মাইলস্টোন ট্রাজেডি: মুজিবনগরে মাহিয়ার কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা

বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মাহিয়া তাসনিম মায়া’র কবরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, ও তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামের জামে মসজিদে দোয়া শেষে মাহিয়ার কবরে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিমানবাহিনীর স্কোয়াডন লিডার ইকতিদার অভিবাদন গ্রহণ করেন। এসময় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল, মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান খান, নিহত মাহিয়া তাসনিমের নানা নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার রেহানা ও স্কোয়াডন লিডার ইকতিডারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি টিম নিহত মাহিয়া তাসনিম মায়ার পরিবারের সাথে স্বাক্ষাত করে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

তারা নিহত মাহিয়া তাসনিমের মা আফরোজা আক্তার বিউটির ও নানা নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলেন।

পরে তার কবর জিয়ারত শেষে স্থানীয় মসজিদে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, মাহিয়া মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের প্রয়াত প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।

২৪ জুলাই বিকেলে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাহিয়া।
পরে তার নানাবাড়ি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামে কবরস্থানে দাফন করা হয় মাহিয়াকে।




মেহেরপুরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ শিরোনামে একটি পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জেলা আইনজীবী ভবনের সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়।

পদযাত্রাটি মেহেরপুর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বর ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী আইনজীবীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করে ন্যায়বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।

পদযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আসাদুল আজম। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ফোরামের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবু সালেহ মো. নাসিম, অ্যাডভোকেট তুহিন অরণ্য, আনোয়ার হোসেন, মোখলেসুর রহমান স্বপন, অ্যাডভোকেট আদিল করিম, আলমগীর ইকবাল আলম, আফরোজা খাতুন, মিজানুর রহমান, ফরিদ উদ্দিন, এহান উদ্দিন মনা, সাহেব আলী, আল মামুন অনাল, কল্লোলসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা।

বক্তারা বলেন, দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।




শৈলকুপায় ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ আটক ৬

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১২নং নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলামসহ ৬ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (৩১জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণের জন্য কার্ড প্রদানের তালিকায় নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নেতা মহিদুল ইসলাম তার পছন্দের কিছু লোকের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেই অনুযায়ী কার্ড না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২০-২৫ জন অনুসারীসহ পরিষদে হাজির হন।
এ সময় তিনি ইউনিয়ন সচিব হাফিজুর রহমানকে টেনে হিচড়ে পরিষদ থেকে তুলে নিয়ে যান। একই সঙ্গে পরিষদের ভেতরে থাকা সেবাপ্রত্যাশী ও কর্মচারীদের আটকে রেখে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। সচিবকে তুলে নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গেলে সেনাবাহিনী ওই বিএনপি নেতাসহ ৬ জনকে আটক করে। উদ্ধার করা হয় সচিব হাফিজুর রহমানকে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই ঘণ্টা পর তালা ভেঙে ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধার করে।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, পরিষদের তালা দেওয়ার ঘটনায় ৬ জন আটক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ছাব্দার আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক রথিন্দ্রনাথ রায়ের সাথে স্বাক্ষাত করে এধরণের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস বলেন, পরষদে তালা দিয়ে সচিবকে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে তারা উপজেলায় আসে। আমি ঘটনা শোনার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকারি অফিসে তালা দেওয়ার অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করেছে।




ইসলামী শিল্পীগোষ্ঠি কলরবকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী সংগীত পরিবেশক দল ‘কলরব’ এখন আর শুধু সংগীতের নাম নয়, বরং এক চরম বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আইনুদ্দীন আল আজাদের পরিবার অভিযোগ করছে, কলরবকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত কোটি টাকার এক দুর্নীতির সাম্রাজ্য।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে মরহুম আইনুদ্দীন আল আজাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড় ভাই মোঃ শামসুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে আইনুদ্দীন আল আজাদের স্ত্রী উম্মে হাবিবা, শ^শুর গোলাম নবী, ছেলে গালিব বিন আজাদ, বড় মামা সাইফুল ইসলাম ও ছোট মামা শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বড় ভাই মোঃ শামসুল আলম বলেন, কলরব তার ভাইয়ের হৃদয়ের সংগঠন ছিল, যেটি তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গড়ে তুলেছেন নিষ্ঠা ও শ্রম দিয়ে। কিন্তু আজ সেই সংগঠনটি অফিস বয় বদরুজ্জামান ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের হাতে পড়ে লুটপাটের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর মোবাইল ফোনে কলার টিউন ও রিং ব্যাক টিউন হিসেবে কলরবের গজল ব্যবহারে বিপুল অর্থ আয় শুরু হয়, কিন্তু পরিবারের সদস্যদের কাছে সে আয়ের কোনো হিসাব কখনোই আসেনি। বরং কৌশলে সংগঠনের সমস্ত আয় এবং মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন বদরুজ্জামান। এমনকি প্রতিষ্ঠানের নামে আসা স্পন্সর, অনুদান, কনটেন্ট আয়ের সমস্ত কিছুই জমা হয় এখন তার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ‘হলিটিউন’-এর নামে।

সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বলেন, তার সন্তানরা আজ এতিম। তারা কলরবের প্রতিষ্ঠাতার উত্তরসূরি হয়েও কোনো সম্মান, কোনো আর্কি সুবিধা তো দূরে থাক, বরং সবদিক থেকেই বঞ্চিত। অথচ যারা একসময় অফিস বয়ের দায়িত্বে ছিলেন, তারা এখন একের পর এক ফ্ল্যাট, গাড়ি, প্রোডাকশন হাউজের মালিক।

সংবাদ সম্মেলনে আজাদের পরিবার দাবি করে, কলরবের বর্তমান নির্বাহী পরিচালক বদরুজ্জামান এবং প্রধান পরিচালক রশিদ আহমদ ফেরদৌস শুধু সংগঠনের অর্থ আত্মসাৎ করেননি, বরং প্রতিষ্ঠাতার স্মৃতি, শ্রম ও সুনামকেও ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের পেছনে। সংগঠনের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের নাম বদলে ‘হলিটিউন’ করে ফেলা হয়েছে। আয়-ব্যয়ের হিসাব শুধু গোপনই নয়, বরং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অন্যান্য সদস্যদের মুখ বন্ধ রাখা হয়েছে মাসোহারা, উপহার এবং হুমকির মাধ্যমে।
আজাদের পরিবারের ভাষ্য, কলরব প্রতিষ্ঠার সময় যারা ছিলেন, তাদের অনেকেই আজ সংগঠন থেকে বিদায় নিয়েছেন, কেউ কেউ চুপ থাকেন নিরুপায় হয়ে। যারা প্রশ্ন তুলেছেন, তারা একে একে বহিষ্কৃত হয়েছেন। অথচ সংগঠনের আয় বছরের পর বছর ধরে বেড়েছে মোবাইল ফোন কোম্পানি, কর্পোরেট স্পন্সর, ইউটিউব এবং ফেসবুক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এসব থেকে সংগঠনের তেমন কোনো স্থায়ী সম্পদ তৈরি না হলেও বদরুজ্জামান ও তার ঘনিষ্ঠজনরা হয়েছেন শত কোটি টাকার মালিক, যা তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০০৪ সালে ইসলামী শিল্পীগোষ্ঠি ‘কলরব’ প্রতিষ্ঠা করেন আইনুদ্দীন আল আজাদ। ২০১০ সালে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে কলরব শিল্পীগোষ্ঠি বদরুজ্জামান ও রশিদ আহম্মেদ ফেরদৌস পরিচালনা করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কথা ছিল শিল্পীগোষ্ঠি কলরব থেকে উপার্জিত অর্থ তার পরিবারকে প্রদান করা হবে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি আয় হলেও আইনুদ্দীন আল আজাদের পরিবারকে কিছুই দেওয়া হয় না। উপরন্ত জালিলয়াতির মাধ্যমে শিল্পীগোষ্ঠি সমস্ত সম্পদ নিজেদের নাম করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, শিল্পীগোষ্ঠি কলরবের অফিস বয় বদরুজ্জামান ইউটিউব, ব্রাইট সলিউশন মাল্টিমিডিয়া লিমিডেট ও হলি টিউনসহ বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, প্রবাসি সিটি, হেলিকপ্টারসহ গ্রুপ অব কোম্পানীর শীর্ষ শেয়ারদারী মালিক। অথচ আইনুদ্দীন আল আজাদের পরিবার আজ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন, স্ত্রী ও সন্তানরা আর্থিক কষ্টে ভুগছেন।




দর্শনা সীমান্তে দিয়ে ১৫ বাংলাদেশীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১৫ জন বাংলাদেশীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই দুপুর ২ টার দিকে সীমান্তের নোমান্স ল্যান্ডে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর ওই ১৫ বাংলাদেশীকে হস্তান্তর করে। এই দিন বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গার-৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার সময় চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন এবং বিএসএফ-৩২ ব্যাটালিয়নের মধ্যে দর্শনা সীমান্ত মেইন পিলার ৭৬ এর নিকট শূন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।পতাকা বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান এবং ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী সুজিত কুমারসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কমান্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।

পতাকা বৈঠকে পূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ হতে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বিজিবির নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদেরকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলো কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার নিজাম উদ্দীনের ছেলে রাসেল আলী(২৬) রাসেলের স্ত্রী মোছাঃ শাবানা (২১), নিজাম উদ্দীনের স্ত্রী মোছাঃ রাহিলা (৫২) রাসেলের মেয়ে মোছাঃ আছিয়া(৩) রিয়াজ উদ্দীনের মেয়ে মোছাঃ রেশমা(১০)কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার কবীরমাহমুদ গ্রামের আজিজারের ছেলে রফিকুল (২৮)তার স্ত্রী মোছাঃ জান্নাতি (২৪), তার মেয়ে মোছাঃ রুকসানা (১০),সহ ১৫ জন নারী পুরুষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু রয়েছে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীর বলেন,ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬ বিজিবি ১৫ জনকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করেছে।




গাংনীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩

মেহেরপুরের গাংনীতে ২৪ ঘন্টার অভিযানে ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গাই অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন কুষ্টিয়া দৌলতপুরের খলিসাকুন্ডি গ্রামের মোঃ আসাদুল ইসলামের ছেলে মোঃ কলিন্স (২৫), গাংনীর কাজিপুর গ্রামের ফরাজীপাড়ার খোশবুল খানের ছেলে টুটুল হোসেন (২২), ভোলাডাঙ্গা গ্রামের আসিবুল ইসলামের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৪৮)।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

জেলা সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।




মেহেরপুর জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের নতুন কমান্ডার শামসুল আলম সোনা

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভায় মেহেরপুর জেলা ইউনিট কমান্ডের এডহক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নবগঠিত এই কমিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম সোনাকে আহবায়ক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মল্লিককে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রায়হানুল কবীর।

কমিটির সদস্যরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবেদার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুদাস হালদার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিন উদ্দিন হালদার।

এডহক কমিটির অনুমোদনের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ থান এবং আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।




মেহেরপুরে তিন মাদক মামলায় চার আসামির কারাদণ্ড

মেহেরপুরে পৃথক তিনটি মাদক মামলায় চার আসামিকে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জি.আর-১২৫/১৯ (মেহেরপুর) মামলায় আসামি মোঃ আল আমিন এর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬(১) টেবিলের ১০(ক)/৪১ ধারায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে, জি.আর-১৮৫/২০ (মেহেরপুর) মামলায় আসামি মোঃ মিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬(১) টেবিলের ১৪(ক) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পুলিশের অভিযানে তার দোকান সংলগ্ন এলাকা থেকে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

তৃতীয় মামলায়, জি.আর-৭/১৯ (মুজিবনগর) এর রায়ে দুই আসামি মোঃ জয়নাল মন্ডল ও মোঃ বিপ্লব আলী-র বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬(১) টেবিলের ১০(ক) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালে মোনাখালী এলাকায় পুলিশের অভিযানে তিনজনকে আটক করে মোট ১৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মামলার অপর আসামি মোঃ আলফাজ আহমেদ সাগরের বিচার চলমান রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার নথি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত রায় দেন।

রায় ঘোষনার পরে আসামীদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিদেশী পিস্তল, গুলিসহ আটক-১

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ একজনকে আটক করেছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং আইন-বহির্ভূত কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ (৩১ জুলাই) বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪ টার সময় চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা এলাকায় চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্প হতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার‌ দশমী ব্রিজপাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সাইদুর রহমানকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ০১ টি বিদেশী পিস্তল ,২টি ম্যাগাজিন ১৫ রাউন্ড গুলি, ২টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয় । প্রয়োজনীয় তল্লাশী শেষে প্রাপ্ত অবৈধ অস্ত্র, গুলি, সহ গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীকে দামুড়হুদা থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানান দায়িত্বরত সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তা । তাছাড়া যেকোন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানান তিনি।




মেহেরপুরে পৌর ও সদর উপজেলা বিএনপি’র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

আসন্ন মেহেরপুর পৌর ও সদর উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন প্রার্থীরা।

পৌর বিএনপি’র সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন কাজী মিজান মেনন ও আব্দুল লতিফ। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়ন নিয়েছেন আনিসুর রহমান, অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, আজমল হোসেন মিন্টু, বক্তিয়ার হোসেন ও আব্দুর রহিম।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদের মনোনয়ন নিয়েছেন মীর জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবু ইউসুফ মিরন।

সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়েছেন বাকা বিল্লাহ, লিয়াকত আলী ও ফয়েজ মোহাম্মদ। সাধারণ সম্পাদক পদের মনোনয়ন নিয়েছেন সাইদুল ইসলাম ও ওমর ফারুক লিটন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়ন নিয়েছেন এ এম এম ফিরোজ, আব্দুল হামিদ খান ও সোহরাব উদ্দিন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার। আগামী ৯ আগস্ট উভয় ইউনিটের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।