আলমডাঙ্গায় গরিবের ডাক্তার খ্যাত শাফায়েতুল ইসলাম আর নেই

আলমডাঙ্গার বিশিষ্ট চিকিৎসক গরিবের ডাক্তার খ্যাত শাফায়েতুল ইসলাম আর নেই। তিনি গতকাল রাত ১১টা ৩০ মিনিটে নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌর সভার বাবুপাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে শাফায়েতুল ইসলাম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন।

গতকাল রাত ১১টা ৩০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার এক মেয়ে নাফিসা আনজুম হিমু এ বছর এমবিবিএস এ বিসিএস এ সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।

আজ বেলা ১২টায় আলমডাঙ্গা দারুসসালাম ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।




তৃতীয় লিঙ্গের ৮ সদস্যসহ ১২০ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

মেহেরপুরের গাংনীর দুই সীমান্ত দিয়ে ভারতে আটক ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যসহ ৬০ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

গতকাল শনিবার সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ও কাথুলী সীমান্ত দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

সকাল ১০টার দিকে কাজিপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১৪৭ মেইন পিলারের নিকটে শহীদ স্মরণী অংশে প্রথম দফায় ৩০ জনকে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

বাংলাদেশের পক্ষে কাজিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শাহাবুদ্দিন এবং ভারতের পক্ষে ১১ গান্দিনা বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার এবিসন ফ্রান্সিস উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই হস্তান্তর সম্পন্ন করেন।

এরপর বেলা ১২টার দিকে একই উপজেলার কাথুলী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৩৩/৩ এসের নিকটে দ্বিতীয় দফায় আরও ৩০ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করা হয়।

ভারতের তেইমপুর বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অনোজ কুমার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের কাথুলী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মিজানুর রহমানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, ফেরত আসা ব্যক্তিদের বাড়ি মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তারা দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মুম্বাই, দিল্লি ও আসাম রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। সম্প্রতি তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশের হাতে আটক হন এবং পরে বিএসএফের হেফাজতে দেওয়া হয়।

বিজিবি জানান, ফেরত আসা সবাইকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে টহল ও নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, বিএসএফ ৬০ জন বাংলাদেশিকে বুঝিয়ে দিয়েছে, তাদের মধ্যে ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য। তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে গিয়েছিল। পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে এবং আইনানুগ প্রক্রিয়া চলছে।

মুজিবনগরে ২৯ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের পর ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২৯ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

গতকাল শনিবার সন্ধায় তাদের হস্তান্তর করা হয়। ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডারের মধ্যে সীমান্তের ১০৫ পিলার কাছে শূন্যরেখায় আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

হস্তান্তরিতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী,১ জন শিশু রয়েছেন।

তারা জেলা- যশোর বেনাপোলের ঢালিপাদা গ্রামে একামুল গাইন এর ছেলে মিরাজ একরামুল গাইন(১৯), যশোর নাভারণের নাভারণ গ্রামের ওসমান আলী মন্ডলের স্ত্রী আমিনা খাতুন (৩৩), যশোর নাভারণের নাভারণ গ্রামের ইউনুস মোড়লের মেয়ে নার্গিস খাতুন, (৩০) যশোর শার্শা এর সেটাই গ্রামের লালন শেখের স্ত্রী রুনা খাতুন (৩০), যশোর কালিহাতীর হিদিয়া গ্রামের রহমত মোল্লার মেয়ে সালমা খাতুন (৩৩),ৎঝিনাইদা সদর উপজেলার উলাকল গ্রামের জাহারুল গাজীর মেয়ে সুপ্রিয়া খাতুন (২৮), ঝিনাইদহ মহেশপুরের গোয়াগারি গ্রামের আব্দুল বারেকের মেয়ে জমিলা খাতুন (৩৭), যশোর বাঘারপাড়ার দুরাঝাপ গ্রামের আকরাম সুখের মেয়ে জ্যোৎস্না (৩৫), নড়াই কালিয়ার জামিরডাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল শেখের ছেলে আকরাম (২২), যশোর ঝীগরগাছা গ্রামের মশিয়ার রহমান এর ছেলে তুহিন (৩৯), যশোর কালিহাতীর হিদিয়া গ্রামের লিয়াকত খানের ছেলে সুলতান (২০), যশোর শার্শা এর অগ্রভুলাট গ্রামের শাহজাহান এর মেয়ে পায়েল (৩৩), কুমিল্লা বারুয়ার কাকের তলা গ্রামের আব্দুল শেখের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৩), নড়াইল কালিয়ার বাঁধানল গ্রামের মসিব শেখের স্ত্রী রোকসানা (৪৫), যশোর শার্শা এর দাওয়াতখালি গ্রামের মুসলিম সরদারের মেয়ে মমতাজ (৪৫), যশোর শার্শা এর দাওয়াতখালি গ্রামের রফিক মন্ডলের মেয়ে রেহেনা (২৪), যশোর শার্শা এর দাওয়াতখালি গ্রামের রফিক মন্ডলের ছেলে উজ্জল (৪৫), নড়াইল সদরের তারাপুর গ্রামের সবুর মোল্লার ছেলে জসিম (৩৪), জসিমের স্ত্রী মোরশেদা খাতুন (২৩) নড়াইল সদরের তারাপুর গ্রামের আবুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা (৩১), নড়াইল কালিয়ার জামিরডাঙ্গা গ্রামের আকাশ গাজীর ছেলে শেকু গাজী (৪০), নড়াইল কালিয়ার জামিরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গাজীর স্ত্রী আসমা খাতুন (৫১), যশোর অভয়নগরের রানাগাতী গ্রামের ইমান আলীর ছেলে বাকি বিল্লাহ (২৪), মৌলভীবাজার সদরের দক্ষিণ সাগর গ্রামের সোনা মিয়ার সুমাইয়া খাতুন (২৫), ঢাকা কেরানীগঞ্জ কদমতলীর নুসরাত জাহান (২৫), চট্টগ্রাম আটহাজারী আব্দুল করিম সওদাগরের ছেলে নুরুল আলম (৩৬), নড়াইল কালিয়ার পেরুলী গ্রামের কাউসার শেখের মেয়ে নাজমা খাতুন (৩৬), ঢাকা মোহাম্মদপুর সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে জান্নাতুল(৪১)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে ছিলেন। সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাদের মুজিবনগর থানায় সোপর্দ করা হয়।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান জানান, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশ সীমন্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা বাংলাদেশী ২৯ জনকে মুজিবনগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের পরিচয় সনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

দর্শনায় ৩১ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের পর ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৩১ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। গতকাল শনিবার দুপুরের পর তাদের হস্তান্তর করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডারের মধ্যে সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৭৬ এর কাছে শূন্যরেখায় আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী ৩১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

হস্তান্তরিতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ১০ জন নারী, ৩ জন শিশু ও ২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাদের দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন লে. কর্নেল নাজমুল হাসান।




আলমডাঙ্গায় বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি ঝন্টু মালিথা নির্বাচিত

আলমডাঙ্গার বেলগাছী ইউনিয়ন বিএনপি’র নব্য নেতৃত্ব ঘোষণায় সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঝন্টু মালিথা।

আলমডাঙ্গা উপজেলার ৮ নম্বর বেলগাছী ইউনিয়নে সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে একটি সাধারণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি , সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়।

সভায় মোঃ ঝন্টু মালিথাকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মোঃ ছমির মালিতাকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং মোঃ জিন্নাহ জোয়াদ্দারকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন। সভাপতিত্ব করেন, বেলগাছী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মাস্টার , সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ বোরহান মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বকুল হোসেন, কৃষক দলের সভাপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান, ছাত্র দলের সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলামসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন , বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য তপু রায়হান, যুবদলের সদস্য মমিন মালিতা, এস এম বাপ্পি, জাহাঙ্গির, ইসলাম মালিতা, নূহুনবী, আনিসুর রহমান, ইদ্রিস মল্লিক, আতিয়ার মেম্বার, লিটন, দুর্জয় আহমেদ, মহিদুল, সাগির, হাসিবুল ইসলাম প্রমুখ।




দর্শনায় আখচাষী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার লোকনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আখচাষী সমাবেশে অনুষ্টিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে ২০২৪-২৫ আখ রোপন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আখ সরবরাহের লক্ষে আখচাষী সমাবেশ ও আলোচনাসভা অনুষ্টিত হয়। এ আখচাষী সমাবেশে বিশিষ্ট আখচাষি ও ইউপি সদস্য জনাব রিকাত আলীর সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। এ আখচাষী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত থেকে আলোচনা করেন, কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর নবাগত ব্যাবস্হাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

এ আখচাষী সমাবেশে তিনি বলেন, আপনারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আখ পরিধান করুন। তাহলে চিনিকলটির ক্রটি দেখা দিবে না, আপনাদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।তাই মিলটি ভালো ভাবে চলতে হলে আপনাদের পরিষ্কার আখ মিলে পরিধান করতে হবে। এতে চিনির আহরণ বাড়বে আপনাদের ভোগান্তি কমবে। আপনাদের এ মিলটি টিকে থাকলে অত্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাবে। আপনারা বেশি বেশি আখ লাগান মিলটি বাঁচিয়ে রাখুন।

আখচাষীদের উদ্দ্যেশে আরও বলেন, আগামীতে আখের মৃল্য বৃদ্ধি করা হবে, তাই বেশি বেশি আখ লাগান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ভূঁইয়া ও ডিজিএম (সম্প্রসারণ) মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এ আখচাষী সমাবেশে প্রায় ২শ আখচাষী উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় জামায়াতে যোগদানের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

দামুড়হুদায় বিএনপি’র ৯১ জন কর্মী সমর্থক জামায়াতে যোগদানের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত শুক্রবার কিছু অনলাইন ও পরদিন শনিবার স্থানীয় গণমাধ্যমে “চুয়াডাঙ্গার কাদিপুর গ্রামে বিএনপি নেতা নজির আহমেদ ও নূর ইসলামের নেতৃত্বে ৯১ জনের জামায়াতে যোগদান” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত বিভ্রান্তিকর প্রচারণার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, উল্লেখিত ব্যক্তিরা প্রকৃতপক্ষে জামায়েতের নেতা, কর্মী ও সমর্থক এবং তাদেরকে দিয়েই একটা যোগদান নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর মধ্যে বিএনপি’র ৯ জনের নাম ব্যবহার করা হযেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি’র সক্রিয় সদস্য এবং দলের বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোতেও তারা দায়িত্বশীল ভূমিকায় রয়েছে। দলীয় নীতি ও আদর্শের সঙ্গে তারা সঙ্গতিপূর্ণ বা সক্রিয় রয়েছেন। বিএনপি’র তারা কেউই ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে জাতীয়তাবাদী আদর্শ, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে কোনো প্রকৃত নেতা-কর্মী বিচ্যুত হতে পারেন না। তবে যদি কেউ মনে করেন আমি আমার নীতি বা আদর্শ পরিবর্তন করব তাহলে তিনি করতে পারেন, কোন বাধা নেই। ৮/১০ জন জামায়াতের লোক দিয়ে একটা যোগদান নাটক মঞ্চস্ত করিয়ে বিএনপি ও নির্দলীয় সাধারণ মানুষের নাম ব্যবহার করে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে জামায়াতের প্রত্যক্ষ সহায়তায় বিএনপিকে বিভ্রান্ত ও দুর্বল করার চেষ্টা করছে যা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ ও প্রত্যাখ্যান করছি।

আমরা সাংবাদিক ভাইদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো প্রকার বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার জন্য।

এছাড়া, উপজেলা বিএনপি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, দামুড়হুদা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিএনপি’র সাংগঠনিক কার্যক্রম এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও গতিশীল। জনগণ আজ পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় যাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল তাদের একজন বাদে সবাই উপস্থিত ছিলেন এবং তারা দাবি করেন তারা বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তারা কেউই বিএনপি থেকে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করে নাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসার আবুল হাসেম, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক রুস্তম সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশিত সংবাদে বিএনপি’র যে ৯জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে ৮জন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবং অসুস্থতার জন্য ১ জন উপস্থিত হতে পারেননি। উপস্থিত ৮ জন হলেন সোহরাব হোসেন, মমিন, খাজা, বাদশা, বখতিয়ার, মাহাতাব, কদর ও আশা মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে এ ৮ জনের সকলে বলেন, আমরা সারা জীবন বিএনপি করে আসছি এখনো বিএনপিতেই আছি। আমরা কেউ জামায়াতে যোগদান করিনি। জামায়াত আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে।




মেহেরপুরের টেংরামারিতে জামায়াত প্রার্থী তাজউদ্দিন খানের গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের টেংরামারী গ্রামে গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকাল ৫টার দিকে টেংরামারী গ্রামের প্রধান সড়ক ও দোকানপাটে এ গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দিন খান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুব আলম, মেহেরপুর সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, মেহেরপুর সদর উপজেলার সেক্রেটারী ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাব্বারুল ইসলাম মাষ্টার , আমদহ ইউনিয়নের আমির বজলুর রশিদ, সেক্রেটারি রিপন, টেংরামারী সভাপতি আলামিনসহ ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে আসন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।




মুজিবনগর সীমান্তে ২৯ বাংলাদেশিকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের পর ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২৯ জন বাংলাদেশিকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তাদের হস্তান্তর করা হয়। ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডারের মধ্যে সীমান্তের ১০৫ পিলারের কাছে শূন্যরেখায় আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করে।

হস্তান্তরিতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী ও ১ জন শিশু রয়েছেন। তারা যশোর জেলার বেনাপোলের ঢালিপাদা গ্রামে একামুল গাইন এর ছেলে মিরাজ একরামুল গাইন(১৯), যশোর নাভারণের নাভারণ গ্রামের ওসমান আলী মন্ডলের স্ত্রী আমিনা খাতুন (৩৩), যশোর নাভারণের নাভারণ গ্রামের ইউনুস মোড়লের মেয়ে নার্গিস খাতুন(৩০), যশোর শার্শা এর সেটাই গ্রামের লালন শেখের স্ত্রী রুনা খাতুন (৩০), যশোর কালিহাতীর হিদিয়া গ্রামের রহমত মোল্লার মেয়ে সালমা খাতুন (৩৩), ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উলাকল গ্রামের জাহারুল গাজীর মেয়ে সুপ্রিয়া খাতুন (২৮), ঝিনাইদহ মহেশপুরের গোয়াগারি গ্রামের আব্দুল বারেকের মেয়ে জমিলা খাতুন (৩৭), যশোর বাঘারপাড়ার দুরাঝাপ গ্রামের আকরাম সুখের মেয়ে জ্যোৎস্না (৩৫), নড়াই কালিয়ার জামিরডাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল শেখের ছেলে আকরাম (২২), যশোর ঝীগরগাছা গ্রামের মশিয়ার রহমান এর ছেলে তুহিন (৩৯), যশোর কালিহাতীর হিদিয়া গ্রামের লিয়াকত খানের ছেলে সুলতান (২০), যশোর শার্শা এর অগ্রভুলাট গ্রামের শাহজাহান এর মেয়ে পায়েল (৩৩), কুমিল্লা বারুয়ার কাকের তলা গ্রামের আব্দুল শেখের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৩), নড়াইল কালিয়ার বাঁধানল গ্রামের মসিব শেখের স্ত্রী রোকসানা (৪৫), যশোর শার্শা এর দাওয়াতখালি গ্রামের মুসলিম সরদারের মেয়ে মমতাজ (৪৫), যশোর শার্শা এর দাওয়াতখালি গ্রামের রফিক মন্ডলের মেয়ে রেহেনা (২৪), যশোর শার্শা এর দাওয়াতখালি গ্রামের রফিক মন্ডলের ছেলে উজ্জল (৪৫), নড়াইল সদরের তারাপুর গ্রামের সবুর মোল্লার ছেলে জসিম (৩৪), জসিমের স্ত্রী মোরশেদা খাতুন (২৩) নড়াইল সদরের তারাপুর গ্রামের আবুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা (৩১), নড়াইল জেলার কালিয়ার জামিরডাঙ্গা গ্রামের আকাশ গাজীর ছেলে শেকু গাজী (৪০), নড়াইল জেলার কালিয়ার জামিরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গাজীর স্ত্রী আসমা খাতুন (৫১), যশোর জেলার অভয়নগরের রানাগাতী গ্রামের ইমান আলীর ছেলে বাকি বিল্লাহ (২৪), মৌলভীবাজার সদরের দক্ষিণ সাগর গ্রামের সোনা মিয়ার সুমাইয়া খাতুন (২৫), ঢাকা কেরানীগঞ্জ কদমতলীর নুসরাত জাহান (২৫), চট্টগ্রাম আটহাজারী আব্দুল করিম সওদাগরের ছেলে নুরুল আলম (৩৬), নড়াইল জেলার কালিয়ার পেরুলী গ্রামের কাউসার শেখের মেয়ে নাজমা খাতুন (৩৬), ঢাকার মোহাম্মদপুরের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে জান্নাতুল(৪১)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাদের মুজিবনগর থানায় সোপর্দ করা হয়।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান জানান, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশ সীমন্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করা বাংলাদেশী ২৯ জনকে মুজিবনগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।




দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ৩১ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের পর ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৩১ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। শনিবার দুপুরের পর তাদের হস্তান্তর করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডারের মধ্যে সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৭৬ এর কাছে শূন্যরেখায় আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী ৩১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

হস্তান্তরিতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ১০ জন নারী, ৩ জন শিশু ও ২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাদের দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন লে. কর্নেল নাজমুল হাসান।




বস্তুনিষ্ঠতার সাথে সংবাদ পরিবেশন করাই সাংবাদিকদের মূল দায়িত্ব

সাংবাদিকদের কোনো দল নেই, তারা নিরপেক্ষ। বস্তুনিষ্ঠতার সাথে সংবাদ পরিবেশন করাই সাংবাদিকদের মূল দায়িত্ব।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামীর শূরা সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা দলবাজি ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, সরকারি আমলা, বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক দুর্নীতিগ্রস্ত সবাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ জন জেনারেলসহ বহু কর্মকর্তা আদালতের বাইরে হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে কারাবন্দি আছেন। এর থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বহু রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন এই বাংলাদেশ গঠনে আপনাদের নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সাংবাদিকতা করে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন দর্শনা থানা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি টুকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল এবং সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. আওয়াল হোসেন।

এছাড়া এসময় দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমন, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি, আহত ২

মুজিবনগরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, মুজিবনগর জুলাই যুব উন্নয়ন ক্লাব আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের গেটের কাছে অবস্থিত গ্যারেজের টিকিট কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় বাগোয়ান গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে গ্যারেজের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় গ্রামবাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বাগোয়ান গ্রামের জসীমউদ্দীনের ছেলে রহমত ও কাবিদুলের ছেলে সাদিক গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় মেহেরপুর জেলা সাইবার দলের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা রিয়াজ শেখ বলেন, যেহেতু টুর্নামেন্টটি এনসিপির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেক্ষেত্রে আহত সাদিক ও রহমত ছাত্রদল সমর্থক হওয়ায় ঘটনাটিতে কোনো পরিকল্পিত বিষয় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

অন্যদিকে,  ক্লাবের সভাপতি ও এনসিপি নেতা আরিফ খান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করছি।

তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের পার্কিংয়ের দায়িত্ব ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়েছে। একই স্থানে ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে গ্যারেজ বাবদ নতুন টিকিটের ব্যবস্থা করায় মূলত জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।