গাংনীতে আলম সাধু দুর্ঘটনায় নিহত ১

মেহেরপুরের গাংনীতে আলম সাধুর ধাক্কায় সাইফুল রেজা ওরফে মহাজন (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পোড়াপাড়া গ্রামের হঠাৎপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইফুল রেজা পলিথিন, গ্রীস, গিয়ার অয়েল, মবিল ও হার্ডওয়ার সামগ্রীর পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি মেহেরপুর পুলিশ লাইনপাড়ার টুকু হোসেনের ছেলে।

ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনী ইসরাইল জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মুজিবনগরে ধানের শীষের ভোট চেয়ে আমিরুল ইসলামের গণসংযোগ ও পথসভা

মুজিবনগর বিএনপির চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নসহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম।

বুধবার বিকালে গণসংযোগের উদ্দেশ্যে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নে পৌঁছালে মহাজনপুর ইউনিয়নবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে বরণ করে নেন।
আমিরুল ইসলামকে একনজর দেখার জন্য রাস্তার দুই ধারে নারী-পুরুষ-শিশুসহ অসংখ্য লোকের ভিড় জমে যায়। এ সময় তারা হাততালি দিয়ে আমিরুল ইসলামকে শুভেচ্ছা জানান এবং ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দেন।

এ সময় সাধারণ জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আহ্বান জানান তিনি। পরে তিনি পরানপুর, বাবুপুর ও মহাজনপুর গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ, পথসভা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় সাধারণ জনগণের মাঝে তারেক জিয়ার ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নসহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করা হয়।

গণসংযোগকালে পথসভায় বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৬ বছর আওয়ামী লীগের জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন একটি দেশ পেয়েছি। আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের সফলতা নিয়ে আসবেন।

তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যাকে ধানের শীষের প্রতীক দিয়ে আমাদের মাঝে পাঠাবেন, আমরা তার হয়ে একযোগে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দিয়ে তার বিজয় সুনিশ্চিত করব।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মশিউর রহমান, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল হক কালু, সাধারণ সম্পাদক সোনা গাইন, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী, মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রায়হান কবীর, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান টুটুল, দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুর, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফাহিম আহনাফ লিংকনসহ মহাজনপুর ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম বিএনপির নেতাকর্মী এবং মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।




আলমডাঙ্গায় দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের ফুলবগাদি গ্রামে নিজ জমিতে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর হামলায় জখম হয়েছেন দুই ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (০১ অক্টোবর) সকালে।

আহতরা হলেন ফুলবগাদি গ্রামের মোনর আলীর দুই ছেলে মোতালেব হোসেন (৪০) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে মোতালেব ও সাইফুল নিজ জমিতে বেড়া দেওয়ার কাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী আসাদ ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।

আহত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী নাসিমা খাতুন জানান, “নিজ জমিতে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী আসাদ ওরফে সোলাইমানদের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তারা বলে, জমিতে বেড়া দিলে ফসল ফলাতে সমস্যা হবে। আমি জানাই, ফসল ফলানোর সময় বেড়া সরিয়ে নেওয়া হবে। এরপরও তারা গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “এরই জেরে আজ সকালে আমার চাচাতো দেবর মুজিবর, সিদ্দিক, নূর ইসলাম, আসাদ ওরফে সোলাইমান, সাব্বিরসহ কয়েকজন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার স্বামী ও দেবরকে কুপিয়ে জখম করে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইসরাত জেরিন জেসি বলেন, “দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও অপরজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।”

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”




মেহেরপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার ১৪টি মন্দিরে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে প্রতিটি মন্দিরে মিষ্টি সামগ্রী প্রদান করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম নিজ হাতে এসব উপহার তুলে দেন।

এ সময় পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়।




যত বাধাই আসুক ড.ইউনুসের নেতৃত্বে ফেব্রুয়ারীতেই নির্বাচন হবে 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বেই আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যত বাধাই আসুক তা প্রতিহত করে ভোট কেন্দ্রে ভাট দিতে যাবে জনগন এটাই সামাজিক দায়বদ্ধতা।

বুধবার (০১ আক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিস সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সাংবিধানিকভাবে সরকার পরিবর্তনের সকল পথ যখন পথ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন জুলাই বিপ্লবের শহীদরা তাদের জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ছাত্র জনতার এই বিজয় দেশে গণতান্ত্রিক উত্তোরণের পথ উন্মুক্ত করেছে। এই আন্দেলনের ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিই বর্তমান সরকারের বৈধতা দিয়েছে। সংকট কালিন সময়ে সংবিধানের নীতি মেনে চলেনা , দেশ কিভাবে চলবে, কে পরিচালনা করবেন তা সবকিছু রাস্তা থেকে নির্ধারণ করা হয়, তখন আন্দোলনকারীরাই ঠিক করে এসব আর এটাই সাংবিধানিক নিয়ম, তিনি বলেন ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তারপর সরকার গঠন হয়েছে, তখন কি দেশে সংবিধান ছিল? তাহলে তখন সকার গঠন হয়েছে কিভাবে সবকিছু তখন দায়িত্ব বন্টনের মাধ্যমে হয়েছে। পরে ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের সংবিধানের সহায়তায় বাংলাদেশে সংবিধান রচিত হয়েছে। আমরা ১৯৭১ এবং ২০২৪ সাল কোনটাইকেই ছোট করে দেখবো না তবে দেশ রক্ষার নামে যারা এতদিন খুন গণহত্যা গুম করেছে তাদের কে আইনের আওতায় এনে দ্রæত বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে। পি আর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন আগামীতে কিভাবে নির্বাচন হবে তা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং জনগণই নির্ধারন করবে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এমএ মজিদ, ঝিনাইদহ ডায়াবেটিস সমিতির সহ সভাপতি জাহিদুজ্জামান মনা, মো: আক্তারুজ্জামান, মো: জাহিদুল ইসলাম এবং মোঃ মনোয়ার হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন সভাপতিত্ব করেণ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যড. কামাল আজাদ পান্নু।




মেহেরপুরের শ্যামপুরে বিএনপির উদ্যোগে দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের মৌলিক অধিকার ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। তারেক রহমানের নির্দেশেই আমরা সব কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

এ সময় স্থানীয় শতাধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা নেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে সংগ্রহ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু,সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম,  জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান গাজু  ও সাংগঠনিক সম্পাদক  সৌরভ উদ্দিন

শ্যামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মাস্টার বিএনপি নেতা সুইট জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহসহ দলীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির মূল লক্ষ্য। ক্ষমতা নয়, মানুষের কল্যাণই আমাদের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য। তাই এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”




গাংনীতে উদ্ধার হওয়া নবজাতকের পাশে ইউএনও খায়রুল ইসলাম

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামের বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক শিশুটির খোঁজখবর নেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: খায়রুল ইসলাম।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তিনি নবজাতকের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

উদ্ধারকৃত নবজাতকটি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।




নামের সুবিচার করেননি ওসি এলএসডি দেবদূত!

নাম তাঁর দেবদূত রায়। ঈশ্বরের বার্তাবাহক বা স্বর্গীয় দূত হিসেবে সম্মান মর্যাদার কথা বিবেচনায় নিয়েই বাবা-মা ছেলের নাম রেখেছিলেন দেবদূত। কিন্তু মেহেরপুরের সদর এলএসডি (ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা) দেবদূত রায় নিজের নামের সাথে সুবিচার না করে জড়িয়েছেন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে।

মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে দেবদূতের নানা অনিয়ম ও দুনীতির চিত্র।

দু’বছর আগে মেহেরপুর সদর এলএসডি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন দেবদূত রায়।

জেলার খাদ্য গোডাউনগুলো নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়াবাড়ি। মেহেরপুর জেলার খাদ্য গোডাউনগুলোতে দীর্ঘদিন থেকে এই অনিয়ম দুর্নীতি চলে আসলেও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তাব্যক্তিরা কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।

মেহেরপুর পৌরসভার মধ্যে দুটি স্থানে বড়বাজার এবং কলেজ রোডে ৬টি, আমঝুপিতে ২টি এবং গাংনীতে ৩টি সর্বমোট জেলায় ১১টি খাদ্য গোডাউন আছে।

সদর এলএসডি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদূত রায় পৌরসভার মধ্যে ৬টি গোডাউনের দায়িত্বে ছিলেন ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে ডেপুটেশনে রয়েছেন। চাল মিলারদের সাথে যোগসাজশে ব্যবসায় যুক্ত থাকা, আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিম্নমানের চাল গোডাউনে উত্তোলন, গোডাউনের নিরাপত্তা প্রহরীদের কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়া সহ নানা অভিযোগ দেবদূতের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ৬০০ মে. টন চাল প্রোগ্রামের মাধ্যমে মেহেরপুর এলএসডি’তে আসে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া এলএসডি থেকে ৩০০ মে. টন এবং জগতি এলএসডি থেকে ৩০০ মে. টন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে ৬০০ মে. টন চালের মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ ভালো চাল, বাকিটা নিম্নমানের লাল চাল গ্রহণ করেছে দেবদূত। কুষ্টিয়া মিলারদের সাথে মেহেরপুর এলএসডি’র নিরাপত্তা প্রহরী আমানুজ্জামান লাভলুর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনও করে থাকেন তিনি।

গোডাউনের ভিতরে বাজে চালের সাথে ভালো চাল মিশিয়ে নতুন বস্তা প্রস্তুত করানো দেবদূত রায়ের নিত্যকার কাজকর্মের একটি।

২০২৫ সালের মে মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত বোরো চাল ক্রয় করা হয়। এই চালগুলো সবই নতুন চাল হওয়ার কথা, কিন্তু অধিকাংশই পুরাতন চাল। মিলের ইস্টেন্সিল নেই, WQSC নাম্বার নেই। লটের চারদিকে নতুন ভালো চাল রেখে ভিতরে পুরাতন খারাপ চাল রাখা হয়েছে। যার মধ্যে এফএস-১ চা/২৭/ ৪০০ বস্তায় চাল আছে ১২০ মে. টন। এফএস-১ চা/৩৫/ ২০৬৯ বস্তায় চাল আছে ৬২ মে. টন। এফএস-৪ চা/৩৪/ ২৯২৭ বস্তায় চাল আছে ১৪৬ মে. টন। এগুলো অধিকাংশই পুরাতন চাল।

প্রত্যেক এলএসডি একটি সংরক্ষিত এলাকা। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এএসআই, নিরাপত্তা প্রহরী সকলের জন্যই আলাদা আলাদা কোয়ার্টার আছে। এলএসডির ভিতরে যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী। মেহেরপুর এলএসডি’র কোয়ার্টারে থাকছেন অথচ ভাড়া দিচ্ছেন না। তাদের মধ্যে এএসআই মামুনুর রশিদ, পোস্টিং গাংনী, ১৫ জুলাই ২০১৫ সাল থেকে মেহেরপুরের কোয়ার্টারে বসবাস করছেন ভাড়া বিহীন।

নিরাপত্তা প্রহরী আলামিন শেখ ২৭ আগস্ট ২০২৩ থেকে কোয়ার্টারে আছেন ভাড়া বিহীন। গোডাউনের বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে ফুটপাতে খাবারের ব্যবসা করেন, সেই বিদ্যুৎ লাইন থেকে টাকার বিনিময়ে অন্যদের সংযোগ দেন।

নিরাপত্তা প্রহরী কুদ্দুস ৩০ আগস্ট ২০২৩ থেকে কোয়ার্টারে বসবাস করছেন ভাড়া বিহীন। গোডাউনের বাইরে ফুটপাতে ব্যবসা করেন।
ঝাড়ুদার হাফিজুর ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে এএসআই কোয়ার্টারে ভাড়া বিহীন বসবাস করছেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদূত রায়ের ঘনিষ্ঠজন। খুলনা থেকে তাকে এখানে মাস্টার রোলে চাকরি দিয়েছেন।

নিরাপত্তা প্রহরী আমানুজ্জামান ২১ মে ২০২৩ থেকে বসবাস করছেন এএসআই কোয়ার্টারে। ভাড়া দেন না। একটা কোয়ার্টার খালি আছে, সেটাতে মুরগি, কবুতর, ছাগল পোষা হয়। নিরাপত্তা প্রহরী আমানুজ্জামান ও আলামিন এই কাজটি করে থাকেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে এলএসডি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদূত রায়ের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এরশাদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) আসমা উল হোসনা এইসব অনিয়মের কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি তাই সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখবো। একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করবো এবং কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

(আগামী পর্বে পড়ুন গাংনী ও আমঝুপি এলএসডিদের নিয়ে সংবাদ। )




মেহেরপুরে এনসিপি’র পিরোজপুর ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটি গঠন

মেহেরপুর সদর উপজেলার ৫নং পিরোজপুর ইউনিয়নে আগামী তিন মাসের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টি মেহেরপুর সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী হাসমত উল্লাহ ও যুগ্ম সমন্বয়কারী সালাউদ্দিন রনির স্বাক্ষরিত এক পত্রে কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন, মোঃ টিটন এবং সদস্য সচিব হিসেবে আনারুল ইসলাম। যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন মোঃ পাইন আলী, মুফতি মোঃ মফিজুর রহমান ও মোঃ মনিরুল ইসলাম। যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে আছেন মোঃ উল্লাস, মোঃ রবিউল ইসলাম ও শ্রী ছমির দাস। মুখ্য সংগঠক হিসেবে রয়েছেন আব্দুল হালিম।

এছাড়াও আব্দুস সালাম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ রাজন, মোঃ বিপ্লব, মোঃ নাসিম রেজা, মোঃ আজিজুল, মোঃ শামীম, মোঃ রবিউল ইসলাম, সুন্নত আলী, মোঃ মহিদুল ইসলাম ও অধ্যাপক মোহাঃ দারুস সালাম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।




কুরআন-হাদীসই হলো আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রদর্শিত পথের একমাত্র মাধ্যম

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দর্শনা কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিটের উদ্যোগে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বাদ মাগরিব দর্শনা কেরুজ জামে মসজিদে মোঃ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সীরাত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের আমীর মোঃ রুহুল আমিন। বক্তা ছিলেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মোঃ আজিজুর রহমান, মাজলিসুল মুফাসছিরিনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবু জার গিফারী, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মোঃ আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জেলা সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আব্দুল কাদের, দর্শনা থানা আমীর মাওলানা রেজাউল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, দর্শনা পৌর আমীর মোঃ সাহিকুল আলম

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা আমীর রুহুল আমিন বলেন, মানুষের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসুল (সাঃ) এর মাধ্যমে কুরআন নাজিল করেছেন, আর রাসুল (সাঃ) তার ২৩ বছর নবুয়তের জিন্দেগীতে আমাদের জন্য এই জীবন বিধানকে হাতেকলমে শিখিয়ে গেছেন। সুতরাং এই কুরআন-হাদীসই হলো আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রদর্শিত একমাত্র পথ। এর বাইরে কোন মতপথের অনুসারী হওয়া কোন মুসলমানের সুযোগ নেই। তাই জামায়াতে ইসলামী মানবতার কল্যাণ, দেশ পরিচালনার জন্য যোগ্য মানুষ তৈরী ও আল্লাহর সন্তÍুষ্টি অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ ভিশন বাস্তবায়নের জন্য আমরা আপনাদের সহযোগীতা চাই। প্রসঙ্গিক আলোচনায় তিনি কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর শ্রমিকদের জেলার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প কমপ্লেক্সকে রক্ষায় আরো আন্তরিক হবার আহবান জানান। তিনি বলেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই কেরুর মাধ্যমে সারাদেশে এই জেলাকে সন্মানের আসনে সমাসীন করে গেছেন। আমাদের এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে যে কোন মূল্যে এক রক্ষা করতে হবে।

বাদ এশা তিনি দর্শনার হরিজন সম্প্রদায়ের সাথে দেখা করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। এ সময় তাদের উদ্দ্যেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন- আমাদের ধর্মীয় পরিচয় আলাদা হলেও আমরা সকলেই বাংলাদেশী। সুতরাং এই দেশে বসবাসকারী সবার সাথে আমরা মিলেমিশে দেশকে গড়তে চাই। ইসলাম সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থানকে নিশ্চিত করেছে। আপনারা আপনাদের ধর্ম পালন করবেন কেউ বাধা দেবেনা। আমরা আপনাদের যে কোন সমস্যায় সর্বদা পাশে আছি।