জনবল নিবে বসুন্ধরা গ্রুপ

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি প্রোডাকশন বিভাগ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বসুন্ধরা গ্রুপ

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার

বিভাগ: প্রোডাকশন

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: ২৪ থেকে ৩০ বছর

কর্মস্থল: ঢাকা (দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ)

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: টি/এ, মোবাইল বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, দুপুরের খাবারের সুবিধা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময়: ১৩ আগস্ট ২০২৪




মেসির বাড়িতে আন্দোলনকারীদের হামলা

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে খেলছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে ক্যারিয়ারের এক একটা সময় খেলেছেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সোলোনার হয়ে। ২০০৩ সাল থেকে বার্সেলোয়ার হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন তিনি।

প্রথমে বার্সেলোনার ‘সি’ টিমের হয়ে খেলার পর ২০০৪-২০০৫ মৌসুমে খেলেছেন ক্লাবটির ‘বি’ দলে। এরপর টানা ১৭ বছর খেলেছেন স্প্যানিশ জায়েন্ট ক্লাবটির মূল দলে। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে অসামান্য সাফল্য পান এই আর্জেন্টাইন। তার সময় ক্লাবটি কাটিয়ে নিজেদের ইতিহাসের সেরা সময়। বার্সার সমর্থকরাও এখনো এই কিংবদন্তিকে নিজেদের অন্তরে লালন করে। দীর্ঘ দুই দশক স্পেনের খেলার সুবাদে বার্সেলোনার ইবিজায় এলাকাতে ইবিজা ম্যানশন নামে লিওনেল মেসির ছিল বিলাস বহুল বাড়ি, যা নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ১১ মিলিয়ন ইউরো।

এবার এই কিংবন্তি ফুটবলারের বাড়িতে হামলা করেছে আন্দোলনকারীরা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে জানা যায়, বতর্মানে স্পেনের ঐ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, যার কারণে শহরে তীব্র তাপপ্রবাহের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েক জন মারা গেছে বলে জানা যায়। সেখানে ‘ফিউচারো ভেজেটাল’ নামে একটি সংঠনের সদস্যরা আন্দোলন করেছে।

তাদের মতে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের বাড়িতে পরিবেশ দূষণে সহায়ক। যার কারণে গেল সপ্তাহে আন্দোলনকারীরা এই আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার কিংবদন্তির বাড়িতে হামলা চালায়। সেই সঙ্গে বাড়ির দেওয়ালে প্রতিবাদী স্লোগানও লিখে দেয় আন্দোলনকারীরা, যা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এছাড়া সংগঠনটির সদস্যরা ব্যানার নিয়ে অবস্থান করে। সেখানে লেখা ছিল, ‘বিশ্বকে বাঁচান, ধনীদের প্রতিরোধ করুন এবং পুলিশ সরিয়ে নিন।’ এছাড়া আন্দোলনকারীরা নিজেদের এক্সে মেসির বাড়িতে হামলা করা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করে। তারা বাড়িটি অবৈধ।

এই নিয়ে তারা লিখেন, ‘আমরা মেসির অবৈধ ইবিজার বাড়িতে বিভিন্ন গ্রাফিতি এঁকেছি। অবৈধভাবে এই বাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে সাবেক এই বার্সা তারকা ১১ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন। ওই বাড়ি নির্মাণের সময়ও ২-৪ মানুষ নিহত হন এবং নির্মাণসংক্রান্ত কাজের কারণে তাপপ্রবাহ বেড়েছে।’ তবে নিজের বাড়িতে হামলা হওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি সাবেক এই বার্সা তারকা।

সূত্র: ইত্তেফাক




ফরহাদ হোসেন পরিবার নিয়ে কানাডায় পালিয়েছেন !

নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে রেখে সদ্য সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন পরিবার নিয়ে কানাডায় পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এমনকি পালিয়ে যাওয়ার আগে কারোর সাথে যোগাযোগ করেননি বলে বিভিন্ন জন অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগকারীরা এখনই নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

একটি বিশ^স্ত সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা পদত্যাগের কিছুক্ষণ আগে বা পরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে কানাডায় পালিয়ে গেছেন। তার একদিন আগে তার স্ত্রী মোনালিসা খাতুন ও দুই সন্তানকে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে সূত্রটি জানায়। তবে এ বিষয়টি পরিস্কার হওয়ার জন্য মেহেরপুর প্রতিদিন থেকে তাঁর ফোনে ফোন করা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ফোন করা হলেও তাদেরও পাওয়া যায়নি। এদিকে, গত সোমবার এই মন্ত্রীর মেহেরপুরস্থ বাসভবনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। একই সঙ্গে তার ভাই এর মার্কেটসহ জেলা আওয়ামী লীগের অফিস ও নেতাকর্মীদের বাসভভন ও অফিস ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধরা।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উড়ে এসে জুড়ে বসার মত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে একতরফা নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের কোন পদে না থাকলেও এমপি হওয়ার সুবাদে ২০১৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। এর পর থেকে শুরু হয় ভিন্ন মতের নেতাদের নির্যাতন। নানাভাবে নিজ দলীয় নেতাদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে তাদের দুরে সরিয়ে রাখেন। কমিটিতে পদ দেন হাইব্রিড নেতাদের । যাদের মধ্যে এমন অনেক নেতা ছিলেন যারা কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেননি। ত্যাগী নেতারা কেন্দ্রে নানা ভাবে অভিযোগ দিয়েও কেন্দ্র কোন কর্ণপাত করেনি। পরবর্তিতে ২০১৮ সালে তাকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের বহু নেতা সমাবেশ করে। তারপরও কেন্দ্র তাকেই মনোনয়ন দেন। বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হন ফরহাদ হোসেন। এবার এমপির পাশাপাশি তার মুকটে লাগে প্রতিমন্ত্রীর পালক । করা হয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। মাত্র তিন বছরের নেতা থেকে হয়ে যান প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে যেন আর মাটিতেই পা দেন না।

পরবর্তি ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও মনোনয়ন পান ফরহাদ হোসেন। নিজ দলের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করে নির্বাচত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর মুকুটে যুক্ত হয় আরও বড় পালক। করা হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রী। মন্ত্রী হওয়ার পর প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের ট্রাক ভোটে করার অপরাধে নানা ভাবে হামলা মামলায় জর্জরিত করেন।

একজন বেসরকারি কলেজের শিক্ষক থেকে গত ১০ বছরে এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার পর হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার ভাই বোন, আত্মীয় স্বজনরাও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অথচ ১০ বছর আগে তার ভাই-স্বজনদের সংসার চলতো না বলে লোকমুখে শুনা যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর প্রতিদিনে নানা অভিযোগ ও তার সহায় সম্পত্তির হিসাবের তথ্য আসতে শুরু করেছে। মেহেরপুর প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।




পুলিশ প্রশাসনে রদবদল

গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর ঢেলে সাজানো হচ্ছে প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালকসহ কয়েকটি শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বুধবার (০৭ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

র‌্যাবের নতুন মহাপরিচালক হয়েছেন একেএম শহিদুর রহমান। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. মাইনুল হাসান। তিনি এর আগে অপরাধ তদন্ত বিভাগের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক পদেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। এ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশিদ। তিনি এর আগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক ছিলেন।

এছাড়া ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকেও তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে তিনি পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের দায়িত্ব পেয়েছেন।

সূত্র: কালবেলা




গাংনীতে মূল নকসা বাদ দিয়ে সড়ক নির্মাণের চেষ্টা

মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর খামখেয়ালিপনায় প্রায় সাত শ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন আঞ্চলিক মহাসড়কটি মুল নকসা বাদ দিয়ে যেনোতেনোভাবে নির্মাণের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি মুল নকসা অনুয়ায়ী করার দাবি জানিয়েছেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহা: আব্দুস সালাম।

গত শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে এই প্রতিবেদকের সাথে একান্ত স্বাক্ষাতকারে এ দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্মাণে সরকার প্রায় সাত শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সাত শ কোটি টাকা ব্যায়ের সড়ক ও জনপথের যায়গার উপর মুল নকসা অনুযায়ী আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি নির্মাণ না হলে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এছাড়া বেহায়েত হয়ে থাকবে সড়ক ও জনপথের জমি।
কি আছে মুল নকসা?

গাংনী মহিলা কলেজ মোড় থেকে হাটবোয়ালিয়া রাস্তার সংযোগ সড়ক। মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া রাস্তা চার লেন সড়ক এবং কুষ্টিয়া থেকে হাটবোয়ালিয়া রাস্তার সংযোগ সড়ক। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া এবং হাটবোয়ালিয়া রাস্তার মোহনায় ত্রিভুজ আকৃতির ইন্টারসেকশন। সামনে বাসস্ট্যান্ড ও রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার। সড়কটি নির্মিত হবে ত্রিশ ফুট চওড়া ও রাস্তার মাঝখানে দুই মিটার ডিভাইডার। হাটবোয়ালিয়া সড়কের পশ্চিমে প্রায় ৯৫ ফিট দুরে গিয়ে ইন্টারসেকশনের মাথায় নির্মিত হবে যাত্রীদের জন্য বাস স্ট্যান্ড। নকসা অনুযায়ী মেহেরপুর প্রান্তের ইউটার্ন হবে কাথুলি মোড়ের কাছাকাছি ও কুষ্টিয়া প্রান্তের ইউটার্ণ হবে গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি।

সড়ক ও জনপথের এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ১৯৬৩/৬৪ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভূমি অধিগ্রহণকৃত এসএ ২১৫৬, ২১৫৭, ২১৫৫, ২১৪৩, ২১৫০, ২১৪১, ২১৪২, ২০৯৬, ২০৯৫, ২০৯৪, ২২১৯, ২২১৭, ২২০৮, ২২০৬, ২১৫১, ২১৪৪, ২০৯৭, ২১৪৯ দাগে হওয়ার কথা। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসব দাগ নম্বরের অধিগ্রহণকৃত জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলে থাকলেও সেটা উদ্ধার করেনি। আঞ্চলিক এই সড়কটি নির্মাণের পূর্বে ২০২৩ সালের ১ মার্চ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জমি অজ্ঞাত কারনে উচ্ছেদ করেনি। অভিযোগ উঠেছে সড়ক বিভাগের সার্ভেয়ার পাপ্পু হোসেন মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে দখলদারদের কাছে সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জমি রেখে দিয়েছেন। এখন রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে সড়ক বিভাগ তাদের নিজস্ব ভূমি অবৈধ দখলদারদের কাছে রেখে মেহেরপুর জেলা পরিষদের যায়গায় করার পায়তারা চালাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহা: আব্দুস সালাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় তুলে ধরেন। সেখানে তিনি সাত শ কোটি টাকা ব্যায়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মুল নকসা অনুয়ায়ী করার দাবি জানান।

গাংনী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিক বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের নিজস্ব জমি ফেলে রেখে জেলা পরিষদের যায়গা অবৈধভাবে দখল করে গাংনী উপজেলা শহরে রাস্তা নির্মাণের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে করে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে রশি টানাটানি শুরু হবে। ফলে রাস্তার কাজ যেমন আইনি জটিলতায় আটকে যাবে। তেমনি রাস্তার সৌন্দর্যেরও হানি ঘটবে। তিনি আরও বলেন, সড়ক জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা অবৈধ এই কাজ করতে গেলে গাংনী বাজার কমিটির পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেবো।

জানা গেছে, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম মোস্তফা, সাব ডিভিশনাল প্রকৌশলী (এসডি) মিজানুর রহমান ও তাদের সার্ভেয়ার গাংনী উপজেলার তেরাইল বাজারের পাশে কলেজ শিক্ষক কামরুল ইসলামের জমি অবৈধভাবে দখল করে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালান। পরে জমির মালিক কামরুল ইসলাম এই তিনজনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে কামরুল ইসলামের যায়গা ছেড়ে দিয়ে সড়ক বিভাগের নিজস্ব যায়গায় রাস্তা নির্মাণ করছেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিমত সড়ক ও জনপথ বিভাগের খামখেয়ালিপনা বন্ধ করে তাদের নিজস্ব জমির উপর দিয়ে সাত শ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করুক। নাহলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে এলাকাবাসি।




গাংনীতে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে নিহত এক, আহত আট

এক সময় ছিলেন বিএনপির স্থানীয় নেতা। সরকার পরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে মিশে রাজনীতি করতে থাকেন ইনামুল হক। পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর পাল্টে যায় চিত্র।

গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) সকালে গাংনীতে বিএনপির ডাকা আনন্দ মিছিলে যান ইনামুল হক। এনিয়ে স্থানীয় বিএনপি কর্মী উজ্জ্বল হোসেন তাকে গোলআলু বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যার দিকে তার মুদি দোকান ভাঙচুর করে ইনামুল হক ও তার লোকজন। এঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে নাহারুল ইসলাম (৫৪) নামের একজন নিহত ও দুই ইউপি মেম্বরসহ অন্তত ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, নিহত নাহারুল ইসলামের বড় ভাই আইনাল হোসেন (৬২), আব্দাল হোসেন (৫৮), ইনামুল হক (৪০) ও তার ছেলে সিয়াম (১৭)। অপরপক্ষের আহতরা হলেন, মটমুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বর মহিবুল ইসলাম(৬৮), আশরাফুল ইসলাম কালু (৫৬), হামিদুল ইসলাম(৪৬) ও আমিরুল ইসলাম (৪০)।

আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

আহত ইউপি সদস্য মহিবুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে বিএনপির স্থানীয় নেতা উজ্জ্বল হোসেনের মুদি দোকান ভাঙচুর করেন ইনামুল হক ও তাদের লোকজন। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ইনামুল হক ও তার লোকজন দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। তারা এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। এক পর্যায় আমাদের লোকজনও তাদের মহড়া প্রতিরোধ করতে দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, তুচ্ছ ঘটনায় সৃষ্ট রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে নাহারুল ইসলাম নিহত হন। এসময় উভয় পক্ষের ৮ জন গুরুতর আহত হন।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছেছেন। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার পর এলাকায় চলছে চরম উত্তেজনা।




দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত

দেশব্যাপী মানুষের উচ্ছাসের যেনো শেষ নেই। আওয়ামীলীগ সরকার পতন হওয়ায় দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের আয়জনে বিশাল এক বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে দামুড়হুদা বিএনপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে দামুড়হুদার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও অগণিত সাধারণ মানুষের বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে বিজয় মিছিলে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আবুল হাসান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম আহবায়ক সেলিম উদ্দিন, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান জনি, ছাত্রদলের সভাপতি আফজালুর রহমান সবুজ, সদস্য সচিব এম ডি কে সুলতান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইকরামুল হোসেন, সদস্য সচিব জাকির হোসেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কবির, বিএনপি নেতা জামাল, সোনা, আলিম মেম্বার হামিদ মেম্বার, বিল্লাল হোসেন আলিফ খান, দেলোয়ার হোসেন, আশরাফুল, আজাদ, জাহাঙ্গীর, বকুল, সেলিম উদ্দিন, হাউলী ইউনিয়ন যুবদলের অন্যতম নেতা আরিফুল ইসলাম সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা বিএনপি যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল ছাত্রদল ও এলাকার সচেতন মহল বিজয় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটি গঠন

দীর্ঘ ১৬ বছর পর অসাংবাদিক এর হাত থেকে মুক্তি পেল দামুড়হুদা প্রেসক্লাব। দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেই সাথে নতুন ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এক জরুরী মিটিং এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী ভার্চুয়ালী কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এবিষয়ে প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রেসক্লাবের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এসময় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে উপস্থিত সকল সদস্যের সর্ব সম্মতি ক্রমে সাংবাদিক শামসুজ্জোহা পলাশ কে আহবায়ক, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ কে যুগ্ম আহবায়ক ও তানজির ফয়সাল কে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন, হাফিজুর রহমান কাজল, হাবিবুর রহমান, তাসির আহাম্মেদ, মোজাম্মেল শিশির, শাহাজামাল বাবু, আরিফুল ইসলাম মিলন, জাহাঙ্গীর আলম মানিক ও রকিবুল হাসান তোতা। সভায় আগামী ৩ মাসের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে জরুরী সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।




চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিএনপি ও জামায়াতের আনন্দ মিছিল দোয়া অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় বিক্ষোভ ও আনন্দ মিছিল করেছে বিএনপি ও জামাত, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও দর্শনা থানা শাখার উদ্যোগে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ে কেন্দ্র ঘোষিত শোকরানা মিছিল ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর রাজপথের এসব মিছিলে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারন মানুষের বাধঁভাঙ্গা জোয়ার ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকল অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর ও আয়কর আইনজীবী মোঃ রুহুল আমিন, জেলা নায়েবে আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, দামুড়হুদা থানা আমীর মোঃ নায়েব আলী, দর্শনা থানা আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, আলমডাঙ্গা থানা আমীর মোঃ দারুস সালাম ও আব্বাছ আলী এবং জেলা নেতৃবৃন্দ।

এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে প্রধান অতিথি বিজয়ের এই আনন্দে অতিসয্য হয়ে কেউ যেন আইনকে হাতে তুলে নিতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ হবার নির্দেশ দেন। আওয়ামীলীগের কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আপনারা আমাদের মাওলানা নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে আইনের মারপ্যাচে শহীদ করে যে কুলাঙ্গারের পরিচয় দিয়েছেন আমরা তার প্রতিশোধ নিতে চাইনে, কিন্তু এখনোও যদি কোন রকম ঘাপটি মেরে ক্ষতি করতে চান তবে কাউকে আর ছাড় দেয়া হবেনা।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়। আগামীতে সুযোগ আসছে, এ সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে এদেশের মাটি, এদেশের মানুষ, এ দেশের সংখ্যলঘু সম্প্রদায় জামায়াতে ইসলামীর কাছে আমানত। জামায়াত এ আমানত শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও রক্ষা করবে ইনশাআল্লাহ।

জামায়াতের এসব মিছিল সকাল সাড়ে ৯টায় দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক ঘুরে দেউলীর মোড়ে শেষ হয়। দর্শনায় বাসস্ট্যান্ড হতে সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে রেলবাজার আওয়ামীলীগের মুক্ত মঞ্চে সমাবেশ ও দোয়া শেষে আবার বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। আলমডাঙ্গায় উপজেলা মুক্তমঞ্চে সমাবেশ শেষে বিশাল মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আল তায়বার মোড়ে এসে শেষ হয় এবং উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ফুটবল মাঠে শোকরানা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে দর্শনা পুরাতন বাজার থেকে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় দর্শনা থানা ও পৌর বিএনপির উদ্দ্যগে ছাত্রজনতার আনন্দরালী অনুষ্টিত হয়েছে।

এ আনন্দ র‌্যালিটি দর্শনা পুরাতনবাজার থেকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের উৎসহপৃর্ন স্লোগান দেয়। র‌্যালি শেষে সম্প্রতি নিহত ছাত্র জনতার আত্নার মাগফেরাত কামনা করে দোয় ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেটের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, নাহারুল মাষ্টার, মসিউর রহমান, লুৎফর রহমান, আরিফ উদ্দীন, নাসির উদ্দীন খেদু, দর্শনা থানা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দীন লিটন, জালাল উদ্দীন, ফারুক মিয়া মহন মিয়া, আরাফাত, জাহান আলী, আশরাফুল প্রমুখ ।




মুজিবনগর থানার নবনিযুক্ত ওসি সাইফুল আলম

মুজিবনগর থানার গেটে ছাত্র জনতার বিজয় মিছিল দেখে দৌড়ে থানা থেকে পালিয়ে যান ওসি। এ সময় পুলিশের নিরস্ত্র সদস্যরা সহ নারী কনস্টেবলগণ হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। অনেক পরে পরিস্থিতি বুঝে আবারো থানায় ফিরে আসলে সেখানে কর্মরত পুলিশ সদস্যগন বিদ্রোহ করে বসেন এবং তার অধীনে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ সময় পুলিশ সুপার বাধ্য হন থানার ওসি পরিবর্তন করতে।

সোমবার (৫ আগষ্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবর পেয়ে সারা দেশের ন্যায় মুজিবনগরেও বিকাল ৫ টার দিকে বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র জনতা। এ সময় তাদের সাথে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরাও যোগ দেয়। মিছিলটি মুজিবনগর থানার মূল ফটকের সামনে পৌঁছালে সেখানে দাঁড়িয়ে তারা কিছুক্ষণ উচ্চস্বরে স্লোগান দেয়। স্লোগানের শব্দে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জল কুমার দত্ত দৌড়ে প্রাচীর ও তারকাটা পার হয়ে পালিয়ে যান।

এ সময় থানায় কর্মরত পুলিশের নিরস্ত্র সদস্যরা সহ নারী কনস্টেবলগণ হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। তারা করণীয় নিয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এবং খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে যোগাযোগ করেন। পুলিশ সুপার ও রেঞ্জ ডিআইজি পলাতক ওসি উজ্জ্বল কুমার দত্তের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল আলমকে মুজিবনগর থানায় পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার নির্দেশ দেন। রাত দশটার পরে থানাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত ফিরে আসলে তার অধীনস্থ পুলিশ সদস্যরা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেন। এবং পুলিশ সুপারকে জানান এই ওসি পরিবর্তন না করলে তারা সকলে পদত্যাগ করবেন। ওসি পরিবর্তনের দাবির প্রেক্ষিতে এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল আলমকে মুজিবনগর থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়।

ঘটনাটি জানতে মুজিবনগর থানার সদ্য সাবেক ওসি উজ্জ্বল কুমার দত্তের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

নবনিযুক্ত মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে পরিস্থিতির সাময়িক সমাধানে সোমবার রাত আটটার সময় মুজিবনগর থানায় আসি। পরবর্তীতে জানতে পারি আমাকে ওসি মুজিবনগর হিসেবে পোষ্টিং করা হয়েছে।’

মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান মঙ্গলবার বিকালে মুজিবনগর থানার ওসি পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইন্সপেক্টর উজ্জল কুমার দত্ত আপাতত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত রয়েছেন। তার ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’