মেহেরপুরের ৯ নং ওয়ার্ডে অ্যাড. কামরুল হাসানের গণসংযোগ

মেহেরপুরের ৯ নং ওয়ার্ডে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এক গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে এ গণসংযোগে তিনি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং বিএনপ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্টকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।

গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক লিটন, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি আলিফ আরাফাত, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক লিয়াকত আলি, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, বিএনপি নেতা নাহিদসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।




মেহেরপুরে বিএনপি’র গণসংযোগ ও পথসভা 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরে গণসংযোগ ও পথসভা করেছে বিএনপি। গতকাল সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও পথসভা করা হয়।

উজুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে মনোহরপুর গ্রামের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর আগে সেখানে পথসভা করা হয়। পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ।

তিনি বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি ১৭ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে। প্রয়োজনে আবারো করবে। এ দেশ শহীদ জিয়া পরিবারের হাতেই নিরাপদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ রাজিব খান প্রমুখ।




মেহেরপুরের সিংহাটিতে তুলার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত 

মেহেরপুর সদরের পূর্ব সিংহাটি গ্রামে পরিকল্পিত উপায়ে তুলা চাষ বাড়াতে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল সোমবার বিকেল ৪ টায় বারাদী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া সিংহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে ও মেহেরপুর সদর ইউনিটের সহযোগিতায় এবং রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেন দেবাশীষ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সুপ্রিম সীড এর প্রতিনিধি হুমায়ন আহমেদ।

বারাদী ইউনিয়নের ৩০ জন তুলা চাষীদের নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে তুলা ফসলের ফলন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বারাদী অফিসের কটন ইউনিট অফিসার জাকারিয়া ইকবাল।




মেহেরপুরে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের স্মারকলিপি প্রদান

বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, বেতন, বোনাস এবং চিকিৎসা ভাতা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন, মেহেরপুর জেলা শাখা।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। শিক্ষক নেতারা জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আল আমিন ইসলাম (বকুল), মমিনপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাবারুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. আইয়ুব আলী, গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. মমিনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনজুরুল হাসান টুটুল, গাংনী উপজেলা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মনোয়ার হোসেন, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, কারিগরি শিক্ষক পরিষদের সভাপতি আমজাদ হোসেন, পৌর মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ড. এমদাদুল হক (করমদি কলেজ), এবং মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সালেমন প্রমুখ।

এছাড়াও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৪৫% বাড়িভাড়া, ১০০% বোনাস, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, এমপিওভুক্তকরণ, অবসরকালীন ভাতা ও কল্যাণ তহবিলের পাওনা আদায়সহ দ্রুত বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে।

তারা সরকারের প্রতি এসব দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।




নরমাল ডেলিভারিকে উৎসাহ দিতে মেহেরপুরে ডিসির উপহার বিতরণ

মেহেরপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এক নবজাতক কন্যাশিশুর মাকে উপহার ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম।

আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক নিজে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে নবজাতকের মা শান্তনা খাতুনের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন। শান্তনা মেহেরপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়ার রাসেল হোসেনের স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার সকালে শান্তনা খাতুন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে নবজাতক ও তার মায়ের খোঁজখবর নেন এবং ফুল ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক নবজাতকের নাম রাখেন সারা বিনতে রাসেল এবং তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটির জন্মনিবন্ধন সনদ মায়ের হাতে তুলে দেন।

ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম বলেন, সরকারি হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারিকে উৎসাহিত করতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। ভবিষ্যতে যেসব মা নরমাল ডেলিভারি করবেন, তাদের সবাইকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক আব্দুস সাত্তার, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকা, সহকারী কমিশনার শেখ তৌহিদুল কবীর, এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. রুমানা হেলালি জুশি।




মেহেরপুরে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রি, কসাইকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুরে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে এক কসাইকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত কসাই হলেন সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মৃত নয়মুদ্দীন খানের ছেলে শরিফুল ইসলাম।

সোমবার সকালে সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকার নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. তারিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কুলবাড়িয়া বাজারে একটি রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলামের নির্দেশে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘটনাস্থলে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির সত্যতা পাওয়া যায়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলেই তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে জব্দ করা মাংস কেরোসিন ঢেলে মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করা হয়।




দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীর অবৈধ বাঁধ অপসারণ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীতে নির্মিত দুটি অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সুবলপুর ও আমডাঙ্গা এলাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে নদীর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে স্থানীয়ভাবে নির্মিত দুটি বাঁধ ভেঙে দেওয়া হয়। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনঃস্থাপিত হয় এবং স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক মহলদার, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আসাদসহ পুলিশের একটি টিম।

অভিযান প্রসঙ্গে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান বলেন, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পুলিশের দামুড়হুদা মডেল থানার সদস্যদের সমন্বয়ে আমরা মাথাভাঙ্গা নদীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী উপাদান, অবৈধ বাঁধ বা কোমর অপসারণ করেছি। আপনারা জানেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কিছু জাল এবং দুটি অবৈধ বাঁধ বা কোমর অপসারণ করা হয়েছে। নদী দখল ও অবৈধ বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান রয়েছে। কেউ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করতে পারবে না। এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে।

স্থানীয়রা জানান, বাঁধ অপসারণের ফলে মাছ ধরা সহজ হবে এবং পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাও কমবে।




মুজিবনগরে ভৈরব নদের রশিকপুর স্লুইস গেটে গোসল করতে নেমে দুই যুবক নিখোঁজ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ভৈরব নদের রশিকপুর সুইসগেটেগোসল করতে নেমে দুই যুবক নিখোঁজ রয়েছে।

তারা হলেন, মুজিবনগর উপজেলার আমদহ গ্রামের টেংরামারী গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে নিলয় হোসেন ও সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের মহির উদ্দীনের ছেলে কৌশিক। তারা দুজনেই কলেজ ছাত্র ও বন্ধু।

আজ সোমবার বেলা ৩ টার দিকে নিখোঁজ দুজনসহ তাদের অপর ৬ বন্ধু গোসল করতে নামে। হঠাৎ নিলয় ডুবে যায় এসময় কৌশিক তাকে বাঁচাতে গেলে দুজনেই পানির নিচে তলিয়ে যায়।

পরে খবর পেয়ে মুজিবনগর ফাাঁয়ার সাভির্সের টিম লিডার সেলিম রেজার নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিকভাবে খোঁজখবর শুরু করেছে। তিনি জানান, আমরা এসে রেকি করেছি। এছাড়া খুলনার ডুবরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করবে।

স্থানীয়রা জানান, মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর ও রতনপুর গ্রামের সংযোগস্থল এই সুইসগেট। পানির সৌন্দর্য দেখতে এসে বিগত কয়েক বছরে প্রায় ৮ জন মারা গেছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন প্রতি বছরে এখানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানটির সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা স্থানটিকে সুরক্ষার জন্য আবেদন জানান।




ঝিনাইদহে মসজিদের জমি বিক্রির অভিযোগ সভাপতি ও ইমামের বিরুদ্ধে

ঝিনাইদহে মসজিদের জমি ইমাম ও মসজিদ কমিটির কথিত সভাপতির বিরুদ্ধে গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে গত বুধবার বিকালে এলাকার লোকজন ও মসজিদ কমিটির লোকজন মিটিং করে ইমামকে চাকরিচ্যুত ও সভাপতিকে অপসারণ করেছে।

ঘটনাটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের আমেরচারা বাজারে অবস্থিত বাইতুল মামুর জামে মসজিদের।

আমেরচারা বাজারের দোকান মালিক সদস্যরা জানিয়েছেন, আমেরচারা বাজারে অবস্থিত বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলাম ও মসজিদ কমিটির সভাপতি সদর আলী এই মসজিদের নামে রেজিস্ট্রি ১৬ শতক জমি সানা উল্লাহ নামে এক প্রবাসীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। কমিটির অন্য সদস্যদের না জানিয়ে বিক্রিত জমি ক্রেতার নামে মসজিদের পক্ষে রেজিস্ট্রিও করে দিয়েছেন সদর আলী। মোটা টাকা ঘুষের মাধ্যমে সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস বেআইনীভাবে এই রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বলেও অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগীরা।

মসজিদের মৌখিক কমিটির সভাপতি সদর মন্ডল দাতা হিসেবে এই জমি সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমির দলিলে স্বাক্ষর করেছেন(দলিল নং-১০৯৪০/২৫)। দলিল লেখক আমিনুল ইসলাম(সনদ নং-৭২) এই দলিল প্রস্তুত করেন এবং সাবরেজিস্ট্রার মোস্তাক হোসেন এই দলিল রেজিস্ট্রি করেন।

মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী আরজান আলী জানান, সাগান্না গ্রামের মরহুম শুকুর আলীর তিন ওয়ারিশ সুফিয়া খাতুন, আলেয়া পারভীন ও শাহীনা পারভীন ৪৩ নং সাগান্না মৌজার ২৫-১৯৫৬ খতিয়ানের ২১২২ দাগের ১৬ শতক ধানী জমি মসজিদের নামে দান পত্র করে দেন ২০২৩ সালের ৪ জুলাই। এই জমি গোপনে মসজিদ কমিটির অন্য কাউকে না জানিয়ে সভাপতি সদর আলী ও ইমাম রবিউল ইসলাম মিলে গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখে প্রবাসী সানা উল্লা নামের এক ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের না জানিয়ে একটি রেজুলেশন তৈরি করেছেন সদর আলী ও ইমাম রবিউল ইসলাম যা মসজিদের রেজুলেশন খাতায় অন্তুর্ভুক্ত নেই। নতুন দলিলে জমির মূল্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার। কিন্তু মসজিদ ফান্ডে এই টাকা জমা হয়নি।

জমি ক্রেতা সানা উল্লার পিতা আকবার আলী বলেন, ২০২০ সালে মসজিদ কমিটির তৎকালীন সভাপতি-সেক্রেটারির কাছ থেকে তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় এই জমি কিনেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছিল না।

গত সেপ্টেম্বর মাসে আমার ছেলের নামে মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি সদর আলী দাতা হিসেবে জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন।

আকবার আলী ২০২০ সালে এই জমি কেনার কথা বললেও অনুসন্ধান করে জানাগেছে, ২০২৩ সালের ৪ জুলাই ৮৯৭০ নং দলিলে আলেয়া পারভীন, শাহীনা পারভীন ও সুফিয়া খাতুন মসজিদকে এই জমি দান করেন।

আরজান আলী জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ১ জুনের পরে মসজিদের আর কোন রেজুলেশন হয়নি। কমিটির সেক্রেটারী হিসাবে রেজুলেশন খাতা তার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আগের কমিটি ভেঙে দিয়ে মৌখিক ভাবে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে সভাপতি হন সদর আলী এবং আমি পূনরায় সেক্রেটারী নির্বাচিত হই। এর আগের কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মিজানুর রহমান নামের আরেক ব্যক্তি। নতুন কমিটি গঠনের পরে কোন রেগুলেশন করা হয়নি। রেজুলেশন খাতা বের করে তিনি প্রমাণও দেখান।

সদর আলী বলেন, সমস্যা মিটে গেছে। বুধবার মিটিং হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জমি ক্রেতাকে টাকা ফেরত দেয়া হবে। কাউকে না জানিয়ে গোপনে কেন রেজিস্ট্রি করে দিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অল্প কিছুদিন সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি। এই জমি অনেক আগের কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারি মিলে বিক্রি করে রেখে গেছে। আমি কয়েক মাস দায়িত্ব নিয়েছি। ক্রেতা আমাদের কাছে জমি রেজিস্ট্রির দাবি তুললে কমিটির অন্য সবাই বলেছিল জমির সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু কোন রেজুলেশন করা হয়নি বলেও তিনি স্বীকার করেন।

মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে কোন বক্তব্য দিবেন না বলে জানান। তার যা বক্তব্য তা মিটিংয়ে সবার সামনে বলবেন বলে জানান।

দলিল লেখক আমিনুল ইসলাম ভুয়া রেজুলেশনে জমির রেজিস্ট্রির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার কাছে মসজিদের ইমাম ও সভাপতি এসে যে কাগজ পত্র দিয়েছে সেই আলোকে আমি দলিল প্রস্তুত করেছি। তবে আমিও পরে বুঝতে পেরেছি রেজুলেশনটি ভুয়া।

তবে ঝিনাইদহ সদর সাব রেজিস্ট্রার মোস্তাক হোসেন বলেছেন, একটি রেজুলেশনের ভিত্তিতে জমি রেজিস্ট্রি করেছি। এই রেজুলেশন সঠিক না ভুল সেটা আদালত প্রমাণ করবে। তবে এই দলিল রেজিস্ট্রির সাথে অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগটি সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন। দলিল লেখক অনিয়ম ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।




ঝিনাইদহে পরিসংখ্যান দিবস পালিত

‘সবার জন্য মানসম্মত পরিসংখ্যান’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে বিশ্ব ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়েছে।

জেলা পরিসংখ্যান অফিস ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার (২০অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। পরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর কুমার দাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ হোসেন, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক আব্দুল আলীম।

বক্তারা বলেন, সঠিক ও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান একটি দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তথ্য সংগ্রহে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে এবং মানসম্মত পরিসংখ্যান গঠনে সচেতনতা বাড়াতে হবে।