রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ১০টা ৩৯ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এটি বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর থেকে চারদিকে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির বলেন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এটির উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে।

রাজধানীর বাসিন্দারা বলেন, হঠাৎ করে আমি খাট থেকে পড়ে গেছি। আমার টেবিলের বই সব পড়ে গেছে, দৌড়ে নিচে চলে গেলাম। বাসার আস পাশের সবাই নিচে নেমে এসেছেন। মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী। ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

তাৎক্ষণিকভাব কোনো ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহত সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

 

সূত্র: যুগান্তর




অভিনন্দন মুশফিক: সেঞ্চুরি দিয়ে শততম টেস্ট উৎযাপন

মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটি আস্থার নাম, একটি নির্ভরতার প্রতীক। তাঁর ব্যাট থেকে আসা প্রতিটি রানই যেন দলের জন্য অক্সিজেন। তবে যখন সেই রান আসে একটি বিশেষ মাইলফলকের ম্যাচে এবং তা আবার একটি সেঞ্চুরি—তখন তা নিছক একটি ব্যক্তিগত অর্জন থাকে না, তা হয়ে ওঠে জাতীয় ইতিহাসের অংশ। সম্প্রতি নিজের শততম টেস্টে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি হাঁকানোর ঘটনা ঠিক তেমনই এক মহাকাব্যিক মুহূর্তের জন্ম দিয়েছে। তার এ ঐতিহাসিক উৎযাপনে মেহেরপুর প্রতিদিনের পক্ষ থেকে উঞ্চ অভিনন্দন।

একজন খেলোয়াড়ের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার চাপ, শততম টেস্টের গুরুভার এবং দলের নাজুক পরিস্থিতি—সব মিলিয়ে প্রত্যাশার পারদ ছিল তুঙ্গে। মুশফিকের সেঞ্চুরির বাঁধভাঙা উল্লাস প্রমাণ করে দিল, এই অর্জন কেবল সংখ্যার যোগফল নয়, এটি তাঁর মানসিক দৃঢ়তা ও পরিশ্রমের ফসল।

মুশফিকুর রহিম বিশ্বের ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। তবে তাঁর অর্জনটি আরও উজ্জ্বল কারণ, তিনি এই তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার। একজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারে শততম টেস্ট খেলাটাই যেখানে বিশাল ব্যাপার, সেখানে এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করাটা এককথায় কিংবদন্তীর প্রতিচ্ছবি। মুশফিক প্রমাণ করলেন, চাপ কেবল পারফর্ম্যান্সকে বাধা দেয় না, বরং তা সঠিক মানসিকতার কাছে নতি স্বীকার করে।

এই সেঞ্চুরিটি তাঁর ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি। এর মাধ্যমে তিনি মুমিনুল হকের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডে ভাগ বসালেন। এটি নিছক একটি সমতা নয়, এটি দীর্ঘ সময়ের ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর।

 শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে মুশফিক কেবল ইতিহাসের পাতায় নিজের নামটি লেখালেন না, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেন। নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য এটি এক অনুপ্রেরণা, যা প্রমাণ করে—যোগ্যতা, পরিশ্রম আর মানসিক স্থিরতা থাকলে যেকোনো মাইলফলক ছোঁয়া সম্ভব।

মুশফিকের এই অর্জন আমাদের জাতীয় খেলা ক্রিকেটের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এটি কেবল একটি সেঞ্চুরি নয়, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের দীর্ঘ যাত্রায় যোগ হওয়া এক ‘শতক’-এর বিজয়গাঁথা। তাঁর এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখা এবং তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমীর দায়িত্ব।




উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গণমাধ্যমের ভুমিকা গুরত্বপূর্ণ

মেহেরপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির জেলার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বলেন, উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গণমাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যতদিন এই জেলার জনগণ মনে করবে এই জেলা প্রশাসক জেলার মানুষের উন্নয়নের জন্য, তাদের জীবনযাত্রার মান, তাদের নিরাপত্তা ও একটি সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার কাজ করবে ততদিন পর্যন্ত আমরা কাজ করবো। জেলার মানুষ যদি মনে করে আমরা সেটি করতে ব্যর্থ হচ্ছি, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা নেবে।

সকল কাজের নিয়ম-কানুন অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এনসিওর করতে হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, মেহেরপুরের সবচেয়ে বড় সমস্যা যেগুলি,‌ শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। ডেফিনেটলি এটা খুবই আশঙ্কার বিষয়। আমরা এই বিষয়ে স্পেশালি কাজ শুরু করব ইনশাল্লাহ। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে ভিজিট আমরা করি সেটা বাড়িয়ে দেব এবং শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের সঙ্গে আমরা বসে স্পেশাল কোন উদ্যোগ নেওয়া যায় কিনা সেটা আমরা দেখব। তবে এক্ষেত্রে আপনারা সমস্যা দেখিয়েছেন, সেই সঙ্গে সমাধানের যে সঠিক পথ, সেটা বের করতে আমরা আপনাদের হেল্প চাইবো।

আমি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত একটি দিক মনে করি। এখানে অনেকেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সঙ্গে রয়েছেন। আপনারা এটা চালিয়ে যাবেন। আমার যদি কোন কাজে আপনারা মনে করেন ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে, আপনারা নিউজ ছাপিয়ে দেবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভাপতির বক্তব্যে এসকল কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ২৪ এর যে গণঅভ্যুত্থান, তার অন্যতম কারণ সাংবাদিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি। সাংবাদিকতা খোশামতির পেশা না এখানে ভালো-মন্দ দুইটাই আসবে। ভালো যদি করে থাকি ছাপাবেন, আর খারাপ যদি করে থাকি অবশ্যই ছাপাবেন। ভালোটা না ছাপালেও অসুবিধা নেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটটা ধারণ করেই আমাদের কাজগুলো মার্চিহ্ন করব।

সারের ক্রাইসিসটা এটা ম্যানমেড কোনো ক্রিয়েশন কিনা সেটাও দেখার বিষয়। আমাদের সারের সরবরাহ আছে, কিন্তু আমাদের কৃষি উপদেষ্টা যেটা বলেছেন কিছু মানুষের যোগসাজশ থাকতে পারে। আমরা এগুলো ইনভেস্টিগেশন করব, এই বিষয়টা যাতে সমাধান করা যায় সেটা আমরা চেষ্টা করব।

জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম শীল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম।

এসময় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোযাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, তুহিন আরন্য, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, আমাদের সূযোদয়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুবুল হক পোলেন, সংবাদ প্রতিনিধি রফিকুল আলম, ইত্তেফাক প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান,  বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান ও এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি মোজাহিদ মুন্না, সাংবাদিক মেহের আমজাদ , শামিম হোসেন, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যম কর্মীরা অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি, জেলার অনলাইন জুয়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সড়কে বিশৃংখলাসহ নানা সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন।




মেহেরপুরের “আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ” এর সাজেক যাত্রা

মেহেরপুরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পাড়ার এম এস কম্পিউটার্সের স্বত্বাধিকারী প্রোঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান পরিচালিত ভ্রমণ সংগঠন “আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ” তিন দিনের সাজেক ভ্রমণে যাত্রা শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গ্রুপটি।

ভ্রমণে যাওয়া সদস্যদের মধ্যে নিশাত নামের এক তরুণী বলেন, আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ থেকে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে সুস্থভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে ও ফিরে আসতে পারি। আমরা চাই এই গ্রুপের মাধ্যমে প্রতি বছর এভাবে ভ্রমণ আয়োজন হোক।

অন্য সদস্য সজল জানান, আমরা ছয় বন্ধু মিলে মেঘের রাজ্য সাজেক দেখতে যাচ্ছি। শুনেছি এই গ্রুপটি খুব ভালো সার্ভিস দেয়। তাই সবাই মিলে সাজেকের মেঘ উপভোগ করতে এবং আনন্দ করতে যাচ্ছি।

দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে ভ্রমণে যেতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অন্যান্য সদস্যরাও। তারা বলেন, এই সফর তাদের জন্য হবে রোমাঞ্চকর ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। সাজেকের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য-সবুজ পাহাড়, মেঘের ভেলা আর নৈসর্গিক পরিবেশই এই ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ।

ভ্রমণ গ্রুপের পরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ নিয়মিতভাবেই দেশজুড়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের আয়োজন করে থাকে। এবার সাজেকের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন কাছ থেকে দেখাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

তিন দিনের এই সফরে রুইলুই পাড়া, কংলাক পাড়া, হেলিপ্যাড এলাকা, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তসহ সাজেক ভ্যালির প্রধান সব আকর্ষণ উপভোগ করবেন ভ্রমণকারীরা।

আগামীদিনে আরও বড় পরিসরে ভ্রমণ আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও জানান পরিচালক মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, এইবার সিট পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় অনেককে নেওয়া সম্ভব হয়নি। সামনে কক্সবাজার, সিলেট, সেন্ট মার্টিনসহ আরও কয়েকটি জায়গায় ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে। আগ্রহীরা আগেই আমাদের দোকানে যোগাযোগ করলে সুবিধা হবে।




মেহেরপুরের একমাত্র নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’ -তথ্য অফিসার

মেহেরপুরের নবাগত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলার সাংবাদিকদের এক মতবিনিময় সভায় জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মেহেরপুরের একমাত্র সরকার নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকা হলো “মেহেরপুর প্রতিদিন”।

দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন ছাড়া মেহেরপুরে আর কোনো সরকার-নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেই। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি যেসব পত্রিকা বা অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন নেই তাদের সবাইকে দ্রুত নিবন্ধনের আওতায় আসারও আহ্বান জানান।




মেহেরপুরে অটো-রিকশা চালকদের সাথে জামায়াতের সম্মেলন 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর পৌর শাখার উদ্যোগে অটো ও রিকশা চালকদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ সম্মেলনে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শতাধিক অটো ও রিকশা চালক অংশ নেন।

মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমীর সোহেল রানা ডলারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী তাজউদ্দীন খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হুসাইন, জেলা নায়েবে আমীর মহাবুব উল আলম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা সভাপতি আল আমিন বকুল, জেলা ব্যবসায়ী বিভাগের সভাপতি খালিদ সাইফুল ইসলাম, পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি সোহেল রানা এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা।

সম্মেলনে বক্তারা অটো ও রিকশা চালকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা, নিরাপদ সড়ক পরিবেশ সৃষ্টি, পুলিশ ও প্রশাসনের হয়রানি বন্ধ এবং সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। তারা চালকদের সংগঠিত হয়ে আইনসম্মত ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের অধিকার আদায়ের আহ্বান জানান।

দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।




দর্শনায় নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনে বৈষম্য নিরসনপূর্বক পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের দর্শনাতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

জানা গেছে, নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে ‘প্রহসন’ চলছে অভিযোগ করে এবং ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে বৈষম্য দূর করে পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।

দাবিসমূহ হলো, নবম পে-স্কেল ২০২৫ দ্রুত বাস্তবায়ন ও গেজেট আকারে প্রকাশ করা, গ্রেডভিত্তিক বৈষম্য দূর করা ও কর্মচারীদের ন্যায্য বেতন প্রদান, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক ও রেলওয়ের নিয়োগবিধি-২০২০ দ্রুত সংশোধন করে পদোন্নতি বঞ্চিতদের পদোন্নতি প্রদান এবং সব শূন্য পদে অতিসত্ত্বর নিয়োগ দেওয়া।

মোঃ মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও নূর হোসেন বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা তাদের দাবি তুলে ধরেন এবং দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সঙ্গে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্য দূর না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

এ সময় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টার। এছাড়া উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মোঃ রাশেদ ইকবাল, মোঃ আশিকুর রহমান, আলমাস আলী আরিফ, তারুণ হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন, টিপু সুলতান, শাহীন আলমসহ আরও অনেকে।




মুজিবনগরে গুডনেইবারস বাংলাদেশের বিশেষ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের মুজিবনগরে গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির উদ্যোগে মেহেরপুর সিডিপি বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গণে বিশেষ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানের সিডিপি ম্যানেজার বিপুল রেমার সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাইনাকোলজিস্ট ডা: সিনথিয়া আফরিন সিমি এবং খাদ্য ও পুষ্টিবিদ ফজলে রাব্বি।

হেলথ অফিসার আহসানুল হক সঞ্চালনায় ক্যাম্পেইনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিডিপির সিনিয়র এডমিন অফিসার উত্তম কুমার রায় এবং মেডিকেল অফিসার মেহেদী হাসান (সুইট)।

ক্যাম্পেইনের মূল কার্যক্রম মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা, পুষ্টিকর খাবারের উপকারিতা ও সুষম খাদ্যাভ্যাস বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।

ক্যাম্পেইনে স্বল্পমূল্যে গাইনি রোগী দেখা এবং অপুষ্ট শিশুদের জন্য ডায়েট চার্ট প্রদান করা হয়ে।

এছাড়াও কমিউনিটির জন্য ৩০% ছাড়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পুষ্টি প্যাকেজ সরবরাহ করা হয়ে।

গুডনেইবারস বাংলাদেশ জানায়, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কমিউনিটির মধ্যে সুলভ সেবা, স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পুষ্টি জ্ঞান সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় বিরল প্রজাতির তিনটা তক্ষকসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিলুপ্তপ্রায় ৩টি তক্ষকসহ ১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩, মেহেরপুরের একটি বিশেষ আভিযানিক দল।

গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুরের সরিষাডাঙা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুল আজিজ (৬৭)।

র‌্যাব-১২ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আজিজ স্বীকার করেছে যে তিনি অবৈধ বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত। উদ্ধার করা তক্ষকগুলো বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীর তালিকাভুক্ত।

র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩, মেহেরপুর জানায়, ঘটনার বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে অনন্য রেকর্ড মুশফিকের

দিনের চতুর্থ বলে ম্যাথিউ হামফ্রেস পরাস্ত করলেন মুশফিকুর রহিমকে, বল লাগল প্যাডে। জোরালো আবেদনের পর আম্পায়ার সাড়া দেননি। তবে ওই সেকেন্ডের ভগ্নাংশ যে বিরাট কাঁপুনি দিয়ে গিয়েছিল সমর্থকদের বুকে, তা একরকম নিশ্চিত। পরের বলও ব্যাটের কানা এড়িয়ে গিয়ে জমা পড়ল কিপারের হাতে। ওভার শেষ হামফ্রেসের, মুশফিকের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হলো আরও একটু।

তবে সে অপেক্ষাটা শেষ হয়ে গেল পরের ওভারেই। জর্ডান নেইলের ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিতেই ইতিহাস এসে লুটিয়ে পড়ল মুশফিকুর রহিমের। ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম। যদিও মুশফিক একটা জায়গায় এখন অনন্য। এই তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি যে তিনি।

এই সেঞ্চুরিতে আরও একটা রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন মুশফিক। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩টি সেঞ্চুরি এখন তার। এই রেকর্ডে তার সঙ্গী হিসেবে আছেন মুমিনুল হক।

মুশফিক ইতিহাস গড়ার এই ইনিংসে নেমেছিলেন প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই। ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন কিছুটা ব্যাকফুটেই ছিল। তবে তিনি সে চাপটা সামাল দেন ভালোভাবে। প্রথমে মুমিনুলের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি, তার বিদায়ের পর গড়ে লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বাধেন মুশফিক। তাদের জুটিও সেঞ্চুরির পথে।

তার আগেই নিজের সেঞ্চুরিটা তুলে নেন মুশফিক। ১৯৫ বলে ৫ চার মেরে এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।