শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। একই অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। অপর আসামী ও পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণা শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। বেলা সোয়া একটার দিকে গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন জনের সঙ্গে শেখ হাসিনার টেলিফোনে কথোপকথনগুলো পড়ে শোনানো হয়। এছাড়া গণহত্যার সংজ্ঞা এবং এই মামলায় বিভিন্ন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়ে শোনানো হয়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা প্রথম অভিযোগে তার মৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে আনা দ্বিতীয় অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলার রায়। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক। দুজনই এখন ভারতে অবস্থান করছেন।এই মামলায় একমাত্র আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে তাকে বিমর্ষ মুখে চুপচাপ রায় শুনতে দেখা গেছে। এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তায় সকালে কারাগার থেকে তাকে আদালতে আনা হয়। মাথা নিচু করে তিনি প্রিজন ভ্যান থেকে আদালতে প্রবেশ করেন।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মেহেরপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় বিষয়ক সমন্বয় সভা

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং করণীয় বিষয়ক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ তরিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম। সভার সভাপতিত্ব করেন পার্থ প্রতিম শীল। এতে মেহেরপুর জেলার সকল ইউনিয়নের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজন করে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এবং বাস্তবায়নে ছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গ্রাম আদালতের জেলা ম্যানেজার জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান। সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ আলমগীর কবির, বাবুল আক্তার, মোঃ শাকিলুজ্জামান এবং পিএফএ মোঃ শাহাজুল।
সভায় বক্তারা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম, পরিচালনা পদ্ধতি এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথি বলেন, আপনারা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি গ্রাম আদালতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গ্রামের ছোটখাটো ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিরোধ যাতে উচ্চ আদালতে না যায় সেজন্যই ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত গঠন করা হয়েছে। আপনারা পেশকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেও আপনাদেরই তাঁদের প্রশিক্ষিত করে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। যে মামলাগুলো গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত সেগুলো এখানে নিষ্পত্তি হবে, আর এখতিয়ারবহির্ভূত মামলা উচ্চ আদালতে প্রেরণ করতে হবে। যে ইউনিয়নগুলো মামলা গ্রহণে পিছিয়ে আছে তারা প্রচারণা বাড়িয়ে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এই সমন্বয় সভার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং সাধারণ মানুষকে আরও সহজে গ্রাম আদালতের সেবা প্রদান করতে পারবে। প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে হবে, ব্যানার ও সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে এবং মাসিক ভিত্তিতে মামলার তথ্য হালনাগাদ রাখতে হবে।

সভাপতি বলেন, সরকার গ্রাম আদালতকে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করেছে। এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে গ্রামীণ বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব। গ্রাম আদালতে মানুষ হয়রানির শিকার হয় না, বরং এখান থেকে সুসম্পর্ক ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে ওঠে।

সভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।




মেহেরপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন আজ

মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্যাপক প্রস্তুতির পর চরম উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যেই চলছে ভোটগ্রহণ।

ত্রিবার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটারদের মধ্যেও দেখা গেছে সরগরম পরিবেশ।

গত বছরের তুলনায় এবার নির্বাচন আরও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ ভোটাররা। তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। যারা আগামীতে শ্রমিকের ভোটে নির্বাচিত হবেন, তারা নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করবেন।

মনোনয়নপত্র ক্রয় করা প্রার্থীদের মধ্যে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আহসান হাবীব সোনা, শাহিন আলম ও বকুল হোসেন। কার্যকরী সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়েছেন সাজেদুর রহমান, সৈয়দ রাকেশ হাসান ও উজ্জল হোসেন।

সহ-সভাপতি পদে আলমগীর হোসেন ও শাহিন আলম টুটুল, সাধারণ সম্পাদক পদে মতিয়ার রহমান ও শাখাওয়াত হোসেন সবুজ, যুগ্ম সম্পাদক পদে নাসিম ইসলাম, এরশাদ আলী ও রেজাউল হক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেন্টু শেখ ও ফরহাদ হাসান তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রমেজ উদ্দিন ও আফজারুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চঞ্চল শেখ ও চাঁদ আলী।

কোষাধ্যক্ষ পদে আজিজুল হক, মাহবুব, মোফাজ্জেল ও সোহেল; সড়ক সম্পাদক পদে সোহেল রানা সজীব, মুরসালিন ও আনারুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক পদে মাহবুব রিপন ও খাইরুল ইসলাম; প্রচার সম্পাদক পদে সুমন ও ইয়ারুল ইসলাম মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন।

এছাড়া সদস্য পদে শরিফুল ইসলাম, আন্নাচ আলী, লাল মিয়া, জিয়ারুল, শাহিন শেখ, আব্দুল জব্বার, খবিরুল, রশিদুল ইসলাম ও বাচ্চু মনোনয়নপত্র তুলেছেন।




দর্শনায় ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে প্রচার বোর্ড স্থাপন

দর্শনা পৌরসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু আগামী ত্রিদেশীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী বিজয় করার লক্ষ্যে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রচার বোর্ড স্থাপন করেছেন। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় দর্শনা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এই প্রচার বোর্ড স্থাপন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোঃ মহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মশিউর রহমান, সমন্বয় কমিটির অন্যান্য সদস্য বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম খোকন, মোঃ মহিদুল ইসলাম, মোঃ রেজাউল ইসলাম, দর্শনা রেলবাজার কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, দর্শনা পৌর বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ শহিদুল মোল্লা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, প্রবীণ বিএনপি নেতা মোঃ ইসমাইল আমিন, আব্দুল হামিদ, আলাউদ্দিন, যুবদল নেতা সোহাগ জামাদার, ছাত্রদল আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, আব্দুল মুকতি, সাইদুর রহমান, ওয়াসিম, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিম মুন্না, সোভন, পলাশ, ফরাদ, লিজন, আকাশ খান প্রমুখ।

বিএনপি নেতারা জানান, ভোটারদের কাছে প্রার্থী ও ধানের শীষ মার্কার পরিচিতি বাড়ানো এবং নির্বাচনী প্রচারণা জোরদার করাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।




দামুড়হুদায় অধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দীনের বিদায় সংবর্ধনা ও স্মৃতিচারণ

দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দীনের বিদায় সংবর্ধনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার বেলা ১১টায় কলেজের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদায়ী সংবর্ধনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছা. রেহেনা কুল। প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. রফিকুল হাসান তনু।

প্রধান অতিথি মো. রফিকুল হাসান তনু বলেন, ১৯৯৪ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করতে আমরা কয়েকজন যুবক বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাঁশ সংগ্রহ করেছি। আজ কলেজটির অগ্রগতি দেখে মনে হয় আমাদের সেই পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। কলেজকে প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রেখেছেন আমাদের বিদায়ী অধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দীন। তিনি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করেছিলেন। আমরা তার অবসর জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করি।

প্রভাষক মিল্টন কুমার সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ জিন্নাত আলী, কার্পাসডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হামিদুর ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহিদুল হাসান, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, দামুড়হুদা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ফাহমিদা রহমান, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এসএম. ওয়াজেদুল হাসান এবং গভর্নিং বডির সদস্য আশাবুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিদায়ী অতিথি ও তার পরিবারকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা বিদায়ী অতিথিকে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট এবং পুরস্কার প্রদান করেন।




আলমডাঙ্গায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির শুরুতে একটি সচেতনতামূলক র‍্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সমিতির সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রহমান মুকুল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান (পিপিএম), আলমডাঙ্গা নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগারের সভাপতি ইকবাল হোসেন মিয়া এবং সিনিয়র সাংবাদিক হামিদুল আজম, ডা. সামিনা আক্তার।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ফিরোজ ইফতেখার, প্রশান্ত বিশ্বাস, এন এইচ শাওন, আতিক বিশ্বাস, শরিফুল ইসলাম রোকন, সোহেল হুদা, মুর্শিদ কলিন, আল আমিন পরশ, শাহরিয়ার শরিফ, শিক্ষক আফরোজ খুশি প্রমুখ।

প্রধান অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু বলেন, ডায়াবেটিস এখন শুধু একটি রোগ নয়; এটি জীবনযাপনের একটি সতর্ক সংকেত। আমরা কী খাই, কীভাবে চলি এসব ছোট অভ্যাসই আমাদের ভবিষ্যৎ ঠিক করে। তাই সচেতনতা বাড়ানো এবং নিয়মিত পরীক্ষা করা ছাড়া বিকল্প নেই। আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির এমন উদ্যোগ মানুষকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করবে।

বিশেষ অতিথি ওসি মাসুদুর রহমান (পিপিএম) বলেন,

ডায়াবেটিস নীরব ঘাতক। অনেক মানুষ জানেই না যে তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অনিয়মিত খাবার, কম চলাফেরা ও মানসিক চাপেই রোগটি বাড়ে। তাই একটি সুস্থ সমাজ গড়তে স্বাস্থ্যসচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। পুলিশ শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, জনগণের স্বাস্থ্যসচেতনতায়ও পাশে থাকতে চায়।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন,

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যায়াম, পরিমিত খাবার গ্রহণ এবং মানসিক চাপ কমানো ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।




নাগরিক টিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি হলেন সাংবাদিক পলাশ

জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজ ও বাংলাদেশ গার্ডিয়ান এর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি এবং দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল নাগরিক টিভির চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

এর আগে সাংবাদিক শামসুজ্জোহা পলাশ দৈনিক যুগান্তরের দামুড়হুদা প্রতিনিধি, দৈনিক সমকাল ও মাই টিভিসহ একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।

সাংবাদিক শামসুজ্জোহা পলাশ নাগরিক টিভিতে নিয়োগ পাওয়ায় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সদস্যরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাংবাদিক পলাশ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।




মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সুপারকে ওএসডি করে বদলি

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. শাহরিয়া শায়লা জাহানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওএসডি করে বদলি করা হয়েছে।

চলতি দায়িত্ব দিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সাতক্ষিরার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল কবির। আজ রবিবার স্বাস্থ্য ‍ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব সানজিদা শারমিন সাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

একই সঙ্গে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে উভয়কেই পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।




মুজিবনগরে স্বাস্থ্য প্রচারণা ও ব্লাড সুগার চেকিং ক্যাম্পেইন

মুজিবনগরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে মেডিসিন (ডায়াবেটিস) সংক্রান্ত বিশেষ স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচারণা ও ব্লাড সুগার চেকিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার বিকেলে গুডনেইবার্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির আয়োজনে বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

গুডনেইবার্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির ম্যানেজার বিপুল রেমার সভাপতিত্বে এবং অফিসার (হেলথ) মো. আহসানুল হকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বল্লভপুর মিশন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জীবন মন্ডল।

কর্মসূচিতে সিডিপির স্পন্সর শিশু, তাদের অভিভাবক, মা এবং স্থানীয় কমিউনিটির মোট ১০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা, প্রশ্নোত্তর পর্ব, জীবনধারা পরিবর্তন সংক্রান্ত পরামর্শ এবং প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ডায়াবেটিস সচেতনতা ও রক্তে গ্লুকোজ পরিমাপ (চেক-আপ) ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়, যেখানে ৮৪ জন স্বল্পমূল্যে চেক-আপ সেবা নেন। ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন অফিসার (হেলথ) মো. আহসানুল হক।

এছাড়াও বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প আয়োজন করা হয়, যেখানে ৩৪ জন রোগী চিকিৎসা, চিকিৎসা-সংক্রান্ত পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নির্দেশনা গ্রহণ করেন। এই সেবা প্রদান করেন ডা. জীবন মন্ডল।

গুডনেইবার্স বাংলাদেশ জানায়, কমিউনিটির স্বাস্থ্য উন্নয়ন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে তারা সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে।




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত

মেহেরপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তোফাজ্জেল বিশ্বাস নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার পুরাতন দরবেশপুর নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তোফাজ্জেল বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার দলিয়ারপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে ও দরবেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

জানা গেছে, তোফাজ্জেল বিশ্বাস দরবেশপুর থেকে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিলেন পথিমধ্যে পুরাতন দরবেশপুর নামক এলাকায় পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে। মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেসবাহ উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।