দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা

দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামী। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ নায়েব আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ রুহুল আমীন।

এসময় প্রধান অতিথি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেন, এদেশে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেদিকে আমাদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দূর্নীতি করে কেউ যেন পার পেয়ে না যায় সেজন্য আপনাদের কে তথ্য দিয়ে প্রশাসন কে সাহায্য করতে হবে। ভাল কে ভাল বলার সৎ সাহস আপনাদের কাছে আমরা কামনা করি। সমাজের ইতিবাচক খবর গুলোকে আপনারা গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করবেন, যেন সমাজের মানুষ ইতিবাচক কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতা কর্মী মাদকমুক্ত, দূর্নীতি মুক্ত, দখলদার মুক্ত, টেন্ডারবাজ মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, গ্রুপিং মুক্ত, জামায়াতের মূল শক্তি আল্লাহর উপর ভরসা, ধৈর্য্য এবং দলীয় শৃংখলা তার পরেও যারা আমাদের গালিদেয়, মারে, জেলে পুরে হত্যা করতে চাই, শত্রুতা করতে চাই, তাদের রাজনৈতিক শক্তি কি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কি? তারা কি দেশ এবং জাতীর জন্য কিছু করতে চাই না নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে ? এই প্রশ্ন আপনাদের মাধ্যমে জাতীর কাছে রাখলাম। আমরা বিশ্বাস করি দুনিয়ার জীবনের সমাপ্তি আখেরাতের জীবনের সূচনা, দুনিয়ার প্রত্যেকটি কাজের হিসাব আখেরাতে দিতে হবে ।

দুনিয়ার জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী আখেরাতের জীবন স্থায়ী। দুনিয়ার জীবনে সুখ দুঃখ উভয়ই আসে আর আখেরাতে শুধুই সুখ অথবা শুধুই দুঃখ । আমরা জামায়াত কর্মীরা আখেরাতের জীবন কে প্রাধান্য দেয় বলেই দুনিয়ার এই তথাকথিত প্রতিযোগীতায় গিয়ে অর্থশালী হতে আগ্রহী হয় না। শেখ হাসিনা সরকার এক “দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সাংবাদিক দের স্বাধিনতা হরণ করেছিল। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এক দলীয় ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করার উদ্দেশ্য ডিজিটাল আইনে শত শত মামলা করলেও, সাগর রুণীর হত্যা সহ অসংখ্য সাংবাদিক’দের হত্যার বিচার হয়নি। বরং দিনের পর দিন উক্ত হত্যা মামলার বিচার বিলম্বিত করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা চাই আইন বর্হিভূত হত্যার বিচার হোক। সকল দূর্নীতির বিচার হোক। সকলেই আইনের শাসনের আওতায় আসুক। সরকারের সকল কর্মচারী, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক সহ সরকারী সকল দপ্তর রাজনীতি মুক্ত হোক।

দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আবেদ উদ দৌলার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাও মোঃ আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী এ্যাড. মোঃ আসাদুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারী এ্যাড. মোঃ মাসুদ পারভেজ রাসেল, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মোঃ রফিকুল ইসলাম জিয়া, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন শাখার আমির মোঃ আবুল বাশার। মতবিনিময় সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মোঃ রফিকুল ইসলাম জিয়া।




কোটচাঁদপুরের কুশনা বাওড় থেকে মাছ লুট

কোটচাঁদপুরের কুশনা বাওড় থেকে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকালে ওই বাওড় থেকে মাছ লুট হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন,সমিতির সভাপতি প্রশান্ত কুমার হালদার।

জানা যায়, গেল ২০১৮ সালে কোটচাঁদপুরের ফুলবাড়ি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি বাওড়টির ইজারা পান।এরপর থেকে তারা নির্বিগ্নে মাছ চাষ করে আসছিলেন বাওড়টিতে।

গেল ৫ আগষ্ট সরকার বদলের পর থেকে বাওড়ে প্রতিদিনই মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়। এরপর বাওড় থেকে আর কোন মাছ লুটের ঘটনা ঘটবে বলে আশ্বাস দেন নেতৃবৃন্দ। এরপরও শুক্রবার সকালে বাওড়ে মাছ ধরার সময় স্থানীয় এড়ান্দা গ্রামের কয়েকজন যুবক মাছ লুট করে নিয়ে যায়।

যার মধ্যে ছিলেন, ওই গ্রামের আকবার আলীর ছেলে রকি,ইসাহাকের ছেলে মোশাররফ হোসেন, সলেমানের ছেলে সবুজ, এরশাদের ছেলে জিয়া ও কলম বিশ্বাসের ছেলে মহাসিন আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুশনা বাওড়ের গার্ড সাইফার রহমান ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল। তারা বলেন, সরকার পতনের পর থেকে এলাকার কিছু দূর্বৃত্তরা প্রায় বাওড়ে হুইল, ছিপ ও জাল দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আজ শুক্রবার সকালে তাদের মধ্যে মহাসিন ও রকির নেতৃত্বে আবারও মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। ওই দুই জনের মধ্যে মহাসিন উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব ও রকি বিএনপি সমর্থিত নেতা বলে জানা গেছে। ওই সময় তারা বাওড় থেকে ৫০ হাজার টাকার মাছ লুট করেছেন বলে দাবি বাওড় কতৃপক্ষের।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন,মহাসিন উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব ছিলেন। তবে বিএনপি কোন লুটপাটে বিশ্বাস করে না। এ কারনে সে দলের যেই হোক না কেন,তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একই মন্তব্য করেন,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ওই মাছ লুটের ঘটনায় দলের যেই জড়িত থাকুক না কেন,প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বলেন,বাওড় থেকে কে বা কাহারা মাছ লুট করছেন। এমন খবর জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তবে তার আগে লুটকারীরা পালিয়ে যান। তাদের কাউকে দেখা যায়নি। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির অভিযানে ৪৫টি ভারতীয় অবৈধ মােবাইল ফােন উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গায় ৬ বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে বড়বাজারের একটি ফ্লাক্সিলােডের দােকান থেকে ৪৫টি ভারতীয় অবৈধ মাবাইল ফােন উদ্ধার করেছে।

আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় এ অবৈধ মােবাইল ফােন সেট গুলাে উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাঈদ মােহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি গতকাল বিকাল ৩টার দিকে মেইলে পাঠানাে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তীর মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের জানান, চুয়াডাঙ্গা শ্যাকরাতলা পাড়ার মরহুম আনােয়ার হােসনের ছেলে ফ্লাক্সিলােডের দােকানদার রাশেদ ভারত থেকে অবৈধভাবে মােবাইল ফােন সেট গুলাে চােরাই পথে নিয়ে আসে। গােপনে তার প্রতিষ্ঠানে যৌথ অভিযান করার আগেই রাশেদ পালিয়ে যায়। ওই দােকান থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৫ টি দামি মােবাইল ফােন সেটগুলো জব্দ করে চুয়াডাঙ্গার সদর থানায় জমা দিয়ে পলাতক রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি।




মেহেরপুরের যুবসমাজের বিজয় পথযাত্রা

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের কারণে মেহেরপুরের যুবসমাজ বিজয় পথযাত্রার আয়োজন করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

পথযাত্রায় তানভীর আহমেদ, গোলাম সাদাত, আবুল আল মামুন,মোনায়েম খান,এইজ এমন সায়েদ, মামুনূর রশিদ, রুবেল ইসলাম,রাহিমুল রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই মাদক কারবারীর জেল জরিমানা

চুয়াডাঙ্গা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আলমডাঙ্গায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ভূমির নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলমডাঙ্গার সহকারি কমিশনার ভূমি আশিষ কুমার বসু ও চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খানের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানাধীন বিভিন্ন এলাকার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে আলমডাঙ্গার রেল স্টেশন পাড়ার আখতার আলীর স্ত্রী হাসি খাতুনের নিকট থেকে ৪০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারে হাসি খাতুনকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান ও ৫শ’ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়। একই সময়ে স্টেশন পাড়ার আফহাল উদ্দিনের ছেলে সামাদ আলী (৩৫)’র বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারের সামাদ আলীকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১শ’ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় স্টাফবৃন্দ। দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




ভারতের বাঁধ খুলে কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিক্ষোভ

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডুম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মেহেরপুরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট ) বিকেল ৫ টার দিকে মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিছিল নিয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে বক্তব্য দেন বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারত সরকার অবৈধ বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে কৃত্রিম বন্যায় ঠেলে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাঁধ নিয়মে কখনো বলা নাই যে মধ্যরাতে আকস্মিকভাবে কোনো বাঁধ খুলে দেওয়া হবে। বাঁধ খুলে দেওয়ার আগে বাংলাদেশকে একটা সতর্কতা জারি করতে হয়, ভারত সেটা করে নাই। এই সব অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবকের মৃত্যু

অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলো তাওহিদুল আমিন শশী (২৫)। সড়ক দুর্ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) ভোরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

নিহত শশী মেহেরপুর শহরের ঘোষপাড়া এলাকার মোঃ সেলিমের ছেলে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৮ আগস্ট দিবাগত রাত ৮ মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সামনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শশী মারাত্মক আহত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই সময় তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেই চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।




পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রি, কোটচাঁদপুর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা

পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেছেন, দোড়া ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। তবে মামলা হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের ভোমরা ডাঙ্গা – চুয়াডাঙ্গা বাজারের পাশে হারুন অর রশিদের পুকুর ও সোয়াদি গ্রামের আনিসুর রহমানের পুকুর থেকে মাটি ব্যবসায়িরা দীর্ঘদিন ধরে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল।বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে বেশ কয়েক বার সর্তক করেন সংশ্লিষ্টরা। এরপরও তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা অব্যহত রেখেছিল।

এ কারনে গেল ২১ জুলাই পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে কোটচাঁদপুর থানায় পৃথক দুইটি এজাহার করেন,দোড়া ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।

ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে,তেঘরি গ্রামের পুকুর মালিক হারুন অর রশিদ,মাটি কাটার সহযোগী আব্দুর রহিম, শাহিন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, কায়দার আলী, আব্দার আলী, সোয়াদি গ্রামের পুকুর মালিক আনিসুন রহমান, সহযোগী পারভেজ হোসেন ও মনা বিশ্বাস।

এদিকে থানায় এজাহার করার ১৪ দিন পর মামলাটি নথিভূক্ত হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন,উপজেলার ভোমরা ডাঙ্গা – চুয়াডাঙ্গা ও সোয়াদি গ্রামের পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছিলেন ওই এলাকার প্রভাশালী মাটি ব্যবসায়িরা।

এ ব্যাপারে তাদেরকে সর্তক করা হলেও তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল।

এরপর উপজেলা নির্বাহী স্যারের নির্দেশে গেল ২১ জুলাই কোটচাঁদপুর থানায় পৃথক দুইটি এজাহার করা হয়। এদিকে এজাহার করার ১৪ দিন পর মামলা নথিভুক্ত করা হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে এমন অভিযোগ ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তার।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোছাঃ শারমিন আক্তার বলেন,মামলা হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। এ কারনে মামলা নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন মামলাটি নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি নিয়ে থানায় সংশ্লিষ্ট নায়েব এজাহার করেছেন। আপনারা ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন।




ঝিনাইদহে সিটি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ

ঝিনাইদহ কলেজ (সিটি কলেজ)’র অধ্যক্ষ বাদশা আলমের বিরুদ্ধে পাহাড়সহ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। একজন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন। এদিকে অধ্যক্ষ বাদশা আলম আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গাঢাকা দিয়েছে।

তিনি ৫আগস্ট থেকে আর কলেজে আসছেন না। শোনা যাচ্ছে কলেজ ফান্ডের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি ভারতে পালানোর চেষ্টা করছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ কলেজের অধ্যক্ষ বাদশা আলম আপাদমস্তক একজন দুর্নীতিবাজ। এক সময় তিনি ঝিনাইদহ সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখকের কাজ করতেন। এখনো দলিল লেখকদের তালিকায় তার নাম রয়েছে।

তিনি ঝিনাইদহ কলেজে (সিটি কলেজ)’র প্রথমে প্রভাষক ও পরে এক বছরের জন্য উপাধ্যক্ষ হন। আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর যোগ্যতা না থাকার পরও প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষের পদ দখল করেন। তিনি কলেজে ঠিক মতো আসতেন না। আসলেও দুপুরের পর যে করণে কলেজের কাজকর্ম ব্যহত হতো।

দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, অধ্যক্ষ পদে আসার আগে তিনি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করলেও জেলা শহরের আরাপপুর এলাকায় এখন তার দুইটি আলীশান বাড়ি। যার মধ্যে একটি পাঁচতলা ও একটি চারতলা বাড়ি। বাড়ি দুইটির আনুমানিক মুল্য ২০ কোটি টাকা হবে বলে তার প্রতিবেশিরা দাবী করেন। বেসরকারী কলেজের একজন অধ্যক্ষের এমন দুইটি আলিশান বাড়ি কি ভাবে হলো তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তিনি ১৩ বছর অধ্যক্ষ হওয়ার সুবাদে কলেজের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কলেজে ভর্তির সময় নেওয়া টাকার কোন হিসাব নেই। লাইব্রেরী ফান্ডে টাকা নেওয়া হলেও বই কেনা হয় না। শিক্ষার্থীদের আইডি বাবদ ভর্তির সময় টাকা নেওয়া হয় কিন্তু আইডি দেওয়া হয়না। ভর্তির সময় বিজ্ঞানাগারের জন্য টাকা কেটে রাখা হলেও ১৩ বছরে কোন যন্ত্রপাতি কেনা হয়নি।

আইসিটি ও কৃষি শিক্ষার ব্যবহারীর পরীক্ষায় বাধ্যতামুলক ভাবে ৩০০ টাকা করে জোর পুর্বক আদায় করেন অধ্যক্ষ বাদশা আলম। অনার্স লেভেলে ইনকোর্স পরীক্ষার নামে প্রতি ছাত্রের কাছ থেকে ৭০০ টাকা করে আদায় করেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। অনার্স ফাইনাল ইয়ারে ভাইবা পরীক্ষার নামে ছাত্র প্রতি ২০০০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়।

এ নিয়ে ২০২৩ সালে ছাত্রলীগ কলেজে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ করলেও অধ্যক্ষ বাদশা আলম এখনো জোরপুর্বক টাকা আদায় অব্যাহত রেখেছেন। কলেজে প্রতিটি নিয়োগে কয়েক কোটি টাকার বানিজ্য করা হয়েছে। খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়ার শিক্ষকরা নিয়মিত কলেজ করেন না। এ জন্য তাদের প্রতি মাসে অধ্যক্ষকে মাসোহারা দিতে হয়। ডিগ্রী ও উন্মুক্ত পরীক্ষায় নকল সরবরাহের জন্য কলেজের মালি আসলামের মাধ্যমে অর্থ আদায় করেন অধ্যক্ষ বাদশা আলম। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির সময় উন্নয়ন ফি বাবদ টাকা আদায় করা হলেও ১৩ বছরে কলেজের ফান্ড থেকে দৃশ্যত কোন উন্নয়ন করা হয়নি। অথচ কলেজের ৬টি একাউন্ট থেকে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে একাউটেন্ট মোঃ আইয়ুব হোসেনের সহায়তায় অন্তত ২কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে দুইটি বাড়ি নির্মান করেছেন।

এছাড়া অধ্যক্ষ বাদশা আলমের চাকরীর বয়স শেষ হলেও জাতীয় বিশ^বিদ্যলয়ের জাল কাগজ করে জোরপুর্বক অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করে বসে আছেন। অর্থ আত্মসাৎ ও অবসরের পরও অবৈধ ভাবে চেয়ার দখল করা নিয়ে অধ্যক্ষ বাদশা আলমের কাছে ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার অফিসে গিয়ে জানা যায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস জানান, অধ্যক্ষ বাদশা আলমের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তিনি তদন্ত করবেন। তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবেন।




ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপে হামলার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় প্রতিবাদ সভা

‘সাংবাদিকরা কারো প্রতিপক্ষ নয়। সাংবাদিকরা রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করে। এজন্য গণমাধ্যমের উপর যে কোনো হামলা-মামলা মেনে নেয়া হবে না।’ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মানিক আকবর। অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সাধারণ সম্পাদক মানিক আকবর, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন ও দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়া নিশি।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করে বর্তমান সরকার স্বচ্ছতার প্রমাণ দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা কারো পক্ষের না। এরা রাষ্ট্রের সম্পদ। গণমাধ্যমে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান বক্তারা।
শেষে গণমাধ্যমেকর্মীরা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন করে।