মুজিবনগরে ৪ বাংলাদেশিকে ঠেলে দিল বিএসএফ

মেহেরপুরের মুজিবনগরে ১ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলাসহ মোট ৪ জনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পুশইন করেছে। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাদের আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন যশোর কোতোয়ালি থানার মৃত মশিয়ার রহমানের ছেলে তাহাজ্জেল হোসেন (৩৫), সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ থানার হারান সরকারের স্ত্রী সুলতা সরকার (৪২), সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানার মহিদুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা (৩৫) এবং মাদারীপুর রাজৈর থানার ধ্রুব বারুরীর স্ত্রী তৃপ্তী বারুরী (৩৫)।

স্থানীয় সূত্র ও মুজিবনগর থানা পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছিল। সাজা ভোগ শেষে বুধবার সকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ দারিয়াপুর সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয়।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ১ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলাসহ চারজনকে বিএসএফ সীমান্ত পার করে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
তাদেরকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। নাগরিকত্ব যাচাই শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




ঝালকাঠিতে একই স্থানে বিএনপি-যুবদলের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি

ঝালকাঠির রাজাপুরে একই স্থানে একই সময়ে উপজেলা বিএনপি ও যুবদল পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় শহর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত ১০টায় এ আদেশ জারি করেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ। এতে রাজাপুর উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ১২টা পর্যন্ত যেকোনো সভা, সমাবেশ, মিছিল, মিটিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, রাজাপুরে একই সময় একই স্থানে বিএনপি ও যুবদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। উপজেলা বিএনপির একাংশ জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা মার্কেট চত্বরে র‌্যালি ও সমাবেশের কর্মসূচির ডাক দেয়। একই সময়ে উপজেলা চত্বরে ‘জুলাই/২৪ বিপ্লব’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশের ঘোষণা দেয় উপজেলা যুবদল। একই স্থানে একই সময় দুই গ্রুপের সমাবেশের বিষয়টি চিঠি দিয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ ও রাজাপুর থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেনকে জানানো হয়।

এ পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে উপজেলা প্রশাসন জরুরি বৈঠক করে সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে।দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ডেপুটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকার কথা ছিল দলের নির্বাহী কমিটির সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এইচ. এম. সাইফ আলী খানের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদৎ হোসেনের।

অপরদিকে উপজেলা যুবদলের সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল ঝালকাঠি জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. রবিউল হোসেন তুহিনের। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকার কথা ছিল জেলা যুবদলের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান খানের। সভাপতিত্ব করার কথা ছিল উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মাছুম বিল্লাহ পারভেজের।

রাজাপুর থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সভাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঠেকাতে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর রয়েছে।

ইউএনও রাহুল চন্দ বলেন, ‘কর্মসূচির বিষয়ে কেউ আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। শুধু অবহিত করেছে। একই সময় ও একই স্থানে উভয়পক্ষ কর্মসূচি ঘোষণা করায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটতে পারে। তাই সভাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আইন অমান্য করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সূত্র: কালের কন্ঠ।




ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশ গড়ার সুযোগ দিন: তারেক রহমান

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে দেশ গড়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জনগণ বিএনপিকে সমর্থন জানালে নিরাপদ, সমৃদ্ধ ও সবার জন্য কর্মবান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক যুব দিবসের আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে ‘যুব সমাজের প্রত্যাশা ও বিএনপির পরিকল্পনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, স্লোগাননির্ভর রাজনীতির দিন ফুরিয়ে এসেছে। বিএনপি শুধু প্রতিশ্রুতি দেয় না, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিশ্বাস করে। জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে সব পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। জনগণের জীবনমান উন্নয়নের সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাইলে বিএনপির প্রতি জনগণের স্বতঃসাফূর্ত সমর্থন প্রয়োজন। জনগণের শক্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব সহযোগিতা ও সমর্থন প্রয়োজন।

তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে-ফ্যাসিবাদের দেড় দশক পর ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সব নারী-পুরুষ, ছাত্র-তরুণ, যুবসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে আমার আহ্বান-আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিন। দেশ গড়ার সুযোগ দিন। সবার সহযোগিতা চেয়ে এতটুকু বলতে চাই- ভোট দিলে ধানের শীষে, দেশ গড়ব মিলেমিশে। তিনি বলেন, নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে আগামী দিনের বিএনপির মূল রাজনীতি। দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি তখনই সম্ভব যখন কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা যায়। প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে সরে এসে আমরা যদি সহনশীল ও সমঝোতার রাজনীতি চর্চা করি তাহলে দেশের সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

বক্তব্যের শুরুতে প্রযুক্তিনির্ভর যুবসমাজ গড়ে তোলার বিষয়ে তারেক রহমান দলের কর্মপরিকল্পনা বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই তরুণ যুবসমাজকে প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তরুণ-যুবসমাজকে প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন ও দক্ষ যুবশক্তি হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিএনপির নেওয়া কর্মপরিকল্পনা বাস্তবসম্মত এবং সময় উপযোগী। তরুণ-যুবসমাজের সৃজনশীলতা উদ্ভাবনী শক্তি এবং কর্মস্পৃহা দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নেবে। অপরদিকে যুবসমাজ বিপদগামী হলে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে। প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনে পিছিয়ে পড়লে যুবসমাজের পক্ষে রাষ্ট্র ও সমাজে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) মতো আধুনিক প্রযুক্তি মানুষের জীবনধারাকে বদলে দিচ্ছে। প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ হচ্ছে। এসব নিত্যনতুন প্রযুক্তির কারণে অনেক ট্রেডিশনাল কাজ বিলুপ্তি হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের বাজার বড় হচ্ছে। সুতরাং প্রযুক্তির নতুন বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে। এজন্য অবশ্যই প্রয়োজন দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন। তরুণ ও যুবসমাজের জন্য এ মুহূর্তে দক্ষতা, যোগ্যতা অর্জনই হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে প্রযুক্তিনির্ভর তারুণ্য এবং যুবশক্তি গড়তে হলে যুবশক্তির প্রযুক্তিগত কর্মদক্ষতা অবশ্যই বাড়াতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নানামুখী পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে। স্কুল পর্যায় থেকে শিক্ষা কারিকুলাম প্রযুক্তিবিষয়ক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হিসাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আমাদের টিমগুলো কাজ করছে। প্রয়োজনীয় প্ল্যানিং তারা তৈরি করছে।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা হতে পারে আমাদের একমাত্র সাফল্য ও সমৃদ্ধির নিয়ামক। একটি দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি যখন শ্রমশক্তি থাকে, সেটি হলো ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড। এ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের বিবেচনায় দেশের বর্তমান জনসংখ্যা দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়মক হয়ে উঠতে পারে। কারণ বয়সের হিসাবে আমাদের জনসংখ্যার অধিকাংশ কর্মক্ষম। এ জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করা প্রয়োজন।

তারেক রহমান বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমরা আগ্রহী। একই সঙ্গে তরুণ-যুবকদের আগ্রহী একটি অংশকে খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জন প্রয়োজন। এজন্য এ খেলাকে পেশা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ক্রীড়া শিক্ষাকেও আমরা কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত করতে পারি।

এদিকে, বিএনপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচারের অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি আগামী দিনে সরকার গঠন করতে পারে-তাই আমাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

যে কোনো অপকর্মের সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে খাটো করার অপচেষ্টা চলছে। বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে বড় দল হিসবে কাজ করবে। যাতে আওয়ামী লীগের মতো কারচুপির নির্বাচনের অভিযোগ তুলে কেউ বিএনপির দিকে আঙুল তুলতে না পারে। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সচেতন থাকতে হবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমাদের নেতা (তারেক রহমান) তার নিজস্ব সংগ্রাম দিয়ে নির্বাচনকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিয়ে এসেছেন। আমাদের দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন আয়োজনের। আমরা যাতে এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে পারি।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএস জিলানীর সভাপতিত্বে ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির যৌথভাবে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন। এতে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, সিনিয়র সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম খান ও মুক্তাদির রশীদ রুমি, নাট্য নির্মাতা মাসরুর রশীদ বান্নাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাফসির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।

সূত্র: যুগান্তর।




গাংনীতে নির্মাণাধীণ কাজে জটিলতা নিরসনে গঠিত কমিটির পরিদর্শন

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা শহরের প্রানকেন্দ্র বড়বাজার এলাকার নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে।

ফলে গাংনী উপজেলাবাসির দুভোর্গ বেড়েছে। রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় গাংনী বড়বাজার এলাকায় ছোট বড় দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি। এতকিছুর পরেও রাস্তার এই অংশটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগে গ্রহণ করেনি সড়ক বিভাগ।

জানা গেছে, সড়ক বিভাগের নিজস্ব জায়গা অজ্ঞাত কারণে প্রভাবশালী মহলের কাছে রেখে জেলা পরিষদের জায়গা দখলের অপচেষ্টা করছেন সড়ক বিভাগের সাব ডিভিশনাল প্রকৌশলী (এসডি) মিজানুর রহমান।

একটি সূত্র মতে জানা গেছে, ইতোপূর্বে সড়ক বিভাগ গাংনী উপজেলা শহরের সড়ক বিভাগের উপর স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করে মাইকিং করলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি। ফলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোটি কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ দখলে নিয়ে চারতলা বিল্ডিং তৈরী করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের উৎস তৈরী করেছে একটি প্রভাবশালী মহল।

এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিজস্ব জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত না করে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মিজানুর রহমান জেলা পরিষদকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জেলা পরিষদের জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে জায়গার মালিকানা নির্ধারণে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত টিম গত সোমবার দুপুরে গাংনী উপজেলা শহরে আসেন। তদন্ত টিমের প্রধান ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান, সদস্য হিসেবে ছিলেন, মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ল্যান্ড রেকর্ড এন্ড ইকুইজেশন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রতিনিধি ও মেহেরপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। এসময় গাংনী বাজারের বিশিষ্ট জন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক বিভাগের সাব ডিভিশনাল প্রকৌশলী (এসডি) মিজানুর রহমান বলেন, আমরা যৌথভাবে তদন্ত করেছি। এই তদন্ত টিমের প্রধান রিপোর্ট লিখবেন। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে যত দ্রুত সম্ভব যৌথ পরিমাপ করে বিষয়টি চুড়ান্ত করার জন্য সুপারিশ করবেন। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের দাবি একটা প্লট, আর আমাদের দাবি আরেকটা প্লট। আসলে ওদের (জেলা পরিষদের) কাগজপত্র যেটা ওদের কাগজপত্র অনুযায়ী ওদের প্লট যেটা আমরা সেটা চাইনি। আমরা যেটা চাচ্ছি জেলা পরিষদ সেটা মানছেন না। এসডি মিজানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনারা নিজেদের জমি চাইলে জেলা পরিষদ মানবেনা কেনো? এব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা আমাদের জমি চাচ্ছি, জেলা পরিষদের আটকানোর বিষয়ও না, কিন্তু তারা যৌথ পরিমাপ করছেনা। যৌথ পরিমাপ করলেই তো বোঝা যেতো এটা আমাদের নাকি তাদের প্লট।

সড়ক বিভাগের জায়গা ফেলে রেখে জেলা পরিষদের জমিতে যেতে চাচ্ছেন কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এব্যাপারে কোনো কথা বলার এখতিয়ার আমার নেই। আমি কোনো কথা বলবোনা। এটা এখন ডিডি সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিষয়। তারা জ্যান্ডিলিংখ করছে আপনি তাদের কাছে প্রশ্ন করেন।




মেহেরপুরে বিএনপির ৩১ দফা দাবির লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

মেহেরপুরের শহরে ও আহমদ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিএনপির ৩১ দফা দাবি জনগণের মাঝে প্রচারের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

তিনি পন্টের ঘাট, বামনপাড়া, বন্দর ও চকশ্যামনগর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট তুলে দেন এবং মতবিনিময় করেন।

এ সময় কামরুল হাসান বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী আদর্শের দল, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল, সামনে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে আমাদের প্রিয় নেতা, ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে, ইনশাল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, কোন কারণে ভোট যদি এই সরকার বিলম্বিত করতে চায়, তাহলে আপনাদের সকলকে রাস্তায় নেমে ভোট আদায় করে ছাড়তে হবে। আমরা চাই এদেশে গণতন্ত্র আসুক, সমস্ত মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন, সংবিধানে যেসব চাওয়া-পাওয়া আছে, সেভাবে জীবন যাপন করুক। এই ফ্যাসিস্টের যতদিন না পর্যন্ত এই বাংলাদেশের মাটিতে বিচার কার্যক্রম সম্পূর্ণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকবো।

গণসংযোগে জেলা বিএনপি’র সদস্য আলমগীর খান ছাতু, মীর ফারুক হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক পিপি আবু সালেহ নাসিম, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিব, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, সাবেক সদর থানা যুবদলের সভাপতি হাসিবুল ইসলাম স্বপনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতারা জানান, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে এভাবে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ চালিয়ে জনগণকে ৩১ দফা দাবির বিষয়ে অবহিত করা হবে।




‘সাদাপাথরে’ নজিরবিহীন লুটপাট, ক্ষোভ জানিয়ে যা লিখলেন রুবেল

গেল বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে বিরামহীনভাবে চলছে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুট। সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভ্রমণপিপাসু মানুষের পছন্দের শীর্ষে থাকা এটি বর্তমানে লুটেরাদের ছোবলে ক্ষতবিক্ষত স্পটে পরিণত হয়েছে।

লুটপাটের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে এক সংক্ষিপ্ত পোস্টে তিনি লুটপাট বন্ধ করে প্রকৃতি রক্ষার আহ্বান জানান।

ফেসবুক পোস্টে রুবেল লিখেছেন, ‘সিলেটের সাদাপাথর নেই তো হারাবে সিলেটের সৌন্দর্যের গল্প। সাদা পাথর লুটেরাদের থামাওপ্রকৃতি লুট নয়, প্রকৃতি রক্ষা করুন।’

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমে ‘সাদাপাথরে’ লুটপাটের কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পাথরখেকোদের তাণ্ডবনৃত্য দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সেই ধারাবাহিকতায় রুবেলের এই প্রতিক্রিয়া এলো।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এলাকায় শুরু হয় পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আশ্রয়ে চলছে এই লুটপাট।

পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় এই পর্যটন স্পটটি হারিয়ে যেতে পারে মানচিত্র থেকে। এতে সেখানকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন হবে।

সূত্র: যুগান্তর ।




বিএনপির চেয়ে জামায়াতের আয় দ্বিগুণ, ব্যয় পাঁচগুণ

২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের বিবরণী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এতে গত বছর দলটির আয় দেখানো হয়েছে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা। আর দলটি ব্যয় দেখিয়েছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা।

বিএনপিও আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছর তাদের মোট আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা, আর ব্যয় হয়েছে চার কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা।

দুই দলের প্রদত্ত তথ্যনুযায়ী ২০২৪ সালে জামায়াতের আয় বিএনপির প্রায় দ্বিগুণ এবং ব্যয় পাঁচগুণ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী জানান, দলটির আয়ের প্রধান উৎস ছিল সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই ও পুস্তক বিক্রি, ব্যাংক সুদ এবং এককালীন অনুদান। অন্যদিকে ব্যয়ের বড় অংশ গেছে কর্মসূচি বাস্তবায়ন, লিফলেট-পোস্টার মুদ্রণ, ব্যক্তিগত ও দুর্যোগকালীন সহায়তার পেছনে।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া জামায়াতের হিসাব বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত বছরে জামায়াত কর্মী ও সদস্যদের চাঁদা থেকে আয় করেছে ১৬ কোটি ৫৬ লাখ ৪২ হাজার ১৬২ টাকা। কার্যনির্বাহী কমিটি অথবা উপদেষ্টা পরিষদের চাঁদা অথবা অন্যান্য চাঁদা ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৯ টাকা।

এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি অথবা সংস্থার কাছ থেকে অনুদান পেয়েছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৯ টাকা। দলের পত্রিকা, সাময়িকী, বইপুস্তক বিক্রি থেকে আয় ৯ লাখ ১১ হাজার ২৯০ টাকা। অন্যান্য চাঁদা থেকে দলটি আয় করেছে ৭ লাখ ২১ হাজার ৭৯ টাকা এবং আগের বছর স্থিতি ছিল ১০ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৯১ টাকা। মোট আয় ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা।

জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের বেতন-ভাতা ও বোনাসে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭৩ টাকা।

আবাসন ও প্রশাসনিক বাবদ ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা ব্যয় হয়েছে। বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাসসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করেছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৮ টাকা। ডাক, টেলিফোন, ইন্টারনেট, কুরিয়ার সার্ভিস, পত্রিকা বাবদ ব্যয় হয়েছে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৬ টাকা। আপ্যায়নে ব্যয় হয়েছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬২ টাকা।

এ ছাড়া প্রচারণা ও পরিবহনে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৫৬৩ টাকা। যাতায়াত বাবদ খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা। জনসভা, পথসভা, ঘরোয়া বৈঠকে ব্যয় হয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৫ টাকা। প্রার্থীদের অনুদান দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪২০ টাকা। ধর্মীয় বিশেষ অনুষ্ঠান বাবদ ব্যয় ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫০ টাকা। অন্যান্য ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯ টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা।

মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত হিসাব বিবরণী থেকে আরও জানা গেছে, জামায়াতের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে আগের বছরের আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর




দর্শনায় ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১০২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে দর্শনা আনোয়ারপুর মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার ওপর অভিযান চালানো হয়।

এ সময় দর্শনা থানার এসআই মাসুদুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ওই স্থানে গিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে ১০২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি কাপড় স্ট্রিপ করার আয়রন মেশিন এবং অন্যান্য সামগ্রীসহ বড় দুধপাতিলা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে শিপন ইসলামকে (২৩) গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং গতকালই তাকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।




মেহেরপুরের আমদহে গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ

মেহেরপুরের আমদহ ইউনিয়নের আমদহ, বামনপাড়া ও চকশ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১,৫০০ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোপণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক), কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ এবং ইউথ ফোরাম মেহেরপুরের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি ওয়াচ গ্রুপ ও ইউথ ফোরামের সদস্য, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গাছ পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে গাছ লাগানোর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে চারা তুলে দিয়ে তাদের পরিবেশ সচেতন করে তোলা হয়েছে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুধু বিতরণ নয়, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফলজ, বনজ ও ভেষজ গাছও রোপণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে গাছের চারা বিতরণ ও রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চারা বিতরণ করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছাঃ কাজল রেখা, প্রোগ্রাম অফিসার আশিক বিল্লাহ ও চাঁদতারা।




দামুড়হুদায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালন

দামুড়হুদায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা, যুব ঋণের চেক, সনদপত্র ও গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় “প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, দামুড়হুদার যৌথ উদ্যোগে প্রথমে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা, যুব ঋণের চেক, সনদপত্র ও গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাজমুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আশরাফুল আলম। গীতা পাঠ করেন নারায়ণ চন্দ্র দাস।

এবারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সফল আত্মকর্মী যুবক ও যুবতী মোট ১৭ জনের মাঝে ২৯ লক্ষ টাকার যুব ঋণের চেক, সনদপত্র ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুজোহা পলাশ, সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, মশিউর রহমান, শারমিন নাহার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি রাশেদ অনিক, সফল আত্মকর্মী রোজিনা খাতুন, রিয়াজুল ইসলামসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।