মেহেরপুরে শসা ক্ষেতে ভাইরাসের আক্রমণ

মেহেরপুরে ভাইরাসজনিত রোগে নষ্ট হচ্ছে শত শত বিঘা জমির শসাক্ষেত। দীর্ঘদিন পরিচর্যা করে শসা বাজারজাত করার মুহূর্তে ভাইরাসের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, মাচাতেই শুকিয়ে যাচ্ছে গাছের ডগা ও শসার জালি। ক্ষেত রক্ষায় বিভিন্ন প্রকার ওষুধ স্প্রে করেও উপকার পাচ্ছেন না কৃষকরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জেলার হাজারো শসা চাষি। শেষ মুহূর্তে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, জমিতে বোরনের ঘাটতির কারণে শসাক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। ক্ষেত রক্ষায় মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।

মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২৬৫ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ ৭ হাজার মেট্রিক টন শসা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। মেহেরপুরের শসা জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য জেলাতেও সরবরাহ করা হয়। উৎপাদিত শসা সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় হওয়ায় বাইরের জেলায় ব্যাপক চাহিদা থাকে। কিন্তু ভাইরাসজনিত রোগে গাছ শুকিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে, ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে।

চাষিরা বলছেন, জমি প্রস্তুত, মাচা তৈরি, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যার খরচ মিলিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এখন শসা বিক্রির সময়, অথচ ক্ষেতে ভাইরাসে গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, সতেজতা নষ্ট হচ্ছে এবং শসার জালি বেঁকে লালচে হয়ে ঝরে পড়ছে। প্রতিবছর যতটা শসা উৎপাদন হয়, এবছর তার অর্ধেকও হচ্ছে না। বাইরের জেলাগুলোতে মেহেরপুরের শসার ব্যাপক চাহিদা থাকলেও পাইকারি ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া উৎপাদিত শসার রঙ হলুদ হওয়ায় বাজারে চাহিদা কম, ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।

মেহেরপুরের কালিগঞ্জ, গাড়াবাড়িয়া, সাহারবাটি ও ধলার মাঠে গিয়ে দেখা গেছে শসাক্ষেতের এমন চিত্র। মেহেরপুরের শসা প্রতি বছর ট্রাকভর্তি হয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবছর গুণগত মান খারাপ ও উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী শসা পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকদের অভিযোগ, এমন পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগ পাশে নেই।

কালিগঞ্জ গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, “দুই বিঘা জমিতে শসা লাগিয়েছিলাম। জমি প্রস্তুত, মাচা তৈরি, সার, কীটনাশক মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এখন বিক্রির উপযুক্ত সময়, অথচ গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, শসার জালি শুকিয়ে বেঁকে লালচে হয়ে যাচ্ছে। নানা ওষুধ ব্যবহার করেও ফল পাচ্ছি না।

ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিবছর এ সময় কয়েকশ টন শসা ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হতো। কিন্তু এবছর তার অর্ধেকও পাঠাতে পারছি না।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসেন বলেন, অতিরিক্ত রোদ, জমিতে বোরনের ঘাটতি ও একই জমিতে বারবার একই ফসল আবাদ করার কারণে এমনটা হয়েছে। মাটি পরীক্ষা করে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।




বিগত সরকারের পতনের অন্যতম কারণ দুর্নীতি

দুর্নীতির উৎস হচ্ছে এক ধরনের রাজনীতিদের দ্বারা। তাদের হাতেই লালিত হয় দুর্নীতিবাজদের অনেকে। বিগত সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি। এজন্য সচেতন থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুদকের চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বাণিজ্যসহ অবৈধ টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। এজন্য এখনই সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক লোকটিকে নির্বাচন করতে হবে। গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গার ডিসি সাহিত্য মঞ্চে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন আরও বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবারের সদস্যরা এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার সফল পরিণতির দিকে আমরা যেতে পারবো। দুর্নীতির মামলায় অনেক আসামী দেশীয় সীমান্তের মধ্যে নেই। তারা কিভাবে কোনো উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে তা সকলেই জানে। এমনও তো হতে পারে যে তারা এই চুয়াডাঙ্গা সীমান্তই পাড়ি দিয়েছে। ফলে কে কোন দেশে অবস্থান নিয়েছে তা আমাদেরও অজানা না।

এসময় গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার ২৬টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ৯৫টি অভিযোগ শুনানি হয়। এর মধ্যে ৩৩টি অভিযোগ তাৎক্ষণিক শুনানিতে নিষ্পত্তি হয়। ৭টি খারিজ হয় এবং বাকি অভিযোগগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, মহা-পরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জালাল আহমেদ ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জামাল আল নাসের।




গাংনীতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুব সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপি ও পৌর শাখার উদ্যোগে যুব সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি আয়োজন করা হয়।

গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি র‌্যালি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেষে আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন।

এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, গাংনী পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনি, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন সহ হাজারো নেতাকর্মী।

র‍্যালি শেষে যুব সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের রয়েছে গৌরবময় ঐতিহ্য। রয়েছে সোনালী অতীত। ক্রান্তি লগ্নে এই যুবদলের মাধ্যমেই বাংলাদেশ বারবার হাল ফিরে পেয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধনের লড়াইয়ে যুবদল শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।




আলমডাঙ্গায় ডাকাতি মামলার তিন আসামী গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ডাকাতি মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানাধীন রোয়াকুলি গ্রামের টেংরামারী মাঠে আলমডাঙ্গা টু চুয়াডাঙ্গা গামী রাস্তায় ডাকাতি মামলার ঘটনার সাথে জড়িত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর তারিখে কালিদাশপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের মৃত আকবার আলীর ছেলে মোঃ মিরাজুল ইসলাম(৪৫) বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, মিরাজুল ইসলাম বিদেশ (মালয়েশিয়া) হতে নিজ বাড়ীতে আসেন। গত ২৪ অক্টোবর তারিখে ভোর অনুমানিক ৪.২০ ঘটিকার সময়। যে প্রাইভেট গাড়িতে আসেন সেই প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার ধৃত মজনু রহমানের ছেলে আলামিন হোসেনের প্রাইভেট কার, যাহার রেজিঃ নং- রেজি নাম্বার মেট্রো-ক-০২-০১৪৬, আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ী হতে বাহির হয়।

একই তারিখ ভোর অনুমানিক ৪.৪৫ ঘটিকায় আলমডাঙ্গা থানাধীন আলমডাঙ্গা টু চুয়াডাঙ্গা রোডে ৭নং জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের টেংরামারি মাঠে জনৈক মোঃ আসাদুল হক এর জমির পাশে পাঁকা রাস্তার উপর পৌছালে গাছের ডাল ফেলে বেরিকেড দেখে প্রাইভেট কার থামানো মাত্রই গামছা দিয়ে মুখ বাধা অজ্ঞাতনাম ৩/৪ জন আসামী ধারালো চাপাতি, রামদা নিয়ে গাড়ীটি ঘিরে ধরে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। বর্ণিত ঘটনায় বাদীর লিখিত এজাহারের প্রেক্ষিতে আলমডাঙ্গা থানার মামলা করা হয়।

গত রবিবার ভোর রাতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ মাসুদুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আজগর আলী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ইসলাম পাড়ার মোঃ মজনুর রহমানের ছেলে মোঃ আল আমিন হোসেন(২২), আসাননগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান মন্টু(৪২) ও কামালপুর (চরপাড়া) গ্রামের মোশারোফ হোসেনের ছেলে  মোঃ শিলন হোসেন(২০) -কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ধৃত আসামী মোঃ আল আমিন হোসেন(২২) অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করিয়াছে।




আলমডাঙ্গায় মাকিম হাজেরা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গায় মকিম হাজেরা শিক্ষা বৃত্তির শুভ পুনঃযাত্রা শুরু। গতকাল আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজে অসচ্ছল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মফিজুর রহমান বৃত্তির টাকা তুলে দেন।

আমেরিকার পেনসিলভানিয়ার চেনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৬ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. মোনায়েম চৌধুরী  তাঁর প্রয়াত পিতা-মাতা মীর আব্দুল মকিম চৌধুরী এবং বেগম হাজেরা খাতুনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই বৃত্তি পুনরায় চালু করেছেন। ড. চৌধুরী বিশ্বাস করেন, অসচ্ছলতা ও প্রতিকূল পরিবেশ সফলতার বড় অন্তরায়। তাই তিনি এই বৃত্তি প্রদানে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, এতিম, অসহায় ও নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছেন।

এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীদের স্কুল/কলেজের টিউশন ফি, পরীক্ষার ফি, প্রাইভেট টিউটরের খরচ, বই-খাতা ও শিক্ষাসামগ্রীসহ সকল শিক্ষা-সম্পর্কিত ব্যয় বহন করা হচ্ছে। প্রয়োজনে পরিবারের সহায়তা, পুষ্টিকর খাবার কিংবা (বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে) যাতায়াত ভাতা হিসেবেও অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হচ্ছে।

বর্তমানে আলমডাঙ্গা ও আশপাশের এলাকার আটজন শিক্ষার্থীদের মাঝে এই কার্যক্রম শুরু হলেও ড. চৌধুরী ভবিষ্যতে এই উদ্যোগের পরিধি আরও বাড়াতে চান।

এদের মধ্যে কেউ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলে, তিনি সেই ব্যয়ভারও এই বৃত্তি থেকে বহনের জন্য বিবেচনা করবেন। বৃত্তিপ্রাপ্তদের জন্য তিনটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরের পশ্চিম সিংহাটিতে শত্রুতামূলক কমলা বাগান কর্তন

মেহেরপুরের পশ্চিম সিংহাটি গ্রামে শত্রুতামূলক প্রবাসীর চায়না কমলার গাছ কেটে তছরূপ করেছে দুর্বৃত্তরা। ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসী শহর আলী সিংহাটি পশ্চিম পাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে।

গত রবিবার দিনগত রাতে কে বা কারা রাতের আঁধারে এই ক্ষতি সাধন করে। কাতার প্রবাসী শহর আলী বলেন, কিছু দিন হলো তিন মাসের ছুটিতে বাড়ী এসেছি। ১৭ বছর আগে কাতারে যাওয়ার সময় মায়ের দশ কাঠা জমি বিক্রি করে আমি বিদেশে যায়। পরবর্তীতে আমি মায়ের নামে ২২ কাঠা জমি কিনে দিই। পারিবারিক বিভিন্ন ঝামেলার কারণে আমি পরিবারের সকলের সম্মতিতে গত সপ্তাহে মায়ের কাছ থেকে আমার নামে ৮ কাঠা জমি রেজিষ্ট্রি করে নিই। আর এক সপ্তাহের মাথায় কে বা কারা আমার এই ক্ষতি টা করলো।

বাগানের পরিচর্যাকারী রিমন বলেন, আমার দুলাভাই কাতার প্রবাসী। দু’বছর আগে তার ২৪ কাঠা জমিতে ১৩০ টা চায়না কমলার গাছ রোপন করি। নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে তিল তিল করে গাছ গুলো বড় হচ্ছে, এক দেড় বছরের মধ্যে গাছগুলোতে ফল ধরবে। এরই মাঝে গতরাতে শত্রুতামূলক দুর্বৃত্তরা ৩৫ টি গাছ কেটে রেখে যায়। মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে কিন্তু গাছের সাথে কিসের শত্রুতা? আমি দোষীদের বিচার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে তিনি থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।




মেহেরপুরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন মেহেরপুর জেলা যুবদল।

আজ সোমবার বিকেলে এ আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টে যুবদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। আগামীতে তারেক রহমানের নির্দেশিত ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যুবদল নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। সকল প্রকার লোভ-লালসার উর্ধ্বে উঠে দেশের মানুষের সেবা ও একটি উন্নত রাষ্ট্র গঠনে যুবদল ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের চেতনা ধারণ করে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও আলোকিত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সুজন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সামিউল ইসলাম লিজন, সদস্য সচিব নওফেল আহমেদ রনি এবং মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান।




মেহেরপুরে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সম্প্রসারণ কক্ষ উদ্বোধন

মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সম্প্রসারণ কক্ষ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নামফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে সম্প্রসারণ কক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খাইরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন, যা প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও সবুজায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।




মেহেরপুরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বর থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. কাউসার আলী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মো. মুশাররফ হোসেন তপু, সদস্য মেহেদি হাসান রোলেক্স, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. লিয়াকত আলী, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, বারাদি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি লাল মোহাম্মদ এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, যুবদল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের আন্দোলনে সবসময় অগ্রভাগে থাকবে।

দিনব্যাপী এ আয়োজনে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মেহেরপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পরিণত হয় এক মিলনমেলায়।




দর্শনায় জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা ঘুঘু ডাঙ্গায় ৫ দিন ধরে ৩টি পরিবার অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ফলে তারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না এবং স্কুল ও মাদরাসায় যেতে পারছে না মমিনসহ ওই তিনটি পরিবারের সদস্যরা।

সেলিম কসাই ও নাসির কসাই গংয়ের বিরুদ্ধে জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দর্শনা পুরাতন বাজার দোয়েল চত্বরে এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী অংশ নেন।

ভুক্তভোগী মমিন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পৈতৃক জমি দীর্ঘদিন ধরে সেলিম কসাই ও নাসির কসাই গং দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করায় আমাদের পরিবারকে নিয়মিতভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইয়াছিন, জোসনা, ফাতেমা, রনি, জাহিদুল, খাদিজা, লামিয়া, আব্দুল্লাহ ও রানা সহ ভুক্তভোগী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জমি উদ্ধার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয়রা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।