মুজিবনগরে উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের ইফতার মাহফিল

মুজিবনগরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে কেদারগঞ্জ বাজারের মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মার্কেটের সামনে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক ফিরোজ রহমান বিজয়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হাসান, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, সদর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স,

জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোসাররেফ হোসেন তপু, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আ: হামিদ সহ উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীবৃন্দ।




মেহেরপুরের আমদহে বিএনপির সম্মেলন ও ইফতার

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আজ মঙ্গলবার  সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা আমদহ ইউনিয়নের বিএনপি’র প্রাইমারি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে সম্মেলন ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলমগীর খান সাতুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বক্তব্যে বলেন , তারেক রহমান যে কমিটি দিয়েছে,যারা এই কমিটির সাথে নেই তারা জাতীয়তাবাদী আদর্শের শত্রু। গত ২৫ তারিখে যারা সম্মেলনে উপস্থিত হয়নি এবং গাড়ি বন্ধ করেছে তারা জাতীয়তাবাদী আদর্শের শত্রু। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে,ঐক্যবদ্ধ থাকতে হলে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু একটি মহল এই কমিটি গঠনে বাধা প্রদান করছে।আমরা চাই তাদের সুমতি হক,তারা আমাদের সাথে আসুক, জাতীয়তাবাদীর আদর্শে যে দল সেই দলের নেতৃত্বে আসুক, তারেক রহমান বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আসুক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, এ কে এম খাইরুল বাশার মীর ফারুক ওমর ফারুক লিটন, রোমানা আহম্মেদ,

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাঁকা বিল্লাহ জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম,মোশিউল আলম দ্বীপু, ইলিয়াস হোসেন, সৌরভ, আবুল হাসেম, ইসমাইল শাহ, মিজানুর রহমান, সব বিএনপি নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন

সম্মেলন ও ইফতার দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রিপন।

আমদহ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলনে নতুন কমিটির সভাপতি পদে জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক টোকন আলীকে নির্বাচিত করা হয়।




ঝিনাইদহে সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকরের মৃত্যুতে, বিভিন্ন মহলের শোক

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৭নং মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের পরপর দুই বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর মল্লিক (৬২) নিজ বাসভবন কুতুবপুর গ্রামে মঙ্গলবার ভোর রাতে ষ্টোক জনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেণ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, পুত্রসহ অসংখ্যগুনোগ্রাহী রেখে গেছেন।

মঙ্গলবার বিকাল তিন ঘটিকার সময় সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে নিজ বাসভবন প্রাঙ্গণে তার নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে। এদিকে তার মৃত্যুতে মহারাজপুর ইউনিয়ন সহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ গভীর ভাবে শোকাহত।

মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম মিয়া সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকপ্রকাশ করেন।

উল্লেখ, তিনি প্রথমে মহারাজপুর ইউনিয়নের সদস্য নির্বাচিত হন, পরে ১৯৯২ সালে প্রথমবারেরমত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাতি হন, এবং পরে আরও একবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।




চট্টগ্রাম ইপিজেড হাসপাতালে নিয়োগ, পদ ২৫

চট্টগ্রাম ইপিজেড হাসপাতালে ১১ ক্যাটাগরির পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের ডাকযোগে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: আইটি অফিসার

পদসংখ্যা: ১ আবেদনের যোগ্যতা: সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা বা ডিপ্লোমা–ইন–কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট, ওয়াই–ফাই, পিসি, প্রিন্টার ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞান থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১৬,০০০–৩৮,৬৪০ টাকা

২. পদের নাম: অভ্যর্থনাকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর

পদসংখ্যা: ২

আবেদনের যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রিসহ সংশ্লিষ্ট কাজে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১২,৫০০–৩০,২৩০ টাকা

৩. পদের নাম: মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ২

আবেদনের যোগ্যতা: সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে তিন বছর মেয়াদি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্সে উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন স্কেল: ১১,৩০০–২৭,৩০০ টাকা

৪. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ফার্মাসিস্ট

পদসংখ্যা: ২

আবেদনের যোগ্যতা: সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ফার্মেসিতে তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ১১,৩০০–২৭,৩০০ টাকা

৫. পদের নাম: ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রিসহ সংশ্লিষ্ট কাজে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা

৬. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ৩

যোগ্যতা: এইচএসসি পাস

বেতন স্কেল: ১০,২০০–২৪,৬৮০ টাকা

৭. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টোরকিপার

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: এইচএসসি পাস

বেতন স্কেল: ৯,৩০০–২২,৪৯০ টাকা

৮. পদের নাম: ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ৩

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস এবং যানবাহন চালনায় লাইসেন্স থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০–২২,৪৯০ টাকা

৯. পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০–২০,০১০ টাকা

১০. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী

পদসংখ্যা: ৬

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস এবং সশস্ত্র বাহিনীর সেপাই বা সমপর্যায়ের পদে পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০–২০,০১০ টাকা

১১. পদের নাম: মালি

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস এবং দুই বছরের অভিজ্ঞতা।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০–২০,০১০ টাকা

যেভাবে আবেদন

নির্ধারিত চাকরির আবেদন ফরম পূরণের পর ডাকযোগে পাঠাতে হবে। অফিসে সরাসরি বা হাতে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আবেদনের নমুনা বেপজার ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা

চিফ মেডিকেল অফিসার, চট্টগ্রাম ইপিজেড হাসপাতাল, দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম ইপিজেড।

আবেদন ফি

১ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা, ২–৪ নম্বর পদের জন্য ১৫০ টাকা, ৫–৮ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা ও ৯–১১ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা।

আবেদনের শেষ সময়

৩০ এপ্রিল ২০২৫।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে ৩৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ২

মেহেরপুর জেলা মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের অভিযানে ৩৫ বোতল ফেনসিডিলসহ খোরশেদ আলম ও মরিয়ম আক্তার নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক খোরশেদ আলম মেহেরপুর পুরাতন মাঠপাড়ার ফকির মহম্মদের ছেলে এবং মরিয়ম আক্তার দিঘিরপাড়ার নাসির উদ্দিনের মেয়ে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবির হোসেনের নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের একটি দল মল্লিকপাড়ায় খোরশেদ আলমের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি থেকে ৩৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয় এবং খোরশেদ আলম ও মরিয়ম আক্তারকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৭ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জামাল হোসেন, এসআই রাশেদুজ্জামান প্রমুখ।




মুক্তির অপেক্ষায় হলিউডের আলোচিত সিনেমা ‘স্নো হোয়াইট’

‘স্নো হোয়াইট’, এই মুহূর্তে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা হলিউডের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা। যেটা নিয়ে সমালোচনা কম নয়। তবে প্রশংসার পাল্লাই আপাতত ভারি। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ‘ফাইভ হান্ড্রেড ডেজ অফ সামার’ ও ‘দ্য অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান’ নির্মাতা মার্ক ওয়েব। প্রযোজনা করেছে ডিজনি।

এটি ডিজনির ১৯৩৭ সালের অ্যানিমেটেড ক্লাসিক ‘স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফস’র রিমেক। বলা যায় প্রায় নয় দশক আগের একটি সিনেমার নতুন করে পুর্নজীবন পাওয়া। এতে র্যাচেল জেগলার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যিনি একজন রাজকুমারী, যাকে তার সৎ মা, দ্য ইভিল কুইন (গ্যাল গ্যাদত) তার বাবা-মায়ের রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বনে যেতে বাধ্য করা হয়।

স্নো হোয়াইট সাত বামনের সঙ্গে দেখা করে এবং তারা একসঙ্গে তার রাজ্য ফিরে পাওয়ার পরিকল্পনা করে। অ্যান্ড্রু বার্নাপ এ সিনেমায় স্নো হোয়াইটের নতুন প্রেমিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এ রিমেকটি মূলত ডিজনির আইকনিক অ্যানিমেটেড ফিল্ম লাইব্রেরিকে লাইভ-অ্যাকশন ফরমেটে বড় পর্দায় ফিরিয়ে আনার সর্বশেষ প্রচেষ্টা। স্টুডিওটি আগামী মে মাসেই থিয়েটারে একটি লাইভ-অ্যাকশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ও চালু করবে।

‘স্নো হোয়াইট’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ২১ মার্চ। এটি আরও আগেই মুক্তি পাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। শুটিং শুরুর কথা ছিল ২০২০ সালের মার্চে। কিন্তু কোভিড মহামারীর কারণে সেটা পিছিয়ে শুরু হয় ২০২২ সালের মার্চে। শুটিং শুরুর পর থেকেই সিনেমাটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সে সময় জেগলার মূল ‘স্নো হোয়াইট’ অ্যানিমেটেড সিনেমাটিকে ‘সেকেলে’ বলে অভিহিত করেছিলেন। যার ফলে কিছু ডিজনি ভক্ত চরম বিরক্ত হন। ‘রাজপুত্র তাকে রক্ষা করবেন না’- দুবছর আগে জেগলার এক সাক্ষাৎকারে ভ্যারাইটিকে এমনটাই বলেছিলেন। গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সে (রাজপুত্র) সত্যিকারের ভালোবাসার স্বপ্ন দেখবে না। সে এমন নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, যা সে জানে যে সে হতে পারে।’

তবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়েছে দিন তিনেক আগে। সেখানে বেশ প্রশংসা করেছেন সিনেবোদ্ধারা। কেউ কেউ বলেছেন এটা বছরের পর বছর সেরা লাইভ-অ্যাকশন রিমেক। আরও বলেছেন, ‘চিত্রনাট্যটি বিজ্ঞতার সঙ্গে এর নায়িকাকে তার পিতার বিশ্বাসের নেতা হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং মিষ্টি একটি প্রেমের গল্পের মাধ্যমে নতুন গভীরতা প্রদান করেছে।

অন্যদিকে অনলাইন সমালোচক ক্রিস্টোফার রেটেস ইট সিনেমাটি নিয়ে লিখেছেন, ‘এটি কেবল বছরের পর বছর ধরে তাদের সেরা লাইভ-অ্যাকশন রিমেকগুলোর মধ্যে একটি নয়, এটি এমন একটি সিনেমা যা ১৯৩৭ সালের সিনেমার জাদু পুনরুদ্ধার করে। র্যাচেল জেগলার হলেন স্নো হোয়াইট, এবং তিনি অসাধারণ জাদুকরি অভিনয় করেছেন।’

তবে সমালোচনাও করেছেন সমানতালে। ফিল্মহাউন্ডস সম্পাদক পল ক্লেইন প্রশংসার প্রতিধ্বনি করে লিখেছেন “এটা বলার জন্য অনুতপ্ত হতে পারেন কিন্তু ‘স্নো হোয়াইট’ অসাধারণ। আমি সত্যিই উপভোগ করেছি, বিশেষ করে শুরুটা এবং রাণীর দুষ্টুমি। জেগলার প্রধান চরিত্রে দুর্দান্ত ছিলেন এবং গ্যাদত মজা করেছিলেন। আসলে সিজিআই বামনরাই ছবিটিকে হতাশ করেছে। এই সিলেকশনটি সত্যিই বিরক্তিকর।”

অন্যদিকে ‘গেম অফ থ্রোনস’ এমি বিজয়ী পিটার ডিঙ্কলেজও সিজিআই ব্যবহার করে সাতটি বামন চরিত্রে অভিনয় না করার জন্য সিনেমাটির সমালোচনা করেছেন।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুর সদর ও পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর কাথুলী সড়কের খান কমিউনিটি সেন্টারে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়

জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনায় করেন সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

উপস্থিত ছিলেন জেলা যুগ্ম আহবায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্য আলমগীর খান সাতু, খায়রুল বাশার, হাফিজুর রহমান হাফি, রোমানা আহাম্মেদ, ওমর ফারুক লিটন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন,জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে  জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজমিন নাহার রিনা জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুল হক লাভলু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাঁকা বিল্লাহ, , জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা,জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছাবিহা সুলতানা,জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম,জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক ফিরোজুর রহমান ফিরোজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ইলিয়াস হোসেন,বিএনপি নেতা মোশিউল আলম দ্বীপু,আব্দুল লতিফ, লিটন মাস্টারসহ বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ‘বেস্ট ডেলিভারির’ তালিকায় তাসকিন

দিন দশেক আগে থেমেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন। তবে এখনও চলছে উন্মাদনা। সোমবার আইসিসি এক ভিডিও প্রকাশ করে আবারও আলোচনায় এনেছে আট জাতির টুর্নামেন্ট। পুরো টুর্নামেন্টে ১০টি সেরা ডেলিভারি বেছে নিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেখানে আছে তাসকিন আহমেদের একটি ডেলিভারি।

আইসিসির অফিশিয়াল ইন্সটাগ্রামে দেওয়া ভিডিওর প্রথমেই দেখা যাচ্ছে আবরার আহমেদের ডেলিভারি। পাকিস্তানি লেগস্পিনার অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিলকে। এরপরই তাসকিন। রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের উইল ইয়াংকে বোল্ড করার পর তাসকিনের গর্জন ছিল দেখার মতো।

তালিকায় তিনে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। ফাইনালে কুলদীপ যাদবের বোলিং চারে। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে রোহিত শর্মার বোল্ড হওয়ার ভিডিও আছে আইসিসির এই পেজে। আবরারেরই আরও একটা সেরা বোলিং আছে আইসিসির ভিডিওতে।

নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনকে যেভাবে বোকা বানিয়ে নাসিম শাহ কট বিহাইন্ড করেছেন, সেটাও আইসিসির ভিডিওতে আছে। আইসিসির এই ভিডিওতে ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা, দক্ষিণ আফ্রিকার উইয়ান মুল্ডারের বোলিং আছে। পুরো ভিডিওতে একমাত্র নাসিমের উইকেটটাই ক্যাচ আউট। বাকিগুলো বোল্ড।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১

মেহেরপুরের মুজিবনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোঃ সাঈদ হাসান নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ১২টার দিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি মেহেরপুরের মুজিবনগর থানার শিবপুর এলাকার বাসিন্দা এবং মোঃ ফজলুল হকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মামলা নং সিআর ১১৮৩/২৪ (মেহেরপুর) রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।




আরবি ভাষার উৎস, জন্ম ও ক্রমবিকাশ- এম এ এস ইমন

তাদের বাণিজ্যপথের মাধ্যমে নাবাতিয়ান আরবি ভাষা ও এই রূপান্তরিত আরামাইক লিপি আরব উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে হিজাজ (বর্তমানে ইসলামের পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা এই হিজাজ অঞ্চলে অবস্থিত) হয়ে ইয়েমেন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

যা-ই হোক, প্রথমে নাবাতিয়ান বাণিজ্যের প্রভাবে এবং পরে ইসলামের প্রসারের সাথে সাথে সারা আরব উপদ্বীপেই ধীরে ধীরে আরবি ভাষা ছড়িয়ে পড়ে, এবং আগের প্রাচীন ভাষাগুলোর ব্যবহার কমতে কমতে এককালে হারিয়ে যায়। প্রধান ব্যতিক্রম থেকে যায় নাবাতিয়ান রাজ্য থেকে দূরতম প্রান্তে অবস্থিত ইয়েমেন ও ওমান সীমান্তে হাজরামাউত ও জুফার অঞ্চল, যেখানকার আঞ্চলিক ভাষা তখনও আরবি ছিল না।

৩২৯ খ্রিষ্টাব্দে দামেস্কের ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে আন-নামারাতে আরেকটি শিলালিপি আবিষ্কৃত হয়। এই শিলালিপির ভাষাটি প্রায় শাস্ত্রীয় আরবির মতোই। যদিও এই শিলালিপিগুলো স্পষ্টতই আরবি ভাষায় লেখা, এগুলো আরবি লিপিতে লেখা নয়, বরং এটি নাবাতিয়ান লিপি, যা আরামাইক লিপি থেকে এসেছে।

কিন্তু কিছু শিলালিপি খ্রিষ্টীয় ৪র্থ এবং ৫ম শতাব্দীরও রয়েছে, যেগুলো আরবি ভাষার মতো একটি লিপিতে লেখা। সাধারণত মনে করা হয় যে, আরবি লিপি নাবাতিয়ান লিপি থেকে বিকশিত হয়েছে, এবং এই শিলালিপিগুলো একটি স্ক্রিপ্ট বা লিপিতে লেখা হতে পারে যেটি এই দুটির মধ্যে হতে পারে। এই শিলালিপিগুলো মূলত উত্তর আরবের ছিল।

অন্যদিকে, দক্ষিণ আরবীয়রা তাদের বাণিজ্যিক আদান-প্রদান, ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ও সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়কে লিপিবদ্ধ করার জন্য যে ধরনের উপাদান ব্যবহার করত, তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই ধরনের শিলালিপির প্রাচীনতম নিদর্শনগুলোর বয়স খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম ও নবম শতক।

এই লিপিগুলো লেখা হতো একবার বাঁ দিক থেকে ডান দিকে, পরের লাইন ডান থেকে বাঁ দিকে। এই লিপিগুলো থেকে জানা যায় যে, দক্ষিণ আরবীয় বা মিনীয়-সাবিয়ান ভাষার (হিময়ারাইট নামেও পরিচিত) বর্ণমালাতে ২৯টি অক্ষর ছিল যা আধুনিক আরবি বর্ণমালাতেও দেখা যায়। বর্ণগুলোর আকার ছিল অনেকটা কাঁটাওয়ালা আঁকশি বা কুড়ুলের মতো।

এগুলো এসেছিল সিনিয় বর্ণমালা থেকে, যেটি আবার ফিনিশিয় ও মিশরীয় বর্ণমালার পূর্বসূরির মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলেছিল। এই সমস্ত সুসামঞ্জস্য অক্ষরগুলো একটি দীর্ঘ উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে।

অন্যান্য সেমিটিয় বর্ণমালার মতো এর বর্ণমালাতেও কেবলমাত্র ব্যঞ্জনবর্ণেরই অস্তিত্ব ছিল। বিশেষ্য পদ গঠনে, ক্রিয়ার ধাতুরূপ, ব্যক্তিবাচক সর্বনাম ও শব্দভাণ্ডারের বেশ কিছু ক্ষেত্রে আক্কাদিয়ান (অ্যাসিরো-ব্যাবিলনিয়ান) ও ইথিওপীয় ভাষার সঙ্গে দক্ষিণ আরবীয় ভাষার মিল লক্ষ্য করা যায়।

আবার, এই ভাষার মধ্যে ভাঙা-ভাঙা বহুবচন লক্ষ্য করা যায় যা উত্তর আরবীয় ও ইথিওপীয় ভাষার বৈশিষ্ট্যকেই প্রতিফলিত করে। আক্কাদিয়ান, দক্ষিণ আরবীয় ও ইথিওপীয় ভাষা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরনো সেমিটিক ভাষার বৈশিষ্ট্যকেই প্রতিফলিত করেছে। ইয়েমেন সংস্কৃতি ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ আরবীয় ভাষার বিলুপ্তি ঘটে, আর এই স্থান দখল করে নেয় উত্তর আরবীয় ভাষা। উত্তর আরবে ‘উকাজ’-এর মতো সাহিত্য মেলা, কাবায় বার্ষিক হজ্বযাত্রা ও মক্কার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

আরবে ইসলাম আগমনের আগে, উপদ্বীপের চারপাশে আরবি ভাষার অসংখ্য উপভাষা প্রচলিত ছিল। তবে ‘কোইন’ নামে একটি সাধারণ সাহিত্যিক ভাষাও ছিল কবিতার জন্য, যা বিভিন্ন উপজাতির মধ্যে ব্যবহৃত হতো। সাহিত্যিক ভাষা কোইনে লেখা কবিতার অংশগুলো ক্লাসিক্যাল বা ধ্রুপদী আরবি ভাষার প্রাচীনতম উদাহরণ।

ধ্রুপদী আরবি সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হলো ‘মুআল্লকাত’ নামক কবিতা সংকলন। আরব পণ্ডিতদের মতে, ইসলামি যুগের আগে তদানীন্তন প্রাক-ইসলামি কবিদের লেখা সেরা সাতটি দীর্ঘ কবিতা সংগ্রহ করে একে একত্রে সংকলন করা হয়। এই প্রাক-ইসলামি কবিদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ইমরুল-কায়েস, যিনি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকের প্রথমার্ধে জীবিত ছিলেন। পরবর্তী যুগে আরবি ব্যাকরণবিদরা যে ভাষাকে ‘আরাবিয়্যা’ নাম দিয়ে প্রমিত আরবি হিসেবে গ্রহণ করেন, তার প্রথম নিদর্শন এই কবিতাগুলো। কুরআন পাঠে যে আরবি উচ্চারণ ও ব্যাকরণ ব্যবহার হয়, সেটিও এই প্রমিত আরবির উদাহরণ।

তাই বলা যায়, ধ্রুপদী আরবি, যেটি ৬ষ্ঠ শতক থেকে প্রচলিত হয়, সেটাতেই পবিত্র কুরআন লেখা হয়েছে। কুরআন লেখার সময় ধ্রুপদী আরবি ভাষার সাতটি উপভাষা ছিল, যার সবকটিতেই কুরআন লেখা হয়েছিল। কিন্তু কুরাইশ সংস্করণটি সেই মানদণ্ড হয়ে উঠেছে, যার উপর ভিত্তি করে আজকের কুরআন পঠিত হয়।

পার্থক্যগুলো উচ্চারণে; শব্দভান্ডার বা ব্যাকরণে নয়। কুরআনের আরবি প্রাক-ইসলামিক ধ্রুপদী আরবি কবিতার অনুরূপ, তবে সম্পূর্ণভাবে নয়। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনের শুরু থেকে অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত, ইসলামি সাম্রাজ্যের বিজয় আরবি ভাষাকে নতুন নতুন দূরবর্তী দেশে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামি সাম্রাজ্যের বিস্তৃতির পর আরবি ভাষাকে মানসম্মত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। কারণ, বিপুল সংখ্যক মানুষ এই ভাষা ব্যবহার শুরু করেছিল। যার কারণে একে আরও ব্যবহারিক করা হয়, নতুন শব্দভাণ্ডার তৈরি করা হয়, এবং গদ্যের ব্যাকরণ ও গদ্যশৈলী প্রমিত করা হয়।

সব সেমিটিক ভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ব্যাঞ্জনবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দমূল। সাধারণত তিনটি ব্যাঞ্জনবর্ণ নিয়ে গঠিত হয় একটি মূল শব্দ, যাদের একটি মূল অর্থ থাকে। তারপর স্বরবর্ণ যোগ করে বা উপসর্গ, মধ্যসর্গ আর অন্তঃপ্রত্যয় বসিয়ে এই মূলকে বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করে বিভিন্ন কাছাকাছি অর্থের শব্দ তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ আরবি ‘সালিম’ মূলটি দেখা যাক। এর অর্থ ‘নিরাপদ’। মূল শব্দের সাথে স্বরবর্ণ বা উপসর্গ, মধ্যসর্গ আর অন্তঃপ্রত্যয় যোগ করে আমরা পাই: সালামুন (যার অর্থ শান্তি), মুসলিমুন (যার অর্থ মুসলিম)। আবার ‘কিতাব’ দেখি, যার অর্থ ‘বই’। এ থেকে পেলাম কুতুবি (যার অর্থ বই বিক্রেতা), মক্তব (যার অর্থ প্রাথমিক বিদ্যালয়)। আর এভাবেই আরবি ভাষার বিভিন্ন শব্দভাণ্ডার তৈরি হয়েছে।

যখন লিখিত ভাষা হিসেবে ধ্রুপদী আরবি প্রমিত হচ্ছে, আরব সাম্রাজ্যের শহরগুলোতে আরবি ভাষার স্থানীয় উপভাষাগুলোও আবির্ভূত হয়। এই উপভাষাগুলো সরাসরি ধ্রুপদী আরবি থেকে আসেনি, বরং প্রাক-ইসলামিক আরবি উপভাষা ‘কোইন’ থেকে এসেছে। লেভান্ট এবং মেসোপটেমিয়ার উপভাষাগুলো আরামাইক দ্বারা, মাগরেবের উপভাষাগুলো বারবার (Berber) দ্বারা, মিশরের উপভাষাগুলো কপ্টিক দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।

এই নতুন উদীয়মান উপভাষাগুলোর প্রথম শতাব্দীকে নিও বা নব্য-আরবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যদিও ধ্রুপদী আরবি প্রমিত ছিল, সবাই এটি নিখুঁতভাবে লিখতে পারত না। ক্লাসিক্যাল আরবি এবং নব্য-আরবি বা এর উপভাষা উভয়ের বৈশিষ্ট্য ধারণ করা লেখাকে মিডল বা মধ্য আরবি ভাষা বলা হয়।

‘মিডল’ কোন সময়কে বোঝায় না, বরং এই আরবি ক্লাসিক্যাল এবং নব্য-আরবির কথোপকথনের মধ্যবর্তী ভাষা ছিল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নিও আরবি উপভাষাটি (যেটি আধুনিক) আধুনিক আরবিসহ কথোপকথন উপভাষায় বিকশিত হতে থাকে, কিন্তু সাহিত্যিক আরবি তুলনামূলকভাবে স্থির ছিল, কারণ কুরআনের আরবিকে সর্বদাই আদর্শ হিসেবে দেখা হতো।

আদর্শ আরবি অনুসরণ করার জন্য এটি সম্ভবত উপভাষার উপর রক্ষণশীল প্রভাব ফেলেছিল, এবং এই কারণে নেপোলিয়ন মিশরে প্রবেশের পরেও তাদের মধ্যে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি।

মধ্যযুগের প্রথমদিকে আরবি ভাষা ছিল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সংস্কৃতির প্রধান বাহন। এটি বিশেষ করে বিজ্ঞান, গণিত এবং দর্শনে বহুল ব্যবহৃত হতো। ফলে ইউরোপের দেশগুলোর অনেক ভাষাও আরবি থেকে প্রচুর শব্দ ধার করেছে।

ইউরোপের খ্রিস্টান ও আরবের মুসলিম সভ্যতার নৈকট্য এবং দীর্ঘস্থায়ী মুসলিম সংস্কৃতি ও আরবি ভাষার উপস্থিতির কারণে স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, কাতালান এবং সিসিলিয়ান শব্দভাণ্ডারে আরবি শব্দ দেখা যায়।

উদাহরণস্বরূপ, ‘আলজেবরা’ বা ‘বীজগণিত’ আরবি শব্দ ‘আল-জাবর’ থেকে এসেছে। মাল্টিজ বা মাল্টার ভাষা হলো একটি সেমিটিক ভাষা, যা আরবি ভাষার একটি উপভাষা থেকে এসেছে এবং এটি ল্যাটিন বর্ণমালায় লেখা হয়। গ্রীক এবং বুলগেরিয়ানসহ বলকান রাষ্ট্রের ভাষাগুলোও অটোমান তুর্কিদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে আরবি ভাষার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শব্দ অর্জন করেছে।

১৭৯৮ সালে আরব বিশ্ব প্রথমবারের মতো পশ্চিমা বিশ্বের সাথে যোগাযোগের বৃহত্তর যুগে প্রবেশ করে এবং নতুন পশ্চিমা ধারণাগুলো প্রবাহের জন্য আরবি ভাষাকে বিংশ শতকের গোড়ার দিকে আধুনিকায়ন করার প্রয়োজনিয়তা অনুভব করে। ফলশ্রুতিতে আরবি ভাষার আঞ্চলিক একাডেমিগুলো ভাষার একটি সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করে। সংস্কার প্রক্রিয়াটি প্রধানত ভাষার শব্দভান্ডার সম্প্রসারণ এবং ভাষাকে আধুনিক করা নিয়ে ব্যাপক কাজ করে। সংস্কার প্রক্রিয়ার পর আরবি ভাষা আধুনিক স্ট্যান্ডার্ড আরবি হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।

বিশ্বজুড়ে আরবি ভাষা অন্যান্য অনেক ভাষাকে প্রভাবিত করেছে, বিশেষ করে মুসলিম সংস্কৃতি এবং মুসলিমরা যেসব দেশ জয় করেছিল সেগুলোর ভাষাকে। সর্বাধিক প্রভাবিত ভাষার মধ্যে কয়েকটি হলো ফার্সি, তুর্কি, হিন্দি, উর্দু, কাশ্মীরি, কুর্দি, বসনিয়ান, কাজাখ, বাংলা, মালয় (ইন্দোনেশিয়ান এবং মালয়েশিয়ান), মালদ্বীপ, পশতু, পাঞ্জাবি, আলবেনিয়ান, আর্মেনিয়ান, আজারবাইজানীয়, সিসিলিয়ান, স্প্যানিশ , গ্রীক, বুলগেরিয়ান, তাগালগ, সিন্ধি, ওড়িয়া, হিব্রু, হাউসা, এবং আফ্রিকার কিছু কিছু ভাষা, যেমন: সোয়াহিলি, সোমালি। বিপরীতে, অন্যান্য ভাষা থেকেও আরবি ভাষায় শব্দ এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে আরামাইক, হিব্রু, ল্যাটিন, গ্রীক, ফার্সি এবং কিছুটা তুর্কি (উসমানী সাম্রাজ্যের কারণে), ইংরেজি এবং ফরাসি (লেভান্টে তাদের উপনিবেশের কারণে) এবং অন্যান্য সেমিটিক ভাষা, যেমন- আবিসিনিয়ান।

আরবি বর্ণমালা লেখা হয় ডান দিক থেকে বাম দিকে। এই বর্ণমালাগুলো নাবাতিয়ানের মাধ্যমে আরামাইক থেকে উদ্ভূত হয়েছে। সাধারণ লেখার পাশাপাশি আরবি বর্ণমালার অনেকগুলো লিখনশৈলী বিকশিত হয়েছিল।

এদের মধ্যে অন্যতম ও সুন্দর একটি লিখন পদ্ধতি হলো আরবি ক্যালিগ্রাফি। পবিত্র কুরআন ও অন্যান্য বই লেখার জন্য, এবং মসজিদ, মাজার বা ইসলামের স্মৃতিসৌধের শিলালিপিগুলোর সজ্জা হিসেবে আরবি ক্যালিগ্রাফির ব্যবহার দেখা যায়। এই ক্যালিগ্রাফিগুলো কুরআনের একটি আয়াত বা একটি হাদিস বা আরবিতে লেখা যেকোনো বিমূর্ত আর্ট বা শৈল্পিক নকশা হতে পারে।

ক্যালিগ্রাফিগুলো বেশ মনোমুগ্ধকর হয় বলে বিভিন্ন ডিজাইন হিসেবে এগুলোর ব্যবহার চোখে পড়ে। সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে এসব ক্যালিগ্রাফির বিশ্বজোড়া ব্যাপক কদর রয়েছে।

সংকলনেঃ এম.এ.এস ইমন
প্রকাশক, দৈনিক ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’