প্রতিদিন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ব্রেকআপ জাহ্নবীর

বাল্যবন্ধু শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গেই নাকি সম্পর্কে আছেন বলিউডের জনপ্রিয় প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীকন্যা জাহ্নবী কাপুর। অতীতে বহু সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি।

জাহ্নবী সম্পর্কে এমন কথা অনেকেই জানেন। অতীতে অনেকের সঙ্গে প্রেমসম্পর্কে জড়ালেও এখন শিখরের সঙ্গে বহু জায়গায় একসঙ্গে দেখা গেছে জাহ্নবীকে। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে কম ঝড় বয়ে যায়নি অভিনেত্রীর। বেশ কিছু দিন আগে শিখরের হাত ধরে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতেও গিয়েছিলেন জাহ্নবী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্রেকআপ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

জাহ্নবী জানিয়েছেন, তার জীবনে এমন সময় এসেছিল, যখন তিনি প্রত্যেক মাসেই প্রেমিকের সঙ্গে ব্রেকআপ করতেন। অভিনেত্রীর প্রেমিক শকে চলে যেতেন সেসব ঘটনায়। তার পর থেকে তিনি ব্রেকআপের কথা শুনলেই বলতেন— হ্যাঁ, ঠিক আছে।

শ্রীদেবীকন্যা বলেন, প্রেমিকের সঙ্গে ব্রেকআপের দুদিন পর খুব কাঁদতাম এবং ফিরে যেতাম। আমি বুঝতেই পারতাম না কেন বারবার ব্রেকআপ খেয়াল মাথায় আসত। এটিকে আমি এক্সট্রিম এক্সপিরিয়েন্স বলতাম।

কথায় কথায় ব্রেকআপ করা জাহ্নবী বলেন, জীবনে একবারই নাকি তার হৃদয় ভেঙে খান খান হয়ে গিয়েছিল। সেই মানুষটাই নাকি তার জীবনে ফেরত এসে হৃদয়ের ভাঙা টুকরোগুলো জোড়া লাগিয়েছিলেন। ফলে সেই যন্ত্রণা তাকে খুব একটা কাবু করতে পারেনি।

শিখরের সঙ্গে অনেক আগেই সম্পর্ক তৈরি হয় জাহ্নবীর। সেই সময় তিনি সিনেমায় কাজও শুরু করেননি। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জাহ্নবীর প্রথম ছবি ‘ধড়ক’-এ সহ-অভিনেতা, তথা ছবির নায়ক ঈশান খট্টরের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন অনেকেই শুনেছিলেন। সেই প্রেম ভেঙেও যায় কয়েক দিনের মধ্যে। এখন শিখরই তার ধ্যানজ্ঞান বলে জানান অভিনেত্রী জাহ্নভী।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  

মেহেরপুর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় মেহেরপুর সদর উপজেলা শ্যামপুর ইউনিয়নে নতুন মদনাডাঙ্গা হান্নানগঞ্জ স্কুলে দিন ব্যাপী এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর থানা আমির সোহেল রানা ও শ্যামপুর ইউনিয়ন আমির মফিদুল ইসলাম।

এছাড়াও শ্যামপুর ইউনিয়ন রাজনীতিক সেক্রেটারি মো: আজমাইন হোসেন, রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ব্যাটিং বিপর্যয়েই ভাঙল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন

ম্যাচ জিতলেই সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে, এমন সমীকরণে খেলতে নেমে খুব বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরে ভেঙে চুরমার হয়েছে নিগার সুলতানাদের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন।

বাংলাদেশ হেরেছে মূলত তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও দেখিয়েছে ব্যাটিংয়ের বাজে প্রদর্শনী।

শুরুতেই ব্যাটিং করে ১১৮ রানেই গুটিয়ে গেছে নিগার সুলতানারা। যার মধ্যে শেষ ৫০ রানে পড়েছে ৯ উইকেট। আর ১১ রানে শেষ ৬টি। শেষ ৬ ব্যাটার পারেননি দুই অঙ্ক ছুঁতে।
শেষ ৫ ব্যাটার মিলে রান ১!
অথচ, সেন্ট কিটসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা এতটা বাজভাবে হয়নি। দলীয় ৬ রানে মুর্শিদা খাতুন ফিরলেও ফারজানা হক ও শারমিন আক্তারের জুটি নিয়ে যায় ৬৮ রান পর্যন্ত। এরপরই নেমে আসে ব্যাটিং ধস। শেষ দিকে তো শুরু হয়ে যায় আসা-যাওয়ার মিছিল।

আর সহজ রান তাড়ায় ক্যারিবিয়ানরা জিতে যায় ২ উইকেট হারিয়ে ২৭.৩ ওভারেই। শেষ ওয়ানডেতে ৮ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এই হারে অবশ্য বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ শেষ হয়ে যাচ্ছে না বাংলাদেশের। বাছাইপর্বের বৈতরণি পর হতে হবে। বাছাইপর্ব খেলতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও।

এই বছর অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারতে হবে বাছাইপর্ব। ৬ দলের এই বাছাইপর্বে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। যেখান থেকে দুই দল খেলবে বিশ্বকাপে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মেহেরপুরে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী পালন

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটার দিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে খাঁন কমিউনিটি সেন্টার বেড়পাড়ায় এ দোয়া মাহফিলের ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মাহফিলে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া লন্ডনে চিকিৎসারত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক  জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক  আমিরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়ার সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, হাফিজুর রহমান হাফি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহম্মেদ, পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জেলা জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম ও গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক।

জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেননের সঞ্চালনায় এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এম এ কে খাইরুল বাশার, মীর ফারুক, ওমর ফারুক লিটন, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আজম খান (খোকন), সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুযাইফা ডিক্লেয়ার, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা যুবদল নেতা ওমর ফারুক, দারিয়াপুর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছাবিহা সুলতানা, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলী, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমুল হোসেন মিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি নাহিদ মাহাবুব সানি, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, এ্যাড: মাহমুদুল হাসান মিলন, রোলেক্স, প্রফেসর রিপন, আশরাফ হক কালু,সৌরব হোসেন, আব্দুল লতিফ, মোশিউল আলম দিপুসহ বিএনপির নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যৌথ বাহিনীর অভিযান

সাম্প্রতিক সময়ে মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সচেতনতা মূলক অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ ভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মেহেরপুর ট্রাফিক পুলিশ।

আজ শুক্রবার বিকালে মেহেরপুর কলেজ মোড়ে এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৭ ফিল আর্টিলারি রেজিমেন্টের ওয়ারেন্ট অফিসার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানে হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালকদের সতর্ক করা হয়।

অভিযানে মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র না থাকাই ১২ টি মামলা এবং ৪ টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। অভিযানে অন্যদের মধ্যে ট্রাফিক সার্জেন্ট মেহেদী, রবিউল ইসলাম, দ্বীন ইসলাম, মোজাফফর, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৫ আসামি গ্রেফতার

গাংনী থানা পুলিশের গত ২৪ ঘন্টার বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলার আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৩ নারীসহ ৫ পলাতক আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

এরা হলেন, গাংনী উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ মন্টু আলীর ছেলে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর ৩৬/২৫ নং মামলার আসামি মোহাম্মদ মিঠু আলী (৩৬), একই উপজেলার মুন্দা গ্রামের মৃতু নজী বক্্েরর ছেলে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর ৬১৩/২৩ এর আসামী মোঃ লেবু ওরফে জামরুল ইসলাম (৬০), মামুনের স্ত্রী ঝুমা খাতুন (২৫), টেবু মিয়ার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৪৫) ও ঠান্টু মিয়ার স্ত্রী মমতাজ খাতুন (৩০)।

 

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইলের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে আজ শুক্রবার দিনব্যাপি অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আদালতের পরোয়ানা পেয়ে পুলিশের পৃথক টিম আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার বিকালে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।




মেহেরপুর কৃষি বিভাগের উদাসিনতায় মানহীন কীটনাশক কোম্পানীর রমরমা ব্যবসা

শুখসাগর পেঁয়াজ এবার দু:খের হাতছানি দিচ্ছে মুজিবনগরের কৃষকদের। মানহীন কোম্পানী “মার্সাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লি:” এর নিম্নমানের য়োকরাল নামক বালাইনাশক (পেস্টিসাইড) পেঁয়াজ ক্ষেতে ব্যবহার করে পথে বসতে যাচ্ছেন উপজেলার অর্ধশতাধিক চাষী।

পাঁচ/ছয়দিন আগে কৃষকরা স্থানীয় সার কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে য়োকরাল নামক এই ছত্রাকনাশক (পেস্টিসাইড) তাঁদের জমির উঠতি পেঁয়াজের পঁচন রোধে দিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে মুজিবনগরের নাজিরাকোনা গ্রামের নাগার মাঠসহ এলাকার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকার প্রায় অর্ধাশতাধিক কৃষকের প্রায় জমির পেঁয়াজ খেত এখন জমিতেই লুটিয়ে পড়েছে। পেঁয়াজ গাছের কলি হলুদ হয়ে চুপসে যাচ্ছে। ডগা শুকিয়ে লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে। পাশের জমির পেঁয়াজ গাছ বড় হয়ে গেলেও আক্রান্ত জমির পেঁয়াজ রয়েছে মাটির সাথে সুয়ে। এবারের শীত মৌসুমে এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা, শিবপুর, ভবরপাড়া, কেদারগঞ্জ, মানিকনগর গ্রামের অর্ধ শতাধিক কৃষক। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পরামর্শে পেঁয়াজের ছত্রাকজনিত রোগ থেকে বাঁচতে “মার্সাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লি:” এর নিম্নমানের য়োকরাল নামক বালাইনাশক (পেস্টিসাইড) প্রয়োগের পরেই এ অবস্থা হয়েছে পেঁয়াজ ক্ষেতের।

স্থানীয় কৃষকের মতে, প্রায় অর্ধশত বিঘা জমির পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হতে পারে। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আবুল হোসেন জানান, বর্গা নেওয়া এক বিঘা জমিতে চাষ করছেন পেঁয়াজ। জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে পেঁয়াজ খেত ছত্রাকজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীর পরামর্শে “মার্সাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লি:” এর য়োকরাল নামক বালাইনাশক (পেস্টিসাইড) কীটনাশক প্রয়োগ করেন। এর পর থেকেই হলুদ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে পেঁয়াজ ক্ষেত। এমন অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমার ৮০/৯০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। ধার দেনা করে এক বিঘা জমিতে এই চাষ করেছেন তিনি। পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম বিপদের মধ্যে আছেন তিনি। পেঁয়াজ বিক্রি করে এবছর তার প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা হতো বলে জানান তিনি। এই বছর নাজিরাকোনা গ্রামের আফর আলী এক বিঘা জমিতে, আব্দুল আলীমের এক বিঘা জামিতে হাফিজুল ইসলামের এক বিঘা জমিতে অ্যাডভোকেট আ্ব্দুল আলীমের এক বিঘা জমিতে, শহিদুল ইসলামের এক বিঘা জমিতে, জনি মন্ডলের ৫ বিঘা জমির পেঁয়াজের মধ্যে ২ বিঘা জমিসহ এই গ্রামের প্রায় ১৫ জন কৃষকের প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে এই ছত্রাক নাশক কীটনাশকটি প্রয়োগ করে সব পেঁয়াজ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। শিবপুর গ্রামের কৃষক হিরন আলী জানান, আমি প্রতি বছরই পেঁয়াজের চাষ করি।

এবছরও আমি তিন বিঘা জমিতে এই চাষটি করেছি। এছাড়া আমার ভাই হাফিজুল ইসলামেরও তিন বিঘা এবং রকিবুল সর্দারের এক বিঘা জমির পেঁয়াজ ক্ষেতে এই কীটনাশকটি ব্যবহার করেছিলাম। আমাদের মাঠে আরও বেশ কয়েকজন পেঁয়াজ চাষীর ক্ষেতে এই কীটনাশকটি স্প্রে করে পেঁয়াজের চারা এখন ধুকে ধুকে মরছে। এছাড়া বল্লভপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী জাহিদুল ইসলাম জানান, আমিসহ এলাকার বেশ কয়েকজন চাষী পেঁয়াজ ক্ষেতে “মার্সাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লি:” এর নিম্নমানের য়োকরাল নামক বালাইনাশক (পেস্টিসাইড) প্রয়োগের পরেই এ অবস্থা হয়েছে। নাজিরাকোনা গ্রামের আবুল হোসেন, হাফিজুল ইসলাম নয়, এই উপজেলার কয়েকটি গ্রামের আরও অর্ধশতাধিক কৃষক একই পরিস্থিতে পড়েছেন। য়োকরল নামের কীটনাশকটি ব্যবহার করার দুই-তিন দিন পর থেকেই পেঁয়াজের গাছগুলো শুকিয়ে যাওয়া শুরু করে। শেকড়ে পচন ধরে সব শেষ হয়ে গেছে।

ধারদেনা করে আবাদ করা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ্এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এসব কৃষক। এখন ওই কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। কৃষকদের অনেকই স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা যদি মাঠে আসতেন, পরামর্শ দিতেন, তাহলে এই অবস্থা হতো না। এদিকে কীটনাশক কোম্পানির নাজিরাকোনা গ্রামের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী আব্দুল জুব্বার জানান, “মার্সাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লি:” এর য়োকরাল ব্যবহারের পর এ রকম অভিযোগ আসছে সব জায়গা থেকে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে, ওই কোম্পানীর স্থানীয় ডিলার ও কোম্পানীর উর্দ্ধকন কর্মকর্তারা মাঠে এসে কৃষকদের ফসলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতি পুরণ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কীটনাশক ব্যবসায়ী ও “মার্সাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লি:” এর ডিলার দানা মেম্বর বলেন, ‘শীতের সময় পেঁয়াজ খেতে ছত্রাকের আক্রমণ বাড়ে। তাই আমার কাছে যারা কীটনাশক নিতে আসে, তাদের “মার্সাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লি:” এর য়োকরাল নামক কীটনাশক দেই। তবে যাদেরই ওই কীটনাশক দিয়েছি, তাদেরই খেতে সমস্যা হয়েছে।

আমি কোম্পানির প্রতিনিধিকে জানাইছি। তারা এসে ওই কীটনাশক নিয়ে গেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।’ “মার্সাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লি:” এর টেরিটরি অফিসার আসাদুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে এলাকার ২০ জান কৃষক তাঁদের ৩৩ বিঘা জমির পেঁয়াজ ক্ষেত নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানালে কোম্পানীর প্রধান কার্যালয় থেকে কয়েকজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পেঁয়াজ চাষীয়দের সাথে কথা বলেছেন এবং পেঁয়াজের স্যাম্পল পরিক্ষার জন্য নিয়ে গেছে। কৃষি কর্মকর্তা ডিডি বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের কাছে কৃষকেরা অভিযোগ করেনি। কৃষকরা কার পরামর্শে এসব কীটনাশক জমিতে প্রয়োগ করে থাকে এটা আপনি আমাকে বলতে পারেন? সাংবাদিককে উল্টো প্রশ্ন করেন ডিডি। কীটনাশক দোকান পরিদর্শন করে মাসে অন্তত দুটি নমুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ে (প্লান্ট প্রটেকশন) পাঠানোর কথা সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের, এটা পাঠানো হয় কিনা।

এমন প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, এটা উপজেলা কৃষি অফিসের দায়িত্ব আমার না। উপজেলা কৃষি অফিসার আপনার আয়ত্বের মধ্যে পড়ে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিবেদকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে বলেন, এধরণের প্রশ্ন করলে আমার সাথে কথা বলবেননা, বলেই কলটি কেটে দেন এই কৃষি কর্মকর্তা। এদিকে হাতে গোনা কয়েকটি কীটনাশক কোম্পানী ছাড়া অধিকাংশ মানহীন বালাইনাশকের (পেস্টিসাইড) কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন এলাকার কৃষককুল। আবার ডিলারনির্ভর ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় মানহীন বালাইনাশক (পেস্টিসাইড) ভুল ব্যাক্ষা দিয়ে কৃষকদের মাঝে বিপনন করছেন।

দোকান পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাকে মাসে অন্তত দুটি নমুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ে (প্লান্ট প্রটেকশন) পাঠানোর কথা বলা হলেও সে নিয়মের পথে হাঁটছেন না কৃষি অফিস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফসল আবাদের পরিধি ও ধরন বদলে গেছে। বেড়েছে ফসলের জন্য ক্ষতিকর রোগজীবাণু ও কীটপতঙ্গ।

এসব দমনে কৃষক বালাইনাশকের ব্যবহারও বাড়িয়েছেন। আর এই সুযোগে কোম্পানিগুলো কাটছে কৃষকের পকেট। কৃষিতে কীটনাশক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে শক্ত নজরদারি দরকার বলে মনে করেন তারা।




সংষ্কারের আগে নির্বাচন নয় : বাংলাদেশ কংগ্রেস

একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংষ্কার শেষে নির্বাচনের আয়োজন করার দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।

বাংলাদেশ কংগ্রেসের বাংলামটরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে “রাষ্ট্র সংষ্কার : প্রত্যাশা ও বাস্তবতা” শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে দলের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, দূর্বল নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও পুলিশ দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।

কাজী রেজাউল হোসেন আরো বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের কোন ভূমিকা থাকে না। তারা ভোটার তালিকা ও ব্যালট পেপার প্রস্তুত করে নির্বাহী বিভাগের হাতে তুলে দেয় এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন পরিচালনা করে।

বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম সেমিনারে বলেন, নির্বাচন সংষ্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় কার্যকর কোন সংষ্কার হবে না। এমন সংষ্কার আনতে হবে যাতে শাসকগোষ্ঠী নির্বাচনে আনুকূল্য না পায়।

এ্যাডঃ ইয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নিরপেক্ষ সরকার। প্রত্যাশিত সংষ্কারগুলো একমাত্র তাদের দ্বারাই সম্ভব। তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন দিলে দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসবে যারা যারা দলীয় স্বার্থের বাইরে কোন সংষ্কার করবে না।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেঃ কঃ (অবঃ) জোবায়ের উল্লাহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের উপদেষ্টা এ আর সিকদার সোহেল, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজমুল মোর্শেদ, অর্থ সম্পাদক প্রভাষক মোস্তফা আনোয়ার ভুইয়া রিপন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ তুষার রহমান, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুর রউফ খান, সমাজ সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ মাইনুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য আনোয়ার কে মোর্শেদ, আব্দুর রহিম চৌধুরী, সোহেল হায়দার প্রমুখ।




মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতাদের সংবর্ধনা

মেহেরপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত আহাবায়ক কমিটিকে আমদহ ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৪জানুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে মেহেরপুরের সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নে রায়পুর গ্রাম বিএনপি’র আয়োজনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ খালেকুজ্জামান মজনু সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

মেহেরপুর সদর উপজেলা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রকিবুল হাসান রিপন,সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, জেলা বিএনপি’র সিনিয়ার যুগ্ন আহবায়ক যুগ্ন আহবায়ক আমিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ,

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়ার সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি এম এ কে খাইরুল বাশার, সাবেক সহ-সভাপতি আনছা-উল-হক, সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান সাতু, হাফিজুর রহমান হাফি, সহ-সভাপতি মীর ফারুক ,সহ-সভাপতি ওমর ফারুক লিটন ,জেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহম্মেদ,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছাবিহা সুলতানা, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলী,জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমুল হোসেন মিন্টু,পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সদর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপ্নন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজুর রহমান, আব্দুল লতিফ, মোশিউল আলম দিপু, সহ বিএনপির নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্তসহ ৩ আসামি গ্রেফতার

গাংনী থানা পুলিশের ২৪ ঘন্টার বিশেষ অভিযানে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ বিভিন্ন মামলায় আদালতের পরোয়ানাভূক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইলের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক তিনটি টিম বুধবার দিবাগত রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত গাংনী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করে পুলিশ।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাংনী উপজেলার ভরাট গ্রামের রুহুল আমীনের ছেলে জিআর ২৪১/১৬ নম্বর মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোহাম্মদ সেলিম(৪০), একই উপজেলার কসবা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর ৯৫৫ /২৪ মামলার আসামি মোহাম্মদ মতিন আলী (৫৫) ও পলাশীপাড়া গ্রামের মোঃ সাদেক আলীর ছেলে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর ৮৭/২৪ মামলার আসামি মোহাম্মদ টুটুল হোসেন (৩২)।
ওসি বানী ইসরাইল বলেন, সাজাপ্রাপ্তসহ তিনজন আসামিই আদালতের পরোয়ানাভূক্ত। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে আদালতে নিলে বিজ্ঞ আদালতে তাদের জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।