দারিদ্র্য দূরীকরণে সম্পদের সুষম বণ্টন

দারিদ্র্য এক নির্মম অভিশাপ। এ অভিশাপ মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। সমাজ-সভ্যতাকে এগিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে পিছিয়ে দেয়। এটা মানবতাকে পশুত্বের পর্যায়ে নামিয়ে দিতে পারে। দারিদ্র্যের কষাঘাতে, ক্ষুধার নির্মম যাতনায় ও অভাবের অনলে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ন্যায়-অন্যায় বিস্মৃত মানবকুল পাপ-পঙ্কিলে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে নিজের অজান্তেই আত্মবিধ্বংসী পথে অগ্রসর হয়। দারিদ্র্যের এ নির্মম জ্বালায় মানবতাবোধ লোপ পায়, হিংস্রতার প্রসার ঘটে, অন্যায়-অবিচার বিস্তৃত হয়। নারী তার পরম যত্নে লালিত সতীত্বকে বিলিয়ে দিতে পারে, মানুষ তার প্রিয় সন্তানকে বিক্রি করে দিতে পারে, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করতেও দ্বিধা করে না। অন্যভাবে বললে, দারিদ্র্য হলো রক্তশূন্যতার সদৃশ। রক্তশূন্যতা দেখা দিলে মানুষের দেহ নানা দুরারোগ্য ব্যাধির আবাসে পরিণত হয়। অনুরূপভাবে সম্পদের স্বল্পতা থাকলে মানুষের জীবনও অচল হয়ে পড়ে।

দারিদ্র্য দূরীকরণে সম্পদের সুষম বণ্টন অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করে এবং দেশের সম্পদকে কিছু মানুষের হাতে কেন্দ্রীভূত হওয়া থেকে বিরত রাখে। সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে সমাজের সকল স্তরের মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায় এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত জীবন লাভ করে। আবার, যখন সম্পদ অসমভাবে বণ্টিত হয়, তখন সমাজে ধনী ও গরিবের মধ্যে বড়ো ব্যবধান গড়ে ওঠে। এ বৈষম্য কমলে সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, সকলের জন্য ন্যূনতম সুযোগের সমতা তৈরি হয় এবং কেউ বঞ্চিত হয় না। আবার, মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হলে তা অপচয়ের আশঙ্কা থাকে। অল্প কিছু মানুষের হাতে যেন সম্পদ পুঞ্জীভূত হতে না পারে সে ব্যাপারে রাষ্ট্র কম-বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এমন নীতি গ্রহণ করতে পারে, যাতে সম্পদের অসম বণ্টন রোধ করা যায় এবং সবাই যেন তাদের মৌলিক চাহিদাটুকু মেটাতে পারে। দরিদ্র মানুষের হাতে পর্যাপ্ত সম্পদ না থাকলে তারা দারিদ্র্যের মধ্যেই ঘুরপাক খায়। সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

‘দারিদ্র্য’ ও ‘বাংলাদেশ’ শব্দদ্বয় একত্রে বিসদৃশ লাগে। কারণ বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। সম্পদে ভরপুর দেশটির স্বীকৃতি দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সময়ে ছুটে আসা পর্যটক, বিশেষজ্ঞ, জ্ঞানী-গুণী ও ভূ-তত্ত্ববিদরা। অথচ বর্তমানে আমাদের দেশে মোট দরিদ্র মানুষের সংখ্যা চার কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৭২ জন, যা শতকরা বিচারে ৩১ দশমিক পাঁচ ভাগ; এবং অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দুই কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ১৭১ জন, যা শতকরা ১৭ দশমিক ছয় ভাগ।

দারিদ্র্যের অর্থ হচ্ছে দরিদ্র অবস্থা, অভাব ও দীনতা। দারিদ্র্য বলতে এমন ব্যক্তি বা দেশকে বোঝায়, যার সামান্য সম্পদ ও অল্প আয় রয়েছে, যা দ্বারা ন্যূনতম মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ। ডেলটুসিং বলেন, “মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় সম্পদের অপ্রতুলতাই হলো দারিদ্র্য।” থিওডরসনের মতে, “দারিদ্র্য হলো প্রাকৃতিক, সামাজিক ও মানসিক উপোস।”

কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে দারিদ্র্য কমাতে কৃষি ও শিল্পকারখানার চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো দরকার। প্রতিবছর হাজার হাজার তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত হয়ে বের হচ্ছে। একই সাথে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থার অভাবে দেশে বেকারত্ব বাড়ছে। এমনকি বাংলাদেশে শ্রমিকদের মজুরি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। শুধু কৃষি নয়, শিল্প ও অন্যান্য খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করা প্রয়োজন, যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পায়। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করে দারিদ্র্য নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারেন। দারিদ্র্য কমাতে সবার আগে খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দেওয়া প্রয়োজন। আবাদি জমি বাড়াতে সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি পরিচালনা, কৃষি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন, শিল্পনগরীগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন, উপজেলা পর্যায়ে বিশেষায়িত কোল্ড স্টোরেজ প্রতিষ্ঠা, উপজেলা কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের জবাবদিহি ও কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করা গেলে দারিদ্র্য হ্রাস পাবে।

যদি ইসলামী সমাজব্যবস্থার কথা ভাবি, তাহলে যাকাত প্রদানের মাধ্যমে ধনীরা তাদের সম্পদের কিছু অংশ গরিবদের দান করে, যা সম্পদের সুষম বণ্টনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইসলাম কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আর্থিক সাহায্যের বিধান রেখেছে। একটি সুখী, সুন্দর ও উন্নত সামাজিক পরিবেশ গঠনে ধনাঢ্য মুসলমানদের অবশ্যই তাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদের একটি নির্ধারিত অংশ দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের দুর্দশা মোচনের জন্য ব্যয় করতে হবে। ফলে কেবল অসহায় ও দুস্থ মানবতার কল্যাণই হবে না; বরং সমাজে আয়বণ্টনের ক্ষেত্রেও বৈষম্য হ্রাস পাবে। পবিত্র কোরআনে সূরা আল-হাশরের সাত নম্বর আয়াতে ধনসম্পদ বণ্টনের মূলনীতি সম্পর্কে ঘোষণা হয়েছে “যাতে তোমাদের মধ্যে যারা বিত্তবান, কেবল তাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে।”

নৈতিকতাহীন নেতৃত্বের ফলে সমাজে সম্পদের সুষম বণ্টন বাধাগ্রস্ত হয়। এই বাস্তবতার পটভূমিতে যাকাতকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কার্যকর মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসলামী সামাজিক অর্থায়নের ধারণা শুধু দারিদ্র্য দূরীকরণেই নয়, বরং বৈষম্য কমিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক অর্থনীতি গড়তেও ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্বজুড়ে যাকাতের নীতিমালা সম্পদ পুনর্বণ্টনের একটি স্বীকৃত ও টেকসই উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যাকাত সম্পদের সুষম বণ্টনের অপরিহার্যতা ও মানবিক দায়িত্ববোধকে একসঙ্গে তুলে ধরে।

আধুনিক সমাজে সাফল্যের মানদণ্ড হয়ে উঠেছে ভোগের ক্ষমতা; ফলে সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রায়শই উপেক্ষিত হয়ে থাকে। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে অতীতে বহু আন্দোলন ও ত্যাগ স্বীকারের পরও অসাম্য আজও টিকে আছে। এর মূল কারণ ন্যায্য সম্পদ বণ্টনের ঘাটতি। তাই বৈষম্য দূর করে সামাজিক সাম্য ও মানবিক মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে যাকাতভিত্তিক ন্যায়সংগত অর্থনৈতিক কাঠামো বিনির্মাণ মনোযোগের দাবিদার।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বেশ আলোচিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ অচিরেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে। অর্থনীতির আকার বড়ো হচ্ছে, অগ্রগতির পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা যদি বেড়ে যায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী যদি বঞ্চিত থেকে যায়, তাহলে ওই অগ্রগতি আদৌ অগ্রগতি নয়। আবার, কেবল শহরকেন্দ্রিক উন্নয়ন হলে তা সুষম উন্নয়ন হবে না। পল্লী উন্নয়ন মূলত উৎপাদন বৃদ্ধি, সম্পদের সুষম বণ্টন ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনমান উন্নয়নের জন্য এক পরিকল্পিত পরিবর্তন। বাংলাদেশে পল্লী উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো দারিদ্র্য দূরীকরণ ও গ্রামীণ দরিদ্রদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, আয় ও সম্পদের সুষম বণ্টন, ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। অনেক উন্নয়নশীল দেশ পল্লী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে বেশ সক্রিয়।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের জিনি সহগ ছিল মাত্র দশমিক ৩৬। জিনি সহগ মূলত আয়-বৈষম্য পরিমাপের একটি পদ্ধতি। তখন বাংলাদেশ দারিদ্র্যকবলিত দেশ হলেও আয়-বৈষম্য ছিল তুলনামূলকভাবে সহনীয়। সেই জিনি সহগ সর্বশেষ ২০১৬ সালে বেড়ে হয়েছে দশমিক ৪৮৩। অর্থাৎ আয়বৈষম্য অনেক বেড়েছে। এখন আমরা ভাবছি, আমাদের চেয়ে বেশি আয়বৈষম্য কোথায়। সারাবিশ্বে অতিধনী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে আমাদের দেশেও। মাথাপিছু আয় ক্রমেই বাড়ছে। করোনাকালে এর মান ছিল আরও ভয়াবহ। সরকারি খানা জরিপের তথ্যমতে, দেশের মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশের মালিক ওপরের দিকে থাকা এক-তৃতীয়াংশ মানুষ। দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নের জন্য এই আকাশচুম্বী ব্যবধান কমাতে হবে।

আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধি তখনই অর্থবহ হয়, যখন এর সুফল ভোগ করে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের বেশিরভাগ মানুষ। যে প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে ভূমিকা রাখে না, যার সুফল কেবল সমাজের উঁচু স্তরের নাগরিকরা ভোগ করে ওই প্রবৃদ্ধি নিছক সংখ্যা। এ ধরনের প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্য দূর করা না হলে প্রবৃদ্ধি টেকসই হবে না। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি না হলে বৈষম্য বাড়বে; ধনী হবে আরও ধনী, গরিব হবে আরও গরিব। এমনটি হলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ প্রবাহ বৃদ্ধি করে দারিদ্র্য ও অসমতা দূর করতে হবে। কেবল সম্পদশালীদের প্রণোদনা-সুবিধা দিয়ে অর্থনীতিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করা সম্ভব নয়। আর্থিক খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা গেলে প্রবৃদ্ধির সুফল পাবে সবাই।

লেখক: সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর, ঢাকা




দর্শনায় হাতুড়ি পিটা করার অভিযুক্ত আসামী রিমন হোসেন গ্রেফতার 

দর্শনায় হাতুড়ি পিটা করার অভিযুক্ত আসামী রিমন আলী গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আসামীর নিজ বাড়ি থেকে কালিদাসপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে রিমন হোসেন (৩৮) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ০৯/০৯/২০২৫ তারিখ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজার বন্ধু জুয়েলার্সর মালিক সঞ্জয় কুমার শান্তারাকে হাতুড়ি দিয়ে মারপিট করে রিমন হোসেন ঢাকায় পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ৪দিন পর রিমন হোসেন বাড়িতে ফিরে এলে গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ঘটনার বিবরণে রিমন আলী বলেন, গত ৩ তারিখে আমার চাচীর কাছে মধুমালা নাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। গত ৪ তারিখ ওনাকে ব্যাক করার কথা। তো ৪ তারিখ ব্যাক করতে পারিনি। পরবর্তী ৭ তারিখে আমার নিজের ব্যবহার করা স্বর্ণ চাচীরে দিলাম। আপনি এ স্বর্ণগুলো কোথাও রেখে টাকাটা নিয়ে নেন। সঞ্জয়ের কাছে রেখেছে। বলেছে যে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ৬ হাজার টাকা লাভ দিতে হবে, ১ ঘন্টার জন্য যা ২ঘন্টার বা তিনদিন বা ১৫ দিনের জন্য ৬ হাজার টাকা লাভ দিতে হবে। ১৫ দিনের তার্গেটে ৬ হাজার টাকা নেয়। ৭ তারিখে এ ঘটনা এর ২দিন পর ০৯/০৯/২০২৫ তারিখ বলেছি ৬ হাজার টাকার কিছু কম নিতে হবে। সে এত রাজি হয় না। আমিও এ ঘটনায় টেনশনে ছিলাম। তাকে বার বার অনুরোধ করি ২ হাজার কম দিতে চাই। সে রাজি না হলে আমি রাগ করে তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় মেরে দিয়েছি।

এ বিষয় দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর জানান, গত ০৯/০৯/২০২৫ তারিখ দর্শনা পুরাতন বাজার বন্ধু জুয়েলার্সর মালিক সঞ্জয় কুমার শান্তারাকে হাতুড়ি দিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ৪দিন পর রিমন হোসেন বাড়িতে ফিরে এলে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দর্শনা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দুপুর দেড়টার দিকে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ

আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের উদ্যোগে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের আয়োজন করা হয়। গতকাল সকাল ১০ টায় আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: মফিজুর রহমান। শিক্ষক পরিষদের সহ:সম্পাদক ড. মো: মহবুব আলম। সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সহকারি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মোনয়েম, খন্দকার  ইকবাল হাসান,  রাহাত আরা, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ মহিতুর রহমান।

এছাড়াও বক্তব্য দেন, প্রভাষক জেসমিন আরা খানম, মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ বাছের আলী, মোঃ তাপস রশীদ, মোঃ মাকসুদুর রহমান, মোঃ আনোয়ারুজ্জামান, মোঃ আব্দুল হাই  মোঃ আব্দুল মালেক, ছাত্রদলের  সরকারি কলেজ শাখার আহবায়ক শাওন, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, অপর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রতিনিধি মোঃ সাদী হাসান। এসময় তিনি বলেন, “শিক্ষা সাম্য ও অধিকারভিত্তিক ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের পক্ষ থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ছাত্রপক্ষ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাবে।

এ-সময় তিনি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন আপনারা রাজনীতি করুন বা না করুন রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে গড়ে উঠবেন এই প্রত্যাশা করি। এখানে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাসসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনও রয়েছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের দলের সাথে কাজ করুন এবং নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করুন। সকলে মিলে আমরা আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে একসাথে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।”

এ-সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সম্পাদক রাকিব মাহমুদসহ কলেজ নেত্রীবৃন্দ।




দামুড়হুদায় সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি, প্রেসক্লাবে জরুরি সভায় নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তির দাবী 

দামুড়হুদার ডুগডুগি গ্রামের জুয়ার আসরের বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশের পর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজকে মোবাইলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জরুরি সভায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে অপরাধীর শাস্তির দাবী করেছে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ সহ সকল সদস্যবৃন্দ।

জানা গেছে, গত রোববার দৈনিক মাথাভাঙ্গা সহ কয়েকটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় দামুড়হুদার ডুগডুগির জমজমাট জুয়ার আসরের বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর জুয়া চক্রের অন্যতম হোতা আসাদুজ্জামান আসাদ মোবাইলে সাংবাদিক মিরাজকে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দেয়। বিষয়টা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ কে অবগত করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সীদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর রাতে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার একটি জিডি করা হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবে জরুরি সভার আহ্বান করা হয়। দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ এর সভাপতিত্বে জরুরি সভায় সাংবাদিক মিরাজকে প্রাণ নাশের হুমকি দাতা জুয়া চক্রের হোতা আসাদুজ্জামান আসাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে সকল সদস্যবৃন্দ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুরশেদ বীন ফয়সাল তানজির, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, নির্বাহী সদস্য তাছির আহমেদ, হাবিবুর রহমান,দামুড়হুদা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান কাজল, সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল শিশির, সাধারণ সম্পাদক শাহাজালাল বাবু, প্রেসক্লাবের সদস্য হেলাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম মিলন, শেখ হাতেম আলী, আল সাফায়েত হোসেন প্রমুখ। জরুরি সভা শেষে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব/সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ দামুড়হুদা মডেল থানার (ওসি) মো হুমায়ুন কবির এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন।




দর্শনা ও মেহেরপুরের দুই ছাত্র রোবট নিয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে মালেশিয়ায়

দর্শনার একজন ও মেহেরপুরের একজন ছাত্র রোবট নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে আগামী ২১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্ববর-২০২৫ তারিখ মালেশিয়া যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সাইন্স এন্ড রোবোটিক্স ক্লাবের পক্ষ থেকে আগামী ২০/০৯/২০২৫ তারিখ বিমানযোগে রোবট প্রতিযোগিতায় মালোশিয়ার উদ্যোশ্যে রওনা দেবেন। এরা হলেন, দর্শনা সরকারী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র জাহিদ হাসান জিহাদ ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্র তোহা বিন আসাদ (দ্বীপ)।

জাহিদ হাসান জিহাদের নেত্রীত্বে রোবটটি নির্মাণ করা হয়। এ রোবটটি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কমপিটিশন এন্ড একজিবিশন (ডবিউলিআইসিই) এ মালোশিয়ায় তারা দুইজন অংশ নেবে। রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে হ্যাজার্ড। বোম্ব ডিফিউজ/হ্যাজার্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য রোবাটটি কাজ করবে। পুতে রাখা বোমা অনুসন্ধান ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কাজ করতে সক্ষম।

এছাড়া হিংস্র পশু-পাখী বা মানুষের ক্ষতি সাধনকারী যেকোন বিষয়ে সর্তক করতে সক্ষম হবে। জ্যামিং সিস্টেম এ হ্যার্জাড রোবোটটির বৈশিষ্ট্য বহুমুখী সেন্সর দিয়ে ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ এবং লাইভ ভিডিও ট্রান্সমিশন। এছাড়া অগ্নি শনাক্তকরণ ও নিবার্পণ করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক রোবোটটি বিপদজনক কাজগুলো মানুষের বদলে করতে সক্ষম হবে বলে জাহিদ হাসান জিহাদ জানান।




কুমিল্লার ১০ পয়েন্ট দিয়ে ইলিশ পাচার হচ্ছে ত্রিপুরায়

কুমিল্লা সীমান্তের ১০টি পয়েন্ট দিয়ে চাঁদপুরের ইলিশ পাচার হচ্ছে ত্রিপুরায়। এভাবে প্রতি রাতে বিপুল পরিমাণ ইলিশ যাচ্ছে ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায়। এতে একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে স্থানীয় ভোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে, ভরা মৌসুমেও স্থানীয় বাজারে ন্যায্যমূল্যে মিলছে না ইলিশ। তবে কুমিল্লার বাজার থেকে কম দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ত্রিপুরার বিভিন্ন শহরের বাজারে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও জেলার বাজারগুলো চাঁদপুরের মৌসুমি ইলিশে ভরপুর থাকত। কিন্তু সম্প্রতি চোরাকারবারি নেটওয়ার্কের কারণে ভরা মৌসুমেও বাজারে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। প্রতিদিনই চোরাকারবারি সিন্ডিকেটগুলো আড়ত থেকে বেশির ভাগ ইলিশ ওপারে পাচার করে দিচ্ছে। বাজারে ঢোকার আগেই অধিকাংশ ইলিশবাহী পিকআপ সীমান্তের দিকে চলে যাচ্ছে। বাজারে ইলিশের সংকটের কারণে ফড়িয়া বিক্রেতারা চড়ামূল্যে বিক্রি করছে। এতে জাতীয় মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার নিম্নআয়ের মানুষ।

সূত্র জানায়, প্রতিদিন চাঁদপুরের বিভিন্ন ঘাট, একই জেলার হাইমচর এবং লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ইলিশ আসে কুমিল্লার আড়তগুলোতে। এর বেশির ভাগই চোরাকারবারি সিন্ডিকেটগুলো কিনে নেয়। সন্ধ্যার পর ইলিশবাহী বহু পিকআপ সরাসরি কুমিল্লার ভারত সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে চলে যায়। সদর দক্ষিণ উপজেলার মথুরাপুর, যশপুর, মুড়াপাড়া, দলকিয়া, আদর্শ সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, বড়জ্বালা, খাড়েরা, বুড়িচং উপজেলার তেলকুপি বাজার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল, সংকুচাইল, আশাবাড়ী সীমান্ত দিয়ে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট এসব ইলিশ পাচার করছে। এতে জড়িতরা অধিকাংশই মাদককারবারি। ফলে তারা ইলিশের বিনিময়ে ওপার থেকে মাদক নিয়ে আসছে।

সরেজমিন সীমান্তের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় গিয়ে কথা হয় স্থানীয় বেলাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতি রাতে ৪-৫টি পিকআপ এখানে আনলোড করা হয়। বরফে ঢাকা সাদা ককসিটে মোড়ানো ইলিশ কেরিং ম্যানরা নিয়ে যায় সীমানার ওপারে ত্রিপুরায়। তারা বর্ডার কন্টাক্ট করেই এসব মাছ পাচার করে থাকে।

বড়জ্বালা সীমান্ত এলাকার খলিলুর রহমান বলেন, যে পরিমাণ ইলিশ ভারতে পাচার হয় সেগুলো আমাদের বাজারে থাকলে ৫০০ থেকে হাজার টাকা কেজিতে ইলিশ পাওয়া যেত। শুনেছি সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরার বিভিন্ন বাজারে আমাদের কুমিল্লার চেয়ে কম দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার দলকিয়া সীমান্তের বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, সীমান্তের ওপারের লোকজনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। তারা বলছে, তাদের ওখানে স্থানীয় বাজারে ৮-৯শ রুপি কেজি দরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন প্রচুর ইলিশ ভারতে চলে যাচ্ছে। সেখান থেকে আসছে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা চোরাই পণ্য। আইনশৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিতরা এর সবই জানে। এগুলো বলে আমরা বিপদে পড়তে চাই না।

এ বিষয়ে কুমিল্লা ডিবির ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, সীমান্ত দিয়ে ইলিশ পাচারের কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। এতে সীমান্তমুখী সড়কগুলোতে টহল এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

কুমিল্লা-১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, সীমান্তের কোনো পয়েন্ট দিয়ে ইলিশ পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমার কাছে নেই। আপনারা যদি তথ্য দেন তাহলে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।




ঝিনাইদহ আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজে নবীন বরণ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ ও উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমাবার সকাল ১১টায় কলেজের মিলনায়তনে এই নবীন বরণ ও উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ জেএম রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কলেজের গভনিং বড়ির সভাপতি, কেসি কলেজের সাবেক ভিপি সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. কামাল আজাদ পান্নু। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ বিবেকানন্দ তরফদার, ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম, সাধুহাটী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, ইউনিয়ন জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি ডা. মখলেছুর রহমান বকুল, ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান কামাল, কলেজের সহকারী অধ্যাপক জিনাত জেসমিন, এবিএম আমিরুজ্জামান রবি, ঝিনাইদহ সদর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মোজাম, উপজেলার ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুনুর রহমান প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের গোলাপ ফুলদিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সেসময় নবাগতদের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন দ্বাদশ শ্রেণির এনাম আহম্মেদ, জান্নাতুল ফেরদৌস মায়া এবং একাদশ শ্রেণির নওরিন সুলতানা অধরা ও সোনালী আক্তার ঝর্ণা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক শাহানুর আলম, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আনাম।

প্রধান অতিথি নবাগত সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন, তোমরা এই কলেজে ভর্তি হয়েছ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ শিক্ষার দ্বার উম্মোচিত করার জন্য। এখানে ভাল না করলে তোমরা ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে না। এজন্য এই সময়কে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যঠিক রেখে শিক্ষকদের পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তোমরা ভাল করলে কলেজের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেণ কলেজের সকল উন্নয়ন, সুবিধা অসুবিধা আমরা দেখবো, তোমরা শুধু তোমাদের লেখাপড়াটা ঠিকমত করবে। লেখাপড়া আর আগেরমত নেই, শতভাগ পাশ নেই এখন সবাইকে লেখাপড়া করে পাশ করতে হবে। এজন্য অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। তিনি নকাগতদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান




মেহেরপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ গ্রেফতার ১০

মেহেরপুরে পুলিশের ২৪ ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে ৯ জন সিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও ১ জন নিয়মিত মামলার আসামিসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।

গতকাল রবিবার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন মেহেরপুর সদরের বারাদীর বানাত আলীর ছেলে মোঃ সোহেল রানা (৪৫), দফোরপুরের মোঃ চাঁদ আলী ওরফে চান্দুর ছেলে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, পিরোজপুর ঘাটপাড়ার মোছাঃ ছাবিয়া খাতুন, হাটপাড়ার মোছাঃ মহিমা খাতুন, রায়পুরের মোছাঃ হাচেনা খাতুন, কোলারজংয়ের মোঃ আরজ আলীর মেয়ে মোছাঃ শিখা খাতুন, গোভিপুরের এরশাদ আলীর ছেলে মোঃ আশরাফুল, আমদহের মোছাঃ সাথিয়ারা সাথী, কুলবাড়িয়ার মোছাঃ সুফিয়া খাতুন এবং মোছাঃ রহিমা খাতুন।

গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের ধরতে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




মেহেরপুরে মাদক রাখার দায়ে একজনের কারাদণ্ড

মেহেরপুরে মাদক রাখার অপরাধে মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ওরফে বাবুকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ মে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক শাহজালাল খান একটি রেইডিং পার্টি গঠন করেন। মেহেরপুর সদর থানার গোভিপুর মহাজেরপাড়ায় মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ওরফে বাবুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তাকে তল্লাশি করা হয়। তার পরিহিত লুঙ্গির ডান কোচর থেকে রূপালি কাগজে মোড়ানো ০.৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদক জব্দের পর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। নথি ও সাক্ষ্য পর্যালোচনা শেষে আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




নিরাপদ পৃথিবীর জন্য ওজোন স্তর রক্ষায় প্রয়োজন বিশ্বজনীন অঙ্গীকার

প্রতিবছর ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী বিশ্ব ওজোন দিবস পালিত হয়। ১৯৮৭ সালের মন্ট্রিল প্রটোকল এ দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করে তুলেছে। এদিন মানবজাতি প্রথমবারের মতো একত্রিত হয়ে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এ বছরের প্রতিপাদ্য “From science to global action” যার বাংলা ভাবানুবাদ করা হয়েছে “বিজ্ঞানসম্মত কর্ম, ওজোন রক্ষায় বর্ম”।

প্রতিপাদ্যের মধ্যেই নিহিত রয়েছে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলকে বাস্তব কর্মপরিকল্পনায় রূপান্তর করার অঙ্গীকার। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারিভাবে বিশ্ব ওজোন দিবস পালন করা হবে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, সেমিনারের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও দিবসের প্রতিপাদ্যে গণমাধ্যমে বিশেষ কর্মসূচি প্রচারিত হবে।

বায়ুমণ্ডলে বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসসমূহের মধ্যে ওজোন গ্যাস অন্যতম। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫-৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় স্ট্রাটোস্ফিয়ারে যে অংশে সর্বাধিক ঘনমাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে, সেটিই ওজোন স্তর নামে পরিচিত। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে এ স্তর পৃথিবীর জীবজগতকে সুরক্ষা দেয়। তাই একে পৃথিবীর প্রাকৃতিক ঢালও বলা হয়ে থাকে।

ওজোন স্তর ক্ষয় হলে অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে প্রবেশ করে মানুষের ত্বকে ক্যান্সার, চোখে ছানি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। একই সঙ্গে উদ্ভিদের বৃদ্ধি কমে যায়, ফসলের উৎপাদন হ্রাস পায় এবং সামগ্রিকভাবে জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ওজোন স্তর ক্ষয় জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে আরও তীব্র করতে পারে।

বিগত শতকে মানবসৃষ্ট বিভিন্ন শিল্পজাত রাসায়নিক ওজোন স্তর ক্ষয়ের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (সিএফসি), হ্যালন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, মিথাইল ক্লোরোফরম, হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন (এইচসিএফসি), মিথাইল ব্রোমাইডসহ বহু রাসায়নিক দ্রব্য একসময় রেফ্রিজারেন্ট, ফোম ব্লোয়িং এজেন্ট, সলভেন্ট, প্রোপেল্যান্ট ও অগ্নিনির্বাপক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এসবকেই বলা হয় ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য (ওডিএস)। এগুলো শুধু ওজোন স্তর নয়, বরং অধিকাংশই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবেও চিহ্নিত।

ওজোন স্তর রক্ষায় বৈশ্বিক পদক্ষেপের সূচনা হয় ১৯৮৫ সালে ভিয়েনা কনভেনশন গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে। এরপর ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে গৃহীত হয় ঐতিহাসিক মন্ট্রিল প্রটোকল যা আজ বিশ্বের অন্যতম সফল পরিবেশ চুক্তি হিসেবে স্বীকৃত। এই প্রটোকলের আওতায় ধাপে ধাপে ওডিএস-এর ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে গৃহীত হয় কিগালি সংশোধনী। এর মাধ্যমে ১৮ ধরনের উচ্চ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ক্ষমতাসম্পন্ন হাইড্রোফ্লোরোকার্বন (এইচএফসি)-এর ব্যবহার কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও এইচএফসি সরাসরি ওজোন স্তর ক্ষয় করে না, তবে এগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এ নিয়ন্ত্রণ জলবায়ু সুরক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট মন্ট্রিল প্রটোকল অনুস্বাক্ষর করে এবং পরবর্তীকালে লন্ডন, কোপেনহেগেন, মন্ট্রিল ও বেইজিং সংশোধনীসমূহ অনুস্বাক্ষর করে। সরকার ২০২০ সালের ৮ জুন কিগালি সংশোধনী অনুস্বাক্ষর করেছে। প্রটোকল বাস্তবায়নে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিবেশ অধিদপ্তর দেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে “ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৪” জারি করা হয় এবং ২০১৪ সালে বিধিমালাটি সংশোধিত হয়। উক্ত বিধিমালার আওতায় দেশে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক লাইসেন্সিং সিস্টেম চালু করা হয়। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে রূপান্তর এবং সংশ্লিষ্ট সার্ভিস সেক্টরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে একাধিক পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে ১ জানুয়ারি ২০১০ হতে দেশে সিএফসি, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড ও মিথাইল ক্লোরোফরমের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওষুধ শিল্প থেকে সিএফসি এবং রেফ্রিজারেটর উৎপাদনে ফোম তৈরিতে ব্লোয়িং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত এইচসিএফসি-১৪১বি-এর ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ এইচসিএফসি ব্যবহার বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে এইচসিএফসি-এর ব্যবহার ৬৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এইচপিএমপি স্টেজ-টু প্রকল্পের আওতায় ৪টি এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারক কারখানা ও একটি চিলার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে গৃহস্থালি এসি তৈরিতে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য আর-২২ এর পরিবর্তে আর-২৯০ এবং আর-৩২-এ রূপান্তর করা হচ্ছে। পাশাপাশি রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টর সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশে রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রচলনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি নীতিসমূহ হালনাগাদ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি এ বছর শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মন্ট্রিল প্রটোকলের ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে এইচসিএফসি ফেজ-আউট টার্গেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার কিগালি সংশোধনীর আওতায় উচ্চ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ক্ষমতাসম্পন্ন এইচএফসিসমূহ নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। সরকার ২০২০ সালের ৮ জুন কিগালি সংশোধনী অনুস্বাক্ষর করেছে। এ সংশোধনীর আওতায় বাংলাদেশকে ২০৪৫ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ এইচএফসি ব্যবহার হ্রাস করতে হবে। এ প্রেক্ষিতে এইচএফসিসমূহের আমদানি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ২০২১ সালে একটি এসআরও জারির মাধ্যমে লাইসেন্সিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে এবং এর আওতায় ২০২২ সাল থেকে সরকার এইচএফসি আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়াও মন্ট্রিল প্রটোকল মাল্টিল্যাটারাল ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতা এবং ইউএনডিপি ও ইউএনইপি-এর কারিগরি সহায়তায় কিগালি ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান প্রণয়নে কাজ শুরু করা হয়েছে। অধিকন্তু, প্যারিস চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কর্তৃক ২০২১ সালে প্রণীত ন্যাশনালি ডিটারমিন্ড কন্ট্রিবিউশনে এ সেক্টর থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ২ দশমিক ৯২ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড সমতুল্য নিঃসরণ হ্রাস করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সর্বোপরি, ওজোন স্তর রক্ষায় বাংলাদেশ শুরু থেকেই সফলভাবে মন্ট্রিল প্রটোকলের বাধ্যবাধকতা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মন্ট্রিল প্রটোকলের সফল বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি কর্তৃক একাধিকবার বিশেষভাবে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। তাছাড়া ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের চোরাচালান রোধে কার্যকর ভূমিকার জন্য ২০১৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি দ্বারা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

ওজোন স্তর আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য প্রাকৃতিক ঢাল। একে রক্ষা করা শুধু পরিবেশ নয়, মানবস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মন্ট্রিল প্রটোকল প্রমাণ করেছে যে বৈজ্ঞানিক গবেষণার আলোকে বৈশ্বিক ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণ করলে পরিবেশগত বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব। এ বছরের প্রতিপাদ্য “বিজ্ঞানসম্মত কর্ম, ওজোন রক্ষায় বর্ম” তাই আমাদের প্রত্যেককে অনুপ্রাণিত করে ব্যক্তিগত, জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণে। ওজোন রক্ষার এ লড়াই কেবল একটি স্তর বাঁচানোর সংগ্রাম নয় এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার অঙ্গীকার।

লেখক: উপপ্রধান তথ্য অফিসার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়