দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়কদের সাথে এমপি প্রার্থী খান বাবুর নির্বাচনী বৈঠক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়কদের সঙ্গে নির্বাচনী বৈঠক করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দর্শনা ডাকবাংলোর কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য সমন্বয়কদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। দর্শনা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সমন্বয়কদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দায়িত্বও তাদের হাতে তুলে দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু।

সমন্বয়কদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডাকবাংলো চত্বরে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজেদের এলাকায় সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, “নেতা-কর্মীরা কে কী করছেন, সব খবরই আমার কাছে রয়েছে। আমি দেখতে চাই, পৌর এলাকার সব নেতা-কর্মী মাঠে থেকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছেন কি না।”

তিনি নির্দেশনা দিয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বজায় রেখে এখন ধানের শীষ প্রতীকের ভোটের লিফলেট বিতরণ করতে হবে। কেউ হুড়োহুড়ি করবেন না। সারিবদ্ধভাবে সিনিয়র নেতারা সামনে এবং অন্যরা পিছনে থেকে লিফলেট বিতরণ করবেন।

পরে তিনি দর্শনা পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দর্শনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দর্শনা পৌর সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, শ্রমিক দলের নেতা শফিকুল ইসলাম সাবু তরফদার, দর্শনা পৌর সমন্বয়ক ও সাবেক দর্শনা সরকারি কলেজের জিএস এনামুল হক শাহ মুকুল, সমন্বয়ক ইকবাল হোসেন, নাহারুল ইসলাম মাস্টার, প্রভাষক মশিউর রহমান, লুৎফর রহমান, জালাল হোসেন লিটনসহ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা।




দামুড়হুদায় নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা 

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে নবাগত সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত, তরুণ ও উদ্যমী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান সাহেল কে স্বাগত জানিয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৪টায় উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারের মতো ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পেলেও তিনি এর আগে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সভায় উপজেলার সর্বত্র বিরাজমান নানা সমস্যা, সম্ভাবনা ও উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। বিশেষ করে মাদক ও চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণ, দামুড়হুদা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যা, প্রধান সড়কের পাশে যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ (বিশেষত ডুগডুগি হাসপাতালের সামনে ও দর্শনা রেলগেট এলাকায়), কার্পাসডাঙ্গায় সহ উপজেলায় কমপক্ষে ২-৩ টি উপযুক্ত স্থানে ধানের হাট স্থাপন এবং উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো, এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সাংবাদিকরা বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্য সাধারণ মানুষ জানতে না পারায় অনেক ইতিবাচক কাজ আড়ালেই রয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তথ্য সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মত দেন তারা।

সভায় ইউএনও উবায়দুর রহমান সাহেল বলেন, আমার দায়িত্বের প্রথম দিন থেকেই আমি চাই আপনাদের সাথে নিয়ে কাজ করতে। পরিবারে মূল্যবোধ না থাকলে সমাজের শৃঙ্খলা আসবেনা, এই মূল্যবোধকে ধরে রেখে কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, সার, প্রাণী সম্পদ, সমাজসেবা, এসব বিষয়ে আপনাদের মাধ্যমে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে সেগুলো নিয়ে আমি কাজ করব।

তিনি আরও বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, আপনাদের মাধ্যমে আমি এই উপজেলার প্রকৃত চিত্র জানতে পারলাম। সমস্যার পাশাপাশি এখানে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করবো। সরকারের নির্দেশনার ভেতরে থেকে যতটুকু করা সম্ভব আমি আন্তরিকভাবে করব। আমি কাজ করলে আপনারা আমাকে মনে রাখবেন। আগামী ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করে ইউএনও আরও বলেন আমার বদলি মূলত নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে। নির্বাচনের আগে ও পরে যেন সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে, এটা নিশ্চিত করতে চাই।

দামুড়হুদা উপজেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় নবাগত ইউএনও উবায়দুর রহমান সাহেল এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, নির্বাহী সদস্য তাছির আহাম্মেদ, হাবিবুর রহমান হবি, আরিফুল ইসলাম মিলন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবু, সহসভাপতি মোজাম্মেল শিশির। প্রেসক্লাব সদস্য শেখ হাতেম, জহিরুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন।

আরো উপস্থিত ছিলেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমন, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আওয়াল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন, সাংবাদিক কামরুজ্জামান যুদ্ধ প্রমূখ।




দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন

দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি, অদম্য নারীদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় “নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে প্রথমে পরিষদ চত্বর থেকে র‌্যালি বের হয়। পরবর্তীতে পরিষদের সভাকক্ষে অদম্য নারীদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএইচ তাসফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিলিমা আক্তার হ্যাপী, সমবায় কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, সমাজসেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হক, একাডেমিক সুপারভাইজার রাফিজুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার আব্দুল মান্নান, দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ধর্মীয় উপাসনালয়ের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গ, রোভার স্কাউটের সদস্য এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।

আলোচনা সভা শেষে অদম্য নারী পুরস্কার কার্যক্রমের আওতায় অর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জন, সফল জননী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন, নির্যাতনের দুঃস্বপ্ন মুছে জীবন সংগ্রামে জয়ী নারী এবং সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখা এই ৫টি ক্যাটাগরিতে উপজেলার ৫ জন গর্বিত নারীকে ফুলের শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী দিয়ে সংবর্ধনা ও পুরস্কৃত করা হয়।




আলমডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন

“দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের ঐক্য, গড়বো আগামীর শুদ্ধতা” এবং “রুখতে দুর্নীতি, গড়বো দেশ হবে সোনার বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস ২০২৫ পালন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রোভার স্কাউট, এনজিওর সদস্যদের নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের ব্যানারসহ একটি র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে মিলিত হয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. আলহাজ্ব লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক একে এম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমার বসু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, দুর্নীতি শুধু দেশ ও মানুষের ক্ষতি করে না, যে ব্যক্তি দুর্নীতি করে সেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু সরকারি কর্মকর্তা নয়, বর্তমানে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কেউ নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করলেও সেটি দুর্নীতির মধ্যে পড়ে। তিনি আরও বলেন, শুধু আইনের ভয়ে নয়, নৈতিকতার জায়গা থেকেও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উদয় রহমান, ওসি তদন্ত আসগার আলী, হারদী এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক একে এম ফারুক, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মামুন হোসেন, আইসিটি কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রভাষক ড. মাহবুবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার ইমরুল হক।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ইলিয়াস হোসেন, পল্লী উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন, এরশাদপুর একাডেমির প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক শামিম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার দে, আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসাদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম, রোভার স্কাউটসের সদস্য এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সভা শুরুর আগে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক।




আলমডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে “অদম্য নারী পুরস্কার” শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় আলমডাঙ্গায় অদম্য নারীদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি” এই প্রতিপাদ্যে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলমডাঙ্গার নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব পান্না আকতারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু, সমাজসেবা অফিসার সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার হিরোজ কবির, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত।

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার সেলিম রেজার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, নারী উদ্যোক্তা হেলেন আক্তার কামনা, নার্গিস খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌস, হোসনেয়ারা গোলাপি, বন্দনা দত্ত প্রমুখ।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৫ নারীকে জয়ীতা সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী: বন্দনা দত্ত, সফল জননী: ফেরদৌসী খাতুন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী: নার্গিস খাতুন, নির্যাতনের শিকার দুঃস্বপ্ন মুছে জীবনসংগ্রামী জয়ী নারী: হোসনেয়ারা, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানকারী: জান্নাতুল ফেরদৌস।




মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালন

“নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি” এই প্রতিপাদ্যে মুজিবনগরে আলোচনা সভা এবং অদম্য নারীদের পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস।

উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

মুজিবনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক নয়নতারা নিশাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল হুদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুন উদ্দিন আল আজাদ, মুজিবনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা গৌতম কুমার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান, মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর বাকের আলী এবং মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সি ওমর ফারুক প্রিন্স।

আলোচনা সভা শেষে সমাজে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ‘অদম্য নারী’ ক্যাটাগরিতে ৫ জন নারীকে সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কার দেওয়া হয়।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত অদম্য নারীরা হচ্ছেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী: উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের গাবু মন্ডল ও পাউমিলা মন্ডলের মেয়ে সন্ধ্যা মন্ডল। শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনকারী নারী: উপজেলার মোনাখালী গ্রামের রেজাউল মির ও ফুলমালা খাতুনের মেয়ে ঈশিতা পারভীন রিক্তা। সফল জননী নারী: উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আলিমুদ্দিন মন্ডল ও জোবেদা খাতুনের মেয়ে রোকেয়া খাতুন। নির্যাতনের দুঃস্বপ্ন মুছে জীবনসংগ্রামে জয়ী নারী: উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের বুধন মন্ডল ও লক্ষ্মী মন্ডলের মেয়ে ভেরুনিকা মন্ডল।

সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানকারী নারী: উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলী খান ও সনাতন বিবির মেয়ে রেহেনা খাতুন।
অদম্য নারীদের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের হাতে সম্মাননা স্মারক এবং পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।




হরিণাকুণ্ডুর নবগত নির্বাহী অফিসারের সাথে মতবিনিময় সভা

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার দিদারুল আলমের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা মিলনায়তনে এসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঈশিতা আক্তার, উপজেলা জামায়াতের আমীর বাবুল আক্তার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাইজাল হোসেন, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক আমর বিন মারুফ জিতু, জামায়াতের সেক্রেটারী ইদ্রিস আলী, উপজেলা রিপোর্টাস ইউনিটের সভাপতি মখলেছুর রহমান লাড্ডু, প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুস সামাদ, সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুব মুর্শেদ শাহীন, ইত্তেফাক প্রতিনিধি শাহানুর আলম, ফলসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. বজলুরর রহমান, কাপাশহাটীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা, ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা তুষার, জোড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু মিয়া, তাহেরহুদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুনজুর রাশেদ, দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বসির উদ্দীন প্রমূখ। এসময় বক্তারা উপজেলার সমস্যা, বাল্যবিবাহ, মাদকের ভয়াবহতা, চুরি ডাকাতি ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সম্পর্কে তুলে ধরেণ। এছাড়া উপজেলার কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে বক্তাগণ বক্তব্য রাখেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন, মাদক ও বাল্যবিবাহ রোধসহ সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে সকলের সহযোগীতা কামনা করেণ।




মেহেরপুরে গ্রাম আদালত সচেতনতা বৃদ্ধিতে দিনব্যাপী কর্মশালা

মেহেরপুরে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের মিনি সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির।

তিনি বলেন, গ্রাম আদালত হচ্ছে গ্রামীণ পর্যায়ের মানুষের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম। তাই এই আদালতকে আরও শক্তিশালী ও জনবান্ধব করতে সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) পার্থ প্রতিম শীল। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার মো. আছাদুজ্জামান।

এছাড়াও মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল আজম ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব চান্দু, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনির, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাসিমা খাতুন, সদর উপজেলার সমন্বয়কারী আলমগীর কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সিডিপি’র প্রজেক্ট ডিরেক্টর জন প্রবঞ্জন বিশ্বাসসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরাও কর্মশালায় অংশ নেন।

কর্মশালায় গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরও সক্রিয় করা, সেবা গ্রহীতাদের সচেতনতা বৃদ্ধি, তথ্য প্রচার জোরদারসহ বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এ কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।




মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন

‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবন্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মেহেরপুরে বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা এবং সমাজে বিশেষ অবদান রাখা অদম্য নারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়,‌ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিমা খাতুন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার নিশ্চিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার উপর জোর দেন।

আলোচনা সভার পরে, সমাজে বিশেষ অবদান রাখা অদম্য নারীদের সংবর্ধনা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মেধা, সাহস ও কর্মদক্ষতা দিয়ে সমাজকে আলোকিত করা কয়েকজন নারীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

আলোচনার আগে, সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও মহিলা সংস্থার আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, নারী নেত্রী এবং সমাজের নানা স্তরের মানুষ প্ল্যাকার্ড হাতে র‍্যালিতে অংশ নেন।




ঝিনাইদহে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান

পরিচ্ছন্ন জেলা গড়তে এবং জনদুর্ভোগ কমাতে ঝিনাইদহে মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অভিযানের উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহে স্থানীয়র সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়।

জেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের উদ্যোগে স্কাউটের সহযোগীতায় শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে আরাপপুর জামতলা হয়ে আরাপপুর মোড়, পাগলা কানাই সড়ক, চুয়াডাঙ্গা সড়কসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পরিচ্ছন্ন অভিযান করা হয়। এ সময় মহাসড়কের পাশে থাকা কাঠের গুড়ির ভাগাড়, বালুর স্তুপ সহ অস্থায়ী অবকাঠামো অপসারণ করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, জনভোগান্তি নিরসন ও পরিচ্ছন্ন জেলা গড়তে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সড়ক-মহাসড়কের পাশে কোন অবৈধ স্থাপনা ও সামগ্রী রাখা থেকে জনগনকে বিরত থাকতে হবে। শহরটি সবার, সবাই মিলে শহরকে সুন্দর রাখার চেষ্টা করা উচিত।