বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস নেবে ৫৬১ জন, আবেদন শেষ দুদিনে

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড আবারও বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ১৩ ক্যাটাগরির পদে ৫৬১ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (জিএসই) মেইনটেন্যান্স
পদসংখ্যা: ৫

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন অটোমোবাইল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন অথবা মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কমপক্ষে সিজিপিএ ৩.০ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫ (৫-এর মধ্যে) অথবা ডিপ্লোমা ডিগ্রির ক্ষেত্রে সিজিপিএ ৩.৬ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। ও লেভেলে গড়ে যেকোনো পাঁচটি বিষয়ে এবং এ লেভেলে গড়ে যেকোনো দুটি বিষয়ে ন্যূনতম বি থাকতে হবে। কম্পিউটার জ্ঞান ও ইংরেজিতে দক্ষতা বাঞ্ছনীয়। জিইডি ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য নয়। অটোমোবাইল ইকুইপমেন্ট, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও ওভারহোলিং অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ২৬,৫০০-৫৭,৯৫০ টাকা

২. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (জিএসই) প্ল্যানিং
পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন অটোমোবাইল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন বা মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কমপক্ষে সিজিপিএ ৩.০ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫ (৫-এর মধ্যে) অথবা ডিপ্লোমা ডিগ্রির ক্ষেত্রে সিজিপিএ ৩.৬ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। ও লেভেলে গড়ে যেকোনো পাঁচটি বিষয়ে এবং এ লেভেলে গড়ে যেকোনো দুটি বিষয়ে ন্যূনতম বি থাকতে হবে। কম্পিউটার জ্ঞান ও ইংরেজিতে দক্ষতা বাঞ্ছনীয়। জিইডি ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য নয়।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ২৬,৫০০-৫৭,৯৫০ টাকা

৩. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (জিএসই) কোয়ালিটি কন্ট্রোল
পদসংখ্যা: ৫

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন অটোমোবাইল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন বা মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কমপক্ষে সিজিপিএ ৩.০ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫ (৫-এর মধ্যে) অথবা ডিপ্লোমা ডিগ্রির ক্ষেত্রে সিজিপিএ ৩.৬ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। ও লেভেলে গড়ে যেকোনো পাঁচটি বিষয়ে এবং এ লেভেলে গড়ে যেকোনো দুটি বিষয়ে ন্যূনতম বি থাকতে হবে। কম্পিউটার জ্ঞান ও ইংরেজিতে দক্ষতা বাঞ্ছনীয়। জিইডি ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য নয়।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ২৬,৫০০-৫৭,৯৫০ টাকা

৪. পদের নাম: টেকনিক্যাল ওয়ার্কশপ অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ৫

যোগ্যতা: এসএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৩.০ (৫-এর মধ্যে) থাকতে হবে। ডিপ্লোমাধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সিজিপিএ ২.৮ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। ও লেভেলে গড়ে যেকোনো পাঁচটি বিষয়ে ন্যূনতম সি থাকতে হবে। কম্পিউটার জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে। জিইডি ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য নয়। অ্যারোস্পেসের ক্ষেত্রে স্বীকৃত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে চার বছর মেয়াদি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে। অ্যাভিওনিকসের ক্ষেত্রে স্বীকৃত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে চার বছর মেয়াদি ইলেকট্রিক্যাল অথবা ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১৫,৯০০-৩৮,৪০০ টাকা

৫. পদের নাম: অ্যাডমিন অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ৩৩

যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রিতে সিজিপিএ ২.৮ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৩.০ (৫-এর মধ্যে) অথবা ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সিজিপিএ ২.৮ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। ও লেভেলে গড়ে যেকোনো পাঁচটি এবং এ লেভেলে গড়ে যেকোনো দুটি বিষয়ে ন্যূনতম ডি থাকতে হবে।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা

৬. পদের নাম: প্রকিওরমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ৬

যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রিতে সিজিপিএ ২.৮ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৩.০ (৫-এর মধ্যে) অথবা ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সিজিপিএ ২.৮ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। ও লেভেলে গড়ে যেকোনো পাঁচটি এবং এ লেভেলে গড়ে যেকোনো দুটি বিষয়ে ন্যূনতম ডি থাকতে হবে। কম্পিউটার জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে। জিইডি ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য নয়। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা

৭. পদের নাম: প্ল্যানিং অ্যাসিস্ট্যান্ট জিএসই
পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বিষয়ে বিএসসি (অনার্স) ডিগ্রিধারী হতে হবে। স্নাতক ডিগ্রিতে সিজিপিএ ২.৮ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০ (৫-এর মধ্যে) অথবা ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২.৮ (৪-এর মধ্যে) থাকেতে হবে। ও লেভেলে গড়ে যেকোনো পাঁচটি বিষয়ে এবং এ লেভেলে গড়ে যেকোনো দুটি বিষয়ে ন্যূনতম ডি থাকতে হবে। কম্পিউটার জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে। জিইডি ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য নয়।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা

৮. পদের নাম: জুনিয়র পেইন্টার জিএসই
পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত কোনো ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট ট্রেডে (আর্টিসান সনদপত্রধারী প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে) এক বছরের ট্রেড কোর্স সার্টিফিকেটসহ দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা অথবা স্বীকৃত কোনো ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ন্যূনতম দুই বছরের ডিপ্লোমা বা ট্রেড কোর্স।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

৯. পদের নাম: জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই
পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান পাস। টায়ার ও টিউব মেরামতের ওপর দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

১০. পদের নাম: জুনিয়র বেঞ্চ ফিটার জিএসই
পদসংখ্যা: ৭

যোগ্যতা: ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত যেকোনো ইনস্টিটিউট থেকে এক বছরের ট্রেড কোর্স সার্টিফিকেটসহ দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা অথবা সরকার স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ন্যূনতম দুই বছরের ডিপ্লোমা বা ট্রেড কোর্স।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

১১. পদের নাম: জুনিয়র সুপারভাইজার টুলস সেন্টার
পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: কোনো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী হতে হবে। এসএসসিতে জিপিএ ৩.০ (৫-এর মধ্যে) অথবা ও লেভেলে গড়ে যেকোনো পাঁচটি বিষয়ে ন্যূনতম সি এবং ডিপ্লোমাতে জিপিএ ২.৮ (৪-এর মধ্যে) থাকতে হবে। কম্পিউটার জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

১২. পদের নাম: জুনিয়র কার্পেন্টার জিএসই
পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমান পাস।

সরকার কর্তৃক স্বীকৃত যেকোনো ইনস্টিটিউট থেকে এক বছরের ট্রেড কোর্স সার্টিফিকেটসহ দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা (আর্টিসান সনদধারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে) অথবা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ন্যূনতম দুই বছরের ডিপ্লোমা বা ট্রেড কোর্স।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

১৩. পদের নাম: ট্রাফিক হেলপার (ক্যাজুয়াল)
পদসংখ্যা: ৪৯৫

যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি পাস। নম্র-ভদ্র, কর্মঠ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। লোডিং-আনলোডিং কাজে শারীরিকভাবে সক্ষম হতে হবে। অধিক ভার উত্তোলনে কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

চাকরির ধরন
১ থেকে ১২ নম্বর পদে নির্বাচিত প্রার্থীরা প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। সন্তোষজনক তিন বছর চুক্তিভিত্তিক চাকরি সম্পন্নের পর যোগদানের তারিখ থেকে স্থায়ীভাবে আত্মীকরণ করা হবে। ১৩ নম্বর পদের নির্বাচিত প্রার্থীরা ৮৯ দিন ভিত্তিতে (শর্ত সাপেক্ষে নবায়নযোগ্য) নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা vas.query@teletalk.com.bd ঠিকানায় ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে স্বপ্নচূড়া সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

মেহেরপুরে স্বপ্নচূড়া সংগঠনের ৩য় তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী  উদযাপন আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেহেরপুর স্বপ্নচূড়া সংগঠন তহ বাজার আয়োজনে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) চারটার দিকে কাঁচা বাজার আড়ৎ প্রাঙ্গনে বাজার স্বপ্নচূড়া সংগঠনের ৩য় তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।

স্বপ্নচূড়া সংগঠনের তহ বাজার সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিরের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজন আহমেদের সার্বিক পরিচালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় করেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান।

আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্ন সংগঠন তহ বাজার মোঃ আলাল মালিথা, মোঃ নজরুল ইসলাম, এ সময় আর উপস্থিত ছিলেন অতিথিবৃন্দ মোঃ আহসান হাবীব, মোঃ আব্দুস সাত্তার, মোঃ আব্দুস সামাদ, মোঃ হাফিজুর রহমান হৃদয়, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ আবু হানিফ, মোহাম্মদ আওাব আলী, মোঃ আবুল বাশার, মোঃ জিয়ার রহমান, শ্রী অনন্ত কুমার হালদার প্রমুখ।




প্রযুক্তি খাতে কর্মচ্যুতির শঙ্কা ও সম্ভাবনা

বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অগ্রগতি কর্মসংস্থান এবং শিল্প খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। ২০২৫ সাল এআই-এর প্রসার এবং এর প্রভাব মূল্যায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে পারে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়লেও কর্মচ্যুতির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে রিজিউম টেমপ্লেটস পরিচালিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ৩০ শতাংশ কোম্পানি কর্মীর পরিবর্তে এআই ব্যবহার করেছিল, যা চলতি বছরে ৩৮ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

কর্মী ছাঁটাইয়ের বর্তমান প্রবণতা

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রযুক্তি, বিমান এবং খুচরা শিল্পে বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাই লক্ষ করা গেছে বড় কোম্পানিগুলোয়; যেমন, অ্যামাজন, বোয়িং এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস কর্মী কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। মেটা, ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি, জানুয়ারি মাসে কাজে পিছিয়ে থাকা কর্মীদের মধ্যে ৫ শতাংশ ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়। মাইক্রোসফটও দক্ষতার ভিত্তিতে কিছু কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০২৩ সালে মেটা এবং অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলো ব্যাপক ছাঁটাই শুরু করে। মেটা প্রথমে ১১ হাজার এবং পরে আরও ১০ হাজার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে। অ্যামাজন একই সময়ে ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ ধরনের ছাঁটাইয়ের একটি মুখ্য কারণ হলো এআই প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ।

এআইয়ের অগ্রগতির ইতিবাচক দিক

যদিও কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে অনেকেই চাকরি হারাচ্ছেন, এআই নতুন সুযোগও সৃষ্টি করছে। এআই-এর অগ্রগতি বিভিন্ন শিল্প খাতে দক্ষতার মান বাড়াচ্ছে। জুলিয়া টুথেকার, রিজিউম টেমপ্লেটস-এর প্রধান ক্যারিয়ার স্ট্র্যাটেজিস্ট বলেছেন, ‘এআই এমন কাজ সম্পাদনে সক্ষম, যেখানে কম সময় ও কম শ্রম প্রয়োজন। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট পদে কর্মীসংখ্যা কমাতে পারছে।’ এআই প্রযুক্তি বড় বড় কোম্পানিকে নতুনভাবে নিজেদের কর্মীবাহিনী সাজাতে সাহায্য করছে। বিশেষ করে গুগল ও মেটার মতো প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো এ প্রযুক্তির ওপর আরও মনোযোগ দিচ্ছে। এআই বিভিন্ন খাতে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করছে, যেখানে মানবীয় যোগাযোগ, সৃজনশীলতা এবং কৌশলগত চিন্তাভাবনার গুরুত্ব রয়েছে।

নতুন চাকরির সম্ভাবনা

এআই-এর উদ্ভাবন নতুন ধরনের চাকরির সুযোগ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে এমন কাজ, যা কেবল মানুষের সৃজনশীলতা ও আবেগী বুদ্ধিমত্তার ওপর নির্ভরশীল। উদাহরণস্বরূপ, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজাইন এবং স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্টের মতো কাজগুলোতে মানুষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ থেকে যাবে। এছাড়া এআই পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ পেশাদারদের প্রয়োজন হবে। এ খাতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাড়ানো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও এআই সম্পর্কিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতি

এআই-এর অগ্রগতি চাকরির বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন আনলেও এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কর্মীদের জন্য পুনঃপ্রশিক্ষণ এবং নতুন দক্ষতা অর্জন এ সময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এবং কোম্পানিগুলোর উচিত কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি কর্মসংস্থানের ধরন পরিবর্তন করছে। এআই যেখানে কিছু কাজকে অপ্রয়োজনীয় করে তুলছে, সেখানে নতুন কাজের ক্ষেত্রও তৈরি করছে। কর্মসংস্থান বাজারে এ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে প্রযুক্তিগত ও মানবিক দক্ষতার সমন্বয় করতে হবে।

সূত্র: যুগান্তর




ছয় লাখ টাকা সুদ দিয়েও পরিশোধ হয়নি পঞ্চাশ হাজার

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামের মোশারেফ মন্ডলের ছেলে শিমুল মন্ডল সুদে টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ছয় লাখ টাকা সুদে কারবারী ইসরাইলকে দিলেও মুক্তি মেলেনি আজো। অথচ তার কাছ থেকে সুদ নেয়া ছিলো মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা। আবারও টাকা দাবি করে মামলা করেছেন আদালতে।

জানা যায়, সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বড়বাড়ি গ্রামের আমজেদ আলী মন্ডলের ছেলে ইসরাইলের কাছ থেকে চাষাবাদের জন্য বিগত ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল ৫০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে নেন শিমুল মন্ডল। কিন্তু সেই টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে হারিয়েছেন স্বর্বস্ব। প্রতিমাসে সাড়ে ১২ হাজার টাকা মৌখিক চুক্তি থাকলেও আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে নিয়মিত তা পরিশোধ করতে পারেননি শিমুল। এরপর সুদে কারবারি মিমাংশা জন্য চাপ দিতে থাকে শিমুল মন্ডলকে। পরে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে সুদে কারবারি ইসরাইল। উপায়ন্ত না পেয়ে বসতভিটা বিক্রি করে সুদে কারবারীর হাতে ৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা তুলে দেন শিমুল। পরবর্তিতে আরও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করেন সুদে কারবারি। সেই দাবী পূরণ না হওয়ায় ভূয়া স্ট্যাম্পে ইসরাইলের মা ওজলা খাতুনকে বাদি করে ৫ লাখ টাকা কর্জ দিয়েছেন দাবি করে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা করেছে সুদে কারবারি। সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছে সুদে কারবারি ইসরাইল, তার বাবা, স্ত্রীকে।

ভ’ক্তভোগী শিমুল মন্ডলের পিতা মোশারেফ মন্ডল জানান, ‘৫০ হাজার টাকা নিয়ে এ পর্যন্ত ৬ লাখ টাকার উপরে সুদে কারবারি ইসরাইলকে দিয়েছি। বসতভিটা বিক্রি করে টাকা দিয়েও মুক্তি মেলেনি। জমিজমা টাকা পয়সা হারিয়ে একেবারে পথে বসে গেছি।
আমার নিকটতম পতিবেশি ইলাজ মিয়াকে দিয়ে সুদে কারবারি ইসরাইল আমার ও আমার পরিবারকে শারীরিক, মানষিক নির্যাতন সহ সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন করছে। এমনকি বিগত ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর আমার ছেলে রিপুল মন্ডলের উপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর মিথ্যা গল্প সাজিয়ে ইলাজ মিয়া আমাদের নামে ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে আমাকে এবং আমার ছোট ভাই বাবলুকে থানায় মিমাংশার কথা বলে আটক করার পরদিন আদালতে চালান করে এবং আমার ছেলে শিমুলকেও আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এতকিছুর পরও বিভিন্ন ভাবে আমার ও আমার পরিবারকে প্রাণনাশের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমরা সুদে কারবারি ইসরাইলের হাত থেকে মুক্তি চাই।

এবিষয়ে সুদে কারবারি ইসরাইল জানান, আমি ৫০ হাজার টাকা দিয়নি এ পর্যন্ত ৬ লাখ টাকার উপরে সুদে টাকা নিয়নি বলে অস্বিকার করেন। এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। শিমুল মন্ডলের সাথে আমার কোনদিন কোন লেনদেন হয়নি। অন্যদিকে আদালতে মামলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি আদালতে মামলা করেছি। সত্য মিথ্যা সব প্রমাণ হয়ে যাবে আদালতেই।




৪৪-এও মেদহীন কারিনা, ফিটনেসের রহস্য ফাঁস করলেন ডায়েটিশিয়ান

বলিউডে জিরো ফিগারের ট্রেন্ড এনেছিলেন কারিনা কাপুর। স্বাস্থ্য সচেতন এই অভিনেত্রীর বয়স এখন ৪৪-এ। এরই মধ্যে হয়েছেন দুই সন্তানের জননী। এতোকিছুর পর এখনও টানটান মেদহীন শরীর তার। তাই অনেকেই বলে থাকেন তার এমন ঈর্ষণীয় ফিটনেস দিয়ে এখনও অনায়াসে তিনি টেক্কা দিতেন পারেন হাঁটুর বয়সি নতুন অভিনেত্রীদেরও।

আর এসব কারণে সবার জানার ভীষণ আগ্রহ কারিনার ফিটনেস রুটিন কী? তার ডায়েটে কী থাকে? কেমন ভাবেই বা করেন শরীরচর্চা?

সম্প্রতি সেলিব্রিটি ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিওয়েকার প্রকাশ করেছেন কারিনার ফিটনেসে রহস্য।

কারিনা কাপুরসহ বেশ কিছু বিখ্যাত বলিউড তারকার পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকার এই বিষয়ে নানা কথা শেয়ার করেছেন। রুজুতা সোমবার একটি পোস্টে সুস্থ থাকার জন্য সঠিক নিয়মে ওজন হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন।

এই পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, ‘সঠিক নিয়ম না মেনে ওজন কমালে তা আপনার দেহের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। স্বাস্থ্যের উন্নতির পরিবর্তে এটি আপনাকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যার দিকে ঠেলে দেয়। অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই ওজন মাপার যন্ত্র থেকে সরে, হেলদি লাইফস্টাইলে মন দিন।’

দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রিনোলজিতে প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের জন্য নির্ভরযোগ্য পরিমাপ নয়।

এই গবেষণার কথা উল্লেখ করে রুজুতা বলেছেন, ‘প্রায়শই যখন আমরা ওজন হ্রাস করার জন্য কঠোর ডায়েট প্ল্যান করি বা একই ধরনের ওয়ার্কআউটের পদ্ধতি অনুসরণ করি। তখন অনেক সময়ই সুস্বাস্থ্য ও সঠিক ওজন পেতে ব্যর্থ হই। তখন আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। ওজন কমানোর দ্রুত পদ্ধতি ব্যবহার করি। তবে এটা থেকে আরও অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের মেদ কমানো এবং ফিটনেসের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

এই তিনটি বিষয় কী কী জানেন? রুজুতা তার পোস্টে জানিয়ছেন এই তিনটি বিষয় হল আকার, আকৃতি এবং ক্ষমতা।

আকার

রুজুতা ব্যাখ্যা করে বলেন, যখন আমাদের শরীরের আকার কমে যায়, তখন এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে আমরা শরীর থেকে মেদ কমিয়ে ফেলেছি।

আকৃতি

রুজুতা উল্লেখ করেছেন যে, আমাদের আকারের পরিবর্তনগুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত, প্রধানত কোমর রেখায়। এটি দেখায় যে আমরা অঙ্গগুলোর মধ্যে জমে থাকা চর্বি কমছে, এটি ভিসারাল ফ্যাট হিসাবেও পরিচিত। মেদ কমানো একটি স্বাস্থ্যকর ইঙ্গিত।

ক্ষমতা

আমাদের শরীর কতটা ক্ষমতা নিতে পারে তার দ্বারাও আমাদের স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস নির্ধারিত হয়। বেশি সিঁড়ি দিয়ে ওঠা থেকে শুরু করে শরীরের যে কোনো ধরনের ব্যথা অনুভব না করে সন্তানের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ খেলাধুলা করা বা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম করা প্রমাণ করতে পারে যে আমাদের শরীরের ক্ষমতা বেড়েছে। এটি স্বাস্থ্যকর ওজন হ্রাসের একটি সূচক।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

শীতে কাপছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। তীব্র এই শীতে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষকে একটু উষ্ণতা দিতে ঝিনাইদহে ৫’শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে এ কম্বল বিতরণের আয়োজন করে ঝিনাইদহ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি। সোমবার রাতে স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্যতম নেতা আজিজুল ইসলাম লিটনের সৌজন্যে শহরের হামদহ ট্যাংকিপাড়ায় এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ।

অনুষ্ঠান সার্বিক পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পপ্পু। সেসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এনামুল কবির মুকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম শাহজাহান আলী, আসিফ ইকবাল মাখন, কোষাধ্যক্ষ জুলফিকার হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শেখর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রুহুল আমিন পিকুলসহ অন্যান্যরা।

এসময় শহরের ৪ নং ওয়ার্ড এর ৫’শাতধিক অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। শীতে কম্বল পেয়ে অসহায় হতদরিদ্র মানুষেরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। পরে প্রধান অতিথি জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদের হজ¦ পালনের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।




হাসপাতাল ছাড়লেন সাইফ

ভর্তি হওয়ার ৬ দিনের মাথায় হাসপাতাল ছেড়েছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন পতৌদি রাজপরিবারের এই নবাব। এসময় নিজ পায়ে হেঁটে হাসপাতাল ছাড়তে দেখা যায় তাকে। খবর এনডিটিভির।

গত বুধবার গভীর রাতে পশ্চিম বান্দ্রায় নিজ ফ্ল্যাটে হামলার শিকার হন ৫৪ বছর বয়সী সাইফ। ছুরি দিয়ে ছয়বার জখম করে হামলাকারী। এতে গুরুতর আহন হন তিনি। পরে ছেলে ইব্রাহিম তাকে অটোরিকশায় করে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় তার।

এনডিটিভি জানায়, হাসপাতাল ছাড়ার সময় সাইফের সঙ্গে ছিলেন মা শর্মিলা ঠাকুর ও স্ত্রী কারিনা কাপুর। বর্তমানে সুস্থ থাকলেও সাইফকে এক সপ্তাহ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনকি ক্ষতস্থানে সংক্রমণ এড়াতে আপাতত পরিবারের বাইরে কারও সঙ্গে দেখা না করতেও বলা হয়েছে তাকে।

সাইফের হাসপাতাল ছাড়ার সময় ওই এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হাসপাতালের বাইরে অবস্থান নেন। এছাড়া রাস্তায় উৎসুক জনতার ভিড় কমাতেও কাজ করে নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, পুলিশি জেরার মুখে সাইফের ওপর হামলার দায় শিকার করেছেন অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদ।

সূত্র: যুগান্তর




চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা

ঝিনাইদহ জেলার অন্যতম প্রধান সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল। চিকিৎসক ও শয্যা সংকট, চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত ওষুধ সুবিধা না পাওয়া, দালালদের দৌরাত্ম, পরীক্ষা নীরিক্ষার অপ্রতুল ব্যবস্থাসহ নানা সংকটে ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা।

২৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হলেও উপায়ন্তর না পেয়ে ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আবার এই জনবলের বেশিরভাগ পদ শূন্য। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।

সরেজমিন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গেলে এ রকম অসংখ্য অভিযোগ করেন সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা। সরেজমিনে গিয়ে চিকিৎসক ও জনবল সংকটের সত্যতা পাওয়া যায়। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে ধারণ ক্ষমতার প্রায় চারগুন রোগী ভর্তি হওয়ার কারণে রোগীদের ঠাঁই নিতে হয়েছে মেঝেতে ও বারান্দায়। ডায়রিয়া, পেটব্যাথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মারামারি, গর্ভকালীন জটিলতা, প্রচন্ড শীতে ঠান্ডা, কাশিসহ নানান রোগে আক্রান্ত রোগীদের চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারাদিনে মাত্র একবার চিকিৎসকের দেখা মেলে। দুপুর ২টার পর হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ছাড়া পরের দিন সকালে ডাক্তার ভিজিটের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ওয়ার্ডে কোনও চিকিৎসকের দেখা মেলে না। এমনকি কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলেও তার রিপোর্ট দেখাতে হলে রোগীকে ভর্তির পর ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য স্বল্প মূল্যে সরকারিভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও জনবল সংকটের কারণে দুপুর ১টার পর থেকে হাসপাতালে আর কোনো পরীক্ষা করানো যায় না। তাই বাধ্য হয়েই দুই থেকে তিনগুণ বেশি টাকা খরচ করে বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয় রোগীদের। ওয়ার্ডের শয্যা সংকট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শৌচাগার নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন রোগীরা।

রোগীর স্বজনদের ভাষ্যমতে, গুরুত্বপূর্ণ দামি কোন ইনজেকশন, ওষুধ, লিলেন সামগ্রী, ও গজ, ব্যান্ডেজ রোগীদের দেওয়া হয়না। কম দামের দুয়েকটা ওষুধ ছাড়া বাকী সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। এদিকে বাড়তি ভোগান্তিতে যোগ হয়েছে চিকিৎসকের কক্ষের সামনে বিক্রয় প্রতিনিধিদের জটলা। তবে এ দৃশ্য কেবল সদর হাসপাতালেই নয় শহরের সকল প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারেও লেগে থাকে এসব বিক্রয় প্রতিনিধিদের ভীড়। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার ছুটির দিনের অজুহাতে চিকিৎসকরা ঠিকমতো ভিজিট করেন না। প্রতি রাতে কয়েকজন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করলেও সব ওয়ার্ডে তারা যাননা।

আবার কেউ কেউ করলেও দায়সারাভাবে রোগী দেখেন। তাই রাতে রোগীদের ভরসা হিসেবে থাকেন ওয়ার্ডবয় ও নার্সরা। কোন সমস্যা হলেই নার্সদের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়। অপরদিকে জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক থাকলেও তিনি হিমশিম খান রোগী সামলাতে।

সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা মাসুম, অপু, মেহেদী হাসান বলেন, হাসপাতালে প্রথমে এসে টিকিট কাটতে হয়। টিকিট কাটতে হলে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়। এরপর চিকিৎসকের কক্ষের সামনে অপেক্ষায় থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘন্টা। অন্য চিকিৎসকের কাছে রেফার্ড করলে সেখানেও লাইন ধরে অপেক্ষায় থাকতে হয়। আবার রোগ নির্ণয়ে টেষ্ট করাতে হলে সেখানেও টাকা জমা দেয়ার লাইনে থাকতে হয় কয়েক ঘণ্টা। টেস্ট স্যাম্পলও দিতে হয় দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষায় থেকে।

চিকিৎসা নিতে আসা আরাপপুরের রবিন বলেন, এই হাসপাতালে দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। জরুরি বিভাগে ডিপ্লোমা করা ইন্টার্নদের দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। একটু জটিল রোগী হলেই রেফার করা হয় ঢাকা কিংবা ফরিদপুরে।

হাসপাতাল অপরিচ্ছন্ন উল্লেখ করে গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘হাসপাতালের শৌচাগারে যাওয়া যায় না, একেবারে অপরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধময়।

তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, জনবল ও শয্যা সংকটের কারণে সমস্যার সৃষ্টি হলেও তারা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সাধ্যমতো কাজ করছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে ৬৪ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪১জন। এছাড়া সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ১৩টি, মিডওয়াইফ পদে ৬টি, স্টাফ নার্স পদে ২টি এবং অকুপেশনাল থেরাপিস্ট পদে একটিসহ মোট ৭৭টি শূন্যপদ রয়েছে। সূত্রমতে, প্রতিদিন ইনডারে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীকে সেবা দিতে হয়। এ ছাড়া আউটডোরে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ রোগী চিকিৎসা নেন।

এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কাগজে কলমে হেলথ এডুকেটর আলমগীর হোসেন, ডা. মোঃ ওহিদুজ্জামান, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী), ডা. মো: আব্দুল কাদের, জুনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি, আইএমও ডা. মো: এ কে এম সুয়াজেত হোসেনের পদায়ন হলেও মূলত তারা যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে সংযুক্ত আছেন। যে কারণে রোগীদের চিকিৎসা সেবার সংকট আরও বেড়েছে। ফলে ওই দুইটি বিভাগের রোগীরা সব থেকে বেশি বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে। তবে জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের চিকিৎসক এবং জনবল নির্দিষ্ট পদের থেকে কম। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে যদিও হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও সাধ্যমতো সেবা দিতে চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, নতুন দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালটিকে সেবামুখী করার লক্ষ্যে নানাবিধ উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ, দালালমুক্ত, খাবারের মানোন্নয়ন, হাসপাতাল প্রাঙ্গন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনে কাজ করে যাচ্ছি।




টাকা দেয়নি রাজশাহী, বিসিবির কাছে অভিযোগ বিদেশি ক্রিকেটারের

রাজশাহীর দুঃসময় যেন কাটছেই না। দিনকয়েক আগে ক্রিকেটাররা অনুশীলন বয়কট করেছিলেন চুক্তির অর্থ পাননি বলে। এরপর তারা মাঠে ফিরেছেন আবার। তবে এবার আর বয়কট নয়, সরাসরি বিসিবির কাছে অভিযোগ করে বসলেন শ্রী লঙ্কান ক্রিকেটার লাহিরু সামারাকুন, তার অভিযোগ, রাজশাহী কর্তৃপক্ষ এখনও তার টাকা দেয়নি।

চলমান বিপিএলে দুর্বার রাজশাহী এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে মাত্র ৩টি জয় ও ৬টি হারের মাধ্যমে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে। এর মধ্যে সামারাকুন রাজশাহীর হয়ে খেলেছেন একটি ম্যাচ।

 

সামারাকুন তার বকেয়া অর্থ নিয়ে বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছেন। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সামারাকুন হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে বিসিবি কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। বিসিবি জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ পাচ্ছে এবং বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে দেখছে।

রাজশাহীর অর্থপ্রদানের ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। দলের স্থানীয় খেলোয়াড়রা তাদের বকেয়া পারিশ্রমিকের দাবিতে চট্টগ্রামে প্রথম অনুশীলন সেশন বয়কট করেন। এমনকি তারা পরিস্থিতির সমাধান না হলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করার হুমকিও দিয়েছিলেন।

শেষ পর্যন্ত ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে খেলোয়াড়দের বকেয়া বেতনের ২৫ শতাংশ নগদ এবং আরও ২৫ শতাংশ চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। তবে সামারাকুনসহ কিছু বিদেশি খেলোয়াড় এখনও তাদের পাওনা অর্থ পাননি বলে জানা গেছে।

সামারাকুনের চুক্তির মোট মূল্য ছিল ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। পুরো বিপিএল জুড়ে তিনি রাজশাহীর হয়ে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও অর্থপ্রাপ্তি নিয়ে তার অভিযোগ বিপিএলের ব্যবস্থাপনা এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আর্থিক দায়বদ্ধতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

মেহেরপুরে তারুণের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব ১৭ বালক বালিকা উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা স্টেডিয়াম এ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষাও আইসিটি) মোঃ রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।বি শেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার পিপিএম মাকসুদা আকতার খানম।

জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদের সঞ্চালনায় এছাড়াও এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হযরত আলী, গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মোঃ মোজাফফর খানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।