গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক জন নিহত
এনসিপি’র মেহেরপুর সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন
হাসমত উল্লাহকে প্রধান সমন্বয়কারী, সালাউদ্দিন রনি ও ওমর ফারুককে যুগ্ম সমন্বয়কারী করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ১৫ সদস্য বিশিষ্ট মেহেরপুর জেলা সমন্বয় কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণ অঞ্চলের মুখপাত্র হাসনাত আবদুল্লাহ এ কমিটির অনুমোদন দেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সাঈদ হাসান, মোঃ কাইয়ুম আলি, তাহসিন রাব্বি, সাজেদুর রহমান, মোঃ পিন্টু মল্লিক, ইব্রাহিম হোসেন, আবাবিল হাসান সুইট, ইকবাল হোসেন রাজ, মোঃ রেজাউল করিম, সাহেব মাহমুদ, মোঃ মোবারক হুসাইল, মোঃ আরাফাত হোসেন।
আগামী ৩ মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠন পর্যন্ত এ কমিটি বলবৎ থাকবে বলে বলা হয়েছে।
শব্দ দূষণের মধ্যে এক মাসে ৪২ শিশুর আগমন, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে চলমান টাইলস লাগানোর নির্মাণকাজের মধ্যে গত এক মাসে জন্ম নিয়েছে ৪২ নবজাতক। এর মধ্যে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ৩১ এবং স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিয়েছে ১১জন শিশু। এই নবজাতক ও তাদের মায়েদের রাখা হয়েছে গাইনি ওয়ার্ডের বিভিন্ন কক্ষে, যেখানে প্রতিদিন উচ্চ শব্দে টাইলস কাটার যন্ত্র ও হাতুড়ির আঘাতে কম্পিত হচ্ছে চারপাশ।
গাইনি ওয়ার্ডের পাশেই অবস্থিত অপারেশন থিয়েটারে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন চলছে। সেসব শিশুদের রাখা হচ্ছে অপারেশন থিয়েটারের পাশের রুমগুলোতে। যেখানে জোরালো নির্মাণকাজ রোগীদের জন্য একপ্রকার নিরব যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্মাণযন্ত্রের শব্দে শিশুরা ঘন ঘন চমকে উঠছে, ঘুম ভেঙে যাচ্ছে, কান্নাকাটি করছে, এবং মা-বাবারা পড়ছেন উদ্বেগে।
গাইনি ওয়ার্ডে থাকা নবজাতকের মা শুভরাজপুর গ্রামের মোছা. রুনা খাতুন বলেন, “আমার বাচ্চা একটু শব্দ হলেই কেঁদে ওঠে। ডাক্তাররা বিশ্রাম নিতে বলেছে, কিন্তু এখানে বিশ্রাম নেওয়া অসম্ভব।”
গাইনি ওয়ার্ডের এক সেবিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শিশুরা শব্দে অস্থির হয়ে ওঠে। মায়েরা ঘুমাতে পারছেন না। আমরা কর্তৃপক্ষকে বলেছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ হয়নি।”
হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের সেবিকা ইনচার্য শিউলী সরকারের মতে, নবজাতকেরা শব্দের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। অতিরিক্ত শব্দ তাদের শ্রবণশক্তি, স্নায়ু ও ঘুমের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। জন্মের পরপরই শিশুদের শান্ত ও শব্দমুক্ত পরিবেশে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কর্ত্তৃপক্ষ যেভাবে বলেন, আমরা সেভাবে দায়ীত্ব পালন করি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহরিয়ার শায়লা জাহান বলেন, “পরিস্থিতি আমরা জানি। গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছিলেন ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। একমাসেও শেষ হচ্ছেনা। এখনও বেশ ক‘দিন লাগবে মনে হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে শব্দ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সে চেষ্টাও চলছে।”
অভিভাবক ও সচেতন মহলের দাবি, হাসপাতালের মতো সংবেদনশীল জায়গায় এই ধরনের নির্মাণকাজ সময় ও স্থান বিবেচনায় পরিচালনা করা উচিত। নবজাতক শিশুদের অন্যত্র সরিয়ে অথবা নির্মাণের সময় সীমিত করে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। অথবা গাইনি ওয়ার্ড সাময়িক স্থানান্তর করা উচিৎ ছিল।
শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টি দ্রুত সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পিত ও দায়িত্বশীল আচরণই হতে পারে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি।
ঈদের আনন্দ নিরানন্দে পরিণত ৩’শ প্রাথমিক শিক্ষকের
বেতন তুলতে না পারায় ঈদ হচ্ছে না কোটচাঁদপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ শ শিক্ষকের। ঈদের খুশি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৭৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ সব বিদ্যালয়ে রয়েছে ৪৫০ জন শিক্ষক। ওই সব শিক্ষকের বেতন হয় সোনালী ব্যাংক ও অগ্রনী ব্যাংক থেকে। বুধবার ছিল অফিসের শেষ দিন। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বেতন ঢোকেনি বলে জানতেন সব শিক্ষকরা। হঠাৎ ৫ টার পর সবাই টাকার ম্যাসেজ পান। এরপর টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে ছোটেন শিক্ষকরা। বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত দুই ব্যাংক থেকে টাকা নিতে পেরেছেন ৭০ জন শিক্ষক বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
বাকিরা টাকা তুলতে পারেনি। সর্বশেষ কোটচাঁদপুর সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন বাজেবামনদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম ও অগ্রনী ব্যাংক থেকে টাকা নেন চাঁদপাড়া বিদ্যালয়ের আশরাফুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে বাজেবামনদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবল হোসেন বলেন,টাকা তুলতে না পারায় আমার তেমন সমস্যা নাই। তবে যে সব শিক্ষকরা শুধু মাত্র বেতনের উপর নির্ভর,সে শিক্ষকরা সমস্যায় আছে। তবে কি কারনে বেতন ঠিক সময় হল না,তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোটচাঁদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান (কচি) বলেন,কোটচাঁদপুরে ৭৪ টি বিদ্যালয়ের ৪৫০ জন শিক্ষক আছে। এ সব শিক্ষকদের মধ্যে বুধবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সবাই জানত বেতন হচ্ছে না। তবে ৫ টার পর ব্যাংক থেকে ফোন করেছিল টাকা নেয়ার জন্য। আমি জানিনা কতজন টাকা তুলতে পেরেছেন।
এড়ান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন,ঈদের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। এ ছাড়া আজই অফিসের শেষ কর্ম দিবস। আমার জানামতে এখনও পর্যন্ত ৩শ/৪শ শিক্ষক তাদের বেতন তুলতে পারেনি। এর জন্য তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালামকে দায়ি করছেন।
তিনি বলেন, বেতনের জন্য চাহিদা দিতে হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এরপর বেতন ছাড় হয়। তিনি সেই কাজটি করেছেন,তবে দেরি হয়ে গেছে। এর জন্য আজ অনেক শিক্ষকের ঈদের খুশি মিলান হয়ে গেছে।
সোনালী ব্যাংক কোটচাঁদপুর শাখার ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম বলেন,অফিস সময়ের পর টাকা ঢুকেছে ব্যাংকে। এরপর অনেককে ফোন করে বলা হয়েছে টাকা নেবার জন্য।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৫/২০ জনের মত টাকা নিতে পেরেছেন। এরপরও যদি কোন শিক্ষক টাকা নিতে আসেন আমরা টাকা দিব।
এর জন্য কারা মূলত দায়ি,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষন অফিসে কথা বলেন। ওনারা বলতে পারবেন। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী চলি। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা দিলে আমরা টাকা দিবো।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন, একটু সমস্যা ছিল। সেটা সমাধান করতে ঢাকা গিয়েছিলাম। সব কাজ কর্ম করে দিয়ে এসেছিলাম। এরপর গেল ২৫ তারিখে বিষয়টি নিয়ে আবারও কথা বলি ঢাকাতে,ওনারা আমাকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। আমি অপেক্ষায় আছি। তাহলে এ টাকা নিয়ে আমাকে যারা দোষারোপ করছেন,এটা করা ঠিক হচ্ছে কি এমন প্রশ্ন তোলেন ওই কর্মকর্তা। সফটওয়ার সমস্যায় ব্যাংকে টাকা ঢোকেনি বলে পরে জানতে পেরেছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মোবাইল যোগাযোগ করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম সঙ্গে। তবে ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গাংনীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংবাদ সম্মেলন : ফসল তসরুপাতের অভিযোগ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারাবাটি গ্রামের সেলিম ও মামুনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল, ফসল তসরুপাত ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলেছেন চৌগাছা গ্রামের ভুক্তভোগী রনি গমেজ ও কৃষক বরকত আলী। এ বিষয়ে বুধবার (৪ জুন) সকালে সাহারবাটি মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী রনি গমেজ তার বক্তব্যে বলেন, সাহারবাটি মৌজায় আমাদের খাস খতিয়ানভুক্ত কিছু জমি রয়েছে। যা সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত করে আমার বাবা বীমল গমেজ ক্রয় করে। সেই সুত্রে আমাদের আরএস রেকর্ড, এসএ রেকর্ড এবং দলিল রয়েছে। যার বলে আমরা এই জমিতে দীর্ঘ বছর চাষাবাদ করি। জরুরী ভিত্তিতে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় সাহারবাটী গ্রামের বরকত আলীর কাছে বাৎসরিক চুক্তিতে বন্দক রাখি। বরকত আলী জমিতে বাঁধাকপি চাষ করে চারা রোপন করেন।
কিন্তু সাহারবাটী গ্রামের সেলিম ও মামুন জোরপূর্বক ফসল নস্ট করে চাষ করে ফসল তছরুপ করেছে এবং ক্ষমতার দাপটে জমি দখল নেয়ার চেস্টা করছে। আমরা দুর্বল সংখ্যালঘু তাই আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
২০১১ সালে তাদের নামে একটি ভুয়া নামখারিজ করে। সেই নামখারিজ আমরা বাতিলের আবেদন করলে, নামখারিজটি বাতিল হয়ে যায়। এবং গত দুই মাস আগে জমিটি আমাদের হোল্ডিংয়ে ফেরত যায়। সেই হিসেবে আমরা আবারো জমিতে আসি এবং এক বছরের জন্য জমিটি ১লাখ টাকায় কৃষক বরকতকে চাষাবাদের জন্য বর্গা দিই। কৃষক বরকত ৪৩ দিন আগে জমিতে কফির চাষ শুরু করে। কিন্তু সেলিম ও মামুনরা গতকাল সমস্ত জমির কফি তসরুপাত করে এবং জমিতে ট্রাক্টর ঢুকিয়ে চাষ করে। এতে কৃষক বরকত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক বরকত আলী জানান, আমি মহুরীর মাধ্যমে কাগজ পাতি দেখে, এক বছরের জন্য দেড় বিঘা জমি ১ লাখ টাকায় বর্গা নিই। এবং জমিটি তহশীলদার জাকির হোসেন আমাকে মেপে ঠিক করে দিয়ে যায়। কিন্তু সেলিম ও মামুনরা আমার ৪৩ দিন আগে লাগানো সমস্ত কপি তসরুপাত করে। এতে আমার প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া তারা আমাকে জমিতে না আসার জন্য হুমকি প্রদান করে। জমিতে গেলে আমাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রনি গমেজ ন্যায্যতার ভিত্তিতে তাদের জমির দোখল বুঝে পেতে এবং ভুক্তভোগী কৃষক তার ফসলের ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রসাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মেহেরপুরের নতুন দরবেশপুরে প্রত্যাশার আলো সংগঠনের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ
মেহেরপুর সদরের নতুন দরবেশপুর গ্রামে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে মানবিক সংগঠন “প্রত্যাশার আলো”।
গতকাল বুধবার বিকেলে এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ২৫০টি প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে ঈদের খাদ্যসামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয়। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
সংগঠনের সভাপতি শামীমুল ইসলাম শামীম বলেন, “ঈদ শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সহানুভূতি ও ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার সময়। আমরা চাই সমাজের কেউ যেন এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত না থাকে।”
সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ বলেন, “আমরা এখন অনুভূতির সংকটে ভুগছি। প্রত্যাশার আলো শুধু একটি সংগঠন নয়—এটি এক বিবেক-জাগরণী আন্দোলন, যেখানে মানুষ তার দায়িত্ব অনুভব করে অন্যের পাশে দাঁড়ায়।”
সংগঠনটির মূল স্লোগান—“প্রজন্মের প্রত্যাশা বিনির্মাণে আমরা”—কে সামনে রেখে কাজ করছে “প্রত্যাশার আলো”, যারা মানবিক মূল্যবোধ পুনর্জাগরণ ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখছে।
সংগঠনটি ভবিষ্যতে অবৈতনিক পাঠদান, বয়স্ক ভাতা, মানবাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধি, নারীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে আরও ব্যাপক অবদান রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।
আপনার একটুখানি সহযোগিতা বদলে দিতে পারে একটি জীবন। সাহায্যের হাত বাড়ান, আলো ছড়িয়ে দিন।” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরজুল্লাহ রহমান বাবলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ান শফিকুল ইসলাম শফি , জাহিদ বিশ্বাস, কাওসার বিশ্বাস ও আজের আলী।
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুফতি খায়রুল বাশার, মাহাবুবুল ইসলাম, আশাদুল ইসলাম, ও আলমাছ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব ও সদস্যবৃন্দ, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: আকাশ ইসলাম (সাংগঠনিক সম্পাদক), নাজমুস সাকিব (দপ্তর সম্পাদক), মুন আফ্রিদী (প্রচার সম্পাদক), তাসিনুল ইসলাম সৌরভ (ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক), আহসান তাহমিদ (উন্নয়ন সম্পাদক), এবং কার্যনির্বাহী সদস্য হাসিবুল, সুজন, রফিক, রশিদ, সাইরুল, সাহাবুল, মামুন, নয়ন, বাবু, সাকিব, সাহাদ, মমিন সহ অনেকেই।
দর্শনা ট্রাক ও ট্র্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারনা
আগামী ১১জুন চুয়াডাঙ্গা আন্তঃ জেলা ট্রাক ও ট্র্যাংকলরী দর্শনা শাখার শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রচারনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নিবার্চন কমিটি নিবার্নের তারিখ ও চুড়ান্ত ভোটার তালিকা সম্পুর্ন করেছে। ১৩টি পদের অনুকুলে ২২ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন।
এরা হলেন, সভাপতি পদে ৩ জন প্রার্থী হলেন, ট্রাক ড্রাইভার সাইফুল ইসলাম (বাই-সাইকেল), ইসমাইল হোসেন (হাতুড়ি) ও মোতালেব হোসেন (টায়ার) মার্কা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সহ-সভাপতি পদে ৩জন প্রার্থী হলেন, হুমায়ন কবীর (মাছ), কাজল আহম্মেদ আব্বাস(দেয়ালঘড়ি) ও মোশারেফ জোয়াদ্দার্র (হাতি) মার্কা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদেও ২ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন, এরা হলেন, আবু সাঈদ (ট্রাক) মোঃ শাহাজাহান (আনারস) মুজিবুল আলম (কুঁড়েঘর) মার্কা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যুগ্ম সম্পাদক পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা আবু সাঈদ (রিক্র) ও ইকবাল হোসেন শিপন দোয়াত কলম) মাকার্ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সহ-সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন, আনারুল ইসলাম (মই) ও মোঃ আসলাম (ফুটবল) মার্কা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন হলেন, ফিরোজ আলী মোটর সাইকেল) ও আব্দুল জলিল গোলাপফুল) মার্কা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রচার সম্পাদক পদে ১ জন সানোয়ার হোসেন (মাইক) মার্ক নিয়ে ভোটে অংশ নেয়। তবে এর বিপরীতে কোন প্রার্থী না থাকায় বে-সরকারী ভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে ২জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, এরা হলেন, শ্রী পার্থ প্রতিম শিকদার (মোবাইল) ও ফেরদৌস হোসেন (কলস) মার্কা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় ৪ জন কার্যকরী সদস্য পদে শাহিন আলম (রকি) (মোরগ), সাহেব আলী(হুইলরেঞ্জ), জীবন হোসেন (টুপি) ও নাজমুল হোসেন (টিওবয়েল) মার্কা নিয়ে ভোটে অংশ নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন বলে জানান, প্রধান নিবার্চন কমিশনার আনোয়ার হোসেন ও নিবার্চন কমিশনার সদস্য হাজী লিটন ও আব্দুল লতিফ।
টানা ১০ দিনের ছুটিতে জনশূন্য দর্শনা রেলবন্দর
মুসলিম সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উপলক্ষে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে টানা ১০ দিন। বুধবার (৪ জুন) থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক জানান এ সময় এলাকার সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক বন্ধ থাকায় আমদানিকারকরা লেনদেন করতে পারবেনা এবং পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেল ভবন এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ সময় ভারত থেকে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল পথের মাধ্যমে কোন মালামাল আমদানি করা হবেনা।দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এস আই রমজান আলি জানান পবিত্র ঈদুল আযহার জন্য দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলপথে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে,এখানে ছুটি থাকবেনা।
তবে বাংলাদেশ – ভারতের মধ্যে টানা পড়নে ভিসা না দেওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা প্রায় শুন্যের কোটায় চলে এসেছে।আগে ঈদে বাড়তি চাপ থকতো এখন সেটা আর নেই।
দর্শনা সি এন্ড এফ এসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী খন্দকার শওকত আলি জানান সি এন্ড এফের সকল অফিস ও তাদের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
মুজিবনগরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১
মেহেরপুরের মুজিবনগরে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত থেকে বুধবার (৪ জুন) ভোর পর্যন্ত মুজিবনগর থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন তারানগরের খোসবারী খানের ছেলে মোঃ রাশেদ খান (৩০), মামলা নং-০৫, তারিখ- ০৩/০৬/২৫খ্রিঃ, ধারা- ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১)টেবিলের ১০(ক) ও ১৯(ক)।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অপরাধীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।