জীবননগরে পাওয়ারট্রলি থেকে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, আটক-২

চুয়াডাঙ্গা জীবননগর থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল ও একটি পাওয়ার টিলার সহ ২ জনকে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের সামনে থেকে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল, একটি পাওয়ার টিলার সহ দুইজনকে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আব্দুল দাউদের ছেলে আব্দুর রহমান (৩০) ও মহেশপুর উপজেলার শ্রীনাথপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এনামুল হক (৩৪)।

জীবননগর থানা সুত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলার বিপিএম সেবার নির্দেশে ও জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মামুন হোসেনের নেতৃত্বে এস আই মিজানুর রহমান, সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এসময় বস্তায় ভর্তি পাওয়ার টিলারে রাখা ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ জনকে আটক করা হয়।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে মাদকবিরোধী একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল, একটি পাওয়ার টিলার সহ দুইজনকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের জীবননগর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।




২ ঘণ্টার অভিযানে মালয়েশিয়ায় প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বড়সড় অভিযান চালিয়েছে অভিবাসন বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে চালানো এই অভিযানে ৩৯৬ বাংলাদেশিসহ ৭৭০ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর বুকিত বিনতাং এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শত শত অভিবাসী টেবিলের নিচে লুকিয়ে, দোকানের ভেতরে আশ্রয় নিয়ে কিংবা ছাদে উঠে পালানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। মাত্র দুই ঘণ্টার অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় ৭৭০ জনকে।

ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের পরিচালক বসরি ওসমান জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ২ নারীসহ ৩৯৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে ২৩৫ জন মিয়ানমার, ৭২ জন নেপাল, ৫৮ জন ভারত ও ১৭ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের আরো ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এদের বেশির ভাগকেই অনুমতির অতিরিক্ত সময় ধরে থাকা, বৈধ পরিচয়পত্র বহন না করা এবং অনুমতি ছাড়া কাজ করার মতো অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের অনেকেই তাদের নিজ দেশে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব থেকে বাঁচতে মালয়েশিয়ায় এসেছিলেন।

বাসরি ওসমান বলেন, বুকিত বিনতাং অনেক দিন ধরেই অনিবন্ধিত অভিবাসীদের হটস্পট। নাইটলাইফ ও শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থানের কারণে অনিবন্ধিত শ্রমিকদের জন্য এটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আমরা তিন সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণ চালানোর পর অভিযান পরিচালনা করি।

 

সূত্র: কালের কন্ঠ




বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কাউকে ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি করতে দেওয়া যাবে না। সকলেই প্রস্তুত থাকুন, নির্বাচনের জন্য সকলকে প্রস্তুত করুন এবং যারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায় বা নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করবে, আগামী দিনে গণতন্ত্রের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে তাদের আমরা রুখে দিতে পারব।

১৭ বছর আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি। বিএনপি, জামায়াত, অন্যান্য সকল সংগঠন যারা রক্ত দিয়েছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন আজকে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশের মঞ্চ থেকে আমি আপনাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করতে চাই, এ কাজ করবেন না, বিএনপিকে ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে গিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ছিনতাই করবেন না।

গকতাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ড. শামসুজ্জোহা পার্কে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ।

তিনি আরও বলেন, আমরাই বলেছিলাম দিন বদলাবে, দিন হবে মানুষের সেই মানুষের দিন প্রতিষ্ঠার এ লড়াই আমরা শুরু করেছিলাম ১৭ বছর আগে। সেই লড়াই আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে এই রাষ্ট্রের মালিকানা আমরা জনগণের কাছে ফেরত দিতে চাই।

মেহেরপুর জেলায় যে কমিটি হয়েছে সেটি বিএনপি’র ছোট কমিটি। কমিটি ছোট হোক, তারপরেও ওই বিএনপিকেও আমাদের রক্ষা করতে হবে। ছোট হোক, রক্ষা করতে হবে। মেহেরপুরের লক্ষ্য মানুষ আমাদের সাথে আছে। তাই কারোর বিরুদ্ধে আর অভিযোগ করব না। ঐক্যবদ্ধ থাকুন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।

মেহেরপুরের নবাগত এসপি ও ডিসিকে উদ্দেশ্য করে মাসুদ অরুণ বলেন, নতুন কমিটির ফোনে কাজ করার আগে জনগণের ভাষা বুঝবেন। জনগণের ভাষা বুঝে যদি কাজ না করেন, আগামীতে পার্কে সমাবেশ হবে না, সমাবেশ হবে ডিসি অফিসের সামনে, হবে এসপি অফিসের সামনে। আগামীতে কাউকে জনগণের স্বার্থের বাইরে এক পা ফেলতে দেওয়া হবে না।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোনো সময় পুলিশ দিয়ে ভোট, কোনো সময় রাতের বেলায় ভোট, কোনো সময় ডামি ভোট করে শেখ হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিল। এই ১৬ বছরে শেখ হাসিনা অজস্র মায়ের বুক খালি করেছে, অসংখ্য বিএনপি’র ছেলেদের ক্রসফায়ার দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ লুট করে লক্ষ লক্ষ টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এর বিরুদ্ধে এই ১৬ বছর কঠোর লড়াই কারা করেছে?

এই মেহেরপুরের মাটিতে পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র, র‍্যাবের ক্রসফায়ারের ভয়, বিডিআরের বন্দুককে উপেক্ষা করে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের রুক্ষ চক্ষুকে উপেক্ষা করে এই মেহেরপুরের মাটিতে শেখ হাসিনা বিরোধী লড়াই কারা করেছিল? আপনারা, এই মাঠে যারা উপস্থিত আছেন, আপনারাই লড়াই করেছিলেন।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ মাস্টার বাবলু, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির প্রমূখ।

এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




লালনোত্তর মরমি বাউল সাধক “বেহাল শাহ” 

বাউলসম্রাট লালনের গান জনপ্রিয় করতে যাদের অবদান অপরিসীম, তাদের অন্যতম আলমডাঙ্গার ফরিদপুরের মরমি বাউল সাধক ও গীতিকার বেহাল শাহ।

লালনোত্তরদের কেউ কেউ বলেন, লালনের গান এখন যেভাবে সাধকদের মাঝে গাওয়ার ঢং বা ঠাট , সুরের যে বৈশিষ্ট চালু আছে; এটা লালনোত্তর কয়েকজন মরমি সুর সাধকের অবদান । এঁরা হলেন – অমূল্য শাহ, শাহ কলিমউদ্দিন ওরফে কালু শাহ, বেহাল শাহ, মহিন শাহ, খোদা বক্স শাহ (জাঁহাপুর) ও মকছেদ আলী সাঁই। এদের মধ্যে বেহাল শাহর প্রভাব ব্যাপক বলে স্বীকার করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার নাগদাহ মাতুলালয়ে বলেশ্বরপুর গ্রামে ১৩০৭ সনের ২৫ চৈত্রে জন্ম বেহাল শাহ’র। বাবা-মায়ের নাম যথাক্রমে বাহাদুর শাহ ও ময়না নেছা বিবি। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া। পৈতৃক নিবাস পোড়াদহ রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী খর্দ আইলচারা গ্রামে। প্রথম জীবনে লেটো দলে ছিলেন বলে জানা যায়। পরে দেলবার শাহ ঘরানার ছমির চাঁদের কাছে দীক্ষা নেন।

অমূল্য শাহ, শুকচাঁদ, খোদা বক্স প্রমুখের কাছে লালনগীতি শিখে এ গানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এমনকি লালনগীতির বর্তমান গায়কী ধারার অন্যতম প্রবর্তক তিনি। বেহাল শাহের দ্বিতীয় স্ত্রী দৌলতুন্নেছা। তাদের রয়েছে এক কন্যাসন্তান। নাম আয়েশা খাতুন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ৭শ ফকিরের গ্রামখ্যাত ফরিদপুরে অতিবাহিত করেন। তিনি মঞ্চে আপেক্ষিক ও উদ্ভব প্রসঙ্গ নিয়ে গান বাঁধতে পারতেন বলে জানা যায়। তাঁর লেখা গানের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে অনেক বাউল দাবি করেন তার রচিত গানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ শ। এখনও বেহাল শাহ’র দরাজ কন্ঠের মরমি গীতির অকুন্ঠ প্রশংসা করেন।

১৯৬৫ সালে দোলযাত্রার দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক শাষনকর্তা মোনায়েম খান লালনের আখড়া ধামে এসে সকল বাউল সাধক শিল্পীর উদ্দেশ্যে স্ব স্ব আসনে বসে গান লিখে পরিবেশন করতে বলেন।সেই গান যেন উপস্থিত সময়ে লেখনী সেটা যেন গানের মাঝে পরিস্কার ভাব বাচন ভঙ্গি সজাগ থাকে।উপস্থিত পাঁচ শতাধিক বাউল সাধক শিল্পীর মধ্যে বেহাল শাহ প্রথম স্থান অধিকার করেন। প্রাদেশিক শাসনকর্তা বেহাল শাহ কে বাউলকূলের শীরমণি উপাধিতে ভূষিত করেন।সঙ্গে পরিয়ে দেন গলায় মেডেল, প্রশংসাপত্র ও নগদ পাঁচশত টাকা।

সমঝদারদের অনেকে দাবি করেন সমসাময়িক কিংবা আজোবধি বেহাল শাহ’র মত দরাজ ও পরিশীলিত কন্ঠ আর শোনা যায়নি। ১৩৮৮ সনের ১৮ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮১) এই মরমি সাধক শিল্পী ও গীতিকার-সুর সাধকের তিরোধান ঘটে। কোরান ও হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ, বেদ-বেদান্ত-উপনিষদ এবং মিথের উপর তার অসাধারণ দখল ছিল। তাকে সর্ব শাস্ত্রভূত জ্ঞানী পন্ডিত  বলা হত।

বেহাল শাহ’র গুণগ্রাহী অনেক শিষ্যদের অন্যতম ছিলেন প্রয়াত মাওলাবক্স পাগল। যিনি গানে এবং প্রজ্ঞায় অসাধরণ ছিলেন । ২০১২ সালের ১৬ আগস্ট মাওলা বক্স প্রয়াত হন। এছাড়াও ঝড়ু ক্ষ্যাপা,  ফরিদপুরের রইচ উদ্দীন শাহ,রফিউদ্দিন শাহ,জীবন ফকির,রেয়াজ শাহ,রবিউল শাহ,মকছেদ শাহ,ছাবিনা খাতুন,আমোদ আলি শাহ,আজিত শাহ বেহাল শাহ’র অন্যতম শিষ্য। আলমডাঙ্গার ফরিদপুর গ্রামে অবস্থিত এই গুণী ব্যক্তির মাজার দীর্ঘদিন অরক্ষিত রয়েছে। তিনি লালনগীতির গায়কী বৈশিষ্ট্যের অন্যতম স্রষ্টা হিসেবে পরিচিত এবং তাঁর গান বাংলাদেশ ও ভারতের অসংখ্য ভক্তের হৃদয়ে আজও বিদ্যমান।

সাংস্কৃতিক অবদান ও জনপ্রিয়তা বেহাল শাহ লালনগীতির গায়কী ধারার অন্যতম প্রবর্তক ছিলেন। তিনি লালনগীতির বর্তমান জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

অমূল্য শাহ, শুকচাঁদ, খোদা বক্‌শ প্রমুখের কাছ থেকে লালনগীতি শিখে তিনি নিজেই এই গানের জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর গাওয়া গান বাংলাদেশের ও ভারতের অনেক ভক্তদের মধ্যে জনপ্রিয়।




দশর্না মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

দশর্না মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ্যাডহক কমিটির দুইজনকে না জানিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় শিক্ষকগণ কর্মবিরতি পালন করছেন। গতকাল গোপনে এ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক মশিউর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইকরামুল হক গোপনে ঐ শিক্ষককে নিয়োগ দেয়।

এ বিষয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি লুৎফর রহমান ও শিক্ষক প্রতিনিধি আবুল কাশেম মিল্টনকে না জানিয়ে এ ধরণের নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ক্লাস বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন। শিক্ষকরা বলেন, এ্যাডক কমিটির নিয়োগ প্রদান করার কোনো একতিয়ার নেই। এছাড়া পূণার্ঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়া পযর্ন্ত কোনো প্রকার নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম নেই।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট ফোন করলে, তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক মশিউর রাহমানের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়োগ দেওয়ার সময় অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধি ছিলেন, রেজুলেশন খাতায় তাদের স্বাক্ষর আছে। তবে তারা নিয়োগের পক্ষে মতামত দেয়নি। এছাড়া এ্যাডহক কমিটি ক্ষমতাবলে আস্থায়ী নিয়োগ দিতে পারে। তাদের ব্যাক্তিগত বিরোধের কারণে নিয়োগের পক্ষে মতামত দেয়নি।




দামুড়হুদায় দিনে-দুপুরে দোকানে চুরি, ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঁঠাল তলায় চাউলের দোকানে প্রকাশ্যে সংঘটিত হয়েছে চুরির ঘটনা। গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয় এক চাউলের দোকানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে নেমে এসেছে উদ্বেগ ও আতঙ্কের ছায়া।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই সময় দোকান মালিক আজহারুল ইসলাম দুপুরের খাবারের জন্য দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। ফেরার পর তিনি দেখতে পান, দোকানের টিন কেটে সিটকিনি খুলে ভিতরে প্রবেশ করেছে চোরের দল। তারা ক্যাশে থাকা প্রায় ৯ হাজার ৬শ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

আজহারুল ইসলাম বলেন, “আমি মাত্র কিছু সময়ের জন্য দোকান বন্ধ রেখে বাড়ি গিয়েছিলাম খাবার খেতে। ফিরে এসে দেখি দোকানের টিন কেটে চোর ঢুকে টাকার ক্যাশ লুট করে নিয়ে গেছে। দিনে-দুপুরে এভাবে চুরি হবে, তা ভাবতেও পারিনি।” ঘটনার পরপরই এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় দোকানদাররা জানান, এ ধরনের ঘটনা যদি প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে ঘটে, তবে তাদের ব্যবসা নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়বে। তারা দ্রুত চোরদের গ্রেপ্তার ও এলাকার নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে ডুগডুগি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী দুপুরে টিফিন খেতে আসলে উক্ত চাউলের দোকানের কাছে আসে এবং সেখানে আগে থেকে ৩ জন উপস্থিত ছিলো। তারা তিনজন ওই শিক্ষার্থীদের কে চাউল এর দোকানের কাছে দেখে তাড়িয়ে দেয়। শিক্ষার্থী বলে, ওই তিনজনের মধ্যে একজনের মুখে বড় দাড়ি ছিল, দেখতে কালো ও চিকন মিডিয়াম। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষার্থীরা ওই দোকানের কাছে আসলে তাদেরকে কেন তাড়িয়ে দেয়া হলো।

স্থানীয়রা বলেন, মূলত ওই চাউলের দোকানের পেছনে রয়েছে একটি বাগান এবং সে বাগানে নিয়মিত মাদকের আসর চলে, হয়তো সেখানকারই কোন মাদক সেবীরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে শিক্ষার্থী বলেছে তাদেরকে দেখলে সে চিনতে পারবে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (অপারেশন) হিমেল রানা বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




দামুড়হুদায় কৃষকের উপর হামলা; ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি গ্রামের শ্বশান ঘাট এলাকায় পাট পাহারা দিতে গিয়ে এক কৃষকের ওপর সশস্ত্র হামলা, মারধর, টাকাপয়সা ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ভুক্তভোগী তারিনীপুর গ্রামের মাঝ পাড়ার মৃত সাদু মন্ডল এর ছেলে মোঃ সোনাই মন্ডল (৬০) দামুড়হুদা মডেল থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতি সোমবার ডুগডুগি বাজারে গরুর হাঁট বসে এবং অতীতে একাধিকবার ডুগডুগি শ্মশান ঘাট এলাকায় হাঁটের দিন সেখানে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগী সোনাই মন্ডল ডুগডুগি শ্বশান ঘাট নামক স্থানে পাট শুকিয়ে সেখানে গাদা দিয়ে রাখে এবং পাট যেন চুরি না হয়ে যায় সে কারণে সে ঐ জায়গাতে রাত্রে অবস্থান করে।

সে তার শুকানো পাট পাহারা দিচ্ছিলো। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন রাতে কাদিপুর গাংপাড়ার মোঃ মানোয়ার ফকির এর ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম (৩০), মোঃ সেকেন্দার এর ছেলে মোঃ শাহিন আলী (২৫), মোঃ ইউসুফ আলী এর ছেলে মোঃ ইয়াকুব আলী (২২)এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র রামদা, চা পাতি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত স্থানে চাঁদাবাজী, ছিনতাই বা অন্য কোন অসৎ উদ্দেশ্যে অবস্থান করে। কিন্তু এই বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানি না। এক পর্যায়ে আকাশে মেঘ দেখে আমি পাটের গাদার চারিদিকে লাইট মারলে উক্ত লাইটের আলো বিবাদীদের দিকে গিয়ে লাগলে তারা সকলে আমার নিকট উপস্থিত হয়ে কোন কথা ছাড়াই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকে।

তখন হঠাৎ আমার ওপর চড়াও হয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এক পর্যায়ে তারা সোনাই মন্ডলের পাঞ্জাবির কলার ধরে মুখে ও নাকে কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর অজ্ঞাতনামা হামলাকারীরা পা দিয়ে মাথা, বুক ও পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। মারধরের সময় তার পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি ধরে টানাটানি করে তাকে বস্ত্রহারা করে পকেট থেকে নগদ ২,৮৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা বেঁধে ফেলার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করার চেষ্টা চালালে ভুক্তভোগীর ডাক-চিৎকার শুনে পথচারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

সোনাই মন্ডল বলেন, আমি তাদের চিনে ফেলেছি, বিবাদীরা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে এবং যেকোনো সময় আমার ও পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় এবং আশপাশে বিভিন্ন সময় চুরি ছিনতাই ও ডাকাতি হয়। কিন্তু কেউ জানে না তারা কারা। এবার তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবে, কারণ পাট পাহারাদার সোনাই মন্ডল তাদেরকে চিনে ফেলেছে। যার কারণে তার উপর হত্যার হুমকি এসেছে। স্থানীয়দের দাবি দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, না হলে এলাকায় আরো চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি বেড়ে যাবে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (অপারেশন) হিমেল রানা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আলমডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে ফুটপাত অবৈধ দখল মুক্ত অভিযান

আলমডাঙ্গা পৌরসভার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মেহেদী ইসলাম আলমডাঙ্গা পৌর এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযান পরিচালনা করেন।

গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা কালে আলমডাঙ্গা হলুদপটিতে ফুটপথ ও ড্রেনের উপর রাখা বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেন এবং সকলকে ফুটপাথ ও ড্রেনের উপর কোন ব্যাবসায়ীদের মালামাল না রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সেই সাথে যত্রতত্র মোটর সাইকেল, পাখি ভ্যান, আলমসাধু পার্কিং না করার জন্য পথচারী, ব্যাবসায়ীগন ও গাড়ী চালকদের পরামর্শ দেন এবং পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত নগর গড়ে তোলার প্রত্যাশায় সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।

পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ এককালীন নয়, বরং ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। প্রধান সড়ক, সোনাপট্টি সড়ক, হলুদ পট্টি, মাছবাজার এবং আলিফউদ্দিন রোড এলাকায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। অভিযানের সময় অবৈধভাবে পার্কিং করা পাখিভ্যান জব্দ করা হয় এবং রাস্তার উপর রাখা দোকানের মালামালও সরিয়ে নেওয়া হয়।

আলমডাঙ্গা পৌর বাজারে ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযানে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন প্রশাসক শেখ মেহেদী ইসলাম। পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আলমডাঙ্গা পৌরসভা বাজারে শুরু হয়েছে ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযান। পৌর প্রশাসক শেখ মেহেদী ইসলামের নেতৃত্বে বাজার এলাকায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। সুস্থ ও সুন্দর নগর জীবনের জন্য এ উদ্যোগকে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান।




মুজিবনগর থানায় জনসেবা বাড়াতে চালু হলো সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার  

এখন থেকে কোন ধরনের জিডি বা অভিযোগ লেখার জন্য সাধারন জনগনকে কোন কম্পিউটারের দোকানে যেতে হবে না। এখন থেকেই এ সকল ধরনের সার্ভিস দেবে থানা।

পুলিশ থানাগুলোকে আরো জনমুখি করার লক্ষ্যে ও সেবার মান বৃদ্ধিসহ সাধারণ জনগনের ভোগান্তি কমাতে চালু করা হলো সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার।

সকল সাধারনণ জনগন এখন থেকে সরাসরি থানায় এসে সকল ধরনের অনলাইন জিডি সহ সকল ধরনের অভিযোগ লিখতে পারবে। আর এ সকল সেবা নিতে এসে দিতে হবে না কোন প্রকার টাকা। একদম ফ্রি ভাবেই সকল সেবা নিতে পারবে এখান থেকে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুজিবনগর থানায় সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারের উদ্বোধনকালে এ সকল কথা বলেন, পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম।

এ সময় জনগণের মাঝে নতুন সেবা সাধারন জনগণের মাঝে পৌছিয়ে দেবার জন্য সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন তিনি।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামিনুর রহমান খান, পুলিশ সুপার সার্কেল আব্দুল করিম, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক হাসান মুস্তাফিজুর রহমানসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের গণসংযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়নের সিংহাটি গ্রামে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিংহাটি গ্রামে এ গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

গণসংযোগকালে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার তালবাহানা বা প্রহসনের চেষ্টা করলে তা জনগণ মেনে নেবে না। বিএনপি সবসময় জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলনে অবিচল রয়েছে।”

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক সাহিদুর ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ হোসেন, বারাদি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আফারুল ইসলাম ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মুকুল, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি জিনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বারাদি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শামীম রেজা রুনু, রিপনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।