আলমডাঙ্গায় চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মতিয়ার গ্রেফতার

বিএনপি’র পদযাত্রায় হামলা মামলার আসামি চুয়াডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা মতিয়ার রহমান গ্রেপ্তার হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র পদযাত্রায় হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রাইসা গ্রামে অবস্থিত তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে আটক করে। পরে সংশ্লিষ্ট মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারকৃত মতিয়ার রহমান চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন মহাসিন আলীর নেতৃত্বে বিএনপি’র ৩০–৪০ জন নেতাকর্মী পদযাত্রায় অংশ নিতে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়নের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে তারা খাদেমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর গ্রামের হায়দার মোড় এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়।

হামলার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধরের পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পরে এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।




আলমডাঙ্গায় বিজয়ের দিনে হারিয়ে গেল তুষারের হাসি

আলমডাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে উৎসবের রঙে রঙিন উপজেলা মাঠ। চারপাশে পতাকা, গান, উল্লাস। সবাই বিজয়ের আনন্দে মেতেছে। ঠিক সেই আনন্দের ভিড়েই হারিয়ে গেল ১০ বছরের তুষার আহম্মেদের সবটুকু হাসি।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার এরশাদপুর গ্রামের রোকন উদ্দিনের ১০বছরের সন্তুান তুষার আহম্মেদ। আলমডাঙ্গা ব্রাইট মডেল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা মাঠে সাইকেল চড়ে অনুষ্ঠানে দেশপ্রেমের আবেগে অংশ নিতে এসেছিল । নিজের প্রিয় সাইকেলটাই ছিল তার স্কুলে যাওয়ার একমাত্র  ভরসা—বলা যায় স্কুলে যাওয়া-আসার একমাত্র সঙ্গী। কিন্তু উৎসব শেষে ফিরে তাকিয়ে দেখে, সাইকেল আর নেই।

চোখের জল ধরে রাখতে পারে না তুষার। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলছে, “আগামীকাল স্কুলে যাব কী করে?”

এই প্রশ্নের কোনো জবাব নেই কারও কাছে।

আরও ভয় গ্রাস করেছে ছোট্ট বুকটাতে। বাসায় যেতে ভয় পাচ্ছে সে—মায়ের বকা, বাবার রাগ, সেই আশঙ্কাই তাকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। বিজয়ের দিনে যেখানে উড়ছে স্বাধীনতার পতাকা, সেখানে এক শিশুর মনে বন্দী হয়ে গেছে ভয় আর অসহায়ত্ব।

তুষারের হাতে কোনো পতাকা নেই, নেই কোনো আনন্দ। শুধু চোখভরা জল আর বুকভরা প্রশ্ন— বিজয়ের এই দিনে, তুষারের হারানো সাইকেলটা কি কেউ ফিরিয়ে দেবে? ফিরে পাবে কি সে তার স্কুলে যাওয়ার স্বপ্নটুকু?

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পান্না আকতার বলেন, বাচ্চাটি কান্নাকাটি করতে করতে আমার কাছে এসেছিল। আমি ওসি সাহেবকে বলে দিয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।

এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী খায়রুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দেওয়া। সে হিসাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট না থাকায় এমন চুরি হয়েছে। এই দায় প্রশাসন এড়িয়ে যেতে পারে না।

সিনিয়র সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম আজম বলেন, এই হৃদয় বিদারক ঘটনার দায় এই সমাজ, রাষ্ট্রের। প্রশাসনের আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার জন্য আহব্বান জানাচ্ছি।




মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে মাসুদ অরুণের নেতৃত্বে মিছিল

মহান বিজয় দিবস ২০২৫ ও স্বাধীনতার স্মরণে মেহেরপুর বিএনপির উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার কলেজ মোড় থেকে এই মিছিলটি বের হয়।

এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন মেহেরপুরে-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাসুদ অরুন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মেহেরপুর সরকারি কলেজ সাবেক ভিপি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সায়েদাতুন্নেসা নয়ন।

মিছিলে জেলা, পৌর, সদর ও মুজিবনগর উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।




আলমডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উৎযাপন

আলমডাঙ্গায় যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচীর শুভ সুচনা করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মাজারে পুস্পমাল্য অর্পন শেষে আলমডাঙ্গা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মাজারে, ফাতেহা পাঠ ও মুনাজাত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পান্না আক্তার, বীরমুক্তি যোদ্ধা এ্যাডঃ আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযুদ্ধা ডাঃ শাহাবুদ্দিন, বীর মুক্তিযুদ্ধা মতিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাব হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান জোয়ার্দার,বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ধুনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক,উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি আশিষ কুমার বসু, ওসি বানি ইসরাইল, উপজেলা প্রকৌশলী তাওহিদ, শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন, জনস্বাস্থ প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক প্রমুখ।এছাড়াও পুস্পমাল্য অর্পন করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, উপজেলা জামায়াতে ইসলামী, সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, ওজোপাডিকো, এমসবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, পল্লিবিদ্যুত, আলমডাঙ্গা থানা,সরকারি স্কুল, পৌর সভা, উপজেলা বিএনপি,পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল,শ্রমিক দল,স্বেচ্ছা সেবক দল সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

বেলা ১০ টায় উপজেলা মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার  পান্না আক্তার । উপজেলা ভুমি অফিসের মাজেদুর রহমানের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, বীর মুক্তিযুদ্ধা শফিউর রহমান জোয়ার্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ শাবু , বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন,উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি আশিষ কুমার বসু, থানার অফিসার ইনচার্জ বানি ইসরাইল।আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক  সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সাবেক  সাধারণ সম্পাদক ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের, সমাজ সেবা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন,প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুলহক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত,আইসিটি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, জনস্বাস্থ প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, ভিডিপি কর্মকর্তা প্রমুখ।

অন্যদিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও শহীদ জিয়ার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান শেষে র‍্যালি সহকারে শহীদ মাজারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু,সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু,যুবদলের আহবায়ক মীর উজ্জল, যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল কাদের, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এমদাদ হোসেন, শ্রমিক দলের নেতা আইনাল হক, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। পরে দলীয় অফিসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপি’র সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু। সাংগাঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, উপজেলা বিএনপি’র সাংগাঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপি’র সাংগাঠনিক সম্পাদক কাজী আলী আসগার সাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল ইসলাম, সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক খন্দকার হাসিবুল ইসলাম,যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক মাষ্টার,মখলেছুর রহমান মিলন,আসিফ আল নুর, নির্বাহী সদস্য খন্দকার রুবায়েত ফেরদৌস বাপ্পি, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জল, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহবায়ক নাজিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক তন্ময়, কুমারী ইউনিয়নের   ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন,বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির  সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন,  খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপি  সভাপতি আব্দুর রশিদ প্রমুখ।অন্যদিকে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হারদী ইউনিয়ন যুবদল নেতা তৌসিফ খান এবং আল-আমিন হিমেল এর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধান্জলী, দোয়া মাহফিল এবং পুস্পস্তব অর্পন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হারদী যুবদল নেতা সন্দীপ,শরিফুল, কালাম, জামাল উদ্দিন সহ আরও অনেকে।হাটবোয়ালিয়া বিএনপি ও হাটবোয়ালিয়া স্কুলের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে । অন্যদিকে  আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ কর্তৃক আয়োজিত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস  যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপিত হয়। এই দিবসটি উপলক্ষ্যে  বর্ণাঢ্য র‍্যালি আলোচনা সভা, পুরুষ্কার বিতরণী  ও দোয়া মাহফিল  আয়োজন করা হয়। দিনটিকে সামনে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ।অধ্যক্ষ প্রফেসর ডক্টর মো: মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রভাষক   ডক্টর মহবুব আলম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরান থেকে তেলোয়াত করেন প্রভাষক জামালউদ্দিন এবং গীতা থেকে পাঠ করেন প্রভাষক পলি রানি সিনহা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন  ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক  মহিতুর রহমান।  দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন সহকারী অধ্যপক  মোহা: আব্দুল  মোনয়েম,   (সাবেক ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ),সহকারী অধ্যপক সহকারী অধ্যপক সাইদুর রহমান।বিকাল ৪ টার সময় উপজেলা সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত কবিতা পাঠ ও আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরন করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পান্না আক্তার ,সহকারি কমিশনার ভুমি আশিষ কুমার বসু প্রমুখ।




মহান বিজয় দিবসে এবি পার্টি মেহেরপুর জেলা শাখার শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শুভেচ্ছা বিনিময়

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করা হয়। এ উপলক্ষে সকালবেলা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মরণ করা হয়।

বিজয় দিবস শুধু একটি দিবস নয়- এটি বাঙালি জাতির হাজার বছরের লাঞ্ছনা, শোষণ ও সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতা আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার এবং আমাদের দায়িত্ববোধের চিরন্তন প্রেরণা। এই দিনে এবি পার্টি মেহেরপুর জেলা শাখা নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর-১ আসনে বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’র মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সহকারী সমন্বয়ক মো: রফিকুজ্জামান রফিক, সহকারী সমন্বয়ক মো: নুরুজ্জামান তাজল এবং সহকারী সমন্বয়ক মোঃ আসাদুজ্জামান খান রাজু। স্থানীয় নেতাকর্মী, এ বি যুব পার্টির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

মো: রফিকুজ্জামান রফিক বলেন, “মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়- এই দেশ কোনো উপহার নয়, এটি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। বিজয়ের এই দিনে আমরা শপথ নিই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে একটি দুর্নীতিমুক্ত, মানবিক ও জনগণের কল্যাণভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এবি পার্টি মানুষের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় আপোষহীনভাবে কাজ করে যাবে।”

মো: নুরুজ্জামান তাজল বলেন, “বিজয় দিবস আমাদের ঐক্য, সাহস ও আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়। শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সামাজিক সমতার ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনে এবি পার্টি বদ্ধপরিকর।”

শেষে এবি পার্টি মেহেরপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবসে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয় এবং স্বাধীনতার চেতনায় দেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।




যথাযোগ্য মর্যাদায় দর্শনায় মহান বিজয় দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় দর্শনায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে দর্শনার বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে র‍্যালি, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে সকাল সাড়ে ৮টায় এসব সংগঠন র‍্যালি করে দর্শনা কেরু আনন্দ বাজার বিজয় স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির উদ্যোগে দর্শনা কেরু হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন কেরু ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

দর্শনা পৌরসভা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ, দর্শনা অনিবার্ণ থিয়েটার, দর্শনা বালিকা বিদ্যালয়, বাংলাদেশ জাসদ, বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, দর্শনা প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), কেরু মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতি, দর্শনা কাস্টমস, দর্শনা মৌচাক সামাজিক সংস্থা, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, দর্শনা আঁচল ব্যান্ড সংগীত গোষ্ঠী, লিটল অ্যাঞ্জেলস স্কুল, দর্শনা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দর্শনা উইমেন্স ক্লাব, পূর্ব রামনগর সরকারি বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান র‍্যালিতে অংশ নেয়।

র‍্যালি শেষে এসব প্রতিষ্ঠানে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা কেরু চিনিকলের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সকাল ৮টায় শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, ফাইন্যান্স ও অর্থ বিভাগের আব্দুছ ছাত্তার, জিএম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, এডিএম মির্জা গালিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে রাব্বিক হাসানের সহযোগিতায় কেরু হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

এদিন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে নানা কর্মসূচি পালন করে।




নানা আয়োজনে কোটচাঁদপুরে মহান বিজয় দিবস পালিত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি।

মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্থানীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সকাল ৮টায় কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিনের মূল কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এনামুল হাসান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুউজ্জামান এবং উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এরপর পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, স্কাউটস, গার্লস গাইড এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এনামুল হাসান।

দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরে নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা। সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে কোটচাঁদপুর শহরকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি করেছে।




মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে জামায়াতের বিজয় র‍্যালি

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার যুব বিভাগের উদ্যোগে বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ৩টার দিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী তাজউদ্দিন খানের নেতৃত্বে র‍্যালিটি অনুষ্ঠিত হয়।

র‍্যালিটি জেলা মডেল মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাথুলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সূরা কমিটির সদস্য ও সেক্রেটারি মো. ইকবাল হুসাইন, জেলা নায়েবে আমির মাহবুব উল আলম, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমির খান জাহান আলী, পৌর আমির সোহেল রানা ডলার, সদর উপজেলা সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আব্দুস সালাম ও জেলা সেক্রেটারি সাইদুর রহমান।




দামুড়হুদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

দামুড়হুদায় মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

মঙ্গলবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চত্বর, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল ৮টায় উপজেলার নাটুদাহ আটকবর স্মৃতিসৌধে প্রতিবারের মতো এবারও গভীর শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৯টায় উপজেলার মিনি স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় সংগীতের তালে তালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্ত করা হয়। এরপর পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, বিএনসিসি, গার্লস গাইড, স্কাউটস এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবের অংশগ্রহণে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বিজয়ের তাৎপর্য এবং স্বাধীনতার চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

দুপুর ১টায় মিনি স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে বাদ জোহর নামাজের পর বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ দোয়া মাহফিল, প্রার্থনা ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ৩টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে তিনদিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলার (চারু কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পপণ্য) উদ্বোধন করা হয়। এদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করা হয়। সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তর, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

দিনব্যাপী এসব কর্মসূচিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উবাইদুর রহমান সাহেলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মেসবাহ উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, সাধারণ সম্পাদক তানজির ফয়সাল, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুলসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সর্বস্তরের জনগণ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে দামুড়হুদা উপজেলায় প্রতি বছরই বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে।




গাংনীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন

গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। গাংনী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম কুমার দাস। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে ফুল দিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানান উপজেলা প্রশাসন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গাংনী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নাবিদ হোসেন, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরশাদ আলী, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোত্তালিব আলী এবং গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, যাঁদের জীবনের বিনিময়ে এবং বুলেটের মুখে জীবন বাজি রেখে জাতিকে এনে দিয়েছেন একটি লাল-সবুজ পতাকা ও একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, তাঁরা যুগে যুগে চিরঅমর হয়ে থাকবেন। তাঁদের আত্মত্যাগ জাতি কখনোই ভুলবে না। এভাবেই তাঁরা চিরকাল সম্মানিত হবেন।