আলমডাঙ্গায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা, আহত ৬

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু হালদার পরিবারে উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দখল নিয়ে দু’পক্ষের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে ফরিদপুর গ্রামের টুনু কর্মকারের কাছ থেকে বসতভিটাসহ ৪ শতক জমি ক্রয় করেন একই গ্রামের মৃত পঞ্চানন্দ হালদারের ছেলে অরবিন্দ হালদার। একই সময়ে সুজিত কর্মকারের কাছ থেকে বসতভিটাসহ আরও ৪ শতক জমি কেনেন দবির আলি ও তার ছেলেরা।

অভিযোগ রয়েছে, অরবিন্দ হালদারের কেনা ৪ শতক জমি জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে দবির আলির ছেলেরা। শুক্রবার অরবিন্দ ও তার দুই ছেলে দিপু ও অপু জমির দখল ছাড়ার কথা বলতে গেলে দবির আলি, তার ছেলে মোমিন আলি, কারিবুল ইসলাম, আলি কদর, খয়বার আলি, হুমায়ুন আলি, মৃত তোফায়েল আলির ছেলে রেজা খান, তুষার আলিসহ আরও অনেকে তাদের উপর হামলা চালায়।

হামলায় অরবিন্দ হালদার, তার স্ত্রী, ছেলে রাজু হালদার, অপু হালদার, অরবিন্দের ভাই চঞ্চল হালদার ও তার স্ত্রী আহত হন। এসময় গ্রামের লোকজন হামলার দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যায়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

হামলার বিষয়ে বেলা আড়াইটার দিকে আলমডাঙ্গা থানায় যোগাযোগ করে ভুক্তভোগী অরবিন্দ হালদার। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, “ভুক্তভোগীদের কয়েকজন থানায় এসেছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।




শৈলকুপায় দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজের বীজ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আবাদের শুরুতেই হোঁচট খেতে হচ্ছে পেঁয়াজ চাষিদের। গতবছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুন দামে কিনতে হচ্ছে পেঁয়াজের বীজ। আবাদ বাড়ায় বেড়েছে বীজের চাহিদা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বীজ ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামের দ্বিগুন দামে বিক্রি করছেন পেয়াজের বীজ এমন অভিযোগ উঠেছে কৃষকদের পক্ষ থেকে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যাপক পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। প্রতিবছর আবাদের পরিমান বাড়ছে। শৈলকুপার পেঁয়াজ চাষিরা দুই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষ করে থাকেন। কেউ কন্দ রোপণ করেন আবার কেউ চারা রোপণ করেন। তবে চারা রোপণের পরিমাণই বেশি। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত পেঁয়াজের চারা রোপণ করবে এই অঞ্চলের কৃষকরা। অনেকেই ইতোমধ্যে বীজতলায় চারা উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, কেউবা বীজতলা প্রস্তুত করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে এই উপজেলায় ১২হাজার ২৭৯ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

গতবছর আবাদ হয়েছিল ১২ হাজার ৩২ হেক্টর জমিতে। গতবছর এই উপজেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল ২লাখ ৪০ হাজার ৬৪০ মেট্রিক টন। এবছর কোনো সংকট না হলে ২লাখ ৪৫ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে। এই উপজেলায় এবছর পেঁয়াজের কন্দ রোপণ করা হবে ৪২২ হেক্টর জমিতে ও চারা রোপণ করা হবে ১১হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে।

শৈলকুপা শহরের কৃষি নিলয় বীজ ভান্ডারের মালিক জিএম জিকু আলম বলেন, এবছর কৃষকরা লালতীর হাইব্রিড, লাল তীর কিং, ভারতীয় জাত সুখসাগরের বিভিন্ন ভ্যারাইটি, দেশিয় বীজ উৎপাদনকারী সংস্থার বাদশা, লালদিঘিসহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের বীজ কিনেছে। লালতীর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ ১ বিঘা জমিতে ১২০ মণ থেকে ১৪০ মণ পর্যন্ত ফলন হচ্ছে এই উপজেলার মাটিতে। সেখানে গত কয়েক বছর ভারতীয় সুখসাগর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ আবাদে বিঘা প্রতি ১০০ মণের কমবেশি উৎপাদন হয়েছে। যেখানে দেশি জাতের পেয়াজ খুব ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ৫৫ মণ থেকে ৬০ মণের মত ফলন হয়। কিন্তু বাজারে দেশি পেঁয়াজের চেয়ে ভারতীয় সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ মণপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করেছে। লালতীর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের দাম আরও বেশি পায় কৃষকরা। ফলন বেশি ও দামও বেশি এই কারণে এই জাতের আবাদে বেশি ঝুকছে কৃষকরা।

উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, গতবছর আমি ৩৮ কাঠা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম। এবছর ৩ বিঘা জমিতে আবাদ করার জন্য বীজতলায় ৩ কেজি সুখসাগর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের বীজ বপন করেছি। উচ্চ ফলনশীল লালতীর হাইব্রিড জাতের বীজ কিনতে গিয়ে দোকানদারের শর্তে পিছিয়ে এসেছি। দোকানদারেরা বলে ১ কেজি লাল তীর হাইব্রিড বীজ নিলে ৩ কেজি লাল তীর কিং জাতের বীজ নিতে হবে। কিন্তু আমাদের অঞ্চলে লাল তীর কিং জাতের পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়না।

এই গ্রামের কৃষক মোকছেদ আলী বলেন, এক বিঘা পেঁয়াজ আবাদে কৃষকের ৭০ হাজার টাকার কমবেশি খরচ হয়। ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে এই পেঁয়াজ উৎপাদন মৌসুমে বিক্রি হয় বাজারে। সংরক্ষণ করে পরে বেঁচতে পারলে অনেক লাভ হতো কৃষকদের। দোকান থেকে সার ওষুধ বাকি নিয়ে চাষ করি। পেঁয়াজ উৎপাদনের সময় আসলেই সার-কীট নাশকের দোকানদারেরা হালখাতার চিঠি দেয়। বাধ্য হয়েই তখন বাজারে কম দাম থাকলেও বেঁচে দিতে হয় আবার বেশি দিন রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে এই কারণেও বিক্রি করে দিতে হয়।

এই গ্রামের কৃষক আকুল বিশ্বাস বলেন, আমি ৪৮ শতক জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেছি। এখন চারা তৈরি করছি। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ক্ষেতে চারা রোপণ করবো। আমাদের পেয়াজ চাষে ডিএপি সারের প্রয়োজন বেশি হয়। এখনই ডিলারদের কাছে সার কিনতে গেলে অল্প পরিমাণে দিচ্ছে। তাতে আমাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। খোলা বাজারে কিনতে গেলে ১০৫০ টাকা দামের সার ১৭৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, এক কেজি লাল তীর হাইব্রিড বীজের মোড়কে সর্বোচ্চ দাম যা লেখা রয়েছে তার দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে বীজ বিক্রেতারা। বেশি দরদাম করলে তারা বীজ দিচ্ছে না। সব বীজের দামই এবছর দ্বিগুন।

এই এলাকার কৃষক পলাশ হোসেন, খয়রাত আলী, ওহিদ আলী জানান, তারা অন্যান্য জাতের সাথে লালতীর হাইব্রিড জাতের পেয়াজ আবাদ করেছেন। গতবছর এককেজি লালতীর হাইব্রিড জাতের বীজের দাম পড়েছিল ২৮ জাহার টাকা। এবছর সেই বীজ দাম নিচ্ছে ৬২ হাজার টাকা। গতবছর সুখসাগর হাইব্রিড জাতের এক কেজি বীজের দাম ছিল ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকা। সেই বীজ এই বছর সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। প্রত্যেক জাতের বীজই গতবছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুন।

কৃষক পলাশ হোসেন বলেন, আমি এবছর ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করবো। নার্সারিতে যে বীজ বপন করেছিলাম তার অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা বায়ার ক্রপস কোম্পানির ছত্রাক নাশক ‘নুনা’ ও সিনজেনটা কোম্পানির ‘মিরাভিস ডুয়ো’ ব্যবহার করি। পেঁয়াজের মৌসুমে এই অঞ্চলে এই ওষুধের দামও দ্বিগুন বেড়ে যায়। এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতেই ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়।

সার-ওষুধ ও পরিচর্যা দিয়ে বিঘাপ্রতি ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। গতবছরের তুলনায় এবছর মজুরের দামও বেড়েছে। বীজের দাম বেশি, বেশি টাকা দিয়ে কীটনাশক ও সার কিনতে হচ্ছে কিন্তু বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারিনা। মৌসুমে সারের সরবরাহ ঠিক থাকলে ভালো ফলন হবে। সরকারের কাছে আহ্বান যেন এই মৌসুমে সারের সরবরাহ ঠিক রাখতে ব্যবস্থা রাখে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, গতবছরের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের তুলানায় এবছর পেঁয়াজের মৌসুমে ২৫০০০ বস্তা ডিএপি সার এই উপজেলায় বেশি বরাদ্দ পেয়েছি। এবছর ১৬ টা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ৩ জন বিসিআইসি সারের ডিলারকে জরিমানা করা হয়েছে এবং অনেকগুলো সাব ডিলারকে জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে। আমাদের উপসহকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। কোথাও সারের কৃত্রিম সংকটের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশাকরি এবছর সারের সংকট হবে না। তবে বীজের বিষয়ে বলতে পারবো না।

লালতীর বীজের ডিলার বাধন বীজ ভান্ডারের মালিক সুশান্ত কুমার বলেন, এবছর মাত্র ১৪ কেজি লালতীর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের বীজ বরাদ্দ পেয়েছি। কোম্পানি থেকে শর্ত দিয়ে দিয়েছে এককেজি লালতীর হাইব্রিড পেঁয়াজ বীজ নিলে ১০ কেজি লালতীর কিং জাতের বীজ নিতে হবে। লালতীর কিং জাতের বীজের চাহিদা নেই। এই কারণে এই বীজের দাম এত বেড়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন বীজের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য রয়েছে ৩২ হাজার টাকা। বেশি দামে বিক্রি করছেন কেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এই বীজ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন আর বিক্রি করা হচ্ছে না। অনেকে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও এনেছে বলে তিনি জানান।

জেলা বীজ প্রত্যয়ণ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা কওসার মিশু বলেন, আমরা এমন অভিযোগ পায়নি। কেউ স্পেসিফিক অভিযোগ দিলে বিষয়টা দেখবো।




দর্শনা কেরুজ আধুনিকায়ন প্রকল্পের বয়লিং হাউজের স্লো ফায়ারিংয়ের উদ্ধোধন

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল হলো দর্শনা কেরুজ চিনিকল। এ বড় চিনিকলের নতুন আধুনিকায়ন প্রকল্পের ২০২৫-২৬ মাড়াই মৌসুমের ১০২ কোটি ২১ লাখ টাকার কাজের নতুন বয়লিং হাউজের স্লো ফায়ারিংয়ের শুভ উদ্ধোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের নতুন বয়লিং হাউজের ফ্যাক্টরির ভিতরে দোয়া মাহফিল ও বয়লিং হাউজের আগুন নিক্ষেপের মাধ্যমে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর সুযোগ্য ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মীর রাব্বিক হাসান। এ সময় তিনি বলেন, ১৯৩৮ সাল থেকে মিলটি একই ভাবে চলছে। তবে মিলটি ইতিমধ্যে বিএমআর আইয়ের কাজ চলছে। তাই বয়লিং হাউজ মিলের একটি গুরুত্বপুর্ন জায়গা। সেজন্য আমরা পরিক্ষা মূলকভাবে ১৫/২০ দিন আগে দেখে নিই কোন সমস্যা আছে কিনা। যদি সমস্য থাকে তাহলে আমরা দ্রুত সারিয়ে তুলতে পারবো। ইতিমধ্যে আমাদের বিএম আর আই প্রকল্পের দ্বীতীয় ধাপের কাজ প্রায় শেষ প্রান্তে। তাই এ বছরই নতুন বয়লিং হাউজে আখ মাড়াই করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।

এ বয়লিং হাউজটি চালু হলে বাংলাদেশ সরকার লাভবান হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ২০১২ সালের কাজ ২ বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় ১৩ বছর লেগে গেছে। তাই নতুন করে বি এম টি এফ প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই কাজ করে ফেলেছে। তাই আশা করছি আগামী ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-২৬ মাড়ই মৌসুমের নতুন বয়লিং হাউজ দিয়ে মড়াই যাত্রা শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএম আর প্রকল্পের পিডি ফিদা হোসেন বাদশা, বি এম টি এফের ডাইরেক্টর ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন, দর্শনা কেরুজ চিনিকলের মহাব্যাবস্থাপক সুমন কুমার সাহা (কারখানা), আশরাফুল আলম ভৃূইয়া (কৃষি), মীর্জা গালিব (এডিএম), ইসমাইল হোসেন মোল্লা (যন্ত্রাশং)। অনুষ্টানে দোয়া পরিচালনা করেন, কেরু জামে মসজিদের পেশ ইমাম সামসুজোহা আজাদী। উল্লেখ্য থাকে যে, দুই বছর সময় বেঁধে দিয়ে ২০১২ সালে ‘বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লিমিটেড’ নামে প্রকল্পটির অনুমোদন দেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনেক পুরোনো এই চিনিকলটির আধুনিকায়ন এবং আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে তখন খরচ ধরা হয়েছিল ৪৬ কোটি টাকা। কিন্তু সে সময়ে তো হয়নি বরং একবার নয়, দুইবার নয় সাতবার সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয় ২০২৫ সালের জুন্ পর্যন্ত। খরচ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাড়িয়েছে ১০২ কোটি টাকায়। তারপরও ১৪ বছরে শেষ হয়নি প্রকল্পটির কাজ। তাই বাকি কাজ শেষ করতে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলে সম্প্রতি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৬ সালের জুনে পুরো কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অষ্টমবারের মতো সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। তাই দ্বিতীয় ধাপে প্রকল্পটি চেন্জ করা হয়েছে গত ৪ নভেম্বর।




রাজধানীসহ সারাদেশে ভূমিকম্প; ৩ জেলায় নিহত ৭

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। নরসিংদীর মাধবদীতে উৎপত্তি হওয়া ওই কম্পনে সারাদেশে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়।

ভূকম্পে রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালে রেলিং ধসে তিনজন পথচারী নিহত হন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে দুই জন ও নরসিংদীতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন।

রাজধানীতে নিহত ৩

পুরান ঢাকার বংশালে ৫ তলা ভবনের রেলিং ধসে ৩ জন নিহত হন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, রেলিং ধসে নিহত তিনজনের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

নারায়ণগঞ্জে নিহত ২

রূপগঞ্জ উপজেলায় ভূকম্পের ঘটনায় দেয়াল ধসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন তার মেয়ে। একই উপজেলায় ভূমিকম্পে একটি টিনসেড বাড়ির দেয়াল ধসে ফাতেমা (১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শিশুর মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম আহত হয়েছেন। এছাড়া ওই জেলায় অনেকে আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

নরসিংদীতে নিহত ২

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় বাড়ির সানসেট ভেঙে ওমর (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় তার বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জল গুরুতর আহত হয়েছেন।

একই উপজেলায় ভূমিকম্পে মাটির দেওয়াল ধসে চাপা পড়ে কাজম আলী (৭৫) নামে এ বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। জেলার পলাশের মালিতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ভূমিকম্পে জেলাজুড়ে অন্তত ৫৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছাদের রেলিং ভেঙে একসঙ্গে ৩ জন আহত হন।




রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ১০টা ৩৯ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এটি বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর থেকে চারদিকে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির বলেন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এটির উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে।

রাজধানীর বাসিন্দারা বলেন, হঠাৎ করে আমি খাট থেকে পড়ে গেছি। আমার টেবিলের বই সব পড়ে গেছে, দৌড়ে নিচে চলে গেলাম। বাসার আস পাশের সবাই নিচে নেমে এসেছেন। মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী। ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

তাৎক্ষণিকভাব কোনো ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহত সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

 

সূত্র: যুগান্তর




অভিনন্দন মুশফিক: সেঞ্চুরি দিয়ে শততম টেস্ট উৎযাপন

মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটি আস্থার নাম, একটি নির্ভরতার প্রতীক। তাঁর ব্যাট থেকে আসা প্রতিটি রানই যেন দলের জন্য অক্সিজেন। তবে যখন সেই রান আসে একটি বিশেষ মাইলফলকের ম্যাচে এবং তা আবার একটি সেঞ্চুরি—তখন তা নিছক একটি ব্যক্তিগত অর্জন থাকে না, তা হয়ে ওঠে জাতীয় ইতিহাসের অংশ। সম্প্রতি নিজের শততম টেস্টে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি হাঁকানোর ঘটনা ঠিক তেমনই এক মহাকাব্যিক মুহূর্তের জন্ম দিয়েছে। তার এ ঐতিহাসিক উৎযাপনে মেহেরপুর প্রতিদিনের পক্ষ থেকে উঞ্চ অভিনন্দন।

একজন খেলোয়াড়ের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার চাপ, শততম টেস্টের গুরুভার এবং দলের নাজুক পরিস্থিতি—সব মিলিয়ে প্রত্যাশার পারদ ছিল তুঙ্গে। মুশফিকের সেঞ্চুরির বাঁধভাঙা উল্লাস প্রমাণ করে দিল, এই অর্জন কেবল সংখ্যার যোগফল নয়, এটি তাঁর মানসিক দৃঢ়তা ও পরিশ্রমের ফসল।

মুশফিকুর রহিম বিশ্বের ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরির এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। তবে তাঁর অর্জনটি আরও উজ্জ্বল কারণ, তিনি এই তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার। একজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারে শততম টেস্ট খেলাটাই যেখানে বিশাল ব্যাপার, সেখানে এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করাটা এককথায় কিংবদন্তীর প্রতিচ্ছবি। মুশফিক প্রমাণ করলেন, চাপ কেবল পারফর্ম্যান্সকে বাধা দেয় না, বরং তা সঠিক মানসিকতার কাছে নতি স্বীকার করে।

এই সেঞ্চুরিটি তাঁর ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি। এর মাধ্যমে তিনি মুমিনুল হকের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডে ভাগ বসালেন। এটি নিছক একটি সমতা নয়, এটি দীর্ঘ সময়ের ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর।

 শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে মুশফিক কেবল ইতিহাসের পাতায় নিজের নামটি লেখালেন না, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেন। নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য এটি এক অনুপ্রেরণা, যা প্রমাণ করে—যোগ্যতা, পরিশ্রম আর মানসিক স্থিরতা থাকলে যেকোনো মাইলফলক ছোঁয়া সম্ভব।

মুশফিকের এই অর্জন আমাদের জাতীয় খেলা ক্রিকেটের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এটি কেবল একটি সেঞ্চুরি নয়, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের দীর্ঘ যাত্রায় যোগ হওয়া এক ‘শতক’-এর বিজয়গাঁথা। তাঁর এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখা এবং তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমীর দায়িত্ব।




উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গণমাধ্যমের ভুমিকা গুরত্বপূর্ণ

মেহেরপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির জেলার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বলেন, উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গণমাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যতদিন এই জেলার জনগণ মনে করবে এই জেলা প্রশাসক জেলার মানুষের উন্নয়নের জন্য, তাদের জীবনযাত্রার মান, তাদের নিরাপত্তা ও একটি সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার কাজ করবে ততদিন পর্যন্ত আমরা কাজ করবো। জেলার মানুষ যদি মনে করে আমরা সেটি করতে ব্যর্থ হচ্ছি, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা নেবে।

সকল কাজের নিয়ম-কানুন অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এনসিওর করতে হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, মেহেরপুরের সবচেয়ে বড় সমস্যা যেগুলি,‌ শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। ডেফিনেটলি এটা খুবই আশঙ্কার বিষয়। আমরা এই বিষয়ে স্পেশালি কাজ শুরু করব ইনশাল্লাহ। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে ভিজিট আমরা করি সেটা বাড়িয়ে দেব এবং শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের সঙ্গে আমরা বসে স্পেশাল কোন উদ্যোগ নেওয়া যায় কিনা সেটা আমরা দেখব। তবে এক্ষেত্রে আপনারা সমস্যা দেখিয়েছেন, সেই সঙ্গে সমাধানের যে সঠিক পথ, সেটা বের করতে আমরা আপনাদের হেল্প চাইবো।

আমি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত একটি দিক মনে করি। এখানে অনেকেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সঙ্গে রয়েছেন। আপনারা এটা চালিয়ে যাবেন। আমার যদি কোন কাজে আপনারা মনে করেন ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে, আপনারা নিউজ ছাপিয়ে দেবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভাপতির বক্তব্যে এসকল কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ২৪ এর যে গণঅভ্যুত্থান, তার অন্যতম কারণ সাংবাদিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি। সাংবাদিকতা খোশামতির পেশা না এখানে ভালো-মন্দ দুইটাই আসবে। ভালো যদি করে থাকি ছাপাবেন, আর খারাপ যদি করে থাকি অবশ্যই ছাপাবেন। ভালোটা না ছাপালেও অসুবিধা নেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটটা ধারণ করেই আমাদের কাজগুলো মার্চিহ্ন করব।

সারের ক্রাইসিসটা এটা ম্যানমেড কোনো ক্রিয়েশন কিনা সেটাও দেখার বিষয়। আমাদের সারের সরবরাহ আছে, কিন্তু আমাদের কৃষি উপদেষ্টা যেটা বলেছেন কিছু মানুষের যোগসাজশ থাকতে পারে। আমরা এগুলো ইনভেস্টিগেশন করব, এই বিষয়টা যাতে সমাধান করা যায় সেটা আমরা চেষ্টা করব।

জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম শীল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম।

এসময় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোযাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, তুহিন আরন্য, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, আমাদের সূযোদয়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুবুল হক পোলেন, সংবাদ প্রতিনিধি রফিকুল আলম, ইত্তেফাক প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান,  বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান ও এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি মোজাহিদ মুন্না, সাংবাদিক মেহের আমজাদ , শামিম হোসেন, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যম কর্মীরা অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি, জেলার অনলাইন জুয়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সড়কে বিশৃংখলাসহ নানা সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন।




মেহেরপুরের “আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ” এর সাজেক যাত্রা

মেহেরপুরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পাড়ার এম এস কম্পিউটার্সের স্বত্বাধিকারী প্রোঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান পরিচালিত ভ্রমণ সংগঠন “আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ” তিন দিনের সাজেক ভ্রমণে যাত্রা শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গ্রুপটি।

ভ্রমণে যাওয়া সদস্যদের মধ্যে নিশাত নামের এক তরুণী বলেন, আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ থেকে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে সুস্থভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে ও ফিরে আসতে পারি। আমরা চাই এই গ্রুপের মাধ্যমে প্রতি বছর এভাবে ভ্রমণ আয়োজন হোক।

অন্য সদস্য সজল জানান, আমরা ছয় বন্ধু মিলে মেঘের রাজ্য সাজেক দেখতে যাচ্ছি। শুনেছি এই গ্রুপটি খুব ভালো সার্ভিস দেয়। তাই সবাই মিলে সাজেকের মেঘ উপভোগ করতে এবং আনন্দ করতে যাচ্ছি।

দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে ভ্রমণে যেতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অন্যান্য সদস্যরাও। তারা বলেন, এই সফর তাদের জন্য হবে রোমাঞ্চকর ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। সাজেকের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য-সবুজ পাহাড়, মেঘের ভেলা আর নৈসর্গিক পরিবেশই এই ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ।

ভ্রমণ গ্রুপের পরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, আমরা কয়জন ভ্রমণ গ্রুপ নিয়মিতভাবেই দেশজুড়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের আয়োজন করে থাকে। এবার সাজেকের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন কাছ থেকে দেখাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

তিন দিনের এই সফরে রুইলুই পাড়া, কংলাক পাড়া, হেলিপ্যাড এলাকা, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তসহ সাজেক ভ্যালির প্রধান সব আকর্ষণ উপভোগ করবেন ভ্রমণকারীরা।

আগামীদিনে আরও বড় পরিসরে ভ্রমণ আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও জানান পরিচালক মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, এইবার সিট পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় অনেককে নেওয়া সম্ভব হয়নি। সামনে কক্সবাজার, সিলেট, সেন্ট মার্টিনসহ আরও কয়েকটি জায়গায় ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে। আগ্রহীরা আগেই আমাদের দোকানে যোগাযোগ করলে সুবিধা হবে।




মেহেরপুরের একমাত্র নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’ -তথ্য অফিসার

মেহেরপুরের নবাগত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলার সাংবাদিকদের এক মতবিনিময় সভায় জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মেহেরপুরের একমাত্র সরকার নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকা হলো “মেহেরপুর প্রতিদিন”।

দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন ছাড়া মেহেরপুরে আর কোনো সরকার-নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেই। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি যেসব পত্রিকা বা অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন নেই তাদের সবাইকে দ্রুত নিবন্ধনের আওতায় আসারও আহ্বান জানান।




মেহেরপুরে অটো-রিকশা চালকদের সাথে জামায়াতের সম্মেলন 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর পৌর শাখার উদ্যোগে অটো ও রিকশা চালকদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ সম্মেলনে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শতাধিক অটো ও রিকশা চালক অংশ নেন।

মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমীর সোহেল রানা ডলারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী তাজউদ্দীন খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হুসাইন, জেলা নায়েবে আমীর মহাবুব উল আলম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা সভাপতি আল আমিন বকুল, জেলা ব্যবসায়ী বিভাগের সভাপতি খালিদ সাইফুল ইসলাম, পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি সোহেল রানা এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা।

সম্মেলনে বক্তারা অটো ও রিকশা চালকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা, নিরাপদ সড়ক পরিবেশ সৃষ্টি, পুলিশ ও প্রশাসনের হয়রানি বন্ধ এবং সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। তারা চালকদের সংগঠিত হয়ে আইনসম্মত ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের অধিকার আদায়ের আহ্বান জানান।

দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।