অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি এসপির

যদি কারো মোবাইল থেকে অনলাইন ক্যাসিনোর অ্যাপ পাওয়া যায়, সেটাই তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে, আদালতে সোপর্দ করবে এবং দুই বছরের কারাদণ্ড, এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে (বিচারের মাধ্যমে)।
এই জন্য আমি সবার মাধ্যমে জানাতে চাই, যদি কারো অনলাইন ক্যাসিনো খেলার কোনো অ্যাপ থাকে, তাহলে সেটি মুছে ফেলুন। আজ থেকে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করব।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” প্রতিপাদ্যে কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম।

তিনি আরও জানান, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এ অনলাইন জুয়ার ব্যাপারে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এ অধ্যাদেশের ২০ ধারায় ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। আমাদের আইন, আমাদের ধর্ম সবই জুয়াকে নিষিদ্ধ করেছে। আপনার সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজন যাতে অনলাইন জুয়ায় সম্পৃক্ত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করবেন। মোবাইলে জুয়ার অ্যাপ রাখা অপরাধ। তাই সাংবাদিক ও অভিভাবকবৃন্দের নিকট জানানো যাচ্ছে যে, এ বিষয়ে প্রচারণা চালাবেন।

তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মসহ সব ধর্মেই আত্মহত্যাকে মহাপাপ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ জেলায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। অনেকে কলহের জেরে আত্মহত্যা করে থাকেন। আমরা এখন থেকে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করার ব্যবস্থা নেব। এক্ষেত্রে লাশের পোস্টমর্টেম না করলে নিয়মিত মামলা করা যায় না।
তিনি আরো বলেন, অনেক অভিভাবক তার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানকে মোটরসাইকেল কিনে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু আপনার সন্তানকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। পারিবারিক সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। বেপরোয়া যানবাহন এবং কাগজপত্রবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং এবং স্কুল পালিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁয় আড্ডা দেওয়া অল্প বয়সে গ্যাং তৈরির মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

পরে, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১২২টি মোবাইল ফোন এবং মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।

মোবাইল ফোন এবং মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার বিষয়ে তিনি বলেন, সাইবার জগতের বিভিন্ন অপরাধ যেমন বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে টেলিগ্রাম জালিয়াতি চক্র, বিকাশ প্রতারক চক্র, অনলাইনে কেনাকাটা সংক্রান্ত প্রতারণা চক্রসহ নানা ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতির শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের নিয়মিত আইনি সেবা প্রদান করছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের জুন-জুলাই মাসে সাইবার স্পেসে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ হওয়া সর্বমোট ৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতারণা চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন সময় বিকাশ এবং নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ভুলক্রমে এক নম্বর থেকে অন্য নম্বরে চলে যাওয়া ১ লাখ ১ হাজার ৩০০ টাকা সহ সর্বমোট ১০ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা জেলার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের সকল সদস্য পেশাদারিত্বের সাথে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনগুলো প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আজকের এই আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া মেহেরপুরের তিনটি থানায় ডায়েরিকৃত সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে জুন-জুলাই মাসে সর্বমোট ১২২টি হারানো মোবাইল সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর থানার ৪১টি, গাংনী থানার ৬৪টি এবং মুজিবনগর থানার ১৭টি মোবাইল অন্তর্ভুক্ত। উদ্ধারকৃত ১০ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকার মধ্যে মুজিবনগর থানার মামলায় ৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, যা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছিল।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামিরুল রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল করিম, ডিবির ওসি গোপালসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে ১২২ মোবাইল ও ১০ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিল পুলিশ

মেহেরপুরে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১২২টি মোবাইল ফোন এবং মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব মোবাইল ও টাকা মালিকদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

এসময় “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” প্রতিপাদ্যে কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামিরুল রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল করিম, ডিবির ওসি গোপালসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

জানা গেছে, চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে জেলার তিন থানায় অভিযান চালিয়ে এসব মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে সদর থানা থেকে ৪১টি, গাংনী থানা থেকে ৬৪টি এবং মুজিবনগর থানা থেকে ১৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত ৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা এবং ভুলক্রমে অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া ১ লাখ ১ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের ফেরত দেওয়া হয়।

সব মিলিয়ে ১২২টি মোবাইল ফোন এবং ১০ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা মালিকদের হাতে হস্তান্তর করে মেহেরপুর জেলা পুলিশ।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে। প্রতারণা বা চুরির ঘটনা ঘটলে দ্রুত পুলিশকে অবহিত করলে উদ্ধার কাজ সহজ হয়। পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বজায় রাখাই এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য।




গাংনীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গ্রেফতার ৩

মেহেরপুরের গাংনীতে পুলিশের ২৪ ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত গাংনী থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মোঃ আজিজুল হকের ছেলে
ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলেহীম (৪৫), বাহাগুন্ডা গ্রামের মোঃ ওমর ফারুকের ছেলে মোঃ কাওছার (৪৯) এবং পাবনা সদর আটুয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ রুহুল আমীন (৩৫)।

গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




ঝিনাইদহে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

পরকীয়ার পরবর্তী সময়ে বিবাহ করে স্ত্রীসহ সন্তানদের নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে সন্তানসহ স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন।

সোমবার বেলা ১২টার সময় ঝিনাইদহ জেলা প্রেস ইউনিটির কার্যালয়ে ভুক্তভোগী সন্তানসহ স্ত্রী লিখিত অভিযোগপত্র পাঠ করে সংবাদ সম্মেলন করেন।

স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা (৩৪), পিতা আসলাম গাজী, মাতা সাজেদা বেগম, গ্রাম আশাশুনি পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড, সাতক্ষীরা।

বিগত ২০১১ সালে গার্মেন্টসে কাজের সন্ধানে ঢাকার আশুলিয়ায় যান। গার্মেন্টসে কাজ করার সময় মানিকগঞ্জের মোঃ রতন শিকদার, পিতা মৃত এলাহী, মাতা খোদেজা-এর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে একই বছরের ১৫ মার্চ সাভারের নবীনগরে স্থানীয় এক কাজী অফিসে গিয়ে আমাদের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।

বিবাহের পর থেকে আমাদের সংসার জীবন সুখময় কাটতে থাকে। আমরা দুজন গার্মেন্টসে চাকরি করে সেই অর্থ দিয়ে সাভারের তৈয়বপুর গ্রামে, ডাকঘর জিরাবো, ১৩৪১ সাভার, ঢাকায় স্বামীর নামে জমি ক্রয় করে সরল বিশ্বাসে সেখানে একটি বাসা বাড়ি করি। সংসার জীবনে প্রথমে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয় মরিয়ম, যার বর্তমান বয়স ১৩ বছর। এরপর দ্বিতীয় পুত্র সন্তান তানজিল, যার বর্তমান বয়স ৯ বছর। তৃতীয় সন্তান মেয়ে জন্মের কয়েক দিন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এই সোনার সংসারে বরিশালের জান্নাত নামে এক মেয়ের পরকীয়ায় পড়ে আমার স্বামী রতন শিকদার। পরকীয়ার জেরে সংসারে নেমে আসে আমার ও আমার সন্তানদের উপর নির্যাতনের ইস্টিমরোলার। পরকীয়ার জেরে জান্নাত নামের সেই মেয়েকে বিবাহ করে। বিবাহের পর জান্নাতকে পাঠিয়ে দেয় জর্ডান নামক দেশে। এবার নির্যাতনের তীব্রতা শুরু হয় আরও যন্ত্রণাদায়কভাবে। শেষ পর্যন্ত প্রায় বিবাহযোগ্য মেয়ে ও ছেলেসহ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

আমি এখন কোথায় যাব? সারাজীবন কষ্টে অর্জিত অর্থ দিয়ে যে বাড়ি বানিয়েছিলাম স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে, সেটাও আমাকে বঞ্চিত করল আমার স্বামী রতন শিকদার। আমি আমার সেই সোনার সংসার ফিরে পেতে এবং সন্তানদের কল্যাণে তাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। বর্তমানে আমি ঝিনাইদহ শহরে সন্তানদের নিয়ে মামার বাড়িতে অবস্থান করছি।

কন্যা সন্তান মরিয়মের কাছে জানতে চাইলে ক্রন্দনরত অবস্থায় বলেন, আমরা পিতার কাছে আমার মাকে নিয়ে আগের মতো করে বাঁচতে চাই। আমরা কী অপরাধ করেছি? আমাদের বাবা-মাকে একসাথে সংসার জীবনে দেখতে চাই।




দামুড়হুদা উপজেলা প্রস্তাবিত মুক্তিযোদ্ধাদের এডহক কমিটি গঠিত

দামুড়হুদা উপজেলা প্রস্তাবিত মুক্তিযোদ্ধাদের এডহক কমিটি গঠিত হয়েছে। গত শনিবার দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিসে বিকাল ৪টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুল আলমকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানকে সদস্য সচিব এবং সদস্যরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলদার হোসেন।

প্রস্তাবিত এ কমিটি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অনুমোদন দেওয়ার পর পূনার্ঙ্গ কমিটি নিবার্চিত হবে বলে জানান আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুল আলম।




আলমডাঙ্গায় ফ্রি ডেন্টাল মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গায় ফ্রি ডেন্টাল মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল আলমডাঙ্গা পোস্ট অফিসের সামনে এই ফ্রি ডেন্টাল মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলাকার অসহায় দুস্থ মানুষের সেবায় মেডিপ্লাসের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিলন। উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এই ফ্রি ডেন্টাল মেডিকেল ক্যাম্পে সেবাদানকারী চিকিৎসকরা হলেন মূল উদ্যোক্তা ডাক্তার সুব্রত প্রমানিত, ডাক্তার তাহমিদ আশরাফ, ডাক্তার বিতাশী চক্রবর্তী।

ডাক্তার সুব্রত প্রমানিত বলেন, আমার এলাকার অসহায় দুস্থ মানুষের চিকিৎসা সেবায় আরও বৃহৎ পরিসরে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। আমি এবং আমার বন্ধু চিকিৎসকদের সাথে নিয়ে শুরু করছি। পরবর্তীকালে এই রকম ফ্রি ডেন্টাল মেডিকেল ক্যাম্প চলমান থাকবে বলে আশা করছি।




দর্শনা স্টেশনে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতি দিলো রেলপথ মন্ত্রণালয়

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণ হলো দর্শনাবাসির। ঢাকা গামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের স্টপেজ হল্ট স্টেশনে যাত্রা বিরতি প্রদান করলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়। এই উপলক্ষে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দর্শনা রেলবাজার মুক্ত মঞ্চে ছাত্র জনতার উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা ও আনন্দ শোভাযাত্রা মিষ্টিমুখ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব দিপন দেবনাথ স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করেন।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা হল্ট স্টেশনে খুলনা-ঢাকাগামী ৭২৫ আপ সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ২ মিনিটের যাত্রা বিরতি প্রদানের বিষয়ে মতামত প্রেরণ করেছেন মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে। এমতাবস্থায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা হল্ট স্টেশনে খুলনা-ঢাকাগামী ৭২৫ আপ সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি প্রদানের বিষয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। রেল মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র জারি হওয়ার পর বাংলাদেশ রেলভবনে থেকে পরিপত্রটি গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বৈষমী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক তানভীর অনিক, সহকারি সদস্য সচিব তনময় হাসান তৌহিদ, সদস্য নাঈম শেখ।

বিকালে এই খবর দর্শনায় পৌঁছালে সন্ধ্যায় দর্শনা রেলবাজার মুক্তমঞ্চে একটি আলোচনা সভা ও আনন্দ শোভাযাত্রা মিষ্টিমুখ অনুষ্টিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, চুয়াডাঙ্গা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদ হাসান রিফাত। বক্তব্য রাখেন, দর্শনা পৌর জামায়াত ইসলামীর আমির সাইকুল আলম অপু, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিম লিংকন, দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম সোহান প্রমুখ।

আলোচনা শেষে দর্শনা মুক্ত মঞ্চ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে দর্শনা-মুজিবনগর সড়ক পরিদর্শন করে দর্শনা হল্ট স্টেশন এ শেষ হয়। পরে ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষের সবার মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুরে তহবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ

মেহেরপুর বড়বাজার ব্যবসায়ীদের সংগঠন তহবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তহবাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনির্বাচিত কমিটির সকল সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে এডহক কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আহসান হাবিব নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, এডহক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আনোয়ারুল হক কালু। এসময় এডহক কমিটির সদস্য মোঃ আফতাব আলী, হাফিজুর রহমান ও আঃ সোহান উপস্থিত ছিলেন।

নবনির্বাচিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে শপথ নেন হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলাল মালিথা, সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে আলামিন, সহ-সভাপতি হিসেবে শামীম হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে লিটন মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে সাহেব আলী, দফতর সম্পাদক হিসেবে ফেরদৌস আলী, অর্থ সম্পাদক হিসেবে আব্দুল মতিন, ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে আলহামদো শপথ গ্রহণ করেন। নির্বাহী সদস্য ইউনুস আলী, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী ও মোঃ স্বপন শপথবাক্য পাঠ করেন।

শপথ গ্রহণ শেষে নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে সমিতির উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। পাশাপাশি সমিতির সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে নতুন কমিটির হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়।




মেহেরপুরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরে বসত বাড়ির দ্বিতীয় তলা নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে নুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে তার নিজ বাড়ির সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নুর ইসলাম নতুন শেখ পাড়ার বাসিন্দা।

নুর ইসলাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২১ আগষ্ট আমার নামে বাড়ি নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে শারমিন সুলতানা নামের এক নারী। শারমিন সুলতানা আমার সম্পর্কে সাংবাদিকদের যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা বলেছে।

শারমিন, লিপি আক্তার, মিঠুন এবং রিমা খাতুন আমাকে হুমকি-ধামকি দেয়। রিমা বলে, আমাদের পরিবারে আমার স্বামী, ভাই, দুলাভাই, চাচাসহ অনেকে পুলিশে চাকরি করে। সেজন্য তারা ক্ষমতা দেখায়। শারমিনের স্বামী মিঠুন ফেসবুকে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর বক্তব্য প্রচার করে যা মানহানিকর।

তারা পৌরসভার প্লান মোতাবেক বাড়ি নির্মাণ না করাই পৌরসভাতে আমি লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ করার কারণে তারা আমাকে হুমকি-ধামকি দেয় এবং গালিগালাজ করে। এছাড়াও তার আত্মীয় স্বজন পুলিশে চাকরি করে এবং আমাকে দেখে নেবে বলেও হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আমি সদর থানায় একটি জিডি করি। যার নং-১৫৭৮।

পৌরসভা আমাদের উভয়পক্ষকে মীমাংসার জন্য ডাকে কিন্তু তারা পৌরসভার আদেশ অমান্য করে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করে। অবশেষে আমি বিজ্ঞ আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করি। আদালত থানার মাধ্যমে ১৪৫ ধারা জারি করে। আদালত নির্দেশ দেয় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে। পরে সদর থানার এসআই দেবদাস মন্ডল এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। তার বাড়ি নির্মাণ করার সময় বাড়ির পিলার সঠিক জায়গায় থাকলেও উপরের ছাদ ১৮ ইঞ্চি বাড়িয়ে দিয়েছে। যা আমার সীমানার কাছাকাছি চলে এসেছে।

আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান চাই এবং আদালতের মাধ্যমে এর সমাধান চাই। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটিই আমি মেনে নেব।




অস্ট্রেলিয়ায় কাউন্সিলর পদে লড়ছেন মেহেরপুরের মাসুম বিল্লাহ

‘আমরা মাসুম ভাইকে নিয়ে গর্বিত যে বাংলাদেশী একজন প্রবাসে এসে অস্ট্রেলিয়ার মধ্যবর্তী একটা শহরে বাংলাদেশী কম হওয়ার পরেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।আমরা আনন্দিত এবং তার সফলতা কামনা করছি।’ অস্ট্রেলিয়ায় কাউন্সিলর পদে লড়ছেন মেহেরপুরের মাসুম বিল্লাহ।

অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহর নর্দান টেরিটোরির এলিস স্প্রিংস এর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লাহ। এই নির্বাচনে শহরটিতে বসবাসরত প্রথম কোনো প্রবাসী বাংলাদেশী এবং মুসলিম প্রার্থী যিনি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মাসুম বিল্লাহ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জেলা মেহেরপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড নতুন পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। চার বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ।

সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লাহ অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশী এবং মুসলিম কমিউনিটির কাছে খুব পরিচিত একটি মুখ। তিনি টাউন কাউন্সিল নির্বাচনে সিটি কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় স্থানীয় বাংলাদেশী এবং মুসলিম কমিউনিটি বেশ উচ্ছ্বসিত।

এলিস স্প্রিংস মুসলিম কমিউনিটির সভাপতি সাইদ মালিক বলেন, ‘আমাদের মুসলিম কমিউনিটি থেকে প্রথম প্রার্থী হিসেবে মাসুম বিল্লাহ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এজন্য আমরা আনন্দিত এবং আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি তাকে নির্বাচনে বিজয়ী করার জন্য।’

প্রবাসী বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মাসুম ভাইকে নিয়ে গর্বিত যে বাংলাদেশী একজন প্রবাসে এসে অস্ট্রেলিয়ার মধ্যবর্তী একটা শহরে বাংলাদেশী কম হওয়ার পরেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমরা আনন্দিত এবং তার সফলতা কামনা করছি।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘সবসময় আমরা ভোট দেই অন্যদেরকে, কিন্তু এবার প্রথম আমাদের নিজস্ব প্রার্থী হওয়াতে আমরা নিজেদের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছি এবং অন্যদের কাছে ভোট চাচ্ছি ও ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছি। আমরা আশা করছি আমাদের সফলতা আসবে।’

কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে স্থানীয় ও প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করবো। প্রবাসী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মিলেমিশে থাকার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করবো এবং বাংলাদেশের সাথে আমাদের অস্ট্রেলিয়ার এই শহরের একটা সিস্টার কনসার্ন কানেকশন করার চেষ্টা করবো।’

মাসুম জানান, তার প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা, জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং এলিস স্প্রিংস শহরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রক্ষা করে বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলা।

উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এলিস স্প্রিংস এর স্থানীয় সরকার নির্বাচন, নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হবে ২৩ আগস্ট। শহরটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার। এবার সাতজন প্রার্থী মেয়র পদে এবং ২৫ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে একজন মেয়র পদে এবং আটজন কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হবেন।