মুজিবনগরে জামায়াত প্রার্থী তাজউদ্দিন খানের গণসংযোগ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন মেহেরপুর-১ আসন (মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর) জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী তাজউদ্দিন খান।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাজউদ্দিন খান পরানপুর গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ তাকে স্বাগত জানায়। এ সময় তিনি গ্রামজুড়ে ঘুরে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নেন এবং ন্যায়ভিত্তিক, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত দেশ গঠনে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

গণসংযোগ শেষে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় মহাজনপুর ইউনিয়ন আমির আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণে, ন্যায় ও নীতির ভিত্তিতে একটি সুন্দর সমাজ গঠনে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা পেলে আমরা উন্নত ও সুশাসনভিত্তিক সমাজ গড়তে সক্ষম হবো।

পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামী বায়তুল মাল সেক্রেটারি জারজিস হোসাইন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা,

সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম,‌ মুজিবনগর উপজেলা আমির খানজাহান আলী, সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, মুজিবনগর উপজেলা নায়েবে আমির মাওলানা ফিরাতুল ইসলাম নাঈম, উপজেলা পেশাজীবী বিভাগের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন, উপজেলা বায়তুল মাল সেক্রেটারি আমির হোসেন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি ফজলুল হক গাজী এছাড়াও জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মী এবং পরানপুর গ্রামের সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মুজিবনগরে দোয়া মাহফিল

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মুজিবনগরে মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে কেদারগঞ্জ বাজারের রামনগর মোড়ে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে দেশনেত্রীর দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজির, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাজন, দপ্তর সম্পাদক লিজন আলী, মিরপুর ছাত্রদলের সভাপতি তৌফিক এলাহী, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আফিরুল ইসলাম,

এছাড়া মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রদল, মেহেরপুর কলেজ ছাত্রদল ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকসহ ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।




১০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে ছেলে

দীর্ঘ ১০ বছর আগে চা খাবার কথা বলে নিজ বাড়ী থেকে বের হয়ে আজও বাড়িতে ফিরে আসেনি ফিরোজ মিয়া নামের এক বৃদ্ধ। ফিরোজ মিয়া বিগত ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর মাগুরা সদর উপজেলার রায়গ্রাম তার নিজ বাড়ী থেকে চা খাবার কথা বলে বের হয়ে আজও বাড়ীতে ফেরেনি।

তার ছেলে নাহিদুজ্জামান ঐ বছরের ৪ নভেম্বর মাগুরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার ডায়েরী নম্বর-১৯৫। তার পরও তার বাবাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। হারিয়ে যাবার সময় ফিরোজ মিয়া’র বয়স ছিলো ৬৬ বছর। দীর্ঘ ১০ বছর আগে চা খাবার কথা বলে নিজ বাড়ী থেকে বের হয়ে হারিয়ে যাওয়া বাবাকে ঝিনাইদহে খুঁজে বেড়াচ্ছে ছেলে নাহিদুজ্জামান।

বর্তমানে ফিরোজ মিয়া’র বয়স প্রায় ৭৬ বছর হবে। ছোটবেলার স্মৃতি মনে করে দীর্ঘ ১০ বছর পর নাহিদুজ্জামান তাঁর বাবাকে খুঁজতে ঝিনাইদহ জেলা শহরে এসেছে।

নাহিদুজ্জামান এর সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর তাঁর বাবা চা খাবার কথা বলে নিজ বাড়ী থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। সে সময়ই নিকটতম আত্মিয়-স্বজনের বাড়িসহ অনেক জায়গাতে খোঁজাখুঁজি করেও তার বাবার কোন সন্ধান পায়নি। আমার মা মনোয়ারা বেগম, বোন পপি খাতুন, আমি ও আমার ভাই রোকনুজ্জামান রকি বাবাকে না পেয়ে মানবেতর এবং উৎকন্ঠার মধ্যদিয়ে দিনযাপন করে আসছি। এমনকি আমরা পরিবারের সকলেই আমার বাবাকে না পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।

নাহিদুজ্জামান জানায়, তাঁর বাবা হারিয়ে যাওয়ার সময় গায়ে সাদা রঙ্গের গেঞ্জি ও পড়নে সবুজ রঙ্গের লুঙ্গী পরিহিত ছিলো। তার বাবার গায়ের রং ফসাঁ, মুখে ছোট ছোট চাপ দাঁড়ি ছিলো। শরীরের স্বাস্থ্য হালকা পাতলা ,উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ডান ও বাম পায়ে দূর্ঘটনার দাগ আছে।

তিনি আরও জানান, আমার বাবা ফিরোজ মিয়াকে ফিরে পাওয়ার আশায় এখন ঝিনাইদহ জেলা শহর এলাকায় খোঁজাখুঁজি করছি। আমাদের ধারণা ঝিনাইদহ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, নড়াইল, ঢাকা, ফরিদপুর, রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকাতে থাকতে পারে আমার বাবা। এছাড়াও আমি আমার বাবাকে দেশের বিভিন্ন জেলাতে আজ দশ বছর ধরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে বাড়িতে ফিরে আসি।

যাতে আমি আমার বাবাকে ফিরে পেতে পারি এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বর্তমানে আমার বাবা বেঁচে আছে কিনা সেটাও আমরা জানিনা, যদি বেঁচে থাকে তাহলে আমরা আমার বাবাকে ফিরে পেতে পারি সেই কামনায় করি মহান আল্লাহর কাছে। যদি আমার বাবাকে কেউ দেখে থাকেন বা পেয়ে থাকেন তাহলে আমার ০১৮৬৭-৮৩২৩৯৩ নাম্বার মোবাইলে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি। অথবা আপনার নিকটতম থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।




ঝিনাইদহে পরিবারকল্যাণ কর্মীদের ১০ দিনের কর্মবিরতি

নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহে ১০ দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মীরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সদর উপজেলা কার্যালয়সহ বিভিন্ন উপজেলায় কর্মবিরতি দিয়ে অবস্থান নেয় পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ সহকারীররা। আন্দোলনকারীরা পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ বর্জনের ঘোষণা দিয়ে অবস্থান নেন।

সেসময় পরিবার কল্যাণ সহকারী রেহেনা পারভীন, কেয়া রানী প্রামানিক, পরিদর্শক জিয়াউর রহমান, পরিদর্শিকা অর্চনা রানী বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা বলেন, পরিবারকল্যাণ কর্মীরা প্রসূতি স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিসেবা, টিকাদান কর্মসূচিসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অথচ চাকরি রাজস্ব খাতে থাকলেও কোনো পদোন্নতি হচ্ছে না।

তাই দ্রুত নিয়োগবিধি-২০২৪ বাস্তবায়ন করার দাবী জানান তারা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।




ঝিনাইদহে আদিবাসী যুবককে কুপিয়ে জখম

ঝিনাইদহে অতর্কিত ভাবে হামলা করে কুপিয়ে জখম করেছে সুফল বিশ্বাস(৩৫) নামের এক আদিবাসী যুবককে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার হরিপুর গ্রামের হুমোদরপুর বিলে এ ঘটনা ঘটায় দুবৃর্ত্তরা। আহত সুফল বিশ্বাস সদর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের বিষ্ণু বিশ্বাসের ছেলে।

সুফলের বাবা বিষ্ণু বিশ্বাস বলেন, গতকাল বিকেলে আমার ছেলে সুফল মাছ ধরতে পার্শ্ববর্তী হুমোদর বিলে যায়। সেসময় হরিপুর গ্রামের আজিবরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

সদর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য ফন্ট্রের নেতৃবৃন্দ।




লটারিতে মেহেরপুরের ৩ থানায় নতুন ওসি

আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ৬৪ জেলায় সকল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদলি করা হয়েছে। মেহেরপুরের তিন থানায়ও নতুন ওসি পদায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় হুমায়ন কবির, গাংনী থানায় উত্তম কুমার দাস এবং মুজিবনগর থানায় জাহিদুল ইসলামকে ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গার বেলগাছিতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামে সোহেল রানা (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার ভোরের দিকে বেলগাছি গ্রামের খরার মাঠে তার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।

নিহত সোহেল বেলগাছি গ্রামের বকচরপাড়ার আসাবুল হকের ছেলে। পেশায় তিনি কৃষিকাজ করতেন।

নিহতের পিতা আসাবুল হক বলেন, স্থানীয় তাহেরের ছেলে ফারুকের সঙ্গে পেয়ারা বাগানের একটি পেয়ারা গাছের ডাল ভাঙা কিংবা পেয়ারা খাওয়া নিয়ে সোহেলের দ্বন্দ্ব হয়। তাদের মধ্যে মারামারি হয় এবং সোহেলকে হত্যার হুমকি দেয় ফারুক। এরই জেরে ফারুক আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি বলেন, ব্যক্তিগত শত্রুতা বা পূর্ব কোনো বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, একজন যুবককে জবাই করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।




কোটচাঁদপুরে ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ট্রাকের ধাক্কায় আনিসুর রহমান (৪৫) নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে কোটচাঁদপুর তাল মিলের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত আনিসুর রহমান কোটচাঁদপুর থানায় ওয়ারলেস অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও তিনি মোটরসাইকেলে মহেশপুর থেকে থানায় আসছিলেন। পথিমধ্যে তাল মিলের সামনে পৌঁছালে রাহাত-প্রান্ত নামের একটি ট্রাক পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত আনিসুর রহমান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রামনগর এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানভির জামান বলেন, “ট্রাকের ধাক্কায় আহত পুলিশ সদস্যের মেরুদণ্ড ও পায়ে মারাত্মক আঘাত লাগে। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।” নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, “আনিসুর রহমান থানায় কর্মরত ছিলেন। বাসা মহেশপুর হওয়ায় সেখান থেকেই আসা-যাওয়া করতেন। সকালে থানায় আসার পথে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ঘটনার পর ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।




দামুড়হুদায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার মডেল মসজিদে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

দোয়া মাহফিলে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজকরা জানান, বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া লাইফ সাপোর্টে থাকায় সারাদেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলার নেতাকর্মীরাও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তার দ্রুত সুস্থতার জন্য এ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

দোয়া শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত আরোগ্য দান করেন।” স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, সামনে আরও দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হবে।

জেলা উলামা দলের সদস্য সচিব হাফেজ মো: মাহবুবুল আলম এর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আবুল হাসেম। হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন,নোতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,নাটুদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি,কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক একরামুল হক, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুল হক সবুজ, সদস্য সচিব এমডি কে সুলতান, দামুড়হুদা থানা উলামা দলের সভাপতি হাফেজ রায়হান, যয়েন্ট সেক্রেটারি হাফেজ মো: জাকারিয়া আলম, হাউলী ইউনিয়ন উলামা দলের সভাপতি আবু হাসান, মডেল মসজিদের পেশ ঈমাম মামুনুর রশীদ। দোয়ার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা দলের সদস্য নাজমুল হাসান বিপ্লবী।




সম্পাদকীয় ।। জাল সনদে বেতন নেওয়া শিক্ষকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে

শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড, একটি জাতির ভিত্তি বলা হয়। শিক্ষকদের নৈতিকতা, সততা ও আদর্শই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনের মূলে থাকে।

সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচ শিক্ষক দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জাল বিএড সনদ ব্যবহার করে অতিরিক্ত বেতন গ্রহণ করেছেন। এ খবর শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ও সম্মানকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এবং একই সঙ্গে সরকারি টাকা আত্মসাতের মধ্যে ফৌজদারী অপরাধও বটে। যা চাকরিবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি এমপিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে জাল সনদ দেখিয়ে তারা উচ্চতর স্কেলে বেতন গ্রহণ করে আসছেন। অথচ বাস্তবে তারা বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যশোর কেন্দ্র থেকে এখনো বিএড অধ্যয়নরত এবং মাত্র প্রথম সেমিস্টার শেষ করেছেন। এই তথ্য নিজেই প্রমাণ করে তারা সুস্পষ্ট প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সরকারি তহবিল থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

অধিকতর উদ্বেগজনক হলো, বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক আখি তারা খাতুন জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অপরাধে জেল খেটে এসেছেন, তবুও হাজিরা ছাড়া তাকে বেতন প্রদান করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদে থেকে এ ধরনের অনিয়মে সমর্থন দেওয়া কেবল নৈতিক অধঃপতন নয়, বরং প্রশাসনিক ক্ষমতার স্পষ্ট অপব্যবহার।

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যখন শিক্ষকই অনিয়মের মাধ্যমে সুবিধা গ্রহণ করেন, তখন শিক্ষার্থীদের কাছে সততা ও নৈতিকতার যে শিক্ষাটি দেওয়ার কথা, তা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ঘটনা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা, নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও আর্থিক শৃঙ্খলা—সবই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। তিনি বলেছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অতিরিক্ত বেতন সরকারি কোষাগারে ফেরত আনা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এই অনিয়ম পাঁচ বছর ধরে কীভাবে চললো? পর্যবেক্ষণ, অডিট ও তদারকি ব্যবস্থায় কি কোনো ঘাটতি ছিল? ইতিপূর্বে যারা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এমনকি শিক্ষা কর্মকর্তারা কি সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেননি এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রধান শিক্ষকসহ ওই পাঁচ শিক্ষকের নিয়োগের ক্ষেত্রে যারা ভূমিকা পালন করেছেন তাদেরও এ জবাদদিহীতার মধ্যে আনতে হবে।

এই ঘটনার দ্রুত, নিরপেক্ষ ও কঠোর তদন্ত হওয়া জরুরি। কেবল অতিরিক্ত টাকা ফেরত আদায়ে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; বরং এমন উদাহরণ তৈরি করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক বা প্রশাসনিক ব্যক্তি জাল সনদ বা প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার সাহস না পায়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৈতিকতার চর্চার জায়গা। এখানে ভুয়া সনদ, বেতন জালিয়াতি এবং কর্তৃপক্ষের গাফিলতি—সব মিলিয়ে যে অস্থির চিত্র ফুটে উঠেছে, তা এখনই সংশোধন না হলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।