মুজিবনগরে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন

“দেশীয় জাত,আধুনিক প্রযুক্তি: প্রাণিসম্পদ হবে উন্নতি” এই শ্লোগানে মুজিবনগরে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে মানিকনগর বাসস্ট্যান্ড প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল। এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রাণির প্রদর্শনীর কর্ণার পরিদর্শন করেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: হারিছুল আবিদ এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান, সমাজসেবা অফিসার মাহামুদুল হাসান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রকিব, উপজেলা এলজিইডি ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইমদাদুল হক, মুজিবনগর উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার জেসমিন সুলতানা, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সেলিম রেজা, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী ওমর ফারুক প্রিন্স, মুজিবনগর থানার এস আই কামরুল জিয়া।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মুজিবনগর উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন সৈয়দ সাকিবুল ইসলাম। উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশীয় জাতের প্রাণির প্রদর্শনীর কর্নার নিয়ে মোট ৩০ টি স্টল অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা সভার আগে একটি বর্নাঢ্য র‍্যালীর মধ্যে দিয়ে জাতীয় প্রানী সপ্তাহের শুভ সূচনা করা হয়।




গাংনীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনীতে পুকুরের পানিতে ডুবে আইমান আলী (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শিশু আইমান উপজেলার ধানখােলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামের মোঃ বশির মীরের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালের দিকে আইমান খেলা করতে বাড়ি থেকে বের হয।পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে। পরে প্রতিবেশীরা তাকে একটি পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে। এসময় আহত আইমানকে উদ্ধার করে দ্রুত গাংনী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘােষণা করেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাসমেরী খাইরুন নাহার বলেন, উপজেলার কসবা গ্রামের তিন বছরের  শিশু আইমানকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।এ সময় আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পাই। আইমানকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বলেন, শিশু আইমানকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: বানী ইসরাইল জানান, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।




গাংনীতে গাঁজাসহ আটক- ২

মেহেরপুরের গাংনীতে গাঁজাসহ দুই যুবককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের রাজা ক্লিনিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- গাংনী উপজেলার চিতলা গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে নাসিম (১৯) এবং একই গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৩)।

র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ওয়াহিদুজ্জামান (এস), বি এন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি চৌকস দল পৌর শহরের রাজা ক্লিনিক এলাকায় অবস্থান নেয়।

এসময় সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ১ কেজি গাঁজা,২টি মোবাইল ফোন, ৩টি সিমকার্ড এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

আটক নাসিম ও রাশেদুলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের ওই কর্মকর্তা।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বানী ইসরাইল জানান, আটক হওয়া দুইজনকে র‍্যাব গাংনী থানায় হস্তান্তর করেছে।




আলমডাঙ্গায় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন

আলমডাঙ্গায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় আলমডাঙ্গা উপজেলা মঞ্চে এই উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আশীষ কুমার বসুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. দীনু বন্ধু সাহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহামুদুল হাসান, আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. মাহবুব আলম, আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা জামায়াত সেক্রেটারি মামুন রেজা, এবি পার্টির রাকিব হাসান প্রমুখ।

“দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি প্রাণিসম্পদ হবে উন্নতি”এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রধান অতিথি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির আদিম স্লোগান ছিল ‘গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ’। তাই মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রাণিসম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। গ্রামের খামারিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গবাদি পশু পালনে উদ্বুদ্ধ করা আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। চলমান অর্থনীতিতে আমরা মাছ, মাংস, ডিম, দুধের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছি। উর্বর কৃষিজমিতে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পশুপালনও এগিয়ে চলছে।




মেহেরপুর প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে উদ্বৃত্ত একটি জেলা

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির বলেন, ছাগল উৎপাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ এবং আমরা মাংস আমদানি করি না। মাংস, দুধ, ডিম এসব প্রাণীর যে সম্পদ, এসবই আমাদের অর্জনকে খুবই উল্লেখযোগ্য করে তুলেছে। আমাদের উদ্যোক্তারা যারা রয়েছেন, এই অর্জনের পেছনে তাদের ভূমিকাই সবচেয়ে বড়।

মেহেরপুর জেলা যে আয়তনের, সেখানে গরুর সংখ্যা প্রায় পৌনে চার লক্ষ এবং ছাগলের সংখ্যা প্রায় পৌনে সাত লক্ষ। আমরা যদি দুটি প্রধান পশু গরু ও ছাগল দেখি, তবে দেখা যায় মেহেরপুরের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি সংখ্যক গরু এবং প্রায় জনসংখ্যার সমান ছাগল রয়েছে। অর্থাৎ, এই জেলায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গরু বা ছাগল পালন করা হয়ে থাকে।

আজ বুধবার সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ চত্বরে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসকল কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, এই জেলা প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে উদ্বৃত্ত একটি জেলা। এই যে কৃতিত্ব এটি আমাদের খামারিদের পরিশ্রম, চেষ্টা, সাধনা এবং ধৈর্যেরই বহিঃপ্রকাশ। এই অর্জন তাদেরই। এজন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আমরা যে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন করি হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল এসবের প্রয়োজন কারণ প্রাণিজ আমিষ খুবই জরুরি। একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে চাইলে আমাদের মেধাবী ও দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন করে যারা পরিশ্রম করবে, কাজ করবে, মেধাশক্তির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেবে। আর এইজন্য প্রাণিজ আমিষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি: প্রাণিসম্পদ হবে উন্নতি” প্রতিপাদ্যে এবং “আমিষেই শক্তি, আমিষেই মুক্তি” স্লোগানে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও গতিশীল করতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও মানসম্মত জাত সম্প্রসারণই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

এছাড়াও এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মোঃ খাইরুল ইসলাম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নাজমুল হাসান শাওন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের আগে বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালিটি

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ চত্বর প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন খামারি ও প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। প্রদর্শনীতে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি, কবুতরসহ বিভিন্ন জাতের প্রাণী প্রদর্শন করা হয়।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ, মেহেরপুর এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের দেশীয় প্রাণিসম্পদের প্রদর্শন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পশুপালন, রোগ প্রতিরোধ, পুষ্টি ব্যবস্থাপনা এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত স্টলও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে।

প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে আগামী এক সপ্তাহ ধরে আলোচনা সভা, প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করা হবে।




শীতের আমেজে জমজমাট মেহেরপুরের ফুটপাতে পিঠার দোকান

শীতের আমেজ অনুভূত হতেই মেহেরপুর শহরজুড়ে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। শহরের বিভিন্ন মোড়, বাজার ও জনসমাগমস্থলে বসেছে পিঠাপুলির অস্থায়ী দোকান। স্বাদে অনন্য এসব পিঠা খেতে প্রতিদিন ভিড় করছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ঋতুচক্র অনুযায়ী পৌষ-মাঘ শীতকাল হলেও মেহেরপুরে শীতের অনুভূতি চলে আসে কার্তিকের শেষ দিক থেকেই। ঠান্ডা হাওয়া বইতেই শহরের পথে পথে শীতের পিঠার ঘ্রাণ জানান দিচ্ছে মৌসুমের আগমন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেহেরপুর শহরের গড়পুকুর, কলেজ মোড়, পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে, নতুনপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে বসেছে পিঠার দোকান। দুপুর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্রেতারা দোকান সাজিয়ে ফেলেন। সন্ধ্যার পর এসব দোকানে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। ক্ষুধার্তদের পাশাপাশি শখ করেও অনেককে দেখা যায় পিঠার স্বাদ নিতে।

পাটিসাপটা, ধুপি, চিতই সবচেয়ে বেশি চাহিদা এসবের। চালের গুঁড়া, খেজুরের গুড় ও নারিকেল দিয়ে তৈরি ধুপি গরম গরম চুলা থেকে নামিয়ে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন দোকানিরা। চিতই পিঠার সঙ্গে পরিবেশন করা হচ্ছে, ঝাল ভর্তা, সরিষা বাটা, শুঁটকি ভর্তা ও বিভিন্ন উপকরণ।

গড়পুকুর এলাকার ধুপি বিক্রেতা সম্রাট ইসলাম বলেন, সারা বছর চপ পেঁয়াজি বিক্রি করি। তবে শীত এলেই পিঠার চাহিদা বেড়ে যায়। চাকরিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী সকলেই পিঠা খেতে আসেন। অনেকে আবার বাসায় নিয়েও যান।

তিনি জানান, বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ধুপি বিক্রি করে দিনে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা লাভ থাকে, যা দিয়ে এখন তার সংসার চলে।

পিঠা বিক্রেতা জামাল উদ্দিন বাবু বলেন, আগেরবার বাইরে আয়োজন করে দারুণ ব্যবসা হয়েছিল। এবার গড়ে আয়োজন করছি বলে তুলনামূলক কম হচ্ছে, তবে পায়েশ, সুজি ডিমের পিঠা, সরু পিঠা আর পাটিসাপটার স্বাদ ও মান আগের মতোই চমৎকার। ধীরে ধীরে মানুষ জানলে এবং স্বাদ পেলে আবার আগের মতোই ভালো ব্যবসা হবে।

ক্রেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, একসময় শীতে বাড়ি বাড়ি পিঠা তৈরির ধুম ছিল। ভাপা, চিতই, রসের পিঠা নানা রকম পিঠা বানানো হতো। সময়ের সাথে সেই প্রচলন অনেকটাই কমে গেলেও এখন ফুটপাথের পিঠা আবার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই সন্ধ্যা নামলেই পিঠার দোকানে ভিড় লেগে থাকে।

ক্রেতা মিলন হোসেন বলেন, ছেলে-মেয়েদের জন্য পিঠা নিয়ে যাচ্ছি। শীতের এসব পিঠা তারা খুব পছন্দ করে। তাই পিঠা নিয়ে যাচ্ছি ওরাও খাবে, আমরাও খাবো।

শীতের আগমনে মেহেরপুরের পথঘাটে পিঠার ঘ্রাণ ও ভিড় যেন শহরবাসীর মৌসুমী আনন্দকে আরও রঙিন করে তুলেছে।




মেহেরপুরে ২৬ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা রকেটের ডিএসআর

মেহেরপুরে ২৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে লাপাত্তা হয়েছেন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের ডিএসআর আইয়ুব আলী (২৫)। এ ঘটনায় মেহেরপুর রকেট ডিস্ট্রিবিউটরের হাউজ ম্যানেজার আব্দুল হাবিব বাদি হয়ে মেহেরপুর সদর থানায়িএকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আইয়ুব আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।

তবে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন রকেট ডিস্ট্রিবিউটর আশাদুজ্জামান সেলিম। তবে পুলিশ বলছে, আমরা সাইবার টিমের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছি।

অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, আইয়ুব আলী প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৪ নভেম্বর সোমবার সকালে মেহেরপুরে রকেট ডিস্ট্রিবিউটের স্টেডিয়ামাপাড়াস্থ অফিসে হাজিরা দেন। অফিসের কাজ শেষ করে তিনি ফিল্ডে যান। বিকাল ৫টার পর অফিসে ফিরে হিসেব দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আর অফিসে ফিরে যাননি। অফিসে ফিরে না আসায় তার মোবাইল ফোনে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার বাড়িতে যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে বিভিন্ন রিটেইলার ও এসআরদের নিকট থেকে সারাদিনে ২৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছেন।

অভিযোগকারী আরও জানান, ওই টাকা আত্মসাতের লক্ষ্যেই ডিএসআর আইয়ুব আলী নিজেকে আত্মগোপন করেছেন।

রকেটে ডিস্ট্রিবিউটর মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক আশাদুজ্জামান সেলিম বলেন, এ ঘটনায় আমরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি। তবে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেছবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর সাইবার টিমের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি আগামীকাল (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে স্পস্ট ধারণা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।




আলমডাঙ্গার ইটভাটা মালিকদের আতঙ্ক, অধিকাংশ ইটভাটার নেই বৈধ অনুমোদন

আলমডাঙ্গা ইটভাটা মালিকেরা উচ্ছেদ অভিযান ও আর্থিক ক্ষতির ভয়ে আতঙ্কে দিন যাপন করছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চারটি ইটভাটা উচ্ছেদ হওয়ার দৃশ্য দেখার পর আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাটা মালিক ও দিন মজুর শ্রমিকরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। অধিকাংশ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন বৈধ অনুমোদন না থাকায় এই আতঙ্কের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৮৩টি ইটভাটা রয়েছে, যার মধ্যে আলমডাঙ্গা বৃহত্তর উপজেলায় ২০টি ইটভাটা অবস্থিত। প্রতিটি ইটভাটায় গড়ে ৩০০ শ্রমিক, গাড়ি চালকসহ লেবার ও ব্যবসায়ীদের সাথে মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত।

ইটভাটার প্রস্তুতি, অবকাঠামো, কাঁচামাল সংগ্রহ এবং জ্বালানি ব্যবহারের বিষয়গুলো ২০১৩ সালের আইন ও ২০১৯ সালের সংস্কার অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত। ২০২২ সালে সংযোজন করা হয়েছে, যদি কোনো ইটভাটা ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে থাকে, তবে তার অনুমোদন বাতিল করা হবে। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর ইট পোড়াতে গাছের খড়ির পরিবর্তে কয়লা ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

আলমডাঙ্গার ২০ জন ইটভাটা মালিক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। আলমডাঙ্গা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আসিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই মরসুমে ইটভাটায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছি। যদি ইটভাটা বন্ধ বা উচ্ছেদ করা হয়, তাহলে আমি ও আমার শ্রমিকরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ব।




জীবননগরে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জীবননগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: আল-আমীনের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বাড়ির কাছে গ্রাম আদালত, কেন হাঁটিব দূরের পথ। তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ গ্রাম আদালতে আবেদন করে কোনো উকিল নিয়োগ বা ঝামেলা ছাড়াই আইনের সেবা পেতে পারে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি হলে নতুন বিরোধ সৃষ্টি হয় না। আইনের সেবা প্রদানে চেয়ারম্যানদের আরও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ থাকতে হবে এবং উচ্চ আদালতের মামলা জট কমাতে নিয়মিত গ্রাম আদালত পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া তিনি ইউপি চেয়ারম্যানদের পরামর্শ দেন, গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত মামলা দ্রুত এবং সচেতনভাবে নিস্পত্তি করতে।

প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী শিশির চৌকিদারের সঞ্চলনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব ও সমাজসেবা কর্মকর্তা জাকির উদ্দিন মোড়ল, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) আতিয়ার রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো: তাজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান/প্রশাসক, গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।




দামুড়হুদায় দুই মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

দামুড়হুদার সুবলপুর গ্রামের মাঠে ফসলি জমি ধ্বংস করে মাটি বিক্রির অপরাধে দুই মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কৃষি জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার অপরাধে মাটি ব্যবসায়ী গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মফিজুল হকের ছেলে রিপন ও সুবলপুর গ্রামের আবু বক্করের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুর গ্রামের কেসমতপুর মাঠে অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুইজনকে আটক করা হয়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে অভিযুক্ত দুই মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পরবর্তীতে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজের সময় সহায়তা করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার একটি পুলিশ দল।