মেহেরপুরে রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচনে বিজন-বকুল প্যানেলের মনোনয়ন উত্তোলন

মেহেরপুর জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন ও আলামিন বকুলের নেতৃত্বাধীন প্যানেল। গতকাল বুধবার দুপুরে তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

এ প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জিনিয়াস স্কুলের প্রিন্সিপাল আলামিন বকুল। প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন— নুর রহমান, আনোয়ারুল হক কালু, মাজাহারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, আবু সাইদ ও কাজী রুহুল আমিন।

মনোনয়নপত্র উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেলের সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। আসন্ন নির্বাচনে এ প্যানেলটি সংগঠনের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।




চেক প্রতারণা মামলায় ব্যবসায়ীর ১ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ২ লাখ টাকার অর্থদণ্ড

চেক প্রতারণা মামলায় এক ব্যবসায়ীকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬০০ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল বুধবার দুপুরে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইমদাদুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আাসামী হলেন, খুলনা দৌলতপুরের মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ সাজেদুর রহমান সুমন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক লেনদেনের অংশ হিসেবে আসামি ভুক্তভোগীর কাছে উল্লেখিত অর্থের একটি চেক প্রদান করেন। কিন্তু ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর চেকটি পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণে অনাদায়ী হিসেবে ফেরত আসে। পরবর্তীতে আইনগত নোটিশ পাঠানোর পরও অর্থ পরিশোধ না করায় ভুক্তভোগী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে Negotiable Instrument Act 1881-এর ১৩৮ ধারায় ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং চেকের সমপরিমাণ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান স্বপন ও আসামীর পক্ষে খ ম ইমতিয়াজ হারুন বিন জুয়েল।




আলমডাঙ্গায় নকল জৈব সার উৎপাদনের অভিযোগ

আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অনুমোদন ও বৈধ লাইসেন্স ছাড়া ‘সান এগ্রো ফার্ম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান নকল জৈব সার ও কম্পোস্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করার অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ বস্তা সার নামিদামী কোম্পানির মোড়কে বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে নেই কোনো সাইনবোর্ড বা বৈধ কাগজপত্র, কোন অনুমোদন। রাস্তার পাশে ফাঁকা জমিতে গোবরের শ’ শ’ বস্তা স্তূপ করা রয়েছে। কয়েকজন শ্রমিক সেখানে গরুর গোবর শুকিয়ে বস্তায় ভরে দিচ্ছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, এখানে থাকা সার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংগ্রহ করে নিজেদের নামে বিক্রি করে। ফার্মের পাশের একটি ঘরের ওপর ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড লেখা প্রায় একশ বস্তা রাখা অবস্থায় দেখা যায়।

স্থানীয় লিংকন নামের একজন বলেন, “এই বস্তাগুলো আমরা পিটিআই মোড়ের এগ্রো সল প্রজেক্টে পাঠাই। তৌফিক আংকেল ওনার মালের সঙ্গে মিক্স করে বিক্রি করেন। ইস্পাহানি কোম্পানির বস্তাগুলো আসলে স্থানীয় আরেকটা ট্রেডার্সের মালিক দিয়ে গেছে।”

ফার্মের কর্মচারী নুহু নবী জানান, “আমি পাঁচ মাস ধরে এখানে কাজ করছি। ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের বস্তা প্রায়ই আসে। আমরা বস্তা ভর্তি ও সেলাই করি, পরে গাড়ি এসে নিয়ে যায়।”

প্রতিষ্ঠানের মালিক রকিবুল ইসলাম আকাশ বলেন, “আমি এগ্রো সল ও মন্ডল ট্রেডার্স থেকে কম্পোস্ট তৈরি শেখেছি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ‘সান এগ্রো ফার্ম ফার্টিলাইজারের’ নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছি।” তবে তিনি সার উৎপাদনের জন্য কোনো সরকারি অনুমোদনপত্র বা পরিবেশ ছাড়পত্র দেখাতে পারেননি।

তিনি আরও জানান, “আমাদের উৎপাদিত সার পিটিআই মোড়ের এগ্রো সলসহ একাধিক ট্রেডার্স ক্রয় করে। ইস্পাহানি লিমিটেডের বস্তাগুলো তারাই দিয়েছিল। আমরা শুধু ভর্তি করে দিয়েছি।”

স্থানীয় কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নামিদামী কোম্পানির বস্তা দেখে আমরা সার কিনেছিলাম। কিন্তু জমিতে প্রয়োগের পর ফলন কমে গেছে। পরে বুঝি এটা আসল কোম্পানির নয়।”

কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার গঠনের অননুমোদিতভাবে উৎপাদিত এসব সার মাটির জৈব গুণ নষ্ট করছে এবং ফসলের ক্ষতি করছে। তাছাড়া, ‘সান এগ্রো ফার্ম’-এ নেই কোনো মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, পরীক্ষাগার বা পরিবেশ সুরক্ষার সুবিধা।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, অননুমোদিতভাবে উৎপাদিত এসব সার মাটির জৈব গুণ নষ্ট করছে এবং ফসলের ক্ষতি করছে। এছাড়া, ‘সান এগ্রো ফার্ম’-এ নেই কোনো মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, পরীক্ষাগার বা পরিবেশ সুরক্ষার সুবিধা।

তবে, স্থানীয় কৃষকদের অনেকেই দাবি করেন যে, স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের ঊন্নাষিকতায় বছরের পর বছর ধরে নকল জৈব সার উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।




মেহেরপুরে গ্রাম আদালত বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরে গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিডিএলজি) পার্থ প্রতিম শীলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান খান।

গ্রাম আদালত প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অংশীজনদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, মেহেরপুর প্রতিদিন-এর সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, পলাশীপাড়া সমাজকল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মোশাররফ হোসেন, ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, গ্রাম এলাকার ছোট ছোট বিরোধ বা সমস্যাগুলো আদালত বা পুলিশের শরণাপন্ন না হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। এজন্য সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। যেসব ইউনিয়নে গ্রাম আদালতে মামলা কম হয়েছে, সেগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে গ্রাম আদালতের সুফল সম্পর্কে জানতে পারে, সে জন্য প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে।




মহেশপুরে সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা, নারীসহ ৩ জন আহত

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজলার মাদারবাড়িয়া ইউনিয়নের হুদা-শ্রীরামপুর গ্রামের আনোয়ার হোসনের ছেলে মোঃ হাসান আলী দৈনিক প্রতিদিনর কণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার তার নিজ বাড়িতে ঐ একই গ্রামের প্রতিবেশী ইছাহাক বিশ্বাসের ছেলে মনা বিশ্বাস পূর্বশক্রতা জের ধরে বাড়ির উপর গিয়ে হামলায় চালায়। এত নারী সহ ৩ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে।

এজাহার ও এলাকাবাসী সুত্র জানা যায়, সোমবার সকালে পূর্বশক্রতার জের ধরে হাসান আলীর প্রতিবেশী মনা বিশ্বাস তার বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তার মা নিষেধ করলে মনা বিশ্বাস রাগান্বিত হয়ে বাঁশের লাঠি, রড দিয় হাসান আলীর মা ও স্ত্রীকে মারধর কর।এত ঘটনাস্থলে তার মা গুরুতর আহত হন। পরে উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসান আলী জানান পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বাড়ি এসে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করছে নিষেধ করলে মনা বিশ্বাস হুকুম দেয়,খুন করে ফেল সাথে সাথে মনা বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস,শফিকুল বিশ্বাসর ছলে রুবল,শিমুল, রেকসনা, হাসি খাতুন ,পাখি খাতুন আমার মায়ের চুলের মুঠি ধরে টানতে থাকে আর বাঁশের লাঠি, লাহার রড দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাতারী মারপিট কর। মনার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা আমার মাকে হত্যার উদ্দ্যশে মাথা লক্ষ্য করিয়া আঘাত করলে উক্ত আঘাত আমার মা বাম হাত দিয়ে ঠেকাইলে তার বাম হাতের কব্জির উপর লাগে যা হাঁড় ভাঙ্গা জখম হয়। আমার স্ত্রী মদিনা খাতুন (২৫) ডকতে আসলে, তাকেও রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাতারী মারত থাকে এবং তার গলায় বিদশি ০২ ভরি ওজনর স্বর্ণের চেইন যার আনুঃ মূল্য ৪,২০,০০০/= (চার লক্ষ বিশ হাজার) টাকা নিয়ে নেয়। আমার মাতা ও স্ত্রীর ডাক চিৎকার আশ পাশ লোক ছুট আসে আমাকে খবর দয় আমি আমার মা ও স্ত্রীকে পাঁখি ভ্যান যাগে উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এবিষয় মহশপুর থানার এসআই হান্নানের সাথ যাগাযাগ করলে তিনি বলেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মেহেরপুরের কাজলা ও ছেউটিয়া নদী থেকে দুয়ারী জাল জব্দ ও ধ্বংস

মেহেরপুর সদর উপজেলার ছেউটিয়া ও কাজলা নদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের আড়াই হাজার মিটার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার আমঝুপিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকার নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

জানা যায়, সরকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল পেতে কিছু অসাধু ব্যক্তি মাছ শিকার করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে মেহেরপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুন্নার আখিঁর নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা অভিযান শুরু করেন। অভিযানিক দল প্রথমে সদর উপজেলার এ আর বি কলেজ সংলগ্ন ছেউটিয়া নদী থেকে অভিযান শুরু করে আমঝুপি কুঠিবাড়ি কাজলা নদী পর্যন্ত এলাকায় তল্লাশি চালায়।

অভিযানে ৫৮টি (মোট ২২শ মিটার) চায়না দুয়ারী জাল ও ২টি ভেসাল জাল উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। পরে আমঝুপি কুঠিবাড়ি সংলগ্ন ভৈরব নদীর তীরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসব জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকার বলেন, বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে এসব প্রজাতির মাছ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব জাল ধ্বংস করা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও সদর উপজেলা সিনিয়র সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মীর জাকির হোসেনসহ মৎস্য অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে দুর্নীতি বিরোধী গণশুনানি

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে একসাথে’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুর্নীতিবিরোধী গণশুনানি ও অভিভাবক সমাবেশ। বুধবার সকালে সদর উপজেলার চরখাজুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এ আয়োজন করে।

সমাবেশে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহা. খালেকুজ্জামান, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফারহানা শবনম, সনাক সভাপতি এম সাইফুল মাবুদ, সদস্য এন এম শাহজালাল, সুরাইয়া পারভীন ও মলিসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

গণশুনানিতে স্থানীয় শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকার সুধীজন অংশ নেন। তারা বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন, উপবৃত্তি বণ্টনে স্বচ্ছতা, শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন সমস্যা ও অনিয়মের বিষয় তুলে ধরেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

আয়োজকরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি প্রতিরোধে শিক্ষক, অভিভাবক ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। এ ধরনের গণশুনানি দুর্নীতি রোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।




ঝিনাইদহে কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঝিনাইদহে কৃষকদল নেতা মানিক মোল্লার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের মধুপুর চৌরাস্তায় এই কর্মসূচির আয়োজন করে সদর উপজেলার ভূপাতিপুর গ্রামবাসী।

মানববন্ধনে ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন কৃষকদলের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অংশ নেন।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এ কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়ন কৃষকদল নেতা মানিক মোল্লার বিরুদ্ধে একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ‘অগ্রযাত্রা প্রতিদিন’ নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে মানিক মোল্লার নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে তারা জানান।

বক্তারা বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তারা অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ বাবলু ও লাবলুর রহমান বাবলু, সদর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আবু জাফর, যুগ্ম আহ্বায়ক মাফিরুল ইসলাম, ভূপতিপুর মারকাজ মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুস সালাম, পোড়াহাটি ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি আলমগীর হোসেন আলমসহ আরও অনেকে।




মেহেরপুরে নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান জন্ম দেওয়া দুই মাকে উপহার প্রদান

মেহেরপুরে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া দুই মাকে শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকা মেহেরপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নবজাতকের মায়েদের হাতে শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

নবজাতকের মায়েরা হলেন সদর উপজেলার খোকসা গ্রামের চাঁদ আলীর স্ত্রী খুশিয়ারা খাতুন এবং মোমিনপুর গ্রামের নাহিদের স্ত্রী শান্তা খাতুন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শান্তা খাতুন এবং বুধবার সকালে খুশিয়ারা খাতুন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেন।

খবর পেয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালামের নির্দেশে দুই মা ও তাঁদের নবজাতকের হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া জাহান ঝুরকা।

এ সময় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সেবিকাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় বোনের দেহ দাফন করতে এসে বড় ভাইয়ের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি গ্রামে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বোনের লাশ দাফন করতে এসে মারা গেছেন বড় ভাই। বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, ডুগডুগি গ্রামের নূরুর স্ত্রী শিরিনা খাতুন (৫০) ভোরে নিজ ঘরে মৃত্যুবরণ করেন। ভোরে তার বড় মেয়ে শান্তনা স্বপ্নে দেখেন তার মা মারা গেছেন। পরে তিনি ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে নিশ্চিত হন যে মা আর নেই। এ সময় পরিবারের মধ্যে শুরু হয় কান্না-আহাজারি।

খবর পেয়ে শিরিনা খাতুনের ভাই নিজাম উদ্দিন (৬০) আকন্দবাড়ীয়া গ্রাম থেকে ছুটে আসেন বোনের লাশ দেখতে। কিন্তু লাশ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে উজিরপুর এলাকায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত নিজাম উদ্দিন দর্শনা থানার আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের মৃত জানবার মণ্ডলের বড় ছেলে ছিলেন।

পরিবারের দুই সদস্যের এমন পরপর মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বেলা ১২টার দিকে শিরিনা খাতুনের জানাজা শেষে ডুগডুগি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

অপরদিকে, তার ভাই নিজাম উদ্দিনের লাশ আছরের নামাজের পর জানাজা শেষে আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের তমালতলা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।