চাই একটি মানবিক বাংলাদেশ

মানবিকতা একটি জাতির সভ্যতার মাপকাঠি। শুধু প্রযুক্তি, অবকাঠামো বা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই একটি দেশকে উন্নত করে না। বরং মানুষের মধ্যে যদি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা,সহানুভূতি না থাকে, তাহলে সেই উন্নয়ন অনেকাংশেই অর্থহীন। একটি মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হলে আগে মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে শিখতে হবে। উন্নয়ন তখনই টেকসই হয়, যখন তার ভেতর মানবিকতা থাকে। তাই “মানবিক বাংলাদেশ” গঠন আজ সময়ের দাবি। মানবিকতা মানে শুধু দয়া-সহানুভূতি নয়; এটি হলো মানুষে মানুষে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সহনশীলতা ও সহযোগিতার মনোভাব। ধর্ম, বর্ণ, ভাষা বা রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে সবাইকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করাই মানবিকতার প্রকৃত রূপ।

সব ধর্মেই মানবিকতার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। ইসলাম বলে, “যে ব্যক্তি একজন মানুষকে বাঁচায়, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে বাঁচাল।” অন্যান্য ধর্মও মানুষে মানুষে ভালোবাসা ও শান্তির বার্তা দেয়। তাই মানবিক বাংলাদেশ মানে ধর্মীয় মূল্যবোধের বাস্তব প্রয়োগ। তবে শুধু গণতন্ত্র,অর্থনৈতিক উন্নয়নই যথেষ্ট নয়, আমাদের প্রয়োজন একটি মানবিক বাংলাদেশ যেখানে মানুষে মানুষে ভালবাসা, সহানুভূতি, সহমর্মিতা এবং মানবিক মূল্যবোধ থাকবে। বাংলাদেশকে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই। যে দেশে মানুষ মানুষকে সন্মান করবে, মানুষের সকল অধিকার নিশ্চিত হবে। যে দেশে কোন যুবক বেকার থাকবেনা। সকলের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। মিথ্যা শঠতা থাকবে না; থাকবে না অন্যকে অসম্মানিত না করা। নারী সে শিক্ষার্থী হোক বা কর্মজীবী হোক সবক্ষেত্রে সেজেনো নিরাপদ অনুভব করে;সেই স্বপ্নের দেশ চাই। এর জন্য প্রয়োজন দেশের সকল জনগণের সচেতনতা,সহযোগিতা ও সমর্থন ।

আমরা চাই মানবিক বাংলাদেশ। মানবিক বাংলাদেশ হবে এমন এক দেশ, যেখানে প্রতিটি মানুষ অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে; গরীব-ধনী, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই সমান সম্মান সমহিমায় পাবে; শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা সকলের জন্য নিশ্চিত হবে; পথশিশু, অসহায় ও প্রতিবন্ধীরা সুযোগ পাবে স্বাভাবিক জীবনের; সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িবোধ থাকবে প্রতিটি নাগরিকের মাঝে;ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলেমিশে বসবাস করবে।

একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষাকে রাজনৈতিক দৃষ্টি থেকে দেখা যাবে না। আমাদের সমাজে যে নৈতিক অবক্ষয়, আত্মকেন্দ্রিকতা ও সহানুভূতির অভাব দেখা দিচ্ছে, তা রোধ করতে হলে সামাজিক মূল্যবোধকে আবার কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনতে হবে। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সত্যবাদিতা, শ্রদ্ধা, সহানুভূতি, দায়িত্ববোধ, ও মানবিকতা শেখাতে হবে। বাবা-মা ও অভিভাবকদের নিজেদের আচরণেও মূল্যবোধের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। গণমাধ্যমকে মানবিকতা বৃদ্ধির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে। সর্বোপরি, আমাদের প্রত্যেককে নিজের দায়িত্বে মানবিক আচরণ করতে হবে।

শুধু উন্নয়ন নয়, আমরা চাই একটি মানবিক বাংলাদেশ যেখানে মানুষের মধ্যে থাকবে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও সম্মানবোধ। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্র, সমাজ এবং ব্যক্তিপর্যায়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের প্রত্যেককে আগে মানুষ হতে হবে। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে প্রতিশ্রুতি জনগণকে দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি ছিল। পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি। অল্প কথায় কী অপূর্ব সুন্দর এবং তাৎপর্যপূর্ণ এক ঘোষণা!

রাষ্ট্র যেসব সুবিধা তার নাগরিকদের দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে, এই হলো সাম্যের সহজ মানে। অর্থাৎ আপনার আর আমার সামাজিক অবস্থান-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশা আলাদা হতেই পারে, কিন্তু রাষ্ট্র আমাদের আলাদা চোখে দেখবে না, বরং রাষ্ট্রের সুবিধাদি পাওয়ার অধিকার আমাদের সমান থাকবে। সামাজিক ন্যায়বিচার মানে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসমূহের সমবণ্টন। আর মানবিক মর্যাদা মানে মানুষ হিসেবে আপনার-আমার সম্পূর্ণ মর্যাদা পাওয়ার অধিকার। মুক্তিযুদ্ধের পর জনগণ বারবার আন্দোলন-সংগ্রামের ভেতর দিয়ে তাদের অধিকার ফিরে পেতে চেয়েছে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান আর চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে দুটো মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বাতিঘর, যেকোনো সংকটে মুক্তিযুদ্ধই আমাদের পথ দেখাবে। সুতরাং, এই মুহূর্তের করণীয় হলো, স্বাধীনতার ঘোষণার কাছে ফিরে যাওয়া। মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা-দেশ-রাষ্ট্র এসব কিছুর মালিকানা জনগণকে বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই এখনকার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। একটা কথা মনে রাখা দরকার, সাম্য না থাকলে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘকালের অপশাসনে আমাদের সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। সেজন্যই এত অস্থিরতা চারদিকে, এত বিকার, এত উগ্রতা।

জনগণের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে গণঅভ্যুত্থান অবশ্যই শক্তিশালী একটি মাধ্যম। আমেরিকান তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক ও সমাজ সমালোচক আভ্রাম নোয়াম চমস্কির ভাষায়, ‘যখন একটি সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয় তখন গণঅভ্যুত্থান অপরিহার্য হয়ে ওঠে।’ গণঅভ্যুত্থানের প্রক্রিয়া ও ফলাফল সব সময় একইরকম নাও হতে পারে। এর মধ্যদিয়ে জনগণ তার ইচ্ছাশক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এবং ঐক্যবদ্ধভাবে একটি পরিবর্তন আনার সংগ্রামে মিলিত হয়। তবে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য জনগণের সমর্থনের পাশাপাশি সঠিক নেতৃত্ব অপরিহার্য। অন্যথায় তা প্রায়শই বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতায় পর্যবসিত হয়। জনসমর্থন হচ্ছে এর শক্তির দিক, দিশাহীনতা হচ্ছে দুর্বলতার দিক।

একটা বিষয় মনে রাখা দরকার তা হলো, প্রজন্ম ও প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি কোনো স্থির বিষয় নয়; যুগে-যুগে প্রজন্মের রুচি-রূপ এবং দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টায়। কিন্তু ইতিহাস তার জায়গায় ঠিকই থেকে যায়, থেকে যায় মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। তাই ক্ষমতার পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন। যার মধ্যদিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রকৃত অর্থে বৈষম্য নিরসন করে সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে মানবিক রাষ্ট্র গঠনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিরাষ্ট্র পরিচালিত হবে। রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য শুধু নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়; নিরাপত্তার বিষয়টি যখন মাটি-পানি-বায়ু ও প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল, তখন একটি রাষ্ট্রের আদর্শ হতে হবে পরিবেশবান্ধব।

মানবিক দেশ গড়ার কাজ শুধু রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়; বরং ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে আমাদের সবারই দায়িত্ব। সর্বত্র মানবিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে পারলে কোথাও থাকবে না কোনো অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা। আমরা গড়তে পারব শান্তি-সৌহার্দ-সম্প্রীতির মানবিক বাংলাদেশ। মানবিক বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তাহলো সব ক্ষেত্র দুর্নীতিমুক্ত করা;স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নীতি প্রতিষ্ঠা করা;আইনের শাসন যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করা;দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকারের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়া; জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিত করা;ভ্রাতৃত্ব, সহনশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা;সংখ্যালগু বলতে কোনো কিছু থাকবে না; থাকবেনা পাহাড়ী বাঙ্গালী মতভেদ বা ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গী।

এই নতুন সময়ে দাঁড়িয়ে প্রত্যাশা করি, নিশ্চিহ্ন হোক প্রতিহিংসা, দেশের মানুষ তাদের মানবিক মর্যাদা ফিরে পাক, সুশাসন,সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তের রাজনীতি বন্ধ হোক। দেশে একটা অবাধ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হোক। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিক। যারাই নির্বাচিত হবেন তারা যেন মনে রাখেন, ‘শাসনক্ষমতা’ নয়, তাদের দেওয়া হয়েছে ‘রাষ্ট্র পরিচালনা’র দায়িত্ব। আমরা আর শাসক ও শাসন দেখতে চাই না, দেখতে চাই যোগ্য পরিচালক ও জনবান্ধব সরকার। প্রকৃত গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে রাষ্ট্রের নাগরিকদের মানবাধিকার পদে পদে ভূলুণ্ঠিত হয়। সাধারণ মানুষের অধিকার সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী গণতন্ত্র অপরিহার্য। আর গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন আইনের শাসন।

লেখক: সিনিয়র তথ্য অফিসার জনসংযোগ কর্মকর্তা ভূমি মন্ত্রণালয়




মেহেরপুরে মাদকসহ ৬ মাসে আটক ৩১ নারী

মেহেরপুর সীমান্ত পেরিয়ে আসা মাদকের বস্তা টানছেন নারীরা। কেউ খুচরা বিক্রি করছেন পাড়ায় পাড়ায়, কেউবা দেহে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শহর বা অন্য জেলায়। গেল ছয় মাসে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ২০২৫) শুধু মেহেরপুর জেলাতেই ৩১ জন নারী মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক বহনের শ্রমিক হিসেবে আটক হয়েছেন। পুলিশ, র‌্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ পৃথক ও সম্মিলিত অভিযানে তাদের আটক করে।

তাদের মধ্যে কেউ প্রথমবার নয়, দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের মতো ধরা পড়েছেন। কারো বয়স ২২, কেউ ৪০ এর কোটায়। বেশির ভাগই স্থানীয়, দরিদ্র এবং স্বশিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত। অধিকাংশ নারীই জড়িত মাদকের খুচরা বিক্রিতে বা মাদক বহনে শ্রমিক হিসেবে। হেরোইন, গাঁজা, বিদেশী মদ. ফেন্সিডিল পৌঁছে দেয়া ও খুচরা ব্যবসার সাথে জড়িত আটক নারীরা।

জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর, তেকালা, বামুন্দি, মেহেরপুর সদরের শালিকা, বাজিতপুর ও মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত এখন মাদক পাচারের নিরাপদ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ভারত থেকে নিয়মিতভাবে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য আসছে এই সীমান্ত দিয়ে। এসব মাদক সংগ্রহ করে স্থানীয় পর্যায়ে খুচরা বিক্রির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে একটি চক্র। এই চক্রই বেশি আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দরিদ্র নারীদের নিয়োগ করছে বাহক বা বিক্রেতা হিসেবে।

মেহেরপুর সদরের একটি গ্রামে বসবাসকারী এক নারী, যিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন, দ্বিতীয়বারের মতো আটক হয়েছেন গত আগস্টে। পুলিশের ভাষ্য মতে, তিনি প্রতি সপ্তাহে দু’বার করে সীমান্ত থেকে মাদক সংগ্রহ করে শহরে পৌঁছে দিতেন। প্রতিবার কাজে তিনি পেতেন ১২শ থেকে ১৫শ টাকা।

স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, মেহেরপুর অঞ্চলে নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ অপ্রতুল। দিনমজুর বা গৃহকর্মীর কাজের বাইরে বিকল্প নেই বললেই চলে। যদিও কাজ মেলে অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষের তুলনায় নারীরা পান কম মজুরি।

স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা এই চক্রের নিয়ন্ত্রকেরা বেশির ভাগ সময় রয়ে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। নারী বাহকদের ধরে হয়তো মামলা হয়, কিন্তু মূল নিয়ন্ত্রকদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ যথাযথ নয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

মেহেরপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারী নাথের বয়ানে দারিদ্র্য, বেকারত্ব, পারিবারিক সহিংসতা ও সহজে অর্থ আয়ের আকাঙ্ক্ষা এই চারটি মূল কারণ নারীদের এই পথে ঠেলে দিচ্ছে। অধিকাংশ নারীই জানেন না, তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে খুচরা মাদক বিক্রেতাদের সকল নারীই অর্থের লোভে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। বেশ কয়েকজন স্বামী স্ত্রী মাদক বিক্রেতার সাথে জড়িত। এদেরমধ্যে জেলা শহরের পেয়াদা পাড়ার চায়না খাতুন ও তার স্বামী হাফিজুল ইসলামকে বেশ কয়েকবার মাদকসহ আটক করা হয়েছে।

মেহেরপুরের মানবাধিকার কর্মী দিলারা পারভিন বলেন, মাদক ব্যবসায় জড়িত নারীরা অপরাধী তো বটেই, কিন্তু এক অর্থে তারা ব্যবহৃতও। প্রশ্ন হলো, তাদের এই অবস্থান সৃষ্টি হওয়ার পেছনে দায়ী কারা? নারীদের বিকল্প জীবিকা গড়ে তোলা জরুরি। মাদক সংক্রান্ত মামলায় নারীদের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র ও বিশেষায়িত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

মেহেরপুরের অতিরিক্ত পলিশ সুপার জামিনুর রহমান খান বলেন, বংশ পরম্পরা মেহেরপুুরের সীমান্ত গ্রামগুলোর পরিবার দারিদ্রতার সাথে বসবাস করে। গত ছয়মাসে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্যসহ ৩১ জন নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বড় ধরণের গাঁজার চালানও ধরা পড়েছে। মাদক চোরাচালানে অল্প সময়ে অনেক টাকা পাবার কারণে এমন বিপথে নামে নারীরা। মাদক চক্রের মূল হোতারা ধরা ছোার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তাদের বিচারের আওতায় আনা না গেলে এই প্রবণতা সহজে বন্ধ হবে না।




দামুড়হুদায় রিভন এগ্রো’র কম্পোস্ট প্ল্যান্টের উদ্বোধন

নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় দামুড়হুদা জয়রামপুর রিভন এগ্রো’র কম্পোস্ট প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। গতকাল শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে পিকেএসএফ এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় জয়রামপুর শেখ পাড়ায় রিভন এগ্রো’র কম্পোস্ট প্ল্যান্টের শুভ উদ্বোধন হয়।

রিভন এগ্রো’র কম্পোস্ট প্ল্যান্টের স্বত্বাধিকারী আনোয়ারুল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দীন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন পরিষদের সদস্য শামীম আরা প্রভাতী, ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক ইফতেখার হোসেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর এডভাইজার আহমেদ বোরহান, ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর আরএমটিপি’র প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ডা. এ এস এম শহীদ, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোটস এর মালিক ইরফান বিশ্বাস, তৌফিক এগ্রো সাপোর্ট এর মালিক তৌফিক ইসলাম , রিভন এগ্রো’র কম্পোস্ট প্ল্যান্টের স্বত্বাধিকারী মালিক মনিরুজ্জামান, সাজেদুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উদ্যেক্তারা বলেন, আমরা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পরামর্শে জৈব সার তৈরীর কারখানা দিয়েছি। জৈব সার তৈরি করছি, বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার আসছে জৈব সার ক্রয় করার জন্য। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেবো জৈব সার। এতে একদিকে জমি বাঁচবে অন্য দিকে ফলন বাড়বে। অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ছিলেন, মোহাম্মদ আশরাফুল হক ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর।




আলমডাঙ্গার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গার অতিপরিচিত মুখ অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০ টার সময় বড় বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রগতি তরুণ সংঘের উদ্যোগে এই স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুতে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, কবি-সাহিত্যিক, বাউল সাধু, এলাকার গুনীজনদের নিয়ে এই স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার গত ১২ তারিখে ঢাকা নিউরো সায়েন্স হসপিটালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। গত সোমবার বাদ আসর জানাজা শেষে দাফনকাজ সম্পন্ন হয়।

অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের ভাই কোরবান আলির সার্বিক তত্ত্বাবধানে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সামসুর রহমান বাবলু। প্রধান অতিথি ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিস উদ্দিন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাইসার আহম্মেদ বাবলু, হাটবোয়ালিয়া গার্লস স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক গালস ফজলুর হক জোয়ার্দার, গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের  সাবেক প্রাধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মতিউল হুদা, হাটবোয়ালিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুজ্জামান লাকী, হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক কবি আসিফ জাহান, সমাজ সেবক জিনারুল ইসলাম, কবি সিদ্দিকুর রহমান  প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

আলমডাঙ্গার উপজেলা মঞ্চ চত্ত্বরে উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার সময় শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ মেহেদী ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা জীবনে আপনাদের মুসিপদে ফেলে চলে যাব না। সব সময় আমরা আপনাদের পাশে থাকবো, সৎ পথে থেকে আপনারা যেমন উপার্জন করেন তেমনি আমরা আমাদের বুকে টেনে নেব – এই গ্যারান্টি দিতে পারি।

আমরা যখন রাতের বেলায় বিপদে পড়ি, হাসপাতালে হোক, রেল স্টেশনে হোক‌ বা কোনো জরুরি কাজে হোক আপনাদের সব সময় পাশে পাই, তাই আপনারা আমাদের কাছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের শাসন আমল দেখেছি, সেই শাসন আমলে আপনাদেরকে ভোটের কাজে ব্যাবহার করে ভোট শেষে আর কখনও খোজ নেয়নি, আমরা কথা দিলাম, আজকে যেভাবে আপনাদেরকে কাছে ডেকে নিয়েছি ভবিষ্যতে এই ভাবেই আপনারা থাকবেন। তবে কথা দেন আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন না, আমরা আপনাদের সাথে অন্তত বেইমানি করবো না।

সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা আমির রুহুল আমিন। এসময় তিনি বলেন, আপনারা যারা দিনরাত গায়ের রক্তঘাম ঝরিয়ে সৎ উপার্জন করেন, তারা সত্যিকার সৎ মানুষ, যাদের কোন বড় চাহিদা নেই, আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা কোন অসৎ অর্থ উপার্জন করবো না। আমি বলতে চাই,”সৎলোকের শাসন কায়েম হয়েছে এই জমিনে এই দৃশ্য দেখে মৃত্যুবরণ করার তৌফিক আল্লাহ আমাদের দান করে দিও। আজকে আপনারা যারা জামায়াতের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক ফেডারেশনের সাথে যুক্ত হয়েছেন, তাদের আমরা আমাদের সহোদর ভাইয়ের মত আপন হিসেবে আমাদের বুকে টেনে নিলাম। আমরা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে রাজনৈতিক ভাবে জড়িত থাকলে দুনিয়াতে কতটুকু শক্তি অর্জন করতে পারবেন জানি না, তবে আপনি  মানসিক প্রশান্তি পাবেন এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কাইয়ুম উদ্দিন হিরক, জেলা সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ হুসাইন টিপু, জেলা আইন ও আদালত বিষয়ক সম্পাদক মোঃ দারুস সালাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা আমীর প্রভাষক শফিউল আলম বকুল, পৌর আমির মাহের আলী, জেলা শ্রমিক কল্যান সম্পাদক মহসিন আলী, উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, পৌর জামায়াতের সম্পাদক মসলেম উদ্দিন, উপজেলা নায়েবে আমির ইউসুফ আলী মাষ্টার, সহকারি সেক্রেটারি তরিকুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি বেলাল হোসেন প্রমুখ।




স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি’র বিকল্প নাই

আলমডাঙ্গায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার অংশ হিসেবে পথসভায় উপস্তিত হলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

আলমডাঙ্গা পৌরসভার হাজী মোড় ঘুরে চারতলার মোড় হয়ে আল তায়েবা মোড় থেকে আলিফ উদ্দিন রোড় শেষে নেতাকর্মী ও জনগণের উদ্দেশ্য বক্তব্য দেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি সরকারের কোন বিকল্প নেই। জনগণের পাশে থেকে নির্বাচন করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া দল বিএনপি’র পতাকা তলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে ভোটে বিজয় ছিনিয়ে এনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাত কে শক্তিশালী করতে হবে।

নির্বাচনী প্রচারণা ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সহিদুল কাওনাইন টিলু মিঞা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম, সাবেক কৃষক দলের সভাপতি বোরহান উদ্দিন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাগরিবুর রহমান, হারদী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মইনূল ইসলাম, নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল ওহাব মাষ্টার, বারাদী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বিল্লাল হোসেন, জাইদুল ইসলাম, আশাদুল মেম্বার, তৈয়ব মেম্বার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কালিদাশপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা মইনোদ্দিন, বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা শরিফ উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, ছাঁদ আলি, কামাল হোসেন, আব্দুল ওয়াহেদ, পান্না চৌধুরী, রফি মেম্বার, মালেক, হুমায়ুন, আলা উদ্দিন, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সন্টু মিঞা, আজিমুদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম, ডালিম, রিমন, রাজা, খাদেমপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ডাউকি ইউনিয়ন বিএনপি’র ইউনোচ আলি, চিনিরোদ্দিন, হান্নান, বিল্লাল মাষ্টার, সেকেন্দার, যুবদল নেতা, সফিকুল আজম ডালিম, জাহাঙ্গীর, লিটন, সোহাগ, সেলিম, সালাম, আশরাফুল, রানা, রাসেল, আরিফ, দুদুল, শরিফুল মেম্বার, আতিয়ার, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সদস্য কাওনাইন রুবেল, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশিকুর রহমান, সুমন আলি, নাজমুল হাসান, রিপন আলি সামিউল হাসান সানি, লিটন হাসান, সবুজ, সেজান, বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদের চপল, রাজু আহম্মেদ, হিমেল প্রমুখ।




মেহেরপুরের আমঝুপিতে অ্যাড. কামরুল হাসানের গনসংযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এক পথসভা ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৫ টার সময় আমঝুপি বাজারে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভা শেষে বিশাল লোকসমাগম নিয়ে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনগণের হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সাবেক সদর থানা যুবদল সভাপতি হাসিবুল ইসলাম স্বপন এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, সদস্য আবু সালেহ নাসিম ও খাইরুল বাশার, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, রোমানা আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকা বিল্লাহ, জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলিফ আরাফাত খান, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন তপু, সদর উপজেলা আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মিন্টু হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, বিএনপি নেতা নাহিদসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পথসভা ও গণসংযোগকে কেন্দ্র করে আমঝুপি এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয়দের অংশগ্রহণে এ কর্মসূচি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।




কোটচাঁদপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন ব্যারিস্টার কাজল

কোটচাঁদপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

শনিবার সকাল ১১টায় কোটচাঁদপুর উপজেলার পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের সাথে এই সভায় অংশগ্রহণ করেন।

মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, “আমি আপনাদেরই সন্তান। ১৯৮৬ সালে মহেশপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৮৮ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করি। আমি একজন কূটনীতিক। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।

২০২০ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পরপর তিনবার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। ফ্যাসিবাদী আমলে ডিবি অফিসে চারদিন রিমান্ডসহ কারাভোগ করেছি। আমি মহেশপুর উপজেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম এবং ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

বর্তমানে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি যদি দলের মনোনয়ন পাই, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। দলের বাইরে কোনো নির্বাচন করার মনোভাব নেই।

তিনি আরও বলেন, “যদি ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হই, তাহলে অবহেলিত ঝিনাইদহ-৩ আসনের কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করবো। খাদ্য, বসবাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেব। কোনো দূর্নীতি, চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

আমার পিতা একজন পৌরসভার সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমি আদর্শ পিতার সন্তান। আমার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে, একজনের ব্যারিস্টারি পড়া শেষ পর্যায়ে। আমি দলের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করেছি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে। আমার সন্তানও পিতার আদর্শে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দলের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করবে, ইনশাআল্লাহ। এখানে অনেকেই দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন। আমি যদি দলের মনোনয়ন না পাই, তাহলে যিনি পাবেন, তার পক্ষে কাজ করবো।”




মেহেরপুরে অ্যাড. কামরুল হাসানের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের হরিরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণের আয়োজন করা হয়।

গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় সময় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের মৌলিক অধিকার ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। তারেক রহমানের নির্দেশেই আমরা সব কার্যক্রম পরিচালনা করছি।”

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রায় দুই হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন এবং বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ পান। নেতৃবৃন্দ জানান, জনগণের পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য, তাই এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান ছাতু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকা বিল্লাহ,

জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলিফ আরাফাত খান, বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, নাহিদ হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনার ঈশ্বরচন্দ্রপুরে বাড়ির বারান্দা থেকে মোটরসাইকেল চুরি

দর্শনা পৌরসভার ঈশ্বরচন্দ্রপুর বড় মসজিদপাড়া থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) ভোরে বাড়ির বারান্দার গেটের তালা ভেঙে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে ইমরান জোয়াদ্দার তার ব্যবহৃত প্রায় ৪/৫ মাস আগে কেনা লাল-কালো রঙের এসপি হোন্ডা ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলটি নিজ ঘরের বারান্দায় রাখেন।

রাত ২টার দিকেও তিনি মোটরসাইকেলটি বারান্দায় দেখতে পান। তবে ভোর ৫টার দিকে উঠে দেখেন, মোটরসাইকেলটি আর সেখানে নেই।

পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মোটরসাইকেলটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে ইমরান জোয়াদ্দার দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।