কুষ্টিয়া-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী রাগীব রউফ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। মনোনয়ন সংগ্রহের সময় ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরীর সাথে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ফরম সংগ্রহ শেষে ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। এই আসনের মানুষ নির্বাচনে ভোট প্রদানের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য, মানুষের বাকস্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ের জন্য এই নির্বাচন। আমরা বিশ্বাস করি সুনামগঞ্জ-২ আসনের মানুষ ধানের শীষের পক্ষে রায় দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করবে ইনশাআল্লাহ।

ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী আরও বলেন, “এখন সময় ঘরে ঘরে যাওয়ার, প্রতিটি ভোটারের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার। আমাদের প্রতীক ধানের শীষ—এটা শুধু একটা প্রতীক নয়, এটা গণতন্ত্রের প্রতীক, মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার প্রতীক।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যারা দেশের মানুষকে ভালোবাসি, এই মাটি ও মানুষের পক্ষে কথা বলি, তাদের এখন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। ভোটারদের বোঝাতে হবে, পরিবর্তনের জন্য ধানের শীষে ভোট দিতে হবে।”

এসময় ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব শাহজাহান আলী, মিরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বানী, পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিশাত, কুষ্টিয়া জেলা মৎস্যজীবি দলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম রেজা, মিরপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম শাহিন, মিরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলী, পোড়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মেহেদী হাসান পলাশ, বারুইপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রাশেদুজ্জামান রঞ্জুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া-২ আসনটি জেলার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরী বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।




মেহেরপুরে বিএনপি নেতা জাকির হোসেনের পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন

মেহেরপুর-১ (মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর) আসনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেনের পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. সৈয়দ এনামুল কবিরের কাছ থেকে তাঁর প্রতিনিধি দল এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন যুবনেতা মো. আলমগীর হোসেন, মো. পারভেজ ও মো. শীলন।

এ ছাড়া এ সময় জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, জেলা নবীন দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়নপত্র উত্তোলন শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ জানান, মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করবেন। তারা বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।




এনসিপির খুলনা বিভাগীয় প্রধানের মাথায় গুলি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির পর এবার এনসিপির খুলনা বিভাগীয় প্রধান এবং এনসিপি শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোতালেব শিকদারের মাথায় গুলি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু।

পোস্টে মাহমুদা মিতু বলেন, ‘এনসিপির খুলনা বিভাগীয় প্রধান এবং এনসিপি শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোতালেব শিকদারকে একটু আগে গুলি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।

সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কারা হামলার করেছে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।




মেহেরপুরে মাদক সেবনের অপরাধে যুবকের কারাদণ্ড  

মেহেরপুরে গাজাঁ সেবনের অপরাধে আবির হোসেন নামের এক যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

গতকাল রবিবার রাতে শহরের ঘাট পাড়ায় জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৫ গ্রাম গাজাঁ উদ্ধার করে। আটক আবির হোসেন ঘাট পাড়ার আশাদুল ইসলামের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঘাটপাড়ায় আবির হোসেনের বাড়িতে যৌথ অভিযান চালিয়ে গাঁজা সেবন অবস্থায় তাকে আটক করে।

এ সময় তার কাছ থেকে ৫ গ্রাম গাজাঁ উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে আবিরকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: হাবিবুর রহমান। অভিযানে মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই মতিয়ার রহমানসহ জেলা আনসার ভিডিপির সদস্যরা অংশ নেয়।‌




আলমডাঙ্গায় ক্যাবলের তার চুরি সিন্ডিকেটের দুই সদস্য আটক

আলমডাঙ্গা শহরে দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কের নাম হয়ে ওঠা একটি চোর সিন্ডিকেটের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বিশেষ অভিযানে শহরের আলোচিত চোর চক্রের সদস্য বিশ্বজিৎ অধিকারী ও সঞ্জয় কুমারকে আটক করা হয়।

গত শনিবার গভীর রাতে আলমডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো—পৌর এলাকার ক্যানেলপাড়ার প্রেমনন্দ অধিকারীর ছেলে বিশ্বজিৎ অধিকারী (২৪) এবং মাদ্রাসাপাড়ার শ্রী গনেশ কুমারের ছেলে সঞ্জয় কুমার (৩২)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারা দুজনই শহরের চিহ্নিত চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে শহরের বাসাবাড়ি, দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তালা ও জানালা ভেঙে, টিন কেটে দুঃসাহসিক চুরি চালিয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একাধিক চুরি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বজিৎ অধিকারীর বিরুদ্ধে ৭টি এবং সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে ৮টি চুরি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। এর আগেও তারা একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাঈলের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে তাদের আটক করে থানায় নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পৌর এলাকার আরও কয়েকজন চোর ও চোর সিন্ডিকেট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চোর সিন্ডিকেটের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




আলমডাঙ্গায় মাদকের ছোবলে আক্রান্ত যুব সমাজ

আলমডাঙ্গায় মাদকের ছোবলে আক্রান্ত যুব সমাজ। প্রশাসনিক গাফিলতি, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় বিস্তার ঘটছে মরণ এই নেশার।

অপার সম্ভাবনাময় আলমডাঙ্গার যুব সমাজ আজ যেন নীরবে মুর্তিতে পরিণত হচ্ছে মাদকের এক ভয়ংকর অভয়ারণ্যে। মরণনেশার ছোবলে প্রতিদিনই দিকভ্রান্ত হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। স্কুল–কলেজপড়ুয়া থেকে শুরু করে কর্মক্ষম যুবক—কেউই রেহাই পাচ্ছে না এই সর্বনাশা আসক্তি থেকে। পরিবার ভাঙছে, ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে, অথচ দেখার যেন কেউ নেই।

মাকড়সার জালের মতো সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে মাদক। মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চোখে পড়লেও তা অনেকটা দেখানো কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ—এমনটাই অভিযোগ সচেতন নাগরিকদের। পাশাপাশি  মাদকাসক্ত ব্যক্তি আটক হলেও বড় বড় মাদক ব্যবসায়িরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।

এছাড়াও অধিকাংশ মাদক মামলাই শেষ পর্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে সাক্ষীর অভাবে। আবার যেসব ঘটনায় সাক্ষী পাওয়া যায়, তারা নিরাপত্তাহীনতা, হুমকি ও প্রভাবশালী মহলের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। ফলে গ্রেপ্তার হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে আসে মাদক কারবারিরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদক নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রহস্যজনক নীরবতা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় অনীহা। এসব কারণে বারবার অভিযোগ উঠলেও কার্যকর ও টেকসই কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। কিছু কিছু জায়গায় প্রকাশ্যে বিক্রি, প্রকাশ্যেই সেবন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার স্টেশন মোড় ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড বর্তমানে মাদক বিক্রির অন্যতম প্রধান হটস্পট হিসেবে পরিচিত। এখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে মরণনেশা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে।

এছাড়া প্রতিদিন নিয়মিত মাদক কেনাবেচা ও সেবনের অভিযোগ রয়েছে—উপজেলা নতুন ভবন এলাকা, পৌরসভার সামনে স্টেডিয়ামের ওপর, থানাপাড়া পুকুরপাড়, রেলস্টেশনের ওপর ও ঢালে, লালব্রিজ সংলগ্ন কালভার্টের ওপর এবং ফকট এলাকায়। দিনের আলো কিংবা গভীর রাত—সময় যেন কোনো বাধা নয় মাদক কারবারিদের জন্য।

মাদকের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ জানিয়ে আলমডাঙ্গা শাখার মাদক ও নিরাময় বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন— “মাদক আজ আলমডাঙ্গার জন্য শুধু আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নয়, এটি একটি মানবিক ও সামাজিক বিপর্যয়। তরুণ সমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে। আমরা যদি এখনই শক্ত হাতে প্রতিরোধ গড়ে না তুলি এবং মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করি, তাহলে ভবিষ্যতে এর ভয়াবহ পরিণতি আমাদের সবাইকে ভোগ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, সাক্ষী সুরক্ষা, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত অভিযান, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম ছাড়া মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এখনই যদি কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে আলমডাঙ্গার তরুণ সমাজ শুধু মাদকাসক্তই নয়—একটি হারিয়ে যাওয়া প্রজন্মে পরিণত হবে। সময় এসেছে দায় এড়ানোর নয়, সময় এসেছে দায়িত্ব নেওয়ার। সময় এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার।




মেহেরপুরে ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালন

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলার অন্যতম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরএর আয়োজনে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকেলে মেহেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট এম. আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এম. এ. বাশার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-সভাপতি নূরুল আহমেদ ও সহ-সভাপতি রফিকুল আলম।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল মজিদ, ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সায়েদুর রহমান সাজু, নাট্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, কবি ও সাংবাদিক জি. এফ. মামুন লাকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিলুফার বানু, কবি বাশরী মোহন দাস, কবি আবুল হাসেমসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

বিজয় দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আইন, সমাজসেবা ও সংগঠনে বিশেষ অবদানের জন্য ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট এম. আনোয়ার হোসেন, চিকিৎসা ও সমাজসেবায় অবদানের জন্য সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এম. এ. বাশার এবং কবিতা ও গীতিকলাপের জন্য কবি ও গীতিকার ম. গোলাম মোস্তফাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি ম. গোলাম মোস্তফা, বাশরী মোহন দাস, সায়েদুর রহমান সাজু, এস. এম. এ. মান্নান, শহিদুল ইসলাম কানন, রফিকুল ইসলাম, মহিবুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম খোকন, মাইশা ফারজানা ঐশী, ফাতেমা ফিরোজসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সাধারণ সম্পাদক মেহের আমজাদ।




কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ইসমাইল হোসেন আর নেই

দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সমন্বয়ক হাবিবুর রহমানের বড় ভাই ইসমাইল হোসেন (৭২) আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় তিনি যশোর সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে মাথাব্যথাজনিত রোগে ভুগছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মরহুম ইসমাইল হোসেন দর্শনা উপজেলার পরাণপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাব মণ্ডলের বড় ছেলে এবং কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত সাবেক সদস্য ছিলেন।

গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় দর্শনা পরাণ স্কুল মাঠে তাঁর জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পরাণপুর গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাজা নামাজে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে মরহুমের জন্য দোয়া করা এবং আল্লাহর কাছে তাঁর মাগফিরাত কামনা করা। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাজা আবুল হাসনাত, দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান ও তৈয়ব আলী, দর্শনা বিএনপির সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ও দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস এনামুল হক শাহ মুকুল, বিএনপি নেতা প্রভাষক মশিউর রহমান, শরীফ উদ্দিন, লুৎফর রহমান, সাবেক নতিপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন, সাবেক পৌর ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী।

এছাড়াও আত্মীয়স্বজনসহ শত শত মানুষ জানাজায় অংশ নেন। মরহুমকে একনজর দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় করেন এলাকাবাসী।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।




তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মেহেরপুরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মেহেরপুরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি লতিব বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এহান উদ্দীন মনা, বিএনপি নেতা ইলিয়াছ হোসেনসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও বিএনপির অধীনস্ত বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রধানরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের একযোগে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।




তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গাংনীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে এক আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকেলে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দীন কালু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এডাম সুমন, ইমন হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লবসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।