গাংনীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির র‍্যালি ও জনসভা

মেহেরপুরের গাংনীতে মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে জনসভা ও বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে বাঁশবাড়িয়া ফুটবল মাঠ থেকে গাংনী বাজার পর্যন্ত র‍্যালিটি অনুষ্ঠিত হয়।

র‍্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজউদ্দীন কালুর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদান আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

অন্তর্ভুক্ত প্রধান বক্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম মাস্টার, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল আওয়াল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান, পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা, পৌর সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলী এবং জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, জনগণের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়া বুঝে কেন্দ্র ধানের শীষের মনোনয়ন পরিবর্তন করবে। তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গাংনীর মাটি আজ ধানের শীষের ঘাটি। এর প্রমাণ আজকের জনগণের উপস্থিতি।
র‍্যালিতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।




মেহেরপুরে প্রাক্তন বিডিআর সদস্যের আত্মহত্যা

মেহেরপুরে হাবিবুর রহমান খোকন (৫০) নামের এক সাবেক বিডিআর সদস্য বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুর রহমান খোকন মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়নের বর্ষিবাড়িয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের (৭০) বড় ছেলে। তিনি পেশায় প্রাক্তন বিডিআর সদস্য ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষপান করার পর বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করেন। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথে শুক্রবার রাত ১টার দিকে গাড়ির ভেতরেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানান, হাবিবুর রহমান খোকন ছিলেন সামাজিক স্বভাবের মানুষ। সম্প্রতি অতিরিক্ত ঋণের চাপে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।




আড়ত থেকে খুচরা বাজার; সবজির দাম দ্বিগুণ

মেহেরপুরে সাম্প্রতিক সময়ে সবজির দামে অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। আড়ত থেকে খুচরা বাজারে পৌঁছাতে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, খরচ ও পরিবহন ভাড়াই দাম বৃদ্ধির মূল কারণ।

মেহেরপুর প্রতিদিনের সাপ্তাহিক অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে মেহেরপুর পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করে জানা যায়, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে সবজি আসতে দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, তারও বেশি বেড়ে যায়।
আলু পাইকারি বাজারে ১৬ টাকা থেকে খুচরা বাজারে ২০ টাকা, পেয়াজ পাইকারি বাজারে ৯০-৯৫ টাকা থাকলেও তা খুচরা বাজারে হয়ে যায় ১১০ টাকা, রসুন পাইকারি বাজারে ৬০ টাকা থেকে খুচরা বাজারে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচামরিচ পাইকারী বাজারে ৬০-৬৫ টাকা থাকলেও খুচরা বাজারে এসে হয়ে যায় ৯৫-১০০ টাকা, যা প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। আদা পাইকারি বাজারে ১৬০ টা থাকলেও তা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।

সবজির মধ্যে, বেগুন পাইকারি বাজারে ৫০ টাকা খুচরা বাজারে ৬০ টাকা, পটল পাইকারি বাজারে ১৫ খুচরা বাজারে ৩০ টাকা, ঢ়েড়স পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা খুচরা বাজারে ৪০ টাকা, শাক পাইকারি বাজারে ২৫ টাকা খুচরা বাজারে ৪০ টাকা, করলা পাইকারি বাজারে ১৫-২০ টাকা থাকলেও খুচরা বাজারে ৩০টাকা, শশা পাইকারি বাজারে ৫০-৭০ টাকা খুচরা বাজারে ৭০ -৯০ টাকা, পেপে পাইকারি বাজারে ১৫ টাকা খুচরা বাজারে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম পাইকারি বাজারে ৫০ টাকা খুচরা বাজারে ৬০ টাকা, ফুলকপি পাইকারি বাজারে খুচরা বাজারে ৪০-৪৫ টাকা, বাঁধাকপি পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকা খুচরা বাজারে ৫০ টাকা, মূলা পাইকারি বাজারে ১৫-২০ টাকা খুচরা বাজারে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো পাইকারি বাজারে ১০০টাকা খুচরা বাজারে ১৪০ টাকা, গাজর পাইকারি বাজারে ১৪০ খুচরা বাজারে ১৬০ টাকা।

সবজি বিক্রেতারা বলেন, আমরা আড়ত থেকে যে দামে পাই তার সাথে পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া, শ্রমিক মজুরি সঙ্গে বাজারে প্রতিযোগিতা সব মিলিয়ে খুচরায় না বাড়ালে টিকে থাকা মুশকিল।

মুরগীর বাজরে ব্রয়লার মুরগী ১৮০ টাকা, সোনালী মুরগী ২৮০ এবং লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে রুই ৩০০, তেলাপিয়া ১৬০, পাঙাস ১৬০, সিলভার ২০০, চিংড়ি ৮০০-৯০০, জিওল ২৩০, কৈই ২০০, ইলিশ ৪৫০-১০০০ টাকা।

ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় এবং গরুর মাংস সর্বদা ৭৫০ টাকায় অপরিবর্তিত।

তহ বাজারের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি কাচাঁবাজার আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ন্যায্য মূল্যে ক্রেতার কাছে কাচামাল পৌঁছা দিতে। প্রতিটা সবজি ব্যবসায়িকে বলা আছে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত লাভ করে বিক্রি করতে।

কাঁচামরিচের দাম হাতবদলে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায় কেন? এমন প্রশ্ন করাই উত্তরে তিনি বলেন, কাঁচামরিচ আজ সাকালে ৬০-৬৫ টাকা ছিলো আড়তে। এই দামে কিনে তারা সর্বোচ্চ ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারে। কারণ সারাদিনে কাঁচা মরিচ বিক্রি খুব কম হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি বাজার পরিদর্শন করে দেখবো কারা কেমন দামে কেনা-বেচা করছে।




মেহেরপুরে বিএনপিতে মনোনয়ন নিয়ে কোন্দল প্রকাশ্যে

মেহেরপুরের দুই সংসদীয় আসন মেহেরপুর-১ ও মেহেরপুর-২ তে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে। দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে দুই আসনেই বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে, যার প্রভাব এখন প্রান্তিক পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেও পড়েছে।

মেহেরপুর-১ আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য মাসুদ অরুণ এবং মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য আমজাদ হোসেনকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই দুই আসনে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বৈঠকে স্থানীয় নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন-যিনিই দলীয় মনোনয়ন পাবেন, সবাই ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরই সেই অঙ্গীকার বাস্তবে রূপ নেয়নি।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে মেহেরপুর জেলা বিএনপিতে জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে আহ্বায়ক ও অ্যাড. কামরুল হাসানকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠনের পর থেকে বিরোধ শুরু হয়। মেহেরপুর সদর আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান পক্ষ বুধবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করে এবং গত বৃহস্পতিবার রাতে মহিলা দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভে কামরুল হাসানসহ বক্তৃতা করেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, পৌর বিএনপির সভাপতি লতিব বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এহান উদ্দীন।

বিক্ষোভে দাবি করা হয়, মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা না করলে মেহেরপুর আসনে বিএনপির পরাজয় নিশ্চিত। তারা প্রকাশ্যে দলের মনোনীত প্রার্থী মাসুদ অরুণের বিরুদ্ধাচরণ করেন। মনোনয়ন পাওয়া মাসুদ অরুণ ইতোমধ্যেই ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ শুরু করেছেন। তার নেতৃত্বে কর্মীরা গ্রাম-গঞ্জে প্রচার চালাচ্ছেন। মাসুদ আরুণ বলেন, দলীয় মনোনয়ন না পাওয়াতে ক্ষোভ থাকতেই পারে। তবে ঠিক হয়ে যাবে। একই আসনে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মুহা. তাজউদ্দিন নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় প্রতীকের পক্ষে আগে থেকেই সক্রিয়। শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতীক সংবলিত তার পোস্টার ও ব্যানারে দেওয়ালজুড়ে ছড়িয়েছে নির্বাচনি আমেজ।

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন পক্ষের সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসদ মিল্টন পক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার দুপক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পালটাধাওয়া, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এই দ্বন্দ্বে শুধু শীর্ষপর্যায় নয়, তৃণমূল নেতাকর্মীরাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে মাঠে কাজ বন্ধ রেখেছেন, কেউ কেউ নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের গাংনী কার্যালয়ে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দীন কালুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় বক্তৃতা করেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, জেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা মহিলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লাইলা আরজুমান বানু প্রমুখ। সভায় আমজাদ হোসেনকে দেওয়া দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আগামী ২০ দিন শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

গাংনী আসনে জামায়াতের প্রার্থী নাজমুল হুদাও প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলে আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াতের দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর প্রচারণা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।




নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে চায়

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে যাদবপুর গ্রামে অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত পথসভায় জেলা আমীর রুহুল আমিন বলেছেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে চাই। জামায়াত ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে আমরা মানবতার কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবো।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত চূয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী জেলা আমীর রুহুল আমিন পথসভায় আরো বলেন, আমরা মানুষের পাশে থাকতে চাই। জামায়াতে ইসলামী নেতারা দলকানা জনপ্রতিনিধি হতে চাইনা। আমরা জনপ্রতিনিধিদের কে জনগণের নিকট জবাবদিহিতার কালচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জামায়াতে ইসলামী করতে কলিজা লাগে। মুরগীর কলিজা নিয়ে জামায়াতে ইসলামী করা যায়না। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাজারো আঘাতেও জামায়াতে ইসলামীর কর্মিরা রাজপথে দাড়িয়ে আছে। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাসিঁ, দিয়েও থামানো যায়নি এ দলের জানবাজ কর্মীদের। জুলুম, নিযাতন সহ্য করেই জামায়াত আজ এই অবস্থানে এসেছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে আয়োজিত পথ সভায় তিনি আরো বলেন, চালক ভাইয়েরা ২৪ এর গণঅভুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা দাড়িপাল্লার পক্ষে ভোট করবেন।

জামায়াতে ইসলামী দেশের শ্রমিক সমাজসহ সাধারণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠি চাওয়া পাওয়া কে মাথায় নিয়ে দেশ পরিচালনা কররে। দাড়িপাল্লা সাধারণ মানুষের প্রিয় প্রতিক। তিনি বলেন, যারা শ্রমিকদের বন্ধু হবেনা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করুন। আমরা শ্রমিকদের উত্তম বন্ধু হতে চাই।

জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করলে এ দেশে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ উন্নত করা হবে। শমিকদের ন্যায্য ন্যুন্যতম মুজুরি ধায করে দেয়া হবে। আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে উন্নতি দূর্নীতি একসাথে চলবে না। সব রকম দূর্নীতিকে জাদুঘরে পাঠানো হবে। টাকা ছাড়াই আপনার সন্তানকে চাকুরির ব্যবস্থা করতে চাই। জামায়াত মানুষের হক তার দোর গোড়ায় পৌছে দিতে চাই। আমরা শাসক নই বরং জনগণের সেবক হতে চাই। জীবননগর হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করে স্বাস্থ্য সেবার মান আরো উন্নত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বৈচিত্রময় কৃষি প্রধান জীবননগর এলাকায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হবে। সীমান্ত ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান, জেলা পেশাজীবি পরিষদের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক খলিলুর রহমান, জেলা তালিমুল কুরআন বিভাগের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন, জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক জিয়াউল হক, জেলা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা’ ইসরাইল হোসেন, জেলা মাজলিসুল মুফাসসিরিন পরিষদের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান, নায়েবে আমীর সাখাওয়াত হোসেন, সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি এমদাদুল্লাহ মহসিন জামেন, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাজেদুর রহমান লিটন, সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, সিমান্ত ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহামান, জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম, হায়দার আলী, মিজানুুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, উপজেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিক।




মানুষের উপকার করার চেষ্টা করি, অপকার করি না

বিজিএমইএ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, আমরা যদি মনে করি আমরা ভালো থাকতে চাই, আমরা যদি মনে করে অত্র এলাকার অবকাঠামো অর্থাৎ আমরা যদি মনে করি রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন চলমান থাকবে, আমরা যদি মনে করি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে, আমরা যদি মনে করি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে এবং সর্বোপরি অত্র এলাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে, তাহলে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দিতে হবে।

আজ শুক্রবার বিকেলে গড়াইটুপি ইউনিয়নে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এদিন বেলা ৩টায় মাহমুদ হাসান খান বাবু গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কে টি জি এম ক্লাব আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন। পরে তিনি গড়াইটুপি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী পথসভা করেন।

পথসভায় তিনি আরও বলেন, এই বিশ্বাস আমরা সবাই করি। আমরা এখানে যারা আছি শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষ ধরেন এই আদর্শে বিশ্বাস করি। অন্য ১০ জন আমরা কী বলছি সেটা শোনার জন্য এসেছি।এই যে ৯০ জন আমরা এসেছি শতকরা, আমাদের কাজ হবে, আমাদের এই ধানের শীষের প্রতি মানুষের আস্থাটা যাতে বজায় থাকে এবং ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা তো এই কয়টা মানুষের ভোটে জিতন না। আমাদের জিততে হলে আমাদের বিশেষ করে যারা মা-বোন যারা বাসায় আছে তাদের সঠিক জিনিসটা বোঝাতে হবে।

জেলা বিএনপি’র সভাপতি বলেন, আপনারা অতীতে দেখেছেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, যারা বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আমরা আমাদের নেতা নির্বাচন করেছি, উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছেন, কোনো জায়গায় সফল হয়েছে, কোনো জায়গায় হয়নি। কিন্তু উন্নয়নের নামে, কারও চাকরি-বাকরি দেওয়ার নাম করে, কারও সুপারিশের জন্য কোনো জায়গায় কোনো ধরনের দুর্নীতি আমাদের আগের যিনি এমপি ছিল মোজাম্মেল হক সাহেব, উনি করেছিলেন? না করিনি। উনারই উত্তরশরী আমরা, আমরা একই আদর্শ বহন করি এবং মানুষের উপকার করার চেষ্টা করি, না পারলে অন্তত অপকার করি না। চলার পথে আমাদের নেতা-কর্মীর আমিসহ কোনো যদি ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে এটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিলটন, দর্শনা থানা বিএনপির থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, সহসভাপতি মো. আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিদুল জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল হাসান, গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহাব্বত আলী, সহসভাপতি মো. রবিউল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতিয়ার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাজুল হক প্রমুখ।




জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দর্শনা পৌর বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত 

দর্শনায় গতকাল শুক্রবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে টার দিকে দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর বিএনপি দলীয় কার্যালয় সংলগ্নে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা দর্শনা পৌর বিএনপি’র সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য  আলহাজ্ব মশিউর রহমান বলেন, সিপাহী জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিলো ৭ নভেম্বর। দেশের তৎকালীন রাজনীতি গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ ই আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থানের ও পাল্টা অভ্যুতরের মধ্য দিয়ে দেশের যখন চরম নৈরাজ্য পরিস্থিতি বিরাজ করেছিল তখন সিপাহী জনতা মিলিত ঐক্যের বিপ্লব দেশ ও জাতিকে তার শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। এর মধ্যে দিয়ে সাময়িক বন্দী দশা থেকে মুক্ত হন স্বাধীনতার ঘোষক তৎকালীন মেজর জেনারেল সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান।

এরপরে  রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব প্রভাব মুক্ত হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র অর্গোলন মুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। দেশী বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তার আদর্শে পরিচালিত হয়। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবুকে নির্বাচিত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই এবার সকলেই ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।

উক্ত আলোচনা সভায় দর্শনা পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর বিএনপি’র সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য মহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য মাহবুবুল ইসলাম খোকন, রেজাউল ইসলাম, বিএনপি নেতা- মোঃ হাবিবুল্লাহ বিশ্বাস, পিয়ার আলী, নুরুল ইসলাম, ইসমাইল আমিন, জুলু মিয়া, হিরোক বিশ্বাস, মোঃ রাসেল আহমেদ, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা মেহজাবিন আফসানা শাপলা (মাস্টার)।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্নআহ্বায়ক মোর্শেদুর রহমান লিংকন, মোস্তাফিজুর রহমান মোহন, দর্শনা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলর বিলকিস খাতুন, সোনাভানু, যুবদল নেতা- আল মুকিত, মোমিনুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, দর্শনা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোফাজ্জেল হোসেন মোফা, দর্শনা ডিএস মাদরাসা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার শাহাব উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা- আকাশ, ফয়সাল সহ নেতা কর্মীবৃন্দ।




জীবননগরে বিএনপি নেতাদের জড়িয়ে ফেইসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার এবং গুজবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সাংবাদিক সম্মেলন

চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে বিএনপি নেতাদের জড়িয়ে ফেইসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার এবং গুজবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপি’র আয়োজনে বন্দর মাঠে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল গনির সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলী, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঈন উদ্দিন ময়েন, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বদর উদ্দিন বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী,দুই নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি নেতা কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং জনপ্রিয় দল। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপি ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিএনপির এই ভালো অবস্থান ও দলের সুনাম নষ্ট করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপি।

তারা আরো বলেন, সম্প্রতি গোয়ালপাড়ার ৫ জনকে অপহরণ নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তবে আপনারা লক্ষ্য করবেন, উদ্ধার হওয়ার পর সাধারণ কৃষক স্বপন আলীসহ আরও দুজন জানিয়েছেন, তাদের অপহরনের সঙ্গে আব্দুল মজিদ, শাহিন, সাইফুল, রুহুল ও লালন, যারা অপহরন করেছে তারা সবাই যশোর এলাকার ভারতীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের লোক। জীবননগরের আর কেউ অপহরনের সঙ্গে ছিল না। একই কথা জানিয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরা। তারপরও জীবননগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন ময়েনসহ বিএনপি নেতাদের নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আপনারা অপহরণ হওয়া ব্যক্তি ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বললে জানতে পারবেন, মঈন উদ্দীন ময়েন অপহরনের ঘটনার ২-৩ দিন পর অপহৃত একজনের আত্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে তাদের অনুরোধে গোয়ালপাড়া গ্রামে যান। পরে আব্দুল মজিদসহ অপহরনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে বিষয়টি সমাধান করতে না পারায় তিনি প্রশাসনের দারস্ত হওয়ার জন্য বলেন। এ ঘটনার সঙ্গে এর বাইরে তার কোনো সম্পৃক্তাতা নেই। তিনি উপকার করতে গিয়ে নানা মিথ্যা অপবাদের শিকার হচ্ছেন। আমরা এই মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা সাংবাদিকের বিষয়টি আরও তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।




জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভা ও র‍্যালি

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়।

গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে জেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। পরে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহাজীপাড়ার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আনসার উল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, জিয়া পরিবার না থাকলে বাংলাদেশ কোনোদিন ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্ত থাকতে পারত না। আজ যে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আপনাদের জন্য একটি বড় সুসংবাদ আসবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমিরুল ইসলাম এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি, এম.এ.কে খায়রুল বাশার, মীর ফারুক, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদ, ওমর ফারুক লিটন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল লতিফ, জেলা বিএনপি’র সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু।




মেহেরপুরে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে প্রথম মামলা; আসামি ১৯ জন

মেহেরপুরে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ পাচার ও ফেসবুক-টেলিগ্রামভিত্তিক প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। সদ্য কার্যকর হওয়া “সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫” এর আওতায় জেলার প্রথম মামলা রুজু হয়েছে নামীয় ১৯ আসামি সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে।

তবে নতুন অধ্যাদেশে জেলার প্রথম মামলাটি নিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত তথ্য না জানালেও বিষয়টি সামনে আসে আসামিদের সূত্রে প্রতিবেদকের হাতে আসা মামলার নথি থেকে। মুজিবনগর থানায় দায়ের করা ওই মামলাটি (নম্বর ৩, তারিখ ৪ নভেম্বর) থেকে জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর এলাকায় অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

অভিযানে অনলাইন জুয়া ও অর্থপাচার চক্রের তিন সদস্য দেলোয়ার হোসেন দিপু (৪০), সুমন আলী (৩৮) ও সাকিবুল ইসলাম (২৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মুহাদ্দিদ মোর্শেদ চৌধুরী ও শিমুল কুমার দাস।

ডিবি পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও আশপাশের এলাকায় অনলাইন জুয়া ও অবৈধ ই-লেনদেনের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে আসছিল। মামলার এজাহারে গ্রেপ্তারকৃতদের সহযোগী হিসেবে আরও ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন, মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মুকুল, শুভ (২২), প্রসেনজিৎ হালদার (২৫), আক্তারুজ্জামান ফিলসন ও শামীম (৩০), মহাজনপুর গ্রামের মিঠু (৪০) ও সোহাগ (৩৮), গোপালপুর গ্রামের বদরুদ্দৌজা রয়েল (৩৭), রসিকপুর গ্রামের সিরাজ (৩৬) এবং মোনাখালী গ্রামের মাহফুজুর রহমান (২১)। গাংনী উপজেলার  উপজেলার গাড়াডো গ্রামের তুলিপ হোসেন (৩০), মেহেরপুর সদর উপজেলার বামন পাড়ার রঞ্জু ও রাজু, কোর্ট পাড়ার মোঃ সাজু, শেখ পাড়ার পনির (২৪) এবং স্টেডিয়াম পাড়ার বাপ্পি (৩০) সহ অজ্ঞতনাম আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।

মামলার নথি অনুযায়ী, চক্রটি Binance ও Stake.com নামের আন্তর্জাতিক অনলাইন ক্যাসিনো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে টাকা পাচার পাচার করত। দেশের ভেতরে বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি টাকার লেনদেন চালাত তারা। ফেসবুক ও টেলিগ্রাম গ্রুপে দ্রুত আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলাই ছিল তাদের প্রধান কৌশল।

অভিযানস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি টয়োটা প্রিমিও (ঢাকা মেট্রো গ-৪২-৮৩৬৫), চারটি স্মার্টফোন, একাধিক মোবাইল ব্যাংকিং সিম, অনলাইন লেনদেনের তথ্যসম্বলিত নথি ও অন্যান্য ডিজিটাল প্রমাণ। পরে দিপুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে জব্দ করা হয় স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আল্ট্রা, ডাচ–বাংলা ব্যাংকের তিনটি কার্ড ও দুটি পেনড্রাইভ।

এই ঘটনায় মুজিবনগর থানায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর ২০(২), ২৪(২) ও ২৭(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য মামলাটির দুই আসামি পনির, তুলিপ হোসেনের অর্থ পাচার নিয়ে অতি সম্প্রতি ‘ফ্রিল্যান্সার সেজে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রথম সারির একটি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।