ভেড়ামারায় পুকুরে মিলল বৃদ্ধার গলা ও হাত-পা বাঁধা লাশ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পুকুর থেকে একই ওড়না দিয়ে গলা ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খায়রুন নেছা (৭৫) নামের এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বানুতলা এলাকার একটি পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে কিনারায় নিয়ে আসেন স্থানীয়রা।

পরে থানায় জানালে পুলিশ এসে খায়রুন নেছার লাশ উদ্ধার করে। তিনি ওই একই এলাকার মৃত জব্বার শেখের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খায়রুন নেছার গলা ও দুই পা একই ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল। এ ছাড়া তাঁর এক চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। পায়ের স্যান্ডেল ও ভর দিয়ে চলাফেরা করা লাঠি পুকুরের পাড়ে পড়েছিল।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বৃদ্ধার তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। খায়রুন নেছা তাঁর মেজো ও ছোট ছেলের কাছে থাকতেন। ছেলের বউদের সঙ্গে ঝামেলা হলে মাঝেমধ্যেই অন্যত্র গিয়ে থাকতেন।

বৃদ্ধার মেয়ে মোছা. ফুলজান খাতুন বলেন, ‘আমার মায়ের লাশ একই ওড়না দিয়ে হাত-পা ও গলা বাঁধা ছিল। তাঁর লাশ পুকুরের মাঝখানে ভাসছিল। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।’

ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘পুকুর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’




জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে মিরপুরের ইউএনও’র উদ্যোগ

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও শতভাগ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

আজ বৃহস্পতিবার তিনি নিয়মিত ইউনিয়ন পর্যায়ের সভা, স্কুল, মসজিদ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে জনগণকে সচেতন করছেন।

উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় আয়েশা ও মায়েশা এর জন্মের ০৭ দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করেন তাদের পিতা মাতা।

সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য, আয়েশা ও মায়েশা’র মায়ের হতে তুলে দেওয়া হয় জন্ম নিবন্ধন সনদ, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা পত্র, খেলনা সামগ্রী এবং মিষ্টির বাক্স।

তিনি বলেন, “প্রতিটি শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যেন তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে, মৃত্যু নিবন্ধন করাও বাধ্যতামূলক। এই দুটি নিবন্ধন না হলে ভবিষ্যতে নাগরিক সেবা গ্রহণে নানা জটিলতা তৈরি হয়।”

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, আয়েশা ও মায়েশা এর পিতামাতার মতো সকল পিতামাতাই শিশু জন্মের সাথে সাথেই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক।

এছাড়া, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জনগণের তথ্য সংরক্ষণ এবং দ্রুত নিবন্ধনের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মিরপুর উপজেলার ইউএনও’র এই প্রচেষ্টা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শতভাগ বাস্তবায়নের দিকে এক সাহসী পদক্ষেপ। সম্প্রতি খুলনা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউএনওর সম্মাননা লাভ করেন তিনি।




ঝিনাইদহে সাবা হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহ শহরতলীর পবহাটি এলাকায় শিশু সাইমা আক্তার সাবা হত্যার বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পবহাটি ঈদগাহ এলাকায় অবরোধ করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।

দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তারা।

এদিকে, সড়ক অবরোধের কারণে দুই পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি পড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সড়কে চলাচলকারীরা।

গতকাল বুধবার সকালে ঝিনাইদহ শহরতলীর পবহাটি এলাকার ভ্যানচালক সাইদুল ইসলামের চার বছরের কন্যা সাইমা আক্তার সাবা নিখোঁজ হয়। পরে রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী সান্তনা খাতুনের ঘর থেকে শিশুটির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।




দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব হলরুমে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু এবং যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম।

দোয়া অনুষ্ঠান শুরুর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বর্ণাঢ্য জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তানজির ফয়সালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, নির্বাহী সদস্য তাছির আহম্মেদ, হাবিবুর রহমান হবি, আরিফুল ইসলাম মিলন, সদস্য শেখ হাতেম, জহুরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান কাজল, সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবু এবং সহসভাপতি মোজাম্মেল শিশির প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় যে অবদান রেখেছেন, তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তারা তাঁর দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

আলোচনা শেষে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আশরাফুল হক।




হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে মেহেরপুর

মেহেরপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ।বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় মেহেরপুর অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। আগামী কয়েকদিন রাত ও ভোরের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। চলতি শীত মৌসুমে এটাই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যদিও এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয়।

এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। সকাল ৯টার পর ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও শীতের প্রভাব কাটছে না। হিমেল বাতাস বইতে থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীত বৃদ্ধির কারণে মেহেরপুর ও গাংনী উপজেলা শহরে সকাল থেকে মানুষের চলাচল কম ছিল। সকালে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হয়নি। সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজন। সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন-আয়ের মানুষ বিশেষ করে শ্রমিক, ভ্যানচালক ও রিকশাচালকরা।

এদিকে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে হাঁপানি, টাইফয়েড, সর্দি, জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন রোগবালাই বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড়ে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবীর জানান, চলতি শীত মৌসুমে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৩৮০০, গাংনী উপজেলায় ১৮০০ এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৮৭৫টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর কিছু ইতোমধ্যে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির পর মানববন্ধন

তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘস্থায়ী অগ্রগতি না পাওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকেরা শাটডাউন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে মানববন্ধন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদের শিল্পকলা একাডেমির সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক সহকারি শিক্ষক অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান বকুল। এ সময় সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামানসহ শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘস্থায়ী অগ্রগতি না পাওয়ায় এবং তিন শিক্ষক নেতাকে শোকজ নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে মেহেরপুরের ৩০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। গতকাল বুধবার সহকারি শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার কাউকে পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনের মতো বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। সরেজমিনে বিদ্যালয়গুলোতে দেখা গেছে, প্রধান শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে থাকলেও সহকারি শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষগুলোতে তালা মেরে চলে গেছেন। শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকরা বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন।

মেহেরপুর জেলায় ৩০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে সহকারি শিক্ষক রয়েছেন ২০০০ জন।




আবুল সরকারের মুক্তি ও বাউলদের নির্যাতনের প্রতিবাদে গাংনীতে গান গেয়ে মানববন্ধন

আবুল সরকারের মুক্তি ও বাউলদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গান গেয়ে মানববন্ধন করেছেন মেহেরপুরের বাউল সম্প্রদায়ের লোকজন। এ সময় তাদের হাতে ছিল একতারা, দোতারা, হারমোনিয়াম, ঢোলসহ নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ২টার সময় গাংনী উপজেলা শহরের কাঁচাবাজার এলাকায় তারা এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে গান পরিবেশন করেন আব্দুস সামাদ বাউল, ছন্নত বাউল, ভিকু বাউল ও মহিবুল বাউল।

মানববন্ধনে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের নিঃশর্ত মুক্তি এবং বাউলদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়।

আবুল সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বাউল সম্প্রদায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মজনুল হক বলেন, বাউল সম্প্রদায় সুরের মানুষ। আমরা কোনো ফ্যাসাদ বুঝি না, আমরা বুঝি ভালোবাসার মানবিক সমাজ। আমরা মনের মানুষের সঙ্গে মনের মিলন ঘটাতে চাই।

আমরা ভাই-ভাই জাতি, গোত্র, সম্প্রদায় মিলিয়ে আমরা সম্প্রীতির রাষ্ট্র চাই। সমাজে কোনো ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড হোক, তা আমরা চাই না। আমাদের দেশ বহুজাতি, বহু মতের, বহু চেতনার দেশ। আমরা লালন করি বাউল দর্শন।

আবুল সরকার তার গানের মাধ্যমে অভিনয় করছিলেন। সেই গানের অভিনয়ের মধ্যে যদি ভাষার কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, তাহলে তাকে ক্ষমা করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। তারপরও বাউল আবুল সরকারকে ক্ষমা করা হয়নি। তাকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে।

আমরা মনে করি, এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড। আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও তার মুক্তি দাবি করছি। মানববন্ধনে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩৫ জন বাউল অংশ নেন।




মুজিবনগরে শিক্ষকদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে স্মারকলিপি প্রদান

১০ম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আপাতত ১১তম গ্রেড প্রদান, উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদানসহ তিন দফা দাবিতে সারাদেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “কমপ্লিট শাটডাউন” বা “তালাবদ্ধ কর্মসূচি” চলছে।

তারই অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ তাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল হুদার মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বরাবর প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুজিবনগর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ সাময়িক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

স্মারকলিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচিতে মুজিবনগর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে তামাক নিয়ন্ত্রণে আলোচনা সভা

“স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরী” এ বিষয়ে ঝিনাইদহে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পদ্মা সমাজকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল করিম।

এতে সভাপতিত্ব করেন পদ্মা সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান। এসময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী, পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক বসির আহাম্মেদ, শিক্ষক মহাতাব উদ্দিন, আদিবাসি ফোরামের সভাপতি নীল কান্ত বিশ্বাস, ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রফিকুল ইসলাম, উদ্যোক্তা মোঃ শাহ্ মিরাজ, ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদ, পদ্মার মেহেদী হাসান, আশা লতা রানী, হাছিনা খাতুন, ফুলমালা, আছিয়া বেগম, মিরাজুল, ছবির আলী প্রমূখ।




মেহেরপুর মহিলা কলেজে ১ম বর্ষে ভর্তিকৃতদের নবীনবরণ

একাদশ শ্রেণি, স্নাতক সম্মান ও স্নাতক পাস প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ উপলক্ষে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে ‘নবীন বরণ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুল ও মিষ্টি খাইয়ে নবীনদের বরণ করে নেওয়া হয়।

মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মুহা. আবদুল্লাহ আল-আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল ওয়াদুদ।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাসির উদ্দিন ও জান্নাতুল নাঈমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবীন বরণ ২০২৫ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. ইকরামুল হাসান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল হামিদ, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক কাজী আশরাফুল আলম, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহা. মিরাজ উদ্দীন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা ফেরদৌস প্রমুখ।

অতিথিরা নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন শিক্ষার মানোন্নয়ন, শৃঙ্খলা, মানবিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি কো-কারিকুলার কার্যক্রম ও সামাজিক দায়িত্ববোধের চর্চার মধ্য দিয়ে কলেজকে আরও সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান তারা।

অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্ত ছিল ফুল ছিটিয়ে নবীনদের বরণ। প্রবীণ শিক্ষার্থীরা হাতে রঙিন পাপড়ি ছিটিয়ে নবীনদের স্বাগত জানালে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।

দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য, কবিতা ও নাট্য পরিবেশনায় দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে কলেজের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।