দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এসিল্যান্ড তাসফিকুর রহমানের বিদায় সংবর্ধনা

দামুড়হুদা যেন এক জনবান্ধব, কর্মদক্ষ ও মানবিক এসিল্যান্ডকে হারালো। বদলিজনিত কারণে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলায় যোগদান করেন। তিনি প্রশাসনের ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। অল্প সময়ের কর্মকালেই তিনি সততা, দক্ষতা ও জনবান্ধব আচরণের মাধ্যমে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের আস্থা অর্জন করেন।

অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি কেবল একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নয়, বরং সাধারণ মানুষের একজন আপন মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর সততা, আন্তরিকতা ও নিরলস পরিশ্রমে বদলে যায় উপজেলা ভূমি অফিসের চিরচেনা চিত্র। তাঁর কর্মকালীন সময়ে ভূমি অফিসে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০ হাজারেরও বেশি জমির খারিজ সম্পন্ন করেন এবং প্রায় ৭ শতাধিক মিসকেস নিষ্পত্তি করেন। পাশাপাশি তিনি অসংখ্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ভূমি-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও সেবামুখী ভূমি অফিস গড়ে তুলতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বিদায় সংবর্ধনায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান একজন ব্যতিক্রমধর্মী ও মানবিক কর্মকর্তা ছিলেন। সাধারণ মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করাই ছিল তাঁর কাজের মূল লক্ষ্য। তাঁর অদম্য কর্মদক্ষতা ও আন্তরিকতায় তিনি দামুড়হুদা উপজেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।

বিদায় বক্তব্যে কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান বলেন, দামুড়হুদা আমার কর্মজীবনের একটি স্মরণীয় অধ্যায়। এখানকার মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা ও সহযোগিতা দিয়েছেন, তা আমি আজীবন মনে রাখব। আপনাদের সবাইকে আমি খুব মিস করব। আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

সংবর্ধনা শেষে তাঁর সুস্বাস্থ্য, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও কর্মজীবনে সাফল্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। বিদায়ের মুহূর্তে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং অনেকের চোখে অশ্রু ঝরে পড়ে।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একজন দক্ষ, সৎ ও জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে কে. এইচ. তাসফিকুর রহমানের অবদান দীর্ঘদিন এ উপজেলায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, সাধারণ সম্পাদক তানজির ফয়সাল, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান কাজল, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য তাছির আহমেদ, হাবিবুর রহমান হবি, মেহেদী হাসান, আরিফুল ইসলাম মিলন এবং সদস্য আব্দুল খালেক, শেখ হাতেম, জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।




লাশ দেখতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন কোটচাঁদপুরের কলেজ ছাত্রী তামান্না

ঝিনাইদহে মেস মালিকের লাশ দেখে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হলেন মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছুক তামান্না খাতুন (২০)।

রবিবার ( ১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। তামান্না ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের কন্যা।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, তামান্না সরকারী কেসি কলেজে পড়ার সময় ঝিনাইদহ উপশহর পাড়ার আব্দুল মতলেব নামে এক বাসা মালিকের মেসে থাকতেন। রবিবার সকালে ওই মেস মালিকের মৃত্যু সংবাদ শুনে তামান্না তার বাবার সাথে তাকে দেখতে আসেন।

লাশ দেখে ফেরার পথে শহরের পাগলা কানাই এলাকায় পার হওয়ার সময় তার গলার উড়না মোটর সাইকেলের চাঁকায় পেচিয়ে তামান্না রাস্তায় পড়ে যায়, এসময় পিছন থেকে একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে সাথে সাথে তার মৃত্যু ঘটে। পরে তামান্নাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।

তামান্না এবছর এইচএসসি পাশ করে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। মেধাবী এই ছাত্রীর মৃত্যু সংবাদ শুনার সাথে সাথে পরিবার জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।




ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার সকাল ১০ টায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুর রহমানের সভাপত্বি অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মাহফুজ আলফাজ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা পিএএ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা।

বক্তব্য রাখেন, পিপি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এ এস মশিউর রহমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামালুজ্জামান, ডাঃ মিথিলা ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আয়ূব হোসেন রানা, জামায়াতের জেলা আমীর আলী আজম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর এ এইচ এম মোমতাজুল করিম, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন এবং ছাত্র প্রতিনিধি সাইদুর রহমান।

প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৭১ সালে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের জীবন দিয়ে আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন,তাদের অবদান কখনও ভুলবার নয়।




দর্শনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

দর্শনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় দর্শনা সরকারি কলেজের আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দর্শনা সরকারি কলেজের তিনজন শিক্ষক অধ্যক্ষ মোঃ লতাফত হোসেন জোয়ার্দ্দার, অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক মোঃ নাসীর উদ্দিনকে কলেজ থেকে পাকবাহিনী ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আজও ওই তিনজন শিক্ষক নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের স্মরণে আজ শনিবার দর্শনা সরকারি কলেজের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শুরুর আগে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাহমুদুল হাসান এবং গীতা পাঠ করেন অন্তর। আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে পরাজিত শত্রুরা এ দেশকে মেধাশূন্য করতে আমাদের সূর্যসন্তানদের বাড়ি বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। একইভাবে দর্শনা সরকারি কলেজের তিনজন শিক্ষককেও কোথাও নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়, কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের, দর্শনা পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয়ক ইকবাল হোসেন, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি হারুন অর রশিদ, বিএনপি সমন্বয়ক মাহবুবুল ইসলাম খোকন, দর্শনা থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান টুকু, দর্শনা পৌর আমির সাইকুল ইসলাম অপু এবং বিএনপির অন্যতম নেতা খন্দকার আব্দুল মুন্নাফ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন মোফা, ছাত্রশিবিরের সভাপতি হামজা ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক পলাশ আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মুকুল হোসেন।




মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত, এক ক্লিকেই জানুন ফলাফল

অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ।

এর আগে ফলাফল চূড়ান্ত করতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় বসেন। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় ওএমআর মেশিনে খাতা মূল্যায়ন শেষে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থীদের কলেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ফলাফল দেখুন:শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে ফলাফল জানতে পারবেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dgme.gov.bd), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dghs.gov.bd) এবং সরাসরি (https://result.dghs.gov.bd/) লিংকে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। ওয়েবসাইটে ‘MBBS Result 2025-2026’ অপশনে গিয়ে রোল নম্বর সাবমিট করলেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেখা যাবে। এছাড়া ওয়েবসাইটের নোটিশ বোর্ডে মেধাতালিকার পিডিএফ কপিও প্রকাশ করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এই ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ছেলে ৪৯ হাজার ২৮ জন এবং মেয়ে ৭৩ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৯৮.২২ শতাংশ।

এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজ মিলিয়ে মোট আসন রয়েছে ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০টি এবং ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ১টি এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি আসন রয়েছে।

সূত্র: DUAA NEWS




ঝিনাইদহে কাবাডি প্রতিযোগিতার সমাপনী ও ফুটবল প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহে প্রমীলা কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ সদরের ফজর আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। দিনব্যাপী খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উক্ত খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয় ফজর আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এবং রানার্সআপ হয় মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।

একই দিনে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৫-২০২৬ এর আওতায় ঝিনাইদহ জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণের (অনূর্ধ্ব-১৫) উদ্বোধন করা হয়।

উক্ত কাবাডি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও ফুটবল প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া অফিসার আমানুল্লাহ আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনেয়ারা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুজ্জামান ঝন্টু, ছাত্র প্রতিনিধি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, দর্শনার্থীবৃন্দ। মাসব্যাপী (২১ টি সেশনে) ফুটবল প্রশিক্ষণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০ জন বালক ফুটবলার অংশগ্রহণ করে।




দামুড়হুদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দামুড়হুদায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রবিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সভাকক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কর্মকর্তা উবায়দুর রহমান সাহেল ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও মত প্রকাশ করেন।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উবায়দুর রহমান সাহেলের সভাপতিত্বে নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট পরে অনুষ্ঠান শুরু করা হলেও হাতে গোনা মাত্র ৬/৭ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মশিউর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিলীমা আক্তার হ্যাপী, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান হয়তো শুরু করাই সম্ভব হতো না। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের আদর্শ ও দেশপ্রেম নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয় এবং তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সভায় উপস্থিত সবাই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মামুনুর রশিদ।




মেহেরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবির।

আলোচনা সভার আগে সকালে মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম শাখাপী ইবনে সাজ্জাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. নজরুল কবীর, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।




গাংনীর বামুন্দিতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র নিহত, আহত-২

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ (১৮) নামের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছে ২ জন।

রবিবার সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো: কমিরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। আহতরা হলেন, মেহেরপুরের আব্দুল বাকীর ছেলে অভিক আহমেদ(২৮), শয়ন আলী (১৬)।

স্থানীয়রা জানান, রাকেশ আহমেদ তেরাইল থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত গতিতে বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি দ্রুত গতির মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।ঘটনাস্থলে রাকেশ গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত শয়নের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আহত অভি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তিনি আরও বলেন, বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে অটো ভ্যানগুলো যত্রতত্র অবস্থায় রাখার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।তবে প্রশাসনিকভাবে এর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে দুর্ঘটনার সংখ্যা আরো বাড়বে।

বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, বামন্দী বাসস্ট্যান্ড সড়ক দুর্ঘটনায় একজন স্কুল ছাত্র মারা গেছে। আরও দুজন আহত হয়েছে।

বামন্দী বেসরকারি সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মুজিবনগরে ৩৬শে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ

মুজিবনগরে ৩৬শে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জুলাই যুব উন্নয়ন ক্লাবের আয়োজনে আজ শনিবার বিকেলে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স ফুটবল খেলার মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২৩শে অক্টোবর ১৬টি দল নিয়ে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম রাউন্ড, দ্বিতীয় রাউন্ড, সেমিফাইনাল এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা শেষে শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল। ফাইনাল খেলায় মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর সীমান্ত ক্লাব একাদশ, মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া নোমান টেলিকম একাদশকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে ৩৬শে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট সিজন-১ এর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জুলাই যুব উন্নয়ন ক্লাবের সভাপতি আরিফ খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের জাতীয় নাগরিক পা৬র্টি (এনসিপি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাকিল আহমেদ, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সি ওমর ফারুক এবং জুলাই যুব উন্নয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম।

৩৬শে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি আড়াই মণ ওজনের ষাঁড় গরু, রানার্সআপ দলকে দুই মণ ওজনের ষাঁড় গরু এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ২৫ কেজি ওজনের একটি খাসি ছাগল উপহার দেওয়া হয়।

ফাইনাল খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ, ম্যান অব দ্য সিরিজ এবং শ্রেষ্ঠ গোলকিপারের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

২৫শে জুলাই ফুটবল টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই খেলাটি মুজিবনগর এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। প্রতিটি খেলায় হাজার হাজার দর্শক মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স ফুটবল খেলার মাঠে ভিড় করে খেলা উপভোগ করেন। শনিবারের ফাইনাল খেলায় মুজিবনগর উপজেলা ছাড়াও মেহেরপুর ও আশপাশের জেলা থেকে কয়েক হাজার দর্শক সমবেত হন।

দর্শকদের আগ্রহ ও উপস্থিতি দেখে জুলাই যুব উন্নয়ন ক্লাবের সভাপতি আরিফ খান ঘোষণা দেন যে, ২০২৬ সালের ৫ই আগস্ট ৩৬শে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট সিজন-২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে।

এবং প্রতিবছরই ৩৬শে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আসর মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স ফুটবল ম্যাচ খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।