চুয়াডাঙ্গায় বসুন্ধরা শুভসংঘের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা

বসুন্ধরা শুভসংঘের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা এগারোটায় শহরের কোর্ট মোড়ের স্থানীয় দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। শুভসংঘের নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাড. আ স ম আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে কমিটির ৩০ জন সদস্য সভায় অংশ নেন।

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়ের সঞ্চালনায় পরিচিতি সভায় দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা নাজমুল হক স্বপন, অ্যাড. মারুফ সারোয়ার বাবু, তালিম খসরু, জামান আখতার ও জিসান আহমেদ।

নবনির্বাচিত কমিটির সহ-সভাপতি ড. মুন্সি আবু সাঈফ, কামাল উদ্দীন জোয়ার্দ্দার; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়া নিশি, অ্যাড. নাজমুল আহসান; সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান সেলিম; দপ্তর সম্পাদক শেখ লিটন; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শামসুজ্জোহা রানা; অর্থ সম্পাদক পলাশ কুমার সাহা; কর্ম ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাকিব বিশ্বাস; নারী বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা অনি; সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনোয়ারা খুশি; সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ আল সাদিক; ক্রীড়া সম্পাদক সালমান ফারসি; তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক সোহানুর রহমান; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল মাওয়া; শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রেজওয়ানুল হক সজীব; আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক তানজিম তমাল এবং কার্যনির্বাহী সদস্য সুমন পারভেজ, হুমায়ুন কবির রিমু, হেলেনা নাসরিন, সামিউল ইসলাম, মইন আশরাফ, ফিরোজ হোসেন, মিকাইল হোসেন, রাসেল আলী, নাফিস আহমেদ, কামাল পাশা ও সাদমান সাকিব রাকেশ উপস্থিত ছিলেন।

পরিচিতি সভায় উপদেষ্টা ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন বলেন, “বসুন্ধরা অর্থ পৃথিবী আর শুভসংঘ অর্থ শুভ কাজের জন্য একত্রিত হওয়া। পৃথিবীর সকল শুভ ও ভালো কাজের জন্য একত্রিত করার যে উদ্যোগ, তা নিশ্চয় সফলতা আনবে। এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই।”

উপদেষ্টা ও জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মারুফ সারোয়ার বাবু বলেন, “বসুন্ধরা শুভসংঘের স্লোগান ‘শুভ কাজে সবার পাশে’। অর্থাৎ, সকল ভালো কাজের সঙ্গে বসুন্ধরা শুভসংঘ থাকবে এটিই প্রত্যাশা করি। এজন্য আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।”

পরিচিতি সভা শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করা হয়। ‘গাছ লাগাই, ভবিষ্যৎ বাঁচাই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নতুন কমিটির শুভ উদ্যোগ হিসেবে গাছ লাগিয়ে কার্যক্রমের সূচনা করা হয়।

এ সময় শুভসংঘ চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি অ্যাড. আ স ম আব্দুর রউফ বলেন, “শুভসংঘের এমন মহৎ উদ্যোগ সত্যিই সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের কর্মসূচি সকলের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা, পরিবেশ-সচেতনতা এবং মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তোলে। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধতা নেই, প্রকৃত শিক্ষা তখনই পূর্ণতা পায় যখন আমরা সমাজের জন্য, পরিবেশের জন্য কিছু করতে পারি।”

কর্মসূচিতে শুভসংঘ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায় বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং দিন দিন কমে যাওয়া সবুজ ভূমি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, একটি গাছ লাগানো মানে একটি প্রাণ রক্ষা করা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই।”

উল্লেখ্য, বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় পরিচালিত বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তরুণদের সম্পৃক্ত করে সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখাও এ কার্যক্রমে অঙ্গীকারবদ্ধ।




সভাপতি মোহা. হাফিজুর রহমান, মোঃ আবু তালেব সহ-সভাপতি

মেহেরপুর সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচনে সভাপতি পদে মোহা. হাফিজুর রহমান চেয়ার প্রতীক নিয়ে ১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল মজিদ আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ ভোট।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেহেরপুর সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৩ জন।

অন্যদিকে, সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ (সংশোধিত ২০২০) এর ৩২(১) বিধি অনুযায়ী, তিনজন প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ-সভাপতি পদে মো. আবু তালেব নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া, সদস্য পদে মো. শহীদুল্লাহ (নির্বাচনী এলাকা–ক) এবং এস. এম. ফয়েজ (নির্বাচনী এলাকা–খ) নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নির্বাচন কমিটি ২০২৫-এর সভাপতি মো. মাহবুবুল হক এবং সদস্য মো. জামিয়ে আলম ও মো. সাইফুর রহমান। পুরো নির্বাচনের তদারকি করেছেন কমিটির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম।




মেহেরপুর সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন

মেহেরপুর সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেহেরপুর সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ চলবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৩ জন।

সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোহা. হাফিজুর রহমান ও মো. আব্দুল মজিদ।

অন্যদিকে, সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ (সংশোধিত ২০২০) এর ৩২(১) বিধি অনুযায়ী তিনজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আবু তালেব, মো. শহীদুল্লাহ এবং এস. এম. ফয়েজ।

নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নির্বাচন কমিটি ২০২৫ এর সভাপতি মো. মাহবুবুল হক এবং সদস্য মো. জামিয়ে আলম ও মো. সাইফুর রহমান।

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তাৎক্ষণিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।




মুয়ে থাই চ্যাম্পিয়নশিপ টাইটেল বেল্ট জিতলেন মেহেরপুরের মনজুর আলম

বাংলাদেশের জন্য গর্বের আরেকটি মুহূর্ত এনে দিলেন মেহেরপুরের এমএমএ ফাইটার মনজুর আলম। ঢাকার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত প্রথম ডাবল হর্স নকআউট মুয়ে থাই চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের আজহারউদ্দীনকে পরাজিত করে টাইটেল বেল্ট জিতেছেন তিনি।

ডাবল হর্স নকআউট মুয়ে থাই চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের ফাইটারদের জয়জয়কার। মোট পাঁচটি টাইটেল বেল্টের মধ্যে চারটিতে অংশ নিয়ে তিনটিতে বিজয় অর্জন করে বাংলার যোদ্ধারা পুরো আসর মাতিয়ে তোলে।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই ছিল বাংলাদেশের রাশেদ ও ভারতের হেভিওয়েট ফাইটার রিতিক কৈলাশের মধ্যে। তিন রাউন্ডের নিয়ম থাকলেও, রাশেদ দ্বিতীয় রাউন্ডের আগেই ভারতীয় প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করে টাইটেল বেল্ট জিতে নেন। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্রমাণ হয় কেন তাকে ‘স্লেয়ার’ নামে ডাকা হয়।

রাশেদ বলেন, প্রতিপক্ষকে দেখে বুঝেছিলাম একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু আমি নিজের মধ্যে শান্ত ছিলাম, গেমপ্ল্যান ছিল মাথা ঠাণ্ডা রেখে লড়াই করা। আল্লাহর রহমতে সব ঠিকঠাক হয়েছে।

রাশেদের পাশাপাশি বাংলাদেশের মনজুর আলমও ভারতের আজহারউদ্দীনকে হারিয়ে টাইটেল বেল্ট জিতে নেন। সাফল্যের এই ধারা প্রমাণ করে, বাংলাদেশের মুয়ে থাই ফাইটাররা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো সক্ষম।

মনজুর আলম বলেন, আমি একজন সাধারণ কৃষকের সন্তান, আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। কিন্তু মনোবল আর কঠোর পরিশ্রম আমাকে আজকের এই জায়গায় এনেছে।

প্রতিযোগিতার সময় দর্শকদের উৎসাহ, ঢাকঢোল ও জাতীয় পতাকা ওড়ানো ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরো অনুষ্ঠানটি জুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

এই প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক জুবনা গ্রুপ, যারা আগামী দশ বছর নিয়মিত মুএথাই চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। পুরো আসরজুড়ে জুবনা গ্রুপের সিইও ইয়াসিন ইসলাম নাজেল স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে হাতে হাত রেখে কাজ করেন।

চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশসহ চারটি দেশের মোট ৪০ জন ফাইটার অংশগ্রহণ করেন। এই আয়োজন মুএথাইকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করে তোলার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

সংগঠক ও অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এটা শুধু একটি খেলা নয়, আত্মরক্ষার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এতো বড় পরিসরের আয়োজন এদেশে এই প্রথম।




গাংনীতে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ আহত-৫

মেহেরপুরের গাংনীতে পৈত্রিক জমি নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ইউনুস আলী (৭০) ও তার স্ত্রী জয়নব আরা (৬০), ছেলে হাসানুজ্জামান (৩১)। অপরপক্ষের আহতরা হলেন, মহসিন আলী (৮০), তার স্ত্রী হানুফা (৬৫), ছেলে রিপন হোসেন (৩০)।

আহত ইউনুস আলী জানান, আমার জমি জোর করে তারা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল আমার বড় ভাই মহসিন আলী। তাকে নিষেধ করাই সে আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমার স্ত্রী ও ছেলেসহ আমি মারাত্বক আহত হয়েছি।

এদিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে আরেক দফা হামলা করে মহসিন আলীর লোকজন। এদিকে ইউনুস আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক এম কে রেজা।

এঘটনায় উভয় পক্ষই মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।




মেহেরপুরে রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকাল পাঁচটার দিকে সনাতনী রীতি অনুযায়ী এ রথযাত্রা শুরু হয়। মেহেরপুর শহরের হরিসভা মন্দিরের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রথযাত্রাটি একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা এ সময় শ্রী জগন্নাথ দেবের জয়গান করেন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের ধর্মানুসারীরা রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এর পূর্বে মন্দিরে পূজা-আর্চনা আয়োজন করা হয়। রথযাত্রা শেষে অনুসারীদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হরিসভা মন্দিরের সভাপতি বিকাশ সাহা, সহ-সভাপতি বিধান চন্দ্রনাথ , সাধারণ সম্পাদক কিশোর পাত্র , সহ-সাধারণ সম্পাদক মদন কর্মকার সহ আরো অনেকে।




চট্টগ্রামে অপহৃত ব্যক্তি এক মাস পর দামুড়হুদায় উদ্ধার

চট্টগ্রাম থেকে দীর্ঘ এক মাস পৃর্বে এক ট্রাক ড্রাইভার অপহরণ হওয়ার পর দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তবপুর থেকে স্থানীয়রা হাতকড়া অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা মডেল থানায় সৌর্পদ্য করেছেন।

অপহরণ হওয়া ব্যক্তি হলো আলমগীর হোসেন (৩১) চট্টগ্রাম জেলার বুজপুর থানার কাঞ্চনা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। গত বুধবার সন্ধ্যা সাতটার সময় পুরাতন বাস্তবপুর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তার পরিবারের কেউ এখনো থানায় না আসায় তাকে থানা হেফাজতেই রেখেছেন পুলিশ।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীর থেকে জানা যায়, গত ১৭/০৫/২৫ ইং তারিখে চট্টগ্রাম জেলার বুজপুর থানার কাঞ্চনা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন চট্টগ্রামে ট্রাক থামিয়ে প্রকৃত ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে গেলে একদল চক্র তাকে হাতে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে তাকে অপহরণ করে। পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মুক্তিপণের দাবি করেন। মুক্তিপণ না দেওয়ায় তাকে ঐ অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আটক রাখে। পরে দামুড়হুদা উপজেলা পুরাতন বাস্তবপুর গ্রামে নিয়ে এসে ঘরে বন্দি করে রাখে।

গত ২৫/০৬/২৫ ইং তারিখে সন্ধ্যার সময় কেউ বাড়িতে না থাকায় আলমগীর হোসেন ঘর থেকে বেরিয়ে মেইন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তার হাতে হাতকড়া পরানো দেখে স্থানীয়রা তাকে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো আলমগীর হোসেন থানা হেফাজতেই রয়েছেন। দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে এখনো পর্যন্ত তার পরিবারের কোনো লোকজন থানায় এসে পৌঁছায়নি। কেন তার পরিবার এখনও পর্যন্ত তাকে নিতে আসেনি এটা বোধগম্য নয়। তাহলে কি এর মধ্যে কোন রহস্য আছে এটাই ধারণা এলাকাবাসীর। এদিকে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ পুরাতন বাস্তবপুর থেকে দুজন মহিলাকে জিজ্ঞেসসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেন। পরে জিজ্ঞেসাবাদ করে তাদেরকে ছেড়ে দেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণ এক ব্যক্তিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার পরিবারের লোকজন আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মুচলেকায় মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা জাফর আলী

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাফর আলীকে (৫৯) মুচলেকায় পরিবারের কাছে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বানী ইসরাইল।

তিনি জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাফর আলীর বড় ভাই বজলুল হকের জিম্মায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য : শুক্রবার ভোরে তার নিজবাড়ি এলাঙ্গি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বাড়ির আঙ্গিনা সংলগ্ন পরিত্যক্ত ঘর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল,একটি ম্যাগজিন ও ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।




গাংনীতে অস্ত্রসহ ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্পাদক আটক

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাফর আলীকে (৫০) আটক করেছে সেনাবাহীনির গাংনী ক্যাম্পের সদস্যরা।

আজ শুক্রবার ভোরে তার নিজ বাড়ি এলাঙ্গি থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার বাড়ির আঙ্গিনা সংলগ্ন পরিত্যক্ত ঘর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

গাংনী সেনা ক্যাম্প সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এলাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা জাফর আলীর বাড়িতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বাড়ির ভিতরে ও বাইরে সম্পূর্ণ তল্লাশি করা হয়। এসময় বাড়ির আঙ্গিনা সংলগ্ন পরিত্যক্ত ঘর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে গাংনী সেনাক্যাম্পে নেয়া হয় এবং পিস্তলের প্রকৃত মালিকানা যাচাইয়ের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বিদেশী পিস্তল, ম্যাগজিন ও তিনটি ককটেলসহ গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, জাফর আলীকে থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




দর্শনায় ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১

দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১০২পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ জোহরা বেগম জহুরাকে (৫০) গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃত জোহরা বেগম দর্শনা থানার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া উত্তর পাড়ার হাসমত আলীর স্ত্রী।

জানা যায়, আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় দর্শনা আকন্দবাড়িয়ায় ।

এ সময় দর্শনা থানার চৌকস এস আই মাসুদুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বেচাকেনার সময় হাতেনাতে জহুরা বেগমকে গ্রেফতার করে। পরে তার শরীর তল্লাশি করে ১০২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করেছে। গতকালই জহুরা বেগমকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে।