গাংনীতে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেনের দলীয় মনোনয়ন বাতিল করে জেলা বিএনপি’র সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

আজ সোমবার রাতে গাংনী শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মেহেরপুর–কুষ্টিয়া মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন মিল্টনপন্থী নেতাকর্মীরা। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকে।

এর আগে সন্ধ্যায় বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করলে, আমজাদ হোসেনপন্থী নেতাকর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। অন্যদিকে, মনোনয়ন না পাওয়ায় জেলা বিএনপি’র সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টনের অনুসারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।

আজ রাত ৮টার দিকে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সড়কের ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিল করেন।

বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বিক্ষোভ সমাবেশে গাংনী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল বলেন, ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা জাবেদ মাসুদ মিল্টনকেই মনোনয়ন দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মনোনয়ন পরিবর্তন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মনোনয়ন ঘোষণার পরপরই গাংনীতে বিএনপি’র ভেতরে বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা নেতৃত্ব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।




মেহেরপুরে বিএনপির প্রার্থী হলেন মাসুদ অরুন ও আমজাদ হোসেন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুরর দুটি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে ।

মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,  সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদ অরুন এবং মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির মিটিং শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
এদিকে, প্রার্থীদের নাম ঘোষনার খবর ছড়িয়ে পড়লে মেহেরপুর ও গাংনীতে নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছাস ও মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গেছে।



কোন আসনে কে হলেন বিএনপি প্রার্থী

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে বিএনপি। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাম ঘোষণা করেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) -এর সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা

 

খুলনা বিভাগ

মেহেরপুর-১: মাসুদ অরুন

মেহেরপুর-২: মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন

কুষ্টিয়া-১: রেজা আহমদ

কুষ্টিয়া-২: রাগীব রউফ চৌধুরী

কুষ্টিয়া-৩: মোহাম্মদ জাকির হোসেন সরকার

কুষ্টিয়া-৪: সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি

চুয়াডাঙ্গা-১: মোহাম্মদ শরিফুজ্জামান

চুয়াডাঙ্গা-২: মাহমুদ হাসান খান

ঝিনাইদহ-১: (শৈলকুপা) (হোল্ড করা আছে)

ঝিনাইদহ-২: (হোল্ড করা আছে)

ঝিনাইদহ-৩: মোহাম্মদ মেহেদী হাসান

ঝিনাইদহ-৪: (পরে ঘোষণা করা হবে)

যশোর-১: মোহাম্মদ মাফিদুল হাসান তৃপ্তি

যশোর-২: মোহাম্মদ সাবিরা সুলতানা

যশোর-৩: অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

যশোর-৪: টি এস আইয়ুব

যশোর-৫: (হোল্ড করা আছে)

যশোর-৬: কাজী রওনকুল ইসলাম

মাগুরা-১: মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন

মাগুরা-২: নিতাই রায় চৌধুরী

নড়াইল-১: বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম

নড়াইল-২: (হোল্ড করা আছে)

বাগেরহাট-১: (হোল্ড করা আছে)

বাগেরহাট-২: (হোল্ড করা আছে)

বাগেরহাট-৩: (হোল্ড করা আছে)

খুলনা-১: (হোল্ড করা আছে)

খুলনা-২: নজরুল ইসলাম মঞ্জু

খুলনা-৩: রকিবুল ইসলাম বকুল

খুলনা-৪: আজিজুল বারী হেলাল

খুলনা-৫: মোহাম্মদ আলী আসগর

খুলনা-৬: মনিরুল হাসান বাপ্পি

সাতক্ষীরা-১: হাবিবুল ইসলাম হাবিব

সাতক্ষীরা-২: আব্দুর রউফ

সাতক্ষীরা-৩: কাজী আলাউদ্দিন

সাতক্ষীরা-৪: মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান

রংপুর বিভাগ

পঞ্চগড়-১: ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ

পঞ্চগড়-২: ফরহাদ হোসেন আজাদ

ঠাকুরগাঁও-১: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (নিজে)

ঠাকুরগাঁও-২: (পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে)

ঠাকুরগাঁও-৩: (পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলা) মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জাহিদ

দিনাজপুর-১: মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম

দিনাজপুর-২: মোহাম্মদ সাদিক রিয়াজ

দিনাজপুর-৩: (দিনাজপুর সদর) বেগম খালেদা জিয়া

দিনাজপুর-৪: মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান মিয়া

দিনাজপুর-৫: (হোল্ড করা হয়েছে, পরে জানানো হবে)

দিনাজপুর-৬: অধ্যাপক এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন

নীলফামারী-১: (হোল্ড করা হয়েছে, পরে জানানো হবে)

নীলফামারী-২: এইচ এম মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ রুবেল

নীলফামারী-৩: (হোল্ড করা হয়েছে)

নীলফামারী-৪: মোহাম্মদ আব্দুল গফুর সরকার

লালমনিরহাট-১: মোহাম্মদ হাসান রাজিব প্রধান

লালমনিরহাট-২: (হোল্ড করা হয়েছে)

লালমনিরহাট-৩: আসাদুল হাবিব দুলু

রংপুর-১: মোকাররম হোসেন সুজন

রংপুর-২: মোহাম্মদ আলী সরকার

রংপুর-৩: শামসুজ্জামান শামু

রংপুর-৪: মোহাম্মদ এমদাদুল হক ভরসা

রংপুর-৫: মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী

রংপুর-৬: মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম

কুড়িগ্রাম-১: সাইফুল ইসলাম রানা

কুড়িগ্রাম-২: মোহাম্মদ সোহেল হোসেন

কুড়িগ্রাম-৩: তাজুল ইসলাম

কুড়িগ্রাম-৪: মোহাম্মদ আজিজুর রহমান

গাইবান্ধা-১: খন্দকার জিয়াউল ইসলাম (মোহাম্মদ আলী)

গাইবান্ধা-২: আনিসুজ্জামান খান বাবু

গাইবান্ধা-৩: (সাদুল্লাপুর) অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ মাইনুল হাসান সাদিক

গাইবান্ধা-৪: মোহাম্মদ শামীম কায়সার

গাইবান্ধা-৫: মোহাম্মদ ফারুক আলম সরকার

 

রাজশাহী বিভাগ

জয়পুরহাট-১: মোহাম্মদ মাসুদ রানা প্রধান

জয়পুরহাট-২: আব্দুল বারী

বগুড়া-১: কাজী রফিকুল ইসলাম

বগুড়া-৩: আব্দুল মহিত তালুকদার

বগুড়া-৪: মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন

বগুড়া-৫: মোহাম্মদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ

বগুড়া-৬: তারেক রহমান

বগুড়া-৭: বেগম খালেদা জিয়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ

নওগাঁ-১: মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান

নওগাঁ-২: মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা খান

নওগাঁ-৩: মোহাম্মদ ফজলে হুদা বাবুল

নওগাঁ-৪: ইকরামুল বারী টিপু

নওগাঁ-৫: (হোল্ড করা আছে)

নওগাঁ-৬: মোহাম্মদ শেখ মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম

রাজশাহী-১: মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন

রাজশাহী-২: মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিনু

রাজশাহী-৩: মোহাম্মদ শফিকুল হক মিলন

রাজশাহী-৪: ডিএমডি জিয়াউর রহমান (সম্ভবত এ্যাড. জিয়াউর রহমান)

রাজশাহী-৫: অধ্যাপক নজরুল ইসলাম

রাজশাহী-৬: আবু সাঈদ চাঁদ

নাটোর-১: ফারজানা শারমিন

নাটোর-২: রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু

নাটোর-৩: (হোল্ড করা আছে)

নাটোর-৪: মাহমুদ আব্দুল আজিজ

সিরাজগঞ্জ-১: (হোল্ড করা আছে)

সিরাজগঞ্জ-২: ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

সিরাজগঞ্জ-৩: ভিপি আইনুল হক

সিরাজগঞ্জ-৪: (উল্লাপাড়া) এম আকবর আলী

সিরাজগঞ্জ-৫: মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম খান

সিরাজগঞ্জ-৬: এম এ মুহিত

পাবনা-১: (হোল্ড করা আছে)

পাবনা-২: এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব

পাবনা-৩: মোহাম্মদ হাসান জাফির তুহিন

পাবনা-৪: হাবিবুর রহমান হাবিব

পাবনা-৫: মোহাম্মদ শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস

 

বরিশাল বিভাগ

বরগুনা-১: মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মোল্লা

বরগুনা-২: নুরুল ইসলাম মনি

পটুয়াখালী-১: এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী

পটুয়াখালী-২: (হোল্ড করা আছে)

পটুয়াখালী-৩: (হোল্ড করা আছে)

পটুয়াখালী-৪: (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা) এবিএম মোশারফ হোসেন

ভোলা-১: গোলাম নবী আলমগীর

ভোলা-২: মোহাম্মদ হাফিজ ইব্রাহিম

ভোলা-৩: মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম

ভোলা-৪: মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন

বরিশাল-১: জহিরউদ্দিন স্বপন

বরিশাল-২: সরদার সাইফুদ্দিন আহমেদ সান্টু

বরিশাল-৩: (পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে)

বরিশাল-৪: মোহাম্মদ রাজিব হাসান

বরিশাল-৫: মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান সারোয়ার

বরিশাল-৬: আবুল হোসেন খান

ঝালকাঠি-১: (পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে)

ঝালকাঠি-২: ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো

পিরোজপুর-১: (পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে)

পিরোজপুর-২: আহমেদ সোহেল মঞ্জুর

পিরোজপুর-৩: মোহাম্মদ রুহুল আমিন দুলাল

 

ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ

টাঙ্গাইল-১: (মধুপুর) ফকির মাহবুব আলম স্বপন

টাঙ্গাইল-২: আব্দুস সালাম পিন্টু

টাঙ্গাইল-৩: এ এস এম ওবায়দুল হক নাসির

টাঙ্গাইল-৪: মোহাম্মদ লুৎফর রহমান মতিন

টাঙ্গাইল-৫: (পরে ঘোষণা করা হবে)

টাঙ্গাইল-৬: রবিউল আউয়াল লাবলু

টাঙ্গাইল-৭: আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল-৮: আহমেদ আজম খান

জামালপুর-১: এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত

জামালপুর-২: সুলতান মাহমুদ বাবু

জামালপুর-৩: মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল

জামালপুর-৪: মোহাম্মদ ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম

জামালপুর-৫: মোহাম্মদ ওয়ারেস আলী মামুন

শেরপুর-১: সানসিলা জেবরিন

শেরপুর-২: মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরী

শেরপুর-৩: মোহাম্মদ মাহমুদুল হক রুবেল

ময়মনসিংহ-১: সৈয়দ ইমরান সালেহ

ময়মনসিংহ-২: মোতাহার হোসেন তালুকদার

ময়মনসিংহ-৩: এম ইকবাল হোসেন

ময়মনসিংহ-৪: (আপাতত স্থগিত, পরে ঘোষণা করা হবে)

ময়মনসিংহ-৫: মোহাম্মদ জাকির হোসেন

ময়মনসিংহ-৬: মোহাম্মদ আখতারুল আলম

ময়মনসিংহ-৭: ডাক্তার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান

ময়মনসিংহ-৮: লুৎফুল্লাহেল মাজেদ

ময়মনসিংহ-৯: ইয়াসের খান চৌধুরী

ময়মনসিংহ-১০: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ময়মনসিংহ-১১: ফখরুদ্দিন আহমেদ

নেত্রকোনা-১: ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

নেত্রকোনা-২: মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক

নেত্রকোনা-৩: রফিকুল ইসলাম হিলালী

নেত্রকোনা-৪: মোহাদ্দুজা বাবর (সম্ভবত মোদারেস বাবর)

নেত্রকোনা-৫: আবু তাহের তালুকদার

কিশোরগঞ্জ-১: (পরে ঘোষণা করা হবে)

কিশোরগঞ্জ-২: অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জালালউদ্দিন

কিশোরগঞ্জ-৩: ডক্টর ওসমান ফারুক

কিশোরগঞ্জ-৪: মোহাম্মদ ফজলুর রহমান

কিশোরগঞ্জ-৫: (পরে ঘোষণা করা হবে)

কিশোরগঞ্জ-৬: মোহাম্মদ শরিফুল আলম

মানিকগঞ্জ-১: (পরে ঘোষণা করা হবে)

মানিকগঞ্জ-২: মাইনুল ইসলাম খান

মানিকগঞ্জ-৩: আফরোজা খান রিতা

মুন্সিগঞ্জ-১: শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ

মুন্সিগঞ্জ-২: মিজানুর রহমান সিনহা

মুন্সিগঞ্জ-৩: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ঢাকা-১: খন্দকার আবু আশফাক

ঢাকা-২: আমানউল্লাহ আমান

ঢাকা-৩: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ঢাকা-৪: তানভীর আহমেদ রবিন

ঢাকা-৫: নবিউল্লাহ নবী

ঢাকা-৬: ইশরাক হোসেন

ঢাকা-৭: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ঢাকা-৮: মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ

ঢাকা-৯: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ঢাকা-১০: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ঢাকা-১১: এম এ কাইয়ুম

ঢাকা-১২: সাইফুল আলম নীরব

ঢাকা-১৩: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ঢাকা-১৪: সাজিদা ইসলাম তুলি

ঢাকা-১৫: শফিকুল ইসলাম খান

ঢাকা-১৬: আমিনুল হক

ঢাকা-১৭: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ঢাকা-১৮: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ঢাকা-১৯: ডাক্তার দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন

ঢাকা-২০: (পরে ঘোষণা করা হবে)

গাজীপুর-১: (পরে ঘোষণা করা হবে)

গাজীপুর-২: মনজুরুল করিম রনি

গাজীপুর-৩: অধ্যাপক ডাক্তার এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু

গাজীপুর-৪: শাহ রিয়াজুল হান্নান

গাজীপুর-৫: ফজলুল হক মিলন

নরসিংদী-১: খায়রুল কবির খোকন

নরসিংদী-২: ডক্টর আব্দুল মঈন খান

নরসিংদী-৩: (পরে ঘোষণা করা হবে)

নরসিংদী-৪: সরদার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন

নরসিংদী-৫: ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফউদ্দিন বকুল

নারায়ণগঞ্জ-১: মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দীপু

নারায়ণগঞ্জ-২: নজরুল ইসলাম আজাদ

নারায়ণগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম মান্নান

নারায়ণগঞ্জ-৪: (পরে ঘোষণা করা হবে)

নারায়ণগঞ্জ-৫: মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান

রাজবাড়ী-১: আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম

রাজবাড়ী-২: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ফরিদপুর-১: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ফরিদপুর-২: শামা ওবায়েদ ইসলাম

ফরিদপুর-৩: নায়াব ইউসুফ আহমেদ

ফরিদপুর-৪: শহিদুল ইসলাম বাবুল

গোপালগঞ্জ-১: মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান মোল্লা

গোপালগঞ্জ-২: ডাক্তার কে এম বাবর আলী

গোপালগঞ্জ-৩: এস এম জিলানী

মাদারীপুর-১: কামাল জামান মোল্লা

মাদারীপুর-২: (পরে ঘোষণা করা হবে)

মাদারীপুর-৩: আনিসুর রহমান

শরীয়তপুর-১: সাইয়েদ আহমেদ আসলাম

শরীয়তপুর-২: শফিকুর রহমান কিরণ

শরীয়তপুর-৩: মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু

 

সিলেট বিভাগ

সুনামগঞ্জ-১: আনিসুল হক

সুনামগঞ্জ-২: (পরে ঘোষণা করা হবে)

সুনামগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ কায়সার আহমেদ

সুনামগঞ্জ-৪: (পরে ঘোষণা করা হবে)

সুনামগঞ্জ-৫: কালিমুদ্দিন মিলন

সিলেট-১: খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী

সিলেট-২: মোসাম্মৎ তাহসিনা রুশদীর

সিলেট-৩: মোহাম্মদ আব্দুল মালেক

সিলেট-৪: (পরে ঘোষণা করা হবে)

সিলেট-৫: (পরে ঘোষণা করা হবে)

সিলেট-৬: ইমরান আহমেদ চৌধুরী

মৌলভীবাজার-১: নাসিরউদ্দিন আহমেদ মিঠু

মৌলভীবাজার-২: শওকত হোসেন শকু (সম্ভবত নাসের রহমান)

মৌলভীবাজার-৩: নাসের রহমান

মৌলভীবাজার-৪: মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী

হবিগঞ্জ-১: (পরে ঘোষণা করা হবে)

হবিগঞ্জ-২: আবু মনসুর শাখাওয়াত হাসান জীবন

হবিগঞ্জ-৩: আলহাজ্ব মোহাম্মদ জি কে গউছ

হবিগঞ্জ-৪: এস এম ফয়সাল

 

চট্টগ্রাম বিভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১: এম হান্নান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: (পরে ঘোষণা করা হবে)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: খালেদ হোসেন মাহবুব

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪: মুশফিকুর রহমান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: (পরে ঘোষণা করা হবে, অর্থাৎ অন্য দল থাকলে তারা ঘোষণা করবেন)

কুমিল্লা-১: ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসাইন

কুমিল্লা-২: (পরে ঘোষণা করা হবে)

কুমিল্লা-৩: কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসাইন কায়কোবাদ

কুমিল্লা-৪: মনজুরুল ইসলাম মুন্সী

কুমিল্লা-৫: মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন

কুমিল্লা-৬: মোহাম্মদ মনিরুল হক চৌধুরী

কুমিল্লা-৭: (পরে ঘোষণা করা হবে)

কুমিল্লা-৮: জাকারিয়া তাহের

কুমিল্লা-৯: মোহাম্মদ আবুল কালাম

কুমিল্লা-১০: মোহাম্মদ আব্দুল গফুর ভূঁইয়া

কুমিল্লা-১১: মোহাম্মদ কামরুল হুদা

চাঁদপুর-১: আনম এহসানুল হক মিলন

চাঁদপুর-২: মোহাম্মদ জালালউদ্দিন

চাঁদপুর-৩: শেখ ফরিদ হোসেন

চাঁদপুর-৪: মোহাম্মদ হারুন রশিদ

চাঁদপুর-৫: মোহাম্মদ মমিনুল হক

ফেনী-১: বেগম খালেদা জিয়া

ফেনী-২: জয়নাল আবেদীন

ফেনী-৩: আব্দুল আউয়াল মিন্টু

নোয়াখালী-১: ব্যারিস্টার এস মাহবুব উদ্দিন

নোয়াখালী-২: জয়নাল আবদিন ফারুক

নোয়াখালী-৩: মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বুলু

নোয়াখালী-৪: মোহাম্মদ শাহজাহান

নোয়াখালী-৫: মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম

নোয়াখালী-৬: মাহমুদুর রহমান শামীম

লক্ষ্মীপুর-১: (পরে ঘোষণা করা হবে)

লক্ষ্মীপুর-২: মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভুইয়া

লক্ষ্মীপুর-৩: শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

লক্ষ্মীপুর-৪: (পরে ঘোষণা করা হবে)

চট্টগ্রাম-১: নুরুল আমিন চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম-২: সরোয়ার আলমগীর

চট্টগ্রাম-৩: (পরে ঘোষণা করা হবে)

চট্টগ্রাম-৪: কাজী সালাউদ্দিন

চট্টগ্রাম-৫: মীর মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন

চট্টগ্রাম-৬: (পরে ঘোষণা করা হবে)

চট্টগ্রাম-৭: উম্মাম কাদের চৌধুরী (সম্ভবত গিয়াস কাদের চৌধুরী)

চট্টগ্রাম-৮: এরশাদুল্লাহ

চট্টগ্রাম-৯: (সংশোধন: পরে ঘোষণা করা হবে, হোল্ড)

চট্টগ্রাম-১০: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

চট্টগ্রাম-১১: (পরে ঘোষণা করা হবে)

চট্টগ্রাম-১২: মোহাম্মদ এনামুল হক

চট্টগ্রাম-১৩: সারওয়ার জামাল নিজাম

চট্টগ্রাম-১৪: (পরে ঘোষণা করা হবে)

চট্টগ্রাম-১৫: (পরে ঘোষণা করা হবে)

চট্টগ্রাম-১৬: মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা

কক্সবাজার-১: সালাউদ্দিন আহমেদ

কক্সবাজার-২: (পরে ঘোষণা করা হবে)

কক্সবাজার-৩: লুৎফুর রহমান কাজল

কক্সবাজার-৪: শাহজাহান চৌধুরী

খাগড়াছড়ি: আব্দুল ওয়াদুদ ভুইয়া

রাঙ্গামাটি: দীপেন দেওয়ান

বান্দরবান: সাচিং প্রু

 

তালিকা দেখুনের নিচের লিঙ্কে

202511031953 BNP.pdf – Google Drive

 




মেহেরপুরে ২১ ছাত্রী সাইকেল ও ১১ প্রতিবন্ধী পেল হুইল চেয়ার

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের উপজেলা উন্নয়ন তহবিল (ইউডিএফ) প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দরিদ্র ও মেধাবী ২১ জন ছাত্রী এবং ১১ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে বাইসাইকেল ও হুইলচেয়ার বিতরণ করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বাইসাইকেল ও হুইলচেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডঃ আবদুল ছালাম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক ডঃ আবদুল ছালাম বলেন, সারা দেশে স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম। এজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেই উদ্যোগেরই একটি অংশ হিসেবে আজ এই বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। অনেক ছাত্রী আছে যারা দূরত্ব বা আর্থিক কারণে নিয়মিত স্কুলে আসতে পারে না। তাদের সেই কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে এবং উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দরিদ্র ও মেধাবী পরিবারের ছাত্রীদের হাতে এই বাইসাইকেল তুলে দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাইদুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান এবং মোমিনপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাব্বারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত

ঝিনাইদহে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার কলামনখালী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি ও কলামনখালী গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী এবং বিএনপি নেতা মাসুদ জোয়ার্দারের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বেশ কয়েকদিন যাবত কলামনখালী গ্রামে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আসাদ চৌধুরীর ৮ জন এবং মাসুদ জোয়ার্দারের পক্ষের ৭ জনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।




গাংনীতে ৬ লাঠিয়াল দলের নজরকাড়া রণকৌশল ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা

মেহেরপুরের গাংনী বাজার উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে দিনব্যাপি লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে গাংনী ফুটবল মাঠে খেলার উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

কালের বিবর্তনে সামন্ত প্রভুদের খাজনা আদায়ের লাঠিয়ালদের সেই নিষ্ঠুরতা এখন মানুষের বিনোদন যোগাচ্ছে। লাঠিয়ালদের কলা-কৌশলও বেশ নজরকাড়া। প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে নানা কৌশলে লাঠি চালাচ্ছেন একপক্ষ। অন্যপক্ষও আত্মরক্ষার্থে অবলম্বন করছেন নানা কৌশল। এ যেন আনন্দদায়ী পাতানো এক যুদ্ধ! হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী পাতানো যুদ্ধে মুগ্ধ হয়েছেন গাংনীর হাজারও দর্শক।

খেলার শুরুতেই বাদ্যের তালে তালে লাঠিয়ালদের নাচ, আক্রমণ ও প্রতিরক্ষামূলক কসরত যেন দর্শককে বিমোহিত করেছে। লাঠিখেলাকে কেন্দ্র করে গাংনীতে যেন সৃষ্টি হয়েছে এক লোকজ উৎসবের আমেজ, যেখানে জড়ো হয়েছে হাজারও বৃদ্ধ, নারী, পুরুষ ও শিশু। এ যেন আনন্দদায়ী পাতানো এক যুদ্ধ! হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী পাতানো যুদ্ধে মুগ্ধ হয়েছেন গাংনীর হাজারও দর্শক।

খেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলাকে পুনরুদ্ধার করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করা এবং সুস্থ ধারার সামাজিক বিনোদন প্রদান, মাদক ও জুয়ামুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে এই খেলাটির আয়োজন করা হয়েছে।

গাংনী বাজারপাড়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, জনপ্রিয় এই খেলাটি এখন বিলুপ্তপ্রায়। তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও মোবাইল আসক্ত থেকে মুক্ত রেখে শরীরচর্চায় আগ্রহী করতে খেলাটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও তিনি খেলাটি টিকিয়ে রাখতে সকলকে পৃষ্ঠপোষকতার আহ্বান জানান।

স্কুল ছাত্রী রোমানা খাতুন বলেন, আমি কখনো লাঠিখেলা দেখিনি। আজকে এই খেলাটি দেখে আমি মুগ্ধ। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই খেলা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। লাঠিখেলা চর্চা করলে আত্মরক্ষায়ও সহায়ক হতে পারে।

চাঁন্দামারী গ্রামের দর্শক আয়ূব হোসেন বলেন, হারিয়ে যাওয়া খেলাটিকে বারবার আয়োজনের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে হবে। খবর শুনে আমি সেই দশ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে লাঠিখেলা দেখতে ছুটে এসেছি। ছোটবেলায় আমরা দল বেঁধে বিভিন্ন এলাকায় লাঠিখেলা দেখতে যেতাম। এখনকার ছেলে-মেয়েরা শুধু মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে তারা সামাজিকতা, ভদ্রতা, বড়দের সম্মান ও ছোটদের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করতে ভুলে যাচ্ছে। পুরানো খেলাধুলার মধ্যেই আমাদের আসল সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে। সেগুলোকে আবারও ফিরিয়ে আনতে হবে।

শিশিরপাড়া লাঠিয়াল দলের টিম লিডার আনিছুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই খেলায় যেমন দর্শকরা আনন্দ পায়, তেমনি এ খেলার মাধ্যমে আত্মরক্ষার নানা কৌশলও শেখা যায়।

খেলার আয়োজক কমিটি গাংনী বাজারপাড়া উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা মকবুল হোসেন মেঘলা বলেন, যুব সমাজকে খেলা-ধুলার মাধ্যমে মাদকমুক্ত ও জুয়ামুক্ত করতে এই আয়োজন করা হয়েছে। মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘকাল ধরে বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে এই লাঠিখেলা। জুয়া, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নতুন প্রজন্ম গড়তে এ ধরনের খেলা টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য এটি বিনোদন হলেও একসময় লাঠিখেলাটি আত্মরক্ষার রণকৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আগে জেলার বিভিন্ন গ্রামে অন্তত একটি লাঠিয়াল দল থাকত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই খেলাটি প্রায় বিলুপ্ত হয়েছে। অনেকদিন পর গাংনীতে লাঠিখেলার আয়োজন হয়েছে। এমন আয়োজনের জন্য আয়োজক কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।

এর আগে সকাল ১০টার সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে খেলাটির উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন। গাংনী বাজারপাড়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সোহানুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক এবং মেহেরপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী।

খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের মধ্যে প্রধান অতিথি পুরস্কার বিতরণ করেন।




মেহেরপুরের বারাদীতে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সদর উপজেলার বারাদী গ্রামে গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকাল ৫টার দিকে বারাদী বাজারে প্রধান সড়ক ও দোকানপাটে এ গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

গণসংযোগে নেতৃত্ব দেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দিন খান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুব আলম, মেহেরপুর জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হুসাইন, মেহেরপুর সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, মেহেরপুর সদর উপজেলার সেক্রেটারী ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাব্বারুল ইসলাম মাষ্টার, মেহেরপুর শ্রমিক ফেডারেশনের সদরের সভাপতি আব্দুল হোসেন, বারাদী ইউনিয়নের আমির মাওলানা আসাদুজ্জামান , সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক, রারাদী ওয়ার্ডের সভাপতি মাওলানা মজিবুর রহমানসহ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।গণসংযোগ কর্মসূচিতে আসন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।




মেহেরপুরে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের জামায়াতে যোগদান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সদর উপজেলার বারাদী ইউনিয়নের ২৭টি  পরিবার জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬টার সময় বারাদী ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর অফিসে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা আমির ও মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দিন খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুব আলম, মেহেরপুর জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হুসাইন, মেহেরপুর সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, মেহেরপুর সদর উপজেলার সেক্রেটারী ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাব্বারুল ইসলাম মাষ্টার, বারাদী ইউনিয়নের আমির মাওলানা আসাদুজ্জামান, সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাকসহ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নতুন যোগদানকারীদের হাতে ফুল ও মিষ্টি খাওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীতে স্বাগত জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে মাওলানা তাজউদ্দিন খান বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়ের সমাজ গঠনের আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী সবসময় জনগণের পাশে আছে। এই যোগদান আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করবে।

স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের জামায়াতে যোগদান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে বলে জানান।




দামুড়হুদায় বাবার কাছে নেশার টাকা না পেয়ে ঘরের টিন ও ইট বেঁচে দিলেন নেশাগ্রস্ত ছেলে

দামুড়হুদা উপজেলার বড়দুধপাতিলা পৃর্ব পাড়ায় বাবার কাছে নেশার ৫ হাজার টাকা না পাওয়ায় ঘরের টিন ও ইট বেঁচে দিলেন ছেলে সুমন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত শনিবার দামুড়হুদা উপজেলার বড়দুধপাতিলা পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক ইউনুসের কাছে নেশাগ্রস্ত ছেলে সুমন (৩৫) ৫ হাজার টাকা চাই। বৃদ্ধ বাবা টাকা দিতে না চাইলে বাবা ও মা ‘কে হত্যার হুমকি দেয়। মা আগেই বাড়ি থেকে পাশের এক বাড়িতে অবস্থান নেয়। বাবা ইউনুস ভ্যান নিয়ে চলে যায় দামুড়হুদা।পরে নেশাগ্রস্ত ছেলে সুমন শোভার ঘরের টিন ও ঘরের ইট বিক্রি করে দেয়। এতেও ক্ষ্যন্ত হয়নি নেশাগ্রস্ত ছেলে সুমন। রান্না করে খাওয়া চুলাও ভেঙ্গে দেয়।

ভ্যান চালক বাবা ইউনুস জানায়, বর্তমানে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। তারপর কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় পুলিশের কাছে বিষয়টি জানালে পুলিশ বলে আপনি চুয়াডাঙ্গা কোর্টে চলে যান, ওখানে মামলা করেন। এখানে এ মামলা হবে না।

বৃদ্ধ বাবা কোনো দিক না তাকিয়ে সোধা শাপটা বাসায় চলে আসে। এসে সাংবাদিকদের নিকট ফোন দেয়। সাথে সাথে সাংবাদিকরা হাজির হয় ঐ বাসায়। সাংবাদিকরা সরজমিনে গেলে মেলে ঘটনার সত্যতা।

তিনি বললেন, বাবা তোমরা আমাদের সন্তানের মতো, একটা কিছু ব্যাবস্থা করো। তা নাহলে, আমরা যেকোনো মুর্হূতে খুন হয়ে যেতে পারি। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে ভুক্তভোগী মহল।




হারানো ১১২ মোবাইল উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিল পুলিশ

হারিয়ে যাওয়া ও চুরি-ছিনতাই হওয়া ১১২টি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। এসময় প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া ৯৩ হাজার ২২০ টাকা ও প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।

গতকাল রবিবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ উপস্থিত থেকে প্রকৃত মালিকদের কাছে এসব মোবাইল বুঝিয়ে দেন। এসময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের আবুল হাশেম, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের উপপরিদর্শক খালিদ হাসান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক ইখলাচুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, অভিযোগ ও জিডির ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে মোবাইলগুলো উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সহায়তায় খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।