আলমডাঙ্গায় ৭১ বিএনপি নেতাকর্মীর জামায়াতে যোগদান

আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহেলা ইউনিয়নে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ৭১ জন নেতাকর্মী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার সময় জেহেলা ইউনিয়নের পুঁটিমারী গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক যোগদান অনুষ্ঠানে তারা জামায়াতের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে অন্তর্ভুক্ত হন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল। তিনি নবাগতদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

যোগদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সাবেক সভাপতি কাজী ইউনুস, সেক্রেটারি ইমারত, যুবদল নেতা সুরুজ আলী, আব্দুর রশীদ ব্যাপারী, ইসলাম ডাক্তার, কাউছার আলীসহ মোট ৭১ জন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আদর্শ নয় এটি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ। এই আদর্শ মানবতার কল্যাণ, ন্যায়বিচার, সততা ও জবাবদিহিতার শিক্ষা দেয়। সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে দুর্নীতি, বৈষম্য ও অন্যায় দূর করতে হলে এই আদর্শের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না; আমরা বিশ্বাস করি সেবার রাজনীতিতে। আজ যারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাদের নিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আইন ও আদালত বিষয়ক সম্পাদক মো. দারুস সালাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা সেক্রেটারি মামুন রেজা, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মো. সাগর আহমেদ, এইচআরডি সম্পাদক আবু রায়হান, চুয়াডাঙ্গা পৌর সভাপতি মো. রাব্বি হাসান, ছাত্রশিবির জেহেলা ইউনিয়ন সভাপতি মো. শ্রাবণ আহমেদ, জেহেলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির, সেক্রেটারি তৌহিদুল ইসলাম মৃদুল, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহমান, ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।




ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের আন্তঃহাইজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

দক্ষিণ বঙ্গের এতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ৬০তম আন্তঃহাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫এর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী কলেজের এ্যাথলেটিক্্র গ্রাউন্ডে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তঃহাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হুনাইন হাউজ ২০২৫ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পল্লী বিদু্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এসএম জিয়া-উল-আজীম, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথির সহধর্মিনী সাজীদা আহমেদ। প্রধান অতিথিকে অভ্যর্থনা জানান ও অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেণ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ এইচ এম ছেরাজুজ্জামা।

অতিথিবৃন্দ দিনব্যাপী ক্যাডেটদের মনোমদ্ধকর ডিসপ্লে ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা উপভোগ করেণ। ২১ ডিসেম্বর থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ৩দিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ৩৩টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের সমাপনি বক্তব্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে, ক্যাডেটদের দেশ মাতৃকার প্রয়োজনে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেণ। তিনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের সফলায় কলেজের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকদের নিরলস ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেণ।




গাংনী আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন আমজাদ হোসেন

মেহেরপুর-২ গাংনী আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন মোঃ আমজাদ হোসেন। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র তুলে দেওয়া হয় তার হাতে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাংনী আসনে আমজাদ হোসেনকে মনোনীত করা হয়।

মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গাংনী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যায়। অনেক নেতা-কর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেন। বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণের মধ্য দিয়ে মনোনয়নকে স্বাগত জানানো হয়।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর প্রতিক্রিয়ায় মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, দল আমার ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে, আমি তার যথাযথ মূল্যায়ন করতে চাই। গাংনীর সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, ন্যায্য অধিকার ও উন্নয়নের দাবিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের মানুষ গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচার ফিরে পেতে মুখিয়ে আছে। সেই লক্ষ্যেই বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, গাংনীর জনগণ আমাদের এই আন্দোলন ও নির্বাচনী যাত্রায় সক্রিয়ভাবে পাশে থাকবে এবং ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।

এদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে গাংনী আসনে দলীয় কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে। তৃণমূল পর্যায়ে গণসংযোগ ও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন হিসেবে পরিচিত। এ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় জামায়াত প্রার্থীদের পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন

চুয়াডাঙ্গা ১ ও ২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেলের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সাবেক ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ও যুগ্ম নির্বাচন পরিচালক কাইমু উদ্দিন হিরোক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের অর্থ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, নির্বাচন পরিচালক নূর মোহাম্মদ হোসেন টিপু, আইন বিষয়ক সম্পাদক দারুস সালাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি পারভেজ আলম, আলমডাঙ্গা পৌর জামায়াতের আমীর মাহের আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর জামায়াতের আমীর হাসিবুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা সেক্রেটারি মামুন রেজা, সদর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি শাহেন উজ্জামান ও পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাহবুব আশিক প্রমুখ।

অন্যদিকে বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও মজলিসে শূরার সদস্য রুহুল আমিনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের নির্বাচন পরিচালক আজিজুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি সাগর আহমেদ, দর্শনা থানা আমীর রেজাউল করিম, জীবননগর উপজেলা সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন প্রমুখ।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ইতোমধ্যে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্যান্য আগ্রহী প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র উত্তোলন করতে পারবেন।




১৮ বছর ধরে বৃত্তি দিয়ে আসছে কোটচাঁদপুরের অরাজনৈতিক সংগঠন আসিশ

দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে ১৮ বছর ধরে বৃত্তি দিয়ে আসছে ‘আসিশ’ নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার কোটচাঁদপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃত্তি পরীক্ষা।

সামনের দিনগুলোতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ইসাহক আলী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে ২০০৭ সালে ‘আসিশ’ নামের অরাজনৈতিক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সংগঠনটি আজ ১৮ বছরে পদার্পণ করেছে। এ বছরও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে বুধবার সকালে কোটচাঁদপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বছর ওই পরীক্ষায় ৫টি বিদ্যালয়ের ৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে কোটচাঁদপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৩৬ জন, বলুহর শেখ মোজাফফরের ৭ জন, শেরখালী বিদ্যালয়ের ১ জন, কোটচাঁদপুর বালক বিদ্যালয়ের ৫ জন এবং হাকিমপুর একটি বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এ বিষয়ে ‘আসিশ’ এর সভাপতি ইসাহক আলী বলেন, স্বপ্নের শুরুটা হয় ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি না পাওয়ার বেদনা থেকে। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয় এইচএসসিতে বোর্ড বৃত্তি পাওয়ার পর। সালটা ছিল ১৯৮৯। মাত্র ৪০০ টাকা জমিয়ে সিদ্ধান্ত নিই এই টাকা থেকে কিছু কিছু করে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করব।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও একটি হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। সে কারণেই ২০০৭ সালে আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার জীবনে বড় ভূমিকা রাখা মা, বাবা, বাবাতুল্য এক ভারতীয় বৃদ্ধ ব্যক্তি এবং আরও একজন বিশেষ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানবিক মানুষের নামের সমন্বয়ে ‘আসিশ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরু থেকেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী বাছাই করে আর্থিক সহায়তা ও সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় এ বছরও বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও সংগঠনটি প্রতি বছর দরিদ্র ও অসহায়দের শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে আসছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, অর্থ ও সনদ প্রদান করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

ইসাহক আলী কোটচাঁদপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি উপজেলার তালসার গ্রামের মৃত আশরাফ আলী মিয়াজির ছেলে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন, বিধি অনুযায়ী শিক্ষকরা বেশ কিছু কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন না, তবে এটি সেই কাজগুলোর মধ্যে পড়ে না। সেহেতু তিনি এ কাজ করতেই পারেন। এটি একটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সমাজের ঝরে পড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় উৎসাহ পাচ্ছে এবং ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাসান বলেন, এ ধরনের আয়োজন অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এটি সমাজের ঝরে পড়া দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আবারও পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।




ঢাকায় যাচ্ছেন মেহেরপুরের ৫ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও জল্পনা।

দলীয় প্রধানের আগমনকে ঘিরে প্রস্তুতি সভা ও আনন্দ মিছিল করছেন মেহেরপুর জেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ইতোমধ্যে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়াসহ নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলাজুড়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলা থেকে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় যাবেন প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস ও মাইক্রোবাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন জানান, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। ইতোমধ্যে বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া সম্পন্ন করা হয়েছে।




গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিশু তানহা আর নেই

মেহেরপুরের গাংনী-কুথিলী সড়কে ইট বহনকারী ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত তুহিন হোসেনের (৩২) পর এবার তার শিশু কন্যা তানহাও মারা গেছে।

নিহত তুহিন হোসেন গাংনী উপজেলার মাইলমারী ধলা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং নিহত শিশু তানহার পিতা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে গাংনী-কুথিলী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, তুহিন হোসেন তার স্ত্রী তমা খাতুন ও শিশু কন্যা তানহাকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে গাংনী শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। ভাটপাড়া বাঙ্গালপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির স্যালোইঞ্জিনচালিত একটি ইটবোঝাই ট্রলি মোটরসাইকেলটির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। এতে তুহিন হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় আহত তমা খাতুন ও শিশু তানহাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু তানহার মৃত্যু হয়।




উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে

রাত পোহালেই ২৫ শে ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন। বড়দিন উপলক্ষে মেহেরপুরের মুজিবনগরের খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে সাজ সাজ রব পড়েছে। রঙিন বাতি সহ নানা ধরনের সামগ্রী দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে গীর্জাগুলো। খ্রিষ্টান পল্লীর বাড়ি গুলো এবং রাস্তাঘাট সজ্জিত করা হয়েছে রংবেরঙের বাতিতে।

নিজেদের ও বিশ্বের কল্যাণ কামনায় প্রার্থণা করবেন খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়ের লোকজন। ধর্মীয় গুরুরা বলছেন-জাতিতে জাতিতে কোনো বিভেদ না থাকে ও যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ হয় এ প্রার্থনা হবে প্রভু যীশুর কাছে।

মেহেরপুরের জেলার সবচেয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোক বাস করে মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া ও বল্লভপুর গ্রামে এসব গ্রামের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে তোলা হয়েছে স্টার, লাইটিংয়ে ভরা ক্রীসমাস ট্রি, বিভিন্ন স্থানে চলছে গোশালা তৈরির কাজ।

কারণ এই দিনে প্রভূ যীশু জন্ম নিয়েছিলো জেরুজালেমের বেতেলহেমের গোয়াল ঘরে। গীর্জাগুলোতে চলছে সুসজ্জার কাজ। সাজানো হচ্ছে নিজের ঘরবাড়ি। ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে শুরু হবে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা। মধ্যরাতে বড় ঘণ্টা বাজিয়ে প্রভু যীশুর ভোজ ও আলেলুইয়া গানের মাধ্যমে শুরু হবে প্রার্থনা। খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে তাই এখন সাজ সাজ রব। শিশু ও বড়দের জন্য কিনছেন নতুন নতুন পোশাক। বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করা হবে মজাদার সব খাবার।

নিজের ও পরিবারের কল্যাণ কামণায় প্রভূ যীশুর কাছে প্রার্থনা করবেন তারা। ভবেরপাড়া চার্চ বড়দিন উদযাপন কমিটির সদস্য দিলিপ মল্লিক বলেন-১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বড় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। প্রতিটি ঘরে এখন সাজ সাজ রব। তৈরি হচ্ছে গোশালা। কারণ প্রার্থনা শেষে সকলে কীর্তন গানের মধ্য দিয়ে গোশালাগুলো পরিদর্শন করবেন সকলে। বাড়িতে বাড়িতে চলছে পিঠাপুলিসহ নানা ধরনের খাবর তৈরির কাজ।

বল্লভপুর ইম্মানুয়েল চার্চের পুরোহিত ডিনারির দিন রেভারেন্ট দিপক উজ্জল বিশ্বাস বলেন-বিশ্বের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনায় প্রার্থনা করবেন খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বীরা। পাপ থেকে নিজেকে মুক্তির জন্য চলবে যীশুর কাছে প্রার্থনা।

এদিকে শুভ বড়দিন সুন্দর ভাবে উদযাপনের লক্ষে সকল ধরনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে গির্জাগুলোতে ব্যাপক পুলিশ দেওয়া হয়েছে। এবং যাতে করে কোন ধরনের দূর্ঘটনা না ঘটে সে লক্ষে ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সিভিলেও আমাদের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম।

মুজিনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল হুদা বলেন উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যে মুজিবনগর উপজেলার সমস্ত গির্জা গুলোকে ৫ শত কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সমস্ত গির্জা গুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে গির্জা গুলোকে সমস্ত সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহ প্রশাসনের সমস্ত ইউনিট নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আছে। আশা করছি নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ভিতরে খ্রিস্টান ধর্মালম্বী ভায়েরা তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন আনন্দের সহিত নিশ্চিন্তে পালন করতে পারবেন।




তিন যুবকের জনসম্মুখে বিচার করলেন মাতবররা!

দোকানে চুরির অপরাধে সন্দেহ ভাজন তিন যুবককে পুলিশে না দিয়ে জনসম্মুখে বিচার করলেন গ্রাম্য মাতব্বররা। শালিসি সিদ্ধান্তে প্রায় ঘন্টাব্যাপী কয়েকশো মানুষের মাঝখানে বসিয়ে রেখে শাস্তি দেয়া হয় তাদের, করা হয় মারধর।

ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের। সন্দেহ ভাজন যুবকরা হলেন, হিজলবাড়িয়া গ্রামের জাব্বার আলীর ছেলে সোহেল (২৫), ফজলুর রহমানের ছেলে জমজম (২০) এবং আমিরুল ইসলামের ছেলে সোহাগ বাদশা।

জানা গেছে, হিজলবাড়িয়া বাজারের ইকরামুল হকের মুদি ও সারের দোকান ভেঙ্গে মালামাল চুরি হয় গত রবিবার রাতে। চুরির বিষয়টি সিসি টিভি ফুটেজ দেখে ওই গ্রামের সোহেল কে সনাক্ত করা হয়। পরে সোহেলকে ধরে এনে একটি দোকানে আটকিয়ে মারধর করেন দোকান মালিক একরামুলের ছেলে রনি ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন সোহেল ওই গ্রামের যুবক জমজম ও সোহাগ বাদশার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। দোকান মালিকের ছেলে রনি ও তার লোকজন ধরে নিয়ে আসে যুবক জমজম ও সোহাগ বাদশাকে।

দোকানে আটকিয়ে মারধর শেষে শুরু হয় গ্রাম্য শালিস করা হয় তাদের বিরুদ্ধে। এঘটনা গাংনী থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। দোকান মালিক একরামুল ও তার ছেলে রনির লোকজনের তোপের মুখে পড়ে ফিরে আসেন পুলিশ সদস্যরা। পরে শুরু হয় গ্রাম্য শালিস।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রিপন আলী ও স্থানীয় বিএনপি নেতা বাসিরুল আজিজও বসেন শালিসে। শতশত গ্রামবাসীরাদের মাঝখানে ঘন্টাব্যাপী বসিয়ে রাখা হয় চুরির সাথে জড়িত সন্দেহভাজন যুবকদের। পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন তাদেরকে শালিসের মধ্যে মারধর করে নিয়ে যেতে হবে। শালিসের শেষে জনসম্মুখে মারধর করা হয় তাদের।

এ ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এলাকাজুড়ে। অনেকেই বলেন, অপরাধী হলে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ না করে জনসম্মুখে এমন বিচার মানবাধিকার লঙ্ঘন। আবার অনেকেই বলছেন গ্রাম্য শালিস বা সামাজিক বিচার ব্যাবস্থা না থাকায় এলাকায় চুরি ডাকাতিসহ নানা অপরাধ বাড়ছে। তাই তাদের প্রকাশ্য ও জনসম্মুখে বিচার করা হচ্ছে।

দোকান মালিক রিপন আলীকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ এসেছিল, আমরা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছি, সাংবাদিকদের ডাকা হয়নি। আপনারা কেনো এসেছেন??

এবিষয়ে শালিসে থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য রিপন আলী জানান, একরামুলের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। পরে শালিস করে তাদের বিচার করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি উত্তম কুমার দাস জানান, চুরির ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। এবং শালিসের বিষয়ে আমার জানা নেই।




আজকের মেহেরপুর এর ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সত্য ও ন্যায়ের সন্ধানে অঙ্গীকার নিয়ে “আজকের মেহেরপুর” এর ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাত আটটার সময় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, “আজকের মেহেরপুর” এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মামুনুর রশিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, “আজকের মেহেরপুর” এর প্রকাশক ও সম্পাদক সেলিম রেজা এবং মুন্সী জাহাঙ্গীর জিন্নাত (হিরক)। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান রিপন এবং আমঝুপি শিশু-কিশোর সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান লিটন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মেহেরাব হোসেন সঞ্চয়। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, সাদ আহমেদ।

বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে “আজকের মেহেরপুর” এর বিগত আট বছরের পথচলার প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনগুলোতেও বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে জেলার মানুষের পাশে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠান শেষে কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।