মেহেরপুরের উজলপুরে জামায়াতের গণসংযোগ ও পথসভা 

মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদ আসর কুতুবপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামে এ গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব ও বক্তব্য দেন মেহেরপুর সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সোহেল রানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সেক্রেটারি ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাস্টার জাবারুল ইসলাম এবং মেহেরপুর সদর উপজেলা শূরা ও কর্মপরিষদের সদস্য ও কুতুবপুর ইউনিয়নের তত্ত্বাবধায়ক হাফেজ মোহাম্মদ জামিরুল ইসলাম।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আমীর মোঃ ইমদাদুল হক এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউনিয়ন সেক্রেটারি পারভেজ আহমেদ। এসময় কুতুবপুর ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যে মাওলানা সোহেল রানা বলেন, আগামী নির্বাচনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খানকে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে মেহেরপুর-১ আসন থেকে সংসদে পাঠাতে চাই। ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আপনারা দোয়া ও সহযোগিতা করবেন।

গণসংযোগ ও পথসভাটি এলাকায় নির্বাচনী উত্তাপ আরও বাড়িয়ে তোলে।




দর্শনায় হরিজন সম্প্রদায়ের সাথে বিএনপির নির্বাচনী মতবিনিময় সভা 

দর্শনার আমতলা এলাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক মাহবুবুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপির অন্যতম সমন্বয়ক মশিউর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনারা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিলে হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য আরও ভালো ব্যবস্থা ও সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। বাংলাদেশ একটি সম্প্রীতির দেশ এ দেশে হিন্দু-মুসলমানসহ সব জাতি-ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। অতীতেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হরিজন সম্প্রদায়ের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও আমরা আপনাদের জন্য কাজ করে যাব।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক রেজাউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুল মোল্লা, বিএনপি নেতা হাবিবুল্লা বিশ্বাস, সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল হামিদ, দর্শনা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জালাল উদ্দীন, ছাত্রনেতা মোফা আরিফসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।

হরিজন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে রংনাল, ভুইফোড়সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে থানা ক্রিকেট একাদশের জয়

আলমডাঙ্গায় মাদকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি ও তরুণদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে একটি প্রীতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। “মাদক ছাড়, মাঠে এসে খেলা ধর” স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত ১২ ওভারের এই খেলায় অংশ নেয় আলমডাঙ্গা থানা একাদশ এবং ওল্ড স্টার ক্রিকেট একাদশ।

উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ওল্ড স্টার ক্রিকেট একাদশকে হারিয়ে জয়লাভ করে আলমডাঙ্গা থানা ক্রিকেট একাদশ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান পিপিএম। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন,

“যুবসমাজকে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত ক্রীড়া চর্চার বিকল্প নেই। এমন আয়োজন তরুণদের সুস্থ বিনোদনের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।”

খেলা শুরুর পর থেকেই মাঠে দর্শকদের ভিড় বাড়তে থাকে। দুই দলের খেলোয়াড়দের দারুণ লড়াইয়ে পুরো মাঠ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। খেলোয়াড় ও দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মাদকবিরোধী বার্তাও আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা একাদশের পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) বিকাশ চন্দ্র সরকার, এসআই শীতল বিশ্বাস, এসআই বাবলু খান, এএসআই রমেন সরকার, এএসআই রাসেল, এএসআই রোকন, এএসআই আসাদ, এএসআই আনোয়ার হোসেনসহ থানা পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা।

ওল্ড স্টার একাদশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মামুন অর রশিদ মণ্ডল, মানিক, মাহমুদুল হক তন্ময়, শুকুর, মিলন, শামীম, বাদশা, সামাউন প্রমুখ।

প্রীতি ম্যাচটি মাদকবিরোধী সচেতনতা ও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সফল ভূমিকা রাখে।




দর্শনায় পৌর জামায়াতের উদ্যোগে যুবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা

দর্শনা পৌর শাখা জামায়াতের উদ্যোগে যুবকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি প্রার্থী মোঃ রুহুল আমিন। তিনি বলেন, যুবকরাই দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যুবকদের কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি পেলে সমাজ থেকে দুর্নীতি ও অপরাধ কমে যাবে। সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুব সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি সবাইকে দেশ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি সাগর আহমেদ, দর্শনা থানা শাখার সহকারী সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর শাখার আমির সাইফুল আলম অপু এবং পৌর যুব বিভাগের সভাপতি তানজিল।

মতবিনিময় সভাটি যুবকদের মধ্যে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে সফলভাবে সম্পন্ন হয়।




গাংনীতে বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেনের বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেনকে স্বাগত জানিয়ে গাংনীতে হাজারো মোটরসাইকেলের বিশাল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কের বাওট এলাকা থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে গাড়াডোব ঘুরে গাংনী বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বিএনপি নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, এর আগে গাংনী আসনে এত সংখ্যক মোটরসাইকেল নিয়ে কোনো প্রার্থী নির্বাচনী শোভাযাত্রা করেনি। তাদের মতে, এ শোভাযাত্রা মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে হাজার হাজার মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ায় এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে নেতাকর্মীদের মনোবল আরও চাঙা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু। তিনি বলেন, দলীয় দুঃসময়ে যিনি বিএনপিকে ধরে রেখেছেন, সেই প্রার্থী আমজাদ হোসেন মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশে মানুষের ঢল নামছে। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রার্থী আমজাদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। শহর থেকে গ্রাম সবখানে জনগণ ধানের শীষের পক্ষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং ৩১ দফা কর্মসূচি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির একটাই বলয় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। দলের সবাই আমার আপনজন, আমার দরজা সবার জন্য খোলা। যারা এখনো দ্বিধায় আছেন, তাদেরও ধানের শীষের পক্ষে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী আমজাদ হোসেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, উপদেষ্টা নাসির উদ্দীন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুর রহমান বুলবুল, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমানসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

শোভাযাত্রাকে ঘিরে গাংনীজুড়ে দিনজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।




মুজিবনগরে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছে জেলা যুবদল ও ছাত্রদল।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ভবেরপাড়া গ্রামে এ গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজির এবং মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সভাপতি আবুল হাসান ভবেরপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন এবং ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।

কর্মসূচিতে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা, আহত ৬

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু হালদার পরিবারে উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দখল নিয়ে দু’পক্ষের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে ফরিদপুর গ্রামের টুনু কর্মকারের কাছ থেকে বসতভিটাসহ ৪ শতক জমি ক্রয় করেন একই গ্রামের মৃত পঞ্চানন্দ হালদারের ছেলে অরবিন্দ হালদার। একই সময়ে সুজিত কর্মকারের কাছ থেকে বসতভিটাসহ আরও ৪ শতক জমি কেনেন দবির আলি ও তার ছেলেরা।

অভিযোগ রয়েছে, অরবিন্দ হালদারের কেনা ৪ শতক জমি জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে দবির আলির ছেলেরা। শুক্রবার অরবিন্দ ও তার দুই ছেলে দিপু ও অপু জমির দখল ছাড়ার কথা বলতে গেলে দবির আলি, তার ছেলে মোমিন আলি, কারিবুল ইসলাম, আলি কদর, খয়বার আলি, হুমায়ুন আলি, মৃত তোফায়েল আলির ছেলে রেজা খান, তুষার আলিসহ আরও অনেকে তাদের উপর হামলা চালায়।

হামলায় অরবিন্দ হালদার, তার স্ত্রী, ছেলে রাজু হালদার, অপু হালদার, অরবিন্দের ভাই চঞ্চল হালদার ও তার স্ত্রী আহত হন। এসময় গ্রামের লোকজন হামলার দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যায়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

হামলার বিষয়ে বেলা আড়াইটার দিকে আলমডাঙ্গা থানায় যোগাযোগ করে ভুক্তভোগী অরবিন্দ হালদার। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, “ভুক্তভোগীদের কয়েকজন থানায় এসেছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।




শৈলকুপায় দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজের বীজ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আবাদের শুরুতেই হোঁচট খেতে হচ্ছে পেঁয়াজ চাষিদের। গতবছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুন দামে কিনতে হচ্ছে পেঁয়াজের বীজ। আবাদ বাড়ায় বেড়েছে বীজের চাহিদা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বীজ ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামের দ্বিগুন দামে বিক্রি করছেন পেয়াজের বীজ এমন অভিযোগ উঠেছে কৃষকদের পক্ষ থেকে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যাপক পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। প্রতিবছর আবাদের পরিমান বাড়ছে। শৈলকুপার পেঁয়াজ চাষিরা দুই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষ করে থাকেন। কেউ কন্দ রোপণ করেন আবার কেউ চারা রোপণ করেন। তবে চারা রোপণের পরিমাণই বেশি। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত পেঁয়াজের চারা রোপণ করবে এই অঞ্চলের কৃষকরা। অনেকেই ইতোমধ্যে বীজতলায় চারা উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, কেউবা বীজতলা প্রস্তুত করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে এই উপজেলায় ১২হাজার ২৭৯ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

গতবছর আবাদ হয়েছিল ১২ হাজার ৩২ হেক্টর জমিতে। গতবছর এই উপজেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল ২লাখ ৪০ হাজার ৬৪০ মেট্রিক টন। এবছর কোনো সংকট না হলে ২লাখ ৪৫ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে। এই উপজেলায় এবছর পেঁয়াজের কন্দ রোপণ করা হবে ৪২২ হেক্টর জমিতে ও চারা রোপণ করা হবে ১১হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে।

শৈলকুপা শহরের কৃষি নিলয় বীজ ভান্ডারের মালিক জিএম জিকু আলম বলেন, এবছর কৃষকরা লালতীর হাইব্রিড, লাল তীর কিং, ভারতীয় জাত সুখসাগরের বিভিন্ন ভ্যারাইটি, দেশিয় বীজ উৎপাদনকারী সংস্থার বাদশা, লালদিঘিসহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের বীজ কিনেছে। লালতীর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ ১ বিঘা জমিতে ১২০ মণ থেকে ১৪০ মণ পর্যন্ত ফলন হচ্ছে এই উপজেলার মাটিতে। সেখানে গত কয়েক বছর ভারতীয় সুখসাগর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ আবাদে বিঘা প্রতি ১০০ মণের কমবেশি উৎপাদন হয়েছে। যেখানে দেশি জাতের পেয়াজ খুব ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ৫৫ মণ থেকে ৬০ মণের মত ফলন হয়। কিন্তু বাজারে দেশি পেঁয়াজের চেয়ে ভারতীয় সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ মণপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করেছে। লালতীর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের দাম আরও বেশি পায় কৃষকরা। ফলন বেশি ও দামও বেশি এই কারণে এই জাতের আবাদে বেশি ঝুকছে কৃষকরা।

উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, গতবছর আমি ৩৮ কাঠা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম। এবছর ৩ বিঘা জমিতে আবাদ করার জন্য বীজতলায় ৩ কেজি সুখসাগর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের বীজ বপন করেছি। উচ্চ ফলনশীল লালতীর হাইব্রিড জাতের বীজ কিনতে গিয়ে দোকানদারের শর্তে পিছিয়ে এসেছি। দোকানদারেরা বলে ১ কেজি লাল তীর হাইব্রিড বীজ নিলে ৩ কেজি লাল তীর কিং জাতের বীজ নিতে হবে। কিন্তু আমাদের অঞ্চলে লাল তীর কিং জাতের পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়না।

এই গ্রামের কৃষক মোকছেদ আলী বলেন, এক বিঘা পেঁয়াজ আবাদে কৃষকের ৭০ হাজার টাকার কমবেশি খরচ হয়। ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে এই পেঁয়াজ উৎপাদন মৌসুমে বিক্রি হয় বাজারে। সংরক্ষণ করে পরে বেঁচতে পারলে অনেক লাভ হতো কৃষকদের। দোকান থেকে সার ওষুধ বাকি নিয়ে চাষ করি। পেঁয়াজ উৎপাদনের সময় আসলেই সার-কীট নাশকের দোকানদারেরা হালখাতার চিঠি দেয়। বাধ্য হয়েই তখন বাজারে কম দাম থাকলেও বেঁচে দিতে হয় আবার বেশি দিন রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে এই কারণেও বিক্রি করে দিতে হয়।

এই গ্রামের কৃষক আকুল বিশ্বাস বলেন, আমি ৪৮ শতক জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেছি। এখন চারা তৈরি করছি। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ক্ষেতে চারা রোপণ করবো। আমাদের পেয়াজ চাষে ডিএপি সারের প্রয়োজন বেশি হয়। এখনই ডিলারদের কাছে সার কিনতে গেলে অল্প পরিমাণে দিচ্ছে। তাতে আমাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। খোলা বাজারে কিনতে গেলে ১০৫০ টাকা দামের সার ১৭৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, এক কেজি লাল তীর হাইব্রিড বীজের মোড়কে সর্বোচ্চ দাম যা লেখা রয়েছে তার দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে বীজ বিক্রেতারা। বেশি দরদাম করলে তারা বীজ দিচ্ছে না। সব বীজের দামই এবছর দ্বিগুন।

এই এলাকার কৃষক পলাশ হোসেন, খয়রাত আলী, ওহিদ আলী জানান, তারা অন্যান্য জাতের সাথে লালতীর হাইব্রিড জাতের পেয়াজ আবাদ করেছেন। গতবছর এককেজি লালতীর হাইব্রিড জাতের বীজের দাম পড়েছিল ২৮ জাহার টাকা। এবছর সেই বীজ দাম নিচ্ছে ৬২ হাজার টাকা। গতবছর সুখসাগর হাইব্রিড জাতের এক কেজি বীজের দাম ছিল ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকা। সেই বীজ এই বছর সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। প্রত্যেক জাতের বীজই গতবছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুন।

কৃষক পলাশ হোসেন বলেন, আমি এবছর ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করবো। নার্সারিতে যে বীজ বপন করেছিলাম তার অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা বায়ার ক্রপস কোম্পানির ছত্রাক নাশক ‘নুনা’ ও সিনজেনটা কোম্পানির ‘মিরাভিস ডুয়ো’ ব্যবহার করি। পেঁয়াজের মৌসুমে এই অঞ্চলে এই ওষুধের দামও দ্বিগুন বেড়ে যায়। এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতেই ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়।

সার-ওষুধ ও পরিচর্যা দিয়ে বিঘাপ্রতি ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। গতবছরের তুলনায় এবছর মজুরের দামও বেড়েছে। বীজের দাম বেশি, বেশি টাকা দিয়ে কীটনাশক ও সার কিনতে হচ্ছে কিন্তু বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারিনা। মৌসুমে সারের সরবরাহ ঠিক থাকলে ভালো ফলন হবে। সরকারের কাছে আহ্বান যেন এই মৌসুমে সারের সরবরাহ ঠিক রাখতে ব্যবস্থা রাখে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, গতবছরের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের তুলানায় এবছর পেঁয়াজের মৌসুমে ২৫০০০ বস্তা ডিএপি সার এই উপজেলায় বেশি বরাদ্দ পেয়েছি। এবছর ১৬ টা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ৩ জন বিসিআইসি সারের ডিলারকে জরিমানা করা হয়েছে এবং অনেকগুলো সাব ডিলারকে জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে। আমাদের উপসহকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। কোথাও সারের কৃত্রিম সংকটের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশাকরি এবছর সারের সংকট হবে না। তবে বীজের বিষয়ে বলতে পারবো না।

লালতীর বীজের ডিলার বাধন বীজ ভান্ডারের মালিক সুশান্ত কুমার বলেন, এবছর মাত্র ১৪ কেজি লালতীর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের বীজ বরাদ্দ পেয়েছি। কোম্পানি থেকে শর্ত দিয়ে দিয়েছে এককেজি লালতীর হাইব্রিড পেঁয়াজ বীজ নিলে ১০ কেজি লালতীর কিং জাতের বীজ নিতে হবে। লালতীর কিং জাতের বীজের চাহিদা নেই। এই কারণে এই বীজের দাম এত বেড়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন বীজের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য রয়েছে ৩২ হাজার টাকা। বেশি দামে বিক্রি করছেন কেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এই বীজ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন আর বিক্রি করা হচ্ছে না। অনেকে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও এনেছে বলে তিনি জানান।

জেলা বীজ প্রত্যয়ণ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা কওসার মিশু বলেন, আমরা এমন অভিযোগ পায়নি। কেউ স্পেসিফিক অভিযোগ দিলে বিষয়টা দেখবো।




দর্শনা কেরুজ আধুনিকায়ন প্রকল্পের বয়লিং হাউজের স্লো ফায়ারিংয়ের উদ্ধোধন

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল হলো দর্শনা কেরুজ চিনিকল। এ বড় চিনিকলের নতুন আধুনিকায়ন প্রকল্পের ২০২৫-২৬ মাড়াই মৌসুমের ১০২ কোটি ২১ লাখ টাকার কাজের নতুন বয়লিং হাউজের স্লো ফায়ারিংয়ের শুভ উদ্ধোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের নতুন বয়লিং হাউজের ফ্যাক্টরির ভিতরে দোয়া মাহফিল ও বয়লিং হাউজের আগুন নিক্ষেপের মাধ্যমে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর সুযোগ্য ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মীর রাব্বিক হাসান। এ সময় তিনি বলেন, ১৯৩৮ সাল থেকে মিলটি একই ভাবে চলছে। তবে মিলটি ইতিমধ্যে বিএমআর আইয়ের কাজ চলছে। তাই বয়লিং হাউজ মিলের একটি গুরুত্বপুর্ন জায়গা। সেজন্য আমরা পরিক্ষা মূলকভাবে ১৫/২০ দিন আগে দেখে নিই কোন সমস্যা আছে কিনা। যদি সমস্য থাকে তাহলে আমরা দ্রুত সারিয়ে তুলতে পারবো। ইতিমধ্যে আমাদের বিএম আর আই প্রকল্পের দ্বীতীয় ধাপের কাজ প্রায় শেষ প্রান্তে। তাই এ বছরই নতুন বয়লিং হাউজে আখ মাড়াই করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।

এ বয়লিং হাউজটি চালু হলে বাংলাদেশ সরকার লাভবান হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ২০১২ সালের কাজ ২ বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় ১৩ বছর লেগে গেছে। তাই নতুন করে বি এম টি এফ প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই কাজ করে ফেলেছে। তাই আশা করছি আগামী ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-২৬ মাড়ই মৌসুমের নতুন বয়লিং হাউজ দিয়ে মড়াই যাত্রা শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএম আর প্রকল্পের পিডি ফিদা হোসেন বাদশা, বি এম টি এফের ডাইরেক্টর ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন, দর্শনা কেরুজ চিনিকলের মহাব্যাবস্থাপক সুমন কুমার সাহা (কারখানা), আশরাফুল আলম ভৃূইয়া (কৃষি), মীর্জা গালিব (এডিএম), ইসমাইল হোসেন মোল্লা (যন্ত্রাশং)। অনুষ্টানে দোয়া পরিচালনা করেন, কেরু জামে মসজিদের পেশ ইমাম সামসুজোহা আজাদী। উল্লেখ্য থাকে যে, দুই বছর সময় বেঁধে দিয়ে ২০১২ সালে ‘বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লিমিটেড’ নামে প্রকল্পটির অনুমোদন দেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনেক পুরোনো এই চিনিকলটির আধুনিকায়ন এবং আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে তখন খরচ ধরা হয়েছিল ৪৬ কোটি টাকা। কিন্তু সে সময়ে তো হয়নি বরং একবার নয়, দুইবার নয় সাতবার সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয় ২০২৫ সালের জুন্ পর্যন্ত। খরচ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাড়িয়েছে ১০২ কোটি টাকায়। তারপরও ১৪ বছরে শেষ হয়নি প্রকল্পটির কাজ। তাই বাকি কাজ শেষ করতে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলে সম্প্রতি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৬ সালের জুনে পুরো কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অষ্টমবারের মতো সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। তাই দ্বিতীয় ধাপে প্রকল্পটি চেন্জ করা হয়েছে গত ৪ নভেম্বর।




রাজধানীসহ সারাদেশে ভূমিকম্প; ৩ জেলায় নিহত ৭

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। নরসিংদীর মাধবদীতে উৎপত্তি হওয়া ওই কম্পনে সারাদেশে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়।

ভূকম্পে রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালে রেলিং ধসে তিনজন পথচারী নিহত হন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে দুই জন ও নরসিংদীতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন।

রাজধানীতে নিহত ৩

পুরান ঢাকার বংশালে ৫ তলা ভবনের রেলিং ধসে ৩ জন নিহত হন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, রেলিং ধসে নিহত তিনজনের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

নারায়ণগঞ্জে নিহত ২

রূপগঞ্জ উপজেলায় ভূকম্পের ঘটনায় দেয়াল ধসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন তার মেয়ে। একই উপজেলায় ভূমিকম্পে একটি টিনসেড বাড়ির দেয়াল ধসে ফাতেমা (১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শিশুর মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম আহত হয়েছেন। এছাড়া ওই জেলায় অনেকে আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

নরসিংদীতে নিহত ২

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় বাড়ির সানসেট ভেঙে ওমর (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় তার বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জল গুরুতর আহত হয়েছেন।

একই উপজেলায় ভূমিকম্পে মাটির দেওয়াল ধসে চাপা পড়ে কাজম আলী (৭৫) নামে এ বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। জেলার পলাশের মালিতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ভূমিকম্পে জেলাজুড়ে অন্তত ৫৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছাদের রেলিং ভেঙে একসঙ্গে ৩ জন আহত হন।