ঝিনাইদহের বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে এবার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
কৃষকের সহযোগিতা, কৃষিভিত্তিক এনজিওতে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, জমি বন্ধক নিয়ে টাকা না দেওয়াসহ নানা প্রতারণার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতারণার মাধ্যমে অন্যের নার্সারি নিজের দেখিয়ে ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার হাতিয়ে নেয় প্রতারক ইদ্রিস আলী। সে সময় স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও কৃষি সংগঠনগুলো তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে। সেটাকেই পুঁজি করে শুরু হয় তার প্রতারণা।
কিছুদিন পর তিনি ‘কৃষক কল্যাণ সংস্থা’ নামে কৃষিভিত্তিক একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। সেই এনজিওতে চাকরি দেওয়ার নামে ওই এলাকার ১০ থেকে ১৫ জন যুবক-যুবতীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে জমি লিজ নিয়ে সেই জমি বন্ধক রাখার অভিযোগও রয়েছে।
ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান খান লাবু বলেন, আমার কাছ থেকে ১৫ বছর আগে ৭ বিঘা জমি লিজ নিয়েছিল ইদ্রিস আলী। শুরুর দিকে লিজের টাকা দিলেও পরে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয়, আমার জমি অন্য কৃষকের কাছে বন্ধক রেখেছে। এখন আমি জমিও পাচ্ছি না, আবার টাকাও পাচ্ছি না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক্ষীপুর জমাদ্দার পাড়ায় জৈব সার কারখানা তৈরি করেছেন ইদ্রিস আলী। সেই কারখানায় মোট ৪ জন শেয়ার রয়েছে। ৩ জনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে শুরু করলেও এখন সকল মুনাফা একাই ভোগ করছেন। মূলধনের টাকা ফেরত চাইলে উল্টো থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন।
দ্রুত এই প্রতারকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইদ্রিস আলীকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি সামসুল আরেফিন বলেন, আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।