মেহেরপুরের আমঝুপিতে জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস পালন

“কৃষি জমিতে তামাক চাষ, খাদ্য নিরাপত্তায় সর্বনাশ।” প্রতিপাদ্য মেহেরপুরে জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ পালন উপলক্ষে মানববন্ধন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সুবাহ্ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সহযোগিতায় গতকাল রবিবার সকালে সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা চূড়ান্ত করার দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পাশাপাশি স্মারকলিপির অনুলিপি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছেও হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবাহ্ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মঈন-উল-আলম এবং স্থানীয় সংগঠনের প্রতিনিধি ও সদস্যবৃন্দ।




মেহেরপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী তাজউদ্দিন খানের গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বিকাল ৫টার দিকে শ্যামপুর গ্রামের প্রধান সড়ক ও দোকানপাটে এ গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার আমির ও এমপি প্রার্থী তাজউদ্দিন খান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হুসাইন, মেহেরপুর শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, রাজনৈতিক সেক্রেটারি কাজি রুহুল আমিন, মেহেরপুর সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, উপজেলা সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, মেহেরপুর শ্রমিক ফেডারেশনের সদর উপজেলা সভাপতি আবুল হোসেন, শ্যামপুর ইউনিয়ন আমির মফিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি মকলেছুর রহমান, শ্যামপুর ওয়ার্ড সভাপতি আসরাফুল ইসলাম আকেরুলসহ শ্যামপুর ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে আসন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।




ঝিনাইদহে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ২

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি দল রবিবার (১২ অক্টোবর) রাত ২ টা থেকে ভোর সোয়া চারটা পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন এলাকায় এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে বিষয়খালী গ্রামের লতিফ মিয়ার ছেলে কালু (৪০) এবং সুলতান শেখের ছেলে বাদশা (৪৮) কে আটক করা হয়।

অভিযানের সময় ১টি ওয়ান শ্যুটার পিস্তল এবং ১টি শটগান উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে কালু তার কাছে অতিরিক্ত বিস্ফোরক দ্রব্য থাকার কথা স্বীকার করে।

এ সময় আরও দুটি শটগান এমোনেশন, তিনটি ওয়ান স্যুটার এমোনেশন, তিনটি হাত বোমা ও ২ টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আটক কালু তার সহযোগী বাদশা-র সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে যৌথ বাহিনী বাদশার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। বাদশা পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ঘিরে ফেলা হয় এবং তাকেও আটক করা হয়। পরবর্তীতে আসামিদেরকে থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয় ।

ঝিনাইদহ সেনা ক্যাম্প কমান্ডার জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

তিনি জানান, জনগণের আস্থা ও সহযোগিতা নিয়েই সেনাবাহিনী সমাজ থেকে অবৈধ অস্ত্র, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই ধরনের অভিযান এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।




মুজিবনগরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

মুজিবনগরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে দারিয়াপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে একজন ছাত্রীকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাইন করিম, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী ওমর ফারুক প্রিন্স এবং দারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. আওলিয়া খাতুন।

ক্যাম্পেইন উপলক্ষে মুজিবনগরে স্কুল পর্যায়ে ৮৮টি টিকা কেন্দ্রে ১৬,২৭৮ জন ছাত্রছাত্রী টিকা গ্রহণ করবে। কমিউনিটি টিকাদান কেন্দ্র ৯৬টি, মোট টিকা গ্রহণকারী সংখ্যা ২৫,৩৪৫ জন, মোট টিকা কেন্দ্র, ১৮৪টি, মোট টিকা গ্রহণকারী শিশু সংখ্যা ৪১,৬২৩ জন।

মেহেরপুর জেলায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী মোট ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৭ জন শিশুর টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলা ৮০,১৪৫ জন, গাংনী উপজেলা ৪৭,৯৪৩ জন, মুজিবনগর উপজেলা ২৬,৯৩৮ জন ও মেহেরপুর পৌরসভায় ১৩,২৭১ জন।

তবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে মোট ৭১,১৬৯ জনের। এর মধ্যে সদর উপজেলা ২৭,৭২৫ জন, গাংনী উপজেলা ২৮,৭৪৫ জন, মুজিবনগর উপজেলা ৮,৯৭৫ জন।




মুজিবনগরে ইউপি মেম্বারের ঘুষিতে জখম আরেক ইউপি মেম্বার

মেহেরপুরের মুজিবনগর ুউপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদে সদস্যদের নিয়ে মিটিং চলাকালে পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) ওমর ফারুকের ঘুষিতে ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) আব্দুর রকিব রক্তাক্ত জখম হয়েছে।

মেম্বার ওমর ফারুকের আঘাতে আব্দুর রকিবের নাকের হাড় ভেঙে যায় এবং কিছুদিন আগে বাম চোখে লাগানোর লেন্স ভেঙে বাম চোখ রক্তাক্ত যখন হয়।

রবিবার বেলা ১২ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের রুমে মিটিং চলা কালিন এ ঘটনা ঘটে।

রক্তাত্ব অবস্থায় আব্দুর রকিব কে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সহকর্মী সহ তার আত্মীয়-স্বজনরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন।

উপস্থিত অন্যান্য ইউপি সদস্যরা জানান, আকস্মিক ঘুষি দিয়েই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত মেম্বর ওমর ফারুক।

জানা গেছে, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা (ওয়ার্ড মেম্বর) পরিষদের বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা বন্টন নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় ০৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রিপন হোসেনের সাথে বন্টন নিয়ে কথা বলার সময় হঠাৎ ভাগ বন্টন নিয়ে তোর এত মাথাব্যথা কেন বলে অযাচিত ভাবে সবার সামনে ০৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ওমর আলী অতর্কিত আঘাত করে। এতে আব্দুর রকিব মেম্বরের নাক ফেটে রক্ত বের হতে তাকে। দ্রুত তাকে নেওয়া হয় মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে। খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চোখ ও নাকে আঘাত গুরুতর হওয়ায় মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাকে রেফার করে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুর রকিবের সাথে কথা বলে জানা গেছে ওমর মেম্বারের এর সাথে কোনরূপ কোন তর্ক বা বিতর্ক হয়নি হঠাৎ এসে এই আক্রমণ করেছে তার ওপর। হাতে থাকা মোবাইল ফোন ও প্যান্টের পকেটে থাকা প্রায় ৮ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।
বিরোধের বিষয়ে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, সবার সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে যা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন সরকারি মিটিং চলাকালীন সময়ে এই ঘটনায় ওমর মেম্বার এর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, ঘটনাটি শোনার পরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।




দর্শনায় বি.এ.ডি.সি সার ডিলারকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় সার বিক্রিতে অনিয়ম ও মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রির অপরাধে বি.সি.আই.সি ও বি.এ.ডি.সি অনুমোদিত সার ডিলার মেসার্স নজরুল ইসলামকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজার ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে. এইচ. এম. তাশফিকুর রহমান। অভিযানে সহায়তা করেন দর্শনা থানা পুলিশের একটি টিম।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল যে দর্শনা পুরাতন বাজারের মেসার্স নজরুল ইসলাম কৃষকদের কাছে বাংলা টিএসপি সার বিক্রি না করে মজুদ করে রাখছেন। অভিযানে এ অভিযোগের প্রমাণ না মিললেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে কৃষকদের নামে বরাদ্দ দেখিয়ে খুচরা দোকানে সার সরবরাহের প্রমাণ পাওয়া যায়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রিরও প্রমাণ মেলে।

এছাড়া, একই ব্যক্তির মালিকানাধীন আরেকটি প্রতিষ্ঠান সোহেল ট্রেডার্সে (মালিক সাইফুল ইসলাম) এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানে সার বিক্রিতে অনিয়মের দায়ে মেসার্স নজরুল ইসলামকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে. এইচ. এম. তাশফিকুর রহমান বলেন, একই মালিকের দুইটি প্রতিষ্ঠানে সার বিক্রিতে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।




পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের স্মারকলিপি পেশ

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে র‌্যালি ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

আজ রোববার সকালে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে তাদের দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পেশ করেন।

এর আগে শহীদ মিনার চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলী আজম মো. আবু বকর, নায়েবে আমির আব্দুল আলিম, সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল, সহকারী সেক্রেটারি কাজী সগির আহম্মদ, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য প্রফেসর মতিয়ার রহমান, বাইতুল মাল সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সদর শাখার আমির ড. হাবিবুর রহমান, শহর শাখার আমির অ্যাড. ইসমাইল হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সে সময় বক্তারা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানান। সেই সঙ্গে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যা ও দুর্নীতির দৃশ্যমান বিচারের দাবি জানান।




ঝিনাইদহে আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সাইকেল র‌্যালি

আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সমাজে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাইকেল র‌্যালি। সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রা’ এ র‌্যালির আয়োজন করে।

আজ রোববার সকাল ১০টায় সদর উপজেলার আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে র‌্যালির সূচনা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ জেএম রবিউল ইসলাম র‌্যালির উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান এবং ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আনিসুর রহমান।

র‌্যালিটি সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রদক্ষিণ করে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়ক হয়ে মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক আলাউদ্দীন আজাদ এবং সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রমজান আলী। র‌্যালিতে সাধুহাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।




ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই সমৃদ্ধি

ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং জাতির গৌরবের প্রতীক। এটি শুধু সুস্বাদু খাবার হিসেবেই নয় বরং দেশের অর্থনীতি, পুষ্টি ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গুরুত্ব বহন করে। দেশের মোট মাছ উৎপাদনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসে ইলিশ থেকে। যা প্রায় পাঁচ লাখ জেলে পরিবারের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস। ইলিশ মূলত সমুদ্রের মাছ হলেও প্রজননের সময় মিঠাপানির নদীতে উঠে ডিম ছাড়ে। বাংলাদেশ সরকার মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য এসময় বিশেষ অভিযান চালায়। ইলিশ সংরক্ষণ সপ্তাহের দুটি রূপ রয়েছে। একটি হলো জাটকা সংরক্ষণয় সপ্তাহ (সাধারণত এপ্রিল মাসে) এবং অন্যটি হলো মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান (অক্টোবর মাসে)। প্রতিবছর এই সপ্তাহগুলো পালিত হয় ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এদের প্রজনন ও বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

এবছর ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর এই ২২ দিন সারা দেশে নদ–নদীতে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষা করতে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর আশ্বিন মাসের অমাবস্যা ও পূর্ণিমার মধ্যবর্তী সময়কে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসময় সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, এই সময় ইলিশ আহরণের কোনো প্রকার লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। মৎস্য সংরক্ষণ ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী অপরাধীদের এক থেকে দুই বছরের জেল এবং পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

সরকারের ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নৌবাহিনী ১৭টি যুদ্ধজাহাজ দেশের বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন করেছে। চাঁদপুর, কক্সবাজার, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীতে বিশেষ নজরদারি চলছে। অভিযানে জাহাজ, ক্রাফট ও বোটসমূহ সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত, পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে অবৈধ মাছ শিকার প্রতিরোধে মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ব্যবহার করা হচ্ছে। নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করছে।

মৎস্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রচারণায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলা হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এবং দেশের মৎস্য সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত হয়। এতে ইলিশের প্রজনন চক্র সুসংহত হয় এবং মোট উৎপাদন বাড়ে। ফলে দেশের অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হয় তেমনি নদীনির্ভর জেলে সম্প্রদায়ের জীবিকা নির্বাহের নিশ্চয়তা তৈরি হয়। ইলিশ বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, কারণ এটি জনগণের জন্য অন্যতম পুষ্টিকর ও সহজলভ্য প্রোটিনের উৎস। মা ইলিশের জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার শুধু ইলিশ রক্ষা নয় বরং নদী ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখছে। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই উদ্যোগ আরও টেকসই হয়ে উঠছে। মূলত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খাদ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই মা ইলিশ সংরক্ষণের অন্যতম লক্ষ্য।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণের জন্য সরকার দীর্ঘদিন ধরেই আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। এই সময় ইলিশ ধরা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি চালায়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়, যারা নিয়মিত নদ-নদীতে অভিযান পরিচালনা করে। পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে টহল ও অভিযান চালিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল, জাটকা ও মাছ ধরার নৌকা জব্দ করে থাকে। এসব উদ্যোগ ইলিশ সম্পদের স্থায়িত্ব ও প্রজনন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেরা সাময়িকভাবে মাছ ধরতে না পারায় সরকার তাদের জন্য বিভিন্ন সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রতিবছর ভিজিএফ ও ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলে পরিবারগুলোকে চালসহ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়, যাতে নিষিদ্ধকালীন সময়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। পাশাপাশি জেলেদের বিকল্প আয়ের উৎস সৃষ্টির জন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে পোলট্রি, হাঁস-মুরগি পালন, সবজি চাষ, মাছ চাষ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে। এই কার্যক্রমগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি এনজিও ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোও সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। ফলে জেলেরা ধীরে ধীরে মৌসুমি নির্ভরতা থেকে মুক্ত হয়ে স্থায়ী জীবিকা অর্জনে সক্ষম হচ্ছে, যা টেকসই মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাছ ধরার সময় সবাইকে মৎস্য সংরক্ষণ আইন মেনে চলতে হবে এবং নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ বাজারে বিক্রি বা ক্রয় না করা নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে পালন করা উচিত। একইভাবে নদীতে অবৈধ কারেন্ট জাল বা সূক্ষ্ম জালের ব্যবহার পরিহার করতে হবে কারণ এসব জাল ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধিতে মারাত্মক ক্ষতি করে। শিশু-কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে স্কুল, কলেজ ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জাটকা সংরক্ষণবিষয়ক প্রচারণা চালিয়ে জনমত গঠন করা যেতে পারে। জনগণের সম্মিলিত সচেতনতা ও অংশগ্রহণই ইলিশ সম্পদ রক্ষার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

সরকারের দীর্ঘমেয়াদি এবং সুশৃঙ্খল উদ্যোগের ফলে ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখা দিয়েছে। নিয়মিত জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ, আইনগত ব্যবস্থা ও সচেতনতামূলক প্রচারণার কারণে ইলিশ উৎপাদন ২০০৮ সালে মাত্র ২.৯ লাখ মেট্রিক টন থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এই সাফল্য শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রশংসিত হয়েছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও অন্যান্য সংস্থা বাংলাদেশের ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের ফলে শুধু মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি বরং উপকূলীয় নদী ও খাল-বিল অঞ্চলে জীববৈচিত্র্যও সুসংহত হয়েছে। মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে এবং নদী-নিবাসী পরিবেশ রক্ষা পেয়েছে। এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, সঠিক নীতি, আইন ও জনগণের অংশগ্রহণ মিলিয়ে টেকসই মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ সম্ভব।

মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধিন দপ্তর/সংস্থা বিশেষত তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জেলা তথ্য অফিস, বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার, প্রেস ক্লাব, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই প্রচারণার মাধ্যমে জনসাধারণকে মা ইলিশ ও জাটকা আহরণের নিষিদ্ধকাল, আইনগত বিধি এবং সচেতন আচরণের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা হয়। নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং, পোস্টার, ব্যানার, ভিডিও ক্লিপ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্কুলভিত্তিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যাতে শিশু-কিশোর ও যুব সমাজও সম্পৃক্ত হয়। সামাজিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে বার্তা আরও বিস্তৃতভাবে পৌঁছানো হচ্ছে। এই বহুমুখী প্রচেষ্টা সাধারণ জনগণকে দায়িত্বশীল হতে উদ্বুদ্ধ করছে এবং ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করছে। ফলশ্রুতিতে, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ হিসেবে কেবল অর্থনৈতিক সম্পদ নয় বরং বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নদী ও সমুদ্রের এই মূল্যবান সম্পদ আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, জীবনযাত্রা ও জেলেদের জীবিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। তাই ইলিশ সংরক্ষণ শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব নয়, এটি সকলের দায়িত্ব। সরকার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, জেলে সম্প্রদায় এবং সাধারণ জনগণকে একত্রিতভাবে কাজ করতে হবে। একসাথে কাজ করলে ইলিশ সম্পদ টেকসইভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।

লেখক: সহকারী তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর




মেহেরপুরে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি প্রদান

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ এর ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জামায়াতে ইসলামী।

রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের শহীদ শামসুজ্জোহা পার্ক থেকে একটি মিছিল বের হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর তাজউদ্দিন খান।

মিছিলে জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন, জেলা নায়েবে আমীর মহবুবুল আলম, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি রুহুল আমিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, উপজেলা আমীর সোহেল রানা, পৌর আমীর সোহেল রানা ডলার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ আবদুল ছালামের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপি প্রদানের আগে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবি পড়ে শোনানো হয়।

দাবিগুলো হলো, জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচারের ব্যবস্থা, স্বৈরাচারপন্থী দলসমূহ, বিশেষ করে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।