নারী শুটিংয়ে স্কুলছাত্রীর স্বর্ণপদক জয়

বয়স মাত্র ১৬, পড়েন স্কুলে। তবে এসব যেন ভুলেই গিয়েছিলেন কোরিয়ান তরুণী বান হিউজিন। সাবলীলভাবে লক্ষ্য ঠিক রেখে নিজের বন্দুক থেকে একের পর এক বুলেট ছুড়ছিলেন। শেষ অবদি দেশকে এনে দেন পদকও। যা কি না গ্রীষ্ম অলিম্পিকের কোরিয়ার শততম স্বর্ণ পদক। আর শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে হিউজিন হারিয়েছেন চীনের হুয়াং ইউটিংকে। যার ঝুলিতে কি না ইতিমধ্যে একটি স্বর্ণপদক রয়েছে।

গেল শনিবার ইউটিং ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের মিশ্র ইভেন্টে শেং লিহাও-এর সঙ্গে জুটি গড়ে হারিয়েছিল বান হিউজিন এর দেশেকেই। মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের লড়াইয়ে বলতে গেলে সেটারই প্রতিশোধ নিয়ে নিলেন হিউজিন। হিউজিন আর ইউটিংয়ের বয়সের ব্যবধান মাত্র এক বছর। তবে দুজনের লক্ষ্যই দুর্দান্ত। যা দেখা গিয়েছিল গতকালের লড়াইয়ে। এই দুই তরুণীর স্কোরও ছিল সমান সমান ২৫১.৮। পরে শুটঅফে স্বর্ণ পদক জয়ী চূড়ান্ত হয়। যদিও সেখানেও হয়েছিল তুমুল লড়াই। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছিলেন না। তবে শেষ অবদি হিউজিনের হাতেই ওঠে স্বর্ণ পদক। আর ইউটিং-এর হাতে ওঠে রূপা।

এছাড়া এ লড়াইয়ে সুইজারল্যান্ডের অস্ত্রে গগনিয়াট জেতেন ব্রোঞ্জ। এদিকে যখন হিউজিন বুঝতে পারলেন যে তিনি স্বর্ণ জিতেছেন, তখন তিনি উপরে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে তার রাইফেলটি নামানোর আগে একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললেন। পরে তার কোচকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার সহকর্মী পদকপ্রাপ্তদের সঙ্গে পোজ দেওয়ার সময় চোখের জল মুছছিলেন তখন তিনি আবেগে কাঁপছিলেন বলে মনে হচ্ছিল। হয়তো তিনি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন নিজের এই অর্জনকে।

পরে তিনি বলেন, ‘এই অল্প বয়সে, যখন আমি আমার পরিবার ছাড়া একা এই গেমসে অংশ নিতে ফ্রান্সে আসি তখন নিজের মধ্যে অনেক চাপ অনুভব করছিলাম। কিন্তু ম্যাচের পর দেখলাম স্বদেশবাসী আমার জন্য উল্লাস করছে তখন আমার মনে হয়েছে, অবশেষে।’

দুই শট বাকি থাকতেই ১.৩ পয়েন্টের তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দ্যময় লিড থাকার পরও হিউজিনের মনে হয়েছে তিনি স্বর্ণপদক হারিয়েছেন। ততক্ষণে তার একটি শট বাদে সবগুলোই সম্ভাব্য ১০.৯ এর কমপক্ষে ১০ পয়েন্ট অর্জন করেছিল, তবে তারপরে তিনি ৯.৯ এবং ৯.৬ শট করেছিলেন যাতে ইউটিং ব্যবধানটি কমাতে পারে এবং টাইব্রেকার শ্যুট-অফ যাতে ম্যাচটি যায়। সেখানে হিউজিন ১০.৪ স্কোর করে আর ইউটিং ১০.৩ স্কোর করেন।




গাংনীতে জামার নিতে গিয়ে দর্জির শ্লিলতাহানির চেষ্টা, স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

দর্জির শ্লীলতাহানির চেষ্টার অপমান সইতে না পেরে বৃষ্টি খাতুন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃষ্টি খাতুন গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের বাজারপাড়া এলাকার আসাদুল হকের মেয়ে ও চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী।

গতকাল সােমবার (২৯ জুলাই) সকালের দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। সেখানেই তার ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃষ্টির বড় চাচা আনারুল ইসলাম জানান, গত রবিবার সন্ধ্যায় পােষাক তৈরী করতে বৃষ্টি প্রতিবেশী দর্জি শরিফুল ইসলামের বাড়িতে যায়। শরিফুল পােষাক তৈরীর মাপ নিতে গিয়ে বৃষ্টির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।  পরে বাড়িতে এসে বৃষ্টি খাতুন বিষয়টি তার দাদি মাজেদা খাতুনকে জানায়। শুনার পর দাদি মাজেদা নাতনীর শ্লীলতাহানির অভিযােগ নিয়ে শরিফুলের কাছে যান। তবে শরিফুল ইসলাম এটি মিথ্যা দাবি করেন।

বৃষ্টি বিষয়টি তার দাদিকে জানানোর পর শরিফুলের বাড়িতে যাওয়ার পরপরই নিজ কক্ষের দরজা লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মাজেদা খাতুন শরিফুলের বাড়ি থেকে ফিরে বৃষ্টির কক্ষটি ভিতর থেকে বন্ধ পান। প্রতিবেশীদের সহায়তায় কক্ষের দরজা ভেঙ্গে তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখেন।

এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন চিকিৎসক। গতকাল সােমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

এদিকে দর্জি শরিফুল ইসলাম নিজের দোষ ঢাকতে উল্টো বৃষ্টিকেই চরিত্রহীন অপবাদ দিয়েছেন। বৃষ্টি এলাকার বিভিন্ন ছেলেদের সাথে প্রেম করে বেড়াতাে বলে অপবাদ দেন।

এদিকে বৃষ্টির মা সাগরি খাতুন তার মৃত্যুর জন্য দর্জি শরিফুল ইসলামকে দোষারুপ করে তার বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, শরিফুলের শ্লিতাহানির চেষ্টার কারনেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

অভিযুক্ত দর্জি শরিফুল ইসলাম জুগিন্দা গ্রামের বাজারপাড়ার সদর আলীর ছেলে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম জানান, আত্মহত্যার ঘটনাটি শুনেছি। অভিযােগ পেলে, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রিন্ট ও অনলাইন থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করতে হবে। কারণ মানুষ এখন ডিজিটাল যুগ পার করে স্মার্ট যুগে অবস্থান করছে। কালেরধারায় বদলেছে সাংবাদিকতা। তবে এখনো প্রিন্ট পত্রিকার কদর উবে যায়নি। এটাকে বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করতে হবে। এটাতে বঅর্থ হলে সংবাদপত্রের জগতে আমরা পিছিয়ে যাবো।

এই যুগে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল সাংবাদিকতা। স্মার্ট যুগের মানুষ খবরের সাথে সাথে দেখতে চাচ্ছেন স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্র। পাঠকদের চাহিদা বিবেচনা নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন পরিবারকে এগিয়ে যেতে হবে ডিজিটাইলেজের যুগে। এসব কথা তুলে ধরেন দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের এই সময়ের সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত প্রতিনিধিবৃন্দ।

গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) পত্রিকার হলরুমে পত্রিকায় কর্মরত প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী কর্মশালা।

এ সময় বক্তব্য দেন মেহেরপুর প্রতিদিনের আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা মুন্সি জাহাঙ্গীর জিন্নাত, বার্তা সম্পাদক জুলফিকার আলী কানন, গাংনী প্রতিনিধি আকতারুজ্জামান, মুজিবনগর প্রতিনিধি শের খান, স্টাফ রিপোর্টার সরোয়ার হোসেন ডালিম, সাকিব হাসান রুদ্র, কামরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আবু রায়হান নিরব, বারাদি প্রতিনিধি এস আই বাবু, কাথুলী প্রতিনিধি পলাশ আহমেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি শাহানুর আলম, আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি তানভির সোহেল, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি সাকিব বিশ্বাস, দর্শনা প্রতিনিধি আহসান মামুন, দামুড়হুদা প্রতিনিধি রকিবুল ইসলাম তোতা, উপস্থাপক ইয়ামিন হাসান, কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি মইন উদ্দিন। সম্মেলনে মেহেরপুর সহ বৃহত্তর কুষ্টিয়ার চার জেলার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

প্রতিনিধি সম্মেলনে পত্রিকার সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন বলেন, মেহেরপুর প্রতিদিন এখন শুধু একটি জেলা নয়, এটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলার পাঠকপ্রিয় পত্রিকা। মাত্র ৭ বছরে পত্রিকাটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। পত্রিকার এই অবস্থানের জন্য শুধু আমরা একা কাজ করিনি। প্রতিটি প্রতিনিধির নিরলস পরিশ্রমের ফসল। শুধু প্রিন্ট ভার্সনই নয়, অনলাইন ভার্সনেও রয়েছে অসংখ্য পাঠক। শুধু জেলায় নয়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছেন নতুন নতুন পাঠক। তাই সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এখন ডিজিটাল যুগে যেতে চাই। অগনিত পাঠক খবরের চাহিদা আমরা পুরণ করতে চাই। এজন্য পত্রিকার সাথে জড়িত সকল প্রতিনিধিদের এক সাথে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবাইকে প্রতিদিন অন্তত একটি বা দুটি করে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার আহবান জানান।

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু বলেন, প্রিন্ট পত্রিকার চাহিদা সমাজ থেকে এখনো যায়নি। তাই ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করলেও আমাদের প্রিন্ট ভার্সনকেও শক্তিশালী করে রাখতে হবে। কারণ, প্রিন্ট পত্রিকা ইতিহাসের দলিল বলা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আমরা পত্রিকাটিকে সাত বছর বিভিন্ন চড়াই উত্তরাই, মামলা মোকদ্দমা ফেস করেই আজকে এখানে পৌছেছি। এই সাত বছরে পত্রিকার অর্জন আছে অনেক। আমরা কখনো দূর্ণীতি, অন্যায়, জুলম ও অনাচারের কাছে মাথা নত করিনি। আগামীতেও সাফল্য ধরে রাখতে পত্রিকা সেই ভূমিকা পালন করবে। এজন্য সকল প্রতিনিধিকে তার পেশাদারিত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

আইটি প্রধান মুন্সি জাহাঙ্গীর জিন্নাত বলেন, ডিজিটাল প্লাটফরমকে দাঁড় করাতে হলে সবার আগে খবর ও ভিডিওচিত্র ও তথ্যচিত্র দিতে হবে। তবে, প্রতিটি ভিডিওচিত্র যেনো নিজস্ব হয়। এছাড়া জনপ্রিয় করতে এবং পাঠকের দারপ্রান্তে পৌছাতে বিভিন্ন কর্মপন্থাও তুলে ধরেন তিনি।

গাংনী উপজেলা প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান বলেন, পত্রিকার প্রতিদিনের ঘটনাবলী নিয়ে সংবাদ তৈরির পাশাপাশি ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করতে আমাদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে হবে। বিশেষ করে লোগো সম্বলিত বুম, কর্ডলেস ওয়ার্লেস, আইডি কার্ড, নিয়োগপত্র ও অন্যান্য সাপোর্টের দাবি দাওয়া তুলে ধরেন তিনি। এজন্য পত্রিকার সম্পাদকসহ ব্যবস্থাপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।




মিডিয়ায় তিন দশক “এনালগ থেকে স্মার্ট যুগে”

সময়ের নিরন্তর প্রবাহে থামতে হয় কখনো প্রয়োজনে, কখনো অপ্রয়োজনে। এরই মাঝে ঘটে যায় বহু ঘটনা। যা রয়ে যায় স্মৃতি হয়ে। সেই স্মৃতি ধরে রাখতে হয় জীবনের প্রয়োজনে। না হলে জীবনটা হয়ে ওঠে নিরানন্দময়। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ন আহমেদ বলেছেন “জীবনে কিছু কিছু প্রশ্ন থাকে যার উত্তর কখনো মিলেনা, কিছু কিছু ভুল থাকে যা শোধরানো যায়না, আর কিছু কিছু কষ্ট থাকে যা, কাউকে বলা যায়না”।

কথাগুলো এজন্যই বললাম আমাদের ঘটে যাওয়া স্মৃতিগুলো আর জীবনের কষ্টগুলো প্রতিনিয়তই আমাদের হাসায়-কাঁদায়।
আমি ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে অনেকটা শখের বসেই এসেছিলাম সংবাদপত্রের জগতে। কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক শিকল পত্রিকা দিয়ে শুরু হয় এই জগতে পদার্পণ। এখন অনেক অনুজ সাংবাদিক ডেকে থাকেন সিনিয়র বলে। অর্থাত, বয়স যে বেড়েছে সেটা বুঝতে আর বাকি নেই। যাইহোক, আজকের লেখার বিষয়টি একেবারেই নিজেকে নিয়ে। দেখতে দেখতে প্রায় তিন দশক পূর্ণ হতে চলেছে আমার সাংবাদিকতা। এটা আমার কাছে ছোট্ট সময় মনে হলেও এই সময়ের মধ্যে পার হয়েছে বেশ কয়েকটি সরকার। পরিবর্তন হয়েছে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা। আমরা এনালগ যুগে আমাদের সাংবাদিকতা শুরু করলেও ডিজিটাল যুগ পার করে এখন অবস্থান করছি স্মার্ট যুগে। আসলে এখন কালেরধারায় বদলেছে আমাদের সাংবাদিকতা। এক সময়ের প্রিন্টের পত্রিকার কদর উবে গিয়ে এখন দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল সাংবাদিকতা। বাঁশি খবর নয়, স্মার্ট যুগের মানুষের রুচি পাল্টেছে একেবারেই আনকোরা খবরের। তারা ঘটনার সাথে সাথে দেখতে চাচ্ছে ভিডিও এবং স্থিরচিত্র।

অনেকের মনে আছে জাপানের ইয়াসিকা ক্যামেরা আর সনি ব্রান্ডের টেপরেকর্ডারে কথা। ওই সময়ে এইগুলো থাকা মানে সে ছিল স্মার্ট সাংবাদিক। সময়ের কারণে ওগুলো এখন ইতিহাস।

একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন মানেই একজন স্মার্ট সাংবাদিক। তবে, এটাকে নেগেটিভভাবে দেখারও কিছু নেই। এটা যুগের পরিবর্তন। সবকিছু বদলে যাবে, নতুনরা আসবে এই জায়গাগুলো পুরণ করতে। তবে, মোবাইল সাংবাদিকতা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও আমি কিছুটা শংকিত। আমার কাছে কেনো যেনে মনে হচ্ছে এর একটা বিরুপ প্রতিক্রিয়াও তৈরী হচ্ছে পাঠক সমাজে। কারণ, এই সাংবাদিকতা সমাজের ঘটে যাওয়া কিছু তথ্যচিত্র সমাজকে বিভ্রান্তও করছে। অথচ, অকেগুলো বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ একজন সাংবাদিককে। একজন সাংবাদিককে খাটি দেশপ্রেমিক হওয়া উচিৎ। দেশের ক্ষতিসাধিত হয়, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়, সংবাদকে কেন্দ্র করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, গুজব সৃষ্টি হয় এমন মিথ্যা তথ্য পরিবেশনসহ সংবেদনশীল বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরী। প্রকৃত অর্থেই জাতির বিবেকের দায়িত্ব পালন করতে হবে সাংবাদিকদের।

৯০‘র দশকের মাঝামাঝি সময়ে সাংবাদিকতার একটা মোহে পড়েছিলাম আমি। মনে হয়েছিলো সমাজের সমস্ত অন্যায়, অপরাধ, অনিয়ম, দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব কলমের শাসনে। এছাড়া এলাকার উন্নয়নে শরিক হওয়ার পাশাপাশি সমাজের নির্যাতীত নীপিড়িত মানুষের পক্ষেও কথা বলা যায়। মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি সমাজের মানুষেকে মানবিক সেবা দান করা যায়।

৯০ র দশকের সেই শারীরীক সক্ষমতা এখন আর নেই। তবে অধ্যায়টা এখন আমার কাছে সোনালী স্মৃতি। আর এটাই আমার কাছে গর্ব।

আমরা এখন ডিজিটাল দেশে থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে অবস্থান করছি। আর এই স্মার্ট বাংলাদেশে এখন অনেক অনলাইন পোর্টাল, অনলাইন এসব নিউজ পোর্টালের সাথে যুক্ত হয়েছে মাল্টিমিডিয়া। দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকা, ইউটিউব চ্যানেল, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সাথে যুক্ত হয়েছে আইপি টিভি। এসব গণমাধ্যমে হাজার হাজার সংবাদকর্মী কাজ করছেন। সংবাদপত্র শিল্পে এখন অনেক মানুষের জীবন জীবিকার সংস্থানও হয়েছে।

কিন্তু সাংবাদিকতার মানদন্ড নীচে নামতে নামতে এখন এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে যে, তা আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব নিউজ পোর্টালের বেশিরভাগ সাংবাদিকই অপ্রশিক্ষিত, সঠিক শিক্ষা সনদবিহিন, অপেশাদার ও ভিন্নপেশার লোক। বেশিরভাগ অনলাইন সাংবাদিকতার মান এখন অনেকটাই অরুচীকর, পেশাদারিত্বহীন।

মেইন স্ট্রিমের শতাধিক জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা মূলধারায় অবিচল থাকলেও সারা দেশে হাজার হাজার অনিয়মিত পত্রিকা, নিবন্ধনহীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ফেসবুক পেজ ইয়োলো জার্নালিজমকে স্থায়ী রুপ দিতে রিতিরকম যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এসব অখ্যাত অনিয়মিত পত্রিকা, নিউজ পোর্টাল ও ফেসবুক পেজ বন্ধে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিক এবং সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়কে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। পদক্ষেপ না নিলে গোটা সাংবাদিক সমাজই জাতির কাছে বিরাট এক প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন। এক সময় গোটা জাতি তথ্য সন্ত্রাসে আক্রান্ত হবেন।

সাংবাদিকতা পেশা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। এ পেশায় ভোগ বিলাশী জীবন যাপনের কোন সুয়োগ নেই। পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল থেকে যে বেতন ভাতা পাওয়া যায় তা দিয়ে জীবন ধারণ করা অতি কষ্টকর। সম্মানে অতি উচু হলেও বেতন ভাতায় অতি নীচুতা গ্রাস করে আছে এই পেশাটাকে। মুল ধারার হাতে গোনা কিছু জাতীয় দৈনিক ও টিভি চ্যানেলে পেশাদার সাংবাদিকদের বেতন ভাতা সুনিশ্চিত থাকলেও অন্যান্য হাজার হাজার পত্রিকা এবং কিছু টিভি চ্যানেলে সেই নিশ্চয়তা একদমই নেই। ফলে অনেক পেশাদার সাংবাদিক জীবন জীবিকার চাহিদা মেটাতেই যুক্ত হচ্ছেন আরেকটি পেশার সাথে।
সাংবাদিকতাটাকে পার্টটাইম জব হিসবে বেচে নিচ্ছেন অনেকে। আসলে পেটে ক্ষুধা থাকলে মাথায় শুভচিন্তা আসে না। পেশার সম্মান বজায় রাখতে হলে সাংবাদিকদের অর্থনেতিক বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। এটা সুনিশ্চিত করতে পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের মালিক পক্ষকেই এই দায় নিতে হবে।

আমরা দেখেছি সব পেশাতেই ঝুঁকি ভাতা রয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা প্রতি নিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রান নাশেরও হুমকি পান। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকেই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অথচ, সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য দেশে আজোও তৈরী হয়নি “সাংবাদিক সুরক্ষা আইন“। তবে, বর্তমান সরকার এখন বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আমরা দেখেছি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময় সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন। এজন্য তাদের প্রাণ পর্যন্ত দিতে হচ্ছে অথচ, সাংবাদিকদের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো বীমা ব্যবস্থা নেই দেশে।

সাংবাদিকতাতে আসার কথা ছিল শিক্ষিত, চৌকস, মেধাদীপ্ত যুব সমাজকে। বিভিন্ন কারনে এসব শিক্ষিত ও মেধাবী সমাজটা এই পেশাটিকে এড়িয়ে চলেন। আর এই সুযোগে মেট্রিক পাশ বা অর্ধ শিক্ষিতরা বিনা বেতনে সাংবাদিক বনে যাচ্ছেন।

এক্ষেত্রে কিছু অখ্যাত দৈনিক পত্রিকা ৫ শ বা ১ হাজার টাকার বিনিময়ে সাংবাদিক তৈরী করছে। নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশ ও বাজারজাত না করতে পারলেও কার্ড বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা জন্ম দিচ্ছেন অর্ধ শিক্ষিত বা বিনাবেতনের অসংখ্য সাংবাদিক। ফলে সাংবাদিক পেশার মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে।




ঝিনাইদহে ১ হাজার বাস ও ট্রাক শ্রমিকের মাঝে পৌর মেয়রের আর্থিক সহায়তা প্রদান

দেশব্যাপী চলমান কারফিউ পরিস্থিতির মধ্যে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে সাধারণ শ্রমিকদের দৈনন্দিন আয় রোজগার সাময়িক স্থবির থাকাতে ১হাজার বাস ও ট্রাক শ্রমিকের মাঝে ঝিনাইদহ পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহারিযর জাহেদী হিজল নিজ উদ্যোগে নগদ অর্থ সহযোগিতা প্রদান করেছেন।

ঝিনাইদহ আরাপপুরের নবগঙ্গা তীরে নিজ বাড়ীতে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় পৌর মেয়র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাহেদী ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক তবীবুর রহমান লাবু, পাগলা কানাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাসসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র হিজল গণমাধ্যমকে বলেন, দেশব্যাপী সমসাময়িক কারফিউ পরিস্থিতিতে যানবাহন বন্ধ থাকার কারনে সাধারণ শ্রমিক ভাইদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যায় তারই ধারাবাহিকতায় অস্বচ্ছল ১হাজার জন শ্রমিক ভাইদের হাতে সামান্য কিছু নগদ অর্থ তুলে দিয়ে পাশে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তিনি আরও বলেন, যেকোন পরিবেশ পরিস্থিতিতে শ্রমিক ভাইদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেণ।

এ ব্যাপারে সাধারণ শ্রমিকরা বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন বন্ধ থাকায় তাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যায় এমতাবস্থায় পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল নিজ উদ্যোগে শ্রমিকদের মাঝে অর্থিক সহায়তা প্রদান করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেণ এবং সবসময় তাদের পাশে থাকার প্রত্যাশা জানিয়েছেন।




নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি), শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন গ্রেডে ৩৬ জনকে নিয়োগ দেবে। আগামী ০২ জুলাই থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের সংখ্যা

০৫টি

পদের নাম

উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল/অটোমোবাইল/পাওয়ার), জুনিয়র অফিসার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, অফিস সহায়ক ও বার্তা বাহক ও সাহায্যকারী।

যোগ্যতা

উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল/অটোমোবাইল/পাওয়ার)

পদটিতে পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ইলেকট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল/অটোমোবাইল/পাওয়ার-এ ডিপ্লোমাসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হয়ে ১৬ হাজার থেকে ৩৮ হাজার ৬৪০ টাকা।

জুনিয়র অফিসার

পদটিতে চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ চার বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হয়ে ১২ হাজার ৫০০ থেকে ৩০ হাজার ২৩০ টাকা।

ডাটা এন্ট্রি অপারেটর

পদটিতে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হয়ে ৯ হাজার ৭০০ থেকে ২৩ হাজার ৪৯০ টাকা।

অফিস সহায়ক ও বার্তা বাহক

পদটিতে সাতজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। অষ্টম শ্রেণি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হয়ে ৮ হাজার ২৫০ থেকে ২০ হাজার ১০ টাকা।

সাহায্যকারী

পদটিতে ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। অষ্টম শ্রেণি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হয়ে ৮ হাজার ৩০০ থেকে ১৯ হাজার ১৪০ টাকা।

বয়সসীমা

১৮ থেকে ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

আবেদনের শেষ সময়

৩১ জুলাই ২০২৪।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




আলমডাঙ্গায় ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী নাজমুল গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গার জুগিরহুদায় মাদক অভিযান চালিয়ে ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী নাজমুল আলী (৩৪)কে আটক করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার দুপুরে বড়-গাংনী তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক বাবর আলীর নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মাদক ব্যবসায়ী নাজমুল আলী খাদেমপুর ইউনিয়নের জুগিরহুদায় গ্রামের শুকচানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, উপজেলা খাদেমপুর ইউনিয়নের জুগিরহুদা গ্রামের মিলু ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন মাদকদ্রব্য গাঁজার ব্যবসা করে আসছে। তাদের খুচরা বিক্রেতা হিসেবে সহযোগীতা করছে একই এলাকার গাঁজা ব্যবসায়ী নাজমুল আলী।

আজ রবিবার দুপুরে নাজমুল তার ব্যবসায়ী মিলুর স্ত্রীর নিকট থেকে ২০০ গ্রাম গাঁজা বিক্রির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এসময় বড়-গাংনী তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক বাবর আলী সঙ্গীয় ফোর্স ওই এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়।

জুগিরহুদা গ্রামের পাঁকা রাস্তার উপর থেকে নাজমুলকে কাপড়ের শপিং ব্যাগসহ আটক করে। পরে পুলিশ ওই ব্যাগ তল্লাশি করে ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে।

এদিকে জুগিরহুদা গ্রামবাসীরা জানান, মিলু ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করলেও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এতে সমাজের উঠতি বয়সের যুবকেরা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবিষয়ে তাদের কোন ভুমিকা পাওয়া যায় না। এদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

এঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া জানান, নাজমুল আলী সে গাঁজা সেবনের পাশাপাশি গোপনে ব্যবসা করেন। বড়-গাংনী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ী নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।




হরিণাকুণ্ডুতে শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক দিয়ে নিয়োগ বোর্ড বসালেন মাদ্রাসা কমিটি

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গাড়াবাড়িয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় বড় অংকের ঘুষের বিনিময়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পরিবর্তে অফিসের হিসাবরক্ষক কাম অফিস সহকারীকে দিয়ে বিধি বহির্র্ভূত ভাবে ইবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক এবং কম্পিউটর ল্যাব সহকারী নিয়োগের বোর্ড বসানোর অভিযোগ উঠেছে।

গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল নয়টায় অতি গোপনে নিজ মাদ্রাসায় এই নিয়োগ বোর্ড বসান প্রতিষ্ঠানের সুপার আব্দুল আলিম। এই নিয়োগ নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ এবং নিয়োগের বিপরিতে রয়েছে মামলাও তবে কোন বিষয় তোয়ক্কা না করে ২০লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেশের এই কারফিউ পরিস্থিতির মধ্যেও নিয়োগ বোর্ড বসালেন মাদ্রাসা সুপার।

মাদ্রাসার নিয়োগ প্রত্যাশি দুজন ভুক্তভোগীর মধ্যে আফরিন জাহান নামে একজন এই পাতানো নিয়োগ বন্ধের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছে। এই আবেদনে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান একাধিকবার নিয়োগের সার্কাকুলার দিয়েছে, আমি ল্যাব সহকারী পদে চাকুরীর জন্য প্রথমবার আবেদন করেছি, কিন্তু আমাকে কিছু না জানিয়ে এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র ইস্যু না করে টাকার বিনিময়ে সম্পুর্ণ বিধি বহির্ভূত ভাবে এবং গোপনে নিয়োগ বোর্ড বসিয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে আমি এই অবৈধ নিয়োগ বোর্ড বাতিল এবং এই ঘুষখোর নিয়োগ কমিটির বিচার দাবি করছি।

আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য আসাদুল ইসলাম, ২০ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে গোপনে দেশের অপচলিত পত্রিকায় প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কারণে হরিণাকুণ্ডু নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করেন । আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী অফিসার উভয় পক্ষকে ডেকে একটি সমঝতা করে দেন। এরপর আবার ষড়যন্ত্র করে গোপনে ১০অক্টেবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে দাতা সদস্য আদালতে মামলা করেণ, যার নং ১৫/২৩ , মামলাটি চলমান রয়েছে। এই অবস্থায় আবার তৃতীয়বার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটির কয়েকজনকে নিয়ে গোপনে মিটিং করে টাকা ভাগাভাগির মাধ্যমে গত ১৯ জুলাই সবত্র শাট ডাউনের মধ্যে নিযোগ বোর্ড বসানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তা আর সম্ভব হয়নি। পরে একই কায়দায় গত ২৬ জুলাই মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী রাজিয়া সুলতানার উপস্থিতিতে নিয়োগ বোর্ড বসান।

সেখানে বিধি মোতাবেক শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের উপস্থিত বাধ্যতামূলক থাকলেও তার পরিবর্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মোঃ ফিরোজ আহমেদ প্রতিনিধিত্ব করেণ যা সম্পুর্ণ অবৈধ। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী বলেন, আমার প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ বোর্ডে হিসাবরক্ষকে পাঠিয়েছি, তবে রেজুলেশনে আমি স্বক্ষর করবো। তাকে প্রতিনিধি পাঠানোর নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ডিসি সাহেব প্রতিনিধি পাঠালে হবে, আমি পাঠালে হবে না কেন? এবিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারই মন্ত্রনালয়ে প্রতিনিধি ওনাকে স্বশরীরে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থাকতে হবে ওনি কাউকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাতে পারেন না, পাঠালে নিয়োগ বোর্ড হবেনা। নিয়োগ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের সুপারেন্টটেন্ড মোঃ আব্দুল আলিম বলেন আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা নিয়োগ বোর্ডে আসছেন তাদের দিয়েই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সঠিক হয়েছে কিনা ওনারা ভাল জানেন। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন কোর্টের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। এছাড়াও সুপারের বিরুদ্ধে ক্যাশবুক লেখায় অনিয়ম, ছাত্রছাত্রীদের বেতন আদায়, শিক্ষকদের ভাতা প্রদান, কৃষি জমির আয়, অনুদান, সঠিক ভাবে ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে হাতে রেখে খরচ করার অভিযোগও রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি টুলু মন্সীকে বার বার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। এঅবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করে স্বচ্ছতার সাথে বিধিমোতাবেক নিয়োগের আবেদন জানান এলাকাবাসী।




ডিবি কার্যালয়ে মারজুক রাসেল

গীতিকার ও অভিনেতা মারজুক রাসেল নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত কয়েকদিন থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে একের পর এক প্রচারণা চালিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। পেজটি থেকে সরকার নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা ও সরকার বিরোধী নানা পোস্টও দেওয়া হয়েছে এবং সেই পোস্টগুলো দ্রুত ভাইরালও হয়েছে।

সাধারণ মানুষের ধারণা মারজুক রাসেলই এমনটি করছেন। কিন্তু সোশ্যালে ভাইরাল হওয়া সেই পেজটি মারজুক রাসেলের নয়। কেউ তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে এমটা করছেন বলে জানিয়েছেন মারজুক রাসেল।

বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে রবিবার রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে আসেন মারজুক রাসেল।

এ সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বেশ কয়েকদিন ধরে উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। যেটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা নেই।

বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত হচ্ছি। যারা আমাকে চেনেন, বিশেষ করে আমার লেখালেখি, আমার অভিনয়,আমার জীবন যাপনের ধরণ সম্পর্কে যারা ডিটেইলে জানেন তারা ছাড়া অধিকাংশ মানুষই কনফিউজড।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১২ নং দোগাছি ইউনিয়নের ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (বিবিজি)’র ১ম কিস্তির উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

উপকরণের অংশ হিসাবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে একটি করে কম্পিউটার প্রিন্টার, একটি স্টিলের আলমারি ও দুটি করে সিলিং ফ্যান বিতরণ করা হয়। আজ রোববার দুপুরে এ উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিউটন বাইন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রবীর কানজিলাল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লাটুসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।