মেহেরপুর সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিল ৯ আগস্ট, তফসিল ঘোষণা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মেহেরপুর সদর উপজেলা শাখা ও পৌর শাখার নির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আগামী ৯ আগস্ট কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

এ উপলক্ষে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বিতরণ ও বিক্রয় ৩০ জুলাই, মনোনয়নপত্র জমা ৩১ জুলাই, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৩১ জুলাই, প্রাথমিক খসড়া প্রার্থীতালিকা প্রকাশ ৩১ জুলাই, আপত্তি গ্রহণ ও আপিল ১ আগস্ট, আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি ১ আগস্ট, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২ আগস্ট, চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২ ও ৩ আগস্ট।

সম্মেলন ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে।
ভোটগ্রহণ শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।




মাদক চোরাচালান ও পাচার প্রতিরোধে মেহেরপুরে বিজিবির জনসচেতনতামূলক সভা

সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান, মাদক পাচার ও অন্যান্য সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে মেহেরপুরে জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের শালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে এ জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধ, সীমান্তে গবাদিপশু না চরানো, নারী ও শিশু পাচার রোধ এবং মাদকসহ সকল প্রকার চোরাচালান প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। স্থানীয় জনসাধারণকে এসব বিষয়ে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুবেদার মোহাম্মদ এনামুল করিব।

তিনি বলেন, “সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনগণের ভূমিকা সীমান্তের শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যুগের পর যুগ এখানে বসবাস করছেন এবং আপনাদের সহযোগিতার মাধ্যমে বিজিবির টহল তৎপরতা আরও কার্যকর করা সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব।”

এছাড়াও এ সময় হাবিলদার মো. মতিয়ার রহমান, সিপাহী আরিফুর রহমান, সিপাহী নাইম, সিপাহী জুয়েল, সিপাহী আহাদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগর কৃষি প্রনোদনার আওতায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ মেশিন বিতরণ

মুজিবনগরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে এ বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মণ্ডল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পেঁয়াজ সংরক্ষণ মেশিন বিতরণের উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসি ওমর ফারুক প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দসহ প্রণোদনা প্রাপ্ত পেঁয়াজ চাষিগণ উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৩০ জন পেঁয়াজ চাষিকে একটি করে পেঁয়াজ সংরক্ষণ মেশিন এবং মেশিন বাবদ ও ঘর সংস্কারের জন্য ২৭ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।




মেহেরপুরের ড.গাজী রহমানকে ঢাকায় সংবর্ধনা প্রদান

ঢাকা থেকে প্রকাশিত ইংরেজী পত্রিকা বাংলাদেশ ডায়েরী পত্রিকার ৪র্থ বর্ষপূতি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের বিশিষ্ট কবি, লেখক ও গবেষক ড. গাজী রহমানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার এর সম্পাদক ও প্রকাশক, ড. খান আসাদুজ্জামান। জানা গেছে, ড. গাজী রহমানকে তিনি তার মাসিক অপরাজেয় বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।

ড. গাজী রহমান একজন গুণী মানুষ। ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুরে তার বসবাস। কবিতা লিখেন চমৎকার। কবিদের কবিতা নিয়ে গবেষণা করেন। বক্তব্য রাখেন সুন্দর। সংগঠক হিসেবে তার নাম আছে। মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। তিনি সে সময়ে এই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন।

তার জন্ম ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার গোড়ার পাড়া গ্রামে। তবে দীর্ঘকাল ধরে তিনি মেহেরপুরে নিজের বাড়ি করে বসবাস করছেন। মা: মৃত সালেহা খাতুন। বাবা: মৃত ইছাহক বিশ্বাস। তিনি মেহেরপুর সরকারি হাইস্কুল ও মেহেরপুর সরকারি কলেজে পড়াশুনা করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের কবিতা’। পরে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট. ডিগ্রী অর্জন করেন।

গবেষণা গ্রন্থ: স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের কবিতায় সমাজচেতনা (২০১২) ও রবীন্দ্র থিয়েটার : থিয়েটার-সংযোগের নতুন মাত্রা(২০১৩)। কাব্যগ্রন্থ : মধ্যাহ্নে চরণ ধ্বনি(১৯৯২), বলাকা ধবল উত্তরীয় (২০১৫), ত্রিমোহনা (২০১৫), ত্রিনয়ন (২০১৯)। সম্পাদনা : সাবির মানস সন্ধান(২০০৪), প্রসঙ্গ: কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যবাদী ও চক্রবাক (২০১২), রূপসী বাংলা(২০১২), রবীন্দ্রনাথের কবিতা: প্রেম ও প্রকৃতি (২০১৫) ও জসীম উদ্দীনের রাখালী ও নক্সী-কাঁথার মাঠ : জীবনাভিজ্ঞতার শিল্পায়ন (২০১৯)।

মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু। শান্তাহার সরকারি কলেজ, বগুড়া তাঁর শেষ কর্মস্থল। তিনি নজরুল একাডেমী মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবির সঙ্গীত ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি । দুই বাংলায় অতি পরিচিত মুখ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সেমিনারের অতিথি ও আলোচক। অর্জন করেছেন কৃতি শিক্ষক ও মেহেরপুর জেলার কৃতি সন্তানের স্বর্ণপদক। তিনি বাংলা একাডেমি, ঢাকা; ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেস ও ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস এর আজীবন সদস্য।




গাংনীতে সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে ঠেলে দিল বিএসএফ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৭ জন নারীসহ ১৮ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ জন, সহড়াতলা সীমান্ত দিয়ে ৩ জন ও দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি’র দায়িত্বপূর্ণ কাজিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার হাবিবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কাজিপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৪৫/৪-এস এবং ১৪৬ এর মাঝখান দিয়ে তাদের পুশ-ইন করা হয়।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের এসব নারী-পুরুষ বিভিন্ন সময়ে ভারতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন। তাদের সাজা শেষ হওয়ার পর ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী সীমান্তের ওপারে জড়ো করে সুযোগ বুঝে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে। তবে, পুশ-ইন হওয়া এসব ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এরা হলেন, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের রাজা শেখের ছেলে মহসিন শেখ (৩১), একই উপজেলার কাঠাধুড়ো গ্রামের টুটুল মোল্লার মেয়ে সাথি বেগম (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার গাউছিয়া উপজেলার সাত্তার মিয়ার মেয়ে তানিয়া খাতুন, যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ইদিয়া গ্রামের ইলিয়াছ শেখের ছেলে তুহিন শেখ, খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইখরি গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার মেয়ে ময়না বেগম, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার রতনদিঘী গ্রামের ইছাহাক আলীর মেয়ে ফাতেমা বেগম, একই জেলার রানীশংকৈল উপজেলার বলনচা গ্রামের আকবর আলীর ছেলে সোহেল রানা, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মাধবপাশা গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে বরকত শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার উজিরমনি গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ইকরামুল হোসেন, চচপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে হাসিবুল ইসলাম, কাচকালি গ্রামের হামিদের ছেলে জাকির আলী, বারিশা গ্রামের সোবহানের ছেলে শাহ আলম, কাশিপুর গ্রামের ছলিমুদ্দীনের ছেলে আব্দুল কাদের, কেরবাড়ি গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে উসিরুল ইসলাম, নড়াইল জেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের হাসমত খানের স্ত্রী লতা শেখ, বিষ্ণুপুর গ্রামের হাসু মোল্লার ছেলে রমজান মোল্লা, মেয়ে আফরোজা কানন, ছেলে রমজান মোল্লা এবং রমজান মোল্লার স্ত্রী স্মৃতি বেগম।

বিজিবির পক্ষ থেকে বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) মথুরাপুর বিওপিতে কর্মরত হাবিলদার রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহল দল আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্ত মেইন পিলার ১৪১ হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মথুরাপুর বাঁশবাগান এলাকা থেকে ৬ জনকে, শেওড়াতলা বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার রফিকের নেতৃত্বে একটি টিম আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের নিকট থেকে ৩ জন এবং কাজিপুর বিওপির টহল দল সুবেদার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৪৫ ও ১৪৬ এর মাঝখান থেকে ৯ জনকে আটক করেন।

এ নিয়ে বিএসএফকে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সাড়া পাওয়া গেলে নো ম্যানস ল্যান্ডে পতাকা বৈঠক করা হবে।




মেহেরপুরে জলবায়ু পরিবর্তন ও সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরে যুক্তিনির্ভর বক্তব্য উপস্থাপন করে।

আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ হাসিবুর জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম ও পিআইও সাইদুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুজ্জামান , আবুল হাসান,  ফারাহ হোসেন লিটন প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং এ বছর পরীক্ষায় এ প্লাস পাওয়াই সুরলা বিশ্বাস ও সামিয়া আক্তার জুঁইকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।




ঝিনাইদহ-২(ঝিনাইদহ-হরিণাকুণ্ডু) আসনে কারা লড়বেন ভোটের মাঠে!

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নির্বাচন নিয়ে সংশয়ও কাটেনি। তবে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্ঠা রাজনৈতিক দলের কাছে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মানুষ ধারণা করছেন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এই সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাঝে শুরু হয়েছে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের তৎপরতা। দলীয় মনোনয়ন পেতে নিজ নিজ দলের কেন্দ্র ও হাইকমান্ডে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ঝিনাইদহের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে সদর আসনটির রাজনৈতিক বিবেচনায় গুরুত্ব অনেক বেশি। জেলার হেড কোয়াটার হওয়ায় এই আসনের সংসদ সদস্য জেলার রাজনীতির মূল চালিকা শক্তি। মর্যাদাপূর্ণ এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে ভোটের মাঠ গোছাতে নেমে পড়েছেন। দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি ওয়ার্ডভিত্তিক জনমত গঠন ও সমর্থন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা কৌশলে কাজ করে যাচ্ছেন বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির নেতারা।

দলীয় সমাবেশ, জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবকে সামনে নিয়ে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জে ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলেছেন। দৃশ্যমান প্রচারের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দলীয় নেতা-কর্মী সমর্থকরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝিনাইদহের চারটি আসনে যোগ্য প্রার্থী সামনে আনতে না পারলেও ঝিনাইদহ-২ আসনে তারা একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে প্রার্থী হিসেবে দিতে পারে। তরুণ ভোট তাদের একমাত্র ভরসা। ঝিনাইদহ শহর ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চল ও জেলার অন্য ৫টি উপজেলায় এনসিপির দলীয় কর্মসূচিও তেমন একটা দেখা যায় না।

নির্বাচন কেন্দ্রীক কিছু দলের জোটবদ্ধ নির্বাচন করার সম্ভাবনার কথা শুনা যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে জামায়াতের সাথে ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য কিছু ইসলামী দলের জোটবদ্ধ নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে আবার বিএনপির কিছু মিত্র রয়েছে তাদেরকেউ কিছু ছিট ছেড়ে দিয়ে বিএনপি নির্বাচনী জোট করার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে ঝিনাইদহ-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের সামনে বড় প্রতিবন্ধকতা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। রাজনৈতিক মহলে প্রচারণা রয়েছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে ঝিনাইদহ-২ আসনে ভোটের মাঠে নেমেছেন রাশেদ খান। বিএনপির সাথে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচনী জোট হলে এ আসন থেকে রাশেদ খানের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। জোট না হলেও গণঅধিকার পরিষদ থেকে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এই আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর (৪টি ইউনিয়ন ব্যতীত) ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নিয়ে ঝিনাইদহ-২ আসন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৬ হাজার ১০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩০ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৯ হাজার ১৭১ জন। এ আসনে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৭ জন। ভোট কেন্দ্র ১৯৪টি।

আসনটি ঝিনাইদহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন। জেলা সদর হওয়ায় সব দলই আসনটিকে নিজেদের দখলে রাখতে চায়। এ আসনে বিগত দিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের আধিপত্য ছিল। তবে এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় এবং জামায়াত সাংগঠনিক ভাবে শক্তি অর্জণ করায় ইসলামী মোর্চা গড়ে বিএনপির সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিগত দুটি বিতর্কিত নির্বাচনে ভোট দিতে না পেরে ঝিমিয়ে পড়েছিলেন ভোটাররা। এবার তারা উৎসবমূখর ভোটের অপেক্ষায় রয়েছেন। ভোটাররা এবার নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন বলে মূখিয়ে রয়েছে।

ভোটের মাঠে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ। তিনি ২০১৮ সাল থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি একক মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যরা হলেন সাবেক এমপি মশিউর রহমানের ছেলে, বিএনপির একটি অংশের নেতা ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: ইব্রাহীম রহমান বাবু। জেলার অবকাঠামো উন্নয়নে এই আসনে তার বাবা সাবেক এমপি মশিউর রহমানের অনেক অবদান থাকায় তিনি দলীয় প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। এ দিকে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ এস এম মশিউর রহমান, এ আসনে দলীয় মনোনয়নের জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস (ছোট মজিদ) তারুন্যদিপ্ত নেতা হিসেবে দলে ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে তাই আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন, এছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর রবিউল ইসলাম লাবলু মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় ভাবে জোর লোবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর কে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি গ্রামে-গঞ্জে ভোটরদের কাছে পরিচিতি এবং তাদের মন জোগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এ আসনে কোন কারণে জামায়েত প্রার্থী পরিবর্তণ হয় সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আমীর শিবিরের সাবেক নেতা ও সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ড. হাবিবুর রহমানও জামায়াতের নেতা কর্মীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। দলীয় কর্মসূচি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ভোট গোছানোর কাজ করে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। বিএনপির পরিবর্তে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হলে এবং বিএনপি সক্রিয় কাজ না করলে জামায়াত এ আসনটি দখলে নিতে পারে বলে ধারণা করছেন সাধারণ ভোটাররা। তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক তারেক রেজা এ আসন থেকে লড়বেন বলে জানা গেছে। জামায়াতের সাথে নির্বাচনী ঐক্য না হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাত পাখা প্রতীকে দলীয় একক প্রার্থী নিয়ে আগামী নির্বাচনে লড়তে পারেন দলটির জেলা সভাপতি এইচ এম মোমতাজুল করীম। এ আসনে ঝিনাইদহ ও হরিণাকুণ্ডুতে তাদের কিছু নিজস্ব ভোটার রয়েছে এবং তারা নতুন ভোটারদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন।

এই আসনে বাম জোটের পক্ষে ভোটারদের তেমন সাড়া না থাকলেও জুলাই আন্দোলনে বাম ছাত্রফ্রন্টের ভাল অবদান ছিল। জাতীয় সংসদে বাসদের একক প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জান নির্বাচন করবেন বলে জানাগেছে।

দলীয় ভাবে যদি কোন জোট বা মোর্চা তৈরী না হয়, তাহলে প্রার্থী যেই হোক এ আসনে মূলত বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যেই হতে পারে ভোটের লড়াই।




ভৈরব নদের পানির নিচ থেকে উঠে আসছে তেলজাতীয় পদার্থ

মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর গ্রামে ভৈরব নদের পানির নিচ থেকে অজ্ঞাত উৎস থেকে তেলজাতীয় পদার্থ ভেসে উঠছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে বন্দর গ্রামের কফি হাউজ সংলগ্ন নদীপাড়ে এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতূহলের পাশাপাশি উদ্বেগও তৈরি করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর কিনারা ঘেঁষা হাঁটুসমান পানির নিচ থেকে তেল জাতীয় এক ধরনের পদার্থ ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসছে এবং তা পানির ওপরে ছড়িয়ে পড়ছে। পদার্থটি দেখতে অনেকটা ডিজেলের মতো এবং এর গন্ধও ডিজেলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

স্থানীয়রা জানান, বাঁশ বা লাঠি দিয়ে নদীর তলদেশে চাপ দিলে আরও বেশি পরিমাণে তেলজাতীয় পদার্থ উঠছে। এটি কোথা থেকে আসছে—তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

এদিকে, স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এই তেলজাতীয় পদার্থের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হোক এবং উৎস চিহ্নিত করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।




মেহেরপুরের সাজনিন হাসান রাত্রির ইউকে থেকে মাস্টার্স অব ল’স সম্পন্ন

মেহেরপুরের কৃতি শিক্ষার্থী সাজনিন হাজান খান রাত্রি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ পোর্টসমাউথ থেকে মাস্টার্স অব ল’স (LL.M) ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

তিনি মেহেরপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পন্টের ঘাট পাড়ার বাসিন্দা এবং স্থানীয় সাংবাদিক হীরক খানের মেয়ে ও মেহেরপুর প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার সাকিব হাসান খান রুদ্রর বড় বোন ।

রাত্রি জানান, তিনি মেহেরপুর জেলা বাসিসহ বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান। এ লক্ষ্যে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

তাঁর এই অর্জনে মেহেরপুর প্রতিদিন পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন রইল।




এতিমের পানের বরজ পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা

ঝিনাইদহ পৌর এলাকার মুরারীদহ গ্রামের শিপনের পানের বরজ রাতের আধারে ঘাস পোড়ানো ঔষুধ দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (২৭জুলাই) রাতে এক বিঘা জমির পানের বরজ পুড়িয়ে দিলো কে বা কেহারা! এ ব্যাপারে সখি খাতুন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে।

এতিমের পানের বরজ পুড়িয়ে দিলো শুত্রুতা করে। মানুষ মরে গেলেও এমন কান্না দেখা যায়না। কান্না যেন থমাছেই না তাদের। একটি এতিম পরিবারের ৮ জনের খাবার দেবে কে? একটি পানের বরজ পোড়ানো মানে একটি পরিবার শেষ করে দেওয়া।

বরজের মালিক শিপন জানান, মাঠে পানের বরজে গিয়ে দেখতে পায় ঘাস পোড়া কীটনাশক ব্যবহার করে পান নষ্ট করে দিয়েছে। আমার এক বিঘা জমি ধরন্ত পান ছিলো। যা সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমার ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। যা পোষাবার নয়। আমার বড় ভাই ৪ বছর আগে মারা গেছে। তাদের দুইটি মেয়ে ও আমার ভাবী আছে। অসুস্থ মা-বাবা আছে। আমার সন্তানসহ স্ত্রী রয়েছে। এই পানের বরজ দিয়ে ৮জন লোকের মুখের ভাত যোগাড় করতাম। এখন আমার এই পরিবারের সকল সদস্যের মুখের ভাত বন্ধ হয়ে গেলো। আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন।