জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে উপকূলীয় নারী

উন্নত বিশ্বের নারী যখন মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য নভোচারী প্রশিক্ষণ করছে, তখন আমার উপকূলের কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী সন্তান প্রসবের জন্য ২ ঘণ্টার নদী পথ পাড়ি দেওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন; সুস্থভাবে বাচ্চার জন্ম হবে তো! তিনি নিজে বাঁচবেন তো! নাকি অন্যদের মতো প্রসব-পরবর্তীকালীন জটিলতা বয়ে বেড়াবেন আজীবন। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরপুর, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হচ্ছে।

এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা আজ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারীসমাজ- বিশেষত গর্ভবতী, দুগ্ধদায়ী মা ও কিশোরীরা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সুপেয় পানির সংকট, অপুষ্টি ও মানসিক চাপ তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশের ১৯টি জেলা উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। এর মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, লক্ষিপুর, বরগুনা, ভোলা, নোয়াখালী ও কক্সবাজার বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অঞ্চলে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা দেখা দিচ্ছে। একই সঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেক স্থানে পানযোগ্য পানি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে নারীর মৌলিক চাহিদার ওপর।

পরিবারে পানির যোগান, রান্না, সন্তান লালন-পালন ও দৈনন্দিন গৃহকর্মে প্রধান ভূমিকা পালন করেন নারীরা। ফলে পানির সংকট, খাদ্যাভাব বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের অভিঘাত তারা সরাসরি বহন করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘদিন লবণাক্ত পানি পান করার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, প্রসূতি জটিলতা, ত্বকজনিত রোগ ও কিডনি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলের গর্ভবতী নারীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা সমভূমির নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত লবণাক্ত পানি পান করলে প্রি-এক্লাম্পসিয়া ও এক্লাম্পসিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগ দেখা দিতে পারে, যা মা ও নবজাতকের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া লবণাক্ত পানিতে গোসল করার কারণে অনেক নারীর ত্বক পুড়ে যায়, চুল পড়ে যায় এবং চুলকানিসহ নানা চর্মরোগে ভোগেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। লবণাক্ত মাটি ও পানির কারণে ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন কমে গেছে। ফলে খাদ্যে বৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে, বাড়ছে অপুষ্টি। অপুষ্টি নারীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে রক্তশূন্যতা ও অকাল বার্ধক্য দেখা দিচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ পানির অভাব এখন একটি বড়ো স্বাস্থ্যঝুঁকি। লবণাক্ত পানির কারণে টিউবওয়েল ও পুকুরের পানি প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়ছে। নারীরা প্রতিদিন কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মিষ্টি পানি সংগ্রহ করে। এই পরিশ্রমজনিত ক্লান্তি, শরীরিকচাপ এবং ভারি জলের পাত্র বহন করার ফলে কোমর ব্যথা, পিঠ ব্যথা, এমনকি গর্ভপাতের মতো জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের পর যখন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়, তখন পর্যাপ্ত টয়লেট ও স্যানিটেশন না থাকায় নারীদের স্বাস্থ্য ও মর্যাদা দুটিই হুমকির মুখে পড়ে। অনেক সময় মেয়েরা রাতে টয়লেট ব্যবহারের ভয়ে পানি না খেয়ে থাকে, ফলে তাদের প্রস্রাবের সংক্রমণ ও কিডনি সমস্যা দেখা দেয়।

জলবায়ু বিপর্যয়ে নারীরা শারীরিক ও মানসিক দু‘দিক থেকে বড়ো আঘাত পায়। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, রোয়ানু বা আম্পানের পর বহু নারী তাদের ঘরবাড়ি, সম্পদ ও প্রিয়জন হারিয়েছে এবং দুর্যোগে বহু পুরুষ শহরমুখী শ্রমবাজারে চলে যায়, ফলে তখন তাদের কাঁধে পড়ে পরিবার টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব। এ চাপ, দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তার কারণে অনেক নারী হতাশায় ভোগেন। গবেষণায় দেখা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের মধ্যে ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি ও ট্রমাজনিত মানসিক ব্যাধির হার ক্রমবর্ধমান। কিন্তু এখনো মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রামীণ পর্যায়ে প্রায় অনুপস্থিত। সামাজিক কাঠামো ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের কারণে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। দুর্যোগের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চনা ও আর্থিক অস্বচ্ছলতা তাদের সংকটে ফেলে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় অনেক নারী সংস্কার বা লজ্জা-সংকোচে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চান না, ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ কম থাকায় জলবায়ু অভিযোজন প্রক্রিয়ায় তাদের মতামত প্রায়শই উপেক্ষিত হয়।

বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব মোকাবিলায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০০৯ সালে প্রণীত এবং ২০২০ সালে হালনাগাদ করা “Bangladesh Climate Change Strategy and Action Plan (BCCSAP)” দেশের জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমের মূল ভিত্তি। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী, বিশেষত নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। লবণাক্ততার কারণে টিউবওয়েল ও পুকুরের পানির সমস্যার সমাধানে সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ট্যাংক ও সংরক্ষণাগার স্থাপন করা হচ্ছে। আর্সেনিক ও লবণমুক্ত গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে। স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে নারীবান্ধব টয়লেট ও স্যানিটেশন সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। “Safe Water Supply in Coastal Belt Project” নামে একটি বিশেষ প্রকল্প বর্তমানে খুলনা, সাতক্ষীরা, ভোলা ও পটুয়াখালী জেলায় চলমান। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় উপকূলীয় এলাকায় Climate Resilient Health System গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু করেছে। সাইক্লোনপ্রবণ অঞ্চলে মোবাইল মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যারা দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে মাঠপর্যায়ে চিকিৎসা প্রদান করে। প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নারী ও শিশুবান্ধব স্বাস্থ্যক্যাম্প পরিচালিত হচ্ছে। প্রসূতি ও জরুরি চিকিৎসা সেবা (EmOC) নিশ্চিত করতে দক্ষ ধাত্রী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে জলবায়ু অভিযোজন নির্দেশিকা চালু করেছে, যাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিবেশ-সম্পর্কিত রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেন।

সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ ও Gender Action Plan on Climate Change অনুসারে নারী ক্ষমতায়নমূলক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, যেমন উপকূলীয় নারীদের জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রশিক্ষণ, লবণ-সহনশীল ধান, সবজি চাষ ও হাঁস-মুরগি পালন। স্থানীয় পর্যায়ে নারীদের নেতৃত্বে কমিউনিটি সচেতনতা দল (Women Climate Forum) গঠন। মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় উপকূলীয় নারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক অন্তর্ভুক্তি।

এনজিও ও সরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে নারী উদ্যোক্তা সহায়তা তহবিল, যা জলবায়ু-সহনশীল জীবিকা গড়ে তুলতে সাহায্য করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তার “Standing Orders on Disaster (SOD)”–এ নারীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক নির্দেশনা যুক্ত করেছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে নারীস্বাস্থ্য কর্ণার চালু করা হয়েছে, যেখানে নারী চিকিৎসক ও ধাত্রী দায়িত্ব পালন করেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্যানিটারি সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। দুর্যোগ-পরবর্তী সময় মোবাইল ক্লিনিক ও ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়, যেখানে নারীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও পুষ্টি পরামর্শ দেওয়া হয়। জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে অনেক নারী পরিবার ও সম্পদ হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এ সমস্যা মোকাবেলায় সরকার সম্প্রতি Community Mental Health Programme চালু করেছে। উপকূলীয় জেলা হাসপাতালগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য কর্নার স্থাপন এবং ট্রমা–ভুক্তভোগী নারীদের কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।

সরকার জলবায়ু-স্বাস্থ্য অভিযোজনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। UNDP, WHO ও FAO–এর সহায়তায় চলছে “Health Adaptation to Climate Change in Bangladesh” প্রকল্প। Green Climate Fund (GCF) ও World Bank–এর অর্থায়নে উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু সহনশীল হাসপাতাল ও ক্লিনিক নির্মাণ হচ্ছে। “Coastal Embankment Improvement Project (CEIP)”–এর মাধ্যমে উপকূলীয় জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা জোরদার করা হয়েছে। নারী ও পরিবার পর্যায়ে জলবায়ু সচেতনতা গড়ে তুলতে সরকার একাধিক কর্মসূচি পরিচালনা করছে—কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নারীস্বাস্থ্য, নিরাপদ পানি ও পুষ্টি বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা সেশন চালু। স্কুল পাঠ্যক্রমে পরিবেশ ও জলবায়ু শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে মেয়েরা ছোটোবেলা থেকেই সচেতন হয়। স্থানীয় রেডিও ও টেলিভিশনে নারীস্বাস্থ্য ও জলবায়ু সচেতনতা বার্তা সম্প্রচার করা হচ্ছে। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১-তে জলবায়ুজনিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলার নির্দেশনা যুক্ত হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১–২০২৫) নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে জলবায়ু অভিযোজনকে অন্যতম কৌশল হিসেবে উল্লেখ করেছে। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (NAP 2023) উপকূলীয় নারীদের নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নারী-কেন্দ্রিক নীতি অপরিহার্য। নারী কেবল ভুক্তভোগী নয়, বরং পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো অভিযোজন কৌশল সফল হতে পারে না।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এখন আর ভবিষ্যতের আশঙ্কা নয়- বর্তমানের একটি কঠিন বাস্তবতা। এর প্রভাব সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় নারীদের জীবনে। তারা প্রতিদিন লড়ছেন দারিদ্র্য, লবণাক্ততা, অপুষ্টি, সুপেয় পানির সংকটের সাথে, অন্যদিকে বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করছে।

তবে, নারীরাই আবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতীক। যতদিন তারা দৃঢ় মনোবলে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, ততদিন উপকূল টিকে থাকবে জীবনের আশায়। এই সংগ্রামকে টেকসই করতে হলে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও নিবিড় সহযোগিতা প্রয়োজন। কেননা, উপকূলের নারী শুধু ভুক্তভোগী নয়-তিনি পরিবর্তনের অগ্রদূত। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় নীতি, সরকারি পদক্ষেপ ও স্থানীয় পর্যায়ের উদ্যোগগুলো ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টে দিচ্ছে।

লেখক: সহাকারী তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদপ্তর।




আলমডাঙ্গায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন

আলমডাঙ্গায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টার সময় উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রবি মৌসুমে সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ হোসেন পলাশ।

উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৪৭০ জন বসতবাড়ি চাষযোগ্য সবজি চাষি, ১৩০ জন লাউ চাষি, ২৩০ জন বেগুন চাষি, ২৩০ জন মিষ্টি কুমড়া চাষি এবং ২৩০ জন শসা চাষিকে বিনামূল্যে বীজ ও প্রয়োজনীয় সার প্রদান করা হয়। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।




পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবিতে মেহেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন

পিআর পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখা।

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে শহরের জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জামায়াত জেলা শাখা।

এ মানববন্ধন কর্মসূচির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আমির তাজউদ্দীন খান।

এছাড়া জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন, জেলা নায়েবে আমির মাহবুবুল আলম, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি রুহুল আমিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, উপজেলা আমির সোহেল রানা, পৌর আমির সোহেল রানা ডলার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুসংহত করতে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়ার দাবি জানান।

এছাড়া তারা জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং আওয়ামী লীগ আমলের সব হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

মানববন্ধনে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে জেলা শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।




গাংনীতে বিশ্ব হাতধোয়া দিবস পালিত

“হাতধোয়ার নায়ক হোন” প্রতিপাদ্য নিয়ে মেহেরপুরের গাংনীতে বিশ্ব হাতধোয়া দিবস পালন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার গাংনী উপজেলা প্রশাসন ও গাংনী পৌরসভার যৌথ আয়োজনে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও হাতধোয়ার কৌশল শেখানো হয়।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গাংনী পৌরসভার প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল আলম সোনা, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু প্রমুখ।

এ সময় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে বিশ্ব সাদা ছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত

“সাদা ছড়ির আধুনিকায়ন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে বিশ্ব সাদা ছড়ি নিরাপত্তা দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়, যা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আশাদুল ইসলাম।

সমাজসেবা অফিসার (রেজি.) কাজী মো. আবুল মুনসুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) উপ-তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ. জে. এম. সিরাজুম মুনীর, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তুলসী কুমার পাল, প্রবেশন অফিসার মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আনিছুর রহমান, হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার মোছা. মেহজাবিন কামি, এবং শিশু প্রবেশন কার্যালয়ের সুরক্ষা সমাজকর্মী মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ প্রমুখ।

বিশ্ব সাদা ছড়ি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম ও সেবা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের মাধ্যমে বিনামূল্যে সেবা প্রদান, ভ্রাম্যমান ওয়ান স্টপ থেরাপি সার্ভিস (মোবাইল ভ্যান এর মাধ্যমে), বিনামূল্যে সহায়ক উপকরণ বিতরণ, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা, স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম পরিচালনা, অটিজম রিসোর্স সেন্টার পরিচালনা, অটিজম ও এনডিডি কর্ণার সেবা, বেসরকারি সংগঠনের মধ্যে অনুদান প্রদান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে আর্থিক অনুদান প্রদান এবং অটিজম সমস্যাগ্রস্থ সন্তানদের পিতা-মাতা/অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ উল্লেখযোগ্য।




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

মেহেরপুর সদর উপজেলার ফতেপুর উত্তরপাড়া মসজিদের সামনে ট্রাকের ধাক্কায় ফারহানা ওয়াহেদা অমি (২৬) নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফারহানা ওয়াহেদা অমি মেহেরপুর শহরের কাসাড়িপাড়ার আব্দুল ওয়াহেদ চঞ্চলের মেয়ে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে অমি বাবার বাড়ি শহরের কাসাড়িপাড়া থেকে মোটরসাইকেলে করে শ্বশুরবাড়ি রামদাসপুরে যাচ্ছিলেন। পথে ফতেপুর উত্তরপাড়া মসজিদের সামনে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক (নম্বর: ঢাকা মেট্রো ট-১৮-৪১৭৫) মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাকটি আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজবাহ উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনা-সংশ্লিষ্ট ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল মেহেরপুর পৌর শাখার ২ নম্বর ওয়ার্ডে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মেহেরপুর পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র আয়োজনে এ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি শামসুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপ’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইমন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহমেদ, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, মহিলা দলের সহ-সভাপতি সাবিহা সুলতানা এবং সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাজমুন নাহার রিনা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, আমদহ ইউনিয়নের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রাকিবা খাতুন রাখী, মহিলা দলের নেত্রী নবীনা খাতুন, পলি খাতুনসহ স্থানীয় নারী নেতৃবৃন্দ।

কর্মীসভায় বক্তারা বলেন, দলের তৃণমূলকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে প্রত্যেক ওয়ার্ডে নারী কর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।




মুজিবনগরে ব্র্যাকের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন ইউএনও

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মণ্ডল।গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামে ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক পরিদর্শন করেন তিনি। বৈঠকে প্রায় ৩৫ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ও চিকিৎসাধীন প্রায় ১৫ জন রোগীর সাথে মতবিনিময় করেন এবং বলেন, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কারো কাশি থাকলে অবশ্যই কফ পরীক্ষা করতে হবে।

তিনি অংশগ্রহণকারীদের যক্ষ্মা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের স্কুল, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বাল্যবিবাহ, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, মোবাইল ফোনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ব্র্যাক বাংলাদেশের যক্ষ্মা (টিবি) নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সংস্থাটি কমিউনিটি পর্যায়ে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ, চিকিৎসা ফলোআপ এবং সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্র্যাকের রিডিং প্লাস কর্মসূচি ও মুজিবনগর এরিয়া অফিস পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি ব্র্যাকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি ও সফলতা সম্পর্কে অবহিত হন এবং ব্র্যাকের সার্বিক কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাক মেহেরপুর

জেলা সমন্বয়ক শেখ মনিরুল হুদা, মেহেরপুর অঞ্চল আরএম (এমএফ-দাবি), নাজমুল হুসাইন, মুজিবনগর এরিয়া ম্যানেজার (দাবি) মোঃ জসিমউদ্দিন, এরিয়া ম্যানেজার (প্রগতি) মোঃ সেলিম, টিবি কনট্রোল প্রোগ্রামের ডিএম অচিন্ত কুমার বোস, রিডিং গ্লাস কর্মসূচির এরিয়া ম্যানেজার মোঃ কামরুজ্জামান, টিবি কনট্রোল প্রোগ্রামের উপজেলা ম্যানেজার বিচিত্র, শাখা ব্যবস্থাপক (দাবি) মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ শাখা ব্যবস্থাপক (বিসিইউপি) আল-আমিন প্রমুখ।




আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়নে শরিফুজ্জামান শরিফের গণসংযোগ ও পথসভা

আলমডাঙ্গা উপজেলা কুমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ ও পথসভা করলেন শরিফুজ্জামান শরিফ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধানের শীষের বার্তা আলমডাঙ্গা উপজেলার সকল গ্রামের মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে জনসংযোগ ও পথসভা করে চলেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী শরিফুজ্জামান শরিফ। তারই অংশ হিসেবে আলমডাঙ্গা উপজেলা কুমারী ইউনিয়নে সকল গ্রামে গতকাল পথসভা ও জনসংযোগ করেন।

পথসভাকালে তিনি বলেন ধানের শীষ প্রতীকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই। বাংলার মাটি থেকে দূর্ণীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করতে হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাংলার বুকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাত শক্তিশালী করতে হলে আমাদের সকল ভেদাভেদ ভূলে এক হয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক কে বিজয়ী করতে হবে।

গণসংযোগ ও পথসভায় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহসভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুল হক মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার কাজী সাচ্চু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর উজ্জ্বল, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী আলম বাবু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দীন মোল্লা, সদস্য সচিব সাইফুল আলম কনক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, সাবেক ছাত্রনেতা হাসিবুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব তন্ময় আহমেদ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জাকারিয়া হোসেন শান্ত।

এসময় আরও উপস্থি ছিলেন, আলমডাঙ্গা পৌর ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনসুর আলী, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি তানভীর আহমেদ হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক প্রমুখ।




দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন জাকের পার্টির সাংগঠনিক র‍্যালি ও জনসভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়ন জাকের পার্টি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে দামুড়হুদা থানা জাকের পার্টির কার্যালয়ের সামনে চিৎলায় প্রথমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় পরবর্তীতে জাকের পার্টির সাংগঠনিক নির্বাচনী র‍্যালি শুরু হয়ে চিৎলা মোড় হয়ে পুনরায় কার্যালয়ের সামনে এসে রওজা যিয়ারতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন জাকের পার্টির সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জাকের পার্টির সভাপতি, কেন্দীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় উপ-প্রেস সচিব আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ এসময় তিনি বলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। সাম্য ও ভাতৃত্ববোধের মাধ্যমে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলায় জাকের পার্টির প্রধান লক্ষ্য। তিনি আরো বলেন বর্তমানে কৃষক তার ন্যায্য মূল্যে কৃষি উপকরণ পাচ্ছে না, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জুলুম নির্যাতনের শিকার মানুষজন তার সঠিক বিচার পাচ্ছে না। সমাজে নানা রকম বৈষম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ সমস্ত সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আগামী সাংসদ নির্বাচনে জাকের পার্টির গোলাপ ফুল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে শ্রেনী বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তালাবা ফ্রন্টের সদস্য মাওলা মুফতি কামাল হোসেন আশিকী, জেলা জাকের পার্টির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, জেলা জাকের পার্টির যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক রহুল কুদ্দুস, জেলা শ্রম ফ্রন্টের সভাপতি তক্কেল খাঁন, কৃষক ফ্রন্টের সভাপতি আব্দুল মজিদ, জেলা মহিলা ফ্রন্টের সাধারন সম্পাদিকা হাফিজা খাতুন,জেলা যুবফ্রন্টের সভাপতি রুস্তম মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক তাফসির আহম্মেদ, ছাত্রী ফ্রন্টের সভানেত্রী নাসরিন খাতুন, দামুড়হুদা থানা জাকের পার্টির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মজনু মিয়া।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, দামুড়হুদা থানা জাকের পার্টির সভাপতি মোনাজাত হোসেন।