দর্শনায় বিএনপি’র ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় মিছিল

সারা দেশের ন্যায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে বিজয় র‌্যালীর আয়োজন করেছে বিএনপি। ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে। এই ঐতিহাসিক ঘটনার এক বছর পূর্তিতে দর্শনা থানা ও পৌর বিএনপি’র উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় মিছিল ও গণ-জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে দর্শনা ডাকবাংলা চত্বর থেকে দর্শনা পৌর বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ২০২৪ -এর ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে গণ-জমায়েত ও বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ মিছিলটি দর্শনা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তার মোড়ে গণ-জামায়েত অনুষ্ঠিত হয়।

এ গণ-জমায়েতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দর্শনা পৌর বিএনপি’র প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট। এ সময় তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ৫ই আগষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে। এই ঐতিহাসিক ঘটনার ১ বছর পূর্তিতে দলটি এ দিবসটিকে বিজয়ের প্রতিক হিসেবে দেখছে। এ সময় আরও দর্শনা পৌর বিএনপি’র সমন্বয়ক শরিফ উদ্দীন, মমিনুল ইসলাম, শফিউল আজম তোতা, লুৎফর, আজিজুল হক, হারিজ উদ্দীন লাভলু, নাজিম আহমেদ, মোঃ ফেরদৌস আলম মন্টু, দর্শনা পৌর যুব দলের আহ্বায়ক মোঃ ফারুক হোসেন, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (রিংকু), মিতুল, সুলতান, দর্শনা পৌর কৃষকদলের হাতেম আলী, রমিজ শাহরুল চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, আলতাফ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, জাকির হোসেন সামাউল, সোহেব আক্তার শাফায়েত জামান পাপ্পু, আসিফ হাসান।

অপর দিকে দর্শনা থানা বিএনপি’র উদ্যোগে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিজয় র‌্যালীটি দর্শনা বাস স্ট্যান্ড চৌরাস্তার মোড় থেকে দর্শনা রেল বাজার মুক্ত মঞ্চে এসে শেষ হয়। পরে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন দর্শনা থানা বিএনপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত। এ সময় বক্তব্য রাখেন, দর্শনা থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মেদ আলী, বেগমপুর ইউনিয়ন এর সাবেক সভাপতি শেখ আসলাম আলী, মদনা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি আরও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে বিকেল সাড়ে ৫ টায় দর্শনা পৌর বিএনপি’র সমন্বয়ক আলহাজ্ব মশিউর রহমান এর নেতৃত্বে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে গণ-জমায়েত ও বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।




ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মেহেরপুরে বিএনপি’র বিজয় র‌্যালি

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মেহেরপুরে জেলা বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাথুলী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালির নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

এ সময় তিনি বলেন, আপনারা সবাই বিশ্বাস করেন, এই দেশের ১৮ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে আমাদের প্রিয় নেতা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন, সেই প্রতীক্ষায় সারা বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে। আমরা আজকের এই ঐতিহাসিক দিনকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ দিবস বলি। সেই কারণেই আজকের এই বিজয়ের উচ্ছ্বাস, এই আনন্দ। এই আনন্দে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আগামী দিনে আরও দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষ নিয়ে আপনারা উপস্থিত হবেন ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, যারা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ছিলেন, তাঁরাও যেন আগামীতে আরও উৎসাহ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। যেভাবে, যতটা সম্ভব, সকলে অংশ নেবেন এই প্রত্যাশায় আজকের এই পথসভা ও বিজয় র‌্যালির সমাপ্তি ঘোষণা করছি।

র‌্যালিতে অংশ নেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, সদস্য আলমগীর খান ছাতু, হাফিজুর রহমান হ্যাপি, ইলিয়াস হোসেন, আনছারুল হক, ওমর ফারুক লিটন, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, মীর ফারুক হোসেনসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপস্থিতি র‌্যালিকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

বিজয় র‌্যালিকে ঘিরে পুরো শহরে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় চারপাশ। নেতাকর্মীদের হাতে ছিল ব্যানার-ফেস্টুন, আর ঢাক-ঢোলের তালে তালে এগিয়ে যায় বিজয়ের মিছিল।




মুজিবনগরে উপজেলা বিএনপি’র বিজয় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুথানের বর্ষপূর্তী উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে বিশাল বিজয় মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি।

৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুথানের বর্ষপূর্তী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র কার্যলয় থেকে জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র নব-নির্বাচিত সভাপতি আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে বিশাল বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে গেয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয় উদযাপন করে উপজেলা বিএনপি’র নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। এ সময় আশে পাশের নারী পুরুষ সহ সাধারণ মানুষ রাস্তার পাশে ভিড় করে এই বিজয় মিছিল দেখতে। এ সময় তাদের চোখে মুখে ছিল আনন্দ ও তৃপ্তির হাঁসি ।

বিজয় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী মশিউর রহমান। উপজেলা বিএনপি’র নব-নির্বাচিত সাংগঠনিক হারুন-অর-রশিদ, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মোনাখালি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রাইহান কবির, সাধারণ সম্পাদক আনিছুজ্জান টুটুল দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আশরাফুল হক কালু, সাধারণ সম্পাদক সোনা গাইন। উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন প্রিন্স, মেহেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফাইম আহনাফ লিংকন সহ মুজিবনগর উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।

বিজয় মিছিলে আগে উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয় প্রাঙ্গনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র নব-নির্বাচিত সভাপতি আমিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি আপনাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। আপনাদের বলতে চাই আগামী দিনে আরো পরীক্ষা আছে, আরো ষড়যন্ত্র আছে, সব ষড়যন্ত্র পরীক্ষা মোকাবেলা করে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা ইদানিং দেখছি যারা আমাদের কমিটিকে কোনদিন মানতে পারেনি যারা বলেছে আজ কমিটি ভাঙবো ঈদের পরে কমিটি ভাঙবো, কুরবানী ঈদের পরে কমিটি ভাঙবো। আমরা বলেছিলাম কেয়ামত পর্যন্ত এই কমিটি ভাঙার কোন সুযোগ নেই। আমরা বলছি এখনো সময় আছে আসেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি করি, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি করি, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি করি। শহীদ জিয়ার আদর্শে আদর্শিত হয়ে সবাই একসাথে দল করি। সবার আগে বাংলাদেশ। আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী না করা পর্যন্ত এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।




দামুড়হুদায় বিএনপি’র উদ্যোগে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় র‌্যালি

দামুড়হুদায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় র‌্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় দামুড়হুদা ব্রীজ মোড় থেকে জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে প্রথমে বিজয় র‌্যালি বের হয় র‌্যালিটি উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্যান্ড হয়ে দামুড়হুদা চৌরাস্তা মোড়ে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে চৌরাস্তার মোড়ের অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থেকে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়ার সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সালমা জাহান পারুল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইকরামুল হক, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুল হক সবুজ, সদস্য সচিব কে ডি সুলতানসহ দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গার মাদক সম্রাট ওল্টু এখন মাদকের গডফাদার

আলমডাঙ্গা বেলগাছি গ্রামের চিহ্নিত মাদক সম্রাট সন্ত্রাসী বোমা কালামের অবসান হলেও তার ছোট ভাই আবারও সক্রিয় হয়ে মাদক ব্যাবসায় জমিয়ে তুলেছে রাজ্য। এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়নের বাগানপাড়ায় মৃত সাহেব আলির ছেলে ওল্টু আবারও মাদক ব্যাবসায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ওল্টুর বড় ভাই বোমা কালাম ছিল চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ডাকাত এবং মাদক ব্যাবসায়ী। তার অত্যাচারে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করতো। তার মৃত্যুর পর এই ওল্টু ভাইয়ের চলা পথে মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।

এক সময় ৫ই আগষ্টের পরে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়েছিল কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ওল্টু ও তার ব্যাবসায়ী পার্টনার তরিকুল ইসলাম কে। তার পরেও থামেনি তার মাদক ব্যাবসা। বরং প্রশাসনের চোখের সামনে মাদকের ভয়াল ছোবলে ক্ষতবিক্ষত এই এলাকায় ওল্টুর উপস্থিতি যেন এক আতঙ্কের নাম। সে শুধু একজন ব্যবসায়ী নয় এলাকাবাসীর চোখে সে মাদকের গডফাদার, যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি বিস্তৃত মাদকচক্র।

উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা বেলগাছী বাগানপাড়ার মৃত বোমা কালাম এর ছোট ভাই ওল্টুর বিরুদ্ধে আগে থেকেই একটি মাদক মামলা রয়েছে। ওই মামলায় একবার গ্রেফতার হলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জামিনে বেরিয় এসে যেন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে আবারও শুরু করেছে গাজা ও টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদকদ্রব্যের সরবরাহ ও বিক্রি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওল্টুর কারণে পুরো এলাকা আজ মাদকের করাল গ্রাসে জর্জরিত। স্কুলপড়ুয়া কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ সমাজ তার মূল টার্গেট। রাতের অন্ধকারে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে বিষের প্যাকেট। দিনের আলোতেও নির্লজ্জভাবে মাদকাসক্ত খরিদ্দাররা তার বাড়িতে মাদক কেনার জন্য লাইন দেয়।

অবিলম্বে ওল্টুকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন এলাকার সুধী সমাজ।




মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল ও সমাবেশ

মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ৩৬শে জুলাই উপলক্ষে গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলা মডেল মসজিদের সামনে থেকে গণমিছিলটি শুরু হয় এবং মেহেরপুরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর-১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খান। এসময় তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আজকের এই দিনে ফ্যাসিস্ট সরকারের গুন্ডা বাহিনী ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে শত শত ছাত্র ও জনতা নিহত ও আহত হয়। স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে এক বছর আগে, কিন্তু তাদের দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। যেকোনো সময় তারা আবার মাথাচাড়া দিতে পারে। দল-মত নির্বিশেষে এই ঘাপটি মারা দোসরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে না হলে শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।

এসময় জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুব উল আলম, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মাহমুদ আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমীর মাওলানা খানজাহান আলী, মেহেরপুর পৌর আমীর সোহেল রানা ডলার, সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাব্বারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, মেহেরপুর ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি সাইদুর রহমান
মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি কামরুজ্জামান (নাহিদ) উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা বলেন, হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে এবং ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই গণমিছিলে জামায়াতে ইসলামীর হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে বিএনপি’র গণমিছিল ও সমাবেশ

জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়া এবং জনতার বিজয়কে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি।

মঙ্গলবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর বাজার থেকে একটি মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোনাখালী বাজারে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা, জেলা যুবদলের সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সুজন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসানসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে দারিয়াপুর বাজারে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুণ বলেন, “দেশে ষড়যন্ত্র চলছে, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। সবার আগে বাংলাদেশ। আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী না করা পর্যন্ত এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।”




মেহেরপুরে জুলাই যোদ্ধাদের সম্মিলন,সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৫ উপলক্ষে মেহেরপুরে জুলাই আহতদের পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সম্মিলন, আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিবাহী ১১ জন বীর যোদ্ধাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এই দিবসটি কেবল স্মরণ নয়, বরং তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতেও অনুপ্রেরণা যোগায়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সিভিল) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিমা খাতুন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাধন সরকার, জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রূহুল আমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল আলম, টিটিসি’র অধ্যক্ষ ড. মো. শামীম হোসেন
জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মিজানুর রহমান
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক সিরাজুম মুনীর, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা তাজউদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সদস্য রোমানা আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মুইজউদ্দিন, হাসনাত জামান, ইব্রাহিম হোসেন, মুজাহিদুল ইসলাম, ইমতিয়াজ আহমেদ, আশিক রাব্বি প্রমুখ।




মেহেরপুরে গণঅভ্যুত্থান স্মারক বিতর্ক উৎসবের পুরস্কার বিতরণী

“যুক্তি দিয়ে জাগো” এই শ্লোগানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মারক বিতর্ক উৎসব ২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার মেহেরপুর ডিবেটিং ফোরামের উদ্যোগে ও জেলা পরিষদের সৌজন্যে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সামিউল হকের সভাপতিত্বে এবং মেহেরপুর ডিবেটিং ফোরামের আহ্বায়ক রিদওয়ানুল হক মুজাহিদ ও জেলা পরিষদের কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ তৌহিদুল কবীর এবং জেলা পুলিশের প্রতিনিধি ইন্সপেক্টর বজলুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং তারুণ্যের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে এবং তরুণ প্রজন্মকে সেই ঐতিহাসিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতেই এই বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

মাধ্যমিক, কলেজ ও ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই বিতর্ক উৎসবে মোট ২০টি দল অংশগ্রহণ করে।
একইসাথে মেহেরপুর সরকারি কলেজে এ বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সরকারি কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ফলাফল:

মাধ্যমিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, প্রথম রানার্সআপ জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয় রানার্সআপ আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, প্রথম রানার্সআপ ছহিউদ্দীন ডিগ্রি কলেজ, দ্বিতীয় রানার্সআপ মেহেরপুর সরকারি কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে
চ্যাম্পিয়ন মেহেরপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিজয় ২৪ দল, রানার্সআপ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নবজাগরণ ২৪ দল।
ডিবেটিং অব দ্য টুর্নামেন্টে মাধ্যমিক পর্যায়ে আবু জারিফ মোহাম্মদ জায়ান (জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ), কলেজ পর্যায়ে ইস্তিয়াক আহমেদ (মেহেরপুর সরকারি কলেজের দলনেতা)।

প্রধান অতিথির কাছ থেকে বিজয়ীরা সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন আইডিয়া আহ্বান করা হয়।
বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৯টি আইডিয়া গ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে ৩টি আইডিয়া বাছাই করে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাছাইকৃত আইডিয়াগুলো হলো ১. যুক্তি দিয়ে জাগো বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২. ক্লিন স্কুল গ্রীন স্কুল ৩. মানবতার আলো জ্বালো।

৩৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।




দর্শনায় ইয়াবা, ট্যাপেন্টাডল ও নগদ টাকাসহ গ্রেফতার ২

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। দর্শনা বাসস্ট্যান্ড টার্মিনালের পাবলিক টয়লেটের সামনের পাকা রাস্তায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা থানার চৌকস এসআই মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে দর্শনা মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে ও ইয়াবা ব্যবসার মূল হোতা নাজিম উদ্দিন ওরফে জনি ড্রাইভার (৪০) এবং একই এলাকার মৃত নাজিমুদ্দিন খন্দকার রুমির ছেলে মোহাম্মদ আলী ওরফে তানিম (২২)-কে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৪৫২ পিস ইয়াবা, ১০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকালই গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।