গাংনীতে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনীতে পুকুরের পানিতে ডুবে মুরসালিন (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কল্যাণপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মুরসালিন ওই গ্রামের মোঃ আলাউদ্দিনের ছেলে এবং নওদাপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে মুরসালিন ও আরও কয়েকজন মিলে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে মুরসালিন পুকুরের মাঝখানে চলে গেলে হঠাৎ করেই ডুবে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বানী ইসরাইল পানিতে ডুবে শিশু মুরসালিনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।




মহেশপুরে পানিতে ডুবে ২বছরের শিশুর মৃত্যু

ঝিনাইদহের মহেশপুরে পানিতে ডুবে সীমান্ত দাস নামের দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে মহেশপুর পৌর এলাকার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত সীমান্ত ওই গ্রামের মধু দাসের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, শিশু সীমান্ত বল নিয়ে বাড়ির পাশে খেলা করছিলো। খেলতে গিয়ে বল পাশের ডোবার মধ্যে পড়ে গেলে শিশুটি বল আনতে গিয়ে ডোবায় পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে খোজাখুজির এক পর্যায়ে ডোবায় শিশুটিকে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে। সেখান থেকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে।

মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, পানিতে ডুবে শিশুটি মারা গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।




ঝিনাইদহে বিদেশি আনার চাষে কৃষকের সফলতার স্বপ্ন

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগিরহুদা গ্রামে আনার ফলের বাগান গড়ে তুলে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন তরুণ উদ্যোক্তা সোহেল রানা আব্দুল্লাহ। বিদেশি জাতের আনার চাষ করে তিনি একদিকে যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, অন্যদিকে স্থানীয়দের মধ্যে জাগিয়েছেন নতুন সম্ভাবনা।

জানা যায়, ২০২১ সালে ইউটিউব ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে পাশ্ববর্তী জেলা থেকে ভারতীয় ভাগওয়া জাতের ৯১টি চারা সংগ্রহ করে এক বিঘা জমিতে রোপণ করেন আব্দুল্লাহ। গাছ লাগানোর দুই বছর পর থেকেই ফুল আসা শুরু হয়। বর্তমানে তার পুরো বাগান ভরে গেছে ফলে ফলে। একেকটি গাছে ৩০ থেকে ৮০টি পর্যন্ত আনার ধরছে। বাগান দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ভিড় জমাচ্ছে। ফলগুলো লালচে-সবুজ আভা ছড়িয়ে ঝলমল করছে, যেন প্রকৃতির ক্যানভাসে আঁকা রঙিন তুলির আঁচড়।

স্থানীয় কৃষক আজিজুল হক বলেন, শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম এই মাটিতে আনার হবে না। কিন্তু এখন দেখছি ফলনে ভরপুর গাছ। দেখে মনটা ভরে যায়।

দর্শনার্থী কলেজছাত্র আশিকুর রহমান জানান, ফেসবুকে ছবি দেখে এসেছি। সত্যিই চোখধাঁধানো দৃশ্য। মনে হয় যেন কাশ্মীরের কোনো বাগান।

উদ্যোক্তা সোহেল রানা আব্দুল্লাহ বলেন, প্রথমে অনেকেই নিরুৎসাহিত করেছিল। তবে আমি হাল ছাড়িনি। স্থানীয় বাজারে আনারের চাহিদা ভালো থাকায় আশা করছি এ মৌসুমেই দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারব। ভবিষ্যতে আরও জমি নিয়ে আনার চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।”

এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, আনার বাংলাদেশের আবহাওয়ায় একটি নতুন সম্ভাবনা। আমরা উদ্যোক্তাদের পাশে আছি। আব্দুল্লাহর সফলতা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে।”

আব্দুল্লাহ’র এমন সাফল্যে গ্রামজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়। প্রথমদিকে সমালোচকরা এখন উৎসাহ পাচ্ছেন আনার চাষে। ফলে আনার চাষ ঝিনাইদহের কৃষি খাতের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে পারে।




চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা

চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট ফ্রিজে সংরক্ষণ ও ব্যবহার করার কারণে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারীদের জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার হাসপাতাল সড়কে পরিচালিত ওই তদারকির সময় জরিমানা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, তদারকিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট ফ্রিজে সংরক্ষণ ও ব্যবহার করার কারণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় যৌথ স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান জনতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী জান্নাতুল, হাসান, ইসমাঈল, হাসনাত, শাকিল এবং ওলিকে ৩০ হাজার টাকা ও নিউ জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মমিনুল ইসলামকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তাদের কাছ থেকে জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। এসময় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হালনাগাদ করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

তদারকি কাজে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, পৌর স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নার্গিস জাহান, ক্যাব প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও একদল জেলা পুলিশের সদস্য। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।




দামুড়হুদায় মাদকদ্রব্যসহ আটক-১, জেল-জরিমানা

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মদ রাখার অপরাধে এক ব্যক্তিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৩০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান।

দণ্ডিত ব্যক্তি হলেন, দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৪২)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই শ্রী উত্তম কুমার দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তল্লাশির সময় আশরাফুল ইসলামের কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের বোতলে প্রায় ৩০০ মিলি মদসহ মদ্যপান করা অবস্থায় তাকে আটক করেন।
পরবর্তীতে দামুড়হুদা বাসট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অভিযুক্তকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(৫) ধারা

অনুযায়ী ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং ৭ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান। দণ্ডপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলামকে পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।




জীবননগরে পাওয়ারট্রলি থেকে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, আটক-২

চুয়াডাঙ্গা জীবননগর থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল ও একটি পাওয়ার টিলার সহ ২ জনকে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের সামনে থেকে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল, একটি পাওয়ার টিলার সহ দুইজনকে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আব্দুল দাউদের ছেলে আব্দুর রহমান (৩০) ও মহেশপুর উপজেলার শ্রীনাথপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এনামুল হক (৩৪)।

জীবননগর থানা সুত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলার বিপিএম সেবার নির্দেশে ও জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মামুন হোসেনের নেতৃত্বে এস আই মিজানুর রহমান, সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এসময় বস্তায় ভর্তি পাওয়ার টিলারে রাখা ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ জনকে আটক করা হয়।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে মাদকবিরোধী একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল, একটি পাওয়ার টিলার সহ দুইজনকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের জীবননগর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।




২ ঘণ্টার অভিযানে মালয়েশিয়ায় প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বড়সড় অভিযান চালিয়েছে অভিবাসন বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে চালানো এই অভিযানে ৩৯৬ বাংলাদেশিসহ ৭৭০ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর বুকিত বিনতাং এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শত শত অভিবাসী টেবিলের নিচে লুকিয়ে, দোকানের ভেতরে আশ্রয় নিয়ে কিংবা ছাদে উঠে পালানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। মাত্র দুই ঘণ্টার অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় ৭৭০ জনকে।

ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের পরিচালক বসরি ওসমান জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ২ নারীসহ ৩৯৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে ২৩৫ জন মিয়ানমার, ৭২ জন নেপাল, ৫৮ জন ভারত ও ১৭ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের আরো ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এদের বেশির ভাগকেই অনুমতির অতিরিক্ত সময় ধরে থাকা, বৈধ পরিচয়পত্র বহন না করা এবং অনুমতি ছাড়া কাজ করার মতো অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের অনেকেই তাদের নিজ দেশে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব থেকে বাঁচতে মালয়েশিয়ায় এসেছিলেন।

বাসরি ওসমান বলেন, বুকিত বিনতাং অনেক দিন ধরেই অনিবন্ধিত অভিবাসীদের হটস্পট। নাইটলাইফ ও শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থানের কারণে অনিবন্ধিত শ্রমিকদের জন্য এটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আমরা তিন সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণ চালানোর পর অভিযান পরিচালনা করি।

 

সূত্র: কালের কন্ঠ




বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কাউকে ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি করতে দেওয়া যাবে না। সকলেই প্রস্তুত থাকুন, নির্বাচনের জন্য সকলকে প্রস্তুত করুন এবং যারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায় বা নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করবে, আগামী দিনে গণতন্ত্রের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে তাদের আমরা রুখে দিতে পারব।

১৭ বছর আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি। বিএনপি, জামায়াত, অন্যান্য সকল সংগঠন যারা রক্ত দিয়েছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন আজকে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশের মঞ্চ থেকে আমি আপনাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করতে চাই, এ কাজ করবেন না, বিএনপিকে ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে গিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ছিনতাই করবেন না।

গকতাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ড. শামসুজ্জোহা পার্কে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ।

তিনি আরও বলেন, আমরাই বলেছিলাম দিন বদলাবে, দিন হবে মানুষের সেই মানুষের দিন প্রতিষ্ঠার এ লড়াই আমরা শুরু করেছিলাম ১৭ বছর আগে। সেই লড়াই আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে এই রাষ্ট্রের মালিকানা আমরা জনগণের কাছে ফেরত দিতে চাই।

মেহেরপুর জেলায় যে কমিটি হয়েছে সেটি বিএনপি’র ছোট কমিটি। কমিটি ছোট হোক, তারপরেও ওই বিএনপিকেও আমাদের রক্ষা করতে হবে। ছোট হোক, রক্ষা করতে হবে। মেহেরপুরের লক্ষ্য মানুষ আমাদের সাথে আছে। তাই কারোর বিরুদ্ধে আর অভিযোগ করব না। ঐক্যবদ্ধ থাকুন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।

মেহেরপুরের নবাগত এসপি ও ডিসিকে উদ্দেশ্য করে মাসুদ অরুণ বলেন, নতুন কমিটির ফোনে কাজ করার আগে জনগণের ভাষা বুঝবেন। জনগণের ভাষা বুঝে যদি কাজ না করেন, আগামীতে পার্কে সমাবেশ হবে না, সমাবেশ হবে ডিসি অফিসের সামনে, হবে এসপি অফিসের সামনে। আগামীতে কাউকে জনগণের স্বার্থের বাইরে এক পা ফেলতে দেওয়া হবে না।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোনো সময় পুলিশ দিয়ে ভোট, কোনো সময় রাতের বেলায় ভোট, কোনো সময় ডামি ভোট করে শেখ হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিল। এই ১৬ বছরে শেখ হাসিনা অজস্র মায়ের বুক খালি করেছে, অসংখ্য বিএনপি’র ছেলেদের ক্রসফায়ার দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ লুট করে লক্ষ লক্ষ টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এর বিরুদ্ধে এই ১৬ বছর কঠোর লড়াই কারা করেছে?

এই মেহেরপুরের মাটিতে পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র, র‍্যাবের ক্রসফায়ারের ভয়, বিডিআরের বন্দুককে উপেক্ষা করে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের রুক্ষ চক্ষুকে উপেক্ষা করে এই মেহেরপুরের মাটিতে শেখ হাসিনা বিরোধী লড়াই কারা করেছিল? আপনারা, এই মাঠে যারা উপস্থিত আছেন, আপনারাই লড়াই করেছিলেন।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ মাস্টার বাবলু, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির প্রমূখ।

এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




লালনোত্তর মরমি বাউল সাধক “বেহাল শাহ” 

বাউলসম্রাট লালনের গান জনপ্রিয় করতে যাদের অবদান অপরিসীম, তাদের অন্যতম আলমডাঙ্গার ফরিদপুরের মরমি বাউল সাধক ও গীতিকার বেহাল শাহ।

লালনোত্তরদের কেউ কেউ বলেন, লালনের গান এখন যেভাবে সাধকদের মাঝে গাওয়ার ঢং বা ঠাট , সুরের যে বৈশিষ্ট চালু আছে; এটা লালনোত্তর কয়েকজন মরমি সুর সাধকের অবদান । এঁরা হলেন – অমূল্য শাহ, শাহ কলিমউদ্দিন ওরফে কালু শাহ, বেহাল শাহ, মহিন শাহ, খোদা বক্স শাহ (জাঁহাপুর) ও মকছেদ আলী সাঁই। এদের মধ্যে বেহাল শাহর প্রভাব ব্যাপক বলে স্বীকার করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার নাগদাহ মাতুলালয়ে বলেশ্বরপুর গ্রামে ১৩০৭ সনের ২৫ চৈত্রে জন্ম বেহাল শাহ’র। বাবা-মায়ের নাম যথাক্রমে বাহাদুর শাহ ও ময়না নেছা বিবি। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া। পৈতৃক নিবাস পোড়াদহ রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী খর্দ আইলচারা গ্রামে। প্রথম জীবনে লেটো দলে ছিলেন বলে জানা যায়। পরে দেলবার শাহ ঘরানার ছমির চাঁদের কাছে দীক্ষা নেন।

অমূল্য শাহ, শুকচাঁদ, খোদা বক্স প্রমুখের কাছে লালনগীতি শিখে এ গানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এমনকি লালনগীতির বর্তমান গায়কী ধারার অন্যতম প্রবর্তক তিনি। বেহাল শাহের দ্বিতীয় স্ত্রী দৌলতুন্নেছা। তাদের রয়েছে এক কন্যাসন্তান। নাম আয়েশা খাতুন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ৭শ ফকিরের গ্রামখ্যাত ফরিদপুরে অতিবাহিত করেন। তিনি মঞ্চে আপেক্ষিক ও উদ্ভব প্রসঙ্গ নিয়ে গান বাঁধতে পারতেন বলে জানা যায়। তাঁর লেখা গানের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে অনেক বাউল দাবি করেন তার রচিত গানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ শ। এখনও বেহাল শাহ’র দরাজ কন্ঠের মরমি গীতির অকুন্ঠ প্রশংসা করেন।

১৯৬৫ সালে দোলযাত্রার দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক শাষনকর্তা মোনায়েম খান লালনের আখড়া ধামে এসে সকল বাউল সাধক শিল্পীর উদ্দেশ্যে স্ব স্ব আসনে বসে গান লিখে পরিবেশন করতে বলেন।সেই গান যেন উপস্থিত সময়ে লেখনী সেটা যেন গানের মাঝে পরিস্কার ভাব বাচন ভঙ্গি সজাগ থাকে।উপস্থিত পাঁচ শতাধিক বাউল সাধক শিল্পীর মধ্যে বেহাল শাহ প্রথম স্থান অধিকার করেন। প্রাদেশিক শাসনকর্তা বেহাল শাহ কে বাউলকূলের শীরমণি উপাধিতে ভূষিত করেন।সঙ্গে পরিয়ে দেন গলায় মেডেল, প্রশংসাপত্র ও নগদ পাঁচশত টাকা।

সমঝদারদের অনেকে দাবি করেন সমসাময়িক কিংবা আজোবধি বেহাল শাহ’র মত দরাজ ও পরিশীলিত কন্ঠ আর শোনা যায়নি। ১৩৮৮ সনের ১৮ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮১) এই মরমি সাধক শিল্পী ও গীতিকার-সুর সাধকের তিরোধান ঘটে। কোরান ও হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ, বেদ-বেদান্ত-উপনিষদ এবং মিথের উপর তার অসাধারণ দখল ছিল। তাকে সর্ব শাস্ত্রভূত জ্ঞানী পন্ডিত  বলা হত।

বেহাল শাহ’র গুণগ্রাহী অনেক শিষ্যদের অন্যতম ছিলেন প্রয়াত মাওলাবক্স পাগল। যিনি গানে এবং প্রজ্ঞায় অসাধরণ ছিলেন । ২০১২ সালের ১৬ আগস্ট মাওলা বক্স প্রয়াত হন। এছাড়াও ঝড়ু ক্ষ্যাপা,  ফরিদপুরের রইচ উদ্দীন শাহ,রফিউদ্দিন শাহ,জীবন ফকির,রেয়াজ শাহ,রবিউল শাহ,মকছেদ শাহ,ছাবিনা খাতুন,আমোদ আলি শাহ,আজিত শাহ বেহাল শাহ’র অন্যতম শিষ্য। আলমডাঙ্গার ফরিদপুর গ্রামে অবস্থিত এই গুণী ব্যক্তির মাজার দীর্ঘদিন অরক্ষিত রয়েছে। তিনি লালনগীতির গায়কী বৈশিষ্ট্যের অন্যতম স্রষ্টা হিসেবে পরিচিত এবং তাঁর গান বাংলাদেশ ও ভারতের অসংখ্য ভক্তের হৃদয়ে আজও বিদ্যমান।

সাংস্কৃতিক অবদান ও জনপ্রিয়তা বেহাল শাহ লালনগীতির গায়কী ধারার অন্যতম প্রবর্তক ছিলেন। তিনি লালনগীতির বর্তমান জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

অমূল্য শাহ, শুকচাঁদ, খোদা বক্‌শ প্রমুখের কাছ থেকে লালনগীতি শিখে তিনি নিজেই এই গানের জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর গাওয়া গান বাংলাদেশের ও ভারতের অনেক ভক্তদের মধ্যে জনপ্রিয়।




দশর্না মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

দশর্না মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ্যাডহক কমিটির দুইজনকে না জানিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় শিক্ষকগণ কর্মবিরতি পালন করছেন। গতকাল গোপনে এ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক মশিউর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইকরামুল হক গোপনে ঐ শিক্ষককে নিয়োগ দেয়।

এ বিষয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি লুৎফর রহমান ও শিক্ষক প্রতিনিধি আবুল কাশেম মিল্টনকে না জানিয়ে এ ধরণের নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ক্লাস বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন। শিক্ষকরা বলেন, এ্যাডক কমিটির নিয়োগ প্রদান করার কোনো একতিয়ার নেই। এছাড়া পূণার্ঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়া পযর্ন্ত কোনো প্রকার নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম নেই।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট ফোন করলে, তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক মশিউর রাহমানের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়োগ দেওয়ার সময় অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধি ছিলেন, রেজুলেশন খাতায় তাদের স্বাক্ষর আছে। তবে তারা নিয়োগের পক্ষে মতামত দেয়নি। এছাড়া এ্যাডহক কমিটি ক্ষমতাবলে আস্থায়ী নিয়োগ দিতে পারে। তাদের ব্যাক্তিগত বিরোধের কারণে নিয়োগের পক্ষে মতামত দেয়নি।