মেহেরপুরে এনসিপির কুতুবপুর ও পিরোজপুর ইউনিয়নের রাজনৈতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র পিরোজপুর ও কুতুবপুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সভা ও রাজনৈতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকালে জেলা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা এনসিপ’র যুগ্ম সমন্বয়কারী আসিক রাব্বির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় যুবশক্তির সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুর রহমান। সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা ও রাজনৈতিক কর্মশালা পরিচালনা করেন, জেলা এনসিপি’র সদস্য (সংগঠন/দপ্তর) মো: হাসনাত জামান সৈকত।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন এনসিপির আহ্বায়ক রেজাউল হক, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, পিরোজপুর ইউনিয়ন এনসিপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো: পাইন আলী, সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, শিক্ষক আব্দুস সালাম প্রমুখ।

জেল এনসিপি’র সদস্য (অর্থ) তামিম ইসলাম, সদস্য (লিয়াজু) মাহাবুব ই তৌহিদ রবিন, সদর উপজেলা এনসিপি’র সদস্য (প্রচার) মুহা: মুবারক হুসাইন, সদস্য ও আহত জুলাই যোদ্ধা ইব্রাহিম হোসেনসহ কুতুবপুর ও পিরোজপুর ইউনিয়ন এনসিপির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক কর্মশালায় জুলাই সনদ, গণভোট সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন, নাগরিক অধিকার, জনগণের ক্ষমতায়ন ও স্বৈরাচারের পথ বন্ধে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। এসময় সাংগঠনিক বিস্তৃতি ও কার্যক্রমে গতিশীলতা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।




ঝিনাইদহে অপরিস্কার রাস্তা পরিস্কার করলো সমাজ সেবক আশরাফ

ঝিনাইদহ শহরের পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের আরাপপুর দুখি মাহমুদ সড়কের একটি রাস্তায় দীর্ঘ দিন যাবত জ্বলাবদ্ধতা, ময়লা ও কাদা ছিলো।

আজ শুক্রবার রাস্তাটি পরিস্কার করলো সমাজ সেবক মোঃ আশরাফুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ মোঃ জসীম উদ্দীন, মোঃ রন্জু মিয়া ও আনারুল্ ইসলামসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সমাজ সেবক মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, আরাপপুর দুখি মাহমুদ সড়ক একটি জনবহুল এলাকা। কিন্তু জ্বলাবদ্ধ ময়লাও কাঁদার কারনে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্ট হচ্ছিল। সমস্যাটি সমাধানের জন্য আমি উদ্দ্যোগ নিই। জ্বলাবদ্ধতা, ময়লা ও কাঁদা পরিস্কার করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করি। আশা করি, আগামী দিন গুলোতেও সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পারবো।




ঝিনাইদহে কৃষক সংবর্ধনা ও কৃষি উপকরণ বিতরণ

‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, কৃষক ছাড়া পৃথিবী অচল’—এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে কৃষকদের সংবর্ধনা ও কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার রামনগর গ্রামে পরিবেশবিদ জহির রায়হান এর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জুনাইদ হাবীব, পরিবেশবিদ জহির রায়হান, কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে এলাকার ২০ জন কৃষককে সংবর্ধনা জানানো হয় এবং তাদের মাঝে মাথাল, কাস্তে ও গামছা বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের আয়োজক জহির রায়হান বলেন, আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় তাদের অমূল্য অবদানকে স্বীকৃতি জানাতেই এ আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষিকাজে প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকদের আরও উৎসাহিত করাই ছিল অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য।




গাংনীতে তালাবদ্ধ ঘরে কাঠমিস্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ফতাইপুরে একটি তালাবদ্ধ কারখানার ভিতর থেকে বিপ্লব হোসেন নামের এক কাঠমিস্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিপ্লব হোসেন বগুরা জেলার আশিরবাটি গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কারখানার তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার অপর দুই সহযোগী বগুড়ার ফুলবাড়ি গ্রামের আজাদুলের ছেলে মাসুদ ও নয়ন মিয়ার ছেলে নাহিদ পলাতক রয়েছে।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একটি কারখানার মধ্যে মরদেহটি রয়েছে। বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় এখনো মরদেহটি উদ্ধার করা যায়নি। সিআইডিকে খবর দেওয়া হয়েছে। সিআইডির টিম আসলে ঘরের তালাভেঙ্গে উদ্ধার করা হবে।

ওসি (তদন্ত) মামুন আরো জানান, বিপ্লব হোসেন ও তার অপর দুই সহযোগী ফতাইপুর গ্রামের রিকাত আলীর এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে কাঠের ফার্নিচার বানিয়ে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করতেন। গত শনিবার নাদিম হোসেন বিপ্লব হোসেনের তিনটি ফার্নিচার মেশিন ও নগদ সাত হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। পরে মাসুদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেই বিপ্লব। মাসুদের সহযোগী নাহিদকে খুঁজে আনাররজন্য চাপ দেন। তারপর থেকেই নিরুদ্দেশ রয়েছে ওই দুই কর্মচারী।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মুনজুর আহমেদ গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।




একই দিনে ৫ মামলায় ছয় আসামির কারাদণ্ড ও জরিমানা

মেহেরপুরে সড়ক পরিবহন আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় দায়ের করা পাঁচটি মামলায় ছয় আসামিকে জেল-জরিমানা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এসকল আদেশ দেন।
প্রথম মামলায়, সড়ক পরিবহন আইনের মামলায় মো. রোকনুজ্জামান রোকনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

দ্বিতীয়, মাদক মামলায় মো. রুহুল আমিনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ছয় টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয়, মারধর মামলায় মো. শাফায়েত মোল্লাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

চতুর্থ মামলায়, মারধর মামলায় মো. জুয়েল রানা ও মো. কিফাজ উদ্দিন কিপাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চম মামলায়, হামলার মামলায় মো. আল মামুনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

প্রথম মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে মেহেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার নিহত মমিনুল ইসলামতার মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে গাংনী উপজেলার চেংগাড়া বাজার ব্রীজের কাছে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে দ্রুতগামী ও বেপরোয়া গতিতে চালানো ইটবোঝাই শ্যালো ইঞ্জিনচালিত স্টিয়ারিং গাড়ি তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।

ধাক্কায় তিনি মোটরসাইকেলসহ সড়কে পড়ে গেলে গাড়িটি তার ডান পা ও কোমরের ওপর দিয়ে চলে যায়, ঘটনাস্থলেই তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দ্বিতীয় মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ আগস্ট মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার এএসআই মাহাতাব উদ্দিন মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে ২৫০ গ্রাম গাঁজাসহ মো. রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করেন।

তল্লাশি চালিয়ে তার পরিহিত লুঙ্গির ভেতর থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
তৃতীয় মামলার বিবরণে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাদীর পরিবারের সঙ্গে আসামিদের বিবাদ ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
আসামিরা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে বাড়িতে ঢুকে বাদীর স্বামীকে পিটিয়ে জখম করে, তার নগদ ৩০,০০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। বাদীর শ্বাশুড়ি মোছা. সাজেদা খাতুনকেও মারধর করা হয়।

চতুর্থ মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদীর স্ত্রীর রান্নার চাল ধোয়া পানির সামান্য অংশ আসামির বাড়ির দিকে গেলে এ নিয়ে বিবাদ ও হামলার ঘটনা ঘটে। আসামিরা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে এবং পরিবারের সদস্যদের এলোপাতাড়ি মারধর করে, এতে তারা গুরুতর আহত হন।

পঞ্চম মামলার বিবরণে জানা যায়, এক দল আসামি ধারালো দা, হাসুয়া, রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধে বাদীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ১নং আসামি মো. আল মামুন ধারালো হাসুয়া দিয়ে বাদীর মুখে ও চোখের পাশে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে, অন্য আসামিরা বাঁশ ও রড দিয়ে বাদী ও তার স্ত্রীকে মারধর করে।

মামলাগুলোর তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাক্ষ্য ও প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।




দর্শনায় দিনদুপুরে ২১ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরির ঘটনায় মূলহোতা ইসলামসহ গ্রেফতার ৪

দর্শনা থানা পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে দর্শনায় দিনেদুপুরে খৃষ্টান বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায়  ইসলামসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২ আনা স্বর্ণ ও কিছু টাকা উদ্ধার হলেও বাকি স্বর্ণ কোথায় গেলো। এ নিয়ে দর্শনায় নানা গুন্জন চলছে।

গত মঙ্গলবার দর্শনা আমতলা পাড়ার মনজু ঘোষ সকাল ৮ টার দিকে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যায়। স্কুল ছুটি করে দুপুর ১ টার দিকে বাসায় এসে দেখে চোরেরা ক্লাসিবল গেট কেটে র্স্বণসহ নগদ টাকা চুরি হয়ে গেছে। চোরদের মূলহোতাসহ ৪জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে আংশিক স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মনজু রানী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু স্বর্ণ উদ্ধার হলো। তাহলে বাকি স্বর্ণ ও নগদ টাকা, ডলার কোথায় গেলো। এ দাবী তার ভাই ডেবিড ঘোষও করেন।

গত মঙ্গলবার দিনরাত অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার বৃত্তিপাড়া গ্রাম থেকে দর্শনা মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত বারেকের ছেলে চিহ্নিত আলোচিত চোর ইসলাম(৪৩) ও কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার বৃত্তিপাড়া গ্রামের তাপস বিশ্বাস বাবুলের ছেলে স্বর্ণ ব্যাবসায়ী তপন বিশ্বাস(৩৭), একই গ্রামের অমৃত্য কুমার কর্মকারের ছেলে  স্বর্ণ ব্যাবসায়ী অর্নব কুমার (২৭)কে গ্রেফতার করে ঐ এলাকা থেকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দর্শনা আমতলা পাড়ার লিয়াকত আলীর স্ত্রী চায়না বেগমকে (৩০) গ্রেফতার করে।

পুলিশ তাদের কাছ থেকে ২ টি আংটির ভাঙ্গাচোরা টুকরো স্বর্ণ উদ্ধার করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে বলে ২টি আংটি ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি উদ্ধার করে। গত ২১শে অক্টোবর এমনটায় আশাবাদী ভুক্তভুগি। তাদের ৪ জনকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। সেই সাথে তাদের রিমান্ডের আবেদন করেছে। রিমান্ডে নিলে বেরিয়ে আসবে আসল চুরির রহস্যগত ২১শে অক্টোবর এমনটায় আশাবাদী ভুক্তভুগি।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সঙ্গবদ্ধ চোরেরা, ঘরের গ্রীল কেটে ২১ ভরি স্বর্ণ নগদ দুই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার মনজু ঘোষ জানান সকাল ৮ টার দিকে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যায়। স্কুল ছুটি করে দুপুর ১ টার দিকে বাসায় এসে দেখে চোরেরা ক্লাসিবল গেট কেটে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় চোরের দল ঘরের আলমারী ভেঙ্গে নগদ ২ লক্ষ টাকা ৭ জোড়া স্বর্ণের চেইন, ১২ টি স্বর্ণের আংটি ৭ জোড়া হাতের রুলি, নাক ফুলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চোরেরা নির্বিঘ্নে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার জেরে দর্শনা থানা পুলিশ মূলহোতাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মন্জু রানী ঘোষ সে সময় দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। কিছু স্বর্ণ ও কিছু টাকা উদ্ধার হলেও বাকি স্বর্ণ ও টাকা কোথায় গেলো এমনটি দাবী করেছেন মন্জু রানী ঘোষ ও তার ভাই ডেবিড ঘোষ।

দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমির জানান, আসামী অন্তরকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে দর্শনার আজিমপুর এলাকার এক সাংবাদিক আমাকে ফোন করেন।




দর্শনা সীমান্তে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৬ কেজি রুপার গহনা জব্দ

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন ৬ বিজিবি’র আভিযানিক দল বিশেষ  অভিযান চালিয়ে ০৫ কেজি ৯১২ গ্রাম ভারতীয় রুপা জব্দ করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসানের বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় দর্শনা সীমান্তের রুদ্ধনগর মাথাভাঙ্গা নদীর পাশে। এ সময় বিজিবি’র একটি সশস্ত্র চৌকস আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার নম্বর ৭৭/২-এস হতে আনুমানিক ৪ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের ভিতরে অভিযান চালায়।

সে সময় বিজিবি সীমান্তের দিকে একটি মোটরসাইকেলযোগে ০২ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে যেতে দেখে। বিজিবি সংকেত প্রদান করলে তারা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি জব্দকৃত মোটরসাইকেলটি তল্লাশি করে তেলের ট্যাংকির ভিতর অভিনব কায়দায় পলিথিনে মোড়ানো ভারতীয় রুপা উদ্ধার করে।

উদ্ধারকৃত রুপা দর্শনা বিওপিতে আনয়নপূর্বক ডিজিটাল স্কেলে ওজন করা হলে ৫ কেজি ৯১২ গ্রাম ওজনের রুপার বল পাওয়া যায়। এ রুপার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৩ লক্ষ ১ হাজার ৬৮ টাকা। এ ঘটনায় হাবিলদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ২ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছে।

উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল দর্শনা থানায় এবং ভারতীয় রুপা চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




আলমডাঙ্গা বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকার অবমাননা

আলমডাঙ্গার বেলগাছী ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকার অবমাননা, বৃষ্টিতে ভিজলো পতাকা। দায়িত্বে যারা ছিল তারা নীরব।

আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়ন পরিষদে ঘটেছে জাতীয় পতাকার অবমাননার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয় যুবক আব্দুর রকিব জীবন দেখেন , জাতীয় পতাকা বৃষ্টির পানিতে ভিজছে। তিনি তা ফেসবুকে সরাসরি লাইভ করেন, যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় এবং এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনা সৃষ্টি করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিকেল চারটায় অফিস বন্ধ হয়ে গেলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পতাকা নামানো হয়নি। এতে পতাকা চরম অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার শিকার হয়।

সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , জাতীয় পতাকা কোনো সাধারণ কাপড় নয়, এটি লাখো শহীদদের রক্তে রঞ্জিত স্বাধীনতার প্রতীক। এর প্রতি অবহেলা পুরো জাতির প্রতি অসম্মান।

এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মেহেরাজ আলী এবং গ্রাম পুলিশের অবহেলার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়মিত সময়মতো অফিসে আসেন না এবং সরকারি বিধি-বিধান উপেক্ষা করেন। গ্রাম পুলিশরাও পতাকা নামানোর দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। আইনের দিক থেকে বিষয়টি গুরুতর। বাংলাদেশ পতাকা বিধিমালা , ১৯৭২-এর ধারা ৭(৩) অনুযায়ী বৃষ্টি, ঝড় বা প্রতিকূল আবহাওয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। এছাড়া বাংলাদেশ দণ্ডবিধি , ১৮৬০-এর ১২৩(ক) ধারা রাষ্ট্রীয় প্রতীক বা জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননাকর আচরণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে।

এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেরাজ আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ট্রেইনিং করতে গিয়েছিলাম, আমি কিছু জানি না। তাঁকে আরও প্রশ্ন করা হয়, এখনও পতাকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নামানো হয়েছে কি? উত্তরে তিনি বলেন, এসব কিছুই আমি জানি না।

স্থানীয় নাগরিক সমাজ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে, যাদের অবহেলায় জাতীয় পতাকা বৃষ্টিতে ভিজেছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় পতাকা শুধু প্রতীক নয় , এটি আমাদের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতার প্রতিচ্ছবি। এর প্রতি অবহেলা মানে বাংলাদেশের প্রতি অবমাননা।




দামুড়হুদায় ৫ প্রতিষ্ঠানে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

লাইসেন্স নবায়ন না করা ও পেট্রোল-ডিজেলের পরিমাণে কম দেওয়ার অপরাধে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান।

জানা যায়, দামুড়হুদায় ব্রিজ স্কেলের লাইসেন্স নবায়ন না করা এবং পেট্রোল-ডিজেল টাকার পরিমাণে কম দেওয়ার অপরাধে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ সালের ৪৬/৪৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজারকে ৫ হাজার টাকা, ডিজিটাল ব্রিজ স্কেলের মালিককে ৫ হাজার টাকা, সাদমান ট্রেডার্সের মালিককে ১০ হাজার টাকা, প্রগতি ডিজিটাল স্কেলকে ৫ হাজার টাকা এবং লোকনাথপুরের মেসার্স কে. এম. ফিলিং স্টেশনের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া বিএসটিআইয়ের পরিচালক নাজমুল সাদাত, পরিদর্শক আসিফ করিম এবং দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশের একটি টিম।




মেহেরপুরের আমদহে অ্যাড. কামরুল হাসানের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের বিএনপির ৩১ দফা দাবি প্রচারের অংশ হিসেবে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আমদহ বাজারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

এ সময় তিনি এলাকাবাসীর হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট তুলে দেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, মীর ফারুক, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলিফ আরাফাত খান, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বিশ্বাস, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, সাধারণ সম্পাদক সোনা গাইন, আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, আমদহ ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি নেতা নাহিদ আহমেদসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।