ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান লাটাহাম্বা ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফজলু খাঁ (৫৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টার দিকে উল্ল্যা গ্রামের মাদরাসা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফজলু খাঁ উপজেলার নাটোপাড়া গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত লাটাহাম্বা কোলা বাজার থেকে কালীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল এসময় উল্ল্যা মাদরাসা এলাকায় পৌঁছালে নলডাঙ্গা থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল আরহী ফজলু খাঁ নিহত হন এবং আর একজন আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহের ময়না তদন্তে শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মেহেরপুরে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের দারুণ উদ্ভাবনের প্রদর্শণ

মেহেরপুরে ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। তিন দিন ব্যাপী এ মেলায় ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা স্বয়ংক্রিয় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ফার্ম বিস্তার এবং উন্নত কৃষি ও ফ্যাক্টরি কার্বন ফিল্টারসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রদর্শণ করে।

মঙ্গলবার দুপুরে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের মাঠ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের তত্ত্বাবধানে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.একেএম নজরুল কবীর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী, কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের প্রধান শিক্ষক সানজিদা ইসলাম প্রমুখ।

আজ বুধবার স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ তরিকুল ইসলাম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন উদ্ভাবনের ভূয়সী প্রশসংসা করেন।




দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক গ্রেফতার

দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ও র‌্যাব এর যৌথ অভিযানে ঢাকা আশুলিয়া থেকে ধর্ষণ মামলার পালাতক আসামি দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক সাজিদ হাসান কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ভোড় ৪ টার দিকে ঢাকা র্যাব-৪ এর সহযোগীতায় আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার শেষে তাকে দুপুরেই দামুড়হুদা মডেল থানায় আসামিকে হস্তান্তর করা হয়। মোঃ সাজিদ হাসান (৪০) দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত মদনা গ্রামের মোঃ ওহিদুজ্জামান এর ছেলে, বর্তমানে দামুড়হুদা গুলশানপাড়া (আত্মবিশ্বাস এনজিও’র বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া) এবং দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক। এঘটনায় ইতিপূর্বেই উক্ত শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

থানা সুত্রে জানাগেছে, বিগত ২০২০ খ্রিঃ সালে বাদী মোছাঃ সাবরিনা আক্তার শান্তনা দামুড়হুদা থানাধীন ‘দামুড়হুদা পাইলট গালস স্কুল এন্ড কলেজ’এ ৯ম শ্রেণীতে লেখা-পড়াকালীন সময় থেকে উক্ত আসামীর নিকট প্রাইভেট পড়ে আসছিল। বাদী ৯ম শ্রেণীতে লেখা-পড়াকালীন সময়ে উক্ত আসামী বাদীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় কিন্ত সে বাদীর শিক্ষক হওয়ায় এবং বাদীর থেকে বয়সে অনেক বড় হওয়ায় বাদী আসামীর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়না। পরবর্তীতে আসামী বিভিন্ন কৌশলে বাদীকে তার প্রেমের জালে ফাসাঁয় এবং বাদীকে বিয়ের প্রলোভন সহ বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাইয়া বাদীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

আসামী প্রায় তার প্রাইভেট পড়ানোর রুমে বাদীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতো। বিগত ২০২০ খ্রিঃ হতে অদ্যাবদি উল্লেখিত আসামী বাদীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাইয়া বহুবার ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ ঘটনার দিন গত ০১/০৩/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ বিকাল অনুমান সাড় ৪ টার দিকে দামুড়হুদা থানাধীন দামুড়হুদা গুলশানপাড়া গ্রামস্থ জনৈক কুতুব মাস্টারের বাড়ীর নিচতলা আসামীর ভাড়া নেওয়া প্রাইভেট পড়ানোর রুমের মধ্যে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করে মর্মে বাদী তাহার এজাহারে উল্লেখ করেন। সার্বিক তদন্তে ও ধৃত আসামী’কে জিজ্ঞাসাবাদে উল্লেখিত আসামী অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আছে মর্মে প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে।

এছাড়া তদন্তকালে আরও জানাযায় যে, ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রী এবং অভিভাবক যৌন নিপীড়ন এর লিখিত অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেছিলেন, যাহার একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধৃত আসামীকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় অর্থদন্ড প্রদান করেন এবং অন্যান্য অভিযোগ গুলি লিখিত ও মৌখিকভাবে সতর্ক করে। উক্ত আসামীকে নিয়ে শিক্ষক, ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে। দামুড়হুদা মডেল থানার মামলা নং—১৮, তাং—২৫/০৪/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা— ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)।
এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ঢাকা আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালই আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




কোটচাঁদপুরে ভুল চিকিৎসায় মারা গেলো কৃষকের গরু

স্যালাইন দিয়ে গরু মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পশু চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন ও নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত সোমবার কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু)। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়ার কারিগর পাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু)। পেশায় তিনি কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি গরুও পালন করেন বাবু। গত ৯ মে রাতে তাঁর গরু অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি পাশের গ্রামের পশু চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেনকে ডাকেন। সাজ্জাদ হোসেন রাতে এসে চিকিৎসা দিলে গরু সুস্থ্য হয়ে যায়।

এরপর গত শনিবার ১০ মে সকালে গরুকে আরো কিছু চিকিৎসা দেয়ার জন্য নাজিম উদ্দীন নামের আরেক পল্লী চিকিৎসক কে সাথে করে ওইবাড়িতে আসেন সাজ্জাদ হোসেন। এরপর চিকিৎসা দেন গরুটিকে। এর কিছুক্ষন পর মারা যায় গরুটি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ওই দুই চিকিৎসক। ফেলে যান তাদের বহনকারী মটর সাইকেল এমনটাই দাবি করেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু)। তিনি বলেন, গরু অসুস্থ্য হলে প্রথম দিন রাতে ওই চিকিৎসককে আমি ডেকে ছিলাম। চিকিৎসা দেয়ার গরু ভাল ছিল। গত শনিবার সকালে সাজ্জাদ ও নাজিম নামের দুই জন এসে গরুর চার পা বেঁধে স্যালাইন দেন। এ ছাড়া ওই স্যালািনের মধ্যে দেন আরো কিছু ইনজেকশন।

এর কিছুক্ষন পর মারা যান আমার গরুটি। তিনি ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন। এর অনুলিপি দিয়েছেন উপজেলা প্রাণী সম্পাদক কর্মকর্তা বরাবর। এতে করে ওই চাষি ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আবেদনে।

পশুচিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন বলেন,গরুটি গরমে স্ট্রোক করেছিল। ওইদিন রাতে চিকিৎসা দেওয়ার পর একটু সুস্থ্য হয়েছিল। পরের দিন গরুর মালিক ডাকেন গরু দূর্বল। সে কারনে আরো কিছু ওষুধ দেয়ার জন্য। এ কারনে গরুটিকে স্যালাইন দেবার জন্য আরেকজনকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর স্যালাইন দেবার পর গরুটি আবারও স্ট্রোক করে,মারা যায়। এ সময় তারা আমাদের উপর চড়াও হন মারতে। জোর করে রেখে দেন আমাদের দুইটি মটর সাইকেল। তবে ওই ধরনের চিকিৎসা আপনারা দিতে পারেন কি, এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদোত্তর দেননি।

ওই দুই চিকিৎসকের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন কোটচাঁদপুরের দোড়ার হঠাৎ পাড়ার আলতাপ হোসেনের ছেলে ও নাজিম উদ্দীন একই উপজেলার বলরামনগর গ্রামের বাসিন্দা।

উপজেলা প্রাণী সম্পাদক কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, এ ধরনের চিকিৎসা ওনারা দিতে পারেন না। আমি ভুক্তভোগীদের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।




মেহেরপুর ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক মালিক এসোসিয়েশনের কমিটি গঠণ

মেহেরপুর জেলা ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক মালিক এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৩ই মে বিকেল ৫টায় মেহেরপুরের সেভেন সেন্স রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেবার মান উন্নয়নে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভায় নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন সভাপতি: ডা. আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা, সহ-সভাপতি (সদর)বিধান চন্দ্র নাথ, সহ-সভাপতি(মুজিবনগর) জাহিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক (সদর) শাহিনুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক (গাংনী) হাফিজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবু আক্তার করণ, সহ-দপ্তর সম্পাদক রাশেদ আবু জাফর, অর্থ সম্পাদক শিমুল, সহ-অর্থ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুখি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইমরান পারভেজ, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান সাগর, লাইসেন্স বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য আসিফ আহসান, জাকারিয়া, মন্টু।

উপদেষ্টা মণ্ডলী ডা. আবু তাহের সিদ্দিকী, ডা. পারভেজ হাসান রাজা, আব্দুল লতিব, ডা. মিজানুর রহমান, ডা. জেপি আগরওয়ালা

সভায় বক্তারা সংগঠনের কার্যক্রম আরও বেগবান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জেলার স্বাস্থ্যসেবা খাতে স্বচ্ছতা ও গুণগতমান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।




বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির, সম্পাদক ফরিদ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (১৩ই মে) বিকেল ৫টার সময় গোভীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সদস্য এম এ কে খায়রুল বাশার এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড কামরুল হাসান ।

জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম, ফয়েজ মোহাম্মদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর খান ছাতু, হাফিজুর রহমান হাপি, আব্দুল্লাহ , ইলিয়াস হোসেন, রোমানা আহম্মেদ, ওমর ফারুক লিটন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আঃ রহিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশিউল আলম দ্বীপু, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রিপন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছাবিহা সুলতানা,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, বিএনপি নেতা সৌরভ নাহিদ আহমেদ, মীর ফারুকসহ বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য শেষে নির্বাচনের মাধ্যমে বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি নাসির উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন নির্বাচিত হন।

সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়।




দর্শনায় স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় মামলা, দুই আসামি গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর–মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্র রিয়াদ হোসেন (১৩) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।

নিহত শিক্ষার্থীর বাবা জিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার মামলাটি করেন। পুলিশ হুকুমের আসামিসহ এজাহারনামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামি হযরত আলীসহ তিনজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

গতকাল সোমবার বিকেলে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মা–বাবার সামনেই স্কুলছাত্র রিয়াদ হোসেনকে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। রিয়াদ ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার জিয়ারুল ইসলামের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। তার মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। বাদ আসর দাফনের জন্য সেখানে প্রস্তুতি চলছে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ মো. তিতুমীর জানান, স্কুলছাত্র রিয়াদ খুনের ঘটনায় তার বাবা জিয়ারুল ইসলাম আজ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় প্রতিবেশী হযরত আলী, তাঁর ভাগনে বিদ্যুৎ, মা ফাহিমা খাতুন, বোন বিউটি খাতুন ও স্ত্রী সুবর্ণা খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। হুকুমের আসামি ফাহিমা খাতুন ও সুবর্ণা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, স্বামী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পারিবারিক কলহের কারণে আসামি বিউটি খাতুন তিন মাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। বিউটির স্বামী আনোয়ারের সঙ্গে জিয়ারুলের বন্ধুত্ব থাকায় আসামিরা প্রায়ই তাঁকে (জিয়ারুল) গালামন্দ করতেন। ১২ মে বেলা তিনটার দিকে জিয়ারুল বাড়ি থেকে মাঠের দিকে যাওয়ার সময় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন আসামি ফাহিমা খাতুন। গালি দিতে নিষেধ করলে জিয়ারুলের গেঞ্জির কলার ধরে কিল–ঘুষি মারতে থাকেন ফাহিমা। সেখান থেকে জিয়ারুল কৌশলে বাড়ি ফিরে আসেন। বেলা সোয়া তিনটার দিকে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠি, লোহার রড, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জিয়ারুলের বাড়ির সামনে আসেন। বাড়ির সামনে তাঁরা রিয়াদকে দেখতে পান। এ সময় ফাহিমা খাতুনের হুকুমে হযরত আলী রামদা দিয়ে রিয়াদকে কুপিয়ে হত্যা করেন।




হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলার আইওকে লাঞ্চিত করলো আসামি

মেহেরপুর আদালত ভবনের বারান্দায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে চাঁদাবাজি ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামির বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদালতের একাধিক কর্মচারী ও আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতের বারান্দার সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাটি শহরে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, মেহেরপুরের আলোচিত আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড মামলায় আজ মঙ্গলবার মেহেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য শুনানি ছিলো। যথারীতি তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর ডিবি পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল ইসলাম আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে সাক্ষী দেন। সাক্ষী দিয়ে তিনি আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় মামলার ২ নম্বর আসামি ছন্দা খাতুনসহ কয়েকজন তাকে বিভিন্নভাবে গালি-গালাজ করেনে। এক পযার্যে ছন্দা খাতুন তার পায়ের জুতা খুলে তদন্তকারী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারেন। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা তড়িঘরি করে আদালত চত্বর থেকে বের হয়ে নিরাপদে চলে যান।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে চলমান মামলায় জামিনে থাকা আসামিদের মাধ্যমে আদালতের বারান্দাতেই আক্রমণের শিকারে পরিনত হওয়াতে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

হেনস্তার শিকার হওয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ছন্দাসহ আসামিরা বিভিন্নভাবে বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আজও আদালতে সাক্ষী দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তারা আমাকে উদ্দ্যেশে করে বিভিন্ন গালাগালি করে। আমাদের তাদের কথা কানে না নিয়ে দ্রুত আদালত ত্যাগ করি।’

মেহেরপুর জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর সাইদুর রাজ্জাক টোটন বলেন, ‘বিষয়টি আমি কোর্ট ইন্সপেক্টর এর কাছ থেকে শুনেছি। আদালত চত্বরে আসামিদের এমন উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়টি নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি সুপারিশ করব।




ঝিনাইদহে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া কাজলের ওপর দূর্বৃত্তরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পর থেকে কাজল চেয়ারম্যান আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১১ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গোলাম কিবরিয়া কাজল দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানাগেছে।
হামলার বিষয়ে জানতে গোলাম কিবরিয়া কাজলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তার খোঁজে পুলিশ কাজ করছে।

ঝিণাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী ঘটনা শুনেছেন বলে নিশ্চিত করে বলেন, আমি সে সময় মিটিং এ ছিলাম। পরে জানতে পারি ওই চেয়ারম্যানের ওপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।




মহেশপুর সীমান্ত থেকে নারী, শিশুসহ আটক-৫৯

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ৫৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটকৃতদের মধ্যে ২৬ জন শিশু, ১৮ জন নারী ও ১৫ জন পুরুষ। আটকৃতরা অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিল। এছাড়া ২৭ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটায় মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি জানিয়েছে, মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধীন শ্যামকুড়, খোশালপুর, বেনীপুর, বাঘাডাঙ্গা ও লড়াইঘাট বিওপির পৃথক অভিযানে মোট ৫৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে বিজিবি। আটককৃতরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আটককৃতদের মধ্যে ২৬ জন শিশু ও ১৮ জন নারী। আটককৃত বাকি ১৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশি নাগরিক। তারা ঢাকা, নড়াইল, সুনামগঞ্জ, যশোর, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা।

এছাড়া সীমান্ত বিওপির পৃথক মাদকবিরোধী অভিযানে ২৭ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করে বিজিবি। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, আটকৃত প্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশি নাগরিকদের মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া আটক নারী ও শিশুদের যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হবে।