মেহেরপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন

মেহেরপুরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ স্বামীসহ পরিবারের ৫ সদস্যের উপর। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অমানবিক নির্যাতনে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অসহায় গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার সুবিদপুর গ্রামে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মেহেরপুর সদর থানাসহ কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে বার বার ধর্না দিলেও কোন বিচার পাননি। নির্যাতনের স্বীকার ঐ গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গার নতুন বাজার পাড়ার বাচ্চু ইসলামের মেয়ে।

তবে অভিযুক্ত পরিবারের দাবি তাদের ছেলে বউ বেপরোয়া। পরিবারের কাউকে মানে না। বিভিন্ন সময় ঝগড়া বিবাদ লাগিয়ে রাখার কারণে তাকে গত জানুয়ারি মাসে তালাক দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর সুবিদপুর মোল্লাপাড়ার উসমান গনির ছেলে আবু সাইদ(৩০) এর সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে ব্যবসার নাম করে আমার বাবার কাছে ২ লাখ টাকা নেয়। মাঝে মধ্যেই কারণে অকারণে আমাদের কাছে টাকা দাবি করে। না দিলে নির্যাতন করে আমার উপর। বিভিন্ন অযুহাতে পরবর্তীতে আরও ১ লাখ নেয়। সম্প্রতি বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আমার বাবার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। এই টাকা দিতে না পারায় আমার স্বামী আবু সাইদ(৩০) তার বড় ভাই রাহিদুজ্জামান(৩৫) শ্বশুর উসমান গনি(৫২) শাশুড়ি রেহেনা খাতুন(৪৮) দাদা এলাহী বক্স আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। আমাকে তালাক দিতে চাইলে আমি অস্বীকৃতি জানায়। এতে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় আবু সাইদ ও তার পরিবারের লোকজন।

এ নিয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এর প্রেক্ষিতে এসআই আহসান হাবিব শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বিষয়টি মিমাংশা করার জন্য বলে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। পরে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করলে সেখানেও আমাকে হেনেস্তা করা হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

এ বিষয়ে আবু সাইদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায় পরে তার বড় ভাই রাহিদুজ্জামানের সাখে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রুবিনা খাতুনকে ৯ মাস আগে তালাক দেওয়া হয়। গতকাল কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংসা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু রুবিনা করেনি।

আবু সাঈদ এর বড় চাচা রুপচাঁদ বলেন, রুবিনার অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। সে নিজ ইচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে গেছে। তার চলাফেরা ছিল বেপরোয়া। পরিবারের কারো কথা শুনতো না। বিভিন্ন সময় সংসারে অশান্তি লাগাতো। যে কারণে গত জানুয়ারি মাসে তাকে তালাক দিয়ে তাদের ছেলে।
মেহেরপুর সদর থানার এস আই আহসান হাবিব জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল। আমরা পারিবারিক ভাবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বলেছিলাম কিন্তু পরে উভয় পক্ষ কোন মিমাংসা করেনি।

মেপ্র/এমএফআর




মেহেরপুরে ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মানে বাধাঁ দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুরে ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মান করতে গিয়ে প্রতিবেশির বাধাঁ মুখে পড়েছেন শরিফন খাতুন নামের এক মহিলা।

জমি দখল নেওয়ার দাবিতে শনিবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।

সংবাদ মম্মেলনে ভুক্তভোগি শরিফন খাতুন বলেন, আমি গত দুই বছর আগে একই গ্রামের আনছার আলীর ও তার ভাইদের সাথে ৫ কাঠা জমি ক্রয় করি। সেই জমির পাশে আমি বসবাস করে আসছি। এখন আমি ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মান করতে গেলে প্রতিবেশি কিবরিয়া বিশ্বাসের ছেলে লিটন, রেন্টু, তাদের ভাগ্নে সজিব ও অপর এক প্রতিবেশি চকলেট ঘর নির্মানে বাধাঁ দেয়। সেই সাথে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। এই ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর কাছে বিচারের দাবি জানালে তিনি বলেন কোর্টে যেতে। এর পর আমি পুলিশকে অভিযোগ করি সেখানেও কোন সুফল পাইনি। আসামীরা ইউপি চেয়ারম্যানের আত্মীয় এবং প্রভাবশালী হওয়ায় কোন জায়গাতেই সুবিচার পাইনি। উল্টো নিজেকেই হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে।

এ ব্যাপারে মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, যেহেতু জমি জায়গার ব্যাপার তাই আমি তাদের কোর্টে অভিযোগ করার পরামর্শ দিযেছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

মেপ্র/এমএফআর




আপডেট:: মেহেরপুরে একই পরিবারের ৬জনসহ আক্রান্ত ৭

মেহেরপুরে নতুন করে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সবগুলোই মেহেরপুর পৌর শহরের। আক্রান্ত ৭ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৬জন। এনিয়ে জেলায় ৮৭ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এর মধ্যে ৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন, ৫ জন মারা গেছেন। ৮ জন রেফার্ড করা হয়েছে।

আক্রান্তরা হলেন- মেহেরপুর শহরের নীলমনি হলপাড়ার ফরহাদুল রেজা। তিনি জীবননগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। তার পরিবারের আরো ৫জন । তারা হলেন বুলবুল (২৬), বাঁধন (২১), হীরা (৩৮), তাসিন (৮) , আরিছা (১৩)। বাকি একজন হলেন পুরাতন আক্রান্ত তানিয়ার বোন মন্ডলপাড়ার জান্নাতুল।

মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন জানান, আজ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৭টি পজিটিভ, বাকিগুলো নেগেটিভ।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত মোট প্রাপ্ত রিপোর্টের সংখ্যা  ১৮৮৮টি।

মেহেরপুর জেলায় পজিটিভ কেইস এর সংখ্যা বর্তমানে ৪১ (সদর-২৪, গাংনী-১৪, মুজিবনগর-৩) জন।

 




তুমি আমার – ঈশা বিশ্বাস জিম

তুমি আমার
শরতের কাশফুলের শুভ্রতা,
তাই তোমার সাথে পথ চলা।
তুমি আমার
মরুর বুকে সদ্য জন্ম নেয়া
বিস্তীর্ণ তৃণভূমি,
তাই তোমার কাছে ফিরে আসা,
তুমি আমার
বসন্তে কোকিলের কন্ঠে শোনা প্রথম গান,
তাই তোমাকেই আঁকড়ে ধরা।
তুমি আমার
শীতের পরম উষ্ণতা,
তাই তোমায় নিয়েই বেঁচে থাকা,
তোমাকেই ভালোবাসা।




মেহেরপুরে নতুন করে করোনা সনাক্ত হয়নি

মেহেরপুরে আজ সোমবার কোন করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব থেকে ১৫টি প্রাপ্ত রিপোর্টের সবগুলোই নেগেটিভ বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন।

সিভিল সার্জন নাসিরউদ্দিন জানান, করোনা সন্দেহে নমুনা পাঠানো হয়েছিল ৫২ টি। এর মধ্যে সদরে ২৬ গাংনীতে ২১ মুজিবনগরে ৫। ফলাফল এসেছে ১৫ টি, সবকটিই নেগেটিভ। মেহেরপুরে এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪১২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ ফলাফল এসেছে ১২৪০ টি। প্রাপ্ত রিপোর্টে নেগেটিভ ১২১০ টি, পজেটিভ ৩০ টি। মৃত্যু ২জনের এবং সুস্হ ৭জন। বাঁকি ২১ জন বর্তমানে আইসোলেশনে আছে।




ভোগান্তিতে ক্রেতা, বিক্রেতা ও দলিল লেখকরা

গাংনীতে সরকারি বিধি মোতাবেক সরকারী কর্মকর্তা কর্মস্থলে থাকার কথা থাকলেও সেখানে সাব রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানা সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে বাড়ীতে অবস্থান করছেন। ফলে এক সপ্তাহ অফিস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতা, বিক্রেতা ও দলিল লেখকরা।

গাংনী সাব রেজিস্ট্রী অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, প্রায় ৪ মাস গাংনী সাব রেজিস্ট্রারের অফিস বন্ধ থাকায় রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখকসহ অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগন কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার ২৬ মার্চ থেকে সরকারী ভাবে লকডাউন ঘোষনা করার ফলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। লকডাউনের আগেও ১মাস সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় বন্ধ হয়েছিল সকল কার্যক্রম। আমরা সরকারী সহযোগীতার জন্য বিভিন্ন জয়গায় আবেদন করলেও আমরা কোন সহযোগীতা পাইনি। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে অফিসের সকল স্টাফ।

তিনি আরো বলেন, গাংনী উপজেলার সকল কর্মকর্তা নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকলেও সাব রেজিস্ট্রার ২৫ মার্চ সকাল ১১টার সময় কর্মস্থল ত্যাগ করে নিজ বাড়ী ঢাকাতে রয়েছেন। কবে আসবে ঠিকনাই। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ভুক্তভোগী এলাকার মানুষ।

এদিকে, জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তির পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এছাড়া এ অফিসের সঙ্গে জড়িত প্রায় শতাধিক মহুরা ও নকলনবীশ লেখকরা বেকার ও অলস সময় পার করছেন।

অফিস সুত্রে জানা যায়, গাংনী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার ইমরুল হুসাইন ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর এখান থেকে বদলি হওয়ার পর কোন সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় ১ মাস বন্ধ হয়েছিল গাংনীর সাব রেজিস্ট্রী অফিস। নতুন সাব রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানা ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে এখানে যোগদান করেন।
যোগদানের পর থেকে অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। মাত্র ১৭দিন অফিস চলার পর করোনা প্রতিরোধে সরকার লকডাউন ঘোষনা করেন।

সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সকল কর্মকর্তা কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ থাকলেও সেখানে মাহফুজ রানা সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে ২৫শে মার্চ কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ফলে আবারো জমি রেজিস্ট্রী অফিসের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হওয়ার কারণে এ উপজেলার শত শত একর জমি ক্রেতা-বিক্রেতা ও জরুরি কাজে দলিল উত্তোলনকারীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।

গাংনী উপজেলা আয়তন এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে জেলার অর্ধেক। তাই প্রতি মাসে ১হাজার থেকে ১হাজার ৫০০ দলিল রেজিস্ট্রী হয়ে থাকে এ উপজেলায়।
গাংনী শহরের হাসপাতাল বাজারের হায়দার আলী জানান, আমি জমি কিনে দিনক্ষণ ঠিক করে জমি বিক্রেতা বানিয়াপুকুর গ্রামের মুসফিককে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। জমি বিক্রেতা একজন অসুস্থ মানুষ। সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় আমার জমি রেজিস্ট্রী হচ্ছে না। জমি রেজিস্ট্রী হওয়ার আগে উনি মারা গেলে আমার সব শেষ হয়ে যাবে।

গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের আবুসামা জানান, আমি জমি কিনে বিপদে পড়েছি জমির টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। কিন্তু রেজিস্ট্রী অফিস বন্ধ থাকায় জমি রেজিস্ট্রী করা হয়নি। সে পরে জমি রেজিস্ট্রী দিতে গড়িমশি করছে।

বানিয়াপুকুর গ্রামের শাহিনুর রহমান বলেন, আমি জমি বিক্রি করতে না পেরে আমার পরিবারকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারছিনা।

গাংনী উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফাকের আলী জানান, লকডাউনের কারণে রেজ্রিস্ট্রী কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গাংনী সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ৭০ জন দলিল লেখক ও প্রায় ১৫০ জন সহকারী এখন বেকার জীবন-যাপন করছে। সরকার লকডাউন প্রত্যাহার করে নিলেও আমাদের স্যার কর্মস্থলে না থাকায় রেজিস্ট্রী কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীরা জানান, প্রতিদিনই দলিল গ্রহীতা, সেবা গ্রহীতারা অফিসে এসে গালাগাল করে যাচ্ছেন। আমরা তাদের কথার কোনো উত্তর দিতে পারছিনা।

এ ব্যাপারে জানতে গাংনী সাব রেজিস্ট্রার মাহফুজ রানাকে মোবাইলে ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।




মেহেরপুরে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী বাবু আটক

মেহেরপুর ১৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ মফিজুল ইসলাম বাবু নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।

মঙ্গলবার সন্ধায় সদর উপজেলার দক্ষিণ শালিকা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক মফিজুল ইসলাম বাবু সদর উপজেলার দক্ষিণ শাকিলা গ্রামের মহসীন আলীর ছেলে।

এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বাবু প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিল।

অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ১৬ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ।

ডিবি পুলিশের এস আই ইব্রাহিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে বাবুকে আটক করেন।

অপরদিকে গাংনী উপজেলার খলিশাকুন্ডু পাইকপাড়া থেকে জনি ইসলাম নামের আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

এস আই অজয় কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে ৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ তাকে আটক করা হয়।

ডিবি পুলিশের ওসি রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর নির্দেশে পৃথকভাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ শাকিলা গ্রাম থেকে মফিজুল ইসলাম বাবু ও খলিশাকুন্ডু পাইকপাড়া থেকে জনি ইসলাম নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। উভয় এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

মেপ্র/এমএফআর




চুয়াডাঙ্গা জেলায় শ্রেষ্ট ওসি দর্শনা থানার মাহাবুবুর রহমান

চুয়াডাঙ্গা জেলার ৫টি থানার মধ্যে দর্শনা নবগঠিত থানা আইন শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে ১ম স্থানে আবস্থান করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গত মার্চ-২০২০ মাসের জেলা আইন শৃঙ্খলা ভিডিও কনফারেন্স এর সভায় দর্শনা থানাকে শ্রেষ্ঠ থানা হিসাবে ঘোষনা করেন জেলা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়া দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান, এসআই শরিফুল ইসলাম ও এএসআই মারুফুল ইসলামকে দক্ষতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করায় শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসাবে নিবার্চন করেন।

মাদকসহ বিভিন্ন অভিযানে আসামী গ্রেফতার, অপরাধ দমনে দক্ষ ভুমিকা, দর্শনা থানার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল রাখার প্রেক্ষিতে দর্শনা নবগঠিত থানকে ও অফিসার্স ইনচার্জসহ ৩জন অফিসারকে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসাবে স্বীকৃতি দেন জেলা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।




দেশে একদিনে নতুন আক্রান্ত ৫০৩ জন

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫০৩ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৬৮৯।

আজ শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিলেন ৪১৪ জন। মোট শনাক্ত হয়েছিলেন ৪,১৮৬ জন। এ ছাড়া গতকাল পর্যন্ত আরও ৭ জন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১২৭। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১৬ জন। মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১০৮ জন।

দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।




কুড়িগ্রামের ডিসিকে প্রত্যাহার, আরিফুলের জামিন

বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে একবছরের সাজা পাওয়া সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অন্যদিকে এই সাংবাদিককে সাজা দেয়ার পেছনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনের সম্পৃক্ততা ও আচরণের অসঙ্গতির প্রমাণ পাওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার সকালে বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের আবেদনের পর কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা তাকে জামিন দেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে আইনজীবী নিয়োগ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আরিফ মুক্ত হওয়ার পর জানিয়েছেন, জেল কর্তৃপক্ষ তার কাছে একটি ওকালতনামা পাঠায়। তাকে বলা হয় পরিবার পাঠিয়েছে। এই কথা বলে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। তবে পরিবারের কেউ ওকালতনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও কাগজ পাঠাননি।

গত শুক্রবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে বাড়ির বেড়া ভেঙে ঢুকে স্ত্রী-সন্তানদের সামনে থেকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আরিফুল ইসলামকে। তার বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ আনা হয়। এরপর গভীর রাতে জেলা প্রশাসকের অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সূত্র-বণিক বার্তা

এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বলছেন, অবস্থা বেগতিক দেখার পর জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন নিজের লোকজনদের দিয়ে আরিফের পরিবারের সঙ্গে কথা না বলেই কৌশলে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে জামিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। যদিও বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

এদিকে অভিযুক্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনের সম্পৃক্ততা ও আচরণের অসঙ্গতির প্রমাণ পাওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রবিবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু ডিসি নয়, এই ঘটনার সঙ্গে অন্য যেসব কর্মকর্তা জড়িত ছিল নিজ নিজ ভূমিকা বিবেচনায় নিয়ে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনমনে শনিবার থেকে যত প্রশ্ন উঠেছে সব প্রশ্নের সত্যতা তদন্তে পাওয়া গেছে।’

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এক-দুজন কর্মকর্তার দায় সরকার বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে না।’

বিভাগীয় কমিশনারের খসড়া প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাক্ষরযুক্ত প্রতিবেদন কিছুক্ষণের মধ্যে পেয়ে যাবো। খসড়াতে যা দেখেছি সেটাই চূড়ান্ত প্রতিবেদন হবে। যেহেতু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর তাই আদেশে তার স্বাক্ষর লাগবে। ফলে দোষীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি এখনই বলা ঠিক হবে না।’

আরিফের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি ইতোমধ্যে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। যেহেতু প্রতিবেদনে সব উল্লেখ আছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি সেহেতু একসময় তিনি নির্দোষ প্রমাণ হবেন।’