ইরান-ইসরায়েলের সঙ্গে কারা যুদ্ধবিরতির জন্য যোগাযোগ করেছিল?

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে একটি টেলিফোনে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা আরো জানান, হোয়াইট হাউসের অন্য কর্মকর্তারা ইরানি পক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন— কেউ কেউ সরাসরি, আবার কেউ কেউ পরোক্ষভাবে।

কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল এমন একটি শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যার আওতায় ইরান নতুন করে কোনো আক্রমণ না চালালে ইসরায়েলও আর পাল্টা হামলায় যাবে না। ওই কর্মকর্তা বলেন, তেহরানও এই চুক্তির প্রতি সম্মান দেখানোর ও মেনে চলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

তিনি আরো বলেন, এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ অংশগ্রহণ করেছেন। ইরানের সঙ্গে এই সংলাপের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে বর্তমান উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং একটি স্থিতিশীল যুদ্ধবিরতির পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।

সূত্র : বিবিসি




ঝিনাইদহে দেশীয় ভেষজ উদ্ভিদের জৈব চাষাবাদ বিষয়ক কর্মশালা

উচ্চমূল্যের আমদানিনির্ভর ভেষজ উদ্ভিদের দেশীয় জৈব চাষাবাদে গুরুত্বারোপ করে ঝিনাইদহে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ফুড সাফারি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামা) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বামার কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক গবেষক ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুম মনিরা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ঔষধ পরিদর্শক ইকরামুল করিম, সেতু ড্রাগ ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহম্মদ আলী বিশ্বাস এবং বামার নির্বাহী সদস্য এ বি এম জাহাঙ্গীর। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন বামার বিভাগীয় প্রধান আকরাম হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে যে সব ভেষজ ওষুধ তৈরি হয় তার একটি বড় অংশের কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। অথচ দেশের উপযোগী জলবায়ুতে এসব ভেষজ উদ্ভিদের জৈব চাষাবাদ সম্ভব। কৃষি উদ্যোক্তাদের এ বিষয়ে সচেতন ও উৎসাহী করতে হবে। এতে একদিকে যেমন আমদানি নির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ওষুধ প্রস্তুতকারক, কৃষি উদ্যোক্তা ও ভেষজ গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন।




ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

৬ দফা দাবি আদায়ে ঝিনাইদহে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। ঘন্টা ব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে দাবি সম্বলিত ব্যানার, লিফলেট নিয়ে উপজেলার সকল স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেয়।

সেসময় হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাকিব, সাধারন সম্পাদক কাজল কুমারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তরা বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পর্যায়ে উন্নীত করে ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষনের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান ও ১১তম গ্রেডে বেতন স্কেল উন্নীত করাসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা হুশিয়ারি দেন তারা।




প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় ইউপি চেয়ারম্যান

প্যারোলে দুই ঘণ্টার মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন পাশা। আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এই সময়সীমায় তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।

চেয়ারম্যান পাশার মা গতকাল সোমবার (২৩ জুন) কুষ্টিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিষয়টি জানার পর তার পরিবার জেলা প্রশাসনের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করে। প্রশাসন আবেদন মঞ্জুর করলে মেহেরপুর কারাগার থেকে পুলিশ প্রহরায় পাশাকে তার নিজ গ্রাম মিনাপাড়ায় নেওয়া হয়।

মিনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মায়ের দাফন সম্পন্ন হয়। পরে আবারও কড়া প্রহরায় পাশাকে মেহেরপুর কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়।

জানাজায় এলাকার শত শত সাধারণ মানুষ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এলাকাবাসীর চোখে অশ্রু দেখা যায় এই সময়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগস্টের পরবর্তী সময়ে নাশকতার একটি মামলায় আনোয়ার হোসেন পাশা গ্রেপ্তার হন এবং বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলা কারাগারে বন্দি আছেন।




ভারতীয় পরিচালক শাকিব খানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ

একটা সময় বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমা আর টালিউড পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হতো। তার ঝুলিতে এখন পর্যন্ত ১৮ সিনেমা। এর মধ্যে দুটি বাংলাদেশের। বাকি ১৬টি সিনেমা সেই আমলে হিট। প্রায় প্রত্যেকটি সিনেমা ভালো বাণিজ্য করেছিল। জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় তখন তার সিনেমার একচেটিয়া নায়িকা। সেই পরিচালক ২০২২ সালের পর কলকাতাতেই নেই। নেই টালিউডেও। কোথায় গেলেন তিনি, আর কেনইবা গেলেন? এমন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন পরিচালক রাজীব বিশ্বাস।

সম্প্রতি সায়ন্তন ঘোষালের সিনেমা ‘রবীন্দ্র কাব্য রহস্য’র বিশেষ প্রদর্শনে এসেছিলেন রাজীব বিশ্বাস। কথা বলেছিলেন একটি গণমাধ্যমে। সেই সাক্ষাৎকারে পরিচালক বলেন, পরপর দুটি বড় বাজেটের সিনেমায় ব্যস্ত ছিলাম। ‘অপারেশন জ্যাকপট’ আর ‘চিতা’। দুটি কাজই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে। কবে শুরু হবে জানি না। আপাতত নিজের শহরেই ফিরে এলাম।

সেই সময়টা ছিল করোনাকাল। বাংলা সিনেমা প্রায় তৈরিই হচ্ছে না। হলেও তার ব্যবসায়িক সাফল্য তলানিতে। বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমার প্রথম সারির নায়ক দেব পর্যন্ত অন্যধারার সিনেমায় মন দিয়েছেন। তার এই বাঁকবদল চোখ খুলে দিয়েছিল রাজীবের। তিনি বলেন, দেখলাম, এতদিন যে বাজেটের সিনেমা বানিয়ে এসেছি, সেই মাপের সিনেমা বানানোর প্রযোজক নেই। সিনেমার পেছনে পয়সা ঢালতে ভয় পাচ্ছেন সবাই।

রাজীব বলেন, এ পরিবর্তন দেখেই বাংলাদেশে পা রাখেন তিনি। ২০১৮তে বড় হিট সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন। ‘নকাব’ সিনেমায় তার নায়ক শাকিব খান। সেই সাফল্যের ওপরে ভর করেই তিনি দুটি বড় সিনেমা তৈরির কাজ পেয়েছিলেন। একটা ‘অপারেশন জ্যাকপট’।

তিনি বলেন, এ সিনেমাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হবে। তদানীন্তন বাংলাদেশ সরকার ছিল সিনেমার প্রযোজক। সেই সিনেমায় আটজন নায়ক। টেকনিশিয়ান কলকাতার হলেও সব অভিনেতা বাংলার। ফ্রান্স, মুম্বাই আর বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ৭০ দিনের কাজ।

রাজীব বলেন, বাংলাদেশের শুটিং শেষ করার পরেই বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। ফলে ফ্রান্স আর মুম্বাইয়ের শুটিং এখনো বাকি। একইভাবে ‘চিতা’ সিনেমার কাজও মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যায়। এ সিনেমার নায়ক অনন্ত জলিল ও নায়িকা তার স্ত্রী বর্ষা।

এখন কি তাহলে বাংলাদেশে সিনেমা ও নাটক তৈরি হচ্ছে না?—এমন প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, হচ্ছে। কম হচ্ছে। একমাত্র শাকিব খান বাংলাদেশ বিনোদন দুনিয়াকে ধরে রেখেছেন। বাকিরা ওদের মতো করে সফল হতে পারছেন কই?

রাজীব বলেন, আগের সরকারের পতন ব্যবসায় প্রভাব ফেলেছে। অর্থনৈতিক কাঠামোয় প্রভাব পড়েছে। বিনোদন দুনিয়ায় সেভাবে লগ্নি হচ্ছে না। ভিসা সমস্যার কারণে বাংলার শিল্পীরাও ভারতে কাজ করতে আসতে পারছেন না।

পরিচালক রাজীব বিশ্বাস অবশ্য হাল ছাড়েননি। কলকাতায় তার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। ছোটপর্দা ও বড়পর্দা নিয়ে ছুৎতমার্গ নেই। তবে সিনেমার দিকেই মনোযোগ বেশি।

দেবের ‘খাদান’ হিট করায় ভরসা বেড়েছে। বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমার বাজার আবারও ফিরছে। অর্থাৎ আবার আগের মতো সিনেমা বানাতে পারব, রাজীবের দুচোখ নতুন স্বপ্নে বিভোর।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সনদ ও অর্থ আত্মসাতের তদন্ত 

মেহেরপুরের গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর বিরুদ্ধে ভুয়া শিক্ষাগত সনদ ও বয়স জালিয়াতি করে পদে বহাল থাকার অভিযোগসহ অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে দুদক কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলবুল আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় কলেজের বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখেন দুদক কর্মকর্তারা।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ পদে বহাল রয়েছেন। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত চালাতে কলেজে যায় দুদকের একটি দল। অভিযান চলাকালে অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী কলেজে উপস্থিত ছিলেন না। তবে অভিযানের সময় কলেজে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং অনেক শিক্ষক-কর্মচারী দুদক কর্মকর্তাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন বলে জানান তারা।

দুদকের সহকারী পরিচালক বুলবুল আহমেদ বলেন, “আমরা কমিশনের আদেশে গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজে অভিযান পরিচালনা করেছি। কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর বিরুদ্ধে জন্ম সনদ, সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও কলেজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অধ্যক্ষ ছুটিতে থাকায় আজ তাঁকে কলেজে পাইনি। তবে আমরা সমস্ত কাগজপত্র চেয়েছি। কিছু হিসাব চেয়েছি, যেগুলো তিনি দিতে পারেননি, পরে দিবেন বলে জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা মিলেছে। পরবর্তীতে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”




গাংনী জুড়ে বোমা আতঙ্ক!

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাবাসী এখন বোমা আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। ব্যবসায়ী ও ধনী শ্রেনীর মানুষের বাড়িতে একের পর এক বোমা চিরকুট ও কাফনের কাপড় রেখে হুমকী দেওয়ায় জনমনে তৈরী হয়েছে নতুন করে আতংক। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে, পুলিশ বলছে দূর্বৃত্তদের সনাক্তে কাজ করছে তারা।

সম্প্রতি গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের একটি দোকানের সামনে থেকে হাতবোমা ও টিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। চিরকুটে লেখা হয় ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ফিরে আসবে, আমরা চরগোয়াল গ্রামের মানুষ। আমরা নদীর এপার ওপার আছি বিএনপির একটি লোকও যেনো গ্রাম ছেড়ে পালাতে না পারে।’ এভাবেই হুমকী সংবলিত চিরকুট লাল কসটেপ মোড়ানো হাতবোমা রেখে যায় দূর্বৃত্তরা। পরে সেটি উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া গাংনী পৌর শহরের চৌগাছা গ্রামের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের বাড়ির গেটের সাথে দুটি বোমা, কাফনের কাপড়ও চিরকুট রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।

এছাড়া এলাঙ্গী গ্রামের সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুমনের বাড়িতে, গোপালনগরের বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামের দোকানের সামনে বোমা কাফনের কাপড় ও চিরকুট রেখে যায়। এভাবেই চাকরীজীবী ও ব্যবসায়ীদের বাড়িতে বোমা কাফনের কাপড় ও জিবন নাশের হুমকী সম্বলিত চিরকুট রেখে হুমকী দিচ্ছে। চিরকুটে তাদের সাথে যোগাযোগের জন্য দিচ্ছে মোবাইল নম্বর।

শুধু এসব ব্যক্তি নয়, উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গত চার মাসে প্রায় ১৪ টি হাতবোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে পুলিশ। যার অধিকাংশ বোমার সাথে চিরকুট ও কাফনের কাপড় উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় উপজেলাবাসির মাঝে নতুন করে তৈরী হয়েছে বোমা আতংক। এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ দক্ষিণ পশ্চিামাঞ্চলের মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সর্বত্রই ছিল সন্ত্রাস কবলিত। তৎকালিন সময়ে সন্ত্রাস দমণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৭ টি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩ টি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বোমা, কাফনের কাপড় এবং চিরকুট উদ্ধারের ঘটনায় আমরা আতংকিত হয়ে পড়েছি। পুলিশ আজো এসব ঘটনায় জড়িতদেরকে সনাক্ত ও আটক করতে পারেনি। চরগোয়াল গ্রামের বাসন্দারা জানান, বোমা ও চিরকুট আমাদের গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর সাথে জড়িতদের বের করে আইনের হাতে না দিলে আমার গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যাবে।
গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান্ আন্জুমান আরা বলেন, বিভিন্ন গ্রামের বোমা রাখছে দূর্বৃত্তরা। মানুষকে হুমাকি দিচ্ছে। এগুলিকে দ্রত দতন্ত আইনের আওতায় না আনলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হবে।

গাংনী পৌরসভার প্রথম মেয়র সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় নিহত আমিরুল ইসামের ছেলে গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন শাওন বলেন. আমার বাবাকে গাংনী বাজারে বোমা মেরে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। আমরা তার বিচার আজও পাইনি।

গাংনী বাজারের ব্যবসায়ী বকুল, সাবেক চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, মঙ্গল স্বর্নকারকে বোমা হামলায় হত্যা করেছিল সন্ত্রীনরা। বর্তমানে বোমা আতংক ছড়িয়েছে গাংনীতে। পুলিশ দ্রত তদন্ত করে দোষীদের আইনে সোপর্দ করতে হবে। তা না হলে গাংনী আবারও রক্তাক্ত জনপদে পরিনত হবে।

গাংনী থানা ওসি (তদন্ত) মো: আল মামুন-বলেন, বোমা সাদৃশ বেশ কয়েকটি বস্ত উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলি বোমা কিনা তা পরীক্ষা করে বোমাবাজ ও সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিত করতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।




বাংলাদেশে আজ চালু হচ্ছে গুগল পে, থাকছে যেসব সুবিধা

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’। আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সেবাটির উদ্বোধন করবেন।

গুগল, মাস্টারকার্ড ও ভিসার সহায়তায় সেবা চালু করছে সিটি ব্যাংক। এটি হতে যাচ্ছে গুগল পের সঙ্গে যুক্ত হওয়া দেশের প্রথম ব্যাংক।

প্রথম ধাপে শুধু সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড ও ভিসা কার্ডধারীরা তাদের কার্ড গুগল ওয়ালেটে যুক্ত করে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন। পরে অন্য ব্যাংকও যুক্ত হলে সে সুযোগ আরও প্রসারিত হবে।

গুগল পে ব্যবহার করে গ্রাহকেরা দেশে বা বিদেশে যে কোনো পয়েন্ট অব সেল (POS) টার্মিনালে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ট্যাপ করে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত এবং নিরাপদ লেনদেন করতে পারবেন। এতে আলাদা করে কার্ড বহনের প্রয়োজন হবে না।

সেবাটি ব্যবহারের জন্য গ্রাহকের একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থাকতে হবে এবং গুগল পে অ্যাপ ডাউনলোড করে সিটি ব্যাংকের কার্ড যুক্ত করতে হবে। এরপর যে কোনো দোকান বা রেস্তোরাঁয় স্মার্টফোন ট্যাপ করেই অর্থ পরিশোধ সম্ভব হবে।

গুগল পে লেনদেনে কোনো ফি নেয় না এবং কার্ডের মূল তথ্যের পরিবর্তে একটি ‘টোকেন’ ব্যবহার করে গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

সুত্র: জাগো নিউজ




দামুড়হুদায় চাঁদাবাজি মামলায় আটক-১

দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামে চাঁদাবাজি অভিযোগে সমুয়েল মন্ডল মোংলা নামের একজনকে ধরে পুলিশের নিকট সোপর্দ্য করেছে স্থানীয় জনগণ।

সমুয়েল মন্ডল মোংলা (৫০) কার্পাসডাঙ্গা মিশন পাড়ার মৃত-শান্তনা মন্ডলের ছেলে। আজ সোমবার সকাল ৯ টার দিকে অভিযোগ তুলে দামুড়হিদা মডেল থানার সোপর্দ্য করে স্থানীয়রা।

অভিযোগ সূত্র থেকে জানাযায়, গত ০৫/০১/২০২৪ ইং তারিখে কার্পাসডাঙ্গা মিশন পাড়ার মৃত-শান্তনা মন্ডলের ছেলে সমুয়েল মন্ডল মোংলাসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে বাঘাডাঙ্গা মিশন পাড়ার অনন্ত মন্ডলের ছেলে স্বপন মন্ডলকে কার্পাসডাঙ্গা হাইস্কুলের পিছনে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমার নিকট ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এক পর্যায়ে তার বাড়ির লোকজন আাসিয়া তাদেরকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে সে মুক্ত হয়।

পরবর্তীতে ২৩/০৬/২০২৫ ইং তারিখে সকাল অনুমান সাড়ে ৭ টার দিকে বাঘাডাঙ্গা গ্রামে স্বপন মন্ডল বসত বাড়িতে অবস্থান করাকালীন সময়ে কার্পাসডাঙ্গা মিশন পাড়ার সমুয়েল মন্ডল মোংলা এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ও তার এনআইডি কার্ড দিতে বলে। সে টাকা দিতে অসম্মতি প্রকাশ করিলে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ মারমুখী আচরন করিয়া সজোরে তার মুখে থাপ্পড় দিয়ে আহত করে।

ঐ সময় তারা উচ্চস্বরে বলিতে থাকে টাকা না দিলে তোকে এখানেই খুন করিয়া ফেলিবো বলিয়া আরো মারধর করিবার উদ্দেশ্যে পায়তারা করিতে থাকে। পরের স্থানীয়রা এসে তাকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ্য করে। এই মর্মের স্বপন বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।




দামুড়হুদায় আইন শৃঙ্খলা, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা

দামুড়হুদায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা, চোরাচালান, সন্ত্রাস ও নাশকতা, মানব পাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সভাকক্ষে কক্ষে এই মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা লীলিমা আক্তার হ্যাপী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা তোফাজ্জল হক, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজোহা পলাশ, দর্শনা থানা বিএনপি’র সমন্বয়কারী হাবিবুর রহমান বুলেট, উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর নায়েব আলী, সেক্রেটারী জেনারেল আবেদ-উদ-দৌলা টিটনসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজিবির ক্যাম্প কোম্পানির কমান্ডারবৃন্দ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

সভায় বক্তারা দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ছাত্রদের সন্ধ্যার পর পড়াশোনার টেবিলে না বসে অযথা বাইরে দোকান পাশারীতে ঘুরাঘুরি, রাতে বিভিন্ন অনৈতিক চিহ্নিত স্পটে বসে আড্ডা দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জুন ক্লোজিং এর নামে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত বিল কষে টাকা নেওয়া, উপজেলার ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান কেরু এন্ড কোং -এর শ্রমিক নির্বাচন না হওয়া এবং সীমান্ত এলাকায় মাদক ও স্বর্ণ চোরা চালান বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এবং উপরোক্ত সমস্যাবলী সমাধানকল্পে করণীয় সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধানদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।