অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা যাবে না

অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা যাবে না এ কথা জোর দিয়ে বলেছেন কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইখতিয়ার। তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় কোনো অপরিচিত মানুষের চলাচল দেখলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজিবি ক্যাম্পে খবর দিতে হবে। ইদানিং সীমান্তে মানবপাচারের প্রবণতা বেড়েছে এবং মাঝে মাঝে সীমান্তে পুশব্যাকের ঘটনাও ঘটছে। এগুলো বন্ধ করতে স্থানীয়দের সচেতনতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালান থেকে বিরত থাকতে হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যেন বিএসএফের হাতে প্রাণ না হারায় এটাই আমাদের লক্ষ্য। তাই কোনো অবস্থাতেই সীমান্তের ওপারে যাওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজন হলে বিজিবিকে জানালে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সীমান্তে মাদক, নারী ও শিশু পাচার রোধে স্থানীয়দের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে স্থানীয় জনসাধারণকে নিয়ে আয়োজিত এক জনসচেতনতামূলক সভায় এসব কথা বলেন সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইখতিয়ার। আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সীমান্তবর্তী ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের বড় মসজিদ সংলগ্ন এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান ও সরকারি পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী।




বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দামুড়হুদা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা দলিল লেখক সমিতির আয়োজনে বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দ্রুত শারীরিক সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বজলুর রহমান। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন আপোষহীন গণতন্ত্রের জননি। তিনি আজ অসুস্থ হয়ে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতাল এভার কেয়ারে চিকিৎসাধীন। দেশনেত্রী এমন একজন নেত্রী, যার জন্য দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দোয়া করছেন। আমরা সবাই তার অতিদ্রুত সুস্থতা কামনা করি, যেন তিনি দেশের এই সংকটময় সময়ে আবারও জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, দলিল লেখক সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, দৈনিক সকালের খোঁজ খবর ও দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মো. আসহাবুল আলম, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি মো. সাজিদুর রহমান, দৈনিক সকালের খোঁজ খবর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মো. জহিরুল ইসলামসহ দামুড়হুদা উপজেলার সকল দলিল লেখক ও সহকারী সদস্যবৃন্দ।দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন দামুড়হুদা মডেল থানা মসজিদের ইমাম ও খতিব মো. আব্দুল হামিদ।




অপুষ্টির সমস্যা

বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা সার্বিকভাবে বেড়েছে। বিশ্বে অপুষ্টিতে আক্রান্ত মানুষের অর্ধেকের বেশিই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের, যা সংখ্যায় প্রায় ৫০ কোটির কাছাকাছি। অপুষ্টি হলো এমন একটি স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেখানে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি, আধিক্য বা ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এর প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ওজন হ্রাস, ক্লান্তি, দুর্বলতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং মনোযোগের অভাব। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের খর্বতা, কৃশকায়তা এবং বারবার অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি সব সময়ই বেশি থাকে।

পুষ্টি প্রতিটি মানুষের প্রয়োজনীয় শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ ও অটুট স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। পুষ্টির অভাবে মাতৃগর্ভে শিশুর কাঙ্খিত বৃদ্ধি ঘটে না, শিশুর জন্ম-ওজন কম হয়। খর্বতা, কৃশতা, কম ওজন ও অনুপুষ্টি-কণা ঘাটতি এসব অপুষ্টিরই পরিণতি। শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ অপুষ্টি। অপুষ্টির একটি রূপ পুষ্টিহীনতা, অন্য রূপ স্থূলতা ও পুষ্টিজনিত অসংক্রামক রোগসমূহ। পুষ্টিহীনতা শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশকে ব্যাহত করে। পুষ্টিহীন শিশু বহুবিধ সীমাবদ্ধতা নিয়ে বেড়ে ওঠে, ফলে পরিণত বয়সে তার পক্ষে সমাজ ও জাতির উন্নতিতে যথাযথ অবদান রাখা সম্ভব হয় না।

বাংলাদেশে মোট শিশু কম-বেশি ছয় কোটি। এর মধ্যে প্রতি আটজনে একজন অপুষ্টিতে ভুগছে, যা সংখ্যায় কম-বেশি ৭৫ লাখ এবং মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ দশমিক ৯ শতাংশ । ২০১৯ সালে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। শিশুদের মধ্যেই শিশুদের জন্য মানসম্মত ও সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশে কম-বেশি এক-তৃতীয়াংশ শিশুমৃত্যুর কারণ মারাত্মক অপুষ্টি। ছেলে শিশুর তুলনায় মেয়ে শিশু মৃত্যু বেশি হয় অপুষ্টির কারণে। শহরাঞ্চলে প্রায় ৯০ ভাগ মা শিশুদের বোতলে দুধ খাওয়ায়। মায়েদের প্রায় ৮০ ভাগ আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের অভাবে রক্তশূন্যতায় ভোগে। ভিটামিনের অভাবজনিত শিশুদের রাতকানা রোগ এবং চোখের কর্ণিয়া নরম ও অস্বচ্ছ হয়ে অন্ধত্ব বাংলাদেশে খুব বেশি দেখা যায়। ভিটামিনের-এ-এর অভাবে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার শিশু অন্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশে শিশুদেরও আয়োডিনের অভাবজনিত বৈকল্য আছে। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিনের-ডি-এর অভাবে রিকেটস। শিশুর খাবারে ভাগ বসানো পেটের কৃমিও অপুষ্টির আরেকটি কারণ। মূলত দারিদ্র্য ও অজ্ঞতাজনিত কুখাদ্যাভ্যাসের দরুন ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়ায় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের শিশুদের একটি বড়ো অংশই অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে সতর্ক করে দিয়েছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো যদি সব ধরনের অপুষ্টির অবসানে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ক্ষুধামুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় নিজেদের আবারও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না করে তাহলে এই অঞ্চলের মানুষ ও অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

১৯৯৭ সালে জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টিনীতি তৈরি হওয়ার পর গত দুই দশকে বাংলাদেশের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নানা রকম চেষ্টার পরও অনেক ক্ষেত্রে পুষ্টির স্তর কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। মানবিক, সামাজিক ও জাতীয় উন্নয়নের জন্য অপুষ্টি দূর করা জরুরি। দেশব্যাপী শহর ও গ্রামে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের ওজনাধিক্য, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যানসার ও অস্টিওপোরোসিস (নরম হাড়) বর্তমানে পুষ্টিজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শারীরিক সক্রিয়তার ঘাটতি, কায়িক শ্রমে অনীহা, ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস এবং অলস জীবনযাপন এর জন্য বহুলাংশে দায়ী।

শৈশবকালীন অপুষ্টির হার বাংলাদেশে হ্রাস পাচ্ছে, তবে হ্রাস পাওয়ার গতি কম। অপুষ্টির সবচেয়ে প্রচলিত রূপ হলো খর্বতা (stunting), যা দীর্ঘকাল অপুষ্টিতে ভোগার পরিণাম। একটি খর্বকায় শিশুর ঘন ঘন সংক্রমণের প্রবণতা দেখা যায় এবং তার মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সি প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে ২ জন খর্বকায়। এই হার ধনী জনগোষ্ঠী অপেক্ষা দরিদ্রদের মধ্যে দ্বিগুণ। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল, এই ১০ বছরে খর্বতা হ্রাসের হার বছরে মাত্র ১.৫ শতাংশ। খর্বতা হ্রাসের হার বছরে ২ বা ৩ শতাংশ হলে তা সন্তোষজনক হতো। কৃশতা (wastin) তীব্র অপুষ্টিরই পরিণাম। গত এক দশকে দেশে কৃশতার হার ধীরগতিতে কমেছে। বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সি শিশুদের শতকরা ১৪ ভাগ কৃশকায়। কৃশতার ভীতিকর রূপ হলো মারাত্মক তীব্র অপুষ্টি (severe acute malnutrition), যার ব্যাপকতার হার বর্তমানে ৩.১ শতাংশ। অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সি প্রায় সাড়ে চার লক্ষ শিশু মারাত্মক তীব্র অপুষ্টির শিকার। পাশাপাশি এই অবস্থা নিয়ে যারা বেঁচে আছে তাদের মানসিক বৃদ্ধিও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের শারীরিক পরিস্থিতিকে কম-ওজন বলা হয়।

বাংলাদেশে শৈশবকালীন অপুষ্টির মূল কারণ যথাযথভাবে শিশুখাদ্য ও পুষ্টিবিধির চর্চা না করা। শিশুখাদ্য ও পুষ্টিবিধিতে বলা হয় যে, সদ্য নবজাতককে জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ পান করানো শুরু করতে হবে, শিশু পূর্ণ ৬ মাস (১৮০ দিন) পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ পান করাতে হবে এবং পূর্ণ ৬ মাস বয়সের পর থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পুষ্টিকর বাড়তি খাবার খাওয়াতে হবে। বাংলাদেশে ৬ মাসের কম বয়সি শিশুদের শুধু বুকের দুধ পান করানোর হার ৫৫ শতাংশ। ৬ মাস থেকে পূর্ণ ২৩ মাস বয়সি ২৩ শতাংশ শিশুকে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাদ্য (minimum acceptable diet) খাওয়ানো হয়। বাংলাদেশের বয়ঃসন্ধিকালীন মেয়েদের এক-চতুর্থাংশ অপুষ্টির শিকার। প্রজননক্ষম বয়সের প্রতি ৮ জন নারীর এক জন খর্বকায়। খর্বকায় নারীর সন্তান জন্মদানের সময় জটিলতার ঝুঁকি থাকে। একই কারণে তাদের গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি অনেক গুণ বেশি থাকে, ফলে নবজাতকের কম জন্ম ওজনের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। বাল্যবিবাহ এবং অল্প বয়সে গর্ভধারণ এতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে কম জন্ম ওজনের শিশুর হার অনেক বেশি। একজন খর্বকায় মায়ের কম জন্মওজনের শিশু জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা সব সময় থাকে, আবার শিশুটি বয়স্ক হওয়ার পরও খর্বতা কাটিয়ে উঠতে পারে না। এভাবে খর্বতা প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে গিয়ে পৌঁছায় এবং এটি অপুষ্টির একটি দুষ্টচক্র। গ্রাম ও শহরের অপুষ্টি পরিস্থিতিতে পার্থক্য রয়েছে, বিশেষত শহরাঞ্চলের বস্তিতে বসবাসকারী নারী ও শিশুরা তুলনামূলকভাবে খারাপ অবস্থায় আছে। জনগণের বিশেষত নারীদের মধ্যে ওজনাধিক্য (overweight) এবং স্থূলতার (obesity)হার ক্রমবর্ধমান। ওজনাধিক্য ও স্থূলতার ফলে দেশে অপুষ্টিজনিত দীর্ঘমেয়াদি ব্যাধি যেমন: টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে। ওজনাধিক্য এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। শহরের বস্তি এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মধ্যে এই সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অপুষ্টি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। অপপুষ্টির কারণে কোষকলা, পেশি, দেহাঙ্গ গঠন ও কর্মক্ষমতা পালটে যায়। অপুষ্টি হলো খাদ্যের গুণগত ও পরিমাণগত ভারসাম্যহীনতার ফলে সৃষ্ট নেতিবাচক পরিস্থিতি। এই সমস্যাটি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য অপুষ্টির লক্ষণগুলি শনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অপপুষ্টির কারণে সাধারণত মানুষের ওজন হ্রাস পায়, পেশি শুকিয়ে কঙ্কালসার হয়ে পড়ে। যখন শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব হয়, তখন পেশি এবং চর্বি ভেঙে যেতে শুরু করে, যার ফলে ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শরীর সবসময় ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হয়। ফলে শরীর দৈনন্দিন কাজ করতে সমস্যা করে। অপুষ্টির আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হলো যে কোনো ক্ষত নিরাময়ে দীর্ঘ সময় লাগে। অপর্যাপ্ত পুষ্টি শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করে, ফলে ক্ষত নিরাময়ে বেশি সময় লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্রামিতও হয়। এছাড়াও ত্বক শুষ্ক ও ঢিলে হয়ে যাওয়া, দাঁতের ক্ষয়, পেশিতে টান পড়া ও পেট ফোলার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শুষ্ক এবং ভঙ্গুর চুল, ফ্যাকাশে বা হলুদ ত্বকের রঙ এবং ভঙ্গুর নখ – এই সমস্ত লক্ষণগুলির মূল কারণ হলো শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। তবে সবার ক্ষেত্রে সবগুলো উপসর্গ একই সঙ্গে এবং একই মাত্রায় দেখা যায় না।

অপুষ্টিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতির জন্য প্রথমত সবাইকে সচেতন হতে হবে। কী কারণে মানুষ অপুষ্টিতে ভোগে এবং অপুষ্টির কারণে মানুষের কী কী সমস্যা হয় এসব বিষয়ে জানতে হবে। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হলো সমাজ থেকে অপুষ্টিকে নির্মূল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। চিকিৎসা সহায়তা নেওয়াসহ সুষম খাদ্য গ্রহণ করার মাধ্যমেও অপুষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব । তবে এক্ষেত্রে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: জনসংযোগ কর্মকর্তা, খাদ্য মন্ত্রণালয়




ঝিনাইদহে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অর্ধ-দিবস কর্মবিরতি

১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহে অর্ধ-দিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।

বুধবার সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ জেলা শাখা। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৪ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।

সেসময় ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টে কর্মরত ও অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতিতে অংশ নেন। সেসময় ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি রেজাউল আলম, সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, প্রবীর কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা বেতন বৈষম্যের শিকার। অন্য ডিপ্লোমাধারীরা ১০ম গ্রেড পেলেও তাদের দাবী মানা হচ্ছে না। তাই দ্রুত তাদের দাবী মেনে নেওয়ার আহবান জানান তারা। আজকের মধ্যে তাদের দাবী মানা না হলে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবেন বলে হুশিয়ারি দেন তারা।

এদিকে কর্মবিরতির কারণে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা। সকাল থেকেই ফার্মেসী ও প্যাথলজির সামনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে তাদের।




ঝিনাইদহে যুব দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক স্টেকহোল্ডার কর্মশালা

ঝিনাইদহে যুব দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক স্টেকহোল্ডার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সম্মেলনে কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)।

এতে জেলার সদর, শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৪০ জন স্টেকহোল্ডার অংশ নেয়। কর্মশালায় বক্তারা, আয়বৃদ্ধিমুলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জেলার দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এসডিএফ’র কর্মকান্ড বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর সেবা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়, এসডিএফ’র যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক কামাল বাশার, জেলা ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা অংশ নেয়।




ঝিনাইদহে ব্যবসায়ী মুরাদ হত্যা মামলার আরোও এক আসামী গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে ব্যবসায়ী মুরাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আলম মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। বুধবার সকালে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার শশ্বানঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আলম মন্ডল পবহাটি গ্রামের মৃত কাজেম মন্ডলের ছেলে।

ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী জানান, ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি মোড়ে ব্যবসায়ী মুরাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আলম মন্ডল বাগেরহাট জেলায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল। অভিযান আলমের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুরে আলম মন্ডলকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।

গত শুক্রবার রাতে ব্যবসায়ী মুরাদের সাথে আলম মন্ডলের কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে আলম মন্ডলের ছেলে সৌরভ সঙ্গীদের নিয়ে মুরাদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের স্ত্রী সাথী বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।




দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালন

দামুড়হুদায় “প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস–২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বেলা ১২টার সময় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা চত্বরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেষে পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান।

প্রধান অতিথি কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান বলেন, “প্রতিবন্ধী মানুষ আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের অধিকার, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। আধুনিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূলধারার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাবলম্বী করে তুলতে ভাতা, প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। সমতার ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে হলে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে সহানুভূতি নয়, তাদের অধিকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “উপজেলা প্রশাসন সবসময় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবায় সহযোগিতা করে আসছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সেবা পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। সমাজের সবাই যদি তাদের পাশে দাঁড়ায়, তবে প্রতিবন্ধীরা বোঝা নয় বরং সমাজের সম্পদ হয়ে উঠবে।”

উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডা. ফাহমিদা আক্তার, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, একাডেমিক সুপারভাইজার রাফিজুল ইসলাম, কারিতাস বাংলাদেশ প্রতিনিধি বাপ্পা মন্ডলসহ উপজেলার প্রতিবন্ধী উপকারভোগী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।




মুজিবনগরে বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ যুবক আটক

মেহেরপুরের মুজিবনগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ নাহিদ হাসান রাজু (২৯) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভোররাতে মোনাখালি ইউনিয়নের রশিকপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটক নাহিদ হাসান রাজু ওই গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী তার বাড়ির আশেপাশে অবস্থান নেয়। এসময় তার চলাফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় ভোর ৩টার দিকে যৌথবাহিনী বাড়িটি ঘিরে ফেলে। পরে তার শয়নকক্ষের বিছানার নিচ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু অস্ত্রটি তার কাছে থাকার কথা স্বীকার করেছে। অস্ত্রটি কোথা থেকে এসেছে এবং এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, রাজুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।




গাংনী সীমান্ত দিয়ে ৩০ বাংলাদেশিকে পুশইন

মেহেরপুরের গাংনী সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে ভারতে বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটক হওয়া নারী, শিশু ও পুরুষসহ ৩০ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

পুশইন হওয়া সবাই ভারতের কলকাতাসহ বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেন।

আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভোররাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ১৪০ এর ৬ এস মথুরাপুর মাঠ নামক সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। সীমান্ত পার হয়ে তারা ওই মাঠে তেঁতুলবাড়িয়া বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করেন।

আটকদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ২ জন শিশু, ১২ জন নারী রয়েছেন। তারা সবাই, খুলনা, লালমনিরহাট ও আশপাশের জেলার বাসিন্দা।

আটকদের একজন জানান, কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছিলেন।

ছয়-সাত দিন আগে তাদের আটক করে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর জেলে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গাংনী সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাক করা হয়।

গাংনী থানার ওসি ( তদন্ত) মোহম্মদ আল মামুন জানান, আজ সকালে বিএসএফ কর্তৃক পুশইন হওয়া ব্যাক্তিদের থানায় হস্তান্ডর করেছে বিজিবি। তাদের সম্পর্কে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।




মেহেরপুরের পাটের তৈরী হস্ত শিল্প যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে

পাটের আঁশে স্বপ্ন বুনছেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ভবপরপাড়া গ্রামের অন্তত শতাধিক বদ্ধা নারী। পাট দিয়ে তৈরী হস্ত শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন প্রাচীনকালের বিলুপ্ত প্রায় হস্ত শিল্প।

তাদের তৈরী নিপুন হাতের কারুকার্য ক্ষচিত জিনিপত্র যাচ্ছে ইটালী আমেরিকা সিঙ্গাপুর সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। জীবনের সব টুকু উজাড় করে দেয়া টিকিয়ে রাখা হস্ত শিল্পীরা বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও পেশা ছাড়েননি। এসকল শিল্পিদের এখন বড়ই দুর্দিন।

বাংলাদেশে পাট দিয়ে তৈরী জিনিস পত্রের তেমন চাহিদা না থাকাই নতুন করে পেশায় আর কেউ আসতে চাচ্ছেন না। যারা এপেশায় নিয়োজিত রয়েছে সে সকল বৃদ্ধারা সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

৬০ বছর বয়সি সন্ধা মন্ডল, ৬২ বছর বয়সি সুলতা মন্ডল,৬৫ বছর বয়সি মরজিনা বেগম, বৃদ্ধা পারভীনা বেগমসহ অর্ধশত নারী পাটের আঁশ দিয়ে তৈরী ম্যাট,মাছ,পাখি,শিকা,পাপোশ,বিছানাসহ হরেক রকমের জিনিসপত্র তেরী শুরু করেন ১৯৭৬ সালে।

নিজের সংসার সামলে পাট দিয়ে তৈরী হস্ত শিল্পের কাজ শুরু করেন তারা। ভবরপাড়া মিশনের একটি হল রুমে কাজ করার জায়গা করে দেন সে সময়কার এক মিশনের ফাদার। তখন থেকেই একযোগে কাজ শেষ করেন। হস্ত শিল্পিদের অনেকেই বিধবা। অভাবের সংসারে উদ্যোক্তা সন্ধা মন্ডলের সাথে কাজ শেখেন। পরে পাটের গিটে বাধা পড়ে যায় শতাধিক নারী। সকলেই সাবলম্বী হয়ে ওঠেন। সকলেই শিক্ষিত করেছেন ছেলে মেয়েদের। এদের তৈরী হস্ত শিল্প বিক্রি হয়, ইটালী, আমেরিকা সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু বাংলাদেশে পাট শিল্পের বিক্রয় কেন্দ্র না থাকা এবং ব্যাবহার না থাকায় জীবনের সব টুকু উজাড় করে দেয়া হস্ত শিল্পীরা বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছে। তাদের এখন বড়ই দুর্দিন। তদের দাবী দেশে ঐতিহ্যবাহী হাতের তৈরী পাট শিল্পের ব্যাবহার বৃদ্ধি, বাজারজাত করন করলে দেশে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে। সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা চান উদ্যোক্তা এসকল বৃদ্ধারা।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল বলেন, মুজিবনগরের ভবরপাড়া গ্রামের হস্ত শিল্পিদের বিষয়টি জানতে পেরে ওই সকল বৃদ্ধা উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে তাদের প্রয়োজন জেনেছি। তাদের সরকারি সকল সুবিধার আওতায় আনা হবে।