মেহেরপুর মহিলা কলেজে ১ম বর্ষে ভর্তিকৃতদের নবীনবরণ

একাদশ শ্রেণি, স্নাতক সম্মান ও স্নাতক পাস প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ উপলক্ষে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে ‘নবীন বরণ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুল ও মিষ্টি খাইয়ে নবীনদের বরণ করে নেওয়া হয়।

মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মুহা. আবদুল্লাহ আল-আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল ওয়াদুদ।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাসির উদ্দিন ও জান্নাতুল নাঈমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবীন বরণ ২০২৫ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. ইকরামুল হাসান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল হামিদ, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক কাজী আশরাফুল আলম, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহা. মিরাজ উদ্দীন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা ফেরদৌস প্রমুখ।

অতিথিরা নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন শিক্ষার মানোন্নয়ন, শৃঙ্খলা, মানবিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি কো-কারিকুলার কার্যক্রম ও সামাজিক দায়িত্ববোধের চর্চার মধ্য দিয়ে কলেজকে আরও সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান তারা।

অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্ত ছিল ফুল ছিটিয়ে নবীনদের বরণ। প্রবীণ শিক্ষার্থীরা হাতে রঙিন পাপড়ি ছিটিয়ে নবীনদের স্বাগত জানালে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।

দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য, কবিতা ও নাট্য পরিবেশনায় দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে কলেজের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।




প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন সৈকত

এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়ে চলেছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এবার প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অ্যাশেজে অন-ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করে লিখলেন নতুন ইতিহাস।

ব্রিসবেনে আজ শুরু হওয়া অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠের দুই আম্পায়ারের একজন সৈকত। তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক।

অ্যাশেজে আগেও আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত, তবে সেটা মাঠে নয়, টিভি আম্পায়ার হিসেবে। পার্থে প্রথম টেস্টে প্রযুক্তিনির্ভর দায়িত্ব কাধে নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই হয় এক বড় বিতর্ক।

ব্রেন্ডন ডগেটের বলে জেমি স্মিথকে নট আউট দিয়েছিলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার নিতিন মেনন। কিন্তু ডিআরএসে স্নিকোমিটারে স্পাইক দেখে সিদ্ধান্ত বদলে আউট দেন টিভি আম্পায়ার সৈকত। নিয়ম অনুযায়ী যথেষ্ট প্রমাণ থাকলে অন-ফিল্ড সিদ্ধান্ত বদলানো যায়, সেই ব্যাখ্যাতেই টিকেছিলেন তিনি। তবুও মাঠে উপস্থিত ইংলিশ সমর্থকদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে।
তবে সিরিজের বাকি তিন ম্যাচে থাকছেন না তিনি। অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন ও সিডনিতে দায়িত্ব পালন করবেন নিতিন মেনন, জেফ ক্রো, আহসান রাজা ও ক্রিস গ্যাফানি।

উল্লেখ্য, পার্থে প্রথম টেস্ট দুই দিনেই শেষ হয়েছিল। প্রথম দিনেই পড়ে ১৯ উইকেট, শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া আট উইকেটে টেস্ট জিতে সিরিজে ১–০ তে এগিয়ে যায়।

সূত্র: কালের কণ্ঠ




আজ দর্শনা মুক্ত দিবস

আজ ভয়াল ৪ ডিসেম্বর, দর্শনা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দর্শনাকে মুক্ত করতে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী যৌথভাবে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাতভর যুদ্ধ করে। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়।

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর বাড়াদির অপার ভারত ক্যাম্পে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে রওনা দেন। এরপর বাংলাদেশ সীমান্তের নাস্তিপুর মাঠে এসে যুদ্ধের সকল প্রস্তুতি নিয়ে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে অগ্রসর হন।

তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার নুর হাকিম, কাসেদ আলী ও আবুল খায়েরের নেতৃত্বে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ক্যাপ্টেন মুকিতের নেতৃত্বে প্রায় ১৫০ জন মিত্রবাহিনী দামুড়হুদার গোবিন্দপুরের পাশ দিয়ে বরারার নৌকা ব্যবহার করে প্রতাপপুর ও গোবিন্দপুরের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে রাত ১০টার দিকে মাথাভাঙ্গা নদী পার হন। এরপর তাঁরা পরাণপুর ও লোকনাথপুর মধ্য দিয়ে নলগাড়ীর রাস্তা হয়ে লোকনাথপুর মাঠ, ধাপড়ী রাস্তা পার হয়ে বটজল ও তালবাগান মাঠের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান নেন। এরপর পুরো রাতজুড়ে ব্যাংকার কেটে অ্যামবুশ নিয়ে অপেক্ষা করেন যোদ্ধারা।

আরেকটি দল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সামাদ ও আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জীবননগর–উথলী রেললাইন ধরে দর্শনার দিকে এগিয়ে আসে। একই সময়ে মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে আরও একটি মুক্তিযোদ্ধা দল ও মিত্রবাহিনী গেদে সীমান্ত থেকে এসে দর্শনায় অবস্থান নেয়।

কমান্ডারের নির্দেশে রাত ৩টার দিকে পরাণপুর বেলে মাঠ, শান্তিপাড়া সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত পাক হানাদার বাহিনীর উপর ত্রিমুখী হামলা শুরু করে যৌথবাহিনী। পাকবাহিনী কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক সেল, এসএমজি ও এস-লারেল গুলির বৃষ্টি নামতে থাকে। শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। উভয় পক্ষের গোলাগুলি চলতে থাকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে। যৌথবাহিনীর ত্রিমুখী আক্রমণে পাকবাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং দিকবিদিক ছুটে পালাতে থাকে।

এ সময় মিত্রবাহিনীর দুটি ট্যাংক যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে যায়। ট্যাংকের আক্রমণে পাক হানাদার বাহিনী সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। ভোর সাড়ে ৬টার আগেই পাকবাহিনী দর্শনা রেললাইন ও সড়ক পথ ধরে চুয়াডাঙ্গার দিকে পালাতে থাকে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর প্রায় দেড়শ’ এর বেশি সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধা সিরাজগঞ্জের ইপিআর সদস্য আবুল কাশেমের ডান পা সেলের আঘাতে উড়ে যায় এবং আরও একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

পরে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর নেতৃত্বদানকারী ক্যাপ্টেন মুকিত ও মিস্টার বুফার দর্শনা কেরু চিনিকলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। লাল–সবুজের পতাকা উত্তোলনের সময় মিস্টার বুফার সালাম গ্রহণ করেন।
এভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানে দর্শনা পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়।




মেহেরপুর সদর ও গাংনীতে ২২ লাখের নির্বাচনী বরাদ্দ উৎসব

মেহেরপুর জেলার দুই উপজেলা, সদর ও গাংনীর মোট ৭৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ সম্পন্নের জন্য বরাদ্দ পেয়েছে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৪ টাকা।

নির্বাচনের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত ঘাটতিগুলো দ্রুত ঠিক করে ভোটগ্রহণ উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলার অন্য উপজেলা মুজিবনগর এখনো কোনো বরাদ্দ পায়নি, যা স্থানীয়ভাবে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুকুমার মিত্র বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের চিঠি অনুযায়ী, ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর সংস্কারকাজ শেষ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। একই সঙ্গে বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলোকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে বিদ্যালয়গুলোকে ভোটগ্রহণ উপযোগী কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করার কথা বলা হয়েছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার ৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পেয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৯৯৬ টাকা। এর মধ্যে মেহেরপুর পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বরাদ্দ পেয়েছে ২৬ হাজার ৬ শত ৬৭ টাকা, আর রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

এছাড়াও ১৩ হাজার ৩ শত ৩৩ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছে যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়ামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হিজুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আশরাফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে। কাঁঠালপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পেয়েছে ৮ হাজার ৩ শত ৩৩ টাকা। ৬ হাজার ৬ শত ৬৭ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ইছাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বলিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুন মদনাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে রাধাকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৪ হাজার ৩ শত ৩৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে।

আর ৩ হাজার ৩ শত ৩৩ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে তেরোঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুদ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, শালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝাউবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোকসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমঝুপি উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুন দরবেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুভরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজাপুর–বারাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ সালাম–বরকত–রফিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংহাটি পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেলেগাড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

অন্যদিকে গাংনী উপজেলার ৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পেয়েছে ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯৮ টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো—তেঁতুলবাড়িয়া, পলাশীপাড়া, ভরাট, করমদি, কল্যাণপুর, কাজিপুর, ভবানীপুর, নওদাপাড়া, পীরতলা, রামনগর, বালিয়াঘাট, তেরাইল, নওদা মটমুড়া, কুমারিডাঙ্গা, মিনিপাড়া, শিমুলতলা, বানিয়াপুকুর, ষোলটাকা, ভোমরদহ, হিজলবাড়িয়া, চৌগাছা, গাড়াডোব, আযান, যুগিন্দা, পাকুড়িয়া, ধানখোলা, ভাটপাড়া, কসবা, সানঘাট, গাংনী মডেল, রাধাগোবিন্দপুর, সাহারবাটি দক্ষিণপাড়া, জালশুকা ও মালসাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

৩৩ হাজার ৩ শত ৩৩ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছে হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধর্মচাকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহারবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢেপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং করমদী পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

আর সহড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পেয়েছে ২৩ হাজার ৩ শত ৩৩ টাকা, নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরাদ্দ ১৬ হাজার ৬ শত ৬৭ টাকা এবং বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পেয়েছে ১০ হাজার টাকা।

পুরো বরাদ্দ তালিকা প্রকাশ পেলেও মুজিবনগর উপজেলাকে এখনো কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের আগের সময়সীমা, সংস্কারের জরুরি নির্দেশনা এবং বাকি দুই উপজেলার বরাদ্দ কাঠামো সামনে রেখে মুজিবনগরের বিদ্যালয়গুলো কেন তালিকার বাইরে রইল—এ রকম প্রশ্ন স্থানীয় শিক্ষাপ্রাঙ্গণে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুকুমার মিত্র বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই বরাদ্দ দিয়েছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জেলার যে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে, সেগুলোকে ভোটগ্রহণের উপযোগী করে তুলতে এই বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা মেহেরপুর সদর ও গাংনী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জন্য বাজেট বরাদ্দ পেয়েছি। মুজিবনগর উপজেলার জন্য বাজেট বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব দ্রুতই এই বরাদ্দের চিঠি পাওয়া যাবে।




ঝিনাইদহে ১৩ ঘন্টা নিখোঁজের পর প্রতিবেশীর ঘরে মিলল সাড়ে তিন বছরের শিশু সাবা’র লাশ

ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি গ্রামের সিটির মোড় এলাকা থেকে ১৩ ঘন্টা নিখোঁজের পর প্রতিবেশীর ঘর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু সাইমা আক্তার সাবার লাশ উদ্ধার করা হয়। সেকাল ৮টায় বাইরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজা-খুজি ও মাইকিং করার পরেও বাচ্চাটিকে না পেয়ে তার বাবা ঝিনাইদহ সদর থানায় জিডি করে।

পরে রাত নয় টাই প্রতিবেশী মাসুদের স্ত্রী সান্তনার খাটের নিচ থেকে বস্তাবন্দি সাবার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ফুটফুটে শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক সন্দেহ পুলিশের। শিশু সাবা ওই গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে।

মিশুর স্বজনদের কাছ থেকে জানাযায়, সাবা বুধবার সকাল ৮টার দিকে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়, শিশুটির বাবা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি এন্ট্রির পর পুলিশ আশপাশের পুকুরসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালালেও সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনা।

বুধবার সন্ধ্যার পর বস্তা বন্ধী লাশ নিয়ে প্রতিবেশী মাসুদের বউ সান্তনা খাতুন বাড়ীর পাশে একটা পুকুরে ফেলে দিতে গেলে ওই গ্রামের তোতা নামের একজনের সাথে দেখা হয়, এসময় মাসুদের বউ বস্তাটি নিয়ে দ্রুত বাড়ীতে চলে যাই এবং বস্তাবন্ধী সাবার লাশ তার নিজ খাটের নিচেই রেখে দেয়।

এ সময় প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাসুদের স্ত্রীর সন্দেহ জনক আচরনের কারণে তার ঘরের মধ্যে খুজতে থাকে। এসময় তার খাটের নিচেই বস্তাবন্দি সাবার নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া যায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই মনোজ কুমার ঘোষ রাত ১০টার দিকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সাবাকে পরিকল্পিতভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

এছাড়া সান্তনার বয়ান থেকে জানা যায়, খেলার সময় সমবয়সি তার ছেলে জোবায়ের স্ট্যাম্প দিয়ে সাবার মাথায় আঘাত করলে সাবার মৃত্যু হয়, কিন্তু সে ভয়ে কাউকে না জানিয়ে লাশটি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছিল।

এই ঘটনায় প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিবেশি মাসুদের স্ত্রী সান্তনা খাতুন (৩০) কে পুলিশ আটক করেছে।

ফুটফুটে কন্যাশিশু সাইমা আক্তার সাবার লাশ উদ্ধারের পর পবহাটি গ্রামজুড়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কন্যাশোকে শিশুটির পিতামাতা সম্পূর্ণ হতবিহ্বল। গ্রামের মানুষ এই জঘন্য হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত খুনিকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে প্রকৃত দোষিকে চিহ্নিত করে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করতে স্বক্ষম হবে। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য প্রতিবেশী মাসুদের স্ত্রী সান্তনা খাতুনকে গতকাল রাতেই আটক করা হয়েছে।




মেহেরপুরে ৩০৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা, হয়নি বার্ষিক পরীক্ষা

মেহেরপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে তালা লাগিয়ে বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে তারা জেলার ৩০৮টি বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।

বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস ও বার্ষিক পরীক্ষা চললেও শিক্ষকদের এ কর্মসূচির কারণে সেটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙে পড়ে এবং শিক্ষার্থী–অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়।

সকাল থেকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দেখা যায়, ক্লাস শুরুর আগে সহকারী শিক্ষকরা মূল ফটক, অফিসকক্ষ ও শ্রেণিকক্ষে একে তালা লাগিয়ে দেন। ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে বিদ্যালয়ে এলেও তাদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। পরে শিক্ষকরা জানিয়ে দেন পরীক্ষা হবে না। বাড়ি ফিরে যেতে হবে। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার অভিভাবক আরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘দাবি-দাওয়ার নামে শিক্ষকদের হঠাৎ কর্মবিরতি পুরোপুরি শিক্ষার্থীদের ‘জিম্মি’ করে ফেলেছে। বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বছরের সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ থাকায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।

আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষক মহসিন আলী জানান, সরকারের পূর্ব ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, দশম গ্রেডে বেতন প্রদান, পদোন্নতি কাঠামো পুনর্বিন্যাস এবং সহকারী শিক্ষকদের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত দায়িত্ব কমানো।

এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকরা পড়েছেন সবচেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।

মেহেরপুরের গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা জানান, ‘গত দুদিন অভিভাবকদের সহায়তায় আমরা পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সহকারী শিক্ষকরা দায়িত্বে না থাকায় নৈশ প্রহরীকেও সাহায্য করতে হয়েছে। কিন্তু আজ ক্লাসরুমে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় আমরা সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েছি।’

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জয়নুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি যেন না হয়, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।




আলমডাঙ্গার ফরিদপুরে বেকারীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা 

আলমডাঙ্গা ফরিদপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান চালিয়ে মেসার্স রাকিব ফুড নামে একটি বেকারীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অভিযানটি গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর বাজারে তদারকিমূলক অভিযান চালায়। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, ঔষধ এবং খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়।

লাইসেন্স নবায়ন না থাকা এবং প্যাকেটে খাদ্য পণ্যের সঠিক তথ্য না থাকার কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৩ ধারায় মেসার্স রাকিব ফুডের মালিক মিজানুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ত্রুটি সংশোধনপূর্বক ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযান প্রসঙ্গে সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হক জানান, প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূল্য তালিকা হালনাগাদ রাখা, নির্ধারিত ও যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করা, এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ বা মানহীন পণ্য/ঔষধ বিক্রি না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অভিযানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ক্যাব প্রতিনিধি মো: রফিকুল ইসলাম এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।




দামুড়হুদায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর শেখপাড়া এলাকায় সার ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে লাইসেন্সবিহীনভাবে জৈব সার প্যাকেট করার দায়ে মো. আনোয়ারুল নামের এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল বুধবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে পরিচালিত এ অভিযানে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬-এর ১২(৩) ধারায় ১০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান। দোষী আনোয়ারুল জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের রবিউল হকের ছেলে।

অভিযানে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার। আদালত পরিচালনার সময় দামুড়হুদা মডেল থানার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন।




৪৫তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন মেহেরপুরের ডা. রোমেল হোসেন

৪৫তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের কৃতী সন্তান ডা. রোমেল হোসেন।

শান্ত-নির্মল কোমরপুর গ্রামের মাটিতে জন্ম নেওয়া ডা. রোমেল কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও অদম্য মনোবলের মাধ্যমে ৪৫তম জেনারেল বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে স্থান করে নেন। তিনি উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।

বিপুল প্রতিযোগীর ভিড়ে মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ রেখে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনি শুধু পরিবারের নয়, পুরো জেলার গর্বে পরিণত হয়েছেন। তাঁর এই সাফল্য শিক্ষক, অভিভাবক, প্রিয়জন এবং এলাকার মানুষের জন্যও এক গৌরবময় অর্জন।

মানবসেবাকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করা ডা. রোমেল ভবিষ্যতে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তাঁর পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীরা।




আলমডাঙ্গায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামী গ্রামবাসীর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে জামজামী গ্রামের বাসিন্দারা ঐক্যবদ্ধভাবে নিজস্ব উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিল আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালিত হয়।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ রফি উদ্দিন মেম্বার, মো. রবিউল ইসলাম, মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ মেম্বার, হুমায়ুন আলী, ফজলু মেম্বার, মো. আ. আলিম, রুনজান, মানোয়ার আলী, গোলাম কিবরিয়া, আশাবুল আলী, চাদ আলী, আলমগীর মাস্টার, বিশারত আলী, রোকমান আলী, সায়েত আলী, ইদ্রিস আলী, লাল মোহাম্মদ, মিস্টার আলী, রওনক হাসান প্রমুখ।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত সবাই বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও প্রার্থনা করেন।