আলমডাঙ্গায় জমি বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারীসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে কেশবপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জিয়াউর রহমান (৪০) দা’র আঘাতে রক্তাক্ত জখম হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের মৃত দেলবার মণ্ডলের ছেলে জাদু-কদু-মধুদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে সাত কাটা জমি ক্রয় করেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু দীর্ঘদিন জমি দখল বুঝে না পাওয়ায় তিনি কোর্টে মামলা করেন। এর ধারাবাহিকতায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

এদিকে বিকেল ৩টার দিকে ফের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় ঘরবাড়ি ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন মৃত দেলবার হোসেনের ছেলে কদু আলী (৪৫) এবং সোনাউল্লাহর স্ত্রী ফিছবি (৫৫)। স্থানীয়রা তাদেরকেও উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বর্তমানে কেশবপুর গ্রামে পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। উভয় পক্ষই মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে অবগত আছি এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আলমডাঙ্গা মাধবপুরে বিদেশ ফেরত মোহরের আত্মহত্যা

আলমডাঙ্গা ডাউকি ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে কম্বোডিয়া ফেরত মোহর আলির (৩২) মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার মাধবপুর গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে মোহর আলি এক বছর আগে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ভাগ্যের চাকা সচল করতে কম্বোডিয়ায় পাড়ি দেয়।

৮ মাস থাকার পরে তার পেটে আলসার ঘা ধরা পড়ে।পেটের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে মেডিকেল আনফিট দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।গত চার মাস আগে বাড়ি এসে অর্থ শুন্য হয়ে হতাশ গ্রস্ত হয়ে পড়ে।

গতকাল শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া মাঝেরপাড়া শশুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে মাথা ঘুরে পড়ে যায়এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

গ্রামবাসীর অনেকের ধারণা মোহর আলি বিষপানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।বিদেশ থেকে ফিরে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হওয়ায় সংসারে অশান্তি, পেটে আলসার ঘা জন্য শারিরীক কষ্টের কারনে মোহর আলি আত্মহত্যার করেছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।

এব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান বলেন কিছুটা সন্দেহের কারনে লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা হসপিটালের পাঠানো হবে।




মুজিবনগরে আমিরুল ইসলামের গণসংযোগ ও পথসভা

মেহেরপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নসহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে গণসংযোগের উদ্দেশ্যে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে পৌঁছালে ভবানীপুর গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। তিনি মোনাখালী ইউনিয়নের ভবানীপুর, রামনগর, গোপালনগর, দারিয়াপুর ইউনিয়নের গৌরীনগর, মহিষনগর, গোপিনাথপুর এবং পুরন্দরপুর গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ, পথসভা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় সাধারণ জনগণের মাঝে তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নসহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রদানে জনগণকে উৎসাহিত করেন তিনি। এ সময় মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জাতীয়তাবাদী দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার অঙ্গীকার করেন।

গণসংযোগকালে পথসভায় বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “১৬ বছর আওয়ামী লীগের জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন একটি দেশ পেয়েছি। আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের সফলতা নিয়ে আসবেন।”
তিনি আরও বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যাকে ধানের শীষের প্রতীক দিয়ে আমাদের মাঝে পাঠাবেন আমরা তার হয়ে একযোগে ধানের শীষের পক্ষে ভোট করে তার বিজয় সুনিশ্চিত করব।”

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী, মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রায়হান কবীর, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান টুটুল, দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফাহিম আহনাফ লিংকনসহ মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীবৃন্দ।

এছাড়াও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় দশমী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে নওজোয়ান সংঘ জয়ী

দামুড়হুদার দশমী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে নওজোয়ান সংঘ বনাম দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে সেমিফাইনালের প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪ টার দিকে দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় নওজোয়ান সংঘ ১ – ০ গোলে দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবকে পরাজিত করে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন নওজোয়ান সংঘের ১০ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সুমন।রেফারি হিসাবে ছিলেন লিটা হোসেন, পারভেজ, ইমাম হোসেন। ধারাভাষ্য ছিলেন শামীম খাঁন।

এসময় মাঠে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন ও ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক একরামুল হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম – সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম- আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আফজালুর রহমান সবুজসহ আব্বাস, জানু, হাফিজুর, জাহাঙ্গীর, মামুন, রাজু, সজিব, খরসেদ, দিপু, টগর, শুভ, ইউনুস, জিল্লু, আশিক প্রমূখ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন টুর্নামেন্ট কমিটির যুগ্ম- আহবায়ক আমিনুল ইসলাম রশিদ।




আলমডাঙ্গা একাডেমির কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ

আলমডাঙ্গা একাডেমির কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮ টার সময় একাডেমিক প্রাঙ্গণে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

২০২৪ সালের সালের এস.এস.সি. পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত, ২০২৫ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় জি.পি.এ ৫.০০ প্রাপ্ত ও বৃত্তি প্রাপ্ত সহ মেডিকেল কলেজ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাডেট কলেজে চান্সপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা-২০২৫ দেওয়া হয়।

উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়রা শারমিলা ও নুসরাত জাহান মীম এর উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ মোঃ মফিজুর রহমান।

আলমডাঙ্গা একাডেমির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও দর্শনা ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ ড: আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আবু তালেব,আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ সহকারী অধ্যাপক ড: মাহাবুব আলম।

এছাড়াও কৃতি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাসিন আবরার, মিসবাউল হক অনন, হামিম রেজা, তাফিয়া নুর অন্তি, নানজিবা রাইসা সিনথিয়া, ইকবাল মাহমুদ সানভী বক্তব্য দেয়। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন: মিসবাউল হক অনন এর পিতা মোঃ এনামুল হক।

উক্ত অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের এস.এস.সি. পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত, ২০২৫ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় জি.পি.এ ৫.০০ প্রাপ্ত ও বৃত্তি প্রাপ্ত সহ মেডিকেল কলেজ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাডেট কলেজে চান্সপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

২০২৪ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় ১ জন ট্যালেন্টপুল, ১০ জন সাধারণ গ্রেড প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, ২০২৫ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় ৮৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৭ জন জিপিএ ৫.০০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, তার মধ্যে ১০ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ০৭ জন, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ০২ জন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ০৮ জন এবং ক্যাডেট কলেজে ০৪ জন শিক্ষার্থীদেরকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে পরিচালনা পরিষদের সকল সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক/অভিভাবিকা মন্ডলী এবং সুধী জন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন দেশ গড়ার লক্ষ্যে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,শিক্ষার উপযোগী পরিবেশ একান্ত প্রয়োজন।শিক্ষার্থীদের অনুশাসনের পাশাপাশি স্নেহময় শীতলতা অবগাহন একান্ত প্রয়োজন। আলমডাঙ্গা একাডেমি দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাফল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।




ভারতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২০

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার রাঙ্গা রেড্ডি জেলায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় ভিকারাবাদ-হায়দরাবাদ মহাসড়কের চেভেলায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করতে গিয়ে দ্রুতগতির একটি পাথরবোঝাই লরি তেলেঙ্গানা রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (আরটিসি) যাত্রীবাহী বাসকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রাকটি উল্টে গেলে এতে থাকা পাথর বাসের ওপর পড়ে।

দুর্ঘটনার পরপর সাইবারাবাদ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ১৬ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জন হয়েছে বলে জানানো হয়।

নিহতদের মধ্যে বাস চালক ও অন্তত ১০ জন নারী রয়েছেন।

চেভেল্লা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের (সিএইচসি) সুপারিনটেনডেন্ট ডা. রাজেন্দ্র প্রসাদ জানান, দুর্ঘটনায় ২০ জন মারা গেছেন এবং তাদের মরদেহ আমাদের মর্গে আনা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সামান্য আহত ৬ যাত্রীকে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহতদের পট্টনম মাহিন্দ্রা রেড্ডি ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস এবং ভাস্কর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি। আহতদের হায়দ্রাবাদের গান্ধী হাসপাতাল এবং ওসমানিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সূত্র: যুগান্তর।




রাজনীতির ভিতর ধর্ম আনতে চায় না, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার

কোনো সংখ্যা গুরু বুঝিনা, কোনো সংখ্যা লঘু বুঝিনা, আপনারা আমার ভাই। আমরা সবাই ভাই ভাই। ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি, রাজনীতির ভিতর ধর্ম আনতে চায় না। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পূজামন্ডপ পরিদর্শন শেষে বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি জীবননগর পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। বিজিএমই ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু আরো বলেন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশের মানুষ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর পৌর বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান কবির, সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন ঠান্ডু, বিএনপি নেতা আব্দুল হামিদসহ দলীয় নেতাকর্মীর। এছাড়াও পূজামন্ডপ কমিটির সদস্য ও সনাতন ধর্মাবলম্বীর মানুষরা উপস্থিত ছিলেন।




দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে জিতে যাবে জনগণ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত চূয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি পদপ্রার্থী জেলা আমীর এডভোকেট রুহুল আমিন জীবননগর শহরে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার সময় তিনি জীবননগর জামায়াত অফিস থেকে জীবননগর শহরের চ্যাংখালী রোড পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে গণসংযোগ করেন। গণসংযোগ কালে তিনি বলেন, দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে জিতে যাবে জনগণ।

জামায়াতে ইসলামী সাধারণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠি চাওয়া পাওয়া কে মাথায় নিয়ে দেশ পরিচালনা কররে। দাড়িপাল্লা সাধারণ মানুসের প্রিয় প্রতীক। তিনি বলেন, যারা আপনাদের বন্ধু হবেনা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করুন। আমরা আপনাদের উত্তম বন্ধু হতে চাই।

জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করলে এ দেশে উন্নতি আর দূর্নীতি একসাথে চলবে না। সবরকম দূর্নীতিকে জাদুঘরে পাঠানো হবে।

টাকা ছাড়াই আপনার সন্তানকে চাকুরির ব্যবস্থা করতে চাই। জামায়াত মানুষের হক তার দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। আমরা শাসক নই বরং জনগণের সেবক হতে চাই। জীবননগর হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করে স্বাস্থ্য সেবার মান আরো উন্নত করা হবে। তিনি আরো বলেন, বৈচিত্রময় কৃষি প্রধান জীবননগর এলাকায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হবে।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট আসাদুজ্জামান, জেলা তালিমুল কুরআন বিভাগের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন, জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক জিয়াউল হক, জেলা মাজলিসুল মুফাসসিরিনি পরষিদের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজলো আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান, নায়েবে আমীর সাখাওয়াত হোসেন, হাফেজ বিল্লাল হোসেন, জীবননগর উপজলোর সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর, মাওলানা সাইদুল হক, আইটি সম্পাদক হারুন অর রশীদ, উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আল আমিন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি কামাল উদ্দীন, জীবননগর পৌর আমীার হাফেজ ফিরোজ হোসেন, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাজেদুর রহমান লিটন, পৌর সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল, জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম, মোজাম হোসেন মিয়া, আতিয়ার রহমান, গোলাম মোস্তফা, পৌর যুব সভাপতি আরিফুল ইসলাম জোয়ারদ্দার, শ্রমিক নেতা সিরাজ উদ্দীন, মোহাম্মদ আলী, যুবনেতা মোমিনল ইসলাম, আব্দুল মোতালেব, মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, আলমগীর হোসেন, মোঃ সুজন মিয়া, সায়মুম শাহরিয়ার প্রমুখ।




দর্শনায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পাঁচ দিনব্যাপী এই শারদীয় উৎসব।

সকালে ৬টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিহিত পূজা। এরপর হয়েছে দর্পণ ও বিসর্জন। বিজয়া দশমীতে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন দেয় ভক্তরা। হিন্দুশাস্ত্র মতে, এদিন দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের অসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এসব প্রবৃত্তি বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

দুর্গার বিদায়ের আগে মন্ডপে মন্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠে পুরুষ-নারীরা। দেবীর চরণের সিঁদুর নিয়ে নিজেদের রাঙিয়ে তুলছিলেন তারা। শাস্ত্রমতে, স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন নারীরা দেবী দুর্গার সিঁথিতে দেওয়া সিঁদুর নিজের সিঁথিতে লাগিয়ে আশীর্বাদ নেন। পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গা মাকে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর একে অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে দেন তারা। সিঁদুর খেলা শেষে শেষবারের মতো দেবীর আরাধনা করেন তারা।

দর্শনা মাথাভাঙ্গা নদীতে ৬ টি প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ করে বিজয়া দশমী। দশর্না হরিজন পূজা মন্ডপ , পুরাতন বাজার পূজা মন্ডপ, কেরুজ পূজা মন্ডম, রামনগর দাসপাড়া ও আদিবাসী পাড়া এবং পারককৃষ্নপুর পূজা মন্ডপ জাঁকজমক পূর্নভাবে মাথাভাঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেয়।

সময় ভক্তরা ঢোলের তালে তালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় দূর্গা উৎসব।




আলমডাঙ্গা বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আলমডাঙ্গা বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শরৎকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় আলমডাঙ্গার স্টেশনরোডে বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশনের অফিসে পুরস্কার বিতরণী পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, আলাউদ্দিন বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম। তিনি বলেন, আপনারা যারা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত তারা সবসময় নিজেদেরকে সঠিক পথে চলার চেষ্টা করেন। আমি আশা করবো আলমডাঙ্গা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আপনাদের উপস্থিতি সকলকে বিকশিত করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, একরামুদৌল্লা ঝিন্টু। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন পলাশ আহমেদ, ইয়ামিন আলী, শফিকুর রহমান জীবন, পলাশ আহমেদ, কবি সিদ্দিকুর রহমান, জয়ন্ত বিশ্বাস, রাজিব, ইসমাইল হোসেন, ইয়ামিন আলী, রফি উদ্দিন, বাবলু, প্রমুখ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। প্রধান অতিথি সকল শিল্পীদের বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত করেন।