মুজিবনগরে গণিত মাস্টার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের মুজিবনগরে গণিত মাস্টার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মুজিবনগর গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির আয়োজনে বল্লভপুর অফিস প্রাঙ্গণে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির প্রোগ্রাম অফিসার এন. টন ফলুয়ারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন গুডনেইবারস মেহেরপুর সিডিপির ম্যানেজার বিপুল রেমা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এবং দারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ আওলিয়া খাতুন।

অঙ্ক প্রতিযোগিতায় উপজেলার ১০টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, মাঝপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরাকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনন্দবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগোয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ভবেরপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

গণিত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আফিয়া জয়নব সহি, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাদিয়া তাসনিম এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন ভবেরপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিমন চৌধুরী।




ডা. লিমন পারভেজের ডি-কার্ড (কার্ডিওলজি) ডিগ্রি অর্জণ

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ডি-কার্ড (কার্ডিওলজি) চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ডা. মো. লিমন পারভেজ। মঙ্গলবার ঘোষিত ফলাফলে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নতুন স্বীকৃতি অর্জন করেন।

ডা. লিমন পারভেজ পাবনা মেডিকেল কলেজের ২ ব্যাচ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ৩৯ তম বিসিএসএ’র মাধ্যমে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। এরপর ঝিনাইদহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কার্ডিওলজিতে উচ্চতর জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে দুই বছর মেয়াদী কোর্স সম্পন্ন করেন। সর্বশেষ ঘোষিত পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি এফসিপিএস (কার্ডিওলজি)তে পার্ট-১ পাশ করেন ২০২৩ সালে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের এই কৃতি সন্তান নিজের মেধা ও পরিশ্রমে শুধু পরিবার নয়, পুরো এলাকার গর্ব হয়ে উঠেছেন।

সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা তার এই অর্জনকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন। অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে তিনি হৃদরোগ চিকিৎসায় বিশেষ অবদান রাখবেন।




১৫০ শত বছর বয়সী গাছ কাটতে তোড়জোড় প্রশাসনের

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর বাজারে একটি ১৫০ বছর বয়সী কড়ই গাছ কাটা ঠেকাতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন এবং পরে এলাকার ৬১ জন মানুষের ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গিকার নামা জমা দেওয়ার পরেও অনড় প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন নিলামের সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করেছে। তবে গাছ কাটার ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার আগে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসী।

বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসনে আরার কার্যালয়ে অঙ্গিকারে স্বাক্ষর করা ব্যক্তিদের ডেকে হ্যাঁ-না ভোট করা হয়। তবে সেখানেও গাছ না কাটার পক্ষের জয় হয়েছে।

সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের মধুপুর বাজারটির আনুমানিক বয়স দেড়শত বছর। এই বাজারের পেরিফেরির জায়গায় রয়েছে সার্ধশত বছর বয়সী রেইন্ট্রি কড়ই গাছটি। ওই বাজারের ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি একলাচুর রহমান জানান, তার বর্তমান বয়স ৭২ বছর। ধারণা করা যায় বাজারটি গড়ে ওঠার সময় বাজারের দক্ষিণ পাশে এই গাছের চারা রোপণ করা হয়। যা কালক্রমে অনেক বড় হয়েছে। বর্তমানে বাজারটিতে ২৫০ টির অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার একপাশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান এই গাছের ছায়া ভোগ করছে। গাছটি বাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত গাছের ডাল পড়ে তাদের বা কোনো ব্যবসায়ীর কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি জানান, গত জুলাই মাসের শেষ দিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে মাছ বাজারের পাশে একটি ছোট বট গাছ চাঁদনীর ওপর হেলে পড়ে। তারা চান এই গাছটি অপসারণ করা হোক। এ জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে সেই সময় অবহিত করা হয়। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা সরেজমিনে দেখতে আসেন। পরে উপজেলা ্রশাসনের পক্ষ থেকে হেলেপড়া গাছটি কাটার উদ্যোগ নিয়ে ওই বট গাছের সঙ্গে তরতাজা সবুজ কড়াই গাছটি নিলাম আহবান করা হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর এই নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেদিন আবেদন ও অঙ্গিকার নামার কারণে সাময়িক স্থগিত করা হলেও পরবর্তীতে আবার নিলাম আয়োজন করা হয়েছে। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছেন যবদল নেতা মনিরুল ইসলাম।

বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম জানান, তারা হঠাৎ করে জানতে পারেন বাজারের হেলেপড়া বট গাছটি কাটতে গিয়ে সঙ্গে বড় কড়াই গাছটিও নিলাম ডাকা হয়েছে। এই খবর পেয়ে তারা প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে যান। তিনি সঠিক উত্তর দিতে না পারলে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন নিয়ে যান। সেখান থেকে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যান। সেখানে গিয়ে তাদের অভিযোগ জানান ও গাছটি না কাটার দাবি জানালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের দাবি প্রথমে রাখতে রাজি হন। এই দাবি রাখতে তিনি একটি অঙ্গীকার দেওয়ার কথা বলেন। যেখানে গাছের ডাল পড়ে অথবা গাছ উপড়ে কোনো জানমালের ক্ষতি হলে বা আর্থিক ক্ষতি হলে তাদের দায়ি থাকতে হবে। গাছ রক্ষায় এলাকার ৬১জন মানুষ ৩০০ শত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে অঙ্গীকার দিয়েছেন। এভাবে তারা গাছটি রক্ষা করেছেন, কিন্তু গাছ রক্ষা করতে গিয়ে তাদের কাঁধের ওপর একটি বোঝা চাপিয়ে দেওয়ায় তারা হতাশ হয়েছেন। তারা প্রয়োজনে মানববন্ধন করবেন বলেও জানান।

স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, তিনি অল্পদিন এখানে যোগদান করার পর বট গাছটি হেলেপড়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাছটি দেখতে আসেন। তিনি সরোজমিনে দেখে গাছ নিলাম আহবান করেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি ওই একটি গাছ অপসারণের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। ঝড় বাদলে কড়াইগাছটি ভেঙে পড়ে মানুষের ক্ষতি হতে পারে ভেবে। তবে এখন তিনিও সবুজ গাছটি বেঁচে থাক এটাই চান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা জানান, গাছ নিলামের অনুমতি দিয়েছেন ডিসি স্যার। তিনি পরবর্তীতে কেন নিলাম হলোনা সেই কৈফিয়ত চান। ডিসি স্যার তাদের অঙ্গিকারনামা আমলে নেননি। তাছাড়া সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ভূমি সহকারী কমিশনার হিসেবে নিলাম কমিটির সেক্রেটারি। আমি শুধু নির্দেশ পালন করছি।




১০ জনের রিয়ালকে হারের হাত থেকে বাঁচাল এমবাপ্পের জোড়া পেনাল্টি

কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া পেনাল্টিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার রাতে ১৫ বারের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা ২-১ গোলে ঘুরে দাঁড়িয়ে হারিয়েছে অলিম্পিক মার্শেইকে।

ম্যাচের শুরুটা ভালো ছিল অতিথি মার্শেইয়ের জন্য। মেসন গ্রিনউড বল কাড়েন আর্দা গুলারের কাছ থেকে এবং টিমোথি উইয়াহকে পাস দেন। তিনি ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক থিবো কোরতোয়ার পাশ দিয়ে বল পাঠান জালে। মার্শেইয়ের জার্সিতে এটাই ছিল তার প্রথম গোল।

এরপরই ম্যাচে উত্তেজনা তৈরি হয়। একের পর এক আক্রমণ চালালেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। অবশেষে রদ্রিগো গোয়েসকে জিওফ্রে কন্দগবিয়া ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মাদ্রিদ। সেখান থেকে নির্ভুল শটে গোল করেন এমবাপ্পে।

দ্বিতীয়ার্ধে মার্শেইও চেষ্টা চালিয়ে যায়। পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াংয়ের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। পরে কোরতোয়া তাঁকে আরও একবার গোল বঞ্চিত করেন।

এ সময় ম্যাচের রঙ পাল্টে যায় দানি কারভাহালের কারণে। মার্শেইয়ের গোলরক্ষক জেরোনিমো রুইয়ির সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মাথা ঠেকিয়ে দেওয়ায় লাল কার্ড দেখেন কারভাহাল। ফলে ১০ জন নিয়ে মাঠে নামতে হয় মাদ্রিদকে।

তবু নাটক বাকি ছিল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে থামাতে গিয়েছিলেন মার্শেইয়ের ডিফেন্ডার ফাকুন্ডো মেদিনা। রেফারির মনে হয় বল লেগেছে হাতে, পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি। সেখান থেকে আবারও গোল করে রিয়ালকে জয়সূচক লিড এনে দেন এমবাপ্পে।

রিয়ালের কোচ জাবি আলোনসোর জন্য এটি ছিল ইউরোপীয় আসরে প্রথম ম্যাচ। সে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয়ে নতুন মৌসুমে ইউরোপীয় অভিযানে শুভ সূচনা হলো তাদের।




ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মামাকে পিটিয়ে হত্যা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আপন মামাকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভাগিনা ও ভগ্নিপতি। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভার ২নং ওয়াড নওপাড়া গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত আফসার শেখ ওই গ্রামের মৃত্যু এদেন মাতুব্বরের ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত স্ত্রী বাদী হয়ে মামলার প্রস্ততি নিচ্ছে।

পুলিশ ও নিহতের ছেলে মেহেদি হাসান জানান, গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহত আফসার শেখের দুই নাতি সুমন ফকির ও আবির কাজী বাড়ির পূর্ব পাশের বিলে গোসল করতে গিয়ে হাতাহাতি ও মারামারি করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন বাড়িতে এসে সুমন ফকিরকে আবারও মারপিট করে।

মারপিটের বিষয়টি মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ভাগিনা ও ভগ্নিপতির কাছে জানতে চান আফসার শেখ। এ সময় ভাগিনা ও ভগ্নিপতিসহ তাদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যা করে আফসারকে। সংবাদ পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর মর্গে পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: যুগান্তর ।




ঝিনাইদহে জমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজে নিয়োজিত জমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জমির মালিকরা।

অধিগ্রহণের টাকা চেয়ে আবেদনকারী কয়েকজন জমির মালিককে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার অফিসে ঢুকতে নিষেধ করেছেন।

এ ঘটনায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিকরা। লিখিত অভিযোগে দাবী করা হয়, ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। জারি করা হয়েছে ৮ ধারার প্রজ্ঞাপন। ৮ ধারা নোটিশ জারির পর অধিগ্রহণের তালিকাভুক্ত জমির মালিকরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অধিগ্রহণ শাখায় টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদন শুরু করেন।

অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের কাছে টাকা প্রাপ্তির আবেদন করেন। আবেদন জমা দিয়ে ভুক্তভোগীরা ওই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি জমির মালিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগে দাবী করেছেন, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাত জমির মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন-’টাকা কি চাইলেই পাওয়া যায়, দেশটা কি মগের মুল্লুক?’ এ কথা বলে ওই কর্মকর্তা জমির মালিকদের তার অফিস থেকে বের করে দেন।

পরে ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়ালের সঙ্গে দেখা করে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। ওই সময় জেলা প্রশাসক জমির মালিকদের আবারও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের অফিসে যেতে বলেন। জেলা প্রশাসকের কথা মতো ভুক্তভোগীরা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার অফিসে গেলে কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাত জমির মালিকদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় খারাপ ব্যাবহার করেন করেন। প্রতিকার না পেয়ে জমির মালিকরা খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আহম্মেদ সাদাতের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অসদাচরণের লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগপত্রে কালীগঞ্জ উপজেলার মৃত রফিউদ্দিনের ছেলে ফরিদউদ্দীন, সাজিদুল ইসলাম, সদর উপজেলার খয়েরতলা গ্রামের আক্কাস আলী ও মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে লুৎফর রহমান সাক্ষর করেন। এদিকে ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে ধীরগতিতে চলছে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ।

গত মাসে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা কিছুটা নিরসন হলেও অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের টাকা প্রাপ্তির আবেদনকে ঘিরে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের আপত্তিকর আচরণ ও হুমকি ধামকির ঘটনায় নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে। অভিযোগকারী মোঃ ফরিদ উদ্দীন জানান, তারা খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতকে অপসারণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি তার ড্রাইভারের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণের জন্য নানা ভাবে জমির মালিকদের চাপে রাখার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাত জানান, অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কোন জমির মালিকের সঙ্গে তিনি কোন খারাপ আচরণ করেননি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল বলেন, এমন অভিযোগ আমার কাছে দেওয়া হয়নি। যখন শুনলাম তখন তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তিনি বলেন বিভাগীয় কমিশনারের কাছে যেহেতু লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে কি নির্দেশনা আসে সেটা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গাংনীর গাড়াবাড়ীয়ায় মসজিদ উন্নয়নকাজে অনিয়মের অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া বিশ্বাসপাড়া জামে মসজিদের সংস্কার ও উন্নয়নকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি প্রকল্প থেকে মসজিদটির জন্য ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসী।

অভিযোগ অনুযায়ী, ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দকৃত অর্থে দ্বীতল ভবনের বাহিরের অংশ প্লাস্টার, থাই গ্লাস, বারান্দার গ্রীল, চিলেকোঠার বিম তুলে ঢালাইসহ প্লাস্টার, দরজা-চৌকাঠ, বৈদ্যুতিক তার বসানো এবং পুরো ভবনের রং করার কথা থাকলেও এখনো অনেক কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বরাদ্দের আনুমানিক ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার কাজ করে পুরো বিল তুলে নিয়েছেন। বিশেষ করে চিলেকোঠার সানসেটসহ বিম প্লাস্টার, দরজা-চৌকাঠ, বৈদ্যুতিক তার, গ্রীলের রং এবং বিল্ডিংয়ের সামগ্রিক রঙের কাজ বাকি রয়েছে। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৯০ হাজার টাকা। এতে বরাদ্দকৃত অর্থের অপচয় হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

মসজিদ কমিটির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার কাজের মধ্যে এখনো আনুমানিক ৯০ হাজার টাকার কাজ বাকি। আমরা চাই দ্রুত অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করা হোক।

মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার খাইরুল ইসলাম বলেন, আমাদের জানামতে, জুন মাসেই পুরো বিল উত্তোলন করা হয়েছে। অথচ প্রায় ৯০ হাজার টাকার কাজ এখনো বাকি। অসম্পূর্ণ কাজ রেখে কীভাবে পুরো বিল তোলা হলো এটি বড় প্রশ্ন। ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করে বাকি কাজ করার তাগিদ দিলে তিনি গুরুত্ব দেয় নি। পরবর্তীতে কোন রকম যোগাযোগ নেই একদম লাপাত্তা।

ঠিকাদার খোকন মিয়া বলেন, কাজটি আসলে আক্তারুজ্জামান মাস্টারের কাছ থেকে নিয়েছি। রংয়ের কাজ করা হয়নি, চিলেকোঠার দরজা-চৌকাঠ সিডিউলে নেই বলে কাজ হয়নি। রংয়ের কাজ আর তার এই দুটো বাদে সব কম্প্লিট আছে তবে মসজিদ কমিটি চাইলে এগুলো করে দেওয়া যেতে পারে।

এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী রোকনউজ্জামান বলেন, আমি বাইরে আছি, বিষয়টি নোট করেছি। পরে জানাবো তবে এখন পর্যন্ত তিনি কিছুই জানাইনি।

এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

মুঠোফোনে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।




গাংনীর সাহারবাটী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নানা ভোগান্তি

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আতিকুর রহমান যোগদানের পর থেকে বেড়েছে সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানী বেড়েছে কয়েকগুণ। খাজনা পরিশোধের অনুমোদন না পেয়ে ভুমি মালিকদের ঘুরতে হচ্ছে দিনের পর দিন। এতে একদিকে যেমন মানুষের হয়রানী বেড়েছে,অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অফিসে সাংবাদিক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেন তহশিলদার আতিকুর রহমান।

সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ নামজারী অনুমোদন নিতে হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ। এক সপ্তাহেও পাচ্ছে না অনুমোদন বা নাগরিক সেবা।

নামজারি রিপোর্টের জন্য ২০০ টাকা, ও হোল্ডিং খুলতে নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা,নামজারি করে দেওয়ার নামে নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার দুপুর ১২ টার সময় অফিসে গেলে সাংবাদিক প্রবেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ নিয়ে যেতে হবে বললেন আতিকুর রহমান,অফিসের সব কাজ ফেলে রেখে তিনি মোবাইল ফোনে ব্যস্ত।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ধর্মচাকী গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে প্রবাস ফেরত সাইফুল ইসলাম জানান,আমি একটি হোল্ডিং খোলার জন্য দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরছি, এছাড়াও আমি বিবিধ ১৫১/১৩/১৫০ নামজারী বাতিল পৃর্বক সংশোধনের জন্য ১ বছর ধরে ভুমি অফিসে ঘুরে ঘুরে অবশেষে ২৩/০৭/২০২৫ ইংরেজি তারিখে সহকারী কমিশনার ভূমি সাদ্দাম হোসেন সমস্ত কাগজপত্র দেখে উভয় পক্ষের শুনানি মোতাবেক নামজারী বাতিলের নির্দেশ দেন।

আদেশ পাওয়ার দুই মাস অতিবাহিত হলেও সহকারী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশ উপেক্ষা করে আমাকে আজ কাল করে হয়রানি করে আসছ, আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ভুক্তভোগী ধর্মচাকী গ্রামের অসহায় প্রতিবন্ধী শামসুল ইসলাম জানান, আমি তিন মাস ধরে এই অফিসে ঘুরছি আমার কাছ থেকে নামজারির জন্য আড়াই হাজার টাকা নিয়েছে এই অফিসের লোকজন, তিন মাস পরে এসে বলছে আপনার কাজ হয়নি বলে হয়রানি করছে।

আমি প্রতিবন্ধী,চলতে পারিনা তাও আমাকে ঘুরাইতেছে। তিনিও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, ভুমি অফিসে সেবা নিতে আসা চৌগাছা গ্রামের একজন দলিল লেখক নজরুল ইসলাম জানান, আমি জমির খাজনা দেওয়ার জন্য অনলাইন করেছি, শুধু অনুমোদন নিতে এক সপ্তাহ লাগবে, বললেন আতিকুর রহমান। সাত দিন পরে অফিসে যাওয়ার পরামর্শ দেন।এভাবেই চলছে ভূমি সেবা।, ভুক্তভোগীরা জানান,আসলে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এ কারণেই দুর্নীতি বেশি হচ্ছে। জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে জনগণকে হয়রানি করছে। এই ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন তারা।

উপজেলা জোড়পুকুরিয়া গ্রামের কৃষক এনায়েত আলী জানান,আমি হোল্ডিং খোলার জন্য এর আগে দুই দিন অফিসে এসেছি হয়নি, আজকেও এসেছি আতিকুর রহমান বলছে, পরে আসেন সিরিয়াল মোতাবেক হবে এই বলে আমাকে বের করে দিয়েছে দেখা যাক কি হয়, আজ না হলে আবারো আশা লাগবে, এভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। এর আগে হোল্ডিং খুলতে ২০০ টাকা, নামজারীর রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ৩০০ টাকা করে নিতো। আজকে কত নিবে জানিনা।

নামজারী অনুমোদন, খাজনার রশিদের জন্য অনুমোদন, নিতে হয়রানি করা হচ্ছে সাংবাকিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, আপনাদের অফিসে ঢোকার পারমিশন কে দিয়েছে,? ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ নিয়ে তারপর অফিসে আসবেন,তখন কথা বলবো। তথ্য নিতে গিয়ে এমন বিড়ম্বনায় পড়েন গাংনীর দুই সাংবাদিক।

হোল্ডিং খোলা হচ্ছে না হয়রানি করা হচ্ছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এসিল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করেন।
বার বার অনিয়মের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি বরং সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, আমি একটি মিটিংয়ে রয়েছি পরে কথা হবে।




মেহেরপুরে পুরোদমে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতির ব্যস্ততা। প্রায় সব মণ্ডপে প্রতিমার কাঠামো গড়ে উঠেছে, রং-তুলির আঁচড় দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। কোনো কোনো মণ্ডপের প্রতিমা প্রায় প্রস্তুত হয়ে এসেছে। পাশাপাশি মণ্ডপ নির্মাণ, আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জার কাজও এগিয়ে চলছে পুরোদমে।

গতকাল মঙ্গলবার মেহেরপুর শহরের কয়েকটি পূজা মণ্ডপ ঘুরে এবং আয়োজক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার মোট ৪০টি মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন হবে। এর মধ্যে মেহেরপুর শহরসহ সদর উপজেলায় ১৪টি, মুজিবনগরে ৮টি এবং গাংনী উপজেলায় ১৮টি মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে বরণ করার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে।

মেহেরপুর সদর উপজেলায় রয়েছে শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, শ্রীশ্রী নায়েববাড়ি রাধামাধব মন্দির, শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দির, শ্রীশ্রী হরিজন বালক পূজা মন্দির, গোভীপুর রায়পাড়া দুর্গাপূজা মণ্ডপ, শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির (দাসপাড়া, গোভীপুর), শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির, শ্রীশ্রী রাধের শ্যাম মন্দির, শ্রীশ্রী রাম মন্দির, বামনপাড়া সার্বজনীন কালী মন্দির, পিরোজপুর বারেয়ারী দুর্গা মন্দির, শ্রীশ্রী কালীমাতা মন্দির (পিরোজপুর দাসপাড়া) এবং শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির এসব মণ্ডপে প্রস্তুতি শেষের পথে।

মুজিবনগর উপজেলায় চলছে মহাজনপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বাবুপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, কোমরপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, মোনাখালী পূজা মণ্ডপ, রতনপুর দাসপাড়া পূজা মণ্ডপ, বল্লভপুর পূজা মণ্ডপ, দারিয়াপুর ও খানপুর শ্রীশ্রী কালীমাতা মন্দিরে শারদীয় পূজার প্রস্তুতি।

গাংনী উপজেলায়ও চলছে সাজসজ্জার ব্যস্ততা। এখানে রয়েছে গাংনী কেন্দ্রীয় মন্দির, গাংনী কেন্দ্রীয় রাম মন্দির, চৌগাছা দাসপাড়া কালী মন্দির, গাড়াডোব দাসপাড়া কালী মন্দির, কচুইখালী যুগিন্দা দুর্গা মন্দির, শ্রীহরি মন্দির (নিত্যান্দপুর), রায়পুর দাসপাড়া কালী মন্দির, চাঁদপুর দাসপাড়া কালী মন্দির, আমতৈল দাসপাড়া কালী মন্দির, ষোলটাকা কর্মকারপাড়া দুর্গা মন্দির, ষোলটাকা দাসপাড়া কালী মন্দির, মটমুড়া হালদারপাড়া কালী মন্দির, বাওট দাসপাড়া কালী মন্দির, মোহাম্মদপুর দাসপাড়া কালী মন্দির, বেতবাড়িয়া দাসপাড়া কালী মন্দির, বামুন্দী কোলপাড়া কালী মন্দির, ভোমরদহ দাসপাড়া কালী মন্দির এবং হিজলবাড়িয়া দাসপাড়া কালী মন্দির প্রতিটি জায়গায় চলছে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের কাজ।

শহরের শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দির, শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, শ্রীশ্রী নায়েববাড়ি রাধামাধব মন্দির এবং শ্রীশ্রী হরিজন বালক পূজা মন্দির প্রাঙ্গণেও আয়োজনের শেষ মুহূর্তের কাজ এগিয়ে চলেছে। আগামী রবিবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

শ্রীশ্রী নায়েববাড়ি রাধামাধব মন্দিরের প্রতিমাশিল্পী শংকর বলেন, আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে আমরা প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছি। ২৮ তারিখে আমাদের পূজা শুরু হবে। সেজন্য রঙের কাজ নিয়ে আমরা খুবই ব্যস্ত। এবং আমাদের তিন-চারটা মূর্তি আছে, দিনরাত পরিশ্রম করে রঙের কাজটা যাতে তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারি, সেজন্য আমরা দিনরাত পরিশ্রম করছি।

প্রতিমাশিল্পী দীপঙ্কর বলেন, স্টেপ বাই স্টেপ আমাদের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই রঙের কাজ প্রায় শেষের দিকে। রঙের কাজ করতে এখনো আমাদের দুই দিন মতো সময় লাগবে। ভারত থেকে এসে কাজ করে ভালোই লাগছে।

শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য ভাস্কর হালদার বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চলছে। কিছুদিন পরেই আমাদের রঙের কাজ শুরু হবে। তারপরে আলোকসজ্জা এবং প্রশাসনিক সমস্ত কাজ শুরু করা হবে। প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম সম্পন্নের মাধ্যমে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক হিসেবে পূজিত হন। পূজা উপলক্ষে মণ্ডপগুলোকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের প্রস্তুতিও চলছে এবং পূজার দিনগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

পূজা আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবারের দুর্গাপূজায় প্রতিমার শৈল্পিক কারুকাজ, মণ্ডপের সৌন্দর্য এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে মণ্ডপে গিয়ে পূজা উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য সার্বিক কাজ শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।




দর্শনা হঠাৎ পাড়া থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু

দর্শনা হঠাৎ পাড়া থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত সড়কটি খানা খন্দে পরিণত মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবহন চলাচল করছে। এ সংবাদটি দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় দু-দফায় প্রকাশিত হওয়ার ফলে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।

গত এক সপ্তাহ ধরে এ সড়কে কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ফলে যানবহন চলাচলে সাধারণের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করছেন এলাকবাসী।