আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ

আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের উদ্যোগে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের আয়োজন করা হয়। গতকাল সকাল ১০ টায় আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: মফিজুর রহমান। শিক্ষক পরিষদের সহ:সম্পাদক ড. মো: মহবুব আলম। সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সহকারি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মোনয়েম, খন্দকার  ইকবাল হাসান,  রাহাত আরা, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ মহিতুর রহমান।

এছাড়াও বক্তব্য দেন, প্রভাষক জেসমিন আরা খানম, মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ বাছের আলী, মোঃ তাপস রশীদ, মোঃ মাকসুদুর রহমান, মোঃ আনোয়ারুজ্জামান, মোঃ আব্দুল হাই  মোঃ আব্দুল মালেক, ছাত্রদলের  সরকারি কলেজ শাখার আহবায়ক শাওন, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, অপর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রতিনিধি মোঃ সাদী হাসান। এসময় তিনি বলেন, “শিক্ষা সাম্য ও অধিকারভিত্তিক ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের পক্ষ থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ছাত্রপক্ষ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাবে।

এ-সময় তিনি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন আপনারা রাজনীতি করুন বা না করুন রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে গড়ে উঠবেন এই প্রত্যাশা করি। এখানে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাসসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনও রয়েছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের দলের সাথে কাজ করুন এবং নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করুন। সকলে মিলে আমরা আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে একসাথে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।”

এ-সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সম্পাদক রাকিব মাহমুদসহ কলেজ নেত্রীবৃন্দ।




দামুড়হুদায় সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি, প্রেসক্লাবে জরুরি সভায় নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তির দাবী 

দামুড়হুদার ডুগডুগি গ্রামের জুয়ার আসরের বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশের পর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজকে মোবাইলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জরুরি সভায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে অপরাধীর শাস্তির দাবী করেছে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ সহ সকল সদস্যবৃন্দ।

জানা গেছে, গত রোববার দৈনিক মাথাভাঙ্গা সহ কয়েকটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় দামুড়হুদার ডুগডুগির জমজমাট জুয়ার আসরের বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর জুয়া চক্রের অন্যতম হোতা আসাদুজ্জামান আসাদ মোবাইলে সাংবাদিক মিরাজকে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দেয়। বিষয়টা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ কে অবগত করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সীদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর রাতে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার একটি জিডি করা হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবে জরুরি সভার আহ্বান করা হয়। দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ এর সভাপতিত্বে জরুরি সভায় সাংবাদিক মিরাজকে প্রাণ নাশের হুমকি দাতা জুয়া চক্রের হোতা আসাদুজ্জামান আসাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে সকল সদস্যবৃন্দ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুরশেদ বীন ফয়সাল তানজির, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, নির্বাহী সদস্য তাছির আহমেদ, হাবিবুর রহমান,দামুড়হুদা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান কাজল, সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল শিশির, সাধারণ সম্পাদক শাহাজালাল বাবু, প্রেসক্লাবের সদস্য হেলাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম মিলন, শেখ হাতেম আলী, আল সাফায়েত হোসেন প্রমুখ। জরুরি সভা শেষে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব/সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ দামুড়হুদা মডেল থানার (ওসি) মো হুমায়ুন কবির এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন।




দর্শনা ও মেহেরপুরের দুই ছাত্র রোবট নিয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে মালেশিয়ায়

দর্শনার একজন ও মেহেরপুরের একজন ছাত্র রোবট নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে আগামী ২১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্ববর-২০২৫ তারিখ মালেশিয়া যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সাইন্স এন্ড রোবোটিক্স ক্লাবের পক্ষ থেকে আগামী ২০/০৯/২০২৫ তারিখ বিমানযোগে রোবট প্রতিযোগিতায় মালোশিয়ার উদ্যোশ্যে রওনা দেবেন। এরা হলেন, দর্শনা সরকারী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র জাহিদ হাসান জিহাদ ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্র তোহা বিন আসাদ (দ্বীপ)।

জাহিদ হাসান জিহাদের নেত্রীত্বে রোবটটি নির্মাণ করা হয়। এ রোবটটি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কমপিটিশন এন্ড একজিবিশন (ডবিউলিআইসিই) এ মালোশিয়ায় তারা দুইজন অংশ নেবে। রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে হ্যাজার্ড। বোম্ব ডিফিউজ/হ্যাজার্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য রোবাটটি কাজ করবে। পুতে রাখা বোমা অনুসন্ধান ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কাজ করতে সক্ষম।

এছাড়া হিংস্র পশু-পাখী বা মানুষের ক্ষতি সাধনকারী যেকোন বিষয়ে সর্তক করতে সক্ষম হবে। জ্যামিং সিস্টেম এ হ্যার্জাড রোবোটটির বৈশিষ্ট্য বহুমুখী সেন্সর দিয়ে ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ এবং লাইভ ভিডিও ট্রান্সমিশন। এছাড়া অগ্নি শনাক্তকরণ ও নিবার্পণ করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক রোবোটটি বিপদজনক কাজগুলো মানুষের বদলে করতে সক্ষম হবে বলে জাহিদ হাসান জিহাদ জানান।




কুমিল্লার ১০ পয়েন্ট দিয়ে ইলিশ পাচার হচ্ছে ত্রিপুরায়

কুমিল্লা সীমান্তের ১০টি পয়েন্ট দিয়ে চাঁদপুরের ইলিশ পাচার হচ্ছে ত্রিপুরায়। এভাবে প্রতি রাতে বিপুল পরিমাণ ইলিশ যাচ্ছে ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায়। এতে একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে স্থানীয় ভোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে, ভরা মৌসুমেও স্থানীয় বাজারে ন্যায্যমূল্যে মিলছে না ইলিশ। তবে কুমিল্লার বাজার থেকে কম দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ত্রিপুরার বিভিন্ন শহরের বাজারে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও জেলার বাজারগুলো চাঁদপুরের মৌসুমি ইলিশে ভরপুর থাকত। কিন্তু সম্প্রতি চোরাকারবারি নেটওয়ার্কের কারণে ভরা মৌসুমেও বাজারে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। প্রতিদিনই চোরাকারবারি সিন্ডিকেটগুলো আড়ত থেকে বেশির ভাগ ইলিশ ওপারে পাচার করে দিচ্ছে। বাজারে ঢোকার আগেই অধিকাংশ ইলিশবাহী পিকআপ সীমান্তের দিকে চলে যাচ্ছে। বাজারে ইলিশের সংকটের কারণে ফড়িয়া বিক্রেতারা চড়ামূল্যে বিক্রি করছে। এতে জাতীয় মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার নিম্নআয়ের মানুষ।

সূত্র জানায়, প্রতিদিন চাঁদপুরের বিভিন্ন ঘাট, একই জেলার হাইমচর এবং লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ইলিশ আসে কুমিল্লার আড়তগুলোতে। এর বেশির ভাগই চোরাকারবারি সিন্ডিকেটগুলো কিনে নেয়। সন্ধ্যার পর ইলিশবাহী বহু পিকআপ সরাসরি কুমিল্লার ভারত সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে চলে যায়। সদর দক্ষিণ উপজেলার মথুরাপুর, যশপুর, মুড়াপাড়া, দলকিয়া, আদর্শ সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, বড়জ্বালা, খাড়েরা, বুড়িচং উপজেলার তেলকুপি বাজার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল, সংকুচাইল, আশাবাড়ী সীমান্ত দিয়ে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট এসব ইলিশ পাচার করছে। এতে জড়িতরা অধিকাংশই মাদককারবারি। ফলে তারা ইলিশের বিনিময়ে ওপার থেকে মাদক নিয়ে আসছে।

সরেজমিন সীমান্তের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় গিয়ে কথা হয় স্থানীয় বেলাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতি রাতে ৪-৫টি পিকআপ এখানে আনলোড করা হয়। বরফে ঢাকা সাদা ককসিটে মোড়ানো ইলিশ কেরিং ম্যানরা নিয়ে যায় সীমানার ওপারে ত্রিপুরায়। তারা বর্ডার কন্টাক্ট করেই এসব মাছ পাচার করে থাকে।

বড়জ্বালা সীমান্ত এলাকার খলিলুর রহমান বলেন, যে পরিমাণ ইলিশ ভারতে পাচার হয় সেগুলো আমাদের বাজারে থাকলে ৫০০ থেকে হাজার টাকা কেজিতে ইলিশ পাওয়া যেত। শুনেছি সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরার বিভিন্ন বাজারে আমাদের কুমিল্লার চেয়ে কম দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার দলকিয়া সীমান্তের বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, সীমান্তের ওপারের লোকজনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। তারা বলছে, তাদের ওখানে স্থানীয় বাজারে ৮-৯শ রুপি কেজি দরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন প্রচুর ইলিশ ভারতে চলে যাচ্ছে। সেখান থেকে আসছে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা চোরাই পণ্য। আইনশৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিতরা এর সবই জানে। এগুলো বলে আমরা বিপদে পড়তে চাই না।

এ বিষয়ে কুমিল্লা ডিবির ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, সীমান্ত দিয়ে ইলিশ পাচারের কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। এতে সীমান্তমুখী সড়কগুলোতে টহল এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

কুমিল্লা-১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, সীমান্তের কোনো পয়েন্ট দিয়ে ইলিশ পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমার কাছে নেই। আপনারা যদি তথ্য দেন তাহলে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।




ঝিনাইদহ আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজে নবীন বরণ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ ও উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমাবার সকাল ১১টায় কলেজের মিলনায়তনে এই নবীন বরণ ও উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ জেএম রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কলেজের গভনিং বড়ির সভাপতি, কেসি কলেজের সাবেক ভিপি সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. কামাল আজাদ পান্নু। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ বিবেকানন্দ তরফদার, ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম, সাধুহাটী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, ইউনিয়ন জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি ডা. মখলেছুর রহমান বকুল, ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান কামাল, কলেজের সহকারী অধ্যাপক জিনাত জেসমিন, এবিএম আমিরুজ্জামান রবি, ঝিনাইদহ সদর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মোজাম, উপজেলার ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুনুর রহমান প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের গোলাপ ফুলদিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সেসময় নবাগতদের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন দ্বাদশ শ্রেণির এনাম আহম্মেদ, জান্নাতুল ফেরদৌস মায়া এবং একাদশ শ্রেণির নওরিন সুলতানা অধরা ও সোনালী আক্তার ঝর্ণা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক শাহানুর আলম, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আনাম।

প্রধান অতিথি নবাগত সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন, তোমরা এই কলেজে ভর্তি হয়েছ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ শিক্ষার দ্বার উম্মোচিত করার জন্য। এখানে ভাল না করলে তোমরা ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে না। এজন্য এই সময়কে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যঠিক রেখে শিক্ষকদের পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তোমরা ভাল করলে কলেজের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেণ কলেজের সকল উন্নয়ন, সুবিধা অসুবিধা আমরা দেখবো, তোমরা শুধু তোমাদের লেখাপড়াটা ঠিকমত করবে। লেখাপড়া আর আগেরমত নেই, শতভাগ পাশ নেই এখন সবাইকে লেখাপড়া করে পাশ করতে হবে। এজন্য অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। তিনি নকাগতদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান




মেহেরপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ গ্রেফতার ১০

মেহেরপুরে পুলিশের ২৪ ঘণ্টার বিশেষ অভিযানে ৯ জন সিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও ১ জন নিয়মিত মামলার আসামিসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।

গতকাল রবিবার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন মেহেরপুর সদরের বারাদীর বানাত আলীর ছেলে মোঃ সোহেল রানা (৪৫), দফোরপুরের মোঃ চাঁদ আলী ওরফে চান্দুর ছেলে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, পিরোজপুর ঘাটপাড়ার মোছাঃ ছাবিয়া খাতুন, হাটপাড়ার মোছাঃ মহিমা খাতুন, রায়পুরের মোছাঃ হাচেনা খাতুন, কোলারজংয়ের মোঃ আরজ আলীর মেয়ে মোছাঃ শিখা খাতুন, গোভিপুরের এরশাদ আলীর ছেলে মোঃ আশরাফুল, আমদহের মোছাঃ সাথিয়ারা সাথী, কুলবাড়িয়ার মোছাঃ সুফিয়া খাতুন এবং মোছাঃ রহিমা খাতুন।

গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের ধরতে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




মেহেরপুরে মাদক রাখার দায়ে একজনের কারাদণ্ড

মেহেরপুরে মাদক রাখার অপরাধে মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ওরফে বাবুকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ মে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক শাহজালাল খান একটি রেইডিং পার্টি গঠন করেন। মেহেরপুর সদর থানার গোভিপুর মহাজেরপাড়ায় মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ওরফে বাবুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তাকে তল্লাশি করা হয়। তার পরিহিত লুঙ্গির ডান কোচর থেকে রূপালি কাগজে মোড়ানো ০.৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদক জব্দের পর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। নথি ও সাক্ষ্য পর্যালোচনা শেষে আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




নিরাপদ পৃথিবীর জন্য ওজোন স্তর রক্ষায় প্রয়োজন বিশ্বজনীন অঙ্গীকার

প্রতিবছর ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী বিশ্ব ওজোন দিবস পালিত হয়। ১৯৮৭ সালের মন্ট্রিল প্রটোকল এ দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করে তুলেছে। এদিন মানবজাতি প্রথমবারের মতো একত্রিত হয়ে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এ বছরের প্রতিপাদ্য “From science to global action” যার বাংলা ভাবানুবাদ করা হয়েছে “বিজ্ঞানসম্মত কর্ম, ওজোন রক্ষায় বর্ম”।

প্রতিপাদ্যের মধ্যেই নিহিত রয়েছে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলকে বাস্তব কর্মপরিকল্পনায় রূপান্তর করার অঙ্গীকার। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারিভাবে বিশ্ব ওজোন দিবস পালন করা হবে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, সেমিনারের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও দিবসের প্রতিপাদ্যে গণমাধ্যমে বিশেষ কর্মসূচি প্রচারিত হবে।

বায়ুমণ্ডলে বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসসমূহের মধ্যে ওজোন গ্যাস অন্যতম। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫-৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় স্ট্রাটোস্ফিয়ারে যে অংশে সর্বাধিক ঘনমাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে, সেটিই ওজোন স্তর নামে পরিচিত। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে এ স্তর পৃথিবীর জীবজগতকে সুরক্ষা দেয়। তাই একে পৃথিবীর প্রাকৃতিক ঢালও বলা হয়ে থাকে।

ওজোন স্তর ক্ষয় হলে অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে প্রবেশ করে মানুষের ত্বকে ক্যান্সার, চোখে ছানি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। একই সঙ্গে উদ্ভিদের বৃদ্ধি কমে যায়, ফসলের উৎপাদন হ্রাস পায় এবং সামগ্রিকভাবে জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ওজোন স্তর ক্ষয় জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে আরও তীব্র করতে পারে।

বিগত শতকে মানবসৃষ্ট বিভিন্ন শিল্পজাত রাসায়নিক ওজোন স্তর ক্ষয়ের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (সিএফসি), হ্যালন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, মিথাইল ক্লোরোফরম, হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন (এইচসিএফসি), মিথাইল ব্রোমাইডসহ বহু রাসায়নিক দ্রব্য একসময় রেফ্রিজারেন্ট, ফোম ব্লোয়িং এজেন্ট, সলভেন্ট, প্রোপেল্যান্ট ও অগ্নিনির্বাপক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এসবকেই বলা হয় ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য (ওডিএস)। এগুলো শুধু ওজোন স্তর নয়, বরং অধিকাংশই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবেও চিহ্নিত।

ওজোন স্তর রক্ষায় বৈশ্বিক পদক্ষেপের সূচনা হয় ১৯৮৫ সালে ভিয়েনা কনভেনশন গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে। এরপর ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে গৃহীত হয় ঐতিহাসিক মন্ট্রিল প্রটোকল যা আজ বিশ্বের অন্যতম সফল পরিবেশ চুক্তি হিসেবে স্বীকৃত। এই প্রটোকলের আওতায় ধাপে ধাপে ওডিএস-এর ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে গৃহীত হয় কিগালি সংশোধনী। এর মাধ্যমে ১৮ ধরনের উচ্চ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ক্ষমতাসম্পন্ন হাইড্রোফ্লোরোকার্বন (এইচএফসি)-এর ব্যবহার কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও এইচএফসি সরাসরি ওজোন স্তর ক্ষয় করে না, তবে এগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এ নিয়ন্ত্রণ জলবায়ু সুরক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট মন্ট্রিল প্রটোকল অনুস্বাক্ষর করে এবং পরবর্তীকালে লন্ডন, কোপেনহেগেন, মন্ট্রিল ও বেইজিং সংশোধনীসমূহ অনুস্বাক্ষর করে। সরকার ২০২০ সালের ৮ জুন কিগালি সংশোধনী অনুস্বাক্ষর করেছে। প্রটোকল বাস্তবায়নে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিবেশ অধিদপ্তর দেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে “ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৪” জারি করা হয় এবং ২০১৪ সালে বিধিমালাটি সংশোধিত হয়। উক্ত বিধিমালার আওতায় দেশে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক লাইসেন্সিং সিস্টেম চালু করা হয়। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে রূপান্তর এবং সংশ্লিষ্ট সার্ভিস সেক্টরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে একাধিক পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে ১ জানুয়ারি ২০১০ হতে দেশে সিএফসি, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড ও মিথাইল ক্লোরোফরমের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওষুধ শিল্প থেকে সিএফসি এবং রেফ্রিজারেটর উৎপাদনে ফোম তৈরিতে ব্লোয়িং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত এইচসিএফসি-১৪১বি-এর ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ এইচসিএফসি ব্যবহার বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে এইচসিএফসি-এর ব্যবহার ৬৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এইচপিএমপি স্টেজ-টু প্রকল্পের আওতায় ৪টি এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারক কারখানা ও একটি চিলার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে গৃহস্থালি এসি তৈরিতে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য আর-২২ এর পরিবর্তে আর-২৯০ এবং আর-৩২-এ রূপান্তর করা হচ্ছে। পাশাপাশি রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টর সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশে রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রচলনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি নীতিসমূহ হালনাগাদ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি এ বছর শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মন্ট্রিল প্রটোকলের ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে এইচসিএফসি ফেজ-আউট টার্গেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার কিগালি সংশোধনীর আওতায় উচ্চ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ক্ষমতাসম্পন্ন এইচএফসিসমূহ নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। সরকার ২০২০ সালের ৮ জুন কিগালি সংশোধনী অনুস্বাক্ষর করেছে। এ সংশোধনীর আওতায় বাংলাদেশকে ২০৪৫ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ এইচএফসি ব্যবহার হ্রাস করতে হবে। এ প্রেক্ষিতে এইচএফসিসমূহের আমদানি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ২০২১ সালে একটি এসআরও জারির মাধ্যমে লাইসেন্সিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে এবং এর আওতায় ২০২২ সাল থেকে সরকার এইচএফসি আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়াও মন্ট্রিল প্রটোকল মাল্টিল্যাটারাল ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতা এবং ইউএনডিপি ও ইউএনইপি-এর কারিগরি সহায়তায় কিগালি ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান প্রণয়নে কাজ শুরু করা হয়েছে। অধিকন্তু, প্যারিস চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কর্তৃক ২০২১ সালে প্রণীত ন্যাশনালি ডিটারমিন্ড কন্ট্রিবিউশনে এ সেক্টর থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ২ দশমিক ৯২ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড সমতুল্য নিঃসরণ হ্রাস করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সর্বোপরি, ওজোন স্তর রক্ষায় বাংলাদেশ শুরু থেকেই সফলভাবে মন্ট্রিল প্রটোকলের বাধ্যবাধকতা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মন্ট্রিল প্রটোকলের সফল বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি কর্তৃক একাধিকবার বিশেষভাবে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। তাছাড়া ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের চোরাচালান রোধে কার্যকর ভূমিকার জন্য ২০১৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি দ্বারা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

ওজোন স্তর আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য প্রাকৃতিক ঢাল। একে রক্ষা করা শুধু পরিবেশ নয়, মানবস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মন্ট্রিল প্রটোকল প্রমাণ করেছে যে বৈজ্ঞানিক গবেষণার আলোকে বৈশ্বিক ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণ করলে পরিবেশগত বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব। এ বছরের প্রতিপাদ্য “বিজ্ঞানসম্মত কর্ম, ওজোন রক্ষায় বর্ম” তাই আমাদের প্রত্যেককে অনুপ্রাণিত করে ব্যক্তিগত, জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণে। ওজোন রক্ষার এ লড়াই কেবল একটি স্তর বাঁচানোর সংগ্রাম নয় এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার অঙ্গীকার।

লেখক: উপপ্রধান তথ্য অফিসার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়




মে‌হেরপু‌রে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাঝে চেক বিতরণ

মে‌হেরপু‌রে বি‌ভিন্ন স্বেচ্ছা‌সেবী সংগঠ‌নের মা‌ঝে অনুদা‌নের চেক বিতরণ ক‌রে‌ছে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ। ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বরাদ্দ থেকে নিবন্ধিত ২০ টি সংগঠন ও ৩ জন অসহায় দুঃস্থের মা‌ঝে এই চেক বিতরণ করা হয়।

সোমবার সকাল সা‌ড়ে ১০ টার সময় জেলা প্রশাস‌কের স‌ম্মেলন ক‌ক্ষে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অ‌তি‌থি জেলা প্রশাসক ডঃ মোহাম্মদ আব্দুল সালাম চেক বিতরণ ক‌রেন। প্রধান অতি‌থির বক্ত‌ব্যে জেলা প্রশাসক ব‌লেন, মে‌হেরপু‌রে বাল্যবিবাহ, আত্মহত্যার প্রবনতা বে‌শি। স্বেচ্ছা‌সেবী সংগঠনকে এসকল সমস্যাগু‌লি নি‌য়ে সামা‌জিক স‌চেতনতা কর্মসু‌চি করার জন্য আহ্বান জানান । তি‌নি ব‌লেন, আমাদের কর্মকান্ডসমুহ য‌দি সমা‌জে কোন উপকা‌রে না আসে, তাহ‌লে এ‌টি ফলপ্রসু হ‌বেনা। তি‌নি সংগঠনসমুহ‌কে অনু‌রোধ ক‌রেন, সমা‌জে ভাল কাজ করার জন্য। ভাল কা‌জের জন্য আমরা তা‌দের পুরস্কৃত কর‌বো।

অনুষ্ঠা‌নের সভাপ‌তি জেলা সমাজ‌সেবা অ‌ফিসার আশাদুল ইসলাম স্বেচ্ছা‌সেবী সংস্থাসমুহ‌কে উ‌ল্লে‌খিত কর্মসু‌চি পাল‌নের জন্য বি‌ভিন্ন দিক নি‌র্দেশনা প্রদান ক‌রেন। জেলা সমাজ‌সেবা নিবন্ধন কর্মকর্তা কাজী মনসু‌রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠা‌নে বি‌ভিন্ন স্বেচ্ছা‌সেবী সংগঠনসমুহ তা‌দের কর্মকান্ড তু‌লে ধ‌রেন। অনুষ্ঠা‌নে আরও বক্তব্য প্রদান ক‌রেন মে‌হেরপুর শহর সমাজ‌সেবা কর্মকর্তা সো‌হেল মাহমুদ, উপ‌জেলা সমাজ‌সেবা অ‌ফিসার আনিছুর রহমান।




আলমডাঙ্গায় রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই, আড়াই মাস পরে অপসারণ

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই এর অভিযোগ উঠেছে। আড়াই মাস পরে তা অপসরণ করা হয়েছে। গতকাল ওটিতে গজ অপসারণের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সকলের নজরে আসে।

ভিডিওতে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটারে একটি রোগীর অস্ত্রোপচার চলছে। সেখান দুই জন ব্যাক্তির কন্ঠ শোনা যাচ্ছে। তারা রোগীর স্বজনদের কাছে রোগীর অবস্থা বর্ণনা করছেন। ওটিতে বর্তমান চুয়াডাঙ্গা জেলার সিভিল সার্জন হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ কেউ দেখা যায়। তিনি সহযোগী সহ রোগীর পেটে থেকে বড় আকারের গজ বের করছেন।

ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে আসার পরেই সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাটি টপ অফ দা সিটিতে পরিণত হয়। সবাই ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাই।

এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করে জানা যায়, গত তিন মাস পূর্বে আলমডাঙ্গার পপুলার ক্লিনিকে সাহেরা খাতুন (৫৫) নামের শ্রীরামপুর গ্রামের এক মহিলার জরায়ু টিউমার অপারেশন করেন কুষ্টিয়া থেকে আগত ডাঃ হোসেন ইমাম। অপারেশনের কিছুদিন পর পর ক্ষতস্থান থেকে পূজ বাহির হতে থাকে। অনেক ওষুধ সেবন করার পরেও কোন ফলাফল আসে না। এ নিয়ে রোগীর তীব্র ব্যথা শুরু হলে দীর্ঘ দুই মাস বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করেও কোন সমাধান হয়নি।

গত শনিবার আলমডাঙ্গা ডক্টরস কেয়ার এন্ড স্পেসালাইজড হসপিটালে তার অপারেশন করে পেটের ভেতর থেকে গজ কাপড় বাহির করে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডঃ হাদি জিয়া উদ্দিন আহমেদ।

এ নিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এখানে রোগীদের পছন্দের ডাক্তার হোসেন ইমাম ছিল, পাশাপাশি এনেস্থেসিয়া হিসেবে ডাক্তার আব্দুস সালাম এবং সহকারী হিসেবে ডাঃ তুহিন ছিল। এখন ডাক্তার কিভাবে অপারেশন করবে সেটা তো ডাক্তার ভালো বলতে পারে। তবে যিনি সেলাই করেছে এখানে সম্পূর্ণ দায় তার। একজন রোগীর জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা বরদাস্ত করা উচিত নয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে আমরা ডাক্তার ম্যানেজ করেছি, সহকারীও  ম্যানেজ করেছি, এনেস্থেশিয়াও ম্যানেজ করেছি এখানে তো আমাদের কোন গ্যাপ ছিল না।