গামছায় নান্দনিক সাজ

দেশীয় ফ্যাশন হাউসে একবার গিয়ে দেখুন। গামছার শাড়ি, কুর্তি, ব্লাউজ আর কটি এখন বাড়তে শুরু করেছে। গামছা দিয়ে বানানো ব্যাগ, টুপি, হেডব্যান্ড এমনকি পার্সও এখন দেদারসে ব্যবহৃত হচ্ছে।

গামছার মতো জিনিস কিভাবে ফ্যাশন অনুষঙ্গ হলো তা বোঝা জরুরি। পরতে আরামদায়ক ও টেকসই বলে গামছার কাপড় সব সময়ই সমাদৃত হয়ে আসছে। আর এই আরামদায়ক পোশাক গরমের সময় অনেক আরামদায়ক, বর্ণিল ও রঙিন হওয়ায় অনেক কাজে আসে।

শাড়ি ব্লাউজ কুর্তিতে
গোসলখানা থেকে গামছা ফ্যাশনে আসে শাড়ি হয়ে। বৈশাখ, ফাল্গুন, গায়েহলুদের মতো অনুষ্ঠানের জন্য একসময় অনেকে বেছে নিয়েছিলেন গামছা প্রিন্টের শাড়ি।সময় বদলে গেছে। এখন সুতির পাশাপাশি সিল্ক, হাফসিল্ক শাড়িতেও গামছা চেক দেখা যায়। তবে তাঁতের শাড়ির মধ্যে গামছা চেক দেখা যায় বেশি। শুধু যে বাঙালি উৎসবে গামছা শাড়ি পরিধান করা হয়, তা কিন্তু নয়। অনেকে ফরমাল অনুষ্ঠানেও এসব গামছার পোশাক পরছেন। অনেকে সাধারণ তাঁতের শাড়ির সঙ্গে গামছা প্রিন্টের ব্লাউজ ব্যবহার করছেন। সে ক্ষেত্রে গামছা ব্লাউজ ঘটি হাতা কিংবা বোট গলা দিয়ে বানানো যেতে পারে। কিংবা গলা দিয়ে কোমর পর্যন্ত ব্লাউজ বানিয়ে ভাঁজ করে শাড়ি পরলে আলাদা একটা লুক পাওয়া যায়। কিছু শাড়ির পাড়ে গামছার প্যাচওয়ার্কও করা হচ্ছে।গামছার কুর্তিও রয়েছে। এগুলো অফিস, ক্লাস কিংবা প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য বেশ আরামদায়ক।

কটি, কাফতান, টপস, ফতুয়া ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে গামছার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে এখন। গামছা দিয়ে বানানো পোশাক জাঁকজমকপূর্ণ করা হয় না বটে; কিন্তু এর সঙ্গে মানানসই অনুষঙ্গ ব্যবহারে দিতে পারে একেবারে ভিন্ন লুক। ভিন্নতা আনার জন্য কড়ি কিংবা কাঠ-পুঁতির ব্যবহার করা যায় এতে। অনেক গামছা পোশাকে কিছুটা হাতে করা সুতার কাজ দেখা যায়। বাজারের প্রচলিত গামছা দিয়ে পোশাক বা অন্যান্য অনুষঙ্গ তৈরি হয় না। সে জন্য বিশেষ গামছা তৈরি করা হয়, যাতে পাকা রঙের ব্যবহার থাকে। ফলে পোশাক থেকে সহজে রং বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকে না।

গয়না ও অন্যান্য
গামছা দিয়ে যে শুধু পোশাক তৈরি হচ্ছে, তা নয়। গামছার কাপড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে হাতে তৈরি গয়না। অনেক গয়না প্রেমী বৈচিত্র্য ও ভিন্নধর্মী গয়নার খোঁজে থাকেন। তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে গামছা দিয়ে তৈরি গয়না। এ ছাড়া অনেকে নিজের ঘর নান্দনিকতা ও দেশীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় সাজিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। তাদের জন্যও পাওয়া যাচ্ছে গামছা প্রিন্টের চাদর, কুশন, পর্দা, ডাইনিং রানার ইত্যাদি।

পশ্চিমি পোশাকে গামছা
টপস, স্কার্ট, গাউন, কটি ইত্যাদি পোশাক তৈরিতে এখন গামছার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। ছেলেদের জন্যও তৈরি করা হচ্ছে শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে গামছার ব্লেজার ও কটি। কটিগুলো সাধারণত এক রঙের পাঞ্জাবির ওপর পরা হয়। তবে গামছা নিয়ে কাজ করার সময় অনেক সময় ফ্যাশন হাউজকে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ মানুষের কাছে সবসময় নতুন ট্রেন্ডের ওপর আস্থা তৈরি করা কঠিন। তাও এখন আস্তে আস্তে এর গুরুত্ব বাড়ছে।

দাম কেমন হয়?
গামছা পোশাকের দাম নির্ভর করে ডিজাইন ও ফ্যাশন হাউসের ওপর। পণ্য ও ধরন-ভেদে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে এ পোশাক পাওয়া যায়। এখন অনলাইন ও অফলাইন অনেক ভেন্ডর ফিউশনধর্মী পোশাক করছেন। সেখানে রয়েছে গামছার ব্যবহারও।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে নার্সদের পতাকা মিছিল ও মানববন্ধন

মেহেরপুর গাংনীতে শিক্ষিত নার্স চাই দাবীতে মানববন্ধন ও পতাকা মিছিল করেছে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফারি নার্সগণ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সময় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মানববন্ধন ও পতাকা মিছিল করেন তারা।

মানববন্ধনে নেতৃত্বদেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার মোছাম্মত আমেনা খাতুন। এসয় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র স্টাফ নার্স সাইদা মরিয়ম, রাফিজা খাতুন, শাহিনা খাতুন, সুমিয়ারা।

বক্তরা বলেন,বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুদা নুর নার্সদের নিয়ে কুটুক্তি করেন। ওই কর্মকর্তার বিচারের দাবীতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন ও পতাকা মিছিল আয়োজন করেছি।

এ ছাড়াও মানববন্ধনে গাংনীর সন্ধানী নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করেন।




দুর্ঘটনার কবলে মধুমিতাকে বহনকারী গাড়ি

টালিউড অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। এক ফেসবুক লাইভে এমনটা নিজেই জানান অভিনেত্রী।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার কলকাতার নিমতলা ঘাটের ভূতনাথ মন্দিরে পূজা দিতে যাওয়ার সময়ে মধুমিতাকে বহনকারী গাড়িটিকে একটি লড়ি ধাক্কা দেয়। এ দুর্ঘটনায় তার গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে গেলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন অভিনেত্রী।

ফেসবুক লাইভে মধুমিতা বলেন, ভূতনাথ মন্দিরে পূজা দিতে যাওয়ার সময়, খুবই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে আমার সঙ্গে। আমি ড্রাইভারের পিছনের সিটে বসেছিলাম।

একটা লরি আমার গাড়িতে খুব জোরে এসে ধাক্কা মারে। অনেক বাজে কিছু হতে পারত। ভগবানের কৃপায় তা হয়নি। আমি একেবারে সুস্থ রয়েছি।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার পরেও তিনি পূজা দিয়েছেন মন্দিরে। আর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, সব সময় সঙ্গে থাকার জন্য।

ছোটবেলা থেকেই শিবের ভক্ত মধুমিতা। যখনই সুযোগ পান শিব মন্দিরে পূজা দেন। এর আগে দেওঘরে গিয়ে বৈদ্যনাথ মন্দিরেও পূজা দিতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কপিল দেব-ইয়ান বোথামের রেকর্ডের সামনে সাকিব

ব্যাটে বলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে সাকিব আল হাসান পার করে ফেলেছেন দীর্ঘ ১৮ বছর। লম্বা পথ চলায় দেশের তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেরই অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন সাকিব। কদিন আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে উইকেট শিকারের দিক বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবার ওপরে উঠে গিয়েছিলেন। পেছনে ফেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে।

সাকিব আল হাসানের ব্যাটে রানের দেখা নেই অনেকটা দিন ধরেই। তবে বল হাতে নিয়মিত প্রতিপক্ষকে কাবু করছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট শেষ করে উড়াল দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। সেখানে কাউন্টি ক্রিকেটেও ছিল তার ৯ উইকেট। ভারত সিরিজেও বল হাতে মাইলফলকের খুব কাছাকাছি আছেন সাকিব।

বিশ্ব ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এর আগে কেবল চারজনই । টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০০ রান করার পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। সাকিব আল হাসান আছেন সেই এলিট ক্লাবে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়। রানের কোটা আগেই পূরণ করে ফেলেছিলেন। দরকার বল হাতে ৮ উইকেট।

ক্যারিয়ারের ৬৯ টেস্ট শেষে সাকিবের রান ৪ হাজার ৫৪৩ রান। তবে ২৫০ উইকেটের মাইল ফলক স্পর্শ করার জন্য আরও ৮টি উইকেট প্রয়োজন। ভারতের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্টে ৮টি উইকেট নিতে পারলেই ৩৭ বছরের অলরাউন্ডার টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০০ রানের পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়বেন।

সাকিবের আগে এই কীর্তি করেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের চার গ্রেট অলরাউন্ডার। ভারতের কপিল দেব, ইংল্যান্ডের স্যার ইয়ান বোথাম ছাড়াও এই ক্লাবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস এবং নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরির। রানের দিক থেকে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অলরাউন্ডার। ১৬৬ টেস্ট খেলে ক্যালিস ১৩ হাজার ২৮৯ রান করেন এবং ২৯২টি উইকেট নেন।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কপিল দেব। ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ১৩১টি টেস্টে ৫ হাজার ২৪৮ রান করার পাশাপাশি ৪৩৪টি উইকেট নিয়েছেন। তৃতীয় স্থানে আছেন বোথাম। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ১০২টি টেস্ট খেলে করেছিলেন ৫ হাজার ২০০ রান। নিয়েছিলেন ৩৮৩টি উইকেট। চতুর্থ স্থানে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ১১৩টি টেস্ট খেলে ভেট্টরি ৪ হাজার ৫৩১ রান করেছেন। উইকেটের সংখ্যা ৩৬২।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে অতি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে টানা চারদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে মাঠের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মরিচসহ বিভিন্ন সবজি আউশ ধান বিনষ্টের পাশাপাশি অনেক নিচু এলাকার আমনধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। ক্ষয়ক্ষতি নিরপনে মাঠে কাজ করছে কৃষি অফিস।

গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টি। এতে আউশধান পানিতে তলিয়ে গেছে ও মাটিতে নেতিয়ে পড়েছে। একই অবস্থা মরিচ,লাউ,চিচিংগা, ঢেড়শ,মিস্টি কুমড়া,বাঁধাকপি, ফুলকপির ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতের। কৃষকরা বলছেন, বেশ কয়েক বছর পর অতি বৃষ্টিতে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা মোটা অংকের টাকা লোকসানে পড়বে।

জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় আগাম প্রস্ততি নিতে না পারাই বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরপনে কৃষি অফিস কাজ করছে।

শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয় বৃষ্টি আর মাঝা‌রি ঝড়। গতকাল সোমবার(১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত একইভাবে তা অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিনে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,পানির নিচে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার জমির ফসল। অন্যদিকে সবজি ক্ষেতে পানি জমে থাকায় গাছ মরতে শুরু করেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে মরিচ ক্ষেত। আউস মৌসুমের ধান কাটতে যাদের বাকি ছিল তারাও প‌ড়ে‌ছেন চরম বিপাকে। এছাড়াও লিচু এলাকার আমন ধান তলিয়ে গেছে প্রানির নিচে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে সবজি ক্ষেত,বাঁধাকপি,ফুলকপি,লাউ,চিচিংগা ও ঢেঁড়সের মাঠ।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জেলায় চলতি সময়ে ২ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে আউশ,২ হাজার ৬৬০ হেক্টর আমনধান, ৪ হাজার ৫৪৫ হেক্টর মরিচ এবং ৪ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়েছে। যা জেলার সারা বছরের চাহিদা পুরুন করে দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পুরুন করে এবং তা বিক্রি করে সংসার খরচ চলে কৃষকদের।

এদিকে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমাণ করছে জেলা কৃষি বিভাগ। তথ্য বলছে, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির আমনধান, ১৫০০ হেক্টর আউশধান, ৪৫০ হেক্টর জমির মরিচ আবাদ এবং ৮০০ হেক্টর জমির সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

কৃষকরা জানান,দীর্ঘ কয়েক বছর অনাবৃষ্টির এই জেলায় আকস্মিক প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। মেহেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় বৃষ্টিপাত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোন সংবাদ জানতে পারিনি। দুর্যোগের আগাম সংবাদ পেলে প্রস্ততি নেয়া যেত।

মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মরিচ চাষি মতলেব হোসেন বলেন, দুই বিঘা ৫ কাঠা জমিতে মরিচ লাগিয়েছি দেড়মাস আগে। প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। কিছু গাছে মরিচ ধরেছে। বাতাস ও ভারি বৃষ্টিতে মরিচ গাছ নেতিয়ে পড়েছে। অনেক মরিচ গাছ মরতে শুরু করেছে।

কৃষক ছাইদুল ইসলাম বলেন, দেড়বিঘা জমিতে লাউ আবাদ করেছি। চারদিনের বৃষ্টির পানিতে লাউয়ের মাচা পর্যন্ত পানি উঠেছে। এভাবে পানিতে জমি ডুবে থাকলে লাউগাছ মরে যাবে।

সদরের মদনাডাংগা গ্রামের কৃষক কোরবান আলি জানান, দুই বিঘা জমির আউশধান কেটে মাঠে বিচালি শুকানোর জন্য জমিতে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুরো জমির ধান পানিতে ভাসছে। ধানে চারা গজিয়ে পড়েছে। দুই বিঘা জমিতে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ মন ধান ঘরে উঠতো।

গাংনীর গাড়াডোব গ্রামের কৃষক রহমতুল্লা বলেন, মেহেরপুর জেলায় আমাদের মত হাজারও কৃষক আছে। যারা শুধুমাত্র সবজি চাষ করে। কিন্তু মেহেরপুর জেলায় তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় সবজির চাষ করে লাভবান হই। অথচ হঠাৎ এই দুর্যোগের কারনে সব সবজি পানির নিচে। আমার এক বিঘা জমির আগাম জাতের বাঁধাকপির জমিতে পানি জমে থাকায় মরে যাচ্ছে।

ভাটপাড়া গ্রামের মরিচ চাষি আব্দুল আলীম বলেন, ঝড়ো হাওয়ায় মরিচের গাছ পড়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে মরিচের গাছ।
ধানচাষি রহিদুল ইসলাম বলেন,আউশধান লাগিয়েছি দেড়বিঘা। ধান পেকে গেছে। দুএকদিনের মধ্যেই ধান কাটামাড়াই করে ঘরে তুলতাম। জমিতে গিয়ে দেখি শুধুই পানি। দুএকদিনের মধ্যেই ধানে চারা গজিয়ে যাবে। এধান ঘরে তুলতে না পারলে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়বে।

এদিকে টানা বৃ‌ষ্টি‌তে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন।

কখনো হালকা বৃষ্টি আবার কখনো ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে পড়েছে মেহেরপুর জেলা। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শ্রমজীবী এবং কর্মজীবী মানুষ ঘর থেকে বের হলেও যানবাহন না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন। অন্যদিকে বৃষ্টির মধ্যে ছোট ছোট যানবাহন নিওয় বের হলেও যাত্রী পাচ্ছেন না এর চালকরা। এতে অলস সময় পার করছেন তারা।

এদিকে জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে মানুষ বের হলেও পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সেবা। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট হয়ে পড়েছে ফাঁকা। ব্যবসা-বাণিজ্য সহ সব কাজেই বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কার্যত অচল অবস্থা বিরাজ করছে জনজীবনে।

বঙ্গোপসাগরের গভীর স্থল নিম্নচাপ এবং মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মেহেরপুর জেলাসহ খুলনা বিভাগের সব জেলায় বৃষ্টিপাত ও ঝড় হচ্ছে বলে জানায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে গতকাল সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮ মিলিমিটার এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার।

মেহেরপুর কৃষিসমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিজয় কৃঞ হালদার বলেন, মেহেরপুর জেলা একটি কৃষি নির্ভয় জেলা। এজেলায় প্রাকৃৃতিক কোন দুর্যোগ নেই। জেলায় প্রচুর সবজি,ফল,ধান ও মরিচ হয়। গত শুক্রবার থেকে একটানা বর্ষণ ও ঝড়োহাওয়া বইছে। এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে বেশি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরপনে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক ভাবে একবার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে। আবারও মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরপন করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে সবজির জমি থেকে দ্রত পানি নিষ্কাশন করা এবং পচনরোধক স্প্রে করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।




চুয়াডাঙ্গায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া ও মোনাজাত

চুয়াডাঙ্গায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী( সা.) উপলক্ষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আয়োজনে দেশ ও জাতির কল্যানে এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম- সেবা, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হোসেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, চুয়াডাঙ্গা সদর আলমডাঙ্গা জীবননগর ও দামুড়হুদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আলেম সমাজের প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়।




মেহেরপুর পৌর জামায়াতের উদ্যোগে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর পৌর জামায়াতের উদ্যোগে মডেল মসজিদ সিরাতুল ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আজ সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) রাত ৭ টার সময় মেহেরপুর পৌর জামায়াতের উদ্যোগে মডেল মসজিদ সিরাতুল ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন  মেহেরপুর জেলা আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন খান, পৌর আমির সোহেল রানা ডলার, পৌর সেক্রেটারি, মনিরুজ্জামান, জেলা মডেল মসজিদ ইমাম সাদিকুর রহমানসহ জামায়াতের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় টানা বৃষ্টিপাতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ; ভেঙ্গে পরছে মাটির ঘর

সারাদেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলায় টানা ৩ দিনের বৃষ্টিপাতে কৃষকের সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে ভেঙ্গে পরছে মাটির ঘর।

আজ সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় সবজি চাষের জমিতে বৃষ্টির পানি জমে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে উপজেলার ডুগডুগি গ্রামের তিনটি পরিবারের মাটির ঘর ভেঙ্গে গেছে।

জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলায় একটানা তিন দিন বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ডোবা ও নিচের জমিতে পানি বেধে যায়। এতে পেঁপে গাছ, কাঁচা মরিচ, পাকা ধান ও কপি সহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেতে পানি ওঠার কারণে লাল হয়ে মারা যাচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি পাতের কারণে পেঁপে গাছ ভেঙ্গে গেছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি বেঁধে পেঁপে গাছের গোড়া পচন ধরেছে। সেই সাথে কাঁচা মরিচের গোড়ার বৃষ্টির পানি বেঁধে মরিচ গাছ ঝিমিয়ে পড়েছে। গাছের গোরা নরম থাকায় ঝাল তুলতে গেলে গাছ সহ উঠে আসছে। কপি গাছের গোড়ায় বৃষ্টির পানি উঠায় কপি গাছ নষ্ট হয়ে যাছে। অনেকের পুকুরে পানি বোঝায় হয়ে মাছ ভেসে গেছে। টানা বৃষ্টিতে কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরুন হবার নয়।

এদিকে বৃষ্টিপাতে উপজেলায় একই গ্রামের ৩টি পরিবারের মাটির ঘর ভেঙ্গে পরছে। উপজেলার ডুগডুগি গ্রামের হামিদুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও আশা পাগলার মাটির ঘর ভেঙ্গে পরে গেছে। এতে কারও কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। তবে ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় তাদের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রাকৃতিক দূযোগের কারণে এমন যেন মেনে নিতে পারছে না সাধারণ মানুষ। নিরবে সহ্য করতে হচ্ছে এ ক্ষতি। কৃষক ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকার সাধরণ কৃষকরা।

কাঞ্চনতলা গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দুই বিঘা কপি লাগিয়েছিলাম। দেখছেন তো সব পানির নিচে চলে গেছে। এত খরচ করে ফসল ঘরে তুলতে পারলাম না। আমার কপাল খারাপ। একই গ্রামের রকিবুল ইসলাম বলেন, আমার দুই বিঘা আউশ ধান ছিল। ধান কেটেছি পাঁচ দিন আগে। ধান কাটার পর পরই একটানা ৩-৪ দিন বৃষ্টি হচ্ছে। কাটা ধান বৃষ্টির পানিতে বিচালি সব ডুবে গেছে। ধান সব কল হওয়ার পথে। দুই বিঘা ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। কাকে দুষাবো। আল্লাহ যা ভালো মনে করেছেন তাই হয়েছে।

দামড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা মাঠ জরিপে আছি। পরবর্তীতে জানা যাবে কতটুকু পরিমাণ জমির সবজি চাষ নষ্ট হয়েছে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা হবে।




প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে গেলেন কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে যান কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। আশ্বাস দেন সব ধরনের সহায়তার। গতকাল রবিবার( ১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জহুরার ঝুপড়ি দেখত যান তিনি। গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবন্দী জহুরাকে নিয়ে বেশ কিছু পত্রিকা ও অনলাইন পোটালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে তুলে ধরা হয় প্রতিবন্দী জহুরার জীবন জীবিকা ও তাঁর বাস্তব চিত্র।

বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে র। রবিবার দুপুরে তিনি জহুরাকে দেখতে ছুটে যান কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর দাসপাড়ার সড়কের পাশে বসবাস করা ঝুপড়িতে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল মাওয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা।

নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, দুই জন গণমাধ্যম কর্মী সহ জহুরার দেখা- শোনা করা রুমা খাতুনের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, প্রতিবন্ধী জহুরা খাতুন (৫৮)। ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যায়। এরপর ভিক্ষা বৃত্তি করে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে মেয়েটিকে বড় করেন। এরপর বিয়ে দেন তাকে। গেল ২ বছর আগে সেও মারা যায়। হারিয়ে ফেলে জহুরা শারিরীক শক্তি ও মনোবল। এরপর গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে।

ভিক্ষা বৃত্তি ও করতে পারেন না। এ সময় সলেমানপুর দাসপাড়ার ৪ জন নারী পাশে দাড়ান জহুরার। যার মধ্যে রয়েছে রুমা বেগম,রাহেলা বেগম,সাজেদা বেগম ও পারভিনা বেগম। তারা স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে টিন আর বেড়া চেয়ে এনে পরের জায়গায় রাস্তার পাশে থাকার ঝুপড়ি ঘরটি বানিয়ে দেন।

যার মধ্যে বসবাস করেন জহুরা। খাবার আর ওষুধের ব্যবস্থাও করেন তারা। কয়েক দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট। সেই সাথে পানিতে ডোবার উপক্রম হয়েছে জহুরার ঝুপড়ি।

বিষয়টি নিয়ে ১৬ তারিখের বেশ কয়েকটি পত্রিকা ফলাও করে প্রকাশিত হয় সংবাদটি। এরপর রবিবার তাকে দেখতে যান নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে । আশ্বাস দেন সব ধরনের সহায়তার। তিনি বলেন, জহুরা ও তাঁর ঘরটি আমরা স্বজমিনে দেখে গেলাম। স্যারের সঙ্গে কথা বলে দেখি ওনার জন্য কি করা যায়। ওই সময় তিনি প্রতিবন্দী জহুরার ঝুপড়িতে আলোর ব্যবস্থাও করতে বলেন সংশ্লিষ্টদের।




মেহেরপুরে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্ব সকাল সাড়ে ১১ টার সময় পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শামীম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রনি আলম নুর, সদর উপজেলা নির্বাহী  অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)গাজী মূয়ীদুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মূনীম, জেলা নাজির মোঃ আফতাব উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার আমানুল্লাহ আমান।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে কোরআন তেলাওয়াত করেন জেলা মডেল মসজিদের ইমাম সাদিকুর রহমান।

পরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে  ও দোয়া মাহফিল মোনাজাত করেন কোট মসজিদে ইমাম জুবায়ের হাসান।