দামুড়হুদায় মা-মেয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সদরের গুলশানপাড়ায় মা-মেয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ির ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন গুলশানপাড়ার ইটভাটা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ছালেহা খাতুন (৫৭) এবং তাঁদের মেয়ে দামুড়হুদা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক উম্মে তাসমিমা কুলছুম টনি (৩৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে বাড়ির চারতলা ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে জিআই তার দিয়ে আড়া তৈরি করার সময় ছালেহা খাতুনের হাত ফসকে তারটি পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের মেইন লাইনে গিয়ে পড়ে। এতে হাতে থাকা তারে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে মা ও মেয়ের শরীরে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে শরীরের অনেকাংশ পুড়ে গেলে তারা গুরুতর আহত হন।

পরিবারের লোকজন ও ভাড়াটিয়ারা চিৎকার শুনে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠান।

আহতদের স্বজন দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশীদ জানান, আমার ভাবী ও মেয়ে ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। জিআই তার হাত ফসকে বিদ্যুৎ লাইনে ঠেকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনেই গুরুতর দগ্ধ হন।

দামুড়হুদা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কাপড় মেলার আড়া তৈরি করতে গিয়ে হাত ফসকে জিআই তার পাশের মেইন লাইনে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।




দামুড়হুদায় নির্বাচনী পথসভায় বাবু খানের আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনী পথসভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুর আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির এবং প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনিরুজ্জামান মনির বলেন, দেশে আজ ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র হুমকির মুখে। জনগণের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আছি। বাবু খানের আগমন শুধু একটি পথসভা নয়, এটি হবে জনগণের জাগরণের বার্তা। আমরা হাউলী ইউনিয়ন থেকে নতুন উদ্যমে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

প্রধান বক্তা রফিকুল হাসান তনু বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আগামী দিনের ভোট হবে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। বাবু খানের এই সফর হাউলী ইউনিয়নের বিএনপি কর্মীদের নতুন প্রেরণা দেবে। সকল নেতাকর্মীকে শৃঙ্খলা বজায় রেখে এই পথসভা সফল করার আহ্বান জানাচ্ছি।

হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আবুল হাসেম, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক রুস্তম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেনসহ হাউলী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড বিএনপির সুপার ফাইভ নেতৃবৃন্দ।

সভা শেষে বাবু খানের আগমনকে ঘিরে নানা প্রস্তুতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জানা গেছে, বুধবার বেলা ৩টায় লোকনাথপুর হেলিপোর্ট মাঠে নেতা-কর্মীরা মাহমুদ হাসান খান বাবুকে রিসিভ করবেন। এরপর প্রথম পথসভা অনুষ্ঠিত হবে হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর চৌধুরী পাড়া ঈদগাহ মাঠে।

পরবর্তীতে একে একে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের পুড়াপাড়া, জয়রামপুর ইয়ুথ ক্লাব, ডুগডুগি পশুহাট সংলগ্ন এলাকা, ছোট দুধপাতিলা এবং সবশেষে বড় দুধপাতিলায় নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হবে।




প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটানোই আমাদের মানবিক দায়িত্ব

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে অসহায় ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম বলেন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা আমাদের সমাজেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের মুখে হাসি ফুটানোই আমাদের প্রকৃত মানবিক দায়িত্ব। প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসন সবসময় সমাজের পিছিয়ে পড়া ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের উন্নয়নে কাজ করছে। এ ধরনের উদ্যোগ তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করবে।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পার্থ প্রিতম শীল, উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স্থানীয় সরকার, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মুখে আনন্দের ঝলক ফুটে ওঠে। উপজেলা প্রশাসনের এমন মানবিক উদ্যোগ উপস্থিত সকলের প্রশংসা কুড়ায়।




চুয়াডাঙ্গায় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় অক্সিজেন সিলিন্ডারে রিফিল ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ না থাকায় দুইটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের বড়বাজার এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে সদর উপজেলার নতুন বাজার ও বড়বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলা অভিযানে নিত্যপ্রয়োজনীয় রোগীর জন্য ব্যবহৃত গ্যাস, শিশুখাদ্য ও অন্যান্য পণ্যসামগ্রী তদারকি করা হয়।

অভিযানকালে অক্সিজেন সিলিন্ডারে রিফিল ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪৫ ধারায় জনাব শেখ আজিম উদ্দিনের প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেঙ্গল গ্যাস-কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ এবং উৎপাদনকারীর যথাযথ তথ্য না থাকায় রঙিন চিপস বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৩৭ ধারায় মো. ফারুক হোসেনের প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিঠুন স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সর্বমোট দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।

অপরদিকে বড়বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে হলুদ রং ব্যবহার করে ভেজাল মুগডাল বিক্রি হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা হয়। তবে বাজারে বিদ্যমান মুগডালে কোনো ক্ষতিকর রঙের মিশ্রণ পাওয়া যায়নি।

এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ত্রুটিসমূহ সংশোধনের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং ক্ষতিকর রঙ মিশ্রিত মুগডাল ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান। সহযোগিতায় ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল, ক্যাব প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম ও পুলিশের একটি টিম।




গাংনীর সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করলেন ডিসি

মেহেরপুর জেলার এসএসসি ও এইচএসসিতে শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাংনীর সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ড. মো. আবদুল ছালাম।

গতকাল সোমবার বেলা ১১ টার দিকে বিদ্যালয়ে আগমন করলে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবু জাফর তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।

ডিজিএম জেলা প্রশাসক প্রথমে সন্ধানী নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, সত্যিকারের সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। যে কাজ করবেন, তা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে, এখন আমাদের সেবা দেওয়ার দায়িত্ব।

পরিদর্শনের সময় তিনি বিজ্ঞান ল্যাবরেটরি ঘুরে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের আরও নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান ঢাকার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তুলনীয় এবং কোনো দিক থেকে কম নয়।

ডিজিএম শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পেশাজীবী হিসেবে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সহ বিভিন্ন সম্ভাব্য পেশার দিক তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভালভাবে পড়াশোনা করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভাল মানুষ হওয়াও জরুরি। যদি ভাল মানুষ না হও, তবে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগবে না।

ডিজিএম জেলা প্রশাসক সন্ধানী সংস্থা ও সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ড. মোকলেছুর রহমান এবং প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করা জাপানি দাতাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এছাড়া সংস্থার বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিদ হোসেন, সহকারী কমিশনার শেখ তৌহিদুল কবীর, সন্ধানী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবু জাফর, কলেজ অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান এবং মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল আলম বকুল।




দামুড়হুদার নতিপোতায় কৃষকের হাতে কৃষি কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় চাহিদামত সার না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষক আব্দুল কাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দীনকে লাঞ্ছিত করেছেন। ঘটনা ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নতিপোতা বাজারে। কৃষক আব্দুল কাদের উপজেলার নতিপোতা গ্রামের মনির উদ্দীনের ছেলে।

উপ-সহকারী কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন এ ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নতিপোতা বাজারে বিসিআইসি সার ডিলার মের্সাস শাহিন আক্তারের দোকানে সার বিক্রি চলছিল। কৃষক আব্দুল কাদের দুই নামে ২০ কেজি করে মোট ৪০ কেজি টিএসপি সার ক্রয় করেন।

এই সময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন সার বিক্রয় তদারকি করছিলেন এবং ডিলারের পাশে কৃষকদের সঙ্গে রবি মৌসুমের সার ব্যবস্থাপনা ও চাষাবাদ নিয়ে আলাপচারিতা করছিলেন। এরই এক ফাঁকে কৃষক আব্দুল কাদের আচমকা নাসির উদ্দীনকে মাথায় আঘাত করেন। নাসির উদ্দীন জানান, চাহিদামত সার না পাওয়ায় কৃষক ক্ষিপ্ত হয়ে এই আচরণ করেছেন।

অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, তিনি অফিসে ছিলেন না, তবে বিষয়টি শুনে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র জানান, সন্ধ্যায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




কিডনী রোগে আক্রান্ত দর্শনার মিনা রাণী বাঁচতে চাই 

দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের রেললাইনপাড়ার শ্রী মন্টু কুমার এর স্ত্রী, হরিজন সম্প্রদায়ের ৩ সন্তানের জননী মিনা রাণী (৩৫) কিডনী রোগে আক্রান্ত। তার শরীরের দুটি কিডনী নষ্ট হয়ে গেছে এবং বর্তমানে শুধু মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

মিনা রাণীকে বাঁচতে হলে একটি কিডনীর পাশাপাশি নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হবে। কিন্তু গরীব ও অসহায় পরিবারের হওয়ায় চিকিৎসার খরচ জোগানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

তার স্বামী মন্টু কুমার ও কন্যা ঋতু সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। যারা কিডনী দান করতে বা আর্থিক সহায়তা করতে ইচ্ছুক, তারা বিকাশ একাউন্ট ০১৭৮৭-৩৫৪৫২৫ এ যোগাযোগ করতে পারেন।




গাংনীতে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে মনোনয়নপত্র দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

গতকাল সোমবার বিকেলে মিছিলটি গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু এবং পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা।

মিছিলে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা “অবৈধ মনোনয়ন মানি না, মানবো না”, “অপ্রত্যাশিত মনোনয়ন বাতিল চাই”, “মিল্টন ভাইয়ের মনোনয়ন চাই” স্লোগান দেন।

মিছিলে বক্তারা বলেন, জাভেদ মাসুদ মিল্টন মেহেরপুরের ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা, তাই দলের স্বার্থে তাঁকেই মনোনয়ন দিতে হবে।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডাম সুমন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, ষোলটাকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিসহ জেলা, উপজেলা, পৌর বিএনপি এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী।




গাংনীতে বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেনের নির্বাচনী গণসংযোগ 

মেহেরপুরের গাংনীর কাথুলি ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন। গতকাল সোমবার বিকেলে নওয়াপাড়া গ্রামে এ গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমার ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে। কিন্তু আমার কোনো ভুলভ্রান্তি মনে রেখে ধানের শীষকে ভুলে গেলে চলবে না। ধানের শীষ প্রতীক মেহনতী মানুষের প্রতীক। ধানের শীষ মানে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। এই ধানের শীষের প্রতীককে রক্ষা করতে গিয়ে আপনারা গত ১৬ বছর বিভিন্ন সময়ে জেল জুলুম হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধানের শীষকে বিজয়ী করলেই মানুষের মুক্তি মিলবে, দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। তাই সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীককে ভোট দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান মাস্টার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, আমজাদ হোসেন একজন সৎ ও যোগ্য নেতা। ২০০৮ সালে এমপি থাকাকালীন সময়ে তাকে নানা নির্যাতন, জেল, জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। এসব বিবেচনায় কেন্দ্র তাকে এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। যেকোনো মূল্যে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এই আসনটি উপহার দিতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান, কাথুলি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, গাংনী পৌর জাসাসের সদস্য সচিব সুলেরী আলভি, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুর রহমান বুলবুল, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মফিজুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি রেজওয়ান হক ইমন, গাংনী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সহ সভাপতি সোহেল রানা, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক সেবকদলের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল হাসান শাওন, কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হুসাইন সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এই গণসংযোগে স্থানীয়দের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে প্রার্থী ভোটারদের কাছে তার মনোনয়ন ও নির্বাচনী পরিকল্পনা তুলে ধরেন।




গাংনীতে লাখ টাকায় নির্মিত “আমাদের গাংনী” ফলকের উদ্বোধন

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গাংনী উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীরে এক লাখ দশ হাজার টাকায় নির্মিত “আমাদের গাংনী” ফলকের উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে এই ফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম।

গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কমসূচীর আওতায় গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস এই ফলক নির্মাণ করেছে। ফলকটি মূলত গাংনী উপজেলার পরিচিতি ও সমৃদ্ধি তুলে ধরতে নির্মিত হয়েছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিদ হোসেন, সহকারী কমিশনার শেখ তৌহিদুল কবীর, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

ফলকের মাধ্যমে স্থানীয় ও বাইরে আগত মানুষের মধ্যে গাংনীর পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।