হরিণাকুণ্ডুতে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য ও প্রতিকার শীর্ষক মতবিনিময় সভা 

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য ও প্রতিকার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় হরিণাকুণ্ডুস্থ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য ও প্রতিকার শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আবুল হাসান মাস্টারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, মাসুদুল হক টিটোর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ এম.এ মজিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি জিন্নাতুল হক খাঁন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক তাইজাল হোসেন, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক আনিচুর রহমান, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ এবং উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুজ্জামান লিজি, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, জেলা শিক্ষক সমিতির আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম প্রমূখ। মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় আদালতের রায় পেয়েও জমির দখল না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন

আদালতের রায় পাবার পরও জমি দখল না পাওয়ায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের নিকট লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আরশেদ আলির ছেলে আলি আকবার।

তিনি লিখিত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ৪২৬ নং খতিয়ানের ১০৩১৪ নং দাগে ১৭ শতক জমি রয়েছে। ওই জমির মালিকানায় রয়েছে মৃত আরশেদ আলি গং। ওই জমি আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন গোবিন্দপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা সাদেকুর রহমান পলাশ, লাভলু ও শামিমের নেতৃত্বে জবর দখল হয়। তারপর বাধ্য হয়ে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করি। গত দুই বছর মামলা চলার পর আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। রায় বুঝিয়ে পাবার পর ওই রায়ের একটি কপি আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের নিকট জমা দি।

তিনি আরও বলেন, রায়ের কপি পাবার পর থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জবর দখলকারী সামিমকে প্রকৃত মালিককে জমি বুঝিয়ে দিতে বলে। সামিম জমি দখল না দিয়ে অন্য জমির দাগ দেখিয়ে সামিমের নির্দেশে সাদেকুর রহমান পলাশের স্ত্রীকে দিয়ে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। যার সাথে আমার দখলীয় জমির কোন মিল নেই।

এছাড়া সামিম স্থানীয় জামায়াত নেতার মাধ্যমে আলমডাঙ্গা থানাতেও একটি মিথ্যে লিখিত অভিযোগ করে। থানা পুলিশ আমার কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে তারাও আমার পক্ষে রায় দেন। এমনতবস্থায় গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর আমার কাছে ঘর ভাড়া নেবার জন্য সালিশ বসে। কিন্তু ওই শালিসে চুক্তি বিহীন ভাড়া দাবি করলে আমি রাজি না হওয়ায় তারা ২০/২৫ জন জামায়াত নেতা শফিকুল আলম বকুল ও সামিমের নেতৃত্বে দুলুসহ কয়েকজন আওয়ামীলীগের সদস্য আমার বসতবাড়িতে উপস্থিত হয়ে গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি দেয়।

এমতাবস্থায় আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।




দর্শনায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় গ্রেফতার ৩

দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দর্শনায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার দর্শনার এক স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে দিনে-দুপুরে এক দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে।

গত মঙ্গলবার সকালে কোনো এক সময় পৌর শহরের আমতলাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে দর্শনা থানা পুলিশ চোর সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, দর্শনা আজমপুর ইটভাটা পাড়ার আশরাফুলের ছেলে আনিছ (১৭), একই গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে অন্তর হোসেন ওরফে মারুফ খান (২৮) ও হারুনের ছেলে হৃদয় কে (২৫) বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার চোরেরা, ঘরের গ্রীল কেটে ২১ ভরি স্বর্ণ ও নগদ দুই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার মনজু ঘোষ সকাল ৮ টার দিকে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যায়। স্কুল ছুটি করে দুপুর ১ টার দিকে বাসায় এসে দেখে চোরেরা ক্লাসিবল গেট কেটে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় চোরের দল ঘরের আলমারী ভেঙ্গে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, ৭ জোড়া স্বর্ণের চেইন, ১২ টি স্বর্ণের আংটি, ৭ জোড়া হাতের রুলি ও নাক ফুলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চোরেরা নির্বিঘ্নে নিয়ে পালিয়ে যায়। গতকাল তাদের তিনজনকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।




মেহেরপুরের ৯ নং ওয়ার্ডে অ্যাড. কামরুল হাসানের গণসংযোগ

মেহেরপুরের ৯ নং ওয়ার্ডে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এক গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে এ গণসংযোগে তিনি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং বিএনপ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্টকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।

গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলিফ আরাফাত, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক লিয়াকত আলি, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, বিএনপি নেতা নাহিদসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।




মেহেরপুরে বিএনপি’র গণসংযোগ ও পথসভা 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরে গণসংযোগ ও পথসভা করেছে বিএনপি। গতকাল সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও পথসভা করা হয়।

উজুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে মনোহরপুর গ্রামের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর আগে সেখানে পথসভা করা হয়। পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ।

তিনি বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি ১৭ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে। প্রয়োজনে আবারো করবে। এ দেশ শহীদ জিয়া পরিবারের হাতেই নিরাপদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ রাজিব খান প্রমুখ।




মেহেরপুরের সিংহাটিতে তুলার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত 

মেহেরপুর সদরের পূর্ব সিংহাটি গ্রামে পরিকল্পিত উপায়ে তুলা চাষ বাড়াতে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল সোমবার বিকেল ৪ টায় বারাদী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া সিংহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে ও মেহেরপুর সদর ইউনিটের সহযোগিতায় এবং রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেন দেবাশীষ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সুপ্রিম সীড এর প্রতিনিধি হুমায়ন আহমেদ।

বারাদী ইউনিয়নের ৩০ জন তুলা চাষীদের নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে তুলা ফসলের ফলন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বারাদী অফিসের কটন ইউনিট অফিসার জাকারিয়া ইকবাল।




মেহেরপুরে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের স্মারকলিপি প্রদান

বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, বেতন, বোনাস এবং চিকিৎসা ভাতা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন, মেহেরপুর জেলা শাখা।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। শিক্ষক নেতারা জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আল আমিন ইসলাম (বকুল), মমিনপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাবারুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. আইয়ুব আলী, গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. মমিনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনজুরুল হাসান টুটুল, গাংনী উপজেলা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মনোয়ার হোসেন, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, কারিগরি শিক্ষক পরিষদের সভাপতি আমজাদ হোসেন, পৌর মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ড. এমদাদুল হক (করমদি কলেজ), এবং মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সালেমন প্রমুখ।

এছাড়াও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৪৫% বাড়িভাড়া, ১০০% বোনাস, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, এমপিওভুক্তকরণ, অবসরকালীন ভাতা ও কল্যাণ তহবিলের পাওনা আদায়সহ দ্রুত বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে।

তারা সরকারের প্রতি এসব দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।




নরমাল ডেলিভারিকে উৎসাহ দিতে মেহেরপুরে ডিসির উপহার বিতরণ

মেহেরপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এক নবজাতক কন্যাশিশুর মাকে উপহার ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম।

আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক নিজে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে নবজাতকের মা শান্তনা খাতুনের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন। শান্তনা মেহেরপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়ার রাসেল হোসেনের স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার সকালে শান্তনা খাতুন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে নবজাতক ও তার মায়ের খোঁজখবর নেন এবং ফুল ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক নবজাতকের নাম রাখেন সারা বিনতে রাসেল এবং তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটির জন্মনিবন্ধন সনদ মায়ের হাতে তুলে দেন।

ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম বলেন, সরকারি হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারিকে উৎসাহিত করতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। ভবিষ্যতে যেসব মা নরমাল ডেলিভারি করবেন, তাদের সবাইকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক আব্দুস সাত্তার, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকা, সহকারী কমিশনার শেখ তৌহিদুল কবীর, এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. রুমানা হেলালি জুশি।




মেহেরপুরে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রি, কসাইকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুরে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে এক কসাইকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত কসাই হলেন সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মৃত নয়মুদ্দীন খানের ছেলে শরিফুল ইসলাম।

সোমবার সকালে সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকার নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. তারিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কুলবাড়িয়া বাজারে একটি রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলামের নির্দেশে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘটনাস্থলে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির সত্যতা পাওয়া যায়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলেই তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে জব্দ করা মাংস কেরোসিন ঢেলে মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করা হয়।




দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীর অবৈধ বাঁধ অপসারণ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীতে নির্মিত দুটি অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সুবলপুর ও আমডাঙ্গা এলাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে নদীর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে স্থানীয়ভাবে নির্মিত দুটি বাঁধ ভেঙে দেওয়া হয়। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনঃস্থাপিত হয় এবং স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক মহলদার, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আসাদসহ পুলিশের একটি টিম।

অভিযান প্রসঙ্গে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান বলেন, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পুলিশের দামুড়হুদা মডেল থানার সদস্যদের সমন্বয়ে আমরা মাথাভাঙ্গা নদীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী উপাদান, অবৈধ বাঁধ বা কোমর অপসারণ করেছি। আপনারা জানেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কিছু জাল এবং দুটি অবৈধ বাঁধ বা কোমর অপসারণ করা হয়েছে। নদী দখল ও অবৈধ বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান রয়েছে। কেউ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করতে পারবে না। এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে।

স্থানীয়রা জানান, বাঁধ অপসারণের ফলে মাছ ধরা সহজ হবে এবং পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাও কমবে।