মেহেরপুরে হেরোইন রাখার দায়ে একজনের দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

মেহেরপুরে হেরোইন রাখার দায়ে মোঃ আলফাজ আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তিকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর পারভীনা সুলতানা এবং আসামি পক্ষে এ্যাড. মীর আলমগীর ইকবাল আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পরিদর্শক শাহ জালাল খানের নেতৃত্বে রেইডিং পার্টি ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ১১ তারিখে মেহেরপুরের বুড়িপোতা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আলফাজ আহম্মেদের বসতঘর তল্লাশি চালানো হয়।
আসামির বসতঘরের খাটের তোশকের নিচে রাখা একটি পলিথিন প্যাকেট থেকে ছোট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার নথি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে মোঃ আলফাজ আহম্মেদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত রায় দেন।

রায় ঘোষনার পরে আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।




মেহেরপুরে মাদক মামলায় একজনের দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

মেহেরপুরে মাদক মামলায় মোঃ ফকরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আসামি মোঃ ফকরুল ইসলাম বিনোদপুর কাজিকান্দিপাড়ার মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর পারভীনা সুলতানা এবং আসামি পক্ষে এ্যাড. মিয়াজান আলী আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গাংনী থানার এসআই (নিঃ) আলী রেজা সঙ্গীয় ফোর্সসহ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন সাহেবনগর গ্রামের বাকেরঘোনা এলাকার একটি ফলের দোকানের সামনে ফাঁকা রাস্তায় দুই ব্যক্তি গাঁজা ক্রয়-বিক্রয়ে লিপ্ত রয়েছে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ সেখানে পৌঁছামাত্রই দুইজন পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ফকরুল ও অপর আসামি শাহিনকে আটক করে।

পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগের ভেতরে তল্লাশি করে ফকরুল ইসলামের ব্যাগ থেকে ৪ কেজি এবং শাহিন হোসেনের ব্যাগ থেকে আরও ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।




জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বিভাগ সেরা সদর ইউএনও খায়রুল ইসলাম

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় ২০২৫ সালের জুন মাসে মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ খায়রুল ইসলাম খুলনা বিভাগে সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

নড়াউল জেলার কালিয়া ইউএনও রাশেদুজ্জামান ২য় এবং মাগুরা জেলার মহাম্মদপুর ইউএনও শাহিনুর আক্তার ৩য় স্থান অর্জন করেন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম মনিটরিং সেল এ স্বীকৃতি প্রদান করে। একই কার্যক্রমে গাংনী ইউএনও আনোয়ার হোসেন চতুর্থ এবং মুজিবনগরের ইউএনও পলাশ মন্ডল অষ্টম স্থান অর্জন করেন।

মেহেরপুরে যোগদানের পর থেকে মোঃ খায়রুল ইসলাম বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি খাসজমি উদ্ধারে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উদ্বুদ্ধ করায় এলাকায় প্রশংসিত হন।

চলতি বছরের ২ জানুয়ারি মোঃ খায়রুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সদরে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বাসিন্দা এবং ৩৫তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০১৭ সালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর টাঙ্গাইলে এনডিসি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং মুজিবনগরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী মাহামুদা পারভীন মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।




৪৪তম বিসিএসে মেহেরপুর থেকে ৫ জন সুপারিশপ্রাপ্ত

৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মেহেরপুর জেলা থেকে এবার ৫ জন মেধাবী প্রার্থী বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলার একজন এবং গাংনী উপজেলার চারজন রয়েছেন।

সুপারিশপ্রাপ্তরা হলেন প্রশাসন ক্যাডারে গাংনী পৌর এলাকার আমানুল আশরাফ আশিস (বুয়েট)। পুলিশ ক্যাডারে গাংনীর রামনগর গ্রামের রাকিবুল ইসলাম রবিন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)। শিক্ষা ক্যাডারে (সমাজবিজ্ঞান) গাংনীর মজিবুল ইসলাম (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
শিক্ষা ক্যাডারে (বাংলা) মেহেরপুর সদর উপজেলার মো: তারিক আজিজ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। কারিগরি শিক্ষা ক্যাডারে (ইলেকট্রিক্যাল) গাংনীর আব্দুল্লাহ আল তাহসীন দীপ্ত (রুয়েট)।

এই কৃতীদের প্রতি মেহেরপুর জেলার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। তাঁদের এই অর্জনে পরিবার, শিক্ষক এবং জেলার শিক্ষাঙ্গনে আনন্দের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে।




সহকারী লাইব্রেরিয়ান আঁখি তারা কারাগারে

ভুয়া সনদে নিয়োগ নেওয়ায় দুদকের মামলায় মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আঁখি তারার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগাওে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল বুধবার মেহেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলায় গত ২৫ মে মেহেরপুর জেলা জজ আদালত থেকে বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিনয় কুমার চাকী, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা শান্তি এবং বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী লাইব্রেরিয়ান আখিতারা খাতুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি করেন একই আদালত। মামলার অন্য আসামিরা এর আগে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা সমন্বিত কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০৩/২০২৪, তারিখ ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ধারা : দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায়।

২৫ মে ২০২৫ তারিখে জজ আদালত মেহেরপুর কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজন আসামিও গ্রেফতার হয়নি।

বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন, বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আখিতারা খাতুন ভুয়া সার্টিফিকেট খাঁটি হিসেবে উপস্থাপন করে চাকুরি গ্রহণপূর্বক সরকারি ৮ লাখ৮২ হাজার ১২৭ টাকা আত্মসাতের অপরাধ করেছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আসামি আখিতারা খাতুন ২৮/১১/২০১৯ খ্রিস্টাব্দ তারিখে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে যোগদানের জন্য ‘ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স’ ডিগ্রির যোগ্যতা থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল। উক্ত বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগদানকালীন সময়ে তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, ঢাকা হতে ইস্যুকৃত মর্মে দেখিয়ে ‘ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স’ পাশের একটি সনদ উপস্থাপন এবং দাখিল করেন।কিন্তু এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, ঢাকা এর স্মারক নম্বর এইউবি/পরীক্ষা/২০২২/৪৭২, তারিখ ৮/১২/২০২২ খ্রী. মূলে সনদ যাচাই প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আখিতারা খাতুন এশিয়ান ইউনিভার্সিটির যে সনদ ব্যবহার করেছেন সেটি জাল/ভুয়া। উক্ত ‘ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স’ ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ইস্যুকৃত ভুয়া সার্টিফিকেট দাখিল করে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে যোগদান করেছেন।

ব্যাংক হিসাব বিবরণী অনুযায়ী দেখা যায়, তিনি ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে মে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরির বেতনভাতা বাবদ মোট ৮ লাখ ৮২ হাজার ১২৭ টাকা উত্তোলন করেছেন। যা ‘ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স’ এর ভুয়া সার্টিফিকেট খাঁটি হিসেবে উপস্থাপন করে বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি গ্রহণপূর্বক সরকারি ৮ লাখ ৮২ হাজার ১২৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং মেহেরপুর সদর উপজেলা সাবেক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী আসামি আখিতারা খাতুনের সাথে পারস্পরিক যোগসাজশে তাকে উক্ত ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে চাকুরিতে নিয়োগ এবং সরকারি ৮ লাখ ৮২ হাজার ১২৭ টাকা আত্মসাতে সহায়তা করেছেন। উক্ত ঘটনার সাথে অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এজাহারে উল্লেখ আছে।

এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্রে আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

আখিতারা খাতুনের নিয়োগ বোর্ডে পাঁচ জন সদস্য ছিলেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা শান্তি, ডিজি প্রতিনিধি কাজী মোঃ আনিসুজ্জামান, সাবেক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, (মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি) বিনয় কুমার চাকী, অভিভাবক প্রতিনিধি মোঃ আনারুল ইসলাম ও বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

নিয়োগ বোর্ড তিনজন আবেদনকারীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে ২০/১১/২০১৯ খ্রি. তারিখে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। রেজুলেশন বহির সত্যয়িত ছায়ালিপি থেকে দেখা যায়, আখিতারা খাতুন নিয়োগ পরীক্ষায় ৪৩ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং নিয়োগ বোর্ড তাকে সহকারী গ্রন্থাকারীক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। পরে ২৮/১১/২০১৯ তারিখে তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাজী আনিসুজ্জামান প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন না, অথচ ডিজি প্রতিনিধি হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে অভিভাবক সদস্য আনারুল ইসলাম লিখতে পড়তে জানতেন না। সেই সুযোগে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ তাকে ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত ডকুমেন্টে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। আনারুল ইসলাম তদন্তকালে জানান, আখিতারা খাতুনের ভুয়া সনদের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ইচ্ছাকৃতভাবে আখিতারা খাতুনের নিয়োগকালীন সময়ের আবেদনপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র বিনষ্ট করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছেন, নিয়োগকালীন সময়ের দাখিলকৃত মূল আবেদনপত্র, সনদ, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি এবং রেজুলেশনবহির মূল কপি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মামলার সাক্ষীরা হলেন, দুদকের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মাইদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তারেক কুদ্দস, অভিভাবক সদস্য মোঃ আনারুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের শাখা প্রধান মো. হামিদুল ইসলাম, মো. মশিউর রহমান, কাজী মো. আনিসুজ্জামান, সহকারী প্রধান শিক্ষক দিলারা পারভীন, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল লতিফ, দুদকের উপসহকারী পরিচালক, মো. আবু তালহা, সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) মো. শরিফুল ইসলাম ও দুদকের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মাইদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় একাধিক সিরিজ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ তো নেয়নি, বরং প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সাথে তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী সীমাহীন দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। শুধুমাত্র বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ই নয়, মেহেরপুরের আরও একাধিক স্কুলের দুর্নীতির সাথেও বিনয় কুমার চাকীর প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, যা অনুসন্ধান করলেই বেরিয়ে আসবে।




চুয়াডাঙ্গা বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় দানাদার রুপা আটক

চুয়াডাঙ্গা ০৬ বিজিবির অভিযানে ০৯ কেজি ভারতীয় দানাদার রুপাসহ একটি ইজিবাইক আটক করেছে।

গতকাল বুধবার দুপুর ২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধীনস্থ মুন্সিপুর বিওপির একটি বিশেষ আভিযানিক দল কার্পাসডাঙ্গা মুচির বটতলা এলাকায় অবস্থান নেয়।

এ সময় মুন্সিপুর ক্যাম্পের হাবিলদার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে, সীমান্ত মেইন পিলার ৯৩/৪-আর হতে ০১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি ইজিবাইক আটক করে। ইজিবাইক চালক ইজিবাইক ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি ইজিবাইক তল্লাশি করে ৯ কেজি ভারতীয় রুপা আটক করে।

এ ঘটনায় হাবিলদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন। জব্দকৃত দানাদার রুপা চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।




দর্শনা ও দামুড়হুদায় ৫টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা ভ্রাম্যমান আদালতে

দর্শনা ও দামুড়হুদায় ৫টি প্রতিষ্ঠানে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান পরিচালনাকারী নিবার্হী ম্যাজিট্রেট সহকারী ভুমি কমিশনার এ এইচ এম তাসফিকুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার দর্শনা ও দামুড়হুদায় ৪টি হোটেল ও একটি রেস্টুরেন্টকে ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এর অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব হোটেল গুলোর মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সামনে, দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড হোটেল, ফ্যান্টাসি পার্কসহ ৩টি প্রতিষ্ঠানে ২৩ হাজার টাকা এবং দর্শনা আল্লাহর দান হোটেল এ্যান্ড রেষ্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বাসি খাবার ও নোংড়া পরিবেশে এসব প্রতিষ্ঠার পরিচালনা করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত তাদেরকে জরিমানা করেন। আগামীতে সর্তক করে দেন যাতে করে হোটেল রেষ্টুরেন্টগুলো পরিস্কার পরিছন্ন রাখা হয় এবং বাসি ও পচা খাবার যাতে বিক্রী করা না হয়।




“হাসিনা চ্যাপ্টার ক্লোজড, আ. লীগ উইল নেভার কাম ব্যাক”- হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, মধ্য এশিয়ার টেরোরিষ্ট হচ্ছে গুজরাটের কসাই নরেদ্র মোদি। আরেক টেরোরিষ্ট হাসিনাকে প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। হাসিনা নিজে টেরোরিষ্ট এবং তার ছাত্রলীগও টেরোরিষ্ট।

হাসনাত আরো বলেন, বাংলাদেশের আকাশ আজ কালো মেঘের ঘনঘটা। দেশকে নিয়ে দেশ বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভারতে বসে হাসিনা জুলাই বিপ্লবীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আঃ লীগের পেতাত্মারা ভারত ও লন্ডনে বসে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন বাংলাদেশে আ’লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ, আ’লীগ উইল নেভার কাম ব্যাক।

হাসনাত আব্দুল্লাহ গতকাল বুধবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও দেশ গড়ার নতুন প্রত্যয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা শেষে এক সমাবেশে বক্তব্যদানকালে এসব কথা বলেন।

সমাবেশে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, নাসির উদ্দীন পাটোয়ারি, ডা. তাসনীম জারা, সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান তারেক রেজা, শহীদ রাকিবের মা হাফিজা খাতুন ও শহীদ সাব্বিরের পিতা আমোদ আলী বক্তব্য রাখেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিচার ও সংস্কারের আগে দেশে কোন নির্বাচন হবে না। আমাদের যুদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমানের যুদ্ধ। আগে বিচার ও সংস্কার শেষ হোক, তারপর নির্বাচন হবে। নির্বাচিত সরকার বিচার ও সংস্কার করবে কি করবে না এই নিশ্চয়তার মধ্যে আমরা থাকতে চাই না। আমরা হাসিনার বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত হয়েই নির্বাচনে যেতে চাই। তাই গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যাতে কেউ বাধা হয়ে না দাড়ায় সে দিকে সজাগ থাকতে হবে।

সাংবাদিকদের বেতন দেওয়া হয়না বলে হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, দেশের বেশির ভাগ সাংবাদিকদের হাতে বুম ও পরিচয়পত্র ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় এলাকায় যেয়ে করে খাও।

সমাবেশে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ পাখির মতো বাংলাদশীদের হত্যা করছে। তিনি বিএসএফকে একটি খুনি বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে। এখনই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কার, হাসিনা ও আ’লীগের বিচার, নতুন সংবিধান রচনা ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করেই ঘরে ফিরবো ইনশাল্লাহ।

নাহিদ ইসলাম ঝিনাইদহে তারেক রেজাকে নির্বাচনের ঈঙ্গিত দিয়ে বলেন আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে তারেক রেজাকে আপনাদের মাঝে রেখে গেলাম তিনি আপনাদের উন্নয়নে কাজ করবে, আপনারা তাকে দেখবেন তার পাশে থাকবেন। কর্মসুচি সফল করতে পার্টির জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।




সীমান্তে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না- নাহিদ ইসলাম

“দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা” কর্মসূচিতে নবম দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থানে পদযাত্রা ও পথসভা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

গতকাল বুধবার মেহেরপুরের গাংনী থেকে বেলা একটায় হাটবোয়ালিয়া বাজারে পৌঁছালে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজেই এনসিপির নেতাদের স্বাগত জানান এরপর দুপুর দুইটায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার হাসান চত্ত্বরে এনসিপি নেতৃবৃন্দ পথসভা করেন। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে পথসভায় উপস্থিত হাজারো মানুষের প্রতি এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় চুয়াডাঙ্গার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষকের নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সীমান্তে গত ৫৪ বছরে হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গাতেই হত্যা করা হয়েছে দুই শতাধিক। এখন থেকে বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের সীমান্ত, মানচিত্র ও মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করবে। সীমান্তে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন ‘গত ৫৪ বছর ধরে ভারতীয় আধিপত্যবাদ বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আর কোনও ধরনের আধিপত্য মেনে নেবে না বাংলাদেশের তরুণরা। এ দায়িত্ব নিয়েই কাজ করবে এনসিপি। এ সময় শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গুলির নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, আর খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। ভারত যদি বাংলাদেশের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চায়, সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে হতে হবে। কেবল বাংলাদেশই ভারতের ওপর নির্ভরশীল নয়, ভারতও বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। এটা যেন ভারত কোনোভাবেই ভুলে না যায়। বাংলাদেশের মাটি ও মানচিত্র রক্ষা করা বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। জাতীয় নাগরিক পার্টি সেই লক্ষ্যে কাজ করবে।’

পথসভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া গণপরিষদ নির্বাচন সম্ভব নয়। এই অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ দেশকে নতুন জায়গায় নিতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশের জনগণের কাছে আপনাদের দায়বদ্ধ থাকতে হবে। মোদি সরকারকে বলছি, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন।’

শেখ হাসিনার মতো স্বৈরাচারী হিসেবে কাউকে আর গড়ে উঠতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন আখতার হোসেন। সব রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশপন্থি রাজনীতির পথে হাঁটার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজার থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদযাত্রা শুরু করেন। এরপর বেলা দেড়টায় আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের আল তায়েবা মোড়ে পৌঁছালে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে তাঁদের বরণ করে নেওয়া হয়। আলমডাঙ্গায় পদযাত্রা শেষে এসসিপির নেতারা চুয়াডাঙ্গা শহরের পথে রওনা দেন।

চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্ত্বরে এই পথসভায় দলের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের শহীদ ভাইয়েরা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আত্মত্যাগ করেছেন, তা পূরণ হয়নি। সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’

পথসভায় অন্যদের মধ্যে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান বক্তব্য দেন। এ সময় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ দলটির চুয়াডাঙ্গার নেতৃবৃন্দ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহিমের বাড়ি পরিদর্শন করলেন নাহিদ ইসলাম

দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহিম বাবুর বাড়ি ও সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিদ আলম, হাসনাত আব্দুল্লা, আক্তার হোসেনসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের বাড়িতে গিয়ে নিহত ইব্রাহিম বাবুর পরিবার পিতা-মাতা, স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের হাতে অনুদান তুলে দেন। এরপর মাথাভাঙ্গা নদীর এ পার থেকে ৭৯ নম্বর পিলার বরাবর সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন নেতৃবৃন্দ।

এসময় বক্তৃতায় সারজিদ আলম বলেন, আমরা জানতে পারি, ৭ দিন আগে বিএসএফ গুলি করে ইব্রাহিম বাবুকে হত্যা করে এবং পরে লাশ ফেরত দেয়। বিষয়টি জানার পর আমরা এড়িয়ে যেতে পারিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সীমান্তে ঘাস কাটতে গেলে তাকে গুলি করে নিয়ে যায়। ভারতের বিএসএফ বাংলাদেশিদের ওপর গায়ের জোরে গুলি চালায়। ফেলানী হত্যার মতো বহু ঘটনা এর প্রমাণ। গত ৫০ বছরে ১২০০’র বেশি বাংলাদেশি সীমান্তে নিহত হয়েছেন। বিএসএফ এখন মানবাধিকার বিরোধী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। ভারতের উচিত মর্যাদার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা।

বক্তৃতা শেষে নেতৃবৃন্দ সীমান্তে আগ্রাসন চলবে না, মানুষ হত্যা চলবে না, আজাদী আজাদী ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে সীমান্ত থেকে ফিরে আসেন।