স্কুল মাঠে চরে হাঁস, গোসল করানো হয় গরু

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ১০৬ নম্বর কাছারী তোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি এবছরের জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এখনো পর্যন্ত জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠের পানিতে চরে বেড়াচ্ছে হাঁস আবার কেউবা গরুর গোসল করাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকের দাবি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানিয়েও মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন ব্যবস্থা করতে পারেননি।

১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে ১৯৯৬ সালে একটি ভবন নির্মিত হয়। এই ভবনে একটি অফিস কক্ষ ও ৩টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। ৩৩ শতক জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৮৭জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ৬ জন তার মধ্যে নারী ৪জন। গতবছর বিদ্যালয়ে একটি ওয়াশ ব্লকের কাজ শুরু হলেও অর্ধেক করে ফেলে রেখে গাঢাকা দিয়েছে ঠিকাদার। বিদ্যালয়টিতে কোন সীমানা প্রাচীর নেই। তবে বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সংকট জলাবদ্ধতা। বর্ষার শুরু থেকেই বিদ্যালয়ের মাঠটি জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। আগস্টের শুরুর দিকে বিদ্যালয়ের ভবনের বারান্দা পর্যন্ত পানির নিচে চলে যায়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নুসরাত জাহান বলেন, আগস্ট মাসের শুরুর দিকে আমরা হাটু পানি ডিঙিয়ে বিদ্যালয়ে এসেছি। এখনতো পানি কমে গেছে। শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়েরা কোলে করে স্কুলে দিয়ে গেছে ও নিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সরোজমিনে বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে রাজহাস চরে বেড়াচ্ছে। মাঠের জমে থাকা পানিতে গরু গোসল করাচ্ছেন স্কুলের পাশে বসবাস করা এক বৃদ্ধ। বিদ্যালয় ভবনের বারান্দার গেটটি তালাবদ্ধ করে ভিতরে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা থেকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই উপজেলার মধ্যে এই বিদ্যালয়টি সবচেয়ে অবহেলিত। উপজেলা শিক্ষা অফিসের গত মাসিক মিটিংয়েও বিদ্যালয়ের মাঠে পানি বেধে থাকার বিষয়টি অবহিত করেছি। সরোজমিনে শিক্ষা অফিসারেরা দেখে গেছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা হয়নি। প্রতিষ্ঠার পরে ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়ে একটি বিল্ডিং পেয়েছি। পর্যাপ্ত রুম না থাকায় তিনটি ক্লাসরুমেই কষ্ট করে ক্লাস নিতে হয়। গতবছর একটি ওয়াশব্লকের কাজ শুরু করলেও অর্ধেক করে ফেলে রেখে চলে গেছে ঠিকাদার। বর্ষার শুরু থেকেই আমরা খুব শংসয়ের মধ্যে রয়েছি। কখন কোন বাচ্চা পানিতে ডুবে যায়। আগে ১৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে ৮৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জায়গা নেই সবসময় শ্রেণি কক্ষে আটকিয়ে রাখতে হয়। তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত মাঠ ভরাট ও প্রাচীর নির্মাণের দাবি জানানতারা।

বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জীবন। সে জানায় গত মাসে স্কুলে আসার সময় বই-খাতা নিয়ে সে একদিন পানির মধ্যে পড়েগেছিল। অন্যান্য শিক্ষার্থীর মাধ্যমে শিক্ষকরা খবর পেয়ে তাকে পানি থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তার বই-খাতা পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।

বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে অবস্থিত ছাত্তার স্টোরের মালিক রায়হান মাহমুদ জানান, বর্ষার শুরু থেকেই বিদ্যালয়ের মাঠে পানি বেধে রয়েছে। এখনতো আস্তে আস্তে কমছে। মাঠটি ভরাট করা হলে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে স্কুলে এসে ঘুরে বেড়াতে পারবে। অন্যান্য স্কুল দুইতলা হয়ে গেলেও কেন এই স্কুলের কোন উন্নয়ন হলোনা তা বুঝতে পারিনা।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস. এম. আব্দুর রহমানের ফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহা বলেন এই বিষয়ে তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে খোজ-খবর নিয়েছেন স্কুলের সামনে একটি ডোবারমত সেখানে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম তারিক-উজ-জামান বলেন, এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে খোজ খবর নিয়েছি, এটা সাময়িক জলাবদ্ধতা নয়, এটা একটি স্থায়ী সমস্যা কারণ স্কুলের সামনে একটি বড় গর্ত যা ভরাট করতে আলাদা বরাদ্দের প্রয়োজন, সেই বরাদ্দের চেষ্টা কর হচ্ছে যদি পাওয়া যায় তাহলে সমাধান করা সম্ভব হবে। তাছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।




কন্যা শিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ 

আজকের কন্যা-শিশুর মাঝেই সুপ্তভাবে বিরাজ করছে আগামী দিনের আদর্শ মা। যেকোনো কল্যাণমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র সৃষ্টির জন্য নারী পুরুষের অবদান অনস্বীকার্য। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে কন্যা শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিবছর ৩০ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
গৃহ-পরিবেশে একজন পুত্রসন্তানকে যেভাবে গুরুত্ব সহকারে আদর-যত্নে লালনপালন, শিক্ষার প্রতি যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেভাবেই একজন কন্যা-শিশুর মানসিক নিপীড়নের হাত থেকে মুক্ত করার কথাই উচ্চারিত হয়ে থাকে এ দিবসে। সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রসহ সমস্ত স্থানে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ দূরীকরণ হলেও কন্যা-শিশু দিবস অন্যতম উদ্দেশ্য থাকলেও এ বছর থেকে ০৮ অক্টোবর দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের এবারে প্রতিপাদ্য হলো আমি কন্যা শিশু স্বপ্নে গড়ি সাহসে লড়ি দেশের কল্যাণে কাজ করি। উল্লেখ যে এবারের কন্যা শিশু দিবস ৩০ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ৮ অক্টোবর পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বর্তমান নারী অধিকারের যুগে, সুশাসনের ও মানবাধিকারের যুগে কন্যা সন্তানের প্রতি অবহেলা আগের তুলনায় অনেক কমলেও তা যে একেবারে নেই, তা বলা যাবে না। এ ধরনের মানসিকতা এখনো আমাদের সমাজ থেকে পুরোপুরি দূর হয়নি। ক্ষেত্র বিশেষে কন্যা সন্তানের প্রতি আগ্রহ বাড়লেও সামাজিকভাবে কন্যা সন্তানের অভিভাবকরা কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে থাকেন। বিশ্বজুড়ে নারী ও কন্যা-শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও নৃশংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স আঠারো বছরের কম। আর শিশুদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ কন্যা-শিশু যাদের পিছনে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কন্যা-জায়া-জননীর বাইরেও কন্যা-শিশুর বৃহৎ জগত রয়েছে। স্বাধীনভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করা ছাড়াও পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করা সম্ভব। এজন্য কন্যা-শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ বেড়ে ওঠার সব অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
বাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানতম অন্তরায় এবং আমাদের সমাজ কন্যা শিশুদেরকে বোঝা মনে করে। কন্যা শিশুদের পড়াশোনার পেছনে টাকা খরচ করতে চায় না। তারা মনে করে বিয়ে দিতে পারলে বোঝা দূর হয়ে গেল। তবে সময় অনেক বদলেছে। কন্যা শিশুরা এখন আর বোঝা নয়। বরং কন্যা শিশুরা হলো সর্বোত্তম বিনিয়োগ ও সমাজের আলোকবর্তিকা। জাতিসংঘের শিশু-বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষ স্থানীয় দেশগুলোর একটি৷ বাংলাদেশে ১৮ শতাংশ মেয়ের ১৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে হয়৷ ১৮ বছর বয়সের মধ্যে ৫২ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়৷ সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্য অনুসারে, ১০ বছর বয়সি কন্যা শিশুদের অনেক বেশি বয়সি পুরুষদের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়৷ শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধনী, মধ্যবিত্ত, গরিব নির্বিশেষে আমাদের সমাজে এমনকি নিজের পরিবারেও লক্ষ্য করলে দেখা যায়, মেয়ে শিশুর প্রতি অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গি ও বৈষম্যমূলক আচরণ। ফলে অনেকাংশেই দরিদ্রতার প্রথম শিকার হয় কন্যা শিশুরা। কিছু সামাজিক কথিত নীতির কারণে শিশুকাল থেকেই কন্যা শিশুদের এমনভাবে গড়ে তোলা হয় যাতে করে তারা প্রতিবাদী হতে না শেখে। তাদের প্রতি করা বৈষম্যমূলক আচরণকে অন্যায় হিসেবে না দেখে বরং সহজাত ও সমঝোতার সঙ্গে গ্রহণ করতে শেখানো হয়। যা পরবর্তী সময়ে নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতার পথটিকে প্রশস্ত করতে সাহায্য করে।
শিক্ষা নারীর ক্ষমতায়নের চাবিকাঠি। শিক্ষা কন্যা শিশুর উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ রোধ এবং শিশু মৃত্যুর হার কমানোর নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং প্ল্যান বাংলাদেশের এক যৌথ জরিপ মতে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করা ২৬ শতাংশ নারীর বিয়ে হয়েছে ১৮ বছরের আগে। নিরক্ষর নারীদের বেলায় এই সংখ্যা ৮৬ শতাংশ। সরকার বিগত বছরগুলোতে ছাত্রী ও নারীদের শিক্ষায় অংশগ্রহণ উৎসাহিত করার জন্য নারীবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। যার ফলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলসমূহে ছাত্রী অনুপ্রবেশ এবং লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।
কন্যা-শিশু সুরক্ষা পেলে সব বৈষম্য দূর হবে। কন্যা-শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে। বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে নেওয়া হয়েছে কঠোর আইন। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হতে হবে কন্যা-শিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কন্যা-শিশুর অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে পুরুষকে। আর আমাদের দেশে আগে কোনো পরিবারে কন্যা সন্তান হলে খুশি না হওয়ার একটা ব্যাপার ছিল সেটা আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে। আগের মতো এখন আর সেই আক্রোশগুলো নেই যেটা আগে কন্যা সন্তান হলে দেখা যেতো। তবে এখন দেখা যাচ্ছে একটা কন্যা সন্তান হলে বাবা মা যতটা খুশি হয়, তো পরবর্তীতে তারা বড়ো হওয়ার সাথে সাথে সামাজিক প্রেক্ষাপটে তারা অনেক বেশি কোণঠাসা হয়। সামাজিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়, নির্যাতনের শিকার হয় ও অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তো সেইদিক থেকে এখনো কন্যা-শিশুরা পিছিয়ে আছে। আমাদের সমাজে এখনও কন্যা সন্তানকে বোঝা মনে করা হয়। আর আমাদের দেশের শিশুকন্যা সন্তানরা একেবারেই নিরাপদে নেই।
শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রণীত হয় শিশু আইন-১৯৭৪ যা যুগোপযোগীকরণের মাধ্যমে শিশু আইন-২০১১ রূপে প্রণয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ, ১৯৮৯-এ স্বাক্ষর ও অনুসমর্থনকারী প্রথম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এরপরেও শিশুর প্রতি বৈষম্য আর অধিকারের বিষয়টি আমরা ভুলে যাই। শিশু নীতি অনুসারে শিশু বলতে আঠারো বছরের কম বয়সি সকল ব্যাক্তিকে বুঝায়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অভিষ্ট : ০৫ এ লিঙ্গ সমতা অবস্থান করছে। অর্থাৎ সমতার ব্যাপারটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। মেয়েদের পুষ্টির চাহিদা, শিক্ষার অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা, বৈষম্য দূরীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসা, বলপূর্বক বাল্যবিবাহ, ধর্ষণসহ যেসব ঘৃণিত কাজকর্ম রয়েছে সেগুলোর নির্মূল করা ছাড়া উপয়ান্তর নেই। কন্যাশিশুদের সার্বিক উন্নতির জন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ গণমাধ্যম কাজ করে যাচ্ছে, এসব কাজকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ সরকার জাতীয় বাজেটের ২ শতাংশ শিশুদের জন্য বরাদ্দ রাখেন যা কন্যা ও পুত্র সকল শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়। তবে সমতা বিধানের লক্ষ্যে সরকার কন্যা শিশুদের জন্য নিয়মিত স্কুল, নিরাপত্তা, স্যানিটারি ব্যবস্থা, খেলাধূলার সুযোগ, হেল্পলাইন, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, মাধ্যমিক পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষাসহ নানা ধরণের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। তবুও পরিতাপের বিষয় এই যে এখনো কন্যা শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার হলে তারা বিষয়টি চেপে রাখে সমাজে লোকলজ্জার ভয়ে। খুবই পীড়াদায়ক হলেও এটাই সত্য আমাদের সমাজে কেউ ধর্ষিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষিতার ছবি ভাইরাল হয়ে যায়, ফলে সেই ধর্ষিত নারীর জীবন আরও দুর্বিসহ হয়ে যায়। যদিও এখন এই বিষয়ে কিছুটা সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কাজে গভীর রাতে একই বয়সি একটি ছেলে ও মেয়ে যদি রাস্তায় থাকে তখন ছেলেটির ভয় থাকে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ইত্যাদি হারানোর ভয়। বিপরীত দিকে মেয়েটির থাকে সম্ভ্রম হারানোর ভয়। মেয়েদের এই ভয় শিশুকাল থেকে শুরু করে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত থেকে যায়। এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে না বেরুতে পারলে সামগ্রিক উন্নতি অসম্ভব।
অনেক কন্যাশিশু বাবার বাড়িতে ঠিকমতো খাবারও পায় না। পরিবারে খাবারে টান পড়লে সেই টানটা কন্যার উপরই বর্তায়। ঠিক তেমনি বিয়ের পরও প্রয়োজনীয় খাবার পায় না। সুষম খাবার তো অকল্পনীয় বিষয়। ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অপুষ্টির শিকার হওয়া কন্যাশিশুরা শারীরিক সমস্যায় ভোগে। জন্ম দেয় অপুষ্ট শিশু, রোগাক্রান্ত শিশু।আর নিজের পরিবারে যেমন, স্বামীর পরিবারেও অবদমনের শিকার তারা। ফলে তাদের মানসিক সমস্যাও আশঙ্কাজনক। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় এক কোটি মেয়ে বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের প্রায় অর্ধেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট নাই।অথচ বিদ্যালয়ে মেয়েদের উপস্থিতির জন্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। নির্যাতনের শিকার মেয়েদের মধ্যে দেখা গেছে, ৭২শতাংশ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। অপরদিকে নির্যাতনের শিকার ছেলেদের মধ্যে ৬৬শতাংশ প্রধানত জোরপূর্বক শ্রমের শিকার হয়। অনেক কন্যা শিশু শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।সারা বিশ্বে মেয়েরা শিক্ষাগ্রহণ, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং নির্যাতন বা সহিংসতামুক্ত জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। প্রতিবন্ধী মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের সহায়তা এবং পরিসেবাগুলো পেতে অতিরিক্ত বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে।আর জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে মেয়েদের অধিকারসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সকলের মনোযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক উন্নতি সাধন করেছে।
আজকের কন্যা শিশুই আগামীর পরিপূর্ণ নাগরিক তাই তাদের বেড়ে ওঠা ও বিকাশের প্রতিটি ধাপেই সমান গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। প্রথমত কন্যা শিশুদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরও সচেতন করতে হবে। অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দক্ষতা অর্জন, সুযোগের সঠিক ব্যবহার এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সোচ্চার হয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতে শেখা—এসবই তাদের এগিয়ে যাওয়ার মূল শক্তি। পরিবারের ভূমিকাও এখানে সবচেয়ে বড়। মাুবাবা ও অভিভাবকদের উচিত কন্যা শিশুর প্রয়োজনগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনা, বোঝা এবং যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকা। তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই মেয়েদের মতামত শুনতে হবে, গুরুত্ব দিতে হবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহ দিতে হবে। ঘরে-বাইরে সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে হবে কারণ ছেলে ও মেয়ের অধিকার এক ও অভিন্ন। শিক্ষা গ্রহণ থেকে মত প্রকাশ সবক্ষেত্রেই সমান সুযোগ দেওয়ার দায়িত্ব পরিবারকেই নিতে হবে।
সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ করণীয়। কন্যা শিশুকে সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নেতৃত্ব বিকাশ ও সম্ভাবনা উন্মোচনে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সব ক্ষেত্রে মেয়েদের সক্রিয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কন্যা শিশুকে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার বিকল্প নেই। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত উদ্যোগেই কন্যা শিশুরা হয়ে উঠবে আগামী আত্মবিশ্বাসী নাগরিক।
লেখক: সহকারি তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর



মেহেরপুরে অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল উদ্ধার ও বিনষ্ট

মেহেরপুর সদর উপজেলার কালাচাঁদপুর ভৈরব নদ থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করেছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে ভৈরব নদীর কালাচাঁদপুর অংশে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে প্রায় দুই হাজার মিটার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল উদ্ধার করা হয়। পরে সেখানে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে উদ্ধারকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

অভিযান চলাকালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন নাহার আঁখি, সিনিয়র সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মীর জাকির হোসেন এবং সদর থানার এসআই উজ্জ্বল হোসেন প্রমুখ।

প্রশাসন জানায়, অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে যাতে মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়।




গাংনীতে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন

মেহেরপুরের গাংনীতে পিএসকেএস এর উদ্যোগে পালিত হলো আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস।

মঙ্গলবার সকালে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির (পিএসকেএস) বাস্তবায়িত সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন করা হয়।

“একদিন তুমি পৃথিবী গড়েছো, আজ আমি স্বপ্ন গড়ব, স্বযত্নে তোমায় রাখব আগলে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্‌যাপিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে কাজিপুর ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক প্রবীণ নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা শেষে ৫ জন প্রবীণ নারী ও ৫ জন প্রবীণ পুরুষকে তাদের চলাফেরার সুবিধার্থে লাঠি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কাজিপুর ইউনিয়ন প্রবীণ কমিটির সভাপতি মো. আনজুমান ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলম হুসাইন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস এর পরিচালক মো. কামরুল আলম, উপজেলা কর্মসূচি সমন্বয়কারী মো. জামিদুল ইসলাম এবং সহকারী উপজেলা কর্মসূচি সমন্বয়কারী মো. রাকিবুল ইসলাম।




গাংনীতে নানা দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের বাড়িভাড়ার নামে ৫০০ টাকার ন্যাক্কারজনক ও দূরভিসন্ধিমূলক প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মেহেরপুরের গাংনীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক পরিষদ ফেডারেশন, গাংনী উপজেলা শাখা।

বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক পরিষদ ফেডারেশন গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি মোমিনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খান, পৌর শাখার সভাপতি আজিজুল হক, বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদুল আলম স্বপন, গাংনী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল শফিকুল ইসলাম এবং হোগলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সমান শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কাজ করলেও সরকারি শিক্ষকরা নানা সুবিধা ভোগ করে আসছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের বিরাট বৈষম্য রয়েছে। সরকার বাড়িভাড়া বাবদ মাত্র ৫০০ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আমাদের সঙ্গে তামাশা করেছে। অবিলম্বে এটি বাতিল করে ন্যূনতম ২০,০০০ টাকা বরাদ্দ না দিলে শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে আমরা মাঠে নামব।




মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন

“একদিন তুমি পৃথিবী গড়েছো, আজ আমি স্বপ্ন গড়বো, সযত্নে তোমায় রাখবো আগলে” প্রতিপাদ্যে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে পালিত হলো ৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস।

আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল দশটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শতাধিক প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আশাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ আবদুল ছালাম।

এসময় তিনি বলেন, যারা প্রবীণ, তাঁদের সহায়তা না দিয়ে আমরা তাঁদের সাথে থাকতে চাই। প্রবীণদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিচ্ছিন্নতা, একাকীত্ব ও অসহায়ত্ব। আমরা চাই, প্রবীণদের জীবন থেকে এই তিনটি জিনিস দূর করে দিতে।

প্রবীণরা সমাজের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভাণ্ডার, অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা ও মূল্যবোধের ধারক। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও যত্ন প্রদর্শনের মধ্য দিয়েই আমরা একটি মানবিক সমাজ গঠন করতে পারি। তাঁদের সম্মান ও যত্ন নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

সমাজসেবা অফিসার (রেজিঃ) কাজী মো. আবুল মনসুরের সঞ্চালনায় এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আবু সাঈদ, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইনজামাম-উল-হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




জীবননগরে ইসলামী ব্যাংকের সামনে কর্মজীবী ও কর্ম প্রত্যাশীদের মানববন্ধন

জীবননগরে ইসলামি ব্যাংক সহ সকল ব্যাংকিং সেক্টরে বিশেষ অঞ্চলের একগুচ্ছ অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে অবিলম্বে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী চাকরি প্রত্যাশী পরিষদ।

গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে জীবননগর চ্যাংখালী রোডে ইসলামী ব্যাংকের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ইসলামি ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মো.ইব্রাহিম খলিল।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এস আলম কতৃক সকল অবৈধ নিয়োগ বাতিল করতে হবে। মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ দানের ব্যবস্থা করতে হবে। এস আলম কতৃক বিদেশে পাচার কৃত সকল অর্থ ফেরত আনতে হবে। যেসকল ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিবর্গ অপপ্রচার ছড়িয়ে ব্যাংকের সুনাম নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।




মেহেরপুরের যাদবপুর গ্রামে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার এশার নামাজের যাদবপুর গ্রামে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দিন খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হুসাইন, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমীর সোহেল রানা, সদর উপজেলার সেক্রেটারী ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাব্বারুল ইসলাম মাষ্টার, বুড়িপোতা ইউনিয়নের আমীর হাফেজ আবু জাফর সোহেল, সেক্রেটারী আব্দুস সালাম প্রমুখ।




আমঝুপিতে জামায়াতের এমপি প্রার্থী তাজউদ্দিন খানের গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকাল ৫টার দিকে আমঝুপি গ্রামের প্রধান সড়ক ও দোকানপাটে এ গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দিন খান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হুসাইন, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমীর সোহেল রানা, সদর উপজেলার সেক্রেটারী ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাব্বারুল ইসলাম মাষ্টার, মেহেরপুর শ্রমিক ফেডারেশনের সদরের সভাপতি আবুল হোসেন, আমঝুপি ইউনিয়নের আমীর মহসিন আলী, সেক্রেটারী রকিবুল আলম মুক্ত প্রমুখ।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে আসন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।




সার্বিক কর্মকান্ডে প্রবীণরা হোক চালিকা শক্তি

জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো——, রবি ঠাকুরের এই গানটি সত্যি অসাধারণ। একদম মিলে যায় প্রবীণ ভাই-বোনদের সাথে। বয়েসের ভারে নুয়ে পড়া জীবন এ যেন করুণার জীবন, স্বপ্নহীন জীবন। এই সময় কেবল দিনকাটে প্রবীণদের ধর্মচর্চা করে আর অপেক্ষায় পার করতে হয় ওপারের ডাকের।
১লা অক্টোবর আর্ন্তজাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে পালিত হয়। এটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রবীণদের জীবনযাএার মানোন্নয়ন করা এবং সমাজে তাঁদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবছর নতুন নুতন থিম বা প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ^ব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। এবার ৩৫তম আর্ন্তজাতিক প্রবীণ দিবস পালন করা হচ্ছে। এবছর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘‘Older Persons Driving Local and Global Action: Our Aspirations, Our Well-being, Our Rights” অর্থাৎ স্থানীয় ও বৈশি^ক পর্যায়ে প্রবীণদের প্রত্যাশা,কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে এবং সার্বিক কর্মকান্ডে প্রবীণ হোক চালিকা শক্তি। বাংলাদেশ সরকার এবার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- “একদিন তুমি পৃথিবী গড়েছো আজ আমি স্বপ্ন গড়বো সযতেœ তোমায় রাখবো আগলে”।
জাতিসংঘ ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিবছর ১লা অক্টেবরকে আর্ন্তজাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে ঘোষনা করেছে। প্রতি বছরই একটি নতুন প্রতিপাদ্য বা থিম নিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়, যা প্রবীণদের জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তাঁদের প্রতি সমাজের করনীয় বিষয়ে আলোকপাত করে।
মানবজাতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বার্ধক্য। বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ প্রবীণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে জনসাংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা তুলনামুলকভাবে বেশি হচ্ছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছর। এটি সৃষ্টিকর্তার আর্শীবাদ বলা যায়। বার্ধক্যকে মানব জীবনের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়ন,প্রবীণদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর প্রতি সহনশীল আচরণ প্রর্দশন এবং তাদের সমস্যাগুলো সর্ম্পকে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিবছর ১লা অক্টোবরকে আর্র্ন্তজাতিক প্রবীণ দিবস ঘোষণা করেছে। প্রতিবছর ১লা অক্টোবরকে আমরা প্রবীণ দিবস হিসেবে পালন করলেও এবছর সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রবীণ দিবস পালন করা হচ্ছে ৭ই অক্টোবর। আমাদের দেশের চলমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ প্রবীণকে দূর্বল স্বাস্থ্য, বিভিন্ন ধরনের বার্ধক্যজনিত রোগ, আর্থিক দৈন্যতা ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করতে হয়। দেশে অনেক দক্ষ, অভিজ্ঞ, কর্মঠ ও সৃজনশীল প্রবীণ রয়েছেন; তাঁদের কোথাও কোনো কাজে লাগানো হয়না। বিধায় ঘরে বসে কর্মহীন জীবনযাপনের ফলে তাঁরা বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও মানসিক রোগে ভুগতে থাকেন। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য তাঁদের সম্মানজনক কাজে নিয়োগ করে সমাজ জীবনের মূল ¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।
আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল দেশের মানুষের ক্ষুধা ও দারিদ্রতা থেকে মুক্তি, সামাজিক বৈষম্য থেকে মুক্তি, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া ইত্যাদি। কিন্ত প্রবীণ জনগোষ্ঠী এ সমাজের জ্যেষ্ঠ নাগরিক হলেও তাঁরা এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রায় বঞ্চিত। ১৯৮২ সালে প্রবীণ বিষয়ক সম্মেলন ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল বার্ধক্য স্বাস্থ্য সমস্যা, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা, একাকিত্ব ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া । কিন্ত বাস্তবতা হলো ২০২৫ সালে এসেও অর্থাৎ দীর্ঘ ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এ অবস্থা এখনো বিরাজমান। ২০১৩ সালে দেশে প্রবীণ নীতিমালা ও পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্ত অদ্যাবধি এর বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি দৃষ্টিগোচর হয়না, তৈরী হয়নি বিধি। এ অবস্থার উত্তোরণ ঘটাতে হবে।
প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণের কথা চিন্তা করে এ দেশের একজন বিশিষ্ট চিকিৎসাবিদ ড.একেএম আব্দুল ওয়াহেদ ১৯৬০ সালে নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন একটি প্রতিষ্ঠান, যা ঢাকার ধানমন্ডিতে তাঁর নিজ বাসভবনে শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে রাজধানী আগারগাঁওয়ে সরকারের দেওয়া প্রায় এক একর জায়গার উপর ১৯৮৮ সালে হাসপাতাল ও একটি প্রবীণ নিবাস স্থাপন করা হয়। পরে একটি জেরিয়াট্রিক ইনস্টিটিউটসহ এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান। সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির ৯২টি শাখা রয়েছে, যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০হাজার।
প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: বার্ধক্যে যতটা সম্ভব শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও স্বস্তিতে থেকে প্রবীণরা যেন তাদের পরিপক্ক অভিজ্ঞতার আলোকে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাঁদের জন্য নানামুখী কর্মকান্ড পরিচালনা করা। প্রবীণ বয়সে সবার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা এবং চিন্তাভাবনাহীন শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় জীবনযাপনের দিকনির্দেশনা দেওয়া।

প্রবীণদের প্রধান সামাজিক সমস্যাসমুহ:
১) আর্থিক সহায়তা ও সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের অভাব প্রবীণদের একটি বড় অংশকে দারিদ্র্যের মধ্যে ফেলে দেয়।
২) বার্ধক্যজনিত রোগ, যেমন-ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হদরোগ, কিডনী জটিলতা ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যার চিকিৎসা সুবিধার অভাব প্রবীণদের ভোগান্তি বাড়ায়।
৩) একান্নবর্তী পরিবার ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে প্রবীণরা একা হয়ে পড়ছেন, যার ফলে তাঁরা অবহেলা ও একাকিত্বের শিকার হচ্ছেন।
৪) নগরায়ণ ও আধুনিকীকরণ প্রবীণদের জীবনধারাকে প্রভাবিত করছে, যার ফলে তাঁরা সমাজে নিজেদের মূল্যহীন মনে করেন।
৫) আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং পর্যাপ্ত বিনোদন কেন্দ্র ও আবাসন ব্যবস্থার অভাব প্রবীণদের জীবনকে কঠিন করে তোলে।
৬) আধুনিক সমাজের অংশ হিসেবে পারিবারিক কাঠামো পরিবর্তন হওয়ায় প্রবীণরা অনেক সময় নিজেদের পরিবারেই অবহেলিত হন।
৭) প্রবীণরা চুরি, নির্যাতন এবং অন্যান্য সামাজিক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন, যার কারণে তাঁদের নিরাপত্তা একটি বড় উদ্বেগ।

 

বড় দুখের বিষয়,যে হাতে একদিন সন্তানের মুখে আহার তুলে দিত সে হাতই প্রবীণদের চোখের পানিতে ভিজছে। তারপরেও বৃদ্ধাশ্রমে কিংবা পরিবারে ঘরের কোণায় একাকী বসে প্রিয়জনকে একপলক দেখার আশায় যেন বেঁচে আছেন তাঁরা। নিজ ঘরে বা ঘরের বাহিরে প্রবীণরা অনেকেই শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বছরের পর বছর, আর এই মানসিক প্রতিবন্ধকতার কারণে কেউ বা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমে একটু স্বাধীনভাবে বাঁচার আশায় । বাড়ীর পথ ভুলে কেউ বা পড়ে থাকচ্ছেন পথে ঘাটে, কেউ বা যন্ত্রণায় মৃত্যুকে বেছে নিচ্ছেন বাধ্য হয়ে। যদিও আমি এখানে উল্লেখ করতে চাচ্ছি না, এমনও অনেক শিক্ষিত সন্তান বড় বড় পেশায় নিয়োজিত আছেন তাঁদের পিতামাতাও একরকম মনের কষ্ট নিয়েই বৃদ্ধাশ্রমে দিনাতিপাত করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্ত:প্রজন্ম সংযোগ তৈরীর পাশাপাশি বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধি করা অতি প্রয়োজন। বাংলাদেশে প্রায় ২ লক্ষ্যের উপরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত এনজিও রয়েছে এর মধ্যে হয়তো ৫টি এনজিও পাবেন না যারা প্রবীণদের মৌলিক অধিকারগুলো নিয়ে কাজ করছে। এর কারণটা হলো প্রবীণদের নিয়ে কাজ করলে দেশী বিদেশী অর্থ সহযোগিতা নাও পেতে পারে। আর তাই সরকারের প্রয়োজন প্রবীণদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহনণ করা। জন্মের পর যে সন্তান নিজের বাবা মায়ের হাত ধরেই খুঁজে পেয়েছিল অবলম্বন আজ সেই সন্তানদের অবহেলা, নির্যাতনেই অনেক প্রবীণ শেষ অবলম্বন খঁজে নেন বৃদ্ধাশ্রমে। দেখুন বৃদ্ধশ্রমে কেউ কারোর আপন নয় তবু সবাই এখানে একে অপরের গল্পে নিজেকে খুঁজে নেয়, পায় স্বান্তনা। যে প্রবীণদের অবদানে রচিত হয় আমাদের বর্তমান, অথচ পারিবারিক অবহেলা ও নির্যাতনে একসময় তাদেরই শেষ ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রম। আর এতেই বোঝা যায় প্রবীণরা বয়সের ভারে নয় অবহেলার ভারে নুয়ে পড়ছে ।
তাই আসুন আমরা প্রবীণদের অধিকার আদায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমাজ সেবার সাথে একসঙ্গে কাজ করি । আজ প্রবীণ দিবসে বাবা মায়েদের বলছি, সন্তানদের নিজের সর্বস্ব দিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি একজন সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন, সাথে সাথে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি, পিতামাতার প্রতি সন্তানদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়ে ধর্মীয় অনুশাসন কি বলে সে বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরার জন্য । তাহলে সেই সন্তানই হবে একদিন- বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রবীণদের প্রত্যাশা, কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে এবং সার্বিক কর্মকাণ্ডে প্রবীণদের জন্য চালিকাশক্তি।

লেখক: সাংবাদিক ও সহ-সভিাপতি, প্রবীন হিতৈষী সংঘ, মেহেরপুর জেলা।