ধর্ষণকে ধর্ষণ বলুন, নারী নিপিড়ন নয়!

বাংলাদেশে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ‘ধর্ষণ’ শব্দটির পরিবর্তে ‘নারী নির্যাতন বা নিপীড়ন’ শব্দ ব্যবহার করার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ” ধর্ষণ শব্দটা ব্যবহার করবেন না প্লিজ, আমাদের শুনতে খুব খারাপ লাগে। আপনারা নারী নির্যাতন বলবেন, নারী নিপীড়ন বলবেন। আমাদের যে আইনটা আছে এটা নারী ও শিশু নির্যাতন। মূল হেডিং নারী ও শিশু নির্যাতন আইন। সো, যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে আমরা না বলি।”

ডি এম পি কমিশনারের শব্দটি ভালো না লাগতেই পারে। কোন শব্দটা তার ভালো লাগবে আর কোনটা ভালো লাগবে না সে অধিকার তার আছে। তাই বলে কীভাবে তিনি এই অদ্ভুত ও অমূলক অনুরোধটি করলেন, তা আমার বোধগম্য নয়। আইন, আইনের ব্যাখ্যা ও শাস্তি সম্পর্কে তার স্পষ্ট ধারণা আছে নিশ্চয়ই । ধারণা থাকা স্বত্বেও তার শুনতে ভালো লাগছে না বলে তো সংজ্ঞা ও শাস্তি পাল্টে যাবে না। ধর্ষণ শব্দটা শুনতে ভালো না লাগলে, ধর্ষণ বন্ধ করুন, তা না করে ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধকে ’নারী নির্যাতন’ বলে হালকা করার চেষ্টা করছেন কেন?

নারী নির্যাতন শব্দটি নানান অর্থে ব্যবহার হতে পারে। শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও যৌন হয়রানি। একজন নারীকে চড় মারা, কোনও নারীকে যদি শ্লীলতাহানি করা হয়। গায়ে হাত দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ, যদি তাঁর সঙ্গে কোনও ধরনের লিঙ্গবৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। নারীর আয় কেড়ে নেওয়া, নারীকে বিশ্রাম ও বিনোদনের সুযোগ না দেওয়া, প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে না দেওয়া, হাত খরচ না দেওয়া, মৌখিকভাবে লাঞ্চনা করা, অপমান করা, যৌতুক দাবি করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলা সবই অপরাধ। এমনকি নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে অতিরিক্ত পোশাক পরানো বা নগ্ন করাও অন্যায়। এই সবগুলোই নারী নির্যাতনের মধ্যে পড়ে। প্রতিটি নিগ্রহের চেহারা কিন্তু আলাদা।

ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত হলেও দুটো একই জিনিস নয়। ‘‘নির্যাতন একটা বড় স্পেক্ট্রাম, যার একেবারেই সুনির্দিষ্ট একটি অপরাধ হচ্ছে ধর্ষণ, আরও অন্যান্য যে অপরাধ আসলে নারী নির্যাতনের মধ্যে পড়ে। কাজেই ধর্ষণকে ‘নারী নির্যাতন’ বললে আসলে বড় দাগে এটিকে সুনির্দিষ্ট ভাবে দায়সারা হয় বা হালকা কীা হয়, সেটা একেবারোই উচিত হবে না। কারণ শব্দের মারপেঁচে অপরাধ আইনের ফাঁক ফোঁকরে বেরিয়ে আসতে পারে। পাশাপাশি আইনে যে বিষয়টি রয়েছে এটা কিন্তু নারী নির্যাতন বলতে কী বুঝায় এবং ধর্ষণ বলতে কী বুঝায়, তার সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। কাজেই যদিও ডিএমপি কমিশনার বলেছেন- নারীর সম্মানার্থে। তার উদ্দেশ্য অবশ্য ইতিবাচক হলেও সুযোগ সন্ধানি হয়ে যাবে অপরাধীরা। আসলে এটি ব্যবহার করার কোনও সুযোগ আইনগতভাবে নাই। ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে এবং ধর্ষণসহ অন্যান্য সব অপরাধ যেগুলো নারী নির্যাতনের আওতায় পড়ে, সেগুলোকে গুচ্ছভাবে নারী নির্যাতন বলতে হবে। সেই জায়গাটাতে স্পষ্ট করা খুব জরুরি।’’

আইনজীবীরা বলছেন, ধর্ষণ, ইভ টিজিং (উত্যক্ত করা) বা হয়রানি- এসব অভিযোগে সুনির্দিষ্ট শাস্তি রয়েছে। তবে দেশের আইন শক্ত হলেও সংজ্ঞার ভুল ব্যাখ্যা ও ব্যবহারের কারণে ভুক্তভোগীর বিচার পাওয়া অনেক সময় দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়।

আমাদের দেশের আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞায় ভুল রয়েছে। প্রেমের প্রলোভন দেখানো- এটাকেও ধর্ষণের সংজ্ঞায় ঢুকিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ এফআইআরে যখন লেখা হয় বিয়ের প্রেমের নামে প্রতারণা বা শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে, এর ফলে যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা হলো ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকেও খর্ব করা হয়েছে।”

দেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এ নারীর শ্লীলতাহানি, যৌন পীড়নের দণ্ড হিসেবে যেমন সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড রয়েছে, তেমনি দণ্ডবিধি বা পেনাল কোডসহ অন্যান্য বিভিন্ন আইনে বিভিন্ন মেয়াদী দণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডের শাস্তিও রয়েছে।

একটু ফিরে দেখি, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সারা দেশে ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ৪০১ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৪ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন সাত জন। ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন ১০৯ জন। এর মধ্যে একজনকে ধর্ষণচেষ্টার পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালে ২১ জন নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র – আসক এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৯ জন নারী। এদের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২১ টি এবং দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮ জন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর ওয়েবসাইট ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) গবেষণা প্রতিবেদনে নারী নির্যাতনের নানা তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে ধর্ষণের শিকার ৫৭ জনের মধ্যে ১৬ জন শিশু, ১৭ জন কিশোরী রয়েছেন। অন্যদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিন জন কিশোরী ও ১৪ জন নারী, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন দুই জন নারী। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ১৯টি, যৌন হয়রানি ২৬টি, শারীরিক নির্যাতনের ৩৬টি ঘটনা ঘটেছে এই মাসে।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত মার্চে চারদিনের সংবাদ পর‌্যালোচনা করলে দেখা যায় শিশু, গর্ভবতী নারী, বিশেষভাবে সক্ষম নারী, কেউই রেহাই পাননি যৌন নির্যাতন থেকে।

৬ মার্চ: মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশু (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম), ৭ মার্চ: চিপস কিনে দিয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ (বাংলা ট্রিবিউন) ৮ মার্চ: খাবার ও বেলুনের লোভ দেখিয়ে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার (প্রথম আলো), ৮ মার্চ: ফরিদপুরে সাইকেলে ঘোরানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, কিশোর আটক (যমুনা টেলিভিশন), ৮ মার্চ: শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, সালিসে দেড় লাখ টাকা জরিমানা, বাকি ৫৮ হাজার (আজকের পত্রিকা), ৯ মার্চ: এবার গাজীপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণও করলো ধর্ষক (ঢাকা ট্রিবিউন), ৯ মার্চ: সীতাকুণ্ডে সৈকতে বন্ধুকে বেঁধে রেখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মায়ের মামলা (আজকের পত্রিকা), ৯ মার্চ: নরসিংদীতে ৩ দিন আটকে রেখে গর্ভবতী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ (যমুনা টেলিভিশন), গত দুই দিনে (বুধ ও বৃহস্পতিবার) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ২টি দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ১৪টি ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হয়েছে।এ থেকে আমরা কী বুঝি? ধর্ষণ কোন রকমেই থামছে না। ২০ মার্চ প্রথম আলোর তথ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে তিন ঘণ্টায় চার শিশু-কিশোরীসহ পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ধর্ষণ কী আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়ে মহামারী আকার ধারণ করছে না কি প্রকাশ পাচ্ছে? আমার ধারণা ধর্ষণ আগের মতই হচ্ছে। এখন মিডিয়ার বদৌলতে বা মানুষ সচেতনতার কারণে ধর্ষণ প্রকাশিত হচ্ছে জনসম্মুখে।

ধর্ষনের মতো অপরাধ যারা করছে তারা সমাজে ঘুরে বেড়াবে, আর যারা নির্যাতনের শিকার তাদের কাঁদতে কাঁদতে বিচার চাইতে হবে। সমাজে এমনটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এই পরিস্থিতিকে আমাদের পরিবর্তন করতেই হবে। যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিগত বছরগুলোতে যেমন বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিল, সেটা থেকে আমাদের বের হতেই হবে।’

আইন কানুন যা আছে তা আছে, তবে আসল কথা পুরুষদের মাইন্ড-সেট বা মানসিকতায় আনতে হবে পরিবর্তন । নারীদের যে একটা আলাদা ব্যক্তি পরিচয় আছে, সেটাকে সম্মান দিতে হবে৷ মহিলা বলেই তাঁকে অন্য চোখে দেখতে হবে, এ কেমন কথা? এখানে সরকারের চেয়ে বড় ভূমিকা পুরুষ নাগরিক সমাজের।”

ধর্ষণ প্রতিরোধে করনীয়
যে কোনো পরিস্থিতিতে নিরাপদে থাকার দায়িত্ব প্রথমত ব্যক্তির নিজের। যৌন সহিংসতা, এর নেতিবাচক প্রভাব, শাস্তি এবং করণীয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য এবং সচেতনতা প্রাক-কৈশোর ছেলেমেয়েদের থাকা জরুরি, কারণ সচেতনতা মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে। এই বয়সেই পরিবারে এবং স্কুলে ‘লিঙ্গের ভিন্নতা/যৌনতা এবং সম্পর্ক (ংবী ধহফ ৎবষধঃরড়হংযরঢ়) বিষয়ে ছেলেমেয়েদের শিক্ষাদান সময়ের দাবি। এতে সুস্থ সম্পর্ক বিষয়ে ধারণা এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সম্মান-সহানুভূতি তৈরি হয়। যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তির করণীয়সমূহঃ

প্রথমত, ধর্ষণের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা। যেমন, অপরিচিত ব্যক্তি, অনিরাপদ/নিরিবিলি স্থান। পর‌্যবেক্ষণের মাধ্যমে পরিচিত-অপরিচিত ব্যক্তির যৌন উদ্দেশ্য সম্পর্কে বুঝতে চেষ্টা করা এবং সে অনুযায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া। আস্থাশীল বন্ধু তৈরি করা এবং দলে চলাফেরা করার চেষ্টা করা বিশেষ করে সন্ধ্যার পর। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রস্থান করা, দৌড়ানো এবং যত জোরে সম্ভব চিৎকার করে আশপাশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। মরিচগুঁড়ো/ঝাঁঝালো স্প্রে, প্রয়োজনীয় আত্মরক্ষামূলক হাতিয়ার সঙ্গে রাখা এবং প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা। বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করা।

যেমন, আক্রান্ত হবার আগেই চাবির গোছা, ব্যাগ বা হাতের কাছে যা আছে তা দিয়ে আক্রমণকারীকে আঘাত করা।
ধর্ষণ-পরবর্তী করণীয় এবং বিচার

ধর্ষণের শিকার নারীকে সহানুভূতির সঙ্গে সহযোগিতা করা একটা মানবিক দায়িত্ব। কারণ ধর্ষণ নারীর দোষে ঘটে না, বরং ধর্ষক একজন ভয়ংকর অপরাধী। এ সময় যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার চাপ সহ্য করা অনেকের জন্য কঠিন হতে পারে, যা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে পারে। জীবন অনেক মূল্যবান, তাছাড়া আত্মহত্যা কখনো সমস্যার সমাধান নয়। ধর্ষণের শিকার নারীর কঠোর নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করা অতি জরুরি। তার পরিচয়মূলক তথ্য কখনোই প্রকাশ করা যাবে না। ধর্ষণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ, কিন্তু ভুক্তভোগীর জীবনে ধর্ষণের তাত্ক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক-মানসিক-সামাজিক প্রভাবের তুলনায় প্রচলিত শাস্তির ধরনে পরিবর্তন দরকার মনে করি। যতদ্রুত সম্ভব অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সর্বচ্চো শাস্তি প্রদান করতে হবে। যাতে অপরাধের শাস্তি দেখে পরবর্তীতে অপরাধী অপরাধ থেকে দুরে থাকতে পারে।

দেশে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের পরিমাণ দিনদিন বেড়েই চলেছে। শিশুরা হলো জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার মূল হাতিয়ার। কিন্তু প্রতিদিনের খবরের কাগজে শিশু ধর্ষণের মতো ঘৃণিত অপরাধের কথা উঠে আসছে। বেশির ভাগ শিশুই ধর্ষিত হচ্ছে তাদের গৃহশিক্ষক, নিকটাত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের দ্বারা। শিশু ধর্ষণ সমাধানে করণীয় হচ্ছে-প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো, শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের সকলের মন-মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। তৃতীয়ত, এই জঘন্য অপরাধের জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মৃত্যুদন্ডই এই অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত।

পরিশেষে বলবো,ধর্ষণ, ধর্ষণই, এটা একটা সিরিয়াস অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। অতএব এখানে শব্দ নিয়ে তার সাহিত্যিক গুণাগুণ বিচার করার বিষয় না।দায়িত্বশীল পদে থেকে নারী নির্যাতনের আওতায় ধর্ষণকে সংজ্ঞায়িত না করার অনুরোধ করছি। ” ধর্ষণ নারীর সাথে সংগঠিত এমন একটা অপরাধ যেটার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, এটিকে ঢেকে বলার কিছু নেই। সাধারণ নারী নির্যাতনে শারীরিক নির্যাতন হয়, কিন্তু ধর্ষণে শুধু শারীরিক নির্যাতনই নয়, বলা হয় নারীর আত্মাকেও নির্যাতন করা হয়। অতএব, ধর্ষণ, ধর্ষণই। “




মেহেরপুরে দুটি পানির বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের জরিমানা ও স্থগিতাদেশ

মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়া এলাকায় ভেজাল ও অনিয়মের অভিযোগে ‘ফ্রেশ লাইফ ড্রিংকিং ওয়াটার’কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ‘হালাল ড্রিংকিং ওয়াটার’কে বাজারজাতকরণ স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান দুটিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন মেহেরপুর জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মামুনুল হাসান।

অভিযানে সহযোগিতা করেন মেহেরপুরের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. রিয়াজ মাহমুদ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. তারিকুল ইসলাম এবং পুলিশের একটি টিম।

মামুনুল হাসান জানান, ‘ফ্রেশ লাইফ ড্রিংকিং ওয়াটার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে ত্রুটি সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও ‘হালাল ড্রিংকিং ওয়াটার’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সাধারণ জনগণকে প্রতিষ্ঠানটির পানি না কেনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।




ভারতে পালানোর সময় চেকপোস্টে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজশাহীর তানোর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে তিনি পাসপোর্ট নিয়ে ইমিগ্রেশনে উপস্থিত হলে সফটওয়্যারে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার তথ্য পাওয়া যায়।

গ্রেফতার জুবায়ের ইসলাম (৫৮) রাজশাহীর তানোর উপজেলা সাদিপুরের মৃত আবু বাক্কারের ছেলে।

দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের টু-আইসি তারেক মাহমুদ জানান, চেকপোস্টে গমনেচ্ছু যাত্রীদের নিয়মিত তথ্য যাচাইয়ের সময় জুবায়ের ইসলামের বিরুদ্ধে রাজশাহীর তানোর থানায় দুটি নিয়মিত মামলার তথ্য ধরা পড়ে। পরে তাকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরে তানোর থানায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে জুবায়ের ইসলামের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ, হামলা, বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মামলা দুটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।




শেখ হাসিনা ফিরবে শিরোনামে গাংনীতে চিরকুট ও বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার

যেন গ্রাম ছেড়ে পালাতে না পারে… এমন লেখা একটি চিরকুট এবং লাল কসটেপ মোড়ানো বোমা সদৃশ বস্তু রেখে হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

আজ মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চরগোয়ালগ্রামে স্থানীয় একটি দোকানের সামনে থেকে এগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

তবে এগুলো আসল বোমা, নাকি স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য কোনো অসাধু চক্রের তৈরি, তা পর্যালোচনা করছে গাংনী থানা পুলিশ।

চিরকুটে লেখা রয়েছে: “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ফিরবে। শোন, আমরা চরগোয়ালগ্রামের মানুষ। আমরা কিন্তু খুব দূরে নই, নদীর এপার-ওপার আছি। তাই বিএনপির একটি লোক যেন গ্রাম ছেড়ে পালাতে না পারে…।”

স্থানীয়রা জানান, চরগোয়ালগ্রামের আলতাফ হোসেনের দোকানের সামনে একটি বোমা সদৃশ বস্তু ও একটি চিরকুট পড়ে থাকতে দেখে লোকজন জড়ো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বস্তু দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বানী ইসরাইল বলেন, “চরগোয়ালগ্রাম থেকে একটি বোমা সদৃশ বস্তু ও একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে কোনো চক্র এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এমন কর্মকাণ্ড করছে কিনা, সেটি আমরা গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করছি।”




মেহেরপুরের ট্রাকচালক সড়ক দুর্ঘটনায় পাবনায় নিহত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটী গ্রামের ট্রাক চালক সেলিম হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় পাবনা শহরের কাছে একটি পরিবহনের সাথে ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কায় ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় ট্রাকচালক সেলিম। নিহত সেলিম(৩৫) সাহারবাটী গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে।

সেলিমের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হাজী মোঃ ফরমান আলী নিশ্চিত করেছেন।

জানাগেছে, সেলিম হোসেন গত রাতে তার নিজস্ব ট্রাক ( ঢাকা মেট্রো্ ট-১৫-৮৬৭৯) তে পাথর বোঝাই করে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। ট্রাকটি পাবনা জেলা শহরের কাছাকাছি পৌছালে বিপরিত দিক দিয়ে দ্রতগামী পাবনা এক্সপ্রেস নামের একটি বাস মুখেমুখী ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সেলিম। ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। সেখান থেকে সেলিমের পরিবাকে জানানো হলে মরদেহ নিতে পাবনায় পৌছেছে।

গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান,বিষয়টি জেনে মরদেহ নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।




গাংনীতে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ; গণপিটুনি দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শাকিল হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে গাংনী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটলেও সন্ধ্যার দিকে ধর্ষক শাকিলকে আটক করে গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। শাকিল চাঁদপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আবদাল হকের ছেলে ও এক সন্তানের জনক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি তার বাবার জন্য চাঁদপুর গ্রামের দাইড়ির মাঠে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। পথের মধ্যে দেশীয় তৈরি অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে গলায় ধরে মাঠের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটি বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে, পরবর্তীতে বিষয়টি ওই শিশু তার পরিবারের সদস্যকে জানালে স্থানীয়রা যুবক শাকিলকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, ধর্ষক শাকিলকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

ভিকটিম ওই শিশুকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ সোমবার সকাল দশটার সময় জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত বক্তারা বিষদ ভাবে আলোচনা করেন আদালত সহায়তা, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ, মানব পাচার প্রতিরোধ, চোরাচালান নিরোধ সমন্বয়, সড়ক দুর্ঘটনা হতাহতদের নির্ভুল ও সমন্বিত পরিসংখ্যান প্রণয়ন, জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি, চোরাচালান নিরোধ, অনিস্পন্ন চোরাচালান মামলাসমূহ সম্পর্কে মনিটরিং সেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডাক্তার হাদী, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা আইসিটি) নয়ন কুমার রাজবংশী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আসলাম হোসেন সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ।




চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী পালন

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের আয়োজনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের আয়োজনে এই জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়।

রবীন্দ্র-নজরুলের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কবিতার দুই ধ্রুবতারা রবীন্দ্র-নজরুলের কাব্যদর্শনের উপর শীর্ষক সেমিনার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড.মুন্সি আবু সাইফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাংলাদেশের জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রত্যেকটা বাঙালি এবং মানুষের হৃদয়ে আছেন। তারা তাদের কাজের মাধ্যমে কবিতা মাধ্যমে উপন্যাস মাধ্যমে ছোটগল্প এবং সংগীতের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে বসে আছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন তারা অমর হয়ে থাকবেন প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে। তাদের রচিত প্রত্যেকটা কবিতার মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যায়। শিক্ষা সাহিত্য এবং রসে ভরা তাদের রচিত কবিতা উপন্যাস ছোটগল্প এবং সংগীত।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ফারজানা কেতকী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক সফিকুল ইসলাম। প্রবন্ধিক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আজিম হোসেন। অনুষ্ঠানে আলোচনা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হাসান।

সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রবীন্দ্র-নজরুলের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয় অর্জনকারীদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ ও অনান্য অতিথিবৃন্দ। পুরুষ্কার বিতরণী শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মুন্সি আবু সাইফ উপস্থিত সকলের ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




মুজিবনগরের মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইউপি প্রশাসক রকিব উদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে এ বাজেট ঘোষণা করেন। ঘোষিত বাজেটে মোট আয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯২ হাজার ১৭৮ টাকা।

বাজেট ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, ইউপি সদস্যবৃন্দ, মুজিবনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুন্সী ওমর ফারুক প্রিন্স, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আজিমুদ্দীন গাজী, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আরমান আলী, উপজেলা আমির মাওলানা খানজাহান আলী, উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল বাসার, উপজেলা সমাজকল্যাণ সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে পরিষেবা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতে বাজেটের সুষম বণ্টনের বিষয়েও আলোচনা হয়।

উল্লেখ্য, উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সাধারণ জনগণ সরাসরি মতামত ও পরামর্শ প্রদানের সুযোগ পান।




মুজিবনগরে শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস পালিত

গুডনেইবার্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি’র আয়োজনে মুজিবনগরে পালিত হয়েছে শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস।

সোমবার সকালে গুডনেইবার্স মেহেরপুর সিডিপি বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে গুডনেইবার্স মেহেরপুর সিডিপি’র ম্যানেজার বিপুল রেমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা।

গুডনেইবার্সের প্রোগ্রাম অফিসার রাসেল শেখের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিএমসি’র সভাপতি রেহেনা পারভিন, শিশু পরিষদের সভাপতি প্রত্যাশা মণ্ডল, সদস্য জুনায়েদ, সিডিসি সদস্য দীপ্তি কীর্তনিয়া, ‘নেইচার অ্যান্ড পিস ক্লাব’-এর সদস্য সুস্মিতা খাতুন প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে শিশু শ্রম প্রতিরোধ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।