মেহেরপুর সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেছেন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট, জনবল সঙ্কট রয়েছেে এবং একই চিত্র সারা বাংলাদেশেরই। বিদ্যমান অবস্থায় সমন্বিত চেষ্টায় যাতে স্থানীয়রা ভালো চিকিৎসসেবা পান এ লক্ষ্যে আমি সকলের সাথে কথা বলেছি। আমি চাই হাসপাতালে পরিবেশটা অন্ততপক্ষে সুন্দর থাক । কারণ হাসপাতালে পরিবেশ সুন্দর না থাকলে একজন রোগীর সাথে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বে।

আজ শুক্রবার (৩০ মে) সকালে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মনির হায়দার বলেন, “সরকারের লক্ষ্য হলো প্রতিটি মানুষ যেন স্থানীয় পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসাসেবা পায়। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয় দিকগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। এখানে যারা কর্তৃপক্ষ আছে তাদের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে হাসপাতালের পরিবেশ টা যেন সুন্দর থাকে এবং সুইপারদেরকে নিয়মিত দিনে একবার যেন আবর্জনা গুলো ফেলে দেয় সেগুলোর ব্যপারে কথা হয়েছে। তাহলে কিছুটা পরিবেশ সুন্দর হবে। এটি পৌরসভার কাজ এই হাসপাতালে মাত্র দুইজন সুইপার নিয়োজিত। এই দুইজনের পক্ষে এত বড় একটি হাসপাতাল পরিষ্কার করা সম্ভব না । আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে এই সংকট দূর করা যায়। আমি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছি এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কিভাবে তারা সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিবেশ সুন্দর রাখার কাজটি চালিয়ে যেতে পারে সেটা যেন করে।

খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ আহমেদ, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম, সিভিল সার্জন এ.কে.এম. আবু সাঈদ এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহরিয়া শায়লা জাহান পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি হাসপাতালের বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, ওয়ার্ডসমূহ, ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র এবং রোগীদের অবস্থা ঘুরে দেখেন। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সেবার অভিজ্ঞতা জানেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নেন।




মহেশপুরে ইউএনও’র গাড়ির সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি গাড়ির সঙ্গে যাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষে গাড়িচালক আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মহেশপুর উপজেলার বারোমাসি ব্রিজের পাশে কালিগঞ্জ -জীবননগর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও খাদিজা আক্তারের ব্যবহৃত সরকারি গাড়িটি সার্ভিসিংয়ের জন্য কোটচাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এসিল্যান্ডের ড্রাইভার শাওন হোসেন। বারোমাসি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা শাপলা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইউএনও’র গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক শাওন হোসেন আহত হন।

খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর জানান, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বাসটিকে আটক করা হয়েছে।’ এই ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি।




ঈদে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মেহেরপুরে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

মেহেরপুরে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে জেলার পশু হাটের ইজারাদার, ব্যাংক কর্মকর্তা ও এজেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা করেছেন পুলিশ সুপার।

আজ বৃহস্পতিবার দুুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মাকসুদা আকতার খানম, পিপিএম।

সভায় আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহার পশুর হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধা-অসুবিধা ও যানজট নিরসন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় আগত অতিথিরা তাদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধার কথা পুলিশ সুপারকে জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, আসন্ন ঈদ ও পশুর হাটের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ হতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হাটে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জাল টাকা সনাক্তকরণে মেশিন এর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিক সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামিনুর রহমান খানসহ সকল থানার ওসি, ডিবি ওসি, টিআইসহ আগত পশু হাটের ইজারাদার ও ব্যাংক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।




তহশিলদার জাকিরের পকেট থেকে ঘুষের ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়েছে।

অভিযানকালে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) জাকির হোসেনের পকেট থেকে ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, যা ঘুষের অর্থ বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে দুদক।

এই অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি দুদক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, বেলা ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করেন দুদক কুষ্টিয়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলবুল হাসান রিয়াদ। তার সঙ্গে ছিলেন উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমানসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।

অভিযানের বিষয়ে সহকারী পরিচালক বুলবুল হাসান বলেন, “আমরা যথাযথ পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনের জন্য অফিসে প্রবেশ করি। কিন্তু সহকারী কমিশনার (ভূমি) অহেতুক প্রশ্ন করে আমাদের কার্যক্রমে বারবার বাধা দেন। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব ছিল আমাদের সহযোগিতা করা, কিন্তু তিনি উল্টো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা জাকির হোসেনের দেহ তল্লাশি করে বিভিন্ন পকেট থেকে থোকায় থোকায় ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এটি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের টাকা বলে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি।”

সাহারবাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুষ বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নামজারি, জমাভাগ বা খাজনা দিতে গেলেই ঘুষ দিতে হয়, নইলে কাজ এগোয় না।

এক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “জমির নামজারি করতে গিয়ে একাধিকবার যেতে হয়েছে। ফাইল এক চুলও নড়ে না, যতক্ষণ না টাকা দেওয়া হয়।”

এক নারী অভিযোগ করে বলেন, “ভূমি অফিসে গেলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ শুধু হয়রানির শিকার হয়। ২০০ টাকার কাজ করতে গিয়ে ২ হাজার টাকা দিতে হয়। আমরা বিচার চাই।”

অভিযানের সময় অভিযুক্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গাংনী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আমি শুধু দুদক কর্মকর্তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে তাদের আইডি দেখতে চেয়েছিলাম। যেহেতু অফিসে কোনো লিখিত অভিযোগ ছিল না, তাই জানতে চেয়েছিলাম—৩৬ হাজার টাকা কেন জব্দ করা হলো।”

তবে দুদক কর্মকর্তারা জানান, “অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং দেহ তল্লাশিতে ঘুষের টাকাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ধরা পড়েছেন।”

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, “দুদক যদি অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণসহ আমাদের কাছে উপস্থাপন করে, তাহলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনে পাঠানো হবে। প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




মুজিবনগরে জমির দখল নিতে রাতে কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মানিকনগর গ্রামে জমির দখল নিতে রাতে ১২ কাঠা জমির প্রায় ২৫০টি কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফরজ আলী ও আরোজ আলী নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) মানিকনগর গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে সাত্তক আলী মুজিবনগর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে সাত্তক আলী জানান, বুধবার (২৮ মে) ফরজ আলী ও আরোজ আলী বল্লভপুর মৌজার এস.এ ৭৪৭ নং দাগভুক্ত ১ একর ৩৪ শতক জমি জোরপূর্বক মাপজোক করে দখল করেন। তিনি ও তার ছোট ভাই সাদেক এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা অস্ত্র দেখিয়ে খুন ও জখমের হুমকি দেন। পরিস্থিতি খারাপ দেখে তারা ঘটনাস্থল থেকে সরে আসেন।

সাত্তক আলীর দাবি, উক্ত জমিতে তার প্রায় ১৫০০টি কলাগাছ ছিল। রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ২৫০টি কলাগাছ কেটে ফেলায় তার প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবাদ জানাতে গেলে অভিযুক্তরা পুনরায় প্রাণনাশের হুমকি দেন।

সংবাদকর্মী সরেজমিনে গিয়ে দেখেন, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের মসজিদের পেছনে প্রায় ১২ কাঠা জমির কলাগাছ গোড়া থেকে কেটে ফেলে রাখা হয়েছে।

অভিযুক্ত ফরজ আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি সরকারি চাকরিজীবী, বর্তমানে বান্দরবানে কর্মরত। কলাগাছ কাটার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উল্টো তারা আমাদের জমি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। জমির খারিজ-খাজনা আমাদের নামে। সম্প্রতি জমি মাপজোক করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রমাণিত হয়েছে জমিটি আমাদের। সিদ্ধান্ত হয়, তারা দুই বছর ধরে জমি ব্যবহার করায় ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে এবং তা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখে দিতে হবে। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টো নিজেরা গাছ কেটে আমাদের নামে দোষ চাপাচ্ছে। আমি যেহেতু দূরে আছি, সেখানে গিয়ে গাছ কাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “সাত্তক আলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল গালিব (সজিব)–এর অপসারণ ও বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কলেজের প্রবেশদ্বারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য গালিবকে গভর্নিং বডির সভাপতি করা অনৈতিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট। তারা দাবি করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা উচিত।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “একজন রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আসা গ্রহণযোগ্য নয়। এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক পুনর্বাসন।”

এই কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “অবিলম্বে গালিবকে অপসারণ না করা হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

এ বিষয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল গালিবের বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।




ঝিনাইদহের মধুহাটী ইউপিতে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

ঝিনাইদহ সদরের ২নং মধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে এ বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বিশ্বাস ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকতা মো. ছাব্দার আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ, মিলন মিয়া, নাজমা খাতুন, ছাবিনা ইয়াসমিন, আশিক ইকবাল, জিয়াউর রহমান, আসাদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আলাউদ্দীনসহ এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাব্দার আলী বাজেট উপস্থাপনকালে জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেট মিলে ইউনিয়ন পরিষদের মোট আয়-ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৩৮,৯৫,৮০৬/= (এক কোটি আটত্রিশ লক্ষ পঁচানব্বই হাজার আটশ ছয় টাকা মাত্র)। বাজেট আইন-২০০৯ অনুযায়ী ইউনিয়নের ট্যাক্স, টোল, ট্রেড লাইসেন্স, পারমিট এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত, প্রমোদমূলক কার্যক্রম থেকে আয় বিবেচনা করা হয়েছে। তবে কোন ব্যক্তির অতিরিক্ত কর ধার্য্য করা হয়নি।

সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বিশ্বাস বলেন, “আমি এবং আমার ইউপি সদস্যবৃন্দ আপনাদের সেবক হিসেবে আগামী ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং পাশে থাকবেন।” বক্তব্য শেষে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




মেহেরপুরে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট ও বসুন্ধরা সিমেন্টের হালখাতা

মেহেরপুরে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট ও বসুন্ধরা সিমেন্টের হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে মেহেরপুর শহরের মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজ ও জি.এন এন্টারপ্রাইজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জি.এন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ গোলাম শহীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট ও বসুন্ধরা সিমেন্টের সিএসও শাহ জামাল শিকদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবো। আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটে, সবই আল্লাহর পরিকল্পিত তাই আমাদের উচিত সৎভাবে ব্যবসা করা এবং ন্যায়ের পথে চলা।

তিনি আরও বলেন, বাজারে বর্তমানে যেসব সিমেন্ট রয়েছে, তার মধ্যে বসুন্ধরা সিমেন্ট গুণগত মানে শ্রেষ্ঠ। দেশের যেকোনো জায়গার যেকোনো ব্র্যান্ডের সিমেন্টের সঙ্গে তুলনা করলেও বসুন্ধরা সিমেন্টের মান সেরা প্রমাণিত হবে। আমরা গুণগত মানে আপস করি না এবং সবসময় ক্রেতাদের কাছে সেরা পণ্য পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ শাহাদাত হোসেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জোনাল ম্যানেজার জাফরুল ইসলাম, এরিয়া ম্যানেজার একে আজাদ ও মাহফুজুর রহমান, টেরিটরি সেলস ম্যানেজার মাসুদ সালাউদ্দিন এবং টি.এস.ই মোঃ রায়হানুল হক।

পরিবেশক মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজের ও জি.এন এন্টারপ্রাইজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই হালখাতা অনুষ্ঠানে স্থানীয় রিটেইলার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ঠিকাদারগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ১০০ জন রিটেইলার ও ঠিকাদারকে পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং সকলের জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়।




ঝিনাইদহে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, ভোগান্তিতে কর্মজীবী ও শ্রমিকরা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঝিনাইদহে সকাল থেকেই থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎ এমন আবহাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

বৃষ্টির কারণে শহরের ব্যস্ত সড়কগুলো হয়ে পড়েছে ফাঁকা। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা বের হয়েছেন, তারা ছাতা ও রেইনকোট ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন। তবে যানবাহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশাচালক ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। সকালে শহরের পায়রা চত্বর এলাকায় দেখা যায়, অনেক রিকশাচালক অলস বসে সময় কাটাচ্ছেন।

রিকশাচালক মিজানুর রহমান বলেন, “সকালে বের হইছি রিকশা নিয়ে, কিন্তু যাত্রী নাই। বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা বাতাসে কেউ রাস্তায় বের হচ্ছে না। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ঠিকমতো ভাড়া পাইনি। বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে থাকলে তো পেট চলবে না, তাই নামছি রাস্তায়।”

কাপড় বিক্রেতা মনোয়ার হোসেন বলেন, “এই রকম আবহাওয়ায় ক্রেতা আসে না বললেই চলে। বৃষ্টির কারণে দোকান খুলেও বসে থাকতে পারছি না। সকাল থেকে বিক্রি করতে পারিনি। কষ্টের মধ্যে আছি।”

চায়ের দোকানদার মানিক মিয়া বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। দোকানে কেনা-বেচা খুবই কম। তবু দোকান খুলে বসে থাকি, যদি কিছু বেচা যায়।”

এদিকে শহরের নিচু এলাকাগুলোতে কোথাও কোথাও পানি জমে গেছে। কাদা ও ভেজা রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।




ঝিনাইদহের গান্না ইউপিতে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

ঝিনাইদহ সদও উপজেলার ৬নং গান্না ইউনিয়ন পরিষদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে এ বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকতা নাসির উদ্দীন, প্যানেল চেয়ারম্যান ছাব্দার আলী, এছাড়া ইউপি নারী সদস্য ছালমা খাতুন, ফাতেমা খাতুন, নার্গিস খাতুন, ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দীন,আব্দুল মমিন, সোহাগ রহমানসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বাজেট উপস্থাপনকালে জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য নতুন কোন করারোপ ছাড়াই রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেট মিলে ইউনিয়ন পরিষদের মোট আয়-ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১,০৮,৯৬,৩২৫/=টাকা (এক কোটি আট লক্ষ ছিয়ান্নই হাজার তিনশ পঁচিশ টাকা মাত্র)। বাজেট আইন-২০০৯ অনুযায়ী ইউনিয়নের ট্যাক্স, টোল, ট্রেড লাইসেন্স, পারমিট এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত, প্রমোদমূলক কার্যক্রম থেকে আয় বিবেচনা করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম বলেন, “আমি এবং আমার ইউপি সদস্যবৃন্দ আপনাদের সেবক হিসেবে আগামী ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং পাশে থাকবেন।” বক্তব্য শেষে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাজেট অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।