বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে লুকিয়ে আফগানিস্তান থেকে ভারতে কিশোর

আফগানিস্তানের কাবুল থেকে উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারের ভেতরে ঢুকে ভারতে পৌঁছায় এক কিশোর। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় কেএএম এয়ারলাইনসের আরকিউ-৪৪০১ ফ্লাইট দিল্লিতে নামার পর ওই কিশোর সেখান থেকে বের হয়ে আসে। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩ বছরের ওই ‍কিশোর কৌতূহলের বশে কাবুলে উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারে প্রবেশ করে। এরপর উড়োজাহাজটি দুই ঘণ্টা আকাশে উড়ে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। তখন ছেলেটিকে পাওয়া যায়। উড়োজাহাজের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছিল সে।

এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের বললে তারা ছেলেটিকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছেলেটি বলে, সে আফগানিস্তানের কুন্দুজ শহরের বাসিন্দা। পরবর্তীতে ফিরতি ফ্লাইটে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।

ছেলেটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলে, সে কাবুল বিমানবন্দরে লুকিয়ে প্রবেশ করে এবং কোনোভাবে উড়োজাহাজের ‘ল্যান্ডিং গিয়ারের’ জায়গায় ঢুকে পড়ে। নিজের ‘কৌতূহল থেকেই’ সে এই কাজ করে বসে।

পরে ‘ল্যান্ডিং গিয়ারের’ জায়গাটি নিরাপত্তাকর্মীরা তল্লাশি করেন। সেখানে তারা একটি লাল রঙের স্পিকার পান, যেটা ছেলেটি সঙ্গে এনেছে। পরবর্তীতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি করে উড়োজাহাজটিকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়।

সূত্র: যুগান্তর




দর্শনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ২৬৩ পিস ইয়াবাসহ আটক ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ২৬৩ পিস ইয়াবা ও এক পুরিয়া গাঁজাসহ মাহাবুব আলম পলাশ নামে একজনকে আটক করেছে।

সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে দর্শনা পৌরসভার মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক পলাশ একই এলাকার মৃত বদরুল আলমের ছেলে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সেনাবাহিনী।

বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী জানায়, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ক্যাপ্টেন মঞ্জুরুল রহমান মাসফি এর নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা পৌরসভার মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

এসময় ২৬৩ পিস ইয়াবা, এক পুরিয়া গাঁজা, গাঁজা সেবনের কলকে, চারটি গাঁজা কাটার সরঞ্জাম ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসহ মাহাবুব আলম পলাশ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামি পলাশকে আইনি কার্যক্রম শেষে মাদকদ্রব্যসহ ভোর ৩টার দিকে দর্শনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।




গাংনীতে মুদি দোকানের সামনে থেকে দুটি বোমা উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের চরগোয়াল গ্রামে দুটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে গ্রামের ক্লাববাজার সংলগ্ন রহিদুল সুপার মার্কেটের কামরুজ্জামান লিপুর মুদি দোকানের সামনে থেকে লাল রঙের বোমা দুটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই কামরুজ্জামান।

পুলিশ জানায়, সকালে দোকানের সামনে ঝাড়ু দিতে গিয়ে লিপুর স্ত্রী লাল রঙের দুটি বোমা দেখতে পান। পরে তিনি মোবাইল ফোনে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে বোমা দুটি উদ্ধার করে পানি ভর্তি বালতিতে ডুবিয়ে রাখে।

এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক মাস আগে একই গ্রামের একটি দোকানের সামনে দুর্বৃত্তরা বোমা রেখে গিয়েছিল।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং উদ্ধারকৃত বোমা পানিতে রাখা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

আলমডাঙ্গায় জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বজলুর রশিদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আলমডাঙ্গা আসাননগর গ্রামের মৃত আওলাদ হোসেনের পুত্র বজলুর রশিদ থানায় অভিযোগ করেছেন যে, তার পিতার বৈধ সম্পত্তির উপর শতাধিক উর্দ্ধকাল যাবত তারা ৪ ভাই ও তিন বোন স্বত্ত্ব ভোগ দখল করে আসছে।

একক দখলভুক্ত জমির উপর বহু মূল্যবান মেহগনি গাছ, কাঠাল গাছ রোপন করিয়া তথায় বাগান তৈরী করিয়া রক্ষণাবেক্ষণে ও ফলাদি গ্রহনে-ভক্ষণে অভিযুক্তগণও সর্বসাধারনের জ্ঞাতসারে আমরা ভোগ দখলে করে আসছি। গত ২০ই জুন সকাল ১০.০০ টার সময় তপশীল বর্ণিত বাগানের জমি জবর দখলের উদ্যেশ্যে বেআইনী শক্তির মহড়া দেখিয়ে রামদা, কোদাল, কোড়াল, গাসুয়া ও লাঠিশোটা ইত্যাদি অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনধিকার প্রবেশ করিলে আমি আমার নিজস্ব লোকজনসহ প্রতিহত করার চেষ্টা করি। অবৈধ দখলদাররা হলেন, একই গ্রামের অহিদুল মন্ডলের ছেলে নাজিবুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, এনামুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, চাঁদ আলী ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে জায়েদুল ইসলাম, সৌরত ইসলাম, এবং নাজিবুল ইসলামের ছেলে নান্নু।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে  ৪৯৮/২০২৫ নং মামলা রুজু করেছে। আদালত তপশীল বর্ণিত জমিতে শান্তি-শৃংখলা রক্ষার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমডাঙ্গার উপর দখলী প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করেন।

অতঃপর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সাময়িকভাবে অভিযুক্তগণকে তপশীল বর্ণিত জমিতে অনধিকার প্রবেশে বিরত থাকা নোটিশে অবগত করালেও অভিযুক্তগণ খানার নির্দেশ অমান্য করিয়া একর পর এক বসত বাড়ীর চারিপাশসহ তপশীল জমি জোর পূর্বক দখল করার জন্য অকথ্য তথা বিশ্রি ভাষায় গালি গালাজ, আমার জান মালের ক্ষতির সর্ব রকম প্রচেষ্টা চালায়। অভিযুক্তদের দ্বারা সার্বক্ষনিক অতংকিত ও ভীত সন্ত্রস্থ অবস্থায় থাকে বলিয়া তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানাকে বারংবার বজলুর রশিদ ও তার বড় ভাই মোঃ লিয়াকত আলী বলা সত্ত্বেও, অজ্ঞাত শক্তি ইশারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই। কিংবা আদালতের আদেশে পুলিশী হস্তক্ষেপ অবমাননার কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিঃ ম্যাজিঃ আদালতে কিংবা জুডিশিয়াল আদালতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই। তপশীল জমির সহকারী কমিশনার ভূমির দখলী প্রতিবেদন তাদের অনুকুলে আছে বলে জানান। তিনি ও তার পরিবারবর্গ পুলিশী সার্বিক সহযোগীতা চেয়েছেন।




মেহেরপুর সরকারি কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত শনিবার অনুষ্ঠিত এ ক্যাম্পে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুস সালাম, ডা. মিজানুর রহমান এবং ডেন্টিস্ট ডা. আবুল বাশার রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

এছাড়া বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষার সুবিধা রাখা হয়।

ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম, জেলা সেক্রেটারি সাইদুর ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম নাহিদ, সেক্রেটারি সুলাইমান আহমেদ বাপ্পীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।




দর্শনায় চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার যুবক ফিরলো পরিবারের কাছে

দর্শনায় মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার সেই যুবক ইয়ামিনকে মানবিক উদ্যোগে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিল দর্শনা থানা পুলিশ।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর ইয়ামিনকে তার মা-বাবার হাতে তুলে দেন।

ইয়ামিনের বাবা জিলু মিয়া ও মা সাহেদা খাতুন জানান, পাঁচ বছর আগে বিদ্যুৎ মিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইয়ামিনের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। এরপর থেকে সে প্রায়ই বাড়ি থেকে চলে যেত এবং ফিরে আসতে পারত না। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চান্দুরা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে ৪-৫ বার নিখোঁজ হলেও পরিবার তাকে খুঁজে ফিরিয়ে এনেছে। এবারও ২২ দিন আগে নিখোঁজ হওয়ার পর গত রবিবার দর্শনা রেলগেট এলাকায় একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে নাড়াচাড়া করার সময় স্থানীয়রা তাকে চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ ইয়ামিনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে সে ভিন্ন ভিন্ন নাম ঠিকানা বলায় পুলিশ বুঝতে পারে, সে মানসিক ভারসাম্যহীন। পরে তার হাতের বাঁধন খুলে থানায় রাখে এবং খাবার দেয়।

মানবিক উদ্যোগে ওসি মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর বিভিন্ন কৌশলে ইয়ামিনের কাছ থেকে অস্পষ্ট নাম–ঠিকানা জেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এভাবে ইয়ামিনের বাবা-মায়ের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে তারা চট্টগ্রাম থেকে মামুন পরিবহনে করে সোমবার দুপুরে দর্শনায় পৌঁছান। মামুন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আব্দুল আলিম তাদের থানায় নিয়ে আসেন।

ওসি শহীদ তিতুমীর ইয়ামিন ও তার বাবা-মাকে দুপুরের খাবার খাওয়ান এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ইয়ামিনকে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেন। পরে মামুন পরিবহনের মালিকের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিনা ভাড়ায় চট্টগ্রামে পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করেন।

উল্লেখ্য, পারকৃষ্ণপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মাসুদ রানা তার টিভিএস মোটরসাইকেল (নং: চুয়াডাঙ্গা হ-১৫-৩৭০৩) চুরির চেষ্টা করার অভিযোগে ইয়ামিনকে থানায় সোপর্দ করেন। তখন ইয়ামিন নিজের পরিচয় বারবার বদলাচ্ছিল কখনো বলছিল ইয়ামিন মিয়া, পিতার নাম জিলু বা ঝিরু মিয়া, ঠিকানা কখনো চান্দুরা, কখনো ঢাকা গাজীপুর, আবার কখনো শেরপুর।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে হেফাজতের প্রস্তাব দিয়েও সাড়া না পেয়ে ওসি শহীদ তিতুমীর নিজেই খোঁজ নিয়ে ইয়ামিনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশের এ মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য স্থানীয় জনগণ ও সাংবাদিকরা ওসি মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীরের প্রশংসা করেছেন।




ডেঙ্গুতে আরো ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৭৮

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১ জনে দাঁড়াল। এ ছাড়া গত এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে ৬৭৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মোট ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (১৪৯ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৬ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ১১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১৮১ জন মারা গেছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু (৮৫ জন) হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগে ২৮ জন ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন এবং ঢাকা বিভাগে ২ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছে।




গাংনীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৪

মেহেরপুরের গাংনীতে পুলিশের ২৪ ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত গাংনী থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাংনী উপজেলার হিজলবাড়ীয়ার আহম্মদ আলীর ছেলে মোঃ সোহাগ হোসেন (৩১), গাড়াডোব পোড়াপাড়ার হাজিম উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল জাহান শিশির (৩২), ২ং ওয়ার্ড শিশির পাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মোঃ আল-ইমরান (২০), খাসমহলের মোঃ জিল্লুর রহমানের মোঃ রাসেল হোসেন (২৩)।

গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




গাংনীতে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ পাচারকারী আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল করে ফেনসিডিল পাচারকালে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ লিপন হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলার গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান ব্রিক ফিল্ড বাজারের তিন রাস্তার মোড় থেকে মাদক পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ।

আটক ৩৭ বছর বয়সী লিপন হোসেন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তেকালা পশ্চিমপাড়ার ফরজ আলীর ছেলে।

গাংনী থানা পুলিশের এসআই শিমুল বিশ্বাস এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ছাতিয়ান ব্রিক ফিল্ড বাজার দিয়ে এক মাদক কারবারি ফেনসিডিল পাচার করছে। আমরা এমন সংবাদ পেয়ে সিভিল ড্রেসে আগে থেকেই অবস্থান করি। পরে ওই সড়ক দিয়ে একটি টিভিএস মেট্রো মোটরসাইকেল (গাড়ি নম্বর কুষ্টিয়া হ-১৩২৭৬০) যাওয়ার সময় ব্যারিকেড দিয়ে আটকাই এবং তল্লাশি চালিয়ে মোটরসাইকেলের সিট কভারের নিচে থরে থরে সাজানো ৪৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করি।

পাচারের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে আসামিকে গাংনী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আটকের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।




মুজিবনগরে বিএডিসি সার ডিলারের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চাষীদের কাছে সার বিক্রি না করে গুদাম থেকে অবৈধভাবে সার বাইরে লুকিয়ে রাখার অপরাধে মুজিবনগরের বিএডিসি সার ডিলার ওয়াহেদ ট্রেডার্সের মালিক উমাইয়া কুলসুমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের বিএডিসি সার ডিলার ওয়াহেদ ট্রেডার্সে অভিযান পরিচালনা করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল।

এ সময় বেশি দামে বিক্রয়ের জন্য বাইরে থেকে আনা মজুতকৃত ৫ বস্তা সার জব্দ করে সরকারি মূল্যে চাষীদের কাছে বিক্রয় করে দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল জানান, বিএডিসির ডিলার ওয়াহেদ ট্রেডার্সের মালিক চাষীদের কাছে সার বিক্রি না করে বাইরে অবৈধভাবে সরিয়ে রেখেছে এমন সংবাদ দারিয়াপুর গ্রামের চাষীদের ফোনকলের মাধ্যমে জানতে পারি।

চাষীদের এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওয়াহেদ ট্রেডার্সে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টে ডিলারের মালিক উমাইয়া কুলসুম সত্যতা স্বীকার করলে ভোক্তা অধিকার আইনে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মজুতকৃত ৫ বস্তা সার জব্দ করে সরকারি মূল্যে চাষীদের কাছে বিক্রয় করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে মুজিবনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।