মেহেরপুরে কমছেই না সবজির দাম, অস্বস্তিতে ভোক্তারা

সবজি খ্যাত কৃষিনির্ভর জেলা মেহেরপুরে উৎপাদিত সবজির দামও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। করলা,ঝিঙা,চিচিংগা, কলা,পটল,বেগুন,পেঁপে, মিস্টি কুুমড়া, লাউ,ফুলকপি,বাঁধাকপি, ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি মেহেরপুরে উৎপাদন হলেও দাম যেন কমছেই না।

ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য জেলায় বছর এসময় মেহেরপুরে সব সবজির দাম কমে যায়। আর কৃষকরা বলছেন, বন্যা কবলিত জেলায় সবজি না হওয়ায় চাহিদা ভাল, দামও বেশি নিত্যপণ্য নিয়ে অস্বস্তি কাটছেই না। মাঝেমধ্যে দু-একটি পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বমূল্য নিম্নআয়ের মানুষকে বেকায়দায় ফেলেছে। চড়া বাজারে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। এ নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ আর ক্ষোভের শেষ নেই।

মেহেরপুরে শীতের আগমনী বার্তায় বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলেও দাম কমেনি। আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। চড়া দামে আটকে আছে পেঁয়াজ। ডিম-মুরগির দাম কিছুটা স্থিতিশীল।

গতকাল রবিবার সকালে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১০ টাকা বেশি। এছাড়া বেগুন, করলা ও কাঁকরোল ৮০-৯০ টাকা ও পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও সরবরাহ কম থাকলেও এসব সবজির দাম এমনই ছিল।

বাজারে ফুলকপি ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাচাকলা ৫০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

দুই সপ্তাহ আগেও ডিমের বাজার ছিল অস্থির। প্রতি ডজন ডিম ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর এ ভোগ্যপণ্যটির দাম কমে ১৫০-১৫৫ টাকায় নেমেছে। তবে এ দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।

সবজি ক্রেতা হামিদুল ইসলাম বলেন, আমি দিনমজুর। একদিন কাজ হয়,একদিন হয়না। এতো দামের সবজি কিনে খাওয়া মুশকিল,চাল ডাল তো থাকলো। দুই তিন ররকমের সবজি আার রসুন পেঁয়াজ কিনতে টাকা শেষ।

ক্রতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন,মেহেরপুরে সবজি ওঠার সময় দাৃ খুবই কমে যায়।এবছর তার উল্টো। স্কুল শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, মাসিক যে বতন পাই তা দিয়ে বর্তমান সময়ে সংসার চালানো খুবই কঠিন। সবজির দামটা কমলে কিছুটা স্বস্তি পেতাম।

সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে।  মেহেরপুরে উৎপাদিত সবজি ঢাকা,চট্টগ্রাম, সিলেট,বরিশালসহ ভিন্ন জেলায় রপ্তানি হওয়ায় দাম কমছেনা। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে সবজির দাম কমে আসবে।

সবজি বিক্রেতা গাংনী বাজারের একরামুল হক বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে আমরা খুবই কম লাভে বিক্রি করছি। জেলার বিভিন্ন সবজি ভিন্ন জেলায় চলে যাওয়ায় কৃষকরা বেশি দাম নিচ্ছে।

ভাটপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা মিলন ও আনারুল বলেন,কেবল শীত শুরু হচ্ছে। অনেক কৃষক আগাম সবজি লাগিয়েছিল। এখও অনেক কৃষক সবজি আবাদ শুরু করেছেন। তেমন সরবরাহ নেই। চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি। তবে একযোগে সবজি উঠতে শুরু করলে দাম কমে যাবে।

বেগুন চাষি সাহারবাটি গ্রামের মুন্তাজ আলী জানান, সার, বিষসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কম দামে বিক্রি করা হলে আমাদের লোকসান হবে,তাছাড়া গাছে বেগুন কম ধরছে।

শ্যামপুর গ্রামের মুলা চাষি রহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে মুলা ক্ষেতে পঁচন ধরেছে। অনেকের জমির মুলা পানিতে নস্ট হয়ে যাওয়ায় মুলার চাহিদা বেশি।তাই দাম একটু বেশি হলেও জেলায় সবজির ভরা মৌসুমে মুলা বিক্রি করতে হয় ৫ টাকা কেজি। তখন আমাদের লোকসান হয়। পেঁপে চাষি ঢেপা গ্রামে তাপস জানান, উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এবছর পেঁপে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। ব্যবসায়ীরা কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে।

মেহেরপুর শহরের ডিম বিক্রেতা লোকমান হোসেন বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমেছে, যে কারণে এখন ডিমের দামও কমে আসছে। ভোক্তারা তুলনামূলক কম দামে শীতের নতুন সবজি পাচ্ছে।

জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরে জেলায় মরিজ আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫৩০ হেক্টর, কলায় ১ হাজার ৫৪৯ হেক্টর বাঁধাকপি ৮৯৯ হেক্টর, শীতকালীন সবজি প্রায় ৩০০ হেক্টর, পেঁয়াজ ৩৪৫ হেক্টর। তবে সবজির আবাদ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মেহেরপুর ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ বলেন, আমরা সবজিসহ সকল পণ্য সাধারন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বাজার মনিটরিং করছি। অসংগতি পেলে অনেককেই আইনের আওতায় জরিমানা করছি। তবে বাজারদর বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে বলে দাবী করেন ভোক্তা অধিদফতরের এই কর্মকর্তার।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, মেহেরপুর একটি কৃষিনির্ভর সবজিখ্যাত জেলা। এখানে সব ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। এখনও ভরপুর সবজি উঠতে শুরু করনি। যা উঠছে, তা জেলার চাহিদা পুরুনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছি। তবে ভরা মৌসুমে সবজির দাম কমে আসবে।




বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের মত বিনিময় সভা

“শিক্ষার্থীদের চোখে আগামী ছাত্র রাজনীতি ও বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে।

আজ রবিবার বেলা বারোটার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও ছহিউদ্দিন ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ড: তহিদুর রহমান আউয়াল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ, মোকসেদুল মমিন মিথুন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নাজমুল হোসেন, সদস্য সচিব শেখ রাব্বি, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক তৌফিক এলাহি, সদস্য সচিব জারজিস ইউসুফ রমিক সহ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডাঃ তহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, আগামী ছাত্র রাজনীতি হবে শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদলের অবদান অনেক রয়েছে। তাদের একক কোন কর্তৃত্ব নেই। বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষা বিস্তারের জন্য নারী শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে উপবৃত্তি চালু করেছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে যারা অসচ্ছল পরিবার থেকে আসে তাদের জন্য খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।




দর্শনা সরকারী কলেজে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন

শিক্ষার্থীরাই ঠিক করবে ছাত্র দলের রাজনীতি কেমন হবে। তাদের মতামত নিতে আমি চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনা সরকারি কলেজ এসেছি। ছাত্র-ছাত্রীরা জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের মত খুন গুম, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্র টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসায়ীদের রাজনীতি চাইনা। তারা চাচ্ছে সুন্দর সুষ্ঠু বৈষম্যহীন অংশীদারিত্ব ধারার রাজনীতি। যেখানে নারী ও পুরুষ সমান ভাবে অংশগ্রহণ করবে। দেশে রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি খুনি হাসিনার দোসর হিসেবে পক্ষ নিয়েছিল।

৫ই আগস্টের পর প্রেক্ষাপট ফিরেছে সুস্থ রাজনীতির ধারা। স্বাভাবিক রাজনীতিতে সুন্দর পরিবেশে ফিরে এসেছে। সময় তাদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেয়া কে স্বাভাবিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা হচ্ছে বলে মনে করছি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম বাংলাদেশের নিয়ে সম্প্রতি যেসব অনৈতিক মন্তব্য করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ করছি ।

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে ষড়যন্ত্র করছে। এই সময় জাতীয় পার্টির অফিস পুড়িয়ে দেয়া বিষয়টি অন্যদিকে প্রবাহিত করার পায়তারা চলাচ্ছে। জাতীয় পার্টির রাজনীতি করবে কিনা করবে না সেটা জনগণই ঠিক করবে। নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক বন্ধ করলে দেশে নতুন একটা সংকট দেখা দিতে পারে। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ছিলেন। তারই প্রতিফলন হিসেবে জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে এটাকে আমরা সাধুবাদ জানায়। মেধার ভিত্তিতে ছাত্রদলের রাজনীতি গড়ে উঠেছে । মেধাবী রাজনীতিতে সবার অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে চাই বলে মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।

আজ রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সরকারি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা লিফলেট বিতরণী শেষে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি দর্শনা সরকারি কলেজ চত্বরে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরণে বৃক্ষরোপন করে এবং দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ কলেজের শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার মান উন্নতি করার লক্ষ্যে আলোচনাসভা করেন।পরে দর্শনা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ মেনে চলতে হবে। আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে সৎ আদর্শময় রাজনীতি করার নির্দেশনা দেন।

উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি তৌফিক এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমিন মালিতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন, দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক ফজলুর রহমান, সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোফাজ্জল হোসেন মোফা, যুগ্ম আহবায়ক হোসাইন, পাপ্পু, আসিফ হোসেন, রাজু আহমেদ, আব্বাস হোসেন প্রমুখ।




দর্শনায় বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ

সারা দেশের ন্যায় দর্শনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কতৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট কাঠমো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরন ও আলোচনাসভা অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দর্শনা রেলবাজার শাহারিয়ার শুভ মুক্ত মঞ্চে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দর্শনা পৌর স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসাবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান।

এসময় তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আগামী দিনের রাষ্ট নায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আপনারা দলকে সুসংগঠিত দল হিসাবে জনগনের কাছে তুলে ধরুন এবং দলকে আগামী দিনে দেশ চালাতে জনগনের সামনে তারেক জিয়ার ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করুন।

এ সময় তিনি আরও বলেন,স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ একযোগে সবাই পালিয়ে যাওয়া সারাবিশ্ব ব্যাপি নজির বিহীন।তাই এখন দেশের বাইরে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে সে দিকে খেয়াল রাখবেন। এদেশ আগামীতে রাষ্টনায়ক তারেক রহমানের দেশে এনে জনগনের সেবা করার সুযোগ দেন।পরে দর্শনা রেল বাজার ব্যাবসায়ীদের ও পথচারীদের মাঝে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরন করেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল সারেং, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক মামুন হাশেমী দিপু, কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য আমান উল্লা আমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, সাধারণ সম্পাদক এম, এ, তালহা, এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি সৈয়দ শরিফুল আলম বিলাস, সহ সভাপতি এহ্সানুল হক স্বরাজ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনজুরুল জাহিদ, হামিদ উদ্দিন বাবু, আরিফুর রহমান রিবন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হাসান টুটুল, নাট্য বিষয়ক সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন দর্শনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুর আলম সিদ্দিকী মজনু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, সমন্বয়ক নাহারুল ইসলাম মাষ্টার, শরীফ উদ্দিন, আল হাজ্ব মশিউর রহমান, নাসির উদ্দিন খেদু, শফিউল আজম তোতা, আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা যুবদলের সদস্য সচিব মিলন মোল্লা, দর্শনা পৌর যুবদলের আহবায়ক ফারুক হোসেন, সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন দর্শনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন, মীর অনিক, জামাত আলী, আব্দুস সালাম, কাশেম, তাসলিম উদ্দিন মান্ডার, অনিক মোল্লা, চন্ঞল, আলামিন, জালাল, ডালিম শহিদুল, মামুন, সুজন, মিন্টু. হাকিম, আতিয়ার।

আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক বাবু, সানোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ রতন, মহিম কুমার রতন, মোমিন, আব্দুল আজিজ, মুহিন, সমীর শাহ্, এছাড়া আরও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।




বাওড় ফেরানোর দাবিতে কোটচাঁদপুরে মৎস্যজীবীদের মানববন্ধন

ইজারার সাড়ে চার বছর থাকতেই বাওড় ফেরানোর দাবিতে কোটচাঁদপুরে মানববন্ধন করেছেন ঝিনাইদহ-যশোর বাওড় মৎস্যজীবী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

আজ রবিবার বেলা ১২ টার সময় বলুহর বাওড়ের সিংঙ্গিয়া অংশে এ মানববন্ধন করেন তারা। এদিকে বাওড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ইজারাদারেরা।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,বৃহত্তর যশোর অঞ্চলে ৬ টি বাওড় আছে । যার মধ্যে রয়েছে বলুহর, জয়দিয়া, কাঠগড়া, ফতেপুর, মর্জাদ ও বেড়গোবিন্দপুর। এ সব বাওড়ের মধ্যে কোটচাঁদপুর উপজেলায় বড় দুইটি বাওড়ের একটি বলুহর ও অন্যটি জয়দিয়া বাওড়। বাওড়গুলো দীর্ঘদিন সরকারি ভাবে চাষ করে আসছিল বাওড় পাড়ের মৎস্যজীবিরা। তবে প্রতি বছর এ সব বাওড়ে সরকারের লোকসান হত।

এ কারনে ২০২২ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় বাঁওড়গুলোকে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে ইজারার ব্যবস্থা করেন। সে সময় মৎস্যজীবীরা একের পর এক আন্দোলন করেন ইজারা বাতিল করে বাওড় ফেরানোর দাবিতে। ওই আন্দোলনে কোন লাভ হয় না তাদের। পরে ওই বাওড়গুলো স্থানীয় ভূমি অফিস ও সহকারী কমিশনার ( ভূমি) কর্মকর্তা ইজারা প্রাপ্তদের বাওড়গুলো বুঝিয়ে দেন। সে থেকে তারা বাওড়ে চাষ করে আসছেন।

গেল ৫ আগষ্ট সরকার বদলের পর থেকে তারা আবারও আন্দোলনের প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ – যশোর মৎস্যজীবি আন্দোলনের ব্যানারে আজ রবিবার কোটচাঁদপুরের বলুহর বাওড়ের সিংঙ্গিয়া অংশে মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জয়দিয়া বাওড়ের সভাপতি নিত্য হালদার,বলুহর বাওড়ের সাধারন সম্পাদক নির্মল হালদার।

তিনি বলেন,গেল এক বছর আমরা বাওড় হারিয়েছি। সে থেকে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলাও চলমান। তবে বিগত সরকারের আমলে তারা গায়ের জোরে বাওড় দখল নিয়ে মাছ ছাড়া ও আহরন করে আসছেন।

তিনি বলেন, গেল ৫ তারিখে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন বৈষম্য বিরোধী সরকার। এ কারনে এ সরকারের কাছে আমরা আমাদের দাবির কথা জানাব। এর অংশ হিসেবে আজ এ মানববন্ধন করা।

বিষয়টি নিয়ে বলুহর বাওড়ের ইজারাদার শীতল মন্ডল বলেন,অন্যের প্ররোচনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাওড় দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন তারা।

তিনি বলেন, গেল ২০২৩ সালের প্রথম দিকে স্থানীয় ভূমি অফিস ও সহকারী কমিশন (ভূমি) কর্মকর্তা বাওড় আমাদের বুঝিয়ে দেন। সে থেকে আমরা বাওড় মাছ ছাড়ছি ও আহরন করে আসছি।

শীতল মন্ডল বলেন,বাওড়ের ইজারার মেয়াদ এখনও সাড়ে চার বছর বাকি রয়েছে। এরমধ্যে তারা আবারও এ ধরনের কর্মকান্ড লিপ্ত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।

জয়দিয়া বাওড়ের ষষ্ঠী হালদার বলেন,তারা এর আগে অনেক কিছুই করেছেন। কোন লাভ হয়নি। এখন আবার নতুন করে পায়তারা চালাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, মানববন্ধন করার বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে এখন সবাই স্বাধীন আন্দোলন করতেই পারেন।

তিনি বলেন,যেহুতু বাওড় ইজারাদারদের দখলে রয়েছে, সেহেতু ওনারা বিষয়টি নিয়ে জেলায় কথা বলতে পারেন।




ঝিনাইদহের আদালতের রায় অমান্য করার অভিযোগ সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) এস এম সিরাজুল সালেহীনের বিরুদ্ধে আদালতের রায় অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কানাডা প্রবাসী মো. মহিউদ্দিন ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

গত ২২ অক্টোবর সকালে শৈলকুপার কবিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

জানা যায়, কবিরপুর এলাকায় ২৯.৫ শতক জমি কেনেন মহিউদ্দীন নামের কানাডা প্রবাসী এক ব্যক্তি। জমি কেনার পর সীমানা নির্ধারণ করে ভোগ-দখল করতে থাকেন তিনি। মৌসুমি ফসল ও শাকসবজির আবাদ করেন সেখানে। পরে সেখানে ভূমি অফিস, ইউএনও অফিসসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মহিউদ্দিনের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। সেসময় ওই জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয় তারা। উপায় না পেয়ে আদালতের দারস্থ হন তিনি। আদালত তার পক্ষে রায় দিয়ে সরকারের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করে। পরে সরকার পক্ষ আদালতে আপিল করলে আদালত আপিল খারিজ করে মহিউদ্দিনের পক্ষে আগের নির্দেশনা জারি রাখেন।

আদালতের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আদেশ থাকার পরে স্থানীয় নায়েব ও এসিল্যান্ড এস এম সিরাজুল সালেহীন ওই জমিতে এসে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়।

মহিউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, কবিরপুর এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ যারা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের দালাল হিসেবে কাজ করে এবং তহশিল অফিস, ভূমি অফিস ও ইউএনও অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। সবশেষ গত ২২ অক্টোবর এসিল্যান্ড সিরাজুল ইসলাম এসে জোরপূর্বক আমার জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে শৈলকুপার সহকারী কমিশনার(ভূমি) এসএম সিরাজুল সালেহীনের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী সুনির্দিষ্ট ভাবে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




ঝিনাইদহে স্কুলের বিদ্যুতের তার কেঁটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা !

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের চাঁন্দেরপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুতের তার কেটে দিয়েছে কে বা কাহারা। এসময়ে বিদ্যালয় ভবনের ওয়্যারিং তছরুফ করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২ নভেম্বর) রাতের যেকোন সময় এটি ঘটেছে। বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরী না থাকায় বিদ্যালয়টি অরক্ষিত ভাবেই চলছে।

প্রধান শিক্ষক নিখিল বিশ্বাস বলেন, শুক্র-শনি ছুটির পরে আজ স্কুলে এসে দেখি একটি ভবনের বিদ্যুতের তার কাটা রয়েছে। বৈদ্যুতিক মিটার থেকেই এই তার কাঁটা হয়েছে। গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জেনেছি শুক্রবার রাতেও আলো জ্বলেছে স্কুলে কিন্তু শনিবার রাতে জ্বলেনি। এই তার ধরে টানাটানির ফলে শ্রেণি কক্ষের ওয়্যারিং নষ্ট হয়ে গেছে। কারা এমন শত্রুতা করেছে কিছুই অনুমান করতে পারছি না। এতে যেকোন দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। বর্তমানে বিদ্যালয়ে এডহক কমিটি রয়েছে। আমরা বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছি। জিডি করার পরামর্শ দিয়েছে। বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরী থাকলে এমন ঘটনা ঘটাতে পারতো না।

সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। আগামী অর্থ বছরে হয়তো প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। আমরা বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।




কালীগঞ্জে শহীদ নূর আলী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শহীদ নূর আলী ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি শাখা শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির আশ্বাস দিয়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শহীদ নূর আলী ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি শাখা শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির আশ্বাস দিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তি এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় এবং তাদের দেয় টাকা ফেরত না পাওয়া তারা অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরুর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এ অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের, যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান, দূর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন দফতরে। লিখিত অভিযোগে তারা জানান, ডিগ্রি শাখা এমপিও ভুক্তির প্রলোভন ও প্রতিশ্রুত দিয়ে অধ্যক্ষ তাদের নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা আদায় করে। এমপিও না হলেও পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিক্ষকদের টাকা ফেরত দেননি। তাঁরা ২০১৫ সালে মোটা অংকের টাকা ডোনেশান দিয়ে ডিগ্রি পর্যায়ে নিয়োগ পান। এর পর থেকে তাঁরা কলেজের কোন অর্থনৈতিক সুবিধা পাননি। ফলে তাঁরা অর্থাভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এরই মধ্যে ২০১৯ সালে স্নাতক শাখার শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তি করে দিবেন এই মর্মে অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি দেন ডিগ্রি শাখার সকল শিক্ষক্ষ কর্মচারী মিলে ২০ লক্ষ টাকা দিতে পারলে এমপিও ভূক্ত হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষক রবিউল ইসলাম, রফিকুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, কামরুন্নাহার, জেসমিন আক্তার, হায়দার আলী সহ একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে জানান, এমপিও ভূক্তির জন্য ডিগ্রির সকল শিক্ষক কর্মচারী তাদের কেউ জমি বন্ধক রেখে, কেউবা গরু ছাগল বিক্রি করে ১০ লক্ষ টাকা অধ্যক্ষ স্যারের নির্দেশে কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ সাজ্জাদ ও প্রভাষক প্রবীর কুমার বিশ্বাস এর নিকট প্রদান করি এবং এমপিও হয়ে গেলে আরও ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়। তবে এমপিও ভুক্তি না হলে আমাদের দেয় অগ্রিম ১০লক্ষ টাকা স্ব স্ব শিক্ষককে ফেরত দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ২০১৯ সালে ডিগ্রি শাখা যখন এমপিও হলো না, তখন আমরা কিছু শিক্ষক অধ্যক্ষের নিকট টাকা ফেরত চায়। কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কোন প্রকার কর্নপাত করেননি এবং টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ধরণের তালবাহনা শুরু করেন। অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের মদদ পুষ্ট হওয়ার কারণে তাঁর নিকট টাকা ফেরত চাওয়ার জন্য কেউ সাহস করেনি। এভাবে ৬টি বছর অতিবাহিত হলেও আমাদের টাকা আজও ফেরত পায়নি বা এমপিও ভুক্তি করাও হয়নি, ফলে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।

এদিকে সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের শাসনামলে অধ্যক্ষ কজলেজের প্রভাবশালী শিক্ষক সুব্রত নন্দী, কমিটির সদস্য গোলাম রসুলকে সাথে নিয়ে কলেজে নিয়োগ প্রদান সহ কোটি কোাটি টাকারও বেশি বানিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও অধ্যক্ষ তাঁর বন্ধু মহল নিয়ে কলেজে, আওয়ামী নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে। একাধিক জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের নির্বাচনী প্রিজাইডিং অফিসারসহ নানাবিধ অপকর্ম করেছেন। সেই সব নির্বাচনে নিদিষ্ট কিছু সংখ্যক শিক্ষক দায়িত্ব পালন করতেন। শহীদ নূর আলী কলেজ থেকে ভোট, পরীক্ষাসহ সকল ডিউটি ভাগ-বন্টন করতেন অধ্যক্ষের অনুসারীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের টাকা ফেরতসহ এ সকল ঘটনার সুষ্ট তদন্তস্বাপেক্ষ বিচার দাবী করেছেন।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু বলেন আমি এর সাথে জড়িত নয় তারা সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে ইসলামী ব্যাংকের একটি নিদিষ্ট একাউন্টে জমা দিয়েছেন। এর বাইরে আমি কিছু জানিনা।




ঝিনাইদহে দুর্নীতি বিরোধী সাইকেল র‌্যালি

ঝিনাইদহে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বাড়াতে দুর্নীতি বিরোধী সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আজ রোববার (০৩ নভেম্বর) সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে ইয়েস গ্রুপের আয়োজনে এক র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় নাগরিকেরা অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে পলিটেকনিক ইন্সটিউটে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে শিক্ষার্থীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এর আগে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে আলোচনা সভা ও পায়রা অবমুক্ত করে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বকুল চন্দ্র কবিরাজ, সনাকের সভাপতি এম সাইফুল মাবুদ।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন সনাকের সহ-সভাপতি আহম্মেদ হোসেন, সাবেক সভাপতি এন এম শাহজালাল, সদস্য নাসরিন ইসলাম, কাজল বিশ্বাস, ইয়েস উপ কমিটির আহ্বায়ক আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।

আয়োজকরা আশা করেন, এই সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সবাই মিলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে একসঙ্গে কাজ করবে।




ঝিনাইদহে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই প্রেমিকার অনশন

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামে এক তরুনকে বিয়ে করতে অনশন করেছে দুই তরুনী। গতকাল শনিবার রাত ৮ টার দিকে ওই গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে শাহীনকে বিয়ের দাবীতে অনশন করে তারা।

জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেলে পার্শবর্তী হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে অবস্থান করে। রুনা খাতুনের আসার খবরে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া খাতুনও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসে। এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুনীর অবস্থানের খবর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

প্রতিবেশীরা জানায়, দীর্ঘ দুই বছর ধরে রুনার সাথে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। তাদের দুই পরিবার তাদের বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় পরে তার পরিবার তাদের বিয়েতে অস্বীকৃতি জানাই। এরপর রুনাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিবাহ দিতে গেলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে উঠে। অন্যদিকে গত দুই মাস হলো সাদিয়া নামে আরেক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে শাহীনের। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও তার বাড়িতে আসে বিয়ের দাবিতে। এমন ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের উপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

রুনা বলেন, শাহিনের সাথে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার আর মেনে নেয়নি। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কারো বিবাহ করবো না। একারণে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। একারণে আমি শাহিনের বাড়িতে আসছি। আমি ওকেই বিয়ে করবো। শহিন যদি ওই মেয়েকে বিবাহ করে আমার কোন সমস্যা নেই।

অন্য প্রেমিকা সাদিয়া খাতুন বলেন, শাহিনের সাথে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এর আগে শাহিন তাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহিনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করাই সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহিনের বাড়িতে আরেক মেয়ে আসছে বিয়ের দাবিতে। আমি তো ওকে ভালবাসি। আমকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রেমিক শাহিন বলেন, আমাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে। তাদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এখন নেই। তবে তারা যেহেতু তাকে বিয়ে করতে বাড়িতে চলে আসছে, তাদের দুই জনকে বিয়ে করতে কোন আপত্তি নেই। সে দুইজনকেই বিবাহ করতে রাজি।

হলিধানী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার জানান, রাতে সাদিয়া নামের ওই মেয়েটি তার বাড়িতে ফিরে গেছে। আর রুনাকে শাহীন বিয়ে করেছে।