সাবেক মেয়র মতুর দায়ের করা মামলায় আইনজীবীসহ চার জনের জামিন

মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ মোতাছিম বিল্লাহ মতুর দায়ের করা চাঁদাবাজি ও মানহানির মামলায় আইনজীবীসহ চারজন জামিন পেয়েছেন।

গতকাল রবিবার মেহেরপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাঃ নাসির উদ্দিনের আদালতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। জামিন পাওয়া চারজন হলেন আইনজীবী অ্যাড. মিজানুর রহমান, কসারীপাড়ার মৃত আছাব আলীর ছেলে মোঃ মহব্বত, বন্দর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে মোঃ ঝন্টু এবং পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়ার মৃত তমাল খাঁর ছেলে মোঃ মিঠন।

মামলায় আসামি পক্ষের হয়ে আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন সেলিম রেজা কল্লোল।

জানা গেছে, দুই নম্বর আসামি মোঃ মহব্বত বাদী হয়ে মামলার এজাহারকারী মোতাছিম বিল্লাহ নতুন নামে ২০০৭ সালে জি.আর-১০৪/২০০৭ (মেহেরপুর থানার মামলা নম্বর: ১০, তারিখ: ১০/৬/২০০৭ ইং) মামলা দায়ের করেছিলেন। যা খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২৭, ২০০৭ নং মামলা হিসেবে বিচারাধীন আছে।

উক্ত মামলায় মোতাছিম বিল্লাহ মতু জেল হাজতে আটক ছিলেন এবং বর্তমানে জামিনে আছেন। মামলাটি চলমান আছে এবং আগামী ১৪-১০-২৫ ইং তারিখে চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে মোতাছিম বিল্লাহ মতু উক্ত মামলার সাক্ষী ও বাদীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এবং হয়রানির উদ্দেশ্যে বর্তমান এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ ছিল, গত ২৫ বছর ধরে মেয়রসহ বিভিন্ন পদে জন প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে রাজনৈতিকভাবে নানা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে দায়িত্ব পালন করেছি। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে এক শ্রেণির লোক আমাকে নানা উপায়ে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

গত ২ জুন সকাল ১১টার দিকে জেলা জজ আদালত থেকে ফেরার পথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে স্টেডিয়াম পাড়ার মোঃ শাহাবুদ্দীনের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩৮), কসারীপাড়ার মৃত আছাব আলীর ছেলে মোঃ মহব্বত, বন্দর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে মোঃ ঝন্টু এবং পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়ার মৃত তমাল খাঁর ছেলে মোঃ মিঠন পথরোধ করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

চাঁদা না দিলে ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদদাতা’ ও ‘জামায়াত নেতা তারিক হত্যা মামলায় আসামি বানিয়ে মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হবে’ বলে হুমকি দেওয়া হয়। পরে গত ৬ জুলাই সকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে মেয়র মোতাছিম বিল্লাহ মতুর বিকৃত ছবি ব্যবহার করে অপমানজনক পোস্টার সাঁটানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজে কয়েকজনকে পোস্টার সাঁটাতে দেখা যায় এবং তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, ১নং আসামি মিজানুর রহমান মিজানের নির্দেশে তারা কাজ করেছে।




গাংনী হাসপাতালের চিকিৎসক ফারুকের বিরুদ্ধে অন্তহীন অভিযোগ

দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে অন্তহীন অভিযোগ তুলেছেন রোগী ও তার স্বজনরা। তবে অদৃশ্য কারণে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্টরা।

ইতোপূর্বে মেহেরপুর প্রতিদিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ডাঃ ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে টেস্ট বাণিজ্য, রোগী ও তার স্বজনদের সাথে দুর্ব্যবহার সহ নানান বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু ৩ সদস্য বিশিষ্ট সেই তদন্ত কমিটিতে থাকা ব্যক্তিরা অভিযোগকারী না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন।

তবে ডাঃ ফারুক হোসেন ভবিষ্যতে আর কখনো এমন কাজ করবেন না সেটিও উল্লেখ ছিল ওই তদন্ত প্রতিবেদনে। কিন্তু সেই তদন্তের কয়েক মাস না ঘুরতে আবারো তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাঃ ফারুক হোসেন এর বিরুদ্ধে তার পছন্দের মোল্লা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করে না নেওয়াই রোগীর সাথে দুর্ব্যবহার, প্রেসক্রিপশন ছিড়ে ফেলা, ভুল চিকিৎসা দেওয়া, চেম্বারের মধ্যে ধূমপান করা সহ নানান বিষয়ে অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগীরা।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে আদিল নামের এক শিশু রোগীর অভিভাবকের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন আদিলের মা ইসমোতারা। ইসমোতারা তার অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে অভিযোগকারী তাঁর ছেলে আদিলকে নিয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোর বিভাগে যান। সেখানে তিনি নির্ধারিত ফি দিয়ে টিকিট কেটে ডা. ফারুক হোসেনের চেম্বারে প্রবেশ করেন। চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেন এবং জানান, নির্দিষ্ট একটি স্থান মোল্লা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু অভিযোগকারী তাঁর পরিচিত রবি ক্লিনিকে পরীক্ষাগুলো করান এবং রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ফেরত আসেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, রিপোর্ট হাতে নিয়ে ডা. ফারুক হোসেন বলেন, “আমি যেখানে যেতে বলেছি সেখানে না গিয়ে দালালদের পাল্লায় পড়ে রবি ক্লিনিকে পরীক্ষা করালে কেন?” এরপর চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর আউটডোর টিকিট ছিঁড়ে ফেলেন।
তিনি অভিযোগে আরও বলেন, “আমি মানসিকভাবে ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। একজন সরকারি চিকিৎসকের কাছ থেকে এমন আচরণ । ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্যই আমি এই অভিযোগ করেছি।”

গতকাল রবিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে নওপাড়া গ্রামের ইসমোতারা উপরোক্ত লিখিত অভিযোগ করেন।

এছাড়াও অসংখ্য ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ডাঃ ফারুক হোসেন মোল্লা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অবসরে চেম্বার করেন। গাঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটির সময় তিনি সকল রোগীকে মোল্লা ডায়াগনস্টিকে টেস্ট করতে যেতে বলেন। মোল্লা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট না করলেই তিনি রোগীদের সাথে দুরব্যবহার ও অমানবিক আচরণ করেন। অনেকেই বলেন মোল্লা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তিনি একটি মোটা অংকের টেস্ট বাণিজ্য করেন। সেজন্যই তিনি এমন আচরণ করেন রোগী ও তার স্বজনদের সাথে।

অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার ফারুক হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। আমার বিরুদ্ধে কেউ কেউ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল আজিজ বলেন “লিখিত অভিযোগ পেয়ে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি’র অভিযানে মাদক ও চোরাচালান পণ্যসহ আটক ২

চুয়াডাঙ্গার ৬ বিজিবি বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ৭৪ লক্ষ টাকার মাদক ও চোরাচালানপণ্যসহ দু’জনকে আটক করেছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ০৪ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত চলমান অভিযানে তারা সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানপণ্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। এ অভিযানে মহিলাসহ দুজনকে আটক করেছে।

আটককৃতদের কাছ থেকে ৩টি স্বর্ণের বার (ওজন: ৩৫০.১২ গ্রাম), ভারতীয় মদ ১৮২ বোতল, হেরোইন (৩৯ গ্রাম), গাঁজা (১.০৪ কেজি), ২২৮ পিস টেপেনটাডল ট্যাবলেট, ২ বোতল বিয়ার, ১৩৫ বোতল ফেন্সিডিল, ২০০ পিস ইয়াবা, ২০৮ প্যাকেট পাতার বিড়ি, ১২ পিস ভারতীয় শাড়ি, ১৩৪১ পিস কসমেটিক্স, ১টি ভারতীয় মোবাইল ফোন, বিভিন্ন প্রকার ক্রীম ৩৪৬ পিস, পেঁয়াজের বীজ (১৪ কেজি), ভারতীয় পেঁয়াজ (৪৯৮ কেজি) উদ্ধার করে এবং দুজন চোরাচালানীকে দর্শনা ও দামুড়হুদা থানায় হস্তান্তর করেছে।




আলমডাঙ্গায় মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের মহেশপুর-গৌরীহৃদ সড়কে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আটক যুবকের নাম মো. মাসুদ অরুন(২২)। তিনি মহেশপুর গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মো. হাফিজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল নিয়মিত টহল ও মাদকবিরোধী অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলাবাগানের সামনে পাকা রাস্তার ওপর অভিযান চালিয়ে মাসুদ অরুনকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি মাসুদুর রহমান জানান, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা (নং–০৫, তারিখ–০৪/১০/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয়দের মতে, ওই এলাকায় কিছুদিন ধরে মাদক লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। তারা পুলিশের এ ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন।




আলমডাঙ্গায় মাদকসহ দম্পতি আটক

আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে এ অভিযান পরিচালনা করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৭টার দিকে আলমডাঙ্গা স্টেশনপাড়ার রেললাইনের উত্তর পাশে ভেটুলগাছতলা সংলগ্ন ইটের রাস্তা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় সন্দেহভাজনভাবে চলাফেরা করা এক দম্পতিকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ৬০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন স্টেশনপাড়া এলাকার মোছা. বৃষ্টি খাতুন (৩২) ও তার স্বামী মো. পিকু মন্ডল (৩৪)। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের ধারণা।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান পিপিএম বলেন, ‘নিয়মিত টহল ও মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।’

আলমডাঙ্গা থানায় এ ঘটনায় মামলা (নং-০৬, তারিখ: ০৪/১০/২০২৫) রুজু হয়েছে। আটক দম্পতিকে গতকাল রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই এলাকায় সম্প্রতি মাদক কেনাবেচা বেড়ে গেছে। পুলিশের এ অভিযানকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন।




কোটচাঁদপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত

শিক্ষকতা পেশাঃ মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে কোটচাঁদপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল রবিবার র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় কোটচাঁদপুরেও বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে সকালে উপজেলা চত্বর থেকে র‍্যালি বের করা হয়। এরপর র‍্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে উপজেলায় এসে শেষ হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষক দিবসের উপর আলোচনা সভা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, খন্দকার মোশারফ হোসেন কলেজের প্রভাষক রফিকুল আলম, কোটাচঁদপুর পৌর মহিলা কলেজে ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুজ্জামান তুহিন,প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা  অফিসার মিঠুন কুমার দাস, বলাবারিয়া মাদ্রাসা সুপার জহুরুল ইসলাম, বড়বাহনদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক বাবুল জোদ্দার, খালিশপুর মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ।

উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমী সুপারভাইজার ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের হাতেই গড়ে ওঠে জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তাদের মর্যাদা রক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর যুগে শিক্ষকদের দায়িত্ব আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মানবিকতায় গড়ে তোলাই এখন মূল লক্ষ্য। তাই শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, নৈতিকতা ও মানবিকতায় গড়ে তুলতে প্রতিটি শিক্ষককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শিক্ষকরা।




মেহেরপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত 

বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ তরিকুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন মেহেরপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও একাডেমিক সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম।

এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল “শিক্ষকতা পেশা: মিলিত প্রচেষ্টায় দীপ্ত।” প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রদীপ চন্দ্র শীল, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল আমিন, আমঝুপি আলিম মাদ্রাসার সুপার মাহবুবুল আলম, আহমদ আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ শাহী উদ্দিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, কামদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসরাইল হোসেন, সহকারী শিক্ষক দিলরুবা পারভিন, এবং মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিউদ্দিন প্রমুখ।

আলোচনা শেষে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়।

উপহারপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নজরুল কবীর, মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চিফ ইনস্ট্রাক্টর প্রকৌশলী শফিউদ্দিন, মুজিবনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশিক্ষক টিপু সুলতান, আমঝুপি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফয়জুল কবীর, আমঝুপি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহবুব-উল আলম, সহকারী শিক্ষক দিলরুবা পারভীন, মানিকনগর ডি.এস. আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক শামীমা আক্তার, ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান, এবং ইছাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিমিনি খাতুন।

এর আগে সকালে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে র‍্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়।




মুজিবনগরে আমিরুল ইসলামের গণসংযোগ ও পথসভা

মেহেরপুর ১ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নে বিএনপি চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নসহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন।

রবিবার বিকালে বৃষ্টির মধ্যেও কয়েক শত মোটরসাইকেল ও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে গণসংযোগে অংশ নেন তিনি। গণসংযোগের উদ্দেশ্যে বাগোয়ান ইউনিয়নের ভবেরপাড়া ও সোনাপুর গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা জানান।

তিনি বাগোয়ান ইউনিয়নের ভবেরপাড়া, সোনাপুর ও মাঝপাড়া গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ, পথসভা এবং ৩১ দফা দাবি সংবলিত লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ধানের শীষে ভোট দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে, যাতে দেশ ও জাতির উন্নয়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী, মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রায়হান কবীর, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান টুটুল,
দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফাহিম আহনাফ লিংকনসহ
বাগোয়ান ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম বিএনপি নেতাকর্মী, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।




জীবননগরে পুলিশের অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ গ্রেফতার ১০

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৯ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার ও আজ রবিবার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিরা হলেন— উপজেলার বাঁকা গ্রামের মৃত আনোয়ার সর্দারের মেয়ে জরিনা খাতুন (৫৪) ও নুরুন নাহার খাতুন (৪১), আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাকা গ্রামের সিদ্দিক মণ্ডলের ছেলে ছাব্বির হোসেন (২১), একই গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে সবুজ ইসলাম (২৮), মৃত ফয়উদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২২), বাঁকা গ্রামের মৃত আনোয়ার আলী সর্দারের ছেলে জামাল হোসেন (৫৫), জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২), বাবুল সর্দার (৫২) ও ফুলু খাতুন (৪৩)।

অন্যদিকে, গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত যোগেন্দ্র নাথের ছেলে রাজু মণ্ডল (৬০) কে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে ও মাদক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।




জীবননগরে হোন্ডা মোটরসাইকেল শোরুমের শুভ উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে হোন্ডা মোটরসাইকেল নতুন শোরুম ‘জাকির হোন্ডা’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার ( ৫ অক্টোবর) দুপুরে জীবননগর কালিগঞ্জ রোড সংলগ্ন জীবননগর থানা মডেল পাইলট হাইস্কুলের সামনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাকির হোন্ডার স্বত্বধিকারী জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) শাহ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক তাজুল ইসলাম, জীবননগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর হাসান, সহ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শোরুমের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসাইন অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,স্থানীয় গ্রাহকদের উন্নত মানের মোটরসাইকেলের সেবা দিতে ‘জাকির হোন্ডা’ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। এছাড়াও এই শোরুমে হোন্ডা মোটরসাইকেলের সকল প্রকার খুচরা যন্ত্রাংশ সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হবে। আমরা গুণগত মানে বিশ্বাসী। সুতরাং মোটরসাইকেল প্রেমীদের জন্য হোন্ডার সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

আলোচনা শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ, ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকবৃন্দের উপস্থিতিতে ফিতা ও কেক কেটে শোরুমের শুভ সূচনা করা হয়।