গাংনীতে বিএনপির প্রার্থী আমজাদ হোসেনের গণমিছিল

মেহেরপুর-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেনের ধানের শীষের পক্ষে এক বিরাট গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঁশবাড়িয়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে গাংনী বাজার এলাকায় এসে শেষ হয়।

শনিবার বিকেলে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী অংশজুড়ে এ গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির দলীয় প্রার্থী, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোরাদ আলী, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মতিয়ার রহমান মোল্লাহ, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান গাড্ডু, গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খোকন, বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম, মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাজেদুর রহমান বুলবুল, গাংনী পৌর বিএনপির নেতা খাইরুল আলম কালাম, বিএনপি নেতা মামুন, সাবেক ছাত্রনেতা ও তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মটমুড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সোহেল রানা, মহিবুল ইসলাম, গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলেরি আলভী, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান হাকা, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন, কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হুসাইন আহমেদ, সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারাসহ স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা খণ্ড খণ্ড মিছিলকে ঘিরে পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে দলে দলে মানুষ মিছিলে যোগ দেন। পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি নারীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, মাথার ওপর উড়তে থাকা ধানের শীষের প্রতীক সব মিলিয়ে মহাসড়কজুড়ে তৈরি হয় নির্বাচনী উচ্ছ্বাস।

মিছিল চলাকালে আমজাদ হোসেন সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান। নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। মিছিলে অংশ নেওয়া অনেক নারী ভোটার বলেন, পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে তারা ধানের শীষকে সমর্থন করছেন। দিনভর আয়োজনে অংশ নেওয়া কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে গণমিছিলটি পরিণত হয় এক বিশাল শো অফ স্ট্রেংথে।




কোটচাঁদপুরে ডাকাতি: ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার পাশপাতিলা গ্রামে অভিনব কায়দায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রধারী ডাকাতরা বারান্দার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাত আড়াইটার দিকে পাশপাতিলা গ্রামের আবুল হোসেন ধনীর ছেলে তরিকুলের বাড়ির প্রাচীর টপকে ৫/৬ জনের ডাকাতদল বারান্দার গ্রিল কেটে এবং লক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ডাকাতদল নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে কোনো চিৎকার করতে নিষেধ করে বলে যে বাড়িতে ইয়াবা আছে, এই অভিযোগের তদন্তের জন্য তারা বাড়িতে ঢুকেছে। পরে গৃহকর্তা তরিকুল ও তার স্ত্রী নাসরিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের একটি কক্ষে নিয়ে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে। তরিকুলের শাশুড়িকে অন্য কক্ষে আটক রেখে তরিকুলের রুমের আলমারি থেকে স্বর্ণালঙ্কার যার মধ্যে আট আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার, ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের চুড়ি, ১২ আনা পরিমাণ এক জোড়া কানের দুল, ৪ আনার স্বর্ণের আংটিসহ প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ৯০ হাজার টাকাসহ ৭/৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নির্বিঘ্নে চলে যায়।

পরে তরিকুলের শাশুড়ি তাদের ডাকতে গিয়ে তরিকুল ও তার স্ত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। তিনি আশপাশের লোকজনকে ডেকে কোটচাঁদপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দীর্ঘ সময়েও তারা স্বাভাবিকভাবে সুস্থ হতে পারেননি বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, চুরির কায়দায় বাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল নিয়ে গেছে বলে খবর পেয়েছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




শৈলকুপায় পানিতে ডুবে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু

ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে আবরাম নামের দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে জেলার শৈলকুপা পৌর এলাকার ঝাউদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশু আবরাম ওই গ্রামের মুরগী ব্যবসায়ী আজাদ মৃধার ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে শিশু আবরাম খেলতে খেলতে বাড়ীর নিচে কুমার নদে কচুড়িপানার ফুল তুলতে গিয়ে সে ডুবে যায়। খোঁজাখুঁজির পর পানির নিচ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো।




ঝিনাইদহে জমির লিজ নিয়ে বিরোধে প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা

জমির লিজ নিয়ে বিরোধের কারণে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের জেরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালা গ্রামে মাহবুল হোসেন (৪০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। আহত মাহবুল ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরদেহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা-লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুল হোসেন কালা গ্রামের সাবদার বিশ্বাসের ছেলে। তিনি কম্বোডিয়াতে থাকেন। সম্প্রতি ছুটিতে তিনি বাড়িতে এসেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় হুমায়নের সমর্থক সিরাজ মোল্লার কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করতেন জিয়ারুল ইসলামের সমর্থক বাটুল বিশ্বাস। সম্প্রতি সিরাজ মোল্লা তার জমি ফেরত নিতে বাটুল বিশ্বাসকে লিজের টাকা ফেরত দেয়। কিন্তু ওই জমিতে ফসলের আবাদ থাকায় ফসল না তোলা পর্যন্ত জমি ফেরত দিতে আপত্তি করেন বাটুল বিশ্বাস। এ নিয়ে সিরাজ মোল্লার লোকজন জমির দখল নিতে শনিবার সকালে জড়ো হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে। পরে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাটুল বিশ্বাসের সমর্থক কম্বোডিয়া প্রবাসী মাহবুল হোসেনকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে সিরাজ মোল্লা ও হুমায়নের সমর্থকরা। স্থানীয়রা মাহবুল হোসেনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে মাহবুল হোসেন মারা যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম মিয়া বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের বিষয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে স্থানীয় মাতব্বর সহ আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। শনিবার এ বিষয়ে মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জমির লিজ ফেরত নেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে একজন নিহত হয়েছেন। মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




ঝিনাইদহে রেল লাইন, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহ জেলা শহরে রেল লাইন, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে শহরের পায়রা চত্বরে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে রেললাইন, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটি।

এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাবেক উপাধ্যক্ষ এন.এম শাহজালাল। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- জজ কোর্টের পিপি এ্যাড.এস এম মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহব্বত হোসেন টিপু বক্তব্য রাখেন।

আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আকিদুল, মানবাধিকার কর্মী হাফিজুর রহমান, চলচিত্র অভিনেতা মান্না, নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক এ্যাড. আলাউদ্দিন আল আজাদ, কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি স্বপন কুমার বাগচী, বাসদ সভাপতি এ্যাড. আসাদ, প্রভাষকক বাবুল আক্তার, ঝিনাইদহ জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট আহ্বায়ক ছাত্র নেতা শারমিন সুলতানা, নুসরাত জাহান সাথী, ব্যবসায়ী সফিকুর রহমান যাজু প্রমুখ।

সমাবেশের সঞ্চালনায় ছিলেণ রেললাইন বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, বক্তাগণ বলেন, পার্শ্ববর্তী মাগুরা, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় রেল সংযোগ থাকলেও ঝিনাইদহ জেলা শহরে কোনো রেল লাইন নেই। জেলা সদরে এখনও মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়নি, আর উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি দীর্ঘদিনের। সকল সড়ক ও নবগঙ্গা নদী সংস্কার, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া পদ্মা নদীতে সেতু নির্মানের জোর দাবী জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, রেল লাইন সংযোগ থাকলে ঝিনাইদহের কৃষি, ব্যবসা, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে বিপুল উন্নয়ন ঘটবে। ঝিনাইদহের জনগণ আর অবহেলিত থাকতে চায় না।




যেকোনো মূল্যে জুলাই সনদ এবং গণভোট আদায় করতে হবে

বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম (সাদ্দাম) বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ফ্রী ফেয়ার ইলেকশন না হলে জুলাইয়ের বিপ্লবের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। যেকোনো মূল্যে জুলাই সনদ এবং গণভোট এই সরকারের আমলে ছাত্র-জনতার পক্ষে আদায় করতে হবে। একটি পক্ষ মনে করে আমরা ক্ষমতায় চলে গেছি এবং কিছু প্রশাসনের লোকজন তাদেরকে সহযোগিতা করছে বলে মনে হচ্ছে। ইসলামী ছাত্রশিবির যেকোনো মূল্যে জুলাই বিপ্লবের ধারক এবং বাহক হিসেবে কাজ করে যাবে।

আজ শনিবার (১৫ই নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার সময় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে মেহেরপুর ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির প্রত্যেকটা ছাত্রের কল্যাণের জন্য কাজ করে। আগামীতে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভূমিধস বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। এবং সুখবর হলো আগামীতে অভিভাবকেরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের হাতে তাদের সন্তানদের তুলে দেবেন, কারণ ইসলামী ছাত্রশিবির কোনো নেশাখোর বা গাঁজাখোর তৈরি করে না; তাদের হাতে বই, কলম এবং গানের ভান্ডার তুলে দেয়। মেহেরপুরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ব্যাপক কল্যাণমূলক কাজ চলছে, সেই কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমীর তাজউদ্দিন খান, জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইকবাল হুসাইন, সদর উপজেলা আমীর সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমীর খান জাহান আলী, পৌর সূরা ও কর্মপরিষদের সদস্য ডাক্তার আব্দুস সালাম, ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি ও জেলা আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন সভাপতি আলামিন ইসলাম বকুল, সদর উপজেলা সেক্রেটারি মাস্টার জাব্বারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, মেহেরপুর ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি মোঃ সাইদুর রহমান প্রমুখ।




গাংনীতে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে এবার মহিলা দলের বিক্ষোভ

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে এবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা ও পৌর মহিলা দলের নেতাকর্মীরা।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে গাংনী ফুটবল মাঠ থেকে গাংনী উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা পারভীনের নেতৃত্বে মিছিলটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে গাংনী বিএনপি অফিসে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা মহিলা দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলা আরজুমান বানু, গাংনী উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক খালেদা ইয়াসমীন, ধানখোলা ইউনিয়ন মহিলা দলের সভানেত্রী শিল্পী খাতুন, বামন্দী ইউনিয়ন মহিলা দলের সভানেত্রী জেসমিন আক্তার ও কাথুলী ইউনিয়ন সভানেত্রী হানুফা খাতুন।

বক্তারা বলেন, মেহেরপুর-২ আসনে যেভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তা দলীয় জনমতের পরিপন্থী। আমরা এই মনোনয়ন অবিলম্বে বাতিল করে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মহিলা দলের আগত নেত্রী ও কর্মীগণ অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মেহেরপুর-২ আসনে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন।




দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

দশর্না রেলবাজার দোকান মালিক নিবার্চন সম্পুর্ণ। সভাপতি পদে তোফজ্জেল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন নিবার্চিত হয়েছে।

সকাল ৮টা একটানা বিকাল ৪টা পযর্ন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্বিপনা আনন্দ মুখোর পরিবেশে ভোটাররা ভোট প্রদান করেন। মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৮৭০জন। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় ভোট গ্রহণ সম্পুর্ণ হয়েছে। পুলিশি কড়া পাহারায় এবং সাংবাদিক ও স্থানীয় নেত্রীবৃন্দের উপস্থিতে ভোট প্রদান করেন ভোটাররা।

দীর্ঘ সা‌ড়ে ৭ বছর পর দর্শনা রেলবাজার দোকান মা‌লিক স‌মি‌তির ত্রি-বা‌র্ষিক নির্বাচন অনু‌ষ্ঠিত হয়। ফলে এ নির্বাচনটি ছিল উৎসব মুখোর। ১৩টি প‌দের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা কর‌ছেন ৩১ প্রার্থী। এরই মধ্যে সভাপতি পদে ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে সভাপতি পদে তোফাজ্জেল হোসেন চেযার মার্কায় ৩৪৯ ভোট পেয়ে নিবর্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তরিকুল ইসলাম জুয়েল চশমা মার্কায় ২৯৪ ভোট পেয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে আবুল বাসার মোরগ মার্কায় ৪৬৪ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আরিফুেল ইসলাম কলস মার্কায় ১৯৩ ভোট পেয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে আনোয়ার হোসেন প্রজাপ্রতি মার্কায় ২৫৪ ভোট পেয়ে নিবার্চিত তার নিকটতম প্রার্থী সেলিম মেহফুজ বাই  সাইকেল মার্কায় ২৪০ ভোট পেয়েছে। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আবিদ হাসান রিফাত হরিণ মার্কায় সর্বোচ্চ ৬৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আনারস মার্কায় ২১২ ভোট পেয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে সোহাগ হোসেন টেবিল মার্কায় ৩৭৩ ভোট পেয়ে অপর প্রার্থী কালু মিয়া হারিকেন প্রতীকে ৩৩৩ ভোট পেয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে মিজানুর রহমান দেয়ারঘড়ি মার্কায় ৫৭৩ ভোট পেয়ে নিবর্চিত হয়েছেন। অপর প্রার্থী টিউবয়েল মার্কায় ২৬২ ভোট পেয়েছেন। নির্বাহী সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ডে শরীফ উদ্দীন পেয়ারা মার্কায় ৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হারেজ আলী সেলাই মেশিন মার্কায় ৫২ ভোট পেয়েছে। ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে আব্দুল মিয়া ও শামীম মিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। ৫ নং ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান বেলচা মার্কায় ৮৪ ভোটপেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। অপর প্রার্থী সেলাই মেসিন মার্কায় ৩২ ভোট পেয়েছেন। ৬ নং ওয়ার্ডে আজিজুল ইসলাম পান পাতা মার্কায় ১২১ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী হানিফ খাঁ ২৩ ভোট পেয়েছে। ৭ নং ওয়ার্ডে হাবিব শিকদার জবাফুল মার্কায় ৬৬ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। অপর প্রার্থী ২৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিলে দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিন বছর মেয়াদি পরিষদ হলেও বিগত কমিটি দায়িত্বে ছিলেন টানা ৭ বছরেরও বেশী সময়। নানা জটিলতার কারণে ঠিকঠাক সময়ে নির্বাচন হয়নি। অবশেষে চলতি বছরের ২৫ মে গঠন করা হয় উপদেষ্টা পরিষদ।

পরে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গঠন করা হয় ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করা হয় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমানকে। এ কমিশনে অপর ৪ কমিশনার হলেন সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক এফএ আলমগীর, মোমিনুল ইসলাম ও মনির হোসেন। গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর আজিজুুর রহমান। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি গতকাল ২৩ অক্টোবর ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। খসরা তালিকা অনুযায়ি ভোটার সংখ্যা হয়েছে ৭টি ওয়ার্ডে ৭৬৯ জন। ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্তি, নাম ও ওয়ার্ড সংশোধনী। ২৮ অক্টোবর চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৯ থেকে ৩০ অক্টোবর প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ। ১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থীতা বাতিলের উপর আপিল, শুনানী ও নিস্পত্তি। ২ নভেম্বর বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ৩ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ৪ নভেম্বর চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ। ১৪ নভেম্বর সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতীহিনভাবে দর্শনা ডিএস সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।

এবারের নির্বাচনে ১৩ টি পদের বিপরিতে তালিকায় রয়েছেন ৩১ জন প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে মাঠে রয়েছেন সাবেক সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন (চেয়ার)। নতুনদের মধ্যে রয়েছেন লুতফর রহমান (মই) ও তারিকুল ইসলাম জুয়েল (চশমা)। সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন পুরণো হলেও ২ জন রয়েছেন নতুন প্রার্থীই। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন রতন (প্রজাপতি) সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান বাবু (চাঁদতারা), গত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সেলিম মেহমুদ লিটন (বাই সাইকেল) নতুনদের মধ্যে রিয়েল ইসলাম লিওন (ছাতা) ও নাসির উদ্দিন খান হাসু (সূর্যমুখি ফুল)। সহসভাপতি পদে আবুল বাসার (মোরড়) আরিফুল ইসলাম জয়নাল (কলস) ও রিন্টু জামান (মাছ)। সহসাধারণ সম্পাদক পদে আবিদ হাসান রিফাত (হরিণ) ও শরিফুল আলম (আনারস)। কোষাধ্যক্ষ পদে সাবেক কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন (টিউবওয়েল) ও মিজানুর রহমান (দেয়ালঘড়ি)। দপ্তর সম্পাদক পদে সাবেক দপ্তর সম্পাদক সোহাগ হোসেন (টেবিল) ও কালু মিয়া (হারিকেন)।

এছাড়া ৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে মোঃ শরীফ উদ্দীন পেয়ারা মার্কায় ৭৫ ভোট পেয়ে নিবার্চিত তার নিকটতম প্রার্থী ফরজ আলী কাঁঠাল মার্কায় ৫২ ভোট পেয়েছে। ২নং ওয়ার্ডে জাহিদুল ইসলাম ৮৮ ভোট পেয়ে নিবার্চিত। অপর প্রার্থী সেলাি মেশিন মার্কায় ৫২ ভোট পেয়েছে।  ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় আব্দুল মিয়া এবং শামীম মিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ নং মেহেদী হাসান (বেলচা) মার্কায় ৮৪ ভোট পেয়ে নিবার্চিত তার নিকটতম প্রার্থী মোঃ ওয়াসীম ফুটবল ৩২ ভোট পেয়েছে। ৬নং ওয়ার্ডে আজিজুল ইসলাম পানপাতা মার্কায় ২১২ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। অপর প্রার্থী হানিফ খঁ ২৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এছাড়া ৭ নং ওয়ার্ড থেকে হাবিব শিকদার জবাফুল মার্কায় ৬৬ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী সাইদুর রহমান  উড়োজাহাজ মার্কায় ২৯ ভোট পেয়েছেন।




আলমডাঙ্গা আল্লার দান হোটেলে দুর্ধর্ষ চুরি

আলমডাঙ্গা লালব্রীজ মোড়ে প্রতিষ্ঠিত আল্লার দান হোটেলে গভীর রাতে চোর ঢুকে হোটেলে থাকা টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। গতকাল আলমডাঙ্গা বনিক সমিতির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে চুরির ঘটনা লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে।তার অভিযোগে জানাগেছে,গত ১৩ নভেম্বর গভীর রাতে

চোরচক্র তার লাল ব্রীজ মোড়ের আল্লার দান হোটেলে ঢুকে ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে ক্যাশে থাকা টাকা ও দুইটি মাটির ব্যাংকে রাখা লক্ষাধিক টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে,যা সিসিটিভি ফুটেজ দেখা গেছে। হোটেল মালিক হাফিজুর রহমান জানান, আমি প্রতিদিনের মত গতকালও দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে গেছি। সকালে হোটেল খোলার পর জানতে পারি চোর আমার হোটেলে ঢুকে টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।

সে জানায়, প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। হোটেল মালিক হাফিজুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানার তদন্ত কর্মকর্তা হোটেলে তদন্ত করেছেন। আল্লার দান হোটেলে চুরির ঘটনায় অত্র এলাকার অন্যান্য ব্যাবসায়িগণ বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান পিপিএম জানান, আমরা চুরির ঘটনা তদন্ত করছি, অচিরেই চোর চক্র কে ধরতে সক্ষম হবো।




মেহেরপুর-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন জমা দিলেন ইঞ্জি. সোহেল রানা

মেহেরপুর-১ আসনে এনসিপি’র পক্ষ থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এবং বর্তমানে এনসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবা, শিক্ষা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করে আসছেন। মেহেরপুর অঞ্চলে তরুণদের মধ্যে নাগরিক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে তার ভূমিকা ইতোমধ্যেই আলোচিত।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “মেহেরপুর আমার জন্মভূমি। এখানকার মানুষের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে আমি কাজ করতে চাই। ন্যায়, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের রাজনীতি গড়তে এনসিপি আমার প্ল্যাটফর্ম।”

এসময় এনসিপি’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকরাও তার পাশে উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্র জানায়, তরুণ নেতৃত্ব ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কারণেই সোহেল রানাকে মেহেরপুর-১ আসনে ‘যোগ্য প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচনা করছে এনসিপি।

মোট কথা—মেহেরপুর-১ আসনে এখন নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা। সামনে ভোট, সামনে চ্যালেঞ্জ—দেখা যাক মাঠে কে কতটা খেল দেখাতে পারেন।