আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র কর্মিসভায় শামসুজ্জামান দুদু

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র কর্মিসভায় উপস্থিত ধানের শীষের বার্তা পৌঁছাতে নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানালেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব শামসুজ্জামান দুদু।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে বিএনপি’র বিজয় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন শামসুজ্জামান দুদু। শুধু নির্বাচনের ঘোষণা নয়, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বিএনপি। সেইসাথে নির্বাচনের জন্য সবধরণের প্রস্তুতি নিতে নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি’র এই কেন্দ্রীয় নেতা। গতকাল বিকেল ৪ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মঞ্চে উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকার তাদের কাজ করছে, এখন আমাদের কাজ আমাদের করতে হবে। দেশের প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে ধানের শীষের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ছিল একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের একটি সুস্পষ্ট বার্তা। সেই ইতিহাস আজ আমাদের নতুন প্রেরণা জোগায়—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান লড়াইয়ে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিএনপি’র এই অবস্থান তৈরি হয়েছে। আমরা চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সে লক্ষ্যে বিএনপি প্রস্তুত। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং বিজয়ী হবে।

বিএনপি’র এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘দলের অসংখ্য নেতাকর্মী নির্ভীকভাবে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ ও দেশের প্রতি অবদানের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জননেতা শহিদুল কাওনাইন টিলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপি’র নেতা অহিদুজ্জামান বুলা, এডভোকেট ডালিম, রতন, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশিরুল ইসলাম সেলিম। উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলামের সার্বিক পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি নেতা বোরহান উদ্দিন, আনিসুর রহমান, নাসির উদ্দিন, মাগরিবুর রহমান, সকল ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মতবিনিময় সমাবেশে পৌর বিএনপিসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা পৌর বিএনপি’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

“গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান” এ স্লোগানকে সামনে রেখে দর্শনা সরকারি কলেজ ও দর্শনা পরানপুর সড়কে বৃক্ষরোপণ করলেন দর্শনা পৌর বিএনপি’র সমন্বয় কমিটির প্রধান হাবিবুর রহমান বুলেট।

এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির ভিতরে ছিল দর্শনের প্রাণকেন্দ্র চটকা গাছ সহ অন্যান্য গাছ সমুহ হতে ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রকার বনজ ও ফলজ গাছ রোপন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পুরাতন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল তরফদার, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুবদল নেতা বাবুল আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ রতন, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য ও ৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি শেখার শাওন, ছাত্রদলের সদস্য আলামিন, জুয়েল, উজ্জল, প্রান্ত, জিম, তৌফিক, তিতাস, আকাশ,সিয়াম, তৌহিদ, রিফাত প্রমুখ।




বাল্যবিবাহের আসরে ইউএনও’র হানা; বর কারাগারে, ভগ্নিপতির জরিমানা

শতাধিক বরযাত্রী, মাংস-ভাতের আয়োজন আর আপ্যায়নের তোড়জোড়—সব প্রস্তুত। বাকি শুধু কাবিননামায় স্বাক্ষর। এমন মুহূর্তে উপস্থিত হয়ে সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ খায়রুল ইসলাম।

ঘটনাটি ঘটে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে, সদর উপজেলার মদনা ডাঙ্গা গ্রামে। মাত্র ১৪ বছর বয়সী ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে বিয়ের জন্য পাত্র হিসেবে আনা হয়েছিল একই উপজেলার খোকসা গ্রামের রাহিদুল শেখের ছেলে রাব্বি রাসেল (১৮)-কে। অথচ বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী, ছেলের ন্যূনতম বয়স হতে হয় ২১ বছর, আর মেয়ের ১৮ বছর না হলে বিয়ে করা অবৈধ।

গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে ছদ্মবেশে কনের বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও খাইরুল ইসলাম। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি বিয়ের পূর্ণ প্রস্তুতি দেখতে পান। কিছু বরযাত্রী বাড়িতে, বাকিরা ছিলেন মসজিদে জুমা’র নামাজে। পরিকল্পনা ছিল নামাজের সময়েই হঠাৎ করেই বিয়ে সম্পন্ন করে ফেলা। তবে প্রশাসনের উপস্থিতিতে সে পরিকল্পনায় পানি পড়ে যায়।

ইউএনও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার প্রতিনিধি, সমাজসেবা কর্মকর্তা, পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের। পরে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বর রাব্বি রাসেলকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এছাড়া বিয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে উপস্থিত রাব্বির ভগ্নিপতি সজিব আলী (আমঝুপি) কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় কনের মা-বাবাকে সতর্ক করে লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত যেন কোনোভাবেই পুনরায় বিয়ের আয়োজন না করা হয়, সে বিষয়ে একজন স্থানীয় শিক্ষককে বিশেষ নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযান শেষে স্থানীয় জনগণকে একত্র করে ইউএনও বাল্যবিবাহের কুফল ও আইনগত পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। কৌশলে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছিল। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তা বন্ধ করেছি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, সমাজে সচেতনতা তৈরি করাও জরুরি।’




কুতুবপুরে ধর্মগুরু নিগামানন্দের ১৪৬ তম জন্মোৎসব পালিত

হিন্দু ধর্মীয় গুরু নিগমানন্দ সরস্বতীর ১৪৬ তম বার্ষিক সার্বভৌম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপি আয়োজিত নানা কর্মসূচিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ভক্ত অনুরাগীদের পদচারনায় এখন মুখরিত তার জন্মতিথি মেহেরপুরের কুতুবপুরে। সকাল থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার নারী পুরুষ ও শিশুরা আসছেন।

তন্ত্র, জ্ঞান, বেদান্ত, যোগ, ভক্তি বা প্রেম দর্শন নিয়ে শ্রীচৈতন্য ও শংকরের দর্শনের সমন্বয়ে একটি নতুন ধর্মমত প্রচার করেন। স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস” যিনি “স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী পরমহংস” নামেও পরিচিত ছিলেন। আধ্যাতিক এই ধর্মগুরুর ভক্ত অনুরাগী রয়েছে ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, শ্রীলংকা, আস্ট্রেলিয়া আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন হাজার হাজার নারী-পুরুষ। সাঁথে এনেছেন শিশুদেরকেও।

ভক্তরা জানান, এহকালের সব কিছুই বিলিয়ে দিয়েছি গুরুর চরনে। ভালমন্দ সবই তার কৃপা। এখানে আসতে পেরে নিজেকে পাপ মুক্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন ভক্তরা।

রাজশাহী থেকে এসেছেন ডাক্তার সুকর্ণ ঘোষ,তিনি বলেন অনেক ছোট বেলা থেকে তিনি কুতুবপুর আশ্রমে আসেন পরিবারের সাথে। মনের অজান্তে সেই থেকেই গুরুর পায়ে নিজেকে সোপর্দ করেছি। সারা জীবন প্রতি বছরেই এখানে এসে গুরুকৃপা নিতে চাই।

যশোরের কলেজ শিক্ষার্থী পুষ্পিতা ঘোষ জানান, আধ্যাত্মিক ও মনস্তাত্ত্বিক ইশ্বরের নৈকট্য প্রাপ্ত ছিলেন শ্রী নিগামানন্দ। মেহেরপুরের কুতুবপুর ছিল তার বসতভিটা। এখানে আসতে পেরে নিজেকে আত্নশুদ্ধির সুযোগ হয়েছে। তবে নিগামানন্দের বসতভিটার জমিজমা এখন বেদখল। সেই সমস্ত জমিজমায় অনেক ইতিহাস ও গুরুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সরকারের কাছে সেগুলি উদ্ধারের দাবী জানান এই অনুসারী।

আশ্রমের ট্রাস্টি সদস্য নব কুমার জানান, প্রতি বছর এখানে দেশের ৬৪ জেলা থেকে অনুসারীরা আসেন। বিদেশ থেকেও আসেন অনেকে। প্রায় বিশ হাজার অনুসারীরা এখানে জমায়েত হয়ে প্রার্থনায় মিলিত হন। অনেক সময় নিরাপত্তা নিয়ে শংকা থাকে। অনুসারীদের নিরাপত্তা খাদ্য সরবারাহে সরকারের উদ্যোগ নেয়ার দাবী করেন তিনি।

তিনদিন ব্যাপি এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন, সমগ্র ভারত বর্ষের নিগামনন্দ ট্রাস্টের সভাপতি ভারতের আসাম রাজ্যের সভাপতি স্বামী দিগানন্দ স্বরসতি। তিনি বলেন, ধর্মের লক্ষ এক, মানুষের প্রেম এক, ইশ্বর এক, আল্লাহ এক। শুধুমাত্র পাওয়া ও চাওয়ার রাস্তা ভিন্ন। আমরা সবাই একই পথের যাত্রী।




চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক (মজু) আর নেই

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মজিবুল হক মালিক মজু (৬৩) আর নেই। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মজিবুল হক মালিক (মজু) ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা। তিনি মরহুম এহসানুল হক মালিকের জ্যেষ্ঠ পুত্র। রাজনীতির মাঠে দীর্ঘদিন সক্রিয় থেকে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র রাজনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে তিনি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মজিবুল হক মালিক মজু নামের একজনকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আমরা তাকে মৃত্ অবস্থায় পেয়েছি।

তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গার রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ অসুস্থতাবোধ করলে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার জানাজার নামাজের সময় ও স্থান পরে জানানো হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।




ঝিনাইদহে অংকুরের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

ঝিনাইদহের অংকুরের সাধারণ সভায় দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আহসান হাবিব রনক কে সভাপতি এবং নাজিম উদ্দিন জুলিয়া কে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রান্তিক পার্ক কনভেনশন হলে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অংকুরের দাতা সদস্য আমন্ত্রিত অতিথি জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড : এম এ মজিদ, এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শামসুল আলম, ক্রীড়া সংগঠক জয়নাল আবেদিন, মসলেম আলী, হায়দার আলী, আহসান হাবিব রনক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা শেষে এই সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট দুই বছর মেয়াদী অংকুর এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে মো: আহসান হাবিব রনক কে সভাপতি ও মো: নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস কে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, রোকেয়া পারভীন মুন্নি, জিয়াউল ইসলাম খান, রামপ্রসাদ রায়, সালিমা খাতুন, লিপিকা নন্দী, অঞ্জলী রাণী রায়, ডা: শারমীন আহমেদ, খসরুজ্জামান বাবু, নাজমুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সুরভী ইসলাম, রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জেসমিন আক্তার পপি, লিজা ফেরদৌস, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, নাট্য সম্পাদক মীর আব্দুল মান্নান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরীয়ার পারভেজ সুমন, সহ- সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আল জিন্নাত ফেরদৌস, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক চাঁদ আলী খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম দিদার, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক তৌহিদা আক্তার রাত্রি, আল আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাজ্জাদ আহমেদ (পুনরায় ), সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আফরোজা আক্তার আশা, প্রচার সম্পাদক অপূর্ব কুমার ঘোষ, সহ-প্রচার সম্পাদক লাবনী সুলতানা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ওহিদুজ্জামান অনিক, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: রাশেদ, দপ্তর সম্পাদক খানজাহান আলী, সহ-দপ্তর সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আবেদিন, সম্মানিত সদস্য ইন্জিনিয়ার সাব্বির আহমেদ পল্টু, শারমিন আক্তার রিমা, শাহীনা আক্তার পলি, মিলি বেগম, পরাগ বিশ্বাস সিজার, শ্রী বিপ্লব বিশ্বাস, তাহমিনা আক্তার মিনা, নজরুল ইসলাম, নীতি বিশ্বাস।




গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র কাউন্সিল উপলক্ষে আলোচনাসভা

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ষোল বছর পর গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে সম্মেলন শুরু হয়েছে।

জাতীয় ও দলিয় পতাকা উত্তোলন ও গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে শান্তির প্রতিক কবুতর উড়িয়ে সকাল ১১ টার সময় দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন ও উদ্বোধক মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচীব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, সদস্য আলমগীর খান সাতু, ইলিয়াস হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, হাফিজুর রহমান হাফি, হামিিদুল হক, রেজাউল হক, আখেরুজ্জামানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কাউন্সিল উপলক্ষে আলোচনা সভায় উদ্বোধক জাভেদ মাসুদ মিল্টন উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা ও দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।




জলাবদ্ধতা ও হাটের দখলে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

বর্ষাকালে হাটু পানিতে জলাবদ্ধতা ও সপ্তাহে দুদিন হাট বসে বিদ্যালয় মাঠে। এ দুই ভোগান্তিতে বিপর্যয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে ওই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ভোগান্তি নিয়ে দিনের পর দিন উপজেলা ও জেলা পযার্য়ের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোন সমাধান হয়নি।

১৯৩৫ সালে ৬৪ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি বর্তমানে অবকাঠামোগত সংকটে রয়েছে। চারটি শ্রেণিকক্ষ থাকলেও তার মধ্যে দুটি টিনশেডে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে ২১ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩০ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৩৪ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৩৫ জন এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে বৃষ্টির পানিতে পুরো এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে, শিক্ষার্থীদের আসা—যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমও প্রতিদিনই বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

শুধু বর্ষাকাল নয়, শুষ্ক মৌসুমেও হাটের জন্য সমস্যার শেষ নেই। স্কুল চত্বরজুড়ে গরু—মুরগি, দোকানপাট ও লোকজনের কোলাহল পাঠদানকে করে তোলে দুঃসাধ্য।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাবিয়া সালমা বলেন, “বিদ্যালয়ের পরিবেশটি বর্তমানে শিক্ষার অনুপযুক্ত। বর্ষায় পানি জমে যায়, আবার হাট বসায় ক্লাস নেওয়াই কষ্টকর হয়ে যায়। অনেক সময় আমরা শিশুদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কায় থাকি। বারবার বলা হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান পাচ্ছি না।”

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জানায়, “আমার বই খাতা ভিজে যায়। হাট বসলে অনেক লোক আসে, ক্লাস করতে পারি না। তখন অনেক শব্দ হয়।” চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রিমা খাতুন জানায়, “পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে স্কুলে আসি। কেউ কেউ পড়ে যায়। আমাদের ক্লাসরুমেও পানি ঢুকে যায় মাঝে মাঝে।” পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রবিউল জানায়, “হাটের জন্য জায়গা থাকে না। গরু—মুরগি থাকে সামনে। তখন আমরা স্কুলে আসতেও ভয় পাই।”

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন বলেন— “বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের অবৈধ হাট উচ্ছেদের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।”




দর্শনা সীমান্তে স্বর্ণের বারসহ আটক-১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৬ বিজিবি স্বর্ণ চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি ৬০লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ২১টি স্বর্ণের বারসহ জীবনগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আনার আলীর ছেলে আবেদীন মিয়া (৪০) কে আটক করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ নাজমুল হাসানের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে। এ সময় ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার সহকারী পরিচালক মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে, বিজিবি’র একটি সশস্ত্র চৌকস আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার নম্বর ৭৫/৩-এস হতে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়ে একটি মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করে। পরে বিজিবি মোটরসাইকেলটি ধাওয়া করে ১জন পালিয়ে গেলেও ১ জনকে আটক করে।

পরে তার মাজায় থাক প্যাকেট সদৃশ বস্তু পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেয়। বিজিবি আভিযানিক দল তার দেহ তল্লাশীকালে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ০১টি প্যাকেট উদ্ধার করে।

বিজিবি প্যাকেট খুলে তল্লাশি করে ২কেজি ৪৪৯ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য ৩কোটি ৬০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় নায়েক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছে। আটককৃত আসামীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারসমূহ চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।




কোটচাঁদপুরে গলায় উড়না দিয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে গলায় উড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রিয়া অধিকারী (২২) নামের এক গৃহবধু। তিনি বলুহর রামচন্দ্রপুর হালদারপাড়ার দেবব্রত অধিকারীর স্ত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় উড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। নিহতের শ্বাশুড়ি জানান তার ছেলে বউয়ের মাথায় যন্ত্রনা ছিলো, সে কারণে আত্মহত্যা করতে পারে, মায়ের এমন বক্তব্য প্রত্যাখান করে ছেলে দেবব্রত অধিকারী জানান তার স্ত্রীর এমন কোন সমস্যা ছিলো না।

তাহলে আপনার স্ত্রী কেন আত্মহত্যা করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি কোন কারণ জানাতে পরেননি। আত্মহত্যার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে কথা বলা হয় কোটচাঁদপুর পৌর ফাঁড়ি ইনর্চাজ জগনাথ চন্দ্র এর সাথে, তিনি জানান আমরা ঘঠনাস্থলে আছি, ঘাসকাটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে, লাশটি ময়না তদন্তের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় সম্প্রতিক সময়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা জুড়ে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে আত্মহত্যার প্রবনতা। জানুয়ারী থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত উপজেলায় ২৪৪ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। আত্মহত্যা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনসহ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হলেও কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না আত্মহত্যা।