ঝিনাইদহে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান

পরিচ্ছন্ন জেলা গড়তে এবং জনদুর্ভোগ কমাতে ঝিনাইদহে মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অভিযানের উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহে স্থানীয়র সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়।

জেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের উদ্যোগে স্কাউটের সহযোগীতায় শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে আরাপপুর জামতলা হয়ে আরাপপুর মোড়, পাগলা কানাই সড়ক, চুয়াডাঙ্গা সড়কসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পরিচ্ছন্ন অভিযান করা হয়। এ সময় মহাসড়কের পাশে থাকা কাঠের গুড়ির ভাগাড়, বালুর স্তুপ সহ অস্থায়ী অবকাঠামো অপসারণ করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, জনভোগান্তি নিরসন ও পরিচ্ছন্ন জেলা গড়তে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সড়ক-মহাসড়কের পাশে কোন অবৈধ স্থাপনা ও সামগ্রী রাখা থেকে জনগনকে বিরত থাকতে হবে। শহরটি সবার, সবাই মিলে শহরকে সুন্দর রাখার চেষ্টা করা উচিত।




ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ এ প্রতিপাদ্যে ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতের পরিবেশনের মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় জাতীয় পতাকা ও দুদকের পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। পরে দিবস উপলক্ষে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দুদকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মানববন্ধনে মিলিত হয়।

মানববন্ধনে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল, দুদকের উপ-পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনেআরা সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ বলেন, সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুর্নীতিকে “না” বলার আহ্বান জানান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরে দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।




কোটচাঁদপুরের কিডনি রোগে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত সাহেব আলীর

পিতা কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মেয়ে সানজিদা আক্তার ও ছেলে আরাফাত হোসেনের। গত ৬ মাসের চিকিৎসায় সঞ্চয়ের সবটুকু শেষ করে এখন সহায়তার জন্য গ্রাম-গঞ্জে ঘুরছেন সাহেব আলী-শাহনাজ দম্পতি। সামান্য সহায়তা পেলে ফিরে পেতে পারেন স্বাভাবিক জীবন। সব বুঝতে না পারলেও শিশু দুইটিও ঘুরছে পিতা-মাতার সঙ্গেই। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার গালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা এ দম্পতি।

জানা যায়, ফয়েজ উদ্দিনের ৫ ছেলে-মেয়ের মধ্যে সাহেব আলী সবার বড়। বয়স মাত্র ৩০ হলেও রোগে আক্রান্ত হয়ে চোখে-মুখে বয়সের ছাপ পড়েছে। প্রায় ৮ বছর আগে শাহনাজের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সংসারে দুই সন্তান মেয়ে সানজিদা আক্তার (৫) ও ছেলে আরাফাত হোসেন (৩)।

দিনমজুরের কাজ করেই চলত তাদের সংসার। যা কিছু সঞ্চয় করেছিলেন, গত ৬ মাসের চিকিৎসায় সবই শেষ। এখন সংসার চলছে অন্যের সহায়তায়। থেমে গেছে সাহেব আলীর চিকিৎসা, থেমে গেছে শিশু দুইটির পড়াশোনা। সহায়তার আশায় পিতা-মাতার সঙ্গে গ্রাম-গঞ্জে ঘুরছে শিশুরাও। তারা জানে না পিতার অসুস্থতার কথা শুধু দেখছে পিতা একটানা মন খারাপ করে বসে থাকে। আগে যেভাবে খাবার বা নতুন জামাকাপড় এনে দিতেন, এখন আর তা পারেন না। এতে শিশুদের মনও খারাপ হয়ে থাকে।

সাহেব আলী বলেন, ৬ মাস হলো কিডনি রোগ ধরা পড়েছে। এরপর যশোর, ঢাকার ন্যাশনাল হাসপাতাল ও পিজিতে চিকিৎসা নিয়েছি। ৬ মাসে যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। এখন সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। খরচ ৮-১০ হাজার টাকা। ওপর থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান। আপনাদের সহায়তা পেলে হয়তো আবার জীবন ফিরে পেতে পারি, আমার সন্তানদেরও বাঁচার নিশ্চয়তা মিলতে পারে।

তাঁর পিতা ফয়েজ উদ্দিন বলেন, আমার ৫ ছেলে-মেয়ে। আবাদযোগ্য জমি নেই, শুধু বসতভিটা। যা সঞ্চয় ছিল সব তাঁর চিকিৎসায় খরচ হয়েছে। আপনাদের সহায়তায় আমার ছেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে, বাঁচবে তার সংসার।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বশির আহম্মেদ বলেন, কিডনি রোগে আক্রান্ত ডায়ালাইসিস হওয়া রোগীদের জন্য এ অফিস থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা সহায়তার ব্যবস্থা আছে। ভুক্তভোগীকে আবেদন করতে হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন

দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় “দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের ঐক্য, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় ঝিনাইদহ, উপজেলা প্রশাসন দামুড়হুদা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি দামুড়হুদার যৌথ আয়োজনে প্রথমে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন এবং পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান।

এখনো পর্যন্ত কেন এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি সে বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন “দুর্নীতি একটি মরণব্যাধির মতো সমস্যা। আমি বুদ্ধি জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখছি শৈশব থেকেই মানুষের অন্তরে দুর্নীতি ঢুকে পড়ে। সবলরা দুর্বলদের উপর প্রভাব বিস্তার করে, দুর্বলদের ঠেলে ফেলে দেয় এবং সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করে। আমরা যারা সরকারি চাকরি করি, অনেক সময় দায়িত্ব হিসেবে না দেখে ক্ষমতার অপব্যবহার করি, যার ফলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। তাই এই মরণব্যাধি দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

তিনি আরও বলেন “দুর্নীতি হলো বৈষম্য। সামষ্টিকভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হলে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। হয়তো সমাজ থেকে দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, কিন্তু সমতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এই দেশটি দুর্বল শ্রেণির মানুষের হাত ধরে স্বাধীন হয়েছে তাই কৃষকদের সম্মান করতে হবে, নারীদের সম্মান করতে হবে, শ্রমিকদের সঠিক সময়ে ন্যায্য মজুরি দিতে হবে, অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়ে তুলতে পারব।”

আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মিল্টন কুমার সাহার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মশিউর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিলিমা আক্তার হ্যাপি, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, সমবায় কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, সমাজসেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হক, একাডেমিক সুপারভাইজার রাফিজুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার আব্দুল মান্নান, দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, ধর্মীয় উপাসনালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুধীজন, রোভার স্কাউট নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী।




মুজিবনগরে ভুল ব্যানারে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন

“দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের ঐক্য, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস ও “দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা পালিত হয়েছে।

তবে আয়োজক ও সহযোগী উভয় পক্ষই ভুল ব্যানারে কর্মসূচি পালন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। এ ছাড়া মুজিবনগর থানার সাবেক ওসিকে বিশেষ অতিথি করা এবং নিজেদের মধ্যে ক্রেস্ট প্রদান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ভুল ব্যানার টানিয়ে “দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্সের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুজিবনগর থানার সাবেক ওসি মিজানুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুন উদ্দীন আল আজাদ, মুজিবনগর থানার ওসি (তদন্ত) গৌতম কুমার, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাকের আলী।

আলোচনা সভা শেষে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন অনুষ্ঠানের সহযোগী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল হুদা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুন উদ্দীন আল আজাদ, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক বাকের আলী, সহ-সভাপতি শাহানাজ খাতুন এবং সদস্য ইয়ামিন ইসলাম।

মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।




দেশ পিছিয়ে গেলে এই দায়ভার আমাদের

আমরা ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছি। এই ঋণের ফাঁদ, দুর্নীতি এইসব মিলিয়ে দেশ কিভাবে এগোবে? এখন এগুলো থেকে বেরিয়ে আসার আমাদের পথ খুঁজতে হবে। আমরা যারা সরকারি কর্মকর্তারা আছি, আমাদের বিবেককে প্রশ্ন করার দরকার, মানুষের সেবা করা আমাদের মৌলিক ও নৈতিক দায়িত্ব। আমরা এই দায়িত্ব পালনে যদি সততার পরিচয় না দিতে পারি, তাহলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো না। এবং এই দেশ পিছিয়ে গেলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার আমাদের উপর পড়তে হবে। আমাদের শপথ গ্রহণ করতে হবে যে আমরা এ দেশকে ভালবাসি, এ দেশের মানুষের জন্য, এ দেশের জন্য নিজেদেরকে দুর্নীতি থেকে মুক্ত রাখবো।

আজ মঙ্গলবার সকালে “দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা” এই প্রতিপাদ্যে জেলা শিল্পকলাই আয়োজিত দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সকল কথা বলেন জেলা প্রশাসক ডঃ সৈয়দ এনামুল কবীর।
তিনি আরো বলেন, তারুণ্যের উপরে চাপিয়ে দিয়ে আমরা সব সময় নিজেদের দূরে দেখার চেষ্টা করি। তারুণ্য আসবে সামনে, আমরা তো এখন পদ-চেয়ারে বসে আছি। সুতরাং, আমরা যারা দায়িত্ব পালন করছি তাদের উচিত এই দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা।

দুর্নীতির যে ধারণাটি রয়েছে সেটা মূলত ঘুষ নেওয়াকে বোঝায়। এটা ছাড়াও কিন্তু স্বজনপ্রীতিও আছে। স্বজনপ্রীতি বলতে আমার এলাকার মানুষ, আমার আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবকে সাহায্য করা আইন-কানুনের বাইরে গিয়ে।

আসলে আমরা যদি এই বিষয়গুলোতেই আবদ্ধ না হই, তাহলে আলোচনা সভা হবে, দিবস পালন হবে, আমাদের এখানে এসে জড়ো হওয়া হবে, সময় নষ্ট হবে কিন্তু আমরা এগোতে পারবো না।

আমাদের সকলকেই শপথবদ্ধ হওয়া উচিত যে আমরা দুর্নীতি বন্ধ করে দেব।

মেহেরপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহঃ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মোঃ খাইরুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ বুলবুল আহমেদ।

এর আগে, ২৩তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, জাতীয় পতাকা ও দুদক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। সকাল ৯টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।




‘আবুল হোসেন স্মৃতি পাঠাগারকে বাঁচাতেই হবে’

চুয়াডাঙ্গা নাগরিক কমিটির এক সভা গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের শেখপাড়ায় অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন, কমিটির সভাপতি তৌহিদ হোসেন।

সভায় চুয়াডাঙ্গাবাসির প্রিয় প্রতিষ্ঠান আবুল হোসেন স্মৃতি গ্রন্থাগারকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এবং চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন ইকবাল আতাহার তাজ, অ্যাডভোকেট মানিক আকবর, অ্যাডভোকেট কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, মিলন বিশ্বাস, মেহেরাব্বিন সানভি, আবু বক্কর সিদ্দিক, লাভলু রহমান, শফিকুর রহমান, আবুল কাশেম, ফজলে রাব্বি, আশিকুজ্জামান প্রমুখ।

সভায় আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় পৌরএলাকার সমস্যাবলি নিয়ে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও শ্রীমন্ত টাউন হল ও আবুল হোসেন স্মৃতি গ্রন্থাগার নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সভাপতি তৌহিদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, জেলার ভাল মানুষদের সুস্থ চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটছে না। যার সম্মান পাওয়ার কথা তিনি পাচ্ছেন না। টাকা এখন সম্মানের মাফকাটি। যার অনেক টাকা তিনি সমাজে সম্মানিত হচ্ছেন। কিন্তু কেন তিনি অঢেল টাকার মালিক তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রেক্ষাপট দিনে দিনে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আর এসব কারণেই অন্যায় মাথাচাড়া দিচ্ছে। দুর্নীতি বাধাহীন পথে হাটছে। এসবের জন্য আমাদের সংগঠিত হওয়া দরকার। চুয়াডাঙ্গা উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার।

সভা পরিচালনা করেন, চুয়াডাঙ্গা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শেখ সেলিম।




দর্শনার গড়াইটুপি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীর পথ সভায় 

ধর্মভীরু আমরা, কিন্তু আমরা ধর্মান্ধ না বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু।গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে চুয়াডাঙ্গা ২ নির্বাচনী এলাকা দর্শনা থানার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামে নির্বাচনী পথসভা করেন তিনি। পরে পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নের আরও ৮ স্থানে পথসভা করেন বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু।

জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার..রাষ্ট্র সবার। ধর্মভীরু আমরা, কিন্তু আমরা ধর্মান্ধ না..একই সাথে ধর্ম নিয়ে আমরা কোনো ব্যবসা করতে চায় না। একেবারে পরিষ্কার বিষয়। ধর্মকে ব্যবহার করে আমরা রাজনীতি করতে চায় না। এটাই বিএনপির রাজনীতি। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বার বার সংগ্রাম করেছেন দেশের মানুষের অধিকারের জন্য। দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান বলেন, আমরা অতীতে সেকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছি অধিকাংশই পালন করেছি। আমরা কখনোই বলি নাই যে, যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ১০০ শতাংশ পূরণ করা হয়েছে। আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিই, অধিকাংশ পূরণ করার চেষ্টা করি।

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, আপনাদের দাবির ভেতরে নাই, কিন্তু আমরা যেটা বলি..সেটা হচ্ছে কৃষির উন্নয়ন। অত্র অঞ্চলে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করা হলো আমাদের প্রতিশ্রুতি। সেটা আমরা করব। আমরা আরও একটি প্রতিশ্রুতির কথা বলি যেটা হচ্ছে নতুন ধারণা, যেই ধারণা অত্র অঞ্চলে নাই সেটা হচ্ছে এই…মোবাইল হাসপাতাল। এখান থেকে অনেক দূরে হয়তো হাসপাতালে যেতে হবে। কিন্তু মৌলিক যে পরীক্ষা, সেগুলো বাসের মধ্যে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থার থাকবে। সেই বাসটি ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন ঘুরাঘুরি করবে। যারা প্রয়োজন মনে করেন.. একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণ এই হাসপাতালগুলোতে যেয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করাতে পারবেন। সেই উদ্যোগ আমরা নেব।

বাবু খান বলেন, ধানের শীষের প্রতি আপনাদের অতীতে সমর্থন যেভাবে ছিল আমরা চায় সেইভাবে ধানের শীষের প্রতি আপনাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। একটি সুন্দর বাংলাদেশ আমরা উপহার দেব। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জিন্দাবাদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, সহ-সভাপতি আক্তার হোসপন, সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী, দর্শনা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম যুদ্ধ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আসলাম উদ্দীন, গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির মহাব্বত আলী, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।




মেহেরপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্লাব গঠন

মেহেরপুর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের চক্রপাড়া মোড় এলাকায় আল-মারহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্লাব গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ মনিরুল ইসলাম মনি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোঃ ফূর্তি হাসান।

কমিটির অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন সিনিয়র সভাপতি মোঃ মনি সর্দার, সহ-সভাপতি মোঃ শামীম হোসেন, মোঃ সুজন আলী, মোঃ শফি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রফি, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সোহাগ, মোঃ জুয়েল, মোঃ বিল্লাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রতন আলী, মোঃ রাজন আলী, প্রচার সম্পাদক মোঃ মিনার, দপ্তর সম্পাদক মোঃ বিতন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ তুহিন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাব্বি

ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শহর আলী।

এছাড়াও সদস্য হিসেবে হয়েছেন মোঃ বাঁধন, মোঃ কালাম, মোঃ শাহীন, মোঃ জীবন, মোঃ মাহাফিল, মোঃ রিটন, মোঃ রিমন, মোঃ মিলন, মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ সোহেল কাজী, মোঃ বাবু ও মোঃ সোহান।

নবগঠিত কমিটি এলাকার যুব সমাজের উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।




দর্শনায় আনছার-ভিডিপির মৌলিক প্রশিক্ষণ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে একযোগে ৫ম ধাপে আনছার-ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে দর্শনা কলেজ বিজ্ঞান ভবনে ১০ দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণে দর্শনা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী আনছার ও ভিডিপির মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।

গত ১লা ডিসেম্বর থেকে আনছার ও ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে আনছার ও ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থীরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন সারজিদ হোসেন ও হুমায়ুন কবির। এছাড়া দলনেতা হিসেবে এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন সৌরভ, রোজিনা খাতুন ও আমেনা খাতুন।