চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের ইন্তেকাল

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ইন্তেকাল করেছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।




মহাজনপুর ইউপির সাবেক মেম্বার আব্দুর রশিদ আর নেই

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নিজ গ্রাম গোপালপুর ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মুত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে , এক মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন।

সাবেক মেম্বার আব্দুর রশিদের জানাযায় মেহেরপুর -১ আসনের সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. কামরুল হাসান, যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আনছারুল হকসহ বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।

প্রয়াত আব্দুর রশিদ ১৯৭৮ সালে মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদে ১ম বারের মত সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মেহেরপুর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এবং মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক বারের নির্বাচিত সদস্য মেহেদী হাসান রোকনের পিতা।




সিঙ্গাপুর ফেরত যুবকের মালামাল লুট: মেহেরপুরে ৫ ডাকাত গ্রেফতার

সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরা এক প্রবাসীর মালামাল লুটের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মেহেরপুরে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডাকাতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত বিদেশি পণ্য ও মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১১ জুন রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা-আশরাফপুর কড়ইতলা সড়কে অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফেরার সময় সিঙ্গাপুরফেরত মো. ইউসুফ আলী (২০) এবং তার নানা মো. রেজাউল হক ইজারুল (৫৭) ডাকাতদের কবলে পড়েন। ৬-৭ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ইউসুফের কাছে থাকা সিঙ্গাপুরের ৬৭ ডলার, তিনটি মোবাইল ফোন, চার্জার লাইট, বিদেশি চকলেট, সাবান, শ্যাম্পু, বডি স্প্রে, পেইন রিলিফ মলম, টুথপেস্ট ও সিটি গোল্ডের একটি নেকলেস লুট করে।
এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় মামলা রুজু হলে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালায়। পরদিন ১২ জুন সদর ও মুজিবনগর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন: মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে বাবু ওরফে বাবুল(৪০), জামিরুল (২৬), মৃত মকছেদ মন্ডলের ছেলে বাবুল (৫১), সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের খোকন পাইকের ছেলে দিপন পাইক (৩৫), নুরপুর গ্রামের রুবেলের ছেলে মোঃ রাব্বী (২০)।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি রেডমি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, তিনটি সাবান, দুইটি ডাভ শ্যাম্পু, তিন প্যাকেট চকলেট, দুটি বডি স্প্রে, তিনটি ব্যথানাশক মলম, একটি টুথপেস্ট, একটি ফেসওয়াশ, একটি চার্জার লাইট ও একটি সিটি গোল্ড নেকলেস।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতার বাবু ওরফে বাবুলের বিরুদ্ধে চোরাচালান, নারী নির্যাতন, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও গুরুতর জখমসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে। দিপন পাইকের বিরুদ্ধে মাদক, দস্যুতা ও চুরির ৩টি এবং জামিরুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ও ডাকাতির প্রস্তুতির ২টি মামলা রয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এ ঘটনায় অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




মুজিবনগর উপজেলা কৃষকদলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের অগ্রযাত্রায় গণ-মানুষের অবিসংবাদিত দল বিএনপি’র নির্বাচনের যৌক্তিক দাবিকে সমর্থন জানিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করেছে মুজিবনগর উপজেলা কৃষকদল।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার সময় মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স পর্যটন হোটেলে এ ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মুজিবনগর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরমান আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তেব্যে শফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি কৃষক বান্ধব দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলার কৃষকদের উন্নয়নের জন্য জাতিয়তাবাদী কৃষকদল গঠন করে। জন্ম লগ্ন থেকেই জাতীয়তাবাদী কৃষক দল বাংলাদেশের কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ১৭ টি বছর আমরা নির্যাতিত হয়েছি। শান্তি মত পরিবার নিয়ে বাড়িতে ঘুমাতে পারি নাই স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারি নাই। রাস্তায় ঠিকমতো বের হতে পারি নাই। সব সময় ভয়ে থাকতাম কখন পুলিশ আমাদের ধরে নিয়ে যাবে। কখন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের তুলে নিয়ে যাবে।

৫ আগস্টের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ১৭ বছরের নির্যাতনকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়েছে। আমরা পেয়েছি নতুন স্বাধীনতা। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমাদের নেতাকর্মীদের যে সকল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানী করেছে আমরা তাদের কড়ায় গুন্ডায় হিসাব নেবো।

মুজিবনগর উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক কুন্নুত আলীর সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মেহেরপুর জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ উদ্দীন, যুগ্ম সম্পাদক মকবুল, সহসভাপতি লিয়াকত, মুজিবনগর উপজেলা কৃষকদলের সহসভাপতি রমজান আলী, উপজেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।

এ সময় কৃষকদলের মুজিবনগর উপজেলাসহ ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে রহিত আলী মন্ডল কে সভাপতি এবং জাকির হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক করে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন জাতিয়তাবাদী কৃষকদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়।




জনতার কণ্ঠস্বরের মুখোশে চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইল!

লন্ডন প্রবাসী শহিদুল ইসলাম শাহিন। বাড়ি মেহেরপুরের মল্লিক পাড়ায়। স্থানীয়ভাবে তিনি শাহিন খরা বলে পরিচিত। গত এক বছর ধরে ফেসবুক লাইভে বলিষ্ঠ কণ্ঠে উপস্থিত হয়ে আলোচনায় আসেন এই প্রবাসী।

আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে দুর্নীতি বিরোধী বক্তব্য, কড়া সমালোচনা, আর রাজনৈতিক নেতাদের একের পর এক এক্সপোজে নিজেকে তুলে ধরেন জনতার কণ্ঠস্বর হিসেবে। তবে এবার তার বিরুদ্ধেই উঠেছে ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির মত ভয়ানক অভিযোগ।

মুখে জুয়া বিরোধী, পেছনে ডলার বাণিজ্য!

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে শহিদুল ইসলামের পরিচিতি বাড়তে থাকে রাজনৈতিক লাইভ ও কড়া সমালোচনার মাধ্যমে। রাজনৈতিক নেতাকর্মী, গণমাধ্যম কর্মী, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, আদালতের বিচারক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার, এমনকি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি বিশিষ্ট সাংবাদিক মনির হায়দার কেউ বাদ পড়েননি তার খিস্তিখেউড়ের তালিকা থেকে।

তবে তার প্রকৃত পরিচয় সামনে আসে অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে মহৎ সামাজিক যুদ্ধের আড়ালে। বিভিন্ন সূত্র জানায়, শহিদুল ইসলাম শাহিন জুয়াড়িদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ তৈরি করেন এবং পরে তাদের ফোন দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করতে থাকেন।

সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেলে জমা পড়া স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, শহিদুল ইসলাম কারও কাছ থেকে তিন হাজার ডলার, কারও কাছ থেকে পাঁচ হাজার ডলার দাবি করেছেন ‘ ডলার দও অথবা জুয়া বন্ধ করবা, নইলে সেনাবাহিনী দিয়ে তুলে নেব’ এমন হুমকিও উঠে এসেছে কথোপকথনে। স্ক্রিনশট গুলি জেনুইন বলে নিশ্চিত করেছে মেহেরপুরের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট।

ছিল জনসমর্থন, এখন প্রশ্নের মুখে গ্রহণযোগ্যতা

মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার ভূমিকায় অনেকেই শহিদুলকে সমর্থন দিতেন। তার মাধ্যমে স্থানীয় চক্রের তথ্য ফাঁস হবে, এমন প্রত্যাশাও ছিল অনেকের। কিন্তু এখন প্রমাণসহ অভিযোগ আসার পর সাধারণ মানুষ বলছে, “যাকে আমরা দেখছিলাম রক্ষক, সে-ই এখন ভক্ষক!”

দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এবার মিলেছে প্রমাণ

শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ একদিনের নয়। স্থানীয় অনেকেই বলছেন, আগে এসব বলার সাহস ছিল না। কেউ প্রমাণও রাখতে পারেননি। তিনি মূলত ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে তাদের আওয়ামী লীগ ট্যাগ দেওয়া এবং মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে আক্রমণ শুরু করেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না ওই ব্যক্তির সঙ্গে গোপন কোন সমঝোতা হয় ততক্ষণ তিনি তার আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপর হঠাৎ পূর্বের পোস্ট গুলো ডিলিট করে দেন। এভাবেই চলে আসছিল কয়েক মাস। এমনকি খুলনার রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক তার বড় ভাইয়ের বন্ধু এমন দাবি করে পুলিশ কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন মহলে হুমকি প্রদানের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তবে এবার মেহেরপুর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে জমা পড়েছে অসংখ্য স্ক্রিনশট, কললগ এবং ভয়েস রেকর্ডিং যা তাকে রক্ষা করার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে বলেই মত সংশ্লিষ্টদের।

মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ওসি গোপাল কুমার কর্মকার বলেন, ‘শহিদুল ইসলাম শাহিনের বিরুদ্ধে হুমকি প্রদান, ব্ল্যাকমেইল এবং চাঁদাবাজির একাধিক লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ আমাদের দপ্তরে জমা পড়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কল রেকর্ড এবং হুমকিমূলক মেসেজের স্ক্রিনশট সাইবার ক্রাইম বিভাগে জমা দিয়েছেন, যা বর্তমানে যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। এছাড়া গৃহীত ব্যবস্থা ও পদক্ষেপের বিস্তারিত অনুলিপি যথাযত কতৃপক্ষ/সংস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে, যাতে বিষয়টির সঠিক প্রতিফলন ঘটে।”

তবে এ বিষয়ে লন্ডন প্রবাসী শহিদুল ইসলাম শাহিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কে অভিযোগ দিয়েছে সেটা আগে খুঁজে বের করি। আর যে অভিযোগ দিয়েছে সে পারলে প্রমাণ করুক আমি চাঁদাবাজি করেছি। ‘




কালীগঞ্জ বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতাকে বহিষ্কার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ও কোলা ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

একই সাথে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ডাক্তার নুরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য আশরাফ হোসেন (মহুরি) কে দলীয় সকল পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হযেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার দিকে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ জোয়ার্দ্দার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জামাল ও কোলা ইউনিয়নে অভ্যন্তরিন কোন্দল সংঘর্ষে রুপ নেয়,এতে দুইজন নিহত ও বাড়িঘর ভাংচুরের প্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের নিকট হইতে আদিষ্ট হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত যদি কেউ থাকে, অধিকতর ও তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।




ভারতে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের শঙ্কা

ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার এই দুর্ঘটনায় আদানি পরিচালিত বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়।

সূত্র জানায়, আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে টেকঅফের আগে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এএনআইয়ের বরাতে জানা গেছে, উড়োজাহাজটিতে ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। তবে এখনো স্পষ্ট নয়, এটি কোন ধরনের বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ ছিল।

বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানটি একটি আবাসিক এলাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই এলাকায় যাওয়ার সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ, তবে এখনো সরকারি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। উদ্ধার অভিযান চলছে।

তবে অন্য একাধিক সূত্র দাবি করেছে, উড়োজাহাজটি অবতরণের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে আহমেদাবাদের অভিজাত এলাকায় ধোঁয়ায় ঢাকা আকাশ দেখা গেছে।




ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আত্মপ্রকাশ

‘ঝিনাইদহের উন্নয়নে, আমরা সবাই একসাথে’ এ শ্লোগানে আত্মপ্রকাশ করেছে ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের আহার রেস্টুরেন্টের অডিটোরিয়ামে এ আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম সভাপতিত্ব সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. একেএম কামাল, ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের ডা. শফিউল আলম সোহাগ, বিজিএমইএ এর সদস্য প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, যশোর শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলার প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন। সেসময় আরও বক্তব্য রাখেন ডা. হাসানুজ্জামান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল, গাউস মোহাম্মদ গোর্কি, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন, সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. মার্ফিয়া খাতুন প্রমুখ।

সেসময় বক্তরা বলেন, ঝিনাইদহ উর্বর মাটির জনপদ। এই জেলার মানুষ কর্মঠ ও পরিশ্রমী। কিন্তু বিগত দিনে ঝিনাইদহে আশানুরূপ উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত ঝিনাইদহের উন্নয়নে রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সাধারণ জনগনকে সোচ্চার হতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, ঝিনাইদহের উন্নয়নের জন্য পদ্মাসেতু রেললাইন প্রকল্প মাগুরা থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে। যুগ যুগ ধরে এই জনপদের মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। কাজেই, জনগনকে নতুন করে নিজেদের অধিকার ও প্রাপ্যটুকু আদায়ে জোর আওয়াজ তুলতে হবে। এসময় মাগুরা-ঝিনাইদহ ফোর লেন সড়ক নির্মাণ, মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান বক্তারা। আলোচনা সভা শেষে কমিটি ঘোষণা করা হয়।




পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প নিয়ে জটিল প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

মাটি যখন কারো না, সেখানে ভবন কীভাবে কারো হবে? মেহেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে সামান্য দূরে পন্ডের ঘাট এলাকায় গড়ে উঠছে একটি নতুন ভবনের স্বপ্ন। সে স্বপ্নের গায়ে লেগে আছে নিয়ম ভাঙার কালি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিশাল এক ভবন নির্মাণ প্রকল্পে দরপত্র আহ্বান করেছে যে জমির মালিকানাই এখনো সরকারের হাতে নেই। একটি স্থাপনা দাঁড়ায় যে জমির উপর, তার মালিকানা না নিশ্চিত করেই যেখানে ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি, এ যেন বালির উপর প্রাসাদ গড়ার মতো।

গ্রীষ্মের ধুলাঝরা বিকেলে যখন মাঠের পর মাঠ পেরিয়ে একটুকরো জমির ওপর দাঁড়ানো হয়, তখন বোঝা যায়- এটা কেবল একখণ্ড ভূমি নয়; এটা একজন মানুষের জীবনভিত্তি, উত্তরাধিকার, প্রজন্মের আশা। এই জমির মালিক মো. আশরাফুল হক বলছেন, ‘শহরের উপকন্ঠে বামনপাড়া মৌজায় ২৩২২ ও ২৩২৩ দাগের একবিঘা জমি অধিগ্রহণ করেন। আমার জমির বাজারমূল্য তিন কোটি টাকা। সরকার আমাকে দিচ্ছে মাত্র ১ কোটি ৬ লাখ। দলিল হয়নি, অধিগ্রহণও সম্পন্ন নয়- তবু দরপত্র আহ্বান! এটা তো আইনের অপমান।”

তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন এবং উচ্চ আদালত সেখানে স্থগিতাদেশ দেন। অথচ প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও প্রকল্প বাস্তবায়নের তাড়া যেন আদালতের আদেশকেও বিব্রত করে।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘মো. ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স’ ইতোমধ্যে পেয়েছে কাজের দায়িত্ব। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে চলতি মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত। ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে, হাতে আছে মাত্র চোদ্দ দিন।একটি সরকারি দপ্তরের ভিত গড়তে গিয়ে যখন ন্যায়বিচারকে পাশ কাটিয়ে এগোনো হয়, তখন শুধু একটা ভবন নয়- আস্থা, আইন এবং গণতন্ত্রের ভিত্তিও ক্ষয়ে যেতে থাকে।

ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, “জমি ক্রেতারা সাধারণত বিক্রেতার সাথে যেদামে ক্রয় চুক্তি করেন তার থেকে কমদামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন। ফলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে যেমন বঞ্চিত হয়। তেমনি সরকার জমি অধিগ্রহণকালে রাস্ট্রিয় প্রয়োজনে জমি কেনা বেচায় জমির দাম না মেলাতে মামলা মোকদ্দমা বাড়ছে। ফলত, সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জনসাধারণও পড়ে হয়রানির মধ্যে।”

জেলা প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “জমির দাম নিয়ে আপত্তি থাকলে তা আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান করা উচিত। কিন্তু দলিল সম্পন্ন না করে দরপত্র আহ্বান করা হলে সেটি প্রশাসনিক ও নৈতিক দুই দিক থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ।”

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হান্নান প্রধান বলেন,“জমি অধিগ্রহণ ও রেজিস্ট্রি শেষ না করে ভবনের দরপত্র ডাকা ঠিক হয়নি, স্বীকার করি। বিষয়টি প্রশাসনিক আলোচনায় রয়েছে।”

স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। কেউ বলছেন, “আইনি জটিলতা নিয়ে শুরু হওয়া ভবন কখনো টেকসই হয় না,” কেউ বা বলছেন, “ব্যক্তি মালিকানার জমি দখল করে উন্নয়ন নয়, এটা তো অন্যায্য দখলদারি।”

বিশিষ্ট এক সমাজকর্মী বলেন,“সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পকে আমরা স্বাগত জানাই, কিন্তু তা যেন হয় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের ভিতরে। জমির ন্যায্য দাম না দিলে ভবিষ্যতে ক্ষোভ জন্ম নেবে, যা কোনো ভবনের ভিত্তির চেয়েও বিপজ্জনক।”

এই ঘটনা কেবল একটি জমি নিয়ে নয়, এটি একটি নৈতিক সংকট, একটি প্রশাসনিক গাফিলতির প্রতিচ্ছবি।যেখানে নিয়মের চেয়ে ‘তাড়াহুড়ো’র মূল্য বেশি, সেখানে ন্যায় ও উন্নয়ন সমান্তরালভাবে চলতে পারে না। প্রকল্প হয়তো শেষ হবে সময়মতো, ভবন উঠেও দাঁড়াবে, কিন্তু তার নিচে যে জমিটি এখনো ব্যক্তি মালিকানায়। ফলে সংকট হয়তো আরও গভীর ক্ষত রেখে যাবে সমাজে।




সভাপতি সাইফুল ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ নিবার্চিত

চুয়াডাঙ্গা আন্তঃ জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী দর্শনা শাখার শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছে। এ নির্বাচনে সাইফুল ইসলাম সভাপতি ও আবু সাঈদ সাধারণ সম্পাদক নিবার্চিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা আন্তঃ জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী দর্শনা শাখার শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখোর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিবার্চনকে ঘিরে দর্শনা শহর ছিলো নিবার্চনী উৎসবমুখোর। ১৩টি পদের অনুকুলে ২৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ২৬১টি জন ভোটার বিভিন্ন পদে তাদের ভোট প্রদান করেন। বাকি ১৭ জন ভোটার বাইরে থাকার কারণে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। ২২ জন প্রার্থীকে ২৬১ জন ভোটার তাদের ভোট দিয়ে সভাপতি পদে সাইফুল ইসলাম (বাই-সাইকেল) মার্কায় ১৩৭ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রার্থী ইসরাইল হোসেন (হাঁতুড়ি) মার্কায় ৮৬ ভোট পেয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে মধ্যে হুমায়ন কবীর (মাছ) মাকার্য় ১৪৭ ভোট পেয়ে এবং মোশারেফ জোয়াদ্দার্র (হাতি) মার্কায় ১৩১ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। তাদের নিকটতম প্রার্থী কাজল আহম্মেদ আব্বাস ৮৫ ভোট পেয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে আবু সাঈদ (ট্রাক) মার্কায় ১১৫ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রার্থী মুজিবুল আলম (কুঁড়েঘর) মার্কায় ৬৬ ভোট পেয়েছে ।

যুগ্ম সম্পাদক পদে ২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এর মধ্যে ইকবাল হোসেন শিপন দোয়াত কলম) মার্কায় ১৭৯ সবর্বচ ১৭৯ ভোট পেযৈ নিবার্চিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রাথী আবু সাঈদ (রিক্র) মার্কায় ৪৪ ভোট পেয়েছে। সহ-সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থীর মধ্যে মোঃ আসলাম (ফুটবল) মার্কায় ১৫৮ ভোট পেয়ে নিবাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রার্থী আনারুল ইসলাম (মই) মাকার্য় ৫৯ ভোট পেয়েছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থীর মধ্যে আব্দুল জলিল (গোলাপফুল) মার্কায় ১৬৬ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। অপর প্রার্থী ফিরোজ আলী (মোটর সাইকেল) মাকার্য় ৬৩ ভোট পেয়েছে। প্রচার সম্পাদক পদে ১ জন সানোয়ার হোসেন (মাইক) মার্কায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে। কোষাধ্যক্ষ পদে ২জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন্, এর মধ্যে শ্রী পার্থ প্রতিম শিকদার (মোবাইল) মার্কায় ১৭২ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রার্থী ফেরদৌস হোসেন (কলস) মার্কায় ৫৪ ভোট পেয়েছে।

এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় ৪ জন কার্যকরী সদস্য পদে শাহিন আলম (রকি) (মোরগ), সাহেব আলী (হুইলরেঞ্জ), জীবন হোসেন (টুপি) ও নাজমুল হোসেন (টিউবয়েল) মার্কা নিয়ে ভোটে অংশ নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে বলে জানান, নিবার্চন পরিচালনা কমিটির প্রধান আনোয়ার হোসেন।

এছাড়া নিবার্চন পরিচালনা কমিটির প্রধান আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আমার নিবার্চন পরিচালনা কমিটির দুইজন সদস্য হাজী লিটন ও আব্দুল লতিফকে সাথে নিয়ে উৎসব মুখোর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিবার্চন সম্পূর্ণ হয়েছে।

এছাড়া সুষ্ঠ পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেছেন। আমি অত্যান্ত খুশি ও আনন্দিত। ট্রাক ও ট্যাংকলরী দর্শনা শাখার শ্রমিক ইউনিয়নের সকল শ্রমিক আমার নিবার্চন পরিচালনায় সহযোগিতা করায় তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানায়।