আলমডাঙ্গায় শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ চরমে, শীতবস্ত্র বিতরণ

৯ ডিগ্রির হিমশীতে জমে গেছে আলমডাঙ্গা। জরুরি সরকারি সহায়তা না পেলে বাড়বে মানবিক বিপর্যয়। সেই সাথে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।

ঘন কুয়াশা আর কনকনে হাওয়ায় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে আলমডাঙ্গার জনজীবন। গ্তকাল রবিবার সারাদিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের। ভোর হলেই সাদা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পুরো জনপদ। রাস্তা-ঘাট, গাছপালা, খোলা মাঠ—সবই মিলিয়ে যায় হিমেল ধোঁয়াশায়। সারাদিন সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ঘর থেকে বের হলেই কাঁপছে শরীর, জমে যাচ্ছে নিঃশ্বাস। অনেকেই আবার মজার ছলে বলে উঠছে, বিনা পাসপোর্ট ভিসায় ইউরোপের আবহাওয়া অনুভব করতে হলে চলে আসতে হবে এই আলমডাঙ্গায়।

গতকাল রবিবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা নেমে আসে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি শীত মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন। ফলে শীত এখন শুধু অস্বস্তির নয়, অনেকের জন্য তা জীবনযুদ্ধের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া মানুষ। কৃষক, দিনমজুর, ভ্যানচালক ও শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে ঘর ছাড়ছেন। তবে কনকনে হাওয়ায় কাজের গতি থেমে যাচ্ছে, অনেকেই কাজ হারাচ্ছেন। খোলা আকাশের নিচে কাজ করা মানুষদের চোখেমুখে অসহায়ত্ব আর নিরব আর্তনাদ স্পষ্ট।

শীতের কাঁপুনিতে থরথর জনপদ—হিমেল বাতাসে স্থবির জীবন, আগুন ঘিরে উষ্ণতার খোঁজ, নীরব চোখে বাঁচার আবেদন।

শিশু, বৃদ্ধ, অসহায়—সকলেই আজ একই সারিতে। আগুন পোহাতে নবীন প্রবীন একই সারিতে। গ্রামাঞ্চলের চিত্র আরও ভয়াবহ। ভোরে মাঠে নামা কৃষকদের জন্য কাজ শুরু করাই হয়ে উঠছে প্রায় অসম্ভব। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ শীতজনিত রোগ বাড়ছে। দরিদ্র পরিবারগুলোতে চিকিৎসা ব্যয় মেটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এদিকে গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী গ্রামে শীতার্ত মানুষের পাশে আজিজুল হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র হিসেবে অর্ধহাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম, লিয়াকত আলী, সলোক মিয়া, ব্যবসায়ী সুদ্দুর রহমান, ইসলাম মালিথা, মানিক এবং সম্রাটসহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।




মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ রবিবার বিকেলে বারাদী ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে শতাধিক দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা কেরু চিনিকলে ট্রাক্টরের টায়ার বিস্ফোরণ, দুই শ্রমিক আহত

দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের গ্যারেজে ট্রাক্টরের টায়ার ফেটে দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে কেরু হাওয়া ঘরে টলি ট্রাক্টরের টায়ার খোলার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পরপরই আহত দুই শ্রমিককে কেরু চিনিকলের একটি পিকআপে করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু (এনআইটিওআর) হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

আহত শ্রমিকরা হলেন দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের রোঘুনাথপুর গ্রামের নাসীর উদ্দিন (৩৫) এবং শ্যামপুর গ্রামের সাকা বিশ্বাসের ছেলে শাহাবুদ্দিন ওরফে বশির উদ্দিন (৫০)।

কেরু গ্যারেজের ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে কেরুর একটি পিকআপে করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠান।

ঘটনার খবর পেয়ে কেরু চিনিকলের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান আহত দুই শ্রমিকের খোঁজখবর নেন এবং তাদের চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

কোম্পানির পক্ষ থেকে চিকিৎসা ব্যয় বহনের সিদ্ধান্তে শ্রমিক-কর্মচারীরা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।




হাদী হত্যার বিচারের দাবিতে মেহেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ

হাদী হত্যার দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মেহেরপুরে সচেতন ছাত্রসমাজের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আজ রবিবার বিকেল ৩টায় মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা হাদী হত্যার ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তারা বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে। এ ধরনের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা কামনা করেন বক্তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জুলাই যোদ্ধা খন্দকার মুইজ উদ্দিন, ইব্রাহিম হোসেন, শেখ শাপলা খাতুন, জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ খান ও আসিক রাব্বি, সদস্য (লিয়াজু/সংগঠন) মো. হাসনাত জামান সৈকত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মারুফ হাসানসহ ছাত্রজনতার প্রতিনিধিরা।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানের মাধ্যমে হাদী হত্যার বিচার এবং নিরাপদ সমাজ গঠনের দাবি জানান। শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি শেষে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ সমাপ্ত হয়।




ঝিনাইদহে অংকুর নাট্য একাডেমির মাসব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্বোধন

ঝিনাইদহে অংকুর নাট্য একাডেমির মাসব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় শীতার্ত মানুষের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অংকুর নাট্য একাডেমীর সভাপতি আহসান হাবিব রনক, দাতা সদস্য সিও’র নির্বাহী পরিচালক সামসুল আলম, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন , অংকুর নাট্য একাডেমির আজীবন সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অংকুর নাট্য একাডেমির নাট্য সম্পাদক মীর আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন অংকুর নাট্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রথম দিনে ৫০ জন শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র প্রদান করা হয়।




ঝিনাইদহে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিকে সেচ খালের গাছ চুরি করে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার কুলচারা গ্রামের জিকে সেচ খালে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া ডিএম কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিক্ষক আমিরুল ইসলাম শনিবার বিকেলে কুলচারা গ্রামের জিকে সেচ খালের ১ টি রেইনট্রি ও ২ টি ইপিল ইপিল গাছ স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। দুপুরের পর কাঠ ব্যবসায়ীরা শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটা শুরু করলে স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন সটকে পড়ে ওই কলেজ শিক্ষক ও শ্রমিকরা।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা কাজী মহসিন বলেন, এর আগেই এই কলেজ শিক্ষক আমিরুল ইসলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কেটেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিয়েছিলাম। এবারও তিনি একই কাজ করছে। আমরা আবারো তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করব।

অভিযোগের ব্যাপারে কলেজ শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, সমিতির মাধ্যমে গাছ লাগানো ছিলো। সেই গাছ কাটতে চেয়েছিলাম। পরে আর কাটা হয়নি। ওখানেই আছে গাছগুলো।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি হুমায়ন কবির মোল্লা বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অভিযোগ আসেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




ঝিনাইদহে কাবাডি ও ভলিবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে মাদকবিরোধী সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কাবাডি ও ভলিবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দিনব্যাপী বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজ আফজাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর কুমার দাশ এবং জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ মোহাম্মদ হাসেম আলীসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় কাবাডি ও ভলিবল প্রতিযোগিতা। এতে ঝিনাইদহ জেলার ছয়টি উপজেলার কাবাডি ও ভলিবল দল অংশগ্রহণ করে। দিনভর চলা খেলায় খেলোয়াড়দের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পারফরম্যান্স দর্শকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ এসব খেলা উপভোগ করতে স্টেডিয়ামে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। দুপুরের পর অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল খেলা। কাবাডির ফাইনালে সদর উপজেলা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা মুখোমুখি হয়। জমজমাট ও উত্তেজনাকর ম্যাচে ২৪-১৪ পয়েন্টে হরিণাকুন্ডু উপজেলাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে সদর উপজেলা কাবাডি দল।

অপরদিকে ২৫-১১ পয়েন্টে ভলিবলে সদর উপজেলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় হরিণাকুন্ডু উপজেলা। খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। এ সময় আয়োজকরা ভবিষ্যতেও মাদকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের ক্রীড়া আয়োজন অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।




দর্শনার পরানপুরে যুবকের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

দর্শনা উপজেলার পরানপুর গ্রামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত গভীর রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম আসানুল ইসলাম ওরফে রাজা মিয়া (২৫)। তিনি পরানপুর গ্রামের জামিরুল ইসলামের ছেলে। জানা গেছে, গভীর রাতে তিনি মায়ের দেওয়া ভাত না খেয়েই ঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর সময় তার মোবাইল ফোনে ভিডিও চালু ছিল এবং কানে হেডফোন লাগানো ছিল।

নিহতের মা রোজিনা খাতুন জানান, তিনি রাতে ছেলের খাটের পাশে ভাতের থালা রেখে আসেন। থালায় ছিল ভাত, পালন শাক ও এক টুকরা মাছ। সকালে দেখা যায়, ভাতের থালাটি যেভাবে রাখা হয়েছিল, সেভাবেই অক্ষত ছিল।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের সদস্যরা রাজার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে মরদেহটি নামিয়ে দর্শনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে বেলা ১১টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর জামিরুল ইসলামের বাড়িতে শত শত মানুষ ভিড় করেন। নিহতের স্ত্রী রেশমা খাতুন বলেন, রাতে আমার সঙ্গে সে ভালোভাবেই কথা বলেছে। কোনো অস্বাভাবিক কিছু বুঝতে পারিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজা মিয়া ঢাকায় একটি ট্রান্সপোর্টে চাকরি করতেন। তবে গত কোরবানির ঈদে বাড়িতে এসে আর ঢাকায় ফিরে যাননি। তিনি বর্তমানে বেকার ছিলেন।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুলতান মেহমুদ জানান, নিহতের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কিছু পারিবারিক ঝামেলা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং পরে দাফন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।




আলমডাঙ্গা বন কর্মকর্তার উদাসীনতা অন্তিম পর্যায়ে; কর্তব্যের গাফিলতি

আলমডাঙ্গা বন কর্মকর্তার উদাসীনতা অন্তিম পর্যায়ে।পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেও কর্তব্যের গাফিলতি। নওলামারী গ্রামে তদন্তের স্বার্থে একনজর দেখার সময় নেই। এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।সরেজমিনে সাংবাদিকরা গেলে তাদের ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের নওলামারি গ্রামে জিকে খালের সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন এক প্রবাস ফেরত ব্যক্তি ও স্থানীয় দুই বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার দিনভর খালের ওপর থাকা মূল্যবান মেহগনি, বাবলা ও সেগুনগাছ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্বানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা হলেন নওলামারি গ্রামের আব্দুল মল্লিকের ছেলে হাজি মতিয়ার, দারুল বিশ্বাসের ছেলে প্রবাস ফেরত লালন এবং বিশারত বিশ্বাসের ছেলে ফরিদুল মাস্টার।

স্থানীয়রা জানান, কাটা গাছের একটি অংশ বাড়ির আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে এবং কিছু গাছ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। হাজি মতিয়ার গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গাছের ছায়ার কারণে জমিতে চাষের শস্যের ফলন কমে যাচ্ছিল। তাই গাছ কেটে বিক্রি করেছি।

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য ভিন্ন। তাঁরা জানান, কয়েক মাস আগে বিদেশ থেকে ফিরে লালন অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে জিকে খালের সরকারি গাছ কেটে ফেলেন। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক ফরিদুল মাস্টার। তাঁরা দুজনই প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের কর্মকর্তা এ কে এস আতাএলাহী বলেন, বিষয়টি আলমডাঙ্গা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে শিক্ষক কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকার

দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে দারুল উলুম ফুরকানিয়া কওমী মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গণধোলাই পর পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আরাফাত হোসেন শিশির (২৫) দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মল্লিক পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে। গতকাল শনিবার বেলা আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে মাদরাসা প্রাঙ্গনে এই গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেন।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর দারুল উলুম ফুরকানিয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলা আরাফাত হোসেন শিশির একই মাদরাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র (১২)কে ফুঁসলিয়ে বিভিন্ন সময়ে বলাৎকার করে আসছিল। ঐ মাদ্রাসা ছাত্র বাড়িতে ছুটিতে গিয়ে আর মাদ্রাসায় ফিরে আসতে না চাইলে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে সে পরিবারের লোকজন কে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত খুলে বলেন।

গতকাল শনিবার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন মাদরাসায় গিয়ে ওই শিক্ষককে উত্তম মাধ্যম গণধোলাইয়ের পর একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত কে হেফাজতে নেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানাগেছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ৯৯৯ লাইনে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আইনগত প্রক্রীয়াধীন।