ঝিনাইদহে নারী উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ঝিনাইদহে গ্রামীণ পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধি ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ই-কমার্স বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে তথ্য আপা প্রকল্প (২য়)। কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য আপা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) শাহনাজ বেগম নীনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম নাজিমুল ইসলাম।

উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর উপজেলার তথ্যসেবা কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা, সদরের হিরা খাতুন, শৈলকুপার ইন্দিনা কাদির, মহেশপুরের আয়েশা খাতুন, কালীগঞ্জের পপি রানী রায়, হরিণাকুন্ডুর শামীম আক্তার, সদরের তথ্যসেবা সহকারী মাহমুদা রহমান ও সনজিতা রহমান।

কর্মশালায় ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার অর্ধশত নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন। দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে ই-কমার্সের গুরুত্ব, লালসালু ডট কম প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম এবং ডিজিটাল ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হয়। উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি, অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ডিজিটাল উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হওয়ার কৌশল নিয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

আয়োজকরা আশা করেন, এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা নারী উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করবে এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা উন্মোচন করবে।




বিপিএলে রেকর্ড ১৩ কোটির টিকিট বিক্রি

রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের মাধ্যমে শেষ হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর। শুরুর দিকে টিকিট বিক্রি নিয়ে নানা অব্যবস্থাপনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে এবারের বিপিএল।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত টিকিট বিক্রি থেকে আয় ছাড়িয়ে যায় ১২ কোটি টাকা। তবে ফাইনাল ম্যাচের টিকিটের দাম বাড়লেও দর্শকদের আগ্রহ কমেনি, বরং তা আরও বেড়েছে। আয়োজকদের বিশ্বাস, ফাইনাল ম্যাচের টিকিট বিক্রি মিলিয়ে এই অঙ্ক ১৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

বিসিবির স্টেকহোল্ডারদের জন্য ফাইনালে ৬ হাজার টিকিট সংরক্ষিত ছিল, বাকি ১৬ হাজার টিকিট অনলাইন, ব্যাংক ও বুথের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। বিপিএলের গত চার আসরে টিকিট বিক্রি থেকে আয় ছিল গড়ে ৪ কোটি টাকার মতো। সে সময় টিকিট বিক্রির নিয়ন্ত্রণ বিসিবির হাতে না থাকায় আয় কম ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এবার বিসিবি বিশেষ কমিটি গঠন করে টিকিট বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করায় এমন সাফল্য এসেছে। ক্রীড়া পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী, টিকিট বিক্রি থেকে বোর্ড ১৫ শতাংশ রাজস্ব পাবে।

অনলাইন ও ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে টিকিট বিক্রির নতুন উদ্যোগ বিপিএলের ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা ভবিষ্যতে আয় আরও বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।

সূত্র: ইত্তেফাক




সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদে লাভবান হবেন কৃষক

কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করছে কৃষি বিভাগ। “সময়লয়” পদ্ধতিতে চাষাবাদ, কৃষকের সময় ও শ্রম খরচ কমবে, লাভবান হবেন কৃষক।

এরই অংশ হিসেবে ২০২৪-২৫ মৌসুমে ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে গাংনী উপজেলায়। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার গোপালনগর গ্রামের গড়ানের মাঠে সমলয় পদ্ধতিতে এই চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেনের সভাপতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও প্রীতম সাহা বলেন, কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা কৃষি প্রকৌশলী সুবল চন্দ্র বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার রাসেল রানা, এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপসহকারী কৃষি অফিসার মতিউর রহমান, শাহিনুর রহমান, জুয়েল রানা, ইমরান হোসেন, সুজন কুমার বিশ্বাস, নাইমুর রহমান ও গিয়াস উদ্দিনসহ উপজেলার সকল উপসহকারী কৃষি অফিসার ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। এবছর মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় মেহেরপুর সদর ও গাংনী উপজেলায় ১০০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরোধান চাষাবাদের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা কৃষি বিভাগ।

প্রচলিত পদ্ধতি বাদ দিয়ে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ধান চাষের জন্য বীজতলা পরিবর্তে প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজ বপন করে তিন সপ্তাহে মধ্যে ধানের চারা উৎপাদন করা এবং যন্ত্রের সাহায্যে চারা রোপণ, সার প্রয়োগ পরিচর্যা এমনকি ধান কাটা মাড়াই হবে যন্ত্রের সাহায্যে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। “সমলয়” পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদে শ্রমিক সঙ্কট নিরসন, উৎপাদনে অতিরিক্ত খরচ ও সময় বাঁচবে বলে জানিয়েছেন গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন।

তিনি জানান, বোরো মৌসুমে গাংনী উপজেলা গোপলনগর গড়ান মাঠ এলাকায় জমিতে ৪৫০০ প্লাস্টিকের বিশেষ কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে মাটিতে জৈব সার সংমিশ্রণে প্লাস্টিকের ট্রেতে ধান বীজ বপন করা হয়েছে। সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদে বীজ বপন থেকে সার প্রয়োগ ও ধান কাটা মাড়াই সবকিছু করা হবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। তিনি বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ, কৃষকেরা অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। কৃষিতে যান্ত্রিকরণ হওয়ার কারণে শ্রমিক সংকট নিরসন হবে।

ফসলের ভালো ফলনসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবে কৃষকেরা। তাই এই অঞ্চলের কৃষকদের সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষি বিভাগ থেকে। এসময় ওই এলাকার দুই শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, চলতি বছরে এজেলার ১৯ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় গাংনী উপজেলার গোপালনগর গ্রামে ৬০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে রাইস-ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে।

এছাড়া সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের মাঠে ৬৫ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে এই পদ্ধতিতে ধান রোপন করা হচ্ছে। মেহেরপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা (ডিডি) বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো, সমলয় এবং শ্রম সাশ্রয় করা। তিনি বলেন, কৃষকের স্বার্থে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে।

নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে। এ প্রযুক্তির ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমবে। ফলে তারা লাভবান হবেন।




মেহেরপুর ব্যবসায়ী সমিতির নতুন সভাপতি দিপু , শহিদুল সাধারণ সম্পাদক

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তিন বছরের জন্য নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুজ্জামান দিপু, তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৬২ এবং ২৯২ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শহিদুল ইসলাম ।

গতকাল শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী অন্যান্য পদের মধ্যে ৩৭৪ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহসভাপতি পদে বাবলু রহমান , ৩১১ শাহিন মল্লিক ভোট পেয়ে সহসভাপতি পদে, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে ইবনে সাদাত তুষার জয়লাভ করেছেন তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৫৩, যুগ্ম সম্পাদক পদে আলমগীর বাদশা শিল্টন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩২৩। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাহিনুর ইসলাম, তিনি ভেঅট পেয়েছেন ৩৪৯। কোষাধাক্ষ পদে কামাল হোসেন , তিনি ভোট পেয়েছেন৩২০, দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুস সালাম, তিনি ভোট পেয়েছেন ৩১৬। প্রচার সম্পাদক পদে সাইদুর রহমান সাইদ, তিনি ভোট পেয়েছেন ৩২৮, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হারুন অর রশিদ হিরা, তিনি ভোট পেয়েছেন ২৯৮। সাংস্কৃতিক ও নাট্য সম্পাদক মো, রেমিম, তিনি ভোট পেয়েছেন৩৫৭, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মাকসুদুর রহমান রুমন, তিনি ভোট পেয়েেছেন২৯৯। নির্বাহী সদস্য পদে জয়নাল আবেদীন, তিনি ভোট পেয়েছেন ২৮৯, হামিদুল ইসলাম ৩২৮ ভোট, আবুল জাব্বা পেয়েছেন ৩৪৫, মিজানুর রহমান ৩৪৪ ভোট পেয়ে, ওবাইদুল ইসলাম ভোটন , তিনি পেয়েছেন ২৯৬ ভোট।

 দীর্ঘ ১০ বছর পর ঐতিহ্যবাহি এই সংগঠণের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রার্থী ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে চলছে উৎসাহ উদ্দীপনা ও টানটান উত্তেজনা। নির্বাচনে ২১ টি পদের বিপরীতে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এদের মধ্যে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীয়তায় নির্বাচিত হয়েছেন। এখন ১৯ টি পদের বিপরীতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলো ৭০৬ জন। তার মধ্যে ৬৬৬টি ভোট পোল হয়। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীন বিকাল ৪টায় শেষ হয়। ঘন্টা খানেক বিরতী দিয়ে বিকাল ৫টায় শুরু হয় ভোট গণনা।
নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে জিয়ারুল ইসলাম ও প্রহরি বিষয়ক সম্পাদক পদে আজগর আলী সুমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোট কেন্দ্রে ও ভোট কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ সুষ্ঠ সুন্দর রাখতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল চোখে পড়ার মত।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত নির্বাচন পরিদর্শনে যান জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন, মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রশিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এএসএম সাইদুল রাজ্জাক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দীন, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রতিনিধিগণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।




মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন আজ

৬ বছর পর মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন আজ। বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহন শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ভোটগ্রহণ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আব্দুস সালাম, সদস্য মাহবুবুল হক মন্টু ও মাহাবুব চান্দু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন।

এদিকে ব্যবসায়ী সমিতির ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসব উদ্দীপনা শুরু হয়েছে। গেল কয়েকদিন সকাল থেকে শুরু করে মধ্য রাত পর্যন্ত সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। কখনও কখনও ছোট ছোট শোডাউন, মিছিল করতেও দেখা গেছে প্রার্থীদের। সবমিলিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ব্যবসায়ী নেতা তৈরির লক্ষ্যে মুখিয়ে ছিলেন ভোটাররাও। দুটি প্যানেল ও একটি স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন প্রার্থীরা।

এর মধ্যে একটিতে দিপু-সোহেল প্যানেল ও আরেকটি মিরন-শহিদুল প্যানেল দুটি প্রতিদ্বদ্বীতা করছেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে মোঃ মনিরুজ্জামান দিপু (সাইকেল) ও আবু ইউসুফ মিরন (ছাতা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে সোহেল আহম্মেদ (হরিণ) ও শহিদুল ইসলাম (মটর সাইকেল), এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান মিলন (চেয়ার) পদে লড়ছেন।

এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান টোটন (গরুর গাড়ী) ও বাবলু রহমান (টেলিভিশন), সহ-সভাপতি পদে মোঃ শাহিন মল্লিক (মই) ও রায়হান কবির (দেয়াল ঘড়ি), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে মোঃ ইবনে সাদাত তুষার (ফুটবল) ও তাজুল ইসলাম (মাছ), যুগ্ম সম্পাদক পদে আলমগীর বাদশা শিল্টন নষ্ট (গোলাপ ফুল) ও মানিক হোসেন (উড়োজাহাজ), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ শাহিনুল ইসলাম শাহীন (তালা চাবি) ও সামসুল আযম লিল্টু (হাতপাখা), কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ কামাল হোসেন (খেজুর গাছ) ও সাহেদুজ্জামান রিপন (হাতপাখা), দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ শফিউল আলম শিল্টু (মোবাইল) ও আব্দুস সালাম (কুঁড়েঘর), প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ সাইদুর রহমান সাঈদ (কবুতর) ও এস. এ খান শিল্টু (বাস), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ রকিবুজ্জামান জনি (প্রজাপতি) ও ইমাদুল হক (ডাব), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ হারুন অর রশিদ হিরা (মিনার) ও আব্দুল লতিফ (ফুলদানি), সাংস্কৃতিক ও নাট্য সম্পাদক পদে মোঃ রেমিম (কুলা) ও এমদাদুল ইসলাম (চশমা), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মোহাম্মদ সাদেকুজ্জামান খান (কাপ পিরিস) ও মাকসুদুর রহমান রুমন (বই) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম ও প্রহরা বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ আজগর আলী সুমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়াও সদস্য পদে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিল্টন (সিলিং ফ্যান), মোঃ রাকিব হোসেন (ট্রাক), মোঃ হামিদুল ইসলাম (ক্রিকেট ব্যাট), মোঃ ওবাইদুল ইসলাম (টিউবওয়েল), রাজন আহম্মেদ (কলস), মোঃ জয়নাল আবেদীন (হাঁস), মোঃ হামিদুল ইসলাম (বালতি), মোঃ আব্দুল জব্বার (ঘোড়া), মোঃ নাজমুল ইসলাম (আনারস) ও মোঃ রবিউল ইসলাম (পানির বোতল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটিং সম্পন্ন করতে সকল প্রকার নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে আহ্বায়ক মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, আমরা একটি স্বচ্ছ ও ন্যায্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির এই নির্বাচনে মোট ৩২টি পদে ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলাফল ভোটগ্রহণ শেষে আজই ঘোষণা করা হবে।




ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার নেবে ইস্টার্ন ব্যাংক, বেতন ৩১ হাজার টাকা

বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসিতে ‘ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (টিএও)’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি
বিভাগের নাম : রিকভারি (করপোরেট/এসএমই/রিটেইল লোনস অ্যান্ড কার্ডস)

পদের নাম : ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (টিএও)
পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা : ব্যবসায় স্নাতক
অভিজ্ঞতা : ০১-০২ বছর
বেতন : মাসিক মোট ৩১ হাজার টাকা

চাকরির ধরন : ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ
বয়স : নির্ধারিত নয়
কর্মস্থল : বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে

আবেদনের নিয়ম : আগ্রহীরা এই লিংকে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড রাজাপুর ও বারাকপুর বিএনপি’র আয়োজনে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বুড়িপোতা ইউনিয়নের রাজাপুর বারাকপুরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে এ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজাপুর বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জাহিদুর রহমান জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাইয়োদতুন নেসা নয়ন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সেন্টু, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাবিব ইকবাল।

পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুর সঞ্চালনায় এসময় বিএনপি নেতা রফিকুল, মনা, যুবদল নেতা শান্ত শ্রমিকদল নেতা মকবুল, বুড়িপোতা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সম্রাট, বিরাটসহ বুড়িপোতা ইউনিয়নের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




জয়েন্টের ব্যথা এড়ানোর ৩ টিপস

শীতপ্রীতির নানা কারণ থাকতে পারে। কিন্তু মাত্রারিতিক্ত ঠান্ডা অনেক ক্ষতির কারণও হয়। মানুষ এ সময় শারীরিক নানা সমস্যায় ভোগে। জ্বর, কাশি, সর্দি তো আছেই এসব ছাড়াও অনেক সময় জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়। অসহ্য এই ব্যথা বড় অস্বস্তির কারণ। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ব্যথা সহজেই কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে।

জয়েন্ট ব্যথা দূর করবেন যে তিন উপায়ে

নড়াচড়া করুন: আজকাল আমরা খাই, ঘুমাই এবং কাজ করি—শরীর ও মনকে এতটুকুও সময় দেই না। নূন্যতম হাটার সময়ও অনেকে পায় না। তবে যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং বা দ্রুত হাঁটার মতো হালকা কাজও আপনার জয়েন্টগুলোকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। যদি ডেস্কে কাজ করেন, তাহলে প্রতি ঘণ্টায় উঠে দাঁড়িয়ে কিছু সময় হাটুন। তাহলে দেখবেন জয়েন্টের ব্যথা উধাও হয়ে যাবে।

সহায়ক খাবার খান: খাদ্যতালিকায় মাছ, আখরোট এবং তিসির মতো ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। এগুলো প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। হলুদ এবং আদার মতো মসলা কেবল স্বাদের জন্য নয়— এগুলো প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী যা জয়েন্টকে প্রশমিত করতে পারে। স্যুপ এবং স্টু খেতে ভুলবেন না। এগুলো আরামদায়ক এবং পুষ্টিতে ভরপুর যা আপনার জয়েন্ট ভালো রাখতে কাজ করবে।

হাইড্রেটেড থাকুন : শীতকালে অনেকেই কম পানি পান করেন। কিন্তু হাইড্রেটেড থাকলে তা জয়েন্টগুলোতে তৈলাক্ততা বজায় রাখে। ভেষজ স্যুপ খান, অথবা উষ্ণ পানিতে ২ মিলি আদার রস মিশিয়ে পান করুন। এভাবে হাইড্রেটেড এবং আরামদায়ক থাকুন।

সূত্র: যুগান্তর




জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

মেহেরপুরের জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার( ৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটার দিকে মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ মোছাঃ রিতা পারভীনের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃআল আমীন, জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ উপাধ্যক্ষ মোঃ শামসুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটি ও আল নূর ফাউন্ডেশনের সদস্য বৃন্দ।

এর আগে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, অতিথিদের প্যারেড পরিদর্শন, শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শন, শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।




সৌন্দর্য আজ আছে কাল নেই: অমিতাভ বচ্চন

বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইকে ধরা হয় সৌন্দর্যের আধার। বয়স ৫০ হলেও তার আকর্ষন শক্তি এতটুকুও কমেনি রাই সুন্দরীর। গত কয়েক বছরে তার পোশাক থেকে বদলে যাওয়া চেহারা নিয়ে সমালোচনা যওি কম হয়নি তাই বলে তাকে তাকে এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্য নেই কারও। কারণ হাফ সেঞ্চুরিতেও ঐশ্বরিয়ার চোখধাঁধানো রূপ, নীল চোখের চাহনি আর হাসি সবাইকে মোহগ্রস্ত করে।

যদিও অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়না বচ্চন পরিবারের এ পুত্রবধূকে। মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের দায়িত্ব সব সামলে রুপালি পর্দা থেকে দূরে। তবুও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠানে তার উজ্জ্বল উপস্থিতি এখনও রয়ে গেছে।

এদিকে গত বছর থেকে বচ্চন পরিবারের অন্দরের সমীকরণ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। শোনা যায়, বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চলেছেন অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। তবে পারিবারিক তিক্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বছর শেষ হওয়ার আগেই জল্পনায় পানি ঢেলেছেন তারা।

নানা জল্পনা-কল্পনার মাঝেই সম্প্রতি ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে করলেন শ্বশুর অমিতাভ বচ্চন। এই মুহূর্তে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ১৬’-র সঞ্চালকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অমিতাভ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগীরা আসেন এই রিয়্যালিটি শো‘তে।

এমন এক পর্বে অমিতাভের মুখোমুখি হন ঐশ্বরিয়ার এক খুদে ভক্ত। তিনি হট সিটে অমিতাভের মুখোমুখি বসার পর থেকেই অভিনেতা পুত্রবধূর সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

কিশোরী বলেন, ঐশ্বরিয়া রাই কী সুন্দর, তাই না! আপনি তো তার সঙ্গে থাকেন। সুন্দর হওয়ার কোনো টিপস দেবেন তার থেকে জেনে আমাকে?

জবাবে অমিতাভ বলেন, আমরা জানি তিনি সুন্দরী। কিন্তু বাইরের সৌন্দর্য তো দু’দিনের। আজ আছে কাল নেই। তবে মনের সৌন্দর্য চিরদিন থেকে যায়।

কিশোরীর প্রশ্নের উত্তরে এমন কথা বলায় শুরু হয়েছে অমিতাভকে নিয়ে আলোচনা। আসলে তিনি কী বলতে চাইলেন? শুধুই কি নাতনির বয়সি কিশোরীকে নীতিশিক্ষা দিলেন, নাকি অন্য কিছু!

সূত্র: ইত্তেফাক