ঝিনাইদহে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে ঝিনাইদহে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শহিদ পরিবারের সদস্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। এসময় জেলা পুলিশ সুপার মনজুর মোর্শেদ, শহিদ রাকিবের বাবা লুৎফর রহমান, মা হাফেজা খাতুন, শহিদ সাব্বিরের বাবা আমোদ আলী, ছাত্র প্রতিনিধি সাইদুর রহমান, আবু হুরায়রাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস, জেলা সিভির সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ষষ্টী চন্দ্র রায়, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী আব্দুল আওয়াল, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক তহুরা খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ, রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে জুলাই শহীদরা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। দেশের গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। জুলাই যোদ্ধারা জাতির নতুন অনুপ্রেরণা। তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করেই একটি মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

আলোচনা সভা শেষে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।




ঝিনাইদহে আত্মহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা

আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঝিনাইদহে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী, সামাজিক ও এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো: কামরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়, সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো: মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সহকারী কমিশনার এসএম শাদমান উল আলম, প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল।

কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত এনজিও কর্মী, সেচ্ছাসেবী, সংবাদকর্মী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এসময় আত্মহত্যা প্রতিরোধে নানা দিকনির্দেশনা নিয়ে কথা বলেন বক্তারা। এ লক্ষ্যে স্কুল ক্যাম্পেনিং, প্রচার-প্রচারণার ওপর জোর দেয়ার দাবি জানান তারা।

তারা বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। পাশাপাশি সামাজিক অপরাধ, অপরাধপ্রবণতা ও মাদকের আগ্রাসন রোধ করতে হবে। একই ভাবে পারিবারিক সম্পর্ক উন্নতকরণ, শিক্ষার প্রসার, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আত্মহত্যা একটি মানসিক সমস্যার বহিঃপ্রকাশ। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের সচেতন ভাবে আত্মহত্যা রোধে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।




কোটচাঁদপুরে জুলাই শহীদ দিবস পালিত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জুলাই শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মোয়াবিয়া হুসাইন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকরামুল হক, পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল কাইয়ুম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী কল্পনা রানী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সায়লা শারমিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটচাঁদপুর শাখার আহ্বায়ক হৃদয় আহসান, পৌর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জগন্নাথ চন্দ্র, পৌর মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুজ্জামান তুহিন, পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান, বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।

সে সময় অতিথিবৃন্দ জুলাই শহীদদের তাৎপর্য তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, সুধীজন, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে বিশেষ দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তথ্য কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা।




নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে ইবিতে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত

নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন ও গ্রাফিতি অঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং পবিত্র কুরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ছিল।

বুধবার (১৬ জুলাই) টিএসসির ১১৬ নম্বর কক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল ‘জুলাই বিপ্লব/ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’।

একই সময় ‘জুলাই বিপ্লব/স্বাধীনতার নতুন সূর্য/বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়’ শীর্ষক গ্রাফিতি অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক-কর্মকর্তা লাউঞ্জে। প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী দুপুর ১২টায় চিত্রাঙ্কন ও গ্রাফিতি অঙ্কন প্রতিযোগিতা পরিদর্শন করেন। ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ এমতাজ হোসেন, প্রফেসর ড. এ.কে.এম. মতিনুর রহমান, ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ কামরুল হাসান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মুহ. মুজাম্মিল হক মোল্লাহ প্রমুখ এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জুলাই শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম আশরাফ উদ্দীন খান। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ.ব.ম. ছিদিকুর রহমান আশ্রাফী, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তোজাম্মেল হোসেন, প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির সহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।




সদর ইউএনও’র মহতি উদ্যোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে একটি রাস্তার পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার নিরসন করেছেন ইউএনও খায়রুল ইসলাম। তার এ মহতি উদ্যোগে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: খায়রুল ইসলাম তার সরকারি ফেসবুক পেজে এ নিয়ে লিখেছেন, কুতুবপুর ইউনিয়নের উজলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রোগ্রাম শেষে নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে মনোহরপুর গ্রামে দেখি এলজিইডির একটা রাস্তায় প্রায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে আছে।

গ্রামের লোকজন দেখলাম অনেক কষ্ট করে পার হচ্ছে। গাড়িচালককে বললাম গাড়ি থামাতে। আমার বিষয়টি দেখে খুব খারাপ লাগলো। দঁড়াতেই লোকজন এগিয়ে আসল। তারা বলল তাদের পার হতে খুব কষ্ট হয়। তারা বলল, মাঝে মাঝে এক্সিডেন্ট হয়। এগিয়ে যেতেই দেখলাম, রাস্তার দুই পাশের লোকজন তাদের জমিতে যেন পানি না যায় এজন্য তারা মাটির বাঁধ দিয়ে আটকে রেখেছে। অথচ তারাও এই রাস্তাটি ব্যবহার করে। কয়েক গ্রামের লোক এই রাস্তা ব্যবহার করে। আমি এক এক করে বাড়ির মালিকদের জিজ্ঞাসা করতেই বলল, অমুক বন্ধ করেছে, তাই তারাও করেছে। আমি পাশের বাড়ি থেকে কোদাল এনে মাটি কাটতে বললাম, গ্রাম পুলিশকেও ফোন দিয়ে আনলাম। তারাও কোদাল দিয়ে মাটি কেটে মুহূর্তের মধ্যে রাস্তা থেকে পানি নেমে যায়। শুনলাম অনেকেই বিষয়টি এর আগে সমাধান করতে পারে নাই। এর আগে অনেকবার মারামারি হয়েছে। যারা এতদিন এদের ভয়ে কথা বলতে পারত না তারা খুব খুশি হয়েছে। এখানেই চাকরির সার্থকতা খুঁজে পাই। ”

এলাকাবাসী ইউএনওর এমন কাজক প্রশংসা করে বলেন, সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এভাবে দায়িত্ব পালন করলে সমাজ থেকে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তার একটি প্রমান এ রাস্তা।




মেহেরপুরে ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সরফরাজ খান সোনা (৫৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের রনি রেস্তোরাঁর সামনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সরফরাজ খান সোনা মেহেরপুর শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা। তিনি শামসুল আলম খানের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি দ্রুতগামী ট্রাক মোটরসাইকেল আরোহী সরফরাজকে পেছন দিক থেকে চাপা দেয় এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ঘাতক ট্রাক ও চালককে শনাক্ত ও আটকের জন্য অভিযান চলছে।”

সড়ক দুর্ঘটনার এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।




মেহেরপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

সারাদেশে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় ক্রমাগত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন। এছাড়াও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজ হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজুর রহমান ফিরোজ, ইলিয়াস হোসেন, সজীব, ইকবাল হোসেন, রাকিবুল ইসলাম সজলসহ অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

বক্তারা বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। প্রশাসন ও সরকার মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করছে। তারা অবিলম্বে এই অরাজক পরিস্থিতির অবসান এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।




মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই স্বরণ’ অনুষ্ঠান পালিত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করেছে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্যের একান্ত সচিব ড. তারিক আজিজ।

প্রধান বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ বখতিয়ার উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নজরুল কবীর, সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শেখ মুস্তাক আলী, সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান খেজমত আলী মালিথ্যা, জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি ইন্সপেক্টর বজলুর রহমান, আহত যোদ্ধা খন্দকার মুয়িজ উদ্দীন ও নাজমুল হক।

আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ফুয়াদ খান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাউছার আলী, মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের সিনিয়র লেকচারার রফিকুল আলম বকুল, আহত যোদ্ধা হাসনাত জামান, আল মেহেবুব ও ইব্রাহিম হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আহত যোদ্ধাদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।” তিনি শিক্ষার্থীদের সচেতন হয়ে নিজেদের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠান শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।




মুজিবনগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ান শুটার গান ও ৩৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে একটি ওয়ান শুটার গান ও ৩৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবপুর গ্রামের জাকের গাইনের ছেলে আলম গাইনের বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে যৌথবাহিনী আলম গাইনের ঘরের সামনে ধানের গোলার ভেতর থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি ওয়ান শুটার গান ও ৩৮ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত আলম গাইন অভিযান শুরুর আগেই পালিয়ে যায়।

ওসি আরও জানান, পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




ঝিনাইদহে নদীতে গোসলে নেমে দুইদিন ধরে নিখোঁজ শিশু

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পানিতে লাফ দিয়ে নাঈম (৯) নামের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। গত দুইদিন অতিক্রম হলেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোমবার ও মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসি তন্ন তন্ন করে খুজেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। নিখোঁজ শিশু কালীগঞ্জ উপজেলার মাসলিয়া গ্রামের সবজি বিক্রেতা মহিদুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে গোসল করতে বাড়ির পাশের বুড়ি ভৈরব নদীর হাসিলবাগ ব্রীজের উপর থেকে পানিতে লাফ দেয় নাঈম। এসময় তার সাথে অন্য বন্ধুরা ছিল। সবাই পানি থেকে উঠে আসলেও নিখোঁজ হয়ে যায় নাঈম। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হয়।

খবর দেওয়া হয় কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে। তারাও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের খুলনার ডুবুরি দলও যোগ দেয় উদ্ধার অভিযানে। প্রথম দিন তাকে না পেয়ে রাত ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেয়।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। উদ্ধার অভিযানে তাদের সাথে যোগ দেয় স্থানীয়রা। তবে, পানিতে স্রোত ও প্রচুর কচুরিপানা থাকায় উদ্ধার অভিযানে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানান ডুবুরি দল। তবে বিকালে এ রিপোর্ট লিখার আগ পর্যন্ত শিশুটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে। তবে নদীতে অতিরিক্ত কচুরিপানা থাকায় তাকে খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে পানির স্রোতে মরদেহ সরে গিয়ে কোন কচুরিপানার মধ্যে আটকে থাকতে পারে।