চুয়াডাঙ্গায় বিসিক শিল্প নগরীর প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত উদ্বুদ্ধকরণ সভা

চুয়াডাঙ্গায় বিসিক শিল্প নগরীর প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার বিকাল তিনটার সময় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) জেলা কার্যালয় চুয়াডাঙ্গার উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসন চুয়াডাঙ্গার সার্বিক সহযোগিতায় বিসিক শিল্পনগরীর প্লট বরাদ্দ প্রদান সংক্রান্ত একটি উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শারমিন আক্তার। সভায় বিসিক শিল্পনগরীতে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নীতিমালা, প্রক্রিয়া এবং উদ্যোক্তাদের জন্য বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

এ সভার মূল লক্ষ্য ছিল চুয়াডাঙ্গা জেলার সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদেরকে বিসিক শিল্পনগরীতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা এবং শিল্প বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিসিক চুয়াডাঙ্গার উপব্যবস্থাপক এ বি এম আনিসুজ্জামান।

এছাড়াও সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ, স্থানীয় ব্যবসায়ীবৃন্দ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অংশগ্রহণকারীগণ বিসিক শিল্পনগরীর ভূমি ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামোগত সুবিধা, অর্থায়নের সুযোগ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য সম্ভাব্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন। অংশগ্রহণকারীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং জেলা পর্যায়ে শিল্পোন্নয়নে বিসিকের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান।




চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় নাজমুল হক ও আব্দুল খালেক নামের দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন– জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর বানপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৫৫) এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী গ্রামের নাজমুল হক (৩৩)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ জুন মিনাজপুর বানপুর গ্রামের ৬ বছর বয়সী এক শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করেন আব্দুল খালেক। ওই ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ জুন জীবননগর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন তদন্ত শেষে ওই বছর ৩০ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আব্দুল খালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

অপরদিকে, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গার বাড়াদী গ্রামের মীরপাড়ার এক বাড়িতে ঢুকে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন আসামি নাজমুল হক। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পরে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আলমডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খসরু আলম তদন্ত শেষে আসামি নাজমুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি নাজমুল হককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাহজাহান মুকুল জানান, পৃথক দুটি রায়ে ভুক্তভোগীর পরিবার সন্তুষ্ট। ধর্ষণের ঘটনায় দুটি রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সমাজের অপরাধ প্রবণতা এই রায়ের পর কমবে বলে রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে।




মেহেরপুরের শ্যামপুরে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড শ্যামপুর হঠাৎ পাড়ায় কয়েকশো বছরের সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ স্থানীয় ফারুক হোসেন ও রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে। রাস্তার দু’পার্শ্বে পাকা বাড়ি নির্মাণ করায় রাস্তাটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রামের কৃষকরা মাঠের ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না।

গ্রামবাসীরা জানান, শ্যামপুর হঠাৎ পাড়ায় একটি ২০/২৫ ফিট সরকারি রাস্তা হিসেবে গ্রামবাসীরা ব্যবহার করতো প্রায় শত বছর ধরে। ওই রাস্তায় পার্শে রুহুল আমীন ও ফারুক হোসেন শ্যামপুরের জনৈক এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ৫ শতাংশ করে জমি ক্রয় করেন। তবে জমি জরিপ না করেই ক্ষমতার দাপটে জনগণের একমাত্র রাস্তার অধিকাংশ জমি দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করেন ফারুক হোসেন। ফারুক হোসেনের দেখাদেখি রুহুল আমিনও বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এত রাস্তায় ব্যবহ্রত বেশির ভাগ জমি দখল হয়ে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে গ্রামে দফায় দফায় শালিশ বৈঠক হলেও জমির দখল ছাড়তে রাজি নন ফারুক হোসেন ও রুহুল আমীন।

সরকারি রাস্তার জমি উদ্ধারে স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। কিন্তুু ক্ষমতার দাপটে ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ অমান্য করেন রুহুল আমীন ও ফারুক হোসেন।

পরে আবারও ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন আবুল কালাম আজাদ। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সার্ভিয়ার ও গ্রাম পুলিশ দিয়ে জমি জরিপের ব্যবস্থা করেন। সে মোতাবেক আজ বুধবার সকালে জমি জরিপ করেন সার্ভিয়ার। সে সময় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বৃদ্ধ রমজান আলী বলেন, আমাদের বাপ দাদাদের আমলের রাস্তা এটি। গ্রামের সব মানুষ মাঠের ফসল তোলা ও চলাচল করে। অথচ রুহুল ও ফারুক রাস্তার জমি অর্ধেক দখল করে নেয়। আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রামের শহিদুল, জামিরুল, বাবু ও লিখন জমি দখল করেছে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শংকিত।
ফারক হোসেন বলেন, আমরা যখন বাড়ি নির্মাণ বা প্রাচীর নির্মাণ করেছি তখন মাপা হয়নি। অনুমানের ওপর করেছি। এখন দেখছি রাস্তার জমি। তবে সরকারি জমি হলে আমি তা ছেড়ে দেবো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য (সাবেক) ফাহিমা খাতুন জানান, রাস্তাটি শত বছরের পুরাতন। অথচ দখল হয়ে যাচ্ছে। জনস্বার্থে বেদখল হওয়া রাস্তা উদ্ধার হওয়া প্রয়োজন।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি জানান, এমন কোনো বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মেহেরপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

মেহেরপুরে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দিনটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি,আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোজাফ্ফর খান।

“প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়” প্রতিপাদ্যকে ঘিরে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক এস. এম. আশরাফুল হাবীব, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইনজামামুল হক, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন, সামাজিক বন কর্মকর্তা এইচ.টি. হামিম হায়দার, ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি মনিরুল হুদা, সুবাহ সামাজিক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মইন-উল-আলম এবং সমাজ ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি শামিমা আখতার।

এর আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাজওয়ার আকরামের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি মেহেরপুর পাবলিক লাইব্রেরি মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এসে শেষ হয়।




দামুড়হুদায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে দামুড়হুদায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে “প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়” এই স্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালি শেষে পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্রের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হক, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুজোহা পলাশ, মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আল সাবাহ, একাডেমি মাধ্যমিক স্কুলের সুপারভাইজার রাফিজুল ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বিশ্ব পরিবেশ দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, পরিবেশ সুস্থ না থাকলে আমরা কেউ সুস্থ থাকতে পারব না। বর্তমানে প্লাস্টিক দূষণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় আমাদের চারপাশের পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। ক্ষুদ্র বা মাইক্রো প্লাস্টিক কণাগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ক্যানসার, স্ট্রোক, কিডনি ড্যামেজসহ নানা দুরারোগ্য ব্যাধির সৃষ্টি করছে।

তারা আরও বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য অবশ্যই নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে এবং তা রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ইটভাটা বন্ধ না করলে একদিকে উর্বর ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ইটভাটার ধোঁয়ায় পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই নিয়ম মেনে ইটভাটা পরিচালনা করতে হবে। কীটনাশক ব্যবহারেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে পরিবেশের ক্ষতি না হয়।

তারা ইলেকট্রনিক বর্জ্যও নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং তা রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারের উপযোগী করে পরিবেশ রক্ষার আহ্বান জানান।




প্রধান শিক্ষক কালামসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলায় গত ২৫ মে মেহেরপুর জেলা জজ আদালত এ আদেশ দেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত বাকিরা হলেন সাবেক সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিনয় কুমার চাকী, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা শান্তি এবং বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী লাইব্রেরিয়ান আখিতারা খাতুন।

দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা সমন্বিত কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০৩/২০২৪, তারিখ ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ধারা : দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায়।

২৫ মে ২০২৫ তারিখে জজ আদালত মেহেরপুর কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজন আসামিও গ্রেফতার হয়নি।

বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন, বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আখিতারা খাতুন ভুয়া সার্টিফিকেট খাঁটি হিসেবে উপস্থাপন করে চাকুরি গ্রহণপূর্বক সরকারি ৮ লাখ৮২ হাজার ১২৭ টাকা আত্মসাতের অপরাধ করেছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আসামি আখিতারা খাতুন ২৮/১১/২০১৯ খ্রিস্টাব্দ তারিখে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে যোগদানের জন্য ‘ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স’ ডিগ্রির যোগ্যতা থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল। উক্ত বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগদানকালীন সময়ে তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, ঢাকা হতে ইস্যুকৃত মর্মে দেখিয়ে ‘ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স’ পাশের একটি সনদ উপস্থাপন এবং দাখিল করেন।কিন্তু এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, ঢাকা এর স্মারক নম্বর এইউবি/পরীক্ষা/২০২২/৪৭২, তারিখ ৮/১২/২০২২ খ্রী. মূলে সনদ যাচাই প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আখিতারা খাতুন এশিয়ান ইউনিভার্সিটির যে সনদ ব্যবহার করেছেন সেটি জাল/ভুয়া। উক্ত ‘ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স’ ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ইস্যুকৃত ভুয়া সার্টিফিকেট দাখিল করে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে যোগদান করেছেন।

ব্যাংক হিসাব বিবরণী অনুযায়ী দেখা যায়, তিনি ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে মে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরির বেতনভাতা বাবদ মোট ৮ লাখ ৮২ হাজার ১২৭ টাকা উত্তোলন করেছেন। যা ‘ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স’ এর ভুয়া সার্টিফিকেট খাঁটি হিসেবে উপস্থাপন করে বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি গ্রহণপূর্বক সরকারি ৮ লাখ ৮২ হাজার ১২৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং মেহেরপুর সদর উপজেলা সাবেক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী আসামি আখিতারা খাতুনের সাথে পারস্পরিক যোগসাজশে তাকে উক্ত ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে চাকুরিতে নিয়োগ এবং সরকারি ৮ লাখ ৮২ হাজার ১২৭ টাকা আত্মসাতে সহায়তা করেছেন। উক্ত ঘটনার সাথে অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এজাহারে উল্লেখ আছে।

এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্রে আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

আখিতারা খাতুনের নিয়োগ বোর্ডে পাঁচ জন সদস্য ছিলেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা শান্তি, ডিজি প্রতিনিধি কাজী মোঃ আনিসুজ্জামান, সাবেক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, (মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি) বিনয় কুমার চাকী, অভিভাবক প্রতিনিধি মোঃ আনারুল ইসলাম ও বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

নিয়োগ বোর্ড তিনজন আবেদনকারীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে ২০/১১/২০১৯ খ্রি. তারিখে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। রেজুলেশন বহির সত্যয়িত ছায়ালিপি থেকে দেখা যায়, আখিতারা খাতুন নিয়োগ পরীক্ষায় ৪৩ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং নিয়োগ বোর্ড তাকে সহকারী গ্রন্থাকারীক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। পরে ২৮/১১/২০১৯ তারিখে তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাজী আনিসুজ্জামান প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন না, অথচ ডিজি প্রতিনিধি হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে অভিভাবক সদস্য আনারুল ইসলাম লিখতে পড়তে জানতেন না। সেই সুযোগে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ তাকে ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত ডকুমেন্টে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। আনারুল ইসলাম তদন্তকালে জানান, আখিতারা খাতুনের ভুয়া সনদের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ইচ্ছাকৃতভাবে আখিতারা খাতুনের নিয়োগকালীন সময়ের আবেদনপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র বিনষ্ট করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছেন, নিয়োগকালীন সময়ের দাখিলকৃত মূল আবেদনপত্র, সনদ, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি এবং রেজুলেশনবহির মূল কপি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মামলার সাক্ষীরা হলেন, দুদকের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মাইদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তারেক কুদ্দস, অভিভাবক সদস্য মোঃ আনারুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের শাখা প্রধান মো. হামিদুল ইসলাম, মো. মশিউর রহমান, কাজী মো. আনিসুজ্জামান, সহকারী প্রধান শিক্ষক দিলারা পারভীন, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল লতিফ, দুদকের উপসহকারী পরিচালক, মো. আবু তালহা, সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) মো. শরিফুল ইসলাম ও দুদকের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মাইদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় একাধিক সিরিজ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ তো নেয়নি, বরং প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সাথে তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী সীমাহীন দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। শুধুমাত্র বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ই নয়, মেহেরপুরের আরও একাধিক স্কুলের দুর্নীতির সাথেও বিনয় কুমার চাকীর প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, যা অনুসন্ধান করলেই বেরিয়ে আসবে।




মেহেরপুরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রকৌশলীসহ দুইজন নিহত

মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়কের  বনবিভাগের সামনে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক সরকারি প্রকৌশলী ও এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৫ জুন) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—মেহেরপুর গাংনী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. এ কে এম মাহফুজুর রহমান (৪৭) এবং মেহেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র মো. আকমল হোসেন (২০)। মাহফুজ গহরপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং আকমল শেখপাড়া গ্রামের মাবু মিরের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান অফিসের উদ্দেশ্যে গাংনীর দিকে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে কলেজ শিক্ষার্থী আকমল হোসেন গাংনীর দিক থেকে মেহেরপুরের দিকে আসছিলেন। ঘটনার সময় জেলা বনবিভাগের সামনে পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি মোটরসাইকেলের  মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুইজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মাহফুজের মোটরসাইকেলের নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো-হ ৩৬-৫৪২৯ এবং আকমলের মোটরসাইকেলের নম্বর মেহেরপুর হ-১৩-৫১৯৪।

দুর্ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে।




চুয়াডাঙ্গার ঝাঝরিতে কৃষক হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের

চুয়াডাঙ্গার ঝাঝরি গ্রামে পুকুরের চারিধারে জিআই তারে বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে কৃষক হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে লিজ গ্রহীতা আব্বাস আলী ও আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে।

এঘটনায় নিহত চাঁন মিয়ার পিতা ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে আব্বাস ও জলিল আত্নগোপন করেছেন।

পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে প্রভাবশালী আব্দুল জলিল বিষয়টি অর্থ দিয়ে ধামাচাপা দেবার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। তবে গ্রামবাসি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি অব্যাহত রেখেছে।

দর্শনা কেরুজ চিনিকলের আওতাধীন ঝাঝারি কৃষি খামারের ২টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন কোটালী গ্রামের মৃত হারুন মেম্বরের ছেলে প্রবাবশালী ঠিকাদার আব্দুল জলিল ও ঝাঝরি গ্রামের রজব আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত কারবারি আব্বাস আলী।

লিজ গ্রহীতারা পুকুরের মাছ চুরি ও বণ্য প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পুকুরের চারিধারে জিআই তার দিয়ে বেড়া দিয়েছেন।

গ্রামবাসি জানায়, মাছ রক্ষা করার অযুহাতে লিজ গ্রহীতারা ওই জিআই তারে বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে রাখে। প্রায় সময় ওই তারের বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে বণ্যপ্রাণী হত্যা করে থাকে তারা।

গত রোববার সকাল সাড়ে টার দিকে ঝাঝরি গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে এক সন্তানের জনক কৃষক চাঁন মিয়া (২৫) মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। ঘাস কাটার একপর্যায় চাঁন মিয়ার পানির পিপাশা লাগলে। সে পুকুরের পাড়ে মোটরপাম্প থেকে পানি পান করতে যায়। একপর্যায় চাঁন মিয়ে বিদ্যুত সংযোগের ওই তারে হাত পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যায়।

এঘটনায় পরের দিন চাঁন মিয়ার পিতা সাহেব আলী বাদি হয়ে জিআই তারে বিদ্যুৎ সংযোগকারি পুকুরের লিজ গ্রহীতা এলাকার প্রভাবশালী ঠিকাদার আব্দুল জলিল ও ঝাঝরি গ্রামের চিহ্নিত মাদককারবারি আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে অবস্থা বেগতিক বুঝে জলিল ও আব্বাস গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলে জানাগেছে। এ হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা দর্শনা থানার এসআই অনুজ কুমার বলেন, নিহত চাঁন মিয়ার পিতা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৪ (ক) ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

এদিকে গ্রামের একটি সূত্র জানিয়ে প্রভাবশালী ঠিকাদার আব্দুল জলিল বিষয়টি অর্থ দিয়ে মিমাংশা করার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ মিমাংশা করার দায়িত্ব নিয়ে গোপনে বাদি পক্ষকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বলে জোর গুঞ্জণ শোনা যাচ্ছে।

তবে গ্রামবাসিদের জোরদাবি চাঁন মিয়া হত্যার বিষয়টি সঠিক তদন্ত পূর্বক পুলিশ যেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থ গ্রহণ করেন।




দর্শনায় সুন্দরবন এক্সপ্রেসকে আড়াই ঘন্টা আটকে রেখে যাত্রা বিরতীর দাবীতে মানববন্ধন

ঢাকা ও খুলনার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রী বাহী সুন্দরবন ট্রেন দর্শনা হল্ট ষ্টেশনে আপে এবং চিত্রা ডাউনে স্টোপেজ এর দাবীতে প্রায় আড়াই ঘন্টা ঘন্টা রেলপথ অবরোধ করে আন্দলোন করেন ছাত্রজনতা ও ব্যাবসায়ীরা।

আজ ২৪ জুন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে দর্শনা হল্ট ষ্টশনে সুন্দরবন ট্রেনটি পৌঁছালে দর্শনার সকল পর্যায়ের মানুষ ও ছাত্র-জনতা ট্রেনটি আড়াই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। এরপর সেনা বাহীনির ক্যাপ্টেন সৌমিক হাসান এক সপ্তাহের সময় নিয়ে দাবী বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।

প্রায় আড়াই ঘন্টা অবরোধের পর সুন্দরবন ট্রেনটি ৩টা ১৫ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবী না মানলে আগামী মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সারা দেশের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন অবরোধ করার ঘোষনা দিয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসী সহ ব্যবসায়ী মহল।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে দর্শনা হল্ট ষ্টেশনে সুন্দরবন ট্রেনটি পৌঁছালে অবরোধ করেন দর্শনাবাসী। এরপর রেল লাইনের উপর শত শত ছাত্র-জনতা এলাকার সকল পর্যায়ের লোকজন তাদের দাবী তুলে ধরে বলেন, ঢাকা ও খুলনার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রী বাহী সুন্দরবন ট্রেন দর্শনা হল্ট ষ্টেশনে আপে এবং চিত্রা ডাউনে স্টোপেজ দিতে হবে এবং দর্শনা আর্ন্তজাতিক ষ্টেশন থেকে রাজশাহী গামী সকালে ১টি একটি ট্রেন ও দর্শনা গোয়াল-লন্দ লোকাল শ্যাইটেল ট্রেনটি পোড়াদহ পর্যন্ত নয়, দর্শনা আর্ন্তজাতিক ষ্টেশন পর্যন্ত দিতে হবে।

এ দাবী নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে দর্শনাবাসী আন্দোলন করে আসছে। এ সকল দাবী নিয়ে আজ মঙ্গলবার সুন্দরবন ট্রেনটি অবরোধ করেন। এসময় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথী মিত্র ও দর্শনা থানার অফির্সাস ইনর্চাজ শহীদ তিতুমীর আবরোধ তুলে নিতে বার বার অনুরোধ করলেও আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা তাদের দাবীতে আনড় ছিলেন, যে দাবী না মানা পর্যন্ত ট্রেনটি ছাড়া হবে না। মুহুম মুহুর শ্লোগান দিতে থাকে এবং রেল পথের উপর বসে পড়ে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা তাদের দাবিতে অনড় থাকে।

সর্বশেষ সেনা বাহিনীর ক্যাপ্টেন সৌমিক হাসানের একটি টিম এসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা অনিক, রিফাত, দর্শনা পৌর বিএনপি প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুলের সাথে নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা ও ব্যবসায়ীদের কে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবী মানার প্রতিশ্রুতি দিলে ছাত্র-জনতা ও ব্যবসায়ীরা অবরোধ তুলে নেন।

আন্দোলন চলাকালিন বক্তব্য রাখেন, দর্শনা ডিএস মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শফিউদ্দিন, দর্শনা পৌর বিএনপি প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট দর্শনা পুরাতন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, আওয়াল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব মামুন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মধ্যে আবিদ হাসান রিফাত, তানভীর অনিক ও তৈহিদ ইসলাম। অবরোধ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটারের সাজ্জাদ হোসেন।




মেহেরপুরে তিন দিনব্যাপী আম মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় তিন দিনব্যাপী আম মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকেলে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ি প্রাঙ্গণে এ সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সামছুল আলম।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শায়খুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, কৃষি প্রকৌশলী সুবল চন্দ্র মণ্ডল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চায়না পারভিন, এআইও সাহাদুল ইসলাম এবং আম চাষি সাইদুর রহমান শাহীন প্রমুখ।

পরে আম মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টল মালিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এতে প্রথম স্থান অর্জন করে এস. আর. এগ্রো-এর সাইদুর রহমান, দ্বিতীয় স্থান লাভ করে মুজিবনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং তৃতীয় হয় মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।