ঝিনাইদহে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আইনজীবীকে প্রাণনাশের হুমকি!

ঝিনাইদহে জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঝিনাইদহ জজ আদালতের আইনজীবী আহমেদ ওয়াসিফ কামালকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভাই আহমেদ সাদাত কামাল। এঘটনায় অ্যাড.আহমেদ ওয়াসিফ কামাল হুমকী দাতা ভায়ের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার কুমিড়াদহ গ্রামের এবং ঝিনাইদহ আদর্শপাড়া বকুলতলার বাসিন্দা আহমেদ মাসুদ কামালের দুই ছেলে, এককন্যা ও স্ত্রী রেখে তিনি ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর আহমেদ মাসুদ কামালের বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আহমেদ সাদাত কামাল এবং ছোট্র ছেলে আইনজীবী আহমেদ ওয়াসিফ কামালের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় তাঁদের গ্রামের বাড়ির হাটফাজিলপুর বাজারের জমির দলিলের মালিকানা নিয়ে। আইনজীবী বাবা আহমেদ মাসুদ কামাল মৃত্যুর আগে ছোট ছেলে ওয়াসিফ কামাল ও কন্যা দিশা কামাল এই দুই ভাই-বোনের নামে বিপণি বিতানসহ ৮৫ শতক জমি লিখে দিয়ে যান । কিন্তু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডিআর অফিসের মহাফেজখানায় রাখা দলিলের একটি নাম ঘষামাজা দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভাই ও আইনজীবি ভাই মহাফেজখানায় রাখা দলিল ঘষামাজা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। আইনজীবী হিসেবে পিতা-পুত্রের যথেষ্ট সুনামও রয়েছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহাফেজখানার রাখা দলিলে ঘষামাজা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোজ নিয়ে যানা গেছে উক্ত ঘটনার বিষয়ে “তদন্তাধীন” আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞ আইনজীবী আহমেদ ওয়াসিফ কামাল বলেন, “আমাদের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ঢুকে গেছে তৃতীয় পক্ষ। এই তৃতীয় পক্ষই হলেন মামাতো ভাই তুষারদের পরিবার। আমার বিরুদ্ধে, মামাতো ভাইদের ছত্রছায়ায় সমাজে নানা অপবাদ, অপকর্ম, নানা ধরনের সামাজিক হেনস্থ, হুমকিসহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেকারনেই আমি ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।

আহমেদ ওয়াসিফ কামাল আরো বলেন, “আমাদের পিতা আমার ও আমার বোন এর নামে ২০১৫ সালে একটি দান দলিল করিয়া রাখিয়াছেন। পিতার মৃত্যুর পর বড় ভাই ঐ দান দলিল অস্বীকার করেন। বড় ভাই আহমেদ সাদাত কামাল অর্থ দিয়ে ঐ দান দলিল কে প্রশ্নবিদ্ধ করিবার কুমতলবে তুষার এর সাথে যোগসাজস করিয়া রেজস্ট্রি অফিস এর কর্মচারীদের হাত করিয়া বালাম বই নষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে ঘষামাজা করিতে পারেন। যাহাতে ঐ দলিল টি ভবিষ্যতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বর্তমানে রেজিষ্ট্রি অফিস তাহা তদন্ত করিতেছে। উক্ত ঘটনার তদন্ত কে ভিন্ন রাস্তায় প্রবাহিত করিবার জন্য এবং তাহার প্রকৃত উদ্দেশ্য এড়ানোর জন্য সংবাদ পত্রে মহাফেজখানায় দলিল ঘষামাজার বিষয়ে সাংবাদিক কে মিথ্যা তথ্যদিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করান তারা। যা প্রকৃত ঘটনা ও বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ন ও বিভ্রান্তিকর।

ইতোমধ্যে আমি ঝিনাইদহ সদর থানায় উক্ত বিষয় উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করিয়াছি। আমার উপর এই হুমকি শুধু একজন আইনজীবীকে নয় পুরা সমাজ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে চুপ থাকা অন্যায়ের সাথে আপোষ।”হুমকির কাছে মাথা নত নয়, আমরা চাই আইনের শাসন এবং ন্যায় বিচার।” মহাফেজখানায় দলিল ঘষামাজার বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। যে কারণে এ বিষয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে চাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে আহমেদ সাদাত কামালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনেটি বন্ধ পাওয়া যায়।




গাংনীতে স্বেচ্ছাশ্রমে মসজিদের ওযুখানার রাস্তা মেরামত জামায়াতের

মেহেরপুরের গাংনীতে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে দীর্ঘদিন অবহেলিত পড়ে থাকা একটি রাস্তা অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ওজুখানার যাতায়াতের এই রাস্তাটি দুই বছর ধরে সংস্কারবিহীন থাকায় মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগে ছিলেন।

শুক্রবার (২০ জুন) সকাল ৯টার দিকে জামায়াত নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে রাবিশ ও মাটি দিয়ে রাস্তার মেরামতের কাজ শুরু করেন। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী নাজমুল হুদা। এসময় গাংনী পৌর জামায়াতের আমীর আহসানুল হক, পৌর জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক জিল্লুর রহমানসহ জামায়াতের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিতি উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই বছর আগে গাংনী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ওজুখানাটি ভেঙে ফেলা হয়। একই সময়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে শুরু হয় ড্রেন নির্মাণ কাজ। কিন্তু উভয় প্রকল্পই দীর্ঘ সময় ধরে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় মসজিদের মুসল্লিদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বর্ষা মৌসুমে কাদায় পথ অচল হয়ে পড়ে, এমনকি ওজু করতেও সমস্যায় পড়েন মুসল্লিরা। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সমাধানে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

নিজ উদ্যোগে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করার বিষয়ে জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য ও এমপি প্রার্থী নাজমুল হুদা বলেন:“রাস্তা না থাকায় মসজিদের ওজুখানায় যাওয়া দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। বৃষ্টি হলে পা রাখা যেত না। সরকারি কোনো সাহায্য না পেয়ে আমরা নিজেরাই মাটি ও রাবিশ নিয়ে নেমে পড়েছি। আল্লাহর ঘরের জন্য আমরা নিজেরা এগিয়ে এসেছি।”

তিনি আরও বলেন,“শুধু অভিযোগ করে বসে থাকলে হবে না। জনগণের জন্য, ইসলামের জন্য কাজ করতেই আমরা রাজনীতি করি।”




মেহেরপুরকে মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি -মনির হায়দার

মেহেরপুর জেলা যেন বাংলাদেশে একটি মডেল হিসেবে গড়ে উঠতে পারে আমরা সকলের সহযোগিতা নিয়ে সে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

শুক্রবার সকাল ১১টায় মেহেরপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচন ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত একটি মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “চলতি সেশনেই মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। ” তিনি দ্রুত স্থান নির্ধারণ ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. বখতিয়ার উদ্দিন, জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিল খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মেজবাহ উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।




সাংবাদিক মাহাবুব চান্দুর মামলা খারিজ , উচ্চ আদালতে করবেন আপিল

মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইবুনাল আদালত।

বর্তমান সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কয়েকটি ধারা রেখে আইনটি বাতিল করায় আদালত মামলাটি খারিজ করেন। তবে মামলার বাদী উচ্চ আদালতে খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মমিনুন নেসা শুনানি শেষে মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার আদেশ দেন।

২০২৩ সালে মাহবুব চান্দু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮—এর ২৪/২৫(১)(ক)/২৫(১)(খ)/২৫(২)/২৯/৩১/৩৫ ধারায় মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাসিম বিল্লা মতু, সাইফুল বাহার স্বাধীন, মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিন, শামীম হাসান সোহাগ, তৌহিদুল ইসলাম লিওন, সৌমিক এবং এস. এম. মেহরাব হোসেনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

কিছুদিন আগে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা ব্যতিত আইনটি বাতিল করলে আদালত শুনানির পর মামলাটি খারিজ করে দেন।

মামলার বাদী মাহাবুব চান্দু বলেন, কোনো আইন বাতিল বা স্থগিত করা হলে পূর্বের মামলাগুলো চলমান থাকার কথা। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একটা অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা বাতিল করেছে। আমার মামলার অভিযোগ ইতোমধ্যে পিবিআই কুষ্টিয়া তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তা স্বত্বেও মামলাটি কি কারণে বাতিল হলো সেটি জানতেই উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবো।




গাংনীর তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজে বিদায় অনুষ্ঠান

গাংনীর তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কলেজ হলরুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক জাবলুন্নবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল আলম বকুল, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নুরুল ইসলাম, জেটিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোনা, কলেজের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল হক, রেজাউল ইসলাম, মাহবুবুল ইসলাম তুহিন, মিরপুর নিমতলা কলেজের প্রভাষক কামরুল ইসলাম, বামুন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আলী এবং বিএনপি নেতা ইয়াছিন আলী।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও তাদের অনুভূতি প্রকাশ করা হয়। অত্যন্ত চমৎকার পরিবেশে বিদায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুলফিকার আলী ভুট্টো শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলো এবং দেশের কল্যাণে কাজ করো। শুধু সনদনির্ভর শিক্ষা নয়, সত্যিকারের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এটি কোনো বিদায় নয়, বরং উচ্চশিক্ষার পথচলার একটি নতুন সূচনা। আগামী ২৬ তারিখ অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় তোমাদের সকলের জন্য রইল শুভকামনা।”




মুজিবনগরে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার

মুজিবনগরে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন এবং গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ, মেহেরপুর সিডিপি-এর আয়োজনে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-এর তত্ত্বাবধানে এই সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিএসআইআর-এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অজয় কান্তি মন্ডল এবং মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল।

ফিতা কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর অতিথিবৃন্দ প্রদর্শনীতে স্থাপিত বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

পরবর্তী সময়ে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডলের সভাপতিত্বে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. অজয় কান্তি মন্ডল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুন উদ্দিন আল আজাদ, মুজিবনগর প্রেসক্লাব সভাপতি মুন্সি ওমর ফারুক প্রিন্স, গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি ম্যানেজার বিপুল রেমা এবং প্রোগ্রাম অফিসার রাসেল শেখ।

প্রদর্শনীতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ করে বিজ্ঞানভিত্তিক আবিষ্কার উপস্থাপন করে প্রথম স্থান অর্জন করে মুজিবনগর আম্রকানুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শিবপুর, এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে বাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

সেমিনার শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।




চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালিত

“স্বপ্নের ডানায় ভর করি, শিশুশ্রমের শৃঙ্খল ছিঁড়ি; এগিয়ে চলি দীপ্ত পায়ে, আশার আগুন বুকে জ্বালি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, কুষ্টিয়ার আয়োজনে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দিবসটি উদযাপন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আমরা যদি তাদের রক্ষা করতে না পারি, তবে দেশকেও রক্ষা করা সম্ভব হবে না। শিশুশ্রম প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিশুশ্রম একটি মারাত্মক সামাজিক সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সরকারসহ বিভিন্ন এনজিও ও সংগঠন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অভিভাবকদের হতে হবে আরও সচেতন, পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান শ্রেণীকেও শিশুদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং শিশুশ্রম রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”




চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্রসহ ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী

চুয়াডাঙ্গায় একটি আগ্নেয়াস্ত্রের অংশবিশেষ ও ১৮টি দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রদল নেতা নাজমুল আরেফিন কিরণ (৩৪) কে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোরে অভিযান চালিয়ে পৌর এলাকার গুলশানপাড়ার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক নাজমুল আরেফিন কিরণ শহরের গুলশানপাড়ার মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

চুয়াডাঙ্গা সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে নাজমুল আরেফিন কিরণের গুলশানপাড়ার বাড়িতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তার বাড়ির বিভিন্ন স্থান থেকে একটি থ্রি-নট-থ্রি রাইফেলের অংশবিশেষ, ১৮টি দেশীয় অস্ত্র যার মধ্যে রয়েছে ৩টি চাপাতি, ৬টি বড় ছুরি, ৩টি রামদা, ৬টি তরবারি, এছাড়াও একটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা বলেন, “জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আরেফিন কিরণকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক করা হয়েছে বলে শুনেছি।”

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, সেনাবাহিনী আটক নাজমুল আরেফিনকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।




মুজিবনগরে তিন দিনব্যাপী ফল মেলা উদ্বোধন

“দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিবনগরে তিন দিনব্যাপী ফল মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত চলবে এই ফল মেলা। মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসি ওমর ফারুক প্রিন্স এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান।

ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধনের পর ইউএনও পলাশ মন্ডল অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

মেলায় ৪টি স্টলে আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, ড্রাগন, লেবু, তাল, কামরাঙ্গা, খেজুর, জামরুল, পেঁপে, গাব, আঁশফল, মালটা ও পেয়ারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ফল প্রদর্শিত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করা এবং জনগণের মধ্যে দেশি ফলের গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।




ঝিনাইদহে ৩ দিন ব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন

‘দেশী ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে ৩ দিন ব্যাপী জাতীয় ফল মেলা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মঞ্জুর মোর্শেদ, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: এ এস এম আতিকুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ নবী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সেলিম রেজা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ মেলায় ৫ টি স্টল প্রদর্শণ করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশত প্রকার দেশীয় ফল ও ফল আবাদের উন্নত প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে মেলায়।

আগামী ২১ জুন শেষ হবে এ মেলা। দেশীয় ফলের উৎপাদন ও ভোক্তা সচেতনতা বাড়াতে এ ধরণের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।