ও বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী পূজা। দশমীর দিনে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।




আলমডাঙ্গায় ওসমানপুরে বিএনপি’র মতবিনিময় সভা 

আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে ওসমানপুর গ্রামে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন, মোঃ হাবিল শেখ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়া। সঞ্চালনায় ছিলেন, ফিরোজ মাস্টার। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা মজিবর রহমান সামসুল, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন বিশ্বাস হিমেল, আব্দুল আল-মামুন বিপ্লব, ডা. জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের হারদী ইউনিয়ন সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, ছানোয়ার মাস্টার, আমছার, শাহিন, মকছেদ মাস্টার, সোহাগ রানা, ডাবলু, রিকন আলী, স্বাধীন, ইবাদত, আক্কাস, তালাল, কুদরত, মিনারসহ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, “নমিনেশন যেই নিয়ে আসুক, আমরা সবাই এক হয়ে ধানের শীষকে শক্তিশালী করবো। এখানে কোনো গ্রুপিং থাকবে না। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থাকলেই বিজয় নিশ্চিত।” অন্যান্য বক্তারাও একই সুরে বলেন, বিএনপি’র ভেতরে বিভক্তি বা গ্রুপিং নয়, বরং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলেই আসন্ন আন্দোলন ও নির্বাচনে ধানের শীষের জয় সম্ভব।




মেহেরপুরে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মৃত্যুদাবী চেক প্রদান

মেহেরপুরে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকের মৃত্যুদাবি চেক প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার সকালে মেহেরপুর শহরের তাঁতীপাড়ায় এ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও চেক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেনন্সের মেহেরপুর মেট্টোর এফএ রওশন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এহান উদ্দিন মনা। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেনন্সের মেহেরপুর মেট্টোর ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম পলাশ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা খাতুন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি।

অনুষ্ঠানে গ্রাহক আসাদুল ইসলাম হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর কাগজ পত্র জমাদান সাপেক্ষে মাত্র সাত কর্মদিবসের মধ্যে বীমা দাবির এক লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয় এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনাই দোয়ার মাফফিলের ব্যবস্থা করা হয়।

 অনুষ্ঠান  সঞ্চালনায় ছিলেন, ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট জুবায়েদ আহমেদ শাম্মী। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ তাদের বক্তব্যে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর ভুয়সী প্রশংসা করেন।




দামুড়হুদা দশমী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত 

দামুড়হুদার দশমী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে কার্পাসডাঙ্গা সুপারস্টার বনাম কলাবাড়ি রামনগর একাদশের মধ্যে ২য় রাউন্ডের ২য় খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় কার্পাসডাঙ্গা সুপারস্টার ক্লাব ২-০ গোলে কলাবাড়ি রামনগর একাদশকে পরাজিত করে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন কার্পাসডাঙ্গা সুপার স্টার ক্লাবের কৃষ্ণ। এসময় মাঠে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম- আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, দামুড়হুদা বাজার কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক রাশিদুল জামান বেল্টু।

আরো উপস্থিত ছিলেন, টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক একরামুল হোসেন মেম্বার, যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম রশিদ, আব্বাস, জানু, খরসেদ, জাহাঙ্গী, মামুন, রাজু, দিপু, টগর, শুভো প্রমূখ।




একমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ -মাসুদ অরুণ

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী বাজারে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুণের গণসংযোগ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় বারাদী বাজারের ১ নং জেলা পরিষদ মার্কেট প্রাঙ্গণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বারাদী ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা, আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর থানা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি শামসুল আলম, জেলা তাঁতী দলের সভাপতি আরজুল্লাহ রহমান বাবলু মাস্টার।

মাসুদ অরুণ তার বক্তব্যে বলেন, একমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর পরিবারের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। হাসিনা ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল, এখন শুনি অনেকেই গোপনে ভারতের সাথে যোগাযোগ করছে। তাই আমরা বিশ্বাস করি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর পরিবারের কাছেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিরাপদ। আমরা বিশ্বাস করি বেগম খালেদা জিয়ার কাছেই এ দেশ নিরাপদ। বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। এখানে কৃষকের কথা আছে, মেহনতী মানুষের কথা আছে, আমার মা বোনের কথা আছে, আমার ছাত্র-যুবকের কথা আছে, আমরা সেই ৩১ দফার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন সমাজ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম রাজন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক লুলু, থানা কৃষক দলের সহ-সভাপতি বাদলসহ জেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি’র বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ।




মুজিবনগরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির আয়োজনে সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নে ভবের পাড়া গ্রামের স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে ভবরপাড়া গ্রামে ৩৪ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ আ ফ ম মুনতাহি রেজা।




আলমডাঙ্গায় সাহিত্য পরিষদের সাহিত্য আড্ডা

আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে সাহিত্য পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের অন্যতম সদস্য কবি সাইদুর রহমানের ঘরে আয়োজিত সাহিত্য পাঠের আসরে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ওমর আলী মাস্টার। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আসিফ জাহান।

কবি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় কবিতা পাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, গাঙচিল সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি হাবিবুর রহমান মজুমদার, কবি জামিরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান আলোচক কবি আসিফ জাহান বলেন, সাহিত্য বলতে লিখিত বা মৌখিক শিল্পকে বোঝায়, যা মানবজীবন ও সমাজের প্রতিচ্ছবি হিসেবে কাজ করে। এটি কেবল একটি শব্দ বা বাক্য নয়; বরং কবিতা, গান, প্রবন্ধ, নাটকসহ বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হয়। সাহিত্যের মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়, কুসংস্কার দূর করা হয় এবং মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক চেতনা জাগ্রত করা হয়।

প্রধান অতিথি ওমর আলী মাস্টার বলেন, সাহিত্যকে শিল্পের একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি মানব ও সমাজ জীবনের প্রতিচ্ছবি, যা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনা ও সংগ্রামকে তুলে ধরে। সাহিত্য মানুষের চিন্তাভাবনা, আবেগ-অনুভূতি ও উপলব্ধির প্রকাশ। সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলার একটি শক্তিশালী মাধ্যম সাহিত্য। এটি পাঠককে চিন্তা করতে শেখায়, কুসংস্কার দূর করে এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি হামিদুল ইসলাম বলেন, সাহিত্য মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করে। কবিতা বা গান হলো ছন্দবদ্ধ রচনা, যা কবির সংক্ষিপ্ত অনুভূতি ও চিন্তার প্রকাশ। নির্দিষ্ট সুর, তাল ও লয়ে উচ্চারিত ছন্দবদ্ধ রচনা বা সংগীত। নাটক বলতে বোঝায় কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে লেখা একটি সুসংগঠিত আলোচনা যা অভিনয়ের জন্য রচিত হয়ে মঞ্চে উপস্থাপিত হয়। উপন্যাস হলো মানবজীবন ও সমাজকে কেন্দ্র করে লেখা একটি দীর্ঘ কাহিনি।