গাংনীর সাহারবাটী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নানা ভোগান্তি

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আতিকুর রহমান যোগদানের পর থেকে বেড়েছে সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানী বেড়েছে কয়েকগুণ। খাজনা পরিশোধের অনুমোদন না পেয়ে ভুমি মালিকদের ঘুরতে হচ্ছে দিনের পর দিন। এতে একদিকে যেমন মানুষের হয়রানী বেড়েছে,অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অফিসে সাংবাদিক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেন তহশিলদার আতিকুর রহমান।

সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ নামজারী অনুমোদন নিতে হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ। এক সপ্তাহেও পাচ্ছে না অনুমোদন বা নাগরিক সেবা।

নামজারি রিপোর্টের জন্য ২০০ টাকা, ও হোল্ডিং খুলতে নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা,নামজারি করে দেওয়ার নামে নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার দুপুর ১২ টার সময় অফিসে গেলে সাংবাদিক প্রবেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ নিয়ে যেতে হবে বললেন আতিকুর রহমান,অফিসের সব কাজ ফেলে রেখে তিনি মোবাইল ফোনে ব্যস্ত।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ধর্মচাকী গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে প্রবাস ফেরত সাইফুল ইসলাম জানান,আমি একটি হোল্ডিং খোলার জন্য দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরছি, এছাড়াও আমি বিবিধ ১৫১/১৩/১৫০ নামজারী বাতিল পৃর্বক সংশোধনের জন্য ১ বছর ধরে ভুমি অফিসে ঘুরে ঘুরে অবশেষে ২৩/০৭/২০২৫ ইংরেজি তারিখে সহকারী কমিশনার ভূমি সাদ্দাম হোসেন সমস্ত কাগজপত্র দেখে উভয় পক্ষের শুনানি মোতাবেক নামজারী বাতিলের নির্দেশ দেন।

আদেশ পাওয়ার দুই মাস অতিবাহিত হলেও সহকারী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশ উপেক্ষা করে আমাকে আজ কাল করে হয়রানি করে আসছ, আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ভুক্তভোগী ধর্মচাকী গ্রামের অসহায় প্রতিবন্ধী শামসুল ইসলাম জানান, আমি তিন মাস ধরে এই অফিসে ঘুরছি আমার কাছ থেকে নামজারির জন্য আড়াই হাজার টাকা নিয়েছে এই অফিসের লোকজন, তিন মাস পরে এসে বলছে আপনার কাজ হয়নি বলে হয়রানি করছে।

আমি প্রতিবন্ধী,চলতে পারিনা তাও আমাকে ঘুরাইতেছে। তিনিও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, ভুমি অফিসে সেবা নিতে আসা চৌগাছা গ্রামের একজন দলিল লেখক নজরুল ইসলাম জানান, আমি জমির খাজনা দেওয়ার জন্য অনলাইন করেছি, শুধু অনুমোদন নিতে এক সপ্তাহ লাগবে, বললেন আতিকুর রহমান। সাত দিন পরে অফিসে যাওয়ার পরামর্শ দেন।এভাবেই চলছে ভূমি সেবা।, ভুক্তভোগীরা জানান,আসলে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এ কারণেই দুর্নীতি বেশি হচ্ছে। জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে জনগণকে হয়রানি করছে। এই ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন তারা।

উপজেলা জোড়পুকুরিয়া গ্রামের কৃষক এনায়েত আলী জানান,আমি হোল্ডিং খোলার জন্য এর আগে দুই দিন অফিসে এসেছি হয়নি, আজকেও এসেছি আতিকুর রহমান বলছে, পরে আসেন সিরিয়াল মোতাবেক হবে এই বলে আমাকে বের করে দিয়েছে দেখা যাক কি হয়, আজ না হলে আবারো আশা লাগবে, এভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। এর আগে হোল্ডিং খুলতে ২০০ টাকা, নামজারীর রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ৩০০ টাকা করে নিতো। আজকে কত নিবে জানিনা।

নামজারী অনুমোদন, খাজনার রশিদের জন্য অনুমোদন, নিতে হয়রানি করা হচ্ছে সাংবাকিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, আপনাদের অফিসে ঢোকার পারমিশন কে দিয়েছে,? ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ নিয়ে তারপর অফিসে আসবেন,তখন কথা বলবো। তথ্য নিতে গিয়ে এমন বিড়ম্বনায় পড়েন গাংনীর দুই সাংবাদিক।

হোল্ডিং খোলা হচ্ছে না হয়রানি করা হচ্ছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এসিল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করেন।
বার বার অনিয়মের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি বরং সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, আমি একটি মিটিংয়ে রয়েছি পরে কথা হবে।




মেহেরপুরে পুরোদমে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতির ব্যস্ততা। প্রায় সব মণ্ডপে প্রতিমার কাঠামো গড়ে উঠেছে, রং-তুলির আঁচড় দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। কোনো কোনো মণ্ডপের প্রতিমা প্রায় প্রস্তুত হয়ে এসেছে। পাশাপাশি মণ্ডপ নির্মাণ, আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জার কাজও এগিয়ে চলছে পুরোদমে।

গতকাল মঙ্গলবার মেহেরপুর শহরের কয়েকটি পূজা মণ্ডপ ঘুরে এবং আয়োজক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার মোট ৪০টি মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন হবে। এর মধ্যে মেহেরপুর শহরসহ সদর উপজেলায় ১৪টি, মুজিবনগরে ৮টি এবং গাংনী উপজেলায় ১৮টি মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে বরণ করার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে।

মেহেরপুর সদর উপজেলায় রয়েছে শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, শ্রীশ্রী নায়েববাড়ি রাধামাধব মন্দির, শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দির, শ্রীশ্রী হরিজন বালক পূজা মন্দির, গোভীপুর রায়পাড়া দুর্গাপূজা মণ্ডপ, শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির (দাসপাড়া, গোভীপুর), শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির, শ্রীশ্রী রাধের শ্যাম মন্দির, শ্রীশ্রী রাম মন্দির, বামনপাড়া সার্বজনীন কালী মন্দির, পিরোজপুর বারেয়ারী দুর্গা মন্দির, শ্রীশ্রী কালীমাতা মন্দির (পিরোজপুর দাসপাড়া) এবং শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির এসব মণ্ডপে প্রস্তুতি শেষের পথে।

মুজিবনগর উপজেলায় চলছে মহাজনপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বাবুপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, কোমরপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, মোনাখালী পূজা মণ্ডপ, রতনপুর দাসপাড়া পূজা মণ্ডপ, বল্লভপুর পূজা মণ্ডপ, দারিয়াপুর ও খানপুর শ্রীশ্রী কালীমাতা মন্দিরে শারদীয় পূজার প্রস্তুতি।

গাংনী উপজেলায়ও চলছে সাজসজ্জার ব্যস্ততা। এখানে রয়েছে গাংনী কেন্দ্রীয় মন্দির, গাংনী কেন্দ্রীয় রাম মন্দির, চৌগাছা দাসপাড়া কালী মন্দির, গাড়াডোব দাসপাড়া কালী মন্দির, কচুইখালী যুগিন্দা দুর্গা মন্দির, শ্রীহরি মন্দির (নিত্যান্দপুর), রায়পুর দাসপাড়া কালী মন্দির, চাঁদপুর দাসপাড়া কালী মন্দির, আমতৈল দাসপাড়া কালী মন্দির, ষোলটাকা কর্মকারপাড়া দুর্গা মন্দির, ষোলটাকা দাসপাড়া কালী মন্দির, মটমুড়া হালদারপাড়া কালী মন্দির, বাওট দাসপাড়া কালী মন্দির, মোহাম্মদপুর দাসপাড়া কালী মন্দির, বেতবাড়িয়া দাসপাড়া কালী মন্দির, বামুন্দী কোলপাড়া কালী মন্দির, ভোমরদহ দাসপাড়া কালী মন্দির এবং হিজলবাড়িয়া দাসপাড়া কালী মন্দির প্রতিটি জায়গায় চলছে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের কাজ।

শহরের শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দির, শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, শ্রীশ্রী নায়েববাড়ি রাধামাধব মন্দির এবং শ্রীশ্রী হরিজন বালক পূজা মন্দির প্রাঙ্গণেও আয়োজনের শেষ মুহূর্তের কাজ এগিয়ে চলেছে। আগামী রবিবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

শ্রীশ্রী নায়েববাড়ি রাধামাধব মন্দিরের প্রতিমাশিল্পী শংকর বলেন, আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে আমরা প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছি। ২৮ তারিখে আমাদের পূজা শুরু হবে। সেজন্য রঙের কাজ নিয়ে আমরা খুবই ব্যস্ত। এবং আমাদের তিন-চারটা মূর্তি আছে, দিনরাত পরিশ্রম করে রঙের কাজটা যাতে তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারি, সেজন্য আমরা দিনরাত পরিশ্রম করছি।

প্রতিমাশিল্পী দীপঙ্কর বলেন, স্টেপ বাই স্টেপ আমাদের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই রঙের কাজ প্রায় শেষের দিকে। রঙের কাজ করতে এখনো আমাদের দুই দিন মতো সময় লাগবে। ভারত থেকে এসে কাজ করে ভালোই লাগছে।

শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য ভাস্কর হালদার বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চলছে। কিছুদিন পরেই আমাদের রঙের কাজ শুরু হবে। তারপরে আলোকসজ্জা এবং প্রশাসনিক সমস্ত কাজ শুরু করা হবে। প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম সম্পন্নের মাধ্যমে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক হিসেবে পূজিত হন। পূজা উপলক্ষে মণ্ডপগুলোকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের প্রস্তুতিও চলছে এবং পূজার দিনগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

পূজা আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবারের দুর্গাপূজায় প্রতিমার শৈল্পিক কারুকাজ, মণ্ডপের সৌন্দর্য এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে মণ্ডপে গিয়ে পূজা উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য সার্বিক কাজ শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।




দর্শনা হঠাৎ পাড়া থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু

দর্শনা হঠাৎ পাড়া থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত সড়কটি খানা খন্দে পরিণত মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবহন চলাচল করছে। এ সংবাদটি দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় দু-দফায় প্রকাশিত হওয়ার ফলে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।

গত এক সপ্তাহ ধরে এ সড়কে কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ফলে যানবহন চলাচলে সাধারণের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করছেন এলাকবাসী।




দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক চলাচলের অনুপযোগী ও ঝুকিপূর্ণ 

দর্শনা ডুগডুগি পশু হাট থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলখানা পর্যন্ত মহা-সড়কটি গত দেড় বছরে ১২ বার সংস্কার করা হলেও চলাচলে অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত দেড় বছর আগে এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়।

এরপর থেকে প্রায় ১৩ কিলো সড়কটির প্রথমে ৮৭টি স্থানে ফুলে উঠে বড় বড় ডিব্বি হয়ে যায়। ঐ স্থানে খুঁড়ে নতুন করে পিচ খোয়া দিয়ে মেরামত করা হয়। এরপর থেকে একের পর এক ২০০ থেকে ৩০০টি স্থানে খুড়ে মেরামত করা হয়।

বর্তমানে এক কিলোর সড়কের মধ্যে ১০০-১৫০টি স্থানে বড় বড় ডিব্বি ও খানা খন্দে পরিনত হয়েছে। গতকাল জয়রামপুর মজা পুকুরের নিকট মহা সড়কটি আবার খুড়ে খুড়ে মেরামত করছে। এ নিয়ে ১৩ কিলো মিটার এ সড়কটি ১২ বার মেরামত করা হচ্ছে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের শেষ সময়ের দিকে এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এ সড়কটি মরণ-ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত এ সড়কে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে চলচলকারী জন-সাধারণ।




আলমডাঙ্গায় পূজা উপলক্ষে আনসার ভিডিপি বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পিসি/এপিসি আনসার ভিডিপি সদস্য বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আলমডাঙ্গা উপজেলার আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মাঠে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আনসার ভিডিপি সদস্যরা লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার আনসার ও ভিডিপি জেলা অ্যাডজুট্যান্ট আবুল হাসনাত মোঃ লতিফুল আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মাজিদুল হক, প্রশিক্ষিকা রওশন আরা খাতুন এবং উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কোম্পানি কমান্ডার মুক্তার হোসেন।

জেলা অ্যাডজুট্যান্ট জানান, “আমরা প্রাথমিকভাবে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই শেষে যারা নিয়মের মধ্যে পড়বেন তাদের তালিকা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দায়িত্ব পালনের জন্য বাছাইকৃত সদস্যদের সুস্থ ও সুঠামদেহী হতে হবে এবং আনসার ভিডিপির সার্টিফিকেট থাকতে হবে। পাশাপাশি তারা অবশ্যই বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। মণ্ডপে যাতে শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে, এজন্য নির্বাচিত সদস্যরা সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।”




আলমডাঙ্গায় যুব ফোরামের হাড়গাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য উপকরণ প্রদান

ভিএসও বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় যুব ফোরাম কর্তৃক আলমডাঙ্গার হাড়গাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রিড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।

যুব ফোরাম খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান লিমন এর নেতৃত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুব ফোরাম খুলনা বিভাগের উপদেষ্টা মোঃ আজিজুর রহমান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাড়গাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, যুব ফোরাম এর সদস্যবৃন্দ ও অনান্য শিক্ষক মন্ডলি ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।

যুব ফোরাম এর সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান লিমন বলেন, ভিএসও বাংলাদেশ যুব ফোরাম এর মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলাতে একটা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল করার লক্ষে বিভিন্ন  উপকরণ দিচ্ছে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু হবে আশা করি। উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে উপস্থাপনা করেন, যুব ফোরাম চুয়াডাঙ্গা জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ঈশান বাবু।




সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে

বাংলাদেশে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তাঁর দাবি, এতে শুধু গণতন্ত্রই নয়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে পড়বে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়নে বিএনপি’র এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ বিএনপি ও এর নেতাকর্মীদের ওপর ‘অবিরাম নির্যাতন’ চালিয়ে আসছে। তিনি বলেন, “এখনও তারা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

আগামী নির্বাচন নিয়ে দুদু বলেন, দেশের কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের দল বিএনপিকে জয়লাভ করাতে হবে। “ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে এবং তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে—এর কোনো বিকল্প নেই।”

পথসভা শেষে শামসুজ্জামান দুদু আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসককরা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েকটি সভায় অংশ নেন। এ সময় জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, উপজেলা বিএনপি নেতা আসিরুল ইসলাম সেলিমসহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা, চোরাচালান, সন্ত্রাস ও নাশকতা, মানব পাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুজোহা পলাশ, উপজেলা জামায়াতের আমীর নায়েব আলী।

এসময় উপজেলার বিজিবির বিভিন্ন ক্যাম্প কোম্পানির কমান্ডারবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা শুধু প্রশাসনের একার দায়িত্ব নয়, এটি একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা। জনসচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে মাদক, সন্ত্রাস ও চোরাচালান প্রতিরোধ সহজ হবে। অবৈধ দখল, জমি নিয়ে বিরোধ ও সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধানে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আইন সবার জন্য সমান—এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে জনসাধারণের সহযোগিতা অপরিহার্য। জনগণ যদি তথ্য দিয়ে পাশে থাকে, তাহলে অপরাধী যে-ই হোক না কেন, আইনের আওতায় আনা হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এ বিষয়ে পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে। শীঘ্রই এ ধরনের অপরাধ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও সমাজের কল্যাণে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। মাদক, সন্ত্রাস ও মানবপাচারের মতো সমস্যা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি সামাজিক সমস্যা। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক প্রতিরোধ ও মানবপাচার রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদপত্র সমাজের আয়না হিসেবে কাজ করে এবং মানুষের সচেতনতা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ধর্মীয় মূল্যবোধ মানুষকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করে। পরিবার থেকে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দিলে তারা কখনো মাদক ও অপরাধে জড়াবে না। যুব সমাজকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। খেলাধুলা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে ব্যস্ত রাখলে তারা অপরাধ থেকে দূরে থাকবে।




চুয়াডাঙ্গায় সবুজ উদ্যোক্তা গড়ার লক্ষ্যে আলোচনা সভা

চুয়াডাঙ্গায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবুজ উদ্যোক্তা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘কমিউনিটি বেজড এক্টিভেশন সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা শহরের মালোপাড়াস্থ ওয়েভ ট্রেনিং সেন্টারে দিনব্যাপি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ‘ইয়ুথ গ্রিণ এন্টারপ্রেণারশিপ ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এ সভা হয়েছে।

ওয়েভ ফাউন্ডেশন বাস্তবায়িত প্রকল্পের এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম. সাইফুল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক জহির রায়হান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাকসুরা জান্নাত, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন, তৌফিক এগ্রো সাপোর্ট’র স্বত্বাধিকারী এএসএম তৌফিকুল আলম, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আব্দুস শুকুর ও জেলা লোকমোর্চার সহ-সভাপতি তানজিলা মনোয়ার।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তরুণদের শক্তি কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সবুজ উদ্যোক্তা তৈরি অত্যন্ত জরুরি।

আয়োজকরা জানান, প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও মেহেরপুর সদর উপজেলার ৫১০ জন তরুণকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবুজ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যাতে তারা পরিবেশবান্ধব ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

সভায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, যুব সংগঠক, সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিসহ ৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রকল্প উপস্থাপন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল আলম। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রজেক্ট অফিসার কানিজ সুলতানা, মাহবুব আবির ও জিল্লুর রহমান।




মেহেরপুরে জামিনে মুক্ত আসামিকে আদালত চত্বর থেকে অপহরণ চেষ্টা, আটক ১০

মেহেরপুর আদালত থেকে জামিনে মুক্ত নুরুজ্জামানকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে টেনে হিঁচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের লিটন হোসেন (৪২), জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মিঠুন আলী (৩২), জিয়ারুল ইসলাম (৪৫), রামদেবপুরের পারভেজ মোস্তাক (৫১), আসাদুল ইসলাম (৪৫), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তেকালার জিন্নাত হোসেন (৩২), সাপাত আলী (৫০), রাজ্জাক (৬৫), প্রাগপুর বীরগাছীর শিপলু (৪৫) এবং মাইক্রোবাস চালক হোসেন আলী (২৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামিন শেষে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি নুরুজ্জামানকে বেদম প্রহার করে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। আশপাশের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বাঁশবাড়িয়া এলাকা থেকে ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-৮২০০ নম্বরের মাইক্রোবাসটিকে আটক করে। এ সময় অপহৃত নুরুজ্জামানসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে মেহেরপুর সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

নুরুজ্জামানের ভাই রাজু আহমেদ জানান, নুরুজ্জামান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মৃত আফজাল মালিথার ছেলে। বিদেশে যাওয়ার জন্য গাংনীর রামদেবপুর গ্রামের পারভেজ আশরাফের কাছে টাকা দেওয়া নিয়ে ২৭ লাখ টাকার একটি মামলা মেহেরপুর আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। জামিন পাওয়ার পর পারভেজ ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুজ্জামানকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে যা জেনেছি, তাদের মধ্যে একটি আর্থিক লেনদেন রয়েছে, যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।

এ বিষয়ে আদালত ফয়সালা দেবেন। তবে তারা যে কাজটি করেছে একজনকে মারধর করে তুলে নিয়ে গেছে বা অপহরণ করেছে সে বিষয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছি। যেহেতু তারা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ওসি আরও বলেন, বিদেশে যাওয়ার টাকা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে, যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। মামলার বর্তমান ভিকটিম নুরুজ্জামান কোর্টে আসার পর পারভেজসহ তার লোকজন এসে তাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমাদের পুলিশ তড়িৎগতিতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আসামিদের গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর জজ আদালতে নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে পারভেজ মুস্তাকিমের দায়ের করা বিশ্বাসভঙ্গ (ধারা ৪০৬), প্রতারণা (ধারা ৪২০) ও অপরাধমূলক হুমকি (ধারা ৫০৬) সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন রয়েছে।