মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস ও ব্যাগ বিতরণ

আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচির আওতায় উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে স্কুল ড্রেস ও ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে আমঝুপি ইউনিয়নের হিজুলী উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে এ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রোগ্রাম সুপারভাইজার রিমন মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাদ আহাম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার শিরিন আক্তার ও গাংনী উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার আল-আমিন আহম্মেদ।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহায়তায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। অনুষ্ঠানে তারুন্যের উৎসব সহ শিক্ষার্থীদের পরিস্কার পরিছন্নতা ও কেন্দ্র পরিস্কার পরিছন্নতা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এসময়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




চুলের জন্য পেঁয়াজের রস ভীষণ উপকারী, যেভাবে বানাবেন মাস্ক

আপনার চুল সুন্দর রাখতে অনেকেই অনেক কথা বলেন। কেউ বলেন, চুলের যত্নে ছোট ছোট পেঁয়াজের রস মাখুন খুব ভালো উপকার পাবেন। আবার কেউ বলেন, পেঁয়াজের রস মেখেছেন, এবার চুলের যত্নে মাস্ক মেখে দেখতে পারেন।

তবে হ্যাঁ, চুল পড়া কমাতে আর খুশকির সমস্যা দূর করতে পেঁয়াজের রস ভীষণ কার্যকর। পেঁয়াজের রস চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যদিও চুলের সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে পেঁয়াজের ব্যবহার নতুন কোনো ঘটনা নয়; কিন্তু আপনি পেঁয়াজের রস না মাস্ক— কোনটি ব্যবহার করবেন সেটি আসল কথা।

আপনি যাই ব্যবহার করুন না কেন। পেঁয়াজে রয়েছে সালফার, যা মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। আর পেঁয়াজে মেলে ভিটামিন সি, বি৯, বি৬ ও পটাশিয়াম। চুল বৃদ্ধি আর সংক্রমণ ঠেকানো এ উপাদানগুলো খুবই কার্যকর।

অনেকেই চুলে সরাসরি পেঁয়াজের রস মাখেন। অনেকে আবার তা নারিকেল তেলের সঙ্গেও মিশিয়ে নেন। তবে চুলের যত্নে কাজে আসতে পারে পেঁয়াজের মাস্কও। এখন কিভাবে বানাবেন পেঁয়াজের মাস্ক, সে বিষয়টি জেনে নিন।

পেঁয়াজের রস ও অ্যালোভেরা: চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী অ্যালোভেরা। শীতের মৌসুমে রুক্ষ কেশে আর্দ্রতা জোগাতে, খুশকির ফলে হওয়া প্রদাহ কমাতে— এ উপাদানটি সাহায্য করে। দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। এবার শ্যাম্পু করা পরিষ্কার চুলে মিশ্রণটি মেখে নিন। মাথার ত্বক থেকে চুলে তা লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।

মেথি, টক দই ও পেঁয়াজ: সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। চুলে জেল্লা ফেরাতে মেথি বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখে। মিক্সারে ভিজিয়ে রাখা দুই টেবিল চামচ মেথি, একটি ছোট পেঁয়াজ এবং দুই চামচ নারিকেল তেল নিন। যোগ করুন ফেটিয়ে রাখা টক দই। মিশ্রণটি পরিষ্কার চুলে লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। এরপর ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে শ্যাম্পু করেও নিতে পারেন।

পেঁয়াজ ও অলিভ অয়েল: একটি ছোট পেঁয়াজ নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে দিন অলিভ অয়েল। চুল বৃদ্ধি আর আর্দ্রতা বজায় রাখতে অলিভ অয়েল বিশেষ কার্যকর। বিশেষ করে রুক্ষ চুলে এই মাস্কটি বিশেষ কার্যকর। তবে পরিষ্কার চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে হালকা মাসাজ করুন। এরপর আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ায় ডাম্পার ট্রাকের চাপায় শ্রমিক নিহত, আহত ৩

কুষ্টিয়ায় বেপরোয়া গতির একটি ড্রাম্প ট্রাকের চাপায় রাজু আহাম্মেদ (২০) নামের এক নলকূপ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালীর সৈয়দ মাস-উদ রুমী সেতু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রাজু কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কামারতলা গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে। রাজু লেখাপড়ার পাশাপাশি নলকূপ শ্রমিকের কাজ করতো। এই ঘটনায় আহত শ্রমিক মিরাজুল, আসলাম এবং বিল্লাল একই এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ট্রাক ড্রাইভার সন্দেহ এক ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুন বলেন, একটি ভ্যানযোগে চারজন নলকূপ শ্রমিক কুমারখালীর কয়া থেকে কাজের জন্য কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। ভ্যানটি সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর মুখে এসে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি বালুবাহী ড্রাম্প ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাজুর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত রাজুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পরই ট্রাক চালক পালিয়ে গেলেও ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিশ।




হৃতিকের জন্মদিনে যা বললেন সাবেক স্ত্রী সুজান ও প্রেমিকা সাবা

বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশন বারবার প্রমাণ করেছেন বয়স যে শুধু একটা সংখ্যা মাত্র। কারণ অভিনেতার বয়স বাড়লেও শারীরিক গঠনে কোনো প্রভাব পড়েনি। সেই ২০০০ সালে ‘কাহো না প্যার হ্যায়’ ছবি থেকে অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল তার। প্রথম ছবিতেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।

এখনো ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে সেই একই উন্মাদনা দেখা যায়। দেখতে দেখতে হৃতিক রোশন আজ ৫১ বছর বয়সি। জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিলেন ভক্ত-অনুরাগীরা। সেই সঙ্গে হৃতিককে জন্মদিনে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানালেন সাবেক স্ত্রী সুজান খান ও বর্তমান প্রেমিকা সাবা আজাদ।

এদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পারিবারিক ছবি শেয়ার করে নেন সুজান খান। সেই ছবিতে হৃতিকের সঙ্গে রয়েছেন তার প্রেমিকা সাবা আজাদও। সেই ছবির ক্যাপশনে হৃতিকের সাবেক স্ত্রী লিখেছেন শুভ জন্মদিন। তার সঙ্গে ‘কাহো না প্যার হ্যায়’ ছবির ২৫ বছর পূর্তির উদযাপনও হোক।

অন্যদিকে সাবা আজাদও হৃতিকের সঙ্গে একগুচ্ছ সোহাগী ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে সাবা লিখেছেন সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার আরও একটি বছর পূর্ণ করার শুভেচ্ছা তোমাকে। তুমি আমার আলো। সারাজীবন আনন্দ যেন তোমাকে ঘিরে রাখে।

সাবার এই পোস্টে হৃতিককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। বলিপাড়া থেকেও বহু তারকা শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন ‘বার্থডে বয়’কে।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে হৃতিক রোশনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বড়পর্দায় আবার মুক্তি পেয়েছে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবিটি। নতুন করে সাড়া ফেলেছে এ ছবিটি। এদিকে হৃতিককে শেষ দেখা গেছে ‘ফাইটার’ ছবিতে। অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে এ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন অভিনেতা।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে বিএনপি’র দোয়া মাহফিল ও মিছিল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও মিছিল করেছে পৌর, সদর ও উপজেলা বিএনপি।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ দিকে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে পৌর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল শেষে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ রাজিব খান, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসনাত আফরোজ সহ মেহেরপুর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




‘ফাইনালি একটা ম্যাচ জিতেছি’ তৃপ্ত জাকের

ঢাকা ক্যাপিটালসের মতোই বাজে অবস্থা চলছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। হারের বৃত্তে বন্দি ছিল দলটি। দু’দলের প্রথম দেখায় তাই একটা দল হারের বৃত্ত ভাঙবে সেটাই ছিল অনুমেয়। হয়েছেই তাই। ঢাকা ক্যাপিটালসের দেওয়া ১৯৪ রান তাড়া করে চলতি বিপিএলে ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। এমন জয়ের পর ম্যাচসেরা জাকের হাসান জানালেও কতটা তৃপ্ত তিনি।

ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ২৭ বলে ৫৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন জাকির হাসান। দলকে দেখিয়ে গেছেন জয়ের পথ। যে পথ অনুসরণ করে পরবর্তীতে নিজেদের প্রথম জয় পেয়েছে সিলেট। ম্যাচ শেষে তাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন জাকের।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাকির জানালেন, ‘উইকেট ভালো ছিল। তো আমার কাছে মনে হয়েছে যে এখানে জোনে পড়লে মারা যাবে। আমি ওইভাবেই পরিকল্পনা করার চেষ্টা করেছি। প্রথম ইনিংসে যেহেতু ওরা ব্যাটিং করেছে। উইকেটটি দেখে নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আর আমার যেগুলো জোনে পেয়েছি ওগুলো চেষ্টা করেছি হিট করার।’

চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয় কতটা স্বস্তির সেটা জানিয়ে জাকের বলেন, ‘অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক, কারণ দল আশা করছিল যে আমরা একটা ম্যাচ জিতব। ফাইনালি আমরা একটা ম্যাচ জিতেছি। সবচেয়ে বেশি যেটা বলব যে দর্শকরা অকল্পনীয় সমর্থন করেছে পুরো আসরজুড়ে। সবসময় ফুল প্যাকড দর্শক থাকছে। তো খুব উপভোগ করছি। আরও দুটি ম্যাচ বাকি আছে (ঘরের মাঠে), তো ওগুলো জিততে পারলে ভালো লাগবে।’

ম্যাচ জেতানো এই ইনিংসটি জাকির উৎসর্গ করেন সিলেটের দর্শকদের জন্য, ‘ওইভাবে উৎসর্গ করতে চাই না। করলে এখন আপাতত আমাদের ভক্তদের করতে চাই। ওরা আমাদের অনেক সমর্থন করছে, একটু আগে যা বললাম। তাই এই ফিফটি আমি দর্শকদের উৎসর্গ করতে চাই।’

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে পল্লী বিদ্যুৎ নিয়োগ পরীক্ষায় ৮ জনের কারাদণ্ড

অসৎ উপায়ে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (এমআরসিএম) পদে নিয়োগ পরিক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ৮ জনের ঠাই হলো শ্রীঘরে। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক তাদের তিন দিনের কারাদন্ডাদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন জেল হাজতে।

দন্ডিতরা হলেন, দিনাজপুর জেলার পিরগঞ্জ উপজেলার ধুনোট গ্রামের গিরিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে খগেন চন্দ্র রায়, একই জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ব্রাম্মনভিটা গ্রামের মোটা বাবুর ছেলে শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ জেলার ধুবনী বাজার এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে নুর মওলা, ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার পবহাটি পাড়া গ্রামের দিলীপ দেবনাথের ছেলে দিবস দেবনাথ, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার গুজুক গ্রামের মৃত মুন্নার ছেলে রফিকুল ইসলাম, শেরপুর জেলার সদর উপজেলার টাঙ্গারিপাড়া গ্রামের নাজিমুদ্দীনের ছেলে গোলজার হোসেন, নিলফামারী জেলার জলঢাকা দক্ষিণ বাগুনাপাড়া গ্রামের নুরুল হকের আরিফুল ইসলাম ও শেরপুর জেলা সদরের খানুয়াচারপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে রাকিবুল হাসান সজীব।

গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্তরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে তিন দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা শারমিন দৃষ্টি।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা শারমিন দৃষ্টি বলেন, অসৎ উপায়ে অন্যের হয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এমআরসিএম পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে দঃবিঃ ১৮৬০ সালের ১৮৮ ধারার অপরাধে দোষি সাব্যস্ত করে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৭(২) মোতাবেক প্রত্যেককে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির আওতায় বিদ্যুতের মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার (এমআরসিএম) ৭০ টি পদের বিপরিতে নিয়োগ পরিক্ষায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আবেদনকারী অংশ নেন। এর মধ্যে অন্যের হয়ে অসৎ উপায়ে প্রক্সি দিতে এসেছিলেন দন্ডিতরা। গতকাল শুক্রবার সকালে মেহেরপুর সরকারি বালক বিদ্যালয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।




কলা চাষে লক্ষ টাকা আয়ের আশা সোনা মিয়ার

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামের কলা চাষী সোনা মিয়া ৩ বিঘা জমিতে চাপা জাতের কলা চাষ করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয়ের আশা করছেন।

উদ্যোক্তা সোনা মিয়া বলেন, আমি পড়াশোনা করেছি কিন্তু বাবার সাথে ছোট বেলা থেকেই মাঠে আসা। কৃষক পরিবারের সন্তান আমি। কৃষি কাজ দেখতে দেখতে একরকমের ভালবাসা তৈরি হয়ে গেছে । আমি আমার ৩ বিঘা জমিতে চাপা জাতের কলা চাষ করেছি, এছাড়া আমার পেয়ারা বাগান, পেঁপে বাগান, ভুট্টা ও অন্যান্য চাষ রয়েছে।

চাপা জাতের কলা চাষ করেছি এর কারণ এই জাতের কলায় রোগ বালাই খুবই কম। কারণ এর আগে আমি বগুড়ার শবরি জাতের কলা চাষ করেছিলাম কিন্তু পানামা রোগের কারণে লোকসান হয়েছিল। চাপা কলার রোগবালাই কম এবং দুই থেকে তিনবার ফল নেওয়া যায়। কারণ এই জাতের কলা গাছ রোপণ করলে এর আশেপাশে দিয়ে অটোমেটিক চারা তৈরি হয়। চাপা জাতের কলায় পরিচর্যা খরচ কম হওয়ার বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করলেই প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব বাজার দর ভালো থাকলে।

গাছ রোপণ সম্পর্কে জানায়, এই জাতের গাছ ৪/৫ হাত দূরত্ব বজায় রেখে রোপণ করতে হবে এবং চারা রোপণের সময় জৈবসার, বরুণ এবং দানাদার বিষ গর্তে দিতে হবে। রোপণের পর মাঝে মাঝে এসে বাগানের আগাছা পরিস্কার করার পাশাপাশি সেচ দিতে হবে। একটু যত্ন নিলেই অধিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব বলে আমি আশা করছি।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃষক সমাবেশ

সার সিন্ডিকেট বন্ধসহ ১২ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শৈলকুপা উপজেলা কৃষক কল্যাণ সমিতির নেতৃন্দের উদ্যোগে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সিনিয়র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোঃ কেরামত আলীর সভাপতিত্বে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা কৃষক কল্যান সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মুসা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষক কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল ইসলাম ডন, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কৃষক নেতা মোহাম্মদ তুহিন মিঞা। কৃষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, শৈলকুপার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের রহমত এলাহী মিঠু, হাকিমপুর ইউনিয়নের সেলিস হোসেন, মনোহরপুর ইউনিয়নের খুশি খাতুন, মির্জাপুর ইউনিয়নের ইউনুসসহ অন্যান্যরা।

সেসময় বক্তারা বলেন, সিন্ডিকেট করে কৃত্তিম সার সংকটের কারনে কৃষক এবং কৃষি খাতে ধ্বংস নামতে পারে। ন্যায্যমূল্যে কৃষকরা যেন সময়মত সার পায় এবং সার ক্রয়ের মেমো দিতে হবে। ১ মন হিসেবে ৪০ কেজির বেশি ওজন নেওয়া বন্ধ করতে হবে। সেই উৎপাদিত ফসলের মূল্য নির্ধারিত থাকতে হবে। এছাড়াও ভর্তুকি বাড়িয়ে ডিজেলের দাম কমাতে হবে। আলোচনা সভা শেষে শৈলকুপা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়।




ফোনে বিরক্তিকর অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসলে যা করবেন

বর্তমানে সময় প্রায় প্রতিটা মানুষের হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে থাকা বন্ধুও মুহূর্তে নাগালে চলে আসে এর বদৌলতেই। কিন্তু প্রযুক্তিকে শুধুই আশীর্বাদ ভাবলে ভুল হবে, এর সমস্যাও রয়েছে প্রচুর। প্রযুক্তিকে অস্ত্র করেই চলছে বহু প্রতারণা চক্র। না বুঝে অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফোন রিসিভ করেও বহু মানুষ প্রতিদিন বিপদে পড়েন।

প্রতিদিন প্রায় সবার কাছেই প্রচুর অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। রিসিভ করলে কেউ লোন নেওয়ার প্রস্তাব দেন। কেউ আবার চাকরি বা অন্য কিছুর অফার দেন। অনেককে লোন সংক্রান্ত ফোন করে রীতিমতো কড়া বার্তা দেওয়া হয়। এই ফোনগুলোর নেপথ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকে জালিয়াতরা। সব সময় অপরিচিত নম্বর দেখলেই তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।

তাহলে কীভাবে বাঁচবেন এদের হাত থেকে? সবার আগে নজর করতে হবে, কোন নম্বর থেকে ফোন আসছে। যদি দেখেন কান্ট্রি কোডে +088 (বাংলাদেশ) ছাড়া অন্য কিছু রয়েছে, তাহলে সেই ফোন এড়িয়ে যান। বেশকিছু নম্বর যা দেখলেই বোঝা যায় যে আর পাঁচটির থেকে তা আলাদা, সেগুলোও এড়িয়ে যান। ভুলেও কল ব্যাক করবেন না।

তবে আগেই বলা হয়েছে এড়িয়ে যাওয়া সবসময় সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ট্রু কলার অত্যন্ত উপযোগী। এই অ্যাপে নিমেষে দেখে নিতে পারবেন যে নম্বর থেকে ফোন আসছিল, সেটি কার। সেটি স্প্য়াম নম্বর হলে তাও দেখতে পারবেন। এরপর ব্লক বা রিপোর্ট তো আপনারই হাতে। মূল কথা সতর্ক থাকতে হবে প্রতিমুহূর্তে।

সূত্র: যুগান্তর