মেহেরপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে শাকসবজির বীজ ও সার বিতরণ

২০২৫-২৬ অর্থবছরের রবি মৌসুমে শাকসবজি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে শাকসবজির বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানসহ উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

কর্মসূচির আওতায় মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মোট ২৯০ জন প্রান্তিক চাষীকে প্রণোদনা হিসেবে লাউ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া ও শসার বীজ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিজন কৃষককে ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই প্রণোদনা ক্ষুদ্র কৃষকদের রবি মৌসুমে শাকসবজি আবাদে উৎসাহিত করবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে পুষ্টি নিরাপত্তা ও সবজির উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।




মেহেরপুরে অফিসার্স ক্লাবের নবনির্মিত ব্যাডমিন্টন কোর্ট উদ্বোধন

মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ব্যাডমিন্টন কোর্টের উদ্বোধন হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম ফিতা কেটে ও নামফলক উন্মোচন করে কোর্টের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক উদ্দিন, সমবায় কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, আইসিটি কর্মকর্তা সুব্রত কুমার এবং ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর আব্দুল মতিন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অফিসার্স ক্লাবের এই উদ্যোগ কর্মকর্তাদের মধ্যে খেলাধুলার চর্চা, পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উদ্বোধন শেষে কর্মকর্তারা নবনির্মিত কোর্টে প্রীতি ব্যাডমিন্টন ম্যাচে অংশ নেন।




মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল আর নেই

মেহেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি, ইটভাটা মালিক সমিতির সাবেক উপদেষ্টা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ মঙ্গলবার তার একটি অপারেশন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ একাধিক মামলা দায়েরের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আজ মঙ্গলবার বাদ আসর মেহেরপুর হোটেল বাজার জামে মসজিদের সামনে মরহুম গোলাম রসুলের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।




বহিস্কৃত এএসআই রুবেল-ইমা দম্পত্তির ভয়াবহ প্রতারণা!

ভয়ঙ্কর এক প্রতারক দম্পত্তির ফাঁদে পড়ে নি:স্ব প্রায় দেড় শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যেক্তা । পুলিশ লাইনের রেশনের ব্যবসা ও ব্যবসায় টাকা খাটিয়ে লাভ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রায় এক বছর ধরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক দম্পত্তি রুবেল শেখ ও তানিশা ইয়াসমিন ইমা। রুবেল শেখ পুলিশের এএসআই পদমযর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। প্রথম স্ত্রীর মামলায় তিনি বহিস্কৃত হয়েছেন। মেহেরপুর শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ায় তাদের বসবাস।

তাদের এ কর্মকাণ্ডে সহযোগীতা করেছেন সুমন হোসেন নামের পুলিশের এসআই পদমযর্যাদার এক কর্মকর্তা, স্থানীয় যুবলীগ নেত্রী হাসিনা খাতুন ও ইমার মা মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের স্টাফ আয়েশা খাতুন। ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়েও কোন সুফল পাচ্ছেন না। প্রতারক এ চক্রটি ভুক্তভোগীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ায় পুলিশ লাইনের রেশন সামগ্রীর নামে সয়াবিন তেল, চাল, চিনি ও ডাল সরবরাহের ব্যবসা দেখিয়ে সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই রুবেল ও তার স্ত্রী তানিশা ইয়াসমিন ইমার বিরুদ্ধে। প্রথমে স্বল্প মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে আস্থা অর্জন করলেও পরবর্তীতে হঠাৎ সব ধরনের পণ্য দেওয়া বন্ধ করে দেন তারা। তবে শুধু পন্য সরবরাহ না, পাশাপাশি সুদের মাধ্যমে লাভ দেওয়ার নাম করেও অনেকের কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার সূত্রে কয়েকজন জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, অন্তত দেড়শো মানুষ তাদের কাছে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা পাওনা। ক্তভোগীদের অভিযোগ প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ চক্রটি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার বিকালে পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ায় গিয়ে জানা গেছে প্রতারক দম্পত্তির ভয়ঙ্কর প্রতারণা গল্প।

পাবনা থেকে এসে মেহেরপুরে দর্জির কাজ করা শিউলী খাতুন জানান, অগ্রিম দেওয়া ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা এখনো পাননি। তিনি অভিযোগ করেন, ইমা শেলী ঘনিষ্ঠতার সুযোগে তার গলার চেইন ও কানের দুল নেন, যা ফেরত দেয়নি। ২ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি চেক দিলেও সেখানে চালাকির আশ্রয় নিয়ে নিজের নামে চেক লিখে দিয়েছেন তানিশা ইয়াসমিন। এছাড়া সাদা কাগচে ১২লাখ ৩২ হাজার টাকার হিসাব করে সেখানে সাক্ষর করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে টাকা চাইতে গেলে ইমা, তার মা ও সহযোগী হাসিনা মিলে তাকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শেলীর স্বামী মো. শফিউল আলম জানান, তার স্ত্রী তেল কিনলে তিনি দোকানে বিক্রি করতেন। পরে অগ্রিম টাকা নেওয়ার পর পণ্য দেওয়া বন্ধ করেন ইমারা। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলেও পরে আর দেননি। থানায় অভিযোগ করেও সমাধান মেলেনি বলে দাবি তার।

স্টেডিয়াম পাড়ার নারী উদ্যোক্তা রেহানা খাতুন বলেন, ‘আমি একজন উদ্যোক্তা। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ১৭ টি আইটেমের ব্যবসা করে আসছি। পেয়াদা পাড়ার হাসিনার কথাতে আমি আমার ব্যবসাতে সয়াবিন তেল সংযুক্ত করি। হাসিনার মাধ্যমে ইমা, এএসআই রুবেল এবং আয়েশা খাতুন আমার সাথে যোগাযোগ করে এবং বলে আমাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে, এই লাইসেন্স দিয়ে আমরা পুলিশ লাইনে রেশনের মালামালের ব্যবসা করি। তাদের এই কথাতে আমি তাদের সাথে তেলের ব্যবসায় রাজি হই। এরপর তাদের আমি অর্ডার বাবদ অগ্রিম টাকা দিই। এরপর তারা আমাকে ৬ বার তেল সরবরাহ করে। তাদেরকে সবসময়ই অর্ডারের টাকা অগ্রিম পরিষদ করতে হতো। এক পর্যায়ে আমি তাদেরকে চারটা অর্ডার দিই। ১ লাখ ৫৬ হাজার করে তিনটা অর্ডার এবং ৮৪ হাজারের একটা অর্ডার। সব মিলিয়ে ৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা পাওয়না রয়েছে। শেষ অর্ডার দেয়ার পর থেকে সাত মাস যাবত আমাকে ঘুরাচ্ছে। আমাকে তেলও দেয় না আবার টাকাও ফেরত দেয় না। আমি বাজার কমিটিতে একটি অভিযোগ করেছি বাজার কমিটি আমাকে একটি প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছে। আমি মেহেরপুর সদর থানাতেও একটা অভিযোগ করেছিলাম সেখানে সালিশে তারা টাকা পয়সার ব্যাপারটা স্বীকার করলেও দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সেসময় এসআই অমিত কুমর আমাকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যায়িত করে বলেন ১৭ বছর তো অনেক কামিয়েছেন, আপনার এই টাকা না নিলেই বা কি হবে। এরপর আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিলুর রহমান খানের কাছে যাই। তিনি আমাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি মামলা করার প্রক্রিয়ার দিকে আগাচ্ছি।

এলাকার নারী উদ্যোক্তা আসমানি খাতুন জানান, রেশনের তেল সরবরাহের নামে দেড় লাখ টাকা নিলেও এক বছরেও কোনো মালামাল পাননি। নাম প্রকাশ না করা অনেকে দাবি করেন, কেউ দুই লাখ, কেউ পাঁচ লাখ, কেউবা বিশ লাখ পর্যন্ত দিয়েছেন। প্রথমে সরবরাহ দিলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পুরোপুরি বন্ধ।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শিমুল খান জানান, পুলিশের রেশন সামগ্রী সরবরাহের কথা বলে অগ্রিম দুই লাখ টাকা নেওয়া হয় আট মাস আগে, যা আর ফেরত পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিশ ও আলোচনার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের পরও ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পাননি। অভিযোগ রয়েছে, গণমাধ্যমে কথা বলায় সোমবার রাত ৯টার দিকে ইমা শেলী প্রতিবেশীর বাড়ির গেটে গিয়ে প্রকাশ্যে গালাগাল ও হুমকি দেন।

রিকশাচালক রুবেল, যিনি দীর্ঘদিন তাদের হয়ে পণ্য সরবরাহ করতেন, বলেন এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই ব্যবসা বন্ধ। ইমা ও রুবেলের নির্দেশেই সব করা হতো বলে জানান তিনি।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে এসআই সুমন জানান, রুবেলের সঙ্গে চাকরি সূত্রে পরিচয় থাকলেও ব্যবসার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এস আই সুমনকে ডিও স্যার সাজিয়ে তারা এ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এস আই সুমনও ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গিয়ে টাকা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে। ভুক্তভোগীদের সাথে এসআই সুমনের এসকল কল রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

তবে মূল অভিযুক্ত তানিশা ইয়াসমিন ইমাকে ফোন পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময়ে চাকরিচ্যুত এএস আই রুবেল শেখ প্রথমে প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে বিভিন্নজনের কাছে ঋণ থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি টাকার সমস্যা থাকায় বিভিন্ন জনের কাছে থেকে সুদের বিনিময়ে টাকা নিয়েছি। সুদের বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন তো, তেল চিনি কিভাবে দিলেন এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান। শেষে তিনি প্রতিবেদককে তার সাথে দেখা করে চা খাওয়া ও গল্প করার প্রস্তাবও দেন।

তবে, হাসিনা খাতুন টাকা নেওয়া ও তাদের সাথে জড়িত থাকার কথা এ প্রতিবেদকের কাছে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে প্রতিবেদকের কাছে ফোন দিয়ে পুরো পরিচয় জানতে চেয়ে হুমকি দেন।

ভুক্তভোগীরা হাসিনা খাতুনের বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, তার ইসলামি ব্যাংকের একাউন্টে লেনদেনের মাধ্যমে এ ব্যবসা পরিচালনা করতো ইমা ও রুবেল। হাসিনা সাবেক মেয়রের বাসায় কাজ করতো। তার একাউন্টের হিসাব দেখলে বুঝা যাবে টাকার উৎস কি।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। প্রায় কোটির টাকা কিছু অভিযোগের কথা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই কৌশলে শহর ও আশপাশের বহু মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পুলিশ লাইনের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার করে ভুক্তভোগীদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখনো কার্যকর ব্যবস্থা দেখা যায়নি।

সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দ্রুত তদন্ত করে এ চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ—পুলিশ সদস্যের নাম জড়ানো থাকায় কেউই প্রথমে সন্দেহ করেননি। এখন পুরো এলাকা অর্থনৈতিক ক্ষতির ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানান তারা।




মেহেরপুরে শসা ক্ষেতে ভাইরাসের আক্রমণ

মেহেরপুরে ভাইরাসজনিত রোগে নষ্ট হচ্ছে শত শত বিঘা জমির শসাক্ষেত। দীর্ঘদিন পরিচর্যা করে শসা বাজারজাত করার মুহূর্তে ভাইরাসের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, মাচাতেই শুকিয়ে যাচ্ছে গাছের ডগা ও শসার জালি। ক্ষেত রক্ষায় বিভিন্ন প্রকার ওষুধ স্প্রে করেও উপকার পাচ্ছেন না কৃষকরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জেলার হাজারো শসা চাষি। শেষ মুহূর্তে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, জমিতে বোরনের ঘাটতির কারণে শসাক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। ক্ষেত রক্ষায় মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।

মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২৬৫ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ ৭ হাজার মেট্রিক টন শসা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। মেহেরপুরের শসা জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য জেলাতেও সরবরাহ করা হয়। উৎপাদিত শসা সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় হওয়ায় বাইরের জেলায় ব্যাপক চাহিদা থাকে। কিন্তু ভাইরাসজনিত রোগে গাছ শুকিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে, ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে।

চাষিরা বলছেন, জমি প্রস্তুত, মাচা তৈরি, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যার খরচ মিলিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এখন শসা বিক্রির সময়, অথচ ক্ষেতে ভাইরাসে গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, সতেজতা নষ্ট হচ্ছে এবং শসার জালি বেঁকে লালচে হয়ে ঝরে পড়ছে। প্রতিবছর যতটা শসা উৎপাদন হয়, এবছর তার অর্ধেকও হচ্ছে না। বাইরের জেলাগুলোতে মেহেরপুরের শসার ব্যাপক চাহিদা থাকলেও পাইকারি ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া উৎপাদিত শসার রঙ হলুদ হওয়ায় বাজারে চাহিদা কম, ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।

মেহেরপুরের কালিগঞ্জ, গাড়াবাড়িয়া, সাহারবাটি ও ধলার মাঠে গিয়ে দেখা গেছে শসাক্ষেতের এমন চিত্র। মেহেরপুরের শসা প্রতি বছর ট্রাকভর্তি হয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবছর গুণগত মান খারাপ ও উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী শসা পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকদের অভিযোগ, এমন পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগ পাশে নেই।

কালিগঞ্জ গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, “দুই বিঘা জমিতে শসা লাগিয়েছিলাম। জমি প্রস্তুত, মাচা তৈরি, সার, কীটনাশক মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এখন বিক্রির উপযুক্ত সময়, অথচ গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, শসার জালি শুকিয়ে বেঁকে লালচে হয়ে যাচ্ছে। নানা ওষুধ ব্যবহার করেও ফল পাচ্ছি না।

ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিবছর এ সময় কয়েকশ টন শসা ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হতো। কিন্তু এবছর তার অর্ধেকও পাঠাতে পারছি না।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসেন বলেন, অতিরিক্ত রোদ, জমিতে বোরনের ঘাটতি ও একই জমিতে বারবার একই ফসল আবাদ করার কারণে এমনটা হয়েছে। মাটি পরীক্ষা করে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।




বিগত সরকারের পতনের অন্যতম কারণ দুর্নীতি

দুর্নীতির উৎস হচ্ছে এক ধরনের রাজনীতিদের দ্বারা। তাদের হাতেই লালিত হয় দুর্নীতিবাজদের অনেকে। বিগত সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি। এজন্য সচেতন থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুদকের চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বাণিজ্যসহ অবৈধ টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। এজন্য এখনই সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক লোকটিকে নির্বাচন করতে হবে। গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গার ডিসি সাহিত্য মঞ্চে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন আরও বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবারের সদস্যরা এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার সফল পরিণতির দিকে আমরা যেতে পারবো। দুর্নীতির মামলায় অনেক আসামী দেশীয় সীমান্তের মধ্যে নেই। তারা কিভাবে কোনো উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে তা সকলেই জানে। এমনও তো হতে পারে যে তারা এই চুয়াডাঙ্গা সীমান্তই পাড়ি দিয়েছে। ফলে কে কোন দেশে অবস্থান নিয়েছে তা আমাদেরও অজানা না।

এসময় গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার ২৬টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ৯৫টি অভিযোগ শুনানি হয়। এর মধ্যে ৩৩টি অভিযোগ তাৎক্ষণিক শুনানিতে নিষ্পত্তি হয়। ৭টি খারিজ হয় এবং বাকি অভিযোগগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, মহা-পরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জালাল আহমেদ ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জামাল আল নাসের।




গাংনীতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুব সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপি ও পৌর শাখার উদ্যোগে যুব সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি আয়োজন করা হয়।

গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি র‌্যালি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেষে আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন।

এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, গাংনী পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনি, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন সহ হাজারো নেতাকর্মী।

র‍্যালি শেষে যুব সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের রয়েছে গৌরবময় ঐতিহ্য। রয়েছে সোনালী অতীত। ক্রান্তি লগ্নে এই যুবদলের মাধ্যমেই বাংলাদেশ বারবার হাল ফিরে পেয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধনের লড়াইয়ে যুবদল শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।




আলমডাঙ্গায় ডাকাতি মামলার তিন আসামী গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ডাকাতি মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানাধীন রোয়াকুলি গ্রামের টেংরামারী মাঠে আলমডাঙ্গা টু চুয়াডাঙ্গা গামী রাস্তায় ডাকাতি মামলার ঘটনার সাথে জড়িত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর তারিখে কালিদাশপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের মৃত আকবার আলীর ছেলে মোঃ মিরাজুল ইসলাম(৪৫) বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, মিরাজুল ইসলাম বিদেশ (মালয়েশিয়া) হতে নিজ বাড়ীতে আসেন। গত ২৪ অক্টোবর তারিখে ভোর অনুমানিক ৪.২০ ঘটিকার সময়। যে প্রাইভেট গাড়িতে আসেন সেই প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার ধৃত মজনু রহমানের ছেলে আলামিন হোসেনের প্রাইভেট কার, যাহার রেজিঃ নং- রেজি নাম্বার মেট্রো-ক-০২-০১৪৬, আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ী হতে বাহির হয়।

একই তারিখ ভোর অনুমানিক ৪.৪৫ ঘটিকায় আলমডাঙ্গা থানাধীন আলমডাঙ্গা টু চুয়াডাঙ্গা রোডে ৭নং জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের টেংরামারি মাঠে জনৈক মোঃ আসাদুল হক এর জমির পাশে পাঁকা রাস্তার উপর পৌছালে গাছের ডাল ফেলে বেরিকেড দেখে প্রাইভেট কার থামানো মাত্রই গামছা দিয়ে মুখ বাধা অজ্ঞাতনাম ৩/৪ জন আসামী ধারালো চাপাতি, রামদা নিয়ে গাড়ীটি ঘিরে ধরে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। বর্ণিত ঘটনায় বাদীর লিখিত এজাহারের প্রেক্ষিতে আলমডাঙ্গা থানার মামলা করা হয়।

গত রবিবার ভোর রাতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ মাসুদুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আজগর আলী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ইসলাম পাড়ার মোঃ মজনুর রহমানের ছেলে মোঃ আল আমিন হোসেন(২২), আসাননগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান মন্টু(৪২) ও কামালপুর (চরপাড়া) গ্রামের মোশারোফ হোসেনের ছেলে  মোঃ শিলন হোসেন(২০) -কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ধৃত আসামী মোঃ আল আমিন হোসেন(২২) অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করিয়াছে।




আলমডাঙ্গায় মাকিম হাজেরা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গায় মকিম হাজেরা শিক্ষা বৃত্তির শুভ পুনঃযাত্রা শুরু। গতকাল আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজে অসচ্ছল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মফিজুর রহমান বৃত্তির টাকা তুলে দেন।

আমেরিকার পেনসিলভানিয়ার চেনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৬ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. মোনায়েম চৌধুরী  তাঁর প্রয়াত পিতা-মাতা মীর আব্দুল মকিম চৌধুরী এবং বেগম হাজেরা খাতুনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই বৃত্তি পুনরায় চালু করেছেন। ড. চৌধুরী বিশ্বাস করেন, অসচ্ছলতা ও প্রতিকূল পরিবেশ সফলতার বড় অন্তরায়। তাই তিনি এই বৃত্তি প্রদানে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, এতিম, অসহায় ও নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছেন।

এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীদের স্কুল/কলেজের টিউশন ফি, পরীক্ষার ফি, প্রাইভেট টিউটরের খরচ, বই-খাতা ও শিক্ষাসামগ্রীসহ সকল শিক্ষা-সম্পর্কিত ব্যয় বহন করা হচ্ছে। প্রয়োজনে পরিবারের সহায়তা, পুষ্টিকর খাবার কিংবা (বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে) যাতায়াত ভাতা হিসেবেও অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হচ্ছে।

বর্তমানে আলমডাঙ্গা ও আশপাশের এলাকার আটজন শিক্ষার্থীদের মাঝে এই কার্যক্রম শুরু হলেও ড. চৌধুরী ভবিষ্যতে এই উদ্যোগের পরিধি আরও বাড়াতে চান।

এদের মধ্যে কেউ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলে, তিনি সেই ব্যয়ভারও এই বৃত্তি থেকে বহনের জন্য বিবেচনা করবেন। বৃত্তিপ্রাপ্তদের জন্য তিনটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরের পশ্চিম সিংহাটিতে শত্রুতামূলক কমলা বাগান কর্তন

মেহেরপুরের পশ্চিম সিংহাটি গ্রামে শত্রুতামূলক প্রবাসীর চায়না কমলার গাছ কেটে তছরূপ করেছে দুর্বৃত্তরা। ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসী শহর আলী সিংহাটি পশ্চিম পাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে।

গত রবিবার দিনগত রাতে কে বা কারা রাতের আঁধারে এই ক্ষতি সাধন করে। কাতার প্রবাসী শহর আলী বলেন, কিছু দিন হলো তিন মাসের ছুটিতে বাড়ী এসেছি। ১৭ বছর আগে কাতারে যাওয়ার সময় মায়ের দশ কাঠা জমি বিক্রি করে আমি বিদেশে যায়। পরবর্তীতে আমি মায়ের নামে ২২ কাঠা জমি কিনে দিই। পারিবারিক বিভিন্ন ঝামেলার কারণে আমি পরিবারের সকলের সম্মতিতে গত সপ্তাহে মায়ের কাছ থেকে আমার নামে ৮ কাঠা জমি রেজিষ্ট্রি করে নিই। আর এক সপ্তাহের মাথায় কে বা কারা আমার এই ক্ষতি টা করলো।

বাগানের পরিচর্যাকারী রিমন বলেন, আমার দুলাভাই কাতার প্রবাসী। দু’বছর আগে তার ২৪ কাঠা জমিতে ১৩০ টা চায়না কমলার গাছ রোপন করি। নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে তিল তিল করে গাছ গুলো বড় হচ্ছে, এক দেড় বছরের মধ্যে গাছগুলোতে ফল ধরবে। এরই মাঝে গতরাতে শত্রুতামূলক দুর্বৃত্তরা ৩৫ টি গাছ কেটে রেখে যায়। মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে কিন্তু গাছের সাথে কিসের শত্রুতা? আমি দোষীদের বিচার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে তিনি থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।