গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবেছিলেন তামিম

বুকে ব্যথা শুরু হয়েছিল সকালেই। অস্বস্তি বোধ করাতে তামিম ইকবাল ফিজিও ও ট্রেইনারকে জানান। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক ভেবেছিলেন গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা। তাই ওষুধও খান। কিন্তু খানিকক্ষণ পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা গেছে, তামিমের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। ব্লক ধরা পড়েছে, বসানো হয়েছে একটি রিং।

বিকেএসপিতে ডিপিএলে ম্যাচ খেলার মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়া তামিককে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। আপাতত সিসিউ’তে আছেন পর্যবেক্ষণে। তবে শারিরীক অবস্থা হেলিকপ্টারে ফ্লাই করার উপযোগী নয় বলে এখনও ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত হয়নি।

আজ বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে চলছিল ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন তামিম। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ককে দ্রুতই হাসপাতালে নেওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এখন অবশ্য সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এরআগে, অসুস্থ হয়ে পড়লে তামিমকে নিতে হেলিকপ্টার আসে। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় পাশেই থাকা কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তামিমকে। সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা। মোহামেডানের ফিল্ডিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক বিকেএসপির মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে নেওয়া হয় হাসপাতালে। মোহামেডানের কর্মকর্তারা তামিমের সঙ্গেই আছেন। বিসিবির কর্তারাও যাচ্ছেন তামিমকে দেখতে।

জানা গেছে, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রামের পর তামিমের হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে হার্টে পরানো হয়েছে একটি রিং। তামিমের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ ব্লক থাকায় তাকে ঢাকায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১০

মেহেরপুরে পুলিশের ২৪ ঘন্টার অভিযানে জিআর মামলার আসামিসহ বিভিন্ন মামলার ১০ আসামি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে ১ জন ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে ৯ জন রয়েছে।

গতকাল রবিবার দিবাগত রাত থেকে আজ সোমবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করা হয়।

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃত হলো, পিরোজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে হামিদুল (হাফি) (৩৮), হরিরামপুর গ্রামের মোঃ তারা মিয়ার ছেলে মোঃ পাপ্পু (২২), মোঃ খোরশেদের ছেলে মোঃ তারা মিয়া, পোষ্ট অফিস পাড়ার মোঃ আমিরের ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন (৪২), কুতুবপুর মধ্যপাড়ার মৃত কাশেম চৌকিদারের ছেলে মোঃ সোহেল (৩৯), শহরের উত্তর খাঁন পাড়ার আঃ হামিলের স্ত্রী মোছাঃ কাইফা খাতুন, আঃ হালিমের ছেলে মোঃ সাব্বির হোসেন, তাঁতী পাড়ার আমির আলীর ছেলে মোঃ আঃ হালিম, উজলপুরের উসমান গনির ছেলে মোঃ সজিব এবং গাংনী উপজেলার গ্রেফতারকৃত হলেন কুষ্টিয়া মিরপুরের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মফিজুল ইসলাম (টুটুল)।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দিন ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলার সর্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।




কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আফজাল হোসেন মেহেরপুর থেকে গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মো. আফজাল হোসেনকে মেহেরপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার ভোরে মেহেরপুর শহরের তাহের ক্লিনিকপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ইবনে মামুনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সেইসঙ্গে আশ্রয়দাতা ইবনে মামুনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে মেহেরপুর সদর থানায় নিয়েছে পুলিশ। মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা ইবনে মামুনের ভাইয়েরা জুতার ব্যবসা করেন।

সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের মালিকানাধীন ‘আফজাল সুজ’ কম্পানির সঙ্গে ইবনে মামুনের ভাইদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। সে সূত্রেই এমপি আফজাল হোসেন ওই নেতার বাসায় আশ্রিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সাবেক এই এমপির অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ।

স্থানীয় একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, মেহেরপুর তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরের দিকে জেলার মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল তার।

এ জন্য সীমান্তের একটি চক্রের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকায় চুক্তিও করেছিলেন বলে অসমর্থিত সূত্রগুলো জানায়।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন সাবেক এমপি মো. আফজাল হোসেনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি টিম মেহেরপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। বিকাল নাগাদ পুলিশের টিম মেহেরপুর পৌঁছালে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।

তবে মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রিক্যুইজিশনের (অধিযাচন) ভিত্তিতে সোমবার কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সাবেক এমপি মো. আফজাল হোসেনকে মেহেরপুর সদর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেন জানান, বাজিতপুর থানায় সাবেক এমপি মো. আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ কমপক্ষে সাতটি মামলা রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই ৪ আগস্টের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা হয়।




আইনজীবী পরিবর্তন করায় নথি থেকে জমির দলিল গায়েব !

২৩ বছর আগে একটি দেওয়ানী মামলা করে এখন বিপাকে পড়েছেন মুজিবনগরের ভুক্তভোগী ভূমি মালিক ইন্নাল শেখ। দীর্ঘ দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে তৃতীয় দফার একতরফা শুনানী ও রায়ের দিন জানতে পারলেন প্রাক্তন উকিলের মহুরির দ্বারা জমির দলিল গায়েব হয়েছে।

মামলার বাদীর সাথে কথা বলে ও নথি ঘেঁটে দেখা যায়, দীর্ঘ ২৩ বছর আগে ২০০২ সালের ৩১ মার্চ তারিখে মেহেরপুরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিবাদী মোঃ মিন্টু জোয়ারদারের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলাটি দায়ের করেন ইন্নাল শেখ। মামলা নম্বর ৯৩/০২। সমন জারি ও জবাব দাখিলে বিবাদী পক্ষের অনুপস্থিতিতে বছরের পর বছর চলে যায়। দীর্ঘদিন মামলা চলাকালীন সময়ে আদালতে বিবাদীপক্ষের অনুপস্থিতির কারণে আদালত ইন্নাল শেখের অনুকূলে একতরফা রায় দেন। এরপর আবার বিবাদী পক্ষ যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করে। এরপর আবারো যথারীতি অনুপস্থিত থাকলে আপিলেও একতরফা রায় পান ইন্নাল শেখ। এরপর আবারও বিবাদী পক্ষের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে একটি মিস কেস করেন করেন মোঃ মিন্টু জোয়ারদার। এরপর থেকে আদালতে যথারীতি অনুপস্থিত থাকতে শুরু করেন।

দেওয়ানী মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়াতে বাদীপক্ষ পরিবর্তন করেন আইনজীবী। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে জেলা আইনজীবী সমিতির এনওসি’র মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর আইনজীবী পরিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এরপরেই বাধে বিপত্তি। আদালতে পুনরায় মামলাটির একতরফা শুনানির সময় দেখা যায় মামলার মূল নথিতে জমির দলিলটি নেই। অথচ ইতিপূর্বে দু দুইবার সেই দলিলের সূত্র ধরেই আদালত ইন্নাল শেখের পক্ষে এক তরফা রায় দিয়েছিলেন।

মামলার বাদি ইন্নাল শেখ বলেন, ‘আমার বৈধ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদী পক্ষ আমাকে বিগত ২৩ বছর যাবৎ আদালতের বারান্দায় রেখেছে। অথচ বিবাদী পক্ষ কখনো আদালত না এসে আদালত অবমাননা করে চলেছে। আমার মামলার প্রাক্তন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বারের মুহুরী নুরুলের সাথে বিবাদী পক্ষের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। মুহুরির সাথে আত্মীয়তা ও বিবাদীর পয়সায় মামলার কাগজ পত্র হারানোর মত ঘটনা ঘটছে। কারণ এনওসির মাধ্যমে আইনজীবী পরিবর্তন করার পরেও ২২ মার্চ থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ও তার মুহুরী বারবার আমার মোবাইলে কল দিয়ে একতরফা সাক্ষী ও রায় হবে জানিয়ে টাকা সহ যোগাযোগ করতে বলে।’

আইনজীবী পরিবর্তনের পরেও প্রাক্তন আইনজীবী ও তার মুহুরীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে। ঘটনা শুনে আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বলেন,’এই মুহূর্তে আমি জরুরী কাজে ঢাকাতে আছি। মেহেরপুরে ফেরার পর বিষয়টি আমি দেখব।

আর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রাজ্জাক টোটন বলেন, ‘ভুক্তভোগী বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইন্নাল শেখের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা মামলার নথি সমূহ তুলে বেশ কয়েকজন অ্যাডভোকেটকে দেখায়। এটা জানার জন্য, আমাদের মামলার গ্রাউন্ড কি। যেহেতু দীর্ঘদিন যাবত আমার বাবা মামলা পরিচালনা করে আসছেন। তাই সেটা জানার পর ২৩ সালের ৩০ মে আদালতের যেই দিন ছিল, ওদিন নুরুল মুহুরীর কাছে নথি (জমির মূল দলিলপত্র) দিয়েছি কোর্টে জমা করার জন্য। কোর্টের নিচ তলায় উনি বললেন, আমার হাতে দাও আমি জমা করে দিবো। এর কয়েক মাস পরে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নথি জমা দিয়েছি। আদৌতে তিনি সেই নথি জমা দেননি। আজকে যখন জানতে পারলাম যে নথি কোর্টে জমা হয়নি। তখন বার বার নুরুল মুহুরীকে কল দিলে তিনি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ‘

মুজাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমরা বাদি পক্ষ মনে করছি, অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বারের কাছ থেকে মামলা সরিয়ে অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার কাছে আইনগতভাবে হস্তান্তর করায় তিনি মুহুরীকে নিয়ে বাদী পক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে আমাদের মামলার নথি সমূহ গায়েব করেছেন। আমরা কোর্ট ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করবো বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে আমাদের ন্যায় বিচার পেতে সহায়তা প্রদান করার জন্য।’

এ বিষয়ে মুঠোফোন নুরুল মুহুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি বলেন ‘আজ সকালে আমি আদালতের মূল নথিতে দলিলটি জমা করেছি।’ মুহুরীর এই কথোপকথনের অডিও কালবেলার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

পরবর্তীতে আদালত জমির দলিল মামলার নথিতে না পেয়ে পরবর্তী তারিখে জমির দলিল দাখিল করার নির্দেশ দিলে, আবারো যোগাযোগ করা হয় মুহুরীর সাথে। এ সময় তিনি কোন কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, ভূমি বা জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মানুষকে বিচিত্র ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেকে বলেন, দেওয়ানি মামলার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। প্রযুক্তির যুগেও সমন জারি ও জবাব দাখিলে বছরের পর বছর চলে যায়। একপক্ষের গরহাজিরায় মামলা একতরফা নিষ্পত্তি হয়। অন্যপক্ষ এসে আবার মামলা পুনরুজ্জীবিত করে। আপিল শুনানি ও শেষ হওয়ার পরও একই অবস্থা হয়। ফৌজদারি বিচারে কত দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র, বিচার করতে হবে সেটি বলা আছে। কিন্তু দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই।

এছাড়াও এক ব্যক্তির জমি অন্যের নামে নামজারি করা, উত্তরাধিকার সম্পত্তির নামজারিতে জটিলতা, বেঁধে দেওয়া সময়ে নামজারি সম্পন্ন না হওয়া, ভূমি জরিপের ক্ষেত্রে নানারকম নয়-ছয় করা ইত্যাদি সাধারণ ঘটনা। ভূমি অফিসের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালালের যোগসাজশে নানা দুর্নীতি, ঘুষ ও আর্থিক কেলেঙ্কারি তো আছেই। সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য ভূমির মালিকানা অর্জনের চেয়ে ভূমিরক্ষা করাটাই যেন কঠিন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত অধস্তন আদালতে ১৫ লাখ, হাইকোর্টে ৮৯ হাজার এবং আপিল বিভাগে ১১ হাজারের বেশি দেওয়ানি মামলা বিচারাধীন ছিলো।




মেহেরপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মেহেরপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর সরকারী কলেজ প্রাঙ্গনে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।

কলেজ শিক্ষক ও বসুন্ধরা শুভসংঘ মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি এস এম রফিকুল আলম বকুলের সভাপতিত্বে এসময় বসুন্ধরা শুভ সংঘের উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠের মেহেরপুর প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন, উপদেষ্টা সাবেক শিক্ষক নুরুল আহমেদ, বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরুণ সংগঠক মো. নাফিউল ইসলাম,

সাংগঠনিক সম্পাদক মো. অনিক হাসান, দপ্তর সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. নাসিম হাসান, কর্মপরিকল্পনা সম্পাদক মোছা. খাদিজা বেগম, অর্থ সম্পাদক মাসুম সুলতানা রানি, নারী ও শিশু সম্পাদক তামান্না তানভির, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মোছা. সামসুন্নাহার, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. মাসুদুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক আলকামা সিদ্দিকী তারিফ, স্বাস্থ্য ও মানব সম্পদ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

ইফতারের পূর্বে ফিলিস্তিনের জনগণসহ সমস্ত মুসলিম উম্মাহ, দেশবাসী ও বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া ও শান্তি কামনা করা হয় ।




মেহেরপুরে জেলা যুবদলের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায় মেহেরপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ডিক্লেয়ার উদ্যোগে ইফতার বিতরণ করা হয়।

আজ রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে মেহেরপুর শহর পৌরসভার সামনে, হাসপাতাল ওয়াবদার মোড় ও কলেজ মোড়-এ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে পথচারী মানুষের মাঝে পাঁচ শতাধিক ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারী নাহিদ ইসলাম, রাজু দোলোয়ার, ওসমান, অভি লিটন ফাইম, নাজমুল সহ জেলা যুবদলের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া 

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মেহেরপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় মেহেরপুর সরকারী কলেজ প্রাঙ্গনে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
কলেজ শিক্ষক ও বসুন্ধরা শুভসংঘ মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি এস এম রফিকুল আলম বকুলের সভাপতিত্বে এসময় বসুন্ধরা শুভ সংঘের উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠের মেহেরপুর প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন, উপদেষ্টা সাবেক শিক্ষক নুরুল আহমেদ, বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরুণ সংগঠক মো. নাফিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. অনিক হাসান, দপ্তর সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. নাসিম হাসান, কর্মপরিকল্পনা সম্পাদক মোছা. খাদিজা বেগম, অর্থ সম্পাদক মাসুম সুলতানা রানি, নারী ও শিশু সম্পাদক তামান্না তানভির, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মোছা. সামসুন্নাহার, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. মাসুদুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক আলকামা সিদ্দিকী তারিফ, স্বাস্থ্য ও মানব সম্পদ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইফতারের পূর্বে ফিলিস্তিনের জনগণসহ সমস্ত মুসলিম উম্মাহ, দেশবাসী ও বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া ও শান্তি কামনা করা হয় ।



মুজিবনগরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তির কামনায় ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান

মুজিবনগরে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তির কামনায় ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার বিকেলে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ভবেরপাড়া গ্রামবাসির (২ নং ওয়ার্ড বিএনপি) আয়োজনে, ভবেরপাড়া ঈদগাঁহ ময়দানে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠানে বাগোয়ান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মহাম্মদ বায়েজিদের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।

উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহিম মল্লিক, সাবেক মেম্বার ইউনুস আলী বগা মোল্লা, জাহান আলী, বিল্লাল বিশ্বাস, মুনসি ওমর ফারুক প্রিন্স, আব্দুল শাহ, আকবর আলী, ইউনুস শাহসহ ভবেরপাড়া ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি,র নেতা কর্মী বৃন্দ।

আলোচনা শেষে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তির কামনায় দোয় অনুষ্ঠিত হয়।




ইবিয়ান মেহেরপুরের ইফতার ও দোয়া মাহফিল

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইবিয়ান মেহেরপুরের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেল পাঁচটার দিকে মেহেরপুরের শর্মা ফুড প্লাজায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।

ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ইবিয়ান মেহেরপুরের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শাহিউদ্দিন মিল্টনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মনজুরুল ইমাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম।

এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মূনীর, জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন, বামুন্দি নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদুল আনাম স্বপনসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহেরপুরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইবিয়ান মেহেরপুরের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হোসেন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন।
উপস্থিত সবাই দেশের কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।




মেহেরপুরে ৫ দফা দাবিতে মউশিক শিক্ষকদের মানববন্ধন

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৭ম পর্যায়) প্রকল্পের জনবল রাজস্বকরণ ও আউটসোর্সিং বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক-কেয়ারটেকার ঐক্য পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন শেষে পাঁচ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবুল হাশেম। প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক হযরত মাওলানা রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার ওবায়দুর রহমান, সুপারভাইজার আমানুল্লাহ ও মাস্টার ট্রেইনার মাওলানা আব্দুল হামিদ।

ফিল্ড সুপারভাইজার মুহাম্মদ তাওহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন কাজীপুর ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, বামন্দী ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, শ্যামপুর ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আওলাদ হোসেন, আমঝুপি ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক, মেহেরপুর সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির মাওলানা শাহজাহান কবীর সজল, মুজিবনগর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম ও গাংনী উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল হক।

শিক্ষকদের দাবি ও আন্দোলনের কারণ মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা জানান, এই প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা, কোরআন শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু বর্তমানে প্রকল্পের অনুমোদন জটিলতায় পড়েছে এবং এটিকে আউটসোর্সিংয়ের আওতায় নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে, যা শিক্ষকরা মেনে নেবেন না।

শিক্ষকরা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে এবং ন্যায্য বেতন না পাওয়ায় তারা আর্থিক সংকটে ভুগছেন। তিন মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে, ফলে মাত্র ৫ হাজার টাকা সম্মানীতে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন। তারা দ্রুত প্রকল্প অনুমোদন ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান।

শিক্ষকরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

এর আগে, জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।