গাংনীতে মসজিদের ইমামদের নিয়ে মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরের গাংনীতে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও সভাপতিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১টায় তেতুলবাড়িয়া বাজারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক সিরাজুম মনির।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মো. মাহাফুজুর রহমান।

অস্বচ্ছল ইমামদের বিনাসুদে “কর্জে হাসানা ঋণদান প্রকল্প” চালুর মাধ্যমে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সাবলম্বী করা এবং সমাজের দুস্থ মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের আয়োজক পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক ও ইমাম সমিতির উপদেষ্টা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।

সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইমাম সমিতির উপদেষ্টা শিক্ষক মো. রমজান আলীসহ অন্যান্য ইমামগণ।

এসময় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় শেষে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মধ্যে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ করা হয়।




দর্শনায় ৮৮তম আখ মাড়াই শুরু কেরু অ্যান্ড কোম্পানির

দেশের ঐতিহ্যবাহী বড় চিনিকল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ৬৩ কোটি টাকার পুঞ্জীভূত ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ৮৮তম আখ মাড়াই মৌসুমের কার্যক্রম শুরু করেছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার সময় চিনিকলের ক্যান ক্যারিয়ারে আখ নিক্ষেপ করে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এর আগে মিলের ক্যান ক্যারিয়ার প্রাঙ্গণে চলতি আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রশিদুল হাসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক।

উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এইচ এম তাসফিকুর রহমান, দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬৪ মাড়াই দিবসে ৭২ হাজার ২৩৫ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৭২ মাড়াই দিবসে ৭৬ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ২৫৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। দৈনিক আখ মাড়াই ক্ষমতা ১ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন। মিল চালুর পর থেকে ৮৮টি মৌসুমেই লোকসান হয়েছে, ফলে মিলের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৫০ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৫ টাকা। পরে ৮ জন আখচাষীর মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান।

প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মিল হাউজে নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করে চিনিকলটিকে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এতে আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়বে। তবে এলাকায় আখ চাষ ক্রমাগত কমে যাওয়ায় সংকটে পড়েছে দেশের এই ঐতিহ্যবাহী চিনিকলটি। চাষিদের দাবির প্রেক্ষিতে মৌসুমে আখের ক্রয়মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। এবার প্রতিমণ (৪০ কেজি) আখের মূল্য ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও চিনির মূল্য বেড়েছে, তবে আশানুরূপ হারে আখের মূল্য বৃদ্ধি হয়নি বলে অভিযোগ আখচাষীদের। তারা আখের মূল্য আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

চিনি আহরণের হার ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ ধরা হয়েছে। মিলটি দৈনিক ১ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করবে। ৭২ থেকে ৭৫ দিন মিল চালু থাকবে। মিলজোন এলাকায় এবার আখ রয়েছে ৫ হাজার ৫৬২ একর জমিতে। এর মধ্যে চিনিকলের নিজস্ব খামারে ১ হাজার ৬২৫ একর এবং চাষিদের ৩ হাজার ৯৩৭ একর জমিতে আখ চাষ হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুইয়া। দোয়া পরিচালনা করেন কেরু জামে মসজিদের পেশ ইমাম সামসুজ্জোহা আজাদী। অনুষ্ঠানে মিলের কর্মকর্তা ও আখচাষীরা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে হানাদার মুক্ত দিবস পালন

শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ঝিনাইদহে পালিত হলো হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৬ ডিসেম্বরপাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মুক্তিকামী সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইদহকে মুক্ত ঘোষণা করেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
পরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ বি এম খালিদ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ মাস্টার, যুগ্ম আহ্বায়ক কামালুজ্জামান, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশাসহ অন্যান্য বক্তারা বক্তব্য রাখেন। সেসময় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, শহীদদের ত্যাগকে স্মরণ করে প্রজন্মকে দেশ গড়ার কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই হবে আজকের প্রতিজ্ঞা।




ঝিনাইদহে পরিবার কল্যাণ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন

‘পরিকল্পিত পরিবার নিরাপদ মাতৃত্বের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে পরিবার কল্যাণ সেবা সপ্তাহ।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ফিতা কেটে ও বেলূন উড়িয়ে সপ্তাহের উব্দোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর কুমার দাশ। সেসময় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল করিম, সহকারী পরিচালক ওয়ালিউর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিথিলা ইসলাম, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুবা আখতার তাবীয়া, ডা: সাদমান ফাহিম, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল, রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবিরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই সেবা ও প্রচার সপ্তাহ চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সপ্তাহব্যাপী মা ও শিশুদের সেবা প্রাপ্তি সহজীকরণ এবং সেবার বার্তা প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।




কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেন প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব

মেহেরপুরের কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ।

আজ শনিবার সদর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে ওয়ার্ডস্তরের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে জাফরুল্লাহকে সভাপতি ও রবিউল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

গত ৫ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ১১টায় মেহেরপুর প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির জামাই পরিচয়দানকারী আসিফুল হক মজনু কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনোনীত হতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য উপস্থাপন করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

তিনি অভিযোগ করেন, মজনু একজন অসৎ চরিত্রের লোক এবং বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড ও নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। এসব কারণে ইউনিয়নবাসী তাকে কোনো দায়িত্বে দেখতে চান না।

তিনি আরও বলেন, সে যে আর্থিক লেনদেনের কথা বলছে তা ভিত্তিহীন। তার সঙ্গে আমার কোনো অর্থনৈতিক সম্পর্ক নেই। যদি সে প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি নিজেই তার দাবিকৃত সব টাকা ফেরত দেব এবং রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেব।

তিনি মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনকে কলঙ্কিত করার হীন চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।




মেহেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা

৫৪তম মেহেরপুর জেলা মুক্ত দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম সোনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবীর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ নুরুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ হিল সাফি।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেছ উদ্দিন।

র‌্যালি ও মিলনমেলায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অসংখ্য সদস্য অংশ নেন। পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর ও স্মৃতিময়।




নানা আয়োজনে মেহেরপুর মুক্ত দিবস পালিত

আজ ৬ ডিসেম্বর, মেহেরপুর মুক্ত দিবস। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। এ উপলক্ষে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে মেহেরপুর কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক, মুক্তিযোদ্ধাগণ, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ স্মৃতিতে জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবীর, পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়সহ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশ নেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবীরের নেতৃত্বে কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।




আজ ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস

আজ ৬ ডিসেম্বর। ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার ও তাদের দোসরদের হটিয়ে ঝিনাইদহকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিকামী বাংলার তরুণ বীর দামাল ছেলেরা। ঝিনাইদহে প্রথম উদিত হয় লাল-সবুজের পতাকা।

দেশ এবং ভারতে ট্রেনিংপ্রাপ্ত ঝিনাইদহ জেলার মুক্তিকামী নওজোয়ানদের নির্দেশ মতো মুক্তি বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানী হানাদার বহিনী ও তাদের দোসর রাজাকারদের সমূলে বিনাশ করতে জীবন বাজী রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দেশে প্রথম যে সম্মুখ প্রতিরোধ যুদ্ধ সংঘটিত হয় তা হয়েছিল ১এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালীতে। এই দিনে পাকবাহিনী যশোর ক্যান্টমেন্ট থেকে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝিনাইদহ দখলের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসতে থাকে। এ আক্রমণের খবর জেলার মুক্তিযোদ্ধারা পেয়ে যান। তারা যুদ্ধের অন্যতম স্থান হিসেবে বেছে নেন বিষয়খালীর বেগবতী নদীর তীরে তাদেরকে প্রবল বাঁধার সৃষ্টি করে। পাকবাহিনীকে রুখতে নদীর তীরের সেতু ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। এখানে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর প্রায় ৮ ঘন্টা তুমুল যুদ্ধ হয়। নদীর তীরের সম্মুখ যুদ্ধে ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে পাকহানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। ফিরে যাই যশোর ক্যান্টনমেন্টের দিকে।

৪ এপ্রিল শৈলকূপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ, ৪ আগস্ট একই উপজেলার আলফাপুর যুদ্ধ, ১৪ অক্টোবর আবাইপুর যুদ্ধ ও ২৬ নভেম্বর কামান্না যুদ্ধ। এছাড়াও ৬ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ১১নভেম্বর জেলার বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৯৭১ এর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে একদিকে গেরিলা যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করে অপরদিকে ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে (মিত্রবাহিনী) সীমান্ত অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাকহানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে শত্রুমুক্ত হওয়ার সংবাদ আসতে থাকে। মুক্তিসেনাদের সাঁড়াশি আক্রমণে পাকহানাদাররা যশোর ক্যান্টনমেন্টর দিকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। ৩ ডিসেম্বর মুক্ত হয় মহেশপুর, ৪ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুর এবং ৫ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ এবং ১১ ডিসেম্বর শৈলকুপা হানাদার মুক্ত হয়।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা এলাকা দিয়ে কপোতাক্ষ ও চিত্রানদী অতিক্রম করে ৬ ডিসেম্বর মুক্তিকামীরা ঝিনাইদহে প্রবেশ করে জেলা শহর মুক্ত করে। এসব যুদ্ধে সারা জেলায় ২’শত ৭৬ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন জেলায় মাত্র দুজন। তারা হলেন, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও বীর প্রতীক সিরাজুল ইসলাম।

ঝিনাইদহ জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অ্যাড.এস.এম মশিউর রহমান বলেন, মুক্তিবাহিনী এবং মিত্র বাহিনীর যৌথ অভিযানের মুখে ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ থেকে সকল হানাদার তাদের জীবন নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। মিত্র বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কর্ণেল বাহেলে এবং লেঃ কর্ণেল পিকে দাস। ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তি বাহিনী মিত্র বাহিনীকে স্বাগত জানায় এবং ঝিনাইদহে বেসামরিক প্রশাসন চালু করার প্রস্তাব দেন। তখনো সারাদেশে শামরিক শাসন চলছিল। বাংলাদেশের প্রথম বেসামরিক শাসন ব্যবস্থা চালু করার ফলে ঝিনাইদহ পাকিস্তান শাসন মুক্ত হয়। এই কারণে ৬ ডিসেম্বরকে আমরা ঝিনাইদহ মুক্ত দিবস হিসেবে বলে থাকি। আর এই মুক্ত হওয়ার খবর শুনার সাথে সাথে জেলার সর্বস্তরের মানুষ দলে দলে রাস্তায় নেমে এসে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। ফুল দিয়ে তারা মুক্তিসেনাদের বরণ করে নেন। ঝিনাইদহবাসীর কাছে দিনটি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দিবসটি ঘিরে প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে র‌্যালি এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে বিজয় শুধু আনন্দ নিয়েই আসে না, স্বজন হারানোর বেদনাও নিয়ে আসে। তবে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলার দাবি জানান ১৯৭১ এর এইসব বীর সেনারা।




আজ ‘মেহেরপুর মুক্ত’ দিবস

আজ ৬ ডিসেম্বর। ‘মেহেরপুর মুক্ত’ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুর হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় দিক—বিদিক হারিয়ে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর শেষ দলটি ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকে গোপনে মেহেরপুর ছাড়তে থাকে। পরের দিন ৬ ডিসেম্বর রাজনৈতিক মর্যাদাপুর্ণ মেহেরপুর জেলা হানাদার মুক্ত হয়।

২ ডিসেম্বর গাংনী হানাদার মুক্ত হলে শিকারপুরে (ভারত) অবস্থিত মুক্তি বাহিনীর এ্যাকশন ক্যাে¤পর ক্যাপ্টেন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) তৌফিক ইলাহী চৌধুরী হাটবোয়ালিয়ায় এসে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন। মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী সম্মিলিত ভাবে ৫ ডিসেম্বর মেহেরপুরে প্রবেশ করে। সীমান্তে পাকবাহিনীর পুঁতে রাখা অসংখ্য মাইন অপসারনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর পুরোপুরি ভাবে হানাদার মুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। ঐদিন মেহেপুরের জনসাধারণ এবং আপামর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বস্তরের লোক একযোগে রাস্তায় নেমে পড়ে আনন্দে উল্লাসিত হয় এবং মিষ্টি মুখ করে উল্লাসে মন প্রফুল্ল হয়।

এদিকে, মেহেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সকাল সাড়ে ৮টায় মেহেপেুর সরকোরি কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মুতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।




টাকা নিয়েও সভাপতি না করার অভিযোগ বিএনপি নেতা ফয়েজের বিরুদ্ধে

মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটির গঠনে অর্থ বিনিময়ের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আছিফুল হক মজনু।

সংবাদ সম্মেলনে আছিফুল হক মজনু অভিযোগ করে বলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির পদ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে সর্বমোট প্রায় ১১ লাখ টাকা নিয়েছেন ফয়েজ মোহাম্মদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মেহেরপুর পৌর কলেজের প্রভাষক ও মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির বিতর্কিত সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ আমার সাথে সাত লক্ষ তিন হাজার টাকা খেয়ে খায়েশ না মিটলে ২৯/১১/২৫ ইং তারিখে রাত ১০.৩০ মিনিটে মনোহরপুর গ্রামের জাফর উল্লাহকে সভাপতি দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে অবৈধভাবে কমিটি ঘোষণা করেন। কুতুবপুর ইউনিয়নের ০৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা সুপার ফাইভ কাউকেই না ডেকে বিএনপির বিতর্কিত কমিটি ঘোষণা করেন। ২৯/১১/২৫ ইং তারিখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, সারা দেশের মানুষ যখন দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে ব্যস্ত তখন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ কমিটি ঘোষণা করেন। এটা আমাদের বিএনপির জন্য লজ্জাজনক। আর কত টাকা বেশি পেয়েছিলেন, তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানতে চাই।

আমি বারবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদকে বলেছিলাম যে ভোটের মাধ্যমে ইউনিয়ন সভাপতি নির্বাচিত করতে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত ০৯টি ওয়ার্ডের সুপার ফাইভ ও তৃণমূলের মতামত নিয়ে ভোটের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু ফয়েজ মোহাম্মদ বিষয়টি আমলে না নিয়ে অবৈধভাবে কমিটি ঘোষণা করেছেন।

টাকার বিনিময়ে দেওয়া এই অযোগ্য কমিটি বাতিল করা এবং এই বিতর্কিত সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করে সদর উপজেলা বিএনপি কমিটিকে বাঁচানোর জন্য জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি জানান, এক দিনেই পদ দেওয়ার নাম করে ৩ লাখ টাকা নেয়। পরে আপেল নামের একজনের উপস্থিতিতে ফয়েজ মোহাম্মদের ঘরে ৫০ হাজার টাকা দিই, যার সাক্ষীও রয়েছে। এরপর সভাপতি হওয়ার পর আমাকে সভাপতি করবেন বলে আরও ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন।

তিনি দাবি করেন, বারবার অর্থ নেওয়ার পরও ২৯ নভেম্বর রাতে মনোহরপুর গ্রামের জাফর উল্লাহকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা করেন ফয়েজ মোহাম্মদ। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের কথা থাকলেও কোনও তৃণমূল নেতাকর্মীর সঙ্গে পরামর্শ না করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমিটি প্রকাশ করা হয়।

আছিফুল হক মজনু অভিযোগ বলেন, হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু বিনিময়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। নিঃস্ব হয়েছি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি অনতিবিলম্বে ঘোষিত কমিটি বাতিল ও ফয়েজ মোহাম্মদের সভাপতির পদ প্রত্যাহারসহ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহম্মদ বলেন, টাকা-পয়সা লেনদেন করে কমিটি গঠনের সঙ্গে আমার ন্যূনতম কোনো সম্পর্ক নেই। যদি এটাকে প্রমাণ করতে পারে, আমি রাজনীতি থেকে ইস্তফা দেব। সে ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী ছিল এরকম আরও তিনজন প্রার্থী ছিল। আওয়ামী লীগের যে এমপি ছিলেন, কামারুল, তার জামাই হিসেবে তার সঙ্গে ছবিও আছে। সে ওই পরিচয়ে এর আগে মানুষের জমি দখল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল, এমনকি নারী কেলেঙ্কারিতেও জড়িত ছিল বলে জানতে পারি। কমিটি দেওয়ার সময় ওয়ার্ড সভাপতিসহ বিভিন্নজনের মতামত নিয়েছিলাম, কিন্তু কেউ তাকে সমর্থন করেনি। সে কারণেই তাকে সভাপতি করা সম্ভব হয়নি।

ফয়েজ আরও বলেন, সব ইউনিয়নেই কমিটি হয়ে গেছে, কুতুবপুর ইউনিয়নের হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া যাচ্ছে না, এজন্যই মোটামুটি ওয়ার্ড সভাপতিদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি করা হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষেরই একই কথা ছিল যারা ১৭ বছর রাজপথে ছিল, তাদের কমিটিতে রাখা। সেজন্য তাকে সভাপতি করেছি সে ১৭ বছর রাজপথে ছিল, যুবদলের নেতা ছিল।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান বলেন, এই ঘটনাটা আমার মনে হয় না সত্য। কারণ এটা যদি হতো, তাহলে আগেই জানতে পারতাম। কমিটি হয়তো অন্য জায়গায় গেছে, সে কারণে হয়তো এমন অপপ্রচার করছে। আমি তাদের বলেছিলাম মিল্টন ভাই এসেছেন, তোমরা অভিযোগ দিছো, আমি আছি, মিল্টন ভাই আছেন, নেতারা সবাই আছেন, তোমরা আসো। কিন্তু ওরা কেউ আসেনি। অভিযোগ দিছে, আমি ডাকলাম তাহলে আসবে না কেন? অভিযোগ আমাদের কাছে আগে দেবে, সাংবাদিকদের কাছে দেবে কেন? জেলা বিএনপি কারোর কাছ থেকে এক কাপ চা খেয়ে কমিটি দিয়েছে এমন কোনো নিদর্শন নেই। এক কাপ চা খেয়ে কমিটি দেওয়া হয়নি, ৭ লাখ ৮ লাখ তো দূরের কথা। পুরো বিষয়টাই বানোয়াট।

এদিকে, সংবাদ সম্মেলনের জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় অভিযোগকারীর বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।