মেহেরপুর সদর ও পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর কাথুলী সড়কের খান কমিউনিটি সেন্টারে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়

জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনায় করেন সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

উপস্থিত ছিলেন জেলা যুগ্ম আহবায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্য আলমগীর খান সাতু, খায়রুল বাশার, হাফিজুর রহমান হাফি, রোমানা আহাম্মেদ, ওমর ফারুক লিটন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন,জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে  জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজমিন নাহার রিনা জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুল হক লাভলু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাঁকা বিল্লাহ, , জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা,জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছাবিহা সুলতানা,জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম,জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক ফিরোজুর রহমান ফিরোজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ইলিয়াস হোসেন,বিএনপি নেতা মোশিউল আলম দ্বীপু,আব্দুল লতিফ, লিটন মাস্টারসহ বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




দেবাশীষ বাগচির মামলায় মৃদুলের ১ বছর জেল, ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা

মেহেরপুর অর্থঋণ আদালতে দেবাশীষ বাগচির দায়ের করা মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলের ১ বছর জেল, ৩কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

রবিবার মেহেরপুরে যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন এ আদেশ দেন। সরফরাজ হোসেন মৃদুল মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক। বাদী দেবাশীষ বাগচি মৃদুলের ব্যবসায়ী সহযোগী ছিলেন।

আদেশে বলা হয়েছে, ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানার ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বাদীকে এবং ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে এ মামলায় তিনি যে কয়দিন হাজত খেটেছেন সে কয়দিন সাজার এক বছর থেকে কর্তন হবে।

আদেশ ঘোষণার সময় সরফরাজ হোসেন মৃদুলে মেহেরপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আদেশ ঘোষনার পর পুনরায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলায় বাদি পক্ষে খ ম হারুন ইমতিয়াজ বিন জুয়েল এবং আসামি পক্ষে খন্দকার আব্দুল মতিন আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০২৩ সালে সরফরাজ হোসেন মৃদুলের ব্যবসায়ীক পার্টনার দেবাশীষ বাগচি আদালতে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের একটি মামলা করেন। যার মামলা নম্বর-৯০৭/২৩ (মেহেরপুর)।

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেন, পারিবারিক সূত্রে বহু বছর যাবৎ ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছি। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সঙ্গে যৌথভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করি। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রকৌশলী, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টা নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করেছি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ২৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালের প্রথম দিকে যৌথ ঠিকাদারি ব্যবসা পরিসমাপ্তি ঘটালে তার সঙ্গে আমার মূলধন ও লভ্যাংশসহ আনুমানিক দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি পাওনা হয়। প্রাপ্য টাকা না পেয়ে আমি, আমার ও তার পরিবারের লোকজনসহ জেলা যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অবহিত করি। এক সময় সবার হস্তক্ষেপে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমার সঙ্গে হিসাব করতে রাজি হয়। আমি হিসাবে বসতে বললে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করে একপর্যায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তখন সে মৌখিকভাবে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মীমাংসা করে এবং আমাকে ২০২৩ সালের বছরের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে ঢাকায় যেতে বলে। ঢাকার আদাবরে তার বাসার সামনে গেলে রিংরোড সাহাবুদ্দিন প্লাজার ওসিস কফিশপে বসে আমাকে ২৪ জুলাই তারিখ দিয়ে রূপালি ব্যাংক মেহেরপুর শাখার এক কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন বাদী।

আমি চেকে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী ২৪ জুলাই টাকা উত্তোলনের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চেক জমা করি। এক সপ্তাহ পর ব্যাংক থেকে চেক ডিজঅনার দেখিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করে। যেখানে লেখা আছে, গত ৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। ১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে ব্যাংক চেক ডিজাঅনার সার্টিফিকেট দেয়। আমি বিষয়টি আসামীকে জানালে সে আমাকে আজকাল করে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াতে থাকে। অতঃপর আমি বিজ্ঞ এ্যাডভোকেট সাহেবের মাধ্যমে গত ৩০ আগস্ট আসামী বরাবর এন আই এক্ট ১৮৮১ এর বিধান মতে ডাকযোগে নোটিশ প্রদান করিয়া চেকে উল্লেখিত এক কোটি আশি লক্ষ টাকা পরিশোধ করিয় চেকটি ফেরত অথবা বাতিল করার অনুরোধ করি।

চেক ডিজঅনারের মামলায় করায় মন্ত্রীর ক্ষমতায় মৃদুল উল্টো দেবাশীষ বাগচীর বিরুদ্ধে চেক চুরির মামলা করে। পরে ওই মামলায় পুলিশ চেক উদ্ধারের জন্য দেবাশীষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করে।

ওই ঘটনার পরে গতবছরের ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় মেহেরপুরের সোডাপ মিলনায়তনে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলনে পাওনা টাকা ও ন্যায়বিচার না পেলে পরিবারসহ আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ কুমার বাগচি মনু।

এদিকে, মামলার আদেশ ঘোষণার পর দেবাশীষ বাগচি মানু তার ফেসবুকে ‘আমিই মানু’ লিখে হাসিমাখা ছবি পোস্ট করেন।




ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর স্ত্রী মোনালিসা গ্রেফতার

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন পত্নি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সৈয়দা মোনালিসাকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রবিবার (১৬ ফেব্রæয়ারী) দিবাগত রাতে ঢাকার ইস্কাটন রোডের একটি বাড়ি থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
একটি বিশ্বসস্থ সূত্রের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ মেজবাহ উদ্দীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সৈয়দা মোনালিসার নামে মেহেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে।

প্রশাসনসহ এলাকার মানুষ এতোদিন জানতেন মন্ত্রী পতিœ সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম সরকার পতনের পরপরই কানাডাতে পালিয়ে গেছেন। কানাডাতে পালিয়ে যাওয়ার ভূঁয়া তথ্য মন্ত্রীরর পরিবার ও দোষররা সমাজে ছড়িয়ে দিয়েছিল।
এদিকে সৈয়দা মোনালিসা ইসলামের গ্রেফতারের খবর মেহেরপুর জেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে ভাইরাল হওয়ায় অনেকস্থানে আনন্দ ও উল্লাস প্রকাশ করেছেন জনগণ।

খোদ আওয়ামীলীগের নেতা ও স্থানীয়রা জানান, ফরহাদ হোসেন ও তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা মিলে মেহেরপুর জেলার মানুষকে শাসন ও শোষন করেছেন। মন্ত্রী যতটা না ক্ষমতাধর ছিলেন সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম ছিলেন তার চাইতে বেশি ক্ষমতাধর।

প্রশাসন, গোয়েন্দা বিভাগ ও স্থানীয় অনলাইন জুয়াড়িরা জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলায় অনলাইন জুঁয়ার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা অবৈধপথে রাশিয়াতে গেছে। অনলাইন জুঁয়া নিয়ন্ত্রক ছিলেন সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। জেলার কয়েক হাজার যুবক, তরুণ এই অনলাইন জুঁয়ায় আসক্ত। অনলাইন জুঁয়াড়িদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাপোর্ট দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। এনিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে বারবার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। অনলাইন জুঁয়াড়িদের দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ও আইনী সুরক্ষা। সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম ছিলেন অনলাইন জুয়াড়িদের স¤্রাগী। আর এই কথা বলেছেন, সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাই বর্তমানে দুটি মামলায় গ্রেফতার জেলা যুবলীগের আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল। তিনি বলেছেন, মোনালিসা ইসলাম অনলাইন জুয়ার নিয়ন্ত্রক ছিলেন; ‘ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে তিনি পরিচিত, মৃদুলের কথা এখন মানুষের মুখে মুখে।

জানা গেছে, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল দুই হাজার কোটি টাকার মালিক; এর সবটাই দুর্নীতিপ্রসূত। কানাডাসহ দেশ-বিদেশে তার অঢেল সম্পদ।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এবং মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মেহেরপুরে দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। সরকারি ত্রাণের কোটি টাকার মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। ক্ষমতার পালাবদলের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা এলাকায় থাকলেও মন্ত্রী ও তার ভাইবোন-স্বজন সবাই এখন পলাতক। অথচ ক্ষমতাকালে মন্ত্রী বাইরের ভালো লোক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ‘তার আমলে দল পরিবারতন্ত্রের রূপ নিয়েছিল। জেলা কমিটিতে তার স্ত্রী, ভাই, বোন, আত্মীয়স্বজন মিলে ২৩ জন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। মন্ত্রী পঞ্চপান্ডব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ায় দলে স্বস্তির হাওয়া বইছে, আজকে মন্ত্রী পতিœ গ্রেফতার মানুষের মাঝে ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর মাঝে নতুন সুখবর দিলো। তিনি তিনবার এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হয়ে প্রকৃত নেতাদের ছুড়ে ফেলেছিলেন। কর্মীরা মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল। মূল্যবান হয়ে উঠেছিল প্রশাসন, পুলিশ ও হাইব্রিড কিছু তোষামোদকারী নেতা।’

জানা গেছে, দলকে হাতের মুঠোয় রেখে মন্ত্রী ফরহাদ মেহেরপুরসহ সারা দেশের টেন্ডার, নিয়োগ, বদলি ও অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। পুলিশকে ব্যবহার করে অনলাইন জুয়া নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে মাসে ৪-৫ কোটি টাকা কামাতেন তার স্ত্রী মোনালিসা ইসলামের মাধ্যমে।
অনলাইন জুয়ার হোতাদের সঙ্গে মন্ত্রী ও সৈয়দা মোনালিসার সাথে অন্তরঙ্গ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ও অন্যান্য মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সারা দেশের শিক্ষা সেক্টরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রীর ছোট ভাই সরফরাজ হোসের মৃদুল; স্থানীয় সমাজসেবা, হাসপাতাল ও থানা নিয়ন্ত্রণ করতেন তার ভাগ্নে (মন্ত্রীর অর্থরক্ষক হিসেবে পরিচিত) আমিনুল ইসলাম খোকন; গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথসহ এলজিইডি নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রীর ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস; সমবায়, কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করতেন তার বড় ভাই শহীদ সাদেক হোসেন বাবুল এবং সারা দেশে সরকারি হাসপাতালের ওষুধ সাপ্লাইবাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রী-পত্মীর পিএস জোহা। জনশ্রুতি আছে, এ নিয়ন্ত্রকদের হোতা ছিলেন মন্ত্রী ও তার স্ত্রী। এদের মাধ্যমেই অর্থবিত্তে ফুলেফেঁপে ওঠেন তিনি।

সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, তার স্বর্ণ আগে ছিল ২০ ভরি, সর্বশেষ হয়েছে ৪৫০ ভরি; আয় ও সম্পদ সর্বশেষ ২০০ গুণ বেড়েছে।

মন্ত্রীর দুর্নীতির কথা ফাঁস করেছেন তারই ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল। তিনি এক অডিও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভাইয়ের দুর্নীতির কারণেই আজ আমরা সবাই ঘরছাড়া, পালিয়ে বেড়াচ্ছি এবং মামলার আসামি হয়েছি। ফরহাদ হোসেন নিয়োগ, বদলিবাণিজ্য প্রভৃতি দুর্নীতির মাধ্যমে ন্যূনতম দুই হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কানাডার বেগমপাড়ায় তার বাড়ি আছে। ঢাকায় একাধিক বাড়ি আছে। সবকিছুর নিয়ন্ত্রক ছিলেন মন্ত্রী ও তার স্ত্রী। টাকা ছাড়া টেন্ডার, নিয়োগ, বদলি কিছুই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর স্ত্রী মোনালিসা ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী হয়ে পুলিশের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। ক্ষমতা হারানোর পর ৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন মামলা থেকে রক্ষা পেতে। তাই তার নামে কোনো মামলা হয়নি। স্ত্রীর কারণেই আমার ভাই নষ্ট হয়েছে।’

জানা গেছে, মন্ত্রীর উপার্জনের বেশি অংশ পাচার হয়েছে কানাডায়। তার অবৈধ উপার্জনে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি আছে। দুবাইয়ে শারজা স্টেডিয়ামের পাশে মন্ত্রী বাড়ি কিনেছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ঢাকার মোহাম্মদপুর, উত্তরা ও বনানীতে তিনটি ফ্ল্যাট আছে। কিশোরগঞ্জ ও মেহেরপুরে আছে দুটি বাড়ি। আত্মীয়স্বজনদের নামে-বেনামে কয়েক শত বিঘা জমি ও ব্যাংকে জমা আছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। ক্ষমতা হারানোর কিছুদিন আগে শহরে ১১ কোটি টাকা মূল্যে দেড় বিঘা বাড়ির জমি কিনেছেন তার স্ত্রীর পিএস জোহার নামে। মেহেরপুর শহরের দীঘিরপাড়ায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ৯ বিঘা জমি আছে। শহরের পিটিআইয়ের সামনে তার বাবার নামে সরকারি টেক্সটাইল কলেজ নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত এক বিঘা জমিটি তিনি ২০ লাখ টাকায় কিনে পরে সরকারের কাছে ৭ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। সদর উপজেলার বুড়িপোতা, হরিরামপুর, ইছাখালী, মদনা, আমঝুপি, শ্যামপুর ও মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর, মোনাখালী ও আনন্দবাস এলাকায় বাড়ি ও চাষাবাদের শতবিঘা জমি কিনেছেন বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।




মেহেরপুর জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্কার এ্যাডহক কমিটি অনুমোদন

সাত সদস্য বিশিষ্ট মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারাঃ ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে মেহেরপুর জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার আজমক কমিটি অনুমোদন করে।

পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহেনাজকে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আরিফ আহমেদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিতে সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আসাদুজ্জামান লিটন, খেলোয়াড় হিসেবে মো. সাঈদ হোসেন জিকো, ক্রীড়া অনুরাগী হিসেবে মো. আলামিন ইসলাম বকুল, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে মো. তামিম ইসলাম এবং ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে মিজানুর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।




মেহেরপুর ব্যবসায়ী সমিতির নতুন সভাপতি দিপু , শহিদুল সাধারণ সম্পাদক

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তিন বছরের জন্য নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুজ্জামান দিপু, তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৬২ এবং ২৯২ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শহিদুল ইসলাম ।

গতকাল শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী অন্যান্য পদের মধ্যে ৩৭৪ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহসভাপতি পদে বাবলু রহমান , ৩১১ শাহিন মল্লিক ভোট পেয়ে সহসভাপতি পদে, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে ইবনে সাদাত তুষার জয়লাভ করেছেন তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৫৩, যুগ্ম সম্পাদক পদে আলমগীর বাদশা শিল্টন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩২৩। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাহিনুর ইসলাম, তিনি ভেঅট পেয়েছেন ৩৪৯। কোষাধাক্ষ পদে কামাল হোসেন , তিনি ভোট পেয়েছেন৩২০, দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুস সালাম, তিনি ভোট পেয়েছেন ৩১৬। প্রচার সম্পাদক পদে সাইদুর রহমান সাইদ, তিনি ভোট পেয়েছেন ৩২৮, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হারুন অর রশিদ হিরা, তিনি ভোট পেয়েছেন ২৯৮। সাংস্কৃতিক ও নাট্য সম্পাদক মো, রেমিম, তিনি ভোট পেয়েছেন৩৫৭, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মাকসুদুর রহমান রুমন, তিনি ভোট পেয়েেছেন২৯৯। নির্বাহী সদস্য পদে জয়নাল আবেদীন, তিনি ভোট পেয়েছেন ২৮৯, হামিদুল ইসলাম ৩২৮ ভোট, আবুল জাব্বা পেয়েছেন ৩৪৫, মিজানুর রহমান ৩৪৪ ভোট পেয়ে, ওবাইদুল ইসলাম ভোটন , তিনি পেয়েছেন ২৯৬ ভোট।

 দীর্ঘ ১০ বছর পর ঐতিহ্যবাহি এই সংগঠণের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রার্থী ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে চলছে উৎসাহ উদ্দীপনা ও টানটান উত্তেজনা। নির্বাচনে ২১ টি পদের বিপরীতে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এদের মধ্যে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীয়তায় নির্বাচিত হয়েছেন। এখন ১৯ টি পদের বিপরীতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলো ৭০৬ জন। তার মধ্যে ৬৬৬টি ভোট পোল হয়। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীন বিকাল ৪টায় শেষ হয়। ঘন্টা খানেক বিরতী দিয়ে বিকাল ৫টায় শুরু হয় ভোট গণনা।
নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে জিয়ারুল ইসলাম ও প্রহরি বিষয়ক সম্পাদক পদে আজগর আলী সুমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোট কেন্দ্রে ও ভোট কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ সুষ্ঠ সুন্দর রাখতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল চোখে পড়ার মত।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত নির্বাচন পরিদর্শনে যান জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন, মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রশিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এএসএম সাইদুল রাজ্জাক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দীন, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রতিনিধিগণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।




মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন আজ

৬ বছর পর মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন আজ। বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহন শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ভোটগ্রহণ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আব্দুস সালাম, সদস্য মাহবুবুল হক মন্টু ও মাহাবুব চান্দু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন।

এদিকে ব্যবসায়ী সমিতির ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসব উদ্দীপনা শুরু হয়েছে। গেল কয়েকদিন সকাল থেকে শুরু করে মধ্য রাত পর্যন্ত সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। কখনও কখনও ছোট ছোট শোডাউন, মিছিল করতেও দেখা গেছে প্রার্থীদের। সবমিলিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ব্যবসায়ী নেতা তৈরির লক্ষ্যে মুখিয়ে ছিলেন ভোটাররাও। দুটি প্যানেল ও একটি স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন প্রার্থীরা।

এর মধ্যে একটিতে দিপু-সোহেল প্যানেল ও আরেকটি মিরন-শহিদুল প্যানেল দুটি প্রতিদ্বদ্বীতা করছেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে মোঃ মনিরুজ্জামান দিপু (সাইকেল) ও আবু ইউসুফ মিরন (ছাতা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে সোহেল আহম্মেদ (হরিণ) ও শহিদুল ইসলাম (মটর সাইকেল), এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান মিলন (চেয়ার) পদে লড়ছেন।

এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান টোটন (গরুর গাড়ী) ও বাবলু রহমান (টেলিভিশন), সহ-সভাপতি পদে মোঃ শাহিন মল্লিক (মই) ও রায়হান কবির (দেয়াল ঘড়ি), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে মোঃ ইবনে সাদাত তুষার (ফুটবল) ও তাজুল ইসলাম (মাছ), যুগ্ম সম্পাদক পদে আলমগীর বাদশা শিল্টন নষ্ট (গোলাপ ফুল) ও মানিক হোসেন (উড়োজাহাজ), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ শাহিনুল ইসলাম শাহীন (তালা চাবি) ও সামসুল আযম লিল্টু (হাতপাখা), কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ কামাল হোসেন (খেজুর গাছ) ও সাহেদুজ্জামান রিপন (হাতপাখা), দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ শফিউল আলম শিল্টু (মোবাইল) ও আব্দুস সালাম (কুঁড়েঘর), প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ সাইদুর রহমান সাঈদ (কবুতর) ও এস. এ খান শিল্টু (বাস), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ রকিবুজ্জামান জনি (প্রজাপতি) ও ইমাদুল হক (ডাব), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ হারুন অর রশিদ হিরা (মিনার) ও আব্দুল লতিফ (ফুলদানি), সাংস্কৃতিক ও নাট্য সম্পাদক পদে মোঃ রেমিম (কুলা) ও এমদাদুল ইসলাম (চশমা), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মোহাম্মদ সাদেকুজ্জামান খান (কাপ পিরিস) ও মাকসুদুর রহমান রুমন (বই) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম ও প্রহরা বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ আজগর আলী সুমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়াও সদস্য পদে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিল্টন (সিলিং ফ্যান), মোঃ রাকিব হোসেন (ট্রাক), মোঃ হামিদুল ইসলাম (ক্রিকেট ব্যাট), মোঃ ওবাইদুল ইসলাম (টিউবওয়েল), রাজন আহম্মেদ (কলস), মোঃ জয়নাল আবেদীন (হাঁস), মোঃ হামিদুল ইসলাম (বালতি), মোঃ আব্দুল জব্বার (ঘোড়া), মোঃ নাজমুল ইসলাম (আনারস) ও মোঃ রবিউল ইসলাম (পানির বোতল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটিং সম্পন্ন করতে সকল প্রকার নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে আহ্বায়ক মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, আমরা একটি স্বচ্ছ ও ন্যায্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির এই নির্বাচনে মোট ৩২টি পদে ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলাফল ভোটগ্রহণ শেষে আজই ঘোষণা করা হবে।




ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার নেবে ইস্টার্ন ব্যাংক, বেতন ৩১ হাজার টাকা

বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসিতে ‘ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (টিএও)’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি
বিভাগের নাম : রিকভারি (করপোরেট/এসএমই/রিটেইল লোনস অ্যান্ড কার্ডস)

পদের নাম : ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (টিএও)
পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা : ব্যবসায় স্নাতক
অভিজ্ঞতা : ০১-০২ বছর
বেতন : মাসিক মোট ৩১ হাজার টাকা

চাকরির ধরন : ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ
বয়স : নির্ধারিত নয়
কর্মস্থল : বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে

আবেদনের নিয়ম : আগ্রহীরা এই লিংকে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড রাজাপুর ও বারাকপুর বিএনপি’র আয়োজনে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বুড়িপোতা ইউনিয়নের রাজাপুর বারাকপুরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে এ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজাপুর বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জাহিদুর রহমান জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাইয়োদতুন নেসা নয়ন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সেন্টু, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাবিব ইকবাল।

পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুর সঞ্চালনায় এসময় বিএনপি নেতা রফিকুল, মনা, যুবদল নেতা শান্ত শ্রমিকদল নেতা মকবুল, বুড়িপোতা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সম্রাট, বিরাটসহ বুড়িপোতা ইউনিয়নের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




জয়েন্টের ব্যথা এড়ানোর ৩ টিপস

শীতপ্রীতির নানা কারণ থাকতে পারে। কিন্তু মাত্রারিতিক্ত ঠান্ডা অনেক ক্ষতির কারণও হয়। মানুষ এ সময় শারীরিক নানা সমস্যায় ভোগে। জ্বর, কাশি, সর্দি তো আছেই এসব ছাড়াও অনেক সময় জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়। অসহ্য এই ব্যথা বড় অস্বস্তির কারণ। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ব্যথা সহজেই কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে।

জয়েন্ট ব্যথা দূর করবেন যে তিন উপায়ে

নড়াচড়া করুন: আজকাল আমরা খাই, ঘুমাই এবং কাজ করি—শরীর ও মনকে এতটুকুও সময় দেই না। নূন্যতম হাটার সময়ও অনেকে পায় না। তবে যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং বা দ্রুত হাঁটার মতো হালকা কাজও আপনার জয়েন্টগুলোকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। যদি ডেস্কে কাজ করেন, তাহলে প্রতি ঘণ্টায় উঠে দাঁড়িয়ে কিছু সময় হাটুন। তাহলে দেখবেন জয়েন্টের ব্যথা উধাও হয়ে যাবে।

সহায়ক খাবার খান: খাদ্যতালিকায় মাছ, আখরোট এবং তিসির মতো ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। এগুলো প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। হলুদ এবং আদার মতো মসলা কেবল স্বাদের জন্য নয়— এগুলো প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী যা জয়েন্টকে প্রশমিত করতে পারে। স্যুপ এবং স্টু খেতে ভুলবেন না। এগুলো আরামদায়ক এবং পুষ্টিতে ভরপুর যা আপনার জয়েন্ট ভালো রাখতে কাজ করবে।

হাইড্রেটেড থাকুন : শীতকালে অনেকেই কম পানি পান করেন। কিন্তু হাইড্রেটেড থাকলে তা জয়েন্টগুলোতে তৈলাক্ততা বজায় রাখে। ভেষজ স্যুপ খান, অথবা উষ্ণ পানিতে ২ মিলি আদার রস মিশিয়ে পান করুন। এভাবে হাইড্রেটেড এবং আরামদায়ক থাকুন।

সূত্র: যুগান্তর




জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

মেহেরপুরের জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার( ৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটার দিকে মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ মোছাঃ রিতা পারভীনের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃআল আমীন, জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ উপাধ্যক্ষ মোঃ শামসুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটি ও আল নূর ফাউন্ডেশনের সদস্য বৃন্দ।

এর আগে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, অতিথিদের প্যারেড পরিদর্শন, শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শন, শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।