মেহেরপুর জেলা আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সম্মেলন

বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা শাখার শিক্ষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এই শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আল-আমিন বকুলের সভাপতিত্বে শিক্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারী
ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করিম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষকের ফেডারেশনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের সভাপতি ডঃ আলমগীর বিশ্বাস, বাংলাদেশ শিক্ষক ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা তাজ উদ্দীন খান ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ মেহেরপুর জেলা সভাপতি মাহবুব উল আলম।

ছাহিউদ্দীন ডিগ্রী কলেজে সহকারী অধ্যাপক ডঃ আলিবদী এর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদ মেহেরপুর সদরের সেক্রেটারী আইয়ুব আলী, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ মেহেরপুর সদরের সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলী লাল্টু, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ মুজিবনগর থানার সভাপতি হারুন আর রশিদ, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ গাংনী থানার সভাপতি মোমিনুজ্জামান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ মেহেরপুর সদর থানার সভাপতি মাওলানা আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদ গাংনী থানার সভাপতি মোঃ ইসহাক আলী, বাংলাদেশ কারিগরী  শিক্ষক পরিষদ মেহেরপুর জেলা সভাপতি আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষক পরিষদ মেহেরপুর জেলার সভাপতি মনজুরুল হাসান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ মেহেরপুর জেলার সেক্রেটারী সুলাইমান হোসেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ মেহেরপুর জেলার সভাপতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন মুজিবনগর থানার সভাপতি মোশারেফ হোসেন, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন গাংনী থানার সভাপতি আবুল হাশেম প্রমুখ।




কেন পাপারাজ্জিদের ‘পাগল’ বললেন রণবীর?

বলিউডের কাপুর পরিবারে ফের বেজে উঠেছে সানাই। বিয়ে করছেন কারিনা কাপুর ও রণবীর কাপুরের ফুফাতো ভাই আদর জৈন। গাঁটছড়া বাঁধছেন আলেখা আদভানির সঙ্গে। তাদের বিয়ের আসরেই বসেছে তারকাদের মেলা।

আদরের বিয়েতে গোলাপি রঙের শাড়ি ও হীরার নেকলেস পরে স্বামী রণবীরের হাত ধরে উপস্থিত হন কাপুর পরিবারের পুত্রবধূ আলিয়া ভাট। রণবীরের পরনে ছিল বটল গ্রিন রঙের বন্ধ গলা শেরওয়ানি এবং সাদা পায়জামা।

অনুষ্ঠানে প্রবেশ করে বলিউডের জনপ্রিয় এই দম্পতি হাতে হাত ধরে হেঁটে যান এবং অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থানরত পাপারাজ্জিদের অভ্যর্থনা জানান।

এ সময় ক্যামেরাম্যানরা তাদের পোজ দেওয়ার জন্য বলেন এবং তাদের বলিউডের ‘নাম্বার ওয়ান কাপল’ বলেও সম্বোধন করেন। আর এতে লজ্জায় লাল হয়ে উঠেন কাপুর পুত্রবধূ।

তবে আলিয়ার সঙ্গে যৌথ ফটো সেশনের পরে ফটোগ্রাফাররা রণবীরকে এককভাবে পোজ দিতে বলেন। তখন তিনি মজা করে উত্তর দেন, ‘পাগল হ্যায় কেয়া?’ (তুমি কি পাগল?), যা দেখে আলিয়া হেসে ফেটে পড়ে।

অনুষ্ঠানে নীতু কাপুর, কারিনা কাপুর খান, সাইফ আলি খান, কারিশমা কাপুর, রেখা, সুহানা খান, অনন্যা পান্ডে, অরি, বনি কাপুর, নিখিল নন্দা এবং অগস্ত্য নন্দাসহ বেশ কয়েকজন বলিউড সেলিব্রিটি উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে শীর্ষ চরমপন্থি নেতা হানিফসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পুর্ববাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির কথিত সামরিক কমান্ডার হানিফ তার দুই সঙ্গীসহ খুন হয়েছেন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রতিপক্ষ বন্দুকধারীরা তাদের হত্যা করে।

খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর শ্মশান ঘাট এলাকার একটি ক্যানালের পাশ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। তিনজনের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। পাশে দুইটি মটরসাইকেল ও নিহতদের ব্যবহৃত হেলমেট পড়ে ছিল।

নিহতদের মধ্যে দুই জনের পরিচয় মিলেছে। এরা হলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের রাহাজ উদ্দীনের ছেলে শাতাধীক হত্যা মামলার আসামী হানেফ আলী (৫২) ও তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের উম্মাদ আলীর ছেলে লিটন (৩৫)। বাকী একজনের পরিচয় মেলেনি।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর একই স্থানে ৫জনকে হত্যা করা হয়। নিহত হানিফ মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি ছিলেন। হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় তার ফাঁসি আদেশ হয়। উচ্চ আদালতেও ফাঁসির রায় বহাল থাকলে হাসিনা সরকারের সময় প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন হানিফ।

এদিকে হত্যার দায় স্বীকার করে জাসদ গণবাহিনীর জনৈক কালু পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ম্যাসেজ পাঠানো হয়। হোয়াটসআপ বার্তায় দাবি করা হয় “এতদ্বারা ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনাবাসীর উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিনাকুন্ডু নিবাসী মো. হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ রামচন্দ্রপুর ও পিয়ারপুর ক্যানালের পাশে রাখা আছে। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। কালু জাসদ গণবাহিনী।

এদিকে দীর্ঘদিন পর চরমপন্থিদের গুলির লড়াই ও গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে তার দায় স্বীকার করে বিবৃতি প্রদান জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।




রাহুল না পান্ত কোচ হলে কাকে খেলাতেন সৌরভ

মিডল অর্ডারে যেকোনো দলের জন্যই বড় সম্পদ ঋষভ পান্তের মতো একজন ব্যাটার। একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। অথচ, পান্তকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বসিয়ে রেখেছে ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর। খেলানো হচ্ছে লোকেশ রাহুলকে। যা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকেরই। এবার সেই প্রশ্নের উত্তরটা জানতে চাওয়া হয়েছিল সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ডপ্রধান সৌরভ গাঙ্গুলির কাছে।

আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে কাজ করার সময় পান্তকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন সৌরভ। বরাবরই পান্তকে নিয়ে তিনি বলে এসেছেন, পান্ত ম্যাচ উইনার। যে কোনও দলের সম্পদ। অথচ, তাকেই খেলানো হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সৌরভের মন্তব্য কি।

সৌরভ বলেন, ‘ভারত খুব শক্তিশালী দল। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। দলে যারা আছে, প্রত্যেকে খেলতে পারে। ঋষভ পান্ত ভাল। কে এল রাহুলও ভাল। রাহুলের ওয়ানডে ক্রিকেটে রেকর্ড অসাধারণ। সেই জন্যই গৌতম গম্ভীর হয়তো রাহুলকে খেলাচ্ছে। আসলে দুজনের মধ্যে সামান্যই তফাত। খুব কঠিন একজনকে বেছে নেওয়া।’

ভারতীয় দলের কোচ হলে কাকে একাদশে খেলাতেন? এমন প্রশ্নে সৌরভ বলেন, ‘যে কোচ রেখেছে সেই থাক না। আমি কোচও নই, আমি ভাবিও না। আমি খেলা দেখি। গৌতম গম্ভীর যাকে ঠিক মনে করেছে তাকেই খেলাচ্ছে। দুজনই সমান ভাল।’

সৌরভ এরপর যোগ করেন, ‘রাহুল ও পান্ত ছাড়াও সঞ্জু স্যামসন রয়েছে। অভিষেক শর্মা রয়েছে। সূর্যকুমার যাদব রয়েছে। ভারতে প্রচুর প্রতিভা। যাকেই নেওয়া হবে, সেই পারফর্ম করবে। সদ্য টি-২০ সিরিজে বিরাট, রোহিত, শুভমনকে ছাড়াও ইংল্যান্ডকে ৪-১ হারিয়েছে ভারত। টি-২০ সিরিজে ৩-০ জিতেছে। সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতে প্রচুর প্রতিভা। প্রত্যেকে খেলতে পারে। বাঁহাতি অভিষেক শর্মা যেভাবে খেলেছে, তাতে ওর ওয়ানডে না খেলার কোনও কারণ নেই। নির্বাচকেরা যাকে দলে নেবে, সেই ভাল খেলবে।’

সূত্র: যুগান্তর




কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা প্রকৃত ভাবে সাংবাদিকদের বরাদ্দ দেওয়া হবে-মনির হায়দার

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সাংবাদিক মনির হায়দার বলেছেন, কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা যেনো নিরপেক্ষভাবে প্রকৃতভাবে সাংবাদিকদের বরাদ্দ দেওয়া হয়, আগামীতে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করা হবে।

গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরাবি হাফিজ।

মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিকের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক তুহিন আরণ্য, আবু লায়েছ লাভলু, সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন, রফিক উল আলম প্রমুখ।

মফস্বলের সাংবাদিকতার নানা সমস্যা তুলে ধরে সাংবাদিক মনির হায়দার আরও বলেন, ফুলটাইম সাংবাদিকতা করে ঢাকাতেই চলা যায়না, সেখানে মফস্বলের সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। সাংবাদিকতা এক ধরনের নেশা হয়ে ওঠায় নিজের ক্ষতি করে হলেও এই চ্যালেঞ্জিং পেশাটাকে ধরে রাখেন মফস্বলের সাংবাদিকরা।

তিনি বলেন রাস্ট্র তো এখনো কল্যাণ রাস্ট্র হয়ে ওঠেনি। বিগত দিনে সাংবাদিকদের কল্যাণের নামে রাস্ট্রের টাকা পয়সা দেওয়া হতো। সেই টাকা কাদের কিভাবে দেওয়া হতো আমরা সকলেই তা জানি। আগামীতে সেই ত্রুটিগুলোর সমাধানকল্পে যেনো ব্যবস্থা নেয়া হয় সেব্যাপারে কাজ করবো।

বিগত দিনে মেহেরপুরের সাংবাদিকতার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি বলেন, নানা ধরনের প্রতিকুলতার মাঝেও এই জেলার সাংবাদিকরা সত্যটাকে তুলে এনেছেন। এখন জেলাতে নবীণ সাংবাদিকদের জয়জয়কার উল্লেখ করে বলেন, এই জেলার নবীন এবং প্রবীণ সাংবাদিকরা আগামীতে জেলাকে নতুনভাবে তুলে আনবেন।

তিনি বলেন, প্রকৃত সাংবাদিকতা করলে সমাজের সকলের কাছেই একজন সাংবাদিক অপ্রিয় হয়ে উঠবেন।
সাংবাদিকতা করলে সমাজের মানুষের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার প্রত্যাশা করা যাবেনা। সাংবাদিকতা না করলে আপনি যেটুকু সহায়তা পেতেন, জেনুইন সাংবাদিকতা করলে সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি মনির হায়দার দুই দিনের সফরে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মেহেরপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ও পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

পরে সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে মনির তিনি মতবিনিময় করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।




মহেশপুরে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ আটক ১৪

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে মালিক বিহীন ৭৩২ পিচ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ভায়াগ্রা উদ্ধার ও ১৪ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঘাডাঙ্গা, শ্যামকুড়, পলিয়ানপুর ও হুদাপাড়া গ্রাম থেকে এসব পণ্য জব্দ ও তাদের অটক করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় সীমান্তবর্তী ওই গ্রামগুলোতে অভিযান চালিয়ে ভায়াগ্রা ট্যাবলেট ও ১৪ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর সোর্পদ করা হয়েছে।’




মহেশপুরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে জামায়াত নেতা আটক

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ১০ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় জামায়াত নেতা মসলেম উদ্দিনকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কুসুমপুর স্বরুপপুর কওমি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মসলেম উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত ইলাহি বক্সের ছেলে। তিনি স্বরুপপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক।

স্থানীয়রা জানায়, মসলেম উদ্দিনের একটি মুদি দোকান রয়েছে। তিনি ওই শিশুর কাছে অল্পকিছু টাকা পেতেন। সেই টাকা চাওয়ার কথা বলে মাদরাসার একটি কক্ষে ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে আশপাশের এলাকার লোক ওই কক্ষে গিয়ে তাদের বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায়।। পরে মসলেম উদ্দিনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

স্বরুপপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জুলফিকার আলী বিশ্বাস বলেন, ‘ওই এলাকার লোকজন মসলেমকে আটক করে। আমি ঘটনাটি জানার পর মহেশপুর থানার ওসিকে জানায়। পরে পুলিশ এসে মসলেমকে নিয়ে যায়।’

এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মসলেম উদ্দিন নামের এক জামায়াত নেতাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভুক্তভোগির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’




কুষ্টিয়ার মিরপুরে ট্রলির ধাক্কায় শিশু নিহত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে মাটি বোঝাইকৃত একটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত স্টিয়ারিং ট্রলির ধাক্কায় আরিয়ান (৪) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিতলায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রলি চালক পালিয়ে গেলেও জনতা ঘাতক স্টিয়ারিং ট্রলিটিকে আটক করে।

নিহত আরিয়ান ছাতিয়ান কালিতলার আরিফ জোয়ার্দ্দারের ছেলে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, বাড়ীর পাশে সড়ক দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় মাটি বোঝাইকৃত শ্যালো ইঞ্জিন চালিত স্টিয়ারিং ট্রলির ধাক্কা লেগে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।




হরিণাকুণ্ডু সরকারি লালন শাহ কলেজে পিঠা উৎসব

লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীদের শিল্প নৈপুণ্যের ধারক ও বাহক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়ে থাকে। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে এই পিঠা উৎসব। প্রতি বছর শীতে এলেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব।

গ্রামীণ ঐতিহ্য ও নতুন প্রজন্মের কাছে হরেক রকমের পিঠার পরিচয় তুলে ধরতে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু সরকারি লালন শাহ কলেজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয়ে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ উৎসবে শিক্ষার্থীরা ১৩টি স্টল সাজিয়ে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হরেক রকমের বাহারী ও মুখরোচক পিঠার আয়োজন করে।

ভোজন রসিকরাও পিঠা খেয়ে প্রশংসা করেছেন। আর আয়োজকরা বলছেন প্রতি বছরই এমন আয়োজন থাকবে নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠা পুলির পরিচিতি তুলে ধরার জন্য।

এছাড়া সপ্তাহ ব্যাপি বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আহবায়ক আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুজ্জামান শেখর, বিশেষ অতিথি হিসেবে ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আহবায়ক মহব্বত আলী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নজরুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আব্দুর রাকিব উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে আনন্দ উপভোগ করেণ।




বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘গুপ্তচর ক্যামেরা’ বানিয়ে সাড়া ফেলল চীন

চীনের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি অপটিক্যাল ইমেজিং প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন। অত্যন্ত শক্তিশালী এক লেজার ক্যামেরার মাধ্যমে তারা নজরদারি তথা গুপ্তচরবৃত্তির বৈশ্বিক মানকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চলেছেন।

এই প্রযুক্তি বেইজিংকে বিদেশি সামরিক উপগ্রহগুলোর কার্যক্রম নজরদারির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন সুবিধা দিতে পারে। এমনকি নিম্ন-কক্ষপথ (low-Earth orbit) থেকে মানবমুখের মতো সূক্ষ্ম বিশদও শনাক্ত করতে পারে।

চীনা অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের অ্যারোস্পেস ইনফরমেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক অতি সম্প্রতি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূর থেকে মিলিমিটার-পর্যায়ের স্পষ্ট ছবি ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। যা এতদিন পর্যন্ত অসম্ভব বলে মনে করা হতো।

এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিয়ে সম্প্রতি চাইনিজ জার্নাল অব লেজারস-এ একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।

পরীক্ষাটি কিভাবে পরিচালিত হয়?

বিজ্ঞানীরা চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিংহাই লেক এলাকায় পরীক্ষাটি পরিচালনা করেন।

লেকের উত্তর তীরে একটি সিন্থেটিক অ্যাপারচার লাইডার সিস্টেম স্থাপন করা হয়, যা লেজার-ভিত্তিক চিত্রগ্রহণের একটি উন্নততর পদ্ধতি।

ডিভাইসটি ১০১.৮ কিলোমিটার দূরে স্থাপিত প্রতিফলিত প্রিজমের সারিকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে চিত্র সংগ্রহ করে। আদর্শ আবহাওয়ার (পরিষ্কার আকাশ, কম বাতাস) কারণে ডিভাইসটি নিখুঁতভাবে ১.৭ মিলিমিটার (১/১৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত সূক্ষ্ম বিশদ ধরতে সক্ষম হয়। এটি দূরত্ব পরিমাপেও অত্যন্ত নিখুঁত—শুধুমাত্র ১৫.৬ মিলিমিটারের পার্থক্য দেখা গেছে, যা বর্তমান গুপ্তচর ক্যামেরা ও টেলিস্কোপের তুলনায় ১০০ গুণ উন্নত।

প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন কী কী?

গবেষকরা একাধিক অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন—

বর্ধিত অপটিক্যাল অ্যাপারচার:

৪×৪ মাইক্রো-লেন্স গ্রিড ব্যবহার করে লেজার বিমের বিস্তার বাড়ানো হয়েছে। এতে অপটিক্যাল অ্যাপারচার ১৭.২ মিমি থেকে ৬৮.৮ মিমিতে উন্নীত হয়, যা সাধারণত অ্যাপারচার ও দৃষ্টিক্ষেত্রের মধ্যে বিরাজমান সীমাবদ্ধতা দূর করে।

উন্নত লেজার সংকেত:

চওড়া ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড (১০ গিগাহার্টজ-এর বেশি) ব্যবহার করে সূক্ষ্ম রেঞ্জ রেজল্যুশন অর্জন করা হয়েছে। সংকীর্ণ রঙের স্পেকট্রামে লেজার রশ্মি ধরে রেখে আড়াআড়ি বিশদ আরও স্পষ্ট করা হয়েছে।

শব্দ কমানোর জন্য উন্নত অ্যালগরিদম:

বিশেষ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে অপটিক্যাল শব্দ কমিয়ে আনা হয়েছে ১০,০০০ গুণ, ফলে দূরবর্তী বস্তুর খুব ক্ষীণ সংকেতও ধরা সম্ভব হয়েছে।

অত্যন্ত শক্তিশালী লেজার:

প্রচলিত লাইডার সিস্টেমের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ১০৩ ওয়াটের লেজার ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিশাল পরিমাণ ডেটা দ্রুত প্রসেস করতে পারে।

এই প্রযুক্তির সামরিক গুরুত্ব কতটা?

বেইজিং-ভিত্তিক একজন ইমেজিং বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ‘এটি শুধু স্যাটেলাইটই নজরদারী করবে না—এর সিরিয়াল নম্বরও পড়তে পারবে!’

এতো উচ্চ রেজল্যুশনে—উপগ্রহের ক্ষুদ্র ক্ষয়ক্ষতি (যেমন- মাইক্রোমিটিওরয়েডের আঘাত) শনাক্ত করা যাবে। উপগ্রহের সেন্সর ও পেলোড (সজ্জিত যন্ত্রাংশ) চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

এই প্রযুক্তি মাইক্রোওয়েভ-ভিত্তিক সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডারের নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হলেও, অপটিক্যাল তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কাজ করার কারণে এটি অনেক বেশি স্বচ্ছ ছবি তুলতে সক্ষম।

এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্রযুক্তির সবচেয়ে উন্নত নজির ছিল— ২০১১ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদার লকহিড মার্টিন মাত্র ১.৬ কিলোমিটার দূর থেকে ২ সেন্টিমিটার রেজল্যুশন অর্জন করেছিল। পরে চীনের বিজ্ঞানীরা ৬.৯ কিলোমিটার দূর থেকে ৫ সেন্টিমিটার রেজল্যুশন অর্জন করতে সক্ষম হন।

এবার চীনা গবেষকরা ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে মিলিমিটার-পর্যায়ের রেজল্যুশন অর্জন করেছেন, যা একটি বিশাল সাফল্য।

প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা কী কী?

তবে, বাস্তব পরিস্থিতিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে—

আবহাওয়ার ওপর নির্ভরতা:

লেজার ইমেজিংয়ের গুণমান নির্ভর করে আবহাওয়ার স্বচ্ছতা, মেঘের উপস্থিতি ও বাতাসের গতির ওপর।

গতিশীল লক্ষ্যের ক্ষেত্রে জটিলতা:

চলমান লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করার জন্য অত্যন্ত নিখুঁত যান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রয়োজন, যা তৈরি করা সহজ নয়।

এই নতুন লেজার-ভিত্তিক গুপ্তচর ক্যামেরা চীনকে নজরদারি প্রযুক্তির শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে সামরিক পর্যায়ে এটি বিপ্লব ঘটাতে পারে—বিদেশি উপগ্রহের ক্ষুদ্রতম বিবরণ শনাক্ত করা, স্যাটেলাইটের সেন্সর চিহ্নিত করা, এমনকি মহাকাশযানের ক্ষতি নির্ধারণ করার মতো কাজেও এটি ব্যবহৃত হতে পারে।

তবে বাস্তবিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও লক্ষ্যের গতি সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

সূত্র: যুগান্তর