ব্রাজিলের কোচ হচ্ছেন না আনচেলত্তি, নেপথ্যে রিয়াল মাদ্রিদ

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে সফল এক অধ্যায় শেষের পথে কার্লো আনচেলত্তির। তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো এই ইতালিয়ান কোচকে ঘিরে ক্লাবজুড়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকলেও অনেকেই মনে করছেন, এখন সময় এসেছে নতুন কোচের অধীনে পথচলার। এক্ষেত্রে সাবেক রিয়াল মিডফিল্ডার জাবি আলোনসোর নামই ঘুরে ফিরছে সবচেয়ে বেশি।

ক্লাব ফুটবলে সময়টা শেষ করে আনচেলত্তি জাতীয় দলের কোচিংয়ে যাবেন এবং ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবেন। গুঞ্জন ছিল, সবকিছু প্রায় ঠিকঠাক হয়ে গেছে। গুঞ্জন ছিল সামনের ক্লাব বিশ্বকাপের আগেই আনচেলত্তি রিয়াল ছাড়বেন এবং আলোনসো দায়িত্ব নেবেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে গেছে সব কিছু। ফ্যাব্রিজিও রোমানোসহ বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক অনেকের খবর অনুযায়ী, আনচেলত্তির ব্রাজিল যাওয়া আপাতত হচ্ছে না।

এর পেছনে প্রধান কারণ রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। তিনি আনচেলত্তিকে ছাড়ার জন্য চূড়ান্ত এক্সিট ক্লজ দিতে রাজি হননি। তার যুক্তি, আনচেলত্তিকে বরখাস্ত করা হচ্ছে না, তিনি নিজে থেকে চাকরি ছেড়ে অন্য কোথাও যাচ্ছেন। তাই ক্লাবের কোনো অর্থ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

এই জটিলতার কারণে চুক্তিটি ভেঙে গেছে। তবে শুধু পেরেজ নয়, ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা নিয়েও আনচেলত্তি চিন্তিত ছিলেন। ব্রাজিলের ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম ‘জিই’ জানিয়েছে, এই অনিশ্চয়তাও আনচেলত্তিকে পিছিয়ে দেয়।

রিয়ালের এক্সিট ক্লজ দিতে অস্বীকৃতি হোক কিংবা ব্রাজিল ফুটবলের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা, অথবা দুয়ের মিশেল, সব কিছুর শেষে কোচ কার্লো আনচেলত্তির এখন ব্রাজিলের কোচ হওয়া হচ্ছে না। যার ফলে বর্তমানে কোচের পদ ফাঁকা থাকা ব্রাজিলের অপেক্ষা বাড়ল আরও একটু। জুন মাসে ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ। তার আগে দলটার হাতে আর আছে মোটে এক মাসের মতো সময়। এখন ব্রাজিল দলের কোচ হিসেবে জর্জ জেসুসের নাম এগিয়ে আছে বলে জানা গেছে।

এদিকে আনচেলত্তির সামনে আরও এক বছর রিয়ালের কোচিং করানোর সুযোগ থাকছে। তবে সেটা তিনি পূরণ নাও করতে পারেন। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানাচ্ছে বিস্ফোরক এক খবর। রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম সফল এই কোচকে পেতে সৌদি আরবের একটি দল প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের প্রস্তাবটাও বেশ লোভনীয়। সে প্রস্তাবে রাজি হলে ৫ কোটি ইউরোর সমপরিমাণ অর্থের এক চুক্তি পাবেন আনচেলত্তি। এখন ইতালিয়ান এই কোচের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেটাই দেখার বিষয়।

সূত্র: যুগান্তর




কাগুজে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য রক্ষনাগার

২০০৪ সালে মেহেরপুরের নতুন মদনাডাঙ্গা গ্রামে স্থাপিত ‘মেহেরপুর টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট’ প্রতিষ্ঠানটি কাগজে কলমে চালু আছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৫ জন শিক্ষক ৬ জন কর্মচারী এবং শতাধিক শিক্ষার্থীও আছে কাগজে কলমে।

প্রতিষ্ঠানটিতে বজলুর রহমান নামের একজন শ্রমজীবী বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পতাকা উত্তোলন করে মাঠে কাজে যান। কাজ থেকে ফিরে আসার সময় দুপুরে পতাকা নামিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন। বাস্তবে প্রতিষ্ঠানটিতে কোন কর্মচারী ও কোন শিক্ষার্থী নাই। প্রতিষ্ঠানটিকে এলাকার মানুষ মাঠে উৎপাদিত আলু পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেন। জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও জানেন না প্রতিষ্ঠানটি কাগজে কলমে থাকলেও সেখানে কোন শিক্ষক শিক্ষার্থী না থাকার বিষয়টি।

গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যলিয়টির বারান্দায় প্রায় ১শ বস্তা আলু রাখা দেখা যায়। মাঠে কর্মরত লোকজন জানান- জেলা শহরের জামাল হোসেন নামের একজন আলু ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনে হিমঘরে রাখার জন্য বিদ্যালয়টির বারান্দা ও ঘরে সংরক্ষণ করে রেখেছেন। বিদ্যালয় চত্বর বিভিন্ন ধরণের গাছ-পালাতে ঝোপ-ঝাড়ে পরিণত হওয়া দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নতুন মদনাডাঙ্গা গ্রামের একজন বলেন- প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিকভাবে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। বিএনপির শাসনামলের ওই সময় বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত না হওয়াতে দায়ীত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রতিষ্ঠানমুখো হওয়া বন্ধ করে দেন। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর ফের বিদ্যালয়টি চালু করার উদ্যোগ নেয়া হলেও কোন শিক্ষার্থী না পাওয়াতে কোন শিক্ষকও আর এমুখো হন না। কলেজ চত্বর থেকে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ রায়হান মুজিবের নম্বরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তার অবস্থান জানতে চাইলে বলেন- কলেজেই আছেন। আমরাও কলেজে জানালে তিনি বলেন বিশেষ প্রয়োজনে জেলা শহরে আছেন।

পরে স্বীকার করেন কাগজে কলমে প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ২৭ জন শিক্ষার্থী আছে। এমপিওভুক্ত না হওয়া ও শিক্ষার্থী সংকটে কাগজে কলমে চালু রাখা হয়েছে। খোজ নিয়ে জানাগেছে, এই অধ্যক্ষ মেহেরপুর জেলা শহরে কাপড়ের ব্যবসা করেন।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস মো. হযরত আলী বলেছেন “মেহেরপুর টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট’ প্রতিষ্ঠানটির চালু আছে বলে দাবি করেন। তবে একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত ‘বদরুণ নাহার টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট’ বন্ধ হয়েগেছে।

“মেহেরপুর টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট’ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও যেহেতু এখনো ইআইআইএন নম্বর আছে, মানে বোর্ডের অনুমোদন বাতিল হয়নি। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে কাগজপত্রে এখনো বন্ধের তালিকাভুক্ত করা হয়নি। কিন্তু বাস্তবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম নেই।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এমপিওভুক্তির আমায়। কিন্তু দির্ঘদিনেও যখন তা হয় না, তখন অনেকেই হাল ছেড়ে দেন। অবার যথাযথ চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা না করেই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। কিন্তু পরে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তেমন শিক্ষার্থী পায় না।




মেহেরপুরে তিন ব্যবসায়ীর নিকট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অনুমোদন বিহীন কেক, বিস্কুট প্যাকেটজাত করে বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে ৩ ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর টিম মেহেরপুর শহরের বড় বাজার গিয়াস মিষ্টান্ন ভান্ডার, হোটেল বাজার আদি বোম্বে এবং নিউ বেঙ্গল বেকারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবির আনসারীর নেতৃত্বে গিয়াস মিষ্টান্ন ভান্ডারে দই-এ মোড়ক জাতকরণ নিবন্ধন গ্রহণ না করে বিক্রি করার অপরাধে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর ২৪(১) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় একই আইনের ৪১ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

একই দিনে ছোট বাজারে নিউ বোম্বে বিএসটিআই লাইসেন্স গ্রহণ না করাই ৪১ ধারায় ৫ হাজার টাকা এবং নিউ বেঙ্গল বেকারিতে বিএসটিআয় থেকে লাইসেন্স গ্রহণ না করে কেক, ব্রেড বিস্কুট পণ্যের উৎপাদন করার অপরাধে ২৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক সুমন কুমার পাল, সুপারভাইজার দীপঙ্কর কুমার দত্তসহ, পুলিশের একটি বিশেষ দল উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরের শ্যামপুর ইউনিয়নে বিএনপি’র কর্মী সম্মেলন

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ২৯ই এপ্রিল বিকেল পাঁচটার সময় সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র আয়োজনে শ্যামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সদস্য ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এডভোকেট কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ।

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে কর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি দলীয় সাংগঠনিক অবকাঠামোকে আরও সুসংহত করার ব্যাপারে দিকনির্দেশনাও প্রদান করা হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন এর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সদস্য আলমগীর খান সাতু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজুর রহমান ফিরোজ, রাকিবুল ইসলাম সজল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোশিউল আলম দ্বীপু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, নাহিদ, জনিসহ শ্যামপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শ্যামপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলনে নতুন কমিটির সভাপতি সাহিরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানানো হয়।




মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক-৩ চাঁদাবাজ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সদস্যরা মেহেরপুর কোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ০৩ চাঁদাবাজকে আটক করেন।

আটককৃত ০৩ চাঁদাবাজ হলেন – মীর জনি ও মীর মিলন, পিতা-আমিনুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর শহরের ০৮ নম্বর ওয়ার্ড ভূমি অফিস পাড়া। ফখরুল ইসলাম, পিতা-আব্দুর রশিদ, ঘোষপাড়া ০১ নম্বর ওয়ার্ড, মেহেরপুর পৌরসভা। আটককৃত ০৩ চাঁদাবাজকে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামীদেরকে মেহেরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরো জানা গেছে যে, আটককৃত ০৩ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ০১টি চাঁদাবাজি মামলা ও ০৩টি মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে মীর জনির বিরুদ্ধে, ০৪টি চাঁদাবাজির মামলা ও ০১টি মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এবং ০৩টি মাদক সংক্রান্ত মামলা, ০৫টি চাঁদাবাজির মামলা ও ০১টি নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে মীর মিলনের বিরুদ্ধে।

মেহেরপুর পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের চাঁদাবাজিতে মেহেরপুর পৌরবাসী অতিষ্ঠ। মানুষের সাথে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।




মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে অভিভাবক সমাবেশ

মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে অভিভাবক সমাবেশের দ্বিতীয় দিনে শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন সংকট ও তা উত্তরণের উপায় নিয়ে কথা বলেছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল্লাহ আল আমিন।

তিনি বলেন, “প্রাইভেট-টিউশন ও কোচিং নির্ভরতা, অভিভাবকদের পরিচর্যা ও তদারকির অভাব, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অনুপস্থিতি, প্রযুক্তি আসক্তি এবং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত বই পাঠে অনীহা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে গভীর সংকটে ফেলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের নৈতিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমান অস্থির সময়ে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে অভিভাবকদের আরও সক্রিয় হতে হবে।”

অভিভাবক সমাবেশের দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আবদুল হামিদ, সহযোগী অধ্যাপক কাজী আশরাফুল আলম, মিরাজ উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক তবিবুর রহমান, প্রভাষক রূপালী বিশ্বাস, ইকরামুল হাসান, শামীমা খাতুন এবং খাইরুল ইসলাম।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে অভিভাবকরাও বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। তারা প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, পাঠদান পদ্ধতি, তদারকি ও পরিবীক্ষণ বিষয়ে মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।
অংশগ্রহণকারী অভিভাবকদের মধ্যে ছিলেন বায়েজিদ বোস্তামি, আতিয়ার রহমান, অচিন্ত্য সরকার, রেজাউল করিম রেজা, ওয়াহেদ মুরাদ, শামসুল আলম, সাহারুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ও অনন্যা আক্তার পান্না।




ঝিনাইদহে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, আহত ৬

ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়, এতে অন্তত ছয়জন যাত্রী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার নস্তি এলাকার একটি ইটভাটার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পূর্বাশা পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ছয়জন যাত্রী আহত হন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আসহাবুস শহীদ বলেন, আহতদের মধ্যে চারজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। দুজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের অবস্থা গুরুতর নয়।




বিটিসিএলে ১৩১ পদে নিয়োগ

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। নবম ও দশম গ্রেডে ১৩১ পদে আবেদন চলছে। এই দুটি পদে আগে যারা আবেদন করেছেন, তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। আগের আবেদনই গ্রহণ করা হবে।

১. পদের নাম: হিসাবরক্ষক

পদসংখ্যা: ৩৪

আবেদনের যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিংসহ বাণিজ্য বিভাগে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। ন্যূনতম সিজিপিএ ৪-এর স্কেলে ২.০ এবং এসএসসি/এইচএসসি পর্যায়ে ন্যূনতম সিজিপিএ ৫-এর স্কেলে ৩.০ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১৬,৫২০-৪১,৭৪৫ টাকা (গ্রেড–৯)

২. পদের নাম: টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ৯৭

আবেদনের যোগ্যতা: স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে বেতার/বৈদ্যুতিক/যান্ত্রিক শীতাতপে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণসহ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন স্কেল: ১৪,৫৬০-৩৬,৭৯২ টাকা (গ্রেড-১০)

আবেদনের সময়সীমা

আবেদনের শেষ দিন আজ।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সময়ে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে দাফন-কাফনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই সহায়তা প্রদান করা হয়।

গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা উপজেলার বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণকারী ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের হাতে এই অর্থ তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, শফিউল ইসলাম এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের গাংনী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কাউছার। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যারা এই নগদ অর্থ গ্রহণ করেন।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাফন-কাফনের খরচ বাবদ প্রতিটি পরিবারের জন্য ৫ হাজার টাকা করে এই আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়।




১৪ বছরেই রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি, বিশ্বকে বার্তা দিয়ে রাখলেন বৈভব

‘আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়/পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা/এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়—/আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা’ – সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা এ লাইন কতোশত টিনেজ প্রডিজিকে মহিমান্বিত করতে ব্যবহৃত হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। তবে বৈভব সূর্যবংশীর ক্ষেত্রে সেটাকেও বেমানান ঠেকছে।

কেনই বা ঠেকবে না? সুকান্ত তার কবিতাটা লিখেছিলেন ১৮ বছরের তারুণ্যকে উপজীব্য করে। সেখানে বৈভবের তো কৈশোরই শেষ হয়নি! যে ১৮’র কথা সুকান্ত বলেছিলেন, সে আঠারোতে পৌঁছুতেও তো তার আরও ৪ বছর লাগবে!

১৪ বছর বয়সে আইপিএলে খেলতে নামাটাই বিশাল অর্জন। নেমেই লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে খেলে বসেছিলেন ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস, প্রথম বলেই শার্দূল ঠাকুরকে হাঁকিয়ে বসেছিলেন ছক্কা। কেন তাকে এ বয়সেই অভিষেক করে দেওয়া, তার একটা জবাব ছিল সে ইনিংসে। তবে সে জবাবটা আরেকটু ভালো করে মিলল গত রাতে।

সদ্য ১৪ শেষ করে ১৫-তে পা দেওয়া বৈভব একটা সেঞ্চুরিই হাঁকিয়ে বসলেন। তাও আবার আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। গড়লেন একগাদা রেকর্ড, নাড়িয়েই দিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে, গোটা বিশ্বকেও বৈকি।

আইপিএলকে যদি একটা মানুষ হিসেবে কল্পনা করেন, তাহলে ‘তার’ বয়স দাঁড়াবে ১৭ বছর ১১ দিন। অর্থাৎ আইপিএল ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ হয়নি এখনও।

গত রাতে তোলপাড় ফেলে দেওয়া বৈভব সেই আইপিএলের চেয়েও বয়সে ছোট। আজ থেকে ১৭ বছর ১০ দিন আগে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম যখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলারদের তুলোধুনো করে ১৫৮ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসটা খেললেন, কিংবা তার এখনকার দল রাজস্থান যখন প্রয়াত শেন ওয়ার্নের হাত ধরে জিতল প্রথম আইপিএল শিরোপাটা, তখনও তার জন্ম নিতে আরও ৩ বছর বাকি প্রায়!

বৈভবের চেহারাটা দেখুন, মুখে ঠিকঠাক দাড়িগোঁফের রেখাটাও দেখা দেয়নি। সে ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সি বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাটেই গত রাতে চুরমার হলো গুজরাট টাইটান্সের বিশ্বমানের বোলিং লাইন আপ। বৈভব কাল কাদের শাসিয়েছেন দেখুন একবার— মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণ, সময়ের সেরা অলরাউন্ডার রশিদ খান, আইপিএল সেনসেশন সাই কিশোর। তাদের বিপক্ষে কী অবলীলায় সেঞ্চুরিটা হাঁকিয়ে নিলেন তিনি!

যে পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরিটা হাঁকিয়েছেন সেটা মাথায় রাখলে এর মাহাত্ম্য বেড়ে যায় আরও একটু। ২১০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল গুজরাট। এবারের আইপিএলে এমন রানের দেখা মিলছে কদাচিৎ। সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে এ রান তাড়া করার কাজটা সহজ ছিল না তার দল রাজস্থানের জন্য।

সেখানে দাঁড়িয়ে বৈভবের ৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস কাজটা ডালভাত বানিয়ে দিল আইপিএলের প্রথম চ্যাম্পিয়নদের জন্য। বৈভব কাল রাতে সেঞ্চুরির পথে ছয় মেরেছেন ১১টা, চার আছে ৭টি। সব মিলিয়ে তার বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি থেকেই রান এসেছে ৯৪। শতকরা ৯৩.০৭ ভাগ রান এসেছে বাউন্ডারিতে। আইপিএল তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক সেঞ্চুরি ইনিংসে এত বেশি ভাগ রান বাউন্ডারিতে আসেনি আর কখনো।

তার এ সেঞ্চুরি ভারতীয়দের মধ্যে আইপিএলে দ্রুততম। ২০১০ সালে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইউসুফ পাঠান। সব মিলিয়ে আইপিএলে দ্বিতীয় দ্রুততম। ৩০ বলে সেঞ্চুরি করে প্রথম স্থানটা দখলে রেখেছেন ক্রিস গেইল।

বৈভবের এ ইনিংস যখন প্রসিধ কৃষ্ণর বলে বোল্ড হয়ে শেষ হলো ইনিংসের ১২তম ওভারে, ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে উঠে গেছে ১৬৬ রান। ওপেনিং জুটিতে রাজস্থানের সর্বোচ্চ। এরপর তার দল এ রানটা তাড়া করে ফেলে ইনিংসের ১৬তম ওভারেই। ২০০র বেশি রান তাড়ায় এর চেয়ে কম ওভার আর কোনো দলকেই খেলতে হয়নি আর কখনো।

স্প্যানিশ তারকা লামিন ইয়ামালকে নিয়ে পিটার ড্রুরি গেল বছর ইউরোয় অবাক বিস্ময়ে বলেছিলেন, ‘লামিন ইয়ামাল, ১৬ বছর বয়স মাত্র! এ বয়সে আপনি কী করছিলেন? এখানের গল্পটা ছোট্ট ছেলেটার পুরুষ হয়ে ওঠার গল্প। কী দারুণ এক গল্প, তাই না?’

কাছাকাছি একটা কিছু গত রাতে ক্রিকেট মাঠে ঘটিয়ে দিলেন বৈভব। লামিনের চেয়েও আরও কম বয়সে! রেকর্ডের পাতা তোলপাড় হলো তাতে। সাবেক-বর্তমান রথী-মহারথীদের চোয়াল ঝুলিয়ে দিয়ে প্রশংসাও কুড়ালেন অগুণতি।

তাতে বিশ্বও একটা বার্তা পেয়ে গেল বৈকি! এভাবে খেলতে থাকলে ওই আঠারোর আগেই যে ভারতের আকাশরঙা জার্সিটা গায়ে চড়বে বৈভবের, তা বোধ হয় না বলে দিলেও চলে।

সূত্র: যুগান্তর