ঝিনাইদহে জেন্ডার-ইকুয়ালিটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন

ঝিনাইদহে সদর উপজেলা জেন্ডার-ইকুয়ালিটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার সকালে ঝিনাইদহের ওয়েলফেয়ার এফোর্টস-উই এর ট্রেনিং সেন্টারে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

উই এর নির্বাহী পরিচালক শরিফা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শহিদুল হক, সদর থানার ওসি তদন্ত জহিরুল ইসলাম, ক্রেডিট সুপার ভাইজার তাসলিমা খাতুন, জাতীয় মহিলা সংস্থার প্রতিনিধি মো: ফারুক হোসেন প্রমূখ। আলোচনা শেষে সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের সভাপতি ও পৌরসভার জেন্ডার -ইকুয়ালিটি ‘র সদস্যদের উপস্থিতিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জার্নালিস্ট ময়না খাতুন কে সভাপতি, নুরুল ইসলাম কে সহ-সভাপতি, কেবিএম ফওজিয়া হক জুই কে সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুমা খাতুন সহ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা জেন্ডার-ইকুয়ালিটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়।




মুজিবনগরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১

মেহেরপুরের মুজিবনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন ভবেরপাড়ার মৃত নিয়ামত দফাদারের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৪০)।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




মেহেরপুরে জুলাই শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

মেহেরপুর কলেজ মোড়ে “জুলাই শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ” নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজের সূচনা হয় সোমবার সকালে, জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে। উদ্বোধন শেষে সেখানে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নজরুল কবীর, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. রফিকুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. এস. এম. আবু সাঈদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম, তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সমাজসেবা উপ-পরিচালক আসাদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক শামসুল আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিউল্লাহসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার শেখ তৌহিদুল কবির, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি তামিম ইসলাম ও খন্দকার মুহিত, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন, সরকারি কলেজের শিক্ষক হেজমত আলী মালীথ্যা ও ফুয়াদ খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শামীম রেজা, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি কাজী রুহুল আমিন ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।

স্মৃতি সংরক্ষণ ও প্রজন্মকে ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করতে নির্মাণ হচ্ছে এই স্মৃতিস্তম্ভ।




মেহেরপুরে দুটি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

মেহেরপুরে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ ফেলের ঘটনা ঘটেছে। এর একটি গাংনী উপজেলার এসকেআরএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং অপরটি পীরতলা দাখিল মাদ্রাসা। দুটি প্রতিষ্ঠান ননএমপিও বলে জানা গেছে।

পীরতলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, এবছর ১৮ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। এর মধ্যে সকলেই ফেল করেছে। কেন যে এমন হলো তা তিনি বলতে পারেননি। তবে গত বছর ১৮ জন পরীক্ষা দিয়ে ৭জন পাশ করেছিলো বলে তিনি জানান।

এদিকে, একই উপজেলা এসকেআরএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১ জন পরীক্ষা দিয়েছিলো। সেও ফেল করেছে। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মেহেরপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: হযরত আলী বলেন, শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা কথা বলবো। যাতে আগামীতে ভালো ফলাফল করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরও জানান, জেলায় সব বিভাগ মিলে ৭৯৪৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৫০৬৩, পাশের হার ৬৩.৭৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৩১ জন।




উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষি বিভাগের নানা উদ্যোগে কৃষির সোনালি সম্ভাবনা ঘিরে বদলে যাচ্ছে চাষীদের জীবনমান। জেলার কোথাও ধানের সবুজ মাঠ, কোথাও শাকসবজি, কোথাও সরিষা বা গম-এ যেনো প্রাণ ফিরে পাওয়া এক মাটির গল্প। এই পরিবর্তনের পেছনে আছে কৃষি বিভাগের নিবিড় তদারকি আর সরকারি প্রণোদনার কার্যকর বাস্তবায়ন।

কৃষি সমৃদ্ধ জেলা মেহেরপুর। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৫৫ হাজার ৫০৭ হেক্টর কৃষি জমিতে হয় ধান পাট, তুলাসহ নানা ধরণের শাক সবজী। আবাদী জমির মধ্যে শীতকালিন সবজি উৎপাদন হয় ৪৯০০ হেক্টর এবং গ্রীস্মকালিন সব্জী উৎপাদন হয় ৬২০০ হেক্টর জমিতে। জেলায় বোরো ধানের আবাদ হয় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর এছাড়া আউশ হয় ২২ হাজার হেক্টর ও আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে।

জেলার উৎপাদিত সবজি এবং ধানসহ অন্যান্য ফসল জেলার খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। জেলার শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির সাথে জড়িত।

কৃষিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে মানুষের অর্থনীতির ভীত। কিন্তু কৃষকরা আগে অপরিকপ্তি এবং সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করাই ফসলের যেমন “আগে ফলন কম হতো, উৎপাদন খরচও বেশি পড়ত।  আবার তারা ফসল বাজারজাত করতে না পেরে ক্ষতির সম্মুখীন হতেন। কিন্তু বর্তমান সময় পাল্টানোর সাথে সাথে কৃষি ও কৃষকের ভাগ্যেরও পরিবর্তন হয়েছে।

কৃষি অফিসারদের সরাসরি মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের ভালবীজ সংগ্রহ, সহজ শর্তে সার, কীটনাশক, বিনামূল্যে কিংবা ভর্তুকিতে এসব প্রাপ্তি কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনেছে অনেকখানি। এতে ফসল ভালো হচ্ছে, লাভও বেশি হচ্ছে।” শুধু সহযোগিতাই নয়, কৃষকদের প্রযুক্তি সহায়তা। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ, হটলাইন ও মাঠপর্যায়ের কর্মী ও কৃষক মিলেই তৈরি করছেন কৃষিবান্ধব পরিবেশ। এছাড়া কৃষিপণ্যেও বাজার ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে এখন কৃষিপণ্য বিক্রি করতেও তেমন সমস্যা হচ্ছে না। ফলে ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন কৃষকেরা।

কৃষকরা জানান, সরকারি প্রণোদনার সঠিক বিতরণ, যান্ত্রিক প্রযুক্তি, কৃষি বিভাগের তদারকি ও পরামর্শে বর্তমান কৃষিতে খরচ কমেছে এবং উতপাদন বেড়েছে। সাহারবাটি বাটি গ্রামের কৃষক আইয়ু আলী বলেন,এক সময় আমাদেও জমিতে বছরে ধান আর পাটসহ মোট দুটি ফসল হতো। এখন কৃষি বিভাগের নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন হওয়ায় বিভিন্ন সবজি উৎপাদন হচ্ছে। বেশিরভাগ জমিতে এখন বছওে তিন থেকে চার বার ফসল হচ্ছে।

কৃষক আবদুল আলিম বলেন, আগে আমরা শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে অনেক বেশি টাকা খরচ হতো। এছাড়াও সময়মতো শ্রমিক না পাওয়ার কারনে ফসলের পরিচর্যা করা যেতনা। আবার সঠিক সময়ে ফসল ঘওে তুলতে পারতামনা। বর্তমানে সরকারি ভর্তুকিতে বিিিভন্ন যন্ত্রপাতি দেওয়ার কারনে আবাদে অনেক খরচ কমেছে,সেই সাথে সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়।

কাথুলি গ্রামের কৃষক খজিমুদ্দিন ও সাহারবাটি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, আমি গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস থেকে
সার, বীজ বিনামুল্যে পেয়ে আমন ধানের আবাদ করেছি। কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন আমাদের গ্রামে এসে অনেক চাষিদেও ্কত্রিত করে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ পেয়ে আমরা উপকৃত হচ্ছি। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের প্রণেঅদনা দেওয়ায এলাকায় আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তারা।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: ইমরান হোসেন বলেন, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ, হটলাইন ও মাঠপর্যায়ের কর্মী ও কৃষক মিলেই তৈরি করছেন কৃষিবান্ধব পরিবেশ। এছাড়া কৃষিপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে এখন কৃষিপণ্য বিক্রি করতেও তেমন সমস্যা হচ্ছে না। ফলে ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন কৃষকেরা। কৃষকদের নানামুখি ফসলের আবাদ করতে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

ফসলে কীটনাশকের প্রয়োগ কমানোর জন্য এবং উন্নত ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে বিভিন্ন মাঠে মাঠে মাঠ দিবস করে কৃষকদের হাতে কলমে শিক্ষাদান করা হচ্ছে। তবে বর্তমান কৃষিতে যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত সুবধা নিয়ে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।




গাংনীতে এইচএসসি পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি সহকারী অধ্যাপক বুলুকে

মেহেরপুরের গাংনী এইচএসসি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলায় সহকারী অধ্যাপক সাজেদুল ইসলাম বুলুকে পরীক্ষা কক্ষ থেকে দায়িত্বচ্যুত করে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রবিবার গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজে পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।

দায়িত্বে থাকা অবস্থায় পরীক্ষার কক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অব্যাহতির নির্দেশ দেন।

কেন্দ্র সচিব রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় তিনি কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন না। তবে পরে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হন, সাজেদুল ইসলামকে পরবর্তী পরীক্ষার দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রে শৃঙ্খলার বাইরে কোনো কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না।’

উল্লেখ্য, চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অনিয়ম ও নকল প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করে চলেছে।




সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেলেন মা, বেঁচে গেল চার মাসের শিশু

ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের আলমখালী বাজারের পাশে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারের বেচে যাওয়া বাচ্চাটিকে পরিবারের নিকটাত্মীয়ের কাছে বুঝে দেয়া হয়েছে। দুঃখের বিষয় দূর্ঘটনায় বাচ্চাটির মা সহ পরিবারের তিনজন সদস্য নিহত হয়েছে। বাচ্চাটির বাবা গুরতর আহত অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ৭টার দিকে ভ্যান যোগে ঝিনাইদহের দিকে আসছিল একটি পরিবার বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী গোল্ডেন লাইনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার খাদে পড়ে যায়। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে ২জন এবং মাগুরা হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরোও একজন মারা যায়।

ঘটনাস্থলে চার মাসের শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে তুলে খাবার দেয় এবং তার মায়ের পরিচয় খুজতে থাকে পরে জানা গেল শিশু বাচ্চাটির মা মাগুরা হাসপাতালে চিকেৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে, কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে ৪ মাসের ছোট্ট শিশুটির কিছুর হয়নি।

পরে বাচ্চাটিকে তার ফুফু সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাসহ নিহত প্রত্যেকের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের গৌরিচরনপুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামে।




মেহেরপুর জেলা ডেকোরেটর, সাউন্ড, লাইট ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা

মেহেরপুর জেলা ডেকোরেটর, সাউন্ড, লাইট ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এই সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।

সমিতির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা ডেকোরেটর, সাউন্ড, লাইট ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ লাইট অ্যান্ড লজিস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম, গাজীপুর জেলা লাইটিং অ্যান্ড সাউন্ডের সভাপতি মাসুদ রানা, ঢাকা জেলার প্রতিনিধি হাজী মোহাম্মদ জানে আলম, কুষ্টিয়া জেলা ডেকোরেটর মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি রবিউল ইসলাম গাজী, নড়াইল জেলার সভাপতি সাফায়েত হোসেন, যশোর জেলার সভাপতি গোলক দত্ত, সিলেট জেলার সভাপতি আব্দুল জাব্বার এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার সভাপতি খসরুল আলম।

এছাড়াও সভায় মেহেরপুর জেলার ডেকোরেটর, সাউন্ড, লাইট ও ফুল ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।




ফয়েজ মোহাম্মদকে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি করার দাবীতে বিক্ষোভ

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদকে সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি’র সদর উপজেলার নেতাকর্মীরা।

গতকাল শনিবার বিকালে সদর উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিলটি আয়োজন করেন।মিছিলটি মেহেরপুর শহরের কাথুলী রোড এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শেষ হয়।

বক্তারা বলেন, “ফয়েজ মোহাম্মদ একজন ত্যাগী, যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতা। তাকে সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।” নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, বিএনপি’র ভেতরে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে ত্যাগী নেতাদের দূরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, দলের ভেতরে অনৈক্য সৃষ্টি করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

সমাবেশে আরও বলা হয়, বিগত ১৭ বছরে বিএনপি’র যেসব নেতাকর্মীরা জেল জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করেছে তাদেরকেই দলে মূল্যায়ন করতে হবে। ত্যাগ-তিতিক্ষার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচিত না হলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” তাই ফয়েজ মোহাম্মদের মতো ত্যাগী নেতাকে আমরা সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই, তা না হলে আগামী দিনে আরো বড় কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার হুশিয়ারি করেন নেতাকর্মীরা।

জেলা জিয়ামঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি এর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সদস্য ডা: খায়রুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহমুদ সানি, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা শিমুল, মজনুসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা




গাংনীতে পিএসকেএস এর উদ্যোগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

হাড়ি ভাঙ্গা, দড়িটানা, লাঠি খেলা, গান, কবিতা, নৃত্য, দৌড়, সাইকেল রেচ এমন অনেক বর্ণাঢ্য বিভিন্ন আয়েজনের মধ্য দিয়ে নবীণ, প্রবীণদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যাতিক্রমী এক অনুষ্ঠান।

গতকাল শনিবার দিনব্যাপী গাংনী উপজেলার পীরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এমন এক ব্যাতিক্রমি আয়েজন করে। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায়, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির (পিএসকেএস) এর বাস্তবায়িত সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় পালিত হয় উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়ন মেলা বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক সম্মাননা প্রদান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২৫।

আনন্দঘন, উৎসব মুখর পরিবেশে- বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্রীড়ার মধ্যে ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের দৌড়, কিশোরীদের সাইকেল র‍্যালী, দৌড়। যুবদের ম্যারাথন দৌড়, ১০০ মিটার দৌড়, প্রবীণদের ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, সুরের তালে বালিশ বদল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল ছড়া, গান, কবিতা ইত্যাদি।

এছাড়া প্রবীণ সম্মাননা, সন্তান সম্মাননা, যুব সম্মাননা, কৈশোর-মেন্টর সম্মাননা, সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান এর জন্য সম্মাননা, ক্রীড়া সম্মাননা, সাংবাদিক সম্মাননা, উপজেলায় আয়োজিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান সহ ছিল বিভিন্ন বিষয়ক স্টল প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ আনজুমান ইসলাম।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, পিএসকেএস এর উপ-পরিচালক মোঃ কামরুল আলম, উপজেলা কর্মসূচী সমন্বয়কারী মোঃ জামিদুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা কর্মসূচী সমন্বয়কারী মোঃ রাকিবুল ইসলাম, সাংবাদিক আকতারুজ্জামান ও জুলফিকার আলী কানন।

অনুষ্ঠান দেখতে এলাকার শতশত নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেন।