দর্শনায় বিএনপিকর্মীর ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন দর্শনা পুরাতন বাজার সংলগ্ন হাজী আব্দুল কাদেরের আড়তে সামনে পার্কিং করা বিএনপির কর্মী জাহিদ মিয়ার ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে দর্শনা হতে মুজিবনগর মহাসড়কের পাশে দর্শনা পুরাতন বাজার সংলগ্ন হাজী আব্দুল কাদের ভূসিমালের আড়তে সামনে পার্কিং করা ট্রাক যার নম্বর (চুয়াডাঙ্গা- ট-১১-০৫৯৮) আগুন লাগিয়ে দুরবিত্তরা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ট্রাক মালিক ও বিএনপির কর্মী জাহিদ মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ট্রাকচালক আব্দুল হাকিম ট্রাকটি দর্শনা পুরাতন বাজার সংলগ্ন আব্দুল কাদেরের আড়তে সামনে পার্কিং করে রেখে বাড়ি চলে যায়। এরপর গভীর রাতে কে বা কাহারা ট্রাকটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি তৎক্ষণিক ট্রাকটি অধিকাংশ পুড়ে গেছে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সুলতান মাহমুদ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ট্রাকমালিক জাহিদ মিয়া বাদী হয়ে দর্শন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।




মেহেরপুরে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদসহ প্রায় ১১ লাখ টাকার মালামাল চুরি

মেহেরপুর পৌরসভার নতুনপাড়ায় বসতবাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা সহ প্রায় ১১ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী বেগম দিলরুবা বেলী (৬০) ৪নং ওয়ার্ডের নতুনপাড়ার মৃত আবু বক্করের স্ত্রী। তিনি জানান, তিনি অসুস্থ থাকায় ১৪ নভেম্বর থেকে ছোট মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সুযোগে অজ্ঞাত চোরেরা তার বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে।

পরবর্তীতে ১৮ নভেম্বর ছোট মেয়ে ও জামাই বাড়িতে গিয়ে দেখেন দক্ষিণ দিকের ছোট গেটের তালা ভাঙা এবং ঘরের আলমারি ভেঙে তছনছ করা অবস্থায় পড়ে আছে। চোরেরা আলমারি থেকে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। বর্তমানে বাজারমূল্য অনুযায়ী চুরি হওয়া ৫ ভরি স্বর্ণের দাম প্রায় ১০ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় বেগম দিলরুবা বেলী মেহেরপুর সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।




রাতভর আটকে রেখে সাংবাদিক সোহেলকে বাসায় দিয়ে এলো ডিবি

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি ও দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার স্ত্রী সুমাইয়া সীমার জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এর আগে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে রাজধানীর নতুন বাড্ডার বাসা থেকে সোহেলকে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিবির পোশাক পরিহিত পাঁচ ব্যক্তি আটক করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন সুমাইয়া সীমা।

মধ্যরাতে এভাবে বাসা থেকে মিজানুর রহমান সোহেলকে ডিবি পরিচয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানান বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিদেশে অবস্থানরত অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাসে তিনি জানান, বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১২টার পর, দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে, ডিবি পরিচয়ে তার নতুন বাড্ডার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানতে কিছুক্ষণ আগে আমি ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি। তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানালেন তাদের এখানেই আনা হয়েছে তাকে।

সূত্র: আর টিভি




মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল ডিবি

মধ্যরাতে ডিবি পরিচয়ে ভোরের কাগজের অনলাইন সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহেলকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

তিনি বলেন, বুধবার মধ্যরাতে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয় দিয়ে একদল ব্যক্তি দৈনিক ভোরের কাগজ-এর অনলাইন সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহেলকে বাড্ডার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা জানতে কিছুক্ষণ আগে আমি ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি।

তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানালেন, তাঁদের এখানেই আনা হয়েছে। কেন রাত ১২টার পর একজন গণমাধ্যমকর্মীকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে সেটা জানতে চাইলে তিনি বললেন— সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মিজানুর রহমান সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডিবি কার্যালয় আনা হয়েছে।

জুলকারনাইন সায়ের জানান, মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফুল নামের জনৈক পুলিশ সদস্য সোহেলের স্ত্রীকে জানান ‘ডিবি প্রধান তার সাথে কথা বলতে চান, কথা শেষ হলে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে’। তবে রাত ১২টার পর কেন ডিবি প্রধান একজন সাংবাদিককে তাঁর বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কথা বলতে আগ্রহী সে বিষয়ে কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে।

বিশেষ একটি সিন্ডিকেটের প্ররোচনায় সাধারণ স্মার্টফোন বিক্রয়কারীদের সাথে কোনরূপ আলোচনা না করে, তাদের ব্যবসা হারানোর আশঙ্কাকে আমলে না নিয়ে এনইআইআর শুরু করতে যাচ্ছিল নেদারল্যান্ডের নাগরিক এবং বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব।

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরো লিখেছেন, সাধারণ ব্যবসায়ীরা তাদের দাবি দাওয়াতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং জনমত গঠনে আগামীকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজনে একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পরামর্শ দিচ্ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেল। এই সংবাদ সম্মেলন বানচাল করতে এবং ব্যবসায়ীদের ভয় দেখাতে, ফয়েজ তৈয়ব এর ইশারায় এমনটা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আয়োজকরা।

সায়ের লিখেছেন, পুলিশকে ব্যবহার করে এভাবে মধ‍্যরাতে একজন সাংবাদিককে হেনস্থার নিন্দা জানাই। ফয়েজ যদি আসলেও এই ঘটনার পেছনে কলকাঠি নেড়ে থাকে তাহলে সকল গণমাধ‍্যমকর্মীর বিবেচনা করা উচিত, তারা এই বিদেশী বিশেষ সহকারীর কার্যক্রম তার বাকী দিনগুলোতে কভার করবে কিনা।

এদিকে, মিজানুর রহমান সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার স্ত্রী সুমাইয়া সীমার জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

সূত্র: কালের কন্ঠ।




দর্শনায় দারুস সালাম ক্যাডেট মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও প্রদর্শনী

চুয়াডাঙ্গার দারুস সালাম ক্যাডেট মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দর্শনা সরকারি ফুড গুদামের পাশে মাদরাসা প্রাঙ্গণে অভিভাবক সমাবেশ, হাতের লেখা, গজল, হাদিস, সূরা ও জানাজা নামাজ প্রদর্শনী এবং ২য় পর্বে রাতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

১ম পর্বের অভিভাবক সমাবেশ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হাফেজ মাওলানা ফরহাদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন দর্শনা পৌর ইমাম কমিটির সাবেক সভাপতি ও পুরাতন বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম এবং দর্শনা ডি.এস. ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার শিক্ষক মো. আবু জাফর।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী দেখানো হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ৫ থেকে ৮ বছরের বাচ্চাদের ইংরেজিতে কথোপকথন, আরবিতে হাদিস শরিফের তরজমা, বিভিন্ন মাসলা-মাসায়েল প্রতিযোগিতা, আরবি-বাংলায় লেখা এবং জানাজা নামাজ প্রদর্শন করা হয়। এ সময় অতিথি, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




সাধারণ মানুষের শঙ্কা ও উদ্বেগ দুর করতে হবে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঢেপা-পাঙ্গাসিপাড়ায় গভীর রাতে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে দুটি গরু চুরির ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর এক গভীর উদ্বেগের ছায়া ফেলেছে। মেহেরপুর প্রতিদিনসহ কয়েকটি সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারা যায়, মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে এমনকি শহরেও চুরির উপদ্রব বেড়েছে।

এ চুরির ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও শঙ্কায় পড়েছেন। ফলে কেবল শহরাঞ্চলই নয়, অপেক্ষাকৃত শান্ত গ্রামীণ জনপদও এখন সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সহজ লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছে।

একটি কৃষিপ্রধান দেশে, একটি গরু কোনো সাধারণ সম্পত্তি নয়। এটি কৃষকের বছরের পর বছর ধরে সঞ্চিত মূলধন, জীবিকা নির্বাহের প্রধান অবলম্বন এবং বহু পরিবারের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভিত্তি। ঢেপা-পাঙ্গাসিপাড়ের মতো একটি গ্রামে যখন একটি এইড়ে (ষাঁড়) ও একটি গাভিন জাতের গরু চুরি হয়ে যায়, তখন কেবল দুটি প্রাণী হারায় না, বরং একটি বা দুটি পরিবার আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।

এই কৃষকেরা প্রায়শই কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বা ঋণ করে গরু কেনেন। গভীর রাতে সংঘটিত এই চুরির ঘটনা সেই কৃষকদের কেবল নিঃস্বই করে না, তাদের মনে এক ধরনের অসহায়তা ও নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দেয়। এই নিরাপত্তাহীনতা তাদের কৃষিকাজ থেকে শুরু করে সামগ্রিক জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এই ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। গভীর রাতে যখন সংঘবদ্ধ চোরের দল একটি গোয়ালঘরের তালা ভেঙে চুরি করে, তখন বুঝতে হবে যে এলাকায় টহল ব্যবস্থা দুর্বল এবং চোরদের মনে আইনের ভয় কমে আসছে। অপরাধীরা যখন দ্রুত ধরা পড়ে না বা চুরি যাওয়া সম্পদ উদ্ধার হয় না, তখন তা অন্য অপরাধীদের উৎসাহিত করে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করে।

স্থানীয় প্রশাসনের উচিত, এই ধরনের স্পর্শকাতর অপরাধের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং এগুলোর পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

নিরাপত্তার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শুধুমাত্র পুলিশি তৎপরতা যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন সামাজিক প্রতিরোধ এবং গণ-সহযোগিতা। চুরি ডাকাতি রোধে প্রতিটি গ্রামে এখন সম্মিলিত উদ্যোগে রাত পাহারার (কমিউনিটি ওয়াচ) ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উচিত এই ধরনের উদ্যোগের নেতৃত্ব দেওয়া এবং প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সহযোগীতা প্রদান করা। এর পাশাপাশি, প্রশাসনকে চোর চক্রের মূল হোতাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কিছুটা হলেও স্বস্তি পায় এবং জনমনে আস্থা ফিরে আসে।

গ্রামীণ অর্থনীতিকে সুরক্ষিত রাখতে হলে কৃষকের সম্পদ সুরক্ষিত রাখা অপরিহার্য। গরু চুরির ঘটনাটি সমগ্র গ্রামীণ জনপদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।

এই শঙ্কা ও উদ্বেগ দূর করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সাধারণ নাগরিক—সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে গ্রামীণ জনপদে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে। কৃষকের চোখে শঙ্কা নয়, বরং তার পরিশ্রমে গড়া সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হোক রাষ্ট্রের মূল অঙ্গীকার।




দর্শনায় বিলবোর্ড ভাঙাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ১০

চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কামারপাড়া গ্রামে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর বিলবোর্ড ভাঙাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর উভয় পক্ষই দর্শনা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা থানায় পৃথক অভিযোগ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার গভীর রাতে ধানের শীষের প্রার্থীর একটি বিলবোর্ড ভেঙে জামায়াত নেতা খাজার চায়ের দোকানের পাশে গর্তে ফেলে দেয় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। মঙ্গলবার সকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘটনার জন্য জামায়াত নেতা খাজাকে দায়ী করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

পরবর্তীতে বিষয়টির মীমাংসার জন্য বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় এক মোড়ে দুই পক্ষই সমবেত হয়। একপর্যায়ে সেখানে তর্কাতর্কি থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

এই ঘটনায় বিএনপি নেতা আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। কিছুক্ষণ পর জামায়াত নেতা খাজাও ৮ জনকে আসামি করে আরেকটি অভিযোগ দাখিল করেন।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সুলতান মাহমুদ বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গাংনীতে শিক্ষককে স্বামী হিসেবে না পেয়ে গোপনে করা ভিডিও ভাইরাল করে ছাত্রী

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।  একে অপরের বিরুদ্ধে  অবস্থান নিয়ে ঘটনাকে আরও চাঞ্চল্যকর করে তুলেছেন। প্রধান শিক্ষককে স্বামী হিসেবে না পেয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী নিজেই বিভিন্ন ব্যক্তিগত ভিডিও এবং স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে ওই শিক্ষককে ‘ফাঁসিয়েছেন’ বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর মেয়েটি নিজেই লাইভে এসে প্রধান শিক্ষককে বিয়ে করার দাবি জানিয়েছে।

ভাইরাল ভিডিও ও লাইভ নাটক

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী নিজেই তাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু ভিডিও এবং স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এই ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপর মেয়েটি প্রকাশ্যে লাইভে এসে ওই প্রধান শিক্ষককে বিয়ে করার কথা জানায়। ছাত্রীর হাসিমাখা চেহারা দেখে অনেকে মনে করছেন, একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সে এই কাজটি করেছেন।

দীর্ঘ চার বছরের সম্পর্ক: দোষ কার?

ছাত্রীটি দাবি করেছে, তাদের সম্পর্কটি দীর্ঘ চার বছরের। সে যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত, তখন থেকেই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এলাকাবাসীরা বলছেন, এই দীর্ঘ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—এমন একটি সম্পর্কে কেবল পুরুষই এককভাবে দোষী হতে পারে না। উভয় পক্ষেরই এই বিষয়ে সমান দায় রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যদি দুজনের মধ্যেই বিয়ের আগ্রহ থাকত, তবে এমন একটি ব্যক্তিগত তথ্য প্রচারের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে নাটকীয় করে তোলার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই ঘটনাটি অন্যান্য সকল নারীর সম্মানহানির কারণ হয়েছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে নারীর ‘প্রতারণার ফাঁদ’ নিয়ে

সম্প্রতি নারী কর্তৃক প্রতারণার ফাঁদ পাতার অভিযোগগুলো সমাজের উচ্চ মহল পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই ঘটনা সেই উদ্বেগকেই আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থেকে শুরু করে কেউই যেন এই ধরনের ফাঁদ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এই ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কেন সম্পর্কটিকে সরল পথে না নিয়ে এসে এমন নাটকীয় ও মানহানিকর উপায়ে জনসমক্ষে আনা হলো?

ঘটনাটি বর্তমানে এলাকায় নয়, নেট দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং প্রশাসন এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন দেখার বিষয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।




আলমডাঙ্গায় জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১১

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কুমারী ইউনিয়নের এক মহিলা ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১১ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে যুবদলের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। আহতরা আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহত বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম কনক, সদস্য সাজাহান, আলিম, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজেল হোসেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রোকসানা খাতুন ও তাঁর স্বামী রাশিদুল ইসলাম।

অন্যদিকে জামায়াতের আহতরা হলেন হারুনের ছেলে মুরাদ আলি, মাহাতাবের ছেলে আরিফ, পলাশের ছেলে লাল্টু, সাদেক আলির ছেলে ওল্টু এবং তার মেয়ে ফাতেমা খাতুন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শ্যামপুর গ্রামে জামায়াতের নেতাকর্মীরা দাঁড়িপাল্লা প্রতীক টাঙাতে গেলে বিএনপি নেতা রাশিদুল ইসলামের সঙ্গে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ছড়িয়ে পড়ে। পরে আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের কর্মীরা জামায়াত নেতা ওল্টুর বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর জামায়াতের নেতাকর্মীরাও পাল্টা হামলা চালালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন গুরুতর আহত হন।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন অভিযোগ করে বলেন, জামায়াতের ব্যানারে যুবলীগের কিছু কর্মী আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে বিএনপির ৬ জন কর্মী আহত হয়েছে।

অপরদিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা টাঙাতে গেলে বিএনপির মহিলা ইউপি সদস্য রোকসানা ও তাঁর স্বামী বাধা দেন। পরে বিএনপির কর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ ঘটে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।




দর্শনায় ধানের শীষে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ

চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবুর পক্ষে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দর্শনা রেলবাজার এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালান চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম সাবু তরফদার।

গণসংযোগকালে তিনি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি ও স্থানীয় উন্নয়নের রূপরেখা সম্বলিত লিফলেট দোকানপাট ও পথচারীদের হাতে তুলে দেন।

এ সময় সাবু তরফদার বলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপি’র উপ-কোষাধ্যক্ষ ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে। তিনি বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও দেশের শীর্ষ পোশাকশিল্প উদ্যোক্তা। তার নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা ও রাজধানী ঢাকা দুই এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ই দেশের রাষ্ট্র কাঠামো, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও জবাবদিহিমূলক উন্নয়নের পথ সুগম করবে।

গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ ফারুক, শ্রমিকদল নেতা খন্দকার মুন্নাফ, দর্শনা থানা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলমগীর হোসেন, দর্শনা টাংলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, জেলা শ্রমিক দলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, শ্রমিকদল নেতা মো. জাহাঙ্গীর, সোহরাব হোসেন, সানোয়ার হোসেন, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।