পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প নিয়ে জটিল প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

মাটি যখন কারো না, সেখানে ভবন কীভাবে কারো হবে? মেহেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে সামান্য দূরে পন্ডের ঘাট এলাকায় গড়ে উঠছে একটি নতুন ভবনের স্বপ্ন। সে স্বপ্নের গায়ে লেগে আছে নিয়ম ভাঙার কালি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিশাল এক ভবন নির্মাণ প্রকল্পে দরপত্র আহ্বান করেছে যে জমির মালিকানাই এখনো সরকারের হাতে নেই। একটি স্থাপনা দাঁড়ায় যে জমির উপর, তার মালিকানা না নিশ্চিত করেই যেখানে ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি, এ যেন বালির উপর প্রাসাদ গড়ার মতো।

গ্রীষ্মের ধুলাঝরা বিকেলে যখন মাঠের পর মাঠ পেরিয়ে একটুকরো জমির ওপর দাঁড়ানো হয়, তখন বোঝা যায়- এটা কেবল একখণ্ড ভূমি নয়; এটা একজন মানুষের জীবনভিত্তি, উত্তরাধিকার, প্রজন্মের আশা। এই জমির মালিক মো. আশরাফুল হক বলছেন, ‘শহরের উপকন্ঠে বামনপাড়া মৌজায় ২৩২২ ও ২৩২৩ দাগের একবিঘা জমি অধিগ্রহণ করেন। আমার জমির বাজারমূল্য তিন কোটি টাকা। সরকার আমাকে দিচ্ছে মাত্র ১ কোটি ৬ লাখ। দলিল হয়নি, অধিগ্রহণও সম্পন্ন নয়- তবু দরপত্র আহ্বান! এটা তো আইনের অপমান।”

তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন এবং উচ্চ আদালত সেখানে স্থগিতাদেশ দেন। অথচ প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও প্রকল্প বাস্তবায়নের তাড়া যেন আদালতের আদেশকেও বিব্রত করে।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘মো. ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স’ ইতোমধ্যে পেয়েছে কাজের দায়িত্ব। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে চলতি মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত। ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে, হাতে আছে মাত্র চোদ্দ দিন।একটি সরকারি দপ্তরের ভিত গড়তে গিয়ে যখন ন্যায়বিচারকে পাশ কাটিয়ে এগোনো হয়, তখন শুধু একটা ভবন নয়- আস্থা, আইন এবং গণতন্ত্রের ভিত্তিও ক্ষয়ে যেতে থাকে।

ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, “জমি ক্রেতারা সাধারণত বিক্রেতার সাথে যেদামে ক্রয় চুক্তি করেন তার থেকে কমদামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন। ফলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে যেমন বঞ্চিত হয়। তেমনি সরকার জমি অধিগ্রহণকালে রাস্ট্রিয় প্রয়োজনে জমি কেনা বেচায় জমির দাম না মেলাতে মামলা মোকদ্দমা বাড়ছে। ফলত, সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জনসাধারণও পড়ে হয়রানির মধ্যে।”

জেলা প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “জমির দাম নিয়ে আপত্তি থাকলে তা আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান করা উচিত। কিন্তু দলিল সম্পন্ন না করে দরপত্র আহ্বান করা হলে সেটি প্রশাসনিক ও নৈতিক দুই দিক থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ।”

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হান্নান প্রধান বলেন,“জমি অধিগ্রহণ ও রেজিস্ট্রি শেষ না করে ভবনের দরপত্র ডাকা ঠিক হয়নি, স্বীকার করি। বিষয়টি প্রশাসনিক আলোচনায় রয়েছে।”

স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। কেউ বলছেন, “আইনি জটিলতা নিয়ে শুরু হওয়া ভবন কখনো টেকসই হয় না,” কেউ বা বলছেন, “ব্যক্তি মালিকানার জমি দখল করে উন্নয়ন নয়, এটা তো অন্যায্য দখলদারি।”

বিশিষ্ট এক সমাজকর্মী বলেন,“সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পকে আমরা স্বাগত জানাই, কিন্তু তা যেন হয় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের ভিতরে। জমির ন্যায্য দাম না দিলে ভবিষ্যতে ক্ষোভ জন্ম নেবে, যা কোনো ভবনের ভিত্তির চেয়েও বিপজ্জনক।”

এই ঘটনা কেবল একটি জমি নিয়ে নয়, এটি একটি নৈতিক সংকট, একটি প্রশাসনিক গাফিলতির প্রতিচ্ছবি।যেখানে নিয়মের চেয়ে ‘তাড়াহুড়ো’র মূল্য বেশি, সেখানে ন্যায় ও উন্নয়ন সমান্তরালভাবে চলতে পারে না। প্রকল্প হয়তো শেষ হবে সময়মতো, ভবন উঠেও দাঁড়াবে, কিন্তু তার নিচে যে জমিটি এখনো ব্যক্তি মালিকানায়। ফলে সংকট হয়তো আরও গভীর ক্ষত রেখে যাবে সমাজে।




সভাপতি সাইফুল ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ নিবার্চিত

চুয়াডাঙ্গা আন্তঃ জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী দর্শনা শাখার শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছে। এ নির্বাচনে সাইফুল ইসলাম সভাপতি ও আবু সাঈদ সাধারণ সম্পাদক নিবার্চিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা আন্তঃ জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী দর্শনা শাখার শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখোর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিবার্চনকে ঘিরে দর্শনা শহর ছিলো নিবার্চনী উৎসবমুখোর। ১৩টি পদের অনুকুলে ২৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ২৬১টি জন ভোটার বিভিন্ন পদে তাদের ভোট প্রদান করেন। বাকি ১৭ জন ভোটার বাইরে থাকার কারণে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। ২২ জন প্রার্থীকে ২৬১ জন ভোটার তাদের ভোট দিয়ে সভাপতি পদে সাইফুল ইসলাম (বাই-সাইকেল) মার্কায় ১৩৭ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রার্থী ইসরাইল হোসেন (হাঁতুড়ি) মার্কায় ৮৬ ভোট পেয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে মধ্যে হুমায়ন কবীর (মাছ) মাকার্য় ১৪৭ ভোট পেয়ে এবং মোশারেফ জোয়াদ্দার্র (হাতি) মার্কায় ১৩১ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। তাদের নিকটতম প্রার্থী কাজল আহম্মেদ আব্বাস ৮৫ ভোট পেয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে আবু সাঈদ (ট্রাক) মার্কায় ১১৫ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রার্থী মুজিবুল আলম (কুঁড়েঘর) মার্কায় ৬৬ ভোট পেয়েছে ।

যুগ্ম সম্পাদক পদে ২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এর মধ্যে ইকবাল হোসেন শিপন দোয়াত কলম) মার্কায় ১৭৯ সবর্বচ ১৭৯ ভোট পেযৈ নিবার্চিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রাথী আবু সাঈদ (রিক্র) মার্কায় ৪৪ ভোট পেয়েছে। সহ-সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থীর মধ্যে মোঃ আসলাম (ফুটবল) মার্কায় ১৫৮ ভোট পেয়ে নিবাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রার্থী আনারুল ইসলাম (মই) মাকার্য় ৫৯ ভোট পেয়েছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থীর মধ্যে আব্দুল জলিল (গোলাপফুল) মার্কায় ১৬৬ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। অপর প্রার্থী ফিরোজ আলী (মোটর সাইকেল) মাকার্য় ৬৩ ভোট পেয়েছে। প্রচার সম্পাদক পদে ১ জন সানোয়ার হোসেন (মাইক) মার্কায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে। কোষাধ্যক্ষ পদে ২জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন্, এর মধ্যে শ্রী পার্থ প্রতিম শিকদার (মোবাইল) মার্কায় ১৭২ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রার্থী ফেরদৌস হোসেন (কলস) মার্কায় ৫৪ ভোট পেয়েছে।

এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় ৪ জন কার্যকরী সদস্য পদে শাহিন আলম (রকি) (মোরগ), সাহেব আলী (হুইলরেঞ্জ), জীবন হোসেন (টুপি) ও নাজমুল হোসেন (টিউবয়েল) মার্কা নিয়ে ভোটে অংশ নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে বলে জানান, নিবার্চন পরিচালনা কমিটির প্রধান আনোয়ার হোসেন।

এছাড়া নিবার্চন পরিচালনা কমিটির প্রধান আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আমার নিবার্চন পরিচালনা কমিটির দুইজন সদস্য হাজী লিটন ও আব্দুল লতিফকে সাথে নিয়ে উৎসব মুখোর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিবার্চন সম্পূর্ণ হয়েছে।

এছাড়া সুষ্ঠ পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেছেন। আমি অত্যান্ত খুশি ও আনন্দিত। ট্রাক ও ট্যাংকলরী দর্শনা শাখার শ্রমিক ইউনিয়নের সকল শ্রমিক আমার নিবার্চন পরিচালনায় সহযোগিতা করায় তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানায়।




জীবননগরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অর্থ সহায়তা প্রদান

জামায়াতে ইসলামী জীবননগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে সম্প্রতি জীবননগর কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ জন ব্যবসায়ীর মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ৩টায় জীবননগর কাঁচাবাজার প্রাঙ্গণে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে এই অর্থ সহায়তা তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা তালিমুল কুরআন শিক্ষা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন, জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক জিয়াউল হক, জেলা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা ইসরাইল হোসেন, জেলা মজলিসুল মুফাসসিরিন পরিষদের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, জেলা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক খলিলুর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান, নায়েবে আমীর হাফেজ বিল্লাল হোসেন, উপজেলা সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর, মাওলানা সাইদুল হক, আইটি সম্পাদক হারুন অর রশীদ, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাজেদুর রহমান লিটন, পৌর আমীর মাওলানা ফিরোজ হোসেন, পৌর সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল এবং পৌর যুব সভাপতি আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার প্রমুখ।




পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেকের উচিত অন্তত ১০টি করে গাছ রোপণ করা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উদ্যোগে এক হাজার বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার বিকেল ৪টায় জীবননগর উপজেলায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল আমীন বলেন, “চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণের একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ জীবননগর উপজেলা ও পৌর জামায়াতের মাধ্যমে ১ হাজার চারা বিতরণ করা হলো।”

তিনি আরও বলেন, “জামায়াতে ইসলামী শুধুমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকে না, বরং মানুষের কল্যাণকেই অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করে। বর্তমানে পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। আষাঢ়ে বৃষ্টি নেই, শীতকালে শীত নেই, গ্রীষ্মকালে তীব্র তাপদাহ। এই অবস্থায় বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তুলতে বেশি বেশি গাছ লাগানো অপরিহার্য।”

রুহুল আমীন বলেন, “আমরা গাছ কাটব, এতে সমস্যা নেই; তবে একটি গাছ কাটলে কমপক্ষে ১০টি গাছ লাগানো আমাদের দায়িত্ব। নিজেদের আঙিনা, জমি কিংবা বাসস্থানেই গাছ লাগিয়ে আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য একটি জেলা গড়ে তুলতে পারি। জামায়াতে ইসলামী সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আজকের এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা তালিমুল কুরআন শিক্ষা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন, জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক জিয়াউল হক, জেলা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা ইসরাইল হোসেন, জেলা মাজলিসুল মুফাসসিরিন পরিষদের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, জেলা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক খলিলুর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান, নায়েবে আমীর হাফেজ বিল্লাল হোসেন, উপজেলা সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাজেদুর রহমান লিটন, পৌর সভাপতি আরিফ হোসেন, জামায়াত নেতা হাফেজ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।




উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবী রাশেদ খানের

এপিএস এত দুর্নীতি করল আর আমাদের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া তিনি কিছুই জানতেন না? আমি সরকারের কাছে দাবী রাখতে চায় যেমনি ভাবে তদন্ত হচ্ছে এপিএস মোয়াজ্জেমকে নিয়ে ঠিকই একই ভাবে আসিফ মাহমুদের মন্ত্রনালয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধেও তদন্ত হতে হবে।

বুধবার (১১জুন) সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ দাবী করেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি আরও দাবী করেন, শুধু তিনিই নন। প্রত্যেকটা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তদন্ত হতে হবে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকার গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, এ সরকার একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা গ্রহণযোগ্য না। একক এই সিন্ধান্ত স্বৈরাচার শৈখ হাসিনার আচরণকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে উপদেষ্টারা আমলে না নিয়ে এপ্রিলে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। এই সরকার ব্যর্থ হলে, জাতি তাদের ক্ষমা করবে না। আমরা এই সরকারের সমালোচনা করেছি, উপদেষ্টাদের কাজের সমালোচনা করেছি। আমরা একটি বারের জন্যও প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি। কিন্তু দেশবাসী প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের নাটক দেখেছে।

আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঘোষণার মাঝে ১/১১ এর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

তিনি বলেছেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের নতুন প্রস্তাবে রয়েছে, ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে ওইসব আসন ও কেন্দ্রে পুনরায় ভোট হবে। এপ্রিল মাস গরমের মাস। ওই সময় দেশের মানুষ ফসল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এপ্রিলে নির্বাচন হলে স্বাভাবিক ভাবেই ভোটার উপস্থিতি কম হবে। এভাবে ৪০ শতাংশের কম ভোট দেখাতে পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়ে যাবে। আমরা বলতে চাই, দেশে ১/১১ নতুন করে অ্যাকটিভ করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশে নতুন করে ভিন্ন কৌশলে ১/১১ বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে।

সরকার শেখ পরিবারের কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক সন্ত্রাসীরা প্রধান উপদেষ্টা সহ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের নিয়ে অপপ্রচার ও হুমকি-ধামিক দিচ্ছে। আমার প্রশ্ন হলো- আওয়ামী লীগের এসব অপরাধী, শেখ পরিবারের সদস্য ও বিতর্কিত নির্বাচনে কথিত এমপিরা কিভাবে দেশ ছেড়ে পালালো? কারা তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করল? এই সরকারকে সেই হিসেব দিতেই হবে। সরকারের উপদেষ্টারা আওয়ামী লীগের পলাতক এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ দলী নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে প্রাণ গেলো স্কুল ছাত্রীর

পরিবারের অজ্ঞতায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেলো ঝিনাইদহের আরও এক স্কুল ছাত্রীর।

বুধবার (১১জুন) রাতে সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের পাকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ওই কিশোরী রাবেয়া খাতুন (১৫) ওই গ্রামের আব্দুল্লাহ হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।

স্বজনরা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নিজ ঘরে সাপে ছোবল দেয়। প্রথমে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় ওঝার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে আবারো ওঝার কাছে নিতে গেলে পথে তার মৃত্যু হয়।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মেফতাহুল জান্নাত বলেন, সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা আমাদের না জানিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে। পথে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আবার ফেরত আনলে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পায়।




মেহেরপুরের পিরোজপুর ও আমদহে এনসিপির গণসংযোগ

মেহেরপুরে বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে সদর উপজেলায় তৃতীয় দিনের মতো জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সদর উপজেলার পিরোজপুর ও আমদহ ইউনিয়নে এ গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই গণসংযোগে অংশ নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা। এসময় এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পথসভায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বেকারত্ব দূরীকরণ, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, এবং সকলের জন্য বৈষম্যহীন অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ও সুদূরপ্রসারী উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়।




মেহেরপুরে যুবককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়নের শিংহাটি গ্রামের পূর্বপাড়ায় যুবক হারুনুর রশিদকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর ২ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহত হারুনুর রশিদ শিংহাটি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে।

হারুনুর রশিদ জানান, “আমাদের বাসার সামনের জমিতে তারা ঘেরা ঘেরি শুরু করে দেয়। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে পিছন থেকে শাবল দিয়ে আঘাত করে। পরে আরো তিন-চার জন মিলে আমাকে এবং আমার দুজন প্রতিবন্ধী ভাইকে মারতে থাকে।”

বর্তমানে হারুনুর রশিদ মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।




করোনা সতর্কতা : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ নির্দেশনা

প্রতিবেশী ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশেও সতর্কতা জোরদার করেছে সরকার। এমন অবস্থায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে পাঁচ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে বলেন, করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয় মানার কথাও বলা হয়েছে।

সেগুলো হচ্ছে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া। এ ছাড়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা। যদি কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকে, তবে তার থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।

হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায়ও বলা হয়েছে, দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গুরুতর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মুজিবনগর সীমান্তে ১২ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত দিয়ে ১২ জন বাংলাদেশি পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ৯৭/১ সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে তাদের পুশ ইন করে বিএসএফ। পরে বিজিবি খবর পেয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে মুজিবনগর থানা পুলিশকে হস্তান্তর করে।

পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার ফুলমতি গ্রামের রহমত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২), জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী শাহাজাদী খাতুন (৩০), ছেলে মিরাজ আলী (১৫), একই থানার কবুরামাবুদ গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের স্ত্রী লাভলী খাতুন (৪২), ছেলে হাছেন আলী (২০), বাবুল হোসেন (২৪), বাবুল হোসেনের স্ত্রী জেনমিন খাতুন (২০), ছেলে জহিদ হোসেন (৩), জাকির হোসেন (১), হাছেন আলীর স্ত্রী জান্নাতী খাতুন (১৮), ১০ দিন বয়সী মেয়ে হাসিনা খাতুন, শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন হোসেন (২৫)।

পুলিশ জানায়, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের কেউ ১০ বছর আগে, কেউ ১৫ বছর আগে ভারতে গিয়েছিল। তারা বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশি বলে দাবি করছে। আমরা তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করেছি। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, এছাড়া পুশ ইন বিষয়ে আমরা রাঙ্গেরপোতা ১৬১ বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দিয়েছি