আলমডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনায় বড় ভাই ও ভাবীকে কুপিয়ে জখম

আলমডাঙ্গার বাঁশবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় বড় ভাই ও বৌমাকে গুরুতর জখম করলেন ছোট ভাই ও তার ছেলে। বাদীর অভিযোগ কালক্ষেপণ করছে তদন্ত কর্মকর্তা।

আলমডাঙ্গা বাঁশবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ভাই আবুল কালাম (৪৮) ও তার স্ত্রী লতা (২০) কে গুরুতর জখম করলেন ছোট ভাই আলম (৪৫) ও তার ছেলে ইমন (২১)। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কালামের ছেলে ও লতার স্বামী তরিকুল (২৭) বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

গত শুক্রবার ঘটনাটির সূত্রপাত হয় সেচস্পাম্প মেশিনের কিছু নতুন যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আবুল কালামের পানের বরজে নষ্ট হয়ে থাকা সেচপাম্প মেশিন ঠিক করার জন্য কিছু নতুন যন্ত্রাংশ কেনা হয়। যা নষ্ট মেশিনের পাশে রাখা ছিল বলে জানা যায়। এ সময় কালামের ছোট ভাই আলমের ছেলে ইমন ওখানে আসে তখন মেশিনের পাশে কেউ ছিলো না। বরজ থেকে ইমনকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাদী তরিকুল দেখে। দুইজনের মধ্যে মেশিন ঠিক করার বিষয়ে কথাবার্তা হয়। ইমন বরজ থেকে বেরিয়ে গেলে মেশিনের কাছে কোন নতুন যন্ত্রাংশ না পেয়ে তরিকুল তার বাবা আবুল কালামকে জানাই।

সেচপাম্পের নতুন যন্ত্রাংশ না পাওয়ায় আবুল কালাম ছোট ভাইয়ের ছেলে ইমনকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ঘটনাটি বাগ-বিতণ্ডায় রূপ নেয়। পরবর্তীতে ছোট ভাই আলম ও তার ছেলে ইমন রাগান্নিত অবস্থায় লাঠিসোটা নিয়ে কালামের মাথায় আঘাত করে, বাদী তরিকুল বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আঘাত করে বিবাদীরা।

শশুর এবং স্বামীকে গৃহবধূ লতা বাঁচাতে গেলে, চাচা শ্বশুর আলম এবং চাচাতো দেবর ইমন উভয়ই লতাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় কালাম, ছেলে তরিকুল, বৌমা লতাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদীতে ভর্তি করে। সকলেই এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে বলে জানা যায়। এরমধ্যে তরিকুল কিছুটা সুস্থ হয়ে, অভিযোগ দায়ের করে বলে জানা যায়।

তরিকুল কিছুটা অভিযোগের সুরে সাংবাদিকদের কে জানান, আলমডাঙ্গা  থানার এস আই নিয়ামুল তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করছেন। এদিকে বিবাদী পক্ষ তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে দ্বায়িত প্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই নিয়ামুল তার প্রতি তরিকুলের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, বাদী ও বিবদী, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীদের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত রির্পোট প্রদান করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সম্মন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”




দামুড়হুদায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভা

দামুড়হুদায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস্তবায়নে এই কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

র‍্যালী শেষে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‍্যালী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাঃ হেলেনা আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এমটি (ইপিআই) ফারুক আহমেদ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ নিয়ামত আলী সহ হাসপাতালের সিনিয়ার স্টাফ নার্স, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও সিএইচসিপি গণ প্রমুখ।




সরকারের ‘ট্যুরিজম মিডিয়া ফেলোশিপ’ পেলেন মেহেরপুরের মাসুদ রুমী

সাংবাদিকতায় এক অনন্য স্বীকৃতি পেলেন কালের কণ্ঠের চিফ বিজনেস এডিটর মো. মাসুদ রুমী। এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা ও নীতিগত উন্নয়ন নিয়ে ধারাবাহিক তিন পর্বের বিশেষ প্রতিবেদন করার জন্য তিনি পেয়েছেন ‘ট্যুরিজম মিডিয়া ফেলোশিপ সম্মাননা-২০২৫’।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংস্থা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) ২০১৩ সালে এই ফেলোশিপ চালু করে। এবার মোট ১০ জন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক এ সম্মাননা অর্জন করেন। উলে­খযোগ্য বিষয় হলো, মাসুদ রুমীর জন্য এটি তৃতীয়বারের মতো সরকারি এই ফেলোশিপ প্রাপ্তি।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফেলোশিপ প্রাপকদের হাতে অর্থ চেক ও সনদ তুলে দেন বিটিবি’র পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সালেহা বিনতে সিরাজ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি)-এর সভাপতি তানজিম আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লবসহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফেলোশিপ প্রাপ্ত সাংবাদিকরা ইতিমধ্যেই ৩০টি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরে জাতীয় আলোচনায় এনেছেন।

সাংবাদিকতায় পথচলা: মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার সন্তান মাসুদ রুমী সাংবাদিকতায় ২৬ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ব্যবসা, অর্থনীতি, বেসরকারি খাত, তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিকম, পর্যটন ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

২০০৯ সালের ১ জুলাই কালের কণ্ঠের সূচনালগ্ন থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর তিনি এ পত্রিকায় বিজনেস এডিটর, চিফ বিজনেস এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি শফিক রেহমান সম্পাদিত দৈনিক যায়যায়দিন-এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন। এছাড়া দৈনিক নতুন ধারা ও দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি কাজ করেছেন সাপ্তাহিক ২০০০, সায়েন্স ওয়ার্ল্ড, শিক্ষা সংবাদসহ নানা গণমাধ্যমে। টেলিভিশনে শফিক রেহমানের জনপ্রিয় আর্ট শো ‘লাল গোলাপ’-এ ও তিনি কাজ করেছেন।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে মাসুদ রুমী পেয়েছেন একাধিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা। যুক্তরাষ্ট্রের সিএমও কাউন্সিল কর্তৃক ব্র্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০১২) এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে সম্মুখসারির সাংবাদিক হিসেবে ‘অ্যামচেম ফ্রন্টলাইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ তার মধ্যে উলে­খযোগ্য। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড থেকেও তিনি এর আগে দুবার ফেলোশিপ পেয়েছেন।

মাসুদ রুমী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (সম্মান) ও প্রথম শ্রেণিতে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সাংবাদিকতা জীবনে তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন। তার সহকর্মীরা বলেন, সংবাদকে গভীরভাবে দেখা, বিশ্লেষণ করা এবং একইসঙ্গে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করাই তার শক্তি।




মেহেরপুরের এসপি ওএসডি, নতুন এসপি মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী

দেশের সাত জেলায় নতুন পুলিশ সুপার নিয়োগ দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ ও বদলির আদেশ জানায়। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ-১ শাখা নম্বর:-৪৪,০০,০০০০,০৯৪.১৯.০০১.২২-৪০৮ প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকীকে মেহেরপুরের পুলিশ সুপার করা হয়েছে এবং মাকসুদা আকতার খানমকে বদলিকরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ সুপার (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ওএসডি) করা হয়েছে।

এছাড়াও শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন শিকদারকে বরগুনার পুলিশ সুপার করা হয়েছে। পিবিআইয়ের (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার করা হয়েছে।

পুলিশ অধিদপ্তরের মো. মেনহাজুল আলমকে নরসিংদীর পুলিশ সুপার করা হয়েছে।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার করা হয়েছে। এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামকে নড়াইলের পুলিশ সুপার করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামকে নাটোরের পুলিশ সুপার করা হয়েছে।




মেহেরপুরে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত

“মাতৃদুগ্ধকে অগ্রাধিকার দিন, টেকসই সহায়ক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে পালিত হয়েছে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ।

জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে দিনটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালির আয়োজন করা হয়।

আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে একটি র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি হাসপাতাল সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

র‍্যালিটির নেতৃত্ব দেন সিভিল সার্জন ডা. একেএম আবু সাঈদ। পরে সিভিল সার্জন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় সেবিকা ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে পাটের চেয়ে বেশি কদর পাটকাঠির

প্রাচীন কাল থেকে রান্নার জ্বালানি, ঘরের বেড়া, পান বরজের বেড়া ও ছাউনি তৈরিতে পাটকাঠির ব্যবহার হয়ে আসছে। এখন গৃহস্থালী সামগ্রী, বাহারী ওয়াল মেট, পার্টিক্যাল বোর্ডসহ বিভিন্ন সৌখিন সামগ্রী তৈরিতে পাটকাটি ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে। পাটকাঠির বহুমুখী ব্যবহারের কারণে আগের তুলনায় এর কদর বেড়েছে কয়েক গুন।

এখন চাষিরা সোনালি আঁশের রুপার কাঠিতে আশার স্বপ্ন দেখছেন।

বর্তমানে বিভিন্ন পার্টিকেল বোর্ড তৈরি ছাড়াও বিভিন্ন কল কারখানায় পাটকাঠির ব্যবহার হচ্ছে। যার ফলে পাটকাঠির মূল্য ক্রমশ বেড়েই চলেছে, এছাড়া ফটোকপির কালি তৈরিতেও এর ব্যবহার বেড়েছে বলে জানা যায়।

একসময় শুধুমাত্র জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হতো এই পাটকাঠি। সরেজমিনে দেখা যায় ঝিনাইদহ সদরের নবগঙ্গা, শৈলকুপার কুমার, গড়াই, ডাকুয়া কালীগঙ্গা , হরিণাকুণ্ডুর নবগঙ্গা, কুমার, কুমরল,ডাকুপার খাল, কাকল বিল, কাপাশাটিয়ার বওড়, কাইতপাড়া বাওড়, কালীগঞ্জের চিত্রা, ভৈরব, বেগবতি, কোটচাঁদপুরের চিত্রা, কপোতাক্ষ ও মহেশপুরের ভৈরব,বেতনা,ইছামতি, কোদলা, কপোতাক্ষ নদ, নস্তীর ও সস্তার বাওড়সহ বিভিন্ন বিল-খাল বেষ্টিত এই অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার দুপাশে বাশ দিয়ে আঁড়া তৈরী করে তার উপরে পাট ও পাটকাঠি শুকাচ্ছে কৃষকরা।

পাটের আশ ছুড়ানোর সময় কয়েক গুচ্ছ পাটকাঠি একত্রিত করে আটি বেঁধে শুকানোর জন্য দিয়ে দেওয়া হয়। আলাদা শ্রমিক দিয়ে পানির মধ্য থেকে সেই আটি তুলে চাষিরা আড়ায় শুকাতে দেয়।

ঝিনাইদহের হাটগোপালপুর, বিষয়খালী, ডাকবাংলা, শৈকুপার গাড়াগঞ্জ, দহকুলা, নিত্যানন্দপুর, হরিণাকুণ্ডুর কাপাশহাটিয়া বাওড়ের পাশে ঘুরে দেখা যায়, খাল-বিল ও নদীর ধার দিয়ে পুরুষের পাশাপাশি শত শত মহিলারা পাট থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন। দিনশেষে তারা মুজুরি হিসেবে পাটকাঠি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

এমনই এক নারী শ্রমিক আছিয়া খাতুনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বাড়িতে জ্বালানি সংকট ও পানের বরজে বেড়া দেবেন এজন্য তিনি পাটের আঁশ ছড়াতে এসেছেন, বিনিময়ে পাটকাঠি সংগ্রহ করছেন।

হাফেজা খাতুন নামের আরেক নারী বলেন, পাট কাঠি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানান কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পাটকাঠি সংগ্রহ করতে দেখা যায়। তাই তিনি পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর বিনিময়ে পাটকাঠি সংগ্রহ করতে এসেছেন।

বৈডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ৪ টি জাগ দিয়েছি সব জায়গায় পাটের আঁশ ছাড়াতে মহিলারা কাজ করছেন যাদের কাজের বিনিময়ে দেওয়া হবে পাটকাঠি। এতে করে পাট চাষে বিনিয়োগকৃত অর্থ অনেকটাই উঠে আসছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া পান বরজের জন্য চড়া দামে পান চাষিরা কিনছেন পাটকাঠি।

পাটের আঁশ ছাড়াতে অর্থের বিপরীতে পাটকাঠি দিচ্ছেন কেন এমন পশ্নের জবাবে বাদ পুকুরিয়া গ্রামের তোয়াজ আলী বলেন, পাট চাষের ব্যয় লাঘব করতে পাটের আঁশ ছাড়াতে আসা কৃষাণীদের অর্থ না দিয়ে পাটকাঠি দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনগিয়ে দেখা যায়, যেখানেই পাট জাগ দেওয়া হয়েছে সেখানেই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার গৃহিণীরা।

চেয়ে নিচ্ছেন পাট, ছাড়িয়ে দিচ্ছেন আঁশ বিনিময়ে নিচ্ছেন পাট কাঠি। দেখে মনে হচ্ছে, পাট কাঠি চাষিদের কাছে বোঝা হলেও তাদের গৃহিণীদের কাছে বেশ দামি।

এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদী, খাল-বিলেই পাট জাগ দিয়ে পাটের রং ভালো হওয়ার পাশাপাশি পাটকাঠির মানও ভালো হয়েছে।

এদিকে, সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে পাটকাঠি ব্যবসায়ীরা চাষিদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে পাটকাঠি ক্রয় করে ভ্যান যোগে পার্শ্ববর্তী শহরে নিয়ে বিক্রি করছেন চড়া দামে। এমনই একজন পাটকাঠি ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, এখন পাটকাঠি বিক্রির মৌসুম। তাই আমরা পাটচাষিদের কাছ থেকে ৫০-৬০ টাকা আটি দরে প্রতি আটি কিনে শহরে গিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে বিক্রি করছি। এতে করে ভ্যানপ্রতি আমাদের ২ থেকে ৩হাজার টাকা আয় হয়।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলার ৬টি উপজেলায় ২০,২২৯ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। গত বছরে ২১৪৪৬ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছিল। পচাঁনোর সময় ভোগান্তি, শ্রমের মূল্য অধিক এবং ভালো দাম না পাওয়া এবং রোগের আক্রমণে নিরুৎসাহিত হয়ে এবছর ১২১৭ হেক্টর কম জমিতে আবাদ করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গতবছর ৫০৬২ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছিল এবার ৪৮১০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। শৈলকুপায় গতবছর ৮৪৭৭ হেক্টর জমিতে, এবছর ৭৭৯৮ হেক্টর জমিতে, কালীগঞ্জ উপজেলায় গতবছর ৭১০ হেক্টর এবছর ৬৬৫ হেক্টর জমিতে, কোটচাঁদপুরে গতবছর ৪১৫ হেক্টর এবছর ৩৫৪ হেক্টর জমিতে, মহেশপুরে গতবছর ৪০৭০ হেক্টর জমিতে এবছর ৩৮৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। তবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় গত বছর ও এই বছর সমান ২৭১২ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে।

এবছর ফলন ভাল হয়েছে হেক্টর প্রতি ১৫ বেল পাট উৎপাদন হয়েছে বলে জানান চাষিরা। পাটকাঠির এত চাহিদা কারণ কি -এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিবিদ ষষ্টি চন্দ্র রায় বলেন, পাট এমন একটি কৃষিপণ্য যার কোনো অংশই অব্যবহার্য থাকে না।

তাই পাটচাষ বৃদ্ধি পেলে পাটকাঠি অবশ্যই কৃষকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ উপার্জন পূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস হতে পারে।

কৃষি অধিদপ্তর ঝিনাইদহের উপপরিচালক কৃষিবিদ ষষ্টি চন্দ্র রায় বলেন , পাট চাষিদের জন্য একটি অর্থকরি ফসল এবছর পাটের রং ভাল আসছে এবং যেখানে সেখানে পানি থাকায় কৃষকরা সহজেই পাট জাগ দিতে পারছে। পাটের আঁশের সঙ্গে পাটকাঠিও কৃষকদের আর্থিক সুবিধা দিতে পারে। এ ছাড়াও পাটকাঠি আর্থিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কৃষকদের নানাবিধ কাজে লাগে। তাই পাট জাগ দেওয়ার ব্যাপারে প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত পাটের রং ও পাটকাঠির মানের বিষয়ে নজর রাখা প্রয়োজন।




হরিণাকুণ্ডুতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরুল হাসান মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামীম রেজা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আবুল হাসান মাস্টার, পৌর বিএনপি’র সভাপতি জিন্নাতল হক খান, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক তাইজাল হোসেন, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সমিনুজ্জামান সমিন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, হরিণাকুণ্ডু পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকরাম হোসেন, সদস্য সচিব ইখলাচ উদ্দিন, পৌর বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক তারেক আল মামুন।

আলোচনা সভা শেষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ পাওয়া ১২৯ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দেওয়া, তাদের অনুপ্রাণিত করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পড়াশোনায় উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যেই এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় বলে জানান আয়োজকরা।




খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার জিলেরডাঙ্গা এলাকায় যাত্রীবাহী ইজিবাইকের সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়ালো। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাতজন যাত্রী নিয়ে ডুমুরিয়া বাজার থেকে খুলনা নগরীর গল্লামারীর উদ্দেশে যাত্রা করছিল একটি ইজিবাইক। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জিলেরডাঙ্গা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের চালক মুজাহিদুল মোড়ল (২৫) ও যাত্রী রিনা খাতুন (৪৭) নিহত হন। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রুস্তম আলী খান (৬৪) এবং অজ্ঞাত (৪০) মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত একজনকেকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায় এবং মহাসড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল নিশ্চিত করে। দুর্ঘটনাকবলিত ইজিবাইকটি উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে সংঘর্ষের পরপরই পিকআপ ভ্যানের চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা করছে।

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা জানান, ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো দুইজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ




ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম মেহেরপুরের নতুন ডিসি

মেহেরপুর, পটুয়াখালী, কুষ্টিয়া, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা ও খুলনায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ডিসিদের মধ্যে তিনজনকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম মেহেরপুরের ডিসি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ শাহিন হোসেন চৌধুরীকে পটুয়াখালী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানকে নেত্রকোনার ডিসি করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর ডিসি আবু হাসনাত মোহামদ আরেফিনকে কুষ্টিয়া, মেহেরপুরের ডিসি সিফাত মেহনাজকে কুড়িগ্রাম এবং কুষ্টিয়ার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে খুলনার ডিসি করা হয়েছে।




অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি এসপির

যদি কারো মোবাইল থেকে অনলাইন ক্যাসিনোর অ্যাপ পাওয়া যায়, সেটাই তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে, আদালতে সোপর্দ করবে এবং দুই বছরের কারাদণ্ড, এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে (বিচারের মাধ্যমে)।
এই জন্য আমি সবার মাধ্যমে জানাতে চাই, যদি কারো অনলাইন ক্যাসিনো খেলার কোনো অ্যাপ থাকে, তাহলে সেটি মুছে ফেলুন। আজ থেকে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করব।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” প্রতিপাদ্যে কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম।

তিনি আরও জানান, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এ অনলাইন জুয়ার ব্যাপারে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এ অধ্যাদেশের ২০ ধারায় ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। আমাদের আইন, আমাদের ধর্ম সবই জুয়াকে নিষিদ্ধ করেছে। আপনার সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজন যাতে অনলাইন জুয়ায় সম্পৃক্ত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করবেন। মোবাইলে জুয়ার অ্যাপ রাখা অপরাধ। তাই সাংবাদিক ও অভিভাবকবৃন্দের নিকট জানানো যাচ্ছে যে, এ বিষয়ে প্রচারণা চালাবেন।

তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মসহ সব ধর্মেই আত্মহত্যাকে মহাপাপ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ জেলায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। অনেকে কলহের জেরে আত্মহত্যা করে থাকেন। আমরা এখন থেকে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করার ব্যবস্থা নেব। এক্ষেত্রে লাশের পোস্টমর্টেম না করলে নিয়মিত মামলা করা যায় না।
তিনি আরো বলেন, অনেক অভিভাবক তার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানকে মোটরসাইকেল কিনে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু আপনার সন্তানকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। পারিবারিক সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। বেপরোয়া যানবাহন এবং কাগজপত্রবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং এবং স্কুল পালিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁয় আড্ডা দেওয়া অল্প বয়সে গ্যাং তৈরির মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

পরে, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১২২টি মোবাইল ফোন এবং মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।

মোবাইল ফোন এবং মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার বিষয়ে তিনি বলেন, সাইবার জগতের বিভিন্ন অপরাধ যেমন বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে টেলিগ্রাম জালিয়াতি চক্র, বিকাশ প্রতারক চক্র, অনলাইনে কেনাকাটা সংক্রান্ত প্রতারণা চক্রসহ নানা ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতির শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের নিয়মিত আইনি সেবা প্রদান করছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের জুন-জুলাই মাসে সাইবার স্পেসে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ হওয়া সর্বমোট ৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতারণা চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন সময় বিকাশ এবং নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ভুলক্রমে এক নম্বর থেকে অন্য নম্বরে চলে যাওয়া ১ লাখ ১ হাজার ৩০০ টাকা সহ সর্বমোট ১০ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা জেলার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের সকল সদস্য পেশাদারিত্বের সাথে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনগুলো প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আজকের এই আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া মেহেরপুরের তিনটি থানায় ডায়েরিকৃত সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে জুন-জুলাই মাসে সর্বমোট ১২২টি হারানো মোবাইল সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর থানার ৪১টি, গাংনী থানার ৬৪টি এবং মুজিবনগর থানার ১৭টি মোবাইল অন্তর্ভুক্ত। উদ্ধারকৃত ১০ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকার মধ্যে মুজিবনগর থানার মামলায় ৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, যা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছিল।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামিরুল রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল করিম, ডিবির ওসি গোপালসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।