চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক (মজু) আর নেই

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মজিবুল হক মালিক মজু (৬৩) আর নেই। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মজিবুল হক মালিক (মজু) ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা। তিনি মরহুম এহসানুল হক মালিকের জ্যেষ্ঠ পুত্র। রাজনীতির মাঠে দীর্ঘদিন সক্রিয় থেকে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র রাজনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে তিনি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মজিবুল হক মালিক মজু নামের একজনকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আমরা তাকে মৃত্ অবস্থায় পেয়েছি।

তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গার রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ অসুস্থতাবোধ করলে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার জানাজার নামাজের সময় ও স্থান পরে জানানো হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।




ঝিনাইদহে অংকুরের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

ঝিনাইদহের অংকুরের সাধারণ সভায় দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আহসান হাবিব রনক কে সভাপতি এবং নাজিম উদ্দিন জুলিয়া কে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রান্তিক পার্ক কনভেনশন হলে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অংকুরের দাতা সদস্য আমন্ত্রিত অতিথি জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড : এম এ মজিদ, এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শামসুল আলম, ক্রীড়া সংগঠক জয়নাল আবেদিন, মসলেম আলী, হায়দার আলী, আহসান হাবিব রনক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা শেষে এই সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট দুই বছর মেয়াদী অংকুর এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে মো: আহসান হাবিব রনক কে সভাপতি ও মো: নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস কে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, রোকেয়া পারভীন মুন্নি, জিয়াউল ইসলাম খান, রামপ্রসাদ রায়, সালিমা খাতুন, লিপিকা নন্দী, অঞ্জলী রাণী রায়, ডা: শারমীন আহমেদ, খসরুজ্জামান বাবু, নাজমুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সুরভী ইসলাম, রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জেসমিন আক্তার পপি, লিজা ফেরদৌস, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, নাট্য সম্পাদক মীর আব্দুল মান্নান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরীয়ার পারভেজ সুমন, সহ- সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আল জিন্নাত ফেরদৌস, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক চাঁদ আলী খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম দিদার, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক তৌহিদা আক্তার রাত্রি, আল আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাজ্জাদ আহমেদ (পুনরায় ), সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আফরোজা আক্তার আশা, প্রচার সম্পাদক অপূর্ব কুমার ঘোষ, সহ-প্রচার সম্পাদক লাবনী সুলতানা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ওহিদুজ্জামান অনিক, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: রাশেদ, দপ্তর সম্পাদক খানজাহান আলী, সহ-দপ্তর সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আবেদিন, সম্মানিত সদস্য ইন্জিনিয়ার সাব্বির আহমেদ পল্টু, শারমিন আক্তার রিমা, শাহীনা আক্তার পলি, মিলি বেগম, পরাগ বিশ্বাস সিজার, শ্রী বিপ্লব বিশ্বাস, তাহমিনা আক্তার মিনা, নজরুল ইসলাম, নীতি বিশ্বাস।




গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র কাউন্সিল উপলক্ষে আলোচনাসভা

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ষোল বছর পর গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে সম্মেলন শুরু হয়েছে।

জাতীয় ও দলিয় পতাকা উত্তোলন ও গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে শান্তির প্রতিক কবুতর উড়িয়ে সকাল ১১ টার সময় দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন ও উদ্বোধক মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচীব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, সদস্য আলমগীর খান সাতু, ইলিয়াস হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, হাফিজুর রহমান হাফি, হামিিদুল হক, রেজাউল হক, আখেরুজ্জামানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কাউন্সিল উপলক্ষে আলোচনা সভায় উদ্বোধক জাভেদ মাসুদ মিল্টন উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা ও দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।




জলাবদ্ধতা ও হাটের দখলে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

বর্ষাকালে হাটু পানিতে জলাবদ্ধতা ও সপ্তাহে দুদিন হাট বসে বিদ্যালয় মাঠে। এ দুই ভোগান্তিতে বিপর্যয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে ওই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ভোগান্তি নিয়ে দিনের পর দিন উপজেলা ও জেলা পযার্য়ের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোন সমাধান হয়নি।

১৯৩৫ সালে ৬৪ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি বর্তমানে অবকাঠামোগত সংকটে রয়েছে। চারটি শ্রেণিকক্ষ থাকলেও তার মধ্যে দুটি টিনশেডে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে ২১ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩০ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৩৪ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৩৫ জন এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে বৃষ্টির পানিতে পুরো এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে, শিক্ষার্থীদের আসা—যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমও প্রতিদিনই বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

শুধু বর্ষাকাল নয়, শুষ্ক মৌসুমেও হাটের জন্য সমস্যার শেষ নেই। স্কুল চত্বরজুড়ে গরু—মুরগি, দোকানপাট ও লোকজনের কোলাহল পাঠদানকে করে তোলে দুঃসাধ্য।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাবিয়া সালমা বলেন, “বিদ্যালয়ের পরিবেশটি বর্তমানে শিক্ষার অনুপযুক্ত। বর্ষায় পানি জমে যায়, আবার হাট বসায় ক্লাস নেওয়াই কষ্টকর হয়ে যায়। অনেক সময় আমরা শিশুদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কায় থাকি। বারবার বলা হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান পাচ্ছি না।”

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জানায়, “আমার বই খাতা ভিজে যায়। হাট বসলে অনেক লোক আসে, ক্লাস করতে পারি না। তখন অনেক শব্দ হয়।” চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রিমা খাতুন জানায়, “পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে স্কুলে আসি। কেউ কেউ পড়ে যায়। আমাদের ক্লাসরুমেও পানি ঢুকে যায় মাঝে মাঝে।” পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রবিউল জানায়, “হাটের জন্য জায়গা থাকে না। গরু—মুরগি থাকে সামনে। তখন আমরা স্কুলে আসতেও ভয় পাই।”

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন বলেন— “বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের অবৈধ হাট উচ্ছেদের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।”




দর্শনা সীমান্তে স্বর্ণের বারসহ আটক-১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৬ বিজিবি স্বর্ণ চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি ৬০লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ২১টি স্বর্ণের বারসহ জীবনগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আনার আলীর ছেলে আবেদীন মিয়া (৪০) কে আটক করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ নাজমুল হাসানের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে। এ সময় ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার সহকারী পরিচালক মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে, বিজিবি’র একটি সশস্ত্র চৌকস আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার নম্বর ৭৫/৩-এস হতে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়ে একটি মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করে। পরে বিজিবি মোটরসাইকেলটি ধাওয়া করে ১জন পালিয়ে গেলেও ১ জনকে আটক করে।

পরে তার মাজায় থাক প্যাকেট সদৃশ বস্তু পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেয়। বিজিবি আভিযানিক দল তার দেহ তল্লাশীকালে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ০১টি প্যাকেট উদ্ধার করে।

বিজিবি প্যাকেট খুলে তল্লাশি করে ২কেজি ৪৪৯ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য ৩কোটি ৬০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় নায়েক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছে। আটককৃত আসামীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারসমূহ চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।




কোটচাঁদপুরে গলায় উড়না দিয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে গলায় উড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রিয়া অধিকারী (২২) নামের এক গৃহবধু। তিনি বলুহর রামচন্দ্রপুর হালদারপাড়ার দেবব্রত অধিকারীর স্ত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় উড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। নিহতের শ্বাশুড়ি জানান তার ছেলে বউয়ের মাথায় যন্ত্রনা ছিলো, সে কারণে আত্মহত্যা করতে পারে, মায়ের এমন বক্তব্য প্রত্যাখান করে ছেলে দেবব্রত অধিকারী জানান তার স্ত্রীর এমন কোন সমস্যা ছিলো না।

তাহলে আপনার স্ত্রী কেন আত্মহত্যা করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি কোন কারণ জানাতে পরেননি। আত্মহত্যার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে কথা বলা হয় কোটচাঁদপুর পৌর ফাঁড়ি ইনর্চাজ জগনাথ চন্দ্র এর সাথে, তিনি জানান আমরা ঘঠনাস্থলে আছি, ঘাসকাটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে, লাশটি ময়না তদন্তের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় সম্প্রতিক সময়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা জুড়ে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে আত্মহত্যার প্রবনতা। জানুয়ারী থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত উপজেলায় ২৪৪ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। আত্মহত্যা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনসহ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হলেও কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না আত্মহত্যা।




গাজায় ইসরাইলি হামলায় শিশুসহ ২২ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজা উপত্যকায় একের পর এক ইসরাইলি হামলায় বৃহস্পতিবার দিনভর শিশুসহ অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যকর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তাদের বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনী গাজা সিটির উত্তর-পশ্চিমে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত হন এবং আরও কয়েকজন আহত হন।

গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলের শেখ রিদওয়ান এলাকায় একটি বাড়িতে বিমান হামলায় এক বৃদ্ধ ও দুই নারী নিহত হন। এতে আহত হন আরও কয়েকজন।

গাজার মধ্যাঞ্চলের পশ্চিম নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি আবাসিক ফ্ল্যাটে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুইজন শিশু।

সূত্র: যুগান্তর ।




দামুড়হুদায় বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা

দামুড়হুদা উপজেলার তারিনীপুর গ্রামে রাতের আঁধারে বিএনপি কর্মী সাজিদুল ইসলাম নামের একজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে একদল সন্ত্রাসী। আহত সাজেদুল ইসলাম (৪৫) তারিনীপুর গ্রামের মৃত মোলাম মালিথার ছেলে।

গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে কাঠালতলা নিউ শেখ ইটভাটার অফিসে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাজিদুল ইসলামের ভাতিজা তুতা মিয়া বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার তারিনীপুর গ্রামের মৃত মোলাম মালিথার ছেলে সাজিদুল ইসলাম বাড়ি যাওয়ার সময় ইট ভাটার নিকট পৌয়াছালে পূর্বে থেকে ওত পেতে থাকা একই গ্রামের রশিদুল ইসলাম (৩৫), আনিছুর রহমান (৩০), আশিক (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন মিলে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া ও লাঠি বাঠাম দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপাতে ও মারতে থাকে। এ সময় সাজিদুল ইসলাম রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার কাছে থাকা ২২ হাজার ২ শত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। এখন জামায়াতে ইসলামীর নাম ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা বলেন, এসব সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এদিকে ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে, সেখানে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় হামলাকারী দলের মহিলা সদস্যরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান না নিলে এমন হামলা আরো বাড়বে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ুন কবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মারামারির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।




জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ৬ মরদেহ এক বছর পর দাফন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত হওয়া ৬ মরদেহের পরিচয় এক বছরেও শনাক্ত করতে না পেরে অবশেষে মরদেহগুলো দাফন করেছে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল থেকে লাশ বুঝে নিয়ে দুপুরে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে দাফন করেছে সংস্থাটি।

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, আদালতের নির্দেশের পর মরদেহগুলো আজ সকালে আঞজুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা দাফন করেছে।

তিনি বলেন, মরদেহগুলো এক বছরের বেশি সময় ধরে মর্গে ছিল। এ সময় অনেকেই শনাক্ত করতে এসেছেন। কয়েকজনের ডিএনএ নমুনা নিয়েও পরীক্ষা করা হয়েছে, তবে শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহের দাবিদার যারা এসেছিলেন তাদের সঙ্গে কারও মেলেনি।

আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের দাফন সেবা কর্মকর্তা কামরুল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ওই ছয়টি মরদেহ আমরা পেয়েছি। দুপুর ২টার দিকে তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শাহবাগ থানার তথ্য বলছে, গত বছরের ৫ আগস্টের আগে ঢাকার যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকা থেকে এসব লাশ আসে। ময়নাতদন্ত অনুযায়ী, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে ‘আঘাতজনিত কারণে’।

সূত্র: যুগান্তর।




ঝিনাইদহে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে আহত ১৫

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর হরিপুর কবি ফজের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হন জামায়াত সমর্থিত জহুরুল ইসলাম। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে মতবিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) স্কুল কমিটির সভা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে জামায়াতের ৯ জন ও বিএনপির ৬ নেতাকর্মী সহ মোট ১৫ জন আহত হয়।

রক্তমাখা শরীর। তীব্র ব্যাথায় কাতরাচ্ছে সবাই। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কারো মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছে। কেউ ব্যান্ডেজ নিয়ে বসে আছে। এমন সময় একদল মানুষ এসে আহত মানুষগুলোর উপর হামলা চালালো। শুরু হলো ধস্তাধ্বস্তি ও আহত রোগীদের মারধর।

জরুরী বিভাগের মধ্যে এমন দৃশ্য দেখে হাসপাতালে আসা সেবা গ্রহীতা সবাই হতবাক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। সেসময় হামলায় আহত রোগীরা আরো আহত হয়ে পড়েন।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর হরিপুর কবি ফজের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হন জামায়াত সমর্থিত জহুরুল ইসলাম। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতবিরোধ চলে আসছিলো।

বৃহস্পতিবার স্কুল কমিটির সভা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে জামায়াতের ৯ জন ও বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আহত হন। বিএনপির আহতরা হলেন, কানুহরপুর গ্রামের ইমাদুর রহমান, একই গ্রামের মাসুম, গোলাম মোস্তফা, সুমন, রেহানা খাতুন ও মহারাজপুর গ্রামের রহমতুল্লাহ।

জামায়াতের আহতরা হলেন, জহুরুল ইসলাম, হুসাইন, মুজাব আলী, হাফিজুর রহমান, রুপচাঁদ আলী, ফয়জুল্লাহ, সলেমান মন্ডল, তোতা মিয়া ও সফর আলী। বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত আহতরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দুই দলের আহত নেতাকর্মীরা আরেকদফায় মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ সময় হাসপাতালে আসা সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হামলার বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াত পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সংঘর্ষের খবর নিশ্চিত করে জানান, চার মাস আগে স্কুলের কমিটি করা নিয়ে মারামারির সুত্রপাত হয়। একপক্ষ কমিটি মানতে নারাজ। তারাই বৃহস্পতিবার হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। ওসি আরো জানান, এখনও থানায় কোন পক্ষ মামলা করেনি। তবে দুই পক্ষ মামলা দিলে তা রেকর্ড করা হবে। এবং বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।