মেহেরপুর রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

মেহেরপুর রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডিন্ট পদে আল আমিন ইসলাম বকুল ও সেক্রেটারি পদে অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন জয়লাভ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সকাল ১১ টা থেকে বিরতীহীন ভাবে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ও মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নজরুল কবির ফলাফল ঘোষণা করেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে আল আমিন ইসলাম বকুল ২৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী অ্যাড. নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১০৫ ভোট। সেক্রেটারি পদে অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন ২৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী কাজী মিজান মেনন পেয়েছেন ৮৮ ভোট।

বিজয়ী অন্যান্যদের মধ্যে নির্বাহী সদস্য নুর রহমান ২২১ ভোট, একেএম আনোয়ারুল হক কালু ২৫৩ ভোট, মাজাহারুল ইসলাম ২০৯ ভোট , মো: নজরুল ইসলাম ১৭৭ ভোট এবং সোহেল রানা ১৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশাদুল ইসলাম ও আবু তালেব দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে ৭টি পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দীতা করেন।




আরেকবার ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নে কাজ করব

মেহেরপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন বলেছেন, “আপনারা আমাকে নিজের সন্তান মনে করে আকালের আমলে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এমপি বানিয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের সেই আমলে আমাকে দু’টা গম আর জেলা পরিষদের সামান্য বরাদ্দ ছাড়া কিছুই দেয়নি। তারপরও আমি আমার বরাদ্দকৃত সেই সামান্য অর্থ দিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি জানি, আপনারা এখনো আমাকে সন্তান হিসেবে ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসা দিয়ে এবারও ধানের শীষে ভোট দিয়ে এই আসনটি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে তুলে দেবেন। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সেবক হিসেবে আপনাদের পাশে রাখব।”

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগকালে জনতার উদ্দেশ্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

সেই সময় তিনি গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেন। এর আগে তেঁতুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোরাদ আলী, বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান গাড্ডু, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, গাংনী উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাজেদুর রহমান বুলবুল, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলম, কাথুলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বাবলু, পৌর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুরেলী আলভী, বিএনপি নেতা আবু সাদাত মো. সায়ম পল্টু, কাথুলী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হোসাইন, বিএনপি নেতা আবদুস সাত্তার, গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন, গাংনী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নান, জেলা যুবদলের সদস্য ফারুক হোসেনসহ বিএনপির নারী নেত্রী ও স্থানীয় বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

পথসভা শেষে বিশাল বহরের একটি মিছিল তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ, ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা ও কুশল বিনিময় করেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। গণসমাবেশ ও মিছিলে বিপুল সংখ্যক নারী কর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

সমাবেশে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন আরও বলেন, “ছাত্র বয়স থেকে আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক। ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছি, যুবদলের নেতৃত্ব দিয়েছি। দীর্ঘদিন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মেহেরপুর ও গাংনীর নির্যাতিত-নিপীড়িত নেতাকর্মীদের আপদে-বিপদে পাশে থেকেছি।”

এদিকে বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেনের গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু।

তিনি অভিযোগ করেন, এলাকার এক ক্যাসিনো ব্যবসায়ীর টাকায় ধানের শীষের প্রার্থীকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন পলাশ নামের এক অনলাইন জুয়াড়ি। কয়েক মাস আগে ঘোষিত বিএনপির নতুন কমিটি থেকে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই সুযোগে কিছু অনলাইন ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অনুসারীরা বিক্ষোভ ও মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি চালাচ্ছেন।

তিনি বলেন, “গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন পলাশ ঢাকায় আওয়ামী লীগ, মেহেরপুরে জামায়াতের সমর্থক আর গাঁড়াবাড়িয়ায় বিএনপির পরিচয় দেয় এবং মিল্টন সাহেবের সঙ্গে চলাচল করে। ক্যাসিনো সম্রাটরা মিল্টন সাহেবকে টাকা দিয়ে আমজাদ সাহেবের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসবের দাঁতভাঙা জবাব আমাদের সবাইকে দিতে হবে।”

সাংবাদিকদের উদ্দেশে আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, “আমজাদ সাহেব সৎ ও যোগ্য নেতা, তাকে নিয়ে অপসংবাদিকতা করবেন না।”

গণমিছিল ও পথসভায় তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রবীণ বিএনপি নেতাকর্মী, তরুণ ভোটার ও বিপুল সংখ্যক নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল।




আলমডাঙ্গায় ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন ওলামা দলের কমিটি গঠন

আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন ওলামা দলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার সময় ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে উৎসবমুখর পরিবেশে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু সুলতান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা মোঃ আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি কাজী আবুল হাসনাত।

প্রধান অতিথির অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যে মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি ইসলাম, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকা একটি শক্তি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউল হুদা,

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন লাড্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হুরাইরা, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল মামুন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহ কলম, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজা হোসেন ও আবু মুসা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।

ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন ওলামা দলের নবগঠিত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি মোঃ সবোদ আলী,সাধারণ সম্পাদক আবু নছর, সহ-সভাপতি মজিবুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আলিম বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন হোসেন।




নির্বাচনের আগে সরকারকে গণভোট দিতেই হবে

মেহেরপুরে অনুষ্ঠিত জেলা রোকন সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন বলেছেন, নির্বাচনের আগে সরকারকে গণভোট দিতেই হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার সময় মেহেরপুর শহরের পশুহাটসংলগ্ন চুয়াডাঙ্গা রোডে জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিসে এ রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর (১) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির তাজউদ্দিন খান। প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিম সদস্য, গাংনী (২) আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা কর্মপরিষদ ও শুরা কমিটির সদস্য নাজমুল হুদা, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুবুল আলম, জেলা সেক্রেটারি মো. ইকবাল হোসাইন, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি কাজী মাওলানা রুহুল আমিন, সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমির মাওলানা খানজাহান আলী, গাংনী উপজেলা আমির ডা. রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা সেক্রেটারি মাস্টার জাব্বারুল ইসলাম এবং মুজিবনগর উপজেলা সেক্রেটারি মো. খাইরুল বাশ।

সম্মেলনে জেলা জামায়াতের রোকন সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে আ’লীগের লকডাউনের প্রতিবাদে শেখ মুজিবের ম্যুরাল গুড়িয়ে দিল ছাত্র জনতা

আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে শেখ মুজিবের ‘এক তর্জনি’ বিশিষ্ট ম্যুরালটি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিল ছাত্র জনতা। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ শহরের সাবেক মুজিব চত্বরে স্থাপিত ‘এই ম্যুরালটি’ গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনের প্রতিবাদে সকাল ১০টার দিকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শহীদ মিনারের সামনে বর্তমান স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এক তর্জনি’ স্তম্ভটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।

এর আগে গত বছরের জুলাই বিপ্লব চলাকালে ৫ আগস্ট ‘এক তর্জনি’ ম্যুরালটি ভাঙচুর করা হলেও কিছু অংশ অবশিষ্ট ছিল। সেই অবশিষ্ট অংশ বৃহস্পতিবার সকালে বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।

বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব সাইদুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে অতীতে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে। এখনো তারা সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার মানুষকে আওয়ামী লীগ ও হাসিনা পঙ্গু করে দিয়েছে। দেড় হাজারের বেশি ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। আজও শহিদদের রক্তে রাজপথ ভেজা। কিন্তু আওয়ামী লীগ হায়েনার মতো আবারও অগ্নিসন্ত্রাসে মেতে উঠেছে। যে কারণে, ছাত্র জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে বাকশালের জনক শেখ মুজিবের স্তম্ভটি গুড়িয়ে দিয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা ম্যুরালটি ভেঙে দিয়েছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।




গাংনীতে শিশু মৃত্যু রোধে সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

মেহেরপুরের গাংনীতে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে সাঁতার প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী উপজেলার ধানশিঁড়ি রিসোর্টের সুইমিং পুলে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল সালাম। সাঁতার প্রশিক্ষণে অংশ নেয় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান, গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিদ হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও লুৎফন নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন, গাংনী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নুরানি, সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান এবং চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান।

সাঁতার প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, পর্যাপ্ত জলাশয় ও পুকুর না থাকায় আমরা সাঁতার শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ আয়োজন করায় আমরা খুবই উপকৃত হবো এবং নিজেদের আত্মরক্ষার সুযোগ পাবো।

জেলা প্রশাসক ড. আবদুল সালাম বলেন, প্রতিবছর মেহেরপুর জেলায় পানিতে ডুবে অনেক শিশু মারা যায়, যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।

জেলায় পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকায় শিশুরা সাঁতার শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বারবার পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এতে সচেতন মহল ও অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। এ কারণেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি গ্রামে সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা শহর ও গাংনীতে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।




২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ লাখ দক্ষ ক্যাডেট তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে বিএনসিসি

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের (বিএনসিসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সায়েদ আল মাসুদ জানিয়েছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ৪০ লাখ দক্ষ ক্যাডেট তৈরির লক্ষ্য নিয়ে তাদের কাজ এগিয়ে চলেছে।

গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সভায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক এক উপস্থাপনায় তিনি এ তথ্য জানান।

উপস্থাপনাকালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সায়েদ বিএনসিসির বর্তমান কাঠামো, যুব দক্ষতা উন্নয়ন কাঠামো, জাতীয় যুব কর্মপরিকল্পনা, প্রয়োজনীয় জনবল, বাজেট, চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিএনসিসিতে যোগদানের প্রাথমিক বয়সসীমা ১৭ থেকে ১৮ বছর।

বিএনসিসির মহাপরিচালক জানান, বর্তমানে বিএনসিসির অধীনে ৫৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত রয়েছে এবং ভবিষ্যতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর শাখা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বিএনসিসির লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই বিএনসিসিকে সমর্থন করি, তবে এর গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ভালো, বিশ্বাসযোগ্য প্রশিক্ষক প্রয়োজন এবং ভবিষ্যতপন্থি দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনসিসি মানে আত্মসম্মান ও শৃঙ্খলা। এমন একটি ব্যবস্থা থাকা উচিত, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে ক্যাডেটরা সার্টিফিকেট পেতে পারেন, যা তাদের কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং সুযোগ তৈরি করতে হবে, যাতে তারা ভবিষ্যতে আরও ভালোভাবে এগিয়ে যেতে পারেন।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খালিলুর রহমান, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান।




চুয়াডাঙ্গার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম টোটন গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি সেলুন জোয়ার্দারের ছোট ভাই সাবেক পৌরমেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের কথিত লকডাউন উপলক্ষে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ছিল রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নাশকতার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।




মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

দিনব্যাপী কবিতা আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশনা ও নানা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল ওয়াদুদ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সংস্কৃতি ও খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল্লাহ আল আমিন, প্রফেসর আব্দুল হামিদ ও প্রফেসর কাজী আশরাফুল আলমসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে কলেজের বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।




নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান মামদানি। এনবিসি নিউজের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রগতিশীল ভোটারদের উজ্জীবিত করে এবং দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে তিনি এই ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন। তার জয়ে যেমন আনন্দে ভাসছে প্রগতিশীল শিবির, তেমনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রিপাবলিকানরা এবং কিছু ডেমোক্র্যাটিক মধ্যপন্থী নেতাও।

নিউইয়র্কের ১১১তম মেয়র হলেন মামদানি। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী মামদানি সহজ ব্যবধানে পরাজিত করেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে। কুয়োমো ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে পরাজয়ের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েন। আর বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস গত সেপ্টেম্বরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে কুয়োমোকে সমর্থন জানান।

প্রায় এক বছর আগে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করা মামদানির জন্য এটি এক অবিস্মরণীয় উত্থান। একজন তুলনামূলক অখ্যাত স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান থেকে আমেরিকার সবচেয়ে বড় শহরের নেতৃত্বে পৌঁছে গেলেন তিনি। মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে তিনি নিউইয়র্কের প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরিকে দু’দুবার হারিয়ে দেন।

এখন জাতীয়ভাবে পরিচিত এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে মামদানিকে সামলাতে হবে বিশাল প্রশাসনিক কাঠামো, বাস্তবায়ন করতে হবে তার উচ্চাভিলাষী নীতিমালা, এবং প্রগতিশীল রাজনীতির জাতীয় ধারায় প্রভাব বিস্তার করতে হবে। তার ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভাড়া নিয়ন্ত্রিত ফ্ল্যাটে ভাড়া বৃদ্ধিতে স্থগিতাদেশ, সার্বজনীন শিশুসেবা, বিনামূল্যে বাস চলাচল ব্যবস্থা ও সিটি করপোরেশন পরিচালিত মুদি দোকান চালু করা।

কুইন্সে হাজারো সমর্থকের সামনে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এক সমাবেশে মামদানি বলেন, ‘এমন মুহূর্ত যেন আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল—এমনটা ভাবতে ইচ্ছে করে। কিন্তু যখন আমি প্রচারণা শুরু করি, তখন সেখানে একটিও টেলিভিশন ক্যামেরা ছিল না।’ তিনি যোগ করেন, ‘চার মাস পর, ফেব্রুয়ারিতেও আমাদের সমর্থনের হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ—আমরা ছিলাম সেই প্রার্থীর সঙ্গে সমান, যার নাম ছিল “অন্য কেউ”।’

মামদানির এই জয়ের প্রভাব শুধু নিউইয়র্কেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; তা সারা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে আলোচনার জন্ম দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিউইয়র্কে এখন তার প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে অ্যালবানি ও সিটি কাউন্সিলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করা—যাদের অনেকেই শুরুতে তার পাশে দাঁড়াতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন।

জাতীয় পর্যায়ে ডেমোক্র্যাট নেতারা খতিয়ে দেখবেন, কীভাবে মামদানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছেছেন এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটকে প্রধান ইস্যু বানিয়েছেন—যা তাদের নিজেদের নির্বাচনী লড়াইয়েও দিকনির্দেশনা দিতে পারে। অন্যদিকে রিপাবলিকানরা ইতিমধ্যেই মামদানির বামঘেঁষা নীতিকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

এনবিসি নিউজের এক্সিট পোল অনুযায়ী, মামদানি নিউইয়র্কের প্রায় সব জাতিগত গোষ্ঠীর ভোট পেয়েছেন—শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ, লাতিনো, এশীয় ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ভোটারদের বড় অংশই তাকে বেছে নিয়েছেন। ৪৫ বছরের নিচের ভোটারদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ছিল বিপুল; কুয়োমোর চেয়ে ৪৩ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটারদের মধ্যে কুয়োমো ১০ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন।

শিক্ষাগত পার্থক্যও ভোটের ফলাফলে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে এক্সিট পোল জানায়। এছাড়া গত ১০ বছরে নিউইয়র্কে বসতি স্থাপন করা নতুন বাসিন্দা ও জন্মসূত্রে নিউইয়র্কে থাকা ভোটারদের মধ্যেও স্পষ্ট বিভাজন দেখা গেছে।

তবে মামদানির ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান নির্বাচনজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তার মুসলিম পরিচয় ও ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান নিয়ে বিরূপ প্রচারণা চললেও শেষ পর্যন্ত ভোটাররা তাকেই সমর্থন দেন। এক্সিট পোল অনুযায়ী, ইহুদি ভোটারদের মধ্যে কুয়োমো এগিয়ে ছিলেন ৬০% ভোটে, যেখানে মামদানি পান ৩১% ভোট।

নির্বাচনের শেষ সপ্তাহগুলোতে মামদানি ও কুয়োমোর মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ হয়। কুয়োমো তাকে ‘নিউইয়র্কে বিভাজন সৃষ্টিকারী’ বলে আখ্যা দেন, অন্যদিকে মামদানি কুয়োমোকে ট্রাম্পের ‘কাঠপুতলি’ বলে সমালোচনা করেন। নির্বাচনের আগের রাতেই ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়োমোকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, স্লিওয়াকে ভোট দেওয়া মানে মামদানিকে ভোট দেওয়া।

একইসঙ্গে এক্সিট পোল থেকে জানা যায়, রিপাবলিকান ভোটারদের বড় অংশ স্লিওয়ার চেয়ে কুয়োমোকেই সমর্থন করেছেন—রিপাবলিকানদের ৬১% ভোট গেছে কুয়োমোর পক্ষে, আর স্লিওয়া পেয়েছেন ৩৫%।

গত মাসের শেষদিকে এক আবেগপূর্ণ ভাষণে মামদানি বলেন, তিনি নিজের মুসলিম পরিচয় নিয়ে ‘বর্ণবাদী ও ভিত্তিহীন’ আক্রমণের মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন, ‘তারা এই নির্বাচনকে বানাতে চেয়েছে আমার ধর্মবিশ্বাসের ওপর গণভোট, কিন্তু আমি লড়েছি নিউইয়র্কবাসীর জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের বিরুদ্ধে।’

নিউইয়র্কের ইতিহাসে তিনিই হতে যাচ্ছেন প্রথম মুসলিম মেয়র। তার বিজয় শুধু নিউইয়র্ক নয়, সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে প্রগতিশীল রাজনীতির জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে দিল।

সূত্র: ইত্তেফাক