মেহেরপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জয়া ধর মুমুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ এ কে এম আবু সাইদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা এবং সম্মানিয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধাগন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়েই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় এবং সম্মানী ও উপহার সামগ্রী প্রদান করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।




কোটচাঁদপুর-তালসার সড়কে ৭৩ হাজার টাকা ছিনতাই

কোটচাঁদপুর-তালসার সড়কের পারলাট ব্রিজের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে ৭৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কলেজছাত্র লাবিব পাল্লাট গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে।

কলেজছাত্র লাবিব জানান, তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি তিনি অনলাইনে কাজ করেন।

কিছুদিন আগে শখের মোবাইল ফোন বিক্রি করে ওই টাকা ব্যাংকে জমা রাখেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্যাংক বুথ থেকে টাকা তুলে বাইসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এ সময় কোটচাঁদপুর–তালসার সড়কের পারলাট ব্রিজের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে দুটি মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে।

তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা তার কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করে পাশের আখক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ৭৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

লাবিবের বাবা আব্দুর রব বলেন, সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ২৬ মিনিটে তিনি ছেলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেন, তবে সে সময় ছেলে ফোন ধরেনি। কিছুক্ষণ পর ছেলে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। এরপর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা বাড়ি ফিরে আসেন। ছেলে অসুস্থ থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে থানায় বিষয়টি জানানো হয়নি।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।




মেহেরপুরের আমঝুপিতে মহান বিজয় দিবস পালন

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের আয়োজনে ৫৪তম মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৭টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর জামান। সকাল ৯টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিজয় র‍্যালি বের হয়ে আমঝুপি ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

র‍্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান, মাহাবুব হাসান, বসির আহমেদ, রাফিউল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম, ফারাহ হোসেন, লিটন, তুষার আহমেদ, গাজিউর রহমান, রকিবুল ইসলাম রিপন, ইব্রাহিম খলিল, নারগিস চৌধুরী, শাহানাজ খাতুন, রুবেল আহমেদ এবং কম্পিউটার শিক্ষক হাবিব।

এছাড়াও সকাল ৭টায় আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ আলী। এ সময় সহকারী শিক্ষক ফয়জুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, আমঝুপি মডেল হাফিজিয়া মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সুমন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সেক্রেটারি ফারুক হোসেন ও সভাপতি তানসিন আহমেদ।




মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দোয়া মাহফিল

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে মহান বিজয় অর্জিত হয়েছে, তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ের গেস্ট হাউসে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ বখতিয়ার উদ্দীন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ বখতিয়ার উদ্দীন বলেন, আমাদের সবাইকে দল-মত নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ এই জাতিকে উপহার দিতে হবে। এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না, মানুষের জীবনে থাকবে নিরাপত্তা, অর্থনীতি হবে সুসংহত ও স্থিতিশীল, এবং সব সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারবে। আজকের এই মহান বিজয় দিবসে এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।

এছাড়াও এসময় বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোস্তাক আহমেদ ও কলেজ শিক্ষক মো. রফিকুল আলম বকুল।

তারা বলেন, মহান বিজয় দিবস আমাদের আত্মপরিচয়ের প্রতীক। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে তাদের আদর্শ ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা ও তা লালন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিজয় দিবস আমাদের ঐক্য, সাহস ও ত্যাগের শিক্ষা দেয়।
আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।




মুজিবনগরে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণ

মুজিবনগরে জেলা ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিজয় র‍্যালি সহকারে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জেমস, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফাহিম আহনাফ লিংকন, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আজিজুর রহমান আফিরুল, উপজেলা জাসাসের সভাপতি হেলাল খানসহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।




মুজিবনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন

মুজিবনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথম পর্বে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে মুজিবনগর

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল হুদা, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহেদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, আনসার ও ভিডিপি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, মুজিবনগর প্রেসক্লাব, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা টেকনিক্যাল কলেজ, গুডনেইবারস মেহেরপুর সিডিপিসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের মাগফিরাত ও সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।

বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল হুদা ও মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ জাহেদুল ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন। পরে মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লে, শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, অতিথিদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান এবং বিজয় মেলার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

বিজয় দিবস উদযাপনের তৃতীয় পর্বে বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।




গাংনীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। গাংনী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম কুমার দাস। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা। এ সময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে ফুল দিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানান উপজেলা প্রশাসন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গাংনী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নাবিদ হোসেন, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরশাদ আলী, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোত্তালিব আলী এবং গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, যাঁদের জীবনের বিনিময়ে এবং বুলেটের মুখে জীবন বাজি রেখে জাতিকে এনে দিয়েছেন একটি লাল-সবুজ পতাকা ও একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, তাঁরা যুগে যুগে চিরঅমর হয়ে থাকবেন। তাঁদের আত্মত্যাগ জাতি কখনোই ভুলবে না। এভাবেই তাঁরা চিরকাল সম্মানিত হবেন।




মেহেরপুরে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস

মেহেরপুরে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর ) সকালে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। পরে মেহেরপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সেখানে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

মহান বিজয় দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ পুলিশ, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি সরকারি কলেজ, বিএনসিসি সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির এবং পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

পরে তারা শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দেন। এরপর জেলা প্রশাসক মেহেরপুরবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ শরীরচর্চা প্রদর্শনী ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম শাখাপি ইবনে সাজ্জাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ. কে. এম. নজরুল কবীর, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাকিল আহম্মেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।




মেহেরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত

মেহেরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস।

প্রত্যুষে মেহেরপুর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এছাড়াও এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম শাখাপি ইবনে সাজ্জাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ খাইরুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ. কে. এম. নজরুল কবীর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর একে একে জেলার মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

সকাল ৯টায় স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময়ে আলোচনা সভা, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে।




জুলাই যোদ্ধা তামিমের বাবাকে উদ্ধার, স্বেচ্ছায় আত্মগোপনের কথা স্বীকার

মেহেরপুরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য তামিম ইসলামের পিতা কামরুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

ডিবি সূত্র জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শণা থানাধীন শ্যামপুর জোড়া বটতলার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মুহাদ্দিদ মোর্শেদ চৌধুরী।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম গত ৮ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় পরিবারে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে তামিম ইসলাম ১০ ডিসেম্বর মেহেরপুর সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের খবরটি কালবেলা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে জেলায় চঞ্চলের সৃষ্টি হয়।

ডিবির ওসি মুহাদ্দিদ মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল ইসলাম জানান, ব্যক্তিগত কারণে তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। তবে এ ঘটনায় কোনো অপরাধ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, সেটা যাচাইসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে উদ্ধার হওয়ার খবরে পরিবারের সদস্যরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

এনসিপি নেতা তামিম বলেন,’আমার বাবাকে সুস্থভাবে উদ্ধার করে আনার জন্য মেহেরপুর জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে অনেক গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে খবরটি প্রকাশ করেছে, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মেহেরপুর সদর থানায় পূর্বের করা জিডিটি আমরা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।