জীবননগরে ইসলামী ব্যাংকের সামনে কর্মজীবী ও কর্ম প্রত্যাশীদের মানববন্ধন

জীবননগরে ইসলামি ব্যাংক সহ সকল ব্যাংকিং সেক্টরে বিশেষ অঞ্চলের একগুচ্ছ অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে অবিলম্বে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী চাকরি প্রত্যাশী পরিষদ।

গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে জীবননগর চ্যাংখালী রোডে ইসলামী ব্যাংকের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ইসলামি ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মো.ইব্রাহিম খলিল।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এস আলম কতৃক সকল অবৈধ নিয়োগ বাতিল করতে হবে। মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ দানের ব্যবস্থা করতে হবে। এস আলম কতৃক বিদেশে পাচার কৃত সকল অর্থ ফেরত আনতে হবে। যেসকল ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিবর্গ অপপ্রচার ছড়িয়ে ব্যাংকের সুনাম নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।




মেহেরপুরের যাদবপুর গ্রামে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার এশার নামাজের যাদবপুর গ্রামে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দিন খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হুসাইন, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমীর সোহেল রানা, সদর উপজেলার সেক্রেটারী ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাব্বারুল ইসলাম মাষ্টার, বুড়িপোতা ইউনিয়নের আমীর হাফেজ আবু জাফর সোহেল, সেক্রেটারী আব্দুস সালাম প্রমুখ।




আমঝুপিতে জামায়াতের এমপি প্রার্থী তাজউদ্দিন খানের গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকাল ৫টার দিকে আমঝুপি গ্রামের প্রধান সড়ক ও দোকানপাটে এ গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দিন খান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হুসাইন, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমীর সোহেল রানা, সদর উপজেলার সেক্রেটারী ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাব্বারুল ইসলাম মাষ্টার, মেহেরপুর শ্রমিক ফেডারেশনের সদরের সভাপতি আবুল হোসেন, আমঝুপি ইউনিয়নের আমীর মহসিন আলী, সেক্রেটারী রকিবুল আলম মুক্ত প্রমুখ।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে আসন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।




সার্বিক কর্মকান্ডে প্রবীণরা হোক চালিকা শক্তি

জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো——, রবি ঠাকুরের এই গানটি সত্যি অসাধারণ। একদম মিলে যায় প্রবীণ ভাই-বোনদের সাথে। বয়েসের ভারে নুয়ে পড়া জীবন এ যেন করুণার জীবন, স্বপ্নহীন জীবন। এই সময় কেবল দিনকাটে প্রবীণদের ধর্মচর্চা করে আর অপেক্ষায় পার করতে হয় ওপারের ডাকের।
১লা অক্টোবর আর্ন্তজাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে পালিত হয়। এটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রবীণদের জীবনযাএার মানোন্নয়ন করা এবং সমাজে তাঁদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবছর নতুন নুতন থিম বা প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ^ব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। এবার ৩৫তম আর্ন্তজাতিক প্রবীণ দিবস পালন করা হচ্ছে। এবছর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘‘Older Persons Driving Local and Global Action: Our Aspirations, Our Well-being, Our Rights” অর্থাৎ স্থানীয় ও বৈশি^ক পর্যায়ে প্রবীণদের প্রত্যাশা,কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে এবং সার্বিক কর্মকান্ডে প্রবীণ হোক চালিকা শক্তি। বাংলাদেশ সরকার এবার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- “একদিন তুমি পৃথিবী গড়েছো আজ আমি স্বপ্ন গড়বো সযতেœ তোমায় রাখবো আগলে”।
জাতিসংঘ ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিবছর ১লা অক্টেবরকে আর্ন্তজাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে ঘোষনা করেছে। প্রতি বছরই একটি নতুন প্রতিপাদ্য বা থিম নিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়, যা প্রবীণদের জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তাঁদের প্রতি সমাজের করনীয় বিষয়ে আলোকপাত করে।
মানবজাতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বার্ধক্য। বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ প্রবীণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে জনসাংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা তুলনামুলকভাবে বেশি হচ্ছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছর। এটি সৃষ্টিকর্তার আর্শীবাদ বলা যায়। বার্ধক্যকে মানব জীবনের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়ন,প্রবীণদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর প্রতি সহনশীল আচরণ প্রর্দশন এবং তাদের সমস্যাগুলো সর্ম্পকে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিবছর ১লা অক্টোবরকে আর্র্ন্তজাতিক প্রবীণ দিবস ঘোষণা করেছে। প্রতিবছর ১লা অক্টোবরকে আমরা প্রবীণ দিবস হিসেবে পালন করলেও এবছর সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রবীণ দিবস পালন করা হচ্ছে ৭ই অক্টোবর। আমাদের দেশের চলমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ প্রবীণকে দূর্বল স্বাস্থ্য, বিভিন্ন ধরনের বার্ধক্যজনিত রোগ, আর্থিক দৈন্যতা ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করতে হয়। দেশে অনেক দক্ষ, অভিজ্ঞ, কর্মঠ ও সৃজনশীল প্রবীণ রয়েছেন; তাঁদের কোথাও কোনো কাজে লাগানো হয়না। বিধায় ঘরে বসে কর্মহীন জীবনযাপনের ফলে তাঁরা বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও মানসিক রোগে ভুগতে থাকেন। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য তাঁদের সম্মানজনক কাজে নিয়োগ করে সমাজ জীবনের মূল ¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।
আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল দেশের মানুষের ক্ষুধা ও দারিদ্রতা থেকে মুক্তি, সামাজিক বৈষম্য থেকে মুক্তি, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া ইত্যাদি। কিন্ত প্রবীণ জনগোষ্ঠী এ সমাজের জ্যেষ্ঠ নাগরিক হলেও তাঁরা এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রায় বঞ্চিত। ১৯৮২ সালে প্রবীণ বিষয়ক সম্মেলন ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল বার্ধক্য স্বাস্থ্য সমস্যা, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা, একাকিত্ব ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া । কিন্ত বাস্তবতা হলো ২০২৫ সালে এসেও অর্থাৎ দীর্ঘ ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এ অবস্থা এখনো বিরাজমান। ২০১৩ সালে দেশে প্রবীণ নীতিমালা ও পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্ত অদ্যাবধি এর বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি দৃষ্টিগোচর হয়না, তৈরী হয়নি বিধি। এ অবস্থার উত্তোরণ ঘটাতে হবে।
প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণের কথা চিন্তা করে এ দেশের একজন বিশিষ্ট চিকিৎসাবিদ ড.একেএম আব্দুল ওয়াহেদ ১৯৬০ সালে নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন একটি প্রতিষ্ঠান, যা ঢাকার ধানমন্ডিতে তাঁর নিজ বাসভবনে শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে রাজধানী আগারগাঁওয়ে সরকারের দেওয়া প্রায় এক একর জায়গার উপর ১৯৮৮ সালে হাসপাতাল ও একটি প্রবীণ নিবাস স্থাপন করা হয়। পরে একটি জেরিয়াট্রিক ইনস্টিটিউটসহ এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান। সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির ৯২টি শাখা রয়েছে, যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০হাজার।
প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: বার্ধক্যে যতটা সম্ভব শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও স্বস্তিতে থেকে প্রবীণরা যেন তাদের পরিপক্ক অভিজ্ঞতার আলোকে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাঁদের জন্য নানামুখী কর্মকান্ড পরিচালনা করা। প্রবীণ বয়সে সবার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা এবং চিন্তাভাবনাহীন শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় জীবনযাপনের দিকনির্দেশনা দেওয়া।

প্রবীণদের প্রধান সামাজিক সমস্যাসমুহ:
১) আর্থিক সহায়তা ও সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের অভাব প্রবীণদের একটি বড় অংশকে দারিদ্র্যের মধ্যে ফেলে দেয়।
২) বার্ধক্যজনিত রোগ, যেমন-ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হদরোগ, কিডনী জটিলতা ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যার চিকিৎসা সুবিধার অভাব প্রবীণদের ভোগান্তি বাড়ায়।
৩) একান্নবর্তী পরিবার ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে প্রবীণরা একা হয়ে পড়ছেন, যার ফলে তাঁরা অবহেলা ও একাকিত্বের শিকার হচ্ছেন।
৪) নগরায়ণ ও আধুনিকীকরণ প্রবীণদের জীবনধারাকে প্রভাবিত করছে, যার ফলে তাঁরা সমাজে নিজেদের মূল্যহীন মনে করেন।
৫) আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং পর্যাপ্ত বিনোদন কেন্দ্র ও আবাসন ব্যবস্থার অভাব প্রবীণদের জীবনকে কঠিন করে তোলে।
৬) আধুনিক সমাজের অংশ হিসেবে পারিবারিক কাঠামো পরিবর্তন হওয়ায় প্রবীণরা অনেক সময় নিজেদের পরিবারেই অবহেলিত হন।
৭) প্রবীণরা চুরি, নির্যাতন এবং অন্যান্য সামাজিক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন, যার কারণে তাঁদের নিরাপত্তা একটি বড় উদ্বেগ।

 

বড় দুখের বিষয়,যে হাতে একদিন সন্তানের মুখে আহার তুলে দিত সে হাতই প্রবীণদের চোখের পানিতে ভিজছে। তারপরেও বৃদ্ধাশ্রমে কিংবা পরিবারে ঘরের কোণায় একাকী বসে প্রিয়জনকে একপলক দেখার আশায় যেন বেঁচে আছেন তাঁরা। নিজ ঘরে বা ঘরের বাহিরে প্রবীণরা অনেকেই শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বছরের পর বছর, আর এই মানসিক প্রতিবন্ধকতার কারণে কেউ বা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমে একটু স্বাধীনভাবে বাঁচার আশায় । বাড়ীর পথ ভুলে কেউ বা পড়ে থাকচ্ছেন পথে ঘাটে, কেউ বা যন্ত্রণায় মৃত্যুকে বেছে নিচ্ছেন বাধ্য হয়ে। যদিও আমি এখানে উল্লেখ করতে চাচ্ছি না, এমনও অনেক শিক্ষিত সন্তান বড় বড় পেশায় নিয়োজিত আছেন তাঁদের পিতামাতাও একরকম মনের কষ্ট নিয়েই বৃদ্ধাশ্রমে দিনাতিপাত করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্ত:প্রজন্ম সংযোগ তৈরীর পাশাপাশি বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধি করা অতি প্রয়োজন। বাংলাদেশে প্রায় ২ লক্ষ্যের উপরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত এনজিও রয়েছে এর মধ্যে হয়তো ৫টি এনজিও পাবেন না যারা প্রবীণদের মৌলিক অধিকারগুলো নিয়ে কাজ করছে। এর কারণটা হলো প্রবীণদের নিয়ে কাজ করলে দেশী বিদেশী অর্থ সহযোগিতা নাও পেতে পারে। আর তাই সরকারের প্রয়োজন প্রবীণদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহনণ করা। জন্মের পর যে সন্তান নিজের বাবা মায়ের হাত ধরেই খুঁজে পেয়েছিল অবলম্বন আজ সেই সন্তানদের অবহেলা, নির্যাতনেই অনেক প্রবীণ শেষ অবলম্বন খঁজে নেন বৃদ্ধাশ্রমে। দেখুন বৃদ্ধশ্রমে কেউ কারোর আপন নয় তবু সবাই এখানে একে অপরের গল্পে নিজেকে খুঁজে নেয়, পায় স্বান্তনা। যে প্রবীণদের অবদানে রচিত হয় আমাদের বর্তমান, অথচ পারিবারিক অবহেলা ও নির্যাতনে একসময় তাদেরই শেষ ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রম। আর এতেই বোঝা যায় প্রবীণরা বয়সের ভারে নয় অবহেলার ভারে নুয়ে পড়ছে ।
তাই আসুন আমরা প্রবীণদের অধিকার আদায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমাজ সেবার সাথে একসঙ্গে কাজ করি । আজ প্রবীণ দিবসে বাবা মায়েদের বলছি, সন্তানদের নিজের সর্বস্ব দিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি একজন সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন, সাথে সাথে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি, পিতামাতার প্রতি সন্তানদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়ে ধর্মীয় অনুশাসন কি বলে সে বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরার জন্য । তাহলে সেই সন্তানই হবে একদিন- বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রবীণদের প্রত্যাশা, কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে এবং সার্বিক কর্মকাণ্ডে প্রবীণদের জন্য চালিকাশক্তি।

লেখক: সাংবাদিক ও সহ-সভিাপতি, প্রবীন হিতৈষী সংঘ, মেহেরপুর জেলা। 




গাংনীতে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় একজন গ্রেফতার

মেহেরপুরের গাংনীতে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় বাকী মালিথা (৫০) নামক আসামিকে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি উপজেলার দেবীপুর ঝোড়াঘাট গ্রামের মৃত লতিফ মালিথার ছেলে।

গাংনী থানা সূত্রে জানা যায়, দেবীপুর ঝোড়াঘাট গ্রামের বাকী মালিথা (৫০) তার নিজ বসতঘরে গত ২ অক্টোবর একটি শিশুকে জোর পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে।

এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষ জড় হয়ে বাকী কে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা চেষ্টা করে কয়েকজন মাতব্বর। কিন্তু ঘটনা জানাজানি হলে আসামিকে ধরে থানায় নিয়ে আসা হয়।

পরে ওই শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ০৯(৪)(খ) মামলা রুজু করে। গাংনী থানার মামলা নং-০৯।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাইল জানান, ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।




মেহেরপুরের বারাদীতে বিএনপির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

মেহেরপুরের বারাদী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে বিএনপির প্রয়াত নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফিরাত কামনায় স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বারাদী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বারাদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফারুল ইসলাম ডাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ এবং থানা যুবদলের আহ্বায়ক লিয়াকত আলী মেম্বার। আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বারাদী বাজারে একটি মিছিল বের করেন। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি সাক্ষাৎকার প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মুকুল।




আলমডাঙ্গায় ব্যাংকের চাকরি প্রত্যাশীদের মানববন্ধন

ইসলামী ব্যাংকসহ দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অদক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবিলম্বে ছাঁটাই এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা আলতা মোড়ে ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম এবং বৈষম্যবিরোধী চাকরিপ্রত্যাশী পরিষদের যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ব্যাংক লুটেরা ও মাফিয়া চক্র হিসেবে পরিচিত এস আলম গ্রুপের প্রভাবে ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুলসংখ্যক অদক্ষ কর্মকর্তা অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর ফলে ব্যাংকিং খাতের পেশাগত মান ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং মেধাবী চাকরিপ্রত্যাশীরা বঞ্চিত হয়েছেন।

বক্তারা আরও বলেন, অবিলম্বে এসব অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গার মোবাইল ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সুরুজ আলী (মেডিসিন ব্যবসায়ী), ভুসিমাল ব্যবসায়ী আজিজুল হক এবং একতারুজ্জামানসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আয়োজকরা জানান, এ আন্দোলন দেশের ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অব্যাহত থাকবে।




আলমডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন অটোরিকশা চালকের মৃত্যু

আলমডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন দরিদ্র অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের বড় পুটিমারী গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মজনুর রহমান (৫০) নামে এক অটোরিকশা চালকের করুণ মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোরবেলা তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত মজনুর রহমান বড় পুটিমারী গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি পেশায় অটোচালক ছিলেন এবং তাঁর এক ছেলে সন্তান রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মজনুর রহমান রাতে নিজের অটোরিকশা চার্জে দিয়েছিলেন।

সোমবার ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি চার্জ থেকে অটোরিকসা খুলতে গেলে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে। আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান পিপিএম জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অটোচালকের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো বড় পুটিমারী গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।




মেহেরপুরে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ড. মো. আবদুল ছালাম বেলুন উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মো. আবদুল ছালাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন।

এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন শিশু বক্তা সারা তামান্না রোজা ও সামিয়া রেজা প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে শিশু একাডেমির শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।




ফরিদপুরে কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০, বাড়িঘর ভাঙচুর

ফরিদপুরের সালথায় কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই-তিন দিন আগে রামকান্তপুর গ্রামের একটি বাজারে কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে স্থানীয় ওসমান তালুকদারের সমর্থক রাকিব নামে এক তরুণের সঙ্গে প্রতিপক্ষের কুদ্দুস তালুকদারের সমর্থক লায়েক নামে আরেক তরুণের মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তখন পুলিশ গিয়ে ওই কেরাম বোর্ডটি থানায় নিয়ে আসে; কিন্তু ওই দুই তরুণের মারামারি ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে সোমবার সকালে স্থানীয় চায়ের দোকানে দুইপক্ষের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

একপর্যায় উভয়পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, টেঁটা, সড়কি, ভেলা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পালটাধাওয়া। সংঘর্ষের সময় ৪টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: যুগান্তর ।