গাংনীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৪

মেহেরপুরের গাংনীতে ২৪ ঘন্টার অভিযানে ০৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার রাত থেকে আজ শনিবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গাই অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাংনীর চাদপুর মোঃ আবু বাক্কারের ছেলে মোঃ মুকুল ইসলাম (৪৫) গাংনি থানার মামলা নং-৩০, তারিখ- ২৩/০৫/২০২৫ ধারা- ৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ মুলে গ্রেফতার, গাড়াডোব কাচারীপাড়ার মোঃ মজির উদ্দিন ওরফে মজিরের ছেলে মোঃ পল্টু সিআর নং- ১৯/১৭ মুলে গ্রেফতার, মোহাম্মদপুরের মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ মুক্তাদির রহমান কাজল গাংনি থানার মামলা নং-১৪/৫৩, তারিখ- ১৬ মার্চ, ২০২০ ধারা- ৩৬(১) সারণির ১০(ক)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (জিআর সাজা) মুলে গ্রেফতার, কুনিয়া চাদপুরের মোঃ মিজানুর রহমানের ছেলে মোঃ আহসান হাবিব (১৮) গাংনি থানার মামলা নং-৩১, তারিখ- ২৩/০৫/২০২৫ ধারা- ৯৮/১০৫ সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ মুলে গ্রেফতার ।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে । জেলার সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে।




সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে রাজনীতিতে চঞ্চল!

সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়ালেন জহির হোসেন চঞ্চল। তিনি মুজিবনগর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের একজন প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং চলতি বছরের ৩০ মার্চ তিনি প্রাক-নিয়মিত অবসর (পিআরএল) গ্রহণ করেন। পিআরএলে যাওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর আমঝুপি ইউনিয়ন শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।

গতকাল মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় উত্তরাপাড়া গন্ধরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।

সরকারি কর্মচারী আচরণবিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে বা কোনোভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এছাড়া ৩২ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, এই বিধিমালার কোনো ধারা লঙ্ঘন শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

এ বিষয়ে জহির হোসেন চঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ২০২৫ সালের ৩০ মার্চ অবসরে গিয়েছি। যেহেতু অবসরে আছি, তাই রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছি। তবে চাকরি বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কিনা, সেটা ভেবে দেখিনি।”

উপজেলা পর্যায়ের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, পিআরএল শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে সরকারি চাকরি বিধি মেনে চলতে হয়। সে হিসেবে, পিআরএল চলাকালীন রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল এবং এর জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

মুজিবনগর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন বলেন, “পিআরএলে থাকাকালীন রাজনীতিতে অংশ নেওয়ায় কোনো বাধা নেই। আগে আরপিএল থাকাকালে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য ছিল।”

তবে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, “পিআরএলে থাকা অবস্থায় একজন সরকারি কর্মচারী সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা পান। তাই ওই সময় কেউ রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন না।”




কীভাবে সংকটে পড়লেন অধ্যাপক ইউনূস?

অন্তর্বর্তী সরকার এক সংকটময় পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা সামনে আসায় এ সরকারের ভবিষ্যত নিয়েই অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসকে কেন পদত্যাগের চিন্তা করতে হচ্ছে, সক্রিয় সব রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনে গঠিত এই সরকারকে কেন এমন সংকটে পড়তে হলো- এসব প্রশ্ন এখন সব মহলে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

এ ঘটনা এমন সময়ে ঘটছে যখন বিএনপি রাজপথে কর্মসূচি রেখেছে এবং এ সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন আর অব্যাহত না রাখার ইঙ্গিতও দিচ্ছে।

অন্যদিকে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত বুধবার বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে নির্বাচন, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর প্রসঙ্গ এবং মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়সহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। যা সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে।

এমন এক পটভূমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস গতকাল বৃহস্পতিবার অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে নানা পক্ষের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতায় তার সরকার কাজ করতে পারছে না বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূসের এমন ভাবনার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। নাহিদ ইসলামের মাধ্যমেই প্রধান উপদেষ্টার এই ভাবনার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতিকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছে।

বিএনপি বলছে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগের তাদের দাবি এড়াতে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনার কথা সামনে আনা হয়েছে। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, ‘দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে আবেগ সৃষ্টি করার কিছু নেই।’

বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা এ-ও বলছেন, সরকারের দূর্বলতার কারণে পরিস্থিতি সামলাতে যখন ব্যর্থতার প্রশ্ন আসছে, তখন পদত্যাগের এই ভাবনার কথা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এক ধরনের হুমকি বা সতর্কতা বলে তারা মনে করছেন। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের এই সংকট সামলাতে জামায়াতে ইসলামী সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার পরামর্শও দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের পক্ষ আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো দেওয়া হয়নি।

কেন সংকটে সরকার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সেই আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্ব, বিএনপি ও জামায়াতসহ সব দল এবং সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান সর্বাত্নক সমর্থন দিয়েছিল। এতবড় সমর্থন পাওয়ার পরও সেই সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ কেন আসছে, এমন প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতিক ও বিশ্লেষকেরা।

তারা বলছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের দুর্বলতা রয়েছে; যা তিনি নিজে বিভিন্ন সময় প্রকাশও করেছেন। সেই ছাত্র নেতৃত্ব যখন রাজনৈতিক দল এনসিপি গঠন করল, এই দলের প্রতিও তার পক্ষপাতিত্ব রাজনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে। যা বিএনপিকে ক্ষুব্ধ করেছে।

যদিও উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের একজন পদত্যাগ করে দলটির হাল ধরেছেন। কিন্তু আরো দুজন ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা পদে রয়ে গেছেন। তাদের পদত্যাগের দাবিতে এখন রাজপথে কর্মসূচি রেখেছে বিএনপি।

সরকারের গত ৯ মাসে প্রথম দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে এনসিপির ব্যানারে বিভিন্ন ইস্যু তুলে রাজপথে অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভনের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সরকার দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।

বিএনপি বিভিন্ন সময় সরকারের বিরুদ্ধে এনসিপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে। এথন তারা সেই অভিযোগকে সামনে এনেছে।

অন্যদিকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়টি আলোচিত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মব সৃষ্টি করে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দাবি তুলে তা আদায়ের চেষ্টাও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বা সমর্থনের বিষয়ও বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ যেমন রয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর অস্হযোগিতার বিষয়ও আলোচনায় আসছে। সরকারের একাধিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকাল তাদের সঙ্গে যে বৈঠক করেছেন, সেখানে অধ্যাপক ইউনূস নিজেও অংশীজনদের অসহযোগিতার কথা বলে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বিশ্লেষকেরা রাজনীতিতে বিভক্তি, দলগুলোসহ সরকারের অংশীজনদের বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থ নিয়ে বিরোধ এখন দৃশ্যমান হচ্ছে। সেকারণে অসহযোগিতার বিষয় প্রকট হয়েছে।

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি, এই তিনটি দলের এখন প্রভাব রয়েছে। তিনটি দলের মধ্যে সম্পর্ক টানাপোড়েন বেড়েছে। ফলে রাজনীতিতে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে।

তিনি মনে করেন, সরকারের দিক থেকেও করিডর ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপিসহ দলগুলো ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ফলে বিএনপি ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা ক্ষুব্ধ হয়েছে।

একইসঙ্গে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি আছে। সবমিলিয়ে সরকার কাজ করতে পারছে না। আর সে কারণে সরকারের জন্য সংকট গভীর হয়েছে বা সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

সরকারের ভেতর থেকেও করিডরসহ বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যু যখন সামনে আনা হচ্ছে, তখন সরকারের ভেতরেও কোনো গোষ্ঠী স্বার্থ বা ব্যক্তি স্বার্থ কাজ করছে কিনা- সেই প্রশ্নও রয়েছে বিশ্লেষকদের।

বিএনপিসহ দলগুলোর অবস্থান কী

দলগুলোর পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে মনে হচ্ছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনাকে তার আবেগের বিষয় হিসেবে বর্ণনা করছে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় আবেগ সৃষ্টি করার কিছু নেই। তারা মনে করছেন, যখন সুনির্দিষ্ট রোড দাবি করা হচ্ছে, তখন এ ধরনের আবেগের কথা বলা হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টাদের সঙ্গে অনির্ধারিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলতে গিয়ে গত সপ্তাহে বিএনপির রাজপথের কর্মসূচি নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে একজন উপদেষ্টা জানান।

তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসাবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন আদালতের রায় পেয়েছেন। এরপরও তাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছেও না। সে কারণে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবি মানার ক্ষেত্রে আইনী জটিলতার কথা বলা হচ্ছে।

বিএনপি অবশ্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম, এই দুই ছাত্র প্রতিনিধির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের পদত্যাগের দাবি তুলেছে।

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার দাবির সঙ্গে অন্যান্য দাবি যুক্ত করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, এনসিপি বিভিন্ন সময় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে চাপের মুখে দাবি আদায়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছে। সেখানে বিএনপির যৌক্তিক দাবি মানা হচ্ছে না। এনসিপির নেতারা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

তবে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দুজন ছাত্র প্রতিনিধি সরকারে থেকে যেসব কর্মকাণ্ড করছেন, তার দায় এখন সরকারকেই বহন করতে হবে। এছাড়া নির্বাচনসহ বিএনপির সব দাবি যৌক্তিক বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব দাবি এড়িয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে

জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন দলগুলোর ভেতরেও নানা আলোচনা রয়েছে। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সংকট উত্তরণে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে দলগুলোকে বেশ সতর্ক মনে হয়েছে। নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরলেও দলগুলো দলগতভাবে কোনো বক্তব্য এখনো দেয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, অধ্যাপক ইউনূস চলে যেতে পারেন অথবা দলগুলোসহ অংশীজনদের আস্থায় এনে নির্বাচনের দিকে যেতে পারেন, এই দুটি পথ খোলা রয়েছে।

লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সরকার এখন নির্বাচনমুখী হলে বিএনপিসহ দলগুলো আবারও সহযোগিতা বাড়াবে এবং সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি




ঝিনাইদহে নাগরিকরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সেবা, বাড়ছে জনদুর্ভোগ

ঝিনাইদহের পৌরসভাগুলোতে নাগরিক সুবিধা নয়, বরং দূর্ভোগই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নিয়মিত পৌর কর প্রদান করেও নাগরিকরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সেবা। রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, পরিচ্ছন্নতা সব ক্ষেত্রেই বিরাজ করছে সীমাহীন অব্যবস্থা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব পৌরসভা যেন শুধু কর আদায়ের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

ঝিনাইদহের মোট ৬টি পৌরসভা। এর মধ্যে হরিণাকুন্ডু বাদে বাকি ৫টি পৌরসভাই প্রথম শ্রেণীর। এই পৌরসভাগুলোতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ বসবাস করেন, যাদের অধিকাংশই প্রতিনিয়ত নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে।

হরিণাকুন্ডু পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায় পুরো এলাকার সড়কজুড়ে খানাখন্দ। বর্ষায় এসব রাস্তায় চলাফেরা রীতিমতো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। পৌরসভার সামনেই নেই সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, জনদুর্ভোগ নয়, বরং উদাসীনতাই যেন প্রশাসনের অভ্যস্ততা।
এদিকে মহেশপুর পৌরসভার চিত্র একই। বছরের পর বছর কোনো সড়ক সংস্কার হয়নি। অনেক এলাকায় নেই সড়কবাতি, ফলে রাত নামতেই পুরো শহর ঢেকে যায় অন্ধকারে। পৌর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা সবকিছুতেই চোখে পড়ে চরম বিশৃঙ্খলা।

স্থানীয়রা বলছেন, কর দিয়ে শুধু দায়িত্ব পালন করছেন তারা, কিন্তু সেবার জায়গায় অব্যবস্থা ছাড়া কিছুই পাচ্ছেন না। অনেকেই বলছেন, ইউনিয়ন পরিষদের সেবাও এর চেয়ে ভালো।

এ বিষয়ে পৌর এলাকার বাসিন্দা রাজুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন রাস্তায় চলতে গিয়ে পায়ে কাদা লাগে, কখনো পড়ে গিয়ে আহতও হয় মানুষ। বছরের পর বছর ধরে একই অবস্থা। আমরা কর দিই, কিন্তু সেবা কই?” দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কার হয়নি।

মহেশপুর পৌরসভার স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, “আমাদের এলাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছে। চারদিকে অন্ধকার, রাস্তার অবস্থাও খারাপ। পৌরসভার লোকজন আসলে শুধু কর তুলতে জানে, কাজের বেলায় নেই।”

সচেতন নাগরিক এম রায়হান বলেন, “নামমাত্র উন্নয়ন কার্যক্রম দিয়ে মানুষের চোখে ধুলা দেওয়া যাবে না। সময় এসেছে বাস্তব নির্ভর টেকসই পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়ার।”

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায় জানান, “পৌরসভাগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম নিজস্ব অর্থায়নে চলে। ইতিমধ্যে প্রশাসকদের জরুরি প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”




মেহেরপুরে ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন ঘিরে দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষ, আহত ১০

দলীয় কোন্দলের জের ধরে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, বিএনপি নেতা কাজী মিজান মেনন, মনোয়ারুল হোসেন চঞ্চল, আজিমুল বারি লাভলুসহ প্রায় ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফায় এ হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের অভিযোগ, আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং তার ভাই সফিকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে তাদের সমর্থকরা সম্মেলনস্থলে হামলা চালান। তারা সম্মেলনে আসা নেতাকর্মীদের বাধা দিচ্ছিলেন, আর প্রতিরোধ করতে গেলেই হামলার শিকার হতে হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই সংঘর্ষের একাধিক পর্ব চলে। লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা জানাচ্ছেন, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং সম্মেলন বানচালের উদ্দেশ্যেই হামলা হয়েছে।

আমঝুপি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আজিমুল বারি লাভলু বলেন, ইউনিয়ন সম্মেলনকে ঘিরে কয়েকদিন ধরে সাইফুল ইসলামের লোকজনের নানা হুমকি শোনা যাচ্ছিল। প্রথমে আমঝুিপি হাইস্কুল মাঠ, তার পরে নিলকুঠি চত্বরে সম্মেলন করার কথা ছিলো। পরে তাদের বাঁধার কারণে উত্তরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করার সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক সকাল থেকে নেতাকর্মীরা সম্মেলন স্থলে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তাদের কর্মী সমর্থকরা নেতাকর্মীদের বাঁধা প্রদান করে। বাঁধা প্রতিরোধ করতে গেলে তারা লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও তারা তাদেরও তোয়াক্কা না করে দফায় দফায় হামলা শুরু করে। পরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান ভাই গাড়ি বহর নিয়ে সম্মেলন যেতে গেলে গাড়ি ভাংচুর করে এবং কামরুল ভাইয়ের উপর হামলা করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। তবে আইন-শৃঙ্খলবা বাহিনীর সামনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও তাদের নিরবতা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন আমরা যারা লড়াই সংগ্রাম করে বিএনপি’র জন্য জীবন বাজি রেখেছি। সেই সকল ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে হাইব্রিডদের নিয়ে কমিটি করা হচ্ছে। এ কারণে ওই নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ বলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের কর্মী সমর্থকরা দলীয় প্রতিটি কাজে বাঁধা প্রদান করে যাচ্ছে। সকল বাঁধা পেরিয়ে আমরা দলীয় গঠণতন্ত্র মোতাবেক ইউনিয়নগুলোতে কাউন্সিল করছি। আমঝুপিতেও তার সমর্থক সাইফুল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমাদের সদস্য সচিবসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে জখম করেছে। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রে জানিয়েছি।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “সংঘর্ষের পরপরই পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার ২৩ মে বিকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষীক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদে হাফিজুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় বিজয়ী হয়েছেন। সভাপতি পদে জহির হোসেন চঞ্চল, মোস্তাক রাজা, স্বপন আহমেদ প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান , যুগ্ম আহবায়ক ফয়েজ মহাম্মদ, সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান সাতু, ওমর ফারুক লিটন অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন।




মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজমিস্ত্রী নিহত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দক্ষিণ ভরাট গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাউস আলী (৪০) নামের এক রাজমিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় নিজ বাড়িতে গ্রাউন্ডার মেশিন দিয়ে দেয়াল কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এসময় গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু ঘোষণা করেন।
গাংনী থানা ওসি বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের বড়ভাই গিয়াস উদ্দিন জানান, নিজের ঘরের দেয়াল কাটা সময় তিনি গ্রাউন্ডার মেশিনে বিদ্যুৎসৃষ্ট হলে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।



আমঝুপিতে বিএনপির সম্মেলন ঘিরে হামলা-সংঘর্ষ চলছে

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা চলছে। এ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাড. কামরুল হাসান, বিএনপি নেতা মনোয়ারুল হোসেন চঞ্চল, আজিমুল বারি লাভলুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই সফিকুল ইসলামসহ তার কর্মী সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে। তারা সম্মেলন স্থলে নেতাকর্মীদের বাঁধা প্রদান করছেন। প্রতিরোধ করতে গেলেই হামলা শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আহতরা।

বিস্তারিত আসছে..




অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পেলেন কুষ্টিয়ার রেজাউল করিম

অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি, গ্রেড-২) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: রেজাউল করিম পিপিএম সেবা। তিনি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার সন্তান।

সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং:০৫.০০.০০০০.১৩৩.১২.০০৪২.২৫-১৭১ মূলে অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড ২) পদে পদোন্নতি লাভ করেন তিনি।

পদোন্নতি পাওয়ায় উচ্ছ্বাস আনন্দে ভাসছে তাঁর সহকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির মোঃ মুশফেকুর রহমান। এছাড়া সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে এসএমপি’র বিভিন্ন পদ মর্যাদার অফিসার ও ফোর্স এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ পুলিশ কমিশনার কে জানাচ্ছেন ফুলেল শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।

গত পাঁচ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ডিআইজি হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে রেজাউল করিম এসএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৫ সেপ্টেম্বর। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিলেট মহানগরে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে বহুমুখী চেষ্টায় সফল হন তিনি।

পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি, পুলিশি কার্যক্রম গতিশীল করা, হকার ও যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ এবং অসময়ে মহানগরে ট্রাক চলাচল বন্ধ করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো, রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত নিষিদ্ধ রিকশা চলাচল বন্ধ করা, চোরাচালানের মূল হোতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং মাদকদ্রব্য কেনা-বেচা-সেবন ও জুয়া-পতিতাবৃত্তি বন্ধে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তিনি।

তার জনবান্ধব তৎপরতায় সর্বমহলে ভরসার জায়গা করে নেন তিনি। সিলেট শাহজালাল (রহ.) মাজারের ওরস বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের মতামতকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে অনৈসলামিক ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানে সফল হয়েছেন তিনি। সেকারনে কাংখিত পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে ওরস।




মেহেরপুরে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ

মেহেরপুরে “মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির বাস্তবায়ন নির্দেশিকা-২০২৪” বিষয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ কর্মশালার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, “সাপোর্টিং ইমপ্লিমেন্টেশন অফ মাদার এন্ড চাইল্ড বেনিফিট প্রোগ্রাম (SIMCBP)” প্রকল্পের আওতায়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, মেহেরপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিমা খাতুন। এতে সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, বিআরডিবি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, আমদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন আলী টোকন, আমঝুপি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, বারাদি ইউনিয়নের সচিব আজিম উদ্দিনসহ সদর উপজেলার সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ অংশগ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, উপকারভোগী নির্বাচন ও মনিটরিং পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।




মেহেরপুরে সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত

সমৃদ্ধি কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেহেরপুর দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থার উদ্দ্যোগে উপজেলা দিবস উপলক্ষে একটি উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার হান্নানগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

উন্নয়ন মেলায় গ্রামীণ পিঠা সহ নানা ধরনের পণ্যের স্টল স্থান পায়, যা দর্শনার্থীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। মেলার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম। তিনি ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন এবং পরে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থার উপপরিচালক জালাল উদ্দিন, সহকারী পরিচালক জুবায়ের আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারা এই মেলার মাধ্যমে স্থানীয় উদ্দ্যোগ ও পণ্যের প্রসারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।