111222
2
2
2
টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠী ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করে, তাহলে অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৯৯ (নিরান্নব্বই) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এসব বিধান রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বুধবার অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করেছে। অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত গ্রহণের জন্য খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশের ৬৬ক ধারায় বলা হয়েছে- ‘টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠী দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করে, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করে— যাহা সহিংসতা তৈরি সৃষ্টি করে বা বিশৃঙ্খলা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা প্রদান করে, অথবা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ-এর উপলক্ষ তৈরি করে অথবা কৌশলগত ফাইবার নেটওয়ার্ক, ডেটা সেন্টার, লাইসেন্সপ্রাপ্ত টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা কোম্পানির সার্ভার সিস্টেম ব্যাহত করে বা হ্যাকিং (অবৈধ অনুপ্রবেশ) বা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে যাহা দেশের অর্থনীতি বা আর্থিক স্বার্থে ক্ষতিসাধন করে, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে যেকোনো ব্যান্ডের বেতার তরঙ্গে ব্যাঘাত করে যেকোনো স্যাটেলাইট যোগাযোগ, এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা, বিমান যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ, স্থল ও নৌ যোগাযোগসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা অথবা জিপিএস ব্যবস্থা, নেভিগেশন প্রতিহত করে অথবা রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে ভুয়া জিও লোকেশন ও নেভিগেশন সংকেত প্রেরণ করে, অথবা অর্থনীতির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে বাল্ক এসএমএস প্রতারণা, বাল্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কল প্রতারণা বা সমন্বিত পরিচয়গত উপাত্ত প্রতারণা করে, অথবা লক্ষ্যভিত্তিক তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ দূষণ তৈরি করে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে তাহা হইলে তাহার এই কাজটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৯৯ (নিরান্নব্বই) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’
‘যদি কোনো টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধের বিপরীতে কমিশনের কোনো নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে পালন না করে তাহা হইলে উহাও একটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য উক্ত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর অথবা অনধিক ৯৯ (নিরান্নব্বই) কোটি টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার বলিতে স্বরাষ্ট্র বা প্রতিরক্ষা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বুঝাইবে। এই ধারায় উল্লিখিত বিষয়াদি যেমন অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ প্রচেষ্টা ইত্যাদি বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হইলে তাহার বিষয়ে আদালতের ব্যাখ্যাই প্রণিধানযোগ্য হইবে।
’
এছাড়া ধারা ৬৯ (ক)- তে বলা হয়েছে— ‘কোনো ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোনো অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোনো বার্তা প্রেরণের উদ্দেশ্যে উক্ত যন্ত্রপাতির পরিচালন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তির নিকট প্রস্তাব করেন, বা উক্ত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়োক্ত ব্যক্তি সজ্ঞানে বা ইচ্ছাকৃতভাবে উক্তবার্তা প্রেরণ করেন, বা কোনো ব্যক্তি চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নিকট অশ্লীল, গুরুতরভাবে অপমানকর, হুমকিমূলক কোন বার্তা বা অন্যকোন ভীতিকর বার্তা বা কোন কথোপকথন বা ছবি বা ছায়াছবি প্রেরণ করেন, তাহা হইলে দফা (ক) এর ক্ষেত্রে প্রস্তাবকারী এবং দফা (খ) এর ক্ষেত্রে প্রস্তাবকারী ও প্রেরণকারীর এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত প্রস্তাবকারী বা, প্রেরণকারী বা, ক্ষেত্রমত, উভয়ে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১.৫ (দেড়) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং দফা (গ) এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে এবং অনাদায়ে ০৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’
এক্ষেত্রে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে।
অন্যদিকে ধারা ৭০- এ বলা হয়েছে— ‘কোনো ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত যদি অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট এইরূপে বারবার টেলিফোন করেন যে, উহা উক্ত অন্য ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহা হইলে এইরূপে টেলিফোন করা একটি অপরাধ হইবে এবং উহার জন্য দোষী ব্যক্তি অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে এবং উহা অনাদায়ে অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’
অধ্যাদেশের বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ই-মেইলে—secretary@ptd.gov.bd, অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়।
সূত্র: কালের কন্ঠ।
মেহেরপুরে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। গত দু’দিনের ব্যবধানে মেহেরপুরের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে মেহেরপুরের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ছোট সাইজের নিম্নমানের পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বুধবার সকালে শহরের বড়বাজারের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। দুই দিন আগে যা বিক্রি হচ্ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। অল্প সময়ের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৬০ টাকা ও দেশি ৬৫ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ ও ১০৫ টাকা কেজি দরে।
মেসার্স লতিফ বানিজ্যালয়ের আড়তদার মোঃ মিজান বলেন, কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ না থাকায় বাজারে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এলসি কমলে দামও কমবে। আবার যদি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করে, তাহলে দাম আরও কমে যাবে। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ধারাই অব্যাহত থাকবে। বাইরের পেঁয়াজের দাম কমলে এখানেও প্রভাব পড়বে।
সামাদ বানিজ্যের আড়তদার আব্দুস সামাদ বলেন, বাজারে এলসি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। যদি এলসি না খোলে, তাহলে আগামী এক মাস বাজারে অস্থিরতা থাকবে। নতুন পেঁয়াজ উঠলেই এই সংকট কেটে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমাদের মোকামেই প্রতি মণ পেঁয়াজ ৪ হাজার টাকা করে পড়ছে। তার সঙ্গে পরিবহন খরচ আছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তাই যতদিন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি না দেবে, ততদিন দাম চড়াই থাকবে।
খড়ি কাটা এলাকার আশরাফপুরের আসলাম বলেন, ৫০০ টাকা হাজিরি করি, আর ১০০ টাকার পেঁয়াজ কিনি। না খেয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
কৃষক ওয়ারেস বলেন, পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি কেজি ১০০ টাকা। এখন মাছ কেনার সামর্থও আমার নেই।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি বছর পুরোটাই দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে ছিল। এখন মৌসুম শেষ পর্যায়ে হওয়ায় দাম বাড়ছে। নতুন ফলন বাজারে আসা পর্যন্ত বাজারে অস্থিরতা থাকবে। তবে আমদানির সুযোগ দিলে এ দাম কমে যাবে।
বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১১০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১০৫ টাকায়। দুই দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ৮০ টাকায় এবং ভারতীয় ৯০ টাকায়। গত সপ্তাহে ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৭০ টাকা ও দেশি ৮০ টাকা কেজি।
খুচরা ব্যবসায়ী মোঃ জাব্বার বলেন, আমদানি কম থাকায় আমরা পর্যাপ্ত মাল পাচ্ছি না। আগে যেভাবে পেঁয়াজ আসতো, এখন তার অর্ধেকও আসে না। ভারতীয় পেঁয়াজ তো এখন একেবারেই নেই। নতুন পেঁয়াজ উঠলে ও আমদানি বাড়লে বাজারে স্থিতি ফিরবে।
ব্যবসায়ী আবদুর সুবান বলেন, পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে, তার ওপর এলসি কম। তাই বাজারে সরবরাহও কমে গেছে। নতুন পেঁয়াজ উঠলেই দাম স্বাভাবিক হবে।
মোঃ কুদ্দুস বলেন, এখন বাজারে এলসি বন্ধ, তাই দাম বেশি।আমরা অপেক্ষা করছি ভারত ও নতুন পেঁয়াজ উঠার জন্য। যদি ভারত দেয় তাহলে দাম কমবে, না দিলে নতুন পেঁয়াজ উঠা পর্যন্ত দাম আরও বাড়তে পারে।
তহ-বাজারের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হচ্ছে লোকাল পেঁয়াজের আমদানি একদম নেই। এগুলো মেহেরপুরের পেঁয়াজ নয় কুষ্টিয়া, পাবনা ও ফরিদপুর থেকে আমদানি করা। এখন মালের ঘাটতি আগের তুলনায় অনেক বেশি। মাল প্রায় শেষ হয়ে যাওয়াতেই ঘাটতি হয়েছে, আর হঠাৎ করে দামটাও একটু বেশি।
তিনি আরও বলেন, দাম স্বাভাবিক হওয়ার একটাই উপায় এলসি করা ও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়া। যতদিন এলসি পেঁয়াজ বাইরে থেকে না আসবে, ততদিন পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে বলে মনে হচ্ছে না। দাম বাড়ার কারণে চাষিদের কাছে যে পেঁয়াজগুলো আছে সেগুলো যদি বাজারে আসে, তাহলে দাম কমতে পারে। আর যদি না আসে, তাহলে একেবারে এলসি নির্ভর হয়ে যাবে বাজার।
আলমডাঙ্গায় ছেলের জানাজার ১২ ঘন্টা পর মায়ের মৃত্যু।পরিবারে শোকের ছায়া। বাদ আছর দারুস সালাম ঈদগাহ মাঠে নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রাত ৯ টার সময় আলমডাঙ্গার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মরহুম আব্দুল মান্নান মিয়ার মেজো ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন তোতার নামাজের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছিলো। তোতা মিয়া দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার মাউন্ট সাইনাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩১ অক্টোবর শুক্রবার মৃত্যু বরন করেন। গত মঙ্গলবার আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গায় প্রথমে নিজ বাড়ীতে লাশ নিয়ে আসলে তার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীগণ একনজর দেখতে ছুটে আসে। এ সময় তার মাতা অসুস্থ ছিলেন। সন্তানের শোকে স্তদ্ধ হয়ে যান।
এশার নামাজের পর দারুসসালাম ঈদগাঁহ মাঠে তোতার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্তানের মৃত্যুর ১২ ঘন্টা পার না হতেই মাতা হাজী ফজিলাতুন্নেছা (৮৯) ইন্তেকাল করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যু কালে ২ছেলে, ২মেয়ে, নাতী-নাতনি, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল বাদ আছর আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে দারুসসালাম কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব আহমেদ আলী, আলহাজ্ব মোফাজ্জল হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব হারুনার রশিদ, সাবেক এডিশনাল আইজিপি আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ বেল্টু,ব্যাংকার আনছার আলী, রাজাবুল ইসলাম, আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম,ৎআলহাজ্ব মীর শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম আজম, জগলুল ইসলাম টপি, সরকারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, বনিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, আলহাজ্ব হারুনর রশীদ, আলহাজ্ব মুছা মিয়া, ফাস্টক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক আব্দুল মজিদ, মোহনা বন্ধু সমিতির সদস্য শামসুজ্জোহা সাবু, আলহাজ্ব ডা আজিজুল হক সোমা, জামাল হোসেন, আব্দুল খালেক, ব্যাংকার মানোয়ার হোসেন, মাহমুদুল কাউনাইন, সহ বন্ধু সমিতির সকল সদস্য। সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, হাজী আব্দুল খালেক, হাজী জনিরুদ্দিন, হাজী শফিউদ্দিন, আলী আকবর আকু, সহকারি অধ্যাপক আবু সাইদ কচি, মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আহমেদ, সহকারি অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহকারি অধ্যাপক আসিফ জাহান, নজরুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন, আলমডাঙ্গা কাচারি মসজিদের ইমাম মওলানা আলহাজ্ব আব্দুল কাদের।
আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ৪১তম তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে মুফতি আমির হামজার আপত্তিকর বক্তব্যে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক (মিডিয়া) নিষিদ্ধের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে স্থানীয়ভাবে।
গত সোমবার রাতে মাহফিলের শেষ দিন মঞ্চে প্রধান তাফসিরকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমীর হামজা। তাঁর তাফসিরের বিষয় ছিল সূরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াত।
তবে ওইদিন রাত ৯টার দিকে মাহফিলস্থলে সাংবাদিক ও স্থানীয় মিডিয়া প্রতিনিধিরা উপস্থিত হলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে জানানো হয়, কেউ মোবাইল বা ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ বা লাইভ সম্প্রচার করতে পারবেন না। ফলে উপস্থিত মিডিয়া কর্মীরা বাধ্য হয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
এদিকে তথ্য সুত্রে জানা গেছে,তাফসিরকার জামায়াতের নেতা আমির হামজা বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন কোন কোন দল মনোনয়ন বিক্রি করছে। এসময় স্থানীয় বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এসময় জামায়াতের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের নেতা আমির হামজা কোনো দলের নাম নিয়ে কিছু বলেন নি, তাহলে আপনাদের গায়ে বাধছে কেন। এসময় জামায়াতের নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের দলের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মুফতি আমির হামজার বক্তব্য স্যোসাল মিডিয়ায় দেবার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে সতর্ক করেছে। কিন্তু সাংবাদিক (মিডিয়া) কর্মীদের ভিডিও নেবার নিষেধাজ্ঞা করাটা উপস্থাপক তিনি মনগড়া ভাবে বলেছেন। এবিষয়ে অবশ্যই নিন্দনীয়। তিনি ঘটনায় দুঃখ ও নিন্দা জানান। তবে মুফতি আমির হামজার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক মহল ও সামাজিক পরিমণ্ডলে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন, একটি ধর্মীয় মাহফিলে সাংবাদিক নিষিদ্ধ করার অর্থ কী? সেখানে এমন কী বলা হচ্ছিল যা জনসমক্ষে আনা যাবে না? আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, রাজনৈতিক বক্তব্য বা নির্বাচনী ইঙ্গিত এড়াতেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, মুফতি আমীর হামজা গত মে মাসে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের এক সভায় কুষ্টিয়া-৩ আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান। যদিও তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় কোনো পদে নেই, তবে দলের ওলামা শাখায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত বলে জানা গেছে।
ধর্মীয় বক্তা হিসেবে মুফতি আমীর হামজা দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। তার তাফসিরে ইসলামি মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও সামাজিক সংস্কার নিয়ে আলোচনা থাকলেও— সাম্প্রতিক সময়ে তার বক্তব্যে রাজনৈতিক ইঙ্গিত রয়েছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে এবং মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে মেহেরপুর সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মহাম্মদ, পৌর বিএনপির সভাপতি লতিফ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এহান উদ্দিন মানা। এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম।
সমাবেশে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মহাম্মদ বলেন, কয়েক মাস আগে মেহেরপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে সাবেক এমপি মাসুদ অরুণকে শুধু সদস্য হিসেবে রাখা হয়, কোনো নেতৃত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়নি।
বর্তমান জেলা কমিটি বিভিন্ন ইউনিটে কমিটি গঠন করে সংগঠনকে নতুনভাবে সুসংগঠিত করেছে বলে নেতারা দাবি করেন। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত মনোনয়নে এই কমিটির তৃণমূল নেতাদের না নিয়ে সাবেক এমপি মাসুদ অরুণকে প্রার্থী করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে একতরফাভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সুসংগঠিত জেলা কমিটিকে উপেক্ষা করে দলের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হয়েছে। বক্তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এহান উদ্দিন মনা বলেন, মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে মাসুদ অরুনের নেতাকর্মীরা বিএনপির কর্মীদের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। মেহেরপুর জেলা বিএনপি অনেক শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ এভাবে হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। তিনি মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
এর আগে, বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পরপরই মেহেরপুর-২ আসনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ এবং পরদিনে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের দলীয় অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
দুই দিনের ব্যবধানে জেলার দুই আসনেই মনোনয়ন ইস্যুতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে যা জেলার রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে।
প্রথম বিয়ে টিকেছিল মাত্র দু’দিন। বিচ্ছেদের শোক কাটিয়ে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ১৭ বছর বয়সি তরুণী মীম আক্তার। সেখানেও সংসার করা হলো না তার। বিয়ের চারদিন পর স্বামীর বাড়ি থেকে বেড়াতে আসেন বাবার বাড়ি। তবে মেহেদির রং শুকানোর আগেই খুঁজে নেন আত্মহননের পথ। বিয়ের মাত্র আটদিনের মাথায় বিষপানে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে নিজের বাবার বাড়িতে বিষপানে ওই নববধূ মৃত্যু হয়।
নিহত নববধূ বেগুয়ারখাল গ্রামের উমিদ আলীর মেয়ে।
নিহত মীম আক্তারের ভাই সাব্বির হোসেন জানায়, গত ৮ দিন আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামে আব্দুর রশিদের ছেলে সাকিবের সাথে বিয়ে হয় মীমের। আর চারদিন আগে স্বামীসহ আমাদের বাড়িতে আসে সে। বাড়িতে এসে স্বামীর সাথে হাসিখুশি ভাবেই ছিল। কী কারণে বিষ খেয়েছে তা আমরা কেউ জানি না।
মীমের স্বামীর ভাই সাইফুল জানান, মীমের আগে অন্য একজায়গায় বিয়ে হয়েছিল। সেটা জেনেই তার ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেন তারা। বিয়ের পর তারা হাসিখুশিভাবেই চলাফেরা করছিল। মীমের ব্যবহারে কোনো কিছু মনে হয়নি। গত ৪ দিন আগে মীম তার পিতার বাড়িতে এসেছে। কী কারণে বিষপান করেছে সে বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।
নিহতের মা রত্না খাতুন বলেন, মেয়ের একটু মানসিক সমস্যা ছিল। আগেও একবার বিয়ে দিয়েছিলাম, তখনও দুইদিনের মধ্যেই তালাক হয়। এবারও কোনো ঝামেলা ছিল না। আমার ছেলে মীমের স্বামী সাকিবকে নিয়ে মার্কেটে গিয়েছিল। বাড়িতে মীম একাই ছিল। কখন যে মীম বিষপান করেছে কেউ জানেনা।
তিনি আরও বলেন, সে বিষপান করেছে জানতে পেরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মারা যায় মীম।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান পিপিএম বলেন, রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে ওসমানপুর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আলমগীর হোসেনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে “উপজেলা প্রশাসন গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫”এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় দর্শকদের উপস্থিতিতে স্টেডিয়াম উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
ফাইনালে আমঝুপি ইউনিয়ন দল মুখোমুখি হয় শ্যামপুর ইউনিয়ন দলের। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র হলে ট্রাইব্রেকারে শ্যামপুর ইউনিয়ন বিজয়ী হয়। বিজয়ী দলকে ট্রফি ও ২০ হাজার টাকা এবং রানার্সআপ দলকে ট্রফি ও ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম। তিনি বলেন, খেলাধুলা তরুণ সমাজকে শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায় ও দলগত চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। খেলাধুলার মাধ্যমেই তরুণরা মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ বিনোদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। আমরা চাই প্রতিটি গ্রামে খেলাধুলার চর্চা আরও বাড়ুক।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তারিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া জাহান ঝুরকা, সহকারী কমিশনার শেখ তহিদুল কবির, সদর থানার তদন্ত ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলামসহ জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
খেলা শেষে অতিথিরা বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে তারিনীপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গণে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী।
হাউলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শমসের আলীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সলেমান মল্লিক।
প্রধান অতিথি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। দেশের জনগণ আজ পরিবর্তন চায়, তাই প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।
প্রধান বক্তা ইউসুফ আলী বলেন, এই কর্মীসভা আমাদের নারীদের সংগঠিত হওয়ার প্রেরণা দিচ্ছে। ঘরে ঘরে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দিতে মহিলা দলের নেত্রীদের ভূমিকা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে সামনে রেখে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণই হবে আন্দোলনের শক্তি।
বিশেষ অতিথি সলেমান মল্লিক বলেন, আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। নারী সমাজই হবে এই আন্দোলনের অগ্রদূত।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক রুস্তম, উপজেলা বিএনপির সদস্য ওহেদুজ্জামান, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান তোতা, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহিলা দলের নেত্রী রাবেয়া, শিউলী, খোদেজা বেগম, আরিছন, পরিছন, হাউলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশাদুল হক, জেলা ছাত্রদলের পাঠাগার সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রকি, ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রুবেল হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির যুবদল নেতা শাহাজাহান আলী, তরিকুল ইসলাম রানা, বখতিয়ার হোসেন, সাজেদুল ইসলাম, আশান আলীসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।