মেহেরপুরে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি প্রদান

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ এর ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জামায়াতে ইসলামী।

রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের শহীদ শামসুজ্জোহা পার্ক থেকে একটি মিছিল বের হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর তাজউদ্দিন খান।

মিছিলে জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন, জেলা নায়েবে আমীর মহবুবুল আলম, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি রুহুল আমিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, উপজেলা আমীর সোহেল রানা, পৌর আমীর সোহেল রানা ডলার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ আবদুল ছালামের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপি প্রদানের আগে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবি পড়ে শোনানো হয়।

দাবিগুলো হলো, জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচারের ব্যবস্থা, স্বৈরাচারপন্থী দলসমূহ, বিশেষ করে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।




ভালোবাসা এখন ভার্চুয়াল—এটা কি সত্য সম্পর্ক?

সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই প্রেম-ভালোবাসা শব্দ দুটো জড়িয়ে আছে আমাদের জীবনের সঙ্গে। ভালোবাসা-প্রেম, এখনো প্রকৃতির সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও রহস্যময় আবেগ। প্রেম-ভালোবাসা ছাড়া কোনো মানুষই পরিপূর্ণ নয়। আজও মানুষের বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়স্থল হলো ভালোবাসা। মানুষ এই ভালোবাসার জন্যই বেঁচে থাকার শক্তি পায় আবার ভালোবাসা শূন্য হলে নিঃশেষ হয়ে যায়।

ভালোবাসার মানুষের জন্য বেদনা আর রক্তের অক্ষরে লেখা হতো চিঠি। রাত জেগে পরচোখের আড়ালে হৃদয় নিংড়ানো শব্দ ঝাঁপি খুলতো সন্তর্পণে। তারপর সেই চিঠি কাঙ্ক্ষিত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ছিল আরেক দুঃসাহসিক অভিযাত্রা।ভালোবাসার সম্পর্কে যা একে অপরের মধ্যকার সমুদ্র সমান দূরত্ব আর পর্বত সমান বাধাকে জয় করে জন্ম দিতো আত্মার এক বন্ধনের।আত্মার এ মিলন জন্ম জন্মান্তরের।এর বিনাশ নেই,হতে পারে না! আর তাই যুগে যুগে পৃথিবীতে জন্ম হয় ভালোবাসার। ভালোবাসার মৃত্যু নেই,তার রয়েছে শুধু বিকাশ। ভালোবাসা সত্যিই অমর। সত্যিকারের ভালোবাসাই যে পৃথিবীতে সবচাইতে মূল্যবান, তা প্রমাণিত হয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দীতে।

ট্রয়ের রাজকুমার প্যারিস ও রাজা মেনেলাউসের স্ত্রী হেলেনের প্রেম কাহিনি পৃথিবীতে স্বরণীয় হয়ে থাকবে।ইতিহাসে মিশরীয় ফারাও ক্লিওপেট্রা আর মার্ক অ্যান্থনির নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তাদের করুন প্রেম কাহিনি। দিল্লির প্রভাবশালী দম্পতি বাদশাহ শাহজাহান ও তার রানি মমতাজ। ভালোবাসার কাহিনী কারও অজানা নয়। জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার প্রেম রাধা কৃষ্ণের প্রেমলীলা যুগে যুগে মানুষের অন্তরে বসত করে।স্বর্গীয় প্রেম নামে আখ্যায়িত লাইলি-মজনুর প্রেম কাহিনী। তাদের সম্পর্ক এতটাই দৃঢ় ছিলো যে, মজনুকে আঘাত করলে আহত হতেন লাইলি নিজেই।প্রেমের জন্য এমন কত আত্মদানের নজির, সাহিত্যে অনুষঙ্গ।

একটা সময় ছিল যখন প্রেম বলতেই ছিল অন্তঃপুরের বিষয়। কাউকে ভালোবাসি বলাটাও ছিল পাপ। ‘হৃদয়ের কথা বলতে চাওয়ার ব্যাকুল’মন দহনে দহনে অঙ্গার হতো। বুক ফাটলেও মুখ ফুটতো না। জীবন প্রদীপ নিভে গেলেও প্রেম ছিল নিঃশেষিত।দেড় দশক আগেও প্রণয় এতোটা দুঃসাহসিক হয়ে উঠতে পারেনি। ভাঙতে পারেনি সামাজিকতার দেয়াল।

এখন সময় বদলে গেছে। পার্বতীর জন্য দেবদাসের দীর্ঘ অপেক্ষার যুগ শেষ হয়েছে । শিরি-ফরহাদের মতো অতৃপ্ত ভালোবাসার ইতিহাসও আর লেখা হবে না। প্রণয়-সঙ্গ এখন খুবই সহজ। চাইলেই প্রেম হয়! না চাইলেও হয়।আজকের যুগে ভালোবাসা এক ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চিন্তাচেতনা, জীবনযাত্রা ও প্রযুক্তির বিকাশ ভালোবাসার ধরনও বদলে দিয়েছে।

আগেকার দিনে ভালোবাসা ছিল অপেক্ষা, চিঠির আদান-প্রদান, একে অপরের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করার মতো ধৈর্যের পরীক্ষা। কিন্তু বর্তমান যুগের ভালোবাসা অনেকটাই গতিময়, প্রযুক্তিনির্ভর এবং বহুমাত্রিক।বর্তমান সময়ে প্রেম বা প্রণয় সম্পর্ক গড়া সহজ হলেও ভিত নড়বড়ে। বন্ধনও অতটা পোক্ত নয়। তাসের ঘরের মতো সম্পর্ক। এই আছে, এই নেই।আগে প্রিয় মানুষটির হৃদয়ের ধ্বনি তখন শোনা যেতো দূর থেকেও।বিজ্ঞানের কল্যাণে আজ সেই দৃশ্যপট বদলে গেছে।বদলে গেছে প্রেমের মাধ্যমও। ফেসবুক,টুইটার,লিংকডইন,ম্যাসেঞ্জার,হোয়াটসআপ,ভাইবার,ইমো,স্নাপচ্যাট,জি-প্লাস,ইনস্ট্রাগ্রাম ইত্যাদি কত কিছু।এখন ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যায় ইনবক্সের বার্তায়, ইমোজির হাসিতে, কিংবা হঠাৎ আসা নোটিফিকেশনে। সম্পর্ক শুরু হয় এক ক্লিকেই, আবার শেষও হয়ে যায় আরেক ক্লিকে। প্রশ্ন জাগে—এমন ভার্চুয়াল ভালোবাসা কি সত্যিকারের সম্পর্কের সমান?ভার্চুয়াল এই প্রণয় জগৎ ঠুনকো করে দিচ্ছে আন্তরিক সম্পর্ক।চাকচিক্য প্রিয় মানুষ, সুন্দরের পুজারি মানুষ বিশ্বাস হারাচ্ছে অন্তর্জালিক প্রতারণায়, যা বড় ধরনের বিপদও ডেকে আনছে সময়ে সময়ে।যোগাযোগ সহজ হওয়ায় মানুষের মনের টানও কমে আসছে।আগে প্রিয়তমা বা প্রিয়তমর দেখা পাওয়ার জন্য যে উত্তেজনা বা হৃদয়ের টান অনুভূত হতো মানবহৃদয়ে তা এখন নেই বললেই চলে।কারণ চাইলেই মুহূর্তে ভিডিও কলে রাখা যায় চোখে চোখ।

ভার্চুয়াল এই সাক্ষাতে কিছু ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে কাছে টানা গেলেও আত্মিক বন্ধন নেই বললেই চলে।একটা উদাহরণ দিলে তা কিছুটা স্পষ্ট হবে।আমরা যখন কারও সঙ্গে সামনা সামনি কথা বলি, তখন দুজনই দুজনের প্রতি মনোযোগী হই।তখন কথাবার্তা বা চিন্তাভাবনায় তৃতীয় কেউ আসতে পারে না।কিন্তু আমরা যখন ম্যাসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলি, তখন একই সময়ে একাধিক জনের সঙ্গে আলাপ হয়।তখন আর মনোযোগ একমুখী থাকে না।একই সময়ে চিন্তাশক্তি এবং মনোযোগও ভাগ হয়ে যায়।এতে আলাপের গুরুত্বও অনেক ক্ষেত্রে কমে আসে ।কারও কারও জীবনে এই ভার্চুয়াল প্রেমই পরিণত হয়েছে স্থায়ী দাম্পত্যে। তাই প্রযুক্তি যেমন দূরত্ব কমিয়েছে, তেমনি ভালোবাসার নতুন এক অধ্যায় তৈরি করেছে।কিন্তু এই ভালোবাসার ভেতরেই লুকিয়ে আছে ভঙ্গুরতা। বাস্তবে দেখা না হওয়ায় অনেক সম্পর্ক দাঁড়িয়ে থাকে কেবল কল্পনার ওপর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাজানো হাসি, এডিট করা ছবি আর অল্প কিছু কথোপকথন দিয়েই তৈরি হয় এক পৃথিবী। অথচ বাস্তবে সেই পৃথিবী হয়তো একেবারেই আলাদা। তাই সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতেই সম্পর্ক ভেঙে যায়, এক নিমিষে হয়ে যায় ব্লক কিংবা আনফ্রেন্ড।এই ধরনের ভার্চুয়াল সম্পর্ক খুব বেশি দৃঢ় হয় না।দীর্ঘদিন একসঙ্গে পথচলাও সম্ভব হয় না.তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ভার্চুয়াল ভালোবাসাকে জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পড়াশোনা, পরিবার কিংবা নিজের ভবিষ্যতের চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে সেই সম্পর্ক। আবার এমনও আছে যারা কেবল সময় কাটানোর জন্য সম্পর্ক গড়ে তোলে, আর অন্যজন ডুবে যায় মানসিক আঘাতে।

তাহলে কি ভার্চুয়াল ভালোবাসা মিথ্যে? আসলে ভালোবাসা মিথ্যে হয় না কখনো। মিথ্যে হয় মানুষ, যদি সেখানে না থাকে সততা, বিশ্বাস আর শ্রদ্ধা। ভালোবাসা যদি আন্তরিক হয়, তবে সেটা ভার্চুয়াল হোক বা বাস্তব—দুই জায়গাতেই সমান সত্য। শুধু ইমোজি পাঠালেই সম্পর্ক টেকে না; আবার দেখা না করেও হৃদয়ের গভীর টান তৈরি হতে পারে, যদি দুইজন মানুষ সত্যিই একে অপরকে গুরুত্ব দেয়।

আজকের এই ডিজিটাল যুগে ভালোবাসা হয়তো অনেকটাই ভার্চুয়াল হয়ে গেছে—এটাই সময়ের নিয়ম। কিন্তু শেষ প্রশ্নটা আমাদের সবার জন্য রয়ে গেল—আমরা কি সত্যিই ভালোবাসছি, নাকি কেবল স্ক্রিনের আলোয় তৈরি করছি এক ক্ষণস্থায়ী মরীচিকা?

লেখক: কবি ও উদ্যোক্তা।




সপ্তাহ ব্যবধানে কাঁচা মরিচ অর্ধেকে

কাঁচা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে আসায় স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা মরিচের উচ্চমূল্যে বিপাকে পড়া ক্রেতারা এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বাকি সকল সবজির দাম স্থিতিশীল।

বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগি ও মাছের দামে নানা রকম ওঠানামা দেখা গেছে। কিন্তু সবজির দাম স্থিতিশীল।

মেহেরপুর পাইকারি ও খুচরা বাজারে ঠিক মতো সরবরাহ থাকায় বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেছে বলে জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।

পাইকারি বাজারে আলু ১৫ থেকে টাকায় স্থিতিশীল , পেয়াজ ৬০ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায়, রসুন ৭০ টাকায় অপরিবর্তিত থেকে বিক্রি হয়েছে। তবে কাঁচামরিচের দাম নিম্নমুখী সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকেরও কম গত সপ্তাহে যেখানে ছিলো ২৬০ টাকা এ সাপ্তাহে ১০০ টাকা।

ঢেঁড়স, বেগুন, পটল অপরিবর্তিত থেকে ৪০, ৭০, ৫০ টাকা। শশা, মূলা ২৫,২০ থেকে বেড়ে ৩৫,২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শাক, পেঁপে কেজিপ্রতি ৩০,১৫ টাকায় স্থিতিশীল, ঝিঞা ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকায়, ধন্দল ১৫ থেকে বেড়ে ২৫ টাকা।

গজর ও টমেটো তে ও কমেছে দাম। গাজরে ২০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছ ১২০ টাকা, টমেটো তে ১৪ টাকা কমে ১১৬ টাকা।

খুচরা বাজারে আলু, পেয়াজ রসুন, ২০, ৭০,১০০ টাকায় অপরিবর্তিত। তবে কাঁচামরিচের দাম কমেছে, গত সপ্তাহে যেখানে ছিলো ৩০০ টাকা এ সাপ্তাহে ১৪০ টাকা।

ঢেঁড়স অপরিবর্তিত থেকে ৫০ টাকা। বেগুনে ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা। শাক, শশা ও মূলা অপরিবর্তিত থেকে ৪০ টাকায় করে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ও ঝিঞা ২০ ও ৫০ টাকায় স্থিতিশীল। ধন্দলে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা।

গজর ও টমেটোতে ও কমেছে দাম। গাজরে ২০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছ ১৪০ টাকা, টমেটো তে ১০ টাকা কমে ১৩০ টাকায় অপরিবর্তিত।

মুরগি বাজারে ব্রয়লার মুরগী ও সোনালী মুরগীতে কেজিপ্রতি ১৮০ ও ২৮০ টাকা স্থিতিশীল এবং লেয়ার মুরগিতে ১০ টাকা কমে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি ব্যবসায়ী মিরাজ বলেন গত সপ্তাহ এবং এই সপ্তাহ মুরগির দামে কোনরকম কম বেশি নেই সব দাম একই আছে।

মাছের বাজারে রুই ২৮০-৩২০, তেলাপিয়া ১৮০, পাঙাশ ১৭০, সিলভার ১৭০, জিওল ৩৫০, চিংড়ি ১১০০, পাকাল ৭০০-১১০০।

মাছ ব্যবসায়ী সিরাজ বলেন মাছের আমদানি ঠিক থাকায় বাজারে পরিমাণ মতো মাছ আসছে। ঠিকমতো বাজারে মাছ আসার কারণে মাছের দাম অনেকটাই কম। ‌

ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় এবং গরুর মাংস সর্বদা ৭৫০ টাকায় অপরিবর্তিত।

সবজি বিক্রেতা শহিদুল বলেন, “গত সপ্তাহে মরিচের অভাব ছিল, তাই দাম বেশি ছিল। এখন পরিমাণ মতো বাজারে মরিচ আশায় দাম অর্ধেক হয়ে গেছে।

সবজি বিক্রেতা সবুজ বলেন, সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকাই এবং কাঁচা মরিচের দাম কম হওয়ায় বেচা কেনা বেড়েছে এবং ক্রেতারা অনেক বাজার করছে, মোটামুটি ভাল রকম বেচাকেনা হচ্ছে।

ক্রেতারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ ও এই সপ্তাহে সবজির দাম অপরিবর্তিত শুধু কাচা মরিচের দাম অর্ধেক।

সবজি ক্রেতা সামসুজ্জোহা বলেন, সবজির দাম কমেছে আবার বেড়েছে পেঁয়াজ ছিল ৬০ টাকা ৭০ টাকা হয়েছে, আবার রসুন ছিল ১২০ টাকা ১০০ টাকা এসেছে। অন্যদিকে কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে যেটা ৩০০ টাকা কিনলাম আর সেটা ১৪০ টাকা । দাম কম কমে আসায় পরিমাণের থেকে বেশি বাজার করতে পারছি।

সবজি ক্রেতা সোহেল রানা বলেন, আমরা সাধারণ মানুষরা সবসময় চাই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নাগালে থাকুক। কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে গেছিলাম কমে আসে চিন্তামুক্ত হলাম । অনেকটাই বেশি করে কিনছি।

মেহেরপুর তহ বাজার সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি বলেন, কাঁচা বাজার এখন পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। শাক- সবজি সবকিছুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। আসলে কাঁচা মালের দাম তো সব সময় আবহাওয়া তারপর আমদানির ওপর নির্ভর করে। আমদানি ঠিক থাকায় কাচামালের দাম এখন অনেক কম এবং স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কাঁচা মরিচ দাম এখন অর্ধেক। কিছুদিন পরিমাণ মতো আমদানি না থাকাই দাম অতিরিক্ত বেশি হয়ে গেছিলো। গত কয়েকদিন বাজারে ঠিকমতো কাঁচা মরিচ আশায় দাম স্বাভাবিক হয়ে গেছে গত সপ্তাহে যে কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা খুচরা বিক্রি করেছিল এ সপ্তাহে ওই কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা যা অর্ধেকের থেকেও কম।




দুস্থ রোগীদের পাশে বিএনপি নেতা কামরুল হাসান

দুস্থ ও অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে গ্রামে গ্রামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামে দিনব্যাপী মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধণ করেন তিনি। এর আগে গত কয়েক সপ্তাহে তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী, রাইপুর, শ্যামপুরসহ কয়েকটি গ্রামের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের মাধ্যমে দুস্থ মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রাথমিক প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন।

কুষ্টিয়া ল্যাব কেয়ারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ক্যাম্পে ১০ থেকৈ ১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিটি মেডিক্যাল ক্যাম্পে প্রায় ২ শতাধিকের বেশি সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেন। একই সঙ্গে প্রাথমিক ও প্রয়োজনীয় ওষুধও বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

চিকিৎসা নিতে আসা শোলমারীর গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ পারভিনা খাতুন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, কিন্তু আর্থিক কষ্টের কারণে ডাক্তারের কাছে যেতে পারিনি। আজ এখানে এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছি, ওষুধও দিয়েছে। এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাই।

চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল গফুর জানান, সারাদিন রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই, ডাক্তার দেখানোর মত টাকা গোছাতে পরিনি। যেকারণে ডাক্তার দেখানোর সুযোগ হয় না। আজ বিনা পয়সায় ডাক্তার দেখাতে পারছি, খুব ভালো লাগছে।

মোছাঃ তাহমিনা নামের এক কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন, এমন ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প হলে গরিব মানুষদের অনেক উপকার হয়। ডাক্তাররা মনোযোগ দিয়ে দেখছেন, প্রয়োজনীয় ওষুধও দিচ্ছেন।

মেডিকেল ক্যাম্পের প্রধান সমন্বয়ক ও ল্যাব কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সজিবুল হক জানান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানের উদ্যোগে এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি নিয়মিতভাবে শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অসহায় মানুষের জন্য এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবির অন্যতম লক্ষ্য হলো জনগণের মৌলিক অধিকার ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যেই আমরা নিয়মিত সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে জেলা বিএনপি কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় শোলমারী গ্রামের দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।

মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আনছারুল হক, সাবেক সহসভাপতি আলমগীর খান সাতু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুমানা আহমেদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুরে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা খান পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস চুয়াডাঙ্গা পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঝিনাইদহগামী একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরে বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি মোটরসাইকেল ও একটি ইজিবাইককে চাপা দিয়ে সরাসরি বিজিবি হাসপাতালের প্রাচীরে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে।

ঘটনাস্থলেই নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের হাজী পাড়ার ইউনুস আলীর ছেলে মাহফুজুর রহমান। দুর্ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত তুহিনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল থেকে আসা বাসটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মাহফুজুর রহমান চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার লাইব্রেরিয়ান মাসুদুর রহমানের ছোট ভাই এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের রসায়ন বিভাগের ল্যাব সহকারী মুস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করে। তবে বাসচালক ও তার সহকারী দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়।পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসটির ব্রেকফেল হওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।




মেহেরপুরে মৃত মোটর শ্রমিকদের পরিবারকে মৃত্যু ভাতা প্রদান

মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের মাঝে মৃত্যু ভাতা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে মেহেরপুর পশুহাটে অবস্থিত জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

যুগ্ম সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সবুজ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা। এ সময় মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সকল সদস্য ও শ্রমিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ৭৮ জন মৃত শ্রমিকের পরিবারের হাতে মৃত্যু ভাতা প্রদান করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসান হাবীব সোনা বলেন, সারা বাংলাদেশে মোটর শ্রমিকদের দুর্ভোগ এখন চরমে। দেশে অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য বেড়েছে, কিন্তু আইন প্রয়োগে তেমন পদক্ষেপ নেই। সরকার যেই আসুক না কেন, মোটর শ্রমিকদের দিকে সেভাবে কেউ নজর দেয় না। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়, কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই আমরা কোন চাঁদাবাজি করি না। আমরা শ্রমিক, পরিশ্রম করে জীবন-জীবিকা চালাই। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, মোটর শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত শ্রমিকদের মধ্যে একাত্মতা ও সংহতির বার্তা ছড়িয়ে পড়ে।




নিহত দুই পরিবারের খোঁজ নিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সভাপতি বাবু 

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামে নিহত ২ পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বিজিএমই এর সভাপতি মাহমুদুল হাসান খান বাবু।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের নিহত মিলটা ও হামজার বাড়িতে যেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পিটু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জীবননগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জিল্লুর রহমানসহ স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ যে, গত ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে গরুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে যায় দুই ভাই মিন্টা ও হামজা। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই ভায়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুই ভাই গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের কে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে পৌছানোর পূর্বে হামজা আলীর মৃত্যু হয় ও আধাঘন্টা চিকিৎসাধীন থেকে মিন্টা মিয়ার মৃত্যু হয়।




মোনাখালীতে আমিরুল ইসলামের গণসংযোগ ও পথসভা

মেহেরপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমিরুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়ন সহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন।

গতকাল শনিবার বিকাল ৪টায় গণসংযোগ এর উদ্দেশ্যে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের মোনাখালী গ্রামে পৌঁছালে মোনাখালী গ্রামের নওদাপাড়ার বিএনপি নেতা কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।

তিনি মোনাখালি ইউনিয়নের মোনাখালী নওদাপাড়া গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ, পথসভা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় সাধারণ জনগনের মাঝে তারেক জিয়ার ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়ন সহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রদানে জনগনকে উৎসাহিত করেন তিনি। এসময় মোনাখালী ইউনিয়নের গ্রামগুলো বিএনপি’র নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জাতীয়তাবাদী দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার অঙ্গীকার করেন।

গণসংযোগকালে পথসভায় বিএনপি’র নেতা কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৬ বছর আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতন সহ্য করে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন একটি দেশ পেয়েছি। আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের সফলতা নিয়ে আসব। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যাকে ধানের শীষের প্রতীক দিয়ে আমাদের মাঝে পাঠাবেন আমরা তার হয়ে একযোগে ধানের শীষের পক্ষে ভোট করে তার বিজয় সুনিশ্চিত করব।

গণসংযোগকালে বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী,মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রায়হান কবীর, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান টুটুল, দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম মেহেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফাহিম আহনাফ লিংকনসহ মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম বিএনপি নেতাকর্মীবৃন্দ সহ মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি, যুবদল  কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গণসংযোগ করলেন শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মেহেরপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন গণসংযোগ করেছেন।

গতকাল শনিবার মুজিবনগর উপজেলার বাগুয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস, জয়পুর পাড়া, মহল্লা ও বিভিন্ন হাটে জনসংযোগ ও পথসভা করেন তিনি। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে সমর্থন কামনা করেন।

গণসংযোগ শেষে পথসভায় বক্তব্য দেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। জনগণ যেমন ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে, তেমনি যেকোনো ষড়যন্ত্রও নস্যাৎ করে দেবে।

তিনি আরও বলেন, মেহেরপুরের মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত। কর্মসংস্থানের অভাবে তরুণরা হতাশ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় এলে বেকারত্ব নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জাকির হোসেন ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও দৃঢ় অবস্থান জানান। তিনি বলেন, মেহেরপুরের অসংখ্য মেধাবী তরুণ ঘুষ দিতে না পারায় চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আগামীতে ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।




আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ৯ নং ডাউকি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সমর্থক গোষ্ঠীর উদ্যোগে এক মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণার অংশ হিসেবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তামজিদ হাসান ফয়সাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জননেতা শহিদুল কাওনাইন টিলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আনিচ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাগরিবুর রহমানসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি শহিদুল কাওনাইন টিলু তার বক্তব্যে বলেন, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জনগণের প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে এবং বাংলাদেশ আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।