১৮ বছর ধরে বৃত্তি দিয়ে আসছে কোটচাঁদপুরের অরাজনৈতিক সংগঠন আসিশ

দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে ১৮ বছর ধরে বৃত্তি দিয়ে আসছে ‘আসিশ’ নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার কোটচাঁদপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃত্তি পরীক্ষা।

সামনের দিনগুলোতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ইসাহক আলী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে ২০০৭ সালে ‘আসিশ’ নামের অরাজনৈতিক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সংগঠনটি আজ ১৮ বছরে পদার্পণ করেছে। এ বছরও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে বুধবার সকালে কোটচাঁদপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বছর ওই পরীক্ষায় ৫টি বিদ্যালয়ের ৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে কোটচাঁদপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৩৬ জন, বলুহর শেখ মোজাফফরের ৭ জন, শেরখালী বিদ্যালয়ের ১ জন, কোটচাঁদপুর বালক বিদ্যালয়ের ৫ জন এবং হাকিমপুর একটি বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এ বিষয়ে ‘আসিশ’ এর সভাপতি ইসাহক আলী বলেন, স্বপ্নের শুরুটা হয় ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি না পাওয়ার বেদনা থেকে। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয় এইচএসসিতে বোর্ড বৃত্তি পাওয়ার পর। সালটা ছিল ১৯৮৯। মাত্র ৪০০ টাকা জমিয়ে সিদ্ধান্ত নিই এই টাকা থেকে কিছু কিছু করে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করব।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও একটি হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। সে কারণেই ২০০৭ সালে আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার জীবনে বড় ভূমিকা রাখা মা, বাবা, বাবাতুল্য এক ভারতীয় বৃদ্ধ ব্যক্তি এবং আরও একজন বিশেষ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানবিক মানুষের নামের সমন্বয়ে ‘আসিশ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরু থেকেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী বাছাই করে আর্থিক সহায়তা ও সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় এ বছরও বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও সংগঠনটি প্রতি বছর দরিদ্র ও অসহায়দের শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে আসছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, অর্থ ও সনদ প্রদান করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

ইসাহক আলী কোটচাঁদপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি উপজেলার তালসার গ্রামের মৃত আশরাফ আলী মিয়াজির ছেলে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন, বিধি অনুযায়ী শিক্ষকরা বেশ কিছু কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন না, তবে এটি সেই কাজগুলোর মধ্যে পড়ে না। সেহেতু তিনি এ কাজ করতেই পারেন। এটি একটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সমাজের ঝরে পড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় উৎসাহ পাচ্ছে এবং ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাসান বলেন, এ ধরনের আয়োজন অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এটি সমাজের ঝরে পড়া দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আবারও পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।




ঢাকায় যাচ্ছেন মেহেরপুরের ৫ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও জল্পনা।

দলীয় প্রধানের আগমনকে ঘিরে প্রস্তুতি সভা ও আনন্দ মিছিল করছেন মেহেরপুর জেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ইতোমধ্যে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়াসহ নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলাজুড়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলা থেকে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় যাবেন প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস ও মাইক্রোবাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন জানান, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। ইতোমধ্যে বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া সম্পন্ন করা হয়েছে।




গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিশু তানহা আর নেই

মেহেরপুরের গাংনী-কুথিলী সড়কে ইট বহনকারী ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত তুহিন হোসেনের (৩২) পর এবার তার শিশু কন্যা তানহাও মারা গেছে।

নিহত তুহিন হোসেন গাংনী উপজেলার মাইলমারী ধলা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং নিহত শিশু তানহার পিতা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে গাংনী-কুথিলী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, তুহিন হোসেন তার স্ত্রী তমা খাতুন ও শিশু কন্যা তানহাকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে গাংনী শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। ভাটপাড়া বাঙ্গালপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির স্যালোইঞ্জিনচালিত একটি ইটবোঝাই ট্রলি মোটরসাইকেলটির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। এতে তুহিন হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় আহত তমা খাতুন ও শিশু তানহাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু তানহার মৃত্যু হয়।




উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে

রাত পোহালেই ২৫ শে ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন। বড়দিন উপলক্ষে মেহেরপুরের মুজিবনগরের খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে সাজ সাজ রব পড়েছে। রঙিন বাতি সহ নানা ধরনের সামগ্রী দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে গীর্জাগুলো। খ্রিষ্টান পল্লীর বাড়ি গুলো এবং রাস্তাঘাট সজ্জিত করা হয়েছে রংবেরঙের বাতিতে।

নিজেদের ও বিশ্বের কল্যাণ কামনায় প্রার্থণা করবেন খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়ের লোকজন। ধর্মীয় গুরুরা বলছেন-জাতিতে জাতিতে কোনো বিভেদ না থাকে ও যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ হয় এ প্রার্থনা হবে প্রভু যীশুর কাছে।

মেহেরপুরের জেলার সবচেয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোক বাস করে মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া ও বল্লভপুর গ্রামে এসব গ্রামের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে তোলা হয়েছে স্টার, লাইটিংয়ে ভরা ক্রীসমাস ট্রি, বিভিন্ন স্থানে চলছে গোশালা তৈরির কাজ।

কারণ এই দিনে প্রভূ যীশু জন্ম নিয়েছিলো জেরুজালেমের বেতেলহেমের গোয়াল ঘরে। গীর্জাগুলোতে চলছে সুসজ্জার কাজ। সাজানো হচ্ছে নিজের ঘরবাড়ি। ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে শুরু হবে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা। মধ্যরাতে বড় ঘণ্টা বাজিয়ে প্রভু যীশুর ভোজ ও আলেলুইয়া গানের মাধ্যমে শুরু হবে প্রার্থনা। খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে তাই এখন সাজ সাজ রব। শিশু ও বড়দের জন্য কিনছেন নতুন নতুন পোশাক। বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করা হবে মজাদার সব খাবার।

নিজের ও পরিবারের কল্যাণ কামণায় প্রভূ যীশুর কাছে প্রার্থনা করবেন তারা। ভবেরপাড়া চার্চ বড়দিন উদযাপন কমিটির সদস্য দিলিপ মল্লিক বলেন-১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বড় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। প্রতিটি ঘরে এখন সাজ সাজ রব। তৈরি হচ্ছে গোশালা। কারণ প্রার্থনা শেষে সকলে কীর্তন গানের মধ্য দিয়ে গোশালাগুলো পরিদর্শন করবেন সকলে। বাড়িতে বাড়িতে চলছে পিঠাপুলিসহ নানা ধরনের খাবর তৈরির কাজ।

বল্লভপুর ইম্মানুয়েল চার্চের পুরোহিত ডিনারির দিন রেভারেন্ট দিপক উজ্জল বিশ্বাস বলেন-বিশ্বের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনায় প্রার্থনা করবেন খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বীরা। পাপ থেকে নিজেকে মুক্তির জন্য চলবে যীশুর কাছে প্রার্থনা।

এদিকে শুভ বড়দিন সুন্দর ভাবে উদযাপনের লক্ষে সকল ধরনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে গির্জাগুলোতে ব্যাপক পুলিশ দেওয়া হয়েছে। এবং যাতে করে কোন ধরনের দূর্ঘটনা না ঘটে সে লক্ষে ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সিভিলেও আমাদের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম।

মুজিনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল হুদা বলেন উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যে মুজিবনগর উপজেলার সমস্ত গির্জা গুলোকে ৫ শত কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সমস্ত গির্জা গুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে গির্জা গুলোকে সমস্ত সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহ প্রশাসনের সমস্ত ইউনিট নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আছে। আশা করছি নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ভিতরে খ্রিস্টান ধর্মালম্বী ভায়েরা তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন আনন্দের সহিত নিশ্চিন্তে পালন করতে পারবেন।




তিন যুবকের জনসম্মুখে বিচার করলেন মাতবররা!

দোকানে চুরির অপরাধে সন্দেহ ভাজন তিন যুবককে পুলিশে না দিয়ে জনসম্মুখে বিচার করলেন গ্রাম্য মাতব্বররা। শালিসি সিদ্ধান্তে প্রায় ঘন্টাব্যাপী কয়েকশো মানুষের মাঝখানে বসিয়ে রেখে শাস্তি দেয়া হয় তাদের, করা হয় মারধর।

ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের। সন্দেহ ভাজন যুবকরা হলেন, হিজলবাড়িয়া গ্রামের জাব্বার আলীর ছেলে সোহেল (২৫), ফজলুর রহমানের ছেলে জমজম (২০) এবং আমিরুল ইসলামের ছেলে সোহাগ বাদশা।

জানা গেছে, হিজলবাড়িয়া বাজারের ইকরামুল হকের মুদি ও সারের দোকান ভেঙ্গে মালামাল চুরি হয় গত রবিবার রাতে। চুরির বিষয়টি সিসি টিভি ফুটেজ দেখে ওই গ্রামের সোহেল কে সনাক্ত করা হয়। পরে সোহেলকে ধরে এনে একটি দোকানে আটকিয়ে মারধর করেন দোকান মালিক একরামুলের ছেলে রনি ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন সোহেল ওই গ্রামের যুবক জমজম ও সোহাগ বাদশার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। দোকান মালিকের ছেলে রনি ও তার লোকজন ধরে নিয়ে আসে যুবক জমজম ও সোহাগ বাদশাকে।

দোকানে আটকিয়ে মারধর শেষে শুরু হয় গ্রাম্য শালিস করা হয় তাদের বিরুদ্ধে। এঘটনা গাংনী থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। দোকান মালিক একরামুল ও তার ছেলে রনির লোকজনের তোপের মুখে পড়ে ফিরে আসেন পুলিশ সদস্যরা। পরে শুরু হয় গ্রাম্য শালিস।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রিপন আলী ও স্থানীয় বিএনপি নেতা বাসিরুল আজিজও বসেন শালিসে। শতশত গ্রামবাসীরাদের মাঝখানে ঘন্টাব্যাপী বসিয়ে রাখা হয় চুরির সাথে জড়িত সন্দেহভাজন যুবকদের। পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন তাদেরকে শালিসের মধ্যে মারধর করে নিয়ে যেতে হবে। শালিসের শেষে জনসম্মুখে মারধর করা হয় তাদের।

এ ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এলাকাজুড়ে। অনেকেই বলেন, অপরাধী হলে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ না করে জনসম্মুখে এমন বিচার মানবাধিকার লঙ্ঘন। আবার অনেকেই বলছেন গ্রাম্য শালিস বা সামাজিক বিচার ব্যাবস্থা না থাকায় এলাকায় চুরি ডাকাতিসহ নানা অপরাধ বাড়ছে। তাই তাদের প্রকাশ্য ও জনসম্মুখে বিচার করা হচ্ছে।

দোকান মালিক রিপন আলীকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ এসেছিল, আমরা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছি, সাংবাদিকদের ডাকা হয়নি। আপনারা কেনো এসেছেন??

এবিষয়ে শালিসে থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য রিপন আলী জানান, একরামুলের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। পরে শালিস করে তাদের বিচার করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি উত্তম কুমার দাস জানান, চুরির ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। এবং শালিসের বিষয়ে আমার জানা নেই।




আজকের মেহেরপুর এর ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সত্য ও ন্যায়ের সন্ধানে অঙ্গীকার নিয়ে “আজকের মেহেরপুর” এর ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাত আটটার সময় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, “আজকের মেহেরপুর” এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মামুনুর রশিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, “আজকের মেহেরপুর” এর প্রকাশক ও সম্পাদক সেলিম রেজা এবং মুন্সী জাহাঙ্গীর জিন্নাত (হিরক)। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান রিপন এবং আমঝুপি শিশু-কিশোর সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান লিটন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মেহেরাব হোসেন সঞ্চয়। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, সাদ আহমেদ।

বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে “আজকের মেহেরপুর” এর বিগত আট বছরের পথচলার প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনগুলোতেও বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে জেলার মানুষের পাশে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠান শেষে কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।




তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মেহেরপুরে বিএনপির আনন্দ মিছিল

দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাসজীবন শেষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগামী ২৫ ডিসেম্বর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মেহেরপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র কার্যালয় থেকে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন।

নেতারা বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি ও দেশের রাজনীতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এর মাধ্যমে দল আরও শক্তিশালী হবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নতুন গতি লাভ করবে। সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরেও এ উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

মিছিলের নেতৃত্ব দেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। এতে অংশগ্রহণ করেন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, রোমান আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।




দামুড়হুদা উপজেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন

দামুড়হুদা উপজেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি রোপা আমন ধান উৎপাদন মৌসুমে ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষমাত্রা নিধার্রণ করা হলেও সেখানে চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৫৪১ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে হেক্টর প্রতি ৫ দশমিক সাড়ে ২ মেট্রিক টন।

গত বছর ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হলেও সেখানে ৭ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। গত মৌসুমে উৎপাদন ৫ দশমিক ২ মেট্রিক টন রোপা আমন ধান উৎপাদন হয়। পরানপুর গ্রামের রাহিম বক্র এর ছেলে মহিদুল ইসলাম বলেন, তার এক বিঘা জমিতে ২০ মন বরো আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। একই গ্রামের নবাব আলীর ছেলে হাসান আলীর ৫ বিঘা ধান ছিলো তার বিঘা প্রতি ১৬ মন হারে উৎপাদন হয়েছে। গত বছর হেক্টর প্রতি হাফ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছিল বলে জানান, দামুড়হুদা কৃষিবিদ কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার।

তিনি আরো জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টিপাত বেশী হওয়ায় বোরো আমন ধান চাষে কৃষকদের তুলনামূলক সেচ খচর অনেক কম হয়েছে। ফলে এ বছর বোরো আমন ধান চাষ করে কৃষরা গত বছরের তুলনায় বেশ লাভবান হয়েছে।




দর্শনা পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে যোগদান করলেন এসিল্যান্ড শাহিন আলম

দর্শনা পৌরসভার প্রশাসক হিসাবে যোগদান করলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন আলম।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় দর্শনা পৌরসভা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত ১৭  ডিসেম্বর  দর্শনা পৌরসভার প্রশাসক তাসফিকুর রহমান নড়াইল জেলার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে বদলী হন। একই পদে ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন আলম দর্শনা পৌর প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।

প্রথম কর্ম দিবসে দর্শনা পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে বেলা ২টায় পৌর প্রশাসকের কার্যালয়ে মতবিনিময় করেন। দর্শনা পৌরসভার প্রশাসক শাহিন আলম যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওবাইদুর রহমান সাহেল।

এ সময় তিনি বলেন, মানুষের সেবায় হবে আপনাদের একমাত্র লক্ষ্য। দর্শনা পৌরবাসী সেবা গ্রহণ করতে এসে কেউ যেন হয়রানি শিকার না হয়।

তিনি আরো বলেন, আমি জানি পূর্বের প্রশাসকও ভালমনের মানুষ ছিলেন। সাবেক পৌর প্রশাসকের কাছে সেবা নিতে এসে খুশি মনে বাড়ি ফিরতেন পৌরবাসী। তিনি অল্প দিনে দর্শনা পৌরবাসীর মন জয় করতে পেরেছিলেন। সেই সেবা আপনাদের মাধ্যমে দিতেন। আমিও চায় আপনাদের সাথে নিয়ে বর্তমান পৌর প্রশাসক মানুষের সেবা দিবেন।

নবাগত পৌর প্রশাসক শাহিন আলম বলেন, জনগণের চাহিদা থাকে রাস্তাঘাট, ড্রেন পরিষ্কার, রোড লাইট সহ জন্ম মৃত্যু সনদ সহজে পেতে সহায়তা করা। একই সাথে আপনাদেরকে হুশিয়ারী করে বলতে চায় এখানে কোন দুর্নীতির সুযোগ নাই। যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সাথে সাথে আইনি ব্যবস্থা নেব। একই সাথে পৌর কর্মচারীদের বকেয়া বেতনভাতা যেটুকু বাকি আছে আমি চেষ্টা করব পরিশোধ করতে।

মতবিনিময় সভায় আরও আলোচনা করেন, দর্শনা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজেদুল আলম, পৌর কর নির্ধারক জাহিদুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক আরিফিন হোসেন, লাইসেন্স পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম, সহকারী কর আদায়কারী গোলাম কিবরিয়া, শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় মাদক সেবনের অপরাধে দুইজনের জেল জরিমানা 

দামুড়হুদায় মাদক সেবনের অপরাধে দুইজনকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উবাইদুর রহমান সাহেল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ছোটদুধপাতিলা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে হান্নান (৪৭) এবং একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মরজেম হোসেন (২৬)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মাদক সেবনের অপরাধে অভিযুক্তদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(৫) ধারা মোতাবেক দুইজনের ৫ দিনের কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। দণ্ড প্রদান শেষে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে ছোট দুধপাতিলা গ্রামের মাঠে জুয়া খেলা চলছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মেসবাহ্ উদ্দিন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে সশরীরে ছোট দুধপাতিলার মাঠে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়াড়িরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে, পুলিশ তাদের পেছন অনুসরণ করে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই জুয়াড়িরা পালিয়ে গেলেও ঐ মাঠ থেকেই মাদক সেবনরত অবস্থায় দুইজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছোট দুধ পাতিলা গ্রামের হান্নান এবং মরজেম হোসেন উভয়কে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৫ দিনের জেল ও ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উবাইদুর রহমান সাহেল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।