দর্শনায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ান

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ সহ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা স্বাভাবিক রাখতে দর্শনা সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রেফিং করেছে।

গতকাল শনিবার দুপুর ২ টার দিকে দর্শনা থানায় পুলিশ – বিজিবির যৌথ উদ্যোগে এ প্রেসব্রেফিং অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রেসব্রেফিংয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, দেশের স্বার্থে দর্শনা থানা পুলিশ কে মাঠে নেমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কাজে নিয়োজিত থাকার আহ্বান করেন। প্রয়োজনে বিজিবি সার্বক্ষণিক তাদেরকে সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।

তিনিও আরও বলেন সীমান্ত এলাকা এই এলাকায় কোন প্রকার ডাকাতি ছিনতাই অবৈধ মাদক চাঁদাদাবিসহ যে দলেরই হোক কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এ সময় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন,আমাদের ১১ দফা দাবি দিয়েছি এ দাবিগুলো মেনে নিলে আমরা সবাই আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বদ্ধপরিকর থাকবে বাংলাদেশ পুলিশ। সে সাথে বলেন আমরা প্রয়োজনে যৌথভাবে টহল জোরদার করা হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,দর্শনা থানার ওসি অপারেশন শফিকুল ইসলাম, এস আই তারেক, এ এস আই আবু হানিফসহ পুলিশ বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গার মোড়ে মোড়ে যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

অগোছালো আলমডাঙ্গা পৌর শহরের যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিকের দায়িত্বপালন করছে কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। গত তিন দিন যাবৎ শহরের আলতায়েবা মোড়, চারতলার মোড়, রেল স্টেশন, সাদাব্রিজ ও লালব্রিজ এলাকায় তাদের দায়িত্বপালন করতে দেখা যায়। ছাত্রদের পাশাপাশি রয়েছে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আনসার সদস্যরাও।

আজ শনিবার সকালে লালব্রিজ মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন কয়েকজন ছাত্র। দায়িত্বপালনে কথা হয় আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের দ্বাদশ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সজিব আহমে¥দের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নাজুক অবস্থায় পৌর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা। এ শহরে যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও দীর্ঘদিন ট্রাফিক কোন ব্যবস্থা ছিল না। যত্রতত্র পাকিং ও শৃঙ্খলা বিহীন যানবহন চলাচলে শহরে যানজট লেগেই থাকত। আমরা শহরের গুরুত্বপূণ মোড়ে মোড়ে যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্ঠা করছি।

আরেক শিক্ষার্থী সাজেদুর রহমান সানজিদ বলেন, দেশের পাশাপাশি আমাদের নিজেদের শহর সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। বৈষম্য ছাত্র সংগঠনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে সড়ক পরিচ্ছন্ন অভিযান চালানো হয়েছে।

ছাত্রদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে পৌর এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ। তারা দাবি করেন, এ শহরে দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কজুড়ে যানজট, ফুটপথ দখল , যত্রতত্র যানবাহন পাকিং করায় চলাচলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। পৌর কতৃপক্ষ জলাবদ্ধতা দুরীকরণেও কোন সময় উদ্যোগ নেয়নি। এ শহরে যানবহন বাড়লেও ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেনি তারা। সড়কে পরিচ্ছন্নতার নামে তামাশা করে। আজকের ছাত্র আলমডাঙ্গা পৌরবাসীকে দেখিয়ে দিচ্ছে। ইচ্ছা করলেই সব কিছু সম্ভব।

আলমডাঙ্গা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আজিজুল হাকিম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর শহরে কোন পুলিশ নেই। শহরের শৃঙ্খলা রক্ষায় ছাত্রদের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও দায়িত্বপালন করছেন। এ অবস্থায় শহরবাসীর জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ববোধ থেকেই সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি।




বারাদী বাজারে শাপলা ফ্যাশানে চুরির অভিযোগ দোকান মালিকের

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী বাজারে শাপলা ফ্যাশনে চুরির অভিযোগ তোলেন দোকান মালিক ফিরোজ আলী। গতকাল শনিবার সকালে দোকানে এসে তিনি তার দোকানের মালামাল চুরির অভিযোগ তোলেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল বেলায় দোকান মালিক ফিরোজ আলী দোকানে এসে দোকানে শাটারের তালা বিহীন অবস্থায় দেখতে পান। পরে দোকানের শাটার তুলে তিনি দেখেন দোকানের শোকেসের গ্যালারির সমস্থ মালামাল লোপাট হয়ে গেছে। দোকান মালিক ফিরোজ আলী তার দোকানে চুরির অভিযোগ তুললে আশেপাশের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের ভিড় জমতে শুরু হয় দোকানের সামনে। শাপলা ফ্যাশানে চুরির ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায় চারিদিকে। শাপলা ফ্যাশানের এমন দুর্র্ধষ চুরির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন আশেপাশের ব্যবসায়ীরা। চুরির ঘটনার খবর পেয়ে বারাদী বাজারের নবনির্বাচিত আহবায়ক কমিটির সদস্যরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। শুরু করেন তদন্ত ডাকা হয় বাজার পাহারার দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরীদের।

বাজারের নৈশ প্রহরী কিসমত আলী বলেন, সারারাত বাজার পাহারা শেষে আমি বাড়ি যাওয়ার সময় সকল দোকানের তালা চেক করে যায়। তখনো শাপলা ফ্যাশানের দোকানে তালাবদ্ধ ছিল। তাছাড়া দোকান মালিক কর্তৃক দোকানে চুরির অভিযোগ তুললেও দোকানের তালা বা শাটার ভাঙ্গা এবং দোকানের ভিতরের সিসি ক্যামেরা বা ক্যাশবাক্স ভাঙার কোন আলামত পাওয়া যায় না এবং দোকানের সিসি ক্যামেরার ডিভাইস দেখতে না পাওয়ায় জনমনে সৃষ্ট হয় সন্দেহ।

ইতিমধ্যে রাসেল নামের এক ইজিবাইক চালক জানায় তিনদিন আগে তিনি শাপলা ফ্যাশান থেকে মালামাল নিয়ে দোকান মালিক ফিরোজ আলীর পৈতৃক বাড়ী হিজুলী গ্রামে রেখে আসেন। তখন বাজারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে তার বাবার বাড়ীতে দুই বস্তা ও তার পাশ্ববর্তী চাচার বাড়ীতে গিয়ে চার বস্তা চুরি যাওয়া মালামালের দেখা পায়। এ সময় বস্তার মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সময় দোকানের কর্মচারী সুলতান আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সুলতান আহমদ দোকানের মালামাল সরানো ও চুরির ঘটনা স্বীকার করে। সুলতান বলেন দোকান মালিক ফিরোজ আলীর নির্দেশে কয়েক দিন আগেই দোকানের মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়, তাছাড়া শুক্রবার দিনগত রাতে দোকান বন্ধ করে যাওয়ার আগে আমরা গ্যালারীর মালামাল সরিয়ে দোকানের প্লাস্টিকের বক্সে ভরে রাখি এবং সিসি ক্যামেরার ডিভাইস খুলে নিয়ে যায়। পরে ভোরের দিকে এসে আমি দোকানের তালা খুলে নিয়ে যায়। কি উদ্দেশ্যে বা কেন তারা এই চুরির নাটক সাজিয়েছে এমন প্রশ্নের সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কমিটির সদস্যরা বলেন, বাজারের নতুন কমিটিকে ফাঁসাতে এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল ও রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্যই দোকান মালিক এই নাটক সাজিয়েছে।

এবিষয়ে সাধারণ মানুষেরা বলেন, কারো কুবুদ্ধিতে বা ইন্ধনে দোকান মালিক এমন টা করতে পারে। তবে দুপুরের পর থেকে দোকান মালিক ফিরোজ আলী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

বারাদী বাজারের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মুকুল (মেম্বার) বলেন, এটি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে দোকান মালিক এই চুরির নাটক সাজিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে বাজার কমিটির সদস্যদের নিয়ে এই সাজানো নাটকের বিচার করা হবে।




কালীগঞ্জে ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার দিল ফারিয়া

ফার্মাসিটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ এ্যাসেসিয়েশন (ফারিয়া) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শাখার উদোগে শহরের মেইন বাসটার্মিনাল ট্রাফিক মোড়ে শিক্সার্থীদের মধ্যে দুপুরের খাবারের বিতরণ করেন। শিক্ষার্থী গত কয়েকদিন ধরে শহরের উপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন নিয়ন্ত্রনে ট্রাফিকের কাজ করছে। ট্রাফিকের দ্বায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি।

আজ শনিবার শহরের ট্রাফিকের দ্বায়িত্ব পালন করে ২৮ জন শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন ফারিয়া। উপস্থিত ছিলেন সংগটনের সভাপতি আশিকুর রহমান সোহাগ, সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিকুজ্জামানসহ নেতৃবৃন্দ।

একই সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পানিয় ও কমল পানি বিতরণ করেন আরটিভির জেলা প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিপলু জামান।




ঝিনাইদহে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলন

সারা দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। আজ শনিবার সকালে শহরের ফ্যামিলি জোন রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এলমা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বৈরশাসকের পতনের পর জেলার বিভিন্নস্থানে হানাহানি, দখল, বাড়িঘর ভাংচুরসহ নানা নৈরাজ্য সংগঠিত হচ্ছে। এমন ক্ষয়ক্ষতিতে ছাত্রসমাজ দারুন ব্যথিত। বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের সুবিধার জন্য এ আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। জেলায় নৈরাজ্য ঠেকাতে ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ। সকল অনৈতিক কর্মকান্ড ছাত্ররা পর্যবেক্ষণ করছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জনগনের নিকট জবাবদিহি ও ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও চলমান সংকটে জনমানুষের নিরাপত্তায় অনতিবিলম্বে পুলিশের দায়িত্বে ফেরার আহবান জানাচ্ছি। তিনি বলেন এ দেশের শিক্ষার্থীরা সত্যিকারে মানবিক, জবাবদীহী ও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে এ আন্দোলনের সফল হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহের রাজপথে থেকে তৎকালীন স্বৈরাশাসকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চলামান রেখেছিল। আপনারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্যামেরার পিছন থেকে, আবার কেউ কলম দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রামকে সফলতা আনতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছেন। তাদেরকে রাজনৈতিক সংগঠনের আজ্ঞাবহ না থেকে গণমানুষ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশে থাকার আহবান জানান।

সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক এলমা খাতুন, আবু হুরাইরা, রায়হান হোসেন রিহান, শারমিন সুলতানা, রত্না খাতুন, সাজেদুর রহমান, নুসরাত জাহান সাথী, আনিছুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কুষ্টিয়ায় বাজার মনিটরিং করছে শিক্ষার্থীরা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে বেরিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বের পাশাপাশি চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান। আর এসবের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে পৌরবাজারে মনিটরিংয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় কাঁচামাল, মাছ, মাংস, পেঁয়াজ-রসুন, মসলাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যাচাই করেন।

জেলা শহরের পৌর বাজারে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজারে মূল্যতালিকা দেখছেন। তালিকা অনুযায়ী ঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তাও দেখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বাজারের সব বিক্রেতাকে বলে আসেন তারা যেন কোনো পণ্যের দাম অতিরিক্ত না নেন এবং যেন কাউকে চাঁদা না দেন। এ ছাড়া অযথা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে না ফেলারও আহ্বান জানান তারা।

এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটকে দায়ী করে বিক্রেতারা বলেন, ইজারা ফি কমানো, চাঁদাবাজি বন্ধসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী লামিয়া সুলতান পাবনী জানান, সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এইজন্যই আমরা কুষ্টিয়ার পৌরবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মনিটরিংয়ে যায়। আমরা আড়তে, পাইকারি-খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রব্যের দাম নিয়ে কথা বলি। উনারা আমাদের জানিয়েছেন উনারা এখন থেকে সীমিত মুনাফায় বিক্রি করবেন।

তেজগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তারিফ মোস্তাফিজ বলেন, মূল্য নির্ধারণ ও সিন্ডিকেট মোকাবিলায় আমরা সদা তৎপর। সেজন্য বাজারের ক্রেতাদের এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করি। আমরা তাদের বলেছি কেউ যদি ক্ষমতার প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে যেন আমাদের জানায়। ব্যবসায়ী, ক্রেতা, বিক্রেতারা এই ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বাগত মাহমুদ বলেন, আমরা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের অতিরিক্ত মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি না করার আহ্বান জানিয়েছি। কোনো পণ্যের দাম অযথা বাড়ানো হয়, তবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে কমতে শুরু করেছে পণ্যের দাম। তাদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

ক্রেতা রাব্বু হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি ঘন ঘন বাজার মনিটরিং করে তাহলে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে। যারা বিভিন্ন অজুহাতে সিন্ডিকেট করছেন তারা বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে না।




উল্লাসে যা করবেন না

আনন্দ উদযাপনে তো ক্ষতি নেই। তবে অনেক সময় তা করতে গিয়ে অনেকেই হিতাহিতজ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়েন। আবেগ আর উত্তেজনার বশে অনেক কাজই করেন যা ঠিক নয়। খেলাধুলা থেকে কোনো অর্জনের ক্ষেত্রেও তা সত্য। এই আবেগ প্রশমনে যা করা উচিত।

প্রতিহিংসা নয়
রেষারেষি থাকতেই পারে। যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক বিষয়েও আপনি সব সময় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাইবেন। এগুলো সবই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো মানুষের সামনে নিজের প্রতিহিংসার প্রকাশ ঘটাবেন না। হিংস্র আচরণ করবেন না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

উস্কানি বা গুজব নয়
এমন কিছু বলবেন না, যা থেকে উত্তেজনা ও বিবাদ সৃষ্টি হতে পারে। কখনোই কাউকে ছোট করে কথা বলবেন না। কোনো ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের অসম্মান করে কোনো কথা বলবেন না। কারো পারিবারিক পেশাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। কাউকে হুমকি দেবেন না। সবচেয়ে বড় কথা উস্কানি শুনে গুজব ছড়াবেন না।

সাম্প্রদায়িক আচরণ
সাম্প্রদায়িক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন। বাংলাদেশের সংবিধানেই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে। অন্য কোনো সম্প্রদায়কে খাটো করে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। এমন কাজ করবেন না, যাতে কোনো উপাসনালয় ও মানুষের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়, অবমাননা হয়।

ধ্বংস নয়
অন্যের সম্পদ ‘নিজের’ বলে দাবি করবেন না বা নিয়ে নেবেন না। কাউকে তাঁর আবাসস্থল থেকে সরে যেতে বাধ্য করবেন না। রাষ্ট্রীয় সম্পদকেও কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন করে নেওয়ার সুযোগ নেই। কারো সম্পদ নষ্ট করবেন না।

অন্যের অসুবিধার সৃষ্টি করবেন না
আপনার আনন্দ-উল্লাসে যাতে অন্যের অসুবিধা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আবাসিক এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত শব্দ করবেন না। উৎকট আওয়াজে অসুস্থ ব্যক্তির অসুবিধা হতে পারে। উদযাপনের ভঙ্গিটি যেন এমন না হয়, যাতে অন্যের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন।

আইন উপদেষ্টা ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, আমাদের প্রধান বিচারপতি কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে। এটা উপযুক্ত প্রসেসিংয়ের জন্য কালবিলম্ব না করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেবো এবং আমরা আশা করবো, খুব দ্রুত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আমরা কেবল প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র পেয়েছি, অন্যদের বিষয়ে কোনও আপডেট নেই।

আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পরে তা স্থগিত ঘোষণা করেছেন তিনি।

এই ফুলকোর্ট সভা ডাকাকে ‘জুডিশিয়ারি ক্যু’ সন্দেহ করে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সকাল ১১টার দিকে হাইকোর্ট চত্বরে তিনি বলেন, পদত্যাগ না করলে আমরা প্রধান বিচারপতিসহ দলবাজ বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করে পদত্যাগে বাধ্য করবো।

তবে পদত্যাগের খবর জানিয়ে নতুন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সবাই শান্ত থাকবেন। দেশের সম্পদ নষ্ট করবেন না।

এর আগে প্রধান বিচারপতি গনমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি সন্ধ্যার মধ্যে নিয়ম অনুসারে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। অন্যান্য বিচারপতিরা কী করবেন, প্রশ্ন করলে তাদের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি প্রধান বিচারপতি।
সূত্র: ইত্তেফাক




ইঞ্জিনিয়ার নেবে মেঘনা গ্রুপ

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতিষ্ঠানটির আরসিসি স্ট্রাকচার বিভাগ ড্রাফটিং ইঞ্জিনিয়ার পদে জনবল নেবে।আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ

পদের নাম: ড্রাফটিং ইঞ্জিনিয়ার

বিভাগ: আরসিসি স্ট্রাকচার

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা

অন্যান্য যোগ্যতা: স্থাপত্য, এবং কাঠামোগত স্ট্রাকচার আঁকতে অটো সিএডিতে দক্ষতা, কারখানা ভবন, আবাসিক ও বাণিজ্যিক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য আরসিসি নির্মাণ অঙ্কনে দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৫ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই

কর্মস্থল: ঢাকা (উত্তরা)

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ১৬ আগস্ট ২০২৪




মেহেরপুরের ক্ষতিগ্রস্থ ইসকন মন্দিরে পরিদর্শন করলেন আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা

মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার পৌর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসকন মন্দির পরিদর্শন করেন মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা।

আজ শনিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সদরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড.মারুফ আহাম্মেদ বিজনের নেতৃত্বে আইনজীবী ও বিএনপি নেতারা মন্দির পরিদর্শন করেন।

এসময় পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান স্বপনসহ বিএনপি পন্থী আইনজীবী ও নেতৃবৃন্দরা উপসস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে  মন্দিরের পুরোহিতের কাছে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।