গাংনীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১১টায় গাংনী ঈদগাহ ময়দানে এ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আওয়ালের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজউদ্দীন কালুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান, রোমানা আহমেদ, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দীন মনা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান সাতু, ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনা, গাংনী পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করেন এবং তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।




শুরু হলো শারদীয় দুর্গোৎসব আজ ষষ্ঠী

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা আজ রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে। গতকাল শনিবার মণ্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় বোধনের মাধ্যমেই দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনাপূজা করা হয়। আজ রবিবার মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে। ভক্তের ভক্তি, নিষ্ঠা ও পূজার আনুষ্ঠানিকতায় মাতৃরূপে দেবী দুর্গা অধিষ্ঠিত হবেন মণ্ডপে মণ্ডপে।

দেবী দুর্গার আগমনে উচ্ছ্বসিত ভক্তকুল। সারা দেশে চলছে উৎসবের আমেজ। এরই মধ্যে সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন।

বসন্তকালে তিনি এই পূজা আয়োজন করেছিলেন বলে এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাজা রাবনের হাত থেকে স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারের জন্য রাজা দশরথের পুত্র রামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন। তাই শরৎকালের এই পূজাকে অকালবোধনও বলা হয়। বোধন দুর্গাপূজার অন্যতম আচার।
বোধন শব্দের অর্থ জাগরণ বা চৈতন্যপ্রাপ্ত। পূজা শুরুর আগে সন্ধ্যায় বেলশাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজার একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। শরৎকালের দুর্গাপূজায় এই বোধন করার বিধান রয়েছে। বাঙালির হৃদয়ে শরৎকালের দুর্গার অধিষ্ঠান কন্যারূপে। প্রতিবছর বিভিন্ন বাহনে সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে দেবী মর্ত্যলোকে আসেন বাপের বাড়ি বেড়াতে।
তাই দেবীকে বরণে আয়োজনের কমতি থাকে না।
সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় পূজার মাধ্যমে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবীতে) আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবার মা দুর্গা গজে (হাতি) চড়ে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন (আগমন); যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে। দেবী স্বর্গালোকে বিদায় (গমন) নেবেন দোলায় (পালকি) চড়ে; যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। এরই মধ্যে পাঁচ দিনব্যাপী পূজার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর কালের কণ্ঠকে জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। ঢাকা মহানগরে এবার ২৫৯টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ঢাকা মহানগরে ২৫২টি পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। সে হিসাবে মহানগরে সাতটি পূজা বেড়েছে। সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর ৩১ হাজার ৪৬১টি পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সেনাপ্রধান। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর মন্দিরে মন্দিরে এখন চলছে দেবী প্রতিমার রং করার কাজ। কাদামাটির প্রলেপের ওপর রংতুলির আঁচড়ে দশভুজা দেবী ষষ্ঠীর দিন পাবেন জীবন্ত রূপ। দেবী সেজে উঠবেন অপরূপ সাজে। শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মঙ্গলসংগীতে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নেবে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা। শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলো সাজাতে চলছে তোড়জোড়। রং-বেরঙের ফেস্টুন, ব্যানার আর বর্ণিল তোরণ নির্মাণে পূজা কমিটির সদস্যদের ব্যস্ততারও কমতি নেই। আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে নানা আয়োজন সম্পন্নের কাজ চলছে। পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপরই তৈরি করা হচ্ছে মণ্ডপ।

আগামীকাল সোমবার মহাসপ্তমী, মঙ্গলবার মহাষ্টমী, বুধবার মহানবমী ও বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী পূজা। দশমীর দিনে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।




আলমডাঙ্গায় ওসমানপুরে বিএনপি’র মতবিনিময় সভা 

আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে ওসমানপুর গ্রামে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন, মোঃ হাবিল শেখ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়া। সঞ্চালনায় ছিলেন, ফিরোজ মাস্টার। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা মজিবর রহমান সামসুল, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন বিশ্বাস হিমেল, আব্দুল আল-মামুন বিপ্লব, ডা. জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের হারদী ইউনিয়ন সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, ছানোয়ার মাস্টার, আমছার, শাহিন, মকছেদ মাস্টার, সোহাগ রানা, ডাবলু, রিকন আলী, স্বাধীন, ইবাদত, আক্কাস, তালাল, কুদরত, মিনারসহ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, “নমিনেশন যেই নিয়ে আসুক, আমরা সবাই এক হয়ে ধানের শীষকে শক্তিশালী করবো। এখানে কোনো গ্রুপিং থাকবে না। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থাকলেই বিজয় নিশ্চিত।” অন্যান্য বক্তারাও একই সুরে বলেন, বিএনপি’র ভেতরে বিভক্তি বা গ্রুপিং নয়, বরং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলেই আসন্ন আন্দোলন ও নির্বাচনে ধানের শীষের জয় সম্ভব।




মেহেরপুরে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মৃত্যুদাবী চেক প্রদান

মেহেরপুরে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকের মৃত্যুদাবি চেক প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার সকালে মেহেরপুর শহরের তাঁতীপাড়ায় এ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও চেক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেনন্সের মেহেরপুর মেট্টোর এফএ রওশন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এহান উদ্দিন মনা। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেনন্সের মেহেরপুর মেট্টোর ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম পলাশ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা খাতুন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি।

অনুষ্ঠানে গ্রাহক আসাদুল ইসলাম হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর কাগজ পত্র জমাদান সাপেক্ষে মাত্র সাত কর্মদিবসের মধ্যে বীমা দাবির এক লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয় এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনাই দোয়ার মাফফিলের ব্যবস্থা করা হয়।

 অনুষ্ঠান  সঞ্চালনায় ছিলেন, ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট জুবায়েদ আহমেদ শাম্মী। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ তাদের বক্তব্যে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর ভুয়সী প্রশংসা করেন।




দামুড়হুদা দশমী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত 

দামুড়হুদার দশমী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে কার্পাসডাঙ্গা সুপারস্টার বনাম কলাবাড়ি রামনগর একাদশের মধ্যে ২য় রাউন্ডের ২য় খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় কার্পাসডাঙ্গা সুপারস্টার ক্লাব ২-০ গোলে কলাবাড়ি রামনগর একাদশকে পরাজিত করে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন কার্পাসডাঙ্গা সুপার স্টার ক্লাবের কৃষ্ণ। এসময় মাঠে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম- আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, দামুড়হুদা বাজার কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক রাশিদুল জামান বেল্টু।

আরো উপস্থিত ছিলেন, টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক একরামুল হোসেন মেম্বার, যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম রশিদ, আব্বাস, জানু, খরসেদ, জাহাঙ্গী, মামুন, রাজু, দিপু, টগর, শুভো প্রমূখ।




একমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ -মাসুদ অরুণ

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী বাজারে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুণের গণসংযোগ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় বারাদী বাজারের ১ নং জেলা পরিষদ মার্কেট প্রাঙ্গণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বারাদী ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা, আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর থানা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি শামসুল আলম, জেলা তাঁতী দলের সভাপতি আরজুল্লাহ রহমান বাবলু মাস্টার।

মাসুদ অরুণ তার বক্তব্যে বলেন, একমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর পরিবারের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। হাসিনা ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল, এখন শুনি অনেকেই গোপনে ভারতের সাথে যোগাযোগ করছে। তাই আমরা বিশ্বাস করি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর পরিবারের কাছেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিরাপদ। আমরা বিশ্বাস করি বেগম খালেদা জিয়ার কাছেই এ দেশ নিরাপদ। বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। এখানে কৃষকের কথা আছে, মেহনতী মানুষের কথা আছে, আমার মা বোনের কথা আছে, আমার ছাত্র-যুবকের কথা আছে, আমরা সেই ৩১ দফার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন সমাজ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম রাজন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক লুলু, থানা কৃষক দলের সহ-সভাপতি বাদলসহ জেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি’র বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ।




মুজিবনগরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির আয়োজনে সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নে ভবের পাড়া গ্রামের স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে ভবরপাড়া গ্রামে ৩৪ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ আ ফ ম মুনতাহি রেজা।




আলমডাঙ্গায় সাহিত্য পরিষদের সাহিত্য আড্ডা

আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে সাহিত্য পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের অন্যতম সদস্য কবি সাইদুর রহমানের ঘরে আয়োজিত সাহিত্য পাঠের আসরে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ওমর আলী মাস্টার। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আসিফ জাহান।

কবি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় কবিতা পাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, গাঙচিল সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি হাবিবুর রহমান মজুমদার, কবি জামিরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান আলোচক কবি আসিফ জাহান বলেন, সাহিত্য বলতে লিখিত বা মৌখিক শিল্পকে বোঝায়, যা মানবজীবন ও সমাজের প্রতিচ্ছবি হিসেবে কাজ করে। এটি কেবল একটি শব্দ বা বাক্য নয়; বরং কবিতা, গান, প্রবন্ধ, নাটকসহ বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হয়। সাহিত্যের মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়, কুসংস্কার দূর করা হয় এবং মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক চেতনা জাগ্রত করা হয়।

প্রধান অতিথি ওমর আলী মাস্টার বলেন, সাহিত্যকে শিল্পের একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি মানব ও সমাজ জীবনের প্রতিচ্ছবি, যা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনা ও সংগ্রামকে তুলে ধরে। সাহিত্য মানুষের চিন্তাভাবনা, আবেগ-অনুভূতি ও উপলব্ধির প্রকাশ। সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলার একটি শক্তিশালী মাধ্যম সাহিত্য। এটি পাঠককে চিন্তা করতে শেখায়, কুসংস্কার দূর করে এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি হামিদুল ইসলাম বলেন, সাহিত্য মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করে। কবিতা বা গান হলো ছন্দবদ্ধ রচনা, যা কবির সংক্ষিপ্ত অনুভূতি ও চিন্তার প্রকাশ। নির্দিষ্ট সুর, তাল ও লয়ে উচ্চারিত ছন্দবদ্ধ রচনা বা সংগীত। নাটক বলতে বোঝায় কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে লেখা একটি সুসংগঠিত আলোচনা যা অভিনয়ের জন্য রচিত হয়ে মঞ্চে উপস্থাপিত হয়। উপন্যাস হলো মানবজীবন ও সমাজকে কেন্দ্র করে লেখা একটি দীর্ঘ কাহিনি।




আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের আয়োজনে অভিভাবক সমাবেশ

আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল দশটার দিকে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে অভিভাবক সমাবেশ।

দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক ও বানিজ্য বিভাগের ৮০ জন শিক্ষার্থী ও ৯৯ জন অভিভাবকের উপস্থিতিতে বাংসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সম্পর্কে অভিহিত করার জন্য অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

অভিভাবক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: মফিজুর রহমান। কলেজের শিক্ষক পরিষদের সহ: সম্পাদক ড. মো: মহবুব আলমের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন মানবিক বিভাগের আফিয়া ইবনাত, নিশাত আফরিন, আফিয়া ফাহমিদা।

অভিভাবকদের মধ্য থেকে পরামর্শ মূলক বক্তব্য প্রদান করেন মো: আনিছুর রহমান (আনিস), মো: মোশাররফ হোসেন, মো: রেজাউল হক, মো: সাব্বির হোসেন। শিক্ষকদের মধ্য থেকে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন সহকারি অধ্যাপক মোহা: আব্দুল মোনয়েম, মো: সাইদুর রহমান ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মো: মহিতুর রহমান।

এই সমাবেশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি পর্যালোচনা, ভালোমন্দ দিক গুলো আলোচনা, তাদের পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ বাড়ানে এবং অনুপস্থিতির হার কমানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। অধ্যক্ষ সাহেব শিক্ষার্থীদের কলেজে নিয়মিত ক্লাস করা ও সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার উপর নির্দেশ প্রদান করেন




ঝিনাইদহে সম্পত্তির বিরোধে বাবার লাশ দাফনে সন্তানদের বাধা

ঝিনাইদহে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছে দুই পক্ষের সন্তানরা। পুলিশের হস্তক্ষেপ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মৃত্যুর ১০ ঘণ্টা পর মরদেহ দাফন করা হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ২৬ সেপ্টম্বর (শুক্রবার) ১০টার দিকে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের কোলা গ্রামের লেদু দেওয়ান (৮০) ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি দুই সংসারের ১০ সন্তান রেখে গেছেন।

জানা যায়, মৃত্যুর আগে লেদু দেওয়ান সব সম্পত্তি দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। এ নিয়ে প্রথম সংসারের ৭ সন্তান ও দ্বিতীয় সংসারের ৩ সন্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা দাফনের আয়োজন করলে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা সম্পত্তি ভাগ না দেওয়া পর্যন্ত দাফনে বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

কাতলামারি পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ইকবাল হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। বৈঠকে সমঝোতার ভিত্তিতে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের ৭০ শতক জমি দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। পরে রাত ৮টার দিকে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

প্রয়াত লেদু দেওয়ানের প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা অভিযোগ করে বলেন, বাবাকে জিম্মি করে সৎ মা ও তার সন্তানরা সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে।

তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের দাবি, লেদু দেওয়ান জীবিত অবস্থায় স্বেচ্ছায় সম্পত্তি দিয়ে গেছেন। এএসআই ইকবাল হোসেন বলেন, লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বড় ধরনের অঘটনের শঙ্কা ছিল। স্থানীয়দের সহায়তায় উভয় পক্ষের মধ্যে লিখিত সমঝোতার মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।