শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর চেয়ে মেহেরপুরে এনসিপি’র গণমিছিল

শেখ হাসিনার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মেহেরপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম প্রধান সমন্বয়ক, ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সংগঠক ও জেলা প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সাকিল আহমেদের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর ও গণহত্যায় শেখ হাসিনার সহযোগীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলটি জেলা এনসিপির কার্যালয় থেকে বড় বাজার চার রাস্তার মোড় ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

মিছিল শেষে সমাবেশে অ্যাডভোকেট সাকিল আহমেদ বলেন, অবিলম্বে নির্বাচনের পূর্বে ভারত থেকে খুনি হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি দিতে হবে। ভারতকে বলবো আপনাদের সঙ্গে যে বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে তা মেনে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিন, না হলে বাংলাদেশের সঙ্গে আপনাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। বাকি আসামিদেরও ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার ঠেকাতে হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

এসময় জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. আরিফ খান, আসিক রাব্বি, সদস্য (সংগঠন/দপ্তর) মো. হাসনাত জামান সৈকত, সদস্য (অর্থ) মো. তামিম ইসলাম, সদস্য (লিয়াজোঁ) মাহাবুব ই তৌহিদ রবিন, সদস্য (প্রচার) আমির হামজা, সদর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী হাসমত উল্লাহ, সদস্য মুবারক হোসেনসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় মৃত্যুসংবাদে আসার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল চাচাতো বোনের

আলমডাঙ্গার সাংবাদিক সাহাবুল হকের মা মোরিয়োম খাতুন (৬৮) মৃত্যুবরণ করেছেন। মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে দাফনকার্যে অংশ নিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তাঁর চাচাতো বোন লাভলী খাতুন। একদিনে একই পরিবারের দুইজনের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মুনছুর আলির স্ত্রী মোরিয়োম খাতুন দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ পুত্র, ৪ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলার ভগীরথপুর গ্রাম থেকে চাচাতো বোন লাভলী খাতুন স্বামীর মোটরসাইকেলযোগে দুর্লভপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে ভালাইপুর মোড় পেরিয়ে চিৎলার মাঠ এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়দের সহায়তায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই পরিবারের দুইজনের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারিতে বাড়িতে শোকের মাতম নেমে আসে। সাংবাদিক সাহাবুল হকের অন্ধ পিতার কান্নায় এলাকায় বেদনাবিধুর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

গত সোমবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মরহুমা মোরিয়োম খাতুনের জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গার সিনিয়র সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম আজম, কবি ও সাংবাদিক গোলাম রহমান চৌধুরী, আতিক বিশ্বাস, আশাদুল মেম্বার, মুনছুর মেম্বার, রুহুল আমিন মেম্বার, রাজ্জাক আলি, আজিজুল হক, তুহিন হোসেন, ইকরামুল মন্ডল, রিপন আলি প্রমুখ।




কোটচাঁদপুরে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল 

একাধিক অভিযোগে কোটচাঁদপুর সরকারি খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর, জুতা নিক্ষেপসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তারা এসব কর্মসূচি পালন করেন।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর সরকারি খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শেখ মো. আমানুল্যাহ। তিনি যোগদানের পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষক, কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগ বারবার তাঁকে অবহিত করা হলেও তিনি কোনো প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেননি। এ কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পাশাপাশি গণস্বাক্ষর গ্রহণ, অধ্যক্ষের নামের ওপর জুতা নিক্ষেপসহ একাধিক কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় কলেজের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়ে দুই দিনের সময় চান।

কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র হাবিবুর রহমান বলেন, অধ্যক্ষ আমানুল্যাহ যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। তিনি ছিলেন শাহবাগী ব্লগার এ নিয়ে তিনি একটি বইও লিখে প্রকাশ করেছেন। তিনি কলেজের ছাত্রী ও ম্যাডামদের বোরখা নিয়ে কটূক্তি করেন, এমনকি নবী, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়েও মন্তব্য করেন। এসব বিষয়ে তাঁকে বারবার জানানো হলেও তিনি আচরণ পরিবর্তন করেননি। তাই আজকের আন্দোলন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা আমাদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। দুই দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। দাবিপূরণ না হলে আন্দোলন চলবে।

এসময় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী আলী হাসান, ফায়েজ আহম্মেদ, ইমন হোসেনসহ প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল অধ্যক্ষকে অপসারণের প্ল্যাকার্ড, মুখে ছিল স্লোগান। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস।

কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অধ্যক্ষ বিবাহ প্রথায় বিশ্বাসী নন, বহু কামিতায় বিশ্বাসী এ নিয়ে প্রতিবাদ করেও কোনো ফল হয়নি। তিনি ছাত্রী ও ম্যাডামদের বোরখা নিয়ে কটূক্তি করতেন এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়েও মন্তব্য করতেন। শাহবাগ আন্দোলনের সময় তিনি ব্লগার ছিলেন এবং এ বিষয়ে একটি বই লিখে ২০২৪ সালে প্রকাশ করেন। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ ছিল। তারই বহিঃপ্রকাশ আজকের বিক্ষোভ।

তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের অপসারণের দাবিও শিক্ষার্থীরা তুলেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুই দিনের সময় নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অধ্যক্ষ শেখ মো. আমানুল্যাহর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ বলেন, আমি আজই যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও খোঁজ নিয়ে দেখছি কী ঘটেছে।




গাংনীর কাথুলী সীমান্তে ২৪ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ২৪ জন বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কাছে হস্তান্তর করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১৩২/৩ এস এর সামনে তেইরপুর এলাকায় এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। তারা হলেন শরিফুল ইসলাম (৪৭),  নিলিমা বেগম (৪১),  আব্দুর রহিম (১৪),  আদুরী খাতুন (৮), আশিক বিশ্বাস (১৬), রাতুল হোসেন (২১), কুলছুম খাতুন (১৮), উজ্জ্বল হোসেন (২), রেজাউল (৪০), জনি আহম্মেদ (১৮), রকিব হোসেন (২১), জিহাদ (২০), আবুবক্কর সিদ্দিক (২৪), হাসান আলী (২৬), জিন্নাত আলী (৩৪), জাফর চাপরাশি (৩৯), রাছেল হাওলাদার (২৭), আকতার হোসেন (৩২), রাজু (৩১), সিমা বেগম (৩১), শান্তা আক্তার (২৭), কাজী জসিম উদ্দিন (৪৭), লিলি খাতুন (৪৩) ও আছিয়া আক্তার (৮)।

পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে কাথুলী কোম্পানির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. কামরুজ্জামান এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের নদীয়া জেলার তেহট্টার ৫৬ ব্যাটালিয়নের তেইরপুর কোম্পানি কমান্ডার এসি আনচ কুমার উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি জানায়, এসব ব্যক্তি দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। সেখানে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজিবির কাছে ফেরত দেয়।

কাথুলী বিজিবির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার কামরুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে সবাইকে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, হস্তান্তর হওয়া ২৪ জনকে থানায় রাখা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।




দামুড়হুদায় বিএনপির লিফলেট বিতরণ ও তাৎক্ষণিক সভা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর স্টেশন বাজারে বিএনপির লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে এক তাৎক্ষণিক সভার আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জয়রামপুর স্টেশন সংলগ্ন সিদ্দিকী মার্কেটের সামনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু। প্রধান বক্তা ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী।

জয়রামপুর ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সম্পাদক মো. মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আবুল হাসেম।

হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক রুস্তম, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান তোতা, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান, হাউলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফারুক হোসাইন বাবু, সাধারণ সম্পাদক তামিম হোসেনসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

সভায় বক্তারা বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা ও মা-বোনসহ সকল ভোটারের ভোট নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য। বক্তারা অভিযোগ করেন, জনসাধারণকে একটি দল বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে; তাই মা-বোনসহ সবাইকে সচেতন করতে নিয়মিত মাঠে থাকতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সময়ে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি, বিজিএমইএ সভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত আছেন। তিনি একজন সৎ ও যোগ্য মানুষ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপি সভাপতি হিসেবে তাকে পেয়ে তারা গর্ববোধ করেন এবং তার নেতৃত্বে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভা শেষে জয়রামপুর হাঁট এলাকায় বিএনপির লিফলেট বিতরণ করা হয়।




ঝিনাইদহে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন

বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে ঝিনাইদহে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রানিসম্পদ কার্যলয় হতে একটি র‌্যালি বের হয়।

র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিন করে একই স্থানে শেষ হয়। পরে জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যলয়ের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ এস এম আতিকুজ্জামান, অতিরিক্ত জেল প্রাণি সম্পদ অফিসার ডাঃ মীনাক্ষী নাগ, দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক আলাউদ্দীন আজাদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ কামরুজ্জামান, ভেটেনারি অফিসার ডাঃসঞ্জীব কুমার বিশ্বাস ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাগণ ও ওষুধ পরিদর্শক মোঃ একরামুল করিম।




ঝিনাইদহে প্রবাসী মাহাবুব হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহে প্রবাসী মাহাবুব হোসেন হত্যা মামলায় আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার কালা গ্রামে ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কে এ মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।

এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী অংশ নেয়। মানববন্ধনে নিহতের পিতা সাব্দার বিশ্বাস, ভাই রুবেল হোসেন, স্ত্রী শম্পা খাতুন, খালা ছবেদা খাতুন, পদ্মাকর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আতিক হোসেন মল্লিক, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহন জমাদ্দারসহ এলাকাবাসী বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা বলেন, প্রবাসী মাহাবুব হোসেন হত্যার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও মাত্র ১ জন আসামী গ্রেফতার হয়ে। বক্তারা দ্রুত বাকি আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান। গত শনিবার সকালে সদর উপজেলার কালা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন কম্বোডিয়া প্রবাসী মাহাবুবকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় রোববার রাতে নিহতের ভাই রুবেল হোসেন বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।




গাংনীর ঢেপা-পাঙ্গাসিপাড়ায় দুইটি গরু চুরি, উদ্বেগ-শঙ্কায় গ্রামবাসী

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঢেপা-পাঙ্গাসিপাড়ায় দুইটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গভীর রাতে একটি গোয়ালঘরের তালা ভেঙে এইড়ে ও গাভিন জাতের দুইটি গরু চুরি করেছে চোরের একটি সংঘবদ্ধ দল।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আগের মতো রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিতে হবে, এমন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গতকাল সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মানিক মিয়ার গোয়ালঘরের তালা ভেঙে দু’টি গরু নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ভোরে মানিকের ছোট ছেলে গোয়ালে গিয়ে দেখতে পায় দরজা খোলা, আর ভেতরে গরু নেই। গোয়ালঘরে মোট তিনটি গরু ছিল। চোরেরা একটি ষাড় ও একটি গাভি গরু চুরি করে নিয়ে গেলেও বাছুরটিকে ফেলে গেছে। সকালে সবাই গিয়ে দেখে—বাছুরটি এক কোণে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে, নির্বাক চোখে তাকিয়ে আছে ফাঁকা গোয়ালের দিকে।

গরুর মালিক মানিক হোসেন বলেন, রাত ১০টার দিকে পাড়া থেকে বাড়ি ফিরে গোয়াল পরিষ্কার করে গরু বেঁধে তালা লাগাই। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। সকালবেলা ছেলে বলে—‘বাবা, গরু নেই’। তখন দেখি তালা ভাঙা। চুরি হওয়া দুই গরুর মধ্যে একটি ষাড় ছিলো, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা, আর গাভি গরুটির মূল্য প্রায় ৭৫ হাজার টাকা বলে দাবি করেন তিনি।

মানিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, যত্ন করে, কষ্ট করে গরুগুলো বড় করছিলাম। এভাবে যদি চুরি হয়, গরু পালবো কিভাবে? এ ধরনের বড় ধরনের ক্ষতি সামাল দেওয়া তাদের জন্য খুবই কঠিন।

এ ঘটনায় গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম দুশ্চিন্তা দেখা গেছে। অনেকেই রাতের ঘুম হারাম করে পাহারার প্রসঙ্গ তুলেছেন। তাদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে ভয় ও ক্ষোভের চিত্র।

সেলিম হোসেন নামের এক গ্রামবাসী বলেন, এভাবে যদি চুরি হতে থাকে তাহলে কেউই নিরাপদ থাকবে না। আবার কি আগের মতো রাতে লাঠিসোটা নিয়ে গ্রামের সবাইকে পাহারা দিতে হবে?

শফিকুল ইসলাম নামের আর একজন বলেন, কয়েক বছর আগে চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় পুরো গ্রাম পালা করে পাহারা দিতাম। এখন আবার সেই দিন ফিরে আসবে কিনা, এই চিন্তায় সবাই।

ঘটনার খবর পেয়ে সকালে গাংনী থানার এস আই শিমুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা গোয়ালঘরের ভাঙা তালা, গরু রাখার স্থান ও আশপাশ ঘুরে দেখেন।

এস আই শিমুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আশেপাশের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে চোর সনাক্তকরার চেষ্টা চালাচ্ছি। চুরি যাওয়া গরু উদ্ধার ও চোরদের আইনের আওতায় আনার জোর চেষ্টা চলছে।




তথ্য বাতায়নের বিভ্রান্তি ও অসামঞ্জস্যতা দূর হোক

মেহেরপুর, বাংলাদেশের এক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জনপদ, যার রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতি। ব্রিটিশ আমল থেকেই এই অঞ্চলের সংবাদচর্চার ঐতিহ্য বিদ্যমান।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের সম্পাদনায় ১৯৪৮ বঙ্গাব্দে ‘ইসলাম প্রচারক’ এবং ১৯১২ বঙ্গাব্দে ‘সুলতান’ নামে দুটি পত্রিকা প্রকাশিত হওয়ার তথ্য এর ঐতিহাসিক গুরুত্বকেই তুলে ধরে। অথচ, বর্তমানে জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “মেহেরপুর একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এলাকা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে এখানে কোন দৈনিক বা পাক্ষিক পত্রিকা চালু নেই।”

এই বাক্যটির ঠিক নিচেই আবার ‘দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন’ এবং ‘দৈনিক আমাদের সূর্যোদয়’ নামের দুটি পত্রিকার তালিকা, তাদের সম্পাদক, ঠিকানা এবং যোগাযোগ নম্বরসহ দেওয়া আছে, যা বর্তমানে সক্রিয় হিসেবে প্রতীয়মান। এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য কেবল বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করে না, বরং স্থানীয় সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের গুরুত্বকে খাটো করে।

জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট, সরকারি তথ্যের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে বিবেচিত। এমন একটি স্থানে পরস্পরবিরোধী তথ্য থাকা পেশাদারিত্বের অভাব এবং তথ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে নির্দেশ করে। একদিকে বলা হচ্ছে, কোনো দৈনিক বা পাক্ষিক পত্রিকা চালু নেই, অন্যদিকে দুটি সক্রিয় দৈনিকের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দেওয়া হচ্ছে। এই অসঙ্গতি থেকে দুটি প্রশ্ন উঠে আসে: প্রথমত, উল্লেখিত পত্রিকা দুটি কি সত্যিই চালু আছে নাকি নেই? দ্বিতীয়ত, যদি চালু থাকে, তবে কেন ওয়েবসাইটে এমন ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে?

সংবাদপত্র একটি সমাজের দর্পণ। এটি স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং জনজীবনের প্রতিচ্ছবি বহন করে। মেহেরপুর জেলায় বর্তমানে দুটি দৈনিক পত্রিকা চালু আছে, যা নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। এর একটি ‘দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন’ এবং অপরটি ‘দৈনিক আমাদের সূর্য়োদয়’। পত্রিকা দুটি নিয়মিত প্রকাশিত হয় এবং মানুষের তথ্য চাহিদা পূরণ করে চলেছে, অথচ তাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা বা ভুলভাবে উপস্থাপন করা গুরুতর ত্রুটি।

এই ধরনের তথ্যের অসামঞ্জস্যতা কেবলমাত্র স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের হতাশ করে না, বরং সাধারণ মানুষ, গবেষক এবং জেলার বাইরে যারা মেহেরপুর সম্পর্কে জানতে চান, তাদের মধ্যেও ভুল ধারণা তৈরি করে। এটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গুরুত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। একটি জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব হলো তার আওতাধীন সকল তথ্য নির্ভুল ও হালনাগাদ রাখা, বিশেষ করে যখন তা জনগুরুত্বপূর্ণ হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই অসামঞ্জস্যতা দূর করা। ওয়েবপেজের প্রথম বাক্যটি সংশোধন করে সত্য তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। এর ফলে তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে এবং সরকারি ওয়েবসাইটের প্রতি জন আস্থা বাড়বে।

প্রশাসনিক দুর্বলতা, তথ্য ব্যবস্থাপনার ত্রুটি অথবা অসাবধানতা – যে কারণেই এই অসামঞ্জস্যতা থাকুক না কেন, এটি দ্রুত নিরসন হওয়া জরুরি। মেহেরপুরের গণমাধ্যম ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে এবং বর্তমানের সংবাদমাধ্যমগুলোকে সঠিক মূল্যায়ন করতে নির্ভুল তথ্যের কোনো বিকল্প নেই।

এই ছোট অসঙ্গতি হয়তো অনেকের চোখে নাও পড়তে পারে, কিন্তু এটি একটি বৃহত্তর চিত্রের অংশ যা তথ্যের সঠিকতা ও স্বচ্ছতার গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিষয়ে নজর দেবেন এবং মেহেরপুরের সংবাদপত্রের সঠিক চিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরবেন।




মেহেরপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন

মেহেরপুর মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি সোনা, সম্পাদক মতিয়ার পুননির্বাচিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোট গণনা শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় সুত্রে নির্বাচনের এ ফলাফল জানাগেছে।

নির্বাচনে ১৫ টি পদের বিপরীতে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ২ হাজার ৯৯৮ জন ভোটারের মধ্যে ২ হাজার ৪৯৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আহসান হাবীব সোনা (চেয়ার) ১ হাজার ৭১৯ ভোট পেয়ে পুননির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী বকুল হোসেন (ট্রাক্টর) পেয়েছেন ৬৮৮ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান (ডাব) ১ হাজার ২৩৪ ভোট পেয়ে পুননির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী সাখওয়াত হোসেন সবুজ (মোবাইল) পেয়েছেন ১ হাজার ১৯৬ ভোট।

কার্যকরী সভাপতি পদে সাজেদুর রহমান সাজু (গাভী) ৮৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী সৈয়দ রাকেশ হাসান (ফুটবল) পেয়েছেন ৭১১ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী শাহিন আলী টুটুল (ঈগল পাখি) ১২২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আলমগীর হোসেন (ছাতা) পেয়েছেন ৭৮৬ ভোট।

যুগ্ম সম্পাদক পদে এরশাদ আলী (ঘোড়া) ১ হাজার ৪৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী নাসিম ইসলাম (কলস) পেয়েছেন ৪৮৭ ভোট ।

সহ সাধারণ সম্পাদক পদে ফরহাদ হোসেন তুষার (গরুর গাড়ি) ১ হাজার ১২০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী সেন্টু শেখ (মাইক) পেয়েছেন ৯৭২ ভোট।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রমেজ উদ্দীন (সেলাই রেঞ্জ) ১২১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী আফসারুল ইসলাম (হারিকেন) পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট।

সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চাঁদ আলী (মাছ) ১ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী চঞ্চল শেখ (মই) পেয়েছেন ১ হাজার ৫২ ভোট।

কোষাধ্যক্ষ পদে মাহাবুব এলাহী (গোলাপ ফুল) ৯৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী মোফাজ্জেল হোসেন (চাঁদতারা) পেয়েছেন ৬২২ ভোট।

শ্রমিক কল‍্যাণ সম্পাদক পদে মাহাবুব হোসেন রিপন (হরিণ) ১২৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী খাইরুল ইসলাম (টায়ার) পেয়েছেন ৮৮৭ ভোট।

লাইন সম্পাদক পদে মুন্না ( টুপি) ৭৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী মুরসালিন (পানি জাহাজ) পেয়েছেন ৭২৪ ভোট।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রমিজ উদ্দিন (সেলাই রেঞ্জ) ৯২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রার্থী শাহিন আলী (হাতি) পেয়েছেন ৭৯৫ ভোট।

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বকুল শেখ (ট্রাক্টর) ৭৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী চাঁদ আলি (মাছ) পেয়েছেন ৬৯১ ভোট। শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক পদে রেজাউল হক (কবুতর) ৫৪৭ ভোট নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী মাহবুব হোসেন রিপন (হরিন) পেয়েছেন ৫২২ ভোট।

প্রচার সম্পাদক পদে ইয়ারুল ইসলাম (রিক্সা) ১ হাজার ৩৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী সুমন (টেলিভিশন) পেয়েছেন ৬৩৩ ভোট। লাইন সম্পাদক পদে সোহেল রানা সজিব (মোটরসাইকেল) পদে ৮০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী মুরছালিন (পানি জাহাজ) পেয়েছেন ৭৪৫ ভোট।

এবং সদস্য পদে শরিফুল ইসলাম (খেজুর গাছ) ৯৭৫ ভোট, মহিন শেখ (টিউবয়েল) ৭২৮ ভোট এবং খবিরুল ইসলাম (ভ‍্যান) ৫৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।