দর্শনায় সাংবাদিক চঞ্চল মেহেমুদকে শারিরীক নির্যাতন করায় প্রতিবাদ সভা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। দৈনিক পশ্চিমঅঞ্চল এর সংবাদকর্মী ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি চঞ্চল মেহেমুদকে কৌশলে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও অপমান করা হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে।

সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ডায়াপ্যাথ কোম্পানির সাবেক প্রধান নির্বাহী মো. বজলুর রহমানের কাছে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মো. মহিদ জোয়ার্দারের ইন্ধনে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। সেখানে সাংবাদিক চঞ্চল মেহেমুদকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়।

এ মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাবে এক জরুরি সভা বসে। প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ইকরামুল হক পিপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও ধিক্কার জানানো হয়। সর্বসম্মতিক্রমে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমনে,র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান ধীরু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান আলী, জাহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, রাজিব মল্লিক ওয়াসিম রয়েল, সুকমল চন্দ্র দাস বাঁধন, আব্দুল হান্নান, ইমতিয়াজ রয়েল, সাব্বির আলীম, ফরহাদ হোসেনসহ অনেকেই।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন সাংবাদিকরা জাতির দর্পণ। সমাজের অসঙ্গতি, দুর্নীতি ও অন্যায়কে তুলে ধরতে গিয়ে বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তারা। কিন্তু কলমের শক্তিকে রুখে দেওয়া যায় না। চঞ্চল মেহেমুদের ওপর হামলা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ নয়, বরং গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের নোংরা প্রয়াস।

সভায় বক্তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্র বা হামলায় তারা দমে যাবে না। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।




“আমরা আলমডাঙ্গার সন্তান” সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

আলমডাঙ্গায় সামাজিক সংগঠন ‘আমরা আলমডাঙ্গার সন্তান’ এর উদ্যোগে “সবুজায়ন ও সৌন্দর্য্যবৃদ্ধি” কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা সরকারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, শেখ আব্দুল জব্বার,খোঃ শান্তন , শেখ আমিনুল ইসলাম (লিন্টু), মোশতাক আহমেদ (অঞ্জন), মেহেদী হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহেল, খোঃ এনায়েত সালেহীন (খসরু), রেজোয়ানুল আবেদ তুষার, খোঃ আলিফ, মাহাদী হোসেন মহান সহ আরও অনেকে।

ঢাকাস্থ আলমডাঙ্গার বসবাসকারী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজ জন্মভূমির জন্য ভাল কিছু করার প্রত্যাশা নিয়ে গড়ে তুলেছে সামাজিক সংগঠন আমরা আলমডাঙ্গার সন্তান। “আলমডাঙ্গার মানুষের মঙ্গলের জন্য,সেবামূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে এগিয়ে যাবে এই সংগঠন ” বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সংগঠনের সদস্যরা ও সমাজের সুধীজন।




জীবননগরে জেলা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে পূজা পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধ্যক্ষ,জেলা বিএনপি ও বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু’র উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জীবননগর,দামুড়হুদা,চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা,দর্শনা থানা সহ তিতুদহ-বেগমপুর-গড়াইটুপি ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সাথে শারদীয় দুর্গা উৎসব শেষে পূজা পূর্ণমিলনী ও মতবিনিময় সভা করেন।

শুক্রবার সকাল ১১ টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু’র আন্দুলবাড়ীয়াস্থ নিজ বাসভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদে বাবু জয়ন্ত কুমার সিংহ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ মিল্টন,জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী। উক্ত অনুষ্ঠান শেষে চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের মধ্যে ৫৬ টি পূজা মন্ডপে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন

উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,জেলা হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান ফান্ডের সভাপতি উৎপল বিশ্বাস,জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম দেবনাথ,বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু হেমন্ত কুমার সিংহ রায়,বাবু সুরেশ কুমার আগরওয়ালা,যাদব কুমার প্রামানিক,স্বপন চক্রবর্তী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা পলাশ কুমার সাহা,জীবননগর উপজেলা কমিটির বাবু রমেন কুমার বিশ্বাস,জীবননগর উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি সুশান্ত সাহা,সাবেক সভাপতি বিজয় কুমার হালদার,দর্শনা পৌর থানা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু স্বরূপ কুমার দাস,গীতা পাঠ করেন পুরোহিত স্বপন চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আগামিতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে এলাকায় উন্নয়ন মূলক কাজ করবো।

কোন জাতি গোষ্ঠী নয় সমাজে আমরা একে অপরের হয়ে থাকবো।

মুসলিমরা যেমন ঈদগায় যেয়ে নামাজ পড়ে সেখানে কোন পাহারাদার দিতে হয় না। তা হলে পুজা হলে কেন মন্দির পাহারা দিতে হবে।এগুলো আমাদের সচেতনতার অভাব এগুলো সব ঠিক হয়ে যাবে তার জন্য আমাদের সকলকে ভালো মনের মানুষ হতে হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু হেমন্ত কুমার সিংহ রায় ও বাবু নারা ।




মেহেরপুরে ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সাহিত্য বাসর

মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর এর আয়োজনে মাসিক সাহিত্য বাসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে মেহেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সভাপতি অ্যাড. এম. আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি নূরুল আহমেদ, নাট্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান এবং উপদেষ্টা মীর রওশান আলী মনা।

সাহিত্য বাসর পরিচালনা করেন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সাধারণ সম্পাদক মেহের আমজাদ। কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন কবি ম. গোলাম মোস্তফা, এস. এম. এ. মান্নান নূর আলম, আবু লায়েছ লাবলু, সাদিকুজ্জামান সেন্টু, মোঃ শাহজাহান, নূর হোসেন, শহিদুল ইসলাম কানন, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর নিয়মিত সাহিত্যচর্চার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরসহ সারাদেশে সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে।




গাংনীতে কৃষক-শ্রমিকের অধিকার নিয়ে এনসিপির মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষক-শ্রমিকের অধিকার নিয়ে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে কৃষক-শ্রমিকের অধিকার নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ও এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ।

এসময় তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশে নতুন সংবিধানের মাধ্যমে কৃষক-শ্রমিকের হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় কৃষকরা সারের অপ্রতুলতা, সরকারি বীজ ও প্রণোদনা না পাওয়া, কৃষিতে সিন্ডিকেটসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন।

তিনি কৃষক-শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং প্রান্তিক জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার ওপর জোর দেন। সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ, কৃষি ও শ্রমিক সমাজের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

আমীর হামজার পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক সাজিদুর রহমান, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, গাংনী উপজেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী সবুজ রানাসহ আরো অনেকেই।




আলমডাঙ্গায় জমি বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারীসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে কেশবপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জিয়াউর রহমান (৪০) দা’র আঘাতে রক্তাক্ত জখম হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের মৃত দেলবার মণ্ডলের ছেলে জাদু-কদু-মধুদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে সাত কাটা জমি ক্রয় করেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু দীর্ঘদিন জমি দখল বুঝে না পাওয়ায় তিনি কোর্টে মামলা করেন। এর ধারাবাহিকতায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

এদিকে বিকেল ৩টার দিকে ফের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় ঘরবাড়ি ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন মৃত দেলবার হোসেনের ছেলে কদু আলী (৪৫) এবং সোনাউল্লাহর স্ত্রী ফিছবি (৫৫)। স্থানীয়রা তাদেরকেও উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বর্তমানে কেশবপুর গ্রামে পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। উভয় পক্ষই মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে অবগত আছি এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আলমডাঙ্গা মাধবপুরে বিদেশ ফেরত মোহরের আত্মহত্যা

আলমডাঙ্গা ডাউকি ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে কম্বোডিয়া ফেরত মোহর আলির (৩২) মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার মাধবপুর গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে মোহর আলি এক বছর আগে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ভাগ্যের চাকা সচল করতে কম্বোডিয়ায় পাড়ি দেয়।

৮ মাস থাকার পরে তার পেটে আলসার ঘা ধরা পড়ে।পেটের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে মেডিকেল আনফিট দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।গত চার মাস আগে বাড়ি এসে অর্থ শুন্য হয়ে হতাশ গ্রস্ত হয়ে পড়ে।

গতকাল শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া মাঝেরপাড়া শশুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে মাথা ঘুরে পড়ে যায়এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

গ্রামবাসীর অনেকের ধারণা মোহর আলি বিষপানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।বিদেশ থেকে ফিরে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হওয়ায় সংসারে অশান্তি, পেটে আলসার ঘা জন্য শারিরীক কষ্টের কারনে মোহর আলি আত্মহত্যার করেছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।

এব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান বলেন কিছুটা সন্দেহের কারনে লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা হসপিটালের পাঠানো হবে।




মুজিবনগরে আমিরুল ইসলামের গণসংযোগ ও পথসভা

মেহেরপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নসহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে গণসংযোগের উদ্দেশ্যে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে পৌঁছালে ভবানীপুর গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। তিনি মোনাখালী ইউনিয়নের ভবানীপুর, রামনগর, গোপালনগর, দারিয়াপুর ইউনিয়নের গৌরীনগর, মহিষনগর, গোপিনাথপুর এবং পুরন্দরপুর গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ, পথসভা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় সাধারণ জনগণের মাঝে তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নসহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রদানে জনগণকে উৎসাহিত করেন তিনি। এ সময় মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জাতীয়তাবাদী দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার অঙ্গীকার করেন।

গণসংযোগকালে পথসভায় বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “১৬ বছর আওয়ামী লীগের জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন একটি দেশ পেয়েছি। আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের সফলতা নিয়ে আসবেন।”
তিনি আরও বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যাকে ধানের শীষের প্রতীক দিয়ে আমাদের মাঝে পাঠাবেন আমরা তার হয়ে একযোগে ধানের শীষের পক্ষে ভোট করে তার বিজয় সুনিশ্চিত করব।”

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী, মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রায়হান কবীর, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান টুটুল, দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফাহিম আহনাফ লিংকনসহ মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীবৃন্দ।

এছাড়াও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় দশমী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে নওজোয়ান সংঘ জয়ী

দামুড়হুদার দশমী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে নওজোয়ান সংঘ বনাম দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে সেমিফাইনালের প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪ টার দিকে দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় নওজোয়ান সংঘ ১ – ০ গোলে দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবকে পরাজিত করে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন নওজোয়ান সংঘের ১০ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সুমন।রেফারি হিসাবে ছিলেন লিটা হোসেন, পারভেজ, ইমাম হোসেন। ধারাভাষ্য ছিলেন শামীম খাঁন।

এসময় মাঠে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন ও ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক একরামুল হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম – সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম- আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আফজালুর রহমান সবুজসহ আব্বাস, জানু, হাফিজুর, জাহাঙ্গীর, মামুন, রাজু, সজিব, খরসেদ, দিপু, টগর, শুভ, ইউনুস, জিল্লু, আশিক প্রমূখ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন টুর্নামেন্ট কমিটির যুগ্ম- আহবায়ক আমিনুল ইসলাম রশিদ।




আলমডাঙ্গা একাডেমির কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ

আলমডাঙ্গা একাডেমির কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮ টার সময় একাডেমিক প্রাঙ্গণে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

২০২৪ সালের সালের এস.এস.সি. পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত, ২০২৫ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় জি.পি.এ ৫.০০ প্রাপ্ত ও বৃত্তি প্রাপ্ত সহ মেডিকেল কলেজ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাডেট কলেজে চান্সপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা-২০২৫ দেওয়া হয়।

উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়রা শারমিলা ও নুসরাত জাহান মীম এর উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ মোঃ মফিজুর রহমান।

আলমডাঙ্গা একাডেমির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও দর্শনা ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ ড: আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজসেবা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আবু তালেব,আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ সহকারী অধ্যাপক ড: মাহাবুব আলম।

এছাড়াও কৃতি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাসিন আবরার, মিসবাউল হক অনন, হামিম রেজা, তাফিয়া নুর অন্তি, নানজিবা রাইসা সিনথিয়া, ইকবাল মাহমুদ সানভী বক্তব্য দেয়। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন: মিসবাউল হক অনন এর পিতা মোঃ এনামুল হক।

উক্ত অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের এস.এস.সি. পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত, ২০২৫ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় জি.পি.এ ৫.০০ প্রাপ্ত ও বৃত্তি প্রাপ্ত সহ মেডিকেল কলেজ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাডেট কলেজে চান্সপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

২০২৪ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় ১ জন ট্যালেন্টপুল, ১০ জন সাধারণ গ্রেড প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, ২০২৫ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় ৮৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৭ জন জিপিএ ৫.০০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, তার মধ্যে ১০ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ০৭ জন, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ০২ জন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ০৮ জন এবং ক্যাডেট কলেজে ০৪ জন শিক্ষার্থীদেরকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে পরিচালনা পরিষদের সকল সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক/অভিভাবিকা মন্ডলী এবং সুধী জন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন দেশ গড়ার লক্ষ্যে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,শিক্ষার উপযোগী পরিবেশ একান্ত প্রয়োজন।শিক্ষার্থীদের অনুশাসনের পাশাপাশি স্নেহময় শীতলতা অবগাহন একান্ত প্রয়োজন। আলমডাঙ্গা একাডেমি দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাফল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।