মেহেরপুরে জেলার সেরা গাংনীর সন্ধ্যানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মেহেরপুর জেলায় এবারের গড় পাসের হার ৪১%। যা বিগত বছর গুলোর তুলনায় অনেক কম। একই সঙ্গে কমেছে জিপিএ ৫ প্রাপ্তর সংখ্যাও। মেহেরপুরের দুটি সরকারি কলেজ ও পৌর কলেজের ফলাফলও তুলনামূলক খারাপ হয়েছে।
এইচএসসি (জেনারেল) শাখায় মেহেরপুর সদর উপজেলায় মেহেরপুর সরকারি কলেজে এ বছর মোট ৫৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩১৮ জন। পাসের হার ৫৮%। মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে মোট ৭৩১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪৬৪ জন। পাসের হার ৬১.২%। মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজে ৩২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৩২ জন, গড় পাসের হার ৪১%। মহাজনপুর মহাবিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১০ জন এবং গড় পাসের হার ১৫%। ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ (বর্তমান নাম মেহেরপুর পৌর কলেজ) এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩৯৭ জন, এর মধ্যে পাস করেছে ১৮১ জন। গড় পাসের হার ৪৬%। যাদুখালি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৭১ জন, এর মধ্যে পাস করেছে ৯ জন। পাসের হার ১৩%। এ আরবি কলেজ থেকে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৭২ জন, পাস করেছে ২৬ জন, গড় পাসের হার ৩৬%।
গাংনী উপজেলায় সন্ধ্যানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১০৩ জন, পাস করেছে ৯৭ জন, গড় পাসের হার ৯৪%, যা মেহেরপুর জেলায় সর্বোচ্চ গড় পাসের হার। গাংনী সরকারি কলেজে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩১৫ জন, পাস করেছে ১৯৪ জন, গড় পাসের হার ৪৭%। গাংনী মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২৫৯ জন, পাস করেছে ১২৬ জন, গড় পাসের হার ৪৯%। কাজিপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৭২ জন, পাস করেছে ৫৯ জন, গড় পাসের হার ৫২%। মড়কা জাগরণ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩ জন, পাস করেছে ১ জন, গড় পাসের হার ৩৩%। বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ (বর্তমান তেরাইল জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজ) থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১০২ জন, পাস করেছে ৪১ জন, গড় পাসের হার ৪০%। বামুন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২০৮ জন, পাস করেছে ৫০ জন, গড় পাসের হার ২৪%। করমদি ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৯৪ জন, পাস করেছে ৪৬ জন, গড় পাসের হার ৩১%। গাংনী পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৪৯ জন, পাস করেছে ৭২ জন, গড় পাসের হার ৪৮%। কুতুবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২৬ জন, পাস করেছে ১০ জন, গড় পাসের হার ৬২%। বিএন কলেজ থেকে ১৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
মুজিবনগর উপজেলায় মুজিবনগর সরকারি কলেজে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩২২ জন, পাস করেছে ১৩২ জন, গড় পাসের হার ৪১%। মহাজনপুর মহাবিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১০ জন এবং গড় পাসের হার ১৫%। মুজিবনগর আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৬৭ জন, পাসের হার ৩৭%।
এইচএসসি পরীক্ষায় মেহেরপুর জেলায় গড় পাসের হারে গাংনীর সন্ধ্যানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ শীর্ষস্থান দখল করেছে।
এইচএসসি বিএম শাখায় মেহেরপুর সদরে মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৭৮ জন, পাস করেছে ২৭ জন, গড় পাসের হার ৩৫%। মেহেরপুর সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৯ জন, গড় পাসের হার ৮৬%। গাংনী উপজেলায় গাংনী পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৭৩ জন, পাস করেছে ২৬ জন, গড় পাসের হার ৩৬%। গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৮১ জন, পাস করেছে ২৪ জন, গড় পাসের হার ৩০%। হাড়াভাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৭ জন, পাস করেছে ৬ জন, গড় পাসের হার ৩৫%। তেরাইল ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৬৩ জন, পাস করেছে ৩০ জন, পাসের হার ৪৮%। গাংনী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৪১ জন, পাস করেছে ৯ জন, গড় পাসের হার ২২%। ধানখোলা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৬ জন, পাস করেছে ৫ জন, গড় পাসের হার ৩১%। মুজিবনগর উপজেলায় আন-নূর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৬০ জন, পাস করেছে ৩৫ জন, গড় পাসের হার ৫৮%।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় আমঝুপি আলিম মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২০ জন, পাস করেছে ১৭ জন, গড় পাসের হার ৮৫%। মেহেরপুর দারুল উলুম আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩৪ জন, গড় পাসের হার ৮৩%। মানিকনগর ডিএস মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২১ জন, পাস করেছে ১৫ জন, গড় পাসের হার ৭১%। মানিকদিয়া এগারপাড়া মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৮ জন, পাস করেছে ১৬ জন, গড় পাসের হার ৮৯%। হাড়াভাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৯ জন, পাস করেছে ১৬ জন, গড় পাসের হার ৮৪%। গাংনী সিদ্দিকিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২৫ জন, পাস করেছে ২৪ জন, গড় পাসের হার ৯৬%।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৭৮ জন, পাস করেছে ৭৮ জন, গড় পাসের হার ৫৯% এবং মুজিবনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১৫ জন, পাস করেছে ৫ জন, গড় পাসের হার ৫০%।