দর্শনায় দিনদুপুরে ২১ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরির ঘটনায় মূলহোতা ইসলামসহ গ্রেফতার ৪

দর্শনা থানা পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে দর্শনায় দিনেদুপুরে খৃষ্টান বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায়  ইসলামসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২ আনা স্বর্ণ ও কিছু টাকা উদ্ধার হলেও বাকি স্বর্ণ কোথায় গেলো। এ নিয়ে দর্শনায় নানা গুন্জন চলছে।

গত মঙ্গলবার দর্শনা আমতলা পাড়ার মনজু ঘোষ সকাল ৮ টার দিকে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যায়। স্কুল ছুটি করে দুপুর ১ টার দিকে বাসায় এসে দেখে চোরেরা ক্লাসিবল গেট কেটে র্স্বণসহ নগদ টাকা চুরি হয়ে গেছে। চোরদের মূলহোতাসহ ৪জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে আংশিক স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মনজু রানী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু স্বর্ণ উদ্ধার হলো। তাহলে বাকি স্বর্ণ ও নগদ টাকা, ডলার কোথায় গেলো। এ দাবী তার ভাই ডেবিড ঘোষও করেন।

গত মঙ্গলবার দিনরাত অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার বৃত্তিপাড়া গ্রাম থেকে দর্শনা মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত বারেকের ছেলে চিহ্নিত আলোচিত চোর ইসলাম(৪৩) ও কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার বৃত্তিপাড়া গ্রামের তাপস বিশ্বাস বাবুলের ছেলে স্বর্ণ ব্যাবসায়ী তপন বিশ্বাস(৩৭), একই গ্রামের অমৃত্য কুমার কর্মকারের ছেলে  স্বর্ণ ব্যাবসায়ী অর্নব কুমার (২৭)কে গ্রেফতার করে ঐ এলাকা থেকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দর্শনা আমতলা পাড়ার লিয়াকত আলীর স্ত্রী চায়না বেগমকে (৩০) গ্রেফতার করে।

পুলিশ তাদের কাছ থেকে ২ টি আংটির ভাঙ্গাচোরা টুকরো স্বর্ণ উদ্ধার করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে বলে ২টি আংটি ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি উদ্ধার করে। গত ২১শে অক্টোবর এমনটায় আশাবাদী ভুক্তভুগি। তাদের ৪ জনকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। সেই সাথে তাদের রিমান্ডের আবেদন করেছে। রিমান্ডে নিলে বেরিয়ে আসবে আসল চুরির রহস্যগত ২১শে অক্টোবর এমনটায় আশাবাদী ভুক্তভুগি।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সঙ্গবদ্ধ চোরেরা, ঘরের গ্রীল কেটে ২১ ভরি স্বর্ণ নগদ দুই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার মনজু ঘোষ জানান সকাল ৮ টার দিকে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যায়। স্কুল ছুটি করে দুপুর ১ টার দিকে বাসায় এসে দেখে চোরেরা ক্লাসিবল গেট কেটে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় চোরের দল ঘরের আলমারী ভেঙ্গে নগদ ২ লক্ষ টাকা ৭ জোড়া স্বর্ণের চেইন, ১২ টি স্বর্ণের আংটি ৭ জোড়া হাতের রুলি, নাক ফুলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চোরেরা নির্বিঘ্নে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার জেরে দর্শনা থানা পুলিশ মূলহোতাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মন্জু রানী ঘোষ সে সময় দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। কিছু স্বর্ণ ও কিছু টাকা উদ্ধার হলেও বাকি স্বর্ণ ও টাকা কোথায় গেলো এমনটি দাবী করেছেন মন্জু রানী ঘোষ ও তার ভাই ডেবিড ঘোষ।

দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমির জানান, আসামী অন্তরকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে দর্শনার আজিমপুর এলাকার এক সাংবাদিক আমাকে ফোন করেন।




দর্শনা সীমান্তে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৬ কেজি রুপার গহনা জব্দ

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন ৬ বিজিবি’র আভিযানিক দল বিশেষ  অভিযান চালিয়ে ০৫ কেজি ৯১২ গ্রাম ভারতীয় রুপা জব্দ করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসানের বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় দর্শনা সীমান্তের রুদ্ধনগর মাথাভাঙ্গা নদীর পাশে। এ সময় বিজিবি’র একটি সশস্ত্র চৌকস আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার নম্বর ৭৭/২-এস হতে আনুমানিক ৪ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের ভিতরে অভিযান চালায়।

সে সময় বিজিবি সীমান্তের দিকে একটি মোটরসাইকেলযোগে ০২ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে যেতে দেখে। বিজিবি সংকেত প্রদান করলে তারা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি জব্দকৃত মোটরসাইকেলটি তল্লাশি করে তেলের ট্যাংকির ভিতর অভিনব কায়দায় পলিথিনে মোড়ানো ভারতীয় রুপা উদ্ধার করে।

উদ্ধারকৃত রুপা দর্শনা বিওপিতে আনয়নপূর্বক ডিজিটাল স্কেলে ওজন করা হলে ৫ কেজি ৯১২ গ্রাম ওজনের রুপার বল পাওয়া যায়। এ রুপার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৩ লক্ষ ১ হাজার ৬৮ টাকা। এ ঘটনায় হাবিলদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ২ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছে।

উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল দর্শনা থানায় এবং ভারতীয় রুপা চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




আলমডাঙ্গা বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকার অবমাননা

আলমডাঙ্গার বেলগাছী ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকার অবমাননা, বৃষ্টিতে ভিজলো পতাকা। দায়িত্বে যারা ছিল তারা নীরব।

আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়ন পরিষদে ঘটেছে জাতীয় পতাকার অবমাননার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয় যুবক আব্দুর রকিব জীবন দেখেন , জাতীয় পতাকা বৃষ্টির পানিতে ভিজছে। তিনি তা ফেসবুকে সরাসরি লাইভ করেন, যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় এবং এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনা সৃষ্টি করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিকেল চারটায় অফিস বন্ধ হয়ে গেলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পতাকা নামানো হয়নি। এতে পতাকা চরম অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার শিকার হয়।

সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , জাতীয় পতাকা কোনো সাধারণ কাপড় নয়, এটি লাখো শহীদদের রক্তে রঞ্জিত স্বাধীনতার প্রতীক। এর প্রতি অবহেলা পুরো জাতির প্রতি অসম্মান।

এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মেহেরাজ আলী এবং গ্রাম পুলিশের অবহেলার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়মিত সময়মতো অফিসে আসেন না এবং সরকারি বিধি-বিধান উপেক্ষা করেন। গ্রাম পুলিশরাও পতাকা নামানোর দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। আইনের দিক থেকে বিষয়টি গুরুতর। বাংলাদেশ পতাকা বিধিমালা , ১৯৭২-এর ধারা ৭(৩) অনুযায়ী বৃষ্টি, ঝড় বা প্রতিকূল আবহাওয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। এছাড়া বাংলাদেশ দণ্ডবিধি , ১৮৬০-এর ১২৩(ক) ধারা রাষ্ট্রীয় প্রতীক বা জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননাকর আচরণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে।

এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেরাজ আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ট্রেইনিং করতে গিয়েছিলাম, আমি কিছু জানি না। তাঁকে আরও প্রশ্ন করা হয়, এখনও পতাকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নামানো হয়েছে কি? উত্তরে তিনি বলেন, এসব কিছুই আমি জানি না।

স্থানীয় নাগরিক সমাজ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে, যাদের অবহেলায় জাতীয় পতাকা বৃষ্টিতে ভিজেছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় পতাকা শুধু প্রতীক নয় , এটি আমাদের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতার প্রতিচ্ছবি। এর প্রতি অবহেলা মানে বাংলাদেশের প্রতি অবমাননা।




দামুড়হুদায় ৫ প্রতিষ্ঠানে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

লাইসেন্স নবায়ন না করা ও পেট্রোল-ডিজেলের পরিমাণে কম দেওয়ার অপরাধে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান।

জানা যায়, দামুড়হুদায় ব্রিজ স্কেলের লাইসেন্স নবায়ন না করা এবং পেট্রোল-ডিজেল টাকার পরিমাণে কম দেওয়ার অপরাধে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ সালের ৪৬/৪৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজারকে ৫ হাজার টাকা, ডিজিটাল ব্রিজ স্কেলের মালিককে ৫ হাজার টাকা, সাদমান ট্রেডার্সের মালিককে ১০ হাজার টাকা, প্রগতি ডিজিটাল স্কেলকে ৫ হাজার টাকা এবং লোকনাথপুরের মেসার্স কে. এম. ফিলিং স্টেশনের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া বিএসটিআইয়ের পরিচালক নাজমুল সাদাত, পরিদর্শক আসিফ করিম এবং দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশের একটি টিম।




মেহেরপুরের আমদহে অ্যাড. কামরুল হাসানের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের বিএনপির ৩১ দফা দাবি প্রচারের অংশ হিসেবে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আমদহ বাজারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

এ সময় তিনি এলাকাবাসীর হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট তুলে দেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, মীর ফারুক, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলিফ আরাফাত খান, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বিশ্বাস, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, সাধারণ সম্পাদক সোনা গাইন, আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, আমদহ ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি নেতা নাহিদ আহমেদসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জে তিন প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় বিশেষ বাজার তদারকি অভিযান পরিচালিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে বীজ, কীটনাশক, বেকারী ও মুদি দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়।

অভিযানকালে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ তথ্যবিহীন পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে মো. সিহাব উদ্দিন এর প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাবু স্টোর-কে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া, দন্ত চিকিৎসায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করায় মো. শাকিব হোসেন এর প্রতিষ্ঠান মেসার্স মল্লিক ডেন্টাল-কে ৩ হাজার টাকা, এবং একই অপরাধে মো. আরিফুজ্জামান ফরজ এর প্রতিষ্ঠান মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল-কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সবমিলিয়ে মোট ২৮ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা হয়।

অভিযানকালে আরও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও দন্ত চিকিৎসালয় পরিদর্শন করা হয়। ব্যবসায়ীদের যথাযথ সনদ ব্যবহার, মূল্য তালিকা হালনাগাদ রাখা, নির্ধারিত ও যৌক্তিক দামে পণ্য বিক্রয়, মেয়াদোত্তীর্ণ ও মানহীন পণ্য/ওষুধ বিক্রি থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ক্যাব প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।

জনস্বার্থে এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।




মেহেরপুরে স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন বিলুপ্ত করে ভিন্ন অধিদপ্তরে একীভূত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন, মেহেরপুর শাখা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি চামেলি ইয়াসমিন। এ সময় বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি আসাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক তুষার বিশ্বাস, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও মিডওয়াইফারি প্রতিনিধি আমেনা খাতুন, সুশিলা মণ্ডল, সুজন সরকারসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, ৪৮ বছরের ঐতিহ্য, অর্জন ও প্রশাসনিক স্বাতন্ত্র্য বহনকারী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে বিলুপ্ত করে অন্য অধিদপ্তরে একীভূত করার উদ্যোগ নার্সদের পেশাগত মর্যাদা ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তারা এ ধরনের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বক্তারা আরও বলেন, “স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন বিলুপ্তির এই অশুভ উদ্যোগ রুখে দিতে আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।” একই সঙ্গে তারা পেশার বিদ্যমান জটিলতা নিরসন ও বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের উপস্থাপিত দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে জেলা শাখার বিভিন্ন স্তরের নার্স ও মিডওয়াইফরা অংশগ্রহণ করেন।




ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের কাতলামারী (কুঠিবাড়ি) গ্রামে পানিতে ডুবে আরিয়ান (৫) ও তাসনিম (৬) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

আরিয়ান ওই গ্রামের সোহেলের ছেলে এবং তাসনিম একই গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে। তারা একে অপরের চাচাত ভাই-বোন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নবগঙ্গা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনকার মতো সকালে শিশু দুইটি নবগঙ্গা নদীর ধারে খেলতে গিয়েছিল এসময় আরিয়ান পা ফসকে নদীতে পড়ে যায়, তাকে তুলতে গিয়ে তাসনিম সেখান গেলে সেও পানিতে পড়ে যায়। অন্য শিশুরা দেখে বাড়িতে জানানোর পরে নিহতের স্বজনরা এসে তাদের উদ্ধার করে। ততক্ষনে শিশু দুইটি মৃত্যু বরণ করে।

এবিষয়ে কাতলামারী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই জাহাঙ্গীর আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এটা একটা মর্মান্তিক দূর্ঘটনা। এঘটনায় লাশ তার পিতা-মাতাদের দাফনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এই মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।




ঝিনাইদহের এক সিআইডি কমকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

ধর্ষন প্রচেষ্টা মামলার বাদীর সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলে আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা ও বানোয়াট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সিআইডির এসআই মোঃ ইউসুফ হোসেনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট সদর উপজেলার কালা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইদ্রিস আলী ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবী করেন, তার ছোট ভাই মোঃ আলী আকবর প্রবাসি হওয়ায় স্ত্রী আকলিমা খাতুন লাইলি পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। তার চলাফেরা এবং বেপরোয়া আচরণ সংযত করে ভদ্রভাবে জীবন যাপনের পরামর্শ দেন ভাসুর ইদ্রিস আলী। কিন্তু লাইলি সংযত না হয়ে উল্টো ছোট ভাই আলী আকবরকে তালাক দিয়ে অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। ঘরে দুইটি অবুঝ শিশু থাকায় আবার লাইলি কে বুঝিয়ে সংসারে ফিরিয়ে আনা হয়। কিছুদিন পর লাইলী আবারো পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, এ নিয়ে লাইলির পিতা ও ভাইদের সঙ্গে তাদের মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং লাইল তার স্বামীকে তালাক দিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। একই গ্রামে বাড়ি হওয়ায় লাইলির পরিবার সামাজিক ভাবে ইদ্রিস আলীর বিপক্ষে এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক।

দুই পরিবারের মধ্যে সংগর্ষের পর লাইলি তার বাপ ভাইয়ের পরামর্শে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু আদালতে ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষন প্রচেষ্টার মিথ্যা মামলা দায়ের। মামলাটি তদন্ত করতে বিজ্ঞ আদালত ঝিনাইদহ সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সিআইডির এসআই ইউসুফ হোসেন লাইলির ঘরে বসে খাওয়া-দাওয়া করতো এবং লাইলির ওড়না দিয়ে হাত মুছতো। এঘটনার প্রতিবাদ করে ইদ্রিস আলী তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন, মামলার তদন্ত করতে এসে তার ঘরে খাওয়া দাওয়া করা এবং শাড়ীর আঁচলে হাত মুছা কি ঠিক ? প্রতিউত্তরে সিআইডি কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকী দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিআইডির ওই এসআই ইউসুফ হোসেন প্রায়ই বাদী লাইলি বাড়ী এসে দু’জন শহরে চলে যেতেন এবং ঐ কর্মকর্তার সাথে সময় কাটাতেন। ইদ্রিস আলী নিজেকে পদ্মাকর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবী করে এই মিথ্যা প্রতিবেদন প্রত্যখান পুর্বক সিআইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি দাবী করেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিআইডির এসআই মোঃ ইউসুফ হোসেন তার বিরুদ্ধে সাবেক সেনা সদস্য ইদ্রিস আলীর উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছিলেন। এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার্জসিট প্রদান করা হয়েছে। এ কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।




ঝিনাইদহে দিনব্যাপী আন্ত:স্কুল বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত

‘স্কুল হোক বিজ্ঞান শিক্ষার আনন্দময় কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু’ এ শ্লোগানে ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী আন্ত:স্কুল বিজ্ঞান মেলা।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে শহরের নিউ একাডেমী স্কুল মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান। সেসময় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান, নিউ একাডেমীর প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এন এম শাহজালাল, ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই)’র পরিচালক শরিফা খাতুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই)’র আয়োজনে দিনব্যাপী এ মেলায় ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৩২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বিভিন্ন স্টলে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী প্রজেক্ট ও বিজ্ঞানভিত্তিক মডেল প্রদর্শন করেন। এসব মডেলের মাধ্যমে তারা দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা সমাধানের নতুন ধারণা তুলে ধরেন।