শিশুর সুরক্ষায় টাইফয়েড ভ্যাকসিন

শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ আর তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জাতির অগ্রযাত্রার মূল ভিত্তি। কিন্তু এখনও দেশে টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত সংক্রমণজনিত রোগ শিশুদের জন্য এক ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে রয়েছে। দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই রোগ প্রতিবছর হাজারো শিশুকে অসুস্থ করে তোলে এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। এ বাস্তবতায় শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ শিশু সুরক্ষা, জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়নের এক অনন্য পদক্ষেপ।

স্কুলের বাইরের খাবারগুলোর মধ্যে যেমন ফুচকা, ভেলপুরি, চটপটি, আচার, শরবত বা আইসক্রিম — এগুলোর টক-মিষ্টি ও ঠান্ডা খাবার বাচ্চাদের মধ্যে পানিবাহিত রোগের অন্যতম কারণ। বিশেষ করে টাইফয়েড সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে সঠিক নিয়মে হাত না ধুলে দূষিত পানি ও খাবার খেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি সিস্টেমিক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে ছড়ায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামান্দ্য, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। এসব উপসর্গ প্রায়ই অস্পষ্ট হয় এবং অনেক সময় অন্যান্য জ্বরজনিত রোগের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। গুরুতর অবস্থায় জটিলতা বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ও নিরাপদ পানির অভাব টাইফয়েডের প্রকোপ বাড়ায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় হলো বাসায় রান্না করা খাবার খাওয়া, পানি ফুটিয়ে খাওয়া এবং বাসি খাবার পরিত্যাগ করা।

টাইফয়েড ভয়াবহ রূপ নিতে পারে যদি চিকিৎসা করতে দেরি করা হয়। এই টাইফয়েড হলো নাড়িতে ঘা বা অন্ত্রে ঘা; যার ফলে আস্তে আস্তে নাড়িটা ফুটো পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে, তখন সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। আবার লিভারে কিন্তু এটার প্রদাহ ছড়িয়ে যেতে পারে তখন লিভারের এনজাইম বেড়ে যায় তখন এটাকে বলা হয় হেপাটাইটিস। আবার অগ্নাশয়ে এটার প্রদাহ ছড়িয়ে যেতে পারে তখন এটাকে বলা হয় প্যানক্রিয়াটাইটিস। এছাড়া গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে প্রদাহ ছড়িয়ে যেতে পারে তখন এটাকে বলা হয় কোলেসিস্টাইটিস। এমনকি ফুসফুসে এটার প্রদাহ হতে পারে তখন এটা হতে পারে নিউমোনিয়া। আবার হার্টে এটার প্রদাহ ছড়িয়ে গিয়ে মায়োকারডাইটিস হতে পারে। সবচেয়ে ভয়াবহ যেটা ব্রেনে যদি প্রদাহ শুরু হয়, হতে পারে মেনিনজাইটিস, এনক্যাফালাইটিস, এনক্যাফালোপ্যাথি এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কাজেই কোনোভাবেই এত বড়ো রিস্ক নেয়া ঠিক না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বর্তমানে টাইফয়েড জ্বর নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় ও প্রাদুর্ভাব উভয় পরিস্থিতির জন্য তিন ধরনের ভ্যাকসিন সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) সব বয়সের জন্য রুটিন টিকাদান কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে কারণ এটি উন্নত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেয়। এটি কম বয়সি শিশুদের জন্য উপযোগী এবং দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা প্রদান করে।

শিশুর সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকারের বহুমুখী পরিকল্পনার একটি নজির শিশুদের বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দান কর্মসূচি। এক ডোজ টিকা নিয়ে টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫ হতে সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রথমবারের মতো সরকার প্রায় ৫ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে এই টিকা দেবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি সব শিশু এই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে।

টিকা পেতে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv এ অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন হবে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর। বাচ্চা কোন স্কুলে, কোন ক্লাসে পড়ালেখা করে সেটা লাগবে। নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১ আগস্ট থেকে। নিবন্ধনের পর জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। ১২ অক্টোবর থেকে টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হবে। যারা রেজিস্ট্রেশন করবে প্রত্যেককে দিন ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে এবং সেই নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দিতে হবে। যদি বাচ্চা অসুস্থ থাকে অথবা যদি কোনো কারণবশত সেদিন ভ্যাকসিন না নেওয়া যায় তাহলে কোনো অসুবিধা নেই, পরবর্তীতে বাচ্চা সুস্থ হলে তার যেকোনো একদিন বাচ্চার স্কুলে বা যেখানে টিকাদান কর্মসূচি চলছে সেখানে গিয়ে টিকা দেওয়া যাবে। প্রথম ১০ দিন স্কুল ও মাদ্রাসায় ক্যাম্পের মাধ্যমে এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে টিকা দেওয়া হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলেও শিশুরা টিকা নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বাবা–মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা হবে এবং টিকা গ্রহণের তথ্য কাগজে লিখে দেওয়া হবে।

টাইফয়েড প্রতিরোধে এক মাস ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০ টি অঞ্চলে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে। এ সময়ের মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি প্রায় ১৩ লাখ শিশু টিকা পাবে। মোট ১৮ কর্মদিবসে ২ হাজার ১৮১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া) আবার ১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোয় মোট ১৮ দিন টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইট বা আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রগুলোয় টিকা দেওয়া হবে এছাড়াও নেই। টাইফয়েড টিকা দান কর্মসূচি সফল করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থা ও অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তথ্য অধিদফতর, জেলা তথ্য অফিস, বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার নিয়মিত পরিচালনা করছে।

টিকা গ্রহণের পূর্বে সকলকে সকালের নাস্তা খেয়ে আসতে হবে, অর্থাৎ খালি পেটে আসা যাবে না। টিকা গ্রহণের পর অন্তত ৩০ মিনিট টিকা দান কেন্দ্রে বসে থাকতে হবে। এই টিকা নতুন হলেও অন্যান্য টিকার মতোই যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এটিও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে সেটা খুবই কম। যেমন: দেহের যে স্থানে প্রয়োগ করবে সেখানে সামান্য একটু ব্যথা হতে পারে, লাল হতে পারে, অল্প জ্বর, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি ভাব এবং মাংসপেশিতে ব্যথা দেখা দিতে পারে। এগুলো খুবই সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এগুলো খুবই সাভাবিক একটা বিষয়। অনেকের বেলায় হয় আবার অনেকের বেলায় হয় না। আবার যে স্থানে প্রয়োগ করবে সেই স্থান একটু লাল হতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা

টাইফয়েড প্রতিরোধে সরকারের এই টিকাদান কর্মসূচি নিঃসন্দেহে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। শিশুদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি শুধু একটি টিকা কর্মসূচি নয় বরং একটি জাতীয় অঙ্গীকার। একটি সুস্থ, সক্ষম ও সংক্রমণমুক্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনের প্রত্যয়। অভিভাবকদের সচেতনতা, শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে এই কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে। তাই আসুন, আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রতিটি শিশুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিনের আওতায় এনে একটি সুস্থ, নিরাপদ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

লেখক: সহকারী তথ্য অফিসার, তথ্য অধদফতর।




দর্শনায় ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কে সংবর্ধনা 

আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের দর্শনা শাখা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি  জাহাঙ্গীর হোসেন খোকন কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫ টায় আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের দর্শনা শাখা কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের দর্শনা শাখা কার্যালয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খোকন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার বাস ও ট্রাক শ্রমিকদের আস্থার সংগঠনের সকল সদস্যকে পাশে নিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজ করতে চাই।

এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান শান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন আনু, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রকিবুল ইসলাম এবং আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের দর্শনা শাখা কার্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ, সিনিয়র-সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ন কবির, প্রচার সম্পাদক মোঃ সানোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শ্রী পার্থ প্রতিম রবি শিকদার, কার্য্য নির্বাহী সদস্য মোঃ নাজমুল হোসেন প্রমুখ।




দামুড়হুদায় গ্যাস ট্যাবেলট দিয়ে পুকুরের মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ 

দামুড়হুদার কেশবপুর গ্রামে রাতের আধারে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরের মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে কেশবপুর গ্রামের সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সামনে অবস্থিত প্রায় ৫ বিঘা পুকুরের মাছ মেরে দেয় দূর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

এ ঘটনায় পুকুরের মালিক কেশবপুর গ্রামের আবুল মল্লিকের ছেলে আব্দুর রফিক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রফিক একজন মৎস চাষী। দামুড়হুদা থানাধীন কেশবপুর গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের সম্মুখে প্রায় ০৭ বিঘা জমিতে একটি পুকুর রয়েছে সেখানে প্রায় ০৫ বিঘা জলকর আছে। সেখানে ০৭ বছর যাবৎ আব্দুর রফিক ঐ পুকুর লীজ গ্রহণ করে মাছ চাষ করে আসছে। সেই সুবাদে গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় দামুড়হুদা থানাধীন কেশবপুর গ্রামস্থ প্রাইমারী স্কুলের সম্মুখে পুকুরটি দেখাশোনা করে নিজ বাড়িতে চলে আসে। গতকাল শুক্রবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫ টার সময় পুকুরে এসে দেখে যে, গ্যাস ট্যাবলেট ও বিষ প্রয়োগ করে কে বা কাহারা পুকুরের সমুদয় মাছ মেরে ফেলেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ)টাকা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর বলেন, এ বিষয়ে একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




গাংনীতে সার বিতরণ নিয়ে বিএনপি নেতা আখেরুজ্জামানের সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের গাড়াডোব গ্রামে সরকারি সার বিতরণে একটি পক্ষ প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানক্ষুন্নের চেষ্টা করছে দাবি করে জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেন।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গাড়াডোব গ্রামে তার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। এতে মূল ঘটনা গোপন রেখে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাস্তবে আমি একজন ভুক্তভোগী। গাড়াডোব একটি কৃষিপ্রধান গ্রাম। এ মাসে সরকারিভাবে বিসিআইসি ডিলার ও সাব-ডিলারের মাধ্যমে দুই উৎস থেকে মোট ৩৬ বস্তা সার পাওয়া যায়। এছাড়াও বিএডিসি ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত সারগুলো একত্র করে, কৃষকদের প্রয়োজন ও জমির প্রস্তুতির ভিত্তিতে ধাপে ধাপে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যাদের আগে প্রয়োজন তাদের আগে ও যাদের পরে প্রয়োজন তাদের পরে সার দেওয়া হচ্ছে। এটি কোনো একক সিদ্ধান্ত নয়— কৃষি অফিস, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ও কৃষকদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতীতে এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাই এ মাসে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও প্রকৃত কৃষকদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সবাই মিলে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তবু কিছু মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদটি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। এতে এলাকাবাসী বিভ্রান্ত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন, আবিদুল হক, আব্দুস সালাম, ফরিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।




ঝিনাইদহে ডিম দিবস পালিত

ঝিনাইদহে ডিম দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও বিনামুল্যে সিদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়েছে। এবারের ডিম দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন।”

ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদের আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। আজ শুক্রবার সকালে জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃএ.এস.এম আতিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা: সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস, দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক আলাউদ্দিন আজাদ, ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারনের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ রেজাউল করিম। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃজহির রায়হান ঝিনাইদহ পোল্টি মালিক সমিতির সভাপতি হামিদুর রহমান।

অনুষ্ঠানটি প্রেজেন্টেশন করেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জিল্লুর রহমান। এছাড়া ৬টি উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধিগণ ও পোল্ট্রি মালিক সমিতির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে পথচারীদের মাঝে বিনামুল্যে সিদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুরের মোনাখালিতে ইউনিয়ন বিএনপি’র আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধন

মোনাখালি ইউনিয়ন বিএনপি’র আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার সময় মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত থেকে শিবপুর গলাকাটা মোড়ে মোনাখালি ইউনিয়ন বিএনপি’র আঞ্চলিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বিএনপি নেতা মিয়ারুল গাজীর সভাপতিত্বে এবং মেহেরপুর কোর্টের এপিপি এ্যাড: সেলিম গাজীর সঞ্চালনায় অতিথি হিসাবে উপস্হিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন।
অফিস উদ্বোধন ও সমাবেশে উপস্হিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি আজিমউদ্দীন গাজী,

মুজিবনগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টু (মেম্বার) মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির। উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান।

এ সময় উপস্হিত ছিলেন, মোনাখালী ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি আসাদুল শেখ। মোনাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাহুলসহ শিবপুর গ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীবৃন্দ।




মুজিবনগর প্রেসক্লাবের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগর প্রেসক্লাবের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় ক্লাব সভাকক্ষে প্রেসক্লাবের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সদস্যদের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে গ্রহণ করা হয়।

মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসি ওমর ফারুক প্রিন্স এর সভাপতিত্বে মাসিক সাধারণ সভায় প্রেন্সক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান এর উপস্থাপনায় সভায় উপস্হিত ছিলেন, ক্লাবের সহসভাপতি খাইরুল বাসার, সাংগঠনিক সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শেখ শফিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক শাকিল রেজা, সদস্য রেজাউল করিম ও জাহিদ হাসান।




মেহেরপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আমিরুল ইসলামের গণসংযোগ ও পথসভা

মেহেরপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্নআহবায়ক ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমিরুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়ন সহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টাই গণসংযোগ এর উদ্দেশ্যে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে বাজারে পৌঁছালে কোমরপুর গ্রামের বিএনপি নেতা কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।

তিনি মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ পথসভা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় সাধারণ জনগনের মাঝে তারেক জিয়ার ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়ন সহ ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রদানে জনগনকে উৎসাহিত করেন তিনি।

এ সময় মহাজনপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোর বিএনপি’র নেতা কর্মী ও সমর্থকরা রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জাতীয়তাবাদী দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার অঙ্গীকার করেন।

গণসংযোগকালে পথসভায় বিএনপি’র নেতা কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৬ বছর আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতন সহ্য করে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন একটি দেশ পেয়েছি।

আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের সফলতা নিয়ে আসব। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যাকে ধানের শীষের প্রতীক দিয়ে আমাদের মাঝে পাঠাবেন আমরা তার হয়ে একযোগে ধানের শীষের পক্ষে ভোট করে তার বিজয় সুনিশ্চিত করব।

গণসংযোগকালে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হাজী মশিউর রহমান, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আনোয়ারুল হক কালু, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী,মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রায়হান কবীর,সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান টুটুল , দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাফিজুর, সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম মেহেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফাহিম আহনাফ লিংকনসহ মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়ন,ওয়ার্ড,গ্রাম বিএনপি নেতাকর্মী বৃন্দ সহ মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি, যুবদল কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস.এম. মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় কৃষক, খামারি, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রাণিসম্পদ সেবায় ঘুষ বাণিজ্য, সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম ও সাধারণ খামারিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে দাবি করেন তারা।

বক্তারা আরও  বলেন, সরকার প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু কিছু কর্মকর্তার অনিয়ম, দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির কারণে মাঠপর্যায়ের কৃষক-খামারিরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হক দায়িত্বে থেকে জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।

বিক্ষোভকারীদের মাধ্যে জান্নাতুল নুপুর বলেন, প্রতি মাসে আমাদের নিয়ে সেমিনার করা হতো আগে। গবাদি পশু পালনে পরামর্শ, আর্থিক সহোযোগিতায় দেওয়া হতো আগে।  কিন্তু বর্তমানে সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। তাই সকল সেবামূলক কার্যক্রম চালু করতে আজকের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছি। অনেকই আবার ক্ষোভ প্রকাশ করে

দ্রুত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও ডা. মাহমুদুল হকের অপসারণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. এস.এম. মাহমুদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি দায়িত্বশীলভাবে আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন খামার, টিকাদান কার্যক্রম ও সরকারি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।




জীবননগরে জামায়াতের যুব বিভাগের মোটর সাইকেল শোডাউন ও গণসংযোগ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত চূয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি নমিনী জেলা আমীর এডভোকেট রুহুল আমিনের পক্ষে জীবননগর উপজেলা হাসাদহ ইউনিয়ন যুব বিভাগের উদ্যোগে মোটর সাইকেল শোডাউন ও হাট-বাজারে গণসংযোগ করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার সময় হাসাদাহ ইউনিয়ন জামায়াত অফিস থেকে জীবননগর উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাজেদুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে ইউনিয়নের হাসাদাহ বাজার, বকুন্ডিয়া, কাটাপোল ও মাধবপুর গ্রামে ব্যাপকভাবে মোটর সাইকেল শোডাউন করা হয়। মোটর সাইকের শোডাউন শেষে মাদবপুর সাপ্তাহিক হাটে জনসংযোগ করেন যুব বিভাগের নেতৃবৃন্দ।

জনসংযোগকালে যুব নেতৃবৃন্দ বলেন, দাড়িপাল্লা সাধারণ মানুষের প্রিয় প্রতীক। দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে জিতে যাবে জনগণ। জামায়াত মানুষের হক তার দোর গোড়ায় পৌছে দিতে চাই। আমরা শাসক নই বরং জনগণের সেবক হতে চাই। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুব বিভাগের সহ-সভাপতি যুবনেতা মোমিনল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, হাসাদাহ ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি লাল্টু মিয়া, হাসাদাহ ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান মাাস্টার সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম জাদু, হাসাদাহ ইউপি সদস্য জামায়াত নেতা আরিফিন মিয়া, জামায়াত নেতা ইসমাইল হোসেন, ইদ্রিস আলী, ইউনিয়ন যুব নেতা আহাদ আলী, ইমরান হোসেন, আবু হাসান, শাহিন উদ্দীনও মাসুম মিয়া প্রমুখ।