মুজিবনগরের বল্লভপুর হাসপাতাল ও পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর হাসপাতাল ও বল্লভপুর পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টাই মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের বল্লভপুর হাসপাতাল এবং বল্লভপুর পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ মোহাম্মদ আবদুল ছালাম।

তিনি বল্লভপুর হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় হাসপাতালের বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বৃদ্ধদের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং পরামর্শ দেন।

হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বল্লভপুর দাসপাড়া মন্দিরে যান এবং আগামী শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব, শিক্ষা ও আইসিটি এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) তাজওয়ার আকরাম সাকাফি ইবনে সাজ্জাদ ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল।




মেহেরপুর জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভা

বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশন মেহেরপুর জেলা শাখার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা শাখার সভাপতি ডা. আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক জনাব খালিদ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি বিধান চন্দ্র নাথ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. জেপি আগরওয়ালা, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আবু আক্তার করণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, অর্থ সম্পাদক শিমুল বিশ্বাস, সহ-সেক্রেটারি শাহিনুর রহমান, নির্বাহী সদস্য মুকুল বাসার, জামরুল হুদা, ফারুক হোসেন, সাগর আহমেদ, রায়হানুল কবির ও রাশেদ হাসান।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়— দালালমুক্ত হাসপাতাল গড়ে তোলা এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি পরীক্ষার মান বজায় রাখা ও রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য সদস্যদের পরামর্শ দেওয়া হয়।




চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেল থেকে প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা শহরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে মাহবুবুর রহমান মাসুম (৩৫) নামে এক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌরসভার পাশে ‘চুয়াডাঙ্গা আবাসিক হোটেল’ থেকে সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

মাহবুবুর রহমান মাসুমের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা শহরের সবুজপাড়ায়। পরিবারের সঙ্গে তিনি ঢাকায় থাকতেন।

পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মাহবুবুর রহমান মাসুম তিন বন্ধুর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় ঘুরতে আসেন। তারা একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন।

হোটেলের ম্যানেজার সাগর জানান, তারা তিনজনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরবর্তীতে মাসুমের দুই বন্ধু চলে গেলেও তিনি হোটেলেই থেকে যান।

ম্যানেজার সাগর আরও জানান, মাসুম বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তার বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। শনিবার বেলা ১২টায় হোটেলের চতুর্থ তলার ৪০১ নম্বর কক্ষ থেকে কান্নার শব্দ শুনে তিনি উপরে গিয়ে দেখতে পান মাসুমের স্বজনরা সেখানে কান্নাকাটি করছেন। স্বজনদের পরামর্শ দেওয়া হয় মাসুমকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর তারা দেখতে পান মাসুমের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে এবং তিনি মারা গেছেন। তখন স্বজনরা জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশকে খবর দেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালিদুর রহমান জানান, জরুরি সংবাদ পেয়ে তারা চুয়াডাঙ্গা আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক তদন্তে লাশে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ওসি আরও বলেন, তারা সিআইডি ও পিবিআইকে খবর দিয়েছেন এবং তারা এসে তদন্ত করবে। পুলিশও বিষয়টি তদন্ত করছে। বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়াধীন আছে।




গাংনীর রংমহল সীমান্তে ৩ কেজি গাঁজাসহ তিনজন আটক

মেহেরপুরের গাংনীর রংমহল সীমান্তে ৩ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।

আটককৃতরা হলেন, গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (৪০), তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৩২) এবং খাসমহল গ্রামের হকমান আলীর ছেলে লোকমান আলী (৩৫)।

বিজিবি জানায়, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রংমহল বিওপি’র সীমান্ত পিলার ১৩৭/৬-এস এলাকা থেকে প্রায় ২৫০ গজ ভেতরে খাসমহল নামক স্থানে হাবিলদার মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ব্যাটারি চালিত ভ্যানে ৩ কেজি গাঁজাসহ তাদের আটক করা হয়। আটক আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাসহ গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




দর্শনা কেরু চিনিকলে এসটিপি বেডে আখ রোপণ মৌসুমের উদ্বোধন

দর্শনা কেরু চিনিকলের দ্বিতীয় ধাপে এসটিপি বেডে আখ রোপণ মৌসুম ২০২৫-২৬ এর উদ্বোধন ও মিল পরিদর্শন করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মানিক উদ্দিন।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মানিক উদ্দিন কেরু চিনিকলের আকন্দবাড়িয়া পরীক্ষামূলক খামার এবং মিল এলাকার বড় আখচাষি তৈয়ব আলীর জমিতে এসটিপি বেডে বীজ আখের বেড স্থাপনার উদ্বোধন করেন। পরে তিনি মিলের কারখানা বিভাগ, ডিস্টিলারি বিভাগ ও জৈবসার কারখানা পরিদর্শন করেন।

কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফসিএমএ রাব্বিক হাসানের সভাপতিত্বে আকন্দবাড়িয়া পরীক্ষামূলক খামার ও তৈয়ব আলীর জমিতে রোপণ মৌসুমের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসটিপি বেডে বীজ আখের উদ্বোধনকালে সিনিয়র সচিব মানিক উদ্দিন বলেন, চিনিশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বেশি বেশি আখ লাগাতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে চাষিদের জন্য উন্নতমানের বীজ নিয়ে এসেছি, যাতে তারা লাভবান হন। যেমন অল্প জমিতে বহু তলা ভবন নির্মাণ সম্ভব, তেমনি অল্প জমিতে উন্নত বীজের আখ চাষ করে ভালো মুনাফা অর্জন করা যাবে। এবার পাবলিক ও কেরু বাণিজ্যিক খামার মিলিয়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি এবং আমরা লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। ফলে আগামী বছর চিনিকলটি আরও বেশি দিন চালু থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জিএম (কারখানা) সুমন কুমার, জিএম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, ডিজিএম (বীজ) দেলোয়ার হোসেন, ডিজিএম (সম্প্রসারণ) মাহবুবুর রহমানসহ কেরু চিনিকলের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আখচাষিরা।

অনুষ্ঠান শেষে কেরু জামে মসজিদের পেশ ইমাম শামসুজ্জোহা আজাদী সুষ্ঠুভাবে রোপণ মৌসুম সম্পন্ন হওয়ায় মহান আল্লাহর নিকট বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করেন।




সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাদশে বদল আনবে বাংলাদেশ?

এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে একবার দেখা হয়েছে বাংলাদেশের। সে স্মৃতি খুব সুখের নয় দলের জন্য। সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ সুপার ফোরের ম্যাচে মুখোমুখি লিটন দাসের দল। এই ম্যাচে একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে অন্তত একটি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ বোলার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। সাইফ হাসান আর শামীম পাটোয়ারী মিলে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত মোটেও কার্যকর কিছুই ছিল না।

আজ সে ভুল করছে না বাংলাদেশ। অন্তত একটা পরিবর্তন তাই অবধারিতই। সে পরিবর্তনটা কোন পজিশনে আসে সেটাই দেখার বিষয়। শেষ অনেক দিন ধরেই ফর্মহীনতায় ভোগা তাওহীদ হৃদয় জায়গা হারাবেন কি না, তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদি তাই হয়, তাহলে তার জায়গায় দলে ঢুকতে পারেন শেখ মাহেদী। সেক্ষেত্রে নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলাবে বাংলাদেশ।

তা না হলে জায়গা হারাতে হবে নুরুল হাসান সোহানকে। লোয়ার মিডল অর্ডারে তার জায়গায় আসবেন মাহেদী।

এছাড়া একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আগের ম্যাচে একাদশের বাকি দশজনের ওপর ভরসা রাখার সম্ভাবনাই বেশি।

বাংলাদেশ একাদশ–
তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়/নুরুল হাসান সোহান, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।




ঝিনাইদহে রোপা আমনে মাজরা পোকার আক্রমণ

ঝিনাইদহে রোপা আমন মৌসুমের শুরুতেই ধানের জমিতে দেখা দিয়েছে মাজরা পোকার আক্রমণ। সদ্য রোপণ করা চারাগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। নানা কীটনাশক ব্যবহার করেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না এ পোকা।

এতে উৎপাদন খরচ যেমন বেড়ে যাচ্ছে, তেমনি ফলন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কৃষকদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে তারা মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়বেন।

জানা গেছে, জেলার শৈলকুপা, সদর, কালীগঞ্জ, হরিণাকুন্ডু, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর সব উপজেলাতেই একই পরিস্থিতি। ধান গাছের গোড়ায় আক্রমণ করছে মাজরা পোকা। এতে অনেক গাছ শুকিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ধানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি। কৃষকরা বলছেন, বারবার কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো কার্যকর ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৯ মেট্রিক টন। তবে মৌসুমের শুরুতেই পোকার এমন আক্রমণ কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

শৈলকুপা উপজেলার নাকোইল গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, “ধান রোপণের পর থেকে নিয়মিত যত্ন নিচ্ছি। কিন্তু এখন মাজরা পোকার আক্রমণে অনেক গাছ মরে যাচ্ছে। আমরা যতবার কীটনাশক ব্যবহার করছি, তত খরচ বাড়ছে। কিন্তু ফল পাচ্ছি না। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।”

একই এলাকার কৃষক সাইদুর রহমান জানান, “ধানের গোড়ায় পোকা ঢুকে গাছকে সাদা করে দিচ্ছে। এতে পুরো জমি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেক টাকা খরচ করেছি কীটনাশকে, কিন্তু কাজ হয়নি। ফলন কম হলে ঋণ শোধ করাই আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।”

কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কৃষির প্রধান ভরসা হচ্ছে আমন ধান। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই যদি পোকা আক্রমণ করে, তাহলে আমরা কীভাবে বাঁচব? সরকারি দিকনির্দেশনা আর সহযোগিতা ছাড়া আমাদের সামনে অন্ধকার ছাড়া কিছু নেই।”

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, “এখনো আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কৃষকরা যদি আমাদের নির্দেশনা মেনে চলেন, তাহলে পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। আমরা কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।”




ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ন্যায় ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে ঝিনাইদহে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের কুটুম কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ জেলা শাখা। সমাবেশে জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোঃ আবু বকর’র সভাতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য ড.আলমগীর বিশ্বাসের কিন্তু বিশেষ কারণে তিনি অনুপস্থিত থাকায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল আলীম।

জেলা সেক্রেটারি আব্দুল আওয়ালের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ডা. এ কে এম কামাল হোসেন, ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুর রশিদ, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক এম এ কবির, অবসরপ্রাপ্ত পেশকার আব্দুল হাকিম, সহকারী অধ্যাপক মিরাজুর রশীদ, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বাহারুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. এহসান উল্লাহ প্রমূখ । সমাবেশের শুরুতে দারস পেশ করেন ড. শাহ মো: শাহাদাত হোসেন।

এছাড়াও সমাবেশে অংশ নেওয়া জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেশ করেন।

এসময় বক্তারা বলেন, জনগনের কল্যাণে নিবেদিত রাজনীতি ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত নেতৃত্বই সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। এজন্য নতুন প্রজন্মকে সৎ, নৈতিক ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।




আলমডাঙ্গায় জামায়াতে ইসলামের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

আলমডাঙ্গায় জামায়াতে ইসলামের উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আলমডাঙ্গা পৌর শাখার সমাজকল্যাণ বিভাগ, আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালের সহযোগিতায় মেডিকেল ক্যাম্পটির উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শেখ মেহেদী ইসলাম, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা জামায়াতের আমীর শফিউল আলম বকুল, সেক্রেটারি মামুন রেজা, জে-আ সাংগঠনিক থানা শাখার আমীর আব্বাস উদ্দিন, আলমডাঙ্গা পৌর সেক্রেটারি মাওলানা মোসলেম উদ্দিন, পৌর নায়েবে আমীর মাওলানা জুলফিকার আলী, মাওলানা আব্দুল কাদের, সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল্লাহ হাসানসহ পৌর ও ওয়ার্ড জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও পৌর জামায়াতের আমীর মোঃ মাহের আলীর তত্ত্বাবধানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা প্রদান করেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমান (মিলন), শিশু রোগ বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলহাজ্ব লিয়াকত আলী, নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. এএসএম নাজিমুজ্জামান মিলন, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নুসরাত নওরিন নাহার (সেতু), মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোঃ আল-আমিন এবং ডা. মোঃ সাজিদ হাসান।

মেডিকেল ক্যাম্প থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।




সাংবাদিক আইয়ুবের ওপর হামলার প্রতিবাদে দর্শনায় মানববন্ধন

নরসিংদীতে সংবাদ সংগ্রহের সময় যমুনা টিভির সাংবাদিক আইয়ুব খানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির যৌথ আয়োজনে প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোঃ আতিয়ার রহমান, দর্শনা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন, সাংবাদিক হাসমত আলী, আবিদ হাসান রিফাত, মিঠুন মাহমুদ, রিপন হোসেন, তুহিনুজ্জামান, আঃ রহমান, ইমতিয়াজ রয়েল, ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করেন। আর সেই সত্য প্রকাশ করলেই তাদের ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমন।