দামুড়হুদায় ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ

দামুড়হুদায় ১ যুগ পদার্পণ উপলক্ষে ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া স্কুল কতৃপক্ষের আয়োজনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উবায়দুর রহমান সাহেল। এসময় তিনি বলেন, আমরা যারা অভিভাবক আছি বাচ্চাদেরকে প্লে থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত গাইড করে থাকি, তার পর আমরা সন্তানের তেমন খোজ খবর রাখি না, এটা ঠিক নয় আপনার সন্তান প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের এই গাইড ধরে রাখতে হবে। যেন কোনোভাবেই আমার সন্তান যেন বিপথে না যায়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আমরা সবাই মর্ডনাইজ হয়ে যাচ্ছি এরকম তাল মিলাতে গিয়ে আমরা আমাদের পারিবারিক শিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলছি। এখন কেউ আর বড়দের সেইভাবে শ্রদ্ধা ও ছোটদের স্নেহ করছে না। আমরা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছি। একসময় ভোরবেলা ফজরের নামাজ পড়ে মক্তব্যে আমরা হুজুরের কাছ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতাম, সন্ধ্যা হলে অভিভাবকদের ভয়ে পড়ার টেবিলে বসতাম ও বড়দের দেখলে ভয়ে পাশ কাটিয়ে যেতাম এই বিষয় গুলো তেমন দেখা যায় না। এই শূন্যতা পূরণ করতে হলে আমাদের পারিবারিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অভিভাবক ডাঃ আতাউর রহমান রতন, স্টার নিউজ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব সহ- সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক জহির রায়হান, দৈনিক সমকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ও দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সহ- সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, কৃর্তি শিক্ষার্থী অভিভাবক নাছিমা খাতুন, অভিভাবক আশরাফুল ইসলামসহ শিক্ষক- শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও আমন্ত্রণিত অভিভাবকবৃন্দ।

স্কুলের ১ যুগ পদার্পণ উপলক্ষে কেক কেটে উদযাপন করা হয় এবং আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থী ও প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ডায়মন্ড ও প্লাটিনাম গ্রুফের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থায় ছিলেন, ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ।




মুজিবনগরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কম্বল বিতরণ

মেহেরপুরের মুজিবনগরে প্রচন্ড শীতে মানুষের মাঝে একটু উষ্ণতা এনে দিতে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি শীতার্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আনন্দবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির আয়োজনে  মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নে ১৫০  জন অসহায় দরিদ্র প্রবীণ মানুষের মাঝে এ সমস্ত কম্বল বিতরণ করা হয়।

কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন, পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির উপ নির্বাহী পরিচালক কামরুজ্জামান, পরিচালক কামরুল আলম ও বাগোয়ান ইউনিয়নের প্রবীন ইউনিয়ন সভাপতি।




চিকিৎসাধীন অবস্থায় রকিবুল ইসলামের মৃত্যু

মেহেরপুরের আমদহে ডাম্প ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত রকিবুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নিহত রকিবুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের শামসুল হুদার ছেলে। তিনি মালয়েশিয়া প্রবাস ফেরত ছিলেন।

এর আগে একই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন তার ভাগ্নে মো. লিজন (৩২)। তিনি মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মো. মফিজুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রকিবুল ইসলাম ও তার ভাগ্নে লিজন মোটরসাইকেলযোগে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রাম থেকে সদর উপজেলার টেংরামারি এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে সদর উপজেলার আশরাফপুর বাইপাস সড়কের বোরিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী ডাম্প ট্রাকের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে দু’জনই সড়কে ছিটকে পড়েন। এ সময় ডাম্প ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই লিজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রকিবুল ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে একদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার দিবাগত রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।




গাংনীতে বিজিবির অভিযানে মদ-ট্যাবলেট ও পটকা উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর সীমান্তে ভারতীয় মদ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও পটকা উদ্ধার করেছে বিজিবি।

আজ বুধবার রাত দেড়টার দিকে কাজীপুর বর্ডারপাড়া এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় সেগুলো উদ্ধার করা হয়। ৪৭-বিজিবি ব্যাটেলিয়ন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাজীপুর এলাকার ১৪৬/৪-এস হতে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাজীপুর বর্ডারপাড়া নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সুবেদার মোঃ হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে নিয়মিত টহল দল ওই স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ভারতীয় ৩০ বোতল মদ, ৭শ’ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট এবং ১১শ’৪০পিচ চকলেট বাজি (পটকা) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা।




তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানের পাইলট ইন কমান্ডার ছিলেন মেহেরপুরের ইমন

দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সফরসঙ্গী হিসেবে তার সাথে আছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং তাদের আদরের পোষা বিড়াল ‘জেবু’।

গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায়) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনের ফ্লাইটটি ঢাকার পথে রওনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকায় বহনকারী বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তিনজন জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ পাইলট। ফ্লাইটের পাইলট-ইন-কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেহেরপুরের কৃতি সন্তান ক্যাপ্টেন ইমামুল ইসলাম ইমন, যিনি দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও পেশাগত দক্ষতার জন্য পরিচিত।

ডেকে তার সঙ্গে সহকারী পাইলট হিসেবে আছেন দুই অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন—রাশেদিন ও আসিফ ইকবাল।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র পাইলটদের সমন্বয়ে এই ফ্লাইট ক্রু গঠন করা হয়েছে।




মাতৃভূমিতে তারেক রহমান

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন তারেক রহমান। আজ সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ২০২ ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের রেড জোনে তাকে শুভেচ্ছা জানাবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

সেখান থেকে বের হয়ে ঢাকার ৩০০ ফিট সড়কে দলের আয়োজিত গণসংবর্ধনা সমাবেশে যাবেন তারেক রহমান। সেখানে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

এরপর তারেক রহমান মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। এরপর তাঁর গুলশানের বাসভবনে ফেরার কথা রয়েছে।

এর আগে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ডের পর সকাল ১১টা ১২ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।

তারও আগে বুধবার লন্ডনের (২৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিট) তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

এদিকে ঐতিহাসিক এই মাহেন্দ্রক্ষণে প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে রাজধানীর জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে এসেছে লাখ লাখ মানুষ।

তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাত থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান নেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ। এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। ভোর থেকে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত পুরো এলাকা।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর প্রায় সব এলাকা থেকে দল বেঁধে হেঁটে কিংবা বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেলে করে স্লোগান দিতে দিতে ৩০০ ফিট ও বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।




দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণে বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগ  

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর পণ্য বিতরণকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। ডিলারের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। গতকাল বুধবার বেলা ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টিসিবির ডিলার দর্শনা পুরাতন বাজারের কামাল উদ্দিন মার্কেটের এবি ট্রেডার্স, যার স্বত্বাধিকারী আল আমিন। গতকাল সকালে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণ শুরু করা হয়। পণ্য বিতরণ বিষয়ে ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারকেও আগে থেকে জানানো হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিন হাউলী ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ১১২টি টিসিবির পণ্য সরবরাহ করা হয়। অথচ ইউনিয়নে টিসিবির অ্যাক্টিভ কার্ড রয়েছে ১ হাজার ৪৫১টি। ফলে শুরু থেকেই পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়। এর ওপর পণ্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় অত্যান্ত বিশৃঙ্খলা ও মাত্র একটি অ্যাপের মাধ্যমে, যার ফলে বিতরণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিতে চলতে থাকে। পণ্য নিতে আসা উপকারভোগীদের জন্য কোনো লাইনের ব্যবস্থা ছিল না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও অনেক মানুষ পণ্য না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন। দীর্ঘ অপেক্ষা, বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে এবং পন্য বিতরণ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং নিয়ন্ত্রণে আনে।

টিসিবির পন্য নিতে আসা বৃদ্ধ সায়েফ আলী বলেন, এত ভোগান্তি কোনদিন হয়নি। এ যেনো মগের মুল্লুক। পরিকল্পিত ভাবে সরকারের মহতি উদ্যোগকে নস্যাৎ করার পায়তারা। বিশৃঙ্খলা হলে মানুষ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। সেই সুযোগটাই নিচ্ছে এরা।

পরবর্তীতে ট্যাগ অফিসার আতিকুর রহমান এবং হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান সরাসরি ঘটনাস্থলে হস্তক্ষেপ করেন। তাদের তত্ত্বাবধানে এবং হাউলী ইউনিয়ন যুবদল ও ছাত্রদল কর্মীদের সহায়তায় পুনরায় সুশৃঙ্খলভাবে টিসিবির পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

বিশেষ করে ট্যাগ অফিসার ও ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার আহ্বানে হাউলী ইউনিয়ন যুবদলের অন্যতম নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফের তত্ত্বাবধানে লাইনের ব্যবস্থা, শৃঙ্খলা রক্ষা এবং পণ্য বিতরণ কার্যক্রম অল্প সময়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে সম্পন্ন করা হয়। এতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকা উপকারভোগীরা শান্তভাবে পণ্য গ্রহণ করতে সক্ষম হন।

উপকারভোগীরা জানান, শুরুতে চরম ভোগান্তির শিকার হলেও শেষ পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং যুবদল ও ছাত্রদল কর্মীদের সহযোগিতায় সুশৃঙ্খলভাবে পণ্য বিতরণ সম্পন্ন হওয়ায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সঠিক পরিকল্পনার অভাব, পর্যাপ্ত অ্যাপ ব্যবহারের ব্যবস্থা না থাকা, আগাম ঘোষণার ঘাটতি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণেই পুলিশ আসতে বাধ্য হয়েছে। এত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে যে রাগে ক্ষোভে ও অভিমানে অনেক মানুষ চলে গেছে। যেখানে পন্যের ঘাটতি, সেখানে সব পণ্য বিতরণ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনেক গুলো পন্য অবশিষ্ট ছিলো।

তারা দ্রুত ডিলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছভাবে টিসিবির পণ্য বিতরণের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এবিষয়ে টিসিবির পণ্য বিতরণের ট্যাগ অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণের বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু বলেনি, পন্য বিতরণ হবে এ বিষয়ে আমি জানতাম না। অবশিষ্ট যে পন্যগুলো রয়েছে সেগুলো আগামী রবিবার বিতরণ করা হবে।




দর্শনায় প্রতিনিয়ত মাইকিং এর শব্দে জন-জীবন অতিষ্ট 

দর্শনা পৌরসভা শহর ও গ্রাম গুলো প্রতিনিয়ত মাইকিং এর শব্দে জন-জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নানা ধরণের পণ্য বিক্রী, স্কুলে ভর্তি, ডাক্তার বসার চেম্বর, ওয়াজ মাহফিল, দোকানের বিজ্ঞপ্তিসহ নানা ধরণের মাইকিং চলতে থাকে।

সকাল হলেই, ডাক্তার বসার চেম্বর, কিন্ডার গার্ডেন মাদ্রাসা, স্কুলে ভর্তি, বিভিন্ন পণ্যে বিক্রী বিশেষ করে, মাছ বিক্রী, বিচালী বিক্রী, মহিষের মাংস বিক্রী, বৈদ্যুাতিক বাল্ব বিক্রী, প্লাষ্টিক পন্য বিক্রী, ওয়াজ মাহফিল, হারানো বিজ্ঞপ্তি, ভাংড়ি ক্রয়, দাদী ও নানীর হাতের পুরানো কাঁথা ক্রয়, কাঁচা তরিতরকারী বিক্রীসহ নানা রকম পণ্যে, ডিম বিক্রী, হাঁসের বাচ্ছ বিক্রী, আলু পটল বা সবাজি বিক্রী,ল্যাপ তোষক বিক্রী ও বিজ্ঞতির মাইকিং চলতে থাকে শহর জুড়ে।

ফলে জন-সাধারণ বিশেষ আসুস্থ্য রোগি, শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ প্রচন্ড অস্থিরতার মধ্যে দিন পার করছে। এছাড়া পথ চলতি মানুষ চরম শব্দ দুষনে অস্বস্থিতায় ভুগছে। ফলে পৌরবাসী প্রসাশনের নিকট দাবী করে অতি সত্তর এ শব্দ দুষন থেকে যাতে রক্ষা পায় তার সুব্যস্থা করে স্থতি দেয় এ প্রত্যাশা করেন।

শহরের ব্যবসায়ী শের আলী বলেন, মাইকিং শব্দে কান একেবারে ঝালা-পালা হয়ে গেলো, পরানপুর গ্রামের অসুস্থ্য কালু মিয়া বলেন, ভাই মাইকিং এর এত শব্দ আর সহ্য হচ্ছে না। এছাড়া দর্শনা শহরের ক্লিনিক গুলোতে রোগিরা মাইকিং এর শব্দে অস্থির হয়ে পড়ছে।

দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ সুলতান মাহমুদ মাইকিং বন্ধের বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী অফিসার যদি মোবাইল কোর্ট করে তাহলে আমরা তাকে সহায়তা করতে করবো। এছাড়া গভীর রাতে উচ্চস্বরে কেউ মিউজিং বা সাউন্ড বক্র বাজায় তাহলে আমরা পদক্ষেপ নিতে পারবো।




আলমডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পাখিভ্যান চালক

আলমডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে এক পাখিভ্যান চালক তার পাখিভ্যান হারিয়ে রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

ঘটনাটি ঘটে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া এলাকায়। বুধবার বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে হাটবোয়ালিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়কের হাটবোয়ালিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের পাশে ওই পাখিভ্যান চালককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

অজ্ঞান হওয়া ব্যক্তি রাসেদ মীরের ছেলে জাহারুল ইসলাম (৫৭)। তিনি পেশায় একজন পাখিভ্যান চালক। তার বাড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে।

স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালেও জাহারুল ইসলাম পাখিভ্যান নিয়ে ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পথে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা কৌশলে তার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে এবং এক পর্যায়ে চেতনানাশক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে দুর্বৃত্তরা তার পাখিভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

বিকেলে স্থানীয় লোকজন হাটবোয়ালিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশে রাস্তায় তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত এগিয়ে আসে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সড়কপথে নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানানো হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় দিন ব্যাপি পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় দিন ব্যাপী পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় সরকারি কলেজ রোডে অবস্থিত মুক্ত মঞ্চে এ মেলার আয়োজন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশন। পিকেএসএফ এর সহায়তায় নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন শীর্ষক উপ প্রকল্পের আওতায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মেলাটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন, চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শারমিন আক্তার। এরপর মেলা চত্বরে বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের স্টল পরিদর্শন করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। স্টল পরিদর্শন শেষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে খামার থেকে থালা ভ্যালু চেইন বিষয়ক উদ্বোধনী ডিসপ্লে প্রদর্শিত করা হয়।

এরপর শুরু হয় মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি ও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান। সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক নির্মল দাস ও উপ-পরিচালক জহির রায়হান।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধের সঞ্চয়ালনায় সভার প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় দিন ব্যাপি পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলায় বিভিন্ন স্টল প্রদর্শন করা হয়েছে। যেখানে আমাদের কৃষির যাবতীয় বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়েছে। এই মেলার মাধ্যমে আমাদের কৃষির পরিধি ফুটে তোলা হয়েছে বিভিন্ন স্টলে।

এই মেলার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে কিভাবে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে দুগ্ধ ও মাংসজাত পন্য উৎপাদন করা হয় সেটা আমরা বিভিন্ন স্টলে ঘুরে জানতে পারলাম। এই বিংশ শতাব্দিতে এসে আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার। এ ধরনের মেলা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শাহাবুদ্দিন, পিকেএসএফের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নিউট্রেশন স্পেশালিস্ট কপিল কুমার পাল, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি নাজমুল হক স্বপন, ভার্মি কম্পোস্টের উদ্যোক্তা ইরফান আলী ও তৌফিকুল আলম, মেহেরপুর বাজার কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান, প্রমুখ।

এরপর একই দিনে সন্ধ্যা ৬টায় দিন ব্যাপি পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলার সমাপনী পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মেহেরপুর ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪০ জন উদ্যোক্তা বিভিন্ন পণ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করেন। দিন ব্যাপি এই মেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার অনুষ্ঠান সাজানো হয়। মেলায় অংশ নেয়া শ্রেষ্ঠ তিনজন উদ্যোক্তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এতে প্রথম পুরস্কার পান দামুড়হুদার সাদ্দাম হোসেনের মিষ্টি বাড়ি স্টল, দ্বিতীয় পুরস্কার পান চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোস্টের স্বত্বাধিকারী শাহনাজ পারভিনের স্টল ও তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেন মুজিবনগরের শাহীন সুইট স্টল।

এসময় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাড. মানিক আকবর ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি, জেলা জজ কোর্টের সিনিয়ন অ্যাড. বজলুর রহমান প্রমুখ।