মেহেরপুর জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের নতুন কমান্ডার শামসুল আলম সোনা

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভায় মেহেরপুর জেলা ইউনিট কমান্ডের এডহক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নবগঠিত এই কমিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম সোনাকে আহবায়ক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মল্লিককে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রায়হানুল কবীর।

কমিটির সদস্যরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবেদার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুদাস হালদার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিন উদ্দিন হালদার।

এডহক কমিটির অনুমোদনের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ থান এবং আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।




মেহেরপুরে তিন মাদক মামলায় চার আসামির কারাদণ্ড

মেহেরপুরে পৃথক তিনটি মাদক মামলায় চার আসামিকে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জি.আর-১২৫/১৯ (মেহেরপুর) মামলায় আসামি মোঃ আল আমিন এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬(১) টেবিলের ১০(ক)/৪১ ধারায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে, জি.আর-১৮৫/২০ (মেহেরপুর) মামলায় আসামি মোঃ মিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬(১) টেবিলের ১৪(ক) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পুলিশের অভিযানে তার দোকান সংলগ্ন এলাকা থেকে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

তৃতীয় মামলায়, জি.আর-৭/১৯ (মুজিবনগর) এর রায়ে দুই আসামি মোঃ জয়নাল মন্ডল ও মোঃ বিপ্লব আলী-র বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬(১) টেবিলের ১০(ক) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালে মোনাখালী এলাকায় পুলিশের অভিযানে তিনজনকে আটক করে মোট ১৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মামলার অপর আসামি মোঃ আলফাজ আহমেদ সাগরের বিচার চলমান রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার নথি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত রায় দেন।

রায় ঘোষনার পরে আসামীদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিদেশী পিস্তল, গুলিসহ আটক-১

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ একজনকে আটক করেছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং আইন-বহির্ভূত কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ (৩১ জুলাই) বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪ টার সময় চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা এলাকায় চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্প হতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার‌ দশমী ব্রিজপাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সাইদুর রহমানকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ০১ টি বিদেশী পিস্তল ,২টি ম্যাগাজিন ১৫ রাউন্ড গুলি, ২টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয় । প্রয়োজনীয় তল্লাশী শেষে প্রাপ্ত অবৈধ অস্ত্র, গুলি, সহ গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীকে দামুড়হুদা থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানান দায়িত্বরত সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তা । তাছাড়া যেকোন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানান তিনি।




মেহেরপুরে পৌর ও সদর উপজেলা বিএনপি’র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

আসন্ন মেহেরপুর পৌর ও সদর উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন প্রার্থীরা।

পৌর বিএনপি’র সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন কাজী মিজান মেনন ও আব্দুল লতিফ। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়ন নিয়েছেন আনিসুর রহমান, অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, আজমল হোসেন মিন্টু, বক্তিয়ার হোসেন ও আব্দুর রহিম।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদের মনোনয়ন নিয়েছেন মীর জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবু ইউসুফ মিরন।

সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়েছেন বাকা বিল্লাহ, লিয়াকত আলী ও ফয়েজ মোহাম্মদ। সাধারণ সম্পাদক পদের মনোনয়ন নিয়েছেন সাইদুল ইসলাম ও ওমর ফারুক লিটন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়ন নিয়েছেন এ এম এম ফিরোজ, আব্দুল হামিদ খান ও সোহরাব উদ্দিন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার। আগামী ৯ আগস্ট উভয় ইউনিটের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।




চাঁদাবাজির অভিযোগে কথিত সাংবাদিক আব্দুর রউফ কারাগারে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক আব্দুর রউফের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গাংনী থানা পুলিশ সে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কথিত সাংবাদিক আব্দুর রউফকে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে আদালতে নিলে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মাবুদের ভাই শামীম বাদি হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৩ তারিখ ৩০/০৭/২৫ ইং।

সাংবাদিক আব্দুর রউফ সোমবার বিকালে গ্রাম্য ডাক্তার আব্দুল মাবুদের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন এবং পরের দিন বুধবার সন্ধ্যায় পুনরায় একই ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ফোন করে আবারো টাকা দাবি করে। সন্ধ্যায় পুনরায় টাকা আনতে গেলে তাকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন ভুক্তভোগীরা। এসময় সে মেহেরপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার স্টাফ রিপোটার হিসেবে পরিচয়পত্র দেখান। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন দেখে স্থানীয় জনতা আব্দুর রউফকে ধরে গণধোলাই দেয়। পরে গাংনীতে অবস্থানরত সেনাবাহিনীর খবর পেয়ে সেখানে আসলে রউফকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। পরে সেনাবাহিনী আব্দুর রউফকে গাংনী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এঘটনা আব্দুল মামুদের ভাই মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, বহুল আলোচিত আব্দুর রউফ ভারত থেকে অবৈধভাবে এসে মেহেরপুর শহরের মল্লিক পাড়ায় বসবাস করছেন। তার পিতার নাম জমির উদ্দিন। পরে সে বিয়ে করে স্থায়ী হন। ইতোপূর্বে সে মল্লিকপাড়া এলাকায় সবুজ ছায়া নামে একটি ক্লিনিক খুলে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। সে ডাক্তার না হয়েও তার নামের পূর্বে ডাক্তার যোগ করে প্রতারণা করছিলেন। পরে ক্লিনিকটিতে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেই প্রশাসন। এরপর পরই সে সাংবাদিকের খাতায় নাম লেখান। স্খানীয় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কার্ড নিয়ে এলাকায় দেদারছে চাঁদাবাজি করে আসছিলো। গত বছরে কুলবাড়িয়া গ্রামে চাঁদাবাজি করতে গেলে ওই ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে সদও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সে বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনসহ জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। তারপরেও তার চাঁদাবাজি থেমে থাকেনি। তবে এত কিছুর পর আমাদের সূর্যদয় পত্রিকার কিভাবে নিয়োগ পেল এবং পত্রিকা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনসাধারণের মাঝে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এদিকে আব্দুর রউফকে বারবার চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হলেও চাঁদাবাজের গডফাদার থেকে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এলাকাবাসির দাবী চাঁদাবাজ আব্দুর রউফের গডফাদারকেও ধরে আইনের আওতায় আনা হোক।

তবে, এব্যাপারে পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদক আবুল কাসেম অনুরাগীর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।




গাংনীতে বিএনপির সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠণ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

উপজেলা বিএনপির দুটি ইউনিটের কাউন্সিল উপলক্ষে ইতোমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড, প্রজ্ঞা, কর্মী বান্ধব ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদের বাছ্ইায়ের চিন্তা করছে। সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টিও মাথায় নিচ্ছেন বলে জানান কাউন্সিলররা। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের নির্দেশনাও মেনে কমিটির নেতৃত্বে এগিয়ে আনার কথা জানান তারা। একটি সূত্র বলেছে, যেসব রাজনৈতিক নেতাকর্মী বিগত পতিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম রাজপথে ছিল ও তাদের ক্লিন ইমেজ রয়েছে এমন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।

তবে, ইতোমধ্যে গাংনী উপজেলা বিএনপির কমিটিতে জেলা বিএনপির সদস্য একাধিকবার রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আলফাজ উদ্দীন কালু ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল প্রাথমিকভাবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তবে, সাংগাঠনিক ২ টি পদেও বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন, গাংনী উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি ও ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দাল হক, উপজেলা বিএনপি নেতা মুঞ্জুর হোসেন টফি, ষোলটাকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা আব্দুল ওহাব বুলবুল।

এদিকে, গাংনী পৌর বিএনপির কমিটির সভাপতি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মনিরুজ্জামান গাড্ডু, গাংনী পৌর সভার সাবেক কমিশনার বিএনপি নেতা আতিয়ার রহমান, গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান। এছাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক কমিশনার আব্দুল্লাহিল মারুফ পলাশ ও গাংনী পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি সাবেক কমিশনার সাইদুল ইসলাম।

এছাড়া, সাংগাঠনিক সম্পাদক পদের প্রার্থী হয়েছেন গাংনী পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কামিশনার এনামুল হক, বিএনপি নেতা ইমন হোসেন, সোহেল হোসেন সোহাগ ও এডাম সুমন।

এদিকে সাবেক মেয়র আহমেদ আলীর সাথে সখ্যতা ও তার নির্বাচনে সরাসরি মাঠে ময়দানে কাজ করার অভিযোগে গাংনী পৌর বিএনপির ৯ টি ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইতোমধ্যে আলোচিত ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ কারণে, জিয়াউর রহমানকে ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি থেকে প্রাথমিক সদস্য পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। এছাড়া পৌর বিএনপির সাংগাঠনিক পদের প্রার্থী সোহেল হোসেন সোহাগ ও ইমন হোসেনের প্রার্থীতাও স্থগিত রেখেছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অতীতে পতিত স্বৈরাচার সরকারের সাথে সখ্যতা ছিল। তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের প্রার্থীতা স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য দীর্ঘ ১৫ বছর পর গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিল আগামি ৮ আগষ্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।




মেহেরপুরে জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিএনপির গণসংযোগ

“জনগণকে সঙ্গে রাখুন, জনগণের সঙ্গে থাকুন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মেহেরপুর পৌরসভার ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে গণসংযোগ ও পথসভা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এই গণসংযোগে শহরের রাজপথে ব্যাপক জনসংখ্যা লক্ষ্য করা যায়।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের নেতৃত্বে শহরের কাথুলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, “ ১৬ বছর ধরে আপনারা শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, লুটপাট এর বিরুদ্ধে, ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে, জীবনের মায়া ত্যাগ করে পুলিশের মামলাকে উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ নামক সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক-ভয়কে উপেক্ষা করে সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন। আমরা চেয়েছিলাম, গতবছর জুলাই-আগস্টের যে মহান গণঅভ্যুত্থান এবং বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ইয়ামিনসহ ছাত্রদল সংগ্রামী নেতা কর্মীসহ তারা আত্মহুতি দিয়েছে, রাজপথে রক্ত দিয়েছে, শেখ হাসিনার বেপরোয়া পুলিশ র‌্যাব, বিডিআরের গুলিতে ওই সংগ্রামী ছাত্র জনতা শ্রমিক কৃষক মৃত্যু বরণ করেছে, শহীদ হয়েছে আপনারা জানেন।। এই সমস্ত শহীদের রক্তের চেতনাকে ধরে রাখতে আমরা একটা নতুন ধারার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই নতুন ধারার বাংলাদেশ আবার কি করে করব? আজকে বিএনপির নামে একটি কমিটি হয়েছে সেই কমিটিতে আলালের ঘরের দুলাল কোথা থেকে টুকটাক টুকটাক করে আসছে। যেই আওয়ামী লীগ ১৬ বছর বিএনপি নেতাকর্মীর উপরে নির্যাতন চালিয়েছে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ ডেকে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে সেই সমস্ত কুলাঙ্গারদের আজকে ওরা পুনর্বাসন করছে।”
পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিফ খান, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান অশেষ, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলাম, আলিফ খান, মিজানুর রহমান মিজা, পৌর বিএনপির সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনা তারিক হোসেন কালু আরও অনেকে। মিছিল ও পথসভায় মেহেরপুর পৌর বিএনপির ২,৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।




চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অভিযানে মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে এক ১ সপ্তাহের ব্যাবধানে ৫৫ লাখ টাকার চোরাচালানপণ্য জব্দ করেছে।

বিজিবি জানায়,চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্ত এলাকায় গত ২৩ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী চলমান মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক ও চোরাচালান পন্য জব্দ করে।জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ১০.৮৩৪ কেজি ভারতীয় দানাদার রুপা, ১৪৪ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ কেজি গাঁজা, ৩৮ বোতল ফেন্সিডিল, ২০ গ্রাম হেরোইন, ৪৪ পিস ভায়াগ্রা ট্যাবলেট, ১০০ পিস চায়না দুয়ারী জাল, ২৯ পিস শাড়ি, ১৩ পিস থ্রিপিস, ২০ কেজি পেঁয়াজের বীজ, ২০০ পিস পাতার বিড়ি, ১২৭ পিস কসমেটিকস সামগ্রী, ০২টি মোবাইলফোন এবং আরও অন্যান্য চোরাচালানপণ্য।

অভিযানের সময় দুইজন চোরাকারবারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।বিজিবি আরও বলেন,মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।




ঝিনাইদহে কন্যাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে সাংবাদ সম্মেলন

নিজ নিখোঁজ কন্যার ফিরে পাওয়ার দাবিতে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন ঝিনাইদহে এক হতভাগ্য পিতা ও তার পরিবার। আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে পাগলা কানাই মোড়ে ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটি কার্যালয়ে সাংবাদ সম্মেলন করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামের ছেলে মোঃ আব্দুল আজিজ। সাংবাদ সম্মেলনে আব্দুল আজিজ বলেন যে তিনি তার দ্বিতীয় কন্যাকে ৭ বছর আগে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার একটি গ্রামে বিবাহ দেয়। বিবাহ পরবর্তী তাদের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয় তার বর্তমান বয়স ৫ বছর। আমার মেয়ে জোবাইদা সুখের সংসার। এই সংসারে খারাব দৃষ্টি পড়ে আমার নিজ গ্রাম বাড়ির পার্শবর্তী মৃত মল্লিক মন্ডল ছেলে আসাদুলের। আমার মেয়ে জোবাইদার সাথে বিবাহের পর প্রতারনার মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলে সেটা আমরা জানতাম না। তখএফ মেয়ে শ্বশুর বাড়ি যেতে অনীহা প্রকাশ করতো। আমরা প্রায়ই সেই থেকে আসাদুল ব্লাকমেইল করে হত্যা খুন জখমের হুমকি দিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে যায় এবং ভয় দেখায় বলে তোর মা বাবা একমাত্র ভাই তাকেও হত্যা করবো। তুই কাউকে বলতে পারবি না। মেয়ে ভয়ে কিছুই প্রকাশ করতো না । আসাদুলের ভয়ে নিরুপায় হয়ে তার সাথে সংসার ছেড়ে উথলী গ্রামের শাহীন ড্রাইভারের নিকট আমার মেয়েকে চক্রান্ত করে নিয়ে যায়। সেখানে শাহীন ড্রাইভার জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামের রাজ্জাকের ছেলে হাকিমের নিকট নিয়ে যায়। হাকিমের নিজ বাড়িতে শাহীন আমার মেয়ে জোবাইদা কে বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয। মেদিনীপুরের হাকিম তার রমরমা মাদকের ব্যবসায় আমার সহজসরল মেয়েকে দিয়ে গত ৪ মাস পূর্বে একটি ব্যাগে গাঁজা দিয়ে জীবননগর থেকে বাস যোগে তাদের গন্তব্যে পাঠিয়ে দেয়। এরপর গাঁজা সহ আমার সহজসরল মেয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে জেল হাজতে যায়। মহেশপুর থানা পুলিশ আমাদের বাসায় জোবাইদা গাঁজা সহ ধরা পড়েছে জানানো হলে সেখানে দেখতে যায়। মাদকবিক্রেতা চক্র আসাদুল শাহীন হাকিম আমার মেয়ের সাথে জেল খানায় দেখা করে কোন কিছু না জানানোর জন্য বলে। জোবাইদা কে জেল হাজত থেকে তারা বের করে পূনরায় তাদের অপরাধ জগতে নিয়ে যাবে বলে জানান আমার মেয়ে। আমি জেল হাজতে দেখা করতে গেলে জানান আপনারা দেখতে পারবেন না ১৫ দিন না হলে।

১৫ দিন পূর্ণ হলে জোবাইদার নিকট জানতে পারি মাদকচক্র তাকে জামিনের ব্যবস্হা করছে। মেয়ের নিকট জানতে পেরে মহামান্য হাইকোর্টের মাধ্যমে জরুরী জামিনের ব্যবস্হা করি। জামিন করে আমার রায়পুর গ্রামে থাকা অবস্থায় আসাদুল বিভিন্ন মাধ্যমে জোবাইদার সাথে সম্পর্ক করতে থাকে। জানতে পেরে নিজ বাড়ি বিক্রি করে আসাদুলের কু দৃষ্টির বাহিরে জীবননগর শহরে চলে যায় মেয়ে জোবাইদা কে নিয়ে। সেখানে যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় জোবাইদার সাথে যোগাযোগ করে আসাদুল পাচারের উদ্দেশ্যে মহেশপুর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী আনন্দ বাজার নামক গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে রাসেল নামে একজন ঢাকার গাড়ির সুপারভাইজার তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে। রাসেল জানান ৯৩ নম্বর মোবাইল নম্বর তার মামা পরিচয় দিয়ে তাকে এই মাদক ও দেহব্যবসা সহ পাচারের জন্য ভারত পাঠাচ্ছিল আমি তাকে ধরে নিয়ে এসে রাত আমার এক চাচির বাড়িতে রেখে আসি। তারপর তাকে অনেক বুঝিয়ে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে আনন্দ বাজার থেকে গাড়িতে উঠিয়ে দেয়।

এই আসাদুল আমার মেয়ে সম্পর্কে প্রতিবেশী মামা হওয়া সত্বেও তার লালসার বলি হয়েছে। আমার মেয়ে জোবাইদা কে এই মাদকচক্র আসাদুল শাহীন হাকিম বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত তার পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভারত পাচারের উদ্দেশ্য গুপ্ত করে আটকে রেখেছে। আমি আমার মেয়ে জোবাইদা ফিরে পেতে চাই আপনার নিকট নিবেদন জানাচ্ছি এই মাদককারবারী আসাদুল শাহীন হাকিম এর বিচার সহ আমার সহজসরল মেয়ে সংসার জীবনে পাঁচ বছরের নাবালক শিশুর মা জননী হয়ে ফিরিয়ে দেয়। এই মাদককারবারী আসাদুল শাহীন হাকিম এর বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ইতিমধ্যে আদালতে একটি মামলা দেওয়ার করেছি আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানো জারি করেছে। নারী শিশু আদালতের মামলা নং:- পিটিশন ৫৪/২০২৫।

সাংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক সাহিদুল এনাম পল্লব, সাধারণ সম্পাদক বিএম আনোয়ার হোসেন, সবুজ মিয়া, বাবলু মিয়া, তাপস কুণ্ডু, মিশুক হাসান, এস কে কাদের, রাকিব হোসেন, লতা মিয়া, সহ আরো অনেকে।




কোটচাঁদপুরে কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মানববন্ধন

কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদেরকে সরকারী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত না করে তাদেরকে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুয়োগ প্রদানের দাবিতে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কোটচাঁদপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে বৃষ্টি ও প্রতিকুল আবহাওয়া উপেক্ষা করে গতকাল বুধবার সকাল ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপি কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মানবন্ধনটি চলে।

উপজেলার ১১ টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ফেস্টুন হাতে মানবন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।

কোটচাঁদপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহজাহান আলী জানান ২০০৯ সাল থেকে সরকারী প্রাইমারি স্কুলের মতই মেধা যাচাইয়ের জন্য কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুয়োগ সৃষ্টি করা হয়।

সর্বশেষ ২০২২ সালে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেন কিন্ডারগার্টেন ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সরকারী নিদের্শনা মোতাবেক দুই বছর বন্ধ থাকার পর ২০২৫ সাল থেকে আবার বৃত্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হলেও বঞ্চিত করা হয়েছে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের।

যার প্রতিবাদে আজ এ মানবন্ধন বলে তিনি জানান। আমরা বৈষম্য নয় সাম্য চাই, সরকারী ও বেসরকারী সর্ব শিক্ষার্থীদের কে মেধা যাচাইয়ের জন্য বৃত্তিপরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ চান মানবন্ধনে অংশ নেয়া সব শিক্ষার্থীরা। মানবন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।