পুলিশকে হাসি ও ফুল-চকলেট দিয়ে বরণ করার আহ্বান ফারুকীর

পুলিশ সদস্যরা যেন নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়ে সুন্দর পরিবেশে আবারও কাজে ফিরতে পারেন, সেজন্য সাধারণ মানুষের প্রতি কিছু আহ্বান জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লিখেছেন, আশা করি আজ-কালকের মধ্যে পুলিশ ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দিবে। নতুন দিনের নতুন পুলিশ হবে তারা এই আশা আমাদের।

এরপর সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ফারুকী লেখেন, আমরা কি একটা কাজ করতে পারি? রাস্তায় কর্মরত পুলিশ দেখলে তাদের সাথে একটু হাসি বিনিময় করতে পারি? পারলে একটু মোলাকাত? একটা ফুল? অথবা চকলেট?

কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য গোটা পুলিশ ইউনিট দোষী হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এমনটা উল্লেখ করে ফারুকী লেখেন, ‘গতকাল আমি সাধারন কিছু পুলিশের ইন্টারভিউ দেখছিলাম।

তারা নিজেরাই ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতালিপ্সার কাছে অসহায় ছিলো, কিছু খারাপ অফিসার কিভাবে তাদের ব্যবহার করেছে, তাদের পরিবার পরিজন কতটা অনিরাপদ এবং বিব্রত- এইসব বলতে বলতে কেঁদে দিচ্ছিলো কয়েকজন পুলিশ সদস্য!

এই নির্মাতা আরও উল্লেখ করেন, তারা শুধু একটা দাবিই জানাচ্ছিলো- আর কখনো দলীয় পুলিশ হতে চায় না। তারা মর্যাদার সাথে রাষ্ট্রের কর্মচারী হতে চায়!

সবশেষ পুলিশ বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এই নির্মাতা লেখেন, ‘ক্যান উই গিভ দেম সাম কমফোর্ট? জাস্ট সো দে ফিল দে আর ওয়ান অফ আস?’

সরকার পতনের পর সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল থেকে দেশের অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্রিকেটাররা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সদ্য বিদায়ী সরকার নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত শিক্ষার্থীকে শহিদ করেছে। মৃত্যুর মিছিলে নাম লিখিয়েছেন সাধারণ জনতাও। শেষ পর্যন্ত সেই আন্দোলনের নাম হয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। শিক্ষার্থীরা সরকার পতনের এক দফা দাবি তুলে সেটি সফল করেই ঘরে ফেরেন। লাখ লাখ মানুষের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা কেবল পদত্যাগ নয়, গোপনে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান।

দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। সে কারণে ক্রীড়াঙ্গনেও রাজনীতির প্রভাবের বাইরে ছিল না। এবার স্বৈরাচারী শাসকের পতনের পর ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্রিকেটাররা। দীর্ঘদিন ধরে যারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তারা মুখ খুলেছেন। বসে নেই ক্রিকেট কর্তারাও। মাঠে নেমে তারাও দিয়েছেন পরিবর্তনের ডাক। তাতে বিসিবিতে চলছে টালমাটাল অবস্থা। সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এখনও বিসিবির কার্যালয়ে আসেননি। কোনো পরিচালকের দেখাও পাওয়া যায়নি।

গতকাল মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। শহিদদের স্মরণে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম চতুরে টানানো হয়েছে ব্যানার। আবু সাঈদ, মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধদের ছবি সংবলিত সেই ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘জাতীয় এই আন্দোলনে সব শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা’। আরেক ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘আমরা গভীরভাবে শোকাহত’। গত এক মাসে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রত্যেকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করে অনুশীলন শুরু করেন ক্রিকেটাররা। সে সময় সেখানে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদ, মুশফিকুর রহিম, এনামুল হক বিজয়, নাঈম হাসান, মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসানরা।

গত পরশু বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সফর বাতিল করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল তাদের উড়াল দেওয়ার কথা রয়েছে। এই সফরে দুটি চার দিনের ম্যাচ ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। এ দিকে সরকার পতনের পরে একের পর এক ইস্যু নিয়ে কথা বলছেন পেসার রুবেল হোসেন। এবার তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘গত কয়েক বছরে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিরা দেখলাম বলতেছে দেশে সুশাসন চায়। শুধুমাত্র অপছন্দের তালিকায় থাকার কারণে অসংখ্য ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়া ব্যক্তিরা এখন ক্ষমতার পালা বদল দেখে রং বদলানোর চেষ্টায় আছে। একইভাবে চন্ডিকা হাতুরুসিংহেসহ তার অবৈধ কাজে সহায়তা করে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করা ব্যক্তিদের অন্তত আর কোনো দায়িত্বে দেখতে চাই না।’

এই লেখাকে সমর্থন করে নুরুল হাসান সোহান লিখেছেন, ‘ভাই অনেক কিছু বলতে চাই। কিন্তু কিছু বলেতছি না। তবে কতক্ষণ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারবো জানি না।’ কেবল ক্রিকেটাঙ্গন নয়, আরও বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সোহান।

ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো প্রবাসী ভাইকে যেন এয়ারপোর্টে হেনস্তা হতে না হয়। প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে কিছু ব্যক্তি দ্বারা প্রায়ই হেনস্তার শিকার হন। তাই আশা করব, ভবিষ্যতে সব প্রবাসীরা যেন এয়ারপোর্টে তাদের প্রাপ্য সম্মানটা পায়। এয়ারপোর্টের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত যারা আছেন, তারা এই ব্যাপারটি অনুগ্রহ করে গুরুত্বসহকারে দেখবেন, যাতে কোনো প্রবাসী যেন হেনস্তার শিকার না হয়।’

সূত্র: ইত্তেফাক




ক্যাসিনো গডফাদার মিলু ও ক্যাসিনো সম্রাট বাঁধন কোথায়?

মেহেরপুরের অনলাইন জুয়ার গডফাদার মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু ও তার ভাতিজা ক্যাসিনো সম্রাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন আত্মগোপনে রয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এলাকায় তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অনলাইন জুয়া ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই দুই চাচা-ভাতিজা।

অনলাইন জুয়ার অপরাধে প্রায় অর্ধশত এজেন্টকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর হুকুম না থাকায় এই দুই চাচা-ভাতিজাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ওই সময় আক্ষেপ ছিলো। তবে তা প্রকাশ করতে পারেনি।

মেহেরপুর প্রতিদিন কার্যালয় থেকে তাদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি এলাকাবাসীও জানেন না তারা কোথায় পালিয়েছেন।

মহাজনপুর ইউনিয়নের যতারপুর গ্রামের তালিকাভুক্ত রাজাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে আমাম হোসেন মিলু। তিনি মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আব্দুস সালাম বাঁধন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা দুজনই রাজাকার পরিবারের সন্তান হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। রাজাকারের সন্তান হলেও আমাম হোসেন মিলু সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের আস্থাভাজন। যে কারণে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে মহাজনপুর ইউনিয়নে নির্বাচন করলে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ায় তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তার আস্থাভাজনের কারণেই বড় কোন পদে না থেকেও তার ভাতিজা আব্দুস সালাম বাঁধন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন। ছাত্রলীগের সভাপতি হলেও গঠণতন্ত্র অমান্য করে তিনি বিয়ে করেছেন, এক কন্যা সন্তানের পিতা, পেশায় ঠিকাদার ব্যবসায়ী। ছাত্রলীগের জেলা কমিটির মেয়াদ অনেক আগে শেষ হলেও কোন সম্মেলনও করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা জানান, জেলা কমিটির সভাপতি বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের বাবা। তিনি ঠিকাদারী ব্যবসার আড়ালে মূলত অনলাইন জুয়ার অন্যতম সম্রাট। ক্ষমতায় থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে না পারলেও মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানে এসব তথ্য বের হয়ে আসছে।

এবং ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে জেলা কমিটি ও অন্যান্য ইউনিটের কমিটিগুলো অনেক বিবাহিত নেতা দেখা যাচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের যে অবদান রাখার কথা সেটা পারছে জেলা ছাত্রলীগ। জেলায় কয়েকটি ইউনিটের কোন কমিটি নেই। নতুন কোন নেতাকর্মীও তৈরি হচ্ছে না। যারা কমিটি আসতে চাচ্ছেন অর্থ এবং ক্ষমতার লোভে আসছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে নেতাদের পাওয়া যাচ্ছে না।

ছাত্রলীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে তিনি হয়েছেন কোটিপতি। ছাত্র না থাকলেও তিনি মায়ের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বিভিন্ন দপ্তরের কাজ করছেন। অনলাইন জুয়ার সাথেও রয়েছে তার সখ্যতা। নিজেও অনলাইন জুয়ার পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মূলত চাচা মিলুর উপর ভর করেই তার এ শক্তি। তারা চাচা আমাম হোসেন মিলু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ওই নির্বাচনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন সরাসরি নির্বাচনে প্রচারণাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পুর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা জানান, জেলা কমিটির সভাপতি বিবাহিত এবং ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে জেলা কমিটি ও অন্যান্য ইউনিটের কমিটিগুলো অনেক বিবাহিত নেতা থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি তিনি।

এই দুই চাচা-ভাতিজার দুর্নীতির আদ্যপান্ত খুব শীঘ্রই মেহেরপুর প্রতিদিন প্রকাশ করবে।




গাংনীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

“সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ছাত্র- জনতার ঐতিহাসিক বিজয় উৎযাপন ও শান্তি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহবানে গাংনীতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় গাংনী উপজেলা শহরের বড়বাজার এলাকায় এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় পিএফজি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক, ইয়ুথ এ্যান্ডিং হাঙ্গার ও কন্যা শিশু এ্যাডভোকেসি ফোরাম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর মেহেরপুর জেলা শাখার সাধার সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনী এরিয়া সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিন, গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, সাংস্কৃতিক কর্মী আজিজুল হক রানু প্রমুখ।

মেহেরপুর আহমেদ আলী টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক রফিকুল আলম বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, করমদি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবু সাদাদ মোহাম্মদ সায়েম পল্টু, সমাজসেবক আব্দুর রব প্রমুখ।

মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই দেশ আমাদের সকলের। এই দেশে সহযোগিতা, সহমর্মিতার সাথে এক হয়ে হিন্দু মুসলিম, বৈদ্য খ্রীষ্টান বাস করে আসছি। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা যেনে সকলের তরে সকলে আমরা নীতিতে থাকতে পারি। তিনারা বলেন, কারো বিজয় উৎযাপনের ভাষা যেন সহিংসতা, লুটপাট বা ধ্বংসযজ্ঞ না হয়। কেউ যেনো নিজের হাতে আইন তুলে না নেই। দূর্বৃত্তদের দ্বারা ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ আক্রান্তদের রক্ষা করেন ও তাঁদের পাশে দাঁড়ান। প্রাণহানীসহ রাষ্ট্রীয় বা ব্যক্তিগত সম্পদ (বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) ধ্বংসের যে কোনো উদ্যোগ রুখে দাঁড়ান। মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।




কোটচাঁদপুরে বিএনপির কারামুক্ত নেতা ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময়

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বিএনপির সদ্য কারামুক্ত নেতাদের ফুলেল শুভেচছা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আয়োজনে শহরের পায়রা চত্বরে চলমান আন্দোলনে মিথ্যা নাশকতা মামলায় সদ্য কারামুক্ত নেতা-কর্মীদের এই ফুলেল শুভেচছা দেওয়া হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র সালাহউদ্দিন বুলবুল সিডলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিতি ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন, জেলা বিএনপি-র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন খোকন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল হক, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা টিপু, উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেঃ মঈন উদ্দীন, পৌর বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এসএম রায়হান উদ্দীন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান খান মুকুল, সদস্য সচিব মাহফুজ আলম মামুন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ তুফান, সদস্য সচিব সেলিম রেজা মধু, যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ বাশার, সাবেক পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুস্তম কবির, পৌর বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক ফিরোজ উদ্দীন মানিক, উপজেলা ছত্রদলের সদস্য সচিব হুমায়ন কবির হিরা, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নিশুসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী।

সমাবেশ শেষে এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সনাতন ধর্মাবলম্বী ও সাধারণ ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন।




দামুড়হুদায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে জেলা বিএনপি মতবিনিময় সভা

দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। গতকাল বুধবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো রফিকুল হাসান তনু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান টুনু, সালমা জাহান পারুল।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইকরামুল হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম আহবায়ক সেলিম উদ্দিন, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, উপজেলা যুবদল নেতা ফিরোজ হাসান মন্টু, মাহফুজুর রহমান জনি, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুর রহমান সবুজ, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ছাত্রদল সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা।




কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে বন্দী কয়েদিদের পলায়ন

কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের গেট ভেঙে বেশ কয়েকজন বন্দি পালিয়েছেন। কতজন পালিয়ে গেছেন তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তবে ধারণা করা হচ্ছে আনুমানিক ২০-৩০ জন পালিয়েছেন।

এদিকে কারাগারের একটি সূত্র জানায়, কারাগারের ভেতরে থাকা কুষ্টিয়ার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস কে সজীবের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি চালান কারারক্ষীরা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেনাবাহিনী কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে কারাগারের দর্শনার্থী কক্ষে স্বজনরা বন্দিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ ভেতর থেকে বেশ কয়েকজন কয়েদি কারারক্ষীদের মারধর শুরু করে। এ সময় বাইরে থাকা করাবন্দিদের স্বজনরাও চেঁচামেচি শুরু করেন।

কুষ্টিয়ার জেল সুপার আ. বারেক বলেন, ভেতরে দুপুরের খাবার ও বন্দি গণনা শেষে অফিসে নামাজ পড়ছিলাম। নামাজ শেষ করে উঠতেই হঠাৎ কারাগারের ভেতর থেকে চিৎকার ও অভ্যন্তরীণ গেটে আঘাতের শব্দ শুনতে পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি অন্তত ৩০০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে ভেতর থেকে একসঙ্গে গেটে ধাক্কা দিচ্ছে। এতে গেটের হেজবোল্ড ভেঙে যায়। এসময় কারাবন্দিরা পালানোর চেষ্টা করলে রক্ষীরা ফাঁকাগুলি চালান। তখন বন্দিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আবারো ভেতরে ঢুকে যায়। তবে এই সুযোগে ২০-৩০ জন কারাবন্দি পালিয়ে গেছেন।

এই কর্মকর্তা জানান, বন্দিদের ঠেকাতে গিয়ে ৫ কারারক্ষী আহত হয়েছেন। এছাড়া কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অস্ত্র ভাণ্ডার রক্ষিত আছে, বন্দিরা নিরাপদে আছে।

কারারক্ষীরা জানান, জেলখানার ভেতরের রান্নাঘর থেকে চলা কাঠ সংগ্রহ করে কারাগারের প্রধান ফটকের আগের ফটকটি ভেঙে বেরিয়ে আসেন দেড় শতাধিক বন্দি। এসময় কারারক্ষীরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালান। এরপর বন্দিরা ফটকের কারারক্ষীকে মারধর করে তার কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তালা খুলে একে একে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন। এ সময় জেলখানার বাইরে থাকা কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। তবে তার আগেই বেশ কয়েকজন বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

জেল সুপার আব্দুল বারেক জানান, ঠিক কতজন বন্দি পালিছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে কোনো জঙ্গি বা বড় মাপের কোনো সন্ত্রাসী আছে কি না সেটাও বলতে পারেননি ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বন্দিদের তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। তালিকা মেলানোর পর জানা যাবে কতজন বন্দি পালিয়েছেন। পাশাপাশি পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের পরিচয় জানা যাবে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ১২-১৩ জন বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বন্দিদের পালানো ঠেকাতে কারারক্ষীরা বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

কুষ্টিয়া ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা লে. কর্নেল মো. মাহবুবুল আলম শিকদার জানান, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।




মেহেরপুরে জামিনে মুক্ত হলেন শিক্ষার্থীসহ বিএনপি-জামায়াতের ৩২ রাজনৈতিক নেতাকর্মী

পুলিশের দায়ের করা মামলায় মেহেরপুরে জামিনে মুক্ত হলেন এক শিক্ষার্থীসহ বিএনপি- জামায়াতের ৩২ জন রাজনৈতিক নেতা কর্মী। আজ বুধবার বিকালে মেহেরপুর জেলা কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে মেহেরপুর জেলায় কোনো আন্দোলন না চললেও গত ১৮ জুলাই থেকে গত ৪ আগষ্ট পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু ও এক শিক্ষার্থীসহ বিএনপি জামায়াতের ৩২ জনকে গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলার আসামি করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন পুলিশ।

মেহেরপুর জেলা কারাগারের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত জেল সুপার সহকারি কমিশনার আবীর হোসেন বলেন, আদালত থেকে জামিননামা আসার পর যাচাই–বাছাই করে আজ বুধবার বিকালে ৩২ বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, তার নামে গাংনী থানার মামলা নং ২০, জিআর মামলা নং ৪০৫/২৩, ধারা ১৯৭৪ স্পেশাল পাওয়ার এক্ট ১৫(৩)/২৫ ডি এর ৪/৬, সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বিনপি নেতা আসাদুল ইসলাম, সদর থানার মামলা নং ৩১, জিআর ২১২/২৩, ধারা তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ৪/৫, মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের জিনারুল ইসলাম, মুজিবনগর থানার মামলা নং ১৯, জিআর মামলা নং ১১৩/২৪, ধারা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এক্ট ১৫(৩)২৫(সং/২০০২) এর ৪/৫/৬, একই মামলার আসামি পুরন্দর গ্রামের রাহিদুল ইসলাম, গাংনী উপজেলার বামন্দী গ্রামের বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র আতিকুর রহমান, গাংনী মামলা নং ০৮, জিআর মামলা নং ৩৯৩/২৩, ধারা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এক্ট ১৫(৩)/২৫ ডি তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ৪/৬, সদর উপজেলার টেংরামারী গ্রামের বিএনপি কর্মী জাহাঙ্গীর আলম, মামলা নং ৩১, জিআর মামলা নং ২১২/২৩, ধারা ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ৪/৫, একই আইনের আসামি মুজিবনগর উপজেলার রামনগর গ্রামের বিএনপি কর্মী জামাতুল ইসলাম, সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন মল্রিক, সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী আব্দুল বারীক, গাংনী থানার মামলা নং ১২, জিআর মামলা নং ৫৪/২৩, ধারা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এক্ট এর ৪/৬, সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের হায়দার আলী, তার সদর উপজেলার মামলা নং সেসন ৫৮/১৭, ধারা ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদান বলী আইনের ( সং/২০০২) এর ৪/৫/৬, মুজিবনগর উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের জামায়াত নেতা খায়রুল ইসলাম, মুজিবনগর থানার মামলা নং ১৯, সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম খলিল, গাংনী থানার মামলা নং ০৪, জিআর মামলা নং ২৭৩/২৩, ধারা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এক্ট এর ৪/৬, সদর উপজেলার ঝাঝা গ্রামের বিএনপি কর্মী মোজাম্মেল হক, গাংনী থানার মামলা নং ২০, জিআর মামলা নং ৪০৫/২৩, একই মামলার আসামি সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের জামায়াত কর্মী সাব্বির হোসেন, সদর উপজেলার ইসলামনগর গ্রামের জামায়াত কর্মী আনোয়ার হোসেন বাবু, গাংনী থানার মামলা নং ৪৩, জিআর মামলা নং ২৪৩/২৩, ধারা বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ৪/৬, মুজিবনগর উপজেলার খানপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী ইলিয়াস হোসেন, মুজিবনগর থানার মামলা নং ১৯, জিআর মামলা নং ১১৩/২৪, ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এক্ট ১৫(৩)/২৫ ডি, তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের (সং/২০০২) এর ৪/৫/৬, একই আইনে মামলার আসামি সোনাপুর গ্রামের আব্দুল মজিত, পুরন্দর গ্রামের রহিদুল ইসলাম, গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী হাসানুজ্জামান লাল্টু, গাংনী থানার মামলা নং ২১, জিআর মামলা নং ৪৫১/২৩, ধারা ১৯৭৪ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ১৫(৩)২৫ ডি এর ৪/৬, মেহেরপুর শহরের স্টেডিয়ামপাড়া এলাকার বিএনপি কর্মী আজমল হোসেন মোল্লা, সদর থানার মামলা নং ৩১, জিআর মামলা নং ২১২/২৩, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ১৫(৩)২৫ ডি এর ৪/৫, একই আইনের আসামি সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের জামায়াত কর্মী খোদা বকস, বন্দর গ্রামের আব্দুল ওহাব, কলাইডাঙ্গা গ্রামের লিয়াকত আলী, মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের বিএনপি কর্মী আবু মুছা, মুজিবনগর থানার মামলা নং ১৪, জিআর মামলা নং ১৫১/২৩, ধারা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এক্ট এর ১৫(৩)২৫ ডি, সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের জামায়াত কর্মী আবদুল ওহাব, মেহেরপুর সদর থানার মামলা নং ৩১, জিআর মামলা নং ২১২/২৩, ধারা ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইন ১৫(৩)২৫ ডি এর ৪/৫, একই আইনের আসামি কলাইডাঙ্গা গ্রামের বিএনপি কর্মী লিয়াকত আলী, সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের বিএনপি নেতা মুছা, সদর থানার মামলা নং ১৪, জিআর মামলা নং ১৫১/২৩, ধারা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এক্ট ১৫(৩)২৫ ডি, একই মামলার আসামি বাগোয়ান গ্রামের হজরত আলী, রামনগর গ্রামের জামায়াত নেতা আনারুল ইসলাম, রাজনগর গ্রামের জামায়াত কর্মী হাফিজুর রহমান, হিজুলী গ্রামের বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি হাবিবুর রহমান, গাংনী থানার মামলা নং ০৮, জিআর মামলা নং ৩৯৩/২৩, ধারা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এক্ট ১৫(৩)২৫ তৎসহ ৪/৫, সাহারবাটি গ্রামের বিএনপি কর্মী আবু বক্কর, গাংনী থানার মামলা নং ৯, জিআর মামলা নং ৩৯৪/২৩, ধারা ধারা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এক্ট ১৫(৩)২৫ তৎসহ ৪/৫, একই আইনে মামলার আসামি গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নুরু, গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের বিএনপি কর্মী বানারুল ইসলাম, গাংনী থানার মামলা নং ৪৩, ঝিআর মামলা নং ২৬৭/২৩ ও মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী মকলেছুর রহমান, মুজিবনগর থানার মামলা নং ১৯, জিআর মামলা নং ১১৩/২৪, ধারা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এক্ট এর ১৫(৩)২৫ ডি।

আসামিদের পক্ষে মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেনসহ কয়েকজন আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন বলেন, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মঞ্জুল ইসলামের আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে আসামিদের জামিন দেন।

এদিকে জামিনপ্রাপ্ত বিএনপির এসব নেতা কর্মীদের জেলগেট থেকে গ্রহণ করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। এসময় মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু জেল গেট থেকে বের হওয়ার পর বিপুল পরিমান নেতা কর্মী গ্রহণ করেন। পরে তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।




আলমডাঙ্গায় থানা নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আনসার

চলমান অস্থিরতায় আলমডাঙ্গা থানা ও ট্রাফিক ব্যবস্থার নিরাপত্তায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে গতকাল মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যালয় থেকে আজ বুধবার সকাল থেকে থানায় ও ট্রাফিকের দায়িত্বপালন করছেন ১৯ জন আনসার সদস্য। দেশের এ পরিস্থিতিতে, দায়িত্ব পালন করতে পারায় আনন্দিত আনসার বাহিনীরা। এতে স্বাভাবিক হতে চলেছে সাধারণ মানুষের জিবনযাপন। প্রথম পর্যায়ে আলমডাঙ্গা থানায় শিডিউল অনুযায়ী থানায় ১০ জন, পশু হাটে ৪ জন ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানাগেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কবলে পড়ে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তার দেশ ছেড়ে পালানোর পরপরই দেশজুড়ে ছাত্ররা উল্লাসে ভেসে ওঠেন। এরই একপর্যায়ে দুবৃত্তরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আলমডাঙ্গাতেও উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া এ উপজেলার প্রায় ১৫ টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে হামলা চালানো হয় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকমীদের বসতবাড়িতে। হামলা থেকে বাঁচার তাগিদে পালিয়ে রয়েছে আওয়ামীলীগের হাজারো নেতাকমী।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরাও আওয়ামীলীগের সভাপতি কিংবা সেক্রেটারি দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁরা পরিবার ছেড়ে আত্নগোপনে চলে যাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বন্ধরয়েছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের । জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদ মিলছে না ইউনিয়ন পরিষদে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা আজিজুল হাকিম জানান, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের নির্দেশে থানায় ও ট্রাফিকে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে।




মেহেরপুরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও থানার নিরাপত্তায় আনসার

মেহেরপুর জেলার তিনটি  থানা ও জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে এ আনসার মোতায়েন সম্পন্ন করা হয়। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরের নির্দেশনা ও খুলনা রেঞ্জ দপ্তরের পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলার তিনটি থানার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা রক্ষায় জেলা প্রসাশন ও পুলিশ সুপারের সাথে সমন্বয় করে ৩৬ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং ট্রাফিক কন্ট্রোলে শহরের ব্যস্ততম মোড়গুলোতে ২৪ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্র দত্ত নিশ্চিত করেছেন।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ মোতায়েন কার্যক্রম চলমান থাকবে। এদিকে জেলার সরকারি-বেসরকারি ২৪ টি গার্ড/সংস্থার নিরাপত্তায় ১১৫ জন অঙ্গীভূত আনসার, জেলা ও মুজিবনগর উপজেলা কার্যালয়ের নিরাপত্তায় প্রায় ৫০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েন রয়েছে। অধিকতর নিরাপত্তার জন্য টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

জেলা কমান্ড্যান্ট বলেন, জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সব সময় শ্রদ্ধাশীল। জনগণের পাশে থেকে জনবাহিনী হিসেবে এ বাহিনী সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের সহযোগিতার আহবান জানান তিনি।

উল্লেখ্য যে, চলমান মোতায়েন ও নিরাপত্তা কার্যক্রমে মেহেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন পদবির প্রায় ২৫০ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছে প্রমুখ।