সেই কষ্ট ভুলতে এখনও ওষুধ খান ডি মারিয়া

শিরোপার হাতছোঁয়া দূরত্বে থামলে কেমন লাগে, তা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার চেয়ে বেশি কে আর জানবে! তিন বছরের মাঝে দুটি কোপা আমেরিকা এবং একটি ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালে হার আর্জেন্টিনার উইঙ্গার এমন কষ্ট পেয়েছিলেন যে ওষুধ খেতে হচ্ছিল। ট্রমা এখনও কাটেনি। ওষুধ খেয়েই যাচ্ছেন।

তবে ডি মারিয়া ক্যারিয়ারের শেষদিকে এসে একে একে সব পেয়েছেন। ব্রাজিলকে ২০২১ সালে হারিয়ে ভুলেছেন ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকা কষ্ট, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার দুঃখ ভুলেছেন ২০২২ সালে কাতারে। তবুও টানা তিন ফাইনাল হারের সেই মানসিক ট্রমা এখনও পোড়ায় ডি মারিয়াকে।

আর্জেন্টিনার পত্রিকা ইনফোবে’র বরাতে তারকা উইঙ্গারের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ইএসপিএন। ডি মারিয়া সেখানে খোলাশা করেছেন কষ্টের সেই সব দিনের কথা, ‘কষ্ট ভুলতে আমি এখনও ওষুধ খেয়ে যাচ্ছি। অবশ্য ওষুধের মাত্রা কমিয়ে দিতে পেরেচি। এখন আগের চেয়ে ভালো আছি। কিন্তু কিছু জিনিস মোহাচ্ছন্ন মনে হয় কিছু জিনিস থেকেই যায়, মনে দাগ কেটে যায়।’

আর্জেন্টিনা দীর্ঘদিনের শিরোপা খরা কাটে ২০২১ সালে। ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকা জেতে আলবিসেলেস্তারা। ম্যাচের একমাত্র গোল করেন ডি মারিয়া। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন তিনি, যা তাকে জাতীয় দলের অন্যতম নায়ক করে তুলেছিল।

ডি মারিয়া দুঃখ প্রকাশ করেছেন তার অনেক সাবেক সতীর্থের জন্য, যারা কখনও ট্রফি জয়ের আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি, ‘অনেকবার বলেছি, যখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, যখন কোপা আমেরিকা জিতেছিলাম—আমি সবসময় বলেছি এই ট্রফিগুলো আগের প্রজন্মের জন্যও প্রাপ্য।’

জীবন তাকে সব কিছুই যেন দিয়েছে। ২০০৮ অলিম্পিক ফাইনাল, ২০২১ কোপা ফাইনাল, ২০২২ ফিনালিসিমা এবং ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনাল, সবগুলো ম্যাচেই গোল করেছেন ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনা জিতেছে সেই সবগুলো ম্যাচেই। ৩৭ বছর বয়সেও প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে খেলা চালিয়ে গেলেও গত গ্রীষ্মে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন ডি মারিয়া।

সূত্র: যুগান্তর




জুলাই আগস্টের গণঅভুত্থ্যানে লেডি ফেরাউন হাসিনা সরকার উৎখাত হয়েছে

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের গণঅভুত্থ্যানে বাংলাদেশের মানুষের বুকের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা স্বৈরাচারী লেডি ফেরাউন জালিমশাহী শেখ হাসিনা সরকার উৎখাত হয়েছে। এদেশের মানুষ মুক্ত হয়েছেন। একটি নতুন বাংলাদেশ পেতে এদেশের অনেক মানুষকে শাহাদৎ বরণ, ত্যাগ স্বীকার ও বুকের তাজা রক্তদান করতে হয়েছে।

ছাত্র জনতার সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মেহেরপুর শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রারি) রাত আটটার দিকে মেহেরপুর শহীদ ডঃ সামসুদ্দোহা পার্কে আয়োজিত এই গণ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হুসাইন আহমাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিগত ৫০ বছর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বারবার একটি চেতনার কথা শুনিয়েছেন। আসলে সেই চেতনা ছিল ভারতীয় চেতনা। বাহাত্তরের চেতনা দিয়ে একাত্তরের চেতনা বলে জাতীকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশদের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে, আধিপত্যবাদী হিন্দুদ্ববাদী পশ্চিমবঙ্গের দাদাদের মনোভাবের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে, পশ্চিমপাকিস্থানী খান পাঠানদের প্রভূত্তের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে, প্রতিটি আধিপত্যবাদী জালিমদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেই বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, বাহাত্তরের চেতনা ছিল বাংলাদেশকে ভাগ করার চেতনা। বাহাত্তরের চেতনা ছিল বাংলাদেশে ইসলামি সমাজ ব্যবস্থার দাবীকে গলা টিপে হত্যা করার চেতনা। সেই চেতনার গান গাইতে গাইতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রতিটি সংগ্রামকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। এদেশে ইসলামী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলনকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, এদেশের মানুষকে ১৯০ বছর যাবৎ সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। ১৯৪৭ সালে এদেশের মানুষ বৃটিশদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিল। বৃটিশ আমলে বিংশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশের মানুষ সতন্ত্র জাতীসত্তা গঠণের লক্ষে এই অঞ্চলের মুসলমানদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষে পশ্চিমবঙ্গের দাদাবাবুদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে বঙ্গভঙ্গের মধ্য দিয়ে ঢাকাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বঙ্গের মুসলমান জাতীসত্তার উম্মেস ঘটিয়েছিল। তখন এদেশের মানুষকে অনেক প্রতিকুলতার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ দাদা ঠাকুরের নেতৃত্বে এদেশের মুসলামনদের অগ্রযাত্রা রুখে দেওয়ার জন্য পূর্ববাঙ্গলার মুসলিম জাতীসত্তাকে সেদিন রুখে দিতে চেয়েছিল। ঢাকা এবং ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ রধ করে এদেশের অগ্রযাত্রাকে ঠেকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে যেভাবে বৃটিশদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছিলাম ঠিক তেমনী পশ্চিমবঙ্গের দাদাদের আধিপত্য থেকেও এদেশের মুসলাম মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল।

মামনুল হক বলেন, ১৯৪৭ এর পরে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট, ৬৬ সালেরর ৬ দফা, ৬৯ সালের গণঅভ্যত্থ্যান ৭০ এর নির্বাচন ও ৭১ সালের মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর এদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষকে কখনো ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা হয়নি। এদেশের মানুষকে কখনো ধর্মনিরপেক্ষ নামক কুফরি মতবাদ শুনানো হয়নি। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিলাভের পর স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামীলীগের পিতা শেখ মুজিব পশ্চিম পকিস্থানে বন্দি ছিলেন। স্বাধীনতার পর মুক্তি পেয়ে প্রথমে লন্ডন থেকে তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলার মাটিতে পা না রেখে বাংলার মানুষের কাছে না এসে সর্ব প্রথম তিনি গিয়েছিলেন নয়াদিল্লিতে।

তৎকালিন ভারতের প্রধান মন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরাগান্ধীর সাথেস্বাক্ষাত করলেন। আর সেদিনেই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের বিপর্যয় ঘটেছিল। সেদিনেই ইন্দ্রিগান্ধী তাকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে দিয়েছিলেন, সেই প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ ২৪ বছরের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন, জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই এই সব কিছু ভারতের বুটের তলায় পিষ্ট করা হয়েছিলো। ভারতের প্রধান মন্ত্রী লিখে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশে একটি সংবিধান রচনা করার। যেই সংবিধানে ভারতীয় সংবিধানে মুল নীতিগুলো অক্ষরে অক্ষরে অক্ষুন্ন রেখে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করার জন্য। শেখ মুজিবুর রহমান নয়দিল্লী থেকে বাংলাদেশে এলেন, ৭২ সালে সংবিধান রচিত হলো। আর সেই সংবিধানে বাংলাদেশের মুসলমানদের ১৯০ বছরের সংগ্রামের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো। সেই সংবিধানে নেছার উদ্দীনের বাঁশের কেল্লার ইতিহাসকে মুছে ফেলা হয়েছিলো, সেই সংবিধানে ফকির মজনু শাহ, হাজী শরিয়তুল্লাহর শত বছরের সংগ্রামের ইতিহাসকে বৃদ্ধাঙ্গলি প্রদর্শন করা হয়েছিলো, বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও পূর্ব বাংলার মুসলমানদের সতন্ত্র জাতীসত্তার ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো। ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক লহর প্রস্তাবের ইতিহাসকে অস্বীকার করা হলো, এই সব কিছু করে ভারতের সংবিধানের মূল নীতির ভিত্তিতে কপি পেষ্ট করে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করে স্বাধীন বাংলাদেশকে ভারত মাতার চরণতলে বলিদান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২৪ শে জুলাই-আগষ্টের এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী রাজনীতি, আওয়ামীলীগের বিভাজন ও মিথ্যার রাজনীতিতে বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শণ করেছে। আওয়ামীলীগ চেয়েছিল এই দেশকে বিভক্ত করে রাখতে। তাঁদের মুলনীতি ও অর্থনৈতিক পলিসি ছিল, “যারা শেখ হাসিনার গুনগান গাইবে শেক হাসিনার আনুগত্য প্রকাশ করলে, তারা স্বাধীনতার সময় যে পক্ষেই থাকুক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক হিসেবে পরিচিতি পাবে। আর শেখ হাসিনার বিপক্ষে গেলেই তারা রাজাকার হয়ে যায়। এভাবেই মুক্তিযুদ্ধ আর রাজাকার দুইটা পক্ষ তৈরী করে একটি মেশিন নিয়ে শেখ হাসিনা বছরের পর বছর বাংলাদেশে শাসন করে গেছে। এদেশের মানুষকে বোকা বানিয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ এর জুলাই আগষ্টে বাংলার ৪ কোটি দামাল ছেলেরা কোঠা সংস্কারের যৌক্তিক দাবী নিয়ে অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছিল। মেধাবিত্তিক জাতী গঠনের জন্য দাবী জানিয়েছিল সেখানেও শেখ হাসিনা তাদের রাজাকারের বাচ্ছা বলে গালি দিয়েছে।

তিনি বলেন শেখ হাসিনা তার বাবার প্রতিশোধ নিতেই রাজনীতিতে এসেছিলেন।যারা তার বাবাকে হত্যা করেছিলেন, তাদের হত্যা করার অভিপ্রায় নিয়েই শেখ হাসিনা রাজনীতিতে এসেছিলেন। শেখ হাসিনা ৫০ বছর রাজনীতি করেছেন শুধুমাত্র তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে। এজন্যই তিনি জানতেন ৫ আগষ্ট বাংলাদেশে কি ঘটতে যাচ্ছে।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুগ্ম মহাসচিব যথাক্রমে মাওলানা আতাউল্লা আমিন, শরাফত হুসাইন, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসনাত জালালী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। গন সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মেহেরপুর আনসার ভিডিপি মসজিদের পেশ ইমাম সাব্বির রহমান।




কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দু’টি ম্যাগাজিনসহ নান্টু মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী চিলমারী ইউনিয়নের ক্লিকের মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিলমারী বিওপির সদস্যরা নান্টুকে আটক করে।

আটককৃত নান্টু উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বালিদিয়ার গ্রামের মৃত আদালত প্রামাণিকের ছেলে। এ ঘটনায় পলাতক রুহুল একই ইউনিয়নের মাঝদিয়া গ্রামের হাফিজের ছেলে।

বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুনির্দিষ্ট সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান পিএসসি-এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে দৌলতপুরের চরচিলমারী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৮৪/১-এস হতে আনুমানিক ২.৫ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ক্লিকের মাঠ নামক স্থানে নম্বর-৬৭২৬৯ হাবিলদার মো. এমদাদুল হকের নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল দু’জন যাত্রীসহ আগত একটি মোটরসাইকেলকে থামার সংকেত দেয়।

এ সময় বাইকের চালক একটি পিস্তল পার্শ্ববর্তী গম ক্ষেতে ছুড়ে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে টহল দল ঘটনাস্থল হতে মোটরসাইকেল চালক মো. নান্টু মিয়াকে আটক করে এবং পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিন জব্দ করে। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে আটক নান্টুকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় ৭৪ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস

কুষ্টিয়ায় ৭৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবির কুষ্টিয়া সদরদপ্তরে প্রশিক্ষণ মাঠে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।

বিজিবি জানায়, গত একবছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। যার মূল্য ৭৪ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজার ৭১০ টাকা।

জব্দ মাদকের মধ্যে রয়েছে- ১১ হাজার বোতল ফেনসিডিল, ৯ হাজার ৩৬৮ বোতল বিদেশি মদ, ১২৭.৬৫০ কেজি ভারতীয় গাঁজা, ৮ কেজি ৬৫৭ গ্রাম হেরোইন, ৭ হাজার ২৪৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ৩৫০ পিস ভায়াগ্রা, ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪৭ পিস সিলডিনাফিল ট্যাবলেট, ৯৩০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৭ পিস পাতার বিড়ি, ৪ কেজি ক্রিস্টল মেথ আইস, ৫৬ বোতল এলএসডি, ৯৮০ গ্রাম আফিম ও ৯ বোতল সাপের বিষ।

বিজিবি কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের সেক্টর সদর দপ্তরের কমান্ডার কর্নেল মো. মারুফুল আবেদীন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে আমরা এই কার্যক্রম করেছি। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। যে কোনো মূল্যে আমরা দেশকে মাদকমুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর।




ঝিনাইদহে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ

ঝিনাইদহে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহ জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক নূরুল হাসান ফরিদী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক তরফদার আলমগীর হোসেন, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, কুষ্টিয়া জেলা কমান্ড্যান্ট শফিউল আযম, মাগুরা জেলা কমান্ড্যান্ট মাহবুবুর রহমান সরকার, ঝিনাইদহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.বি.এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে কমিউনিটি এলার্ট মেকানিজমের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এই বাহিনী। তিনি বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৫০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের মধ্যে বাইসাইকেল, ছাতা এবং অন্যান্য উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুরের কুতুবপুরে জামায়েতে ইসলামীর গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে মেহেরপুরে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে কুলবাড়িয়া বাজারে এ তার নেতৃত্বে এই গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইকবাল হুসাইন, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা কাজী রুহুল আমিন, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, কুতুবপুর ইউনিয়নের আমীর ইমদাদুল হক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসেন। প্রমুখ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা গণসংযোগে অংশগ্রহণ করেন।




মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শফি মিয়া (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার দুলালমুন্দিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শফি মিয়া ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হররা গ্রামের মৃত গোলাম ছারোয়ারের ছেলে।

বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুব হোসেন জানান, ব্যবসায়ী শফি মিয়া মোটরসাইকেলে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে দুলালমুন্দিয়া এলাকায় পৌঁছালে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।




ট্যাবলেটের মাঝ বরাবর দাগ থাকে, কেন জানেন?

জ্বরের ওষুধ হোক কিংবা ব্যথার বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেটের মাঝে আড়াআড়ি একটি দাগ থাকে। কখনো মনে হয়েছে এর কোনো কারণ থাকতে পারে? কখনো ওষুধের পাতায় দুটি ওষুধের মধ্যে বেশ অনেকটা ফাঁক থাকে, আবার কোনো ওষুধে মাঝ বরাবর দাগ সব কিছুরই কারণ আছে। নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালের চিকিৎসক সোনিয়া রানাউত বলছেন, এই দাগটিকে বলা হয় স্কোরিং লাইন। ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এটি রাখে সহজে ওষুধ ভেঙে আধখানা করে নেওয়ার জন্য।

অনেক সময়েই চিকিৎসকরা রোগীর শরীর বুঝে কোনো কোনো ওষুধের মাত্রা মেপে দেন। কিন্তু দেখা যায়, চিকিৎসক যে মাত্রায় তা খেতে বলছেন বাজারে তা অমিল। তার চেয়ে বেশি মাত্রার ওষুধ পাওয়া যায়। যদি কাউকে ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খেতে বলা হয়, আর ওষুধের মাত্রা থাকে ১০০০ মিলিগ্রাম, সে ক্ষেত্রে নিখুঁতভাবে তা অর্ধেক করা জরুরি। অসমান ভাগ হলে ওষুধের মাত্রা শরীরে কম নয়তো বেশি যাবে। কাজটি নির্ভুল ভাবে করার জন্য এই লাইনটি থাকে।

কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেছেন, অনেক সময়ে লিভার বা কিডনির সমস্যা রয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে বেশ কিছু ওষুধের মাত্রা কমিয়ে দেওয়ার দরকার পড়ে। তখন আধখানা ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মূলত সহজে ভাগ করার জন্যই ট্যাবলেটে এ ধরনের দাগ দেওয়া হয়।

তবে অরিন্দমের কথায়, ক্রমশই এই ধরনের দাগের যৌক্তিকতা কমছে। কারণ এই ভাগাভাগির ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন ওষুধ নানা মাত্রায় নিয়ে আসছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো। যেমন থাইরয়েডের ওষুধ আকারে বেশ ছোট। সেগুলো ভাঙতে যাওয়া সহজ নয়। ফলে বিভিন্ন মাত্রায় তা বানানো হচ্ছে।

ওষুধের পাতায় প্রতিটি ওষুধের মধ্যে নির্দিষ্ট ফাঁক থাকে। এর কারণও আছে। কেউ পুরো পাতা না কিনে নির্দিষ্টসংখ্যক ট্যাবলেট চাইলে তা কেটে দেওয়ার সুবিধার জন্যই এ জায়গাটি থাকে। অনেক সময়ে একটি বড় পাতায় একটি ওষুধ রেখে বাকিগুলো ফাঁকা রাখা হয়। এরও কারণও আছে। এক রাজ্য থেকে অন্যত্র পাঠানোর সময় ওষুধ যাতে ভালো থাকে সে জন্য এমন ব্যবস্থা।

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ায় ট্রলির ধাক্কায় শিশু নিহত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইটবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলির ধাক্কায় শাকিব হোসেন (১২) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।

সোমবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর মহাসড়কের মথুরাপুর ইউনিয়নের কৈপাল হিসনাপাড়া মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাকিব দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামের আকবর মণ্ডলের ছেলে ও তারাগুনিয়া মডেল প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবাকে খাবার দিয়ে শাকিব সাইকেল চালিয়ে তারাগুনিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইটভর্তি ট্রলি তাকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রলিচালক পালিয়ে গেলেও তাঁর এক সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। ট্রলিটিকে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।




বিআইডব্লিউটিএতে বড় নিয়োগ, আবেদন শেষ কাল

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআইডব্লিউটিএ) জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। এ প্রতিষ্ঠানে ৪৭ ক্যাটাগরির পদে নবম থেকে ২০তম গ্রেডে ২৩৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: সহকারী পরিচালক (মানবসম্পদ), সহকারী পরিচালক (ওঅ্যান্ডএম), সহকারী পরিচালক (যানবাহন), সহকারী পরিচালক (সমন্বয়), সহকারী পরিচালক (প্রশাসন), প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালক (শ্রম ও কল্যাণ), নৌ কর্মচারী কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালক (নৌ ও ক্রয়), সহকারী পরিচালক (বন্দর), সহকারী পরিচালক (নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক), সহকারী পরিচালক (বৈদেশিক পরিবহন), সহকারী বন্দর কর্মকর্তা, ল্যান্ড অফিসার, অ্যাকুইজিশন অফিসার, সমন্বয় কর্মকর্তা

পদসংখ্যা: ৬

বয়স: ২১ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ২২,০০০–৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড–৯)

২. পদের নাম: সহকারী পরিচালক (মেরিন সেফটি)

পদসংখ্যা: ৩

বয়স: ২১ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

৩. পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী

পদসংখ্যা: ১২

বয়স: ২১ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

৪. পদের নাম: নদী জরিপকারী

পদসংখ্যা: ৬

বয়স: ২১ থেকে ৩৫ বছর

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

৫. পদের নাম: সহকারী নৌ–স্থপতি এবং প্রকল্প কর্মকর্তা

পদসংখ্যা: ২

বয়স: ২১ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

৬. পদের নাম: সহকারী টাইডাল অ্যানালিস্ট

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ২১ থেকে ৩৫ বছর

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

৭. পদের নাম: সহকারী তড়িৎ প্রকৌশলী/সহকারী তড়িৎ প্রকৌশলী (ডেকা চেইন)

পদসংখ্যা: ৩

বয়স: ২১ থেকে ৩৫ বছর

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

৮. পদের নাম: প্রধান প্রশিক্ষক (ইঞ্জিন)

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ২৭ থেকে ৪০ বছর

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

৯. পদের নাম: সহকারী নৌ–প্রকৌশলী, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী, জেনারেল ফোরম্যান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সুপারভাইজার (ডিজেল)

পদসংখ্যা: ১০

বয়স: ২১ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

১০. পদের নাম: সহকারী প্রোগ্রামার

পদসংখ্যা: ১

বয়স: অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)

১১. পদের নাম: ঊর্ধ্বতন প্রশিক্ষক (ডেক)

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ২১ থেকে ৪০ বছর

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)

১২. পদের নাম: ঊর্ধ্বতন প্রশিক্ষক (ইঞ্জিন)

পদসংখ্যা: ২

এসএসসি পাসসহ ক্লাস-৪ ইঞ্জিন (এফজি) সনদ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা।

বয়স: ২১ থেকে ৪০ বছর

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)

১৩. পদের নাম: প্রশিক্ষক (ড্রেজার)

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ২১ থেকে ৩৫ বছর

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)

১৪. পদের নাম: প্রশিক্ষক (ডেক)

পদসংখ্যা: ৩

বয়স: ২১ থেকে ৩৫ বছর

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)

১৫. পদের নাম: প্রশিক্ষক (ইঞ্জিন)

পদসংখ্যা: ২

বয়স: ২১ থেকে ৩৫ বছর

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)

১৬. পদের নাম: অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার, সহকারী ক্রয় কর্মকর্তা, সহকারী সংরক্ষণ কর্মকর্তা, সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা, সহকারী উন্নয়ন কর্মকর্তা, পরিবহন পরিদর্শক

পদসংখ্যা: ৮

বয়স: ২১ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)

১৭. পদের নাম: এসএসবি অপারেটর/ওয়্যারলেস অপারেটর

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)

১৮. পদের নাম: সাঁটলিপিকার (ব্যক্তিগত সহকারী)

পদসংখ্যা: ৩

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

১৯. পদের নাম: কনিষ্ঠ নদী জরিপকারী

পদসংখ্যা: ৬

বয়স: ২১ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

২০. পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ৬

বয়স: অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

২১. পদের নাম: তত্ত্বাবধায়ক কাম রক্ষণাবেক্ষণকারী, গুদাম সহকারী ও সহকারী

পদসংখ্যা: ৩

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

২২. পদের নাম: ট্রাফিক সুপারভাইজার

পদসংখ্যা: ১৬

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

২৩. পদের নাম: বার্দিং সারেং

পদসংখ্যা: ১৩

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

২৪. পদের নাম: অভ্যর্থনাকারী

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

২৫. পদের নাম: শুল্ক আদায়কারী

পদসংখ্যা: ৯

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

২৬. পদের নাম: দুরালাপনী কর্মচারী (টেলিফোন অপারেটর)

পদসংখ্যা: ২

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

২৭. পদের নাম: মানচিত্র সহকারী

পদসংখ্যা: ২

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

২৮. পদের নাম: গুদামরক্ষক (স্টোর কিপার)

পদসংখ্যা: ৬

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

২৯. পদের নাম: শপ সহকারী

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩০. পদের নাম: ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ৩

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩১. পদের নাম: স্যালভেজ ক্রেন ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩২. পদের নাম: অফিসার্স কুক

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩৩. পদের নাম: স্টুয়ার্ড

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩৪. পদের নাম: ওয়েল্ডার

পদসংখ্যা: ৪

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩৫. পদের নাম: লিফট মেকানিক

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩৬. পদের নাম: ট্রেসার

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩৭. পদের নাম: মেডিকেল অ্যাটেনডেন্ট

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩৮. পদের নাম: ডেমোনেস্ট্রেটর (ওয়ার্কশপ) (ডেক/ইঞ্জিন)

পদসংখ্যা: ১

বয়স: অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩৯. পদের নাম: নিম্নমান সহকারী, সময় রক্ষক এবং সহকারী কোষাধ্যক্ষ

পদসংখ্যা: ৫

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৪০. পদের নাম: গ্রিজার

পদসংখ্যা: ৩৬

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)

৪১. পদের নাম: ভান্ডারি

পদসংখ্যা: ২৩

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)

৪২. পদের নাম: গেজ রিডার

পদসংখ্যা: ৭

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)

৪৩. পদের নাম: দপ্তরি

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ২৭ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)

৪৪. পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ৩

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

৪৫. পদের নাম: শুল্ক প্রহরী

পদসংখ্যা: ৪

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

৪৬. পদের নাম: লিফট অপারেটর

পদসংখ্যা: ১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

৪৭. পদের নাম: তোপাষ

পদসংখ্যা: ১১

বয়স: ১৮ থেকে ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটের (http://biwa.teletalk.com.bd/) মাধ্যমে ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংক থেকে জানা যাবে।

আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ১২ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা; ১৩ থেকে ১৭ নম্বর পদের জন্য ১৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১৮ টাকাসহ মোট ১৬৮ টাকা; ১৮ থেকে ৩৯ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা এবং ৪০ থেকে ৪৭ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা; অনগ্রসর নাগরিক অর্থাৎ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/প্রতিবন্ধী/তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীর জন্য (সব গ্রেড) ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

সূত্র: যুগান্তর