ফোনে বিরক্তিকর অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসলে যা করবেন

বর্তমানে সময় প্রায় প্রতিটা মানুষের হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে থাকা বন্ধুও মুহূর্তে নাগালে চলে আসে এর বদৌলতেই। কিন্তু প্রযুক্তিকে শুধুই আশীর্বাদ ভাবলে ভুল হবে, এর সমস্যাও রয়েছে প্রচুর। প্রযুক্তিকে অস্ত্র করেই চলছে বহু প্রতারণা চক্র। না বুঝে অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফোন রিসিভ করেও বহু মানুষ প্রতিদিন বিপদে পড়েন।

প্রতিদিন প্রায় সবার কাছেই প্রচুর অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। রিসিভ করলে কেউ লোন নেওয়ার প্রস্তাব দেন। কেউ আবার চাকরি বা অন্য কিছুর অফার দেন। অনেককে লোন সংক্রান্ত ফোন করে রীতিমতো কড়া বার্তা দেওয়া হয়। এই ফোনগুলোর নেপথ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকে জালিয়াতরা। সব সময় অপরিচিত নম্বর দেখলেই তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।

তাহলে কীভাবে বাঁচবেন এদের হাত থেকে? সবার আগে নজর করতে হবে, কোন নম্বর থেকে ফোন আসছে। যদি দেখেন কান্ট্রি কোডে +088 (বাংলাদেশ) ছাড়া অন্য কিছু রয়েছে, তাহলে সেই ফোন এড়িয়ে যান। বেশকিছু নম্বর যা দেখলেই বোঝা যায় যে আর পাঁচটির থেকে তা আলাদা, সেগুলোও এড়িয়ে যান। ভুলেও কল ব্যাক করবেন না।

তবে আগেই বলা হয়েছে এড়িয়ে যাওয়া সবসময় সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ট্রু কলার অত্যন্ত উপযোগী। এই অ্যাপে নিমেষে দেখে নিতে পারবেন যে নম্বর থেকে ফোন আসছিল, সেটি কার। সেটি স্প্য়াম নম্বর হলে তাও দেখতে পারবেন। এরপর ব্লক বা রিপোর্ট তো আপনারই হাতে। মূল কথা সতর্ক থাকতে হবে প্রতিমুহূর্তে।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে পরিছন্নতা অভিযান ও গ্রীন স্কুল ক্যাম্পেইন

“এসো দেশ বদলায়, পৃথিবী বদলাই” এ শ্লোগানে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাণবন্ত তারুণ্যের উৎসব পরিছন্নতা অভিযান ও গ্রীন স্কুল ক্যাম্পেইন।

বৃহস্পতিবার সকালে এ উৎসবে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্কাউটস ও শহরের একাধিক স্কুলের ছাত্র- ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-এ-নবী, উপজেরা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মিথিলা ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন, শিক্ষক প্রতিনিধি মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ঝিনাইদহ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মুন্সি মোঃ আবু জাফর প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। নিজের চারপাশ নিজেদের দ্বায়িত্বে যদি পরিস্কার রাখা যায় তাহলে নিজেরদের আঙ্গিনা, শহর, বাজার কখনোই অপরিস্কার হবে না। তাই সবার আগে নিজের আঙ্গিনাকে পরিস্কার রাখতে সকলে প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠান শেষে শহরের বিভিন্ন সড়কে পরিছন্নতা অভিযান ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। পরে র‌্যালিটি ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয় গিয়ে শেষ হয়।




হরিণাকুণ্ডুতে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ঝিনাইহেদর হরিণাকুণ্ডুতে বালতির পানিতে ডুবে তাসফিয়া নামের ২ বছর ৭ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পৌরসভার শ্রীরামপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত তাসফিয়া ওই গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে।

প্রতিবেশি ও স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশু তাসফিয়া বাড়ির আঙিনায় খেলতে গিয়ে বালতির মধ্যে পড়ে যায়, পরবর্তীতে স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে বালতির মধ্যে খুজে । এসময় শিশুটিকে উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু তাসফিয়াকে মৃত ঘোষণা করে।

হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ এম এ রউফ খান, লোকমুখে শিশুটির মৃত্যুর খবর শুনেছেন, তবে এখনো পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ বা লিখিত তথ্য পাননি বলে জানান।




আসল গুড় চেনার উপায়

শীতকাল মানেই খেজুর গুড়ের মিষ্টি সুগন্ধে ভরে যায় বাজার। আর শীত মানেই বাতাসে নলেন গুড়ের সেই মিষ্টি গন্ধ। রসগোল্লা থেকে পিঠে-পাটিসাপটা সবই এই গুড়ের সুবাসে সুবাসিত হয়। এই মিষ্টি মৌতাত পেতে আমরা শীতকালের অপেক্ষায় থাকি।

আর শীতকালে খেজুরের রস থেকে তৈরি হওয়া খেজুর গুড়ের স্বাস্থ্যগুণ অনেক বেশি। অন্যান্য গুড়ের মতোই প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ খেজুরের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে খনিজ আছে। এই যেমন

আয়রন– রক্তে হিমেগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

পটাশিয়াম – হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে।

ম্যাগনেশিয়াম– মেটাবলিক রেট ঠিক রাখে এবং সেরোটোনিন নিঃসরণ সক্রিয় করে।

ক্যালশিয়াম– হাড় মজবুত করে।

তবে চোখ বুজে যে কোনো গুড়কেই ভালো ভাবলে ভুল করবেন আপনি। ভেজাল গুড় খেলে শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষতিই হয় না, খাবারের স্বাদও নষ্ট হয়। আবার শুধু গন্ধেই মজলে চলবে না, খাঁটি গুড় চিনতে না পারলে উপকারের বদলে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

চলুন আসল গুড় আর ভেজাল গুড়ের ফারাক কীভাবে বুঝবেন জেনে নিই। আর এ বিষয়ে জানাচ্ছেন ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজির অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস।

আপনার দেখলেই মনে হবে একেবারে খাটি ও স্বচ্ছ পাতলা খেজুরের নলেন গুড়। কিন্তু সেটি কি আসল গুড়? বর্তমান বাজারে যে গুড় পাওয়া যায়, সবই যে নির্ভেজাল গুড় তা কিন্তু ঠিক নয়। দেখে ভালো মনে হলেও আসলে তা ভালো কিনা আগে সেটি যাচাই করা দরকার। তা না হলে গুড়ের গুণের বদলে মিলবে জীবন বাঁচানোর ক্ষতি।

এছাড়া গুড় মানবদেহের এনজাইম সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে। খাঁটি গুড়ের মিষ্টি গন্ধ খিদে বাড়ায় এবং আমাদের মুখের থুতুতে যে টাইলিন নামক এনজাইমের নিঃসরণ হয়, সেটি বৃদ্ধি করে। যে কোনো খাবারে এই গুড় পড়লে সেই খাবার খাওয়ার ইচ্ছে খুব বেড়ে যায় আর স্বাভাবিকভাবেই হজম ভালো হয়। হজম ভালো হওয়া এবং মেটাবলিজম বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, গুড় খাওয়ার জন্য ওজন কমে। সাধারণত দেখলে হার্টের বেশিরভাগ রোগই হয় খাবার ভালোভাবে হজম না হয়ে শরীরে।

আর ভেজালে ক্ষতি

আমরা অনেকেই নলেন গুড়ে ভেজাল বলতে বুঝি চিনি মিশিয়ে মিষ্টি করা। এতে কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ছাড়া অন্যদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিন্তু নলেন গুড়ের সুগন্ধ বা রঙ শুধু চিনি মিশিয়ে আসে না। সে জন্যই মেশানো হয় কৃত্রিম সুগন্ধি। যেহেতু এই তথ্য জানানো থাকে না যে কী মেশানো আছে গুড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এগুলোতে কার্সিনোজেনিক ফ্লেভার কম্পাউন্ড (কর্কট রোগ ঘটাতে সক্ষম) ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রয়োজন হয় কৃত্রিম গন্ধের জন্য। এ ছাড়া মেশানো হয় নানা রাসায়নিক পদার্থ, যা স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, হার্টের অসুখ ও রক্তের সমস্যা ডেকে আনে।

রঙ মেশানোর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও ভয়াবহ। ফুডগ্রেড (খাদ্যের জন্য উপযুক্ত) রঙ অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় না। আর যদিও বা ব্যবহার হয় তখন ফুডগ্রেড রঙ প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেশানো থাকে। সাধারণত ১০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) থেকে বেশি পরিমাণ লাগে এই ঝকঝকে লোভনীয় গুড়ের রঙ আনতে। সে কারণেই খাদ্যের জন্য উপযুক্ত রঙ হওয়া সত্ত্বেও সেটি ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়ায়। এই নলেন গুড়ের যে চকলেটের মতো রঙ হয়, সেটি আনার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল রঙ ব্যবহার করা হয়।

যে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে এই কৃত্রিম রঙ গুলিতে

আর্সেনিক— প্রজননজনিত সমস্যা, কিডনির ক্ষতি, মস্তিষ্কের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ডেকে আনে।

ক্যাডমিয়াম— শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি, ক্যানসারের ঝুঁকি, হাড়ের ক্ষয়, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

টেস্ট করে দেখে নিন ভালো না ভেজাল। এক টুকরো গুড় পানিতে ফেলে দিন। বিশুদ্ধ গুড় দ্রুত গলে যাবে, কিন্তু ভেজাল গুড়ে আলাদা স্তর দেখা যাবে। গুড় গরম করলে যদি তা থেকে ধোঁয়া বের হয় বা কালো পদার্থ বের হয়, তাহলে বুঝবেন এটি ভেজাল।

গুড়ের প্যাকেটের ওপর FSSAI সিল থাকা জরুরি।

বেশি চকচকে বা কম দামের গুড় এড়িয়ে চলুন।

ভেজাল গুড় চেনার সহজ উপায়

বর্ণ

বিশুদ্ধ গুড় সাধারণত গাঢ় বাদামি বা প্রাকৃতিক সোনালি রঙের হয়।

ভেজাল গুড় দেখতে উজ্জ্বল হলুদ বা লালচে হতে পারে। কারণ এতে কৃত্রিম রঙ মেশানো হয়।

শুধু নলেন গুড় নয়, পাটালিও এই সময় সবাই খান। খাঁটি গুড় আঙুল দিয়ে ভাঙা যায় অনায়াসে এবং দুই আঙুল দিয়ে ঘষলে সহজে গলে যায়। আখগুড় মেলানো থাকলে ইটের মতো শক্ত হয়ে যায়।

স্বাদ

ভালো গুড়ে থাকে প্রাকৃতিক মিষ্টতা। অতিরিক্ত মিষ্টি হবে না। চিনির শিরা মেশানো থাকলে মুখে দিলে বুঝবেন মিষ্টির গাঢ়ত্ব বেশি। খাঁটি নলেনের বিশেষত্ব হালকা মিষ্টি।

গন্ধ

বিশুদ্ধ গুড়ে থাকবে হালকা আখ বা খেজুরের সুগন্ধ।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ ও ড্রেস বিতরণ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পিইডিপি-৪ কম্পোনেন্ট ২.৫ প্রকল্পের অধীনে “আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম” এর আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের
নতুন স্কুল ব্যাগ ও স্কুল ড্রেস বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) “তরুণ্যের উৎসব-২০২৫” ব্যানারে মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলায় ২১০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক)-এর মাধ্যমে ৪,৭৩৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন ব্যাগ ও স্কুল ড্রেস তুলে দেওয়া হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার সাদ আহম্মেদ, উপজেলা ম্যানেজার মোছাঃ শিরিনা আক্তারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন ব্যাগ ও ড্রেস তুলে দেওয়ার সময় শিশুরা আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে।

মুজিবনগর উপজেলায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল। এ সময় প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার আব্দুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী উপজেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন ব্যাগ ও স্কুল ড্রেস বিতরণ করেন গাংনী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা। এ সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই উপহার বিতরণের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।




‘কাহো না… পেয়ার হ্যায়’ খ্যাত হৃতিকের রজত জয়ন্তী

দেখতে দেখতে ২৫ বছর হয়ে গেল বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ‘কাহো না… পেয়ার হ্যায়’খ্যাত অভিনেতা হৃতিক রোশনের। ২০০০ সালের ১৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল ‘কাহো না… পেয়ার হ্যায়’। এটি সেই সময় বলিউডের সফলতম ছবি ছিল। এই ছবির প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে রাকেশ রোশন প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। বাবা রাকেশ রোশনের এ ছবিটি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল হৃতিক রোশনের। সেই সঙ্গে অভিষেক হয় অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলেরও। চলতি বছর ছবিটির ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সেই সঙ্গে পূর্ণ হচ্ছে হৃতিক রোশনের ক্যারিয়ারের ২৫ বছরও।

এ ছবিতেই অভিনেতা হৃতিক রোশন সেরা নবাগত অভিনেতা ও সেরা অভিনেতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান । মাত্র ১০ কোটি রুপি বাজেটের এ ছবিটি বক্স অফিসে ৮০ কোটি রুপি ব্যবসা করে।

আগামীকাল ১০ জানুয়ারি হৃতিক রোশনের জন্মদিন। এদিকে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে হৃতিকের জন্মদিনে আবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘কাহো না…পেয়ার হ্যায়’ ছবিটি। ক্যারিয়ারের এই মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগাপ্লুত অভিনেতা।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেতা। হৃতিক রোশন বলেন, তিনি আদতে ‘লাজুক ছেলে’। গণমাধ্যম তাকে আরও দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক হতে সাহায্য করেছে।

হৃতিক বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময়ে আমি আরও দায়িত্বশীল হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। চেয়েছি মানুষ হিসেবে নিজেকে আরও বিনয়ী হতে।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে জেলা বিএনপি’র পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নে এ পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেন তারা। পথসভার নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মাদ।

এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়ার সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু, আনছা-উল -হক, হাফিজুর রহমান হাফি, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুমানা আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু, সাবেক পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সদর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপ্নন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুল হক লাভলু, জেলা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মীর আলমগীর ইকবাল (আলম), জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজুর রহমান, জেলা যুবদলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, জেলা জিয়া মঞ্চে আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, আব্দুল লতিফ, মোশিউল আলম দিপু, নাহিদ আহম্মেদ, ইসমাইল শাহ, দবির, জনিসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় নেতারা সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে তাদের সমর্থন কামনা করেন।




১৫৫৪ সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পাবেন ১১টি প্রতিষ্ঠানে

৯টি ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৫৫৪ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। এই সমন্বিত নিয়োগ কার্যক্রম হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে। আবেদন করতে হবে অনলাইনে ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে।

কোন ব্যাংকে কত পদ: সোনালী ব্যাংকে ৪২২, অগ্রণী ব্যাংকে ৪০০, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ২৪২, রাজশাহী কৃষি ব্যাংকে ১৯০, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকে ১৮৯, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ২৬, কর্মসংস্থান ব্যাংকে ২৪, বেসিক ব্যাংকে ২০, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে পদ সংখ্যা ৭টি।

এ ছাড়া ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে ১৯ ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১৫টি পদ রয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা: প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। এসএসসি বা সমমান এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষায় ন্যূনতম দুটিতে প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি থাকতে হবে।
গ্রেডিং পদ্ধতির ফলাফলের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।

কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি থাকলে আবেদন করা যাবে না। প্রার্থীর বয়সসীমা ১৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরের আমঝুপির এ আর বি কলেজে তারুণ্যের উৎসব

“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবীকে বদলাই” স্লোগানকে ধারণ করে মেহেরপুরের আমঝুপির এ আর বি ডিগ্রি কলেজে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজিত এ উৎসব শিক্ষার্থী ও অতিথিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ বখতিয়ার উদ্দীন।

দারুস সালাম হীরকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কে এম নজরুল কবীর এবং মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল আমিন।

উৎসবে বক্তব্য রাখেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. মারুফ আহমেদ বিজন ও সদস্য মো. জাব্বারুল ইসলাম। এছাড়াও এসময় কলেজের শিক্ষক মাহফুজা হোসেন ফারাজী কল্যাণী, মো. হাবিবুর রহমান,মো. হাসনাত জামানসহ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




সাকিব বোলিং পরীক্ষায় ফেল, বিষয়টা ‘ভেরি শকিং’

সাকিব আল হাসান এখন মনে মনে নিজেকে দুষতেই পারেন এই বলে, ‘কেন যে তখন কাউন্টির ওই ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম!’ সে ম্যাচ খেলে ছোট একটা চোট নিয়ে এসেছিলেন, যা লুকিয়ে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে খেলে বিপাকেও পড়েছিলেন। এরপর জানা যায় তার বোলিংই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে!

সে নিষেধাজ্ঞাই এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। লন্ডনে একবার পরীক্ষা দিয়েছিলেন বোলিংয়ের সে পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। এরপর চেন্নাইতে আরও এক পরীক্ষা দিয়ে সেখানেও ফেল করেছেন সাকিব। যার ফলে তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা

সাকিবের ক্রিকেট মাঠে ফেরা এমনিতেই আছে শঙ্কায়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি হওয়ার ফলে জনরোষে পড়েছেন তিনি। যে কারণে ঘোষণা দিয়েও ঘরের মাঠে নিজের বিদায়ী টেস্টটা খেলতে পারেননি তিনি। এরপর থেকেই দলে ব্রাত্য হয়ে আছেন। তাকে ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাকে সে কারণেও পাওয়া নিয়ে আছে শঙ্কা। সাকিবের খেলা, না খেলা এখন তাই বিসিবির হাতে নেই, সেটা আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। এরই মধ্যে খবর এল চেন্নাইতে তার বোলিং পরীক্ষায় ফেল করাটা।

বিষয়টা প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে বেশ ধাক্কা হয়ে এসেছে। তিনি বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আসেনি। প্রথম যে পরীক্ষা দিলেন, সেখানে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি, ভেরি শকিং। আমাকে নিশ্চিত হতে হবে, তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে আবার একটা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন কি না… এটা একটু খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।’
বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়াটা ক্রিকেট দুনিয়ায় বড় কিছু। তবে সাকিবের পরিপ্রেক্ষিতে তা ছোটই। বড় বাধা তো আসলে খেলার অনুমতি পাওয়াটাই। সেটার আঁচ মিলল লিপুর কথাতে।
তিনি বললেন, ‘এটা আসলে আমরা নির্বাচক মন্ডলীরা বোর্ডের কাছ থেকে জানতে চেয়েছি যে তিনি আমাদের এ প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাভেইলঅ্যাবল আছেন কি না। সেটা এখনও আমরা উত্তর পুরোপুরি পাইনি। আংশিক একটা পেয়েছি।’
লিপু জানান, সাকিবের জন্য অপেক্ষা করবে নির্বাচক কমিটি। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আবার শোনা যাচ্ছে একটা পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। সেটার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিটি মিনিটই হয়তো গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি এক-দুই দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিষয়গুলো।’

সূত্র: যুগান্তর