মেহেরপুরে হার পাওয়ার প্রকল্পের ল্যাপটপ বিতরণ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় মহিলা কল সেন্টার এজেন্ট ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মেহেরপুর দারুল উলুম আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসা মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: খায়রুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার সুব্রত কুমার বিশ্বাস।

ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন জান্নাতুল ফেরদৌস ও সোনিয়া আক্তার।

উল্লেখ্য, ছয় মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে মোট ২৫ জন নারী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম করে তোলার লক্ষ্যেই এই ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুরে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা

মেহেরপুর পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি)-এর সম্মিলিত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মেহেরপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় এবং এফসিডিও’র অর্থায়নে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পিএফজি সমন্বয়কারী মুজাহিদ আল মুন্নার সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও পিস অ্যাম্বাসেডর সায়্যেদাতুন্নেসা নয়ন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য নির্বাচিত আহ্বায়ক ও পিস অ্যাম্বাসেডর আজমল হোসেন মিন্টু, জেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজ উদ্দীন, সাবেক কাউন্সিলর রোকসানা কামাল রুনু, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আল মাসুম, এডভোকেট আমানুল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার মুক্তা, জাতীয় পার্টির মামলত হোসেন, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সঞ্জিত পাল বাপ্পিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংবাদিক, ধর্মীয় ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং পিএফজি’র গঠনতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করেন আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. খোরশেদ আলম। এমআইপিএস প্রকল্পের বিস্তারিত পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন কৌশল উপস্থাপন করেন এলাকা সমন্বয়কারী এস.এম. রাজু জবেদ।

এ সময় পিএফজি’র সমন্বয়কারী ও মাঠ সমন্বয়কারী মো. আশরাফুজ্জামান বিভিন্ন রেজ্যুলেশন ও সামষ্টিক কর্মসূচি উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। সভায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, পৌরসভা কেন্দ্রিক পিস ইভেন্ট এবং পিএফবিটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের জন্য পৃথক কমিটি গঠন করা হয়, যারা আগামী দিনে পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়নে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।




বিজ্ঞানীদের বিষ্ময়কর সাফল্য, ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত নতুন করে গজাবে!

অনেক প্রজাতির প্রাণীর একাধিকবার দাঁত গজালেও মানুষের ক্ষেত্রে সুস্থ দাঁতের জন্য সুযোগ আসে মাত্র একবারই। তবে এই বাস্তবতা হয়তো শিগগিরই বদলে যেতে পারে।

সম্প্রতি লন্ডনের কিংস কলেজের একদল বিজ্ঞানী পরীক্ষাগারে দাঁত গজাতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও এখনই এটি মানুষের ওপর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। গবেষণাকে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়া জন্য এটিকে বিশাল অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কিংস কলেজের রিজেনারেটিভ ডেন্টিস্ট্রির পরিচালক ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি বলেন, ‘জৈবিক উপায়ে দাঁত প্রতিস্থাপন বা নতুন দাঁত গজানোর ধারণাটিই আমাকে কিংসে নিয়ে এসেছে। আমরা পরীক্ষাগারে দাঁত গজিয়ে জ্ঞানের যে ঘাটতি ছিল তা পূরণ করছি।’

আজকাল নিখুঁতভাবে হাসতে পারার আশায় অনেকেই ব্রেস বা ইমপ্লান্টের আশ্রয় নেন। তবে ইমপ্লান্টের মাধ্যমে দাঁত প্রতিস্থাপন সবসময় ঝুঁকিমুক্ত হয় না। ইমপ্লান্টের পর অনেক রোগী নতুন নতুন সম্যার সম্মুখীন হন এবং দীর্ঘদিন ধরে দন্তচিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হয়। যার কারণে রোগীর পাশাপাশি দন্তচিকিৎসকদের জন্যও এটি সমস্যা সৃষ্টি করে।

কিংস কলেজের দন্ত অনুষদের ওরাল অ্যান্ড ক্র্যানিওফেসিয়াল সায়েন্সেস বিভাগের শেষ বর্ষের পিএইচডি শিক্ষার্থী জুয়েচেন ঝাং বলেন, ‘ইমপ্লান্ট করতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় এবং তা সফল করতে হাড় ও ইমপ্লান্টের মধ্যে সঠিক সমন্বয় দরকার। কিন্তু ল্যাবে তৈরি দাঁত স্বাভাবিকভাবে গজাবে এবং চোয়ালের সঙ্গে একীভূত হবে ঠিক আসল দাঁতের মতো। এই দাঁতগুলো হবে বেশি শক্তিশালী, দীর্ঘস্থায়ী এবং শরীরের পক্ষে আরও উপযোগী ও গ্রহণযোগ্য—যা ফিলিং বা ইমপ্লান্টের চেয়ে উন্নত সমাধান।’

কিংস কলেজ ও ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের যৌথ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এক ধরনের বিশেষ উপাদান তৈরি করেছেন, যা কোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ঘটাতে সক্ষম।

এর ফলে এক কোষ অন্য কোষকে দাঁতের কোষে রূপান্তরিত হওয়ার সংকেত দিতে পারে, যা দাঁত গজানোর স্বাভাবিক পরিবেশ অনুকরণ করে নতুন দাঁত গজায়।

পরীক্ষাগারে দাঁত গজানোর জন্য এই প্রক্রিয়াটি সফল হয়েছে। সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—এই দাঁত কীভাবে মানুষের মুখে প্রতিস্থাপন করা যাবে তা নির্ধারণ করা।

জুয়েচেন ঝাং বলেন, ‘আমাদের কিছু ধারণা রয়েছে—যেমন দাঁতের কোষগুলো সরাসরি মুখে প্রতিস্থাপন করা এবং সেগুলোকে সেখানেই গজাতে দেওয়া। অথবা দাঁতটি পুরোপুরি ল্যাবে তৈরি করে পরে তা রোগীর মুখে স্থাপন করা যেতে পারে।’

তবে যেভাবেই হোক, পুরো প্রক্রিয়া শুরু হবে পরীক্ষাগার থেকেই।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ দাঁত হারানোর সমস্যায় ভুগছেন। এটি শুধু খাওয়া বা কথা বলায় সমস্যার সৃষ্টি করে না বরং সৌন্দর্যগত ও মানসিক সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া ক্ষয় হয়ে যাওয়া দাঁতের ভেতর দিয়ে মুখের জীবাণু রক্তপ্রবাহে ঢুকে হৃদরোগ ও সংক্রমণের কারণও হতে পারে—যা বৃদ্ধদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।

কিংস কলেজের ক্লিনিক্যাল লেকচারার ও প্রস্থোডন্টিক্স বিশেষজ্ঞ সাওরশে ও’টুল বলেন, ‘দাঁত পুনর্জন্মে এই প্রযুক্তি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং এটি দন্তচিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। এটি আমার চিকিৎসাজীবনের সময়কালে কার্যকর হবে কিনা নিশ্চিত নই, তবে আমার সন্তানরা জীবদ্দশায় সম্ভবত দেখা যাবে। আর তাদের সন্তানেরা হয়তো এটি পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে।’




ঝিনাইদহে জনসচেতনতা সম্পর্কিত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে “গ্রাম আদালত কার্যক্রম” সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার- প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বয় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়।

এছাড়া ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত মোঃ রাহিদুল ইসলাম, উপ পরিচালক সমাজ সেবা অধিদপ্তর আব্দুল কাদের, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার মুন্সী ফিরোজা, বিভিন্ন উপজেলার প্রকল্প সমন্বয়কারী, এনজিও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সমন্বয় সভায় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩ পর্যায়) প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালতের সমস্যা ও সমাধানের বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরা হয়। প্রচার-প্রচারনায় অংশীজনদের সহযোগীতার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।




বছরে ২৯ লাখ টাকা বেতনে লোক নেবে অক্সফাম, কর্মস্থল ঢাকা

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বাংলাদেশে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি ঢাকায় হেড অব ইকোনমিক ইনক্লুশন অ্যান্ড জাস্টিস পদে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: হেড অব ইকোনমিক ইনক্লুশন অ্যান্ড জাস্টিস

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, সমাজবিজ্ঞান, ফেমিনিস্ট ইকোনমিকস বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থায় ইকোনমিক ইনক্লুশন অ্যান্ড জাস্টিসে অন্তত ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে ম্যানেজারিয়াল বা নেতৃত্বের পর্যায়ে অন্তত সাত বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। মার্কেট অ্যাসেসমেন্ট, জেন্ডার–ট্রান্সফরমেটিভ ভ্যালু চেইন ডেভেলপমেন্ট, জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টিং, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড এমএসই ডেভেলপমেন্ট, স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টিভিইটি, ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড লাইভলিহুড, ক্যাপাসিটি অ্যাসেসমেন্ট ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ে দক্ষ হতে হবে। পপুলার মোবিলাইজেশন, ফেমিনিস্ট রিসার্চ মেথোডলজি, পলিসি অ্যাডভোকেসি ও ক্যাম্পেইনে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। উপস্থাপনা ও যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

কর্মস্থল: ঢাকা

কর্মঘণ্টা: সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘণ্টা

বেতন ও সুযোগ–সুবিধা: বছরে (১৩ মাস) বেতন ২৯ লাখ ১৮ হাজার ২৫৫ টাকা। এ ছাড়া প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, ছুটি ও বিমার সুযোগ আছে।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময়: ১৯ এপ্রিল ২০২৫।

সূত্র: যুগান্তর




কোটচাঁদপুরে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিশু আহত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় তিন বছরের শিশু আলামিন হোসেন আহত হয়েছে। শিশুটি তার মায়ের কোলে ছিল। ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে গেলে গুরুতর আহত হয় সে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ এপ্রিল উপজেলার বলুহর গ্রামের শেখপাড়ায়। অভিযোগ করেও সাড়া না পেয়ে হতাশ পরিবারটি।

আহত শিশুর মা কাকলী বেগম জানান, “গত ২ এপ্রিল, বুধবার রাত ৮টার দিকে আমরা সবাই বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম বিয়েবাড়ি যাবার প্রস্তুতিতে। আলামিন ছিল আমার কোলে। হঠাৎ একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল আমাকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় আমার কোল থেকে আলামিন ছিটকে পড়ে যায়। মাটি থেকে তুলতেই বুঝতে পারি, কোথাও ভেঙে গেছে।”

তাৎক্ষণিকভাবে আলামিনকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা ঈদের পরদিন হওয়ায় চিকিৎসক সংকট দেখিয়ে কোনো চিকিৎসা না করেই শিশুটিকে যশোর হাসপাতালে রেফার করেন।

কাকলী বেগম আরও বলেন, “সেদিন মোটরসাইকেলে চারজন আরোহী ছিল। তাদের মধ্যে হৃদয় ঢালীকে আমি চিনতে পেরেছি। বাকি তিনজনকে চিনতে পারিনি। এলাকার লোকজন সালিশ করে মীমাংসার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে গত ১২ এপ্রিল কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

আহত শিশু আলামিন বলুহর গ্রামের ট্রাকচালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে সে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মফিজুর রহমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আগামী শুক্রবার ওসি স্যার দুই পক্ষকে নিয়ে বসবেন।”




নিজের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিতর্কে ঊর্বশী

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলার যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। কোনো মন্তব্য করলেই নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে গিয়ে ফের বাক্যবাণে বিদ্ধ হলেন ‘দাবিড়ি দিবিড়ি’খ্যাত অভিনেত্রী।

সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে সোজা বলিউড পা রাখেন ঊর্বশী রাউতেলা। বেশ কয়েকটি সিনেমা ও সিরিজেও দেখা গেছে তাকে। সম্প্রতি মিস ইউনিভার্সের বিচারকও হয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। এবার তাকে নিয়ে আবার নতুন করে বিতর্কের শুরু।

উত্তরাখণ্ডের মেয়ে উর্বশী রাউতেলা। এবার নিজের বাবার সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে সমালোচনার শিকার হলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, উত্তরাখণ্ডের মেয়ে বলেই তিনি সব দিক থেকেই সুন্দরী। সম্প্রতি বাবার রূপের বর্ণনা দিতে গিয়ে ঊর্বশী বলেন, ‘উত্তরাখণ্ডের মানুষ এমনিতেই লম্বা, ফর্সা ও সুন্দর। আমার বাবাকেই দেখুন। তার উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। ফর্সা, সুন্দর ও লম্বা। একেবারে সুপারমডেলের মতো।’

উর্বশীর এ মন্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তে। দেখা যায় অভিনেত্রী বলছেন— উত্তরাখণ্ডের মানুষ এমনিতেই লম্বা, ফর্সা ও সুন্দর। এরপর নিজের বাবার সৌন্দর্যের বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। ভারতের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম যে কোনো দিকের মানুষের চেয়েই উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দারা সব দিক থেকে অনেক বেশি সুন্দর। এই মন্তব্যের জন্য তার দিকে ধেয়ে আসে কটাক্ষ। নেটিজেনদের সমালোচনায় তিনি বিদ্ধ।

উর্বশী বলেন, আপনি আমার যা দেখছেন সবটাই স্বাভাবিক। এর মধ্যে কৃত্রিম কিছু নেই। আমি তো উত্তরাখণ্ডের মানুষ। জন্মের পর থেকেই এখানকার মানুষ সুন্দর। তাই কৃত্রিমভাবে কোনো কিছুর দরকার পড়ে না।

নিজের দিদিমার সঙ্গে অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার তুলনাও করেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আমার দিদিমা বৈজয়ন্তীমালার থেকে কম সুন্দর নয়। তার বয়স এখন ৯০ বছর। এখনো তার মুখের ত্বক টানটান। আসলে জিনের ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করে।

সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই উর্বশীকে এক নেটিজেন বলেছেন, আপনি সবসময় নিজেকে নিয়ে এত বড়াই করেন কীভাবে? আরেক নেটিজেন বলেছেন, আপনি নিজের জন্য একটি লোক নিয়োগ করুন, যিনি আপনার এসব নিরর্থক কথা মন দিয়ে শুনবেন।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে কৃষক সাইফুল শেখের পরিবারের পাশে প্রশাসন ও খানি

মেহেরপুরে পেঁয়াজ চাষি সাইফুল শেখ আত্মহত্যার ঘটনায় সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে আসা বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) দলের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার নিহত কৃষকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মেহেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ মণ্ডল।

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন এবং উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বুধবার খানি সদস্য সংগঠনসমূহের প্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী, কৃষি গবেষক, লেখক ও সাংবাদিকরা নিহত কৃষকের পরিবার, স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে আজ ইউএনও পলাশ মণ্ডল খানি ভিজিট টিমকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি সাইফুল শেখের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর ইউএনও পলাশ মণ্ডল উপজেলা সমাজকল্যাণ তহবিল থেকে শোকাহত পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন। এছাড়াও, বেসরকারি ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান আশা থেকে নিহত কৃষকের ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা, কৃষকের মেয়ে রোজেফা খাতুনের জন্য শিক্ষাবৃত্তি, এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন। কৃষক সাইফুলের পরিবারকে কৃষিকাজ চালিয়ে যেতে বর্গাচাষের জমিতে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও সার সরবরাহেরও আশ্বাস দেন তিনি।

ইউএনও পলাশ মণ্ডল বলেন, “যা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আপনাদের যে ক্ষতি হয়েছে, আমরা তা পুরোপুরি পুষিয়ে দিতে পারব না, তবে আপনাদের প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি।”
তিনি আরও বলেন, “নিহত কৃষক সাইফুল শেখের এই ঘটনায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে খানি ক্যাটালিস্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।” কৃষক ও কৃষি বিষয়ে খানির কার্যক্রমের জন্য তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

খানি সহসভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকী জানান, এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য তারা কাজ করছেন। প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কিছুটা হলেও সহায়তা পাবে।

খানি দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নেটওয়ার্কটির সহসভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকী, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চের নির্বাহী প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী, ইনসিডিন বাংলাদেশের মুশফিক সাব্বির, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার অমিত রঞ্জন দে, আজকের পত্রিকার সাংবাদিক সাইফুল মাসুম এবং পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক প্রাণের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর উম্মে সালমা প্রমুখ।




১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক যে সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল তা আমাদের জন্য বীরত্বগাথা অধ্যায়

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই আম্রকাননে ঐতিহাসিক যে সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল তা আমাদের জন্য  বীরত্বগাথা অধ্যায়। আমরা গতকালে ফিরে যেতে পারব না। ইতিহাসের উপর কোন কিছু আরোপ করা যায় না। এখানে যে সরকার গঠন করা হয়েছিল সেই বিষয়টি অমলিন হয়ে থাকবে।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সূর্যদয়ের সময় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসকল কথা বলেন।

তিনি বলেন, অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহন জাতীর জন্য একটা গৌরব উজ্জল অধ্যায়। এটা অমলিন থাক। আমরা যেন এটাকে সারাজীবন বরণ এবং উদযাপন করতে পারি। এটা মেহেরপুর, বৈদ্যনাথতলা এবং এই অঞ্চলকে ধন্য করেছে। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা আছে তারা প্রতিনিয়তই এটাতে বিব্রতবোধ করেন। যারা মুক্তিযুদ্ধ না করেও নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে পরিচিত করাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে  অনেক উদ্যেগ আমরা ইতিমধ্যে গ্রহন করেছি। কিছু বিষয় আছে, যে বিষয়গুলো আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি আমরা। আদালতে অনেকেগুলো মামলা আছে।  আমরা চেষ্টা করছি মামলাগুলো নিষ্পত্তি করা। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স এর উন্নয়নের বিষয়ে আরও বলেন, এখানে যা কিছু করা হবে তা ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার নিরিখেই করা হবে। এর বাইরে কোন কিছু আরোপিত করা হবে না। কোন কিছুর সত্যতার ইতিহাস মোচনও হবে না। ‌

ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিলের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানটি পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বৈদ্যনাথতলা আমবাগানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, গার্ড অব অনার গ্রহণ এবং স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেনে উপদেষ্টা। একই সঙ্গে মুজিবনগর সৃতিসৌধে পতাকা উত্তোলন করেন স্থানীয় প্রশাসন।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন পুলিশ পরিদর্শক (আর আই) আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যের একটি টিম।

পতাকা উত্তোলন শেষে ১৯৭১ সালে অস্থায়ী সরকার গঠনকালে গার্ড অব অনার প্রদানকারী জীবিত ২ আনাসার সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিমদ্দীন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন কে সন্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টার একান্ত সচি তথ্য ও লেঃ কর্নেল(অব:)আব্দুল গাফ্ফার, তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্ত এনায়েত হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব আমিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব ইসরাত জাহান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(সার্বিক) শওকত হোসেন,  মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ও পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডলসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স এবং আমবাগানের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।




সংক্ষিপ্ত সফরে মেহেরপুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক সংক্ষিপ্ত সফরে মেহেরপুর পৌঁছেছেন।

আজ বুধবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক মেহেরপুর সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ তাঁকে স্বাগত জানান। উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীকের সফর সঙ্গি হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান চৌধুরীসহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ রয়েছেন।

এছাড়াও সার্কিট হাউসে অন্যদের মধ্যে খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হোসাইন শওকত, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন। এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে মেহেরপুর ত্যাগ করবেন।