এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাশের হার ৫৮.৮৩%

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের সব সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে একসঙ্গে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাশের হার ৫৮.৮৩।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে নিজেদের মতো করে ফল প্রকাশ করেছে।

২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারা দেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। আর এবারও ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে।

পরীক্ষার্থীরা তিনভাবে এইচএসসির ফল জানতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

১. ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd-তে গিয়ে Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে।

২. www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করতে পারবেন।

৩. মোবাইলে খুদে বার্তার মাধ্যমেও পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন। এজন্য HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে।

উল্লেখ্য, এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন সোয়া ১২ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী।




আজ প্রয়াত শিক্ষক মামনুর আহমেদের জানাজা

মেহেরপুর শহরের যাদবপুর রোডের মরহুম ডাক্তার আব্দুল বাকীর চতুর্থ পুত্র, মুজিবনগর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রয়াত মামনুর আহমেদের (৬৯) জানাজা আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে অনুষ্ঠিত হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জানাজার নামাজ শেষে তাকে মেহেরপুর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, তিনি গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মরহুম মামনুর আহমেদ ছিলেন একজন সৎ, নীতিবান ও জনপ্রিয় শিক্ষক। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি মুজিবনগর সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর প্রিয় শিক্ষক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।




সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাইফুল ইসলামের স্মরণে মেহেরপুরে দোয়া মাহফিল

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মহাজনের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আয়োজনে গতকাল বুধবার বিকেলে মেহেরপুর শহরের পুলিশ লাইন পাড়ায় এই স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

এছাড়াও এসময় বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম মনি, হাবিব ইকবাল, আব্দুস সাত্তার মুক্তাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।




মেহেরপুরে পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে মেহেরপুরে পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মাটি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মেহেরপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ কামাল মেহেদী। প্রধান আলোচক ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (পদার্থবিজ্ঞান) নিগার ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন এবং মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু।

সভায় বক্তারা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সবার সচেতনতা ও অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। মাটি, পানি ও বায়ুর দূষণ রোধে ব্যক্তি ও সামাজিক উদ্যোগ একত্রে কাজ করতে হবে।




দামুড়হুদার জয়রামপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর শাহপাড়ায় জিয়া খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের কারণে টানা বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় প্রায় ৩০টি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছিল। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র সরেজমিনে এলাকাটি পরিদর্শন করেন। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার সময় ইউএনও তিথি মিত্র নিজে উপস্থিত থেকে জলবদ্ধতা নিরসন করেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, জয়রামপুর শাহপাড়ায় জিয়া খাল ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভেকু মেশিন ব্যবহার করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে এনে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, যেখানে যেভাবে খাল ভরাট করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করা হয়েছে, সেখানে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এ অভিযানের ফলে জয়রামপুর শাহপাড়ার পানিবন্দি পরিবারগুলো স্বস্তি ফিরে পেয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী। পরিদর্শনকালে ও উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সহ ইউপি সদস্য গন এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানান।




আলমডাঙ্গায় বিএনপি নেতাকর্মীসহ  ৪ শতাধিক জনের জামায়াতে যোগদান

আলমডাঙ্গা উপজেলার বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ৪ শতাধিক নেতাকর্মী জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভা ও যোগদান অনুষ্ঠানে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগ করেন। অনুষ্ঠানে ফুলের মালা পরিয়ে নবাগতদের বরণ করে নেন জামায়াত নেতারা।

বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সলকসহ বিএনপি ও বিভিন্ন দলেন প্রায় চার শতাধিক নেতাকর্মী এ অনুষ্ঠানে জামায়াতের জেলা আমীর রুহুল আমিনের হাতে হাত রেখে শপথ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান আসাদ, সহকারী সেক্রেটারি মাসুদ পারভেজ রাসেল এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমীর প্রভাষক শফিউল আলম বকুল। সভাপতিত্ব করেন বেলগাছি ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আমান উদ্দিন।

জামায়াত নেতারা অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপি’র ব্যর্থ রাজনীতিতে হতাশ হয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যেই অনেকে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিচ্ছেন। তারা নতুনদের সক্রিয়ভাবে সংগঠনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন মুঠোফোনে মেহেরপুর প্রতিদিন কে বলেন, “আমাদের কোনো নেতাকর্মী জামায়াতে যোগ করেনি। যারা যোগ দিয়েছে তারা আওয়ামী লীগের কর্মী ও সাধারণ জামায়াত ভোটার। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে লোক এনে শো আয়োজন করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সলককে ১১ অক্টোবর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”

এবিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিনের ফোন রিসিভ করা সম্ভব হয়নি। আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মামুন রেজা জানান, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন থেকে চার শতাধিক ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন।




দীর্ঘ ৭ বছর পর দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির নির্বাচন, তফশীল ঘোষণা

দীর্ঘ ৭ বছর পর সকল প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রী-বার্ষিক নির্বাচন-২০২৫ এর নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান এ নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন।

২৩ অক্টোবর  ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে । পরদিন ২৪ অক্টোবর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, নাম ও ওয়ার্ড সংশোধনী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ২৮অক্টোবর সকাল ১১ টায় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৯ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে ৩০ অক্টোবর  রাত ৯ টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে।

৩১ অক্টোবর সকাল ১১ টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা । ১ নভেম্বর শনিবার বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থিতা বাতিলের উপর আপিল, শুনানি ও নিষ্পত্তি । ২ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৩ টায় বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ। ৩ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৩ টা থেকে রাত্রে ৯ টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার । ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হবে।

২৫ নভেম্বর  শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে দর্শনা ডিএস  মাদ্রাসায় ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার  আজিজুর রহমান, সরকারী নির্বাচন কমিশনার জাহিদুল ইসলাম, মুমিনুল ইসলাম, এফ এ আলমগীর, মনির হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, হাফিজুর রহমান, ফারুক হোসেন, ইকবাল হোসেন।




মুজিবনগরে নানা আয়োজনে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

মুজিবনগরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও হাত ধোয়ার প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে।

“হাত ধোয়ার নায়ক হোন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর উপজেলা পরিষদে স্থাপিত ওয়াশ বেসিনে হাত ধোয়ার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে ডা. মেহেদী হাসান স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে হাত ধোয়ার পদ্ধতি শেখান।

পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মণ্ডল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন উদ্দিন আল আজাদ, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসি ওমর ফারুক প্রিন্স, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানসহ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুলের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।




জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে উপকূলীয় নারী

উন্নত বিশ্বের নারী যখন মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য নভোচারী প্রশিক্ষণ করছে, তখন আমার উপকূলের কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী সন্তান প্রসবের জন্য ২ ঘণ্টার নদী পথ পাড়ি দেওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন; সুস্থভাবে বাচ্চার জন্ম হবে তো! তিনি নিজে বাঁচবেন তো! নাকি অন্যদের মতো প্রসব-পরবর্তীকালীন জটিলতা বয়ে বেড়াবেন আজীবন। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরপুর, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হচ্ছে।

এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা আজ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারীসমাজ- বিশেষত গর্ভবতী, দুগ্ধদায়ী মা ও কিশোরীরা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সুপেয় পানির সংকট, অপুষ্টি ও মানসিক চাপ তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশের ১৯টি জেলা উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। এর মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, লক্ষিপুর, বরগুনা, ভোলা, নোয়াখালী ও কক্সবাজার বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অঞ্চলে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা দেখা দিচ্ছে। একই সঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেক স্থানে পানযোগ্য পানি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে নারীর মৌলিক চাহিদার ওপর।

পরিবারে পানির যোগান, রান্না, সন্তান লালন-পালন ও দৈনন্দিন গৃহকর্মে প্রধান ভূমিকা পালন করেন নারীরা। ফলে পানির সংকট, খাদ্যাভাব বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের অভিঘাত তারা সরাসরি বহন করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘদিন লবণাক্ত পানি পান করার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, প্রসূতি জটিলতা, ত্বকজনিত রোগ ও কিডনি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলের গর্ভবতী নারীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা সমভূমির নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত লবণাক্ত পানি পান করলে প্রি-এক্লাম্পসিয়া ও এক্লাম্পসিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগ দেখা দিতে পারে, যা মা ও নবজাতকের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া লবণাক্ত পানিতে গোসল করার কারণে অনেক নারীর ত্বক পুড়ে যায়, চুল পড়ে যায় এবং চুলকানিসহ নানা চর্মরোগে ভোগেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। লবণাক্ত মাটি ও পানির কারণে ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন কমে গেছে। ফলে খাদ্যে বৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে, বাড়ছে অপুষ্টি। অপুষ্টি নারীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে রক্তশূন্যতা ও অকাল বার্ধক্য দেখা দিচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ পানির অভাব এখন একটি বড়ো স্বাস্থ্যঝুঁকি। লবণাক্ত পানির কারণে টিউবওয়েল ও পুকুরের পানি প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়ছে। নারীরা প্রতিদিন কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মিষ্টি পানি সংগ্রহ করে। এই পরিশ্রমজনিত ক্লান্তি, শরীরিকচাপ এবং ভারি জলের পাত্র বহন করার ফলে কোমর ব্যথা, পিঠ ব্যথা, এমনকি গর্ভপাতের মতো জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের পর যখন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়, তখন পর্যাপ্ত টয়লেট ও স্যানিটেশন না থাকায় নারীদের স্বাস্থ্য ও মর্যাদা দুটিই হুমকির মুখে পড়ে। অনেক সময় মেয়েরা রাতে টয়লেট ব্যবহারের ভয়ে পানি না খেয়ে থাকে, ফলে তাদের প্রস্রাবের সংক্রমণ ও কিডনি সমস্যা দেখা দেয়।

জলবায়ু বিপর্যয়ে নারীরা শারীরিক ও মানসিক দু‘দিক থেকে বড়ো আঘাত পায়। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, রোয়ানু বা আম্পানের পর বহু নারী তাদের ঘরবাড়ি, সম্পদ ও প্রিয়জন হারিয়েছে এবং দুর্যোগে বহু পুরুষ শহরমুখী শ্রমবাজারে চলে যায়, ফলে তখন তাদের কাঁধে পড়ে পরিবার টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব। এ চাপ, দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তার কারণে অনেক নারী হতাশায় ভোগেন। গবেষণায় দেখা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের মধ্যে ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি ও ট্রমাজনিত মানসিক ব্যাধির হার ক্রমবর্ধমান। কিন্তু এখনো মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রামীণ পর্যায়ে প্রায় অনুপস্থিত। সামাজিক কাঠামো ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের কারণে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। দুর্যোগের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চনা ও আর্থিক অস্বচ্ছলতা তাদের সংকটে ফেলে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় অনেক নারী সংস্কার বা লজ্জা-সংকোচে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চান না, ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ কম থাকায় জলবায়ু অভিযোজন প্রক্রিয়ায় তাদের মতামত প্রায়শই উপেক্ষিত হয়।

বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব মোকাবিলায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০০৯ সালে প্রণীত এবং ২০২০ সালে হালনাগাদ করা “Bangladesh Climate Change Strategy and Action Plan (BCCSAP)” দেশের জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমের মূল ভিত্তি। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী, বিশেষত নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। লবণাক্ততার কারণে টিউবওয়েল ও পুকুরের পানির সমস্যার সমাধানে সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ট্যাংক ও সংরক্ষণাগার স্থাপন করা হচ্ছে। আর্সেনিক ও লবণমুক্ত গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে। স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে নারীবান্ধব টয়লেট ও স্যানিটেশন সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। “Safe Water Supply in Coastal Belt Project” নামে একটি বিশেষ প্রকল্প বর্তমানে খুলনা, সাতক্ষীরা, ভোলা ও পটুয়াখালী জেলায় চলমান। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় উপকূলীয় এলাকায় Climate Resilient Health System গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু করেছে। সাইক্লোনপ্রবণ অঞ্চলে মোবাইল মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যারা দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে মাঠপর্যায়ে চিকিৎসা প্রদান করে। প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নারী ও শিশুবান্ধব স্বাস্থ্যক্যাম্প পরিচালিত হচ্ছে। প্রসূতি ও জরুরি চিকিৎসা সেবা (EmOC) নিশ্চিত করতে দক্ষ ধাত্রী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে জলবায়ু অভিযোজন নির্দেশিকা চালু করেছে, যাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিবেশ-সম্পর্কিত রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেন।

সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ ও Gender Action Plan on Climate Change অনুসারে নারী ক্ষমতায়নমূলক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, যেমন উপকূলীয় নারীদের জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রশিক্ষণ, লবণ-সহনশীল ধান, সবজি চাষ ও হাঁস-মুরগি পালন। স্থানীয় পর্যায়ে নারীদের নেতৃত্বে কমিউনিটি সচেতনতা দল (Women Climate Forum) গঠন। মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় উপকূলীয় নারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক অন্তর্ভুক্তি।

এনজিও ও সরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে নারী উদ্যোক্তা সহায়তা তহবিল, যা জলবায়ু-সহনশীল জীবিকা গড়ে তুলতে সাহায্য করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তার “Standing Orders on Disaster (SOD)”–এ নারীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক নির্দেশনা যুক্ত করেছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে নারীস্বাস্থ্য কর্ণার চালু করা হয়েছে, যেখানে নারী চিকিৎসক ও ধাত্রী দায়িত্ব পালন করেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্যানিটারি সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। দুর্যোগ-পরবর্তী সময় মোবাইল ক্লিনিক ও ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়, যেখানে নারীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও পুষ্টি পরামর্শ দেওয়া হয়। জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে অনেক নারী পরিবার ও সম্পদ হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এ সমস্যা মোকাবেলায় সরকার সম্প্রতি Community Mental Health Programme চালু করেছে। উপকূলীয় জেলা হাসপাতালগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য কর্নার স্থাপন এবং ট্রমা–ভুক্তভোগী নারীদের কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।

সরকার জলবায়ু-স্বাস্থ্য অভিযোজনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। UNDP, WHO ও FAO–এর সহায়তায় চলছে “Health Adaptation to Climate Change in Bangladesh” প্রকল্প। Green Climate Fund (GCF) ও World Bank–এর অর্থায়নে উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু সহনশীল হাসপাতাল ও ক্লিনিক নির্মাণ হচ্ছে। “Coastal Embankment Improvement Project (CEIP)”–এর মাধ্যমে উপকূলীয় জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা জোরদার করা হয়েছে। নারী ও পরিবার পর্যায়ে জলবায়ু সচেতনতা গড়ে তুলতে সরকার একাধিক কর্মসূচি পরিচালনা করছে—কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নারীস্বাস্থ্য, নিরাপদ পানি ও পুষ্টি বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা সেশন চালু। স্কুল পাঠ্যক্রমে পরিবেশ ও জলবায়ু শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে মেয়েরা ছোটোবেলা থেকেই সচেতন হয়। স্থানীয় রেডিও ও টেলিভিশনে নারীস্বাস্থ্য ও জলবায়ু সচেতনতা বার্তা সম্প্রচার করা হচ্ছে। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১-তে জলবায়ুজনিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলার নির্দেশনা যুক্ত হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১–২০২৫) নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে জলবায়ু অভিযোজনকে অন্যতম কৌশল হিসেবে উল্লেখ করেছে। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (NAP 2023) উপকূলীয় নারীদের নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নারী-কেন্দ্রিক নীতি অপরিহার্য। নারী কেবল ভুক্তভোগী নয়, বরং পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো অভিযোজন কৌশল সফল হতে পারে না।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এখন আর ভবিষ্যতের আশঙ্কা নয়- বর্তমানের একটি কঠিন বাস্তবতা। এর প্রভাব সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় নারীদের জীবনে। তারা প্রতিদিন লড়ছেন দারিদ্র্য, লবণাক্ততা, অপুষ্টি, সুপেয় পানির সংকটের সাথে, অন্যদিকে বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করছে।

তবে, নারীরাই আবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতীক। যতদিন তারা দৃঢ় মনোবলে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, ততদিন উপকূল টিকে থাকবে জীবনের আশায়। এই সংগ্রামকে টেকসই করতে হলে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও নিবিড় সহযোগিতা প্রয়োজন। কেননা, উপকূলের নারী শুধু ভুক্তভোগী নয়-তিনি পরিবর্তনের অগ্রদূত। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় নীতি, সরকারি পদক্ষেপ ও স্থানীয় পর্যায়ের উদ্যোগগুলো ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টে দিচ্ছে।

লেখক: সহাকারী তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদপ্তর।




আলমডাঙ্গায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন

আলমডাঙ্গায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টার সময় উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রবি মৌসুমে সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ হোসেন পলাশ।

উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৪৭০ জন বসতবাড়ি চাষযোগ্য সবজি চাষি, ১৩০ জন লাউ চাষি, ২৩০ জন বেগুন চাষি, ২৩০ জন মিষ্টি কুমড়া চাষি এবং ২৩০ জন শসা চাষিকে বিনামূল্যে বীজ ও প্রয়োজনীয় সার প্রদান করা হয়। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।