মেহেরপুরে জেলার সেরা গাংনীর সন্ধ্যানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মেহেরপুর জেলায় এবারের গড় পাসের হার ৪১%। যা বিগত বছর গুলোর তুলনায় অনেক কম। একই সঙ্গে কমেছে জিপিএ ৫ প্রাপ্তর সংখ্যাও। মেহেরপুরের দুটি সরকারি কলেজ ও পৌর কলেজের ফলাফলও তুলনামূলক খারাপ হয়েছে।

এইচএসসি (জেনারেল) শাখায় মেহেরপুর সদর উপজেলায় মেহেরপুর সরকারি কলেজে এ বছর মোট ৫৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩১৮ জন। পাসের হার ৫৮%। মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে মোট ৭৩১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪৬৪ জন। পাসের হার ৬১.২%। মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজে ৩২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৩২ জন, গড় পাসের হার ৪১%। মহাজনপুর মহাবিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১০ জন এবং গড় পাসের হার ১৫%। ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ (বর্তমান নাম মেহেরপুর পৌর কলেজ) এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩৯৭ জন, এর মধ্যে পাস করেছে ১৮১ জন। গড় পাসের হার ৪৬%। যাদুখালি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৭১ জন, এর মধ্যে পাস করেছে ৯ জন। পাসের হার ১৩%। এ আরবি কলেজ থেকে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৭২ জন, পাস করেছে ২৬ জন, গড় পাসের হার ৩৬%।

গাংনী উপজেলায় সন্ধ্যানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১০৩ জন, পাস করেছে ৯৭ জন, গড় পাসের হার ৯৪%, যা মেহেরপুর জেলায় সর্বোচ্চ গড় পাসের হার। গাংনী সরকারি কলেজে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩১৫ জন, পাস করেছে ১৯৪ জন, গড় পাসের হার ৪৭%। গাংনী মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২৫৯ জন, পাস করেছে ১২৬ জন, গড় পাসের হার ৪৯%। কাজিপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৭২ জন, পাস করেছে ৫৯ জন, গড় পাসের হার ৫২%। মড়কা জাগরণ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩ জন, পাস করেছে ১ জন, গড় পাসের হার ৩৩%। বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ (বর্তমান তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজ) থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১০২ জন, পাস করেছে ৪১ জন, গড় পাসের হার ৪০%। বামুন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২০৮ জন, পাস করেছে ৫০ জন, গড় পাসের হার ২৪%। করমদি ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৯৪ জন, পাস করেছে ৪৬ জন, গড় পাসের হার ৩১%। গাংনী পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৪৯ জন, পাস করেছে ৭২ জন, গড় পাসের হার ৪৮%। কুতুবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২৬ জন, পাস করেছে ১০ জন, গড় পাসের হার ৬২%। বিএন কলেজ থেকে ১৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলায় মুজিবনগর সরকারি কলেজে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩২২ জন, পাস করেছে ১৩২ জন, গড় পাসের হার ৪১%। মহাজনপুর মহাবিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১০ জন এবং গড় পাসের হার ১৫%। মুজিবনগর আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৬৭ জন, পাসের হার ৩৭%।

এইচএসসি পরীক্ষায় মেহেরপুর জেলায় গড় পাসের হারে গাংনীর সন্ধ্যানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ শীর্ষস্থান দখল করেছে।

এইচএসসি বিএম শাখায় মেহেরপুর সদরে মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৭৮ জন, পাস করেছে ২৭ জন, গড় পাসের হার ৩৫%। মেহেরপুর সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৯ জন, গড় পাসের হার ৮৬%। গাংনী উপজেলায় গাংনী পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৭৩ জন, পাস করেছে ২৬ জন, গড় পাসের হার ৩৬%। গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৮১ জন, পাস করেছে ২৪ জন, গড় পাসের হার ৩০%। হাড়াভাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৭ জন, পাস করেছে ৬ জন, গড় পাসের হার ৩৫%। তেরাইল ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৬৩ জন, পাস করেছে ৩০ জন, পাসের হার ৪৮%। গাংনী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৪১ জন, পাস করেছে ৯ জন, গড় পাসের হার ২২%। ধানখোলা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৬ জন, পাস করেছে ৫ জন, গড় পাসের হার ৩১%। মুজিবনগর উপজেলায় আন-নূর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৬০ জন, পাস করেছে ৩৫ জন, গড় পাসের হার ৫৮%।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় আমঝুপি আলিম মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২০ জন, পাস করেছে ১৭ জন, গড় পাসের হার ৮৫%। মেহেরপুর দারুল উলুম আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩৪ জন, গড় পাসের হার ৮৩%। মানিকনগর ডিএস মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২১ জন, পাস করেছে ১৫ জন, গড় পাসের হার ৭১%। মানিকদিয়া এগারপাড়া মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৮ জন, পাস করেছে ১৬ জন, গড় পাসের হার ৮৯%। হাড়াভাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৯ জন, পাস করেছে ১৬ জন, গড় পাসের হার ৮৪%। গাংনী সিদ্দিকিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২৫ জন, পাস করেছে ২৪ জন, গড় পাসের হার ৯৬%।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৭৮ জন, পাস করেছে ৭৮ জন, গড় পাসের হার ৫৯% এবং মুজিবনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৫ জন, পাস করেছে ৫ জন, গড় পাসের হার ৫০%।




আলমডাঙ্গা স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিজ্ঞান আলোচনা

আলমডাঙ্গা স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বিজ্ঞান বিষয়ক এক প্রাণবন্ত আলোচনা সভা।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বশির আহমেদ। তিনি আলোচনায় বলেন, “বিজ্ঞানের অগ্রগতি ছাড়া পৃথিবীতে টিকে থাকা কঠিন। আধুনিক পৃথিবীতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিংবা অস্ত্রে পরাক্রমশালী দেশকে উন্নত বলা যায় না। যে দেশ বিজ্ঞানে উন্নত, সেই দেশই সত্যিকারের উন্নত। বিজ্ঞান মুখস্থ করার বিষয় নয়—এটি জানার ও বোঝার বিষয়।

শিক্ষার্থীদের পরিবার ও সমাজ উভয় ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানভিত্তিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি স্কুল পর্যায়ে আধুনিক ও কার্যকর বিজ্ঞানাগারের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।” অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় ২০০ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এছাড়া ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মতিউল হুদা, কুমারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান, আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. হাসিনুর ইসলাম, আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো: আলমগীর কবির, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা: সানজিদা পারভীন, এরশাদপুর একাডেমির সহকারী শিক্ষক মোছা: আফরোজা খুশি ও  মো: আব্দুল হান্নান।আপ্যায়নে ও শৃঙ্খলায়- তুষার মুক্ত স্কাউটের চৌকস সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গা কোর্টপাড়া কমিউনিটির উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি সম্পন্ন

আলমডাঙ্গা কোর্টপাড়া কমিউনিটির উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে।” একটি স্বপ্ন বিনির্মানে মানবিক নাগিরিক সেবায় ঐক্যবদ্ধ আমরা” কোর্টপাড়া কমিউনিটির শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান একজন নাগরিকদের মৌলিক অধিকারে পাশে থাকবে এই স্লোগান কে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে এই স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক নাগরিক সমাজ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭ টা থেকে ১টা পর্যন্ত মহল্লার সকল গলি, অপরিচ্ছন্ন স্থান, খাল‌ প্রভৃতি স্থানে পরিচ্ছন্ন কাজ করা হয়।

আলমডাঙ্গা কোর্টপাড়া কমিউনিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা  বিশ্বাস বলেন, প্রতি ১৫ দিন পরপর এই পরিচ্ছন্ন কাজ করা হবে। কমিউনিটির নিজ অর্থায়নে গাড়িতে করে নোংরা আবর্জনা অপসারণ করে শহরের বাহির ফেলা আসা হচ্ছে। যাতে মশা মাছি,বিভিন্ন রোগ জীবাণুর প্রাদুর্ভাব না হয় তার জন্য এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন, আলমডাঙ্গা কোর্টপাড়া কমিউনিটির আহব্বায়ক ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, সদস্য গোলাম বিশ্বাস, ইসলাম মোল্লা, আবু সাইদ, রফিকুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, রনি,‌ বাবলু হোসেন, আব্দুর রশিদ, ইকরামুল হক বুলু, রবিউল হক, রাসেল, জামেল, হিমেল বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর হোসেন, রাসেল(ছোট), মন্ডল, মামুন প্রমুখ।




গাংনী শহরে ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

গাংনী পৌর বিএনপি’র ৯ নং ওয়ার্ড শাখার কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এশার নামাজের পর ৯ নং ওয়ার্ডের থানাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং পৌর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ও গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ নাসিরুদ্দিন। পৌর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ামিন আলী বাবলু, সাবেক সাবেক কাউন্সিলর নাসিরুদ্দিন , ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল গনি। সাবেক ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবু সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা সুজন কবির, রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাদ আলী ও সাবেক ছাত্রনেতা ফারুক হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কালাম আজাদ৷ কৃষক দলের আব্দুল গাফফার   সহ স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, বিএনপি আপনাদের দল, জনগনের দল এই দলকে ক্ষমতায় আনতে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের জনগন কে সাথে নিয়ে ভালো কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বিএনপি’র নবগঠিত কমিটির সমালোচনা করে বলেন, ওয়ার্ডে যে কমিটি হয়েছে সেখানে বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মীদের জায়গা হয়নি নুতন কমিটিতে। নুতন কমিটি করেছে আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে। তিনি জানান কমিটি গঠনের  পর আবার পরিচিত সভা করার প্রয়োজন কেন?  কারণ তিনি বলেন, কমিটিতে দলের নেতাকর্মীদের জায়গা দেননি বলেই পরিচিতি সভা করা লাগছে। তিনি সকলকে সাথে নিয়ে ধানের শীষের প্রতীকের উপর  আস্থা রাখবেন। আমার উপর আস্থা রাখবেন। আমি আপনাদের কে সাথে নিয়ে অতীতে যেমন দলের জন্য কাজ করেছি ভবিষ্যতে ও আপনাদেরকে সাথে নিয়ে দলের পক্ষে কাজ করবো ও ধানের শীষের প্রতীকে বিজয়ী করবো।

তিনি একটি দলের নাম উল্লেখ না করে বলেন, কারো কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। কেউ আপনাদের জান্নাতের টিকিট দিতে পারবে না। মসজিদ সহ ধর্মীয় জায়গায় প্রোগাম না করে স্কুল, কলেজ সহ অন্য জায়গায় প্রোগাম করবেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।




দামুড়হুদার জয়রামপুরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন ; ৬ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি 

দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর দীঘির পাড়ার আলম নামের এক মৎস্য চাষির ৫ বিঘা জলকরে রাতের আঁধারে কে বা কাহারা শত্রুতামূলক বিষ প্রয়োগে করেছে। এতে পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। গতকাল শুক্রবার জয়রামপুর দিঘির পাড়ার পুকুরে রাতে কে বা কাহারা বিষ ট্যাবলেট দিয়ে এই মাছ মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছে মৎস্য চাষি আলম।

জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা সদরে দশমী পাড়ার ইউনুচ আলির ছেলে আলম জয়রামপুর দিঘি পাড়ায় ৫ বিঘা পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে উক্ত পুকুরে গিয়ে দেখে যে, পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট ও বিষ প্রয়োগ করিয়া সমুদয় মাছ মারিয়া ফেলেছে। পুকুরের সমুদয় মাছ ভেসে উঠেছে। এতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মাছ ক্ষয়-ক্ষতি হইয়াছে। এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মরা মাছ দেখতে এলাকার উৎসুক জনতা ভিড় জামাই পুকুর ধারে।

স্থানীয়দের মতে এই ধরণের কাজ যেই করুক না কেন তাকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।যাতে ভবিষ্যতে যেন এমন ক্ষতি কেউ কারো না করতে পারে।

মাছ চাষী আলম বলেন, আমাদের পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট ও বিষ প্রয়োগ করিয়া সমুদয় মাছ মারিয়া ফেলেছে। আমার পুকুরের সমুদয় মাছ ভেসে উঠেছে এবং আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকার মাছ ক্ষয়-ক্ষতি হইয়াছে। ইহাতে আমি আর্থিক দিক দিয়ে খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হইয়াছি। এখন ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করব সেই চিন্তায় মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

 দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ মশিউর রহমান বলেন ,পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে যে মাছ মারা যায়। সেই মাছ খেলে স্বাস্থ্য হানি হতে পারে । যেহেতু মাছে বিষ বিদ্যমান থাকে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ুন কবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলেছে এই মর্মে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিভাবে মাছ মারা গেছে এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




জীবননগরে পৌর বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পৌর বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জীবননগর মুক্ত মঞ্চে বিকাল ৪ ঘটিকায় এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি ও বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আজ দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অবিচল। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই দেশকে আবারও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।বিএনপি জনগণের দল এই দলের শক্তি হলো জনগণ। তাই আগামী দিনে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে। প্রতিটি মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে হবে। সাধারণ জনগন বিএনপির মূল শক্তি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে ধানের শীষ কে বিজয়ী করবেন এটাই আপনাদের কাছে প্রত্যাশা।

তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসবেন এবং জনগণের ওপর নির্ভর করে দেশকে এগিয়ে নেবেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে গণতন্ত্রকে পূর্ণ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই আগামী দিনের সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবীর এবং সভা সঞ্চালনা করেন, জীবননগর পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান ডাবলু। এছাড়াও জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জীবননগর পৌর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দীন ঠান্ডু।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক হযরত আলী সরকার, সদস্য সচিব মনিরব হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরসাফ হোসেন, সদস্যসচিব সুমন বিশ্বাস, কৃষক দলের আহ্বায়ক ইউনুচ আলী, সদস্যসচিব নাজমুল সবুর, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জাহিদ হোসেন, মৎস্যজীবী দলের ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ সুমন মিয়া,পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কিরণ হাসনাত রাসেল, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রিমন, ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রমেন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সাগর বিশ্বাসসহ পৌর, ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভায় পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মৎস্যজীবী দল , শ্রমজীবিদল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সভাস্থলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং বক্তাদের বক্তব্যে উপস্থিত জনতা করতালিতে সমর্থন জানায়। অনুষ্ঠান শেষে দেশের শান্তি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয়।




কোটচাঁদপুরে জামায়াতে ইসলামী’র যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

“মানবতার সেবা ও দেশ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভ” এই প্রতিপাদ্যে যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানাতে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে  অনুষ্ঠিত হয়েছে যুব সমাবেশ।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে কোটচাঁদপুর কামিল মাদরাসা মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো তরুণ অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। তিনি বলেন, “সত্য সমাগত মিথ্যা বিতাড়িত, সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী। যুবকরাই দেশের ভবিষ্যৎ। মানবতার সেবা ও দেশ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টিই হতে হবে আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি জনাব অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখা আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা তাজুল ইসলাম। তারা বলেন, “বর্তমান সমাজে নৈতিক অবক্ষয় রোধে ইসলামী আদর্শে শিক্ষিত, নীতিনিষ্ঠ যুব সমাজ গড়ে তোলাই সময়ের দাবি।”

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাস্টার শাহাবুদ্দিন খান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান  মুয়াবিয়া হুসাইন, সাবেক আমির আজিজুর রহমান, মশিয়ার রহমান, রেজাউল করিম, সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আমীর মুহাদ্দিস আব্দুল কাইয়ুম, সেক্রেটারি মাহফুজুল হক মিন্টু প্রমুখ।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন, জনাব মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, সম্পাদক, (যুব, মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক বিভাগ) কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী, এবং অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জনাব মোঃ শিমুল হোসেন, সভাপতি, যুব বিভাগ, কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখা। বক্তারা বলেন, দেশের সার্বিক অগ্রগতি, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী মূল্যবোধের বিকাশে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। তারা শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক রাজনীতির মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের আহ্বান জানান।




যুব সমাজকে গড়তে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই -মাহমুদুল হাসান খান বাবু

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো “বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনছুর আলী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট”-এর ফাইনাল খেলা। গতকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর মুক্তি সংঘ ক্লাবের আয়োজনে মিনাজপুর হাই স্কুল মাঠে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শাহিন কাদির। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদুল হাসান খান বাবু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সমাজে মাদক একটি ভয়াবহ ব্যাধি। এ থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। খেলাধুলা শুধু শরীরকে নয়, মেধাকেও বিকশিত করে। যে কেউ খেলাধুলার উদ্যোগ নিলে আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খোকন, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন, মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান, দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়কারী হাবিবুর রহমান বুলেট, জীবননগর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, হামিদুজ্জামান টিটো, সাজ্জাদ হোসেন, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিলন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা, সাবেক সেনা সদস্য মহাসিন আলী, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম, এবং স্বেচ্ছাসেবক রাব্বি, হাসিব, রানা, সুমন প্রমুখ।

রোমাঞ্চকর এই ফাইনাল খেলায় হাসাদহ দল ২-১ গোলে সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। পুরো অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম।




তৃতীয় বিয়ের অনুমতি না পেয়ে প্রবাসফেরত যুবকের আত্মহত্যা

মেহেরপুরের গাংনীতে স্ত্রীর ও পরিবারের ওপর অভিমান করে আলমগীর হোসেন (৩৮) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলার বামন্দী নিশিপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আলমগীর একই এলাকার নমাজ আলীর ছেলে।
নিহত আলমগীর হোসেনের প্রথম স্ত্রী আনজিরা খাতুন বলেন, আমার স্বামী মালয়েশিয়ায় থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার আরও একটি বিয়ে করেছিল। সেই স্ত্রী আলমগীরকে ডিভোর্স দিয়ে ঢাকায় চলে যান। এরপর মালয়েশিয়া থেকে ফিরে এসে আলমগীর আরও একটি বিয়ে করতে চান। আমার একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু পরিবারের কেউ সম্মতি না দেওয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গেই মনোমালিন্য হয়।

একপর্যায়ে তৃতীয় বিয়েতে কেউ রাজি না হওয়ায় পরিবারের ওপর অভিমান করে প্রতিবেশী ফুফুর বাড়িতে রাতে ঘুমাতে যান। সেখানে রাতের কোনো এক সময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে সেখানে আত্মহত্যা করেন। এই মাসের ২২ তারিখ আবারও তার দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল।

নিহত আলমগীরের বাবা নমাজ বলেন, বর্তমানে সংসারে তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। এমন অবস্থায় সে তৃতীয় বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এ নিয়ে আমাদের পরিবারের সবার সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। পরে ভোরে আলমগীরের ফুফুর বাড়ির ঘরের মধ্যে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখি।

এ ঘটনায় গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, খবর পেয়ে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।




মেহেরপুরের পুরাতন মদনাডাঙ্গায় কামরুল হাসানের গণসংযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের পুরাতন মদনাডাঙ্গা গ্রামে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবিনামা সম্বলিত লিফলেট স্থানীয় জনগণের হাতে বিতরণ করেন এবং গ্রামবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, সদস্য সাবেক পিপি আবু সালেহ নাসিম, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক ফায়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলিফ আরাফাত খান, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, বিএনপি নেতা নাহিদসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

গণসংযোগ শেষে নেতৃবৃন্দ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে “ধানের শীষ” প্রতীকের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।