মেহেরপুরের শোলমারী গ্রামে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

দুস্থ ও অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে মেহেরপুরের শোলমারী গ্রামে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শোলমারী প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় এ ক্যাম্পের আয়োজন করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

কুষ্টিয়া ল্যাব কেয়ারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ক্যাম্পে ১০ থেকে ১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রায় ২ শতাধিকের বেশি সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেন। একই সঙ্গে প্রাথমিক ও প্রয়োজনীয় ওষুধও বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আনছারুল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক লিটন, রুমানা আহম্মেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ধানের শীষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করলেন শিক্ষক নেতা জাকির

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের পাড়া মহল্লায় ধানের শীষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করলেন ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন।

গতকাল শুক্রবার বিকালে তিনি এ গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পতিত সেখ হাসিনা মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছিল। ছাত্র জনতা ও গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশের জণগণ ভোট দেয়ার জন্যে মুখিয়ে আছে। বিএনপির ৩১ দফা তুলে ধরে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য জাকির হোসেন আরো বলেন, সুখি সমৃদ্ধ মেহেরপুর গড়তে সাধারন মানুষ ধানের শীষে ভোট দিবেন ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, জনগণের সমর্থনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল সরকার গঠন করবে এবং সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন জননেতা তারেক রহমান। দল যার হাতে ধানের শীষ তুলে দিবে জনগণ তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

কর্মমুখী মেহেরপুর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাকির হোসেন বলেন, মেহেরপুর একটি অনুন্নত জনপদ। মেহেরপুরের উন্নয়ন করতে হলে বেকারত্ব দূর করতে হবে।

একই দিন সন্ধ্যার পরে তিনি মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামেও গণসংযোগ করেন।




গাংনীতে উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী পরিবারের মানববন্ধন

মেহেরপুরের গাংনীতে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০% বাড়িভাড়া ও ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাংনী উপজেলা শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গাংনী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি, গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বেদারুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম পল্টু ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি ও গাংনী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ স্বপন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তেরাইল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিনারুল ইসলাম, হাড়াভাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, কলেজ শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেচুর রহমান, কলেজ শিক্ষক সমিতির সদস্য আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সম্পাদক আল হেলাল, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জামাল হোসেন, কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান, গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা খাতুন, ডিজেএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামসহ গাংনী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন করমদি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামাল হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ স্বপন বলেন, আমরা শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে থাকতে চাই। আগের শিক্ষা উপদেষ্টার সুপারিশকৃত ২০% বাড়িভাড়া ও ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা সবাই কোনো না কোনো শিক্ষকের ছাত্র, অথচ শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেন না। বরং শিক্ষকরা যাতে কোনো সুবিধা না পায়, সেজন্য নানা বাধা সৃষ্টি করা হয় যা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাজনক।

তিনি আরও বলেন, অনতিবিলম্বে শিক্ষক সমাজের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ন্যায্য দাবির প্রজ্ঞাপন জারি করার আহ্বান জানাচ্ছি। দাবিগুলো না মানা হলে আগামীকাল ঢাকায় বৃহত্তর সমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিনি শেষে ৫০০ টাকার বাড়িভাড়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল করে শিক্ষকদের দাবিকৃত ২০% বাড়িভাড়া ও ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান।




শিশুর সুরক্ষায় টাইফয়েড ভ্যাকসিন

শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ আর তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জাতির অগ্রযাত্রার মূল ভিত্তি। কিন্তু এখনও দেশে টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত সংক্রমণজনিত রোগ শিশুদের জন্য এক ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে রয়েছে। দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই রোগ প্রতিবছর হাজারো শিশুকে অসুস্থ করে তোলে এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। এ বাস্তবতায় শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ শিশু সুরক্ষা, জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়নের এক অনন্য পদক্ষেপ।

স্কুলের বাইরের খাবারগুলোর মধ্যে যেমন ফুচকা, ভেলপুরি, চটপটি, আচার, শরবত বা আইসক্রিম — এগুলোর টক-মিষ্টি ও ঠান্ডা খাবার বাচ্চাদের মধ্যে পানিবাহিত রোগের অন্যতম কারণ। বিশেষ করে টাইফয়েড সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে সঠিক নিয়মে হাত না ধুলে দূষিত পানি ও খাবার খেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি সিস্টেমিক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে ছড়ায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামান্দ্য, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। এসব উপসর্গ প্রায়ই অস্পষ্ট হয় এবং অনেক সময় অন্যান্য জ্বরজনিত রোগের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। গুরুতর অবস্থায় জটিলতা বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ও নিরাপদ পানির অভাব টাইফয়েডের প্রকোপ বাড়ায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় হলো বাসায় রান্না করা খাবার খাওয়া, পানি ফুটিয়ে খাওয়া এবং বাসি খাবার পরিত্যাগ করা।

টাইফয়েড ভয়াবহ রূপ নিতে পারে যদি চিকিৎসা করতে দেরি করা হয়। এই টাইফয়েড হলো নাড়িতে ঘা বা অন্ত্রে ঘা; যার ফলে আস্তে আস্তে নাড়িটা ফুটো পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে, তখন সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। আবার লিভারে কিন্তু এটার প্রদাহ ছড়িয়ে যেতে পারে তখন লিভারের এনজাইম বেড়ে যায় তখন এটাকে বলা হয় হেপাটাইটিস। আবার অগ্নাশয়ে এটার প্রদাহ ছড়িয়ে যেতে পারে তখন এটাকে বলা হয় প্যানক্রিয়াটাইটিস। এছাড়া গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে প্রদাহ ছড়িয়ে যেতে পারে তখন এটাকে বলা হয় কোলেসিস্টাইটিস। এমনকি ফুসফুসে এটার প্রদাহ হতে পারে তখন এটা হতে পারে নিউমোনিয়া। আবার হার্টে এটার প্রদাহ ছড়িয়ে গিয়ে মায়োকারডাইটিস হতে পারে। সবচেয়ে ভয়াবহ যেটা ব্রেনে যদি প্রদাহ শুরু হয়, হতে পারে মেনিনজাইটিস, এনক্যাফালাইটিস, এনক্যাফালোপ্যাথি এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কাজেই কোনোভাবেই এত বড়ো রিস্ক নেয়া ঠিক না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বর্তমানে টাইফয়েড জ্বর নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় ও প্রাদুর্ভাব উভয় পরিস্থিতির জন্য তিন ধরনের ভ্যাকসিন সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) সব বয়সের জন্য রুটিন টিকাদান কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে কারণ এটি উন্নত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেয়। এটি কম বয়সি শিশুদের জন্য উপযোগী এবং দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা প্রদান করে।

শিশুর সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকারের বহুমুখী পরিকল্পনার একটি নজির শিশুদের বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দান কর্মসূচি। এক ডোজ টিকা নিয়ে টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫ হতে সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রথমবারের মতো সরকার প্রায় ৫ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে এই টিকা দেবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি সব শিশু এই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে।

টিকা পেতে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv এ অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন হবে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর। বাচ্চা কোন স্কুলে, কোন ক্লাসে পড়ালেখা করে সেটা লাগবে। নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১ আগস্ট থেকে। নিবন্ধনের পর জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। ১২ অক্টোবর থেকে টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হবে। যারা রেজিস্ট্রেশন করবে প্রত্যেককে দিন ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে এবং সেই নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দিতে হবে। যদি বাচ্চা অসুস্থ থাকে অথবা যদি কোনো কারণবশত সেদিন ভ্যাকসিন না নেওয়া যায় তাহলে কোনো অসুবিধা নেই, পরবর্তীতে বাচ্চা সুস্থ হলে তার যেকোনো একদিন বাচ্চার স্কুলে বা যেখানে টিকাদান কর্মসূচি চলছে সেখানে গিয়ে টিকা দেওয়া যাবে। প্রথম ১০ দিন স্কুল ও মাদ্রাসায় ক্যাম্পের মাধ্যমে এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে টিকা দেওয়া হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলেও শিশুরা টিকা নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বাবা–মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা হবে এবং টিকা গ্রহণের তথ্য কাগজে লিখে দেওয়া হবে।

টাইফয়েড প্রতিরোধে এক মাস ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০ টি অঞ্চলে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে। এ সময়ের মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি প্রায় ১৩ লাখ শিশু টিকা পাবে। মোট ১৮ কর্মদিবসে ২ হাজার ১৮১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া) আবার ১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোয় মোট ১৮ দিন টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইট বা আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রগুলোয় টিকা দেওয়া হবে এছাড়াও নেই। টাইফয়েড টিকা দান কর্মসূচি সফল করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থা ও অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তথ্য অধিদফতর, জেলা তথ্য অফিস, বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার নিয়মিত পরিচালনা করছে।

টিকা গ্রহণের পূর্বে সকলকে সকালের নাস্তা খেয়ে আসতে হবে, অর্থাৎ খালি পেটে আসা যাবে না। টিকা গ্রহণের পর অন্তত ৩০ মিনিট টিকা দান কেন্দ্রে বসে থাকতে হবে। এই টিকা নতুন হলেও অন্যান্য টিকার মতোই যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এটিও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে সেটা খুবই কম। যেমন: দেহের যে স্থানে প্রয়োগ করবে সেখানে সামান্য একটু ব্যথা হতে পারে, লাল হতে পারে, অল্প জ্বর, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি ভাব এবং মাংসপেশিতে ব্যথা দেখা দিতে পারে। এগুলো খুবই সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এগুলো খুবই সাভাবিক একটা বিষয়। অনেকের বেলায় হয় আবার অনেকের বেলায় হয় না। আবার যে স্থানে প্রয়োগ করবে সেই স্থান একটু লাল হতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা

টাইফয়েড প্রতিরোধে সরকারের এই টিকাদান কর্মসূচি নিঃসন্দেহে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। শিশুদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি শুধু একটি টিকা কর্মসূচি নয় বরং একটি জাতীয় অঙ্গীকার। একটি সুস্থ, সক্ষম ও সংক্রমণমুক্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনের প্রত্যয়। অভিভাবকদের সচেতনতা, শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে এই কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে। তাই আসুন, আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রতিটি শিশুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিনের আওতায় এনে একটি সুস্থ, নিরাপদ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

লেখক: সহকারী তথ্য অফিসার, তথ্য অধদফতর।




দর্শনায় ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কে সংবর্ধনা 

আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের দর্শনা শাখা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি  জাহাঙ্গীর হোসেন খোকন কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫ টায় আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের দর্শনা শাখা কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের দর্শনা শাখা কার্যালয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খোকন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার বাস ও ট্রাক শ্রমিকদের আস্থার সংগঠনের সকল সদস্যকে পাশে নিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজ করতে চাই।

এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান শান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন আনু, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রকিবুল ইসলাম এবং আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের দর্শনা শাখা কার্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ, সিনিয়র-সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ন কবির, প্রচার সম্পাদক মোঃ সানোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শ্রী পার্থ প্রতিম রবি শিকদার, কার্য্য নির্বাহী সদস্য মোঃ নাজমুল হোসেন প্রমুখ।




দামুড়হুদায় গ্যাস ট্যাবেলট দিয়ে পুকুরের মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ 

দামুড়হুদার কেশবপুর গ্রামে রাতের আধারে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরের মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে কেশবপুর গ্রামের সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সামনে অবস্থিত প্রায় ৫ বিঘা পুকুরের মাছ মেরে দেয় দূর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

এ ঘটনায় পুকুরের মালিক কেশবপুর গ্রামের আবুল মল্লিকের ছেলে আব্দুর রফিক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রফিক একজন মৎস চাষী। দামুড়হুদা থানাধীন কেশবপুর গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের সম্মুখে প্রায় ০৭ বিঘা জমিতে একটি পুকুর রয়েছে সেখানে প্রায় ০৫ বিঘা জলকর আছে। সেখানে ০৭ বছর যাবৎ আব্দুর রফিক ঐ পুকুর লীজ গ্রহণ করে মাছ চাষ করে আসছে। সেই সুবাদে গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় দামুড়হুদা থানাধীন কেশবপুর গ্রামস্থ প্রাইমারী স্কুলের সম্মুখে পুকুরটি দেখাশোনা করে নিজ বাড়িতে চলে আসে। গতকাল শুক্রবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫ টার সময় পুকুরে এসে দেখে যে, গ্যাস ট্যাবলেট ও বিষ প্রয়োগ করে কে বা কাহারা পুকুরের সমুদয় মাছ মেরে ফেলেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ)টাকা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর বলেন, এ বিষয়ে একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




গাংনীতে সার বিতরণ নিয়ে বিএনপি নেতা আখেরুজ্জামানের সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের গাড়াডোব গ্রামে সরকারি সার বিতরণে একটি পক্ষ প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানক্ষুন্নের চেষ্টা করছে দাবি করে জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেন।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গাড়াডোব গ্রামে তার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। এতে মূল ঘটনা গোপন রেখে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাস্তবে আমি একজন ভুক্তভোগী। গাড়াডোব একটি কৃষিপ্রধান গ্রাম। এ মাসে সরকারিভাবে বিসিআইসি ডিলার ও সাব-ডিলারের মাধ্যমে দুই উৎস থেকে মোট ৩৬ বস্তা সার পাওয়া যায়। এছাড়াও বিএডিসি ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত সারগুলো একত্র করে, কৃষকদের প্রয়োজন ও জমির প্রস্তুতির ভিত্তিতে ধাপে ধাপে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যাদের আগে প্রয়োজন তাদের আগে ও যাদের পরে প্রয়োজন তাদের পরে সার দেওয়া হচ্ছে। এটি কোনো একক সিদ্ধান্ত নয়— কৃষি অফিস, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ও কৃষকদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতীতে এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাই এ মাসে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও প্রকৃত কৃষকদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সবাই মিলে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তবু কিছু মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদটি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। এতে এলাকাবাসী বিভ্রান্ত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন, আবিদুল হক, আব্দুস সালাম, ফরিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।




ঝিনাইদহে ডিম দিবস পালিত

ঝিনাইদহে ডিম দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও বিনামুল্যে সিদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়েছে। এবারের ডিম দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন।”

ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদের আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। আজ শুক্রবার সকালে জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃএ.এস.এম আতিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা: সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস, দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক আলাউদ্দিন আজাদ, ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারনের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ রেজাউল করিম। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃজহির রায়হান ঝিনাইদহ পোল্টি মালিক সমিতির সভাপতি হামিদুর রহমান।

অনুষ্ঠানটি প্রেজেন্টেশন করেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জিল্লুর রহমান। এছাড়া ৬টি উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধিগণ ও পোল্ট্রি মালিক সমিতির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে পথচারীদের মাঝে বিনামুল্যে সিদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুরের মোনাখালিতে ইউনিয়ন বিএনপি’র আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধন

মোনাখালি ইউনিয়ন বিএনপি’র আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার সময় মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত থেকে শিবপুর গলাকাটা মোড়ে মোনাখালি ইউনিয়ন বিএনপি’র আঞ্চলিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বিএনপি নেতা মিয়ারুল গাজীর সভাপতিত্বে এবং মেহেরপুর কোর্টের এপিপি এ্যাড: সেলিম গাজীর সঞ্চালনায় অতিথি হিসাবে উপস্হিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন।
অফিস উদ্বোধন ও সমাবেশে উপস্হিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি আজিমউদ্দীন গাজী,

মুজিবনগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টু (মেম্বার) মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির। উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান।

এ সময় উপস্হিত ছিলেন, মোনাখালী ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি আসাদুল শেখ। মোনাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাহুলসহ শিবপুর গ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীবৃন্দ।




মুজিবনগর প্রেসক্লাবের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগর প্রেসক্লাবের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় ক্লাব সভাকক্ষে প্রেসক্লাবের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সদস্যদের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে গ্রহণ করা হয়।

মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসি ওমর ফারুক প্রিন্স এর সভাপতিত্বে মাসিক সাধারণ সভায় প্রেন্সক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান এর উপস্থাপনায় সভায় উপস্হিত ছিলেন, ক্লাবের সহসভাপতি খাইরুল বাসার, সাংগঠনিক সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শেখ শফিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক শাকিল রেজা, সদস্য রেজাউল করিম ও জাহিদ হাসান।