মহেশপুর সীমান্ত থেকে নারী-শিশুসহ ২২ বাংলাদেশি আটক

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২২ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। আটকৃতরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এছাড়া পৃথক মাদক বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (১১ মে) মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি জানিয়েছে, মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীন কুমিল্লাপাড়া, খোশালপুর ও জীবননগর বিওপির অভিযানে ২২ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে বিজিবি।

আটকদের মধ্যে ৪ জন নারী ও ৩ জন শিশু। বাকি ১৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। আটক ব্যক্তিরা নড়াইল, যশোর, রাজবাড়ী, কুমিল্লা, বাগেরহাট, নোয়াখালী ও খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা।

এছাড়া বেনীপুর, উথলী ও রাজাপুর বিওপির পৃথক মাদকবিরোধী অভিযানে ৪২ বোতল ভারতীয় মদ, ৩ কেজি গাঁজা ও ৯৫২ পিস নিষিদ্ধ উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। আটক নারী ও শিশুদের যশোরের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।




শৈলকুপায় জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় হিন্দু পরিবার

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাধুখালী গ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা জায়গা থেকে উচ্ছেদের শঙ্কায় রয়েছেন গ্রামের একমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের অরুণ বিশ্বাসের পরিবার।

অরুণ বিশ্বাস বলেন, “এখনো বাপ-দাদার ভিটেমাটি আঁকড়ে ধরে আছি। গ্রামের অন্য হিন্দু পরিবারগুলো চলে গেলেও মায়ার টানে আমরা এখনও পড়ে আছি এখানে। কিন্তু এখন যে নির্যাতন শুরু হয়েছে, তাতে আর বেশিদিন টিকতে পারবো বলে মনে হয় না।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাধুখালী গ্রামের বাসিন্দা অরুণ বিশ্বাস তার পৈতৃক ২৭ শতক জমিতে বহু প্রজন্ম ধরে বসবাস করছেন। তবে ওই জমি নিয়ে ১৯৮৫ সালে তার প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তার মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর ১৯৯০ সালে আদালত আব্দুস সাত্তারের দলিল বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর ২০১১ সালে অরুণ বিশ্বাস আদালতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন, যার রায়ে ২০২১ সালে আদালত আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

তবে অভিযোগ রয়েছে, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত শুক্রবার সকালে আব্দুস সাত্তার ও তার লোকজন ওই জমিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাধা দেয় অরুণ বিশ্বাসের চার ছেলে। এ সময় সাত্তার গং তাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং এক পর্যায়ে একটি ছোট ঘর নির্মাণ করে চলে যায়।

প্রবীণ প্রতিবেশী আব্দুল কাদের বলেন, “আমি গত ৭০ বছর ধরে দেখছি, এই জমিতে অরুণ বিশ্বাস ও তার পূর্বপুরুষেরা বসবাস করে আসছেন। জোর করে দখলের চেষ্টা করা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

এ বিষয়ে অরুণ বিশ্বাসের ছেলে পল্লী চিকিৎসক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, “আমরা নিজের জায়গায় ঘর তুলতে পারছি না। আদালতের রায় থাকার পরও তারা আমাদের নির্যাতন করছে। বাধ্য হয়ে বাবা-মা এখন গোয়ালঘরে থাকছেন।”

এদিকে অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তারের ছেলে রেজাউল ইসলাম দাবি করেন, “এই জমির বৈধ কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে এবং আমরা এই জমির মালিক।” তবে এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান বলেন, “এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি” লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




ঝিনাইদহে রেললাইন স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

ঝিনাইদহ শহরে রেললাইন স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের পায়রা চত্বরে রেলপথ বাস্তবায়ন পরিষদের আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী চলা কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন রেলপথ বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি রেল আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আরিফা ইয়াসমিন লিম্পা, সহ-সভাপতি হোসেন ইমাম (হিমু), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইফাজ তানভীর মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আশিকুর রহমান মিনার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তারেক মাহমুদ জয়, কোষাধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহবুব মল্লিক, সাংস্কৃতিক কর্মী শাহিনূর রহমান লিটন, সামাজিক ব্যক্তিত্ব গাউস গোর্কী, আনোয়ার পারভেজ মাসুম, জিহান লিমনসহ আরও অনেকে।

এছাড়া কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় রেললাইন থাকলেও ঝিনাইদহ শহর এখনও রেল সংযোগ থেকে বঞ্চিত। তারা মাগুরা থেকে ঝিনাইদহ শহর হয়ে কুষ্টিয়া বা চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের দাবি জানান।

বক্তারা আরও বলেন, এই রেলপথ বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলের মানুষের বহুল প্রত্যাশিত যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।




গাংনীতে ডেন্টাল চিকিৎসক সনদ না থাকায় জরিমানা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরে অভিযান চালিয়ে ডেন্টাল চিকিৎসক সনদ না থাকায় স্কয়ার ডেন্টাল কেয়ার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সামাদ হোটেল ও সোবহান হোটেলের কাছে থেকে ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ সোমবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান।

তিনি জানান, স্কয়ার ডেন্টাল কেয়ারে চিকিৎসকের বৈধ সনদ না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী রিয়াজ মাহমুদকে ১০ হাজার টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের দায়ে সামাদ হোটেলের মালিক আব্দুস সামাদ এবং সোবহান হোটেলের মালিক আব্দুস সোবহানকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

অভিযান চলাকালে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুরের মুজিবনগর থানার বিশেষ অভিযানে আনিচুর রহমান (৩০) নামে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আনিচুর রহমান মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত সাদ আলীর ছেলে।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে আজ সোমবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত

“আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ; নার্সিং পেশার উন্নতি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মেহেরপুরের গাংনীতে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এরপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুপ্রভা রানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আরএমও মাসুদর রহমান, নার্সিং সুপারভাইজার নুরুন্নাহার খাতুন, আমেনা খাতুন, ওয়ার্ড ইনচার্জ শাকিলা আক্তার এবং আম্বিয়া খাতুন। অনুষ্ঠানে নার্সিং কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত

মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শহরের পৌর ঈদগাহ গেট থেকে এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালির নেতৃত্ব দেন ডেপুটি নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট আজিরন নেসা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নার্সিং সুপারভাইজার ইসমত আরা, বেলাইতুন্নেসা, সোনালী হাওলাদারসহ নার্সিং নেতৃবৃন্দ।

র‍্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

র‍্যালিতে নার্সিং সেবার প্রতীক হিসেবে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলকে উপস্থাপন করা হয়। কর্মসূচিতে হাসপাতালের সেবিকা, শিক্ষানবিশ সেবিকা এবং বিভিন্ন নার্সিং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।




অবৈধভাবে ভৈরব নদের মাটি বিক্রির মচ্ছব, প্রশাসন নিরব

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের বাবুপুরে অবৈধভাবে ভৈরব নদের খননকৃত মাটি বিক্রির ধুম পড়েছে। রাতের আধারে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ড্রাম ট্রাকে করে ওই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে এলাকার ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে। প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

তবে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে মাটি বিক্রির কোন নিলাম হয়নি। যারা মাটি কাটছেন তারা অবৈধভাবে এ মাটি বিক্রি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মাটি বিক্রির কিছু ভিডিও ও ছবি শেয়ার করা হলে বিষয়টি নতুন ভাবে আলোচনায় আসে। তারা জেলা প্রশাসন ও উপজেলার প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগও তোলেন।

গত শনিবার সকালে সরেজমিনে মহাজনপুর ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, প্রায় বছর খানেক ধরে ভৈরব খননের এ মাটি বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর লোকজন এ মাটি বিক্রি করতেন। ৫ আগষ্টের পর বিএনপির কিছু প্রভাবশালী এ মাটি বিক্রি করছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন। ক্ষমতার পালাবদল হয়ে মাটি বিক্রির লোকজনও পালাবদল হয়েছে, তবে মাটি বিক্রি থামেনি। তবে দিনের বেলায় তাদের দেখা মেলেনি, তাদের সাথে যোগাযোগ করাও যায়নি। স্থানীয়দের চোখে মুখে ক্ষোভ ও অসন্তোষ থাকলেও তারা ভয়ে কথা বলতে চাননা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, লাল্টু, গবাসহ বেশ কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী ক্ষমতার দাপটে রাতের আধাঁরে মাটি কেটে ইটভাটাসহ এবং বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। ভৈরব নদের মহাজনপুর তীরে মাটির স্তুপ দিয়ে পাড় তৈরি হলেও অপরদিকে বাবুপুরে প্রায় এক কিলোমিটার জমির মাটি কেটে নিয়ে ভৈরব নদের পাশে ওয়াক ওয়ে পর্যন্ত সমতল করা হয়েছে। ফলে বর্ষাকালে ওই এলাকা ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

মশিউর রহমানের মালিকনাধীন এসএমবি ইটভাটায় দেখা যায়, যে পরিমান মাটির স্তুপ করা হয়েছে, সে মাটি কয়েকবছর ইট প্রস্তুতের জন্য ব্যবহার করা যাবে।

এ ব্যাপারে মুজিবনগর উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি, বিএনপি নেতা ও এসএমবি ইটাভাটার মালিক মশিউর রহমান বলেন, ‘এলাকার লাল্টু ও গবা নামের কয়েকজন দালাল মাটি কেটে বিক্রি করছেন। আমাদের ইউনিয়নে ৬টি ইটভাটা। কিন্তু মাটিগুলো বাইরে চলে গেলে আমাদের ইটভাটা চালানো কঠিন হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার সময় সাবেক চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু টেণ্ডার করে মাটি বিক্রির ব্যবস্থা করেছিলেন। ওই সময় আমরা মাটি কিনে রেখেছি। নতুন করে কোন টেণ্ডার না হওয়ায় ওই মাটি আমরা কিনতে পারছি না। কিন্তু মাটি ঠিকই ওই দালালরা কেটে বাইরে বিক্রি করছে। এ বিষয়ে ইউএনও সাহেবকে বলেছি মাটি টেণ্ডারের ব্যবস্থা করতে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এবং গত শুক্রবারে তিনি ওই এলাকা পরিদর্শনও করেছেন’।

মেহেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান বলেন, মহাজনপুর এলাকায় ভৈরব নদ খননের ফলে নদের মাটি ভৈরবের পাশে রাখা হয়েছে। সে মাটি স্থানীয় কৃষকদের জমিতেও রাখা হয়েছে। তবে ওই এলাকায় কোন কৃষক কিংবা কেউই মাটি ক্রয়ের জন্য বা সরিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করেননি। এমনকি এখনো পর্যন্ত মাটি বিক্রির কোন নিলাম হয়নি।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার আমি টিম নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। মাটি বিক্রির চিত্র দেখতে পাই। ওখানে গিয়ে জানতে পারি কিছু অসাধু লোক রাতে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা সেখানে ইনফর্মার লাগিয়ে রেখেছি। রাতে হলেও আমরা তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ওই সকল মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।




মেহেরপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আওতাধীন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৮টায় জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে এই আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এবং জেলা বিএনপি’র সদস্য আনছার-উল-হক।

জেলা নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে গঠিত এ কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আসাদুজ্জামান জনি। এছাড়া তিন জন সহ-সভাপতি মনোনীত হন— আব্দুর রফিক, আব্দুল হামিদ এবং আজিজুল হক।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:- সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক: কামরুজ্জামান কামরু, যুগ্ম সম্পাদক: হারুন-অর-রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক: আসলাম আলী, সদস্য: জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দিন। দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কাজী মিজান মেনন জানান, “খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।”

উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ নবগঠিত কমিটির প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সকলকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।




দামুড়হুদায় জমিজমা সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার-২

দামুড়হুদায় জমিজমা সংক্রান্ত মারামারি মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ। আজ রবিবার সকালে ও বিকালে তাদের দুইজনকে আলাদা ভাবে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আরিফুল দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে দুইজন এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো জয়রামপুর গাতিরপাড়ার মৃত লালু মন্ডল এর ছেলে মোঃ আজিত (৪৫) এবং আজিত এর ছেলে মোঃ নাঈম হোসেন (১৯)।

জানাগেছে, গত ০৮/০৫/২০২৫ইং তারিখে জয়রামপুর মালিথা পাড়ার মোঃ আক্তার হোসেন (৫৫) এর ছেলে আরিফুল মোটরসাইকেল যোগে তার পিতাকে নিয়ে জয়রামপুর ইস্টিশন থেকে বাড়ি ফিরছিলো। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের মোটরসাইকেল রোধ করে এবং পিতা পুত্রকে এলো পাতাড়ি মাথাই কুপিয়ে মারাত্মক যখন করে।

যার ফলে আক্তার হোসেন এখন রাজশাহী মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গতকাল লাইফ সাপোর্টে আক্তার হোসেন এর মাথায় একটা বড় ধরনের অপারেশন করা হয়েছে। শুধু তাইনা তার শরীরে নাকি এসিড মারা হয়েছে। যার কারণে যেখানে এসিড লেগেছে সেখানে পুড়ে গেছে। শরীরে এসিডের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরিফুল নিজেও আক্রমণের স্বীকার হয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছে।

এ ঘটনাই ভুক্তভোগী আরিফুল দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি এজাহাদার করে। বিষয়টি আমলে নিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ দুইজন এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেফতার করে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ের মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল একজনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং আজ একজনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।