মুজিবনগরে পানি বন্দি ১০টি পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পচা ও তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত বদ্ধ পানি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মশা উৎপাদনের উৎসস্থল, বিষধর সাপের উৎপাতসহ নানা সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের ফরিদপুর পাড়ার পানিবন্দি ১০টি পরিবার। এদের যেন দেখার কেউ নেই, খোঁজ নেওয়ারও কেউ নেই।

চেয়ারম্যান-মেম্বারকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সরাসরি গিয়ে দেখা যায় চলাচলের রাস্তায় পচা দুর্গন্ধময় হাঁটুপানি। সেই পানিতে পরিবারের সদস্যরা ও শিশুরা চলাফেরা করছে।

পানিবন্দি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আনন্দবাস গ্রামের মৃত শ্রী অনন্ত মণ্ডলের ছেলে ডোবার মণ্ডল ও খোকা মণ্ডল তাদের বাড়ির পাশের ডোবাটি ভরাট না করে রেখেছেন। তারা উঁচু জায়গায় বসবাস করলেও পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা করেননি। এর ফলে প্রতি বছর বর্ষাকালে অপর পাশের প্রায় ১০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানিতে গরু-ছাগলের মলমূত্র মিশে পচে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই পানিতে মশা-মাছি ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বাস।

স্থানীয়রা জানান, পানির দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়া করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বাচ্চারা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘরের ভেতরেও পানি ঢুকে পড়ে। রাতে ভয়ে ঘুমানো যায় না। বাচ্চাদের নিয়ে সর্বদা আতঙ্কে থাকতে হয় যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

হাঁটুপানিতে বসবাস করছেন স্বামী পরিত্যক্ত শহিদা খাতুন, মৃত সবুর আলীর মেয়ে। ডোবার পাশেই তার ছোট্ট একটি নড়বড়ে টিনের ঘর। আত্মীয়-স্বজন না থাকায় তিনি একাই সেখানে থাকেন। সরেজমিনে দেখা যায়, তার ঘরের ভেতরেও পানি জমে আছে। পানির ওপর একটি চৌকির ওপর তিনি কষ্টের জীবনযাপন করছেন। রান্না করা বা প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটানোর কোনো জায়গা তার নেই।

তিনি জানান, খুব কষ্টে পোকামাকড়ের মধ্যে থাকি। মেম্বার-চেয়ারম্যানকে বলেছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত যেন এই কষ্ট লাঘবের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পানিবন্দি আরেক পরিবারের গৃহবধূ নুরজাহান খাতুন, স্বামী মোজাফফর আলী, বলেন, আমরা খুব কষ্টে আছি। বাড়ির ভেতরেও পানি, পেছনেও পানি। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাচ্চারা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়া করা যায় না। আমার ছয় মাসের একটি শিশু আছে ভয় হয়, যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করুক, যাতে আমাদের স্বাভাবিকভাবে বসবাস সম্ভব হয়।

প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম বলেন, ওদের কষ্ট চোখে দেখা যায় না। ছোট বাচ্চারা কোমরসমান পানিতে হেঁটে স্কুলে যায়। বাড়ির মহিলারা হাঁটুপানিতে চলাচল করে। পানিতে তীব্র দুর্গন্ধ, মশার উপদ্রব, মাঝে মাঝে বিষধর সাপও দেখা যায়। আমার অনুরোধ, প্রশাসন যেন দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিয়ে তাদের একটি সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ করে দেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পলাশ মণ্ডল বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশকে সেখানে পাঠাচ্ছি পরিবারের খোঁজখবর নিতে। পরে ইঞ্জিনিয়ারসহ রাস্তাটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




অভিজ্ঞতা ছাড়াই লোকবল নেবে দারাজ

ইন্টার্ন হিসেবে ৩০ জনকে নিয়োগ দেবে অনলাইন শপিং মার্কেট প্লেস দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড। আগ্রহীরা এ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। বয়স অবশ্যই আঠেরো বছর বা তার বেশি হতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম: দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড

পদের নাম: ইন্টার্নশিপ

পদসংখ্যা: ৩০ জন

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক অথবা সমমান

অভিজ্ঞতা: প্রযোজ্য নয়

বেতন: ১০,০০০ টাকা

বয়স: নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল: ঢাকা

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের সময়সীমা: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত।

সুত্র: যুগান্তর ।




বিপিএল থেকে সরে যাচ্ছে ফরচুন বরিশাল!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন আসর বসবে আসছে ডিসেম্বরে। তার আগে বাকি আছে আর দুই মাস সময়। ঠিক এই সময় এসে বিপিএল থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে টানা দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।

ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কর্ণধার মিজানুর রহমান সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এই কথা। মূলত বিসিবি নির্বাচনে ভোটাধিকার হারিয়ে ফেলা ও ক্রিকেট রাজনীতিতে প্রভাব খুইয়ে বসাকেই কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন তিনি।

মিজানুরের সন্দেহ, বিপিএল আয়োজনই করতে পারবে না বিসিবির আসন্ন নতুন কমিটি। তিনি বলেন, ‘ওনারা বিপিএল আয়োজন করতে পারবেন কি না সেটাই প্রশ্ন। নতুন নির্বাচিত কমিটিতে কারা আছে, যাদের ওপর ভর করে এমন বড় আয়োজন হবে? নামটাই বলুন।’

আগামীকাল ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন। তারপর ২ মাসেরও কম সময়ে বিপিএল আয়োজন করতে হবে বোর্ডকে। তার আগে অনেক কাজ। নির্বাচন শেষে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টটা নির্ধারিত সময়ে আয়োজন সম্ভব না, অভিমত মিজানের।

তার এ শঙ্কা অমূলক নয় আদৌ। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান মাহাবুব আনাম নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। যার ফলে নতুন কমিটিতে যে থাকছেন না, তা একরকম নিশ্চিত। যার ফলে নতুন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। সঙ্গে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি আহ্বান, প্লেয়ার্স ড্রাফট, টুর্নামেন্টের সময়সূচি নির্ধারণসহ সব কিছুই।

যার ফলে বরিশাল নিজেদের সব খেলোয়াড়কেও ছেড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার কথা, ‘যেসব খেলোয়াড়কে সাইন করেছিলাম, সেগুলো সব বাতিল করতে হচ্ছে। ডিসেম্বরে বিপিএল আয়োজন কার্যত অসম্ভব।’

সবশেষ দুই আসরে দারুণ দাপট দেখিয়ে বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা তামিম ইকবালকে নিয়ে যদিও আগেই সংশয় জেগেছিল। তিনি বিসিবি নির্বাচনের লড়াইয়ে নামার পর আর ক্রিকেটের মাঠে নামবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছিলেন। তবে এবার সব খেলোয়াড়ের সঙ্গেই চুক্তি বাতিল করে ফেলেছে বরিশাল।




আমঝুপিতে মাসুদ অরুনের গণসংযোগ ও পথসভা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরে গণসংযোগ ও পথসভা করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার আমঝুপি বাজারে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও পথসভা করা হয়।

আমঝুপি বাজার থেকে একটি মিছিল বের হয়ে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর আগে সেখানে পথসভা করা হয়। পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, জেলা তাতি দলের সভাপতি আরজুল্লাহ মাস্টার বাবলু প্রমুখ। এ সময় সেখানে বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন অ্যাড. কামরুল হাসান 

অসুস্থ ও দুস্থ রোগীদের খোঁজখবর নিলেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল হাসান। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দৌড় দৌড়ায় পৌঁছে দিতে  মেহেরপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ফ্রি চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ সহ পাশাপাশি হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি।

গতকাল শনিবার সকাল দশটায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি অসহায় ও দুস্থ রোগীদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। কর্মসূচিতে বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এহান উদ্দিন মনা সহ বিএনপি’র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরের বুড়িপোতা ইউনিয়নে ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র অফিস উদ্বোধন 

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নে ০৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় বুড়িপোতা গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র অফিস ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি প্রভাষক ফয়েজ মোহাম্মদ।

‎প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, এদেশে আমরা যারা বিএনপি করি তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হচ্ছে জিয়া পরিবার, তাদের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এত বেশি কেউ না, আমরা সেই সিদ্ধান্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি ধানের শীষ প্রতীক যাকে বরাদ্দ দেবে অর্থাৎ নমিনেশন যাকে দেবে তার হয়ে কাজ করব এর বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নেই মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র।

‎আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হন, ধানের শীষের জন্য কাজ করুন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নমিনেশন সিলেক্টেড হয়ে যাবে সেই প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই আমরা ধানের শীষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ এবার মেহেরপুরের মাটিতে বিপুল ভোটে ধানের শীষ কে বিজয়ী করবো। ‎‎এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি নাসির উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ও ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, বিএনপি নেতা নাহিদ, আয়নাল হক, মাসুদ রানা সহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত চূয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি নমিনী জেলা আমীর এডভোকেট রুহুল আমিন বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। কোনো ব্যবাসায়ীকে আর চাঁদা দিতে হবে না। বাধাহীন ভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য যা যা করার দরকার তাই করা হবে।

গতকাল শনিবার দুপুর ১২ টার সময় জীবননগর জামায়াত অফিসে আই.বি.ডব্লিউ.এফ এর আয়োজনে উপজেলা সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত চূয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি নমিনী জেলা আমীর এডভোকেট রুহুল আমিন।

জীবননগর উপজেলার ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা কালে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সকল প্রতিবন্ধকতা দুর করা হবে। তিনি আরো বলেন, দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে জিতে যাবে জনগণ। জামায়াতে ইসলামী সাধারণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠির চাওয়া পাওয়া কে মাথায় নিয়ে দেশ পরিচালনা কররে। দাড়িপাল্লা সাধারণ মানুষের প্রিয় প্রতীক। তিনি বলেন, যারা আপনাদের বন্ধু হবেনা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করুন। আমরা আপনাদের উত্তম বন্ধু হতে চাই। জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করলে এ দেশে উন্নতি আর দূর্নীতি একসাথে চলবে না। সব রকম দূর্নীতিকে জাদুঘরে পাঠানো হবে। জামায়াত মানুষের হক তার দোর গোড়ায় পৌছে দিতে চাই। আমরা শাসক নই বরং জনগণের সেবক হতে চাই। জীবননগর হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করে স্বাস্থ্য সেবার মান আরো উন্নত করা হবে।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার নায়েবে আমীর মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা সহকারি সেকেটারি আই.বি ডব্লিউ এফ এর জেলা সভাপতি আব্দুল কাদের, জেলা সেক্রেটারি আবু উবাইদা, জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক জিয়াউল হক, জীবননগর উপজলো আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান, নায়েবে আমীর সাখাওয়াত হোসেন, হাফেজ বিল্লাল হোসেন, জীবননগর উপজলোর সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাজেদুর রহমান লিটন, ব্যবসায়ী নেতা মোতাহারুল ইসলাম, আড়িয়ার খান, আশাদুল ইসলাম, মাওলানা জসিম উদ্দীন, আতিয়ার রহমান, যুবনেতা মাহিদুল ইসলাম, আব্দুল মোতালেব,আশিকুর রহমান প্রতিক, সোহেল তানভীর, সায়মুম শাহরিয়ার ও নাজমুল মৃধা প্রমুখ।




মেহেরপুরে ধানের শীষের সমর্থনে জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের গণসংযোগ 

মেহেরপুরে ধানের শীষের সমর্থনে গণসংযোগ করেছেন পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের কাথুলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তিনি গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন এবং ৫নং ওয়ার্ডের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতবিনিময় করেন।

পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, সারা বাংলাদেশে দেখতে পাচ্ছি অনেক হাইব্রিডদের আনাগোনা। যারা ১৬ বছরে ১৬ সেকেন্ডের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেনি, দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেনি, আজকে সেই গর্তের ভেতরের শেয়াল সিংহ সাজতে চাইছে। যারা জনগণের সাথে ছিল না, জনগণের দুঃখ-কষ্টের সাথে ছিল না, তারা আজকে ধানের শীষের নমিনেশন নিতে চাইছে।

অবৈধ টাকার জোরে আজকে তারা নির্বাচন করতে চাইছে। মেহেরপুরের মানুষ জানে কারা মানুষের সঙ্গে ছিল, কারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করছে, তা মানুষ জানে।

গণসংযোগে পৌর বিএনপি’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক, সাবেক সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম তানু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসানাত সুজন, মোকসেদ আলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় ৪২ জন হাফেজকে সংবর্ধনা প্রদান

আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডাউকি ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৪২ জন হাফেজে কুরআনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে কুরআনের হাফেজদের হাতে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল এবং ডাউকি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. সাজিদুর রহমান (সজীব)। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডাউকি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আব্দুস সালাম।

সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, মানবতার সেবা, দেশ পরিচালনায় যোগ্যতা অর্জন এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করাই ইসলামী জীবনের মূল উদ্দেশ্য। তরুণ হাফেজরা সমাজে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এজন্য তাদের জীবন হতে হবে আদর্শ ও আমলনিষ্ঠ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আজ যারা হাফেজে কুরআন হয়েছেন তারা আগামী দিনের রাষ্ট্রীয় ভবিষ্যৎ। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে এই তরুণ হাফেজরাই দেশকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ জনগণ, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, অভিভাবক, হাফেজ ও সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে ডাউকি ইউনিয়নে ধর্মীয় ও সাংগঠনিক আবহ সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে জামায়াতের এই উদ্যোগকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।




হরিণাকুণ্ডুতে চাচার বিরুদ্ধে প্রবাসী ভাতিজার অভিযোগ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রবাসী ভাতিজার ক্রয়কৃত জমির ১৬ টি মেহেগুনি গাছ, ৫ টি কাঠাল গাছ, ৩টি আম গাছ, ২ টি পেপে গাছসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন প্রবাসীর স্ত্রী মোছাঃ বিলকিস খাতুন। বিলকিস খাতুন লিখিত অভিযোগে জানান, আমার স্বামী মোঃ আব্দুল মান্নান, উপজেলার বৈঠাপাড়া, গ্রামের মোঃ মোতালেব হোসেনের ছেলে তিনি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া প্রবাসী।

মেয়ের লেখাপড়ার কারণে আমি বর্তমানে ঝিনাইদহে থাকি। এই সূযোগে গত ৩অক্টোবর সকালে আমার চাচা শ্বশুর মোঃ জালাল উদ্দিন (৬৩), মোঃ আনারুল ইসলাম পিতা-মৃত শমসের মন্ডল, আমার চাচাত দেবর মোঃ চয়ন হোসেন (২০), পিতা-আনারুল ইসলাম ও প্রতিবেশি মোঃ নজির মন্ডল (৬০) পিতা-অজ্ঞাত, এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জন মিলে হরিণাকুণ্ডু থানাধীন ২৬ নং বৈঠাপাড়া মৌজায় সাবেক ৩১৫/হাল ৩২৩ দাগের ৬০ শতকের মধ্যে ১০ শতক সাবেক ৩১৪ দাগের ২ শতক সর্বমোট ১২ শতক ক্রয়কৃত এবং দখলকৃত জমিতে লাগানো ১৬টি মেহগনি গাছ, ৫টি কাঠাল গাছ, ৩টি আম গাছ, ২টি পেপে গাছ এবং শতাধিক কচুগাছ কেটে নিয়ে গেছে এবং আবাদী ফসল নষ্ঠ করে দিয়েছে যার ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ১লক্ষ ৫০হাজার। এই কথা জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা বাদিকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। ফলে বাদি ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগীতায় থানায় গিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।

তিনি লিখিত আরও অভিযোগে আরও জানান বিবাদীগন আমাদের ক্রয় কৃত সম্পত্তি জোর করে দখল করে নিতে চাই। আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে বিবাদীগন বিভিন্ন ধরনের খুন জখমের হুমিক প্রদান করে। প্রভাবশালী কিছু ভাড়াটিয়া লোকজ ও বিবাদীরা উক্ত জমি জোর পূর্বক দখল করার পায়তারা করিতেছে। স্থানীয় ভাবে কয়েক বার সালিসি বৈঠাক হয় উক্ত বৈঠকে বিবাদীরা তাদের কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে নাই। আমাদের জমিতে ভোগদখল করিতে গেলে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষের আশু সম্ভবনা থাকায় ভয়ে আমরা মুখ খুলতে সাহস পায়না। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করিয়া বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এবিষয়ে ২নং বিবাদী মোঃ আনারুল ইসলাম কাসেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি ওখানে ছিলেন না বলে জানান এবং বলেন আমার বড় ভাই জালাল এবং তার ছেলেরা এই গাছ কেটেছে, ওদের সাথে জমি নিয়ে ঝামেলা আছে শুনেছি।

এবিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, আমি প্রবাসীর স্ত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের বিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।