মেহেরপুরে এক আসামির তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

মেহেরপুরে জাল দলিল সংক্রান্ত মামলায় হানেফ মহলদার নামের এক আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরও ৩০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, সাহারবাটি মৌজার আরএস খতিয়ান নং ২১২১ ভুক্ত জমির মালিক ছিলেন আসামির পিতা মৃত ওয়াজ বক্স। ওয়াজ বক্স ওই জমি বিক্রির ঘোষণা দিলে বাদী ও বাদীর ভাই ওমর আলী তা ক্রয়ের জন্য সম্মতি দেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ৯ অক্টোবর ৮৮০৯ নং দলিল মূলে বাদীর স্ত্রী মোছা. শাহানারা খাতুন এবং ওমর আলীর স্ত্রী মোছা. মনোয়ারা খাতুনের নামে মোট ৪৬ শতক জমি ক্রয় করা হয়। দখল প্রদানকালীন আসামি হানেফ মহলদার ওই দলিলের সনাক্তকারী ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর আসামি উক্ত জমির ২১ শতক দখল করে নেয়। বাদীপক্ষ কারণ জানতে চাইলে আসামি ১৯৮৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তারিখে ১০১৪৪ নং একটি দলিল প্রদর্শন করে দাবি করে যে, তার পিতা ওয়াজ বক্স ওই জমি তার নামে দলিল করে দিয়েছেন। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, উক্ত বছর সর্বশেষ দলিল নম্বর ছিল ৮৯৪৮ এবং ১০১৪৪ নং কোনো দলিলই বিদ্যমান নয়।

এছাড়া, আসামি জাল দলিলের ভিত্তিতে নিজের নামে নামজারি করে নেয়, যা পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), গাংনী তদন্ত শেষে ১৬ নভেম্বর ২০২১ তারিখে বাতিল করেন এবং দলিলটি জাল বলে ঘোষণা দেন।

বাদীপক্ষ পুনরায় সাহারবাটি বাজারে স্থানীয় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আসামিকে জমি ছাড়তে বললে আসামি পুনরায় জাল দলিল ও নামজারি কাগজ দেখিয়ে জমির মালিকানা দাবি করে।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার নথি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে উপরোক্ত রায় দেন। রায় ঘোষনার পরে আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।




দামুড়হুদায় বিনামূল্যে সরকারি বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

দামুড়হুদায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রবি মৌসুমে গম, সরিষা, শীতকালীন পেঁয়াজ ও ডালজাতীয় ফসল (মসুর) উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

“কৃষিই সমৃদ্ধি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা চত্বরে অফিসের সামনে এ বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মোট ৬৯০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১ বিঘা জমির জন্য বীজ ও সার প্রদান করা হবে। কৃষক প্রতি মিনি প্যাকের ঝামেলা ও ওজন কমের বিড়ম্বনা এড়াতে অনুমোদিত তালিকাভুক্ত প্রতি ৫ (পাঁচ) জন কৃষকের একটি গ্রুপ করে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

প্রতি গ্রুপে থাকছে গম চাষের জন্য: ১০০ কেজি গম বীজ, ৫০ কেজি ডিএপি ও ৫০ কেজি এমওপি সার, সরিষা চাষের জন্য: ৫ কেজি সরিষা বীজ, ৫০ কেজি ডিএপি ও ৫০ কেজি এমওপি সার, শীতকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য: ৫ কেজি পেঁয়াজ বীজ, ৫০ কেজি ডিএপি ও ৫০ কেজি এমওপি সার, মসুর ডাল চাষের জন্য: ১০ জনের একটি গ্রুপে ৫০ কেজি মসুর বীজ, ১০০ কেজি ডিএপি ও ৫০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আল সাবাহ্, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং আগত উপকারভোগী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকগণ।




আলমডাঙ্গায় ট্রেনের ছাদে ঝুলন্ত তারে পথশিশুর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় খুলনাগামী ট্রেনের ছাদে উঠে এক পথশিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা লালব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ১০-১১ বছর বয়সী শিশুটি ট্রেনের ছাদে বসা অবস্থায় উপরে ঝুলে থাকা রেলের টেলিফোন তারে গলা পেঁচিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, নিহত শিশুটির নাম শাওন (প্রায় ১১), সে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের আশপাশে বসবাস করত। জীবিকার সন্ধানে কয়েকজন পথশিশু একসাথে খুলনা যাচ্ছিল। পথে আলমডাঙ্গায় ঘটে যায় দুর্ঘটনা।

ওসমানপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা শিশুটির সম্পূর্ণ পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। ধারণা করা হচ্ছে, সে কমলাপুর এলাকার পথশিশুদের একজন।




দামুড়হুদার রঘুনাথপুরে মহিলা দলের কর্মী সমাবেশ

দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুরে বিএনপি মহিলা দলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড মহিলা দলের নেত্রী শ্যামলী খাতুন।

প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে তার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শেষে রঘুনাথপুর মহিলা দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভানেত্রী: শ্যামলী খাতুন, সহসভাপতি: মনিকা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক: আরিফা খাতুন, সহ-সম্পাদক: ঝরনা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক: তানিয়া নাজনীন, কোষাধ্যক্ষ: রুমি খাতুন ও প্রচার সম্পাদক: আছিয়া খাতুন।




আলমডাঙ্গা হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল জয় লাভ করেছে। “এ বিজয় ঐক্যের বিজয়, জনগণের বিজয়, শরীফ ভাইয়ের নেতৃত্বের বিজয়” এমন মন্তব্য করেছেন ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু সুলতান।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪৫৪ জন। সভাপতি বাদে ৫টি সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৪ জন প্রার্থী।

বিজয়ী সাধারণ সদস্যরা হলেন আবু সাইদ আলী (১৯৩ ভোট), আহসান হাবিব (১৮৬), তরিকুল ইসলাম (১৮৫) ও শামিম রেজা (১৬৩ ভোট)। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৬২ ভোট পেয়ে সাহার বানু নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ইমরুল হক জানান, পুরো ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর।

বিজয়ী প্যানেলের অন্যতম নেতা টিপু সুলতান বলেন, এই বিজয় কোনো ব্যক্তির নয় এটি নীতি, সততা ও উন্নয়নের বিজয়। আমরা জনগণের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব এবং বিদ্যালয়কে আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করব।




মেহেরপুরের বারাদীতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদীতে সদর উপজেলা যুবদলের আয়োজনে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে বারাদী ইউনিয়ন বিএনপির অফিস প্রাঙ্গণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বারাদী বাজারে যুবদলের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়।

ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি লাল মোহাম্মদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক লিয়াকত আলী মেম্বার। আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবদল নেতা আসলাম আলী।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নস্যাৎ করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা যুবদল সব সময় এক ছিলাম, ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। দেশনায়ক তারেক রহমান যাকে মনোনয়ন দেবেন, মেহেরপুর যুবদল ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই প্রার্থীকে জয়যুক্ত করবে। আমরা কামরুলের লোক নই, আমরা মিল্টনের লোক নই, আমরা মাসুদ-অরুণের লোক নই। আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার লোক, আমরা দেশনায়ক তারেক রহমানের লোক, আমরা ধানের শীষের লোক। সুতরাং দল যাকে সিদ্ধান্ত দেবে, মেহেরপুর যুবদল ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার কাজ করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন তপু, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফারুল ইসলাম ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম জাদুসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




আলমডাঙ্গায় জামায়াতে ইসলামী’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গায় জামায়াতে ইসলামী’র উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা মঞ্চে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলমডাঙ্গা পৌর জামায়াতে ইসলামী’র আয়োজনে রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লাঠি-বইঠা দিবসে শহীদ জামায়াতে ইসলামী সদস্যদের স্মরণে এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুবিচারের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা পৌর আমির মাহের আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল।

আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মামুন রেজার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামী’র যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নুর মোহাম্মদ টিপু, আইন ও আদালত বিষয়ক সম্পাদক দারুস সালাম, আলতাফ হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা আমির শফিউল আলম বকুল এবং পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি হাফেজ আমিরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের সাংবিধানিক ও আইনি স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে জুলাই সনদের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র ও জনতা আবার রাজপথে নেমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৬ সালের লগি-বইঠা ঘটনার সময় যাদের হত্যা করা হয়েছিল, তাদের হত্যার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।




শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় সিক্ত গোলাম রসুল চির নিদ্রায়

মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে পৌর কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম গোলাম রসুল।

মঙ্গলবার বাদ আসর হোটেল বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড মিয়াজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন, সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, মরহুমের ভাই লিজ্জু, ছেলে হাসান প্রমুখ।

এর আগে দুপুরে তাঁর মরদেহ মেহেরপুরে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। দীর্ঘদিনের সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের কান্নায় পুরো এলাকা শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার তাঁর একটি অপারেশন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সোমবার দিবাগত গভীর রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

গোলাম রসুল ছিলেন ব্যবসা সফল একজন উদ্যোক্তা। হোটেল বাজার থেকে তাঁর ব্যবসায়িক জীবনের সূচনা হয় এবং সেই ব্যবসায়িক গদি ঘর থেকেই শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা। কর্মীবান্ধব এই মানুষটি ছিলেন মেহেরপুরের আওয়ামী রাজনীতির এক জনপ্রিয় ও সফল নেতৃত্ব।

রাজনীতির ময়দানে তিনি ছিলেন অকুতোভয় ও সংগঠননির্ভর নেতা। দলের দুঃসময়ে তিনি মিছিলের অগ্রভাগে থেকে দলকে টিকিয়ে রেখেছিলেন দৃঢ়তা ও সাহসিকতার মাধ্যমে। এক পর্যায়ে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা হামলারও শিকার হতে হয়েছিল। মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের সোনালী অধ্যায়ে তাঁর নাম প্রেরণার প্রতীক হিসেবে উচ্চারিত হবে।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, মেহেরপুর জেলা হজ সমিতির সভাপতি, মেহেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম দায়িত্বশীল সদস্য এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মেহেরপুর ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।




মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামী’র বিক্ষোভ সমাবেশ ও দোয়া

পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে পৌর কমিউনিটি সেন্টার চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আমির তাজউদ্দিন খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর হাজারো মানুষকে গুম ও হত্যা করে লাশের উপর নাচের যে বিভীষিকাময় দৃশ্য সৃষ্টি করা হয়েছিল, তা গোটা বিশ্বকে হতবাক করেছিল। এ দেশের মানুষ এমন জঘন্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। আগামী দিনে জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে মেহেরপুরবাসীসহ সমগ্র দেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে।

সমাবেশে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি রুহুল আমিন, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা আমির মাওলানা সোহেল রানা, উপজেলা সেক্রেটারি জব্বারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা আমির মাওলানা খান জাহান আলী এবং পৌর আমির সোহেল রানা ডলারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।




যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুরে মিছিল ও সমাবেশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর শহরের পণ্ডের ঘাট এলাকা থেকে জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাথুলি সড়কে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলের আগে পণ্ডের ঘাট এলাকায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জনগণ নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। আওয়ামী লীগ সরকার জোরজবরদস্তি করে তাদের প্রার্থীদের নির্বাচিত করেছে। আমরা শেখ হাসিনার দুঃশাসন, নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি মেহেরপুরে মাসুদ অরুণের নেতৃত্বে। অনেক নেতা-কর্মী জেল খেটেছেন। তবুও শত নির্যাতন-জুলুম উপেক্ষা করে আমরা লড়াই চালিয়ে গেছি।

এছাড়াও এসময় জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সুজন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সামিউল ইসলাম লিজন, সদস্য সচিব নওফেল আহমেদ রনি, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসানসহ জেলা ও উপজেলা যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।