দামুড়হুদায় বিএনপি’র উদ্যোগে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় র‌্যালি

দামুড়হুদায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় র‌্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় দামুড়হুদা ব্রীজ মোড় থেকে জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে প্রথমে বিজয় র‌্যালি বের হয় র‌্যালিটি উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্যান্ড হয়ে দামুড়হুদা চৌরাস্তা মোড়ে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে চৌরাস্তার মোড়ের অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থেকে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়ার সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সালমা জাহান পারুল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইকরামুল হক, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুল হক সবুজ, সদস্য সচিব কে ডি সুলতানসহ দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গার মাদক সম্রাট ওল্টু এখন মাদকের গডফাদার

আলমডাঙ্গা বেলগাছি গ্রামের চিহ্নিত মাদক সম্রাট সন্ত্রাসী বোমা কালামের অবসান হলেও তার ছোট ভাই আবারও সক্রিয় হয়ে মাদক ব্যাবসায় জমিয়ে তুলেছে রাজ্য। এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়নের বাগানপাড়ায় মৃত সাহেব আলির ছেলে ওল্টু আবারও মাদক ব্যাবসায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ওল্টুর বড় ভাই বোমা কালাম ছিল চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ডাকাত এবং মাদক ব্যাবসায়ী। তার অত্যাচারে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করতো। তার মৃত্যুর পর এই ওল্টু ভাইয়ের চলা পথে মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।

এক সময় ৫ই আগষ্টের পরে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়েছিল কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ওল্টু ও তার ব্যাবসায়ী পার্টনার তরিকুল ইসলাম কে। তার পরেও থামেনি তার মাদক ব্যাবসা। বরং প্রশাসনের চোখের সামনে মাদকের ভয়াল ছোবলে ক্ষতবিক্ষত এই এলাকায় ওল্টুর উপস্থিতি যেন এক আতঙ্কের নাম। সে শুধু একজন ব্যবসায়ী নয় এলাকাবাসীর চোখে সে মাদকের গডফাদার, যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি বিস্তৃত মাদকচক্র।

উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা বেলগাছী বাগানপাড়ার মৃত বোমা কালাম এর ছোট ভাই ওল্টুর বিরুদ্ধে আগে থেকেই একটি মাদক মামলা রয়েছে। ওই মামলায় একবার গ্রেফতার হলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জামিনে বেরিয় এসে যেন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে আবারও শুরু করেছে গাজা ও টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদকদ্রব্যের সরবরাহ ও বিক্রি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওল্টুর কারণে পুরো এলাকা আজ মাদকের করাল গ্রাসে জর্জরিত। স্কুলপড়ুয়া কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ সমাজ তার মূল টার্গেট। রাতের অন্ধকারে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে বিষের প্যাকেট। দিনের আলোতেও নির্লজ্জভাবে মাদকাসক্ত খরিদ্দাররা তার বাড়িতে মাদক কেনার জন্য লাইন দেয়।

অবিলম্বে ওল্টুকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন এলাকার সুধী সমাজ।




মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল ও সমাবেশ

মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ৩৬শে জুলাই উপলক্ষে গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলা মডেল মসজিদের সামনে থেকে গণমিছিলটি শুরু হয় এবং মেহেরপুরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর-১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খান। এসময় তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আজকের এই দিনে ফ্যাসিস্ট সরকারের গুন্ডা বাহিনী ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে শত শত ছাত্র ও জনতা নিহত ও আহত হয়। স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে এক বছর আগে, কিন্তু তাদের দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। যেকোনো সময় তারা আবার মাথাচাড়া দিতে পারে। দল-মত নির্বিশেষে এই ঘাপটি মারা দোসরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে না হলে শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।

এসময় জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুব উল আলম, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মাহমুদ আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমীর মাওলানা খানজাহান আলী, মেহেরপুর পৌর আমীর সোহেল রানা ডলার, সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাব্বারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, মেহেরপুর ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি সাইদুর রহমান
মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি কামরুজ্জামান (নাহিদ) উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা বলেন, হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে এবং ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই গণমিছিলে জামায়াতে ইসলামীর হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে বিএনপি’র গণমিছিল ও সমাবেশ

জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়া এবং জনতার বিজয়কে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি।

মঙ্গলবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর বাজার থেকে একটি মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোনাখালী বাজারে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা, জেলা যুবদলের সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সুজন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসানসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে দারিয়াপুর বাজারে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুণ বলেন, “দেশে ষড়যন্ত্র চলছে, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। সবার আগে বাংলাদেশ। আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী না করা পর্যন্ত এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।”




মেহেরপুরে জুলাই যোদ্ধাদের সম্মিলন,সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৫ উপলক্ষে মেহেরপুরে জুলাই আহতদের পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সম্মিলন, আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিবাহী ১১ জন বীর যোদ্ধাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এই দিবসটি কেবল স্মরণ নয়, বরং তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতেও অনুপ্রেরণা যোগায়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সিভিল) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিমা খাতুন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাধন সরকার, জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রূহুল আমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল আলম, টিটিসি’র অধ্যক্ষ ড. মো. শামীম হোসেন
জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মিজানুর রহমান
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক সিরাজুম মুনীর, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা তাজউদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সদস্য রোমানা আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মুইজউদ্দিন, হাসনাত জামান, ইব্রাহিম হোসেন, মুজাহিদুল ইসলাম, ইমতিয়াজ আহমেদ, আশিক রাব্বি প্রমুখ।




মেহেরপুরে গণঅভ্যুত্থান স্মারক বিতর্ক উৎসবের পুরস্কার বিতরণী

“যুক্তি দিয়ে জাগো” এই শ্লোগানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মারক বিতর্ক উৎসব ২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার মেহেরপুর ডিবেটিং ফোরামের উদ্যোগে ও জেলা পরিষদের সৌজন্যে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সামিউল হকের সভাপতিত্বে এবং মেহেরপুর ডিবেটিং ফোরামের আহ্বায়ক রিদওয়ানুল হক মুজাহিদ ও জেলা পরিষদের কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ তৌহিদুল কবীর এবং জেলা পুলিশের প্রতিনিধি ইন্সপেক্টর বজলুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং তারুণ্যের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে এবং তরুণ প্রজন্মকে সেই ঐতিহাসিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতেই এই বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

মাধ্যমিক, কলেজ ও ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই বিতর্ক উৎসবে মোট ২০টি দল অংশগ্রহণ করে।
একইসাথে মেহেরপুর সরকারি কলেজে এ বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সরকারি কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ফলাফল:

মাধ্যমিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, প্রথম রানার্সআপ জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয় রানার্সআপ আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, প্রথম রানার্সআপ ছহিউদ্দীন ডিগ্রি কলেজ, দ্বিতীয় রানার্সআপ মেহেরপুর সরকারি কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে
চ্যাম্পিয়ন মেহেরপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিজয় ২৪ দল, রানার্সআপ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নবজাগরণ ২৪ দল।
ডিবেটিং অব দ্য টুর্নামেন্টে মাধ্যমিক পর্যায়ে আবু জারিফ মোহাম্মদ জায়ান (জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ), কলেজ পর্যায়ে ইস্তিয়াক আহমেদ (মেহেরপুর সরকারি কলেজের দলনেতা)।

প্রধান অতিথির কাছ থেকে বিজয়ীরা সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন আইডিয়া আহ্বান করা হয়।
বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৯টি আইডিয়া গ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে ৩টি আইডিয়া বাছাই করে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাছাইকৃত আইডিয়াগুলো হলো ১. যুক্তি দিয়ে জাগো বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২. ক্লিন স্কুল গ্রীন স্কুল ৩. মানবতার আলো জ্বালো।

৩৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।




দর্শনায় ইয়াবা, ট্যাপেন্টাডল ও নগদ টাকাসহ গ্রেফতার ২

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। দর্শনা বাসস্ট্যান্ড টার্মিনালের পাবলিক টয়লেটের সামনের পাকা রাস্তায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা থানার চৌকস এসআই মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে দর্শনা মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে ও ইয়াবা ব্যবসার মূল হোতা নাজিম উদ্দিন ওরফে জনি ড্রাইভার (৪০) এবং একই এলাকার মৃত নাজিমুদ্দিন খন্দকার রুমির ছেলে মোহাম্মদ আলী ওরফে তানিম (২২)-কে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৪৫২ পিস ইয়াবা, ১০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকালই গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।




কালীগঞ্জে সাপের কামড়ে মুহুরির মৃত্যু

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সাপের কামড়ে হাসিবুল হাসান জনি (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত জনি উপজেলা মোল্লাকুয়া গ্রামের মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে ও ঝিনাইদহ আদালতে মুহুরার কাজ করতেন।

জনির প্রতিবেশি স্কুল শিক্ষক আব্দুস ছালাম জানান, গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন জনি। ঘুমের মধ্যে বিষধর সাপে তার কানে কামড় দেয়। এসময় টের পেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম সুবিতপুরে এক ওঝার কাছে নিয়ে ঝাড়ফুক করে। এরপর বাড়ি এসে আবার শুয়ে পড়ে। পরে আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোর সাড়ে ৫টায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় ডাক্তার তার চিকিৎসা দিয়ে যশোর ২৫০শয্যার জেনারেল হাসপতালে পাঠিয়ে দেন। যশোরে নেওয়ার পথে সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শিশির কুমার সানা জানান, রাতে ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্বায়িত্বে ছিলেন। তবে, রোগীর অবস্থা শেষ পর্যায়ে পৌছালে পরিবার তাকে হাসপাতালে এনেছিলেন। হাসপাতালে আনার পর রোগীকে এন্টিভেনম দেওয়া হয়। কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।




মেহেরপুরে শহিদদের স্মরণ ও হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আনন্দ মিছিল

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহিদদের স্মরণে মেহেরপুরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), মেহেরপুর জেলা শাখা।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মঙ্গলবার সকালে
খুনি হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি আনন্দ মিছিল বের করে দলটির নেতাকর্মীরা।

জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আসিক রাব্বির নেতৃত্বে মিছিলটি জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এসময় জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মো: মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মো: হাসানাত জামান সৈকত, মো: তামিম ইসলাম, মো: মাহবুব-ই-তৌহীদ রবিন, সাদ্দাম হোসেন জীবন, সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হাসমত আলী, সদস্য সাজেদুর রহমান, তাহসিন রাব্বি, মোবারক হোসাইন, আরাফাত হোসেন, সাহেব মাহমুদ, গাংনী উপজেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, যুগ্ম সমন্বয়কারী সবুজ রানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে সাধারণ ছাত্র-জনতা ও নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।




বাড়ি মেহেরপুর গ্রুপের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

“পরিবেশ, প্রতিবেশ রাখতে প্রাণবন্ত, বৃক্ষরোপণের নেই বিকল্প” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাড়ি মেহেরপুরের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের দুই পাশে পরিবেশবান্ধব ও ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত নিম গাছ রোপণ করা হয়।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে পরিবেশ সুরক্ষা ও বৃক্ষের উপকারিতা বিষয়ে আলোচনা ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাড়ি মেহেরপুর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ আসাদুজ্জামান খান রাজ (অ্যাডমিন), আঃ হাদী (মডারেটর), আব্দুর রব, আহসান হাবিব শুভ, আরিফুল ইসলাম, এস এম নয়ন, বদরুজ্জামান মুকুল, কৃষিবিদ মো. জুয়েল রানা ও একরামুল হক।

আয়োজকরা জানান, পরিবেশ রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।