গাংনীতে বিএনপির অফিস ভাঙচুর মামলায় শিক্ষক গ্রেফতার

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় ইদ্রিস আলী টুকুল (৫০) নামে এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা চত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইদ্রিস আলী টুকুল হাড়াভাঙ্গা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ওই গ্রামের ইজ্জতুল্লাহর ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর জাবেদ মাসুদ মিল্টনের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ১৫/০৪/২৫ ইং তারিখে মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রেজানুল হক ইমন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে ইদ্রিস আলী টুকুলকে ৫০ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মামলার নম্বর-১৭, তারিখ ১৫/০৪/২৫ ইং।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অঙ্কুশ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই মামলায় আসামিদের শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছিল। সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইদ্রিস আলী টুকুলকে আটক করা হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি ইসরাইল বলেন, গ্রেফতারের পর ইদ্রিস আলী টুকুলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।




আলমডাঙ্গায় চায়না বান ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

আলমডাঙ্গা ফুটবল একাডেমির আয়োজনে “চায়না বান ফুটবল টুর্নামেন্ট” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে আলমডাঙ্গা এটিম মাঠে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মেহেদী ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও শেখ মেহেদী ইসলাম বলেন, যুব সমাজকে মাদকের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে হলে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। মাঠে খেলাধুলা শরীরচর্চার পাশাপাশি জীবনে আনে সৃজনশীলতা, মেধা ও অদম্য সাহস।

উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেয় কালিদাসপুর লাভ স্টার ক্লাব ও বারাদী ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর ট্রাইব্রেকারে ১-০ গোলে বারাদী ইউনিয়ন ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে কালিদাসপুর লাভ স্টার ক্লাব।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইকবাল হোসেন, সাবেক ফুটবলার শওকত আলী, শরিফুল ইসলাম, ইউছুব আলী, রঞ্জু, মিজানুর রহমান, মীর উজ্জ্বল, মণ্ডল প্রমুখ।




প্রাথমিক মনোনয়ন নিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের দরকার নেই

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান বলেন, জেলা বিএনপির নেতৃত্বে ধানের শীষের ভোটে আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো। আপনারা জানেন, ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র। আপনারা সকলে আজকে দেখেছেন, ঢাকাতে দুটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের এখনো যারা আছে, তারা বিভিন্ন রকমভাবে বিভিন্ন জায়গায় এরকম আইনবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।

তাই নির্বাচন বানচালের যারা ষড়যন্ত্র করছে এবং আরও একটি দল এই ফ্যাসিস্টদের সাথে হাত মিলিয়ে আজকে পিআর, কালকে গণভোট এটা-সেটা দিয়ে এই দেশে যাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে, যাতে নির্বাচন না হয়, যাতে নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন এই কারণে তারা ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে। আর মেহেরপুরকে বাঁচাতে হবে।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুল হাসান।

তিনি আরও বলেন, এই প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক মনোনয়ন নিয়ে এত আনন্দ-উচ্ছ্বাসের কোনো দরকার নেই। চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা হবে যখন তফসিল ঘোষণা হবে, তার পরে। অতএব, তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত আপনাদেরকে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আজকে প্রায় ১০ দিন হয়ে গেল প্রাথমিক মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা গর্ব করে বলতে পারি, যারা জেলা বিএনপির নেতৃত্বে আছেন তারা সকলে নেতৃত্বে আছেন অন্য কোথাও যাননি।

মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহান উদ্দিন মনা এবং মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তারা।

মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক মানজারুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল হক কালু, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী, মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রায়হান কবীর, সম্পাদক আনিসুজ্জামান টুটুল, মুজিবনগর উপজেলা জাসাসের সভাপতি জুলফিকার খান হেলাল, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন তপু, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকুস এবং যুবদল নেতা মেহেদী হাসান রোলেক্স উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যালিতে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




সাইবার মামলায় লিপু-ক্যামেল মেহেরপুরের কারাগারে

বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ার অন্যতম শীর্ষ এজেন্ট মুর্শিদ আলম লিপু ও তার সহযোগী মুছায়েদ আলম ক্যামেলকে সাইবার সুরক্ষা আইনের পৃথক দুইটি মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন মেহেরপুরের আদালত।

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক সাইবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত-১ এর বিচারক মেহেদী হাসান মোবারক মুনিম ও সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলি আদালত-২ এর বিচারক জুয়েল রানা আবেদন মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। লিপু ও ক্যামেলকে ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেহেরপুর সদর থানায় দায়েরকৃত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩–এর অধীন ২৬ নম্বর মামলা এবং একই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মুজিবনগর থানার ৯/২২ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

আদালতের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন এপিপি মোখলেছুর রহমান খান স্বপন এবং তাকে সহযোগিতা করেন মেহেরপুর জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন। আর আসামি পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী ও অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা।

ডিবি সুত্রে জানা গেছে, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিগগিরই আবেদন করবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

এছাড়াও বর্তমানে সাতক্ষীরায় লিপুকে সাইবার সুরক্ষা আইনের ৩ টি মামলা এবং যশোরের ২ টা মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অভিযানে অনলাইন জুয়ার শীর্ষ এজেন্ট মুর্শিদ আলম লিপু ও তার সহযোগী মুছায়েদ আলম ক্যামেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ অক্টোবর দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৬টি মোবাইল ফোন ও ৩টি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়, যা অনলাইন জুয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো বলে জানিয়েছিল পুলিশ। বর্তমানে সাতক্ষীরায় সাইবার সুরক্ষা আইনে লিপুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। যশোরের আরও দুটি মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি বিরল দৃশ্য, মুজিবনগর থানার সাবেক এসআই সাহেব আলীর হঠাৎ উপস্থিতি। বর্তমানে তিনি মাগুরা জেলা সিআইডিতে কর্মরত। জানা যায়, লিপুকে আদালতে তোলা হবে শুনে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মেহেরপুরে আসেন এবং তার সঙ্গে দেখা করেন। এই একই এসআই সাহেব আলীর অনলাইন জুয়া চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার একটি অডিও কল গত জানুয়ারিতে দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অডিও ফাঁসের পরও তার বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়দের অনেকে।

বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর জেলা পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও, কালবেলা প্রতিবেদককে তিনি জানান এই ঘটনাটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

মুর্শিদ আলম লিপুর নামে এর আগেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা বিচারাধীন। ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর ডিএমপির পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত এক মামলায়ও তার নাম রয়েছে।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দৈনিক কালবেলায় ‘অনলাইন জুয়ার রাজধানী মেহেরপুর, হেডকোয়ার্টার রাশিয়া’ শিরোনামের প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। ওই সময় থেকেই আত্মগোপনে চলে যান লিপু। ঢাকা সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একাধিক সিমকার্ড সংগ্রহ করে অনলাইন লেনদেন পরিচালনা করতেন। কখনো মাগুরা, কখনো সাতক্ষীরা, আবার কখনো ঢাকার বসুন্ধরায় অবস্থান পরিবর্তন করতেন তিনি।

দেশের অনলাইন জুয়া ও মানি লন্ডারিং তদন্তে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ যে ১৯ জন শীর্ষ এজেন্টের অনুসন্ধান করছে, তার মধ্যে প্রথম নামেই রয়েছে মেহেরপুরের এই মুর্শিদ আলম লিপু। ২০২১ সালের অভিযানে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে যুক্ত ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি; তখনও লিপুর নাম উঠে আসে। সেদিন থেকেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয় দেশজুড়ে অনুসন্ধান।

সাইবার অপরাধ, মানি লন্ডারিং, অনলাইন জুয়া সব কিছুর ছায়া যেন একত্রে জড়ো হয়েছে লিপু নামের এই তরুণের চারপাশে। একদিকে আদালতে কঠোর সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে প্রশাসনের নিরবতা। সব মিলিয়ে মেহেরপুরের আকাশে আবারও ভেসে বেড়াচ্ছে একটিই প্রশ্ন, ‘জুয়ার এই নেটওয়ার্কের শেষ কোথায়?’




ঝিনাইদহে মা-বাবা ও ছেলেকে গাছের সাথে বেঁধে রাতভর নির্যাতন

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে অবস্থিত আবাসনের বাসিন্দা মা-বাবা ও ছেলেকে গাছের সাথে বেঁধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার রাতে পৈলানপুর আবাসনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, আবাসনের বাসিন্দা সাহেব আলী মিস্ত্রীর সাথে তার স্ত্রীর জামিলা খাতুনের বনিবনা না হওয়ায় কয়েকমাস আগে তালাক দেয়। এরপর থেকে জামিলা খাতুন তার ১৭ বছর বয়সী ছেলে আলামিনকে নিয়ে আবাসনেই থাকেন। সম্প্রতি ছেলে আলামিন মা ও বাবার মাঝে ভুলবোঝাবুঝির অবসান ঘটায়। পরবর্তীতে গত শনিবার স্থানীয় মৌলভীর মাধ্যমে আবারো জামিলা খাতুন ও সাহেব আলী বিয়ে করেন। রোববার রাত ১০ টার দিকে সাহেব আলী বাড়িতে এলে ওই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম, লিটন হোসেন, মওলা, নান্নুসহ আরও কয়েকজন তাদের মারধর করে। এক পর্যায়ে সাহেব আলী, জামিলা খাতুন ও তাদের ছেলে আলামিনকে ঘরের সামনে খুটির সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। রাতভর নির্যাতনের পর ভোররাতে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে নির্যাতিতা জামিলা খাতুন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




ঝিনাইদহে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

‘তারুণ্যের একতায়, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহ অনুষ্ঠিত হয়েছে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

সোমবার সকালে ঝিনাইদহের কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি(দুপ্রক)।

‘দুর্নীতি রোধে কঠোর শাস্তিই সর্বোত্তম সমাধান’ শীর্ষক এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ও পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের বিতার্কিকরা। উভয় দলই পক্ষে বিপক্ষে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। পক্ষে থাকা দল যুক্তি দেয় দেশে দুর্নীতি দমন করতে হলে কঠোর শাস্তির ভয় থাকা প্রয়োজন, তখন বড় দুর্নীতিবাজরাও থমকে যাবে। অন্যদিকে বিপক্ষে থাকা দল বলে শুধুমাত্র কঠোর শাস্তি নয়, প্রয়োজন সচেতনতা, মূল্যবোধ ও স্বচ্ছতা তৈরি, তবেই দীর্ঘমেয়াদে দুর্নীতি কমবে।

প্রতিযোগিতা শেষ বিজয়ী ও রানার্সআপ পক্ষের মাঝে ট্রফি তুলে দেন অতিথিরা। সেসময় সরকারি কেসি কলেজের প্রভাষক ফরিদ উদ ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ফজলে রাব্বি, দুপ্রক জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এন এম শাহজালাল, বর্তমান আহবায়ক বাবুল কুমার কুন্ডুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

আয়োজকরা জানান, এমন আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী চেতনা আরও জোরদার হবে এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হবে দায়িত্ববান ও নীতিবান।




ঝিনাইদহে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে র‌্যালী ও যুব সমাবেশ

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঝিনাইদহে র‌্যালী ও যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার সকালে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান, সুবীর কুমার দাশ, জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সী ফিরোজা সুলতানা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব সাইদুর রহমানসহ যুবনেতারা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় যুব সমাজই সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা শিক্ষায়, প্রযুক্তিতে, কৃষিতে, শিল্পে ও উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। বক্তারা আরও বলেন, আজকের তরুণরাই আগামী দিনের নেতা। তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।




একই জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে চিরনিদ্রায় তারা

মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের মল্লিকপাড়া মাঠে গত শনিবার রাতটি নেমে এসেছিল এক অমানবিক কষ্টের বার্তা নিয়ে।

নীরব রাত, কিন্তু গ্রামের প্রতিটি ঘরে কান্নার রোল, প্রতিটি মানুষের চোখে জল। সামনে পাশাপাশি রাখা চারটি নিথর খাট, সাদা কাফনে মোড়া চারটি নিষ্পাপ শিশুর দেহ। এরা ছিল আপন দুই বোন, একজন চাচাতো বোন এবং একজন প্রতিবেশী খেলার সাথী।

গতকাল রবিবার রাত ১০টার সময় একসাথে জানাজার নামাজ শেষে রাজনগর কবরস্থানে পাশাপাশি চারটি কবরে শায়িত করা হয় তাদের।

গতকাল রবিবার দুপুরে রাজনগর গ্রামের বাড়ি থেকে তারা পাশের মশুরিভাজা বিলে গিয়েছিল শাপলা তোলার উদ্দেশ্যে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও যখন তারা ঘরে ফেরেনি, উদ্বিগ্ন পরিবার ছুটে যায় মশুরিভাজা বিলের দিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিলের জলে একে একে ভেসে ওঠে চারটি শিশুর নিথর দেহ, যা পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নামিয়ে আনে।

নিহতরা হলো আব্দুস সামাদের মেয়ে ফাতেমা (১৪) ও আফিয়া (১০)। এদের মধ্যে ফাতেমা মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং আফিয়া বারাদি তৃণমূল মডেল একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ইরাকপ্রবাসী সাহারুল ইসলামের মেয়ে ও বারাদি তৃণমূল মডেল একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আলেয়া (১০), ইসহাক আলীর মেয়ে ও আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মিম (১৪)। নিহত সবার বাড়ি রাজনগর গ্রামের মল্লিকপাড়ায়।

রাতের সেই হৃদয়বিদারক জানাজায় অংশ নেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদ অরুণ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান এবং জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দীন খান। মাওলানা তাজউদ্দীন খান নিজেই নিহতদের জানাজার ইমামতি করেন।

গ্রামের প্রবীণ আয়ুব আলী পাশাপাশি চারটি কবর খোঁড়ার কাজ করেছেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “এই বয়সে এসে একসাথে চারটা কবর খুঁড়তে হবে, তা কখনো ভাবিনি। এমন মর্মান্তিক মৃত্যু আমাদের গ্রাম দেখেনি।”

নিহত ফাতেমা ও আফিয়ার বাবা আব্দুস সামাদ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার দুই মেয়ে একসাথে চলে গেল, আল্লাহ যেন তাদের জান্নাত দান করেন।” পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মিমের বাবা ইসহাক আলীও ছিলেন নির্বাক, শুধু নীরবে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছিলেন।

মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার জানান, ফাতেমা তার বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। সে মেধাবী ও বিনয়ী ছিল। এমন সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী হারানো বিদ্যালয়ের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুই যুবক জানান, তারা ভ্যানযোগে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখেন মেয়েগুলো পানিতে নেমেছে, ভেবেছিলেন খেলছে। কিছু সময় পরেই শোনেন, তারা আর নেই। তারা আক্ষেপ করে বলেন, “জানলে হয়তো দৌড়ে গিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করতাম।”




‘স্যার আমাকে বাঁচান’— ১৩ পৃষ্ঠার আবেদনে সুজনকে বলেছিলেন জাহানারা

‘আমাকে মানসিক টর্চার থেকে বাঁচান স্যার!’-কথা গুলো জাহানারা আলমের। ১৩ পৃষ্ঠার অভিযোগ দিয়েছিলেন তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর কাছে। ১৩ পৃষ্ঠা দীর্ঘ এক আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে তাতেও মন গলেনি সিইও সুজনের।

নিজাম উদ্দিন বিসিবির একজন চাকুরে মাত্র। এদিকে জাহানারা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের পোস্টারগার্ল ছিলেন এক সময়, ছিলেন সাবেক নারী দলের অধিনায়ক, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের অগ্রযাত্রার সৈনিকও। সেই জাহানারাও তার অভিযোগের চিঠিতে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও সুফল পাননি।

জাহানারার ১৩ পৃষ্ঠার এখন যুগান্তরের হাতে। এতো বিস্তারিত বলার পরও একজন শীর্ষ কর্মকর্তা কিভাবে সে বিষয়ে নজর না দিয়ে থাকেন এখন সেটাই বড় প্রশ্ন।

অর্থাৎ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে প্রয়াত তৌহিদ মাহমুদ ও মঞ্জুরুল ইসলাম নিজামউদ্দিনের খুব বেশি ঘনিষ্ঠ ছিলেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, এই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তৌহিদকে পাঠিয়ে দেন নিজামউদ্দিন। সেখান থেকে আরও বেশি সরাসরি ও মানসিক টর্চার শুরু হয় জাহানারার উপর।

জাহানারার অভিযোগের শেষ পৃষ্ঠার অভিযোগ হুবহু তুলে ধরা হলো–

‘আমাকে মানসিকভাবে (মেন্টালি) টর্চার থেকে বাঁচান দয়া করে স্যার, কিভাবে দল গঠন হবে কাকে অধিনায়ক করা হবে, কারা কোচিং স্টাফে থাকবে, কারা অফিশিয়াল থাকবে তা সম্পূর্ণ বিসিবির ব্যাপার। আমি শুধু আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার কিছুটা লিখে জানলাম। আমি শুধু আমার দেশের জন্য পারফর্ম করতে চাই স্যার।

এটা কোন অভিযোগ নয় স্যার, এটা একটা নোট। ভবিষ্যতে যদি কোন কঠিন পরিস্থিতি এর কবলে পড়ি, তো আমার বিশ্বাস, আমার বিসিবি অবিভাবক আমাকে সাহায্য করবেন ইন শা আল্লাহ।

একটা বিশেষ অনুরোধ স্যার, যদি কোন খেলোয়াড় বা কোন অফিশিয়াল আমার সম্পর্কে কোন নেগেটিভ কথা বলে তো দয়া করে আমাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবেন স্যার। আমি সত্য কথা বলব স্যার ইনশাআল্লাহ। আমি সবসময় সৎ থাকার চেষ্টা করি স্যার।

অনেক ধন্যবাদ স্যার ধৈর্য্য নিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য। দড়া করে বিষয়গুলি বিবেচনা করে দেখবেন স্যার।

আপনার একান্ত অনুগত,

জাহানারা আলম

নারী ক্রিকেটার, বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল।’

জাহানারা তার অভিযোগটা সিইও বরাবর দিয়েছেন, আকুতি জানিয়েছেন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনার। তিনি জাতীয় দল ও আশেপাশের সবকিছু নিয়ে বিস্তারিত লেখা শুরু করেন। এভাবে নারী দলের মধ্যে কি হচ্ছে, কারা প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে সব কিছু তুলে ধরেছেন। কয়েকটি ঘটনা তারিখ দিয়েও উল্লেখ করেছেন তিনি।

দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় একজায়গায় লিখেছেন, ‘তারা দু’জনেই (তৌহিদ ও সরফরাজ বাবু) আমার সাথে মেন্টাল গেম খেলা শুরু করেন।’ দ্বিতীয় পৃষ্ঠার শুরু থেকে লেখা, ‘বাবু (সরফরাজ) ভাই বলেন, ‘দেখেন আপা সামনে অনেক টুর্নামেন্ট আপনাদের। এক হয়ে খেলতে হবে। টিমে কোন ঝামেলা থাকলে নিজেরা ঠিক করে ফেলেন। তৌহিদ ভাই অনেক চেষ্টা করছেন। তৌহিদ ভাই নিজেও খুব চাপে আছেন। হয়তো জব ছেড়ে দিতে পারেন। দলে যদি কোন ফাটল থাকে তো সিমেন্ট লাগানোর দায়িত্ব আপনাদের সিনিয়রদের। আপনি আবার এগুলো কারোর সাথে শেয়ার করেন না।’

আমি বললাম ‘ভাই, তৌহিদ ভাই সব সমস্যা সম্পর্কে অবগত। সুতরাং উনি চাইলেই নিজে সব ঠিক করতে পারবেন। আর আমি দলের জন্য সবসময় নিবেদিত প্রাণ। আমার দ্বারা কোন সাহায্য লাগলে বলবেন আমি প্রস্তুত আছি। ব্যস এই কথা হওয়ার পরদিন থেকে মঞ্জু (মঞ্জুরুল ইসলাম) ভাই আমার সাথে মাঠে খারাপ ব্যবহার শুরু করলেন অকারণে। খুব চিৎকার এবং রুঢ়ভাবে কথা বলা শুরু করলেন, আমি হকচকিত। বুঝলাম না আমার অন্যায়টা কি? পরদিন তৌহিদ ভাইকে ফোন করলাম ইন্টারভিউ এর অনুমতি এর জন্য, ফোন না ধরায় এসএমএস করলাম, রিপ্লাই পেলাম না। এভাবে চলতে থাকল। একসময় বুঝলাম তারা দু’জনই আমার সাথে মেন্টাল গেম খেলছেন। কারণ শুরুর একমাস মঞ্জু ভাই আমার বোলিং নিয়ে আলাদা ২ দিন কাজ করেছেন। সুন্দর হাসিমাখা মুখে কথা বলতেন, সেই একই লোক হাসি তো বাদ, কথা তো বলেই না বরং চিৎকার করে বাজেভাবে বকা দেয়।’

তৃতীয় পৃষ্ঠায় এক জায়গায় লিখেছেন, মঞ্জু ভাই বলেন, ‘খবরদার জাহানারাকে যেন আর কখনও বল না দেওয়া হয়।’

একটা জায়গায় লিখেছেন, ‘৩১ মার্চ রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে বাবু ভাই আমাকে ফোন করে বলেন কেকের অর্ডার (জাহানারা তার জন্মদিনের কেকের অর্ডার দিয়েছিলেন) বাতিল করতে হবে!’ অথচ পরবর্তিতে সবার জন্মদিন ভালোভাবে উদযাপন হয়েছে। লেখা আছে, ‘তৌহিদ ভাইয়ের অনুমতি ছাড়া মঞ্জু ভাই কোনো কাজ করেন না। অথচ সামনা সামনি দু’জন দুজনের দোহাই দেন। কোবরা টুম্পা, লতা, সুপ্তা মুখ খুলতে ভয় পায়। জ্যোতি, পিংকি ওরা খারাপ সম্পর্ক করবে, উল্টা পাল্টা কাজ করবে এমনকি ছেলে বা মেয়ে কোচের ক্লোজ হয়ে অন্যের নামে কোচদের কান ভারি করবে, ভুক্ত ভুগি আমি ও আমরা।’

বড় প্রশ্ন উঠেছে এতো অভিযোগ দেওয়ার পরও বিসিবির প্রধান নির্বাহী কেন ব্যবস্থা নিলেন না? এ বিষয়ে কেন আলোচনা পর্যন্ত করলেন না।

সূত্র: যুগান্তর।




মেহেরপুরে আইডিইবির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আইডিইবি মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আজ সোমবার সকালে সড়ক ও জনপদ (সওজ) অফিস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

আইডিইবি মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি আনিসুজ্জামান বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আলিমুজ্জামান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম বোরহান, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। জেলা শাখার সভাপতি আনিসুজ্জামান বকুল ও সাধারণ সম্পাদক আলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে র‌্যালিটি পৌর কমিউনিটি সেন্টার হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাদ্যের তালে তালে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সামনে গিয়ে শেষ হয়।