দামুড়হুদায় জেলা বিএনপির সভাপতি বাবু খানের নির্বাচনী পথসভা

বিজিএমইএ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, “দিনের ভোট রাতে হয়ে গেছে, আপনার ভোট অন্য কেউ দিয়ে গেছে। ভোটকেন্দ্রে আমি, আপনি, আমরা কেউই যেতে পারিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচন আমাদের কাছে এক দুঃস্বপ্নের মতো। ওই নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে আমি প্রার্থী হয়েছিলাম। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন নির্ধারিত ছিল।

২৫ ডিসেম্বর এসপি সাহেব আমাকে ফোন করে বলেন, ‘বাবু সাহেব, কাল থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় যাবেন না।’ আমি জানতে চাই, কেন যাব না? তিনি বলেন, ‘আপনার নিরাপত্তা দিতে পারব না।’ তখন আমি বলেছিলাম, ‘আমি রাজনীতি করি, নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নিরাপত্তা দেওয়া বা না দেওয়া আপনার বিষয়, আমি ঠিকই প্রচারণায় যাব।’ ২৬ তারিখ উথলীতে প্রচারণায় গেলে আমার সঙ্গে থাকা কর্মীদের রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আসতে হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সহযোগিতা করেনি। হয়তো ২০১৮ সালে আমরা ভোট করতে পারিনি, কিন্তু আমাদের সংগ্রাম ও আন্দোলন বৃথা যায়নি।”

শনিবার (১ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্বাচনী পথসভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপি মনোনীত চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু। ওই দিন তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মোট সাতটি পথসভা করেন।

তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি প্রকাশ্যে দিবালোকে। কোনো দলের মতো গোপনে রাজনীতি করিনি, দলের ভেতর দল তৈরি করিনি। আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী, প্রকাশ্যে সব সময় একই কথা বলেছি আমরা বিএনপি করি, জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি। আমরা কারও গোয়েন্দাগিরি করিনি, আমাদের ইমান বিক্রি করিনি, কেবলা পরিবর্তন করিনি। যারা আজ আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, তারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।”

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, “১৯৭১ সালে তাদের ভূমিকা আমরা জানি। এখন তারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য মায়াকান্না করে। যারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, তাদের এই মায়াকান্না আসলে এক ধরনের বিভ্রান্তি। এ কারণেই তারা উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য কিংবা কৃষির কথা বলে না। তারা শুধু বলে ‘বেহেশতের টিকিট বিক্রি’ এসব অচল কথা। এসব এখন আর চলে না। কীভাবে বেহেশতে যাওয়া যায়, তা আমরা জানি।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিলটন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলি ভুট্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম টুটুল প্রমুখ।




মুজিবনগরে মাসুদ অরুণের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর বাজারে গণসংযোগ ও বিএনপির ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেছে জেলা বিএনপি।

শনিবার বিকেলে দারিয়াপুর বাজারে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণের নেতৃত্বে এই গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ, বিএনপি নেতা নাসির মেম্বার, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসানাত আফরোজ, জেলা যুবদলের সহসভাপতি বাবু সাবের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর সুজন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব নওশেদ আহমেদ রনি, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক তৌফিক এলাহীসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পেলেন নাজমুল হক

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নাজমুল হক।

তিনি বর্তমানে মেহেরপুর জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।

কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবসরজনিত ও মৃত্যুজনিত কারণে কয়েকটি পদ শূন্য হওয়ায় সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে সংগঠকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি ওয়েছ আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নাজমুল হকের সাংগঠনিক দক্ষতা ও কার্যক্রমের ভিত্তিতে গত ২৫ অক্টোবর উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তাকে নির্বাহী সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।




ঝিনাইদহে জামায়াতের কার্যালয় থেকে সরকারি প্রণোদনার সার-বীজ উদ্ধার

ঝিনাইদহের এক ইউনিয়ন জামায়াতের কার্যালয় থেকে মজুদ রাখা সরকারি প্রণোদনার সার-বীজ উদ্ধার করেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।

গতকাল শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার সুরাট বাজারে সুরাট ইউনিয়ন জামায়াতের কার্যালয়ে এই অভিযান পরিচালনা করে কৃষি বিভাগ।

জানাগেছে, গত ১৬ অক্টোবর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রায় ৫হাজার কৃষকের মধ্যে সরকারি প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণ করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সার-বীজ না পাওয়া কৃষকরা জামায়াত ইসলামীর দলীয় কার্যালয়ে সার-বীজের মজুদের খবর পেয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষোভের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে অভিযান চালায় কৃষি বিভাগ।

স্থানীয় কৃষক নাসির মন্ডল বলেন, উপজেলা থেকে কৃষকদের জন্য বিতরণকৃত প্রণোদনার সার-বীজ ইউনিয়ন জামায়াতের কার্যালয়ে মজুদ করে রাখা হয়। সরকারি তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা সার পাচ্ছে না। এই কার্যালয়ে আরও অনেক সার-বীজ মজুদ ছিল। জামায়াতের নেতারা তাদের পছন্দমতো লোকদের মধ্যে এসব সার বিতরণ করছে কয়েকদিন ধরে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর ই নবী বলেন, শুক্রবার রাতে সংবাদ পেয়ে সুরাট ইউনিয়নের সুরাট বাজারে ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর দলীয় কার্যালয় থেকে ৫০০ কেজি ডিওপি, ৫০০ কেজি এমওপি, ৮ কেজি সরিষার বীজ ও ১৯ কেজি মসুরের বীজ জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে তালিকায় স্বাক্ষর করে সার-বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু জামায়াত ইসলামীর দলীয় কার্যালয়ে কিভাবে প্রায় ৩০ জন কৃষকের সার-বীজ মজুদ রয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখা হবে। তার পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইকবাল হোসেন বলেন, কৃষকরা এখানে তাদের ভাগের সার-বীজ রেখে গেছে। পরে তাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।এবিষয়ে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমির আলী আজম মোঃ আবু বকর বলেন, কৃষকদের বরাদ্ধ পাওয়া সার ও বীজ একসাথে পাওয়ার কারণে সবাই মিলে নিয়ে এসে জামায়াত অফিসে রেখেছে বন্টন করে নেওয়ার জন্য। এই অভিযান উদ্দেশ্যমূলক এবং অভিযোগ ভিত্তিহিন।




ঝিনাইদহে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন

‘সাম্য ও সমতায় দেশ গড়বে সমবায়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। জেলা সমবায় বিভাগের আয়োজনে শনিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি বিভিন্ন স্থান ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের সভাপতি জাহিদুজ্জামান মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা জাফর ইকবাল।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। সঠিক পরিকল্পনা ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনায় সমবায় খাত এগিয়ে গেলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলেও বক্তারা মত দেন।




মুজিবনগরে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন

“সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়” এই স্লোগান সামনে রেখে মেহেরপুরের মুজিবনগরে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন, র‍্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির উদযাপনের শুভ সূচনা করা হয়।

পরে, উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেষ হয়। পরে পরিষদ মিলনায়তনে সমবায় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগর উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান, গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ এর মেহেরপুর সিডিপির ম্যানেজার বিপুল রেমা, সুপ্রতিবেশীর মহিলার সমবায় সমিতির সভাপতি রেহেনা খাতুন, গোপালনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, মোনাখালী অনির্বাণ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি আমজাদ হোসেন, এবং বিআরডিবি চেয়ারম্যান মুন্সি টিটো।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, উপজেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সমবায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটিতে মেহেরপুর জেলার সমবায় সমিতির প্রথম স্থান অধিকার করা মুজিবনগর উপজেলার সুপ্রতিবেশী মহিলা সমবায় সমিতি ও গোপালনগর সমবায় ব্যবসায়ী সমিতি নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে, এছাড়াও সমবায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গোপালনগর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে পুরস্কৃত করা হয়।




গাংনীতে নরমাল ডেলিভারিতে জন্ম নেওয়া নবজাতক পেল উপহার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহাবাটি গ্রামের তরিকুল ইসলাম ও শারমিন আক্তার দম্পতির তৃতীয় ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করেছে নরমাল ডেলিভারিতে।

তাদেরকে শুভেচ্ছা উপহার দিতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম।

শনিবার (০১ই নভেম্বর) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান জন্ম নেয়া ওই দম্পতির হাতে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম নবজাতকের জন্ম নিবন্ধন কার্ড ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ সহ অনেকেই।
গতকাল শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তরিকুল ইসলাম ও শারমিন আক্তার দম্পতির এই ছেলে সন্তানটি জন্ম নেয়। নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে শামিম আহমেদ। জেলা প্রশাসকের উপহার পেয়ে নবজাতকের পিতা-মাতা আনন্দিত। তারা বলেন, ইতিপূর্বেও তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে তারাও নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম নিয়েছিল।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ শেষে বলেন, আমাদের মায়েদের যে ন্যাচারাল উপায়ে সন্তান প্রসবের অর্থাৎ নরমাল ডেলিভারি যেটিকে বলা হয় সেটিতে আমরা সকলকে উৎসাহিত করার জন্য যেখানে নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা হবে সেখানে আমরা উপহার নিয়ে যাব। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এই উদ্যোগটি নিয়েছি। উপহারের সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি থাকছে সেটি হচ্ছে ওই বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন এর কার্ডটি তাৎক্ষণিক উপহারের সাথে তুলে দেওয়া হচ্ছে।




মেহেরপুরে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

“সাম্য ও সততায়, দেশ গড়বে সমবায়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মেহেরপুরে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা সমবায় কার্যালয়ের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, পতাকা উত্তেজনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা মডেল মসজিদের প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে জেলা মডেল মসজিদের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবদুল ছালাম। জেলা সমবায় অফিসার এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পার্থ প্রতিম শীল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক সিরাজুম মনির।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি, জাতীয় মৎস্যজীবী প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুদাস হালদার, ফেমাস সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার এবং জ্যোতি মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালক উম্মে হানি চায়না প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে সমাজে সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এজন্য সবাইকে সততা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সমবায় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তারা।




গাংনীতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

সারা দেশের মতো মেহেরপুরের গাংনীতেও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৫।

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি র‍্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।

পরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবুল হোসেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল আলম সোনা, আবদাল হক, আবুল কাসেম এবং সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল আলম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমবায় আন্দোলন আজ একটি নির্ভরযোগ্য শক্তি হিসেবে কাজ করছে। সমবায় আন্দোলন গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সমবায় সমিতির কর্মকর্তা, সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




সরবরাহ বাড়ায় দাম অর্ধেকে

মেহেরপুরের বাজারে বাড়তে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। এতে দাম নেমেছে অর্ধেকে।

দামে এই নিম্নমুখী হওয়ায় ভয়ে রয়েছেন সবজি চাষিরা। চাষিরা বলছেন, বাজার স্বাভাবিক না হলে লাভের মুখ দেখতে পাবেন না কোনো সবজি চাষি।

মেহেরপুর বড়বাজারের সাথেই কাঁচাবাজারের আড়ত। সকাল থেকেই অন্যান্য সবজির পাশাপাশি শীতকালীন সবজি নিয়ে কাঁচাবাজারের আড়তে আসেন কৃষকরা। প্রতিদিন এভাবেই কাঁচামাল আমদানি ও বিক্রি হয় এই আড়তে।

গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর প্রতিদিনের সাপ্তাহিক অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি, পাতাকপি, শিম, বরবটি, মুলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি বাজারে এসেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে শীতকালীন সবজি বাজারে এসেছে। এতে কমতে শুরু করেছে দামও।

গত সপ্তাহে পালং শাক কেজি প্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি এ সপ্তাহে তা ৪০ টাকায় নেমে এসেছে। শিম ১০০ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা ও বরবটি ৬০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুলা ১৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, ওলকপি এবং বাঁধাকপি ৩৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আলু, কচু, লাল শাক সহ অন্যান্য সবজির দাম ২০,২০,৪০ অপরিবর্তিত রয়েছে। কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদাও বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে শীতকালীন সবজির এই দাম নিম্নমুখী হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

সবজি চাষী আজগর আলী বলেন, চলতি মৌসুমে সার ও বালাই নাশকের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। এছাড়া আবহাওয়াজনিত কারণে ফসলের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম না পেলে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবো।

আরেক সবজি চাষী রাজ্জাক হোসেন বলেন, অনেক খরচ করে ফুলকপি চাষ করেছি। ফুলকপি যত্ন করে, ঠিকমতো পরিচর্যা করে বিক্রি করতে এসে দাম না পেলে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবো।

অপরদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতকালীন সবজির আমদানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আড়ত মালিকরা।