মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে জনবল সঙ্কটে কার্যক্রমে স্থবিরতা

দেড় বছর ধরে জনবল সঙ্কটে কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে। উন্নয়ন মূলক কাজ তদারকি ও দাপ্তরিক নানা সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বারবার এ দপ্তর থেকে জনবলের চাহিদা পাঠানো হলেও কাঙ্খিত পদায়ন করা হচ্ছে না।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সহকারী প্রকৌশলী থেকে অফিস সহায়কসহ ১৪টি পদ শুন্য রয়েছে। এর মধ্যে সহকারী প্রকৌশলী থাকার কথা ৪ জন সেখানে আছেন একজন। উপসহকারী প্রকৌশলীর দুটো পদই শুন্য।

সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক, উচ্চমান সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ক্যাশ সরকার পদ শুন্য রয়েছে।

অফিস সহায়কের দুটি পদই শুন্য। এতগুলো শুন্য পদ বিপরীতে কয়েকজন দিন হাজিরা পারিশ্রামিক দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে। যার জন্য ব্যয় হচ্ছে অর্থ।

এলাকার ঠিকাদাররা অভিযোগ করে জানান, অনেক গুলো পদ শুন্য থাকায় চলমান প্রকল্পের কাজগুলো ইঞ্জিনিয়াররা ঠিকমত পরিদর্শন করতে পারেন না। যার জন্য প্রকল্পগুলো শেষ করতে দেরি হচ্ছে । এছাড়া অফিসে হিসাবরক্ষক না থাকায় ঠিকমত বিলও পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত শুন্য পদে পদায়ন দিয়ে এসকল সমস্যার সমাধান করার দাবী জানান তারা।

হিসাবরক্ষক ও ক্যাশ সরকার না থাকায় সহকারী হিসাব রক্ষক রিয়াদ হোসেনকে একাই করা লাগছে তিনজনের কাজ। যার ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। অনেক বেশি সময় এক কাজে ব্যয় হচ্ছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকার আসলাম খান পিন্টু বলেন, ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর টেকনিক্যাল স্কুলে মেরামতের একটি কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় কাজ হ্যাণ্ডওভার দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া অফিসেও লোকবল সঙ্কট থাকা নানা সন্মুখিন হতে হচ্ছে।

মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিব আহসান বলেন, এ অফিস থেকে বেশ কয়েকজন অন্যত্র চাকরি পেয়ে অব্যহতি নেওয়ায় এ শুন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকবার হেডঅফিসে চাহিদা পাঠানো হয়েছে জনবল পদায়ন চেয়ে। এখনো পদায়ন করা হয়নি। যার ফলে সাময়িক বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। লোকবল নিয়োগ না হলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পগুলো শেষ না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।




আরবি ভাষার উৎস, জন্ম ও ক্রমবিকাশ- এম এ এস ইমন

আরবি নামটি শুনলে প্রথমেই আমাদের মনে আসে এটি পবিত্র কুরআনের ভাষা, যা ইসলাম ধর্মের সাথে সম্পর্কিত। সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতিদিন তাদের প্রার্থনায় আরবি ভাষায় কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করে থাকেন।

এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আরবি ভাষা মুসলমানদের কাছে একটি অতি পবিত্র ভাষা হিসেবে গণ্য।সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাতৃভাষা ছিল আরবি, আর আল্লাহ জিব্রাইলের (আ.) মাধ্যমে তার উপর এই ভাষায় ওহী নাযিল করতেন।

ঐতিহাসিকভাবে মুসলিমদের বিশ্বাসমতে, আরবিই সেই ভাষা যার মাধ্যমে জান্নাত বা স্বর্গে মানুষ একে অন্যের সাথে বা ফেরেশতাদের সাথে যোগাযোগ করবে।

আরবি হলো বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত কথ্য ভাষাগুলোর মধ্যে একটি। ব্যবহারের দিক থেকে এটি পঞ্চম স্থানে, যা আজকের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা জুড়ে একটি সরকারি ভাষা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি এর ব্যবহার বিভিন্ন উপভাষাতেও রয়েছে। উপরেই বলা হয়েছে, আরবি ভাষা মুসলিমদেরর কাছে একটি ধর্মীয় ভাষা হিসেবেও কাজ করে।

কারণ, আরবি হলো পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনের ভাষা, এবং এটি ইসলাম ধর্মের সাথে সরাসরি যুক্ত। এভাবে এই ভাষা ধর্মীয় তাৎপর্যের সাথে সাথে ঐশ্বরিক উদ্ঘাটনের সাথেও যুক্ত, যা ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

জনপ্রিয় এই আরবি ভাষা কোথা থেকে এসেছে? এর জন্ম কীভাবে হলো? আর, কীভাবেই বা এর পরিবর্তন ঘটেছে? প্রাচীন এই ভাষা সম্পর্কে জানাতেই আজকের এই লেখা। পাঠকবৃন্দ, তো চলুন আরবি ভাষা সম্পর্কে জানতে ঘুরে আসি ইতিহাসের পাতা থেকে।

আজকের বিষয় হলো আরবি ভাষা, যাকে আরবিতে ‘আল আরাবিয়া’ বলা হয়। প্রায় ২৯৩ মিলিয়ন স্থানীয় ভাষা ব্যবহারকারী, এবং বিশ্বব্যাপী মোট ৪২২ মিলিয়ন মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলেন। বিশ্বের ২৬টি দেশের অফিসিয়াল ভাষা আরবি। এটি জাতিসংঘের ছয়টি অফিসিয়াল ভাষার মধ্যে একটি।

কুরআনের ভাষা হিসেবে এটি সারা বিশ্বের ১.৭ বিলিয়ন মুসলমানের ধর্মীয় ভাষাও। যদিও তাদের অধিকাংশই আরবি ভাষায় মনের ভাব আদান-প্রদান পারে না, কিন্তু প্রার্থনা এবং ধর্মীয় অধ্যয়নের জন্য আরবি ভাষা সম্পর্কে কিছু জ্ঞান তাদের অধিকাংশেরই রয়েছে। এই ভাষার রয়েছে বিভিন্ন বৈচিত্র্য।

প্রধান বৈচিত্র্যগুলোর মধ্যে একটি হলো কুরআনের শাস্ত্রীয় আরবি। অনেক পণ্ডিত একে আরবি ভাষার সবচেয়ে নিখুঁত রূপ বলে মনে করেন, এবং কেউ কেউ বলেন যে, এটি একমাত্র সত্যিকারের আরবি, কারণ এটাই ছিল সেই ভাষা যে ভাষায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ শেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কাছে কুরআন অবতীর্ণ করেন। তারপর রয়েছে মডার্ন স্ট্যান্ডার্ড আরবি, যা আজ অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত আরবি ভাষার একটি রূপ।

এটি সাহিত্যে ব্যবহৃত আরবির আধুনিক রূপ, যা কুরআনের ধ্রুপদী আরবির উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটা ঠিক শাস্ত্রীয় আরবির মতো নয়, কিন্তু উভয়কেই আরবরা ‘আল-ফুশা’ বলে উল্লেখ করেছে, যার অর্থ ‘বাকপটু বক্তৃতা’।

সেমিটিক ভাষার উপগোষ্ঠীর সর্বোত্তম শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে ভাষাবিদদের মধ্যে এখনও ভিন্নমত দেখা যায়। সেমিটিক ভাষাগুলো প্রোটো-সেমিটিক এবং মূল বা সেন্ট্রাল সেমিটিক ভাষার উদ্ভবের মধ্যে, বিশেষত ব্যাকরণে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বলে তারা মনে করেন।

ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়- আরবি ভাষা সেমিটিক ভাষা পরিবার থেকে এসেছে, এবং এটি ঐ পরিবারের অন্যান্য সেমিটিক ভাষার সাথে বিকশিত হয়েছে। সেই দিক থেকে বিশেষ করে আরবি ভাষা মূলত কোনো নির্দিষ্ট ভাষা কোথা থেকে এসেছে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বেশ কঠিন, কারণ ভাষা সর্বদা পরিবর্তিত এবং বিকশিত হয়।

আরবি এবং অন্যান্য সেমিটিক ভাষা, যেমন- হিব্রু, আরামাইক এবং ফিনিশিয় সব একই প্রোটো-সেমিটিক ভাষা থেকে বিকশিত হয়েছে। আরবি ভাষা মূল বা সেন্ট্রাল সেমিটিক শাখার অন্তর্গত একটি ভাষা, যেখানে সেন্ট্রাল সেমিটিকের আরেকটি শাখা থেকে হিব্রু, আরামাইক এবং ফিনিশিয় ভাষাগুলো এসেছে। সেমিটিয় গোত্রের ভাষাসমূহের অন্তর্গত জীবিত সেমিটিক ভাষাগুলো হলো আধুনিক হিব্রু ভাষা (ইসরায়েলের ভাষা), আমহারীয় (ইথিওপিয়ার ভাষা), এবং ইথিওপিয়ায় প্রচলিত অন্যান্য ভাষা। মৃত সেমিটিয় ভাষাগুলোর মধ্যে আছে প্রাচীন হিব্রু, আক্কাদীয় (ব্যাবিলনীয় ও আসিরীয়), সিরীয় ও ইথিওপীয় ভাষা।

বহু আরব বিশেষজ্ঞ আরবি ভাষার উৎস খোঁজার চেষ্টা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইবনে আল ক্বালবি তার লিখিত কিতাব আল-আসাম বইয়ে লিখেছেন, ব্যাবিলন থেকে আসা আমালিয়ার জায়ান্টরাই প্রথম আরবিতে কথা বলতেন, এবং তাদের সাথে এটি আরব ভূখণ্ডে ছড়িয়ে দেন।

এছাড়া একটি জনপ্রিয় ও ব্যাপক গৃহীত তত্ত্ব ও ধারণা হলো- আরবি ভাষা দক্ষিণ আরব ও আধুনিক ইয়েমেনের আশেপাশে উদ্ভূত হয়েছে, এবং পরে এটি উত্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। পাঠক, চলুন দেখে আসি ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ থেকে পাওয়া আফ্রো-এশিয়াটিক ভাষা পরিবার থেকে আরবি ভাষা কীভাবে এলো তার একটি সম্ভাব্য প্রবাহ চিত্র।

প্রাচীনকালে আরবের অধিবাসীরা বিভিন্ন সেমিটিক ভাষায় কথা বলত। দক্ষিণ-পশ্চিমে, প্রাচীন দক্ষিণ আরব পরিবারের (যেমন- দক্ষিণ থামুডিক) অন্তর্গত এবং এর বাইরের বিভিন্ন সেন্ট্রাল সেমিটিক ভাষার ব্যবহার ছিল।

বিশ্বাস করা হয়, আধুনিক দক্ষিণ আরবীয় ভাষার (নন-সেন্ট্রাল সেমিটিক ভাষা) পূর্বপুরুষরাও এই সময়ে দক্ষিণ আরবের ভাষায় কথা বলত। উত্তরে, উত্তর হিজাজের মরূদ্যানে, দাদানিটিক এবং তায়মানিটিক শিলালিপির ভাষাগুলোর কিছুটা প্রতিপত্তি ছিল। নজদ এবং পশ্চিম আরবের কিছু অংশে ‘থামুডিক সি’ নামে শিলালিপিতে প্রাপ্ত একটি ভাষা পণ্ডিতরা খুঁজে পেয়েছেন।

পূর্ব আরবে প্রাপ্ত একটি শিলালিপি থেকে হাসাইটিক নামে পরিচিত একটি ভাষার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া, আরবের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে, থামুডিক বি, থামুডিক ডি, সাফাইটিক এবং হিসমাইক নামে পণ্ডিতরা চারটি বিভিন্ন ভাষা পেয়েছেন। ভাষাপণ্ডিতদের প্রাপ্ত তত্ত্বের ভিত্তিতে বলা যেতে পারে যে, সাফাইটিক এবং হিসমাইক প্রকৃতপক্ষে আরবি ভাষার প্রাথমিক রূপ এবং সেগুলোকে পুরনো আরবি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

আরবি সম্পর্কিত অসংখ্য সেমিটিক ভাষা ত্রয়োদশ এবং দশম শতাব্দীর মধ্যে আরবে ব্যবহার হতো। কিন্তু এগুলোর এমন কোনো বৈশিষ্ট্য নেই যা তাদের আরবি ভাষা হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। ‘আরব’ হিসেবে উল্লেখ করা লোকদের প্রাচীনতম প্রমাণ খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীর একটি অ্যাসিরিয়ান শিলালিপিতে পাওয়া যায়। কিন্তু, এতে শুধু আরবদের কথা বলা হয়েছে। এটি তাদের ভাষার কোনো প্রমাণ দেয় না।

খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে খ্রিষ্টাব্দ ৪র্থ শতাব্দীর মাঝে এমন কিছু শিলালিপি পাওয়া গেছে যা আরবি ভাষার প্রাথমিক রূপের প্রমাণ দেয়। এই শিলালিপিগুলোর মধ্যে কিছু আরবি ভাষার প্রাথমিক রূপ এবং অন্যগুলো আরামাইক ভাষায় লেখা, তবে এতে আরবির কিছু প্রভাব দেখা যায়। এই শিলালিপিগুলোতে বেশিরভাগই সাধারণ নাম, তাই এটাও আমাদের আরবি ভাষা সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য দেয় না।

আরবি ভাষার সম্ভাব্য প্রাচীনতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মনে করা হয় জর্ডানের বায়ির এলাকায় প্রাপ্ত খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের প্রথমদিকের একটি শিলালিপিকে। অবশ্য এর ভাষা আরবি না অন্য কোনো সেমিটিক ভাষা তা সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। তবে, প্রথম সহস্রাব্দের দ্বিতীয়ার্ধের দিককার বহু শিলালিপি পাওয়া গেছে সিরিয়া, জর্ডান ও উত্তর পশ্চিম সৌদি আরবে। মূলত এই লিপিগুলোর উপর ভিত্তি করে এগুলোকে একটি উত্তরের শাখা (সাফাইটিক) ও একটি দক্ষিণের শাখায় (হিসমাইক) ভাগ করা হয়। এগুলোতে ব্যবহৃত লিপি পরবর্তীকালের আরবি লিপি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও তৎকালীন দক্ষিণ আরবে প্রচলিত লিপি থেকে উৎপন্ন।

কিন্তু লিপি আলাদা হলেও এই লেখাগুলোর ভাষা বিবেচনা করে এগুলোকে আরবি ভাষারই প্রাচীন রূপ বলে নির্ণয় করেছেন ভাষাবিদরা। ঠিক একই সময়ে আরব উপদ্বীপের অন্যান্য জায়গায় অন্যান্য লিপিতেও সেমিটিক ভাষায় আরও লেখা পাওয়া গেছে, কিন্তু সেগুলোর কোনোটাই পরবর্তী কালের আরবি ভাষার পূর্বসূরী ছিল না বলে মনে করেন পণ্ডিতরা। সেই হিসেবে দেখলে উত্তর-পশ্চিম আরব ও দক্ষিণ শাম (লেভান্ট বা Levant)-এ আরবি ভাষার প্রথম সহস্রাব্দের পূর্বপুরুষের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।

আরব ভূমিতে প্রধান রাজ্যগুলোর একটি ছিল নাবাতিয়ান রাজ্য। তাদের রাজধানী ছিল জর্ডানের পেট্রা নগরীতে, যা উত্তর আরবে অবস্থিত। তবে মজার ব্যাপার হলো, নাবাতিয়ান মানুষরা তখন আরবি ভাষা লিখত না। তাদের বাণিজ্যব্যবস্থা ছিল অন্যান্য দূরের রাজ্যগুলোতে।

তাই যোগাযোগের জন্য ব্যবহার হতো সেই সময়ের মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান ভাষা আরামাইক। তবে স্থানীয় অধিবাসীরা মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই প্রাচীন আরবি ভাষায় কথা বলতেন। খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকে নাবাতিয়ানদের মধ্যে প্রথম আরামাইক লিপির একটা টানা হাতের রূপভেদে আরবি ভাষা লিখতে দেখা গেল, যা আইন আভদাত (Ein Avdat) শিলালিপিতে দেখা যায়।

এটিই প্রাচীনতম শিলালিপি, যেটি নিঃসন্দেহে আরবি ভাষার, যার সময় প্রায় ১২৫ খ্রিষ্টাব্দ। পাঠক, আপনারা নিচে যে ছবিটি দেখতে পারছেন, সেটিই আইন আভদাত শিলালিপি, যা বর্তমান ইসরাইলের দক্ষিণে নেগেভ মরুভূমির একটি গিরিপথ ‘আইন আভদাত’-এ পাওয়া গেছে। এটি একটি আরামাইক শিলালিপি, তবে এতে আরবি ভাষার তিনটি লাইন রয়েছে।

সংকলনেঃ এম.এ.এস ইমন
প্রকাশক, দৈনিক ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’




চুয়াডাঙ্গায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসের ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শহীদ তিতুমীর ও শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানার এসআই মাসুদুর রহমান।

গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত কল্যাণ সভা অনুষ্ঠানে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

পলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ ফেব্রুয়ারী মাসে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানা পুলিশ সর্বোচ্চ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। জেলার মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ারেন্ট আসামী গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করেন। দর্শনা থানাধীন বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর মামলর ঘটনার মূল আসামি গ্রেফতার এসব ঘটনার রহস্য উদঘাটন অন্যান্য আসামি গ্রেফতার সহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে সাফল্য দেখিয়েছে।

এছাড়া দর্শনা থানাধীন এলাকার নিয়মিত মামলার এজাহার নামীয় আসামি গ্রেফতার করে। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিশেষ ভূমিকা ইত্যাদি ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরপ চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর, শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মাসুদুর রহমান, শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ আরিফুল ইসলাম।

কল্যাণ সভা অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার বিতরণী করে ক্রেস্ট প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলা বিপিএম সেবা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম জনাব কনক কুমার, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ সহ পুলিশের কর্মকর্তা বৃন্দ।




মেহেরপুরে ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব মেহেরপুরের আয়োজনে হয়ে গেলো ইফতার ও দোয়া মাহফিল।

রবিবার সন্ধ্যায় শহরের সেভেন সেন্স রেস্টুরেন্টে মেহেরপুরের ওয়াইআরসির সদস্যদের নিয়ে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতারের আগে দেশের শান্তি কমনায় মোনাজাত করা হয়। এসময় দেশের জনগণ যাতে ভালো ভাবে রোজা পালন করতে পারে এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে ভালো ভাবে চলে সেজন্য দোয়া করা হয়।

এসময় সিনিয়র টেরিটরি অফিসার এজাজ মাহমুদ, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মির্জা, মেহেরপুর ইয়ামাহা শোরুমের স্বত্বাধিকারী কৌশিক আহমেদ, ওয়াইআরসির গ্রুপ এডমিন শিথিল, শোরুম ম্যানেজার নাহিদ, সেলস এক্সিকিউটিভ মারুফ সুলতান বর্ষন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরের কুতুবপুরে ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন ও ইফতার

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের উত্তর শালিকায় এই সম্মেলন, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপি’র সদস্য ওমর ফারুক লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ।

এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপি’র সদস্য আলমগীর খান সাতু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাঁকাবিল্লা, জেলা বিএনপি’র সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজমিন নাহার রিনা, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, বিএনপি নেতা মোশিউল আলম দ্বীপু, আবু ইউসুফ মিরন, বখতিয়ার হোসেন, সাইদুল হক কেনেডি, তাজুল ইসলাম, সুইট, আরিফ ,সাইরুল ইসলাম, আবুল হাশেম, ফুর্তি হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় করেন সাহাবুল ইসলাম।

কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলনে নতুন কমিটির সভাপতি সাইদুল হাসান‌ খান কেনেডি ও সাধারণ সম্পাদক নবিরুল ইসলাম, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মহিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুকুল হাসান নির্বাচিত হন।




ঝিনাইদহে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে মহেশপুরের জলিলপুর সড়কে আব্দুল হামিদ সাড়ে তিন শতক ডিসিআরভুক্ত জমি সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ নিয়ে একটি সেমি পাকা ভবন নির্মাণ করে। পরে ওই ভবনে ডেকোরেটরের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করে আসছেন তিনি।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মহেশপুর বণিক সমিতি থেকে একটি সালিশির চিঠি পান তিনি। পরে বণিকি সমিতিতে গিয়ে জানতে পারেন ওই জমির দাবি করছেন স্থানীয় শেখ মো. আনোয়ার সাদত রিপন নামের এক ব্যক্তি। সমিতিতে সালিশের সময় হামিদকে দ্রুত ওই জমিসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাকে দিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়।

এরপর উপায় না পেয়ে গত ৩ মার্চ ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন তিনি। তখন আদালত ওই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করে।

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে রিপন ও তার ক্যাডার বাহিনী। পুরো ভবন ভাঙচুর করেছে। প্রতিষ্ঠানে থাকা ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে তারা।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আনোয়ার সাদত রিপন বলেন, ‘ওই জায়গায় আমাদের মার্কেট রয়েছে। হামিদ যে জায়গায় ব্যবসা করে ওই জায়গাটাও আমাদের। তিনি মূলত সাবেক এমপি চঞ্চলের লোক। সম্ভবত ৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্ন সময় ওই প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে বহিরাগতরা। এখন তিনি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘শুনেছি ওই জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ আছে। এখন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে চলে গেছে। বিজ্ঞ আদালত যে নির্দেশনা দিবে আমারা সেটাই পালন করবো।




ঝিনাইদহে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঝিনাইদহে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষনের মত অপরাধের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

রোববার (১৬ মার্চ) সকালে শহরের পায়রা চত্তওে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) জেলা শাখা। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেয়।

মানববন্ধনে টিআইবি’র এরিয়া কো- অর্ডিনেটর হুমায়ুন কবির, সনাক সহ-সভাপতি আহমেদ হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মানবিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় ধর্ষণের অন্যতম কারণ।

এ ক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগের পাশাপাশি মানুষের সচেতনতা খুবই জরুরি।




ঝিনাইদহে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ও নগদ টাকা ফেরত পেলেন মালিকেরা

হারিয়ে যাওয়া ও চুরি-ছিনতাই হওয়া ৮৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

এসময় প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া ৬৪ হাজার টাকাও প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।

রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া উপস্থিত থেকে প্রকৃত মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে সাইবার সেল জানিয়েছে, অভিযোগ ও জিডির ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোনগুলি উদ্ধার করা হয় এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সহায়তায় খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

সাইবার অপরাধ দমনে ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন সেল প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।




ঘরোয়া এই দুই উপাদানেই পাবেন উজ্জ্বল ত্বক

উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়। এর জন্য গ্লিসারিন ও ভিটামিন সি এর জুড়ি নেই। এই দুটি উপাদান ত্বককে হাইড্রেট, সুরক্ষা এবং পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে।

গ্লিসারিন এবং ভিটামিন সি যেভাবে ত্বকের উপকার করে

গ্লিসারিন একটি হিউমেক্ট্যান্ট। অর্থাৎ এটি বাতাস থেকে ত্বকের জন্য প্রয়োজনী আর্দ্রতা শোষণ করে নেয় এবং ত্বককে নরম ও হাইড্রেটেড রাখে। ভাল হাইড্রেটেড ত্বক আলোকে আরও ভালভাবে প্রতিফলিত করে।

অন্যদিকে, ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কালো দাগ দূর করতে, কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে এবং অকাল বার্ধক্যের জন্য দায়ী মুক্ত র্যাডিকেলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে, এই উপাদানগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ফেস মাস্ক

গ্লিসারিন এবং ভিটামিন সি ব্যবহার করে উজ্জ্বল ত্বকের বেশ কিছু রেসিপি এখানে দেওয়া হলো:

হাইড্রেটিং সিরাম: ১ চা চামচ গ্লিসারিন, হাফ চা চামচ ভিটামিন সি পাউডার এবং ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি একটি অন্ধকার বোতলে সংরক্ষণ করুন এবং গভীর হাইড্রেশনের জন্য ঘুমানোর আগে কয়েক ফোঁটা প্রয়োগ করুন।

ফেস মিস্ট: একটি স্প্রে বোতলে হাফ চা চামচ গ্লিসারিন, হাফ চা চামচ ভিটামিন সি পাউডার এবং হাফ কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে দিন। তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতার জন্য এটি দিনের যেকোনও সময় মুখে স্প্রে করুন।

ফেস মাস্ক : ১ চা চামচ গ্লিসারিন, হাফ চা চামচ ভিটামিন সি পাউডার এবং ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা

উভয় উপাদানেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে:

১. গ্লিসারিন সংবেদনশীল ত্বকে লালচেভাব বা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।

২. ভিটামিন সি সূর্যের আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে।

৩. পুরো মুখে ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করুন।

সূত্র: সামাটিভি




রায়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন আবরার ফাহাদের মা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এই রায় দেন।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ রায়ে সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার আপিল শুনানির রায় হয়েছে আজ। হাইকোর্টে আগের রায় বহাল থাকায় আমরা সবাই সন্তুষ্ট।’

রোববার দুপুরে হাইকোর্টের রায়ের পর কুষ্টিয়া শহরের নিজ বাসভবনে তিনি তাঁর সন্তুষ্টির কথা জানান।

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘দীর্ঘ ছয় বছর পরও এ দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। কেউ আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাননি। এ জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন চাওয়া, এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। এ রায় কার্যকর হলে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস পাবে না।’

এর আগে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।